সুপারিশকৃত লিন্ক: অক্টোবর ২০২১

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

১০ comments

  1. মাসুদ করিম - ১ অক্টোবর ২০২১ (৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ)

    মুহিবুল্লাহর পরিবারের সন্দেহ আরসাকে
    https://bangla.bdnews24.com/samagrabangladesh/article1947969.bdnews

    মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে রোহিঙ্গাদের আরেকটি সংগঠন আরসার সদস্যরা হত্যা করেছে বলে সন্দেহ করছে তার পরিবার।

    হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে ২৪ ঘণ্টায়ও চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, খুনিরা রোহিঙ্গা বলেই তাদের ধারণা।

    বৃহস্পতিবার বিকালে মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গ থেকে পুলিশ পাহারায় উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জানাজার পর শরণার্থী শিবিরের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

    এদিকে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে উখিয়ার লম্বাশিয়াসহ আশপাশের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

    বুধবার রাতে হামলার পর পর থেকে ক্যাম্পের মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে এপিবিএনসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লম্বাশিয়া ক্যাম্পের বিভিন্ন স্টেশনের দোকানপাট ছিল বন্ধ রয়েছে। শিবিরের ভেতরে ও বাইরে চলাচলেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাসিন্দারা।

    আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি পিস ফর হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচআর) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে (৪৮) বুধবার রাতে লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি-৭ ব্লকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।

    দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে আসা মুহিবুল্লাহ বাংলাদেশে শরণার্থী হয়ে থাকা ১১ লাখ রোহিঙ্গার সবচেয়ে পরিচিত নেতা হয়ে উঠেছিলেন।

    মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর এলাকার স্কুলশিক্ষক মুহিবুল্লাহ পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে ‘রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে বিবেচিত ছিলেন।

    তাকে হত্যাকাণ্ডে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

    কী বলছে স্বজনরা

    স্বজনরা বলছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রিপাবলিকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) বাংলাদেশে থাকা সদস্যরা এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে।

    বৃহস্পতিবার বিকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গের সামনে মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার রাতে উখিয়ার ১-ইস্ট নম্বর লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্থানীয় মসজিদে দুই ভাই মিলে নামাজ আদায় করেন। এরপর মুহিবুল্লাহসহ তিনি আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি পিস ফর হিউম্যান রাইটস অফিসে যান। সেখানে তিনি (মুহিবুল্লাহ) কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন। পরে তিনি (হাবিবুল্লাহ) ঘরে খাবার খেতে যান।

    “খাবার খাওয়ার এক পর্যায়ে গুলির শব্দ শুনে বের হয়ে আমি এআরএসপিএইচআর অফিসে যাই। এসময় আমার ভাই মুহিবুল্লাহকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখি। তাকে ঘিরে ছিল ১৫/২০ জন অস্ত্রধারী লোকজন।”

    তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে মুখে মাস্ক ও গামছা পরিহিত ওই অস্ত্রধারীরা হামলা চালায়। তবে সেখানে আরও কয়েকজন থাকলেও শুধু মুহিবুল্লাহকে লক্ষ্য করেই গুলি ছুড়েছিল।

    মুখঢাকা হলেও হামলাকারী কয়েকজনকে চিনতে পারার দাবি করে হাবিবুল্লাহ বলেন, “আরসার নেতা মাস্টার আব্দুর রহিম, লালু ও মুর্শিদসহ ৩/৪ জনকে চিনতে পেরেছি। এরা বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করে আসছে। অন্যদের চিনতে পারিনি।”

    হামলার কারণ কী- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য আমেরিকা ও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের সাথে বাংলাদেশের ইতিবাচক আলালোচনা হয়েছে।

    “আমার ভাই মুহিবুল্লাহ দ্রুত প্রত্যাবাসন নিয়ে খুবই আশাবাদী ছিলেন। কাল রাতে এ নিয়েই এআরএসপিএইচআর অফিসে বসে অন্য রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন তিনি।”

    মুহিবুল্লাহর আরেক ভাই আহমদ উল্লাহ বলেন, মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের সর্বজনগ্রাহ্য নেতা হয়ে উঠেছিলেন। তার সঙ্গে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিবর্গের যোগাযোগ ছিল। এ কারণে পুরনো সংগঠন আরসা তার উপর ক্ষুব্ধ ছিল।

    “তারা (আরসার সদস্যরা) আমার ভাই মুহিবুল্লাহকে নেতা মানতে রাজি ছিল না। তারাই (আরসা) প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমার ভাইকে খুন করেছে। এর আগে থেকে প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ না করতে আরসা’র সদস্যরা আমার ভাইকে নানাভাবে হুমকী দিয়ে আসছিল।”

    ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি দাবি জানান নিহত রোহিঙ্গা নেতার এ ছোট ভাই।

    রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায় এবং দ্রুত প্রত্যবাসন নিয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখায়ই মুহিবুল্লাহকে হত্যা করা হয় বলে মনে করেন মুহিবুল্লাহর চাচাত ভাই নুরুল আমিন।

    তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের দ্রুততম সময়ে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিয়ে অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সময় উগ্রবাদী আরসা’র সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে।”

    মুহিবুল্লাহ (৪৮) মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু থানার সিকদার পাড়ার মৃত ফজল আহমদের ছেলে।

    ২০১৭ সালের অগাস্টে আরসার হামলার কারণেই রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযান শুরুর দাবি করেছিল মিয়ানমার সরকার। তখন নিপীড়নের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে মুহিবুল্লাহও বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিলেন।

    রোহিঙ্গা শিবিরে কাজ করা বিভিন্ন এনজিও ও বিদেশি সংস্থার সঙ্গে মুহিবুল্লাহর সম্পর্ক ছিল বেশ ভালো। ইংরেজি জানার সুবাদে তিনি রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি হিসেবে বিদেশিদের সঙ্গে আলোচনা চালাতেন।

    বাংলাদেশে থাকা ১১ লাখ রোহিঙ্গার আবাসস্থল শরণার্থী শিবিরে ২০১৯ সালে যে সমাবেশ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা উঠেছিল, তার উদ্যোক্তা ছিলেন মুহিবুল্লাহ।

    থমথমে পরিস্থিতি, মামলা

    রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর বুধবার রাতেই শরণার্থী শিবিরের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেয় এপিবিএনসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

    যেখানে মুহিবুল্লাহ খুন হন, সেই লম্বাশিয়াসহ আশপাশের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি ছিল বৃহস্পতিবারও। সকাল থেকে লম্বাশিয়া ক্যাম্পের বিভিন্ন স্টেশনের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

    কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ক্যাম্পে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে লম্বাশিয়াসহ আশাপাশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এপিবিএন পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য নিয়োজিত রয়েছে।”

    তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে মুহিবুল্লাহর লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গ থেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হাবিবুল্লাহ লাশ বুঝে নেন। পরে পুলিশ পাহারায় তার লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়।

    খুনের কারণ জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল বলেন, “রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতেই মুহিবুল্লাহ খুন হয়েছে, এটা নিশ্চিত। কিন্তু কেন খুন করল, কারা খুন করল; তা এখন নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।”

    “এ বিষয়ে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা খোঁজ-খবর নিচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে,” বলেন তিনি।

    উখিয়া থানার ওসি আহমেদ মঞ্জুর মোরশেদ জানান, মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় তার ভাই মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা করেছেন।

    মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও খুনিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

  2. মাসুদ করিম - ৫ অক্টোবর ২০২১ (৩:৫৬ পূর্বাহ্ণ)

    The Nobel Prize in Physiology or Medicine 2021
    Press release: The Nobel Prize in Physiology or Medicine 2021
    https://www.nobelprize.org/prizes/medicine/2021/press-release/

    Press release

    2021-10-04

    The Nobel Assembly at Karolinska Institutet

    has today decided to award

    the 2021 Nobel Prize in Physiology or Medicine

    jointly to

    David Julius and Ardem Patapoutian

    for their discoveries of receptors for temperature and touch

    Our ability to sense heat, cold and touch is essential for survival and underpins our interaction with the world around us. In our daily lives we take these sensations for granted, but how are nerve impulses initiated so that temperature and pressure can be perceived? This question has been solved by this year’s Nobel Prize laureates.

    David Julius utilized capsaicin, a pungent compound from chili peppers that induces a burning sensation, to identify a sensor in the nerve endings of the skin that responds to heat. Ardem Patapoutian used pressure-sensitive cells to discover a novel class of sensors that respond to mechanical stimuli in the skin and internal organs. These breakthrough discoveries launched intense research activities leading to a rapid increase in our understanding of how our nervous system senses heat, cold, and mechanical stimuli. The laureates identified critical missing links in our understanding of the complex interplay between our senses and the environment.
    How do we perceive the world?

    One of the great mysteries facing humanity is the question of how we sense our environment. The mechanisms underlying our senses have triggered our curiosity for thousands of years, for example, how light is detected by the eyes, how sound waves affect our inner ears, and how different chemical compounds interact with receptors in our nose and mouth generating smell and taste. We also have other ways to perceive the world around us. Imagine walking barefoot across a lawn on a hot summer’s day. You can feel the heat of the sun, the caress of the wind, and the individual blades of grass underneath your feet. These impressions of temperature, touch and movement are essential for our adaptation to the constantly changing surrounding.

    In the 17th century, the philosopher René Descartes envisioned threads connecting different parts of the skin with the brain. In this way, a foot touching an open flame would send a mechanical signal to the brain (Figure 1). Discoveries later revealed the existence of specialized sensory neurons that register changes in our environment. Joseph Erlanger and Herbert Gasser received the Nobel Prize in Physiology or Medicine in 1944 for their discovery of different types of sensory nerve fibers that react to distinct stimuli, for example, in the responses to painful and non-painful touch. Since then, it has been demonstrated that nerve cells are highly specialized for detecting and transducing differing types of stimuli, allowing a nuanced perception of our surroundings; for example, our capacity to feel differences in the texture of surfaces through our fingertips, or our ability to discern both pleasing warmth, and painful heat.

    Prior to the discoveries of David Julius and Ardem Patapoutian, our understanding of how the nervous system senses and interprets our environment still contained a fundamental unsolved question: how are temperature and mechanical stimuli converted into electrical impulses in the nervous system?

    The science heats up!

    In the latter part of the 1990’s, David Julius at the University of California, San Francisco, USA, saw the possibility for major advances by analyzing how the chemical compound capsaicin causes the burning sensation we feel when we come into contact with chili peppers. Capsaicin was already known to activate nerve cells causing pain sensations, but how this chemical actually exerted this function was an unsolved riddle. Julius and his co-workers created a library of millions of DNA fragments corresponding to genes that are expressed in the sensory neurons which can react to pain, heat, and touch. Julius and colleagues hypothesized that the library would include a DNA fragment encoding the protein capable of reacting to capsaicin. They expressed individual genes from this collection in cultured cells that normally do not react to capsaicin. After a laborious search, a single gene was identified that was able to make cells capsaicin sensitive (Figure 2). The gene for capsaicin sensing had been found! Further experiments revealed that the identified gene encoded a novel ion channel protein and this newly discovered capsaicin receptor was later named TRPV1. When Julius investigated the protein’s ability to respond to heat, he realized that he had discovered a heat-sensing receptor that is activated at temperatures perceived as painful (Figure 2).

    The discovery of TRPV1 was a major breakthrough leading the way to the unravelling of additional temperature-sensing receptors. Independently of one another, both David Julius and Ardem Patapoutian used the chemical substance menthol to identify TRPM8, a receptor that was shown to be activated by cold. Additional ion channels related to TRPV1 and TRPM8 were identified and found to be activated by a range of different temperatures. Many laboratories pursued research programs to investigate the roles of these channels in thermal sensation by using genetically manipulated mice that lacked these newly discovered genes. David Julius’ discovery of TRPV1 was the breakthrough that allowed us to understand how differences in temperature can induce electrical signals in the nervous system.
    Research under pressure!

    While the mechanisms for temperature sensation were unfolding, it remained unclear how mechanical stimuli could be converted into our senses of touch and pressure. Researchers had previously found mechanical sensors in bacteria, but the mechanisms underlying touch in vertebrates remained unknown. Ardem Patapoutian, working at Scripps Research in La Jolla, California, USA, wished to identify the elusive receptors that are activated by mechanical stimuli.

    Patapoutian and his collaborators first identified a cell line that gave off a measurable electric signal when individual cells were poked with a micropipette. It was assumed that the receptor activated by mechanical force is an ion channel and in a next step 72 candidate genes encoding possible receptors were identified. These genes were inactivated one by one to discover the gene responsible for mechanosensitivity in the studied cells. After an arduous search, Patapoutian and his co-workers succeeded in identifying a single gene whose silencing rendered the cells insensitive to poking with the micropipette. A new and entirely unknown mechanosensitive ion channel had been discovered and was given the name Piezo1, after the Greek word for pressure (í; píesi). Through its similarity to Piezo1, a second gene was discovered and named Piezo2. Sensory neurons were found to express high levels of Piezo2 and further studies firmly established that Piezo1 and Piezo2 are ion channels that are directly activated by the exertion of pressure on cell membranes (Figure 3).

    The breakthrough by Patapoutian led to a series of papers from his and other groups, demonstrating that the Piezo2 ion channel is essential for the sense of touch. Moreover, Piezo2 was shown to play a key role in the critically important sensing of body position and motion, known as proprioception. In further work, Piezo1 and Piezo2 channels have been shown to regulate additional important physiological processes including blood pressure, respiration and urinary bladder control.
    It all makes sense!

    The groundbreaking discoveries of the TRPV1, TRPM8 and Piezo channels by this year’s Nobel Prize laureates have allowed us to understand how heat, cold and mechanical force can initiate the nerve impulses that allow us to perceive and adapt to the world around us. The TRP channels are central for our ability to perceive temperature. The Piezo2 channel endows us with the sense of touch and the ability to feel the position and movement of our body parts. TRP and Piezo channels also contribute to numerous additional physiological functions that depend on sensing temperature or mechanical stimuli. Intensive ongoing research originating from this year’s Nobel Prize awarded discoveries focusses on elucidating their functions in a variety of physiological processes. This knowledge is being used to develop treatments for a wide range of disease conditions, including chronic pain (Figure 4).

    The breakthrough by Patapoutian led to a series of papers from his and other groups, demonstrating that the Piezo2 ion channel is essential for the sense of touch. Moreover, Piezo2 was shown to play a key role in the critically important sensing of body position and motion, known as proprioception. In further work, Piezo1 and Piezo2 channels have been shown to regulate additional important physiological processes including blood pressure, respiration and urinary bladder control.
    It all makes sense!

    The groundbreaking discoveries of the TRPV1, TRPM8 and Piezo channels by this year’s Nobel Prize laureates have allowed us to understand how heat, cold and mechanical force can initiate the nerve impulses that allow us to perceive and adapt to the world around us. The TRP channels are central for our ability to perceive temperature. The Piezo2 channel endows us with the sense of touch and the ability to feel the position and movement of our body parts. TRP and Piezo channels also contribute to numerous additional physiological functions that depend on sensing temperature or mechanical stimuli. Intensive ongoing research originating from this year’s Nobel Prize awarded discoveries focusses on elucidating their functions in a variety of physiological processes. This knowledge is being used to develop treatments for a wide range of disease conditions, including chronic pain (Figure 4).

    Key publications

    Caterina MJ, Schumacher MA, Tominaga M, Rosen TA, Levine JD, Julius D. The capsaicin receptor: a heat-activated ion channel in the pain pathway. Nature 1997:389:816-824.

    Tominaga M, Caterina MJ, Malmberg AB, Rosen TA, Gilbert H, Skinner K, Raumann BE, Basbaum AI, Julius D. The cloned capsaicin receptor integrates multiple pain-producing stimuli. Neuron 1998:21:531-543.

    Caterina MJ, Leffler A, Malmberg AB, Martin WJ, Trafton J, Petersen-Zeitz KR, Koltzenburg M, Basbaum AI, Julius D. Impaired nociception and pain sensation in mice lacking the capsaicin receptor. Science 2000:288:306-313

    McKemy DD, Neuhausser WM, Julius D. Identification of a cold receptor reveals a general role for TRP channels in thermosensation. Nature 2002:416:52-58

    Peier AM, Moqrich A, Hergarden AC, Reeve AJ, Andersson DA, Story GM, Earley TJ, Dragoni I, McIntyre P, Bevan S, Patapoutian A. A TRP channel that senses cold stimuli and menthol. Cell 2002:108:705-715

    Coste B, Mathur J, Schmidt M, Earley TJ, Ranade S, Petrus MJ, Dubin AE, Patapoutian A. Piezo1 and Piezo2 are essential components of distinct mechanically activated cation channels. Science 2010:330: 55-60

    Ranade SS, Woo SH, Dubin AE, Moshourab RA, Wetzel C, Petrus M, Mathur J, Bégay V, Coste B, Mainquist J, Wilson AJ, Francisco AG, Reddy K, Qiu Z, Wood JN, Lewin GR, Patapoutian A. Piezo2 is the major transducer of mechanical forces for touch sensation in mice. Nature 2014:516:121-125

    Woo S-H, Lukacs V, de Nooij JC, Zaytseva D, Criddle CR, Francisco A, Jessell TM, Wilkinson KA, Patapoutian A. Piezo2 is the principal mechonotransduction channel for proprioception. Nature Neuroscience 2015:18:1756-1762

    David Julius was born in 1955 in New York, USA. He received a Ph.D. in 1984 from University of California, Berkeley and was a postdoctoral fellow at Columbia University, in New York. David Julius was recruited to the University of California, San Francisco in 1989 where he is now Professor.

    Ardem Patapoutian was born in 1967 in Beirut, Lebanon. In his youth, he moved from a war-torn Beirut to Los Angeles, USA and received a Ph.D. in 1996 from California Institute of Technology, Pasadena, USA. He was a postdoctoral fellow at the University of California, San Francisco. Since 2000, he is a scientist at Scripps Research, La Jolla, California where he is now Professor. He is a Howard Hughes Medical Institute Investigator since 2014.

    https://twitter.com/NobelPrize/status/1444958764965236738

  3. মাসুদ করিম - ৬ অক্টোবর ২০২১ (২:২৭ পূর্বাহ্ণ)

    ঢাকা নগরীতে ২৫ ‘হিট আইল্যান্ড’
    https://bangla.bdnews24.com/environment/article1949931.bdnews

    গরমের মধ্যে পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে ঢাকায় তাপপ্রবাহের ফলে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ২৫টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে এক গবেষণায়। এই এলাকাগুলোর নাম গবেষকরা দিয়েছেন ‘হিট আইল্যান্ড’।

    বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জার্মান রেড ক্রস এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর যৌথভাবে ঢাকা শহরের তাপদাহ নিয়ে ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি অন হিট ওয়েভ ইন ঢাকা’ শীর্ষক একই গবেষণা চালায়। গত সেপ্টেম্বরেই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

    বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহকারী পরিচালক ও ফোরকাস্ট বেইজড অ্যাকশনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ শাহজাহান সাজু বলেন, এজন্য জিআইএস সফটঅয়্যার ব্যবহার করে ঢাকায় ‘হিট আইল্যান্ড’ বের করার চেষ্টা করেছেন তারা।

    “এ গবেষণা পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকায় করা হয়েছে। ঢাকায় তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতার মধ্যে মহানগরের ‘হিট আইল্যান্ড’গুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।”

    ঢাকার হিট আইল্যান্ডগুলো
    বাড্ডা, গুলশান, কামরাঙ্গীরচর, মিরপুর, গাবতলী, গোড়ান, বাসাবো, টঙ্গী, শহীদনগর, বাবুবাজার, পোস্তগোলা, জুরাইন, হাজারীবাগ, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, কুর্মিটোলা, আজমপুর, উত্তরা, কামারপাড়া, মোহাম্মদিয়া হাউজিং, আদাবর, ফার্মগেইট, তেজকুনিপাড়া, নাখালপাড়া, মহাখালী।

    দুই কোটি মানুষের বাস ঢাকা নগরীতে তাপপ্রবাহের প্রবণতা বাড়িয়ে তুলেছে ঘনবসতিপূর্ণ বসবাস, বড় বড় দালান, প্রচুর গাড়ি, অনেক কারখানা।

    অসহনীয় গরমে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঢাকায় হিট ওয়েভ বা তাপপ্রবাহের প্রবণতা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘হিট আইল্যান্ড’গুলোতে গড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। ঘনবসতিপূর্ণ এসব এলাকায় গরম তখন তাপপ্রবাহের পর্যায়ে চলে যায়।

    পরপর তিন দিন ও বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে উচ্চ তাপমাত্রা থাকলে তবেই তাকে বলে তাপপ্রবাহ। থার্মোমিটারের পারদ চড়তে চড়তে যদি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে, আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়।

    শাহজাহান সাজু বলেন, “সাধারণত ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা রিজনেবল, এর উপরে গেলে অসহনীয় হয়ে পড়ে। ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ডিগ্রি হলে ‘আর্লি অ্যাকশনস’ নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছি আমরা।”

    আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ড. আব্দুল মান্নান বলেন, সারা পৃথিবীতে তাপমাত্রা বাড়ছে, বাংলাদেশ অংশেও বাড়ছে। এ কারণে ‘হিট ওয়েভের কন্ডিশন’ও বাড়ছে।

    তার মতে, ঢাকা শহরে হিট ওয়েভের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে কিছু কিছু এলাকা, যেখানে হিট ওয়েভ সহনশীলতার বাইরে চলে যাবে। যেখানে উঁচু ভবন, কারখানা রয়েছে কিংবা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা।

    মান্নান বলেন, “খুলনা, বরিশাল এবং রাজশাহী- এসব সিটি এলাকাগুলোও আস্তে আস্তে হিট ওয়েভ কন্ডিশনের জন্য ক্রমাগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।”

    শাহজাহান সাজু বলেন, “এ বছর পাইলটিং করেছি। এখন আরও বড় পরিসরে করা দরকার। এ জন্য পরিকল্পনা রয়েছে।”

    গরম কখন কেমন

    >> গত ২৪ এপ্রিল যশোরে এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    >> এপ্রিলের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের অধিকাংশ এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল।

    >> এপ্রিল মাসে নেত্রকোনা, মদন, খালিয়াজুড়ি, কেন্দুয়া, কিশোরগঞ্জের নিকলী, করিমগঞ্জ, সদর এলাকাসহ বিস্তীর্ণ জনপদে বয়ে যায় ‘হিটশক’।

    >> মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ছিল ৩৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    >> ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। একই বছর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ৪০ ডিগ্রিতে উঠেছিল।

    >> গত দুই যুগে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল যশোরে। তার আগে ১৯৯৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠেছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

    >> স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে রেকর্ড ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল।

    তাপপ্রবাহ বাড়ছে, বিস্তৃতও হচ্ছে

    আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, এপ্রিল-জুলাই মাসে ‘হিট ওয়েভ’ ঘটে বেশি। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেও এ ধরনের প্রবণতা হয়ে থাকে।

    এবার সেপ্টেম্বরের শেষেও উত্তরাঞ্চলে অনেক জায়গায় তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।

    মান্নান বলেন, “আমরা বজ্রপাতের ঝুঁকি ক্রমান্বয়ে বাড়তে দেখছি সাম্প্রতিককালে, এর সঙ্গে হিট ওয়েবও প্রবণতা দেখছি। গত দু’বছরে জুলাই মাসে দেখেছি বেশ। টাইম-স্পেস চেঞ্জ হচ্ছে … গত কয়েক বছরে প্রি-মুনসুন পিরিয়ডে হিট ওয়েব অতটা ডমিনেট করেনি। এ বছর বিশেষ করে মার্চ থেকে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে মে পর্যন্ত বেশ কয়েকটি হিট ওয়েভ হয়েছিল। এর মধ্যে চারটি ছিল খুবই স্ট্রং, লম্বা পিরিয়ড ধরে।

    ঢাকাসহ দেশের বড় নগরীগুলোর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ধীরে ধীরে ‘হিট ওয়েব’ প্রবণ হয়ে উঠছে বলে জানান তিনি।

    মান্নান বলেন, “চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী- এসব সিটি এলাকাগুলো আস্তে আস্তে ক্রমাগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ হত না, তার মধ্যে ছিল সিলেট। প্রচুর বৃষ্টিপাত, স্থানীয় আবহাওয়াগত কারণে সাধারণত হিট ওয়েব দেখা যেত না। একটা এনালাইসিসে দেখলাম, সিলেট অঞ্চলে হিট ওয়েবের প্রবণতা প্রতিবছরই বাড়ছে। এ বছরও যে হিট ওয়েবগুলো হয়েছিল, সবগুলোরই বর্ধিতাংশ সিলেট পর্যন্ত ছিল। আগে চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রকট ছিল না। এ বছর শুধু সীতাকুণ্ডই নয়, রাঙামাটি পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল; ৩৯.৩ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠেছে।”

    ঝুঁকিতে যারা, তাদের জন্য চাই সহায়তা

    এতদিন না ভাবলেও তাপপ্রবাহের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার সময় এখন হয়েছে বলে মনে করেন আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান।

    তিনি বলেন, “ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে সতর্ক করতে হবে। সালাইন, পানীয়, ওষুধ সরবরাহ ও প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তার বিষয়টি রয়েছে।”

    ‘হিট ওয়েভ’ আবহাওয়াগত ঘটনা হলেও বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার কারণে এটা ক্রমেই বাড়ছে। এ বছর কানাডায় তাপপ্রবাহে বহু মানুষ মারা গেছে।

    তাপপ্রবাহে অনেকের নানা ধরনের অসুবিধা হয়, বিশেষ সমস্যায় পড়ে কর্মহীন হয়ে পড়ে খেটেখাওয়া ও দিনমজুররা। বয়স্কদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে; অনেকের ডায়রিয়া হয়, খাদ্যাভাব ও পুষ্টির অপ্রতুলতায় বিভিন্ন রকমের অসুস্থতা দেখা দেয়।

    মান্নান বলেন, “এমন আন-ইউজুয়াল ফেনোমেনা, হিট ওয়েবে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস, হিট ওয়েভের পূর্বাভাস লাগবে; সেই সঙ্গে যারা ঝুঁকিপূর্ণ, তাদের জন্য সহায়তা লাগবে।”

    গবেষণার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সহকারী পরিচালক শাহজাহান বলেন, “স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। অনেকে বুঝতে পারছে না, কী কারণে এ শহর অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিভিন্ন ধরনের রোগ হচ্ছে মানুষের, অনেক সময় হিট স্ট্রোক হচ্ছে, এর জন্যে কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে, তা নিয়ে সচেতন করা দরকার।”

    https://twitter.com/urumurum/status/1445562560489476105

  4. মাসুদ করিম - ৬ অক্টোবর ২০২১ (৫:২১ পূর্বাহ্ণ)

    The Nobel Prize in Physics 2021
    https://www.nobelprize.org/prizes/physics/2021/summary/

    The Nobel Prize in Physics 2021 was awarded “for groundbreaking contributions to our understanding of complex systems” with one half jointly to Syukuro Manabe and Klaus Hasselmann “for the physical modelling of Earth’s climate, quantifying variability and reliably predicting global warming” and the other half to Giorgio Parisi “for the discovery of the interplay of disorder and fluctuations in physical systems from atomic to planetary scales.”

    “This work holds up a light for other scientists going forward”
    Immediately after the announcement, Professor John Wettlaufer, member of the Nobel Committee for Physics, was interviewed by freelance journalist Joanna Rose regarding the 2021 Nobel Prize in Physics. https://www.youtube.com/watch?v=Ezsbf42_RTA

    Press release: The Nobel Prize in Physics 2021

    5 October 2021

    The Royal Swedish Academy of Sciences has decided to award the Nobel Prize in Physics 2021

    “for groundbreaking contributions to our understanding of complex physical systems”

    with one half jointly to

    Syukuro Manabe
    Princeton University, USA

    Klaus Hasselmann
    Max Planck Institute for Meteorology, Hamburg, Germany

    “for the physical modelling of Earth’s climate, quantifying variability and reliably predicting global warming”

    and the other half to

    Giorgio Parisi
    Sapienza University of Rome, Italy

    “for the discovery of the interplay of disorder and fluctuations in physical systems from atomic to planetary scales”

    https://twitter.com/NobelPrize/status/1445325078451867651

    Physics for climate and other complex phenomena

    Three Laureates share this year’s Nobel Prize in Physics for their studies of chaotic and apparently random phenomena. Syukuro Manabe and Klaus Hasselmann laid the foundation of our knowledge of the Earth’s climate and how humanity influences it. Giorgio Parisi is rewarded for his revolutionary contributions to the theory of disordered materials and random processes.

    Complex systems are characterised by randomness and disorder and are difficult to understand. This year’s Prize recognises new methods for describing them and predicting their long-term behaviour.

    One complex system of vital importance to humankind is Earth’s climate. Syukuro Manabe demonstrated how increased levels of carbon dioxide in the atmosphere lead to increased temperatures at the surface of the Earth. In the 1960s, he led the development of physical models of the Earth’s climate and was the first person to explore the interaction between radiation balance and the vertical transport of air masses. His work laid the foundation for the development of current climate models.

    About ten years later, Klaus Hasselmann created a model that links together weather and climate, thus answering the question of why climate models can be reliable despite weather being changeable and chaotic. He also developed methods for identifying specific signals, fingerprints, that both natural phenomena and human activities imprint in he climate. His methods have been used to prove that the increased temperature in the atmosphere is due to human emissions of carbon dioxide.

    Around 1980, Giorgio Parisi discovered hidden patterns in disordered complex materials. His discoveries are among the most important contributions to the theory of complex systems. They make it possible to understand and describe many different and apparently entirely random materials and phenomena, not only in physics but also in other, very different areas, such as mathematics, biology, neuroscience and machine learning.

    “The discoveries being recognised this year demonstrate that our knowledge about the climate rests on a solid scientific foundation, based on a rigorous analysis of observations. This year’s Laureates have all contributed to us gaining deeper insight into the properties and evolution of complex physical systems,” says Thors Hans Hansson, chair of the Nobel Committee for Physics.

    Syukuro Manabe, born 1931 in Shingu, Japan. Ph.D. 1957 from University of Tokyo, Japan. Senior Meteorologist at Princeton University, USA.

    Klaus Hasselmann, born 1931 in Hamburg, Germany. Ph.D. 1957 from University of Göttingen, Germany. Professor, Max Planck Institute for Meteorology, Hamburg, Germany.

    Giorgio Parisi, born 1948 in Rome. Italy. Ph.D. 1970 from Sapienza University of Rome, Italy. Professor at Sapienza University of Rome, Italy

    Prize amount: 10 million Swedish kronor, with one half jointly to Syukuro Manabe and Klaus Hasselmann and the other half to Giorgio Parisi

  5. মাসুদ করিম - ৭ অক্টোবর ২০২১ (৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ)

    The Nobel Prize in Chemistry 2021
    https://www.nobelprize.org/prizes/chemistry/2021/press-release/

    6 October 2021

    The Royal Swedish Academy of Sciences has decided to award the Nobel Prize in Chemistry 2021 to

    Benjamin List
    Max-Planck-Institut für Kohlenforschung, Mülheim an der Ruhr, Germany

    David W.C. MacMillan
    Princeton University, USA

    “for the development of asymmetric organocatalysis”

    An ingenious tool for building molecules

    Building molecules is a difficult art. Benjamin List and David MacMillan are awarded the Nobel Prize in Chemistry 2021 for their development of a precise new tool for molecular construction: organocatalysis. This has had a great impact on pharmaceutical research, and has made chemistry greener.

    Many research areas and industries are dependent on chemists’ ability to construct molecules that can form elastic and durable materials, store energy in batteries or inhibit the progression of diseases. This work requires catalysts, which are substances that control and accelerate chemical reactions, without becoming part of the final product. For example, catalysts in cars transform toxic substances in exhaust fumes to harmless molecules. Our bodies also contain thousands of catalysts in the form of enzymes, which chisel out the molecules necessary for life.

    Catalysts are thus fundamental tools for chemists, but researchers long believed that there were, in principle, just two types of catalysts available: metals and enzymes. Benjamin List and David MacMillan are awarded the Nobel Prize in Chemistry 2021 because in 2000 they, independent of each other, developed a third type of catalysis. It is called asymmetric organocatalysis and builds upon small organic molecules.

    “This concept for catalysis is as simple as it is ingenious, and the fact is that many people have wondered why we didn’t think of it earlier,” says Johan Åqvist, who is chair of the Nobel Committee for Chemistry.

    Organic catalysts have a stable framework of carbon atoms, to which more active chemical groups can attach. These often contain common elements such as oxygen, nitrogen, sulphur or phosphorus. This means that these catalysts are both environmentally friendly and cheap to produce.

    The rapid expansion in the use of organic catalysts is primarily due to their ability to drive asymmetric catalysis. When molecules are being built, situations often occur where two different molecules can form, which – just like our hands – are each other’s mirror image. Chemists will often only want one of these, particularly when producing pharmaceuticals.

    Organocatalysis has developed at an astounding speed since 2000. Benjamin List and David MacMillan remain leaders in the field, and have shown that organic catalysts can be used to drive multitudes of chemical reactions. Using these reactions, researchers can now more efficiently construct anything from new pharmaceuticals to molecules that can capture light in solar cells. In this way, organocatalysts are bringing the greatest benefit to humankind.

    Benjamin List, born 1968 in Frankfurt, Germany. Ph.D. 1997 from Goethe University Frankfurt, Germany. Director of the Max-Planck-Institut für Kohlenforschung, Mülheim an der Ruhr, Germany.

    David W.C. MacMillan, born 1968 in Bellshill, UK. Ph.D. 1996 from University of California, Irvine, USA. Professor at Princeton University, USA.

    Prize amount: 10 million Swedish kronor, to be shared equally between the Laureates.

    https://twitter.com/NobelPrize/status/1445687884158160904

    https://twitter.com/NobelPrize/status/1445828970205749248

  6. মাসুদ করিম - ৮ অক্টোবর ২০২১ (৫:০০ পূর্বাহ্ণ)

    The Nobel Prize in Literature 2021
    https://www.nobelprize.org/prizes/literature/2021/press-release/

    Press release
    7 October 2021

    The Nobel Prize in Literature 2021
    Abdulrazak Gurnah

    The Nobel Prize in Literature for 2021 is awarded to the novelist Abdulrazak Gurnah, born in Zanzibar and active in England,

    “for his uncompromising and compassionate penetration of the effects of colonialism and the fate of the refugee in the gulf between cultures and continents”.

    https://twitter.com/NobelPrize/status/1446105543614074881

    https://twitter.com/NobelPrize/status/1446067987417649153

  7. মাসুদ করিম - ৯ অক্টোবর ২০২১ (৩:৫২ পূর্বাহ্ণ)

    The Nobel Peace Prize 2021
    https://www.nobelprize.org/prizes/peace/2021/press-release/

    Maria Ressa
    Dmitry Muratov

    Announcement

    The Norwegian Nobel Committee has decided to award the Nobel Peace Prize for 2021 to Maria Ressa and Dmitry Muratov for their efforts to safeguard freedom of expression, which is a precondition for democracy and lasting peace. Ms Ressa and Mr Muratov are receiving the Peace Prize for their courageous fight for freedom of expression in the Philippines and Russia. At the same time, they are representatives of all journalists who stand up for this ideal in a world in which democracy and freedom of the press face increasingly adverse conditions.

    Maria Ressa uses freedom of expression to expose abuse of power, use of violence and growing authoritarianism in her native country, the Philippines. In 2012, she co-founded Rappler, a digital media company for investigative journalism, which she still heads. As a journalist and the Rappler’s CEO, Ressa has shown herself to be a fearless defender of freedom of expression. Rappler has focused critical attention on the Duterte regime’s controversial, murderous anti-drug campaign. The number of deaths is so high that the campaign resembles a war waged against the country’s own population. Ms Ressa and Rappler have also documented how social media is being used to spread fake news, harass opponents and manipulate public discourse.

    Dmitry Andreyevich Muratov has for decades defended freedom of speech in Russia under increasingly challenging conditions. In 1993, he was one of the founders of the independent newspaper Novaja Gazeta. Since 1995 he has been the newspaper’s editor-in-chief for a total of 24 years. Novaja Gazeta is the most independent newspaper in Russia today, with a fundamentally critical attitude towards power. The newspaper’s fact-based journalism and professional integrity have made it an important source of information on censurable aspects of Russian society rarely mentioned by other media. Since its start-up in 1993, Novaja Gazeta has published critical articles on subjects ranging from corruption, police violence, unlawful arrests, electoral fraud and ”troll factories” to the use of Russian military forces both within and outside Russia.

    Novaja Gazeta’s opponents have responded with harassment, threats, violence and murder. Since the newspaper’s start, six of its journalists have been killed, including Anna Politkovskaja who wrote revealing articles on the war in Chechnya. Despite the killings and threats, editor-in-chief Muratov has refused to abandon the newspaper’s independent policy. He has consistently defended the right of journalists to write anything they want about whatever they want, as long as they comply with the professional and ethical standards of journalism.

    Free, independent and fact-based journalism serves to protect against abuse of power, lies and war propaganda. The Norwegian Nobel Committee is convinced that freedom of expression and freedom of information help to ensure an informed public. These rights are crucial prerequisites for democracy and protect against war and conflict. The award of the Nobel Peace Prize to Maria Ressa and Dmitry Muratov is intended to underscore the importance of protecting and defending these fundamental rights.

    Without freedom of expression and freedom of the press, it will be difficult to successfully promote fraternity between nations, disarmament and a better world order to succeed in our time. This year’s award of the Nobel Peace Prize is therefore firmly anchored in the provisions of Alfred Nobel’s will.

    Oslo, 8 October 2021

    https://twitter.com/NobelPrize/status/1446400172125302784

    https://twitter.com/NobelPrize/status/1446400807377776642

    https://twitter.com/NobelPrize/status/1446401186681217037

  8. মাসুদ করিম - ৯ অক্টোবর ২০২১ (৩:৫৬ অপরাহ্ণ)

    চলে গেলেন পদার্থবিজ্ঞানী হারুন-অর-রশীদ
    https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1951739.bdnews

    বাংলাদেশে তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলো যার লেখনীতে সহজবোধ্য হয়ে ধরা দিয়েছিল, সেই অধ্যাপক এ এম হারুন-অর-রশীদ আর নেই।

    বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে।

    পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অধ্যাপক হারুনের বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত এই অধ্যাপক একুশে ও স্বাধীনতা পদকে ভূষিত।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক আরশাদ মোমেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদের।

    বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদের জানাজা হয়। এরপর মিরপুরের একটি কবরস্থানে দাফনের জন্য কফিন নিয়ে যাওয়া হয়।

    অধ্যাপক হারুনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।

    এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, “অধ্যাপক ড. এ এম হারুন-অর-রশীদ ছিলেন আদর্শবান, দেশপ্রেমিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ সম্পন্ন একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক ও গবেষক।”

    অধ্যাপক হারুনের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান, বোস সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের পরিচালক এবং ইউজিসি অধ্যাপকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনের কথা স্মরণ করেন অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।

    “পদার্থ বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসার ও গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।”

    হারুন-অর-রশিদের জন্ম ১৯৩৩ সালের ১ মে বরিশালের নলছিটির বাহাদুরপুর গ্রামে।

    ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে পদার্থবিজ্ঞানে বিএসসি এবং সমন্বিতভাবে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের উপর সর্বোচ্চ নম্বরসহ ১৯৫৪ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছাত্র হিসেবে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজা কালীনারায়ণ বৃত্তি লাভ করেন।

    ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন হারুন-অর-রশীদ। এরপর পিএইচডি ডিগ্রি নেন যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি থেকে।

    ১৯৭২ থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোস সেন্টারের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    দেশ-বিদেশের বহু নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক হারুন।

    নোবেলজয়ী পদার্থ বিজ্ঞানী আবদুস সালামের সঙ্গে তার সখ্য ছিল, একসঙ্গে গবেষণাও করেন তারা।

    অধ্যাপক হারুন একমাত্র বাংলাদেশি যিনি পরপর তিন বার নোবেল পুরস্কার মনোনয়ন কমিটির সদস্য (১৯৭২, ১৯৮৬, ১৯৯৩) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    বাংলাদেশ সরকার ১৯৯১ সালে তাকে ‘একুশে পদক’, ২০০৯ সালে ‘স্বাধীনতা পদকে’ ভূষিত করে।

    বিজ্ঞানের উপর লেখা অধ্যাপক হারুনের বইগুলো দেশে বিজ্ঞান চর্চায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ওপর ইংরেজি ও বাংলায় পঞ্চাশটিরও বেশি বই লিখেছেন তিনি।

    কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেটের সদস্য, বাংলা একাডেমির নির্বাহী কাউন্সিল, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সরকারের ন্যাশনাল কারিকুলাম কমিটি ও এক্সামিনেশন রিফর্মস কমিটি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    ২০০৬ সালে তিনি ইউজিসি অধ্যাপক নিযুক্ত হয়েছিলেন।

  9. মাসুদ করিম - ১১ অক্টোবর ২০২১ (৪:৫০ অপরাহ্ণ)

    Sveriges Riksbank Prize in Economic Sciences in Memory of Alfred Nobel 2021
    https://www.nobelprize.org/prizes/economic-sciences/2021/press-release/

    David Card
    Joshua D. Angrist
    Guido W. Imbens

    11 October 2021

    The Royal Swedish Academy of Sciences has decided to award the Sveriges Riksbank Prize in Economic Sciences in Memory of Alfred Nobel 2021

    with one half to

    David Card
    University of California, Berkeley, USA

    “for his empirical contributions to labour economics”

    and the other half jointly to

    Joshua D. Angrist
    Massachusetts Institute of Technology, Cambridge, USA

    Guido W. Imbens
    Stanford University, USA

    “for their methodological contributions to the analysis of causal relationships”

    Natural experiments help answer important questions for society

    This year’s Laureates – David Card, Joshua Angrist and Guido Imbens – have provided us with new insights about the labour market and shown what conclusions about cause and effect can be drawn from natural experiments. Their approach has spread to other fields and revolutionised empirical research.

    Many of the big questions in the social sciences deal with cause and effect. How does immigration affect pay and employment levels? How does a longer education affect someone’s future income? These questions are difficult to answer because we have nothing to use as a comparison. We do not know what would have happened if there had been less immigration or if that person had not continued studying.

    However, this year’s Laureates have shown that it is possible to answer these and similar questions using natural experiments. The key is to use situations in which chance events or policy changes result in groups of people being treated differently, in a way that resembles clinical trials in medicine.

    Using natural experiments, David Card has analysed the labour market effects of minimum wages, immigration and education. His studies from the early 1990s challenged conventional wisdom, leading to new analyses and additional insights. The results showed, among other things, that increasing the minimum wage does not necessarily lead to fewer jobs. We now know that the incomes of people who were born in a country can benefit from new immigration, while people who immigrated at an earlier time risk being negatively affected. We have also realised that resources in schools are far more important for students’ future labour market success than was previously thought.

    Data from a natural experiment are difficult to interpret, however. For example, extending compulsory education by a year for one group of students (but not another) will not affect everyone in that group in the same way. Some students would have kept studying anyway and, for them, the value of education is often not representative of the entire group. So, is it even possible to draw any conclusions about the effect of an extra year in school? In the mid-1990s, Joshua Angrist and Guido Imbens solved this methodological problem, demonstrating how precise conclusions about cause and effect can be drawn from natural experiments.

    “Card’s studies of core questions for society and Angrist and Imbens’ methodological contributions have shown that natural experiments are a rich source of knowledge. Their research has substantially improved our ability to answer key causal questions, which has been of great benefit to society,” says Peter Fredriksson, chair of the Economic Sciences Prize Committee.

    11 October 2021

    The Royal Swedish Academy of Sciences has decided to award the Sveriges Riksbank Prize in Economic Sciences in Memory of Alfred Nobel 2021

    with one half to

    David Card
    University of California, Berkeley, USA

    “for his empirical contributions to labour economics”

    and the other half jointly to

    Joshua D. Angrist
    Massachusetts Institute of Technology, Cambridge, USA

    Guido W. Imbens
    Stanford University, USA

    “for their methodological contributions to the analysis of causal relationships”

    Natural experiments help answer important questions for society

    This year’s Laureates – David Card, Joshua Angrist and Guido Imbens – have provided us with new insights about the labour market and shown what conclusions about cause and effect can be drawn from natural experiments. Their approach has spread to other fields and revolutionised empirical research.

    Many of the big questions in the social sciences deal with cause and effect. How does immigration affect pay and employment levels? How does a longer education affect someone’s future income? These questions are difficult to answer because we have nothing to use as a comparison. We do not know what would have happened if there had been less immigration or if that person had not continued studying.

    However, this year’s Laureates have shown that it is possible to answer these and similar questions using natural experiments. The key is to use situations in which chance events or policy changes result in groups of people being treated differently, in a way that resembles clinical trials in medicine.

    Using natural experiments, David Card has analysed the labour market effects of minimum wages, immigration and education. His studies from the early 1990s challenged conventional wisdom, leading to new analyses and additional insights. The results showed, among other things, that increasing the minimum wage does not necessarily lead to fewer jobs. We now know that the incomes of people who were born in a country can benefit from new immigration, while people who immigrated at an earlier time risk being negatively affected. We have also realised that resources in schools are far more important for students’ future labour market success than was previously thought.

    Data from a natural experiment are difficult to interpret, however. For example, extending compulsory education by a year for one group of students (but not another) will not affect everyone in that group in the same way. Some students would have kept studying anyway and, for them, the value of education is often not representative of the entire group. So, is it even possible to draw any conclusions about the effect of an extra year in school? In the mid-1990s, Joshua Angrist and Guido Imbens solved this methodological problem, demonstrating how precise conclusions about cause and effect can be drawn from natural experiments.

    “Card’s studies of core questions for society and Angrist and Imbens’ methodological contributions have shown that natural experiments are a rich source of knowledge. Their research has substantially improved our ability to answer key causal questions, which has been of great benefit to society,” says Peter Fredriksson, chair of the Economic Sciences Prize Committee.

    https://twitter.com/NobelPrize/status/1447502041467793408

  10. মাসুদ করিম - ১২ অক্টোবর ২০২১ (৫:০৭ অপরাহ্ণ)

    যেভাবে ‘আইনের শাসন’ ভঙ্গ হয়
    https://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/67741

    ‘আইনের শাসন তত্ত্ব’ নিয়ে কিছু সংখ্যক অধ্যাপক, বােদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে আপত্তি থাকলেও বিচার বিভাগ মােটামুটি এ তত্ত্ব গ্রহণ করেছে বলেই মনে হয়।

    তাৎক্ষণিকভাবে আমার মনে পড়ে যে, ৮ম সংশােধনী মােকদ্দমা, ৫ম সংশােধনী মােকদ্দমা, ১৩তম সংশােধনী মােকদ্দমা, ৭ম সংশােধনী ইত্যাদি মােকদ্দমার রায়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনের শাসন তত্ত্ব গ্রহণ করেছে, এমনকি ব্রেক্সিট মােকদ্দমায় (২০১৭) যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট লর্ড নিউবার্গার তার রায়ের বিভিন্ন অনুচ্ছেদে ‘আইনের শাসন’ অনুমােদন করেছেন। তার রায়ের ৪২ দফায় তিনি বলেন:

    In the broadest sense, the role of judiciary is to uphold and further the rule of law; …

    তবে আইনের শাসন প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে হামদানের মামলাটি দুঃখজনক। ইংল্যান্ডের আর্ল অব ক্লারেনডানের মত যুক্তরাষ্ট্র কিউবার ‘গুয়ান্তামো বে’র সামরিক ঘাঁটিতে এক কারাগার নির্মাণ করে। সেখানে বন্দিদের বিনা বিচারে অন্তরীণ রাখা হতাে। কারাগারটি যুক্তরাষ্ট্রের এলাকার বাইরে বিধায় হেবিয়াস করপাস রিট ‘গুয়ান্তানামো বে’-তে অবস্থিত কারাগারের গভর্নরের উপর জারি করা হয়তো সম্ভব ছিল না। ভুল হতে পারে, তবে সন্দেহ হয় যে হয়তাে সে কারণেই সেখানে কারাগারটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

    যা হােক। প্রতীয়মান হয় যে হামদানকে নভেম্বর ২০০১ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন তার বিরুদ্ধে কোনাে অভিযােগ ছিল না। ২০০৪ সালে তার বিরুদ্ধে অভিযােগ আনা হয়। তাকে সামরিক কমিশনের মাধ্যমে বিচার করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ইতােমধ্যে কংগ্রেস ৩০ ডিসেম্বর ২০০৫ তারিখে ‘ডিটেইনি ট্রিটমেন্ট আ্যাক্ট’ প্রণয়ন করে। এই আইন গুয়ান্তানামো কারাগারে বন্দিদের পক্ষে হেবিয়াস করপাস রিট দায়েরের পথ বারিত বা রুদ্ধ করে। হামদান সামরিক কমিশনের দ্বারা তার বিচারকে চ্যালেঞ্জ করে মােকদ্দমা দায়ের করেন।

    এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের আইনের আওতায় Theo bald Wolfe Tone (১৭৯৮) এবং যুক্তরাষ্ট্রের আইনের আওতায় Ex parte Milligan (১৮৬৬) মােকদ্দমা দুইটি সংক্ষেপে আলােচনা দরকার।

    উলফ টোন একজন আইরিশ বিপ্লবী ছিলেন। তিনি ফরাসি সামরিক বাহিনীর সাথে কাজ করে তাদের মদদে আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতার কথা চিন্তা করেছিলেন। যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনীর হাতে উলফ টোন ধরা পড়লে তাকে ডাবলিনে কোর্ট মার্শাল করে প্রাণদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়। যেহেতু তিনি বেসামরিক ব্যক্তি ছিলেন, আয়ারল্যান্ডের কিংস বেঞ্চ রিট অব হেবিয়াস কর্পাসের আবেদন অনুমােদন করে তাকে ছেড়ে দেওয়ার হুকুম দেয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সামরিক কর্মকর্তা উলফ টোনকে মুক্তি দেয় না। ফলে লর্ড প্রধান বিচারপতি শেরিফকে উলফ টন ও সংশ্লিষ্ট সামরিক কর্তা- দুইজনকেই হেফাজতে নেওয়ার হুকুম দেন।

    এ ঘটনা প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডাইসি বলেন:

    .. it will be admitted that no more splendid assertion of the supremacy of law can be found than the protection of Wolfe Tone by the Irish Bench.

    (ইন্ট্রোডাকশন টু দ্য স্টাডি অব ল অব কনস্টিটিউশন, ২৯৪ পৃষ্ঠা, ইএলবিএস এডিশন, ১৯৬৮)

    Ex parte Milligan (১৮৬৬) মােকদ্দমায় গৃহযুদ্ধ চলার সময়ে ল্যামডিন পি. মিলিগান নামে একজন বেসামরিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে উত্তর আমেরিকার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযােগ আনা হয়। সে বেসামরিক ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও একটি সামরিক কমিশন বিচারে তাকে প্রাণদণ্ডের আদেশ দেয়। তার পক্ষে রিট অব হেবিয়াস কর্পাস আবেদনের প্রেক্ষিতে যেহেতু ইনডিয়ানা রাজ্যে কোনাে বিদ্রোহ ছিল না, যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে মিলিগানকে মুক্ত করার নির্দেশ দেয়। বিচারপতি ডেভিস তার রায়ে বলেন:

    .. No graver question was ever considered by this court, nor one which more nearly concerns the rights of the whole people; for it is the birth-right of every American citizen, when charged with crime, to be tried and punished according to law. .. By the protection of the law human rights are secured; withdraw that protection, and they are at the mercy of wicked rulers, or the clamor of an excited people. If there was law to justify this military trial, it is not our province to interfere; if there was not, it is our duty to declare the nullity of the whole proceedings. ..

    The Constitution of the United States is a law for rulers and people, equally in war and in peace, and covers with the shield of its protection all classes of men, at all times, and under all circumstance.

    ম্যাগনা কার্টা থেকে আমরা জানি যে কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযােগের অনুপস্থিতিতে কাউকে অন্তরীণ রাখা যায় না। আমরা এটাও জানি যে সুনির্দিষ্ট অভিযােগ থাকলে তার পক্ষে ‘রিট অব হেবিয়াস কর্পাস’ আবেদন এমনিই রক্ষণীয় নয়। তা সত্ত্বেও কী কারণে গুয়ান্তামো বে কারাগারে রক্ষিত বন্দিদের পক্ষে এ রিট আবেদন আইন করে বারিত বা নিষিদ্ধ করা হলাে তার কারণ বােধগম্য নয়।

    আমরা সাধারণত যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রকে উদারনৈতিক গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে অনুসরণ করে থাকি। কিন্তু সেখানেও হামদানের মত অনেক বন্দিকে গুয়ান্তানামো বে কারাগারে বিনা অভিযােগে অন্তরীণ রাখার কারণ অবােধ্য।

    বিচারপতি স্টিভেন্স বলেন,

    .. None of the overt acts alleged to have been committed in furtherance of the agreement is itself a war crime, or even necessarily occurred during time of, or in a theater of, war. Any urgent need for imposition or execution of judgment is utterly belied by the record; Hamdan was arrested in November 2001 and he was not charged until mid-2004. These simply are not the circumstances in which, by any stretch of the historical evidence or this Courtās precedents, a military commission established by Executive Order under the authority of Article 21 of the UCMJ may lawfully try a person and subject him to punishment.

    VI

    Whether or not the Government has charged Hamdan with an offense against the law of war cognizable by military commission, the commission lacks power to proceed. (Phot 85)

    তার রায়ের আর একটি জায়গায় তিনি বলেন:

    The procedures adopted to try Hamadan also violate the Geneva Conventions. (reft 42)

    বিচারপতি স্টিভেন্স উপসংহারে বলেন,

    .. in undertaking to try Hamdan and subject him to criminal punishment, the Executive is bound to comply with the Rule of Law that prevails in this jurisdiction. (PT 93)

    যা হােক, সুপ্রিম কোর্ট এক্ষেত্রেও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার প্রয়াস পেয়েছে।

    গুয়ান্তানামো বে কারাগার প্রসঙ্গে ২০০৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য বুদ্ধিজীবী পণ্ডিত অধ্যাপক নোয়াম চমস্কি বলেন:

    A country with any shred of self-respect will be vigilant to ensure that it does not take part in this criminal savagery.

    এ প্রসঙ্গে লর্ড টম বিনহাম এর মন্তব্য স্বব্যাখ্যায়ত ও প্রণিধানযােগ্য:

    The motive of the United States Government in detaining terrorist suspect at Guantanamo Bay was exactly the same as Clarendon/s: to deny them the remedy of habeas corpus provided in domestic law which, it was thought, could not be invoked by detainees held at an American military base in Cuba. Much litigation, and much suffering, would have been avoided had the rule of law been observed at Guantanamo from the start as it was required to be in the UK in 1679.

    (রুল অব ল, পৃষ্ঠা ২৩, প্রকাশ ২০১০)

    এই মন্তব্যের সাথে দ্বিমত করার কোনাে অবকাশ নেই।

    ইদানিং শােনা যাচ্ছে যে গুয়ান্তামো বে কারাগার বন্ধ হতে যাচ্ছে। শুভস্য শীঘ্রম।

    কোনাে বিশেষ ক্ষেত্রে আইনের শাসন ভঙ্গ হয়েছে কিনা তা সাধারণত বিচার বিভাগই সিদ্ধান্ত নেয়। যেমন, উপরের মােকদ্দমায় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট নিয়েছে। কিন্তু এই বিচারের ক্ষমতা যাদের হাতে তারা যদি নিজেরাই আইনের শাসন মেনে না চলেন তবে তাদেরকে ‘আইনের শাসন তত্ত্ব’ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে, এটা একটা লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে এক্ষেত্রে বিচারকরা কি আইন অনুসারে বিচার করবেন, নাকি ক্ষেত্রবিশেষে তাদের নিজেদের বিবেচনা অনুসারে বিচার করবেন? যদি কোনাে বিচারক আইনকে উপেক্ষা করে আইনের আবরণে নিজের বিবেচনা অনুসারে বিচার করেন, তাহলে বিচার হলাে বটে, কিন্তু আইন অনুসারে নয়। এ ধরনের বিচারকে বড়জোর কাজীর বিচার বলা যায়। ফলে বিচার ব্যবস্থায় অরাজকতা সৃষ্টি হয়, বিচারের ক্ষেত্রেও আইনের শাসনের ব্যত্যয় ঘটে। এ ধরনের অবস্থা চিন্তা করেই Terminiello Vs. City of Chicago 33 US 1, 11 (1949) মােকদ্দমায় বিচারপতি ফেলিক্স ফ্র্যাংকফুর্টার বলেন:

    We do not sit like kadi under a tree, dispensing justice according to consideration of individual expediency.

    আদালত আইনের বৈধতা বিবেচনা করবে, আইনের বিচক্ষণতা নয়, সেটা দেখার জন্য জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা রয়েছেন। Noble State Bank Vs Haskell 219 US 575 (1911) মোকদ্দমায় বিচারপতি অলিভার ওয়েনডেল হোমস, জুনিয়র বলেন:

    We fully understand .. the powerful argument that can be made against the wisdom of this legislation, but that point we have no concern.

    অনেক সময় বিচারকরাই আবেদনকারীকে প্রতিকার দেওয়ার জন্য অতি উৎসাহী হয়ে ওঠেন। কিন্তু খেয়াল করেন না যে আইনের সীমানা অতিক্রম করেছেন কিনা। যদি করেন, তবে আইনের শাসন বিচারক নিজেই ভঙ্গ করবেন, যা একেবারেই অনভিপ্রেত।।

    এ বিষয়ে Central Board of Secondary Education Vs. Nikhil Gulatc (1998) 7 SCC 89 (para 12) মোকদ্দমায় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের সময়ােচিত সতর্কীকরণ প্রণিধানযােগ্য:

    Occasional aberrations such as these, whereby ineligible students are permitted, under court orders, to undertake Board and/or University examinations, have caught the attention of this Court many a time. To add to it further, the Courts have almost always observed that the instance of such aberrations should not be treated as a precedent in future. Such a casual discretions by the Court is nothing but an abuse of process; more so when the High Court at its level itself becomes conscious that the decision was wrong and was not worth repeating as a precedent. It should better desist from passing such orders, at it puts the ÔRule of Law’ to a mockery, and promotes rather the ‘Rule of Man’.

    (দ্য রুল অব থাম্ব, ভি.জে. টারাপরেভালা, পৃষ্ঠা ২৪)

    অলিভার ওয়েন্ডেল হোমস এবং লার্নেড হ্যান্ড তাদের সময়ের নামকরা বিচারক এবং জুরিস্ট ছিলেন। দুইজন সম্পর্কে অধ্যাপক রোনাল্ড ডোরকিন তার ‘জাস্টিস ইন রোবস’ গ্রন্থের শুরুতে একটি বর্ণনা দেন:

    একদিন হোমস সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পথে তরুণ ছাত্র লার্নেড হ্যান্ড-কে তার ঘােড়ার গাড়িতে উঠিয়ে কলেজের কাছে পৌঁছে দেন। গাড়ী থেকে নেমে লারনেড হ্যান্ড বলে ওঠেন, ‘Do justice, Justice’; ইতােমধ্যে গাড়িটি কিছুদূর এগিয়ে গিয়েছিল। হোমস গাড়িটি ফিরিয়ে এনে হ্যান্ডকে অবাক করে বললেন, ‘That is not my job’।

    মধ্যযুগের প্রারম্ভে অনেক সময় রাজা নিজেই ‘ফাউন্টেইন অব জাস্টিস’ হিসেবে তার বিবেচনা অনুসারে বিচার করতেন। পরবর্তীতে রাজার পক্ষে লর্ড চ্যান্সেলর সাধারণ ন্যায়নীতি বা ইকুইটি অনুসারে বিচার করতেন। এভাবেই ৭০০ বছর আগে ‘চ্যান্সেরি কোর্ট’ এর জন্ম।

    মধ্যযুগের শেষ ভাগে প্রশ্ন উঠলাে যে আইন কি ‘ন্যায়’ বা ‘ইক্যুইটি’কে অনুসরণ করবে। তখন আইন প্রণয়ন করে আইন ও ‘ইক্যুইটি’ বিচার একই আদালতের আওতাধীন করা হলাে। বিধান করা হলাে যে ন্যায় আইনকে অনুসরণ করবে।

    এ কারণেই সংশ্লিষ্ট সকলকেই মনে রাখতে হবে যে নিজেদের বিবেচনা অনুসারে বিচার করতে গিয়ে আইন যেন হারিয়ে না যায় বা চাপা পড়ে। ভয় হয় যাদের হাতে আইনের শাসন সমুন্নত রাখার দায়িত্ব তাদের হাতেই আইনের শাসন না কোমায় চলে যায়।

    বিচারপতি বেঞ্জামিন এন. কারডোজো তার ন্যাচার অব দ্য জুডিশিয়াল প্রসেস গ্রন্থে বিচারকদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্বন্ধে বলেন:

    The judge, even when he is free, is not wholly free. He is not to innovate at pleasure. He is not a knight-errant roaming at will in pursuit of his own ideal of beauty or of goodness. He is to draw his inspiration from his consecrated principles. He is not to yield to spasmodic sentiment, to vague and unregulated benevolence ..

    একটি বিষয়ে আলােকপাত করা প্রয়ােজন। প্রায়ই দেখা যায় মামলা বিচারাধীন রয়েছে এ অজুহাতে আইনবােদ্ধারা প্রবন্ধ লিখে বিচারিক বিষয়ে মতামত প্রকাশ করা থেকে নিরুৎসাহিত করেন। কিন্তু এই প্রসঙ্গে ব্রেক্সিট মােকদ্দমায় লর্ড নিউবার্গার গণমাধ্যমে এই ধরনের আলােচনার প্রশংসাই করেছেন:

    .. We have also been much assisted by a number of illuminating articles written by academics following the heading down of the judgmen of the Divisional Court. It is a tribute to those articles that they have resulted in the arguments advanced before this Court being somewhat different from, and more refined than, those before that court.

    এ প্রসঙ্গে বিচারকরা তাদের দায়িত্ব আরম্ভ করার পূর্বে যে শপথ বাক্য প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেন তার প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা প্রয়ােজন:

    .. আমি বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান করিব; এবং আমি ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া সকলের প্রতি আইন-অনুযায়ী যথাবিহীত আচরণ করিব।

    কাজেই একজন বিচারককে, তিনি যে দেশেরই হােন, তাকে আইন অনুযায়ী-ই বিচার করতে হবে, অন্যথায় শুধু আইনের শাসনের ব্যত্যয় ঘটবে না, সংবিধানও ভঙ্গ হতে পারে।দুঃখজনক হলেও সত্য যে এক্ষেত্রে আমাদের সর্বোচ্চ আদালতের অতীতের ভূমিকা মােটেই সন্তোষজনক ছিল না।

    ১৯৭০ সালের শেষদিকে এবং ১৯৮০ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সংবিধান সমুন্নত রাখার পরিবর্তে তাকে ভূলুণ্ঠিত করে। সামরিক শাসন চালু থাকার সময়ে নিষ্পত্তিকৃত Halima Khatun Vs. Bangladesh 30 DLR (SC) (1978) 207 মােকদ্দমায় সুপ্রিম কোর্ট ঘােষণা করে:

    .. with the declaration of Martial Law in Bangladesh on August 15, 1975, … by Clause (d) and (c) of the Proclamation made the Constitution of Bangladesh, which was allowed to remain in force, subordinate to the Proclamation and any Regulation or order as made by the President inpursuance thereof ..

    সামরিক শাসন প্রত্যাহার হওয়ার পরেও State Vs. Haji Joynal Abedin 32 DLR (AD) (1980) 110 মােকদ্দমায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ঘােষণা করে:

    .. it leaves no room for doubt that the Constitution though not abrogated, was reduced to a position subordinate to the proclamation, ..

    সর্বোচ্চ আদালতের আরও কয়েকটি রায়ে এভাবেই ৩০ লাখ শহীদদের রক্তের অক্ষরে লিখিত মহান সংবিধানের শ্রেষ্ঠত্ব ভূলুণ্ঠিত হয়। এ রায়গুলি শুধু আইনের শাসনের ব্যত্যয় নয়, সংবিধানও ভঙ্গ হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আইনের শাসন বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, ব্যর্থ হয়েছে।

    যা হােক, প্রায় ৩০ বছর পরে Siddique Ahmed Vs. Government of Bangladesh 64 DLR (AD) (2013) 08 মােকদ্দমায় আপিল বিভাগই উপরে বর্ণিত রায়গুলি রহিত করে, বিচার বিভাগে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনে। তবে আবারও পদস্খলন হবে না তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।

    এ প্রসঙ্গে, লর্ড ডেনিং এর সেই বিখ্যাত উক্তি সব সময় মনে রাখতে হবে যে, বিচারককে ‘Ivory tower’ (জনবিচ্ছিন্ন) থাকলে চলবে না। তাদেরকেও সাধারণ জনগণের ‘Scrutiny’ বা সমালােচনার সম্মুখীন হতে হবে।

    বিচারকরাও জনগণের সেবক। তাদের কর্তব্য আইন অনুসারে বিচার করা, আইনের শাসন সমুন্নত রাখা, তাদেরও জনগণের কাছে জবাবদিহিতা রয়েছে। তবেই আইনের শাসন থাকবে, তবেই মহান সংবিধান সমুন্নত থাকবে, ত্রিশ লাখ শহীদদের কাছে আমাদের সকলের ঋণ সামান্য হলেও পরিশােধ হতে পারে।

    এ পর্যন্ত আইনের শাসনের আলােকে রাষ্ট্রের প্রধান তিন অঙ্গের সম্পর্ক ও অবস্থান আলােচনা করা হলাে।

    প্রতিটি অঙ্গে কর্মরত ব্যক্তিরা, যেমন, সাংসদ, পার্লামেন্ট সদস্য বা সিনেট সদস্য এবং রিপ্রেজেনটেটিভ সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য প্রথমত সংবিধান তৎপর অন্যান্য আইন অনুসারে পরিচালিত হয়।

    একইভাবে রাষ্ট্রের নির্বাহী কর্মকর্তারা, যেমন, মন্ত্রী বা সেক্রেটারি অব স্টেট ও অন্যান্য সেক্রেটারি- সকলেরই দায়িত্ব-কর্তব্য আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রত।

    তাছাড়া, রাষ্ট্রের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী, সকলেই আইনের নিগড়ে আবদ্ধ। বিশেষ করে রাষ্ট্রের সেই সকল বিভাগে যারা কর্মরত যাদের সরাসরি ক্ষমতা প্রয়ােগ করার অধিকার রয়েছে (যেমন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) সেইসব বাহিনীর জন্য আইনের শাসনের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পৃথক পৃথক আইন ও বিধি রয়েছে। সকল বাহিনী তাদের জন্য নির্দিষ্ট আইনের বিধান মেনে চলতে বাধ্য। যেমন, বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনীর জন্য প্রযােজ্য ‘পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল’l ও সংশ্লিষ্ট অন্য বিধি বিধান পুলিশ সদস্যের উপর বাধ্যকর। সে সকল আইন ও বিধি তাদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মানতে হবে। অন্যথায় আইনের শাসন ব্যহত হবে এবং তারা আইন অনুসারে বিচারের সম্মুখীন হবেন। অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে আইন তাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিলেও সেই ক্ষমতা অত্যন্ত সংযতভাবে ব্যবহার করতে হবে।

    একইভাবে বাংলাদেশের কোনাে সাংসদ যদি নৈতিক স্খলনজনিত কোনাে ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্য দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তাহলে সংবিধান অনুসারে তার সংসদ সদস্যপদ বাতিল হবে এবং মুক্তি লাভের পর পাঁচ বছর শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি সাংসদ হওয়ার যােগ্য হবেন না। অন্যথায় আইনের শাসন ব্যহত হবে।

    এমনিভাবে যদি কেউ ফৌজদারী অপরাধ সংঘটন করেন, তবে তিনি যত উচ্চ ও সম্মানজনক পদেই থাকুন না কেন, পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য। অন্যথায় আইনের শাসন ব্যহত হবে এবং দায়িত্বে অবহেলার জন্য পুলিশ দায়ী হবে। একারণেই রাষ্ট্রকে দক্ষ ও কার্যকর আইন প্রয়ােগকারী সংস্থা এবং নিরপেক্ষ ও বলিষ্ঠ বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ কর্তব্য রাষ্টের। অন্যথায় সব আয়ােজন ব্যর্থ হবে।

    কোনাে আইন প্রয়ােগকারী সংস্থার কর্মচারী যদি ফৌজদারী অপরাধ করে তাকেও বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। সকলকেই মনে রাখতে হবে, ভয় পেতে হবে যে আইন ভঙ্গ করলে তাকেও শাস্তি পেতে হবে।

    উপরের প্রত্যেকটি ক্ষেত্র আইনের শাসনের উদাহরণ। যদি কোনাে কারণে আইন অমান্য করা হয়, বা আইন অনুসারে পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলেই আইনের শাসনের ব্যত্যয় হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেও শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।

    উপরের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আইনের শাসনের কথা বলা হয়েছে কারণ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই আইন ভঙ্গকারীকে, তিনি যত বড় শক্তিশালী ব্যক্তিই হােন না কেন, একই আইনের বিধান অনুসারে শাস্তি ভােগ করতে হবে। ফৌজদারী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রেও একই আইনের বিধান অনুসারে একই আদালতে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে এবং অপরাধ প্রমাণিত হলে একই পদ্ধতিতে শাস্তি পেতে হবে, তবে অপরাধ প্রমাণিত হলে মুক্তি পাবে।

    যদিও আইন ভঙ্গকারীকে আদালতে বিচারক বিচার করে আইনের শাসন সমুন্নত করবেন, কিন্তু তিনি যদি নিজেই আইন ভঙ্গ করেন বা অপরাধ করেন- তবে আইনের শাসন তাকে ক্ষমা করবে না। আইনের মানদণ্ডে তারও বিচার হবে। বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক দেশে একই বিধান।

    মনে রাখতে হবে যে অপরাধী যদি কারাে ক্ষতি করে বা কারাে বিরুদ্ধে অপরাধ করে, সে যেন মানবজাতির বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত করলাে। এখানেই আইনের শাসনের শ্রেষ্ঠত্ব।

    ইংল্যান্ডে ১৬৬০ এর দশকে আর্ল অব ক্লারেনডন যে রকম বন্দিরা যাতে রিট অব হেবিয়াস এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় সে জন্য প্রচ্ছন্ন উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে বন্দিদেরকে এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে স্থানান্তর করে আইনের শাসন ভঙ্গ করেছেন, একইভাবে আপাত কোনাে অভিযােগ ব্যতিরেকে বছরের পর বছর গুয়ান্তামো বে কারাগারে বিনা বিচারে অন্তরীণ রাখাও আইনের শাসনের পরিপন্থি।

    ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিনোসেটাতে প্রতিবাদ চলার সময়ে জনৈক জর্জ ফ্লয়েডকে ডেরেক শভিন নামে একজন পুলিশ কর্মকর্তা হাঁটুর নিচে তার ঘাড় চেপে রাখার ফলে তার মৃত্যু ঘটে। বিচারে ডেরেক শভিনের এর সাড়ে বাইশ বছর জেল হয়। তাছাড়া, মিনোপোলিস কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৭ মিলিয়ন ডলার ফ্লয়েডের পরিবারকে দেয়। একেই বলে আইনের শাসন।

    আমাদের দেশেও অনেক সময় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় পুলিশের হেফাজতে আসামীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। তাছাড়া, নিপীড়ন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযােগ শােনা যায়। অথচ, এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে যা পুলিশ কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট মানতে বাধ্য, অন্যথায় তারা আইন ভঙ্গ করবেন, আইনের শাসন ভঙ্গ করবেন। অনেকে বলেন যে এছাড়া আসামীকে বিচারের সম্মুখীন করা দুরূহ। কিন্তু এ কোনাে যুক্তি হতে পারে না। কোনাে কারণেই আইন ভঙ্গ করা যাবে না।

    প্রয়ােজনে অধিক সংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তা নিয়ােগ দিতে হবে, তাদেরকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে, তাদের সুযােগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। তবে তাদের সঠিকভাবে অর্থবহ তদন্ত করতে হবে। কিন্তু জোরপূর্বকভাবে স্বীকোরক্তি আদায়, যদি করা হয়, নিরুৎসাহিত করতে হবে। কারণ প্রথমত, এটি আইনের শাসন পরিপন্থি এবং দ্বিতীয়ত, অন্য কোনাে স্বাধীন সাক্ষ্য ব্যতিরেকে শুধু দোষ স্বীকোরক্তির ওপর ভিত্তি করে আদালত খুব কম ক্ষেত্রেই সাজা দেয়।

    আইনের শাসন ভঙ্গের মানসিকতা প্রসঙ্গে অধ্যাপক আর্থার এল গুডহার্ট তার ‘দ্য রুল অব ল অ্যান্ড অ্যাবসুলেট সভেরিনিটি’ বইটিতে একটি চমৎকার উদাহরণ দিয়েছেন

    .. we all remember President Andrew Jackson’s comment on the Supreme Court decision in Worcester V. Georgia: ‘John Marshall has made his decision: now let him enforce it’. (1832) This is a particularly striking illustration because the repudiation was made by the Chief Executive of the State, but the same principle is at issue whenever a public officer, however unimportant he may be, repudiates the obligations which he has accepted when assuming his office. It is not unreasonable therefore for us to judge the quality of the rule of law in any State by asking whether the police themselves obey the rule of law.

    (ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়া ল রিভিউ, ভলিউম ১০৬, ১৯৫৮, পৃষ্ঠা-৯৬১)

    এ কথা আমাদের মনে রাখতে হবে যে পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় মামলা দায়ের হত, তাকে নানান জায়গায় ছুটে ছুটে জামিন নিতে হত। এইভাবে তিনি নিজেও ক্রমাগত ‘আইনের শাসন’ ভঙ্গের শিকার হতেন। যাতে অন্য কেউ আইনের শাসন ভঙ্গের শিকার না হন, সে কারণেই হয়তাে আমাদের মহান সংবিধানের প্রস্তাবনাতেই আইনের শাসনের কথা বলা হয়েছে। তাছাড়া, ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর, যখন তিনি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এসেছিলেন তখন ‘আইনের শাসন’ কায়েম করার ওপরেই সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু নিজেই ‘আইনের শাসনে’র শ্রেষ্ঠত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন।

    কারণ, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, ছিলেন জনগণের একচ্ছত্র নেতা, তিনি তাদের কষ্টের কথা নিজের অন্তরে ধারণ করতেন এবং সে কারণেই তিনি আইনের শাসন এর স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।

    আমাদেরও উচিত বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বীকৃত আইনের শাসনে বিশ্বাস করা। অন্তরে ধারণ করা।

    উল্লেখ্য, যে আইন হচ্ছে- রায়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হলে দায়রা জজকে আইনের বিধান অনুসারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে নথি পাঠাতে হয়। সেই ব্রিটিশ আমল থেকে দায়রা জজরা কঠোরভাবে এ আইন পালন করে আসছেন। উদ্দেশ্য হলাে, হাইকোর্ট বিভাগ যেন সংশ্লিষ্ট ডেথ রেফারেন্সটি দ্রুততম সময়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানি করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে ৮০০ এর বেশি ডেথ রেফারেন্স শুনানির অপেক্ষায়, কত শত আসামি কনডেম সেল এ বছরের পর বছর ফাঁসিতে মৃত্যুর অপেক্ষায়! এর থেকে অমানবিক ঘটনা আর কী হতে পারে! মৃত্যুর জন্য কনডেম সেল এ অপেক্ষমান আসামিদের নিকট আইনের শাসন কথাটি হাস্যকর।

    তেমনিভাবে যদি কোনাে বিচারক আইনানুগ কারণ ব্যতিরেকে কোনাে মােকদ্দমা শুনানি করতে অনীহা প্রকাশ করেন, বা আংশিক শ্রুত মােকদ্দমা শুনানি সম্পন্ন করতে অহেতুক বিলম্ব করেন বা শুনানি শেষে রায় না দিয়ে মাসের পর মাস ফেলে রাখেন, তাহলে আইন ভঙ্গ হয় কিনা জানিনা, কিন্তু অবশ্যই আইনের শাসন ভঙ্গ হয়।

    তবে এই শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে দেশের জনগণকেও সজাগ থাকতে হবে, যেমন এথেন্সের জনগণ তাদের ম্যাজিস্ট্রেটদের কার্যকলাপের উপর সজাগ দৃষ্টি রাখতাে, তারা জানতাে Eternal vigilance-ই শুধু তাদের অধিকার সমুন্নত রাখতে পারবে, অন্যথায় নয়। এ কথা সকল যুগে সকল দেশেই প্রযােজ্য।

    ২০০৭ সালে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ এ বিচারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল যা ছিল আইনের শাসন ভঙ্গের এক চরম লজ্জাজনক উদাহরণ।

    আমার এই আলােচনা শেষ করছি লর্ড টম বিনহাম এর ‘দ্য রুল অব ল’ গ্রন্থের একটি উদ্ধৃতি দিয়ে:

    The core of the existing principle is, I suggest, that all persons and authorities within the state, whether public or private, should be bound by and entitled to the benefit of laws publicly made, taking effect (generally) in the future and publicly administered in the courts…. But belief in the rule of law does not import unqualified admiration of the law, or the legal profession, or the courts, or the judges. We can hang on to most of our prejudices. It does, however, call on us to accept that we would very much live in a country which complies, or at least seeks to complay, with the principle I have stated than in one which does not.

    (দ্য রুল অব ল, পৃষ্ঠা ৮-৯, ২০১০ সংস্করণ)

    শেষ কথা

    যে পদ্ধতিতে ধনী-দরিদ্র, শক্তিশালী-দুর্বল, প্রভাবশালী-অক্ষম, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, সকলের উপর সমভাবে, একই মানদণ্ডে আইনের প্রয়ােগ হয়, সেই পদ্ধতিকেই বলে আইনের শাসন।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.