মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে। ধন্যবাদ।
আজকের লিন্ক
এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।
৪ comments
মাসুদ করিম - ১ নভেম্বর ২০২২ (৪:৪৯ অপরাহ্ণ)
China, Vietnam to lift comprehensive strategic cooperative partnership
https://news.cgtn.com/news/2022-11-01/China-Vietnam-to-lift-comprehensive-strategic-cooperative-partnership-1eBTJl1So8M/index.html
China and Vietnam will strengthen and deepen their comprehensive strategic cooperative partnership to promote bilateral ties onto a healthy and stable development path, said a joint statement issued on Tuesday.
As good neighbors and friends, the two countries are committed to people’s well-being, national prosperity and the noble cause of peace and development of mankind, the statement said.
The friendship of “brothers plus comrades” between China and Vietnam is the fortune of the two peoples, which needs to be inherited, maintained and developed, according to the statement.
Looking ahead, the two parties and the two countries should adhere to the direction of socialism, jointly promote the continuous development of socialism and show the advantages and bright prospects of the socialist system, read the statement.
Step up comprehensive strategic cooperative partnership
In a world that is undergoing profound, complex and unpredictable change, China and Vietnam should strengthen strategic communication, improve political mutual trust, and uphold mutual respect and equality to keep bilateral ties developing in the right direction, the statement said.
The two countries should enhance their coordination in international affairs and join hands to address regional and global challenges, so as to contribute more to maintaining regional and global peace and promoting joint development.
More high-level exchanges
The joint statement also noted that the two top leaders of the Communist Party of China and the Communist Party of Vietnam should keep regular contact to chart the course for bilateral ties.
The two sides will maintain and strengthen the tradition of high-level exchanges between the two parties and the two countries to exchange views on major bilateral issues and regional and global situations via bilateral visits, exchanges of special envoys, phone calls, annual meetings and other methods of communication.
Giving full play to the advantage that the two countries are geographically close and complementary in industries, China and Vietnam should step up practical and efficient cooperation in all fields, the statement said.
(Cover: Xi Jinping, general secretary of the Communist Party of China Central Committee and Chinese president, awards Nguyen Phu Trong, general secretary of the Communist Party of Vietnam Central Committee, the Friendship Medal of the People’s Republic of China in Beijing, capital of China, October 31, 2022. /Xinhua)
মাসুদ করিম - ৭ নভেম্বর ২০২২ (২:৪২ পূর্বাহ্ণ)
যত বড় হচ্ছে ঢাকা, তত ছোট হচ্ছে নাটক পাড়া-সিনেমা পাড়া
https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/6tvyggnaq4
রাজধানী নিয়ে বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্প হচ্ছে, তবে উপেক্ষিত থাকছে সাংস্কৃতিক বিনোদনের বিষয়টি।
তিন দশক আগের ঢাকার সঙ্গে এখনকার তুলনা করলে দেখা যাবে জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, বেড়েছে আয়তনও। কিন্তু নাটক মঞ্চায়নের স্থান বাড়েনি একটিও, কমেছে সিনেমা হল।
ঢাকার নাটক পাড়া বলে পরিচিত স্থান ছিল বেইলি রোড, সেখানে দুটি মঞ্চের একটি এখন টিকে আছে। আর মূল নাটক পাড়া সরে এসেছে সেগুন বাগিচায় শিল্পকলা একাডেমিতে।
ফলে ১৯৯১ সালে ঢাকায় যেখানে ৬৪ লাখ মানুষের জন্য নাটক দেখার স্থান ছিল দুটি; এখন তার দ্বিগুণ মানুষের জন্য সেই স্থান দুটিই আছে।
ঢাকা দুই ভাগ হওয়ার পর শিল্পকলা একাডেমি কিংবা বেইলি রোডের মহিলা সমিতি দুটোই পড়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায়; নিয়মিত নাটক হবে, এমন কোনো মঞ্চই নেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায়। অথচ ঢাকা দক্ষিণের চেয়ে উত্তরের জনসংখ্যা ১৭ লাখ বেশি।
উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় আলাদা এক শহরই হয়ে উঠেছে উত্তরা, যেখানে ১৫ লাখের মতো মানুষের বাস, অথচ সেখানে নেই একটি সিনেমা হলও। উত্তর-দক্ষিণ মিলিয়ে যতগুলো সিনেমা হল তিন দশক আগে ছিল, তার অনেকগুলোই বন্ধ হয়ে গেছে।
উত্তরার মতো বিভিন্ন দিকে ঢাকা বিস্তৃত হচ্ছে। সেখানে উঁচু উঁচু দালান উঠছে, বিপণি বিতান আর রেস্তোরাঁর ভরে যাচ্ছে এলাকাগুলো, কিন্তু নগরবাসীর সাংস্কৃতিক বিনোদনের খোরাক দেওয়ার মতো কোনো স্থান গড়ে উঠছে না।
বরং যেগুলো ছিল, তা থেকে কমে যাওয়ায় এবং তার বিপরীতে মানুষ বেড়ে যাওয়ায় গড় হিসেবে ঢাকাবাসী প্রতিজনের সাংস্কৃতিক বিনোদনের সুযোগ সঙ্কুচিতই হচ্ছে।
আবার যেটুকু সুযোগ আছে, ক্রমবর্ধমান যানজট তাও নিচ্ছে কেড়ে। একসময় মিরপুর কিংবা উত্তরা কিংবা মিরপুর থেকে নাটক দেখতে শিল্পকলা একাডেমিতে আসতে তিন দশক আগে যদি এক ঘণ্টায় আসা যেত, এখন তা চিন্তাই করা যায় না।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন যানজটের কারণে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া একটু কঠিনই। ফলে উত্তরার কেউ থিয়েটার দেখতে চাইলে তাকে শিল্পকলায় আসতে হয়। অনেকে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আসতে পারে না।”
একই কথা মিরপুর কিংবা ডেমরা কিংবা মোহাম্মদপুরের জন্যও খাটে।
নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, সাংস্কৃতিক বিনোদনের সুযোগ না থাকলে একটি নগর অপূর্ণাঙ্গই শুধু থাকে না, মানবিক বোধসম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে ওঠার জন্যও অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
শহর বাড়ছে চার দিকে
স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে ঢাকা নগরীর আয়তন ছিল ৪০ বর্গকিলোমিটার; জনসংখ্যা ছিল ১৫ লাখ। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ঢাকা, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে জনসংখ্যাও।
ঢাকা সিটি করপোরেশন দুই ভাগ হওয়ার পর এখন দুটো মিলিয়ে আয়তন বেড়ে হয়েছেন ৩০৫ বর্গকিলোমিটার; আর জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ।
১৯৯০ সালের পর উত্তরা আবাসিক এলাকা গড়ে উঠতে থাকে, এখন সেখানে ১৫ লাখ মানুষের বাস। পাশাপাশি এর আশপাশেও প্রসারিত হয়েছে শহর।
কিন্তু উত্তরা এলাকায় নেই সাংস্কৃতিক বিনোদনের কোনো কেন্দ্র। কোনো সিনেমা হল সেখানে গড়ে ওঠেনি এখনও। উত্তরা থেকে কেউ সিনেমা দেখতে চাইলে তাকে আসতে হবে ১০ কিলোমিটার দূরের যমুনা ফিউচার পার্কে।
উত্তরায় বসবাসরত বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত নাট্যকার অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উত্তরায় ১৫ লাখেরও বেশি লোক বসবাস করে। কিন্তু এখানে কোনো নাট্যমঞ্চ নেই। গণপাঠাগার নেই। একটি মিলনায়তন আছে, সেখানে নাটক করতে হলে ১৭ হাজার টাকা ভাড়া গুণতে হয়। এত টাকা দিয়ে তো কোনো নাট্যদল এখানে নাটক করতে পারবে না।”
তবে সম্প্রতি উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে একটি উন্মুক্ত মঞ্চ করা হয়েছে, জনবহুল উত্তরার জন্য এই একটিই যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন রতন সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে মেয়র আতিক ‘বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চ’ নামে একটি উন্মুক্ত মঞ্চ উদ্বোধন করেছেন। এখানে আমরা কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করি। তবে জনবহুল উত্তরার সংস্কৃতির বিকাশের জন্য এটা মোটেও পর্যাপ্ত নয়। এই মুক্তমঞ্চের দেখভালের জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে যে লোকটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেও সংস্কৃতিবান্ধব নয়।”
তিন দশক আগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা হওয়ার পর কুড়িল-বাড্ডা এলাকার দৃশ্যপট গেছে বদলে। পাশেই গড়ে উঠেছে বনশ্রী ও আফতাব নগরের মতো আবাসিক এলাকা।
সব মিলিয়ে এলাকাটি হয়ে উঠেছে বহু মানুষের বাস। কিন্তু সেখানেও কোনো নাটকের কোনো মঞ্চ গড়ে ওঠেনি। রামপুরা থেকে বাড্ডা পেরিয়ে খিলক্ষেত অবধি কোনো সিনেমা হলই নেই, যমুনা ফিউচার পার্কে ব্লকবাস্টার মুভিজ ছাড়া। গুলশানে একটি সিনেমা হল ছিল, যা বন্ধ হয়েছে বহু দিন আগে।
ঢাকার পূর্বাংশে যাত্রাবাড়ী থেকে ডেমরা পর্যন্ত শহর প্রসারিত হচ্ছে, নতুন নতুন বাড়ি উঠছে সেখানে। কিন্তু সেখানেও কোথাও কোনো মঞ্চ হয়নি নাটকের জন্য। সিনেমা হল যতগুলো ছিল, সেগুলোরও বেশ কয়েকটি এখন বন্ধ।
পুরান ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের দিকে ঢাকা শহর ছড়াচ্ছে; কিন্তু সেখানেও অবস্থা একই রকম। গুলিস্তানে ঘটা করে মহানগর নাট্যমঞ্চ নির্মাণ করা হলেও সেখানে নাটক মঞ্চায়নের পরিবেশ না থাকায় কেউ যায়নি। এখন তার নামই বদলে গেছে, মাঝে মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি পালনে ব্যবহার হয় এই মিলনায়তন।
পশ্চিম দিকে ধানমণ্ডি পেরিয়ে মোহাম্মদপুর ছাড়িয়ে বছিলা হয়ে তুরাগ তীরে গিয়ে ঠেকেছে ঢাকা শহর। শ্যামলী থেকে মোহাম্মদপুর রিং রোডের পশ্চিম ও উত্তর পাশে গত দুই দশকে বিশাল এলাকাজুড়ে বসতি গড়ে উঠেছে, হয়েছে নিত্য নতুন বিপণি বিতান।
তবে ধানমণ্ডি-মোহাম্মদপুর এলাকাজুড়ে খুঁজলে একটি সিনেমা হলই কেবল পাওয়া যায়। রায়ের বাজারের সেই মুক্তি সিনেমা হলটিও ধুকছে। এসব এলাকার কোথাও নেই কোনো নাটকের মঞ্চ।
বিশাল মিরপুর এলাকায় এক সময় ছয়টি সিনেমা হল থাকলেও সবগুলো এখন চালু নেই। নাটক কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের একটি জায়গা ছিল টাউন হল, কিন্তু সেটাও এখন আর নেই।
১৯৭৮ সালে তৎকালীন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে এবং মিরপুর উন্নয়ন কমিটির তত্ত্বাবধানে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের পাশে টাউন হল নির্মাণ করা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হতে থাকে।
টাউন হল ঘিরেই মিরপুরের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন নিয়মিত অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছিল। দুর্বল অবকাঠামোর কারণে দুই দশকেই সেই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ২০০৩ সালে হলটি ভেঙে ফেলা হয়। পরে ১৯ বছরেও আর সেই টাউন হল ফিরে পায়নি মিরপুরের বাসিন্দারা। টাউন হল পুনরুদ্ধারে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন মিরপুরের সংস্কৃতিকর্মীরা।
মিরপুর সাংস্কৃতিক ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম শাহীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিরপুরে একটি আধুনিক নাট্যমঞ্চ নির্মাণ করা আমাদের প্রাণের দাবি। যেখানে থাকবে নাটক, সংগীত, নৃত্য, চিত্রকলা আবৃত্তিসহ শিল্পের সব শাখার আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত মঞ্চ, গ্যালারি, পাঠাগার।”
এমন নগর ‘অপূর্ণাঙ্গ’
ঢাকা শহর যেমন বাড়ছে, গত এক দশকে বড় বড় পরিকল্পনায় ফ্লাইওভার, দ্বিতল সড়ক, মেট্রোরেলের মতো বড় বড় অবকাঠামো গড়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নগরবাসীর সাংস্কৃতিক বিনোদনের কেন্দ্র গড়ার দিকে নীতি-নির্ধারকদের অমনোযোগে হতাশ অনেকে।
নগর ও পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ৩০ বছরে ঢাকা শহর বড় হয়েছে। এই সময়ে বড় বড় প্রকল্প হয়েছে, মহাপ্রকল্প হয়েছে। কিন্তু সংস্কৃতি নিয়ে তেমন একটা ভাবনা ছিল বলে মনে হয় না।
“রাজধানীকে ঘিরে যে সাংস্কৃতিক বলয় তৈরি করার কথা ছিল, সেখানে নগরের নীতি-নির্ধারকরা সম্ভবত খুব একটা উৎসাহিত ছিলেন না। সাংস্কৃতিক বলয় তো পরের কথা, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরির ক্ষেত্রেও তেমন একটা উৎসাহ দেখা যায়নি।”
গুরুত্ব না পাওয়া এই বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “বোধ করি, আমরা মৌলিক চাহিদা নিয়ে অনেক বেশি সচেতন ছিলাম। কিন্তু এটা সবাই বোঝে না যে তারুণ্যের সুস্থ বিকাশে শিক্ষা-সংস্কৃতির সুষ্ঠু পরিবেশ দিতে না পারলে মানবিক বোধসম্পন্ন হয়ে প্রজন্ম বেড়ে উঠবে না।”
“নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আমাদের সাংস্কৃতিক অবকাঠামো যে অপ্রতুল, এতে কোনো সন্দেহ নাই। আমি মনে করি, এক্ষেত্রে আমাদের আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। সিটি কর্পোরেশন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এতে আরও অগ্রণি ভূমিকা পালন করতে পারে।”
রামেন্দু মজুমদার বলেন, রাজধানীকে ঘিরে একটি সাংস্কৃতিক বলয়ের পরিকল্পনা করা উচিৎ। মিরপুর, উত্তরা, ধানমণ্ডি, বনশ্রী, বাড্ডা, পুরান ঢাকা, কামরাঙ্গীরচর, বছিলাসহ পুরো রাজধানীতে সংস্কৃতিচর্চার জন্য অবকাঠামোগত পরিকল্পিত উন্নয়ন জরুরি।
কোনো উদ্যোগ কি আসছে?
নাটকের মঞ্চ সঙ্কটের কথাটি বিভিন্ন সময় কর্তৃপক্ষের নজরে আনছেন সংস্কৃতিকর্মীরা।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঢাকায় মঞ্চ সংকটের বিষয়টি নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দুই সিটি মেয়রই কাজ করছেন। আমাদের সাথে আলাপ হয়েছে।
“দুই সিটিতে ৮টি মঞ্চ তৈরি করা হবে। এর মধ্যে উত্তর সিটিতে হবে ৩টা মঞ্চ এবং দক্ষিণ সিটিতে হবে ৫টা মঞ্চ। এই ৮টি মঞ্চ নির্মিত হলে মঞ্চ সংকট অনেকটাই কমবে।”
শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা জেলা শিল্পকলা একাডেমির জন্য মিরপুরে একটি জায়গা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেখানে একটি ভবন করার পরিকল্পনা চলছে। যেখানে মিলনায়তন, মহড়া কক্ষসহ অন্যান্য সুবিধা থাকবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, “সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করার জন্য সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে। এখন তো জায়গা খুঁজে পাওয়া একটু কঠিন। মিরপুরের টাউন হলের জায়গাটির ব্যাপারে কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা হচ্ছে। এছাড়া নতুন পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।”
যে মঞ্চগুলো রয়েছে- সেগুলোকে সক্রিয় করার জন্য সাংস্কৃতিক জোট কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কি না- জানতে চাইলে আহকাম উল্লাহ বলেন, “পুরান ঢাকায় জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আছে। আদি ঢাকা সাংস্কৃতিক জোট প্রতি বছর বাহাদুর শাহ পার্কে অনুষ্ঠান করে। আমরা তাদের বলেছি, এরপর যখন অনুষ্ঠান করবে, তখন যেন জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রকে নিয়েও পরিকল্পনা করা হয়।”
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংস্কৃতির তো বিকল্প কিছু নাই। আমি নিজে সংস্কৃতির মানুষ, গান আমার প্রাণ। আমি ভীষণ গানপাগল মানুষ। সংস্কৃতি চর্চার পরিবেশ করে দেওয়ার জন্য আমরা কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। উত্তরায় বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চ করেছি, মিরপুরেও মুক্তমঞ্চ করেছি।”
নগর কর্তৃপক্ষের নতুন এক সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “নতুন করে আমাদের যত জায়গায় মার্কেট হবে, সেখানে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রাখার ব্যাপার একটা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
https://twitter.com/urumurum/status/1589445826216361984
মাসুদ করিম - ৮ নভেম্বর ২০২২ (৩:৫১ অপরাহ্ণ)
Nov 7, 1975 and the wounding of Bangladesh
https://bdnews24.com/opinion/comment/ty1jm0vko9
On and by Nov 7, 1975, all our good men lay dead. In the fast-gathering gloom, denizens of the dark engaged in bacchanalian celebrations of unbridled evil
On Nov 7, 1975, the People’s Republic of Bangladesh was commandeered by elements determined to undermine the fundamental guiding principles on which the War of Liberation had been waged four years earlier.
It was no day of a so-called sepoy-janata revolution but one which humiliated the janata, the people, by drilling holes in their aspirations for progressive politics and a prosperous society. On Nov 7, the nation watched in stupefaction as a bunch of rowdy soldiers, loyal to Major General Ziaur Rahman and instigated by Col Abu Taher, made it known that they were yanking the country back to medievalism.
They raised slogans of ‘Bangladesh Zindabad’, one that had already been imposed on the country by Khandakar Mushtaque Ahmed and his cabal of assassins three months earlier. The Zia-Tahermen were merely giving it a more formal and sinister shape.
On that day of dark infamy, the old wartime cry of Joi Bangla was consigned to the woods by the new votaries of a spurious Muslim nationhood, for they raised the old bogey of ‘nara-e-takbeer’, a slogan raised by the Muslim League in its campaign to dismember India in the 1940s. The Bengali battle song of ‘Joy Bangla Banglar Joy’ was not heard on Nov 7, 1975.
The republic had slipped into the hands of its internal enemies, the saboteurs who had so long lain low. It would soon be time, once Zia had been freed by his friends and loyalists from confinement at home, for Bangladesh to slip further into the abyss.
On the morning of Nov 7, three of the bravest soldiers of freedom – Khaled Musharraf, Najmul Huda and ATM Haider – lay dead at Sher-e-Bangla Nagar, done to death by rogue soldiers ordered by men in the shadows to do away with them. All these decades on, an inquiry is still awaited into their deaths.
In the weeks and days after his seizure of power, General Zia was asked repeatedly by the widow of one of the slain officers why the men had been killed. He came forth with no response, but offered to look into the welfare of the families of the murdered officers. There is the other part of the story.
Once the three officers had taken refuge in the army camp at Sher-e-Bangla Nagar, a call went out to Zia about their presence there. No one knows what Zia told the caller, a military officer. Moments later, Taher and some of his political associates appeared in the room, watched the scene briefly and went away. Not long afterward, a group of soldiers barged into the room where the three men had sat down to breakfast, seized them, took them outside and shot them.
The corpses of General Khaled Musharraf, Col Najmul Huda and Col ATM Haider lay on the ground before the Combined Military Hospital, to be humiliated by soldiers loyal to Zia. These three men, celebrated for their heroic performance in the 1971 war, had scorn heaped on them on the basis of the lie that they had been Indian and Soviet agents.
No effort was made by Zia, on that day or in the five years in which he wielded power, to identify the men who had ordered the murder of the three officers. And since Zia’s own assassination in May 1981, no government has opened an investigation into the killings of Nov 7, 1975, not just of the three officers but also of scores of others cut down brutally in the cantonments of the country.
From the perspective of national history, Nov 7 remains a blot on the nation’s conscience. It was a day when Col Abu Taher and his Ganobahini, along with elements of the JatiyoSamajtantrik Dal, inflicted a bad wound on the collective national conscience by installing Zia in power. They chose to support the wrong man.
It did not occur to Taher to throw his weight behind Khaled Musharraf, who had clearly been waging a battle for a restoration of the chain of command in the army that had been disrupted by the violent coup of Aug 15.
Taher paid the price for his blunder less than a year later. And the JSD was effectively emasculated by a wily Zia. It was never to recover in terms of political health. The curse of military rule, a legacy carried over from Pakistan, had descended on Bangladesh.
The dark deeds perpetrated on Nov 7 would have their ramifications, on that day and in subsequent years. Zia used his illegitimate authority to prise the principles of secularism and socialism out of the Constitution. He encouraged the expatriate air force officer MG Tawab, a rabid Islamist, to organise a ‘seerat’ conference in the capital.
It was a gathering of bigots that was a repudiation of the State as it had been established in 1971, for it demonstrated a clear veering away from secularism and towards a restoration of the infamous two-nation theory of the Muslim League as propounded in the 1940s.
The viciousness of Nov 7, 1975 pushed the country into deeper levels of darkness. In February 1976, Zia had his point man, the journalist Khondokar Abdul Hamid, launch the false theory of ‘Bangladeshi nationalism’ — or a slightly more refined version of the ‘two-nation’ theory.
The Bengali nation was being told that it was really a Bangladeshi nation, that indeed everything Bengali was but a negation of the new order Zia was attempting to build as a way of perpetuating himself in power. Hamid set the idea afloat and Zia added flesh and bones to it, to the detriment of the republic.
On Nov 7, therefore, it was Bengali heritage and mores and traditions which came under brazen assault from the gun-toting pygmies who had seized the State.
The so-called sepoy-janata revolution, minus the participation of the janata, was a harbinger of the rise of the military in Bangladesh’s politics. It was at the same time a broad hint of the coming struggle between those who had fought on the battlefield and those who had been repatriated from Pakistan.
The original mistake had, of course, been made by Bangabandhu’s government. No screening was undertaken of the Bengali officers of the Pakistan armed forces and civil service when they began to return to Bangladesh from Pakistan against the backdrop of the tripartite agreement between Delhi, Dhaka and Islamabad in 1974. A very good number of these officers, but certainly not all of them, did not or could not reconcile themselves to the idea of Bangladesh.
But none of them was prevented from finding positions in the Bangladesh military and civil administration. Not one of them was retired, save for Lt General Khwaja Wasiuddin, who was sent off as ambassador to Kuwait. That everyone who came back from Pakistan, in both the civil administration and the military, was absorbed in the administrative and military structure of Bangladesh without any questions asked was a gross blunder. The nation was to pay a high price, once Nov 7 came to pass.
The Bengali nation was being told that it was really a Bangladeshi nation, that indeed everything Bengali was but a negation of the new order Zia was attempting to build as a way of perpetuating himself in power. Hamid set the idea afloat and Zia added flesh and bones to it, to the detriment of the republic.
On Nov 7, therefore, it was Bengali heritage and mores and traditions which came under brazen assault from the gun-toting pygmies who had seized the State.
The so-called sepoy-janata revolution, minus the participation of the janata, was a harbinger of the rise of the military in Bangladesh’s politics. It was at the same time a broad hint of the coming struggle between those who had fought on the battlefield and those who had been repatriated from Pakistan.
The original mistake had, of course, been made by Bangabandhu’s government. No screening was undertaken of the Bengali officers of the Pakistan armed forces and civil service when they began to return to Bangladesh from Pakistan against the backdrop of the tripartite agreement between Delhi, Dhaka and Islamabad in 1974. A very good number of these officers, but certainly not all of them, did not or could not reconcile themselves to the idea of Bangladesh.
But none of them was prevented from finding positions in the Bangladesh military and civil administration. Not one of them was retired, save for Lt General Khwaja Wasiuddin, who was sent off as ambassador to Kuwait. That everyone who came back from Pakistan, in both the civil administration and the military, was absorbed in the administrative and military structure of Bangladesh without any questions asked was a gross blunder. The nation was to pay a high price, once Nov 7 came to pass.
On Nov 7, anti-Liberation elements celebrated the fall of secular Bangladesh. In time, they would return to the political stage — with the Muslim League and the Jamaat-e-Islami making a re-entry into politics in a land whose independence struggle they had violently opposed. Such notorious collaborators as Ghulam Azam and Shah Azizur Rahman would emerge from the dark and help Zia in his odious mission of pushing the State deeper into communalism.
The legacy of Nov 7 will forever be associated with the Fifth Amendment (read Indemnity Ordinance here) to the Constitution, through which General Zia effectively halted any move for a trial of the assassins of August 1975.
The legacy would extend to General Ershad’s times, when the communalisation of the State would reach a peak through the foisting on the nation of a religion for it and thereby narrowing the space for liberal discourse even more.
On Nov 7, 1975, it was infamy the nation lived through. In essence, it was the first step in the distortion of history. It was a day which inaugurated the process of a mutation of the State into little pockets of tribalism.
On and by Nov 7, 1975, all our good men lay dead. In the fast-gathering gloom, denizens of the dark engaged in bacchanalian celebrations of unbridled evil.
https://twitter.com/shah_farhad/status/1589765035555188736
মাসুদ করিম - ১০ নভেম্বর ২০২২ (৫:০০ পূর্বাহ্ণ)
আডবানী, জোশীরা নির্দোষই! বাবরি ধ্বংসের রায় পুনর্বিবেচনার আরজিও খারিজ হাই কোর্টে
https://www.sangbadpratidin.in/india/babri-masjid-case-allahabad-hc-dismisses-plea-against-acquittal-of-lk-advani-uma-bharti/
বাবরি ধ্বংস মামলায় আডবানী, মুরলী মনোহর জোশীরা (MM Joshi) নির্দোষই! তাদের মুক্তির বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাই কোর্টে যে মামলা হয়েছিল সেটাও খারিজ হয়ে গেল। বাবরি ধ্বংস মামলায় আডবানী (LK Advani), জোশীদের মুক্তির প্রতিবাদে এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন অযোধ্যার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তি। হাই কোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলাও খারিজ করে দিল।
সূত্রের খবর, লালকৃষ্ণ আডবানী, মুরলী মনোহর জোশী, সাধ্বী ঋতম্ভরা, উমা ভারতী-সহ মোট ৩২ জনের ‘রিট’ পিটিশন দায়ের হয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্টে (Allahabad High Court)। এদের মধ্যে কল্যাণ সিংয়ের মৃত্যু হয়েছে। মামলাকারী হাজি মেহেমুব (Haji Meheboob), সৈয়দ আখলাখ আহমেদের দাবি ছিল, সবাই জানে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল। তাই যে প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করা হয়েছে, সেটা যুক্তিহীন। এই মামলার সব সাক্ষ্যপ্রমাণ ফের খতিয়ে দেখার আবেদন জানান মামলাকারীরা। কিন্তু এলাহাবাদ হাই কোর্ট বিশেষ সিবিআই আদালতের (CBI Court) নির্দেশ বহাল রেখে এই মামলা খারিজ করে দিল। যার অর্থ, বাবরি ধ্বংসের সময় কোনওপ্রকর ষড়যন্ত্র যে হয়নি, সেটা ফের আরও একবার প্রমাণ হল।
উল্লেখ্য, প্রায় ২৮ বছর পর ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাবরি ধ্বংস মামলায় রায়দান করে লখনউের বিশেষ সিবিআই আদালত। প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানী, মুরলী মনোহর যোশী, উমা ভারতী (Uma Bharati), কল্যান সিং-সহ ৩২ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিয়ে জানায়, ওই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। এই মামলার মোট অভিযুক্ত ছিলেন ৪৮ জন। তবে দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন ১৭ জন অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে।
বলে রাখা দরকার, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি ধ্বংস মামলায় দুটি মূল FIR দায়ের হয়। প্রথমটি ছিল লক্ষ লক্ষ করসেবকদের বিরুদ্ধে, যারা নিজের হাতে মসজিদটি ধ্বংস করেন। দ্বিতীয়টি আডবানী, যোশীদের মতো নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত সেই ষড়যন্ত্রের তত্ত্বই খারিজ করে দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে যে মামলাটি হয়েছিল সেটিও এবার খারিজ হয়ে গেল।
https://twitter.com/urumurum/status/1590568829708828672