মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে। ধন্যবাদ।
আজকের লিন্ক
এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।
১১ comments
মাসুদ করিম - ৫ আগস্ট ২০২২ (৫:১০ অপরাহ্ণ)
শচীন কর্তার বাড়ির এ কী হাল!
কিংবদন্তি শচীন দেববর্মণের কুমিল্লার পৈত্রিক বাড়িটি পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণেরও উদ্যোগ আছে, কিন্তু বাস্তবায়ন?
গত মাসের মাঝামাঝি এক রাতে যাওয়া হয়েছিল ‘নিশীথে যাইও ফুলবনে’ গানটির গায়ক শচীন দেববর্মণের বাড়িতে। শেখ ভানুর লেখা এবং জসীমউদ্দীনের সংগ্রহ করা ওই গানে নিশীথ শব্দটি যতটা গভীর রাতের দ্যোতনা তৈরি করে, তখনও তত রাত হয়নি। বিনে বাধায় গেট ঠেলে ঢুকতেই নাকে লাগল তীব্র গন্ধের ধাক্কা। সঙ্গী বললেন, “মনে হয়, ইয়াবাখোররা আসর বসিয়েছে। আর ভেতরে যাওয়া ঠিক হবে না।”
সর্বসাধারণ্যে ‘শচীন কর্তা’ নামে পরিচিত বাংলা ও হিন্দি গানের প্রবাদ পুরুষ শচীন দেববর্মণের জন্মভিটেটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর গেজেট করা হয়েছে। এই বাড়িটি সংরক্ষণ করে সেখানে একটি সংস্কৃতি কেন্দ্র ও জাদুঘর করার অঙ্গীকার ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি ২০১২ সালে ত্রিপুরা সফরে যাওয়ার পর সেখানকার লেখক ও সংস্কৃতিকর্মীদের দাবিতে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন।
পরে ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ কুমিল্লায় একটি বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাড়িটি সংস্কার এবং একে সংস্কৃতি কেন্দ্রে রূপান্তরের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেন তৎকালীন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। ওই বছরই ২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কুমিল্লায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সাতটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যার একটি ‘শচীন দেববর্মণ কালচারাল কমপ্লেক্স’।
রাতবিরেতে ঢুকতে গিয়ে ভয় হলেও পরের দিন সকালে আর তেমনটা হল না। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপে জানা গেল, কুমিল্লা শহরের চর্থা এলাকার এই বাড়িটিতে শুধু রাতে নয়, মাঝেমধ্যে দিনদুপুরে মাদকাসক্তরা আসর বসায়।
বাড়িটি তত্ত্বাবধানের জন্য জেলা প্রশাসন এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের দুজন কর্মী নিযুক্ত আছেন। পরপর দুদিন দিনে এবং রাতে সেখানে গিয়ে কোনো পাহারাদারের দেখা পাওয়া গেল না। কুমিল্লার জেলা প্রশাসক এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, এ দায়িত্বটি কার, তা এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল বাড়িটি সংস্কার করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছে ন্যস্ত করার। সংস্কার কাজ অনেক আগেই সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এখনও সাইটটি বুঝে নেয়নি বলে জেলা প্রশাসন এখনও দেখভালের দায়িত্ব পালন করছে।
পাহারাদারকে কেন সেখানে পাওয়া যায় না খোঁজ নেবেন বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।
প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তরের কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক এ কে এম সাইফুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে সাইটটি বুঝে পাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে চিঠি দেওয়া হবে।”
তবে এখনও দৈনিক মজুরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন কর্মী বাড়িটি পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব পালন করেন বলে জানালেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক।
পরিচ্ছন্নতা কর্মীর দায়িত্বে অবহেলার উদাহরণ বাড়িটির সর্বত্রই রয়েছে।
বাড়ির মূলভবনের সামনে নির্মিত শচীন কর্তার ম্যুরালে জমে আছে ধুলোবালির স্তর। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ করা এক কোটি টাকায় বাড়িটি সংস্কার, বাড়িতে ম্যুরাল নির্মাণসহ দেওয়া হয়েছে সীমানা দেয়াল। দেয়ালগুলোতে লেখা আছে শচীন কর্তার বিখ্যাত সব গানের লাইন- ‘তুমি এসেছিলে পরশু, কাল কেন আসোনি’, ‘শোনো গো দখিনা হাওয়া প্রেম করেছি আমি’, ‘তোরা কে যাসরে ভাটি গাঙ বাইয়া’, ‘টাকডুম টাকডুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল’ ইত্যাদি। সঙ্গে অলঙ্করণও করা হয়েছে। তবে এই সব অলঙ্করণ অযত্নে বিবর্ণ হয়ে এসেছে।
কোটি টাকা ব্যয়ে জরাজীর্ণ বাসভবনটিকে দেখনসই করা হয়েছে। তবে পেছনের দিকে যেতেই দেখা গেল, দরজাটা হাট হয়ে খোলা। এখানে-ওখানে সিগারেটের প্যাকেটের পোড়া ফয়েল পড়ে আছে, যা দেখে বোঝা যায় কাগজগুলো ইয়াবা খাওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে।
কবি পিয়াস মজিদ অবশ্য এই পরিস্থিতিটাকে আগের চেয়ে অনেক ভালো বলে মন্তব্য করলেন। কুমিল্লা শহরে শৈশব-কৈশোর কাটানো তরুণ এই কবি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছোটবেলায় আমরা প্রায় নিয়মিতই ওখানে যেতাম। তবে দলবল সঙ্গে না থাকলে যাওয়ার সাহস পেতাম না। হাড় জিরজিরে একটা ভবন শচীন দেববর্মণের স্মৃতিচিহ্ন হয়ে ছিল তখন। একটা ফলকে লেখা ছিল- এখানে একদা কাজী নজরুল ইসলাম এসেছিলেন।”
লেখক-গবেষক আহসানুল কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুধু নজরুল নয়। শচীন কর্তাদের ওই বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল সুরসাগর হিমাংশু দত্তের। অজয় ভট্টাচার্য, মোহিনী চৌধুরী, সমরেন্দ্র পাল, শৈলবালা দেবী, সৌরেন দাশ, ওস্তাদ জানে আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ হোসেন খসরু। গানের কত শত মানুষ এই বাড়িতে আসতেন। গত শতকের বিশের দশকের ওই সময়টা ছিল কুমিল্লায় সংস্কৃতি চর্চার স্বর্ণোজ্জ্বল সময়।”
কুমিল্লার ইতিহাস নিয়ে গবেষণার জন্য খ্যাত এই লেখক ‘রাজমালা’সহ ত্রিপুরা অঞ্চলের ইতিহাসের কিছু আকররগ্রন্থের উল্লেখ করে বলেন, শচীন দেব বর্মণ ১৯০৬ সালের কুমিল্লার দক্ষিণ চর্থায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা রাজপরিবারের রাজকুমার নবদ্বীপ চন্দ্র দেববর্মণ।
তার ভাষ্যে, বাবার তত্ত্বাবধানের শচীন দেবের সংগীত প্রতিভার বিকাশ ঘটে শৈশব থেকে। শচীন কর্তার বাবা ছিলেন একজন সেতারবাদক ও ধ্রুপদি সংগীতশিল্পী। পড়াশোনা শুরু হয়েছিল কুমিল্লা ইউছুফ স্কুলে। এরপর জিলা স্কুল। সেখান থেকে ম্যাট্রিক এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।
দেববর্মণদের এই পরিবারটি কুমিল্লায় সামাজিকভাবেও যথেষ্ট প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন। শচীন কর্তার বাবা নবদ্বীপ দেববর্মণ কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আহসানুল বলেন, “প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের কারণে শচীনের বাবা সপরিবারে কুমিল্লা চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। তাদের সেখানে প্রথমে আশ্রয় দিয়েছিলেন নবাব ফয়জুন্নেছার স্বামী গাজী চৌধুরী। তবে ব্রিটিশ আদালতের নির্দেশে ত্রিপুরার রাজপরিবার নবদ্বীপ চন্দ্র দেববর্মণের বাড়ি নির্মাণ এবং মাসিক পারিতোষিক দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।”
স্থপতি ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাজবাড়ি বলে পরিচিত বাড়িটি বহুকাল ধরে অবহেলায় জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে ছিল। এই পোড়োবাড়িটা আমরা যতটা সম্ভব প্রাচীন আদলে ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করেছি।”
সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে শচীন দেববর্মণের বাড়িটি সুষ্ঠুভাবে সংস্কার-সংরক্ষণ কাজের তদারকির জন্য সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন আবু সাঈদ এম আহমেদ।
তিনি বলেন, “বাড়িটি সংস্কার একমাত্র লক্ষ্য হওয়ার কথা ছিল না। এই বাড়িটি ঘিরে কুমিল্লায় একটি কালচারাল কমপ্লেক্স তৈরি করা হবে, এটাই ছিল পরিকল্পনা। ”
শচীন দেববর্মণ কালচারাল কমপ্লেক্স’, যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, তা নিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের কিছু জানা নেই।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বাড়িটি সংস্কার করা হয়েছে। সেটিকে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর কোনো প্রকল্প আপাতত নেই।”
সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে যোগাযোগে সংস্কৃতি বলয় তৈরির জন্য একটি প্রকল্পের খসড়া তৈরি করা হয়েছিল বলে জানা গেল।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাড়িটিকে ঘিরে সংস্কৃতিকর্মীদের জন্য এমন একটা কমপ্লেক্স তৈরি করার কথা ছিল যেখানে শচীন জাদুঘর এবং বাড়িসংলগ্ন পুকুরে ভাসমান মঞ্চ করার কথা ছিল। একটি গানের সংগ্রহশালা করাও ছিল ওই পরিকল্পনার অংশ।
“তবে সেই জন্য শচীন দেববর্মণদের বাড়ির জায়গা থেকে সরকারি মুরগির খামারটি সরানো দরকার। আমার সঙ্গে সেই সময়কার প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর কথা হয়েছিল। তিনি জায়গাটি ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছিলেন।”
আসাদুজ্জামান নূর মনে করেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উচিৎ দ্রুত একটি প্রকল্প তৈরি করা। তিনি বলেন, “প্রকল্পটি উপস্থাপিত হলে অনুমোদন পাওয়ার জন্য বেগ পেতে হবে না। কেননা, এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের অংশ।”
শচীন দেব বর্মণ কুমিল্লায় ছিলেন ১৯২৪ সাল পর্যন্ত। ওই বছর উচ্চশিক্ষার্থে তিনি চলে যান কলকাতায়, সেখানে ছিলেন ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত। ১৯৪৪ সালে তিনি সপরিবারে মুম্বাই চলে যান। মুম্বাই চলচ্চিত্র জগতে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালকের মর্যাদা লাভ করেন। ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী খেতাবে ভূষিত করেন। তার স্ত্রী মীরা দেবীও উপমহাদেশের বিখ্যাত শিল্পী ও গীতিকার ছিলেন। স্ত্রীর রচিত বহুগান গেয়েছেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ৩১ অক্টোবরে মারা যান এবং মুম্বাইয়ে হয় তার শেষকৃত্যানুষ্ঠান। শচীন দেববর্মণের একমাত্র ছেলে রাহুল দেববর্মণ ভারতের বিখ্যাত সংগীত পরিচালক, যিনি আর ডি বর্মণ হিসেবে পরিচিত।
কুমিল্লার বাড়িতে দেববর্মণ পরিবারের যারা ছিলেন, তারাও ১৯৪৭ সালের পর ভারতে চলে যান। পরিত্যক্ত এই বাড়িটির প্রায় সাত একর জমির সবটাই প্রথমে মিলিটারি গোডাউন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গোডাউন তুলে নেওয়ার পর বাড়িটির একাংশে করা হয় হাঁস-মুরগির খামার। সেই থেকে কুমিল্লা শহরের চর্থার এই এলাকাটি মুরগির খামার নামে পরিচিতি পায়।
মাসুদ করিম - ৭ আগস্ট ২০২২ (৩:৫১ পূর্বাহ্ণ)
New evidence shows how Myanmar’s military planned the Rohingya purge
https://thefinancialexpress.com.bd/world/new-evidence-shows-how-myanmars-military-planned-the-rohingya-purge-1659617827
In mid-2017, in a remote area of Myanmar, senior Burmese military commanders held secret talks about operations against the minority Rohingya Muslim population. They discussed ways to insert spies into Rohingya villages, resolved to demolish Muslim homes and mosques, and laid plans for what they clinically referred to as “area clearance”, reports Reuters.
The discussions are captured in official records seen by Reuters. At one meeting, commanders repeatedly used a racial slur for the Rohingya suggesting they are foreign interlopers: The “Bengalis,” one said, had become “too daring.” In another meeting, an officer said the Rohingya had grown too numerous.
The commanders agreed to carefully coordinate communications so the army could move “instantly during the crucial time.” It was critical, they said, that operations be “unnoticeable” to protect the military’s image in the international community.
Weeks later, the Myanmar military began a brutal crackdown that sent more than 700,000 Rohingya fleeing to Bangladesh. Ever since, the military has insisted the operation was a legitimate counter-terrorism campaign sparked by attacks by Muslim militants, not a planned programme of ethnic cleansing. The country’s civilian leader at the time, Nobel Peace Prize laureate Aung San Suu Kyi, dismissed much of the criticism of the military, saying refugees may have exaggerated abuses and condemnations of the security forces were based on “unsubstantiated narratives.”
But official records from the period ahead of and during the expulsion of the Rohingya, like the ones in 2017, paint a different picture.
The records are part of a cache of documents, collected by war crimes investigators and reviewed by Reuters, that reveal discussions and planning around the purges of the Rohingya population and efforts to hide military operations from the international community. The documents show how the military systematically demonised the Muslim minority, created militias that would ultimately take part in operations against the Rohingya, and coordinated their actions with ultranationalist Buddhist monks.
For the past four years, these war crimes investigators have been working secretly to compile evidence they hope can be used to secure convictions in an international criminal court. Documents spanning the period 2013 to 2018 give unprecedented insight into the persecution and purge of the Rohingya from the perspective of the Burmese authorities, especially two “clearance operations” in 2016 and 2017 that expelled about 800,000 people.
The documents were collected by the Commission for International Justice and Accountability (CIJA), a nonprofit founded by a veteran war crimes investigator and staffed by international criminal lawyers who have worked in Bosnia, Rwanda and Cambodia. Beginning work in 2018, CIJA amassed some 25,000 pages of official documents, many related to the expulsion of the Rohingya, who since fleeing their homes have been languishing in squalid refugee camps in Bangladesh with little hope of returning. Some of the documents relate to military actions against other ethnic groups in Myanmar’s borderlands. The group’s work has been funded by Western governments.
CIJA allowed Reuters to review many of the documents, which include internal military memos, chain-of-command lists, training manuals, policy papers and audiovisual materials. Some documents contained redactions, which the group said were necessary to protect sources. The organisation also asked Reuters not to disclose the location of its office for security reasons.
‘MASS REMOVAL PROCESS’
The documents do not contain orders explicitly telling soldiers to commit murder or rape – such smoking-gun records are rare in the field of international justice. But key in the CIJA cache is the evidence of planning, said Stephen Rapp, a former US ambassador-at-large for war crimes issues who now sits on CIJA’s board. “Everything in it points to this intention to engage in this kind of mass removal process,” he said.
Through interviews with former Burmese soldiers, Rohingya and Rakhine civilians and ex-government officials, and a review of social media and official statements, Reuters was able to independently corroborate many details in the documents.
Myanmar’s military junta didn’t respond to questions from Reuters.
The cache illustrates the obsession authorities had with reducing a population they viewed as an existential threat.
In a private meeting with officials in Rakhine, which CIJA said was held around the time of the 2017 expulsion, the then-army chief and current junta leader, Min Aung Hlaing, told the Buddhist population to remain in place, and pointed to a demographic imbalance between Rohingya and the rest of the Rakhine population, the documents show.
Some of the officers who spearheaded the Rohingya expulsion and whose names appear in the documents have since been promoted.
Rohingya, who are mostly Muslim, trace their roots in Myanmar’s Rakhine area back centuries, a reading of history supported by independent scholars. While they now comprise a slim majority in the north of Rakhine state, they are a minority overall compared to the ethnic Rakhine, a mostly Buddhist group. Nationalists from the country’s Buddhist majority see the Rohingya as illegitimate migrants from neighbouring Bangladesh.
The August 2017 pogrom was carried out with a ferocity that stunned the world. Refugees described massacres, gang rapes and children thrown into raging fires. The nonprofit Médecins Sans Frontières estimated at least 10,000 people died. Hundreds of Rohingya villages were burned to the ground. In March this year, the United States formally declared that the military’s actions amounted to genocide.
Many in Myanmar, where about 90% of people are Buddhist, supported the military, which denied committing atrocities and said the Rohingya had burned their own homes. Burmese rallied around Suu Kyi, whose political party came to power in 2015 after half a century of military rule, as she dismissed reports of atrocities as an “iceberg of misinformation.” In 2019, she went to the Hague to defend Myanmar against charges of genocide at the International Court of Justice (ICJ).
But the military early last year toppled the democratically elected government under Suu Kyi, who has been detained since her overthrow. The coup has altered views in Myanmar and opened an unexpected window on the 2017 atrocities. After the military seized control, the country plunged into worsening civil war, as new armed resistance groups joined forces with existing ethnic armed actors in an effort to topple the junta. More than 2,000 civilians have been killed by the army, according to the rights group Assistance Association for Political Prisoners.
The public outrage over the coup and the killings has led to mass defections in the military. Some soldiers are now shedding light on the army’s practices for the first time.
LOOTING OF VILLAGES
One soldier, Captain Nay Myo Thet, told Reuters he was in Rakhine in 2017, where he said he was involved in logistical support, including transport and supplies, for the military. He described the looting of Rohingya villages after they were emptied. Soldiers took cattle, furniture and solar panels the Rohingya used to power their homes. Large items were loaded onto trucks, under the watch of a senior officer, he said. He was tasked with catching three goats belonging to Rohingya for a dinner party for the troops, he said.
Nay Myo Thet said he deserted in November and fled to a neighbouring country.
While the Burmese military faces grave allegations under international law, there is no easy road to convictions. Myanmar hasn’t signed the Rome Statute that created the International Criminal Court (ICC), which has the power to try individual perpetrators for international crimes. As a result, the United Nations Security Council would typically have to refer allegations against Myanmar to the ICC. Such a move would likely be blocked by allies of Myanmar, say international law experts.
But other paths to trial exist. The ICC set a legal precedent in 2019 by allowing its chief prosecutor to begin investigating crimes against the Rohingya population, including deportation, because they fled to Bangladesh, which is a party to the court.
Also in 2019, majority-Muslim Gambia brought a case against Myanmar for genocide at the ICJ, on behalf of the 57 member states of the Organization of Islamic Cooperation. In July, the court cleared the case to proceed, rejecting objections filed by Myanmar.
The non-profit Burmese Rohingya Organisation UK also filed a lawsuit against both Min Aung Hlaing and Suu Kyi in Argentina under “universal jurisdiction,” a legal principle that allows brutal acts to be tried in any court in the world. A spokesman for Suu Kyi’s party said at the time that such a case would violate Myanmar’s national sovereignty.
Legal experts say the chances senior military leaders will be tried soon are slim. They rarely leave Myanmar, and then only to friendly nations like Russia and China, which aren’t parties to the ICC.
Min Aung Hlaing didn’t respond to questions sent to the military junta. Reuters was unable to contact Suu Kyi, who in June was moved from an undisclosed location where she had been held to solitary confinement in a prison in the capital Naypyitaw, the junta said.
A spokesman for the newly formed civilian parallel government, which includes members of the former democratically elected administration who have escaped arrest, said it was their view that the Rohingya “were the victims of genocide.” It was of “dire importance,” the spokesman added, that the evidence of atrocities be presented to the ICJ.
CIJA has had success securing some convictions in tough environments. In Syria and Iraq, its investigators smuggled out more than a million pages of documents that implicated insiders from the Bashar al-Assad regime and Islamic State. The documents formed the basis of convictions in Germany and the Netherlands, including of a former Syrian regime member and an Islamic State militant, who are both now in prison.
CIJA has begun handing its Myanmar material to prosecutors in the Hague. The organisation says the records implicate more than a dozen Burmese officials, most in the military. CIJA asked Reuters not to publish most of their names to ensure any future legal proceedings aren’t jeopardised.
Bill Wiley, the Canadian founder and director of CIJA, says he is confident the Myanmar material will help with prosecutions. “If anyone’s ultimately convicted of genocide, it’s going to be based on the CIJA-collected materials,” he told Reuters.
Wiley, a veteran of the Rwanda and Yugoslavia war crimes tribunals, is a former Canadian military officer. In his office, cloaked in a cloud of cigar smoke, Wiley, who is 58, recalled being contacted by Canadian officials at the height of the Rohingya exodus.
The foreign minister at the time and current deputy prime minister, Chrystia Freeland, set up a working group of people from different government departments to tackle the crisis, he said. The brief was to “do something,” Wiley said. Because Canada helped fund CIJA in Iraq and Syria, the group asked him if he could replicate the model in Myanmar. Freeland’s office confirmed the account but declined to comment further.
This time, though, different methods were needed. In the early days of the Syrian uprising, CIJA had its investigators follow anti-Assad rebels as they took over government outposts. Their goal was to sweep up documents left behind by defeated forces. In Myanmar, though ethnic rebels were battling the military, such opportunities were few because the rebels weren’t taking control of large swathes of territory. The focus was on working with insiders willing to leak information and documents.
BUREAUCRACY OF REPRESSION
The Rohingya have long faced crushing discrimination and have had their citizenship rights stripped away. In the 1990s, authorities stopped issuing birth certificates for their children. Rohingya were forced to seek permits to marry or leave their villages. They had restricted access to university and were barred from holding government jobs. They were banned from having children out of wedlock, and married couples were barred from having more than two children.
The CIJA documents provide a snapshot of this bureaucracy of repression, including the creation in 2013 of a new Border Guard Police, a force charged with preventing “the dominance of Indians and Bengalis.”
This new force was to be given upgraded weapons and vehicles to prevent immigration and implement “response plans in times of crisis,” according to a 2014 document from a military-controlled department. The border police were also to enforce “population control activities” against the Rohingya and conduct an educational campaign that would “increase public knowledge about the danger of migration movement of Indians and Bengalis.”
The 2014 document emphasised the role of militias in various villages populated by taingyintha, members of officially recognized ethnic groups in Myanmar. These militias would serve as “the pillars for providing security to local ethnic people and the prevention of illegal immigration.”
The document advocates for a “national project” that would push “Bengalis” who want to avoid inspection by the authorities to leave the country. It calls for a campaign resembling an operation in 1977 that drove out hundreds of thousands of Muslims. Such an operation “should be implemented as before, when the rise of ethnic mixing is detected,” the document says.
An opportunity to implement these plans presented itself in the early hours of Oct 9, 2016. A group of Rohingya overran several border guard posts in northern Rakhine state, killing nine police officers. The army sealed off the area and began hunting the attackers.
Nay Myo Thet, the soldier who deserted, said he and others in his battalion were told they were conducting “clearance operations” in Rakhine. But their superiors didn’t give specific orders of what to clear.
They should have given the soldiers a target – “who was the leader, who were the followers, which weapons they had,” he said. The military cleared out entire populations, he added.
For months, security forces pillaged and burned villages across the north of Rakhine, according to human rights groups and the United Nations, which said about 70,000 Rohingya fled to Bangladesh in that purge. Security forces carried out killings and gang rape, according to a UN report.
In February 2017, the military declared the operations over. But hostility towards the Rohingya continued.
In July 2017, a group met in private to discuss operations in Rakhine, one record shows. Those present included Maung Maung Soe, the head of the Western Command, which had overseen the previous year’s crackdown, and Thura San Lwin, the head of the Border Guard Police. There were also commanders from the Military Operation Command-15 division and several local administrators.
One senior official said that at least 50% of the Rohingya population supported terrorism. A senior member of the security forces said Muslim villages were providing “protection” to militants.
Maung Maung Soe expressed frustration about the intelligence-gathering capabilities of the security forces in Muslim villages. A MOC-15 commander spoke about recruiting “kalars as spies and underlings” to obtain the latest news. “Kalar” is another racial slur for Muslims.
In the end, the group agreed to send health workers to villages to gather “valuable information.” They also determined that the army’s actions needed to be concealed from the outside world.
Thura San Lwin and Maung Maung Soe didn’t respond to questions sent to the military junta.
‘AREA CLEARANCE’
At another meeting in August between a MOC-15 commander and local administrators, the commander complained there were too many Muslims living near a military detachment. The majority of “Bengali” villages had been “trained for terrorism,” the group concluded. They resolved to demolish their homes and mosques, according to one record.
Around this time, according to another record, national and state-level officials visited a group of ultranationalist Buddhist monks in northern Rakhine state, who told them “illegal migrant Bengalis” were killing ethnic people to occupy the region. One of the monks said action needed to be taken.
Thura San Lwin, the border guard police chief, told the monks that forces were deployed for patrols and would carry out “area clearance” in cooperation with the military, according to the document. He didn’t specify where the clearance would take place. The officials urged the monks and other locals to cooperate with the security forces and share information.
By mid-August 2017, hundreds of troops had been flown into northern Rakhine, including two elite Light Infantry Divisions, the 33rd and 99th. The military said publicly it was trying to stabilise the situation there and that Muslim attackers had killed both Rakhine and Muslim villagers. Reuters couldn’t confirm this.
In the early hours of Aug 25, some 30 police posts were attacked by Rohingya men across the north of Rakhine state, killing 12 members of the security forces, authorities said. The men were largely untrained and carrying mostly sticks, knives and homemade bombs, according to the UN. A group called the Arakan Rohingya Salvation Army (ARSA), which said it was seeking political rights for Rohingya, claimed responsibility for the attacks.
ARSA didn’t respond to a request for comment.
Nay Myo Thet and another member of the security forces told Reuters they were surprised by the army’s disproportionate response to what they said were small and poorly organised attacks compared with insurgencies conducted by well-equipped militias in other parts of the country.
A log of army activities compiled by military authorities and obtained by CIJA records 18 attacks that morning by “Bengali insurgents,” starting with several explosions from handmade bombs. The log doesn’t record the deaths of any members of the security forces, though it does say militants killed Rohingya informers and several Rakhine civilians.
The next morning, the burning of Rohingya villages began. The log describes “arson attacks” in the Rakhine township of Maungdaw, with lists of houses, shops, mosques and Arabic language schools destroyed. Hundreds of houses are recorded as burned after “a fire broke out.” The arson continued for weeks. More than 7,000 structures are recorded in the log as having been burned to the ground between August 25 and mid-September. Sometimes the arson is ascribed to “Bengali insurgents.” Sometimes no perpetrator is listed.
Moe Yan Naing, a police captain who was stationed in Rakhine, told Reuters there were no attacks by ARSA after August 25, but his superiors ordered him and his colleagues to burn villages. There were many dead bodies in the villages, said Moe Yan Naing.
“The troops shot into the village before entering,” he said, referring to the village of Inn Din, where Reuters uncovered a massacre of civilians. “They shot and killed whoever they found in the village.”
Moe Yan Naing was the police captain who testified in the 2018 trial of Reuters journalists Wa Lone and Kyaw Soe Oo, who were arrested after they uncovered the killings in Inn Din and spent 511 days behind bars. Moe Yan Naing undercut the official narrative in court, saying that the two reporters had been set up by the authorities. He fled the country after the coup, fearing arrest by junta forces.
Approximately 392 villages were either partly or completely destroyed, largely by fire, according to UN investigators, who blamed the arson on the Myanmar security forces and local Rakhine residents. This amounted to 40% of all villages in northern Rakhine state.
Army chief Min Aung Hlaing travelled to northern Rakhine around the time of the expulsion of the Rohingya, CIJA said. A CIJA document records previously unreported comments he made to officials in Rakhine during his trip. He ordered non-Rohingya locals to remain in their homes “instead of leaving,” referring to a large discrepancy in population size between Muslims and other ethnic groups in Rakhine. He told the audience he understood they “do not want to keep Bengali villages near.”
During the expulsion of the Rohingya, troops were given instructions to delete photos that might be incriminating, said Nay Myo Thet. He and Moe Yan Naing, the former police captain, said security force members placed machetes beside the bodies of dead Rohingya and took photographs so it would look like they were insurgents.
Sensitive orders from senior commanders were given by phone rather than in writing, said Nay Myo Thet.
FEAR OF INTERVENTION
Documents in the CIJA cache show how the military feared international retribution over the Rakhine operation. A 2018 presentation that CIJA said was shown in officer training sessions assessed the possibility of foreign intervention triggered by an invocation of the UN’s “Responsibility to Protect” doctrine. R2P, as it’s known, has been used to support international intervention in countries where rulers are committing atrocities.
If R2P comes to Myanmar, the country will become “a failed state,” reads one slide. The presentation concluded that international uproar over the military operation was creating “excessive pressure” and that could “harm the sovereignty and territorial integrity of the country.”
A 2018 internal report by military authorities that assessed the Rakhine operation said the Rohingya had been “eager to take over” northern Rakhine. Muslim religious scholars in Myanmar, the report said, were trying to implement a plan for the world to become Islamic in the 21st century and were “recklessly” accelerating birth rates to increase the Muslim population. The authorities, it said, may have had trouble policing in Rakhine because “many Bengalis have similar facial resemblance with each other.”
The report points to democratic reforms in the country as having emboldened the Rohingya. Control over “extremist Bengalis” had weakened, the report said, when two Rohingya became members of parliament after power was transferred to a semi-civilian government following an election in 2010.
One of the two MPs, Shwe Maung, who had been critical of the authorities’ treatment of the Rohingya, has been in the United States since 2015 for fear of being arrested if he returns to Myanmar. His advocacy for the Rohingya in parliament had made him “a target,” he told Reuters.
Rohingya weren’t allowed to vote in the election that brought Suu Kyi to power in 2015, and Shwe Maung was barred from running.
Since the purge in Rakhine, some people named in the CIJA documents have been promoted. Among them is the former head of the 33rd Light Infantry Division, Aung Aung, who was promoted to head the Southwestern Command, according to local media. Border Guard Police chief Thura San Lwin was transferred to a top police post in the capital Naypyitaw, according to local reports.
Aung Aung didn’t respond to questions from Reuters.
A United Nations body also has been gathering evidence about the military’s actions in Rakhine, and since the coup has expanded its work to cover the junta’s actions. In March, the UN said the army’s actions since seizing power – including extrajudicial killings, air strikes and arson in populated areas – could amount to war crimes and crimes against humanity.
CIJA wound down its Myanmar fact-finding operation in late April. Wiley said international criminal justice is a “long game,” but he believes CIJA has amassed “really good evidence.”
“We get convictions,” he added. “The challenge is arrests.”
The coup in Myanmar has begun to erode anti-Rohingya prejudices
Even as Rohingya poured into Bangladesh in 2017 bringing stories of mass killings and rape, many media outlets inside Myanmar echoed government propaganda, portraying the military crackdown as a legitimate campaign against “extremist Bengali terrorists.” Many Burmese also rallied behind the authorities in the face of allegations of ethnic cleansing and war crimes by the international community.
But long-held prejudices have begun to change in response to the military coup of early 2021 and the violence unleashed by the junta as it tried to quell growing resistance across the country – violent repression usually reserved for ethnic areas. Many Burmese have apologised on social media for ignoring the plight of minorities.
One academic study of social media posts after the coup found perceptions towards minorities, including the Rohingya, had shifted. While Rohingya activists say anti-Muslim sentiment persists in Myanmar, the study found there were fewer negative posts and more voices pleading for an inclusive society.
Sasa, a spokesman for the newly formed civilian parallel government, said it was only after the coup that “the people have come to understand and accept the true nature of the military, and their unfathomable disregard for human rights.”
Sasa, who goes by one name, added: “Those who previously doubted the military’s victims are eager to apologise.”
The military junta didn’t respond to questions from Reuters.
Some journalists who once toed the official line are expressing remorse over how they covered the purge in 2017. Moe Myint, an ethnic Rakhine journalist formerly with The Irrawaddy news website in Myanmar, told Reuters he travelled to Rakhine during the military crackdown but censored his reporting, in part for fear of a public backlash.
“I regret some situations,” said Moe Myint, who left Myanmar for exile in the United States after the coup, fearing he would be arrested as part of a media crackdown by the junta. “I had to consider my safety, and then I was unable to publish all the issues that happened in Rakhine state.”
In response to questions, an editor at the Irrawaddy said: “We are never reluctant to publish stories as long as they have been thoroughly verified and the reporter’s safety is not threatened.”
In September 2017, Moe Myint joined a tour organised by authorities to a village just outside Maungdaw town in Rakhine state where officials said several young Rakhine men had been killed by Muslims. He reported the killings in an article for The Irrawaddy, portraying them as the work of militants.
But later, he said, Rakhine villagers told him that the slain men were killed when they took part in a military-led assault on a Rohingya village. “Actually, we overlooked the situation,” he said. It was “quite clear that the military used” Rakhine residents to get information and “participate in military operations.”
He did not report this at the time, he said. It was difficult to verify information on the ground, he was wary of public opinion given strong anti-Rohingya sentiment, and his editors were reluctant to publish such information, he explained.
In December that year, he witnessed the aftermath of an attack by a mob of Rakhine people who had torn down a mosque and burned homes belonging to Rohingya in the village of Zay Di Pyin. A second reporter who was there, and spoke on condition of anonymity for fear of retribution, confirmed the account.
Moe Myint said the men destroyed the mosque, which was close to a police station, using heavy machinery. He snapped some photos of people taking bricks and other materials from the rubble and was leaving when a crowd surrounded him and his colleague.
“Some people were drunk and they shouted to kill us,” Moe Myint said. He and his colleague were handed over to the police, who detained them.
Though they were eventually released, Moe Myint said he was warned by a senior Rakhine politician that he should never talk publicly about what had happened.
“There are many untold stories,” he said.
মাসুদ করিম - ১৩ আগস্ট ২০২২ (৩:০৯ পূর্বাহ্ণ)
Author Salman Rushdie stabbed on lecture stage in New York
https://apnews.com/article/salman-rushdie-attacked-9eae99aea82cb0d39628851ecd42227a
CHAUTAUQUA, N.Y. (AP) — Salman Rushdie, whose novel “The Satanic Verses” drew death threats from Iran’s leader in the 1980s, was stabbed in the neck and abdomen Friday by a man who rushed the stage as the author was about to give a lecture in western New York.
A bloodied Rushdie, 75, was flown to a hospital and underwent surgery. His agent, Andrew Wylie, said the writer was on a ventilator Friday evening, with a damaged liver, severed nerves in an arm and an eye he was likely to lose.
Police identified the attacker as Hadi Matar, 24, of Fairview, New Jersey. He was arrested at the scene and was awaiting arraignment. Matar was born a decade after “The Satanic Verses” was published. The motive for the attack was unclear, State police Maj. Eugene Staniszewski said.
An Associated Press reporter witnessed the attacker confront Rushdie on stage at the Chautauqua Institution and punch or stab him 10 to 15 times as he was being introduced. The author was pushed or fell to the floor, and the man was arrested.
Dr. Martin Haskell, a physician who was among those who rushed to help, described Rushdie’s wounds as “serious but recoverable.”
Event moderator Henry Reese, 73, a co-founder of an organization that offers residencies to writers facing persecution, was also attacked. Reese suffered a facial injury and was treated and released from a hospital, police said. He and Rushdie were due to discuss the United States as a refuge for writers and other artists in exile.
A state trooper and a county sheriff’s deputy were assigned to Rushdie’s lecture, and state police said the trooper made the arrest. But after the attack, some longtime visitors to the center questioned why there wasn’t tighter security for the event, given the decades of threats against Rushdie and a bounty on his head offering more than $3 million for anyone who kills him.
Rabbi Charles Savenor was among the roughly 2,500 people in the audience. Amid gasps, spectators were ushered out of the outdoor amphitheater.
The assailant ran onto the platform “and started pounding on Mr. Rushdie. At first you’re like, ‘What’s going on?’ And then it became abundantly clear in a few seconds that he was being beaten,” Savenor said. He said the attack lasted about 20 seconds.
Another spectator, Kathleen James, said the attacker was dressed in black, with a black mask.
“We thought perhaps it was part of a stunt to show that there’s still a lot of controversy around this author. But it became evident in a few seconds” that it wasn’t, she said.
Matar, like other visitors, had obtained a pass to enter the institution’s 750-acre grounds, President Michael Hill said.
The suspect’s attorney, public defender Nathaniel Barone, said he was still gathering information and declined to comment. Matar’s home was blocked off by authorities.
Rushdie has been a prominent spokesman for free expression and liberal causes, and the literary world recoiled at what novelist and Rushdie friend Ian McEwan described as “an assault on freedom of thought and speech.”
“Salman has been an inspirational defender of persecuted writers and journalists across the world,” McEwan said in a statement. “He is a fiery and generous spirit, a man of immense talent and courage and he will not be deterred.”
PEN America CEO Suzanne Nossel said the organization didn’t know of any comparable act of violence against a literary writer in the U.S. Rushdie was once president of the group, which advocates for writers and free expression.
Rushdie’s 1988 novel was viewed as blasphemous by many Muslims, who saw a character as an insult to the Prophet Muhammad, among other objections. Across the Muslim world, often-violent protests erupted against Rushdie, who was born in India to a Muslim family.
At least 45 people were killed in riots over the book, including 12 people in Rushdie’s hometown of Mumbai. In 1991, a Japanese translator of the book was stabbed to death and an Italian translator survived a knife attack. In 1993, the book’s Norwegian publisher was shot three times and survived.
The book was banned in Iran, where the late leader Grand Ayatollah Ruhollah Khomeini issued a 1989 fatwa, or edict, calling for Rushdie’s death. Khomeini died that same year.
Iran’s current Supreme Leader Ayatollah Ali Khamenei has never issued a fatwa of his own withdrawing the edict, though Iran in recent years hasn’t focused on the writer.
Iran’s mission to the United Nations did not immediately respond to a request for comment on Friday’s attack, which led a night news bulletin on Iranian state television.
The death threats and bounty led Rushdie to go into hiding under a British government protection program, which included a round-the-clock armed guard. Rushdie emerged after nine years of seclusion and cautiously resumed more public appearances, maintaining his outspoken criticism of religious extremism overall.
He said in a 2012 talk in New York that terrorism is really the art of fear.
“The only way you can defeat it is by deciding not to be afraid,” he said.
Anti-Rushdie sentiment has lingered long after Khomeini’s decree. The Index on Censorship, an organization promoting free expression, said money was raised to boost the reward for his killing as recently as 2016.
An Associated Press journalist who went to the Tehran office of the 15 Khordad Foundation, which put up the millions for the bounty on Rushdie, found it closed Friday night on the Iranian weekend. No one answered calls to its listed telephone number.
In 2012, Rushdie published a memoir, “Joseph Anton,” about the fatwa. The title came from the pseudonym Rushdie had used while in hiding.
Rushdie rose to prominence with his Booker Prize-winning 1981 novel “Midnight’s Children,” but his name became known around the world after “The Satanic Verses.”
Widely regarded as one of Britain’s finest living writers, Rushdie was knighted by Queen Elizabeth II in 2008 and earlier this year was made a member of the Order of the Companions of Honor, a royal accolade for people who have made a major contribution to the arts, science or public life.
In a tweet, British Prime Minister Boris Johnson deplored that Rushdie was attacked “while exercising a right we should never cease to defend.”
The Chautauqua Institution, about 55 miles (89 kilometers) southwest of Buffalo in a rural corner of New York, has served for more than a century as a place for reflection and spiritual guidance. Visitors don’t pass through metal detectors or undergo bag checks. Most people leave the doors to their century-old cottages unlocked at night.
The center is known for its summertime lecture series, where Rushdie has spoken before.
At an evening vigil, a few hundred residents and visitors gathered for prayer, music and a long moment of silence.
“Hate can’t win,” one man shouted.
https://twitter.com/AP/status/1558242733244006402
মাসুদ করিম - ১৩ আগস্ট ২০২২ (৩:১৩ পূর্বাহ্ণ)
Who Is Hadi Matar? NJ Man Suspected in Salman Rushdie Attack Had Shia Extremist Sympathies
https://www.nbcnewyork.com/news/local/who-is-hadi-matar-nj-man-suspected-in-salman-rushdie-attack/3822984/?_osource=db_npd_nbc_wnbc_twt_shr
Police said they have identified the man who allegedly stormed the stage at the Chautauqua Institution in western New York and attacked Rushdie and an interviewer who had just begun to introduce him
Police are learning more information about the suspect who allegedly stormed onto a New York stage and stabbed author Salman Rushdie in the neck on Friday.
The suspect, 24-year-old Hadi Matar, was born in California, but recently moved to New Jersey, according to law enforcement sources familiar with the investigation. His last listed address was in Fairview, a Bergen County borough just across the Hudson River from Manhattan. FBI officials were seen going into the home of Matar Friday evening.
Sources said that Matar also had a fake New Jersey driver’s license on him.
State Police Maj. Eugene Staniszewski said the motive for the stabbing was unclear. A preliminary law enforcement review of Matar’s social media accounts shows he is sympathetic to Shia extremism and Islamic Revolutionary Guard Corps causes, a law enforcement person with direct knowledge of the investigation told NBC News. There are no definitive links to the IRGC but the initial assessment indicates he is sympathetic to the Iranian government group, the official says.
Spectator Kathleen Jones said the attacker was dressed in black, with a black mask.
“We thought perhaps it was part of a stunt to show that there’s still a lot of controversy around this author. But it became evident in a few seconds” that it wasn’t, she said.
The assailant ran onto the platform “and started pounding on Mr. Rushdie. At first you’re like, ‘What’s going on?’ And then it became abundantly clear in a few seconds that he was being beaten,” said Rabbi Charles Savenor, the director of congregational education at the Park Avenue Synagogue in Manhattan, who was also among the roughly 2,500 people in the audience.
Savenor said the attack occurred with moments of Rushdie and Reese taking the stage, and that it lasted about 20 seconds, after which time spectators were ushered out of the outdoor amphitheater amid gasps.
After Rushdie was pushed or fell to the floor, Matar was arrested by a New York State Trooper, and was awaiting arraignment. It was not immediately clear what charges he would face for the attack on the author whose novel “The Satanic Verses” drew death threats from Iran’s leader in the 1980s.
A bloodied Rushdie, 75, was flown to a hospital after getting attacked and apparently stabbed in the neck as he was about to give a lecture in western New York, state police said. His condition was not immediately known. His agent, Andrew Wylie, said the writer was on a ventilator Friday evening, with a damaged liver, severed nerves in an arm and an eye he was likely to lose.
An Associated Press reporter witnessed a man confront Rushdie on stage at the Chautauqua Institution and punch or stab him 10 to 15 times as he was being introduced.
Gov. Kathy Hochul said later that he was alive and “getting the care he needs.” Dr. Martin Haskell, a physician who was among those who rushed to help, described Rushdie’s wounds as “serious but recoverable.”
Event moderator Henry Reese, a co-founder of an organization that offers residencies to writers facing persecution, was also attacked and suffered a minor head injury, police said. He and Rushdie were due to discuss the United States as a refuge for writers and other artists in exile.
A state trooper and a county sheriff’s deputy were assigned to Rushdie’s lecture, and state police said the trooper made the arrest. But after the attack, some longtime visitors to the center questioned why there wasn’t tighter security for the event, given the decades of threats against Rushdie and a bounty on his head offering more than $3 million for anyone who kills him.
Rushdie has been a prominent spokesman for free expression and liberal causes. He is a former president of PEN America, which said it was “reeling from shock and horror” at the attack.
“We can think of no comparable incident of a public violent attack on a literary writer on American soil,” CEO Suzanne Nossel said in a statement.
Rushdie’s 1988 novel was viewed as blasphemous by many Muslims, who saw a character as an insult to the Prophet Muhammad, among other objections. Across the Muslim world, often-violent protests erupted against Rushdie, who was born in India to a Muslim family.
At least 45 people were killed in riots over the book, including 12 people in Rushdie’s hometown of Mumbai. In 1991, a Japanese translator of the book was stabbed to death and an Italian translator survived a knife attack. In 1993, the book’s Norwegian publisher was shot three times and survived.
The book was banned in Iran, where the late leader Grand Ayatollah Ruhollah Khomeini issued a 1989 fatwa, or edict, calling for Rushdie’s death. Khomeini died that same year.
Iran’s current Supreme Leader Ayatollah Ali Khamenei has never issued a fatwa of his own withdrawing the edict, though Iran in recent years hasn’t focused on the writer.
Iran’s mission to the United Nations did not immediately respond to a request for comment on Friday’s attack, which led a night news bulletin on Iranian state television.
The death threats and bounty led Rushdie to go into hiding under a British government protection program, which included a round-the-clock armed guard. Rushdie emerged after nine years of seclusion and cautiously resumed more public appearances, maintaining his outspoken criticism of religious extremism overall.
He said in a 2012 talk in New York that terrorism is really the art of fear.
“The only way you can defeat it is by deciding not to be afraid,” he said.
Anti-Rushdie sentiment has lingered long after Khomeini’s decree. The Index on Censorship, an organization promoting free expression, said money was raised to boost the reward for his killing as recently as 2016.
An Associated Press journalist who went to the Tehran office of the 15 Khordad Foundation, which put up the millions for the bounty on Rushdie, found it closed Friday night on the Iranian weekend. No one answered calls to its listed telephone number.
In 2012, Rushdie published a memoir, “Joseph Anton,” about the fatwa. The title came from the pseudonym Rushdie had used while in hiding.
Rushdie rose to prominence with his Booker Prize-winning 1981 novel “Midnight’s Children,” but his name became known around the world after “The Satanic Verses.”
Widely regarded as one of Britain’s finest living writers, Rushdie was knighted by Queen Elizabeth II in 2008 and earlier this year was made a member of the Order of the Companions of Honor, a royal accolade for people who have made a major contribution to the arts, science or public life.
British Prime Minister Boris Johnson tweeted that he was “appalled” that Rushdie was stabbed “while exercising a right we should never cease to defend.”
The Chautauqua Institution, about 55 miles southwest of Buffalo in a rural corner of New York, has served for more than a century as a place for reflection and spiritual guidance. Visitors don’t pass through metal detectors or undergo bag checks. Most people leave the doors to their century-old cottages unlocked at night.
The Chautauqua center is known for its summertime lecture series, where Rushdie has spoken before.
https://twitter.com/WajahatAli/status/1558238755781222404
https://twitter.com/thedailybeast/status/1558224144617164801
মাসুদ করিম - ১৫ আগস্ট ২০২২ (৫:২১ পূর্বাহ্ণ)
Iran’s hardline newspapers praise Salman Rushdie’s attacker
https://www.reuters.com/world/irans-hardline-newspapers-praise-salman-rushdies-attacker-2022-08-13/?taid=62f76b9758b19d0001bbaf24&utm_campaign=trueAnthem:+Trending+Content&utm_medium=trueAnthem&utm_source=twitter
Several hardline Iranian newspapers heaped praise on Saturday on the person who attacked and seriously wounded author Salman Rushdie, whose novel “The Satanic Verses” had drawn death threats from Iran since 1989.
There was no official reaction yet in Iran to the attack on Rushdie, who was stabbed in the neck and torso on Friday while onstage at a lecture in New York state. read more
However, the hardline Kayhan newspaper, whose editor-in-chief is appointed by Iran’s Supreme Leader Ali Khamenei, wrote:
Author Salman Rushdie arrives at the High Court in London
Author Salman Rushdie arrives at the High Court to settle a libel action brought against Ron Evans local media reported, in London August 26, 2008. REUTERS/Luke MacGregor/File Photo
Register now for FREE unlimited access to Reuters.com
Aug 13 (Reuters) – Several hardline Iranian newspapers heaped praise on Saturday on the person who attacked and seriously wounded author Salman Rushdie, whose novel “The Satanic Verses” had drawn death threats from Iran since 1989.
There was no official reaction yet in Iran to the attack on Rushdie, who was stabbed in the neck and torso on Friday while onstage at a lecture in New York state. read more
However, the hardline Kayhan newspaper, whose editor-in-chief is appointed by Iran’s Supreme Leader Ali Khamenei, wrote:
Advertisement · Scroll to continue
“A thousand bravos … to the brave and dutiful person who attacked the apostate and evil Salman Rushdie in New York,” adding, “The hand of the man who tore the neck of God’s enemy must be kissed”.
The leader of Iran’s 1979 Islamic revolution, the late Ayatollah Ruhollah Khomeini, issued a fatwa, or religious edict, in 1989 that called on Muslims around the world to kill the Indian-born author after his book was condemned as blasphemous, forcing him into years of hiding.
In 2019, Twitter suspended Khamenei’s account over a tweet that said Khomeini’s fatwa against Rushdie was “solid and irrevocable”.
The Asr Iran news site on Saturday carried an often cited quote by Khamenei that said the “arrow” shot by Khomeini “will one day hit the target”.
The 15th Khordad Foundation, a wealthy Iranian religious organisation, increased the bounty on Rushdie’s head to $2.5 million in 1997, eight years after it first offered a reward. The foundation increased the amount to $3.3 million in 2012. read more
The foundation, among scores of bodies supervised by Khamenei’s office, has not reacted publicly to the attack on Rushdie and did not immediately respond on Saturday to a Reuters emailed request for comment.
The headline of the hardline Vatan Emrooz newspaper read: “Knife in Salman Rushdie’s neck”.
The Khorasan daily carried the headline: “Satan on the way to hell”.
NBC New York cited law enforcement sources as saying on Saturday that the suspect in the attack, California-born Hadi Matar, was sympathetic to Shi’ite Muslim extremism and Iran’s Islamic Revolutionary Guard Corps (IRGC).
Rushdie was on a ventilator and unable to speak on Friday evening after the incident, condemned by writers and politicians around the world as an assault on freedom of expression. read more
মাসুদ করিম - ১৮ আগস্ট ২০২২ (৩:১৮ পূর্বাহ্ণ)
UN High Commissioner for Human Rights Michelle Bachelet concludes her official visit to Bangladesh
https://www.ohchr.org/en/statements/2022/08/un-high-commissioner-human-rights-michelle-bachelet-concludes-her-official-visit
Dhaka, 17 August 2022
Good evening and thank you all for coming.
I would like to begin by warmly thanking the Government of Bangladesh for its invitation, the first time a High Commissioner for Human Rights has visited the country. I hope my visit will build on the Government’s engagement with the UN’s human rights mechanisms and help deepen cooperation with us, furthering the promotion and protection of human rights in Bangladesh.
My visit coincided with an important day of national mourning, commemorating the assassination of the first Prime Minister of independent Bangladesh, Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, on 15 August 1975. It was a day which naturally lent itself to reflections on the history of Bangladesh – its painful past, a people’s struggle for independence and for their human rights, millions of whom had been forced to flee in 1971.
In my discussions with civil society members and Government officials, the sense of pride at this history of resistance and resilience of the Bangladeshi people came across strongly.
Bangladesh has made remarkable economic and social progress and is aiming to graduate from Least Developed Country (LDC) status in a few years. Starting from a low baseline, Bangladesh has made strides in socio-economic development, poverty eradication, access to education and health, women’s and children’s mortality, access to food, water and sanitation.
Bangladesh has been a leader in international fora on key human rights issues such as migration and climate change. It has also stepped up to provide refuge to more than 1 million Rohingya refugees who were forced to flee persecution and serious international crimes being committed against them across the border in Myanmar. Bangladesh also continues to face challenges on the human rights front, and I have been able to discuss many of these extensively with the Government and civil society members.
In Dhaka, I met with Prime Minister Sheikh Hasina Wazed and the Ministers for foreign affairs, home affairs, law, and education and other State officials. I met with the National Human Rights Commission and representatives of civil society, as well as members of the diplomatic community and academics. I was able to interact with students at the Bangladesh Institute of International and Strategic Studies on climate change and human rights. The delegation from my Office was also able to represent me in meetings with other stakeholders, including trade unions and political parties.
My discussions came against the backdrop of increased economic strains due in part to the impact of the COVID-19 pandemic and the globally reverberating consequences of the war in Ukraine. Rising food and fuel prices mean that the cost of living is increasing, and in such circumstances, of course the most marginalized and vulnerable are hit the hardest. The country’s extreme vulnerability to the adverse effects of climate change is a persistent challenge. Bangladesh is also entering an election cycle, with general elections due next year, which tends to be a time of increased polarisation and tension.
In such circumstances, what is key is that people from various sectors of society are heard and that they feel heard. Civil society members are important resources that governments need to tap into. Critical voices can help to identify the problems, to acknowledge them, to dive deep into the causes and discuss solutions.
Acknowledging the challenges is always the first step to overcoming them.
My exchanges with civil society representatives were rich and insightful – this was not surprising as Bangladesh has historically had a wealth of civil society expertise in various fields. But successive UN human rights reports have documented a narrowing civic space, increased surveillance, intimidation and reprisals often leading to self-censorship. Laws and policies over-regulating NGOs and broadly restricting the freedom of expression make it difficult – and sometimes risky – for them to function effectively.
Democratic and civic space, as well as effective checks and balances and accountability are essential as Bangladesh aims for the next levels of development. It also contributes to decrease the risk of corruption and other hurdles to sustainable economic development and sound fiscal management.
The election period will be an important time for Bangladesh to maximize civic and political space, including freedom of expression, association and peaceful assembly of political activists, human rights defenders, opposition parties and journalists. It is also important to ensure that law enforcement forces have the necessary training to manage protests without resorting to the excessive use of force.
There needs to be space for more dialogue among political parties and with a wide range of civil society actors to prevent grievances from building and erupting in social unrest. The voices of women, religious minorities and indigenous peoples, and especially young people need to be heard.
Women’s formal participation in political decision-making processes at local levels has improved in recent years. I also called on the Government to take proactive measures to increase the number of women in decision-making positions at all levels. There has been much progress – more and more women have entered the labour force in some sectors, and the country has witnessed improvements in girls’ education, with gender parity reached in primary schools.
But despite the adoption of a number of important national policy frameworks, challenges to gender equality remain. Violence against women, including sexual violence, remains high and access to justice and accountability for the victims remains difficult.
I welcomed the Government’s legal recognition of hijras and I hope it will take further steps to respect, protect and fulfil the fundamental human rights of LGBTIQ+ persons.
I stressed the importance of protecting minority groups, such as Hindus and indigenous peoples from violence or land encroachments. The peace accord in the Chittagong Hill Tracts 25 years ago was an important achievement. But given the continued allegations of human rights violations, linked with land disputes and the need for demilitarization, I called for full implementation of the peace accord and unrestricted access for independent actors to visit the area.
Bangladesh has a solid framework in its constitution, laws and international commitments to draw from in facing human rights challenges. It is party to all the core UN human rights treaties, except for the International Convention for the Protection of all Persons from Enforced Disappearance – which I have called on the Government to ratify. The Committees reviewing States’ compliance with these treaties have made important recommendations, as have various UN human rights independent experts. Recommendations have also been made through the UN Human Rights Council’s Universal Periodic Review process. It is vital that the Government focuses on implementation and an institutionalised system for follow up. These recommendations are important benchmarks, and help strengthen linkages between human rights and the Sustainable Development Goals.
Various UN human rights mechanisms – including the UN Committee Against Torture, have been raising concerns for several years about allegations of enforced disappearances, extrajudicial killing, torture – many of which have been attributed to the Rapid Action Battalion – and the lack of accountability for such violations. I raised my deep concern about these serious allegations with Government ministers and highlighted the need for an impartial, independent and transparent investigation into these allegations, accompanied by security sector reform.
There are continued, alarming allegations of both short-term and long-term enforced disappearances, and concerns about the lack of due process and judicial safeguards. Particularly given the long-standing frustrations at the lack of progress in investigations and other obstacles to justice, I encouraged the Government to create an independent, specialised mechanism that works closely with victims, families and civil society to investigate allegations of enforced disappearances and extrajudicial killings. My Office is ready to provide advice on how such a body could be designed in line with international standards.
Inviting the UN Working Group on Enforced Disappearances to visit Bangladesh would also show a commitment to decisively address this issue. As the biggest contributor of uniformed personnel to UN peacekeeping missions, Bangladesh should ensure it has a robust system in place for the careful human rights screening of security personnel.
I also discussed law reforms, to bring domestic legislation in line with international human rights laws.
My Office and the Government have engaged in dialogue on review of the Digital Security Act. I acknowledge the need to regulate the online space, addressing online hate speech, disinformation and combating cybercrime. Addressing these concerns is not simple, as regulating communications always creates risks for the protection of freedom of expression. We have submitted our recommendations for repeal and revision of certain provisions of the Act, with a view to ensuring their compliance with international human rights laws and standards, and preventing arbitrary application or misuse. We look forward to the Government’s feedback and timeline to expedite the review. We also discussed the importance of working closely with civil society and the UN to ensure that the new draft Data Protection Law and the OTT (Over The Top Platforms) regulations meet international human rights standards.
The UN is firmly against imposition of the death penalty in any and all circumstances and I also encouraged steps to reduce its scope and move towards a moratorium.
During my time in Bangladesh, I also visited Cox’s Bazar, where an impressive effort has been made by the Government, the UN and other partners in the Rohingya refugee camps. The importance of Bangladesh’s humanitarian contribution – and its historical significance – cannot be overstated. The international community must sustain its support to Bangladesh in its response, and press Myanmar to create conditions for return, address the root causes and pursue accountability.
These are people who fled extreme violence and systematic discrimination five years ago, in one of the largest movements of people in recent history. What I heard in my conversations with women, young people, religious leaders and other Rohingya refugees in the camps was a resounding hope that they will be able to return to their villages and homes in Myanmar – but only when the conditions are right.
Unfortunately the current situation across the border means that the conditions are not right for returns. Repatriation must always be conducted in a voluntary and dignified manner, only when safe and sustainable conditions exist in Myanmar.
In the camps, I was heartened to see young girls and boys at learning centres and attended lively maths and Burmese classes taught by community members. The younger children were energized and spoke of their aspirations for their future. In my meeting with older children, however, there was more frustration at the passage of time. One boy spoke of the years lost that he will never get back, and expressed a strong desire to contribute to his community and, eventually, to his home country Myanmar. Expanding these education and livelihood opportunities for girls and boys will be the best way to prevent social problems and criminality and to fully prepare refugees for sustainable reintegration in Myanmar society.
The refugees I spoke to in Cox’s Bazar, and indeed refugees and internally displaced people I’ve met in various parts of the world, stressed that they do not want to be dependent on aid. They want to be productive, to earn a living, to contribute to society and improve their conditions of life.
I encourage the Government to give space to community-led initiatives in the camps in Bhashan Char and Cox’s Bazar, so that those with such aspirations are able to support and contribute to serving the needs of fellow refugees. Many I spoke to were fearful of the security situation both in terms of the activity of armed groups and criminal gangs, but also the vulnerability of women and girls. The security and freedom of expression of Rohingya civil society and human rights defenders also needs to be protected.
I am very worried about increasing anti-Rohingya rhetoric in Bangladesh, stereotyping and scapegoating Rohingyas as the source of crime and other problems. I am particularly concerned that a pre-electoral context, combined with economic difficulties and uncertainties, will mean more hate speech against these vulnerable communities.
I call on the Government and all Bangladeshis to be vigilant against such harmful rhetoric, to actively counter misinformation with facts, and to foster understanding with the host communities.
As Bangladesh continues to grow economically, effective, accountable and inclusive institutions – in line with the Sustainable Development Goals (SDG) 16 – are essential for achieving the next level of development. This means inclusivity, participation and accountability. Strengthening the independence of institutions, including the national human rights commission, the elections commission and the judiciary, will be key. The UN Country Team stands by to support implementation of all SDGs.
I hope my visit will further boost Bangladesh’s engagement – government and non-governmental – with the UN Human Rights Office and mechanisms. Bangladesh will also undertake its fourth Universal Periodic Review in the Human Rights Council next year, which will be an important moment to take stock of progress.
It is encouraging that the new Special Rapporteur on climate change and human rights will visit the country soon. I call on the international community to support Bangladesh and other vulnerable States in their demand for effective climate action.
For all the significant human rights challenges ahead – economic, climate-related, political, social and humanitarian – I am convinced that if the powerful resources within the whole society are harnessed, and policies and responses are crafted with the participation of many diverse voices, Bangladesh will continue to shine brighter in its remarkable development journey.
https://twitter.com/UNHumanRights/status/1559937146940702726
মাসুদ করিম - ২২ আগস্ট ২০২২ (৩:৫৪ পূর্বাহ্ণ)
Modern Yellow River began forming 1.25 million years ago: study
https://news.cgtn.com/news/2022-08-22/Modern-Yellow-River-began-forming-1-25-million-years-ago-study-1cHcY1wJRE4/index.html
Chinese researchers have found that the modern Yellow River began to form 1.25 million years ago, according to a paper published in the journal Science Bulletin.
The research on the formation history of Yellow River and its driving mechanism can provide vital evidence to help us understand how the interaction between structure and climate shaped China’s geographical environment pattern, said Wang Xin, a professor at Lanzhou University.
He said that Sanmenxia, as the last gorge along the main stream of the Yellow River, plays a key role in the study of the formation and evolution of the Yellow River system.
A research team from the university, together with the Institute of Geology under the China Earthquake Administration (CEA), the First Monitoring and Application Center under the CEA, the Shimane University and the China University of Geosciences (Wuhan), conducted environmental drilling and collaborative research at the center of the Sanmenxia basin.
They obtained sedimentologic, geochronologic and provenance data from a drill core near Sanmenxia and concluded that typical river channel deposits, with detritus from the Ordos Block in the upstream regions, started to accumulate in Sanmenxia 1.25 million years ago.
Researchers also proposed that the accelerated lowering of the eustatic sea level during the Mid-Pleistocene transition may have played as important a role as tectonism in driving the birth and evolution of the modern Yellow River.
They obtained sedimentologic, geochronologic and provenance data from a drill core near Sanmenxia and concluded that typical river channel deposits, with detritus from the Ordos Block in the upstream regions, started to accumulate in Sanmenxia 1.25 million years ago.
Researchers also proposed that the accelerated lowering of the eustatic sea level during the Mid-Pleistocene transition may have played as important a role as tectonism in driving the birth and evolution of the modern Yellow River.
https://twitter.com/CGTNOfficial/status/1561533615028183040
মাসুদ করিম - ২২ আগস্ট ২০২২ (৪:০৭ পূর্বাহ্ণ)
Fahmida Azim, Anthony Del Col, Josh Adams and Walt Hickey of Insider, New York, N.Y.
For using graphic reportage and the comics medium to tell a powerful yet intimate story of the Chinese oppression of the Uyghurs, making the issue accessible to a wider public.
https://www.pulitzer.org/winners/fahmida-azim-anthony-del-col-josh-adams-and-walt-hickey-insider-new-york-ny?fbclid=IwAR0ZOcsQvpf3Bkr6paPoYdSdf_CzG3sF0CyjVA6mQUl7e-nyLlinRySnueU
Winning Work
How I escaped a Chinese internment camp
For a distinguished portfolio of editorial cartoons or other illustrated work (still, animated, or both) characterized by political insight, editorial effectiveness, or public service value, Fifteen thousand dollars ($15,000).
Biography
Fahmida Azim is an illustrator and storyteller. Her work centers on themes of identity, culture, and autonomy. She and her art have been seen in The New York Times, NPR, Glamour, Scientific American, The Intercept, Vice, and more. Fahmida has illustrated a number of books including her own stereotype-shattering project Muslim Women Are Everything (HarperDesign, 2020). She enjoys drawing real people living extraordinary lives, fictional people living beautifully ordinary lives, and food. Originally from Bangladesh, Fahmida now lives and creates in Seattle, Washington.
Anthony Del Col is the best-selling podcast, comics, TV, and digital writer/producer of KILL SHAKESPEARE, ASSASSIN’S CREED and the controversial graphic novel THE DEATH OF NANCY DREW, amongst others. His 2020 audio drama ASSASSIN’S CREED: GOLD, starring Oscar-nominee Riz Ahmed, was Audible’s top-rated release of the year. His first project with Audible, the found-footage thriller UNHEARD: THE STORY OF ANNA WINSLOW, hit #1 on Audible and broke download records. Author of a series of acclaimed non-fiction comics for Insider.com (including the recent I SURVIVED A CHINESE INTERNMENT CAMP, a first-person exploration of one Muslim Uyghur woman’s imprisonment by the Chinese government). A proud Canadian, Del Col lives in Brooklyn with his lovely — and patient — wife Lisa, son Dashiell, and daughter Siena.
Josh Adams is an acclaimed, Ringo-nominated comic book artist who has drawn for Marvel Entertainment, DC Comics, Syfy, Random House, and more. Since 2016, he has worked on Insider Comics, a project that merges the deeply-reported, journalistic reporting with striking visual display. He has served as an art director on a number of Insider Comic projects as well.
Walt Hickey is Insider’s Senior Editor for Data. He came from FiveThirtyEight where he was chief culture writer. He also writes Numlock News, a daily morning newsletter. He also edits Insider’s comic offerings through Insider Comics, a journalism project devoted to telling true stories using the comic book medium. He graduated from The College of William and Mary with a degree in Applied Mathematics.
https://twitter.com/InsiderInc/status/1523763955566809088
The 2022 Pulitzer Prize Announcement: https://www.pulitzer.org/news/2022-pulitzer-prize-announcement
মাসুদ করিম - ২২ আগস্ট ২০২২ (৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ)
২১ আগস্ট: সমাজ ও রাষ্ট্রে এর অভিঘাত
https://www.banglatribune.com/columns/759171/%C2%A0%E0%A7%A8%E0%A7%A7-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C-%E0%A6%93-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%98%E0%A6%BE%E0%A6%A4
মানব সভ্যতার ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা। প্রকাশ্য দিবালোকে রাজনৈতিক সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া বিরল। নিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন দল কর্তৃক স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সেই সময়ের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষে রাষ্ট্র ও জঙ্গি এক হয়ে হামলার দ্বিতীয় কোনও উদাহরণ বিশ্বের কোনও প্রান্তে আছে বলে আমাদের জানা নেই।
বাংলাদেশে ২১ আগস্ট হামলার আগে-পরে যত জঙ্গি হামলা হয়েছে, তার বেশিরভাগেরই উদ্দেশ্য ছিল ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে আঘাত করা। সাংস্কৃতিক কর্মী, রাজনৈতিক কর্মী বা পুরোহিত-যাজককে হত্যা করে তারা বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা তাদের শত্রু মনে করে। কিন্তু ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করা এবং অনিবার্যভাবে মূল লক্ষ্যবস্তু ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে দেশে রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিরোধ স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় হরকত-উল-জিহাদ বাংলাদেশ হুজি-বি জঙ্গিদের সঙ্গে রাষ্ট্র যুক্ত হয়েছে একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানসহ শীর্ষ নেতাদের হত্যা করতে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপ-মন্ত্রীরা জড়িত ছিল এই নৃশংস যজ্ঞে।
পুলিশ, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই’র শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে আদালতের বিচারে। এখন এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হচ্ছে যে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের উচ্চপর্যায়ের পরামর্শেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (কিছু কর্মকর্তা), সিআইডি ও পুলিশের তখনকার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিলেন। তারা পেশাদার খুনি চক্র, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব এবং ভারতের ওপর এই হামলার দায়দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করে প্রকৃত অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। জঙ্গিদের বাঁচাতে বিএনপি মরিয়া হয়ে উঠেছিল। প্রহসনের মামলার জজ মিয়া নামের এক নিরপরাধ ব্যক্তিকে জড়িত করেছে। বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ জড়িত বলে বানোয়াট ও ডাহা মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করেছে। প্রকৃত আসামিদের আড়াল করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলার আলামত নষ্ট করা হয়েছে।
১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা যেমন সুবিদিত তেমনই ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায়ও পাকিস্তানের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে। হামলার পরিকল্পনায় ও গ্রেনেড সরবরাহে যেমন পাকিস্তানের নাগরিক জড়িত ছিল তেমনই আওয়ামী লীগ নিজেই এই হামলা চালিয়েছিল বলে বিএনপি-জামায়াত জোটের মতো এক সুরে কথা বলেছে তৎকালীন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত। বিএনপি-জামায়াত হামলার ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে প্রচার করা শুরু করে আওয়ামী লীগ নিজেরাই জনগণের সহানুভূতি ও সমর্থন পেতে ওই গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, গ্রেনেড হামলা এমনভাবে করা হয়েছে যেন শেখ হাসিনা বেঁচে যান এবং জোট সরকারকে একটি বিব্রতকর অবস্থায় ফেলা যায়। একটি শীর্ষ জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক মন্তব্য কলামে লিখেছেন, ‘মনে পড়ে, ২১ আগস্টের ঘটনার পরপর তৎকালীন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত সে সময়ই আমাকে হুবহু একই রকম কথা বলেছিলেন। তিনিও বলেছিলেন, এটা আওয়ামী লীগেরই কাজ। এ ঘটনায় তারাই তো লাভবান হবে। তারা সহানুভূতি পাবে। এমনকি ঘটনার আগের মুহূর্তে শেখ হাসিনা আইভি রহমানকে মঞ্চে ডেকে নিতে চেয়েছিলেন। সে কথাও তিনি বলেছিলেন। শেখ হাসিনার জ্ঞাতসারেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে ওই পাকিস্তানি কূটনীতিক বলেছিলেন।’
’৭৫-এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার এবং ওই বছরের ৩রা নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বদানকারী চার জাতীয় নেতাকে কারাগারের মতো নিরাপদ স্থানে নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল বাংলাদেশ।
সমাজ ও রাষ্ট্রে মারাত্মক অভিঘাত নেমে এসেছিল। কেবল রাষ্ট্রের নাম আর জাতীয় পতাকা ছাড়া সবই বদলে গিয়েছিল। আইনের শাসন গুম হয়েছিল। বিচার চাওয়ার পথ আইন করে রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সংবিধানকে খেলার পুতুল বানিয়ে গণতন্ত্রকে রাষ্ট্রের ত্রিসীমানা থেকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে ইনডেমনিটি আইন পাস করে আইনের শাসনকে নির্বাসন দিয়ে একটি বর্বর রাষ্ট্রে পরিণত হয় বাংলাদেশ। বিচারহীনতার সংস্কৃতির পাশাপাশি শুরু হয় রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের। উত্থান ঘটে স্বাধীনতাবিরোধীদের। ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’ ও ‘আই উইল মেইক পলিটিকস ডিফিকাল্ট ফর দ্য পলিটিশিয়ান’ নামে দুষ্টু নীতি প্রবর্তন করে নির্বাসনে পাঠানো হয় ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত আদর্শের রাজনীতিকে। শুরু হয় সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পের রাজনীতি। পাকিস্তানি তাহজীব-তমুদ্দুন দ্বারা পরিচালিত হতে শুরু করে বাংলাদেশ। ‘জয় বাংলা’ নির্বাসিত হয়, তার স্থলে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের মৃত্যু হয়। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করে প্রণীত সংবিধান পাল্টে যায়। বাঙালি জাতীয়তাবাদকে ‘খতনা’ করে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে পরিণত করা হয়। স্বাধীনতাবিরোধীদের মন্ত্রী বানানো হয়। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর জুলুম-নির্যাতনের ইতিহাস আড়াল করতে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে ৯ মাসের যুদ্ধের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়। পাকিস্তানকে খুশি করতে তাই ১৯৭৮ সালে সংবিধানের প্রস্তাবনার ‘জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রাম’ এর পরিবর্তে ‘জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধ’ শব্দাবলি যুক্ত করা হয়।
রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহারের পুনরাবৃত্তি রোধে ৭২-এর সংবিধানে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল তা বাতিল করে ধর্মের অপব্যবহারের রাজনীতিকে অবারিত করে দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিরা সামরিক আইন জারি করলেও সংবিধান বাতিল করেনি। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনও কারণে দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে উপ-রাষ্ট্রপতি কিংবা স্পিকার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। খন্দকার মোশতাক মন্ত্রী ছিলেন, উপ-রাষ্ট্রপতি কিংবা স্পিকার ছিলেন না। সে সময় উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম আর স্পিকার ছিলেন আব্দুল মালেক উকিল। খুনিরা উপ-রাষ্ট্রপতি ও স্পিকারকে রাষ্ট্রপতি না করে মোশতাককে অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি করে। সংবিধান লঙ্ঘন করে একের পর এক বিচারপতি সায়েম, জিয়া ও এরশাদ স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি বনে যান। এমনকি জিয়া একই সঙ্গে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সংবিধানে বর্ণিত বিধানকে পায়ে দলে ‘হ্যাঁ, না’ ভোট নামক অভিনব, অশ্রুত পদ্ধতি চালু করা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য বঙ্গবন্ধু সরকার কর্তৃক গঠিত ৭৩টি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে আইনের শাসনবিরোধী বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে নতুন মাত্রা যোগ করা হয়। ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন সব আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
১৫ আগস্টের মতো ২১ আগস্টের নৃশংসতার রাজনৈতিক অভিঘাতও রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে গভীরভাবে পড়েছে। রাষ্ট্র ও জঙ্গিদের যৌথ প্রযোজনায় ২১ আগস্ট নরমেধ যজ্ঞের পর আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে একটি স্থায়ী বিভক্তি রেখা টেনে দিয়েছে। ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যার সঙ্গে জিয়ার সম্পৃক্ততা, খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয়, জিয়া কর্তৃক ইনডেমনিটিকে সংবিধানের অংশে পরিণত করা, ইনডেমনিটি বাতিল আইনের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার সংসদ বর্জন ও হরতাল আহ্বান, বঙ্গবন্ধু হত্যা বিচারে খালেদা জিয়া সরকারের পদে পদে বাধা সৃষ্টি এবং আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিএনপি সরকার কর্তৃক রাজনীতিতে পুনর্বাসন সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকন্যা ও আওয়ামী লীগ সকল কষ্ট, ক্ষোভ, ক্ষত বুকে চাপা দিয়ে দেশের স্বার্থে বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক শিষ্টাচার দেখিয়ে আসছিল। কিন্তু ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোটের নির্দেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা এবং আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলার পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে সেরে উঠবার নয়। রাজনীতি, গণতন্ত্র, স্বাধীন মতপ্রকাশ, মানবাধিকার, সুশাসন, নির্বাচন, অসাম্প্রদায়িকতা সবকিছুতেই ২১ আগস্টের অভিঘাত স্পষ্ট।
রাজনৈতিক সহাবস্থান দূরে থাক, ন্যূনতম যোগাযোগের জায়গাটুকুও রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। শাসন ব্যবস্থায় প্রভাব লক্ষণীয়। প্রতিপক্ষ যখন ক্রমাগত ‘ফাউল’ করতে থাকবে আপনি কতক্ষণ ফেয়ার খেলতে পারবেন? বঙ্গবন্ধু যথার্থই বলেছেন, ‘When you play with a gentleman, you play like a gentleman. But when you play with bastards, make sure you play like a bigger bastard. Otherwise, you will lose.’
ফলে রাজনীতিতে এখন যেকোনও মূল্যে জিততে হবে নীতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে, নিজের দেশকে শ্রীলঙ্কার মতো ব্যর্থতায় পর্যবসিত করে হলেও ক্ষমতায় যেতে চাই। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মতো অবিশ্বাস্য ভয়াবহ ঘটনাবলির প্রায় সব তথ্য যখন বের হয়ে এসেছে, তখন এটা সত্যি বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পড়ে যে, একটি নির্বাচিত সরকার ও নেতৃত্ব তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিকে ধ্বংস করতে কী নির্লজ্জভাবে জঙ্গি ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেছে। এরপর বিএনপিকে বিশ্বাস করার, আস্থায় নেওয়ার সুযোগ কোথায়? একুশে আগস্টের হামলায় কেন বিএনপির নাম এসেছে, বিএনপি কি কখনও এই সূত্র অনুধাবন করার চেষ্টা করেছে?
এ হামলার সঙ্গে বিএনপির যেসব নেতার নাম এসেছে, আদালতের বিচারে দণ্ডিত হয়েছেন, বিএনপি নেতৃত্ব তাদের দল রাখা না রাখা নিয়ে ভেবেছে? গ্রেনেড হামলার দণ্ডিত ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে যে দল বেশি দূর যেতে পারবে না এটি অনুধাবন করে বিএনপি? বিএনপির মধ্যে আত্মশুদ্ধি বা আত্মজিজ্ঞাসার কোনও লক্ষণ আছে কি?
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর জিয়া ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে সংসদ অনুমোদন না করলেই তা বাতিল হয়ে যেত। জিয়া তা না করে ইনডেমনিটিকে সংবিধানের অংশে পরিণত করেছেন। জিয়া যখন একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান ছিলেন তিনি ইচ্ছা করলেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি। জিয়ার পর খালেদা জিয়া ইনডেমনিটি বাতিল না করলেও বঙ্গবন্ধু কন্যা যখন তা বাতিলের উদ্যোগ নিলেন তখন সহায়তা না করলেও নীরব থাকতে পারতেন। কিন্তু তা না করে খালেদা জিয়া ইনডেমনিটি বাতিলের বিরুদ্ধে সংসদ বর্জন ও হরতাল করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের সংসদে স্থান করে দিয়েছেন। ইনডেমনিটি বাতিলের পর যখন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু হলো খালেদা জিয়া বাধা না দিয়ে নীরব থাকতে পারতেন। কিন্তু বেগম জিয়া কূটকৌশল করে তার শাসনামলে ৫টি বছর একদিনের জন্য মামলার বিচারের শুনানি হতে দেননি। এসবই বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও আওয়ামী লীগের প্রতি বিএনপির বৈরী ও ভয়ংকর শত্রুতার বহিঃপ্রকাশ। গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও বিচার পাওয়ার সহজাত মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন। যদি জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ না করতেন, যদি জিয়া কিংবা খালেদা জিয়া খুনিদের বিচার করতেন কিংবা নিদেন পক্ষে বিচারে বিঘ্ন সৃষ্টি না করতেন, যদি খালেদা জিয়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত করতেন কিংবা আইনকে তার স্বাভাবিক গতিতে চলতে দিতেন তাহলে সমাজ ও রাষ্ট্রে যে অভিঘাত সৃষ্টি হয়েছিলো তার অনেকখানিই প্রশমন হতো। কিন্তু তা হয়নি, কারণ বিএনপি তা চায়নি।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা ও আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা এই কথাই নির্দেশ করে যে বিএনপির ১৫ আগস্টের মনোভাবের কোনও পরিবর্তন হয়নি। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা সমষ্টিগতভাবে যখন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়াতে পারেন তখন এটা ভয়ংকর রাজনৈতিক-সামাজিক ব্যাধির নির্দেশ করে। এটি কেবলই একটি রায় বা শাস্তি কার্যকর করার মধ্য দিয়ে নিরাময়ের বিষয় নয়। এর পরিবর্তন হতে হবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির আমূল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার প্রতিহিংসামূলক বাসনা থেকে বেরিয়ে আসার মধ্য দিয়ে। বল বিএনপির কোর্টে। রাজনীতিতে বিশ্বাস ও আস্থা ফেরানোর দায়ভার বিএনপির। যারা এই নৃশংস ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে দায়ভার তাদের। বিএনপিকে অনুধাবন করতে হবে, কিছু অতীত কখনও পুরনো হয় না, সে সারাক্ষণ তাড়িয়ে বেড়ায়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা সমাজ ও রাষ্ট্রে যে অভিঘাত সৃষ্টি করেছে সে ক্ষত সারাবার উদ্যোগ বিএনপিকেই নিতে হবে। অন্যথায়, তা সেরে উঠবার নয়।
মাসুদ করিম - ২৫ আগস্ট ২০২২ (৪:০৩ পূর্বাহ্ণ)
রোহিঙ্গা সঙ্কটের ৫ বছর: আটকে প্রত্যাবাসন, চিন্তা বাড়াচ্ছে জন্মহার
https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/e7qdprc0bm
জ্বলন্ত ঘরবাড়ি আর প্রিয়জনের লাশ পেছনে ফেলে শরণার্থীদের সেই ঢলের পর পাঁচ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে তাদের বাসভূমে ফেরত পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ।
এই সময়ে এই বাংলাদেশেই জন্ম নিয়েছে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা শিশু; তাতে বাংলাদেশের ওপর তৈরি হয়েছে বাড়তি চাপ।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের সেই অনিশ্চিত যাত্রার পাঁচ বছর পূর্ণ হচ্ছে বৃহস্পতিবার।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সেই ঢলের শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট; এরপর কয়েক মাসের মধ্যে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে ওই এলাকার ক্যাম্পে বসবাস করছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।
জাতিসংঘ সে সময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর এই হত্যা ও নির্যাতনকে চিহ্নিত করেছিল ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদী উদাহরণ’ হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার চলতি বছরের মার্চে রোহিঙ্গাদের উপর চালানো ওই হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড’ হিসাবে বর্ণনা করেছে।
বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর থেকে কক্সবাজার ও উখিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বাঁশ আর প্লাস্টিকের খুপড়ি ঘরে বসবাস শুরু করে রোহিঙ্গারা। উখিয়ার কুতুপালং পরিণত হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৭ সালের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় মিয়ানমারের অং সান সু চি সরকার। ওই বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতেও সই করে।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা চলার এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে দুই দফায় প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু মিয়ানমার সরকারের প্রতিশ্রুতিতে রোহিঙ্গারা আস্থা রাখতে না পারায় সেই চেষ্টা ভেস্তে যায়।
এরপর আসে করোনাভাইরাস মহামারী, রোহিঙ্গাদের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগে ঢিল পড়ে। বিশ্বজুড়ে সেই সঙ্কটের মধ্যেই গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সু চির দ্বিতীয় দফার সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন সামরিক জান্তা জেনারেল মিন অং হ্লাইং।
এখন পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আর সেভাবে আলোচনায় নেই।
সামরিক জান্তা মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের কয়েক দিন আগে চীনের নেতৃত্ব প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসেছিল। তার চূড়ান্ত ফল আর পাওয়া যায়নি। ওই সময় বাংলাদেশ আশা করেছিল, ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধে হয়ত প্রত্যাবাসন শুরু করা যাবে। সেই পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখেনি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে অগ্রাধিকারে রাখা বাংলাদেশ সরকার বারবার অভিযোগ করে আসছে, আন্তর্জাতিক মহল প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের উপর যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগের এক বছরের মাথায় চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে নবগঠিত ‘অ্যাড-হক টাস্কফোর্স ফর ভেরিফিকেশন অব দ্য ডিসপ্লেসড পার্সনস ফ্রম রাখাইন’ এর বৈঠক হয়।
এরপর গত ১৪ জুন হয় দুদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) সভা। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব চ্যান আয়ে বৈঠকে নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল, মিয়ানমারের তা যাচাই করে দেখার কথা। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এখনও ওই পর্যন্তই।
”জেডব্লিউজির বৈঠকের আগ পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ ২৯ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক তথ্য মিয়ানমারের কাছে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫৮ হাজারের কিছু বেশি মানুষকে যাচাইবাছাই করার করার কথা জানিয়েছে তারা।”
দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকলেও চলতি বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর আশা প্রকাশ করেছে সরকার।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, নিজেদের স্বার্থেই বাংলাদেশকে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার বহন করা অনেক ‘বড় চাপ’।
“সে কারণে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা এখনো আশাবাদী যে, বছরের শেষে বা বছর শেষের আগে হয়ত শুরু করতে পারব।”
প্রতি বছর বাড়ছে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের ক্যাম্পে প্রতি বছর প্রায় ৩০ হাজার করে শিশুর জন্ম হচ্ছে; রোহিঙ্গাদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে আসছে সরকার।
রোববার জাতিসংঘ এবং এর অঙ্গসংস্থাগুলোর সঙ্গে টাস্কফোর্সের সভাতেও ইউএনএফপিএ এর প্রতি এ বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয় সরকারের তরফ থেকে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ সেদিন সাংবাদিকদের বলেন, “ইউএনএফপিএ এর যে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম আছে, সেটা আরও জোরদার করার জন্য আমরা তাদেরকে অনুরোধ করেছি। এবং তারাও অচিরে কাজ শুরু করবে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ইউএনএফপিএ এর মধ্যে তৈরি করা নীতিগত দলিল ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ওই দলিল দ্রুত অনুমোদন করে কার্যক্রম শুরুর পর্যায়ে যাবে বলে তিনি আশা করছেন।
ঢাকা সফরে আসা ইউএনএফপিএ এর আঞ্চলিক পরিচালককেও ক্যাম্পে পরিবার-পরিকল্পনা কার্যক্রম জোরদারের বিষয়ে বলা হয়েছে জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “প্রতি বছর যে ৩০ হাজার করে যোগ হচ্ছে, এতে করে ওভারঅল পপুলেশন বেড়ে যাচ্ছে।”
সব মিলে ক্যাম্পের জনসংখ্যা কত বেড়েছে, এ প্রশ্নে সচিব বলেন, “১১ লাখের একটা আনুমানিক হিসাব আছে। যেহেতু ৩০ হাজার করে বাড়ছে। যদি চার বছর ধরি, তাহলে ইতোমধ্যে এক লাখের উপরে যোগ হয়েছে।
”এখানে তো সেভাবে শুমারি হয় নাই, সংখ্যাটা আনুমানিক। যেহেতু ৩০ হাজার করে যোগ হচ্ছে সংখ্যাটা (১১ লাখের চেয়ে) একটু বেশিই।”
আর্থিক সহায়তা অপর্যাপ্ত: ইউএনএইচসিআর
রোহিঙ্গা ঢলের পাঁচ বছর পূর্তিতে এসে নির্যাতিত এই শরণার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা ও সংকট সমাধানের জোর প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
মঙ্গলবার সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়, “রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জীবন রক্ষাকারী সুরক্ষা ও সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা অত্যন্ত জরুরি, কিন্তু আর্থিক সহায়তা অপর্যাপ্ত।”
ইউএনএইচসিআরের তত্ত্বাবধানে যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনার (জেআরপি) অধীনে আসা অর্থে কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের থাকা-খাওয়াসহ অন্যান্য ব্যবস্থাপনা চলছে।
প্রলম্বিত রোহিঙ্গা সঙ্কটের মধ্যেই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে আক্রমণ করে বসে রাশিয়া, শুরু হয় যুদ্ধ। ইউরোপেও তখন শরণার্থীদের বড় ধরনের ঢল নামে।
এর ফলে রোহিঙ্গাদের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক মনোযোগ যে ইউক্রেইনের শরণার্থীদের দিকে সরে যেতে পারে, সেই আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তায় টান পড়ার কথা তুলে ধরতে গিয়ে চলতি বছরের ৮ মাসে আসা তহবিলের হিসাব বিবৃতিতে তুলে ধরেছে ইউএনএইচসিআর। সেখানে দেখা যায়, প্রথম আট মাসে অর্থায়ন হয়েছে পরিকল্পনার অর্ধেকেরও কম।
২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ছয়টি জেআরপির অধীনে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছে জাতিসংঘ। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ২০২০ সাল ছাড়া অন্য চারটি জেআরপির অধীনে ১২ মাসে পরিকল্পনার ৭০ শতাংশের বেশি অর্থায়ন হয়েছিল।
ইউএনএইচসিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২২ সালের জেআরপিতে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং পাঁচ লাখেরও বেশি স্থানীয় নাগরিক মিলিয়ে মোট ১৪ লাখ মানুষের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেজন্য প্রয়োজন ৮৮১ মিলিয়ন ডলার।
”আজ পর্যন্ত এর মাত্র ৪৯ শতাংশ তহবিল পাওয়া গেছে, যার পরিমাণ ৪২৬ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।”
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে ইউএনএইচসিআর বলছে, “সবার একসাথে কাজ করতে হবে, যেন রোহিঙ্গারা এই নিদারুণ শরণার্থী জীবন চালিয়ে যেতে বাধ্য না হয়।
”রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে বিশ্বকে আরও জোরেশোরে কাজ করতে হবে, যেন রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে ও টেকসই প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করা যায়।”
ভাসানচরে যুক্ত জাতিসংঘ, আদালতে বিফল মিয়ানমার
রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে স্থানান্তরের বিরোধিতা করলেও সেই অবস্থান বদলে ভাসানচরে শরণার্থীদের জন্য কাজ শুরু করতে সম্মত হয়েছে জাতিসংঘ। এ বিষয়ে গতবছরের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে ইউএনএইচসিআর।
এরপর চলতি বছরের শুরুতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনায় জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানে (জেআরপি) ভাসানচরকে যুক্ত করা হয়।
বেশ কয়েক দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরে তৈরি স্থাপনায় প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করেছে সরকার। চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা ভাসানচরে ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছে।
এদিকে হেগের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় পূর্ণাঙ্গ শুনানির পথ তৈরি হয়েছে। এই মামলা নিয়ে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার তোলা আপত্তি গতমাসে নাকচ করে দিয়েছে জাতিসংঘের এই সর্বোচ্চ আদালত।
আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালের নভেম্বরে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এই মামলা করে। তাতে আপত্তি তুলে মিয়ানমার দাবি করে, আইসিজেতে এ মামলা করার এখতিয়ার গাম্বিয়ার নেই।
মিয়ানমারের সেই আপত্তি খারিজ করে দিয়ে আইসিজের রায়ে বলা হয়েছে, ১৯৪৮ সালের আন্তর্জাতিক জেনোসাইড কনভেনশনে সই করা সব দেশেরই দায়িত্ব হল গণহত্যা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখা। আর সেসব দেশ যখন কোথাও গণহত্যার অভিযোগ করে, তার ওপর শুনানি করার এখতিয়ার এ আদালতের রয়েছে।
https://twitter.com/urumurum/status/1562623400341696513
মাসুদ করিম - ৩১ আগস্ট ২০২২ (৪:০১ অপরাহ্ণ)
Mikhail Gorbachev, Soviet leader who ended cold war, dies aged 91
Russian news agencies report death of last leader of Soviet Union at Central clinical hospital in Moscow
Mikhail Gorbachev, the former Soviet leader whose reforms led to the unlooked for break-up of his own country, and to the demise of communism across central and eastern Europe, has died in Moscow aged 91.
Celebrated abroad as the saviour who delivered freedom to millions of Soviet citizens, he was often blamed at home for the chaotic years that followed, and survived long enough to watch Russia return to autocracy under the rule of Vladimir Putin.
Gorbachev, who won the Nobel peace prize in 1990, had died after a “difficult and protracted illness”, Russian news agencies cited hospital officials as saying on Tuesday. Recent reports suggested he was suffering from a kidney ailment.
Gorbachev was the the first and last president of the Soviet Union. He became the general secretary of the Communist party in 1985, aged just 53, a post he held until the party was itself dissolved in 1991, with the Soviet Union vanishing soon afterwards. His decision not to use force to prevent the toppling of the Berlin Wall, he later claimed, may have averted a third world war.
Joe Biden said he was a man of “remarkable vision”, and that he was held in high esteem for leading his country on the path to reform.
“These were the acts of a rare leader – one with the imagination to see that a different future was possible and the courage to risk his entire career to achieve it,” the US president said in a statement. “The result was a safer world and greater freedom for millions of people.”
António Guterres, secretary general of the United Nations, described Gorbachev as a “towering leader, committed multilateralist, and tireless advocate for peace”.
As well as domestic reform, Gorbachev ushered in a new era of detente with the west, one that has come to a decisive end with Vladimir Putin’s invasion of Ukraine and Russia’s return to international isolation. Gorbachev had barely commented on the war publicly, beyond his foundation making an early call for “an early cessation of hostilities and immediate start of peace negotiations”.
In the past, he had spoken in support of Putin’s decision to annex Crimea in 2014, saying he would have done the same if he had been in the Russian leader’s place. He was banned from Ukraine for five years for his remarks.
But Alexei Venediktov, a friend and the former head of the Ekho Moskvy radio station, recently said that in private Gorbachev was “upset” by the war and suggested that, under Putin, his “life’s work” had been “destroyed”.
It was Gorbachev’s reluctance to use force solutions that would later earn him the Nobel peace prize. He dumped the Brezhnev doctrine, by which Moscow reserved the right to crush dissent within the client states of the Warsaw Pact.
He also forged relationships with world leaders, befriending Margaret Thatcher, who famously said of Moscow’s young, new premier: “We can do business together.”
Gorbachev also warmed to Ronald Reagan, with whom he agreed in 1986 to reduce medium-range nuclear missiles in Europe and who later urged Gorbachev to “tear down!” the Berlin Wall.
In 1988, Gorbachev withdrew troops from the Soviet disaster in Afghanistan. And in summer 1989, he said that communist countries were free to determine their own internal affairs.
Advertisement
They did, in a series of mostly peaceful revolutions that swept across Poland, Hungary, East Germany, Czechoslovakia and – more violently – Romania. At home, Gorbachev struggled to control secessionist claims by the constituent republics of his empire: the Baltic states, Azerbaijan, Armenia, Georgia. This was a bloodier affair.
By 1990-91, the Communist party’s grip was slipping. Gorbachev’s own position was becoming wobblier too, as hardliners sought to arrest the Soviet Union’s nascent implosion. In August 1991, a group of ultra-conservatives seized power in a coup while Gorbachev was on holiday in the Crimea. Their reign lasted three days.
The man who brought it to an end was Boris Yeltsin, the newly elected president of the Russian Federation. Gorbachev remained in office until late 1991, presiding over the Soviet Union’s rapid collapse, as successive republics including Ukraine voted for independence. He exited the political stage on 27 December.
It remains a rarity for a Kremlin leader to step down voluntarily. In an interview with the Guardian in 2011, he still appeared bitter over the rise of his arch-rival: “I was probably too liberal and democratic as regards Yeltsin. I should have sent him as ambassador to Great Britain or maybe a former British colony,” he said.
Yet his decision to step down remains a singular and respected act among many Russian liberals today.
After visiting Gorbachev in hospital on 30 June, the liberal economist Ruslan Grinberg told the armed forces news outlet Zvezda: “He gave us all freedom – but we don’t know what to do with it.”
Alexei Kudrin, a liberal Russian politician who has remained in government, said that Gorbachev’s ideas had “given the country and the whole world a new breath”.
Out of office, Gorbachev founded a charity, Green Cross International, which focused on the toxic nuclear and environmental legacy of the cold war. He made various tries to re-enter politics including an attempted comeback in the 1996 presidential election. All were unsuccessful.
The Soviet hardliners may have been defeated, but by 2000 it was their protege – the unsmiling ex-KGB spy Putin – who was in the Kremlin. Gorbachev’s relationship with Putin was mixed. He approved Putin’s revisionist policy in foreign affairs, including Russia’s 2008 war in Georgia, and the 2014 annexation of the Ukrainian peninsula of Crimea.
A spokesman to Putin, with whom Gorbachev said he had a strained relationship, said that the Kremlin leader expressed his “deep condolences” on his death and would send a telegram to his family in the morning. Gorbachev will be buried in Moscow’s Novodevichy Cemetery next to his wife, Raisa, reports said.
Gorbachev will be associated with his attempts to modernise and to improve the Soviet Union, a process that he ultimately lost control of, leading to the country’s collapse. He told the Guardian in 2011 that one of his proudest achievements was his policy of perestroika – restructuring – which was designed to resuscitate a moribund economy and to bring about change. With it was glasnost or openness, a concept encompassing liberalism and pluralism after decades of censorship and official lies.
But Gorbachev took a dim view of Putin’s slow, systematic squashing of civil society. In several notable speeches he accused him of turning the United Russia party into a bad copy of the Communist party, and of blatant authoritarianism. “He thinks that democracy stands in his way,” Gorbachev said of Putin in 2010.
For its part, Russia’s state media’s has cast Gorbachev in the role of enemy. It has variously portrayed him as a CIA stooge and the man responsible for the Soviet Union’s collapse – “the greatest political catastrophe of the 20th century”, as Putin put it. Mostly, it has ignored him.
In his last years, when he was an active campaigner for charity, following the death of his wife Raisa to cancer, Gorbachev was a paradoxical figure. Abroad, he was viewed as the hero of the cold war, whose actions – or lack of them – ushered in a freer world. In Russia he was largely reviled and unloved, an unperson at best, a traitor at worst.
https://twitter.com/guardian/status/1564824779030515712