মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।
আজকের লিন্ক
এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।
৬ comments
মাসুদ করিম - ৩ জুন ২০২২ (৩:৫৮ পূর্বাহ্ণ)
৫১ বছর পর মেঘালয়ে মুক্তিযোদ্ধারা
https://samakal.com/kaler-kheya/article/2206114614/%E0%A7%AB%E0%A7%A7-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%98%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE
মেঘে ঢাকা মেঘালয়, ঝমঝম টানা বৃষ্টির নৃত্যছন্দে মনকাড়া ভারতীয় রাজ্য। একাত্তরের পর এক-দু’বার ঘুরেছি এই মেঘরাজ্যে, কিন্তু এবারের ভ্রমণটা একেবারে আলাদা। এ বছর মে মাসের ৯ থেকে ১৪ তারিখের এই বেড়ানোটা এমনই স্বতন্ত্র যে, আমরা মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের একদল মুক্তিযোদ্ধা, যাঁরা একাত্তরে মেঘালয়ের পাহাড়গুলোতেই ক্যাম্প গড়েছিলাম, অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম, ভেসে গিয়েছি স্মৃতির অলিন্দে, ফিরে পেয়েছি আমাদের গৌরবের যৌবন।
সিলেটের তামাবিল থেকে মেঘালয় রাজ্যের ডাউকি, তারপর ৮১ কিলোমিটারের সুউচ্চ আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পেরিয়ে রাজধানী শিলং। প্রথম দিকে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় ছিলাম; ছয় দিনের ঠাসা কর্মসূচিতে আমার বন্ধুরা যাঁরা প্রায় সকলেই সত্তর পেরিয়েছেন, তাঁরা কুলিয়ে উঠতে পারবেন তো! কিন্তু একাত্তরের সহযোদ্ধারা সে ভুল ভেঙে দিয়েছেন। বরং অর্ধেক শতাব্দীর পর স্মৃতির পাহাড়গুলোতে হাঁটতে গিয়ে তাঁরা সকলেই শক্তি ফিরে পেয়েছেন, ফিরে গেছেন তাঁদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়ে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির যৌথ উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি দলটির এই সফর আয়োজন করে ভারতের সরকার। শুনেছি, আরও কিছু রাজ্যে এমন সফর হবে। ভারতের মান্যবর হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী নিজেও এ ব্যাপারে উদ্যোগী। এই সফরের কথাটা কানে এসেছিল বেশ আগেই, কিন্তু করোনা মহামারির দীর্ঘ প্রকোপে নির্ধারিত সময়ে হয়ে ওঠেনি। কিন্তু যখন সফরটা হলো, তখন মনে হলো যে, মেঘালয়ের পর্বতমালা আমাদের অঞ্চলের মুক্তিবাহিনীকে আশ্রয় দিয়েছে, যে পাহাড়ের ঝরনাগুলোতে আমরা গোসল করেছি, পাখি ও কীটপতঙ্গের সান্নিধ্য লাভ করেছি; যে দুর্গম পাহাড়-জঙ্গল পরিস্কার করে তাঁবুর পর তাঁবু টানিয়ে বসবাস করেছি, যে ভারতীয় রাজ্যের গারো, খাসিয়া, জৈন্তিয়া জনগোষ্ঠীর মানুষ আমাদের বন্ধু হিসেবে বরণ করেছেন, সেখানে দলবেঁধে আর একবার না গেলে বড় ভুল হতো।
খুব স্পষ্ট করেই বলতে পারি, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের এই সফর বারবার আমাদের তারুণ্যে ফিরিয়ে নিয়েছে; নিয়ে গেছে জাতীয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ গর্বের দিনগুলোতে। সফরটি আরও সার্থকতা পেয়েছে যখন প্রতিনিধি দলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। এই তরুণরা দেখেছে, তাদের পূর্বপুরুষ, যাঁরা একদিন জাতীয় স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে অতিসামান্য অস্ত্র ও যুদ্ধ প্রশিক্ষণে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জীবন দিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তাঁদেরই কয়েকজন অর্ধশতাব্দী পরেও কতটা প্রাণসমৃদ্ধ হতে পারেন! মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সঙ্গে নতুনের এই মেলবন্ধন নিশ্চয়ই আশীর্বাদের।
বলা বাহুল্য, মেঘালয়ের রাজ্য সরকার বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা দলটির এই সফর সার্থক করতে প্রভূত গুরুত্ব দিয়ে কর্মসূচি তৈরি করেছিল। সরকারের আর্টস অ্যান্ড কালচার বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে গোটা সফরটি পরিচালিত হয়েছে। ৯ মে ডাউকির সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী ও রাজ্য প্রশাসনের সমন্বয়ে মুক্তিযোদ্ধা দলটিকে যে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানানে হয়, তাতেই বোঝা গিয়েছিল কতটা গুরুত্বে এই সফরকে দেখা হয়েছে।
প্রথমদিনেই শিলংয়ের ইউ সোসো থাম মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করা হয়। তারপর আপার শিলংয়ে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয় এয়ার মার্শাল এ পি সিং ও সিনিয়র ভারতীয় বিমান যোদ্ধাদের সমন্বয়ে মতবিনিময় এবং সংবর্ধনা সভা।
সফরের বিভিন্ন পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত নানা পাহাড়ে গেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা; গেছেন খাসিয়া জনগোষ্ঠীর পবিত্র মাওফালং বনাঞ্চলে, যেখানে হাজার বছরের পুরোনো বনটি আজও মেঘালয়ের প্রকৃতিদেবতার আরাধনা করে।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের একটি বড় সহায়ক ভূমিকা আছে। পাকিস্তানি সৈন্যদের নির্বিচার গণহত্যা ও নির্যাতনে পিষ্ট লাখ লাখ মানুষ যখন সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও আসামে ঢুকেছে, এই বিএসএফের সদস্যরাই তখন তাঁদের সহায়তা দিয়েছে, মুক্তিবাহিনীর নতুন সদস্যদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিয়েছে, অস্ত্র গোলাবারুদ জুগিয়েছে। সে কারণেই বিএসএফের মেঘালয় অংশের সদরদপ্তরে প্রতিষ্ঠানটির ইন্সপেক্টর জেনারেল ইন্দ্রজিৎ সিং রানা ও সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময়ে সকলের মুখেই সেদিনের কথা উঠে এসেছিল। আরও ভালো লেগেছে যখন প্রশিক্ষণ দানকারী বয়োবৃদ্ধ অন্যতম বিএসএফ সদস্য বিশি রায় অনুষ্ঠানে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
মেঘালয় রাজ্যের মাননীয় গভর্নর ও ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় সংসদবিষয়ক মন্ত্রী সত্যপাল মালিক রাজভবনে বরণ করেন বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধারা মন খুলে কথা বলেন। তাঁর মুখেও বারবার উঠে আসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্তুতি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জয়গান, এমনকি উঠে আসে পল্লীবাংলার ‘আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে’র মতো জনপ্রিয় গান। ব্যক্তিগত সময় দেওয়ার পরেও রাজ্যপাল ২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সম্মানে এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, যাতে রাজ্যের কেবিনেট মন্ত্রী সানবর সুহালি, চিফ সেক্রেটারি শ্রীমতি আর ভি সুচিয়াংসহ শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা যোগ দিয়েছেন। আমাদের লাভ হয়েছে আরেকটা, সেখানেই দেখা হয়েছে এয়ার মার্শাল ডিকে পাটনায়েকের সঙ্গে যিনি ইস্টার্ন এয়ার কমান্ডের অধুনা প্রধান।
এই আনুষ্ঠানিক সম্মানের সাংস্কৃতিক পর্বটি ছিল অসাধারণ। একদিকে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং রাজ্য হিসেবে মেঘালয়ের ৫০ বছর। অতএব সেভাবেই সাজানো হয়েছিল ‘স্যালুটিং দ্য ব্রেভহার্ট’ শিরোনামের পর্বটি। মেঘালয়ের প্রথিতযশা শিল্পীরা একদিকে ব্যক্ত করেছেন একাত্তরে বাঙালির বীরত্বপূর্ণ স্বাধীনতার লড়াই উপাখ্যান, অন্যদিকে প্রদর্শিত হয়েছে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে মেঘালয়বাসীর সাহসী ইতিহাসের একটি অধ্যায়। শুধু এই নয়, আরও উঠে এসেছে এমন একজন প্রবাদপ্রতিম খাসিয়া স্বাধীনতা যোদ্ধার কথা; যিনি ব্রিটিশ উপনিবেশবাদবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এক পর্যায়ে ঢাকার কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন। সর্বশ্রদ্ধেয় সেই খাসিয়া বীরের নাম শহীদ ইউ তীরৎ সিং, যাঁকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনে ঢাকার কারাগারে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। মেঘালয়ের কমিশনার এবং আর্টস অ্যান্ড কালচার বিভাগের সচিব ফ্রেডেরিক রয় খারকনগর আমাকে জানালেন, ভারতীয় হাইকমিশনের সহায়তায় তাঁরা শিগগিরই ঢাকায় শহীদ ইউ তীরৎ সিংয়ের সম্মানে একটি স্মৃতিফলক উম্মোচন করার প্রস্তুতি চালাচ্ছেন।
মেঘালয় রাজ্যের আয়তন ২২ হাজার ৪২৯ কিলোমিটার, বর্তমান জনসংখ্যা ৩০ লাখ। ইংরেজি সরকারি ভাষা হলেও এখানে খাসি, গারোসহ আরও কিছু ভাষা আছে। পূর্ব গারো হিলস-দক্ষিণ গারো হিলস জেলা থেকে দক্ষিণপূর্ব গারো হিলস হয়ে পূর্ব জৈন্তিয়া ও পশ্চিম জৈন্তিয়া হিলস ও পূর্ব পশ্চিমের খাসি হিলস প্রায় পুরোটাই কমবেশি যুক্ত হয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে। বাংলাদেশের সঙ্গে এই রাজ্যের সর্বমোট ৪৪৩ কিলোমিটার লাগোয়া সীমান্ত। এখানকার পাহাড়গুলোতে সেদিন যেমন আশ্রয় নিয়েছিল ৬,৬৭,৪৯১ বাংলাদেশি শরণার্থী, তেমনি গড়ে উঠেছিল একের পর এক মুক্তিবাহিনীর শিবির। অতএব সেই পাহাড়গুলোতে অর্ধশতাব্দী পর ঘুরতে গিয়ে আমরা যেন সকলেই পুরোনো দিনে ফিরে যাই।
অনেকটা অবাক হয়েই লক্ষ্য করেছি, ৫১ বছর পরেও মেঘালয়বাসী মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের সেই পুরোনো আবেগে গ্রহণ করেছেন। খাসি, গারো ও জৈন্তিয়ার এই বন্ধুরা বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক চান। রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা থেকে সাধারণ মানুষ, যখন যার সঙ্গে কথা বলেছি, দেখেছি তাঁরা সীমান্ত লাগোয়া বাংলাদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী। ডাউকি-শিলং সড়কে চোখে পড়েছে শত শত পাথর, লাইমস্টোন ভরা ট্রাক। তামাবিল বন্দরের এক কর্মকর্তা জানালেন দৈনিক কয়েকশ ট্রাক বয়ে নিয়ে যায় পণ্য, যা দেশের নির্মাণকাজে ব্যবহূত হয়। তবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বাংলাদেশ থেকে কী কী পণ্য যায় সে হিসেব জানা নেই আমার। সামান্য কিছু বর্ডার হাট খোলা হয়েছে, সেখানকার লেনদেনও উল্লেখযোগ্য নয়। উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ভারতের অন্য অংশের মতো বাংলাদেশের বহুবিধ পণ্যও মেঘালয়ে যেতে পারে যদি স্থলবন্দরগুলো আধুনিকায়ন করা হয়, সড়কপথের উন্নয়ন ঘটে। এ লক্ষ্যে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ দরকার। আশা করি দুই দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব সে সুযোগ তৈরি করবেন।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের মানবিক, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক সহায়তা ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ২৫ সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা দলটির প্রতিনিধিত্ব করতে হয়েছিল আমাকে। সার্বিক সহযোগিতা করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জীবন কানাই দাস এবং ১১ নম্বর সেক্টরের সহযোদ্ধা ফাররোখ আহমদ। দলের পক্ষ থেকে সব অনুষ্ঠানেই আমি স্মৃতিচারণ করেছি, কখনও করেছেন জীবন কানাই ও ফাররোখ; শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করেছি ভারতের আপামর মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সুবিশাল অবদান ও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর আত্মত্যাগ। বলেছি, দুই দেশের বন্ধুত্বের যে ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৭১ সালে, তা অমোচনীয় কালিতে লেখা, রক্তের অক্ষরে লেখা; আশাবাদ ব্যক্ত করেছি দুই দেশের গণমানুষের স্বার্থে সব দেয়াল উৎরে এই সম্পর্ক কালের সীমা পেরিয়ে এগিয়ে যাক। শেরপুর-বক্সিগঞ্জ থেকে সহযোদ্ধাদের সঙ্গে এনেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মওলা, জামালপুর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজায়েত আলী এবং দেওয়ানগঞ্জ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা তারিকুজ্জামান। সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকেও যুক্ত হয়েছিলেন কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তরুণ বন্ধু। তবে হ্যাঁ, দলটি ছিল খুবই ছোট। এমনই আরও কিছু ভ্রমণ ঘটলে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাই ঘুরে আসতে পারবেন তাঁদের যুদ্ধদিনের স্মৃতির পাহাড়।
এই সফরে দুটি অনুভূতি স্পষ্ট লক্ষ্য করেছি। মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের মধ্যে একদিকে ছিল ফেলে আসা দিন খোঁজার আকুতি, যে মাটি একদিন তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিল, সে মাটি ও মানুষকে নতুন করে দেখার চোখ; অন্যদিকে যে তরুণরা মুক্তিযোদ্ধা দলে যুক্ত হয়েছিলেন, তাঁদের চোখে দেখেছি বিস্ময় তৃপ্তি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সফরসঙ্গী হয়ে ওরা ঘুরেছে দৃষ্টিনন্দন ওয়াডস লেক, গেছে ৪ হাজার ৫০০ ফুট উঁচুর সোরহা বা চেরাপুঞ্জির ইতিহাসখ্যাত বৃষ্টির পাহাড়গুলোতে যেখানে আকাশ থেকে বছরে প্রায় ৪ হাজার ৯০০ মিলিমিটার পানি ঝরে, যে পানি নেমে আসে বাংলাদেশের নদনদীতে। নবীন ও প্রবীণরা সেই ঝমঝম বৃষ্টিতে প্রাণখুলে ভিজেছে, আনন্দে নৃত্য করেছে নহকালিকাইয়ের সুবিশাল জলপ্রপাতে, গেছে বিখ্যাত ডন বসকো জাদুঘরে, গেছে ইতিহাসের পাইনউড হোটেল, অরকিড লেক ও জিভা রিসোর্টে। মেঘালয় কর্তৃপক্ষ বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের জন্য ডাক্তার-ওষুধসহ সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্সও যুক্ত করেছিলেন গাড়িবহরে।
রাজ্যের কমিশনার ও আর্টস অ্যান্ড কালচার বিভাগের সচিব এফ আর খারকনগরের নেতৃত্বে যুগ্ম সচিব কে এল নংব্রির সুদক্ষ নির্দেশনায় সফরটি সাজানো হয়েছিল। প্রথম দিন থেকে মুক্তিযোদ্ধা দলটির সার্বক্ষণিক সঙ্গী হয়েছিলেন রাজ্য প্রটোকল অফিসার মি. ববী ওয়ালাং। বলা বাহুল্য, এমন দক্ষ একজন অফিসার দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন বলেই হয়তো সংকট সইতে হয়নি। আরও ভালো লেগেছে যে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে আসামের গোয়াহাটি থেকে শত মাইল পেরিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শাহ মোহাম্মদ তানভির মনসুর। দেশে ফেরার আগে শিলংয়ের এশিয়ান কনফ্লুয়েন্সে বাঙালি সাংস্কৃতিক পর্ব ও ডাউকির বিদায় অনুষ্ঠানটিও ছিল মনে রাখার মতো। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের জন্মযুদ্ধের স্মৃতিময় ভুবনে যোদ্ধাদের এই ভ্রমণটি ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে।
মাসুদ করিম - ১২ জুন ২০২২ (৩:২৬ পূর্বাহ্ণ)
Bangladesh globe’s 4th worst in cutting pollution
https://today.thefinancialexpress.com.bd/first-page/bd-globes-4th-worst-in-cutting-pollution-1654968828
Bangladesh is the fourth worst country in reducing environmental pollution, according to the global Environmental Performance Index (EPI) 2022 report.
Bangladesh’s position in the index declined 15 steps to 177th out of 180 countries in 2022, the report showed. It had ranked 162nd in the EPI 2020.
The country’s overall score declined to 23.10 points in 2022 from 29 in 2020.
EPI 2022 considers 40 performance indicators under eleven issues including air quality, water and sanitation, heavy metals, biodiversity and habitat, forests, fisheries, climate and energy, air pollution, water resources, agriculture, etc., to prepare the report.
The bi-annual report is produced by researchers at Yale and Columbia universities with support from The McCall MacBain Foundation.
Out of the five worst performers, four are from the South Asia. India is the worst performer (180th out of 180 countries) followed by Myanmar (179th), Vietnam (178th) and Pakistan (176th). Afghanistan is the best performer with its 81st position followed by Bhutan (85th), Maldives 113th, Sri Lanka 132nd and Nepal 162nd.
Denmark, UK, Finland, Malta and Sweden were the five best performing countries respectively to deal with environmental issues, said the report.
Excluding fisheries and agriculture, Bangladesh’s dealing with other issues like biodiversity habitat, acidification, water resources, health, air quality, heavy metal, waste management, climate policy, etc., were very pitiable said the report.
Environment, forest and climate change ministry’s additional secretary Sanjay Kumar Bhowmik told the FE that taking into account environment or climate change issues, Bangladesh has been showing tremendous development for the last one decade.
He said the country was one of the first forty nations to formulate the national determent contribution (NDC) on Carbon emission.
Bangladesh is also one of the first countries to formulate climate change trust fund (BCCTF) with its own resources to deal with the issue, he noted.
He said air quality of Dhaka can’t represent the whole Bangladesh.
He claimed the report was prepared without taking in consideration data of the Bangladesh Bureau of Statistics (BBS) or the environment or forest departments.
He viewed that the Yale and the Columbia University should converse with Bangladeshi data deliverers before preparing such report.
However, the EPI 2022 found outstanding performance of the country in the agriculture and fisheries indicators.
The country has ranked 20th in the fisheries while 72nd in the pesticide management indicator.
In the Sustainable Nitrogen Management Index (SNMI), Bangladesh’s position is pretty good-54th.
SNMI seeks to balance efficient application of nitrogen fertiliser with maximum crop yields as a measure of the environmental performance of agricultural production.
2022 EPI Results: https://epi.yale.edu/epi-results/2022/component/epi
মাসুদ করিম - ২৫ জুন ২০২২ (১:৪১ অপরাহ্ণ)
পদ্মা সেতুর দুয়ার খুললো
https://www.banglatribune.com/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%81/750299/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%B2%E0%A7%8B
নতুন ভোর শুরু হলো বাংলাদেশে। খুললো পদ্মা সেতুর দোর। পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সেতুর উদ্বোধনী ভাষণ দিতে মঞ্চে আসেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণ শেষে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধন খাম, সিলমোহর ও ১০০ টাকার স্মারক নোট উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর গাড়িবহর নিয়ে ১১টা ৫৫ মিনিটে টোল প্লাজায় টোল প্রদান করেন তিনি। ১১টা ৫০ মিনিটে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১১টা ৫৯ মিনিটে সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামীকাল রবিবার (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে পদ্মা সেতু।
এর আগে শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সমাবেশস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
প্রায় সাড়ে তিন হাজার অতিথিকে মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেতুর টোল প্লাজার কিছুটা আগে এক পাশে অস্থায়ী প্যান্ডেলে আয়োজন করা হয় সমাবেশের।
মাসুদ করিম - ২৫ জুন ২০২২ (১:৪৪ অপরাহ্ণ)
‘A symbol of nation’s pride and ability’: PM Hasina opens Padma Bridge amid festivity
https://bdnews24.com/bangladesh/2022/06/25/padma-bridge-is-a-symbol-of-nation-s-pride-and-ability-says-pm-hasina
The Padma Bridge is not a pile of brick and cement but a symbol of Bangladesh’s pride, honour and ability, Prime Minister Sheikh Hasina said on Saturday, as she celebrated the completion of the government-funded project.
“The bridge belongs to the people of Bangladesh. It encapsulates our passion, creativity, courage, endurance and perseverance,” she said during the inauguration of the long-awaited Padma Bridge, the longest in Bangladesh.
The construction of the bridge had been set back by various plots and conspiracies, but eventually, all hurdles were surmounted, the prime minister said.
But the bridge would not be standing tall without the courage and support of the people, according to Hasina.
Looking back on the arduous road to the realisation of a ‘dream’, Hasina noted the World Bank was supposed to finance part of the construction of the Padma Bridge. But the project was thrown into uncertainty when the global lender pulled out in 2012 after raising complaints of corruption over the appointment of consultants for the bridge.
“The Anti-Corruption Commission investigated the allegations and found that no corruption had taken place,” said Hasina. “But when a Canadian court in its verdict said there was no corruption, everyone fell silent.”
After the World Bank withdrew its support as a lender, Hasina famously announced that the bridge would be constructed with Bangladesh’s own funds. “After this announcement, the ordinary people stood by us. We went ahead with the strength they gave us.”
She thanked people on both banks of the mighty river who gave up their land and homes to facilitate the construction of the bridge.
“Some people said we would always be beholden to others but the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman also stressed the importance of self-respect. Many people made contributions with whatever means they had — the bridge was financed by the people after all.”
Hasina also thanked the late Prof Jamilur Reza Choudhury, who led the panel of experts for the project, along with the various international organisations for remaining headstrong in the face of multiple challenges.
The Awami League chief noted the project was stopped in its tracks after the BNP-Jamaat alliance formed a government in 2001.
After sweeping the 2008 general election, the Awami League government set about pursuing the construction of the bridge as a top priority.
The prime minister emphasised that no compromises were made in terms of the quality and standards of construction.
After the Amazon River, the Padma is the most “treacherous and unpredictable” river in the world. But the bridge was built using the best technology, with steel piles going 122 metres deep into the river bed.
Once the bridge opens to traffic on Sunday, it will establish direct connectivity between Dhaka and 21 disadvantaged southwestern regions of the country by road and rail.
This will end the long-standing sufferings of the people of the region on the one hand, and accelerate the economy on the other. Their businesses will expand and their standards of living will improve. The bridge is expected to boost economic growth by 1.23 percentage points.
The prime minister offered her sympathies to her family members and Economic Affairs Adviser Moshiur Rahman, former Communications Minister Syed Abul Hossain and Communications Secretary Mosharraf Hossain Bhuiyan who suffered “extreme mental agonies because of the conspiracies orchestrated by certain quarters” at the planning stage of the mega project.
Hasina also addressed the various concerns raised about the fate of the economy in light of the decision to build the bridge with the country’s own resources.
“On this day of joy, there is no hatred, no animosity towards anyone. I want to express my deepest gratitude to the people of the country. Those who said it would not be possible, I have nothing against them. Many predicted that the economy would collapse if the bridge was built with our own funds,” she said.
“Today, the Padma Bridge has been built. Bangladesh’s economy has not collapsed. We have faced the coronavirus pandemic and after that, the war in Ukraine, but the economy is still moving forward. To the people of Bangladesh, I salute you.”
CELEBRATING A MILESTONE
The prime minister arrived at the inauguration stage by helicopter at 10 am.
She was joined on stage by Cabinet Secretary Khandker Anwarul Alam, Bridges Minister Obaidul Quader and Padma Multipurpose Bridge Project Director Shafiqul Alam.
Nearly 3,000 invited guests, including foreign diplomats, ministers and senior Awami League leaders joined Hasina in celebrating the inauguration of the bridge. Among the guests were Speaker Shirin Sharmin Chaudhury, Chief Justice Hasan Foez Siddique, World Bank Country Director Mercy Tembon, Indian High Commissioner Vikram Doraiswami, and Gonoshasthaya Kendra Trustee Zafrullah Chowdhury.
In an address to the nation, she said, “Let us take an oath to work for the welfare of the country and its people on this historic day. We will build a prosperous Bangladesh that the Father of the Nation had dreamt of by changing the destiny of the people of this country.”
She later unveiled a commemorative postage stamp, commemorative banknote and souvenir sheet to mark the occasion.
PM PAYS FIRST TOLL
After the inaugural speech, the prime minister headed towards the toll plaza in Mawa with her convoy.
But before ascending the bridge, she paid a toll of Tk 750, according to Tania Afrin, who was in charge of the plaza.
Hasina also paid for the other vehicles in her convoy. “In total, she paid Tk 16,400,” said Tania.
The prime minister was also pleased to see a woman at the tollbooth. “She wanted to know my name and asked how I felt. Seeing the prime minister was a dream come true.”
Two decades after laying the foundation stone of the bridge, the prime minister marked a landmark achievement for Bangladesh by unveiling the inaugural plaque and Mural-1 at the toll plaza at Mawa as a barrage of colours filled the air.
SELFIES BY THE BRIDGE OF DREAMS
After inaugurating the Mawa point of the bridge, the prime minister walked down a red carpet and took part in a photo session. Her daughter, Saima Wazed, was by her side.
The two then shared a candid moment as Saima, going outside protocol, took out her mobile phone and grabbed a selfie with her mother.
Hasina was all smiles as she turned her phone towards the bridge before calling Saima over to join a video call. However, it was not clear who was at the other end of the call.
Afterwards, the prime minister and her convoy set off for a ride across the bridge.
On the way to the Zajira end, the convoy made a brief stop as the prime minister got off her car and stood on the bridge. As she soaked up the view, helicopters of the air force flew overhead with the national flag, while aircraft performed aerobatics on the horizon.
Hasina later unveiled another plaque at the Zajira end to cap the inauguration ceremony.
PRAISE POURS IN
“The World Bank is the biggest development partner of Bangladesh and we recognise the importance of this bridge,” Tembon said on Saturday.
The bridge will create jobs, reduce travel time, increase the welfare of people, get produce from farm to market quickly and cut poverty, she said. “We are happy that the bridge is complete and we are happy that Bangladesh will benefit from this bridge. And, as a longstanding partner of Bangladesh, we stand with Bangladesh in this.”
The bridge is a ‘very important’ structure for South Asia and will enhance the connectivity within Bangladesh and in the region, according to Doraiswami.
“It’s a historic day and I wish the people of Bangladesh the best.”
The Bangladesh government has ‘successfully’ completed the project after facing different ‘obstacles’, said Doraiswami.
“I’m looking forward to seeing an increase in regional trade and easy connectivity between India, Bangladesh, Nepal and Bhutan,” he said.
Bangladesh and India will cooperate and move towards the development of the countries in the future, he added.
Dr Zafrullah said it was an honour to have taken part in the 1971 Liberation War and still be here to see the inauguration of the Padma Bridge.
“I have seen a lot of history with my own eyes. I had the privilege of serving in the Liberation War. Today I have the chance to take part in these celebrations.”
He thanked Hasina for turning down calls to name the bridge ‘Hasina Bridge’ to commemorate her achievement.
“The prime minister has done a great thing. She has proven her tremendous wisdom. She is as wise today as her father was on Mar 7.”
For the second segment, Hasina and her entourage travelled to the Zajira end of the bridge. She joined a rally organised by the Awami League at Madaripur’s Kathalbari.
President Abdul Hamid issued a separate message congratulating Bangladeshis to mark the occasion.
Both sides of the bridge and surrounding areas and roads were decorated with colourful festoons and banners highlighting Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, and Hasina ahead of the inauguration.
PROVING DOUBTERS WRONG
In her speech, Hasina once again called out the World Bank for pulling out of the project citing allegations of bribery and corruption, which were never proven.
The World Bank was supposed to finance part of the construction of the Padma Bridge. A decade ago, Bangladesh finalised a $1.2 billion loan contract for the project at an initial estimated cost of $2.9 billion. But the Washington-based agency suspended its loan after raising complaints of corruption over the appointment of consultants for the bridge.
Uncertainty loomed over the bridge after the World Bank walked out on the project in 2012. Later, the Bangladesh government, which repeatedly denied the allegations, went ahead with its self-funded plan for the bridge.
Hasina believes the 6.15-km bridge is a testament to Bangladesh’s capability to thrive and provides a ‘suitable response’ to those who tried to undermine the project.
“We have given them a suitable answer [through the Padma Bridge] and shown that Bangladesh can do it too.”
“People [in the southwest] will not have to suffer anymore. No one has to lose their children, parents or siblings while crossing the fast-flowing Padma. We have now ensured they can get across without any hindrance.”
Hasina also ripped into her BNP counterpart Khaleda Zia for derailing the project and later casting doubt on the Awami League government’s ability to complete the megastructure.
“After we laid the foundation stone of the Padma Bridge in 2001, Khaleda Zia came to power and shut everything down. We restarted the work in 2009 after returning to power. They then said the Awami League will never be able to build the Padma Bridge. Today, I ask Khaleda Zia to come and see if the Padma Bridge has been built.”
The prime minister did not hold back in her criticism of Grameen Bank founder Dr Muhammad Yunus either as she brushed aside claims of irregularities in the project. The government has repeatedly rebuked the Nobel laureate for actively working to cut off funding from the World Bank by drumming up allegations of corruption.
“Who would engage in corruption? This is the bridge of our hearts. Why would there be any corruption in the construction of a bridge on which the people’s fate hangs? ”
“We are building economic zones all over the country. Now that the Padma Bridge has been established, we will have more special economic zones, industrial zones, factories and employment. We will be able to process crops and fish for export. It will put an end to our sorrows and change our fortunes.”
মাসুদ করিম - ২৬ জুন ২০২২ (৩:৫১ পূর্বাহ্ণ)
পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু
https://www.banglatribune.com/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%81/750428/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81
পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের যান চলাচল শুরু হয়েছে বহু প্রতিক্ষিত এ স্থাপনার ওপর দিয়ে। এর আগে পদ্মা সেতুর দুয়ার খুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (২৫ জুন) সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
সকালে পদ্মা সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট পরিমাণ টোল দিয়ে যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে সেতুর ওপর দিয়ে পদ্মা পার হচ্ছে।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুতে ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের জারি করা এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব রক্ষার্থে ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতুর ওপর অনুমোদিত গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, পদ্মা সেতুর ওপর যেকোনও ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা/হাঁটা সম্পূর্ণ নিষেধ।
তিন চাকাবিশিষ্ট যানবাহন (রিকশা, ভ্যান, সিএনজি অটোরিকশা ইত্যাদি), হেঁটে, সাইকেল বা নন-মটোরাইজড গাড়ি যোগে সেতু পারাপার হওয়া যাবে না। গাড়ির বডির চেয়ে বেশি চওড়া এবং ৫.৭ মিটার উচ্চতার চেয়ে বেশি উচ্চতার মালামালসহ যানবাহন সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার করা যাবে না। সেতুর ওপরে কোনও ধরনের ময়লা ফেলা যাবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
রসঙ্গত, সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। দ্বিতল এই সেতুর এক অংশ পদ্মা নদীর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত এবং অপর অংশ নদীর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যুক্ত।
একইসঙ্গে ট্রেন ও গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে এ সেতুতে। চার লেনবিশিষ্ট ৭২ ফুট প্রস্থের এ সেতুর নিচতলায় রয়েছে রেল লাইন। এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সেতুর পাইলিং ও নদীশাসনের কাজ উদ্বোধন করেন। এরপর একে একে সব ধাপ পেরিয়ে পদ্মার বুকে ৪২টি পিলারের ওপর দৃশ্যমান হয়ে ওঠে স্বপ্নের সেতু। এ সেতু চালু হলে বাংলাদেশের জিডিপি ১ দশমিক ২৩ শতাংশ বাড়বে।
https://twitter.com/urumurum/status/1540886274693017600
মাসুদ করিম - ২৭ জুন ২০২২ (৫:১৭ পূর্বাহ্ণ)
পদ্মা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় দুই কোটি টাকা
https://www.banglatribune.com/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%81/750609/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A7%A8%E0%A7%AA-%E0%A6%98%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE
পদ্মা সেতু দিয়ে প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ৫১ হাজারের বেশি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৯ লাখ টাকা।
সোমবার (২৭ জুন) সকালে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল হোসেন জানান, রবিবার সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৫১ হাজারের বেশি যানবাহন পার হয়েছে। এই সময়ে সেতুর দুই প্রান্তে (মাওয়া ও জাজিরা) মোট টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার ৩০০ টাকা।
তিনি আরও জানান, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে সেতু পার হয়েছে ২৬ হাজার ৫৮৯টি গাড়ি এবং টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৯০০ টাকা। একই সময়ে জাজিরা প্রান্ত দিয়ে সেতু পার হয়েছে ২৪ হাজার ৭২৭টি গাড়ি এবং টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা।
এর আগে, গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি টোল দিয়ে সেতু পার হন। রবিবার ভোর ৬টা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল শুরু হয়।
তবে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত আজ সকাল ৬টা থেকে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরদিন রবিবার সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
https://twitter.com/urumurum/status/1541246742414635008