মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিংকের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিংক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।
আজকের লিন্ক
এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।
৩০ comments
মাসুদ করিম - ২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১:৫৩ পূর্বাহ্ণ)
ওরহান পামুকের সাক্ষাৎকার। বোম্বেতে নেয়া সাক্ষাৎকারটি পড়ুন ‘দি হিন্দু’তে, এখানে।
মাসুদ করিম - ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৫:১১ অপরাহ্ণ)
হাইতির ভূমিকম্প নিয়ে গুজব : সাইসমিক অস্ত্রের পরীক্ষণের কারণেই ঘটেছে এই কম্পন! দেখুন এই ভিডিও ক্লিপ।
মাসুদ করিম - ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৭:০০ অপরাহ্ণ)
জনপ্রিয় এক ইতালিয়ান টেকনোলজি ম্যাগাজিন ‘ইন্টারনেট’ কে বিশ্ব শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
মাসুদ করিম - ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৭:১০ অপরাহ্ণ)
প্রথমে গ্রিস, তারপর স্পেন, এখন পর্তুগাল… অর্থনৈতিক সংকটে পতিত এই সরকারগুলো ইউরোজোনে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। মন্দামুক্তির পরিবর্তে নতুন মন্দার ভয়ে আতঙ্কিত ইউরোপ। পড়ুন এখানে Government debt crisis heightens concern over eurozone stability।
মাসুদ করিম - ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৩:০২ অপরাহ্ণ)
ইন্টারনেটে রবীন্দ্ররচনাবলী।
রেজাউল করিম সুমন - ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৯:০২ অপরাহ্ণ)
ধন্যবাদ, মাসুদ ভাই। সমগ্র রবীন্দ্ররচনা কি-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করারও সুবিধা আছে! বেশ কাজ দেবে।
মাসুদ করিম - ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৯:০৬ অপরাহ্ণ)
প্রো-রাশিয়ান ইয়ানোকোভিচ, প্রো-ইউরোপিয়ান তাইমোশেনকো, এবারের ইউক্রেনিয়ান নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্যায়ে, ফটোফিনিশ জয় পেলেন ইয়ানোকোভিচ, মাত্র ২% ভোট বেশি পেয়ে, দেশের পূর্ব ভাগের ভোট একচেটিয়া ইয়ানোকোভিচের আর দেশের পশ্চিম ভাগের ভোট একচেটিয়া তাইমোশেনকোর, রিয়া নভোস্তির খবর পড়ুন এখানে, এনিয়ে ইউরোপিয়ান মনোভঙ্গি এখানে আর রশিয়ান মনোভঙ্গি এখানে এক ও দুই।
রায়হান রশিদ - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১০:২৯ অপরাহ্ণ)
বিতর্ক: এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, মোয়াজ্জেম বেগ এবং গিতা সাহগল
সম্প্রতি এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের জেন্ডার ইউনিট এর প্রধান গিতা সাহগল প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মৌলবাদী জঙ্গী শক্তির প্রতি সহানুভূতিশীলতার (এবং ক্ষেত্রে বিশেষে সংশ্লিষ্টতার) অভিযোগ এনেছেন Sunday Times এর এক লেখায়। গুয়ানতানামো ফেরত মোয়াজ্জেম বেগ এবং তার সংগঠন Cageprisoners এর সাথে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক কিছু যৌথ সাংগঠনিক উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতেই গিতা সাহগল এর এই সমালোচনা। উদ্ধৃত করছি:
উল্লেখ্য, মানবাধিকার কর্মী হিসেবে গিতা সাহগল আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত এবং মৌলবাদ এবং জঙ্গীবাদের উত্থান এবং বিকাশ নিয়ে যার নিজেরই রয়েছে ২০ বছরেরও অধিক কালের গবেষণা। অন্য দিকে, এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্রসমূহকে স্বচ্ছতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপারে দীক্ষা দিয়ে থাকে। কিন্তু গিতা সাহগল এর এই প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে সংগঠনটি তাকে চাকুরী থেকে সাসপেন্ড করেছে। এখানে দেখুন।
একে কেন্দ্র করে গিতা সাহগল এর পৃথক বিবৃতিটি পড়ুন, এখানে। প্রত্যুত্তরে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ব্লগে উইডনি ব্রাউন একটি বিবৃতি প্রদান করেছেন, যা বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার কর্মী মহলে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে (এখানে দেখুন)।
এই বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য দেখুন: এখানে।
রায়হান রশিদ - ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৫:২২ পূর্বাহ্ণ)
আপডেট:
এই মুহুর্তে উপরোক্ত বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক পিটিশনে স্বাক্ষরগ্রহণ চলছে:
Global Petition to Amnesty International: Restoring the Integrity of Human Rights
সবার প্রতি স্বাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে সমর্থন ব্যক্ত করার আহ্বান থাকলো।
এছাড়াও, মৌলবাদের শিকার আলজেরীয় পরিবারসমূহের মোর্চা থেকেও এমনেস্টির সার্বিক অবস্থান এবং গিতা সাহগল বিষয়ে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে:
Statement by Algerians, survivors, family or friends of victims of fundamentalist violence on the affair Gita Sahgal vs Amnesty International / Moazzam Begg
মাসুদ করিম - ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১০:১৯ পূর্বাহ্ণ)
সরকার বা পার্লামেন্ট কি বলতে পারে, আপনি বুরখা পরবেন না, সারকোজির সরকার তা বলেছে এবং ফরাসি পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতি অর্জন করেছে। বুরখা কারো ওপর অত্যাচার কোনো সন্দেহ নেই, কিন্তু এই বুরখাই কারো কাছে মূল্যবোধ। সরকার কি কারো মূল্যবোধ বিষয়ে ডিক্রি জারি করতে পারে? ‘বুরখা পরতেই হবে’, ‘বুরখা পরাই যাবে না’ — দুটোই কি ফতোয়ার মতো শোনাচ্ছে না?
আরো পড়ুন এখানে।
মাসুদ করিম - ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (২:০৪ পূর্বাহ্ণ)
৯/১১ এর টুইন টাওয়ার ধ্বংসের এই ছবি গুলো আগে কোথাও ছাপা হয়নি। দেখুন New 9/11 photos released।
মাসুদ করিম - ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (২:৩৯ পূর্বাহ্ণ)
দি ইকোনোমিস্টে জ্যোতি বসুর শোকলেখন, আশ্চর্য হয়েছি, পত্রিকাটি একে চূড়ান্ত কমিউনিস্ট বিদ্বেষী, তার ওপর উন্নয়নশীল দেশের নেতাদের নিয়ে কখনো শোকলেখন প্রকাশ করেছে কিনা সন্দেহ।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
মাসুদ করিম - ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৩:১৬ পূর্বাহ্ণ)
শক্তি খাতে চায়না যে কাউকে ছাড়িয়ে যাবে। ‘ক্লিন এনার্জি’তে চায়না এ শতক, যাকে ‘সবুজ বিপ্লব’এর শতক বলা হচ্ছে, থাকবে চালকের আসনে। পড়ুন থমাস এল ফ্রিডমানের কলাম।
মাসুদ করিম - ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ)
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অ্যাওয়ার্ড : বিজয়ী গ্যালারি ২০১০।
মাসুদ করিম - ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৩:৪৭ অপরাহ্ণ)
দীর্ঘ ৪০ ধরে বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন শিক্ষাবিদ শহিদুল ইসলাম, আজকের কালের কণ্ঠে মুক্তধারা পাতায় তিনি লিখছেন :
বিস্তারিত পড়ুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : আবার ইসলামী ছাত্র শিবির। (প্রথমে সম্পাদকীয়তে ক্লিক করুন, তারপর মুক্তধারায় ক্লিক করুন)
মাসুদ করিম - ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৪:০২ অপরাহ্ণ)
পপ আর্টের জনক রিচার্ড হ্যামিলটনের সাক্ষাৎকার :
বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
অবিশ্রুত - ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৬:১৯ অপরাহ্ণ)
আপাতদৃষ্টিতে ছোট সংবাদ, জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার ধ্বজাধারীরা যে-ভাবে এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় সুড়সুড়িকে ব্যবহার করল, ভবিষ্যতে আমাদের তার মাশুল দিতে হবে।
মুয়িন পার্ভেজ - ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১:৪৪ পূর্বাহ্ণ)
কবি মোহাম্মদ রফিক ও প্রয়াত নাট্যকার সাঈদ আহমেদসহ ১৫ জনকে এবারের একুশে পদকের জন্য মনোনীত করেছে সরকার। সূত্র : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
মাসুদ করিম - ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১১:৫০ পূর্বাহ্ণ)
অর্থনীতিবিদ, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং বিস্তৃত অর্থে দার্শনিক অম্লান দত্ত গতকাল তার বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। ১৯২৪ সালে কুমিল্লায় তার জন্ম। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। পুঁজিবাদী বিশ্বায়ন ও সমাজতন্ত্র দুয়েরই তিনি বিরোধী ছিলেন। আর ছিলেন নাটকের দর্শক, এমন অভিনিবেশ নিয়ে নাটক দেখতে আমি কম দর্শককেই দেখেছি। বহুরূপীর দুটি নাটক তার পাশে বসে আমি দেখেছিলাম, নাটক এবং একজন absorbed দর্শককে পর্যবেক্ষণ — দুটি সমগুরুত্বপূর্ণ কাজ পাশাপাশি করতে পেরে সেদিন নিজেকেও আমার একজন ভাল দর্শক ভাবতে ভাল লাগছিল।
তার মৃত্যুসংবাদ পড়ুন গণশক্তিতে।
মাসুদ করিম - ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১০:১৩ পূর্বাহ্ণ)
দীর্ঘ রোগভোগের পর ১৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতার এক নার্সিং হোমে এসইউসির সাধারণ সম্পাদক নীহার মুখার্জির জীবনাবসান হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। এসইউসির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শিবদাস ঘোষের মৃত্যুর পর ১৯৭৬ সালে নীহার মুখার্জি দলের দায়িত্ব পান। সেই থেকে আমৃত্যু তিনি এই পদে ছিলেন।
খবরটি পড়ুন এখানে।
বিনয়ভূষণ ধর - ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১২:৩৫ অপরাহ্ণ)
গত ১৯ ফেরুয়ারী ২০১০ সাল কালের কন্ঠ পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘আইটিতে বাংলার জয়জয়কার’ নামক চমৎকার একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে বিপ্লব রহ্মান-এর…
বিনয়ভূষণ ধর - ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৭:৩৪ অপরাহ্ণ)
কতদুর এগোল বাংলা
প্রযুক্তির সিঁড়ি বেয়ে মাত্র চার দশকে বাংলা ভাষা ব্যবহারে বিস্ময়কর অগ্রগতি হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য ভাষার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাতেই সম্ভব হচ্ছে কম্পিউটারে লেখালেখি, বই-পুস্তক ও পত্র-পত্রিকা প্রকাশ, গবেষণা, ওয়েবসাইট নির্মাণ, তথ্য ও ছবি অনুসন্ধান, ই-মেইল আদান-প্রদান, এমনকি ব্লগিং-ও। সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলেছেন, ব্যবহারিক দিক বিবেচনায় এ সবই বাংলা ভাষার জন্য একটি মাইলফলক।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনসুারে, বিশ্বে এখন অন্তত ২৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাংলা ভাষা ব্যবহার করছেন। ভাষাভাষীর সংখ্যা অনুসারে বাংলার স্থান ষষ্ঠ। কোনো কোনো হিসাবে এ ভাষাভাষীর সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২৫ কোটি ছাড়িয়ে গেছে এবং এর অবস্থান এখন চতুর্থ। ভারতে বাংলা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কথিত ভাষা।
২০ বছর আগে আন্তর্জাতিক বর্ণ সংকেতায়ন ব্যবস্থা_ইউনিকোডে বাংলা ভাষা যুক্ত হওয়ার পর এর সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গিয়েছিল। জনপ্রিয় ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন গুগল ১৩০টি ভাষার সঙ্গে বাংলাকেও যুক্ত করেছে। ফলে এখন গুগল বাংলায়ও ব্যবহার করা যায়। বছর চারেক ধরে কম্পিউটারে ফোনেটিক কিবোর্ড ব্যবহার করে খুব সহজেই সব ধরনের বাংলা লেখা সম্ভব হচ্ছে। ফলে যারা কিবোর্ডের কোথায় কোন বাংলা হরফ আছে তা জানেন তারাও সহজেই বাংলায় লিখতে পারছেন। বাংলা উইকিপিডিয়া এখন বিশ্বের বৃহত্তম বাংলা ভাষার ওয়েবসাইট। পূর্ণাঙ্গ নিবন্ধ ও খসড়াসহ এর নিবন্ধনের সংখ্যা
১৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বাংলা ভাষার অগ্রগতি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেইসবুকেও। এর প্রায় ৩০ কোটি ব্যবহারকারীর মধ্যে লাখ দেড়েক বাংলাভাষী। কিছুদিন আগে থেকেও ফেইসবুকও বাংলারূপ যুক্ত হয়েছে। অভ্র সফটওয়্যারে ইউনিকোড ব্যবহার করে ফেইসবুকসহ সব সাইটেই বাংলায় লেখালেখি সম্ভব হচ্ছে। অভ্রকে অনেকেই বলছেন ইন্টারনেটে বাংলা ব্যবহারের মাইলফলক। কিছু মোবাইল ফোনেও বাংলাতেই সংক্ষিপ্ত বার্তা (এসএমএস) আদান-প্রদান করা যাচ্ছে।
এ ছাড়া মাস তিনেক আগে জি-মেইল ১২টির ভাষার সঙ্গে বাংলাকেও অনুবাদিত ভাষা হিসেবে যুক্ত করায় এখন ফোনেটিক বাংলাতেই ই-মেইল আদান-প্রদান সম্ভব। এমনকি যিনি বাংলা টাইপ করতে জানেন না, তিনিও ফোনেটিকে ইংরেজি অক্ষরে বাংলা উচ্চারণে শব্দটি টাইপ করলে, এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাংলা হয়ে যাবে; যেমন এখন কিবোর্ডে ইংরেজিতে PUKUR লিখলে, জি-মেইল নিজেই অনুবাদ করে তা বাংলায় রূপান্তর করে নেবে ‘পুকুর’।
বিশিষ্ট কম্পিউটার বিজ্ঞানী মোস্তফা জব্বার প্রথম ১৯৮৭ সালে বাংলা সফটওয়্যার ‘বিজয়’ এবং একই নামে ১৯৮৮ সালে বাংলা কি-বোর্ড আবিষ্কার করেন। বাংলায় এই ফন্ট ও কিবোর্ডই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ১৯৮৭ সালের ১৬ মে কম্পিউটারে প্রথম পত্রিকা ‘আনন্দপত্র’ও প্রকাশ করেন তিনি।
মোস্তফা জব্বার কালের কণ্ঠকে বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী ১৯৬৫ সালে ‘মুনীর অপটিমা’ টাইপরাইটার আবিষ্কার করেন। এর পর অনেক অফিস-আদালতে কাগজ-কলমের বদলে টাইপরাইটার ব্যবহারের মধ্য দিয়ে শুরু হয় নতুন প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার পথচলা। এটি বাংলা ভাষা ব্যবহারের এক ধাপ অগ্রগতি। পরে আটের দশকে দেশে কম্পিউটার চালু হলে ‘বিজয়’-এর বাংলা লেখালেখি, পত্র-পত্রিকা প্রকাশ আরো সহজ হয়। কালক্রমে ইউনিজয়, প্রভাত, অভ্র ছাড়াও আরো কয়েকটি বাংলা কিবোর্ড আবিষ্কৃত হয়। একই সঙ্গে সম্ভব হয় ফোনেটিক পদ্ধতিতে বাংলা লেখা। এ সবই প্রযুক্তির হাত ধরে বাংলা ভাষারই প্রসার।
মোস্তফা জব্বার বলেন, প্রযুক্তি বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ভাষা ব্যবহারের এই উন্নতিটুকু দরকার ছিল। তবে এখনো অনেক কাজ বাকি। এ জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
বাংলা উইকিপিডিয়ার প্রধান উদ্যোক্তা এবং আমেরিকার জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের কম্পিউটার বিজ্ঞানী ড. রাগিব হাসান। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, গত চার দশকে বাংলা ভাষার ব্যবহার এগিয়ে গিয়েছে অনেকটা। এ ক্ষেত্রে ইউনিকোড প্রযুক্তি সবচেয়ে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। এতদিন কম্পিউটারে বাংলা লেখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতো, যার কোনোটির সঙ্গে কোনোটির মিল ছিল না। গত পাঁচ বছর ধরে সার্বজনীন ইউনিকোডে বাংলা লেখা হচ্ছে, ফলে ইন্টারনেটে বাংলার ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। বাংলা ব্লগের বিপুল জনপ্রিয়তা ও বাংলা উইকিপিডিয়ার বিস্তার লাভই এর বড় প্রমাণ।
রাগিব হাসান জানান, সমপ্রতি উবুন্টু লিনাক্স, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ_এসবের মাধ্যমেও বাংলায় কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এর পাশাপাশি ওপেন অফিস, ফায়ারফক্স এসবেরও বাংলা সংস্করণ বেরিয়েছে। অত্যন্ত উদ্যমী একঝাঁক তরুণ কাজ করে চলেছেন বিভিন্ন সফটওয়্যারকে স্থানীয়করণ করতে।
তিনি বলেন, ইন্টারনেটে বাংলা লেখার সুবিধা কম বলেই কেবল অনেকে বাংলা কথাকে ইংরেজি হরফে লিখছে বা ইংরেজিতেই আলাপ করছে। ই-মেইল, ফেইসবুক বা ব্লগে সরাসরি বাংলায় লেখার ব্যবস্থা পেলেই বাঙালিরা বাংলাতেই কথা বলবেন।
‘অভ্র’ সফটওয়্যার আবিষ্কার করেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান খান। মেহেদী, রিফাতুন্নবি, তানভিন ইসলাম সিয়াম, রাইয়ান কামাল, শাবাব মুস্তফা, নিপুণ হক_এই কয়েকজন বন্ধু গত ছয় বছর ধরে অভ্র নিয়ে কাজ করছেন। মেহেদী হাসান কালের কণ্ঠকে জানান, অভ্র বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারকারীর ইউনিজয়, প্রভাত ও ফোনেটিক কিবোর্ড বাছাই করারও সুযোগ রয়েছে। এমনকি যিনি কম্পিউটারে বাংলা লিখতে অভ্যস্ত নন, তিনি যেন অন্তত কিছু বাক্য বাংলায় লিখতে পারেন, সে জন্য মাউস চেপে (ভার্চুয়াল কিবোর্ড) বাংলায় লেখার অপশনও তৈরি করেছেন তারা। বাংলা উইকিপিডিয়া, সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিনে এরই মধ্যে যুক্ত হয়েছে অভ্র-ফোনেটিক অপশন।
জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ সাইট আমারব্লগ ডটকমের প্রধান সঞ্চালক ও ব্লগার সুশান্ত দাস গুপ্ত বলেন, মূলত ইউনিকোডের কল্যাণেই বাংলায় ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি নিজে বাংলা টাইপ করতে ভয় পেতাম, কিন্তু অভ্র কিবোর্ড আসার পর এখন আমি ইংরেজির চেয়েও দ্রুত গতিতে বাংলা টাইপ করতে পারছি।’ ওয়েবে বাংলা প্রসারে হাসিন হায়দার, সবুজ কুণ্ডু, এএসএম মাহবুব মুর্শেদ, আহমেদ অরূপ কামাল, আরিল প্রমুখের অবদান উল্লেখযোগ্য বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলার প্রসারে মুস্তফা জব্বার, লিড প্রোগ্রামার পাপ্পান এবং অভ্রর সব কোডারের বড় অবদান রয়েছে।
অবশ্য ইউনিকোড বা অভ্র ব্যবহার তুলনামূলক সাম্প্রতিক হওয়ায় অনেকেই এর ব্যবহার শুরু করেনি। আমাদের দেশে এখনো বিজয় সফটওয়ার বেশি জনপ্রিয়। ফলে লেখালেখির আদান-প্রদানে ফন্ট ভেঙে যাওয়াসহ নানা সমস্যা হচ্ছে।
বিশিষ্ট লেখক সৈয়দ শামসুল হক গত ২১ বছর ধরে কম্পিউটারে বাংলা ভাষায় সব ধরনের লেখালেখি করছেন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রযুক্তির বিকাশে বাংলা ভাষা ব্যবহারিক দিকে এগিয়েছে_এটি অবশ্যই জাতীয় জীবনের একটি মাইলফলক। কিন্তু প্রযুক্তিগত দিকে বাংলা ভাষাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এখনো অনেক কাজ বাকি। তিনি বলেন, ‘ইংরেজি ভাষার মতো কম্পিউটারে এখনো বাংলা ভাষা বিশ্বে সবার কাছে পাঠযোগ্য হয়ে ওঠেনি। আমি যে ফন্টে বাংলায় লিখি, তা পশ্চিমবঙ্গের কোনো লেখক বা প্রকাশক পড়তে পারেন না। আবার তারা যে ফন্ট ব্যবহার করেন, সেটিও আমি পড়তে পারি না। এ জন্য দু’দেশের কম্পিউটার বিজ্ঞানী, গবেষক ও লেখকের একসঙ্গে বসে একটি একক ব্যবস্থায় কম্পিউটারে লেখার সহজ পদ্ধতি আবিষ্কার করতে হবে। বাংলাদেশকেই এ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে হবে।’
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলা ভাষার ব্যবহারও এগিয়ে চলেছে_এটি অবশ্যই একটি অগ্রগতি। তবে প্রযুক্তি এখনো সমাজের মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগী মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
মুয়িন পার্ভেজ - ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (২:২২ অপরাহ্ণ)
দেওয়ানি কার্যবিধির ১৩৭ ধারা সংশোধিত না হওয়ায় আদালতে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা যাচ্ছে না। সূত্র : প্রথম আলো (২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০)।
মাসুদ করিম - ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১১:২২ অপরাহ্ণ)
নড়াইলে এক লাখ দীপশিখায় তেরোতম একুশসন্ধ্যা
স্থান : কুরিডোব মাঠ, নড়াইল
সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০, সন্ধ্যা ৬টা
মাঠের আয়তন : দশ একর
স্বেচ্ছাসেবক : দশ হাজার
দীপশিখা : এক লাখ, দশ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দশ মিনিটে প্রজ্বলন করে
মঙ্গলপ্রদীপ : চার হাজার
দর্শক : চল্লিশ হাজার
অনুষ্ঠান : যতক্ষণ দীপশিখা প্রজ্বলিত থাকে ততক্ষণ গান কবিতাআবৃত্তি
বিস্তারিত পড়ুন আজকের কালের কণ্ঠের শেষ পাতায় ‘নড়াইলে লাখো দীপশিখায় আলোকময় একুশের সন্ধ্যা’ শিরোনামে। যেহেতু কালের কণ্ঠের লিন্ক দিতে সমস্যা হচ্ছে, তাই পুরো লেখাটি এখানে উদ্ধৃতি আকারে পড়ুন, তবে ছবিটি দেখতে লগইন করুন এবং শেষ পৃষ্টায় খবরের উপরেই খেরশেদ আলম রিংকুর তোলা ছাবটি দেখতে পাবেন। (কালের কণ্ঠের সাথে সংশ্লিষ্ট কেউ থাকলে এ বিষয়টি যেন কালের কণ্ঠ সম্পাদনা পরিষদ জানতে পারেন, তার ব্যবস্থা নেবেন। ব্লগে লিন্ক দিতে সমস্যা হলে, এখন সেপত্রিকার ওয়েবপেজকে Sub-Standard ধরা হয়)।
মাসুদ করিম - ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১০:০৬ অপরাহ্ণ)
দুবাই হত্যাকাণ্ড : অভিযুক্ত মোসাদ। বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
মাসুদ করিম - ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১০:১০ অপরাহ্ণ)
প্রভুর ভূমিকায় চীন। পড়ুন এখানে।
মাসুদ করিম - ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১০:২৩ পূর্বাহ্ণ)
সরস্বতী ভারতীয় দেবী, সেই দেবীকে যিনি ‘মিউজ’ ভেবে নগ্ন আবাহন করলেন, সেই মকবুল ফিদা হুসেনকে বাহুবলী বিজেপির তাণ্ডবে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। বহুদিন থেকেই তিনি দুবাই প্রবাসী। এখন তিনি কাতারের নাগরিকত্ব পেলেন, কাতারের রাজ পরিবার শিল্পীকে সম্মান জানালেন। ভারতের জন্য এই ঘটনা স্থায়ী কলঙ্ক হয়ে থাকবে। ভারত তার সেরা শিল্পীকে, একজন মহান অসাম্প্রদায়িক মানুষকে, বাহুবলীদের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে পারল না।
দি হিন্দুর সম্পাদক এন.রাম লিখছেন:
বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
বিনয়ভূষণ ধর - ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১১:৪১ পূর্বাহ্ণ)
কথাসাহিত্যিক আবু রুশদ মতিনুদ্দিন আর নেই। পড়ুন এখানে…
রায়হান রশিদ - ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৫:৩২ অপরাহ্ণ)
বিডিআর বিদ্রোহ/গণহত্যার এক বছর পর এ নিয়ে সিসিবি-তে কিছু আলোচনার সূচনা হয়েছে, যা নিয়ে মুক্তাঙ্গনেও কিছু কাজ হতে পারে; হওয়া জরুরীও হয়তো। মুক্তাঙ্গন এর পাঠকদের জন্য নিচে উদ্ধৃত করা হল:
ক.
খ.
গ.
রায়হান রশিদ - ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৮:৩৩ অপরাহ্ণ)
বাঘাইছড়ি হত্যাযজ্ঞ: পাহাড়ি-বাঙালি দ্বন্দ্ব নাকি শাসক শ্রেণীর ঔপনিবেশিক আধিপত্য?
- লিখেছেন দিনমজুর