পাঠক সুপারিশকৃত এ সপ্তাহের কিছু লিঙ্ক।
দর্শন : মার্কসবাদ, সমাজতন্ত্র, বিজ্ঞান
মার্ক্সবাদ কি বিজ্ঞান, আজকে তার প্রাসঙ্গিকতা কী, কিংবা এখনকার সময়ের চিন্তাবিদেরা কীভাবে এই মতবাদকে দেখেন — এই নিয়ে উপভোগ্য ও দারুণ একটা আলোচনা/বিতর্ক চলছে এখানে।
বাংলাদেশ : রাজনীতি
রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার
পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ : জাতীয় চার নেতার হত্যা মামলা
গত ২৮ আগস্ট জেল হত্যা মামলায় বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি মোঃ আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছেন। রায়ে জাতীয় চার নেতা হত্যার অভিযোগ থেকে যে-সব আসামিকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়, তাঁরা হলেন : সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা এবং এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ। এখানে দেখুন।
পরিপ্রেক্ষিত আর্জেন্টিনা
পৃথিবীর আরেক প্রান্তের আরেক আদালতের দেয়া কাছাকাছি অপরাধের রায়ের একই দিনের এই খবরটির লিঙ্ক এক বন্ধু পাঠিয়েছেন। খবরটি আর্জেন্টিনার প্রাক্তন এক সিনেটরের (Guillermo Vargas Aignasse) ১৯৭৬ সালের এপ্রিলে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত সেখানকার দুই উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তার আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হওয়া নিয়ে। ১৯৭০ এবং ‘৮০-র দশকে আর্জেন্টিনার সামরিক শাসনামলে (যা Dirty War নামেও পরিচিত) এই দুই জেনারেল আন্তোনিও বুসি (৮২) এবং লুচিয়ানো বেনজামিন মেনেন্দেজ (৮১) সামরিক বাহিনীর উচ্চপদে আসীন ছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে সামরিক জান্তার নির্দেশে কমপক্ষে দশ সহস্রাধিক গুম খুন সংঘটিত হয়েছিল সে সময়, সবই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।
নিরুদ্দিষ্ট আর্জেন্টিনীয় সিনেটরের পরিবার ৩২ বছর পর হলেও সুবিচার পেলেন। আমাদের জাতীয় চার নেতার পরিবারের সে সৌভাগ্য হল না। বাংলাদেশের রাজনীতি আর বিচার বিভাগের জন্য ২৮ আগস্ট অন্ধকারতম দিনগুলোর একটি হয়ে থাকবে। আমাদের প্রিয় দেশটিতে গত ৩৭ বছরে অনেক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, প্রাসাদ ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চলেছে এবং রাষ্ট্রীয় আনুকুল্যে ও তত্ত্বাবধানে এ-সবের হোতা খুনীদের লালন-পালন ও তোষণ নীতি চলেছে দশকের পর দশক জুড়ে। জাতীয় চার নেতা হত্যার মূল আসামিরা একে একে ক্ষমা পেয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে উঠে এসেছে প্রাসঙ্গিক আরো অনেক রক্তাক্ত ইতিহাস। গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন আমরা যারা লালন করি তাদের এসব আজ জানা বোঝা অত্যন্ত জরুরি। এখানে দেখুন।
জনস্বার্থের আরেক দিক
আমাদের জাতীয় জীবনের উন্নতি এবং উৎকর্ষের জন্য বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান নানান সময়ে তাঁদের চরম উৎকণ্ঠার কথা জানান। আমাদের স্বল্প ও সীমিত খনিজ সম্পদের অতিশীঘ্র উত্তোলন ও এর যথাযথ ব্যবহারের বিষয়ে তাঁদের উদ্বেগের সীমা নেই । বিষয়টি অবশ্যই সাধুবাদের যোগ্য, কিন্তু তাঁদের সকলেই যে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিষয়টিতে আগ্রহী তা মোটেই নয়। এ বিষয়ে গত ২৬ আগস্ট NEW AGE পত্রিকায় প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন । দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে এ ধরনের কুৎসিত সুবিধাবাদীদের দল এখন সর্বত্র ।
যুদ্ধাপরাধী
এই লিঙ্কে দেখুন জামাত নেতা মীর কাসিম আলীর কুকীর্তি। এই কুখ্যাত লোকটি বর্তমান রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সম্মান ও গুরুত্ব লাভ করেছে, অগাধ টাকা করেছে, এমনকী একটি টেলিভিশন চ্যানেলেরও মালিক হয়ে গেছে। এখন যুদ্ধাপরাধী বলে, ‘৭১-এর ঘাতক বলে, কালো টাকার মালিক বলে তাকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করবে কোন আইন? এখানে দেখুন।
এই পোস্টে নতুন কোনো মন্তব্য গ্রহণ করা হচ্ছে না। মন্তব্যাকারে লিঙ্ক সুপারিশ করতে হলে “এ সপ্তাহের লিঙ্ক” শীর্ষক সাম্প্রতিকতম (তারিখ অনুযায়ী) পোস্টটি ব্যবহার করুন।