সুপারিশকৃত লিন্ক: নভেম্বর ২০২০

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

৭ comments

  1. মাসুদ করিম - ১ নভেম্বর ২০২০ (৫:২৬ অপরাহ্ণ)

    কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত আর নেই

    সাহিত্য পত্রিকা কালি ও কলমের সম্পাদক, কবি ও সাংবাদিক আবুল হাসনাত মারা গেছেন।

    হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রোববার সকাল ৮টায় ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে ছায়ানটের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য রহমান জানান।

    ছায়ানটের কার্যকরী সংসদের সদস্য আবুল হাসনাত একসময় সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

    জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তার আসলে অনেক সমস্যাই ছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে তার শরীরে ব্যথা ছিল। গলব্লাডারের স্টোন ছিল, তারপরে আর অপারেশন করা যায়নি। শেষ মুহূর্তে তার নিউমোনিয়ার ট্রিটমেন্ট হচ্ছিল। তার কোভিড টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছিল।”

    ছায়ানটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোববার বেলা সাড়ে ১২টায় ধানমণ্ডির ৭ নম্বর রোডের বায়তুল আমান জামে মসজিদে আবুল হাসনাতের জানাজা হবে।

    তার আগে তার কফিন বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ও ছায়ানটে নিয়ে যাওয়া হবে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। বিকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে তারিক সুজাত জানান।

    আবুল হাসনাত ১৯৪৫ সালের ১৭ জুলাই পুরান ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। সাহিত্যে তার ছদ্মনাম ছিল মাহমুদ আল জামান।

    ‘জ্যোৎস্না ও দুর্বিপাক, ‘কোনো একদিন ভুবনডাঙায়’, ‘ভুবনডাঙার মেঘ ও নধর কালো বেড়াল’ আবুল হাসনাতের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।

    খবর > বাংলাদেশ
    কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত আর নেই

    নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

    Published: 01 Nov 2020 12:24 PM BdST Updated: 01 Nov 2020 05:00 PM BdST
    সাহিত্য পত্রিকা কালি ও কলমের সম্পাদক, কবি ও সাংবাদিক আবুল হাসনাত মারা গেছেন।

    হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রোববার সকাল ৮টায় ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে ছায়ানটের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য রহমান জানান।

    ছায়ানটের কার্যকরী সংসদের সদস্য আবুল হাসনাত একসময় সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

    জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তার আসলে অনেক সমস্যাই ছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে তার শরীরে ব্যথা ছিল। গলব্লাডারের স্টোন ছিল, তারপরে আর অপারেশন করা যায়নি। শেষ মুহূর্তে তার নিউমোনিয়ার ট্রিটমেন্ট হচ্ছিল। তার কোভিড টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছিল।”

    কবি ও সাংবাদিক আবুল হাসনাত

    কবি ও সাংবাদিক আবুল হাসনাত
    ছায়ানটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোববার বেলা সাড়ে ১২টায় ধানমণ্ডির ৭ নম্বর রোডের বায়তুল আমান জামে মসজিদে আবুল হাসনাতের জানাজা হবে।

    তার আগে তার কফিন বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ও ছায়ানটে নিয়ে যাওয়া হবে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। বিকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে তারিক সুজাত জানান।

    আবুল হাসনাত ১৯৪৫ সালের ১৭ জুলাই পুরান ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। সাহিত্যে তার ছদ্মনাম ছিল মাহমুদ আল জামান।

    ‘জ্যোৎস্না ও দুর্বিপাক, ‘কোনো একদিন ভুবনডাঙায়’, ‘ভুবনডাঙার মেঘ ও নধর কালো বেড়াল’ আবুল হাসনাতের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।

    তার প্রবন্ধগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে সতীনাথ, মানিক, রবিশঙ্কর ও অন্যান্য ও জয়নুল, কামরুল, সফিউদ্দীন ও অন্যান্য।

    শিশু ও কিশোরদের জন্য তিনি লিখেছেন ‘ইস্টিমার সিটি দিয়ে যায়’, ‘টুকু ও সমুদ্রের গল্প’, ‘যুদ্ধদিনের ধূসর দুপুরে’, ‘রানুর দুঃখ-ভালোবাসা’।

    দীর্ঘ ২৪ বছর দৈনিক সংবাদের সাহিত্য সাময়িকী সম্পাদনা করা আবুল হাসনাত আমৃত্যু কালি ও কলমের সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি চিত্রকলা বিষয়ক ত্রৈমাসিক ‘শিল্প ও শিল্পী’রও তিনি সম্পাদক ছিলেন।

    ১৯৮২ সালে ‘টুকু ও সমুদ্রের গল্প’ র জন্য আবুল হাসনাত অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার পান। ২০১৪ সালে তিনি বাংলা একাডেমির সম্মানসূচক ফেলো মনোনীত হন।

    https://www.facebook.com/gautam.mitra.98/posts/4116490288381118

  2. মাসুদ করিম - ৭ নভেম্বর ২০২০ (৮:৪১ পূর্বাহ্ণ)

    সমাজ সংস্কৃতির সাধক

    আবুল হাসনাতের সঙ্গে আমার পরিচয় সত্তরের শুরু থেকে, তাকে আমি হাসনাত ভাই বলে সম্বোধন করতাম। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। সংগঠনটির নেতৃত্বে থাকলেও তিনি একজন কর্মীর মতো নিজেকে সক্রিয় রাখতেন। পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও তিনি সব সময়ই যুক্ত থাকতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংসদের নেতৃত্বের ভূমিকায়ও তিনি ছিলেন। তাকে আমি সংস্কৃতির মাঠে সক্রিয় দেখেছি। তার নিজেরও সাহিত্যে কীর্তি ছিল। তিনি একজন কবি ছিলেন, ঔপন্যাসিক ছিলেন। বিশেষ করে ছোটদের জন্য সাহিত্য রচনা করেছেন। তার সাহিত্য প্রতিভা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ ছিল না। কিন্তু তিনি যখন সম্পাদনার জগতে চলে গেলেন, তখন তার অন্যসব প্রতিভা কেমন করে যেন আড়ালে চলে গেল।

    আমার কাছে অবশ্য হাসনাত ভাই সব সময় একজন বড় কবি ছিলেন। একজন শিশুসাহিত্যিক ছিলেন। একজন ক্রীড়াবিদ ছিলেন। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, তিনি খুব ভালো ক্রিকেট খেলতেন। ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবে তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছেন। প্রথম শ্রেণিতে খেলা খুব সহজ কথা নয়। তার একটা বড় গুণ ছিল তার বিনয়। এই বিনয়ের কারণে নিজের সম্পর্কে বলতে সর্বদাই তিনি সংকোচ বোধ করতেন।

    হাসনাত ভাইয়ের আরও বড় একটা পরিচয় ছিল- তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতেই তিনি আগরতলা চলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে কলকাতা গেলেন। কলকাতায় তিনি তার দলের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগ রেখে মুক্তিযুদ্ধে যা যা করার করে গেছেন। এখানেও তিনি তার স্বাভাবসিদ্ধ নীরবতা পালন করেছেন। কিন্তু নীরবতার কারণে কখনোই তার সক্রিয়তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান আমরা অনেকেই হয়তো জানি না। কিন্তু তার অসাধারণ সাংগঠনিক শক্তি দিয়ে একাত্তরে তিনি যে সকল কাজ করেছেন, তার তালিকা দিলেও এ লেখার কলেবর অত্যন্ত বড় হয়ে যাবে- শরণার্থী শিবিরে গিয়ে তিনি কাজ করেছেন। শরণার্থীদের সহায়তা করেছেন। বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে তার একটা বড় সংযুক্তি ছিল, তাদের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের খবর তিনি বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেবার কাজ করেছেন। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ ঘটিয়েছেন। তা ছাড়া সেই সময় পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের বুদ্ধিজীবী ও লেখক-সাহিত্যিকদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে তিনি তাদের সমর্থন আদায় ও সমাবেশ ঘটানোর কাজটি খুব দক্ষতার সঙ্গে করেছিলেন। তার একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ রয়েছে- সেখানে তিনি এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কিছু কিছু বলেছেন। কিন্তু সবসময়ই তিনি নিজের ব্যাপারে বলার ক্ষেত্রে সংযত থাকার চেষ্টা করতেন। কাজ করেছেন, তবে কাজের জন্য কখনও কোনো কৃতিত্ব দাবি করেননি।

    ঢাকায়, আমার সঙ্গে যখন তার আন্তরিকতা হলো- এর আগে কবি হিসেবে তাকে আমি জানলেও আমাদের তেমনভাবে আলাপ পরিচয় ছিল না। সে বার তিনি নিজে এসে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। এর একটা কারণ আমি ইংরেজি সাহিত্যে পড়ালেখা করেছি এবং ইংরেজি সাহিত্যে তখন অধ্যাপনা শুরু করেছি। তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেছেন গণসাহিত্য পত্রিকায় লেখার জন্য। ততদিনে আমি চিত্রকলা নিয়ে লিখতে শুরু করেছি। হাসনাত ভাই আমাকে বললেন, বাংলাদেশের চিত্রকর- একেবারে জয়নুল আবেদিন থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ে যারা কাজ করছেন, তাদের নিয়ে লিখতে হবে। আমি তার ব্যবহারে এত মুগ্ধ হয়েছি যে, আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলাম। সেই সময় থেকে একটা বন্ধুত্ব তার সঙ্গে আমার তৈরি হয়েছিল। তিনি একাধারে আমার একজন বড় ভাইয়ের মতো ছিলেন, বন্ধু ছিলেন, পথপ্রদর্শকের মতোও ছিলেন।

    যে সময়ে তার সঙ্গে আমার আন্তরিকতা হলো তখন বাংলাদেশের জন্য খুব কঠিন একটা সময় যাচ্ছে। দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। হাসনাত ভাই সে সময় বিচলিত হয়ে বারে বারে আমাকে বলতেন যে, এই মানুষগুলোর দুঃখ কীভাবে লাঘব করা যায়। আমি দেখেছি হাসনাত ভাইয়ের মধ্যে যে রাজনৈতিক সত্তাটা ছিল- সেটি জনদরদি, গণমুখী এবং পরিবর্তনকামী। এই পরিবর্তনটা যখন সম্ভব হয়নি, তিনি খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। তিনি আশা করছিলেন স্বাধীনতার পর একটা নীরব বিপ্লব হবে। আমার মনে হয়েছে, তিনি সমাজকে নিয়ে যে স্বপ্নটা দেখতেন সেটির বাস্তবায়ন না হওয়ায় মনে মনে তিনি খুবই কষ্টে ছিলেন। কিন্তু মুখ ফুটে তিনি কখনও তার কষ্টের কথাগুলো বলতেন না। তবে তিনি মানুষকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা কখনও ছেড়ে দেননি, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত হয়তো তিনি মানুষকে নিয়ে স্বপ্নটা দেখেছেন। পরিবর্তনের চিন্তা করে গেছেন। এবং পরিবর্তনের জন্য যে সমস্ত শক্তিকে সক্রিয় করতে হবে, সেগুলোকে সক্রিয় করার জন্য তিনি চেষ্টা করেছেন।

    সত্তর দশকের শুরুতে এসে তিনি ভেবেছিলেন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করলে তিনি বহু মেধা ও প্রতিভাকে একটা জায়গায় নিয়ে আসতে পারবেন; এবং সেই মেধা ও মননের সমন্বয়ে তিনি বাংলাদেশে একটা সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারবেন। যে সংস্কৃতি মানুষকে জাগাবে। তিনি সংস্কৃতির শক্তিতে বিশ্বাস করতেন এবং সেটা সেই সংস্কৃতি, যেটা আমাদের ভূমি থেকে উৎসারিত। যাকে আমরা বাঙালিয়ানা বলি- সেই গ্রামবাংলার থেকে উঠে আসা সংস্কৃতির তিনি একজন বড়মাপের বিশ্বাসী ছিলেন। সে জন্য তিনি ‘গণসাহিত্য’ করেছেন। ‘গণসাহিত্য’ নামটিতেও সেই দ্যোতনা আছে। মানে গণমানুষের সাহিত্য। সেখানে কামরুল হাসানের ওপর আমার লেখাটা যখন বেরুলো, তখন কামরুল হাসানের সঙ্গে আমার পরিচয়ের সূত্রপাত হলো। আমি দেখলাম যে, কামরুল হাসানকে কেন আবুল হাসনাত এত পছন্দ করতেন। ব্রতচারী আন্দোলন থেকে শুরু করে মানুষের পক্ষে যত সংগ্রাম- সেগুলোতে কামরুল হাসানের অকুণ্ঠ সমর্থন ও অংশগ্রহণের কারণে।

    মোটা দাগে হাসনাত ভাইয়ের রাজনৈতিক চিন্তাগুলোকে আমি বিশ্নেষণ করি, তাহলে বলা যাবে যে, রাজনীতির ক্ষেত্রে তিনি গণমুখী ছিলেন, তিনি সমাজতন্ত্রী ছিলেন, একেবারে কমিউনিস্ট পন্থার সমাজতন্ত্রে তিনি এক সময় বিশ্বাস করলেও পরে কিছুটা সরে এসেছেন। সরে এলেও এই সমাজতন্ত্রের কমিউনিস্ট যে ব্যখ্যা ছিল, সেটাতে তিনি আস্থা স্থাপন করে এসেছেন। তার রাজনীতি ছিল তৃণমূলের সক্রিয়তার বিষয়। এবং সেখানে সংস্কৃতির একটা বড় ভূমিকা তিনি সবসময় গড়ে নিয়েছেন। তাকে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে যদি দেখি, সেখানেও দেখা যাবে যে, একাত্তর থেকে তিনি আসলে এই গণমানুষকে সংগঠিত করার চেষ্টাটি করে গেছেন। আমি নিশ্চিত যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এই সমাজতান্ত্রিক চেতনার বাস্তবে প্রয়োগ ঘটলে হাসনাত ভাই তার সমাজ সংস্কারকে ভূমিকাটি আরও প্রসারিত করতেন। তার এই সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে তিনি তিনটি বিষয়কে খুব গুরুত্ব দিতেন। এসব ব্যাপারে তার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে আমার দীর্ঘ আলাপও হয়েছে। বিষয় তিনটি হলো- শিক্ষা, সংস্কৃতি আর সক্ষমতা। শিক্ষাই সক্ষমতার ভিত্তি তৈরি করে, আর সংস্কৃতি সেই সক্ষমতার ভিত্তিটাকে আরও উজ্জ্বল করে এবং তা মানুষের মনে ছড়িয়ে দেয়। এই সমাজ চিন্তা থেকে তিনি অগ্রসর হয়েছিলেন। তবে প্রতিকূল অবস্থাতে তার মতো অনেকটা নিভৃতচারী মানুষের পক্ষে খুব জোরেশোরে অগ্রসর হওয়া সম্ভব ছিল বলে মনে হয় না। তবে আমি সবসময়ই বলি, তিনি নিভৃতচারী ছিলেন, তার চিন্তা ছিল একেবারে সম্মুখসারির। কিন্তু নিজেকে তিনি সব সময় আড়ালে রাখতেন এবং যখনই কোলাহল দেখতেন, কলহ দেখতেন- সেখান থেকে তিনি দূরে সরে থাকতেন। আমাদের রাজনীতিটা যেন কোলাহলের জায়গা হয়ে গেল, কলহের জায়গা হয়ে গেল- তখন তিনি রাজনীতি থেকে অনেকটাই দূরে চলে গেলেন। তবে তিনি তার স্বপ্নটা লালন করে গেছেন।

    আবুল হাসনাতের সাহিত্য চিন্তার কথায় যদি আসি- তিনি নিজেও সাহিত্যিক ছিলেন। কবিতাকে প্রাধান্য দিয়েছেন কিন্তু শিশুসাহিত্যকে অনেক বড় করে দেখতেন। আমি মনে করি, আবুল হাসনাতের একটা পরিচয় হওয়া উচিত ছিল বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিশু সাহিত্যিক এবং ষাটের দশকের একজন মানবতাবাদী ও জীবনধর্মী কবি। তিনি যে কবিতা লিখতেন তাতে সর্বদাই জীবনের একটা সুর থাকত। তিনি কখনও নিরীক্ষাবিরোধিতায় যাননি, নিরীক্ষাসর্বস্বতায়ও তিনি যাননি, নিরীক্ষাকে তিনি কবিতার বিষয়বস্তুর আত্মপ্রকাশ হিসেবে দেখেছেন। যে বিষবস্তুতে জীবনের ঘনিষ্ঠতা থাকবে তার প্রকাশটি খুব জটিল হবে না, সেটা তিনি বিশ্বাস করতেন। হ্যাঁ, বিমূর্ততায় তার ঝোঁক ছিল, মাঝে মাঝে বিমূর্ত চিন্তাও তিনি কবিতায় উপহার দিতেন। কিন্তু এই বিমূর্ত চিন্তা একজন নিরালম্ব নাগরিকের নয়, এই বিমূর্ত চিন্তাটি জীবনের একজন সক্রিয় চিন্তাবিদের। এই বিষয়টি আমাদের মনে রাখতে হবে। তার কবিতার ভেতর জীবন ছিল, নিরীক্ষা যা ছিল জীবনের কারণেই সেটা এসেছে। এই নিরীক্ষা কখনও তার প্রকাশে বাধার সৃষ্টি করেনি। তার কবিতায় রোমান্টিক চেতনা ছিল, নিসর্গ চিন্তা ছিল, দেশচিন্তা ছিল। তবে সবচেয়ে বড় ছায়াপাত ঘটিয়েছে সমকাল। তার কবিতায় সমকাল যেভাবে ধরা পড়েছে, তাতে মনে হয় তিনি সমকালে সমর্পিত একজন মানুষ ছিলেন। ইতিহাস চেতনা বলি, ভবিষ্যৎ চিন্তা বলি- তার কবিতায় চমৎকারভাবে ধরা পড়েছে।

    হাসনাত ভাই মাহমুদ আল জামান নামে কবিতা লিখতেন। কারণ পাকিস্তান আমলে যখন তিনি লেখা শুরু করেছেন, তখন স্বনামে লেখাটা একটা বিপজ্জনক বিষয় ছিল। এবং তার মতো জীবনধর্মী ও প্রতিবাদী চিন্তার কবিতা যারা লিখতেন, তাদের পক্ষে একটা আবরণ তৈরি করাটা সেসময় প্রয়োজনীয় ছিল।

    আমি মনে করি তার কবিতা নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা হয়নি কারণ তার কবিতাকে তার অন্যান্য চিন্তা থেকে আলাদা করা যায় না। তার সমাজ চিন্তা থেকে আলাদা করা যাবে না, তার সংস্কৃতি চিন্তা থেকে আলাদা করা যাবে না, তার নন্দন চিন্তা থেকে আলাদা করা যাবে না। তার কবিতায় তিনি কোনো চমক সৃষ্টি করতে চাননি বা কোনো নিরীক্ষাধর্মিতাকে প্রধান করতে চাননি। বিষয়বস্তুর ঘনিষ্ঠতাই তার কবিতার প্রধান অবলম্বন।

    তিনি নিজে যেহেতু আড়ালে থাকতে পছন্দ করতেন, সে কারণে তার কবিতা নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। আর তার সম্পাদক সত্তা অনেকখানি জায়গা জুড়ে ছায়া ফেলে রেখেছিল। মানুষ প্রথমেই তাকে সম্পাদক হিসেবে দেখতেন, তাকে যে প্রথমেই একজন কবি হিসেবে দেখতে হবে সেটা অনেকেরই মাথায় আসত না। তাকে দীর্ঘদিন ধরে চেনার কারণে আমি তার কবিত্ব শক্তির প্রকাশ দেখেছি, কবি সত্তার প্রকাশ দেখেছি, তার সম্পাদক সত্তারও আমি একজন সাক্ষী। তার সম্পাদক সত্তার বিকাশ এবং উৎকর্ষের সময়ে তিনি যেসব কাজ করেছেন, তারও আমি সাক্ষী। আমার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। বহুদিন আমরা নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছি, তার সঙ্গে দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন সময়ে ভ্রমণ করার সুযোগ হয়েছে আমার। হোটেলে একসঙ্গে আমরা ছিলাম। ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় গিয়ে একই কক্ষে আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল। হাসনাত ভাই একটু বিব্রতবোধ করছিলেন যে, আমার তাতে কোনো অসুবিধা হয় কিনা! কিন্তু আমি তাকে বলেছিলাম, হাসনাত ভাই, আপনার সঙ্গে একই কক্ষ ভাগ করে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত এই জন্য যে, আপনার কথাগুলো আমি রাতে এবং বিছানায় শুয়ে শুয়ে শুনতে পাবো।

    বিদেশ ভ্রমণে গেলে যেটি হয়- দেশের পরিচিত গণ্ডি থেকে দূরে গিয়ে ভিন্ন একটা পরিবেশে অনেকেই নির্দি্বধায় তাদের কথার ঝাঁপি খুলে ফেলেন। আমাদের মধ্যেও প্রচুর আলাপ হয়েছে। হাসনাত ভাই সাধারণত খুব স্বল্পবাক ছিলেন, এমনকি টেলিফোন যখন করতেন নিতান্ত প্রয়োজনীয় দু-একটি কথার পরেই ফোন শেষ করে দিতেন। কিন্তু বিদেশে যখন গেলাম, বিশেষ করে কলকাতায়, একবার শান্তিনিকেতনে, একবার দিল্লিতে- তখন দেখেছি তার সঙ্গে অনেক কিছু নিয়ে আমার আলাপ হয়েছে। সেইসব সুযোগে আমি অনেক কিছু জানতে পেরেছি তার কাছ থেকে, জেনেছি তাকেও। সেই সব কিছু মাথায় রেখেই তাকে প্রথমে আমি একজন কবি হিসেবে বিবেচনা করি, এবং সেইসঙ্গে আমি তাকে একজন শিশুসাহিত্যিক হিসেবে দেখি যেখানে তার মস্ত বড় কৃতিত্ব রয়েছে। তার শিশুসাহিত্য অসাধারণ অনুপ্রেরণাদায়ী। শিশুকিশোরদের ভাষাটা তিনি দারুণভাবে ধরতে পারতেন। তার ‘সিটি দিয়ে যায় স্টিমার’ এবং এমন অনেকগুলো শিশুসাহিত্যের বই পড়তে পড়তে আমার মনে হয়েছে- তাকে যেমন গাম্ভীর্যপূর্ণ একজন মানুষ বলে সবার কাছে মনে হয়, তিনি শ্যেন দৃষ্টি নিয়ে যেভাবে সম্পাদনার কঠিন কাজটি করেন; সেই মানুষটি কীভাবে একেবারে শিশুদের মনের ভেতর ঢুকে তাদের বয়সটা ধারণ করে লিখে গেছেন! তাদের ভাষায় তাদের কল্পনাকে জাগ্রত করার কাজটি যারা করতে পারেন তাদের আমি সবচে বড় শিশুসাহিত্যিক মনে করি।

    হাসনাত ভাই যে ক্রীড়াবিদ ছিলেন সেটা তিনি কখনও বলতেন না। কিন্তু আমরা অনেকেই দেখেছি একজন ক্রীড়াবিদের মতো শৃঙ্খলাবোধ তার মধ্যে ছিল। তার কাজের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ ছিল। সময় নিয়ে তার মধ্যে উদ্বিগ্নতা আমি কখনও দেখিনি। দৈনিক সংবাদে যখন কাজ করতেন, আমি তার কাছে অনেকবার গিয়েছি। তখন দেখতাম তিনি একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। টেবিলে কাগজের ওপর ঘাড় গুঁজে আছেন, কোনোদিকে ভ্রুক্ষেপ করছেন না, সময় কোথায় চলে যাচ্ছে, চা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে খেয়াল করছেন না। তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, আগে কাজটিই শেষ করতে হবে। একই অফিসে সন্তোষ গুপ্ত কাজ করতেন। সন্তোষ দা একদিন আমাকে বলেছিলেন, হাসনাত যখন কাজে নামে কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে ঘড়ির দিকে তাকায় না। এ বিষয়টি আমার দারুণ লেগেছিল। আসলে কাজের যে নৈতিকতা- যাকে আমরা কর্মনৈতিকতা বলি হাসনাত ভাই তেমনই একজন কর্মনৈতিক মানুষ ছিলেন। আর সম্পাদক হিসেবেও তার গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না।

    হাসনাত ভাই একটি লেখার ভাষার ব্যাপারে খুবই সচেতন ছিলেন। আর বানানের ব্যাপারেও ছিলেন অত্যন্ত সতর্ক। বানান ভুল দেখলে মনঃক্ষুণ্ণ হতেন। আমাকে অনেক দিন বলেছেন, বানানটা খুব যত্ন করে লিখতে হবে, কারণ বানান ভুল থাকলে একটা লেখা দাঁড়ায় না। বস্তুত আবুল হাসনাত সেই সম্পাদক ছিলেন, যিনি লেখক তৈরি করতেন। এটি আমি বাড়িয়ে বলছি না। এ রকম সম্পাদক বাংলাদেশের হাতে গোনা তিন-চারজন ছিলেন। হাসনাত ভাই ছিলেন সেই দলের শেষ প্রতিনিধি। আমার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা সত্ত্বেও তিনি আমার কোনো ত্রুটি দেখলে তার সমালোচনা করতে দ্বিধাবোধ করেননি। আমার গদ্য তার কাছে ঋণী- এটা আমি এক বাক্যে স্বীকার করি। সুঠাম গদ্য কীভাবে লেখা যায়- এ ব্যাপারে অনেকদিন আমি তার সঙ্গে আলাপ করেছি। অনেকেই এমনভাবে উপকৃত হয়েছেন তার কাছ থেকে। আমার ধারণা আবুল হাসনাতের এই সম্পাদকের জীবনী আমরা যদি কেউ একজন লিখতে পারি, এটা ভবিষ্যৎ সম্পাদকদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।

    এটা ঠিক এই সম্পাদক জীবনটাই তার অন্যান্য কীর্তিগুলো থেকে বেশি সামনে চলে এসেছিল। কিন্তু আমি যদি তার জীবনের দিকে সামগ্রিকভাবে তাকাই, তাহলে দেখবো একজন সম্পাদকের ভালোমন্দ বিচারটা তার মধ্যে ছিল। রাজনৈতিক শৃঙ্খলাটাও ছিল তার। গণমানুষের প্রতি ভালোবাসা ছিল। সমাজ ও সংস্কৃতিকে উদযাপন করার একটা মানসিকতা তার মধ্যে সবসময়ই ছিল। বিবর্তনের ধারায় দেশের মানুষ আবার জেগে উঠবে এমন একটা আশাবাদ তার ছিল। এবং একটা সুষম সমাজব্যবস্থার মাধ্যমে যেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় জনগোষ্ঠীর মতো একই সুবিধা ভোগ করে- সেই স্বপ্নটা তার ছিল। আমাদের জীবনে শিক্ষা ও সংস্কৃতির অনিবার্যতা তিনি সব সময় স্মরণ করেছেন। তিনি ক্রমাগত নিজেকে সংশোধন করার জন্য সবাইকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য পাতাকে জনপ্রিয় করে তোলার একটা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত তিনি স্থাপন করে গেছেন। তার যত্নশীল সম্পাদনার কারণে দৈনিক সংবাদের বৃহস্পতিবারের পাতার জন্য তখন পাঠক অপেক্ষা করতেন। কাকে তিনি সেই সাহিত্য পাতায় জায়গা দেননি? যেই একটি প্রতিভা পেয়েছেন তাকেই তিনি তার পাতায় স্থান করে দিয়েছেন। তার সাহিত্যপাতায় যে বইয়ের লেখা ছাপা হতো সেটি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সৈয়দ শামসুল হকের ‘হূৎকলমের টানে’র মতো অসংখ্য বইয়ের কথা বলা যাবে।

    এই যে বহুবিধ প্রতিভা ও রুচির অধিকারী একজন মানুষ, যে মানুষটি সংস্কৃতির ভেতরকার শক্তিতে আস্থা স্থাপন করতেন, তিনি তরুণদের সংস্কৃতবান হতে উপদেশ দিতেন, নিজের সংস্কৃতিতে বিশ্বস্ত হতে বলতেন, নিজের জীবনে বাঙালিয়ানার চর্চা করতেন এবং অন্যদের উৎসাহিত করতেন- সেই মানুষটির অভাব আমরা কোনোদিন পূরণ করতে পারব না।

  3. মাসুদ করিম - ১০ নভেম্বর ২০২০ (৩:৪৬ অপরাহ্ণ)

    The cheap pen that changed writing forever

    On 29 October 1945, the New York City branch of Gimbels department store unveiled a new product. Billions upon billions would follow in its wake.

    Gimbels was the first to sell a new kind of ink pen, the design of which had taken several decades to come to fruition. The pens, made by the Reynolds International Pen Company, promised an end to the messy mishaps users of fountain pens encountered – leaking ink, smudges and pooling ink blots.

    The new ballpoint pens did away with this, using a special viscous ink which dried quickly and didn’t leave smudges. At the heart of it, the rolling ball in the nib – and gravity – ensured a constant, steady stream of ink that didn’t smear or leave solid pools of ink on the page.

    The new ballpoint was clean and convenient. What it wasn’t was cheap.

    The new Reynolds ballpoint cost $12.50 – convert that to 2020 money and it’s more than $180 (£138.50). Today, if you were buying your pens in bulk, from stack-‘em-high superstores, you could end up with more than 1,000 for the same price.

    The pen was the first to go on sale in the US, but it was by no means the first ballpoint pen – the head of the US company that made it had in fact discovered a version during a business trip in South America. Its evolution is, in many ways, an example of a game-changing design waiting until outside factors – in this case the rise of plastics and mass-production infrastructure, and a brilliant marketeer – allowed it to achieve its full potential.

    Loud, then quiet

    The creation of the ballpoint pen is usually credited to a Hungarian-Argentinian inventor László Bíró, whose name inspired a catch-all term for modern ballpoints. But it is, in fact, a lot older.

    An American, John J Loud, received the first patent for a ballpoint pen back in 1888. Loud, a lawyer and occasional inventor, wanted an ink pen which would be able to write on rougher materials such as wood and leather as well as paper. His masterstroke was the revolving steel ball, which was held in place by a socket. In his 1888 patent filing, he wrote:

    “My invention consists of an improved reservoir or fountain pen, especially useful, among other purposes, for marking on rough surfaces-such as wood, coarse wrapping-paper, and other articles where an ordinary pen could not be used.”

    Loud’s pen was indeed able to write on leather and wood, but it was too rough for paper. The device was deemed to have no commercial value and the patent eventually lapsed.

    Various inventors tried to improve on Loud’s design in the coming decade, but none were able to take it into production until Bíró in the 1930s. A journalist in Hungary, Bíró used fountain pens daily and was very familiar with their drawbacks.

    “He was used to the fountain pen which was very leaky and left ink on your hands and smudged and he was very frustrated by it,” says Gemma Curtin, a curator at London’s Design Museum.

    Simply adding fountain pen ink to a ballpoint pen was not the solution, however. The ink itself needed to be rethought.

    László turned to his brother, Győrgy, a dentist who was also a talented chemist. László had realised the ink used in fountain pains was too slow to dry and needed something more like the ink used on newspapers. Győrgy came up with a viscous ink which spread easily but dried quickly. What’s more, the pen used far less ink than the spotting, dripping fountain pens.

    “Other people had thought of it before, but it was down to him, working with his brother – who was a good chemist – and getting the texture of the ink right,” says Curtin. “It is very like printer’s ink, and it doesn’t smudge.”

    The principle at the heart of the ballpoint pen mimics the action of a roll-on deodorant – gravity and the force applied smear the rolling ball with a continuous stream of ink as the ball rolls along the writing surface When the pen isn’t used, the ball sits tight against the end of the ink reservoir, preventing air entering and drying out the ink. Most often, ballpoint pens run out of ink long before they dry out.

    László received a patent for his new pen in Britain in 1938, but World War Two put paid to plans to market his new invention. As László and his brother were Jews, they decided to flee Europe in 1941, and emigrated to Argentina. There, László returned to his new invention, helped by a fellow escapee, Juan Jorge Meyne.

    The first “birome”, as it became known in Argentina, was released in 1943, while war was still raging in Europe and the Pacific. The design piqued the interest of the Royal Air Force (RAF), who put in an order for 30,000: the pens were able to be used by aircrew at high altitude unlike fountain pens, which tended to leak because of the pressure changes. Otherwise, the original pen was little-known outside its South American home – the few original models current all for sale on online auctions all hail from Argentina.

    In 1945, two US companies – the Eversharp Co and Eberhard Faber Co – teamed up to licence the new pen for the US market, having spent half a million dollars ($7.2m or £5.6m in today’s money) to sew up the rights to North and Central America. But they were too slow on the draw. American businessman Milton Reynolds was visiting Buenos Aires and was impressed with the new pen – he bought several, and on return to America set up the Reynolds International Pen Company to market a new design.

    Crucially, the Reynolds design had enough changes to sidestep László Bíró’s patent, and was the first to go on sale on October of that year. It was, almost instantly, a must-have accessory. As Time magazine reported, “thousands of people all but trampled one another last week to spend $12.50 each for a new fountain pen”, noting that the new pen only needed refilling once every two years. Gimbels had ordered 50,000 of the new pens and had sold 30,000 of them by the end of the first week. According to Time, Gimbels made more than $5.6m in sales ($81m or £62m in 2020) from the new pen in the first six months.

    The biro might now be regarded as an everyday, almost disposable object, but it’s worth taking a step back and appreciating the no-mess simplicity of its operation, says Curtin. “It’s one of those design stars that everybody loves.”

    The first generation of ballpoint pens mimicked the style of fountain pens. They were made of metal and intended to be refilled with ink. The Reynolds pen made a big point out of its ability to write for two years without needing to be refilled, worlds away from the experience of using a fountain pen. Ballpoint pens might not have had quite the bookish cachet of fountain pens, but they were still seen as a desirable object. If you wanted a truly cheap writing implement you used a pencil.

    But this created a problem. So many companies – including Eversharp and the fountain pen maker Parker – jumped on the ballpoint bandwagon that the market became saturated. People bought refills, but they didn’t buy more pens.

    The masterstroke which would change the ballpoint pen forever came not from the US but from France. Michel Bich was an Italian-born French industrialist who ran a company making ballpoint pens. “No one understood better than Marcel Bich that potent 20th-century alchemy of high volume/low cost,” ran his obituary in the UK’s Independent newspaper when he died in 1994. “To this formula he added the magic catalyst of disposability. He invented nothing, but understood the mass market almost perfectly.”

    Bich realised the ballpoints so far had been premium products – an alternative designed to be regularly replaced could be a lot cheaper. Bich acquired a dormant factory near Paris and set about creating his new company, Societe Bic. An advertising executive had suggested the industrialists shorten his surname to create an instantly recognisable three-letter trademark. The company’s trademark logo, the Bic Boy, had a smooth featureless orb as a face – a reference to the metal ball in the point of the pen.

    “The first ballpoint pens in the UK cost around 55 shillings (£82.50/$107.50 in 2020 prices),” says Curtin. “One of Bic’s biros only cost you a shilling. It combined functionality with affordability.”

    The new pen had an equally dramatic effect on the act of writing itself, says David Sax, the Canadian journalist who wrote the book The Revenge of Analog. “The ballpoint pen was the equivalent of today’s smartphone. Before then, writing was a stationary act that had to be done in a certain environment, on a certain kind of desk, with all these other things to hand that allowed you to write.

    “What the ballpoint pen did was to make writing something that could happen anywhere. I’ve written in snow and rain, on the back of an ATV and in a boat at sea and in the middle of the night,” says Sax. Biros don’t drain batteries, they don’t require plugging in in the middle of nowhere, and even the tightest pocket can accommodate them. “It only fails if it runs out of ink,” Sax adds.

    The ballpoint pen is testament, Sax says, to one of the tenets of “really great design – it almost disappears. If the ballpoint didn’t exist and you launched one today on Kickstarter, it would be the biggest thing ever,” he says.

    One major reason Bich’s cheap and cheerful pen took off was thanks to changes in production techniques. Plastic mass production allowed the new ballpoint pens to be made very cheaply. Over the following decades, the pens have become even cheaper, without compromising on their ability to write. “The basic, cheap example made by Bic works as well as it did 50 or 60 years ago,” Sax says.

    Author Philip Hensher, who also runs a creative writing course at Bath Spa University in the UK, wrote a 2012 book on handwriting called The Missing Ink in which he praised the ballpoint pen. He says Bic not only found the way to produce vast quantities cheaply, but crucially hit upon a winning design right from the start. “If you have a product that needs no improvement – only tiny changes have been made to the Bic pens since the 1960s – you probably don’t have a lot of overheads.”

    Produced since 1950, the Cristal has sold in mind-boggling quantities: it notched up 100 billion sales by 2006. It is such an everyday object that its strengths are easy to overlook.

    The hexagonal body makes it easy to grip; the “transparent shaft that allows you to see the ink running out”, Hensher says. A tiny hole in the body equalises the air pressure both inside and outside the pen. Then there is the ink, drying in a couple of seconds instead of the 10s of seconds. “To be perfectly honest, the Bic pen is just such a miracle you don’t even think about it anymore.

    “You have to look, too, at the effect the Bic biro had on Africa,” Hensher says. “It was marketed by Bic as something very modern. It really transformed African society. There just wasn’t a way for people to write easily before the Bic.”

    The billions upon billions of cheap ballpoint pens made by various manufacturers since the 1950s have another lasting legacy, however, and this one is less heralded. Their disposable nature has created an enormous amount of plastic waste. More than 1.6 billion are thought to be thrown out every year in the US alone.

    “Those 100 billion ballpoint pens sold are probably all still in landfill,” says Curtin, noting that in most cases the pens’ bodies themselves are perfectly able to be reused again and again. “Just because the ink has run dry, we throw the whole thing out. That’s quite strange.”

    Ballpoint pen manufacturers are aware of this plastic pollution crisis. Bic themselves make a range of pens produced from 74% recycled plastic. More producers are promoting the idea of refills for plastic pens, and not just the metal ones that come with premium price tags. Other pen manufacturers have replaced the plastic body with tubes made of cardboard, or metal – the very material the first premium ballpoints were made of more than seven decades ago.

    Our digital-first culture might celebrate screen over paper, but Sax believes the cheap ballpoint is here to stay. “When people in the tech world talk about outdated tech, they are never arguing that pens are outdated. Even Mark Zuckerberg and Elon Musk will have a bunch of pens sitting around.”

  4. মাসুদ করিম - ১২ নভেম্বর ২০২০ (১:৫৫ পূর্বাহ্ণ)

    Next Ladakh? In India-China stand-off, a new front looms in Pakistan’s Gilgit-Baltistan

    More than a month after Pakistan
    first unveiled plans to annex the Gilgit-Baltistan region – its only land link to China and located in disputed Kashmir
    – and grant its residents full citizenship rights, an ominous silence hangs over the isolated mountainous region.

    Instead of celebrations, almost all the members of the general population interviewed by This Week in Asia during a three-week tour of Gilgit, Nagar, Hunza and Astore districts last month were sceptical that Islamabad would deliver on its promises.

    A few smiled indulgently when asked about it, responding with a polite “Inshallah” (God willing). Most were non-committal and responded with the secular equivalent, “we’ll see”. Others just scoffed at the idea that the constitutional status of Gilgit-Baltistan could be changed even to that of a “provisional” province, because of the implications for Pakistan’s long-running dispute with India over Kashmir. Both countries claim all of Kashmir and have fought two wars over it.

    On Sunday, Pakistani Prime Minister Imran Khan said a decision had been made to move ahead with the plan, though he gave no time frame for implementation.
    Veteran political activists foresaw Gilgit-Baltistan inexorably being sucked into a potential two-front conflict arising from the military stand-off
    between China and India in Ladakh – an Indian-administered region separated from Pakistan-governed Gilgit-Baltistan only by the high altitude battlegrounds of the Siachen Glacier.

    “China plans to wage a brutal winter war against India
    in Ladakh,” said Nawaz Khan Naji, founder of the Balwaristan National Front, a small Gilgit-Baltistan-based party that advocates independence for the region.

    “When it starts, all manner of proxy warfare will break out in Gilgit-Baltistan,” he predicted, in an interview at a riverside restaurant in Gilgit.

    He said “Gilgit-Baltistan is in the crosshairs of all the major powers because of CPEC”, referring to the US$60 billion China-Pakistan Economic Corridor, launched in 2015 as a showcase programme for Beijing’s ambitious bid to connect Europe and Asia, known as the Belt and Road Initiative
    .
    Under CPEC, over the last five years China has financed and built US$28 billion of power generation and physical infrastructure in Pakistan, along an overland route from the Xinjiang
    Uygur Autonomous Region to the Chinese-operated port of Gwadar on Pakistan’s Arabian Sea coast.
    China’s sole overland access to the strategic waters of the Middle East
    – the source of most of its oil imports – was established in 1978 with the completion of the Karakorum Highway through Gilgit-Baltistan.

    None of those billions of CPEC dollars have been invested in Gilgit-Baltistan, despite its pivotal role as a gateway, and none of the officials and politicians This Week in Asia spoke to could provide a plausible explanation for this glaring omission.

    In the absence of any official clarification, most laypeople, officials and politicians are convinced the absence of CPEC projects reflects an emergent game of thrones between global and regional powers that manifested recently in Ladakh.

    “This is the second time Gilgit-Baltistan has been in the eye of a geopolitical storm,” Naji said. “The last time was when the Russian Empire and the British Raj clashed here in the 19th century. The borders of Gilgit-Baltistan shifted during the original Great Game, and it’s inevitable they’ll change again as a result of the new Great Game” he predicted.
    India’s Prime Minister Narendra Modi
    has repeatedly expressed ambitions of seizing control of parts of Gilgit-Baltistan, and his military chiefs have publicly declared that their forces are ready to launch an invasion.

    Any foreign force intruding into Gilgit-Baltistan would walk into very hostile territory: for decades, the isolated, almost impassable high altitude valleys of the region have been a prime recruiting ground for Pakistan’s army.

    Most residents of the region are poor subsistence farmers. When Gilgit-Baltistan’s long, harsh winter abates in May, they have six months to bring in a single harvest. Once the snow and ice return in October, these farmers travel to Pakistani cities to work as minimum-wage migrant labourers until spring arrives in May.

    Their counterparts from Gilgit-Baltistan’s erstwhile aristocracy and other wealthy families have also traditionally pursued careers as army officers, helping to cement their place within Pakistan’s ruling elite.

    Unsurprisingly, the residents of Gilgit-Baltistan – which plays host to 21 of the world’s 30 highest peaks – have proven to be crack mountain soldiers.

    Practically every household in Gilgit-Baltistan includes at least one active soldier or reservist who has fought Indian forces on the Line of Control separating the Indian- and Pakistani-administered halves of greater Kashmir.

    The Gilgit-Baltistan-based Northern Light Infantry (NLI) regiment shot to stardom in 1999 by seizing the strategic Indian-held Kargil Heights overlooking the main Indian supply route to the Siachen Glacier – an operation mirrored by China’s recent incursion into Indian-held territory in Ladakh.
    India forced Pakistan to pull out its forces by threatening an all-out war
    , a year after both countries had conducted their first series of nuclear weapons tests.

    Dozens of Gilgit-Baltistan soldiers were slaughtered as they subsequently attempted to withdraw without the protection of covering fire from Pakistani forces.

    Nonetheless, the Kargil War made national heroes of the fallen soldiers from Gilgit-Baltistan and awoke within Pakistan’s military-led establishment a realisation that the disputed region’s unflinching loyalty had to be reciprocated.

    The point was further underscored by the decisive role that Gilgit-Baltistan soldiers played in the 2009 liberation of the Pakistani region of Swat – home of Nobel Peace laureate Malala Yousafzai – from the clutches of the Tehreek-i-Taliban Pakistan.

    Pakistan’s national flag now flies over the graves of Gilgit-Baltistan’s fallen soldiers at practically every burial site in the region.

    The package of reforms unveiled by Pakistan in 2009, however, did little to empower the people of Gilgit-Baltistan or to repay their sacrifices.

    The newly created, elected regional assembly was given very limited legislative scope. It is not allowed to raise revenues independently of Islamabad and remains completely dependent on federal grants.

    The Gilgit-Baltistan government’s budget for the current financial year ending next June totals about US$415 million.

    Although the region has tax-free status because of its disputed status, Pakistan’s government collects more than US$200 million a year in customs duties on overland trade with China, rather than allowing the Gilgit-Baltistan government to accrue the revenue.

    Nor is the Gilgit-Baltistan Assembly empowered to hold the executive branch of the region’s government accountable for its actions.

    All those powers rest with the Islamabad-appointed Gilgit-Baltistan Council, which is chaired by Pakistan’s prime minister. Among the council’s members, Pakistani officials outnumber Gilgit-Baltistan representatives.

    Parallel to these convoluted reforms, Gilgit-Baltistan’s civil service has been inundated by federal officials deputed to the region since 2009.

    All of them take up officer-rank posts that would otherwise have been filled by one of Gilgit-Baltistan’s disproportionately high number of unemployed university graduates.

    Federal deputationists all benefit from generous allowances to compensate for their “hardship posting”. The pay packet of top bureaucrats can exceed US$24,000 a year, placing them in the top 10 per cent of earners in Pakistan, where per capita income was less than US$1,400 in 2019.

    They each return to Pakistan after a three-year posting with a second pension fund worth several hundred thousand US dollars – all paid for from the federal government’s small annual budgetary grant to Gilgit-Baltistan.

    Likewise, the higher judiciary in Gilgit-Baltistan created under the 2009 reforms is in no way accountable to the region’s elected representatives.

    Here, too, federal judges outnumber their local colleagues, and they have also showed a proclivity for hiring staff from Pakistan rather from Gilgit-Baltistan.

    With governance and justice still firmly in federal hands, Gilgit-Baltistan residents simply do not believe Pakistan’s establishment would suddenly surrender power over their region – even if it is officially granted the status of a provisional province.

    Instead, most residents expect that the transformational change to Gilgit-Baltistan recently promised by Islamabad will ultimately prove to be largely cosmetic.

    Most feel that the best outcome for them would be access to Pakistan’s judicial system inasmuch as it would enable them to petition the Supreme Court against the rampant abuse of power prevalent throughout the Gilgit-Baltistan state apparatus

    Residents have good reason to be sceptical. Rather than benefiting the indigenous population through better governance, the 2009 reforms strengthened the Pakistani establishment’s system of patronage in Gilgit-Baltistan, making it more susceptible to corruption.

    Since 2018, this has been evident in the real estate markets of isolated, sparsely populated Gilgit-Baltistan, home to just 1.5 million of Pakistan’s 210 million residents.

    There has been an enormous influx of funds from Pakistan seeking refuge from the crackdown on corruption and tax evasion launched by Prime Minister Imran Khan, shortly after his election two years ago.

    The hot money latched on to expectations of an economic boom fuelled by CPEC and the Pakistani tourists who have swamped Gilgit-Baltistan since 2016, when Pakistan’s military finally defeated Tehreek-i-Taliban Pakistan after a nine-year struggle.

    The prices of commercial and residential property in Gilgit-Baltistan have quadrupled since 2018, rising to the equivalent of 50 per cent of real estate values in Islamabad. A decade ago, land prices in Gilgit were barely one tenth of those in Pakistan’s capital city.

    The subsequent movement of capital between Pakistan and Gilgit-Baltistan has enriched both the political and business elite.

    “Whenever I go to get a property transaction approved, I get to see the latest registrations in the land registry. In recent times, it’s been like reading a who’s who of powerful Pakistanis,” said Rasheed Ahmad, a Gilgit-based property agent and the proprietor of local Urdu language newspaper Himalaya Today.

    The property bubble has benefited many small landowners in areas popular with the tourists who flock to the region between June and September.

    In turn, this has generated massive investment in hotels, restaurants and retail shops, providing sorely needed business and employment opportunities for Gilgit-Baltistan’s widely literate population.

    The flip side of the real estate boom is that it exploits a political loophole under which, in the 1950s, Gilgit-Baltistan residents were deprived of their exclusive right to land ownership in the region.

    In stark contrast, land ownership in Pakistan-administered Azad Kashmir is still reserved for the indigenous population. In Gilgit-Baltistan, too, there is growing concern that the massive influx of hot money from the Pakistani hinterland could come at the cost of residents’ property rights and the cohesion of tightly knit rural communities.

    A prime example of such exploitation is the picturesque Naltar Valley, which houses a ski training facility for the Pakistan Air Force.
    During the top-level consultations which culminated in the 2009 reforms for Gilgit-Baltistan, the military regime led by General Pervez Musharraf decided to transform the valley into a resort, so as to boost tourism
    in the stunningly picturesque region.

    Pakistani and local politicians and officials privy to the plans quickly snapped up farm and pastoral land from the area’s poor, oblivious residents at rock bottom prices.

    They quickly soared as Naltar Valley subsequently became a focal point of public investment in infrastructure, including a cascade of hydropower projects and a new road connecting it to the Karakorum Highway.

    Alerted by the exploitation of their Naltar neighbours, many communities in Hunza and Nagar have since imposed a grass roots ban on the sale of property to outsiders.

    Public alarm about property rights in Gilgit-Baltistan grew yet further when the Frontier Works Organisation (FWO), a commercial arm of the military which dominates the region’s construction industry, recently attempted to seize more than 3,000 hectares of ancestral pastoral land on the pretext that it was needed for CPEC projects.

    The FWO was forced to retreat after the opposition Pakistan People’s Party (PPP) channelled the anger of affected landowners into a political campaign.

    “Irrespective of which institution was involved, it was a land grab, plain and simple,” said Amjad Hussain, the president of the PPP chapter in Gilgit-Baltistan, in an interview in Gilgit.

    To date, however, there has been no CPEC activity in Gilgit-Baltistan, despite its pivotal role as the exclusive gateway for trade between China and Pakistan.

    Even under the second five-year phase of the programme launched in July, the renewed CPEC investment in hydropower projects has focused on Azad Kashmir to the west.

    Belatedly, in response to public complaints about power shortages, a large hydropower plant in Hunza has been recently added to the brief list of planned CPEC projects in Gilgit-Baltistan.

    “Nobody here has a problem if billions of dollars of CPEC projects are built in Pakistan, as long as it’s not at the cost of excluding Gilgit-Baltistan, the gateway for the entire enterprise, or the property rights of the people,” Hussain said.

    “Otherwise, all that Gilgit-Baltistan will get out of CPEC is traffic pollution,” he said.

    The traffic will be slow in coming. While the southernmost stretch of the Karakorum Highway has been transformed into a motorway by Chinese firms working under the CPEC umbrella, most of the section in Gilgit-Baltistan has been in tatters for many years.

    Pakistan’s plans to rebuild the highway in Gilgit-Baltistan have been further pushed back by the construction of the massive Diamer-Bhasha Dam and Dasu hydropower project along the route.

    The US$2.7 billion contract to build the dam was awarded in May to a 70:30 joint venture between

    China Power – which has arranged financing from Chinese state-owned banks – and the FWO.

    Historically, the FWO and its sister military businesses laid the foundations of Gilgit-Baltistan’s economic infrastructure, starting with the Karakorum Highway.

    In recent years, however, their virtual monopoly position in the construction and communications sectors has proven to be a serious impediment for domestic and foreign investors – including Chinese firms.

    In 2018, the military-run Strategic Communications Organisation (SCO) vetoed the award of a licence to China Mobile to establish 4G internet networks in Gilgit-Baltistan, belatedly citing a redundant regulation which decades ago established it as the state monopoly operator in the disputed territory.

    However, the SCO has yet to fill the technological vacuum created by its intervention. Gilgit-Baltistan residents still do not have access to internet services capable of sustaining video streaming, although China completed the installation of a fibre optic cable to Pakistan via Gilgit-Baltistan two years ago.
    Public frustration at the SCO’s spoiler tactics boiled over during a Covid-19
    lockdown imposed throughout Gilgit-Baltistan between April and July. Students advised by Pakistan’s government to attend online classes during the peak of the pandemic took to social media to protest that they could not pursue their education because of poor connectivity.

    Instead of apologising, the SCO accused young social media activists of being “anti-state” in a tweet, which was quickly deleted after it triggered a public outcry.

    Likewise, Gilgit-Baltistan’s business community has become increasingly vocal in its criticism of the military’s business monopoly of public works projects in the region. At a press conference in September, representatives of the Gilgit-Baltistan contractors association said that, by hogging even relatively small scale government projects, the FWO and its sister military business concerns were putting the local construction industry out of business.

    These episodes typify the increasingly terse relationship between Pakistan’s state institutions and Gilgit-Baltistan society.

    Multiple sources in the civil service told This Week In Asia that there had been several instances of shouting matches between ranking local and federal bureaucrats, after the latter made demeaning remarks about Gilgit-Baltistan’s economic dependency on Islamabad.

    Similarly, activist lawyers – tacitly supported by influential local personalities – have launched a series of petitions in Gilgit-Baltistan’s higher courts to maintain pressure on the Pakistani state to grant self governance to the region.

    Gilgit-based lawyers involved in the campaign, speaking on condition of anonymity, said that their campaign also aimed to expose the perceived bias of the federally dominated Gilgit-Baltistan judiciary.

    Like many other activists who have challenged the writ of the Pakistani state in Gilgit-Baltistan, the campaigning lawyers have been charged with offences under draconian anti-terrorist laws.

    Activism against the state’s heavy-handedness peaked in October when the residents of Hunza blockaded the stretch of the Karakorum Highway between Gilgit and the Khunjerab Pass border crossing with China.

    Some 500 men, women and children of all ages staged a 24-hour sit-in to demand the release of activist Baba Jan and 13 other activists sentenced to life imprisonment for rioting, after violent clashes in 2011 between police and protesters seeking compensation for the loss of lives and property caused by a massive landslide.

    Lawyers associations supported the Hunza activists by boycotting courts in various districts of Gilgit-Baltistan on successive days.

    On the seventh day of the protests, the state blinked: after three years of stonewalling an appeal petition seeking the acquittal of the 14 Hunza activists, the caretaker Gilgit-Baltistan government said the case would be heard within a month. Their families were assured that the men would be home by November 30.

    Government officials and ranking politicians in the major political parties said public resentment was close to boiling point – particularly among Gilgit-Baltistan’s unemployed, educated youth.

    “The people of Gilgit-Baltistan feel that their loyalty has not been reciprocated because Pakistan’s establishment does not trust them,” said Akbar Hussain Akbar, chief spokesman of Khan’s PTI in Gilgit-Baltistan.

    “If people’s grievances are not addressed, the public blowback could be disastrous for Gilgit-Baltistan and Pakistan,” he said.

  5. মাসুদ করিম - ১৬ নভেম্বর ২০২০ (৪:৩৮ অপরাহ্ণ)

    Discovering the charming Soumitra Chatterjee

    He had a thick mop of black hair, a perfect chin, warm gentle smile and a very handsome face.

    He was our Apu, Umaprasad, Amulya, Amal, Ashim and Feluda.

    And he defined the phase in my life when I began to watch good cinema.

    As a teenager and college student, my life in Delhi had restricted my film viewing to mostly popular Hindi and English language cinema.

    Bengali and other regional language films would play in theatres in morning shows and sometimes on Doordarshan, but they were rarely subtitled.

    And yet, Soumitra Chatterjee — one of the finest Indian actors of our time — meant so much to me.

    The film lover in me could not have asked for a better life where time and again, I saw Chatterjee on the big screen, especially after I moved to New York in 1981.

    In the late 1970s, I was a university student in Delhi when some friends informed me that the film society at the Lady Shri Ram College was screening Satyajit Ray’s Apu Trilogy.

    For three consecutive days, I saw Pather Panchali (1955), Aparajito(1956) and Apur Sansar (1959) and my world changed.

    My friends and I wept, laughed and bonded over understanding of Ray’s humanist cinema.

    But more importantly, it was on the last day at the screening of Apur Sansar that I discovered the very charming Soumitra Chatterjee.

    Watching Ray’s films was easier in New York.

    The city had a long tradition of art-house cinemas where on any given day, movie lovers could see works by Akira Kurosawa, Ingmar Bergman, Francois Truffaut, Luis Buñuel or the Bengali master.

    Sponsored
    And that is how I saw a range of Ray’s films, all starring Soumitra Chatterjee in black and white — Devi (1960), Teen Kanya (1961, released in the West as Two Daughters), Abhijan (1962), Charulata (1964), Kapurush (1965) and Aranyer Din Ratri (1970).

    Later, when Ray transitioned to using colour in his films, I saw a new image of Soumitra Chatterjee in Ashani Sanket (1973), Sonar Kella (1974), Joi Baba Felunath (1979), Hirak Rajar Deshe (1980) and Ghare Baire (1984).

    I even saw him in Ray’s last few films, Ganashatru (1989) and Shakha Proshakha (1990), where the master film-maker’s magic touch seemed to slipping, possibly because of ill health.

    In all of these films, Chatterjee appeared as a strong upright character.

    Even when he was somewhat weak, such as in Kapurush or Devi, he had a definite moral centre that guided him.

    And then there was the romantic, playful and charming side to some of the characters — Amal, who breaks into the delightful song Ami Chini Go Chini in Kishore Kumar’s voice in Charulata and the cool detective Feluda in Sonar Kella and Joi Baba Felunath.

    In all, Chatterjee acted in 14 films with Ray.

    And while he worked with many other film-makers, including Mrinal Sen and Tapan Sinha, he was almost always known as Ray’s actor.

    This was perhaps because many of the Chatterjee’s films with other directors did not travel outside Bengal. They were not subtitled and did not get invited to international film festivals.

    Writing in The New Yorker, Pauline Kael referred to Chatterjee as Ray’s ‘one-man stock company’.

    Chatterjee was always indebted to Ray for giving him a break and then casting him in a number of classic films.

    ‘Had he asked me to be the doorman for a single scene, I would have agreed,’ Chatterjee once said about Ray. ‘Such was my love, respect and trust in him.’

    The soft, gentle actor that Chatterjee appeared in his films may have been different from the man in real life.

    At least, on one occasion, he got so angry that he hit the Bengali director Ritwik Ghatak at a public event.

    In the 1960s, there was a meeting organised by the Bengali film industry where Chatterjee was seated next to Ghatak. This is how Chatterjee described the incident to LiveMint:

    ‘He (Ghatak) had some very cheap habits; he would manipulate and rib people. He kept on abusing Satyajit Ray. I didn’t get provoked since I didn’t hold a brief to defend Ray. Maybe he got frustrated at my nonchalance and he used an expletive at me.’

    ‘I jumped at him, held him by his collar and planted a huge blow on him. One blow.’

    ‘I said I’ll bury him right there and that I’m not Satyajit Ray and not a bhoddorlok like him.’

    ‘I had a foul mouth too.’

    ‘People like Mrinalda had to intervene and stop me by force.’

    Naturally, Chatterjee never worked with Ghatak.

    There was one chance when Ghatak was making Komal Gandhar, but Chatterjee did not join the project since he thought the money offered to him was low.

    Although he received number of awards during the 60 plus years he was part of the film industry, it was only late in his career that he was recognised with the prestigious National Film Awards — two special jury mentions for Antradhan (1991, director Tapan Sinha) and Dekha (2000, director Goutam Ghosh).

    He received the best actor National Film Award only once — for Suman Ghosh’s 2006 film Podokkhep.

    He did receive other major honours, like a Padma Bhushan in 2004, a Dadasaheb Phalke Award in 2012, and the Legion d’;Honneur awarded by the French government in 2018.

    Chatterjee never acted in films outside the Bengali industry.

    There was that one chance, but Chatterjee missed it.

    When Shashi Kapoor set out to produce Shyam Benegal’s Kalyug (1981), he considered offering the role of Karan Singh to Soumitra Chatterjee. But the Bengali actor was unwell at that time and finally, Kapoor himself played the role.

    Chatterjee continued to work in films and even theatre long after Ray passed away in 1992.

    The new generation of film-makers gave him ample opportunity to explore his acting skills.

    In the last 10 years that I programmed the New York Indian Film Festival, I got to see a few new Bengali films starring Chatterjee, including Suman Ghosh’s Nobel Chor (2011), Peace Haven (2016), Basu Poribhar (2019), Srijit Mukherjee’s Hemlock Society (2012) and the delightfully creepy short directed by Sujoy Ghosh, Ahalya (2015) where he acted opposite Radhika Apte.

    I loved Chatterjee’s heartbreaking role of a man struggling with dementia in Atanu Ghosh’s Mayurakshi (2017).

    This past week I saw him in Director Anik Datta’s new film Borunbabur Bondhu (2020), a charming satire where Chatterjee plays an octogenarian whose childhood friend becomes the president of India.

    Earlier this year, I visited Kolkata for the first time to attend the Arthouse Asia Film Festival.

    One evening I met Suman Ghosh for drinks and quite by chance, he asked if I would like to meet Soumitra Chatterjee.

    I jumped at the opportunity.

    A quick phone call was placed and Chatterjee agreed to see the us the next day.

    But then he called back and changed the date to the day after.

    Ghosh was busy that day, so I agreed to go on my own.

    It was hard for me to find Chatterjee’s home in the Golf Green neighborhood of the city.

    Finally, the Uber driver dropped me in front of a large corner house.

    A man was sitting by the gate.

    He only spoke Bengali, but from what he said I figured that Chatterjee was not home.

    I was disappointed, since I had very limited time in Kolkata.

    Just then, a car pulled up.

    Chatterjee stepped out looking confused and frazzled. He apologised for being late and said his wife had taken ill in the morning and had been admitted to hospital.

    He escorted me to a corner room separate from the house.

    It must have been his study.

    We spoke briefly and I gave him a signed copy of my book on Irrfan Khan.

    Chatterjee seemed happy and said that he had liked Irrfan’s performance in The Lunchbox (2013).

    In fact, after he saw the film, he called Irrfan to congratulate him. But the two actors had never met.

    I left soon after, but Chatterjee obliged me with a selfie.

    His last words to me were that when I speak to Irrfan, I should tell him Soumitra Chatterjee was a big fan of his.

    Alas! I never got a chance to meet or speak to Irrfan.

    I can only hope the two actors will finally meet in the after life.

  6. মাসুদ করিম - ১৮ নভেম্বর ২০২০ (৪:২২ অপরাহ্ণ)

    বাংলা সাহিত্যে নক্ষত্রপতন, জার্মানিতে প্রয়াত কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত

    প্রয়াত হলেন প্রখ্যাত কবি আলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। জার্মানিতে নিজ বাসভবনে তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় সময় রাত নটা নাগাদ না ফেরার দেশে পাড়ি দেন কবি।

    ১৯৩৩ সালের ৬ অক্টোবর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত। শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে পড়াশোনা করেছেন। তারপরে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে, প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়েন এবং অবশেষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ভারতীয় কবিতায় গীতি নিয়ে তাঁর পড়াশুনার জন্য পিএইচডিপ্রাপ্ত হন। তিনি লিটল ম্যাগাজিনসমূহের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মূল জার্মান লেখাগুলিকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করতে থাকেন।

    তাঁর পিএইচডি শেষ করার পরে, কবি ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে ও বাংলা পড়িয়েছেন। এরপরে তিনি হাম্বোলড ফাউন্ডেশন ফেলোশিপে জার্মানি যান। ১৯৭১ সাল থেকে তিনি জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ইনসিটিটিউটে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ভারত ও জার্মানির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংযোগ প্রচারের জন্য প্রধান একটি প্রতিষ্ঠান, ডয়চে-ইন্দিসচে গেসেলশ্যাফ্টের (ডিআইজি) সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

    আলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত এমন একজন কবি, যিনি তাঁর সহকর্মী এবং ভক্তদের দ্বারা অনেক প্রশংসিত, তাঁর কবিতা মূলভাব এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের জন্য পরিচিত। জার্মান সরকার তাঁকে গ্যোটে পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে দুটি ভিন্ন সংস্কৃতিকে একত্রিত করার কাজে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছে। ১৯৯২ সালে ‘মরমী করাত’ কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত। এই কাব্যগ্রন্থই পরে তাঁকে প্রবাসী ভারতীয়ের সম্মান এনে দেয়। এ ছাড়া পেয়েছেন রবীন্দ্র পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার।

  7. মাসুদ করিম - ২৬ নভেম্বর ২০২০ (৪:৪১ অপরাহ্ণ)

    মারাদোনার চিরবিদায়

    পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ওপারে পাড়ি দিলেন দিয়েগো মারাদোনা। মৃত্যুকালে এই ফুটবল কিংবদন্তির বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।

    কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে বুধবার মারা যান ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত এই আর্জেন্টাইন।

    আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে খবরটি নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটির প্রধান ক্লাওদিও তাপিয়া শোকবার্তায় বলেন, “আমাদের কিংবদন্তির মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত, দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। সবসময় তুমি আমাদের হৃদয়ে থাকবে।”

    ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার মারাদোনা একক নৈপুণ্যে দেশকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন। ফুটবল কীর্তির বাইরেও যিনি ছিলেন বর্ণময় চরিত্রের অধিকারী। পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানানোর পরও নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে প্রায় সবসময়ই ছিলেন খবরের শিরোনাম হয়ে।

    দেশের হয়ে চারটি বিশ্বকাপ খেলা মারাদোনা জাতীয় দলের হয়ে ৯১ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ৩৪ গোল। ৮৬’র বিশ্ব জয়ের পরের বিশ্বকাপেও দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন মারাদোনা। কিন্তু শিরোপা লড়াইয়ে হেরে যায় সেই সময়ের পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে।

    ১৯৯৪ সালের যুক্তরাষ্ট্র আসরেও দলের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি; কিন্তু ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ হয়ে দুই ম্যাচ খেলেই দেশের পথ ধরতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। গ্রুপ পর্বে গ্রিসের বিপক্ষে জয়ের পর নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জেতা ম্যাচটিই হয়ে থাকে তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।

    টজোড়া তুলে রেখে কোচিং ক্যারিয়ারে পা রাখেন মারাদোনা। ২০১০ বিশ্বকাপে ছিলেন আর্জেন্টিনার ডাগআউটে। কোচ হিসেবে অবশ্য উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাননি তিনি। গতবছর থেকে স্বদেশের ক্লাব হিমনেশিয়ার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

    গত ৩০ অক্টোবর ৬০তম জন্মদিন পালন করার তিন দিন পর শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় মারাদোনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে পরের দিন তার অস্ত্রোপচার করানো হয়।

    অস্ত্রোপচার সফল হলেও হঠাৎ করে অ্যালকোহল পরিহার করায় কিছু সমস্যা দেখা দেয় তার। একারণে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল মারাদোনাকে।

    দেশের বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া মারাদোনা ক্লাব ক্যারিয়ারে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সময় কাটিয়েছেন নাপোলিতে। ইতালিয়ান ক্লাবটিকে জিতিয়েছিলেন তাদের ইতিহাসের প্রথম সেরি আ শিরোপা, ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে। দুই মৌসুম বাদে দলটির হয়ে জিতেছিলেন দ্বিতীয় সেরি আ। এখন পর্যন্ত ওই দুবারই লিগ শিরোপা জিতেছে নাপোলি।

    ১৯৮২ সালে বার্সেলোনার হয়ে ইউরোপীয় ফুটবলে পা রাখেন মারাদোনা। কাতালান ক্লাবটিতে দুই মৌসুম খেলে পাড়ি দিয়েছিলেন নাপোলিতে।

    ক্যারিয়ার জুড়ে মারাদোনা গড়েছেন ইতিহাস, জন্ম দিয়েছেন নানা কীর্তি, হয়ে উঠেছেন কিংবদন্তি।

    https://mknewsmedia.tumblr.com/post/635905400748769280/%E0%A6%9C-%E0%A6%A6-%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%A8-%E0%A6%87-%E0%A6%B0-%E0%A6%95-%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%B2-%E0%A6%AB-%E0%A6%9F%E0%A6%AC%E0%A6%B2-%E0%A6%AA-%E0%A6%B0%E0%A7%9F-%E0%A6%A4-%E0%A6%AE-%E0%A6%B0-%E0%A6%A6-%E0%A6%A8

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.