সুপারিশকৃত লিন্ক: ফেব্রুয়ারি ২০২১

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

৬ comments

  1. মাসুদ করিম - ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ (৩:৪২ পূর্বাহ্ণ)

    Italy acquires Umberto Eco library and archive

    Eco’s library and archive, containing a stellar collection of ancient and modern books, becomes cultural heritage of the state.

    Italy’s culture ministry has acquired the vast library and archive of Umberto Eco, the Italian medievalist, philosopher and author who died in 2016.

    The acquisition follows an agreement between Eco’s family and the culture ministry, with the state to guarantee the conservation of the remarkable heritage, making it accessible to students and scholars.

    Eco’s modern library, comprising about 30,000 volumes, and the archive will be given on loan, for 90 years, to the Alma Mater of Bologna, where Eco taught for most of his life.

    His collection of ancient books, consisting of about 1,200 volumes and titled “Bibliotheca semiologica Curosa, lunatica, magica et pneumatica,” will be kept by the Braidense National Library in Milan.

    Eco is arguably best known around the world for his 1980 novel The Name of the Rose, which has been translated into over 40 languages and sold more than 50 million copies.

    The book, inspired by the 10th-century abbey Sacra di S. Michele, was turned into a film starring Sean Connery in 1986.

    Born in Alessandria n 1932, Eco later lived in Turin before finally moving to Milan, the city he loved best and which provided the backdrop for another of his works, Foucault’s Pendulum (1989).

    Ironically, however, Eco described himself as a philosopher who wrote novels “only on weekends.”

    He died on 19 February 2016 in Milan where he had a large funeral at the Castello Sforzesco.

  2. মাসুদ করিম - ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ (৩:৪৯ পূর্বাহ্ণ)

    ডেভিড বার্গম্যানের ‘সমস্যা কোথায়’, বললেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী

    আল-জাজিরার ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে আবারও আলোচনায় এসেছে ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের নাম; সহকর্মী হিসেবে অল্প কিছু দিন তাকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতার কথা এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

    তিনি বলেন, “আমি বলব না সে (বার্গম্যান) অসৎ মানুষ ছিল। আসলে অপরিণত, সাংবাদিকতার বিষয়গুলো বোঝার বাকি।”

    তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিচারে, বার্গম্যানের কাজে ‘সাংবাদিকতার চেয়ে অ্যাক্টিভিজম’ বেশি গুরুত্ব পায় এবং ‘পক্ষপাতের’ কিছু বিষয়ও সেখানে আছে।

    শনিবার রাতে একাত্তর টেলিভিশনের আলোচনা অনুষ্ঠান একাত্তর মঞ্চে কথা বলছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক। তার সঙ্গে সহ আলোচক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

    যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করতে উদ্দেশ্যমূলক প্রচার চালানোর অভিযোগে ২০১৪ সালে ডেভিড বার্গম্যানকে আদালত অবমাননার দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।

    যুদ্ধাপরাধী আবুল কালাম আযাদের মৃত্যুদণ্ডের রায়কে কেন্দ্র করে একটি ব্লগে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ লেখার কারণে তাকে ওই শাস্তি দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।

    কয়েকদিন আগে আল-জাজিরায় প্রচারিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ প্রতিবেদনের সঙ্গে যারা জড়িত, ব্রিটিশ নাগরিক বার্গম্যান তাদের একজন। আর ওই প্রতিবেদনটিই ছিল শনিবার রাতে একাত্তর টেলিভিশনের আলোচনা অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু।

    সঞ্চালক নুর সাফা জুলহাজের প্রশ্নে ওই প্রতিবেদন নিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদী যখন নিজের মতামত জানাচ্ছিলেন, তখন বার্গম্যানের প্রসঙ্গও আসে।

    বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক বলেন, আল-জাজিরার ওই প্রতিবেদনের কাজে যারা জড়িত, তাদের একজনকে তিনি চেহারা ও নামে চেনেন। আরেকজনের নাম শুনেছিলেন, চেহারা ওই প্রতিবেদনেই প্রথম দেখেছেন।

    “আরেকজন হচ্ছেন, তিনি কিছুদিন আমাদের জন্যও কাজ করেছেন, ডেভিড বার্গম্যান। ডেভিডের এক ধরনের এজেন্ডা আছে, সেটা বোঝা যায় তার সাথে কাজ করলে।”

    তৌফিক খালিদী বলেন, ২০১০ সালে মাস ছয়েকের কম সময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে কাজ করেছিলেন বার্গম্যান। তার আগে ছিলেন ডেইলি স্টারে।

    “তার পারিবারিক এক বন্ধু আমার কাছে নিয়ে এসেছিল, ’একজন আছে কাজ করতে চায়’। কে? ‘ডেভিড বার্গম্যান। ‘হু ইজ ডেভিড বার্গম্যান? ‘উনি ওয়ার ক্রাইমস ফাইল বানিয়েছিল চ্যানেল ফোরের জন্য।’ ও আচ্ছা আচ্ছা। গুড ব্যাকগ্রাউন্ড। তাহলে তো আমার আর ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করতে হবে না। আসুক।”

    বার্গম্যান সে সময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে যোগ দেওয়ার জন্য কথা বলে গেলেও যোগ দেন ডেইলি স্টারে। সেখানে কিছুদিন কাজ করার পর আবার এসে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখান।

    সেই সময়ের কথা স্মরণ করে প্রধান সম্পাদক বলেন, “আমরা তখন ডেসপারেটলি খুঁজছি, ইংরেজি কপি রাইটার। আমার সাংবাদিক দরকার নাই, আমার রিপোর্টার দরকার নাই, আমার এডিটরিয়াল লিডার দরকার নাই; আমার এডিটরিয়াল ডিসিশন মেকিংয়ের দরকার নাই, গেইট কিপিংয়ের লোক দরকার নাই, আমার দরকার হচ্ছে ইংরেজি শুদ্ধ করে দেবে এই রকম নেইটিভ স্পিকার… আমি খুশি হয়ে গেলাম। ঠিক আছে, ওকে নিলাম।”

    কিন্তু কাজ করতে গিয়ে ধীরে ধীরে বার্গম্যানের বিভিন্ন প্রশ্নের মধ্য দিয়ে তাকে চেনার বিষয়টিও আলোচনায় তুলে ধরেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

    “কিছু কিছু হেডলাইনে তার সন্দেহ হয়, ‘এগুলো বোধহয় ঠিক না’। আমি বলি, দেয়ার ইজ আ ডিফ্রেন্স বিটুইন অ্যাক্টিভিজম অ্যান্ড জার্নালিজম। ইউ আর বিহেভিং মোর লাইক অ্যান অ্যাক্টিভিস্ট। ইউ আর বিহেভিং মোর লাইক আ ব্লগার। ইউ আর নট বিহেভিং অর থিংকিং লাইক আ জার্নালিস্ট।

    “যেমন ধরুন, একটি বিশেষ কোম্পানি বড় বড় কিছু অ্যাকুইজেশন করল… যেগুলো বড় খবর। কিন্তু তার মাথায় ঢুকছে না যে, এগুলো হেডলাইন হয়েছে খবরের মেরিটের ভিত্তিতে। খবরটা অনেক বড় খবর, সেজন্য বড় হেডলাইন করেছি, এজন্য না যে ওই কোম্পানিটা বসুন্ধরা কিংবা বেক্সিমকো। এটা তার মাথায় ঢুকত না। কারণ তার মাথায় ঢুকে আছে অন্য জিনিস।”

    বার্গম্যানের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের কথা তুলে ধরে তৌফিক খালিদী বলেন, “সেদিন আমি আইন নিয়ে কথা বলছিলাম… তার একটি ডিগ্রি আছে, এলএসইতে (লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স) মাস্টার্স করেছেন আইন নিয়ে। আমাদের যে লাইবেল লজ, ডিফেমেশন লজ আছে, তা ইংল্যান্ডের মতই…। আইনের সাবেক ছাত্রকে কিছুটা হলেও ডিফেমেশন ল বলতে হয়েছিল।”

    বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক বলেন, ২০০৯ সালে বার্গম্যান প্রথম সাক্ষাৎকার দিতে এসেছিলেন। তারপর ২০১০ সালের মার্চে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে যোগ দেন। ওই বছরের অগাস্টে চলে যান। ছয় মাসের কিছু কম সময় তিনি কাজ করেন।

    “তার সাথে বিদায়ের বিষয়টি ছিল, এ রকম একটা স্টোরি নিয়ে কথা বলতে এসেছে। তার সন্দেহ হচ্ছিল, যে আমরা অতিরিক্ত সরকার-ঘেঁষা এবং আমরা এই কাজগুলো করছি কোনো একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে।

    “আমি তাকে যা বলেছিলাম তার সারমর্মটা বলি- আমার আসলে কাউকে জমা-খরচ দিয়ে চলতে হয় না। কারও ধামাধরা হয়ে চলতে হয় না। আমাকেও কখনও করতে হয়নি, এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বিভিন্ন রকম বিপদের মধ্য দিয়ে গেছে, কখনো করেনি, এখনও করছে না, করবে না।”

    ততদিনে বার্গম্যানের ওপর ‘বিরক্ত’ হয়ে গেছেন জানিয়ে তৌফিক খালিদী বলেন, “সে বিভিন্ন সময়ে এসে বলেছে, আমি এই অফিস নিয়ে একটু তদন্ত করতে চাই, সেই অফিস নিয়ে তদন্ত করতে চাই।

    “এরই মধ্যে বিভিন্ন জন আমাকে বলা শুরু করেছে যে, ‘এই নামে কেউ কাজ করে তোমার ওখানে? সে তো তিনমাস আগে আমাকে দুই ঘণ্টা ইন্টারভিউ করে গেল, এখনও তো আমি নিউজের কিছু দেখলাম না।’ আমাদের নাম ব্যবহার করে সে কয়েকটি ইন্টারভিউও করেছে।”

    খালিদী বলেন, “সেদিন আমি বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম ডেভিড, তোমার যদি ভালো না লাগে এখানে কাজ করতে, তুমি চলে যাও। অ্যান্ড দ্যাট ওয়াজ দ্য লাস্ট মিটিং উই হ্যাড উইথ ডেভিড বার্গম্যান।”

    ব্যক্তিগতভাবে বার্গম্যানের প্রতি কোনো আক্রোশ বা অন্য কিছু নেই মন্তব্য করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক বলেন, “চলে যাওয়ার পরে সে দীর্ঘদিন ধরে আমার সহকর্মীদের কাছে আমাদের কোম্পানির বিরুদ্ধে, আমার বিরুদ্ধে অনেক কথা বলার চেষ্টা করেছে। যার সারমর্ম হচ্ছে- আমরা আসলে সরকারের হয়ে এটা-ওটা করার চেষ্টা করি।”

    বার্গম্যানের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রতিবেদন হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, “এর মধ্যে যখন যুদ্ধাপরাধের বিচার হচ্ছিল, সেই বিচার নিয়ে তার অসম্ভব উৎসাহ ছিল। উৎসাহটা আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়েছে।
    “আমার সহকর্মীরা যারা সেই ট্রায়াল প্রসিডিংসগুলো কাভার করতেন, তারা অনেকে মিলেই কাভার করতেন। তারা সেখানে তার আচার-আচরণগুলো দেখতেন, যে কার সাথে কথা বলছে, কী করছে। এ নিয়ে আমার সহকর্মীরা দুয়েকটি স্টোরি করেছে, যেগুলো তাকে খুব ভালোভাবে উপস্থাপন করেনি।”

    ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে তৌফিক খালিদী বলেন, “আমি যখন দেখলাম সে কথা বলছে, ওই যে বললাম না সন্দেহের ব্যাপারটা চলে এসেছে, ওর একটু বায়াস আছে, একটা দিকে, সেটা হলো একটা বিষয়।”

    বার্গম্যান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম থেকে চলে যাওয়ার কিছুদিন পরে ব্রিটিশ ফরেন অফিসের দুজন তরুণ কর্মকর্তা এক সাক্ষাতে তার বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে, সে কথাও তিনি অনুষ্ঠানে বলেন।

    “তারা অনেক বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বললেন। তাদের শেষ প্রশ্ন- হোয়াট ডু ইউ থিংক অব ডেভিড বার্গম্যান।… আমি বলেছিলাম তাদেরকে – ওর একটাই সমস্যা আছে, ও তো ভালো মানুষ। সমস্যাটা হল সাংবাদিকতা এবং অ্যাকটিভিজমের মধ্যে পার্থক্যটা বোঝে না। ও কি, মোর অফ আ ব্লগার টাইপ জার্নালিস্ট।”

    তৌফিক ইমরোজ খালিদীর একটি বক্তব্যের সূত্র ধরে অনুষ্ঠানের অপর আলোচক তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, “একটু দুঃখ রইল, ইংরেজি আমরা বলতে পারি না দেখে সাদা মানুষকে ইংরেজির জন্য আনতে হয়েছিল। এটা দুঃখের ব্যাপার যে, তখন ছিল না আমাদের মধ্যে কেউ।”

    তখন তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, “এটা বলতে পারার বিষয় না, ইংরেজির কপি এডিট করার মত লোক থাকা… এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষককে আপনি এখানে বসিয়ে দেন, নিউজ কপি এডিট করতে পারবে না। ইটস আ ডিফ্রেন্ট স্কিল। এটা ছিল মূল বিষয়।

    “ইংরেজি বলতে পারার বিষয় না, অন্য একজনকে আনলে আমার (ওয়ার্ক পারমিট লাগত), তার জন্য আমার ওয়ার্ক পারমিট লাগবে না, কারণ সে অলরেডি অন্য জায়গায় কাজ করেছে। তার কাজ করার পারমিশন বোধহয় ছিল। অন্যদেরতো আমি আনতেও পারতাম না।”

  3. মাসুদ করিম - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ (৪:০৯ পূর্বাহ্ণ)

    In beleaguered Babylon, doing battle against time, water and modern civilisation

    Ammar al-Taee, an Iraqi archaeologist, picked up a clay panel fallen from one of the ancient walls of Babylon. Paw prints of a dog that wandered onto the drying clay more than 2,000 years ago obscure part of the cuneiform inscription — a reminder that these ruins were once a living city.

    “This is the heritage of Iraq, and we need to save it,” said al-Taee, 29.

    As part of a new generation of archaeologists, al-Taee works for the Iraqi government on a World Monuments Fund project aimed at stemming the damage to one of the world’s best known — yet least understood — archaeological sites.

    After years of Iraqi effort, Babylon was inscribed two years ago as a UNESCO World Heritage Site, recognising the exceptional universal cultural value of what was considered the most dazzling metropolis in the ancient world.

    But you have to use your imagination.

    A century ago, German archaeologists carted off the most significant parts of the city. A reconstructed Ishtar Gate using many of the original glazed tiles is a centrepiece of Berlin’s Pergamon Museum. Other pieces of Babylon’s walls were sold off to other institutions, including the Metropolitan Museum in New York.

    Now, Babylon, like many of Iraq’s archaeological sites, has fallen into disrepair. The elements and damaging reconstruction have left walls crumbling, and construction and fuel pipelines threaten vast areas of the huge, largely unexcavated city.

    Still, Iraqis — though preoccupied with the country’s precarious security situation and pressing political and financial problems — feel a deep connection here.

    I first saw Babylon in the 1990s. Then, in a country under Saddam Hussein’s iron grip, the most joyous part of visiting was seeing families free of their worries for a few hours. Past a Disneyesque recreation of the Ishtar Gate, you could choose a postcard from a rotating metal rack and post it in the metal mailbox.

    Now, that mailbox is rusting and abandoned, and police guarding the site have taken over the souvenir shop.

    After years of conflict, although not violence-free, Iraq is safe enough for younger Iraqis who have never seen most of their own country to come to Babylon.

    On a recent weekend, Ahmed Juwad and his college friends stopped to take selfies as they strolled down the processional way, where Babylonian kings paraded statues of their gods and goddesses.

    “The antiquities are beautiful,” said Juwad, 23, an art student. “They comfort my soul.”

    Like many Iraqis, he feels Babylon’s past is not just ancient history but his history.

    A visitor now to the site about 50 miles south of Baghdad sees a mostly reconstructed outline of a small part of the city, including the walls that once supported the Ishtar Gate.

    For hundreds of years until the mid-1900s, Babylon suffered the ignominy of surrounding townspeople dismantling its walls to cart away the ancient bricks for their own building projects.

    The 4,000-year-old city, mentioned hundreds of times in the Bible, became the capital of the ancient Babylonian empire and was considered the largest city in the world. The Code of Hammurabi, one of the earliest recorded laws and punishment, came from Babylon. So did advances in astronomy and other sciences.

    The Babylonian empire fell in 539 BC to the Persian Empire and two centuries later to Alexander the Great, who died there. His empire collapsed and Babylon was eventually abandoned.

    Some of the walls, with their 2,500-year-old clay reliefs of dragons and bulls associated with the gods, still stand. But many of the bricks are crumbling, and as the water table rises, entire walls are in danger of falling. Historical preservationists estimate it would cost tens of millions of dollars simply to install a system to keep water from seeping in.

    “The bricks in this area are repeatedly being exposed to water, dryness, and rising salts, and then they collapse,” said Jeff Allen, a historical preservationist who has led the World Monument Fund project here since 2009.

    Eroded by dried salt from the water, some of the sun-baked bricks literally crumble to the touch.

    But as has so often been the case for Babylon over the years, the biggest threats to the fragile site are human-made.

    Inside Babylon’s outer city walls, Iraq’s oil ministry is building a metering station for one of the three pipelines that have been laid in recent years. Private homes have been multiplying within the perimeter of the site.

    While Iraqi officials went to great lengths to protect the site while vying for the coveted World Heritage Site designation, those efforts appear to have since eased.

    “It’s a sense of pride to have Babylon a World Heritage Site, and during that process the state board for heritage was able to get people to behave better,” Allen said. Now, he said, it’s difficult to stop even clearly illegal building.

    After the invasion of Iraq in 2003, US military contractors built a base on the site, digging trenches, driving armoured vehicles on the fragile streets and filling sandbags with dirt mixed with pottery and bone shards. All that caused significant damage, a British Museum report found.

    But it was hardly the first encroachment.

    In the 1920s, the British ran train tracks through the archaeological site as part of a Baghdad-to-Basra railway. Later, Iraq built an adjacent highway.

    Saddam Hussein, who saw himself as the successor to King Nebuchadnezzar, in the 1980s built a large palace overlooking the excavated remains. He also ordered parts of Babylon reconstructed, leading to most of the current conservation problems.

    The restoration installed heavier modern bricks atop the ancient original ones. Cement floors trapped water while a cement roof on one of the ancient temples pushed down the entire structure.

    “There was a period in the ’70s and ’80s when it was customary to use cement,” said Josephine D’Ilario, an Italian earthen architecture specialist working on the site. Now, she said, “we see that after decades the cement is damaging things.”

    After a yearlong delay because of the pandemic, the World Monuments Fund team is back in Babylon, deciding how best to address the damage in places where trying to chisel out the concrete could do still more harm.

    The nonprofit fund’s Future of Babylon project, financed partly by the US State Department, has shored up walls in danger of falling and stabilised the iconic Lion of Babylon statue. It is also training Iraqi conservation technicians and advising on site management.

    For a city that has figured so large in the world’s imagination, remarkably little is known for certain about Babylon.

    No archaeological evidence has uncovered the Hanging Gardens of Babylon, reputed to be one of the Seven Wonders of the Ancient World. The location of the ziggurat said to have been the Tower of Babel described in the Old Testament has also never been established.

    Much of the problem is that most of the 4-mile-square city has never been excavated or even surveyed.

    “It is only some large and well-known buildings that are excavated,” said Olof Pedersen, professor emeritus in Assyriology at Sweden’s Uppsala University and a consultant to the World Monuments Fund. “Most of the city we don’t know very much about.”

    Because Nebuchadnezzar built palaces and temples on top of previous ones, there are entire layers of the city underground, and underwater.

    “We can only guess how deep it could be,” said Pedersen, one of the world’s leading experts on the archaeology of Babylon.

    As to what knowledge or treasures might be down there, he said, “it’s a very simple answer — no one knows.”

  4. মাসুদ করিম - ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ (১০:২৮ পূর্বাহ্ণ)

    রেংমিটচা: যে ভাষা বেঁচে আছে শুধু ‘ছয়টি’ প্রাণে

    নিজ নিজ স্বকীয়তা ধারণ করেই বাংলাদেশে দীর্ঘকাল ধরে বসবাস করে চলেছে পাহাড়ের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী। তাদের জীবনাচরণ, সামাজিকতায় রয়েছে বৈচিত্র্য; রয়েছে আলাদা ভাষা-সংস্কৃতি। তবে সময়ের পথচলায় কিছু ভাষা হারিয়ে যেতে বসেছে, তেমনই একটি ভাষা ‘রেংমিটচা’।

    এ ভাষায় এখন কথা বলতে পারেন মাত্র ছয়জন, তাদের অধিকাংশের বয়স ষাটের বেশি। অর্থাৎ, তাদের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাবে আরেকটি ভাষা।

    এ শতকের গোড়ার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাষাবিজ্ঞানী ডেভিড পিটারসন কুকি-চিন ভাষাগুলোর ওপর গবেষণা করতে বাংলাদেশে আসেন। ২০০৯ সালে তিনি বান্দরবানে এসে জানতে পারেন, আলীকদম উপজেলার কিছু দুর্গম এলাকায় ম্রো জনগোষ্ঠীর এক গোত্র রয়েছে, যাদের ভাষা সম্পূর্ণ আলাদা।

    পরে তিনিই রেংমিটচা ভাষাভাষীদের খুঁজে বের করেন। সে কাজে তার সঙ্গে ছিলেন ম্রো ভাষার লেখক ও গবেষক ইয়াংঙান ম্রো।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালি ও সংস্কৃত বিভাগে লেখপড়া করা ইয়াংঙান ম্রো থাকেন বান্দরবান শহরে। ম্রো ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করেন তিনি।

    বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “২০১৩ সালেও কয়েকটি পাড়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ২২ জন রেংমিটচা ভাষাভাষীর লোক পাওয়া গিয়েছিল। আট বছরের ব্যবধানে ২০২১ সালে এসে সে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় জনে। বাকিরা মারা গেছেন।”

    এখনও যে ছয়জন জীবিত আছেন, তারা সবাই এক পাড়ায় থাকে না। দুই উপজেলার চারটি পাড়ায় ছড়িয়ে রয়েছেন তারা।
    “আগে রেংমিটচা নামে একটি গোত্র থাকলেও তাদের ভাষা যে টিকে আছে, তা আমাদের জানা ছিল না। রেংমিটচা ভাষাভাষীর লোকজন ম্রোদের সঙ্গে মূল স্রোতে মিশে যাওয়ায় তাদের সবাই এখন ম্রো ভাষায় কথা বলেন। ছয়জন ছাড়া এ ভাষা আর কেউ জানে না। ছেলেমেয়ে কেউ হয়ত বুঝতে পারবে, কিন্তু ওই ভাষায় জবাব দিতে পারে না।”

    আলীকদম উপজেলায় একটি রেংমিটচা পাড়ার প্রধান কারবারী তিনওয়াই ম্রোর সঙ্গে সম্প্রতি কথা হয়। উপজেলার সদর ইউনিয়নে একটি দুর্গম এলাকায় ওই পাড়ার নাম ক্রাংসি পাড়া। উপজেলা সদর থেকে তৈন খাল হয়ে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে হয় সেখানে।

    তিনওয়াই ম্রোর ভাষ্য, এ পাড়ার বয়স আনুমানিক ৩০০ বছর। একসময় পাড়ার সবাই ছিলেন রেংমিটচা পরিবারের। পরে অনেকে মিয়ানমার ও ভারতে চলে যান। কেউ আলীকদমের অন্য জায়গায় চলে যান। অনেকে মারা গেছেন। এসব কারণে রেংমিটচা ভাষা বলতে পারে, এমন মানুষ নেই বললেই চলে।

    “এখন এ পাড়ায় যে ২২টি পরিবার আছে, তার মধ্যে সাতটি রেংমিটচা পরিবার। তবে তিনজন ছাড়া কেউ এ ভাষা জানে না।”

    এ পাড়ার বাসিন্দা সিংরা ম্রো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি রেংমিটচা পরিবারে সদস্য হলেও এ ভাষায় কথা বলতে পারেন না। সহজ কিছু কথা বুঝতে পারেন। তবে তার বাবা ৬৭ বছর বয়সী মাংপুং ম্রো রেংমিটচা ভাষা এখনও ভালো বলতে পারেন।

    সিংরা জানান, তার বাবা ছাড়া বাকি যে পাঁচজন এখন রেংমিটচা ভাষায় কথা বলতে পারেন, তারা হলেন ক্রাংসি পাড়ার কোনরাও ম্রো (৭০) একই পাড়ার কোনরাও ম্রো (৬০), নোয়াপাড়া ইউনিয়নে মেনসিং পাড়ার থোয়াই লক ম্রো (৫৫), নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ওয়াইবট পাড়ার রেংপুং ম্রো (৬৫) এবং সাংপ্ল পাড়ার বাসিন্দা মাংওয়াই ম্রো (৬৩)। তাদের মধ্যে কোনরাও নামের দুজন নারী, বাকিরা পুরুষ।

    ক্রাংসি পাড়ার মাংপুং ম্রো জানান, তার বয়স যখন ১০-১২ বছর, তখন পাঁচটি রেংমিটচা পাড়া ছিল। একেকটি পাড়ায় ৫০-৬০টি পরিবার ছিল। বাইরে থেকে কেউ পাড়ায় গেলেও তখন রেংমিটচা ভাষায় কথা বলতে হত।
    “এরপরে আমদের কেউ কেউ বার্মায়, কেউ ভারতে চলে গেল। বাকিরা ম্রো জনগোষ্ঠীর মূল স্রোতে মিশে গেল। এভাবে দিন দিন আমাদের সংখ্যা কমতে থাকে।”

    নিজের মাতৃভাষা ভুলে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মাংপুং ম্রো বলেন, “রেংমিটচা ভাষায় কথা বললে তখন ম্রোদের অনেকেই হাসাহাসি করত। আমাদের ছেলেমেয়েরাও সঙ্কোচ বোধ করত। রেংমিটচা ভাষায় আর কথা বলতে চাইত না। চর্চার অভাবেই সবাই নিজের ভাষা ভুলে যেতে শুরু করে।”

    এ ভাষায় কোনো গান বা সংগীত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও এ ভাষায় কোনো গান তিনি শোনেননি। তবে ছন্দ মিলিয়ে কয়েকটি খেলার কথা শুনেছেন।

    এ পাড়ার বাসিন্দা আরেক রেংমিটচা ভাষী কোনরাও ম্রো বলেন, তার দুই মেয়ে, এক ছেলের কেউ এ ভাষা বলতে পারে না।

    “এখন ঘরেও নিজের ভাষায় কথা বলার কেউ নেই। বাইরে ম্রো ভাষা বলতে বলতে রেংমিটচা ভাষা বলার অভ্যাস চলে গেছে। আমি নিজের ভাষায় কিছু বলতে চাইলেও জবাব দেওয়ার মত কেউ নেই। সেজন্য দুঃখ হয় মাঝে মাঝে।

    “কিন্তু নিজেদের ভাষায় কথা বলে বেঁচে থাকতে চাই আমরা। নতুনরা এ ভাষায় আর কথা বলতে পারে না, জানেই না। এই ভাষা কীভাবে টিকে থাকবে আমাদের জানা নেই।”

    বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য লেখক সিংইয়ং ম্রোর মতে, রেংমিটচা ভাষাভাষীরা হয়ত আসলে আলাদা জনগোষ্ঠী ছিল।

    “ভাষা ছাড়া সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে প্রায় সবকিছু ম্রোদের সাথে মিল রয়েছে। সে কারণে ম্রোদের সাথে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তারা মিশে গেছে। বলতে গেলে তারা এখন ম্রো হয়ে গেছে। তারা এখন রেংমিটচা ভাষা বলে না, ম্রো ভাষায় কথা বলে। অনেক সময় নিজের ভাষা যেটুকু পারে, সেটাও বলতে চায় না সঙ্কোচের কারণে।”

    সিংইয়ং জানান, হারিয়ে যেতে বসা এ ভাষা সংরক্ষণের পথ খুঁজতে আগে কয়েকবার বৈঠক করেছেন তারা। রেংমিটচা ভাষাভাষী যারা আছেন, তাদেরও ডেকেছেন।

    “কিন্তু মুশকিল হল, তারা নিজেরাও এ ব্যাপারে খুব বেশি আগ্রহী না। নিজের ভাষায় কথা বলতে উৎসাহ দিয়ে এবং তাদের রেংমিটচা পরিবার সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করলে হয়ত ভাষাটা ধরে রাখার একটা উপায় হয়।”

    রেংমিটচা ভাষা নিয়ে গবেষণার বিষয়ে জানতে যুক্তরাষ্ট্রের ডার্টমাউথ কলেজের ভাষাতত্ত্বের অধ্যাপক ডেভিড এ পিটারসনের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ করেছিলেন এই প্রতিবেদক।

    তিনি জানান, গত শতকের পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে জার্মান নৃবিজ্ঞানী লরেন্স লফলার পার্বত্য চট্টগ্রামে এসেছিলেন ম্রো সম্প্রদায়ের ওপর গবেষণার কাজে। পরে তার কাজের অংশ নিয়ে হার্ভার্ড থেকে প্রকাশিত হয় এথনোগ্রাফিক নোটস অন ম্রো অ্যান্ড খুমি অব দি চিটাগাং অ্যান্ড আরাকান হিল-ট্র্যাকটস।

    লফলার লিখেছিলেন, আলীকদমের তৈন মৌজা এলাকায় রেংমিটচা নামে একটি জনগোষ্ঠী রয়েছে, যাদের ভাষা আলাদা ও স্বতন্ত্র। তবে তাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ম্রো মূল জনগোষ্ঠির সঙ্গে মিলে যায়।
    এরপর জার্মানির লাইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাক্সপাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর অ্যানথ্রোপোলজির ফেলোশিপ নিয়ে ১৯৯৯ সাল থেকে বান্দরবানে কাজ শুরু করেন পিটারসন।

    তিনি বলেন, “অনেকে মনে করেছিল রেংমিটচা ম্রোদের একটি উপভাষা। কিন্তু গবেষণা করে দেখেছি, এটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ও আলাদা একটি ভাষা। দীর্ঘদিন তাদের সঙ্গে কাজ করে দেখেছি, জীবন-জীবিকা ও সামাজিক বিশ্বাস ম্রোদের কাছাকাছি। কিন্তু ভাষাগত দিক দিয়ে একেবারেই ভিন্ন।”

    রেংমিটচা ভাষা খুমী, ম্রো, লুসাই, বম, খিয়াং ও পাংখোয়া ভাষার মত তিব্বতি-কুকি-চিন ভাষা পরিবারে অন্তর্ভুক্ত জানিয়ে তিনি বলেন, “মিয়ানমারের আরাকান ও চিন রাজ্যে এ ভাষা থাকতে পারে। কিন্তু গবেষণা করে আমি খুঁজে পাইনি। রেংমিটচা বাস্তবে বাংলাদেশেই পাওয়া গেছে।”

    এ ভাষা সংরক্ষণের জন্য জীবিতদের কথা ধারণ করে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডেভিড পিটারসন। আর নতুন প্রজন্ম এবং তাদের ছেলেমেয়েদের এ ভাষায় কথা বলতে উৎসাহ দেওয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন।

  5. মাসুদ করিম - ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ (১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ)

    অর্থাভাবে বাংলা জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

    নিজস্ব অর্থায়নের শর্তের কারণে বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার প্রক্রিয়া থমকে আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

    রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা জানান তিনি।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “টাকার জন্য আটকে আছে। আমরা টাকার দেওয়ার অঙ্গীকার করতে পারিনি। অনেক টাকা!”

    অর্থায়নের পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক আলোচনায় প্রতি বছর ৬০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ভাষাভাষীর দিক থেকে বাংলা পঞ্চম বৃহত্তম ভাষা। প্রায় ৮৭ কোটি লোক এই ভাষায় কথা বলে। বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষা করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের কোনো আপত্তি নেই।

    জাতিসংঘের অবস্থান ব্যাখ্যা করে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করে আসা মোমেন বলেন, “তারা বলেছে, প্রথম পাঁচটি ভাষা হয়েছিল জাতিসংঘ যখন সৃষ্টি হয়, পরবর্তীতে একটি নতুন ভাষা হয়েছে যে আরবি। এরপর প্রায় ১৯ বছর আরবি ভাষাভাষী দেশগুলো এর খরচ বহন করেছে। জাতিসংঘ সবসময় খরচ নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন থাকে।

    “বলছে, তোমাদের বাংলা চালু করলে তো খরচ হবে, খরচটা কে দিবে? তোমরা যদি দাও তাহলে তোমরা সদস্য রাষ্ট্রকে বলো, তাহলে অসুবিধা নাই।”

    তিনি বলেন, জাপানি, হিন্দি ও জার্মান ভাষার জন্যও প্রস্তাব করা হয়েছিল। একই কারণে সেগুলোও দাপ্তরিক ভাষা হয়নি।

    দাপ্তরিক ভাষা চাওয়ার এই প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘে বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে কিছু সাফল্য পাওয়ার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বলছে, তোমরা আসো টাকা নিয়ে। আমরা বলেছি, এখানে আমাদের ইমোশন জড়িত, আমাদের চেতনার বিষয়।

    “আমাদের এসব বিষয় বলার পরে কিছুটা সুবিধা হয়েছে। আমরা এখন একটা বাংলা রেডিও পেয়েছি, প্রত্যেক সপ্তাহে অনুষ্ঠান করে। এশিয়ার উপর ইউএনডিপির যে রিপোর্টটা হয়, সেটা তারা ইংরেজির সঙ্গে বাংলাও করে, তাদের পয়সায়। আমরা অতিরিক্ত পয়সা দিই না।”

    দাপ্তরিক ভাষা করার প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের আশা একদিন না একদিন, আমরা আরও ধনী হব, বাংলার প্রতি মানুষের নজর বাড়বে।

    “উন্নত হলে অনেকে বাংলা শিখবে আর আমাদের প্রবাসীরা বিভিন্ন দেশে থেকে থেকে বাংলা শেখাবে। তখন সেক্ষেত্রে প্রবাসীদের প্রজন্ম যাতে বাংলা ধরে রাখতে পারে, সেটার দিকে খেয়াল রাখা উচিত। এগুলো করলে একদিন হয়ত জাতিসংঘের অন্যতম ভাষা বাংলাও হতে পারে।”

    ঢাকা বিভিন্ন বিদেশি মিশনের জুনিয়র কর্মকর্তাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওই অনুষ্ঠান আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    ফরেন সার্ভিস একাডেমি প্রাঙ্গণে তৈরি অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কূটনীতিকরা।

    আলোচনা পর্বে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, একাডেমির রেক্টর মাসুদ মাহমুদ খন্দকার বক্তব্য দেন।

    আয়োজনের শেষাংশে জরুরি প্রয়োজনীয় কিছু বাংলা বাক্য শেখানো হয় বিভিন্ন ভাষাভাষি বিদেশি কূটনীতিকদের।

  6. মাসুদ করিম - ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ (১:০৭ অপরাহ্ণ)

    Myanmar’s banks grind to a halt as junta tightens its grip

    Opposition to military rule, along with post-coup uncertainty, has brought banking in Myanmar almost to a standstill

    Almost a month after a military coup that has met with massive popular resistance, Myanmar’s banking system is struggling to function, even as it continues to meet basic needs.

    Since February 8, when employees of both government-owned and private banks started joining the Civil Disobedience Movement (CDM) against military rule, financial transactions in the country have slowed to a trickle, according to a bank official who asked to remain anonymous.

    “The money flow has just stopped,” the official said, stressing that while most bank operations have been suspended, the system remains intact.

    The greatest impact has been felt by trading companies, which are unable to complete transactions with international entities requiring letters of credit or telegraphic transfers due to the closure of banks.

    While banks continue to fill ATMs with cash every day and online services are still available, ordinary customers are also facing difficulties because of internet cuts by the new ruling regime and restrictions on bandwidth.

    Meanwhile, banks continue to pay their employees even though they are unable to generate income from providing loans or offering services such as foreign currency exchange, a worker at a large local private bank told Myanmar Now.

    Another major expense, the worker said, is rent. Although some private banks operate hundreds of branches, most are on leased property.

    International banks with ties to local banks are also affected, but not as much as those that depend entirely on domestic business, she added.

    State-run banks, such as the Central Bank of Myanmar and Myanma Economic Bank, are still running but have been particularly hard hit by the CDM, a Central Bank employee told Myanmar Now.

    Economic lifeline

    While the current situation mainly affects banks and their customers, it’s just a matter of time before the woes of the financial sector begin to affect the wider economy, said one woman working in the industry.

    “Most businesses can’t operate without banking services. We don’t know what’s going to happen, but the economy is going to be affected if trade is low,” she said.

    A more immediate concern for most, however, is uncertainty about what the new regime will do next. Rumours that 10,000-kyat notes could be scrapped have already prompted many to withdraw their savings.

    Since banks operate by accepting deposits from the public and giving loans to businesses in need of money, they wouldn’t have enough to cover all deposits if there were a run on the banks—a scenario that could become a self-fulfilling prophecy if enough people panic over fears of the banks’ stability.

    Customers of military-owned Myawaddy Bank, which reopened on February 15, were forced to wait in line every day to take out their money, and then were only given limited amounts.

    Economic pressures stemming from the impact of Covid-1 could also take a toll on banks, as more and more businesses struggle to stay afloat, raising the risk that they won’t be able to repay loans.

    “It’s difficult to tell within the first two or three weeks whether the loans will be paid back. There’s no need to worry for now, but in the long run, it’s not good for businesses. If bank loans aren’t paid back, the banks will struggle. And that will become a big problem if it means the entire country lacks liquidity,” said the woman working in the financial services industry.

    Managing this delicate situation and ensuring a strong recovery will require a higher level of management skill than the new regime may possess, she added.

    It’s also necessary, she said, to consider the economic repercussions of the international reaction to the coup, which has already resulted in targeted sanctions that could be a further drag on local companies’ ability to do business.

    Sanctions imposed by the US (which are likely to be followed by others from the UK and EU) are only supposed to affect leaders of the junta; but in a country where many people have similar names, international banks may take longer to process even legal transactions by those who are not on the blacklist, say people in the banking industry.

    Restoring trust

    After nearly a month of protests, the regime is showing signs that it is losing patience with resistance to its rule. As fears of a violent crackdown grow, few will be focussed on the fate of the country’s teetering banks. But how the authorities handle protesters over the coming days and weeks could well determine financial institutions’ prospects for survival.

    Measures such as nightly shutdowns of the internet, which aim to stifle dissent while sparing daytime business operations, aren’t helping. By demonstrating its willingness to impose strict controls over every aspect of online life, the junta has revived fears of heavy-handed interference in the economy.

    Win Thaw, the junta-appointed vice chair of the Central Bank, has attempted to restore the situation to normal by instructing banks to re-open by any means possible. Last week, he told Myanmar Now that the bank is trying to continue providing online banking and ATM services.

    But as the World Bank has announced that it will only permit the transfer of funds needed to complete previously approved projects, it will take more than reassuring words to save Myanmar’s banks—and its economy—from the disastrous impact of the coup.

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.