সুপারিশকৃত লিন্ক: মার্চ ২০১৭

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

৭ comments

  1. মাসুদ করিম - ৪ মার্চ ২০১৭ (১২:১০ অপরাহ্ণ)

    Al-Baghdadi’s “Farewell” Decoy: Daesh ‘Retreating to Regroup and Strike Again’

    Daesh leader Abu Bakr al-Baghdadi’s “farewell sermon” does not mean that the war is over for the terrorist group. It is more likely that Daesh will use the pause to regroup and resupply its fighters, Iranian political analyst Emad Abshenass told Sputnik.

    One shouldn’t delude oneself into believing that Daesh leader Abu Bakr al-Baghdadi will lay down his arms, Emad Abshenass, an Iranian political analyst and editor-in-chief of Iran Press newspaper, says.

    On Wednesday al-Baghdadi reportedly issued a statement called a “farewell address.”

    In his speech the leader of the terrorist group admitted that his organization had suffered defeat in recent clashes in Iraq, an independent Iraqi broadcaster Alsumaria News reported citing a source in Nineveh province.

    The news came amid the Iraqi offensive on Mosul. On Monday, Mahmud al Surdji, a member of Iraq’s Nineveh Plain Protection Units told Sputnik Arabic that the Iraqi government had restored its control over the highway connecting Mosul and the capital Baghdad.

    “They still have plans to continue to carry out terrorist attacks in other regions. For starters they are likely to hide in inaccessible mountainous regions, and then they will take action,” he said.

    The Iranian journalist recalled that during the US occupation of Iraqi and Afghanistan terrorists went underground and continued to conduct their subversive operations. As it turned out the Americans failed to cope with the terror threat.

    It appears that the history repeats itself, the political analyst noted. According to Abshenass, Daesh still poses a challenge to the US military in the region.

    He believes that the only way to tackle the Daesh threat is to “use the strength and solidarity of the people” which know the area where the terrorists could be hiding.

    Abshenass opined that the People’s Mobilization Forces (PMF) — also known as Al-Hashd Al-Sha’abi — an Iraqi organization composed of predominantly Shiite militia groups, would be the perfect choice for this mission.

    The Iranian journalist pointed out that Daesh’s destructive ideology poses yet another challenge. As long as it exists it will attract new followers and supporters.

    On the other hand, terrorists usually try to blend in with ordinary people and that seriously complicates anti-terrorist operations.

    Sergei Demidenko, a researcher at the School of Public Policy of the Russian Presidential Academy of National Economy and Public Administration (RANERA), echoes Abshenass.

    In his interview with RIA Novosti, Demidenko said that al-Baghdadi’s “farewell speech” doesn’t mean a breakthrough in the war against Daesh.

    “Now they are likely to go to the mountains, hide there, regroup, and then try to return what was taken from them,” he assumed.

    The Russian academic has no doubts that Daesh will try to make a “successful” comeback.

    They announced a retreat merely because they need a pause to regroup their forces, he believes.

    “Unless they are completely exhausted and destroyed, one cannot say that their doctrine ceased to exist,” he said.

  2. মাসুদ করিম - ৫ মার্চ ২০১৭ (৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ)

    সৌরবিদ্যুতের আগমনে কেরোসিনের ব্যবহার কমেছে ২ লাখ টন

    একসময় গ্রামাঞ্চলে কুপি ও হারিকেনই ছিল রাত্রিকালীন আলোর উত্স। এসব কুপি ও হারিকেন জ্বালাতে প্রয়োজন পড়ত কেরোসিন তেলের। সারা দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য তখন প্রয়োজন পড়ত প্রচুর পরিমাণে কেরোসিন আমদানির, যার জন্য ব্যয় হতো রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বিপুল অর্থ। কিন্তু প্রযুক্তির আশীর্বাদে রাতের বেলায়ও সূর্যের দিনে ছড়ানো আলোর ব্যবহার করতে শিখে গিয়েছে মানুষ। গ্রামাঞ্চলের বাসাবাড়ির ছাদে এখন সোলার প্যানেল বসছে, যা থেকে তৈরি হচ্ছে বিদ্যুৎ। ফলে রাত্রিকালীন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার কমেছে কেরোসিনের। সোলার মডিউল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এসএমএমএবি) হিসাব অনুযায়ী, সৌরবিদ্যুতের আগমনে দেশে কেরোসিনের বার্ষিক ব্যবহার কমেছে প্রায় দুই লাখ টন।
    এসএমএমএবির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌরবিদ্যুতের কল্যাণে দেশে কেরোসিনের বার্ষিক ব্যবহার কমেছে ১ লাখ ৮০ হাজার টন। চাহিদা কমায় দেশে বর্তমানে পণ্যটির আমদানিও হ্রাস পেয়েছে অনেক। ফলে প্রতি বছর সংশ্লিষ্ট খাত থেকে সাশ্রয় হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা।
    বাসাবাড়িতে সোলার প্যানেল ব্যবহারের বিপরীতে কেরোসিনের অতীত চাহিদা হিসাব করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংস্থাটি। এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি মনোয়ার মেজবাহ মঈন বলেন, সরকার ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। ২০১৭ সালের মধ্যে সরকার আরো ৩০ লাখ সোলার প্যানেল বিতরণের পরিকল্পনা নিয়েছে। কেরোসিন তেলের আমদানি কমায় যেভাবে ব্যয় কমেছে, তেমনি বিদেশী সোলার প্যানেল আমদানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে এখান থেকেও ব্যয় অনেকখানিই কমানো সম্ভব।
    এসএমএমএবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে সোলার প্যানেলের ব্যবহার হচ্ছে প্রায় ৪৪ লাখ বাসাবাড়িতে। আগে এসব বাড়িতে রাতে কুপি বা হারিকেন জ্বালাতে বছরে অতিরিক্ত কেরোসিন তেলের প্রয়োজন হতো প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টন। বর্তমানে এসব বাড়িতে জীবাশ্ম জ্বালানিটির চাহিদাকে প্রতিস্থাপন করেছে সোলার প্যানেলের ব্যবহার।
    চাহিদা পড়ে যাওয়ায় বর্তমানে পণ্যটির আমদানিও কমিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। আন্তর্জাতিক বাজারদর হিসেবে কেরোসিন আমদানি বাবদ সরকারের ব্যয় কমেছে বছরে প্রায় ১ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা।
    বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি, ক্যাপটিভ, ভাড়াভিত্তিক ও আমদানিসহ দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১৫ হাজার ৫৪০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি তথা সৌরবিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎ থেকে যোগ হচ্ছে ৪৯০ মেগাওয়াট। নবায়নযোগ্য খাত থেকে পাওয়া বিদ্যুতের ২৩০ মেগাওয়াট আসে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। এছাড়া সৌর থেকে ১৪৫ মেগাওয়াট, বায়ু থেকে ২ দশমিক ৯ মেগাওয়াট ও বায়োগ্যাস থেকে ১ দশমিক শূন্য ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।
    অন্যদিকে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) সূত্রে জানা গেছে, দেশে অনেক দুর্গম এলাকা রয়েছে, যেখানে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের নির্মাণ ও সম্প্রসারণ বেশ ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। প্রত্যন্ত এসব এলাকা অফ-গ্রিড গ্রামীণ এলাকা নামে পরিচিত। এসব এলাকার বাসিন্দাদের বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসা একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়।
    এসব এলাকার জনগণকে বৈদ্যুতিক সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে বর্তমানে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে— অবকাঠামো উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান (ইডকল), গ্রামীণ শক্তি, রহিমআফরোজসহ আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ইডকলের বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় অফ-গ্রিড গ্রামীণ এলাকায় এরই মধ্যে প্রায় ৪৪ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। কর্মসূচিটির মাধ্যমে প্রতি মাসে ৬৫ হাজারের বেশি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে; যা প্রতি বছর গড়ে ৫৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে দেশে কেরোসিন আমদানির পরিমাণ আরো কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
    কেরোসিনের ব্যবহার কমে যাওয়ার বিষয়ে স্রেডার সদস্য (জ্বালানি দক্ষতা ও সংরক্ষণ) সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, এতে যে শুধু জ্বালানি আমদানি ব্যয় কমছে, তা নয়। স্বাস্থ্যঝুঁকিও কমছে। কারণ কেরোসিন পোড়ানোর ফলে ঘরের বাতাসে কার্বন নিঃসরণ বাড়ে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই কেরোসিনের ব্যবহার যত কমবে, স্বাস্থ্য ব্যয়ও তত কমবে।
    বাসাবাড়ির পাশাপাশি কৃষিকাজেও সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে। দেশে মোট কৃষি ব্যয়ের ৪৩ শতাংশই খরচ হয় সেচের পেছনে। সেচে ব্যবহূত পাম্পের প্রধান জ্বালানি হচ্ছে ডিজেল। ফলে এখান থেকেও পরিবেশে এক ধরনের দূষণ ঘটে। কিন্তু সৌরচালিত সেচপাম্পের মাধ্যমে এ দূষণ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি ডিজেলনির্ভরতাও কমছে। বর্তমানে সারা দেশে সৌরবিদ্যুৎ নির্ভর সেচপাম্প চালু রয়েছে প্রায় ৪৫০টি।
    বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ১০ শতাংশ আসবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে। সেক্ষেত্রে ২০২১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে। এর মধ্যে সিংহভাগই আসবে সৌরবিদ্যুৎ থেকে। কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে সৌর প্যানেল উৎপাদনের পাশাপাশি তা বিদেশ থেকেও আমদানি করা হচ্ছে। এতে দেশের বাজারে বিদেশী নিম্নমানের প্যানেলও অনুপ্রবেশ করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, সৌরবিদ্যুৎ খাতে আমদানিনির্ভরতা না কমানো হলো চলতি বছর এ বাবদ দেশের বাইরে চলে যাবে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
    এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সৌর প্যানেল ব্যবহারে বাংলাদেশ অসামান্য রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ব্যবহারের পাশাপাশি দেশেই এখন সৌর প্যানেল তৈরি হচ্ছে। তবে নিম্নমানের প্যানেল আমদানি বন্ধ করতে স্থানীয়দের মানসম্পন্ন মডিউল তৈরি ও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মূল্য সমন্বয় করতে হবে।

  3. মাসুদ করিম - ৮ মার্চ ২০১৭ (৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ)

    বিদায় কালিকাপ্রসাদ

    পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দোহারের কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য। কলকাতা থেকে অনুষ্ঠান করতে সিউড়ি যাচ্ছিল দোহার ব্যান্ড। পথে হুগলির গুড়াপে টায়ার ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারায় গাড়ি। তার পরেই ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় সেটি। গাড়িতে কালিকাপ্রসাদ‌–সহ ব্যান্ডের ৬ জন সদস্য ছিলেন। আহতদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কালিকাপ্রসাদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাকি ৫ জন গুরুতর আহত। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে শিল্পীমহলে নামে শোকের ছায়া। এভাবেই বছর দেড়েক আগে পথ দুর্ঘটনায় মারা যান অভিনেতা পীযুষ গাঙ্গুলি। শিল্পীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। স্তম্ভিত গৌতম ঘোষ, শ্রাবণী সেন, উষা উত্থুপ, সুরজিৎ।‌
    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কেওড়াতলায় কালিকাপ্রসাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। বর্ধমান থেকে তাঁর মৃতদেহ প্রথমে আসে নবান্নর কাছে টোলপ্লাজায়। মুখ্যমন্ত্রী ওখানে শ্রদ্ধা জানান শিল্পীকে। পরে রবীন্দ্রসদনে যখন শিল্পীর মরদেহ রাখা হয়, তখনও মুখ্যমন্ত্রী আসেন এবং সমবেদনা জানান কালিকাপ্রসাদের স্বজন–পরিজনকে। শোকযাত্রায় যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। শ্মশানেও উপস্থিত ছিলেন তিনি। রবীন্দ্রসদনে আসার আগে সন্তোষপুরে তাঁর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয় কালিকাপ্রসাদের মরদেহ। ওখানে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন–সহ অগুনতি বিশিষ্ট মানুষ। তাঁকে এদিন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন হৈমন্তী শুক্লা, শ্রীকান্ত আচার্য, শুভেন্দু মাইতি, লোপামুদ্রা মিত্র, সৌমিত্র রায়, রবীন দেব, সুজন চক্রবর্তী, বিকাশ ভট্টাচার্য, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়–সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। কালিকাপ্রসাদের জন্মভূমি শিলচরও শোকস্তব্ধ। ওখানে বুধবার দুপুর পর্যন্ত সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখা হচ্ছে। বুধবার শিলচরে কালিকাপ্রসাদের স্মরণে শোকমিছিল বের করবে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ। শোকের আবহ বাংলা থেকে শিলচর— সর্বত্র।
    হুগলি থেকে মিল্টন সেন জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ কলকাতা থেকে বর্ধমানের দিকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে হুগলির গুড়াপে। কলকাতায় অনুষ্ঠান সেরে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিলেন জনপ্রিয় গায়ক ও লোকগানের দল ‘‌দোহার’‌–এর কর্ণধার কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য (‌৪৭) ও তাঁর ৫ সঙ্গী। নীলাদ্রি রায় (‌২১)‌, অর্ণব রায় (‌৩০)‌, সুদীপ্ত চক্রবর্তী (‌৩০)‌, সন্দীপন পাল (‌২৮)‌ ও রাজীব দাস (‌৩০)‌। সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজে মঙ্গলবার অনুষ্ঠান ছিল তাঁদের। বর্ধমান থেকে পানাগড় হয়ে সিউড়ি যাওয়ার কথা ছিল। চালক–‌সহ ওই এসইউভি গাড়িতে ছিলেন ৬ জন। গুড়াপ থানার অন্তর্গত দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পৈলান কারখানা সংলগ্ন এলাকায় দ্রুতগতিতে চলছিল তাঁদের গাড়ি। আচমকাই চলন্ত গাড়ির একটি চাকা খুলে বেরিয়ে যায় বলে পুলিস জানিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি ধাক্কা মারে এক্সপ্রেসওয়ের গার্ড ওয়ালে। এর পরই রাস্তার নিচে পড়ে যায় গাড়িটি। প্রত্যেকেই গুরুতর আহত হন। কালিকাপ্রসাদ, নীলাদ্রি ও অর্ণবের মাথায় ও মুখে গুরুতর আঘাত লাগে। এক্সপ্রেসওয়েতে কর্মরত পুলিসকর্মীরা দেখতে পেয়ে উদ্ধার করতে ছুটে আসেন। তাঁদের মোবাইল ভ্যানে তুলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। রাস্তাতেই মৃত্যু হয় কালিকাপ্রসাদের। বাকি ৫ জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
    শিলচরের মানুষ কালিকাপ্রসাদের এই অকালপ্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার সঙ্গীতজগৎ। তিনি শুধু লোকগানের দল ‘‌দোহার’‌–এর গায়ক ছিলেন না, লোকগানের গবেষকও ছিলেন। সারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকগান সংগ্রহ করতেন। গৌতম ঘোষের ছবি ‘‌মনের মানুষ’–‌এ‌ তাঁর গান অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের জাতিস্মর ছবিতে তিনি গান এবং অভিনয় দুটোই করেছিলেন। সম্প্রতি জি বাংলার সা রে গা মা পা–‌র লোকগানের প্রশিক্ষকও ছিলেন। অনুষ্ঠানটিতে লোকগান প্রাধান্য পায় তাঁরই জন্য। তাঁর এই অকালপ্রয়াণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন।

  4. রেজাউল করিম সুমন - ১৩ মার্চ ২০১৭ (১২:১১ পূর্বাহ্ণ)

    আমাদের প্রিয় শিক্ষক, ভাষাসংগ্রামী, পূর্ববঙ্গ প্রগতি লেখক ও শিল্পী সঙ্ঘের ক্রান্তিলগ্নের সভাপতি, মনস্বী প্রাবন্ধিক, অধ্যাপক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ৯ মার্চ ২০১৭, বৃহস্পতিবার, তাঁর চট্টগ্রামের বাসভবনে প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর জন্ম ১৯২৬ সালের ২৫ আগস্ট। তাঁর স্মৃতির প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।

    সুপ্রভাত বাংলাদেশ-এ প্রকাশিত শ্রদ্ধাঞ্জলি

    অধ্যক্ষ নজরুল স্মরণে
    আবুল মোমেন

    অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম একজন ব্যতিক্রমী মানুষ। পুলিশ কর্মকর্তার পুত্র, কিন্তু মজ্জাগত ছিল সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা। কলকাতায় কেটেছে ছাত্রজীবনের অনেকখানি। সেখানে তাঁর সাহিত্য বোধ যেমন লালিত হয়েছে তেমনি অর্জন করেছেন মেট্রোপলিটন মন। দেশভাগের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে বাংলাসাহিত্য পড়েছেন। আর সাহিত্যচর্চা শুরু করেছিলেন ছাত্রজীবনের গোড়া থেকেই।

    সাহিত্যপাঠ অধ্যক্ষ নজরুলকে জীবনমুখী ও মানবতাবাদী হিসেবে গড়ে তুলেছিল। এই বোধ তিনি আজীবন লালন করে গেছেন। তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে কলকাতার প্রগতিবাদী সাহিত্য-পত্রে – নতুন সাহিত্য, পরিচয় ইত্যাদি। তাতে বোঝা যায় তাঁর ঝোঁক ছিল বামপন্থার দিকে। কিন্তু পাকিস্তানে চাকুরিজীবী পরিবারের সাহিত্যামোদী তরুণের জন্যে বামপন্থা চর্চার সুযোগ ছিল সীমিত। তরুণ নজরুল একসময় যোগ দিলেন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে, বাংলার শিক্ষক হিসেবে।

    এখানে তিনি মেধাবী কিশোরদের পেয়েছেন ছাত্র হিসেবে। তাদের মধ্যে সাহিত্য বোধের সাথে জীবনবোধ তৈরির কাজ করেছেন তিনি। তরুণদের মধ্যে মানবিক গুণাবলী এবং নান্দনিক রুচির বিকাশেও তাঁর সযত্ন প্রয়াস ছিল বরাবর।

    ক্যাডেট কলেজের নিয়মবদ্ধ পরিবেশ, তদুপরি পাকিস্তানের শৃঙ্খলিত জীবনে, অধ্যক্ষ নজরুলের সাহিত্যিক প্রয়াস ধীরে ধীরে রুদ্ধ হয়ে আসে। দীর্ঘকাল, প্রায় পুরো চাকুরি জীবনের তিন দশক, তাঁর লেখালেখি তেমন দেখা যায়নি। তবে সময়টা কি ব্যর্থ গেছে? না, তাও বলা যাবে না, আশ্চর্য দক্ষতায় জনাব নজরুল ইসলাম তাঁর মৌলিক সত্তাটি রক্ষা করতে পেরেছিলেন। চাকুরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি তাঁর পুরোনো যোগাযোগগুলো যেন ফিরে তৈরি করতে থাকলেন।

    আমরা অনেকেই অধ্যক্ষ নজরুলকে চিনেছি, সান্নিধ্যে এসেছি তাঁর অবসরগ্রহণের পরে। সেই থেকে শয্যাশায়ী হওয়ার আগে প্রায় দুই দশক তাঁকে দেখেছি, পেয়েছি কাছ থেকে। মূলত দেখা হত চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বহুদিনের এক পুরোধা ব্যক্তি ডা. কামাল এ. খানের মোমিন রোডের চেম্বারে। তখন কামালভাই ও পোর্টের প্রধান মেডিক্যাল কর্মকর্তার পদ থেকে অবসর নিয়ে একটি চেম্বারসহ নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছিলেন। তবে তিনি চেম্বারে আদৌ আগ্রহী ছিলেন কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ আছে, আদতে এটি ছিল তাঁর জনসংযোগ ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগের কেন্দ্র।

    অধ্যক্ষ নজরুল প্রায়ই এখানে আসতেন, কামালভাই ও নজরুলসাহেব প্রায় সমবয়সী, তাছাড়া কামালভাইয়ের সন্তান বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. ইরশাদ কামাল খান ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে তাঁর ছাত্র ছিল। ফলে পুত্রের শিক্ষক ও সমমনা সমবয়েসির সাথে কামালভাইয়ের ছিল সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সম্পর্ক।

    এখানে লক্ষ্য করেছি অধ্যাপক নজরুল ইসলামের মধ্যে একজন মুক্তমনা চিন্তাবিদের মানসটি সজীব ও সক্রিয়। দীর্ঘদিন বিভিন্ন ক্যাডেট কলেজের নিয়মবদ্ধ শৃঙ্খলায় জীবন কাটলেও তা তাঁর মুক্তচিন্তার মানসকে বদলাতে পারেনি। কেবল লেখার কাজটি বাদ দিয়েছিলেন তখন।

    আমরা তাঁর মধ্যে একদিকে রসবোধ, কৌতুকবোধ যেমন দেখেছি তেমনি পাশাপাশি দেখেছি চিন্তার স্বচ্ছতা ও ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তা। তাঁর চিন্তার মৌলিকত্ব এবং তা প্রকাশে অকপট দৃঢ়তা বরং অনেককে বিব্রত করেছে, কিংবা অনেককেই চমকে দিত। সমালোচক, ভিন্নমতাবলম্বীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই তিনি দৃঢ়তার সাথে নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে পারতেন।

    অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া অঞ্চল। এটি ধর্মীয় রক্ষণশীল এলাকা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু নজরুল ইসলাম উদার অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ ছিলেন। প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের গোঁড়ামি ও সাম্প্রদায়িকতাকে তিনি পরিহার করে চলতেন। বলা যায় অধ্যক্ষ নজরুল ছিলেন উদার মানবতাবাদী একজন মানুষ।

    গত বছর অক্টোবরে তাঁর এককালের ছাত্র এবং লেখক ও শিল্পবোদ্ধা আলম খোরশেদের প্রতিষ্ঠান বিস্তার : চিটাগাং আর্টস কমপ্লেক্স এবং প্রাক্তন ফৌজিয়ানদের সংগঠন মিলে তাদের প্রিয় শিক্ষকের নব্বই বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়েছিল।

    তাতে নজরুলসাহেব যোগ দিয়েছিলেন, এবং হুইল চেয়ারে বসেও তাঁর রসিকতা, কখনো বা নিজেকে নিয়ে লঘুচালে কিছু বলার মত সতেজ মনের পরিচয় পাচ্ছিলাম।

    অত্যন্ত অল্প বয়সে পূর্ববঙ্গ-প্রগতি লেখক ও শিল্পী সংঘের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশকে তাঁর লেখা ছাপা হয়েছে কলকাতার সত্যযুগ, নতুন সাহিত্য এবং ঢাকার সওগাত, সমকাল ইত্যাদিতে। সে সময় তাঁর প্রবন্ধ পড়ে ‘মুগ্ধ ও অভিভুত’ হওয়ার কথা লিখেছেন বিশিষ্ট গবেষক ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব শামসুজ্জামান খান। তবে সেই ক্যাডেট কলেজ দুর্গে ১৯৬১ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত ত্রিশ বছর অতিবাহিত হওয়ায় তাঁর মত মননশীল লেখকের প্রথম বই ‘সুন্দরের সংগ্রাম ও বুদ্ধিবাদের ট্র্যাজেডি’ প্রকাশিত হয় ২০০২ সনে। তখন তাঁর বয়স ৭৬। এ বইয়ের মুখবন্ধে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান লিখেছেন, ‘সংখ্যায় কম হলেও তাঁর রচনার মান বেশ উঁচু। তাঁর প্রবন্ধের সর্বত্র মেধা ও চিন্তার পরিচয় আছে।’

    আজকে আমাদের সমাজে উদার মনের মুক্তচিন্তার বর্ষীয়ান মানুষের সংখ্যা খুবই কম। তাই এ সময়ে প্রায় ৯১ বছর বয়সেও তাঁর মত মানুষের প্রয়াণ সমাজে এমন শূন্যতা সৃষ্টি করবে যা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। শয্যাশায়ী অবস্থায়ও তিনি সাম্প্রতিক বই-পুস্তকের খবর রাখতেন, অনেক তরুণ লেখকদের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করতেন।

    সদ্য প্রয়াত অধ্যাপক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

    শিক্ষামনস্ক মানুষের ক্ষতি হয়ে গেল
    ইরশাদ কামাল খান

    অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আমার বাংলার শিক্ষক ছিলেন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে। তাই স্বাভাবিকভাবেই ১৯৬৬ সালে সপ্তম শ্রেণিতে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তাঁকে চিনি। যদিও সরাসরি শিক্ষক হিসেবে তাঁকে পাই নবম শ্রেণিতে ওঠার পর থেকে। লক্ষ্য করেছিলাম যে প্যারেন্টস-ডে তে তিনি অনেক অভিভাবকের ভিড়ের মধ্যেও আমার বাবা (ডা. কামাল এ খান) -কে খুঁজে বের করে তাঁর সঙ্গে অনেকক্ষণ গল্প করতেন। তাঁর সঙ্গে প্রায়ই থাকতেন বাংলার অপর শিক্ষক হাসান স্যার এবং রাজনীতি বিজ্ঞানের শিক্ষক (শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর ছোট ভাই) নাসীর চৌধুরী সাহেব। তাঁদের আলাপচারিতা আমার কাছে তখন অবশ্য দুর্বোধ্যই মনে হত।

    নজরুল স্যারের ক্লাশের বড় বৈশিষ্ট্য ছিল যে বই এবং পাঠ্য বিষয়ের প্রসঙ্গে তিনি যত না বলতেন, তার চেয়ে অনেক বেশি বলতেন জগতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। তাঁর এই আলোচনা আমাদেরকে প্রচণ্ডভাবে রোমাঞ্চিত করত। তাঁর কথাগুলো আমাদেরকে নিয়ে যেত ভিন্ন কোন জগতে; আমরা যে-ধরনের জগতে বাস করতাম এবং সচরাচর যে ধরনের মূল্যবোধ আমাদের ধারণ করার কথা বলে মনে করতাম, তা থেকে এই জগৎ একেবারেই বিপরীত মেরুতে। এই একেবারেই অপরিচিত, কিন্তু রহস্যজনক কারণে আকর্ষণীয় জগতের আভাসের কারণেই বোধহয় আমরা রোমাঞ্চিত হতাম। আমি বরাবরই ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করেছি। তাই ’শ্রীকান্ত’ থেকে আমাদের পাঠ্য পড়াবার ফাঁকে তিনি শরৎচন্দ্র সম্পর্কে তাঁর জীবন, বিভিন্ন উপন্যাস এবং চরিত্রগুলো নিয়ে খুব সাবলীল ভঙ্গিতে যেসব গল্প করতেন সেগুলো আমি এবং আমার সহপাঠীরা গলাধঃকরণ করতাম এবং এসব বিষয়ে আরও জানার জন্য প্রচণ্ড পিপাসা তৈরি হত। সেবার লম্বা ছুটিতে বাড়ি গিয়ে বাবার বুকশেল্ফ থেকে শ্রীকান্ত খুঁজে বের করে অনেক কষ্টে পড়ে শেষ করলাম। মনে হল এক নতুন পৃথিবী আবিষ্কার করলাম। বোধহয় আরও বেশ কিছু বইও সেই অনুপ্রেরণায় পড়ে ফেললাম। ছুটির পর কলেজে ফেরার দিন বাবাকে নজরুল স্যারকে বলতে শুনলাম, আপনার ছাত্রতো শরৎচন্দ্রের স্বাদ পেয়েছে মনে হয়। আমার মনে হল স্যার বেশ গম্ভীরভাবে, অথচ কৌতূহলের দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালেন।

    আমাদের বাংলার দুজন শিক্ষকই — নজরুল এবং হাসান স্যার — বিশুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ, বানান এবং ব্যাকরণের ব্যাপারে অতি মনোযোগী ছিলেন। নিঃসন্দেহে তাঁদের বিভিন্ন প্রজন্মের অনেক ছাত্রই এর জন্য তাঁদের কাছে চিরঋণী রয়ে গিয়ে থাকবে। তাই ক্যাডেট কলেজ একটি ইংরেজি মাধ্যমে (অবশ্য জাতীয় পাঠ্যসূচি অনুযায়ী) শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও এর ছাত্রদের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য শিক্ষার ভিত্তি হয়ে গিয়েছিল বেশ মজবুত। বাংলা পরীক্ষার ফলও হত সাধারণত খুবই ভাল, এমনকি ভাল বাংলা মাধ্যমের বিদ্যালয়গুলোর তুলনায়ও।

    ১৯৭০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার পর আর ক্যাডেট কলেজে ফিরে যাইনি। কিন্তু এরপরও মাঝে মাঝেই লক্ষ্য করেছি আমার বাবার সঙ্গে নজরুল স্যারের যোগাযোগ রয়ে গেল। মুক্তিযুদ্ধের পরপর ১৯৭২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের মুসলিম ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভার অন্যতম আয়োজক হিসেবে কাজ করছিলেন আমার বাবা। সভাপতিত্ব করছিলেন অধ্যাপক আবুল ফজল। বক্তাদের মধ্যে ড. আনিসুজ্জামান, ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক মমতাজউদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক তাহের, হায়াৎ মামুদের সঙ্গে নজরুল স্যারের বক্তৃতাও শুনলাম।

    আবছা মনে পড়ছে, তিনি বলছিলেন, ক্যাডেট কলেজে আকবর হাউসের নামকরণ করা হয়েছে শহীদুল্লাহ হাউস, সুইমিং পুলের সামনে সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে ’সন্তরণ পল্বল’। আসলে ক্যাডেট কলেজে শিক্ষকতা করে নিয়মিত ভিত্তিতে চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা ছিল প্রায় অসম্ভব। তাও বোধহয় কিছুদিন নজরুল স্যার কিছুটা অংশগ্রহণ করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন।
    নজরুল স্যার সিলেট ক্যাডেট কলেজে প্রিন্সিপ্যালের দায়িত্ব পালন করার পর অবসর গ্রহণ করেন এবং একসময় মোমিন রোডে থাকতেন। সেসময় আমার বাবার চেম্বার এবং বাসা ছিল সেখানেই। স্যার প্রায় প্রতিদিনই বাবার চেম্বারে গিয়ে তাঁর সঙ্গে আড্ডা দিতেন। সেই সুবাদে আবার তাঁর সঙ্গে আমার এবং আমার স্ত্রী ডা. মিতালীর নিয়মিত দেখা হতে শুরু করল। আমাদের মনে হত দুজনই একে অপরের সঙ্গ খুব উপভোগ করতেন।

    সম্ভবত বছর পনের আগে নজরুল স্যার অসুস্থ এই খবরটা পেয়ে তাঁর আল করীম ম্যানসনের সরকারি ফ্ল্যাটে তাঁকে দেখতে গেলাম। হাঁটুতে গুরুতর চোটের কারণে তিনি শয্যাশায়ী, ঢাকায় তাঁর যা চিকিৎসা হয়েছে তাতে কাজ হয়নি। মনে হল সমস্ত ব্যাপার তাঁর একমাত্র কন্যা ইলোরা সামাল দিতে গিয়ে বেশ দিশেহারা হয়ে পড়ছে। অবস্থা দেখে মিতালী অনেকটা ভর্ৎসনার সুরে বলল, স্যারের এত ছাত্র থাকতেও কেউ কিছু করছে না কেন? আমি ব্যাপারটা কয়েকজন প্রাক্তন ফৌজিয়ানের সঙ্গে আলাপ করে খুব ভাল সাড়া পেলাম। আমার বন্ধু পূর্বকোণের সম্পাদক স্থপতি তসলীম, সাইফ ভাই, ডা. মেজবাহ, ডা. সারওয়ার, ডা. রমীজ এবং আরো অনেকে দ্রুত কাজ শুরু করল। তসলীমের অফিসে ঘনঘন সন্ধ্যাবেলায় সভা হতে থাকল। আমাদের প্রবাসী বন্ধুরা সোৎসাহে বিদেশ থেকে অর্থ পাঠাতে লাগল। একসময় আমাদের জানিয়ে দিতে হল যে তহবিলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়ে গেছে, আর টাকা পাঠানোর দরকার নেই। স্যার গেলেন দক্ষিণ ভারতের ভেলোরে চিকিৎসার জন্য। ফৌজিয়ানদের মধ্যে থেকে ডা. ধীমান গেলেন তাঁর সঙ্গে। সফল অস্ত্রোপচারের পর তিনি দেশে ফিরলেন এবং মনে হল নাটকীয় উন্নতিও হল স্যারের স্বাস্থ্যের। মনে হল আমার বন্ধুরা উপলব্ধি করল যে এতে তারা জীবনের একটি মূল্যবান কাজ সারতে পেরেছে। একজন শিক্ষক তাঁর অবসরের পরও প্রাক্তন ছাত্রদের শেখালেন, জীবনের করণীয় সম্পর্কে।

    স্যার অপ্রিয় সত্য কথা অকপটে বলতেন, এটা ছিল সর্বজনবিদিত। সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার এবং পিছিয়ে থাকা মতবাদ তিনি অবলীলায় প্রত্যাখ্যান করতেন। এজন্য যে সৎসাহসের প্রয়োজন সেটি তাঁর মধ্যে সবসময় ছিল। তাঁর বিভিন্ন লেখা ও বই থেকে সমাজের সকল স্তরের মানুষ উপকৃত হবেন এবং মূল্যবান শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। আমি জানি আমরা, তাঁর ছাত্ররা, স্যারের ক্লাসে যে অনন্য অভিজ্ঞতা লাভ করতাম তাঁর প্রবন্ধ ও বইয়ের পাঠক তার কিছুটা অনুভব করতে পারবেন।

    স্যার ছাত্রজীবনে এবং তার পরও সাহিত্যের অঙ্গনে দাপটের সঙ্গে বিচরণ করতেন। কিন্তু সম্ভবত ক্যাডেট কলেজে চাকরি করার কারণেই তাঁর জন্য স্বভাবসুলভ এই বিচরণ তিনি ধরে রাখতে পারেননি। তাঁর তখনকার সমকক্ষ ব্যক্তিরা, এমনকি তিনি নিজেও আফসোস করে থাকতে পারেন যে তাঁর সাহিত্যিক প্রতিভা কাজে না লাগানোর কারণে তিনি নিজেকে এবং সমাজকে মহান সৃষ্টি থেকে বঞ্চিত করেছেন। তবে আমার মনে হয়েছে যে তাঁর অসংখ্য ছাত্রের কীর্তির মধ্যে তাঁর মহান সৃষ্টি বিরাজ করছে। তাঁর প্রয়াণে দেশের জ্ঞান ও শিক্ষামনস্ক মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।

    প্রথম আলোয় প্রকাশিত শোক সংবাদ : এখানে

  5. মাসুদ করিম - ১৪ মার্চ ২০১৭ (৫:১০ অপরাহ্ণ)

    Of frustration and solace: Bangladesh’s journey to 100 Tests

    Bangladesh have not had too many successes since receiving Test status in 2000, but 99 matches on, support and talent holds the team in good stead for the future

    Status is an important word in Bangladesh society. It includes financial well-being, respect and value of a human being, a family and a community. It is such an important word in the country’s lexicon that it almost sounds like a Bangla word.

    When Saber Hossain Chowdhury and Syed Ashraful Haque spoke about Test status in 1996, many didn’t get what the fuss was all about. But when the Bangladesh team won the 1997 ICC Trophy, they just had to get Test status.

    It is not to suggest that Bangladeshis didn’t know what Test cricket was. Many grew up watching Australia early in the morning and West Indies late into the night. India-Pakistan arguments were a regular feature at the dinner table.

    Soon many figured out the value of Test status. Nationalism was attached to it, and an all-out effort was made, through Saber and Ashraful, to achieve Test status. It finally came in June 2000, and Bangladesh became the 10th Test-playing nation. But what have Bangladesh made of their status as a Test team? Eight wins out of the first 99 matches. The first time they beat a top-seven ranked side was 16 years after their debut.

    As a Test side, Bangladesh’s performances haven’t met the expectations of their massive fan base, although success in ODIs in the recent past has helped. The country’s cricket following is immense, and talented players are emerging from several regions. Cricket is a national pastime that has taken over one of every three conversations in modern Bangladesh – the others are about traffic and Facebook.

    Cricket has given the people of Bangladesh a new identity, and that’s what should keep the game, and its most cherished format, in the country. T20s are big in Bangladesh too. But gaining Test status has meant that Bangladeshis who work in paddy fields in Barisal, or in an air-conditioning factory in the UAE, have something to dream about.

    On the field of play however, it has been more reality and less dreaming. Still, there have been moments of drama, and periods of progress.

    Not much of a honeymoon (2000-2004)

    Bangladesh’s performance in their inaugural Test was an apt presage of what was to follow. After making 400 in the first innings, they were bowled out for 91 when they needed to push the game ahead. For the first four years in Test cricket, they didn’t hit such heights often – crossing 400 runs only once during this period – but they managed to push the opposition to varying degrees.

    Multan, in 2003, was the closest Bangladesh got to winning a Test match in the early period after Pakistan were pushed to the edge in a fascinating contest. But the one-wicket defeat was heartbreaking, and many felt at the time that the team had squandered its biggest chance.

    Nine months later in Gros Islet, Bangladesh picked up their first “earned” draw, after rain-dominated draws against Zimbabwe in 2001 and 2004.

    During the first four years, 20 of their 34 Tests were innings defeats, some of them brutal losses. They were bowled out below 100 five times, and went through 40 cricketers. Only four batsmen crossed 1000 runs, and one bowler took 50 wickets. There were only 15 century partnerships.

    Towards the end of this period, around December 2004, questions about their place among cricket’s elite intensified until Mohammad Ashraful smacked a superb 158 against India in Chittagong.

    Some wins, and the arrival of promising players (2005-2010)

    Zimbabwe had been going through a tough phase of their own by the time they arrived for their second tour of Bangladesh in 2005, which meant the hosts had to catch them on the hop. Enamul Haque jnr ran through them in the first Test, to confirm Bangladesh’s maiden Test win. In the next game, Nafees Iqbal and Javed Omar batted for hours to ensure a draw, and give Bangladesh their maiden Test series win.

    The following six years included their first long gaps in Tests, as they planned for the 2007 World Cup. It was also the period when T20 cricket broke new ground. At the time, some boards had asked the BCB to reschedule Tests, and the Bangladesh board was happy to oblige.

    Still, Bangladesh managed to push Australia in a home Test in 2006. More failures continued until the tour of the West Indies in 2009 when they took on a depleted opposition. With their main players on strike, the WICB was forced to field a third XI, which Bangladesh beat to claim their first-ever away series win.

    But that was a one-off, as defeats at home to India and England, and away to New Zealand and England followed. At the same time, however, a group of young players had emerged, through the 2007 World Cup, and were about to take the country, and parts of the world, by storm. Tamim Iqbal and Shakib Al Hasan had already made an early mark, while Mushfiqur Rahim arrived later. Mashrafe Mortaza, though, still quite young but injury-prone, had to give up his Test dreams to prolong his international career.

    A late realisation but a busy future beckons (2011-present day)

    Bangladesh again had a long break in the format, between July 2010 and August 2011, and this time suffered heavily through losses to Zimbabwe, West Indies and Pakistan in the space of five months. Their advances in ODIs meant that they could take some of that confidence into the Test arena. Drawn matches against Sri Lanka in Galle (2013) and Chittagong (2014), a drawn Test series against New Zealand at home (2013) and some individual milestones lit up their path. Mushfiqur, Tamim and Shakib all scored double-hundreds, while Shakib soared with the ball. Bowling stars like Robiul Islam, Sohag Gazi and Mehedi Hasan also emerged.

    Bangladesh players grew more agitated at the lack of Test cricket during this period, but much of it was down to the BCB’s preference of ODIs and T20s to Tests. ODI successes in 2015 and a maiden Test win over England in October 2016 meant that Bangladesh started to have a bit of clout on the ICC table.

    If their FTP negotiations pan out according to plan, Bangladesh have plenty of Tests scheduled in the next several years. The interest in the Bangladesh team continues to soar. What was achieved in 2000 is too big to be thrown away, and the BCB must stress on giving the format primacy despite all the successes in ODIs and the ambitions in T20s.

    Live the vision and grow with it

    Bangladesh Cricket Board’s long cherished dream of playing at the highest level of cricket was realised in June 2000 at the annual Conference of International Cricket Council in London. An aspiration many doubted would ever come true was finally a reality.

    As vice president of BCCB from 1991-1996, I became increasingly convinced of the potential of Bangladesh cricket and although not many were enthusiastic at that time to apply for Test status, I believed this was worth going for.

    It was thus in one of the early meetings of the newly formed executive committee of what was then known as Bangladesh Cricket Control Board (BCCB) in the latter half of 1996, I asked the question as the new president — what goals and targets should we be setting for our cricket?

    I was fortunate to have in that committee individuals of the stature and experience of Syed Ashraful Haque and each member of the board had a cricket background. Prime Minister Sheikh Hasina and State Minister for Youth and Sports, Mr. Obaidul Quader backed and extended full support to the new board.

    So started our dream and the most challenging of quests to achieve Test status. Having a proper plan to achieve any goal has always been fundamental to me and as I always remind myself, if you fail to plan, you are planning to fail.

    Starting with changing the eligibility rules to play in national teams at the Associate Membership level of the ICC, winning the ACC Trophy in 1996 followed by the memorable win against Kenya in the final of the 1997 ICC Trophy in Malaysia and our performance in our first ever World Cup (in England in 1999 when we won two matches including the historic win against Pakistan), branding Bangladesh cricket with a new identity and constitution, organising top-notch international events such as the Mini World Cup and the Independence Trophy to establish Dhaka as a major venue and centre of cricket, achieving ODI status, impressively show-casing to the international cricket community the heritage, love and passion for cricket amongst the people of Bangladesh coupled with strong media interest and sponsorship potential, our focus and commitment was absolute and each step of our plan worked like clockwork.

    With the strong support of our South Asian friends (India, Pakistan and Sri Lanka), our inner confidence levels were on the rise and after winning the ICC Trophy for the first time in 1997, I declared publicly and set year 2000 as the target date for achieving Test status. We in fact achieved our Test status first and later on our domestic cricket was given first class recognition.

    I drew inspiration from the wisdom and insights of Ali Bacher of South Africa, Denis Rogers of Australia and of course Jagmohan Dalmiya — the finest set of cricket administrators we are ever likely to see, and it was my honour and privilege to be a fellow member of the ICC Board at that time.

    Not only did we secure Test status, within a few months there of we were able to arrange and play our Inaugural Test at the Bangabandhu National Stadium. Eddie Barlow, our national coach, sensing my tension reassuringly said, “The boys will do just fine Mr. President – don’t worry!” and they certainly did in the first innings with Aminul Islam Bulbul’s masterful century and Naimur Rahman Durjoy’s impressive wicket haul.

    Aminul Islam Bulbul will be remembered as long as Bangladesh play Test cricket for his magnificent century in the inaugural Test match against India at the Bangabandhu National Stadium in November 2000. Here the right-hander cuts the ball as Indian wicketkeeper Saba Karim looks on. Aminul scored 145. File Photo: Anisur Rahman

    When I look back, it is still a wonder we were able to achieve so much and that too within a mere four-year period. The audacity and courage to dream, the deep rooted and firm belief in the beauty of that dream and the supreme confidence that we can and shall succeed has indeed made this a magical journey.

    Perhaps the most fulfilling and satisfying aspect has been how the sport of cricket has united the nation, added a new dimension to our identity, allows us to feel good about ourselves and our country – cricket does not just build character, it will help us grow and bloom as a nation.

    Achieving Test Status was of course never an end but rather a means to an end — one day Bangladesh would be the best and most respected cricketing nation. Our cricket would embody the true spirit of the game and personify the flair of West Indies, the brilliance of South Africa, the professionalism of England, and the competitiveness of the Australians.

    As we take on Sri Lanka in our 100th Test in Colombo and reach the century mark, it is time to hit the pause button and reflect on the journey thus far from baby steps to being a juvenile, where we want to be when we play our 150th and 200th Tests, how we will pace this bigger innings in the grand scheme of things.

    A record of eight victories in 99 Test matches over a seventeen year period does not exactly set the house on fire but there have been flashes of individual brilliance that keeps the candle of hope burning. To do justice to this hope will require hard work, commitment, highest levels of integrity, strong governance off the field and ensuring cricket does not become a victim of its own success.

    Attention must be paid to our domestic structure — it needs to be revamped and aligned to our Test demands. How can we, for instance, expect our players to win five day Test matches when they play just a few four day matches in an entire season in the domestic league? Let us not fail to plan and thus plan to fail.

  6. মাসুদ করিম - ২৭ মার্চ ২০১৭ (১২:৫১ অপরাহ্ণ)

    How to get int’l recognition of 1971 genocide
    Campaign group ICSF suggests seven-point strategy

    The International Crimes Strategy Forum (ICSF) has called upon the Bangladesh government to “seriously consider” its “seven-prong strategy” as part of a broader roadmap towards achieving global recognition of the genocide that took place in the country in 1971.

    The campaign group said it reminded the United Nations and other international bodies that they were yet to grant official recognition to the Bangladesh genocide, and that it was their moral obligation to do so “without any further delay”.

    ICSF is an independent global network of experts and activists, working in the interest of justice for the victims of international crimes. It has long campaigned for the recognition of the Bangladesh genocide.

    As part of its seven-point strategy, ICSF suggested engaging with the Indian government regarding access to war-time military records and actively engaging with the international organisations for acknowledgement of the 1971 atrocities as genocide and international crimes, according to a statement it issued yesterday.

    ICSF also laid emphasis on engaging with other foreign governments and entities with shared, strategic, or mutually advantageous interests involving recognition of the 1971 genocide; implementing “genocide risk education” in Bangladesh, and making it part of the national educational curriculum.

    The independent global body suggested preserving important sites relating to the Liberation War, and properly investing in their development and maintenance.

    Another recommendation is investing in the development of a knowledge base relating to the history of 1971, which includes archiving and digitising documents and making them easily accessible.

    On the night of March 25, 1971, the Pakistani military started the genocide against defenceless Bangalees, which continued for nine months till the nation achieved victory on December 16.

    In its statement, ICSF said the adoption of the recent resolution of the Bangladesh Parliament declaring March 25 as “Genocide Day” was significant because it reinforced the findings of the justice process of the International Crimes Tribunal of Bangladesh and set a milestone in honouring the victims of international crimes in 1971.

    The adoption of the resolution facilitates regional and international recognition of the Bangladesh genocide, and instils a greater understanding of the mechanics of genocide in all its forms as a nation-building exercise, which may serve as a preventive safeguard against repetition of such atrocities in the future, according to the statement.

    Commemorating the day, ICSF announced to intensify the “ICSF Global Campaign on Bangladesh Genocide”, its flagship campaign for recognition of the international crimes committed in 1971.

    As part of this ongoing campaign, ICSF has started to publish in social networks commemorative video messages from victims, survivors, freedom fighters, activists and campaigners, in which participants shared their lessons and pledges regarding the genocide.

    ICSF says it believes that this is the beginning of an accountability process that will hold responsible all Pakistani military personnel who took part in international crimes in 1971.

    ICSF demanded that investigations be geared up so that members of the Pakistan Army, whether they are living in Bangladesh, Pakistan or elsewhere, could be brought to justice.

    To facilitate the investigation against the atrocities by the Pakistan Army, ICSF called on the Indian government to disclose all records concerning the Liberation War.

    The Indian government should follow the footsteps of the United States of America and others countries that have declassified a significant volume of documents relating to Bangladesh’s Liberation War, the organisation said.

    In this regard, ICSF called upon the Bangladesh government to engage with the Indian government to secure these vital documents concerning genocide and international crimes.

  7. মাসুদ করিম - ২৯ মার্চ ২০১৭ (৯:২৫ পূর্বাহ্ণ)

    Between the lines: historians put Stalin-era diaries online

    A website, called ‘Prozhito’ or Lived Through, that was launched in 2015 now stores more than 600 never-published journals

    Tatiana Panova holds a photograph of her great-grandfather as a solemn-faced student in 1923 in the Soviet Union, around 16 years before he died in a prison camp during the Stalin purges.

    While Alexander Yakovlev’s death was over half a century before her birth, Panova, 25, has gained a tiny window into his thoughts and life thanks to an aged diary that her family preserved.

    Now, as memories of the Stalin era fade, a project run by young Russian historians is putting his journal and hundreds more like it online in a bid to bring to life the everyday experiences of those tumultuous times.

    “Any diary has value,” says 35-year-old historian Ilya Venyavkin, who is writing a book about diaries from the 1930s. “Don’t think that if your relative wasn’t an outstanding intellectual or a singer, or didn’t live through the death of Stalin or the coronation of Nicholas II, that their diary has no significance.”

    The site, called Prozhito, or Lived Through, was launched in 2015 and can be searched using the day, author or a keyword. It already includes more than 600 never-published journals.

    The idea came from 33-year-old historian, Mikhail Melnichenko, after he wrote a book about Soviet political jokes using diaries as a source. Working in his apartment and without a scanner, Mr. Melnichenko photographs diary pages on a large windowsill where the light is good.

    Volunteers transcribe

    He and around 350 volunteers — a broad range of enthusiasts from different backgrounds —then transcribe the diary entries.

    At a recent monthly gathering to discuss the journals, a group, many in their 20s, sat with laptops and smartphones poring over photos of browned papers.

    “It’s some kind of social change,” says Mr. Venyavkin. “We are suddenly interested in knowing in detail how people lived who often have no relation to us.”

    The pages of the diary of Ms. Panova’s great-grandfather are brittle, with handwriting that is hard to decipher. “It’s very mysterious,” she says. “He’s… a complete stranger, a person who lived 100 years ago.”

    Her great-grandmother secretly preserved the diary after Yakovlev was arrested on suspicion of a “Trotskyite” plot and sent to a labour camp in the far-eastern city of Magadan where he died.

    Ms. Panova admits that initially she found his diary, written over three years in the 1920s, pretty dull.

    The electrical engineer drew up weekly tables detailing the time he had spent on activities such as gymnastics.

    He also wrote about his studies, work on electrification, his debts and his troubled relationship with a girlfriend. “I’d say maybe he was a bit of a bore,” Ms. Panova said. “He writes in detail every day what time he got up and went to bed.”

    Although she feels emotional distance, she said she hopes to learn more now and access his criminal case file.

    Mr. Venyavkin says that some elements come up again and again in journals of the period: self-penned poems, fascination with cultural happenings such as films or statues and a sense that the tsarist era is ancient history.

    At the same time, most were living in overcrowded accommodation and felt hungry most of the time.

    “It’s quite rare for someone to eat till they are full,” Mr. Venyavkin said.

    Danger of diaries

    Family archives are unusual in Russia due to war, evacuation and the terror that reigned during Stalin’s 1922-1953 leadership, making such diaries valuable finds, said Mr. Venyavkin. “From the 1920s and 1930s I can imagine there are 10,000 diaries, at most 20,000,” he said.

    The historians talk of a broad shift from the 1920s, when people were optimistic about the future and still discussed politics, to a mood of fear during the repressive Stalin Terror of the 1930s.

    “1920s-era diaries are relatively sincere because people didn’t know what would come in the 1930s,” said Mr. Melnichenko.

    Later, people, at times, inked out passages or cut out pages.

    Diaries in the 1930s, however, took on a sinister aspect as investigators often used them as evidence of anti-Soviet opinions. Many are still in secret police archives.

    There are far fewer diaries from that decade, either because people did not write them or destroyed them.

    “Sometimes you get the sense diaries from the 30s were written specially for a hostile reader — so if your diaries fell into the hands of an investigator, he would conclude your absolute loyalty,” said Mr. Melnichenko.

    Silences speak

    “People, who wrote diaries, knew in general that this was quite dangerous, that a diary could be read,” says Mr. Venyavkin.

    He describes reading the diary of a teenager whose parents were arrested in the Stalin purges.

    When his father was arrested, he wrote three lines. When his mother was arrested, he noted simply: “It was easier than last time.”

    “We are dealing with silence,” says Mr. Venyavkin.

    “We can interpret not his text but the absence of what seems obvious.”

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.