সুপারিশকৃত লিন্ক: ডিসেম্বর ২০১৬

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

১৭ comments

  1. মাসুদ করিম - ১ ডিসেম্বর ২০১৬ (৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ)

    Tasks ahead amid falling remittances

    With dollar getting pricier, expatriates have increasingly begun using informal channels for sending money home for higher exchange gains. This has lately been identified by the officials concerned as one of the key factors for the decline in remittance inflow in recent times, according to a report in the FE this week.

    The difference between the value of dollar in taka terms in the formal market and that in the informal one, has widened further following a growing demand for the greenback. The demand, as the observers say, has been surging due to informal trade with a neighbouring country and possible rise in capital flight. The recent ban on high-value currency notes in India has also reportedly pushed up the demand for the dollar in Bangladesh.

    Although overseas employments of the Bangladeshi workers have increased during the last six months, the remittance inflow dropped by 15.43 per cent to $4.25 billion during July-September period. The earning was $5.032 billion during the same period of last fiscal. It is really surprising, many say.

    Nearly 60 per cent of the remittance inflow usually comes from six Middle-Eastern countries: Saudi Arabia, the United Arab Emirates, Oman, Qatar, Kuwait and Bahrain. The employment of Bangladeshi workers in these countries grew by 58.8 per cent. But the country’s earrings in terms of remittance inflow fell by 11 per cent during the period under review.

    Remittance inflow from the USA fell by 17.6 per cent during the period despite the fact that the American job market had grown in recent months at a higher than what was expected earlier. More people returned to the US market to look for work amid a record number of positions being available. The remittances from the United Kingdom (UK) also fell by 5.5 per cent during the period.

    At a recent meeting, Prime Minister Sheikh Hasina was reported to have expressed her concern over downward projection of the inflow of remittances by the World Bank (WB) for the current calendar year. The multilateral development-financing agency had projected that the flow of inward remittance would come down to US$14.9 billion by the end of 2016 from $15.39 billion a year ago.

    Anticipating a negative consequence, the central bank – Bangladesh Bank (BB) – asked all commercial banks to take effective measures to revamp the flow of inward remittances from this month (December). It advised the banks which have exchange houses abroad to appoint agents in the respective countries to help revamp receding inflow of remittances. Under the latest move, the banks are now allowed to post agents in the job-destination countries through their exchange houses.

    Exchange houses of only two banks, out of 15, have already appointed their agents in the United Kingdom. Currently, 29 exchange houses of 15 commercial banks are now operating across the globe to expedite the inflow of foreign currencies from the Bangladeshi wage earners.

    The banks were also asked to build a greater awareness than before, both at home and abroad through organising remittance fairs for sending expatriates’ hard-earned money through legal channels, instead under the illegal hundi mechanism. The banks have further been advised to provide easy banking services to both remitters and beneficiaries to facilitate the use of modern technologies to a higher extent than before.

    The BB has given a broad hint that it might bring down the amount of security deposit to facilitate the inflow of remittances. At a recent meeting, the bankers urged the BB to bring down the amount of security deposit for drawing arrangement to $10,000 from the existing level of $25,000.

    The drop in remittance inflow in recent times, as the observers note, partly reflects the fallouts from a prolonged decline in oil prices. The oil price decline affected incomes in Gulf Cooperation Council (GCC) economies, weakening the demand for workers in the category of ‘labourers’. In order to help contain their budget deficit, the affected Gulf nations have reportedly put on hold many public infrastructure projects, thus reducing demand for labour and scope for their incomes.

    Against the backdrop of a falling trend about remittance inflows, Bangladesh is now planning to raise the number of skilled migrant workers to 50 per cent by 2030. The country is also exploring opportunities in new markets. Bangladesh is going to host the ninth Global Forum on Migration and Development this month.

    Earning from remittance inflows play an important role in the country’s economy, helping reduce the overall incidence of poverty as well as maintaining a healthy balance of payments. Such earnings have considerably helped to reduce the poverty level by 1.5 per cent, besides accounting for about 66 per cent of the country’s foreign currency reserves, the provide a strong cushion for its maintaining a stable external position.

    In order to help reverse the falling trend of remittance receipts, it is now critically important for mounting an extraordinary drive to stop illegal hundi channels for sending money home. Fees for money transfers need to be further reduced and the premium in the form of spread between the exchange rates in formal and informal channels, has also to be minimised. Meantime, the Bangladesh missions in labour-receiving countries require to be restructured with a view to effectively dealing with the emerging situation.

  2. মাসুদ করিম - ১ ডিসেম্বর ২০১৬ (৯:০১ অপরাহ্ণ)

    সংসদ ভবনের নকশা এসেছে

    লুই আই কানের করা জাতীয় সংসদ ভবনের মূল নকশাটি এসেছে বাংলাদেশে, যা পেলেই জিয়াউর রহমানের কবরসহ ওই এলাকার অন‌্য সব স্থাপনা সরানোর ঘোষণা রয়েছে সরকারের।

    যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া ইউনির্ভাসিটির মহাফেজখানা (আর্কাইভ) থেকে পাঠানো নকশাগুলো বৃহস্পতিবার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন সংসদ সবিচালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ ওয়াই এম গোলাম কিবরিয়া।

    তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নকশাগুলো সন্ধ্যায় পেয়েছি। এখন মাননীয় স্পিকারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।”

    যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪১টি বাক্সে করে নকশা এসেছে বলে জানান তিনি।

    লুই কানের নকশা ভেঙে সংসদ ভবন এলাকায় বেশ কয়েকটি স্থাপনা বিভিন্ন সময়ে নির্মিত হয়। মূল নকশা পাওয়ার পর সেগুলো সরানো হবে বলে জানিয়েছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

    অন‌্যদিকে বিএনপি তার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়ার কবর সরানোর যে কোনো চেষ্টার বিষয়ে সরকারকে হুঁশিয়ার করে আসছে।

    ২০১৪ সালে সংসদ ভবনের স্থপতি লুই কানের প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সংসদ ভবনের মূল নকশা আনার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এর পর লুই কানের প্রতিষ্ঠান ডেভিড অ্যান্ড উইজডম-এর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে স্থাপত্য অধিদপ্তর। নকশাগুলো পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির আর্কিটেকচারাল আর্কাইভে থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে সেখানেও যোগাযোগ করা হয়।

    গত জানুয়ারিতে সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোশাররফ বলেছিলেন, সংসদ ভবনের অঙ্কিত বর্ণনামূলক তালিকা (ড্রয়িং ইনভেনটরি লিস্ট) যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে এসেছে।

    এরপর গত অক্টোবর মাসে তিনি সংসদে বলেছিলেন, নকশা পাওয়ার পর সংসদ এলাকা থেকে কবর সরিয়ে ফেলা হবে।

    সংসদ এলাকায় সাতটি কবর রয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান ও আতাউর রহমান খান, সাবেক মন্ত্রী মশিউর রহমান যাদু মিয়া, মুসলিম লীগ নেতা খান এ সবুর, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ এবং পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার তমিজউদ্দীন খানের কবর রয়েছে সেখানে।

    বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী শাহ আজিজ ও খান এ সবুরের কবর সংসদ এলাকা সেখান থেকে সরানোর দাবি বহু দিনের।

    সংসদ এলাকার পাশে চন্দ্রিমা উদ্যানে রয়েছে জিয়াউর রহমানের কবর। ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় জিয়া নিহত হওয়ার পর প্রথমে তাকে চট্টগ্রামে সমাহিত করা হয়েছিল, পরে সেখান থেকে কবর তুলে আনা হয় ঢাকায়।

    এছাড়া লুই কানের নকশা ভেঙে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাড়িও নির্মাণ করা হয়েছিল বিগত চারদলীয় জোট সরকার আমলে। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তখন ভবন দুটি তৈরি হয়। এ সংক্রান্ত একটি মামলা এখনও বিচারাধীন।

    কয়েক বছর আগে সংসদ ভবনের চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনি নির্মাণ নিয়ে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থপতি লুই কানের করা মূল নকশা আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

    তখন গণপূর্ত অধিদপ্তর, স্থাপত্য অধিদপ্তর এবং সংসদের নিরাপত্তা শাখার সঙ্গে এক বৈঠকে শেখ হাসিনা নকশার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে জানতে চান। তখনই মূল নকশার ‘কিছু অংশ’ বাংলাদেশের কাছে না থাকার বিষয়টি উঠে আসে।

    এই নকশা আনতে পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির সঙ্গে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্র সফরও করে সংসদ সচিবালয়ের একটি প্রতিনিধি দল।

    স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এর আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, সংসদ ভবন ও এর আশ-পাশের এলাকার ছোট-বড় প্রায় আট হাজার নকশা ও ডকুমেন্ট রয়েছে পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটিতে। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৮৫৩টি নকশা। স্থাপত্য অধিদপ্তরের পরামর্শে এসব নকশা চূড়ান্ত করা হয়। এর আগে প্রতিটি নকশার যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশকে গুনতে হয়েছে সাড়ে তিন হাজার ডলার।

    সংসদ সচিবালয়ের নিজস্ব তহবিলে এ পরিমাণ টাকা না থাকায় বিশেষ বরাদ্দ নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এ বরাদ্দ পায় সংসদ সচিবালয়।

    ১৯৬১ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের আমলে বর্তমান সংসদ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সে সময় স্থপতি মাজহারুল ইসলামকে এই ভবনের স্থপতি নিয়োগ করা হয়। তার প্রস্তাবেই লুই কান এই প্রকল্পের প্রধান স্থপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি দৃষ্টিনন্দন এই স্থাপনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।

    মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীতে লুই কান কয়েকবার বাংলাদেশে কাজের জন্য আসেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মূল নকশা সংশ্লিষ্ট কিছু ‘প্ল্যান’ তিনি হস্তান্তর করেত পারেননি। পরে এ নিয়ে কোনো সরকার আগ্রহ দেখায়নি।

    ২০১৩ সালের ২ জুন সংসদ কমিশনের বৈঠকে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ ভবন সংরক্ষণে মূল নকশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় এমন কিছু না করার বিষয়ে মত দেন। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলারও পরামর্শ দেন তিনি।

  3. মাসুদ করিম - ২ ডিসেম্বর ২০১৬ (১১:১৬ পূর্বাহ্ণ)

    টোল প্লাজায় সেনা! মুখ্যমন্ত্রী বললেন, যেন জরুরি অবস্থা

    রাজ্যকে না জানিয়ে এ রাজ্যে জাতীয় সড়কের কয়েক জায়গায় সেনার তল্লাশিতে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এ বিষয়ে সব রাজ্যকে নিয়ে প্রতিবাদে নামার ডাক দিয়েছেন তিনি। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছেন মুখ্য সচিব বাসুদেব ব্যানার্জি। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার জাতীয় সড়কের দু’‌জায়গায়, মুর্শিদাবাদ, এমনকী নবান্নের অদূরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজায় সেনার কার্যকলাপ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। যতক্ষণ না ওইসব জায়গা থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি নবান্নেই থাকবেন বলে জানিয়ে দেন। এদিন রাতে নবান্নে থেকে যান তিনি। দফায় দফায় বৈঠক করেন পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে। রাত ১২টা নাগাদ টোল প্লাজা থেকে সেনা সরে যায়। রাত পৌনে ২টো নাগাদ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটাকে সেনা অভ্যুত্থান ছাড়া আর কী বলব‌!‌ নবান্নের ২০০ মিটার দূর থেকে সেনা সরে যাওয়ার মানে কী। রাজ্যের ৮০ শতাংশ এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমার রাজ্যের মানুষকে আমি রাত জেগে পাহারা দেব। এরপর তিনি ফের নবান্নে নিজের অফিসে চলে যান। এদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, যতক্ষণ না রাজ্যের অন্য সব জায়গা থেকে সেনা সরে যাচ্ছে ততক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী নবান্নেই থাকবেন। এর আগে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়াবহ কালো দিনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তরের সামনেই সেনা নামানো হয়েছে। আমি জনগণের পাহারাদার। তাই যতক্ষণ না সেনা সরছে, ততক্ষণ আমি নবান্নেই থাকব। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে একমাত্র জরুরি অবস্থা জারি হলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে আইন হাতে নিতে পারে কেন্দ্র। রাজ্যকে না জানিয়ে কোনওভাবেই এ কাজ করতে পারে না। তিনি বলেন, ‘‌আমরা ঘুণাক্ষরেও জানি না কেন্দ্র সেনা নামিয়েছে। সেনাও রাজ্যকে না জানিয়ে কোনও অপারেশন করে না।’‌ তা হলে কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য সেনাকে ব্যবহার করা হচ্ছে? কোথাও কোথাও টাকা তুলছে বলে খবর পাওয়া গেছে বলে জানান। এদিন দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খবর আসে, ২ নম্বর জাতীয় সড়কে হুগলির ডানকুনি টোল প্লাজা, বর্ধমানের পালশিট টোল প্লাজায় সেনারা রাস্তায় নেমে গাড়ি তল্লাশি করছে। মুর্শিদাবাদে নবগ্রামের শিবপুরেও একই ঘটনা ঘটে। এমনকী বিবেকানন্দ সেতুর টোল প্লাজায়ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডি জি কেউই জানেন না। রাতে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নবান্ন রাজ্য প্রশাসনের প্রধান কার্যালয়। স্পর্শকাতর এলাকা। তারই সামনে টোল প্লাজা। সেখানে কেন সেনাবাহিনী থাকবে। কলকাতার নগরপাল বারবার আপত্তি জানালেও তারা সরে যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি জনগণের পাহারাদার। তিনি গণতান্ত্রিক সরকারকে সেনার হাতে ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে চলে যেতে পারেন না। তাই সেনাবাহিনী যতক্ষণ না সেক্রেটারিয়েট এলাকা থেকে সরে যাচ্ছে, ততক্ষণ তিনি নবান্নেই থাকবেন। হয় নবান্নের সামনে থেকে সেনা সরাতে হবে, না হলে জনগণের পাহারাদার হিসেবে এখানেই থেকে যাবেন। সেনা গুলি চালাতেও পারে। আমি আগেই বলেছিলাম। বলেন, তিনি কেরল, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়–সহ বিভিন্ন রাজ্যে খোঁজ নিয়েছেন, কোথাও তো কোনও কিছু হয়নি। তবে শুধু বাংলায় কেন সেনাবাহিনী নামানো হল?‌ দেশে বা এখানে কী সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে?‌ নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন বলেই কী এটা করা হচ্ছে?‌ নোট বাতিল নিয়ে সাধারণ মানুষের অসুবিধা, সমস্যার কথা তিনি বলবেন, বারবার বলবেন, তাঁকে থামানো যাবে না। হয় বাঁচব না হয় মরব, কিন্তু সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিয়ে যাব। সেনারা সম্পূর্ণ বাজে কথা বলছে। তথ্য সংগ্রহের জন্য ওরা এটা করছে না। কারণ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্ত যানবাহনের তথ্য রয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওরা এটা করছে। অসাংবিধান, অগণতান্ত্রিক, অনৈতিক, প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। হুগলি, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, কলকাতায় সেনা রয়েছে। রাতের মধ্যে ওরা আর কী করবে বোঝা যাচ্ছে না। সুতরাং তিনি রাতে নবান্ন ছেড়ে যাবেন না। তাঁকে সাধারণ মানুষ নির্বাচিত করেছেন। ফলে সেই পাহারাদারের দায়িত্ব তিনি পালন করে যাবেন। কেন্দ্র যদি সঠিক আচরণ করে তাহলে কিছু বলার নেই। কিন্তু এখন যে আচরণ কেন্দ্র করছে তা জঘন্যতম। ভুল করতে করতে তারা কেলেঙ্কারির শিরোপা নিয়ে ফেলছে। এটা চলতে দেওয়া যায় না। এদিন গভীর রাত পর্যন্ত মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডি জি নবান্নে ছিলেন। ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আসেন মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি, হাওড়ার নগরপাল ডি পি সিং। আসেন দমকলমন্ত্রী কলকাতার মহানাগরিক শোভন চ্যাটার্জি। দুপুরে সেনার কার্যকলাপের খবর পাওয়া মাত্র তা সত্যি কি না যাচাই করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন। জানতে পারেন, সেনাবাহিনী রাস্তায় নেমে তল্লাশি চালাচ্ছে। তিনি বলেন, এই ঘটনা রাজ্যের পক্ষে খুব সাঙ্ঘাতিক। সাংবিধানিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের হাতে। জাতীয় সড়ক কেন্দ্রের হাতে হলে কী হবে, রাস্তা রাজ্যের এলাকায়। সুতরাং রাজ্যকে জানাতেই হবে। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অগ্নিকাণ্ডের মতো কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটলে সেনাবাহিনীকে রাজ্য না ডাকলে আসে না। যারা দেশের সম্পদ তাদের এভাবে ব্যবহার করা কখনই এর আগে হয়েছে বলে জানা নেই। তা হলে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থার সঙ্গে দেশে কি রাজনৈতিক জরুরি অবস্থাও জারি হল?‌ এবার তো তা হলে বিহার, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ সব জায়গাতেই সেনা নামবে। এরা তো সংবিধানকে সঙ্কটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। কোনটা রাজ্যের এক্তিয়ারে, আর কোনটা কেন্দ্রের— তা পরিষ্কার করে সংবিধানে উল্লেখ করা আছে। তা কেউ এভাবে ভেঙে দিতে পারে না। নবান্নে অভিযোগ আসে, সেনাবাহিনী নাকি বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকাও তুলছিল। নোট বাতিল প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন অভিযোগ করে বলেন, সাধারণ মানুষ বেতনের টাকা তুলতে পারছে না ব্যাঙ্ক থেকে। বেশিরভাগ এ টি এমেই টাকা নেই। টাকা পেলেও ২০০০ টাকার নোট। কয়েকটি রাজ্য ছাড়া ১০০, ৫০০ টাকার জোগান নেই। ১০ হাজারের চেক কাটলে বলছে, ৫ হাজারের চেক কাটো। তা হলে কি দেশে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে? সেনা মোতায়েনের খবর পৌঁছনো মাত্রই জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন, পুলিস সুপার কুণাল আগরওয়াল খোঁজ নেন। ঘটনাস্থলে যায় মেমারি থানার পুলিস। জাতীয় সড়কে এই কার্যকলাপ প্রসঙ্গে সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় জনসংযোগ আধিকারিক উইং কমান্ডার সিমরান পাল সিং বিরদি জানান, এটি বার্ষিক মহড়া। গোটা দেশেই করা হয়। প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা যুদ্ধের মতো আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পণ্যবাহী যান সংগ্রহ করতে এই সমীক্ষা। ওই পথ দিয়ে কত যান, কী পরিমাণ জিনিস নিয়ে যাতয়াত করে তারই তথ্য সংগ্রহ করা হয়। আজ, শুক্রবার সমীক্ষার শেষ দিন।‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌

  4. মাসুদ করিম - ২ ডিসেম্বর ২০১৬ (৮:২১ অপরাহ্ণ)

    কড়ক চা!‌ মরুক আঃ!‌

    ২০০০ সাল। ভয়াবহ বন্যায় দুর্গত বাংলা। ‘‌নবজাগরণ’‌–‌এর হয়ে ত্রাণের কাজে বীরভূমের ইলমবাজারে আমরা কয়েকজন। প্রয়াত প্রখ্যাত অভিনেতা দিলীপ রায় ডাকলেন, ‘ইনি কী বলছেন শোনো।’‌ বন্যার তোড়ে তিন–‌তিনটে দিন গাছের ওপর থাকতে হয়েছিল গোটা পরিবারকে, বলছিলেন এক কৃষক। বিস্তারিত শুনব কী, তাকিয়ে ছিলাম তাঁর মুখের দিকে। তিন দিনের গল্প। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বললেন, ‘‌আমাকে ৫০ দিন সময় দিন, মাত্র ৫০ দিন। এটুকু কষ্ট মেনে নিন, দেখুন কত ভাল হয়।’‌ ৫০ দিন ‘‌গাছে বসে’‌ থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর তো ভালর ফোয়ারা।
    কালো কত দেশে কালো টাকার পরিমাণ কত, নির্দিষ্ট হিসেব নেই। সরাকারি সূত্রই বলছে, সেই কালোর ৬ শতাংশ আছে/‌‌ছিল নগদ নোটে, থরে থরে। বাকি ৯৪?‌ বিদেশে অনেক। নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্রভাই প্রতিশ্রুতি দেন, বিদেশে গচ্ছিত ‘‌কালা ধন’‌ ফিরিয়ে সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা করে এনে দেবেন। ১৫ টাকাও এল কি?‌ কালো টাকার আরেকটা বড় অংশ চলে যায় বাড়ি–‌ফ্ল্যাটে, সোনায়, বেনামী ব্যবসায়। উদ্ধারের জন্য ‘ঐতিহাসিক‌ অভিযান’‌ হয়েছে কি?‌ এই ‘‌অচ্ছে’ ‌আড়াই বছরেও? কালো টাকার ৬ শতাংশ নোটে। তার অর্ধেক নানা ফাঁক গলে বেরিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। অবশিষ্ট ৩ শতাংশের বড় নোট বাতিলের চমক?‌
    কত ক্ষতি বাজার ফাঁকা। ক্রেতার হাতে টাকা নেই। বিক্রেতাদের আয় নেই। দেশের নানা জায়গায় নোটের অভাবে কর দিতে না পেরে আটকে থাকল হাজার হাজার ট্রাক। মাছ–‌ডিম–‌সবজি পচল। অসংখ্য খুচরো ব্যবসা বেধড়ক মার খেল। মূলত কৃষির ওপর নির্ভরশীল দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ। খেতমজুররা কাজ পেলেন না, টাকা নেই। আলু চাষীরা বীজ কিনতে পারছেন না। স্তব্ধ সময়ে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারছেন না অসহায় মানুষ। কোপ দোকানে দোকানে, বাজারে বাজারে, ঘরে ঘরে। কাজের সময় নষ্ট হল ব্যাঙ্কের লম্বা লাইনে। দেশের অর্থনীতির ক্ষতি কত?‌ নতুন নোট ছাপার খরচ অন্তত সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা। সেটাও জুড়ুন। যদি কালোর ৩ শতাংশের সবটাই অচল করে দেওয়া যায়, তবুও কি ক্ষতিটা পূরণ হবে?‌ হিসেব দিয়ে বলার কথা এখনও ভেবে উঠতে পারেননি কর্তারা।
    কাদের দুর্ভোগ রাঘববোয়ালরা প্রথমে হতভম্ব, তারপর কিছুটা অন্য ভাবনা। আরে, নোটে আর কত, টাকা ঢোকানোর লম্বা দরজা তো হাট করে খোলা ছিল। যতটা নগদ, তা কতটা সাদা করে নেওয়া যায়, পথ খোঁজা শুরু হল। শাসক–‌ঘনিষ্ঠদের সূত্রে যাঁরা আগেই খবর পেয়ে ব্যবস্থা করে নিয়েছেন, তাঁরা নিশ্চিন্ত। অন্যরা খেলার নতুন নতুন কায়দা খুঁজলেন। কিছু যাবে ধরে নিয়ে বেশিটা ধরে রাখার চেষ্টা। হালচাল দেখে মনে হচ্ছে, চেষ্টায় কষ্ট আছে, তবে ‌ফলের কেষ্টও মিলছে যথেষ্ট। নোট বাতিলের প্রথম আট দিনে, দেশে ৫৫ কোটি টাকা নগদ–‌উদ্ধার হল। ১৩০ কোটির দেশে ৫৫কোটি। ইতস্তত নোট পোড়ানোর খবর এল, ঘটনা এতই কম, যে ‘‌খবর’‌।‌ কাল কী খাব, ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে কবে টাকা পাব, নষ্ট–‌হওয়া কাঁচা পণ্যের জন্য ক্ষতি কী করে সামলাব, হাসপাতালে কী করে চিকিৎসার টাকা মেটাব, ছেলেমেয়েদের দরকারি বই–‌খাতা কী করে কিনব, এইসব ভাবনা কোনও খবর নয়। এতই বেশি, এতই ব্যাপক, ‘‌খবর’‌ নয়।
    ২০০০!‌ ১০০ টাকার নোটের যথেষ্ট জোগান নেই। ৫০০ ও ১০০০–‌এর নতুন নোট?‌ ১০০০ এখনও ছাপা হয়নি, ৫০০ চোখে দেখা যাচ্ছে না, যা আছে, যা এল, তা হল ২০০০ টাকার নোট। ভবিষ্যতে কালো জমাতে সুবিধে করে দেওয়ার জন্যই কি?‌ বেশ, খারাপ উদ্দেশ্য নেই। বুদ্ধির বহর?‌ ১০০ কম, ৫০০ নেই, ১০০০ নেই, ২০০০ টাকার নোট নিয়ে বাজারে গিয়ে কী করবেন মানুষ?‌ ছাপান্ন ইঞ্চি ছাতি নিজেই জানিয়েছেন, ১০ মাস আগেই ‘‌গোপন’‌ সিদ্ধান্ত, চলছিল প্রস্তুতি। ছোট নোটের জোগান নিয়ে ভাবনাচিন্তা নেই কেন?‌ ৫০০ কেন কম ছাপা হল?‌ ১০০০ বাদ থাকল কেন?‌ ২০০০ ছেপে কি নগদ জোগানের অঙ্ক মেলানোর চেষ্টা হল?‌ মেলাতে পারেন, সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্ক কী করে মিলবে মোদিজি?‌
    কার্ড তো আছে!‌ কর্তারা বলার চেষ্টা করছেন, এত টাকা টাকা করেন কেন, কার্ড তো আছে!‌ ক্রেডিট–‌ডেবিট কার্ডের মনোরম গল্প। তা আছে। দেশের দুই শতাংশ মানুষের। বাকি ৯৮‌?‌ কষ্ট করুন। সহ্য করুন। গ্রামের মানুষ, কৃষিনির্ভর গরিব মানুষ, শহরের পরিশ্রমজীবী মানুষকে বলছেন, প্ল্যাস্টিক মানি–‌র যুগ আনতে চাইছেন। যখন পারবেন, আনবেন। এখন কী করে জীবনযাপন করবেন দেশের একশো সাতাশ কোটি মানুষ?‌ প্রধানমন্ত্রী থেকে অর্থ–‌কর্তারা, ওঁরা ঘনঘন বিদেশে যান। বড়লোক দেশ থেকে জ্ঞান আহরণ করে আনেন। বলেন, প্ল্যাস্টিক মানির কথা। স্বপ্নে (‌ভয়াবহ স্বপ্ন) কোটি কোটি দেশবাসীর হাতে দেখেন ক্রেডিট–‌ডেবিট কার্ড। পে টি এম–‌এর বিশাল বিজ্ঞাপন বেরোয়। এসো, এসো। মনে তো আছেই, কয়েকদিন আগেই এই কোম্পানির বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে সহাস্য প্রধানমন্ত্রীর ছবি। সেই ছবি এখন চোখ রাঙাচ্ছে। অচ্ছে দিন আর কাকে বলে!‌ কাম সেপ্টেম্বর অক্টোবর উৎসবের মাস। সেপ্টেম্বর সেই সূত্রে বেশি খরচের মাস। ব্যবসায়ীরাও সবচেয়ে বেশি অর্থ লগ্নি করেন এই সময়ে, বার্ষিক সুসময়ের সন্ধানে। সেপ্টেম্বরে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি টাকা জমা পড়ার কথা নয়। সন্দেহ না জেগে পারে না, দু–‌তিন মাস আগেই কি গোপন কথাটি আর গোপন থাকেনি?‌ পৌঁছে গেছে বাছা–‌বাছা ব্যবসায়ীদের কাছে?‌ জমা দাও, জমা দাও বড় নোট?‌ রাজ্য বি জে পি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে ব্যাঙ্কে জমা দিয়েছে এক কোটি টাকা, ৫০০ ও ১০০০–‌এর নোটে। দেশের বি জে–‌প্রধান রাজ্যে রাজ্যে নিশ্চয় অনেক। ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরাই বা বাদ থাকেন কেন?‌ এবার সেপ্টেম্বরে ব্যাঙ্কে এত বেশি জমা পড়ল কেন?‌ অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন, অবাক হওয়ার কিছু নেই, সেপ্টেম্বরেই কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বাড়তি মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা হয়েছে, বাজারে এসেছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। বেশ। কিন্তু পরিমাণটা যে অনেক বেশি!‌ আগের বছরের তুলনায় এই সেপ্টেম্বরে বেশি জমা পড়েছে আড়াই লক্ষ কোটি!‌ সরকারি হিসেব। সরকারি ব্যাখ্যা কোথায়?‌
    ধরণীকান্তরা
    নোট–‌চমকের পর সংসদের অধিবেশন বসল ১৬ নভেম্বর। এত গুরুত্বপূর্ণ দিন, প্রধানমন্ত্রী নেই। জনসভায় কেঁদেছেন, নিশ্চয় আরও কাঁদার ও কাঁদানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। হাজির অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি (‌ধন্যবাদ!‌)‌। আনন্দ শর্মা বলছিলেন মানুষের দুর্গতির কথা (‌সংসদের বাইরে রাষ্ট্রপতি ভবনের পথে অর্ধশতাধিক সাংসদ)‌, আকর্ণ হাসি জেটলির মুখে। যেন কিছু মজার কথা শুনছেন।
    মারা যাচ্ছেন ধরণীকান্তরা। কোচবিহারের দিনহাটার আলুচাষী, প্রাক্তন শিক্ষক ধরণীকান্ত মণ্ডল তিনদিন ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা না–‌পেয়ে আলুর বীজ কী করে কিনবেন— এই দুর্ভাবনায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। লাইনে দাঁড়িয়ে, অসুস্থ হয়ে পড়ে, মারা গেলেন দেশের আরও মানুষ। হাসপাতালে নোট দিতে না–‌পারায় এক শিশুর চিকিৎসা হল না, অকালে ঝরল মানব–‌কুসুম। এই লেখার সময় পর্যন্ত মৃত ৪২। সংখ্যাটা বাড়লে বাড়ুক। নরেন্দ্র মোদি আরও কান্না–‌আনা ভাষণের জন্য প্রস্তুতি নিন। অরুণ জেটলি হাসুন। ৫০ দিন ‘গাছে’‌ বাস করুন দেশবাসী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চা–‌বিক্রির অভিজ্ঞতা থেকে জানেন, গরিবরা কড়ক (‌কড়া)‌ চা পছন্দ করেন। তিনি ‘‌কড়া’‌ দিয়েছেন। বাঃ। কড়ক চা। অচ্ছে দিন তো আসছেই, কিছু মানুষ তো মরবেই এই মহৎ যুদ্ধে। মরুক, আঃ। ‌ ‌‌‌‌

  5. মাসুদ করিম - ২ ডিসেম্বর ২০১৬ (৯:৩৩ অপরাহ্ণ)

    The Financial Times passes another major digital milestone

    Business paper claims a first by earning more revenues from digital than print

    The Financial Times has passed another significant milestone by securing more revenues from digital than print.

    It means that it can claim to be the first mainstream UK newspaper to be able to describe itself as a truly “digital content business.”

    The paper had previously reported that it earned more revenue from content than advertising. Content now accounts for 60% of the group’s revenues. So the paywall is clearly paying off.

    Its total paid circulation, combining print and digital, stands at 843,000, up 75,000 (about 13%) year on year. Three quarters of those are digital-only subscribers.

    The news comes as the paper today (Thursday) celebrates the first anniversary of its takeover by the Japanese media company Nikkei.

    When I interviewed its chairman, Tsuneo Kita, 12 months ago he said there was no possibility of his interfering in the FT’s newsroom affairs. Has he honoured his pledge?

    John Ridding, the FT chief executive, said firmly: “He has been true to his word. Our confidence in Nikkei has been fully vindicated.”

    There has been no editorial involvement apart from secondments, with Nikkei journalists in the FT’s office and FT staffers spending time in Nikkei’s headquarters.

    Ridding has been to Tokyo at least eight times over the past year in order to forge the commercial links that have resulted in the formation of a combined advertising sales team in Asia, a burgeoning broadcasting partnership and joint technological innovation.

    These changes have come against a background of what Ridding describes as “an intense year of disruption and turbulence”, meaning the vote for Brexit and the election of Donald Trump.

    The FT, which strongly favoured Britain remaining in the European Union, has benefitted from the vote to leave on 23 June. Since then, business people have been avidly seeking information and opinions on what will happen next.

    Ridding believes the boost in audience numbers, in both the UK and Europe, confirms the wisdom of the FT’s core strategy in providing reliable quality journalism.

    Which takes us neatly to the hot topic of “fake news” and “post-truth politics.” Ridding stresses that trust is the key to winning and retaining readers.

    Clearly, he says, Google and Facebook “do not want to be arbiters of truth” while we at the FT “take truth seriously… it’s our responsibility, it’s our business.”

    But, given the digital numbers, will the FT remain faithful to newsprint? “Print is still profitable,” says Ridding, “and our figures for the weekend FT are dynamic.”

    He is keener still to point to the latest version of the FT’s website, launched on 4 October, and reels off the user speeds: 1.5 seconds on desktop screens and 2.1 seconds on mobile devices.

    “This makes it one of the fastest news sites in the world,” he says .

  6. মাসুদ করিম - ৪ ডিসেম্বর ২০১৬ (৭:৪০ অপরাহ্ণ)

    The Indian Spy
    Who Fell for Tibet

    Sent by Britain to carry out a secret survey,
    Sarat Chandra Das became enchanted instead.

    By SAMANTH SUBRAMANIAN
    MARCH 16, 2016

    f it hadn’t been for a bout of malaria, Sarat Chandra Das might never have become a spy. As a civil engineer, he might have worked in Calcutta forever. But in 1874, upon recovering from his illness, he was offered a position as headmaster of the Bhutia Boarding School in Darjeeling. The mountain air would do him good, he thought, so he accepted. This was how, at 25, Das came to run a school for spies, training agents to work along the India-Tibet border, growing so besotted with Tibet himself that he made two surreptitious journeys to the kingdom.

    In the European imagination, Tibet and its capital, Lhasa, were a fantasy, a fabled paradise of spirituality locked away from the world. In the late 1700s, Tibet began denying entry to Westerners, its government — under pressure from China — reluctant to play the games of imperial geopolitics. For Britain, Tibet’s inward turn was ill timed, disrupting its plans to dominate Central Asia. In desperation, as the scholar Derek Waller found, the British cultivated ‘‘pundits,’’ Indians who had helped map the subcontinent and were now dispatched, in disguise, into Tibet, equipped with compasses and 100-bead rosaries to discreetly count their steps.

    Among the pundits, Das stood out, a scholar who offered his services as a spy in order to pursue his academic interests. It was as if James Bond volunteered to hunt down Blofeld, booking his own flights and hotels, all to improve his Japanese. Das persuaded his assistant, a lama named Ugyen Gyatso, to visit the Tashilhunpo monastery, in south-central Tibet, and talk him up as a theology student. The monastery’s prime minister was keen to learn Hindi, so Ugyen Gyatso, promising that Das was a fine tutor, wangled a passport for him. Presented with this document, Indian officials, now enthusiastic, gave Das indefinite leave and a crash course in spycraft. During his first trip, to Tashilhunpo in 1879, he studied Tibetan customs and so impressed the prime minister that he was invited back. In November 1881, Das returned, the vision of Lhasa glimmering before him.

    The two reports Das wrote about his second, 14-month journey were kept confidential until the 1890s and then published, with severe redactions, in small print runs. In 1902, they were compiled into a book, ‘‘Journey to Lhasa and Central Tibet.’’ The opening pages are tough going, brimming with place names: ‘‘On ascending about 3,000 feet above the Kalai valley, we enjoyed distant views of Pema-yangtse, Yantang, Hi, Sakyang, and other villages.’’ Still, all this was valuable information. In those days, so little was known that even the most quotidian details — the appearance of houses, the location of a pasture — shone with significance.

    The first month wasn’t easy. The Himalayas are punishing in early winter. ‘‘How exhausted we were with the fatigue of the day’s journey, how overcome by the rarefication of the air, the intensity of the cold, and how completely prostrated by hunger and thirst, is not easy to describe,’’ Das writes. Das’s guide is frequently drunk. Suspicions must be allayed everywhere. One village council permits his party to pass only after testing Das’s knowledge of Buddhism; even so, someone hollers, ‘‘That Hindu will surely die in the snows.’’ But Das makes it to Tashilhunpo, where he remains for five months, absorbing the news. China is flexing its muscle. Tibetans who rebuff a Chinese official’s attempts at extortion receive ‘‘four hundred blows with the bamboo.’’

    Just before summer, Das departs for Lhasa, attired as a monk in dark goggles. For a while, he travels with a princess but falls so ill midway that she leaves him behind. Smallpox has seized Tibet, but Das finds only quacks to treat his fever. One night, he writes, ‘‘I felt so weak and ill that . . . I called my companions to my side and wrote my will.’’ Food is scarce, the hamlets of the Tibetan steppe are poor and miserable. Finally, one May evening, Das and his company trudge around a hill, and Lhasa reveals itself: ‘‘It was a superb sight, the like of which I have never seen. On our left was Potala’’ — the legendary palace — ‘‘with its lofty buildings and gilt roofs; before us, surrounded by a green meadow, lay the town with its tower-like, whitewashed houses and Chinese buildings with roofs of blue glazed tiles. Long festoons of inscribed and painted rags hung from one building to another, waving in the breeze.’’

    We expect paroxysms of wonder from Das in Lhasa; instead, he turns all business, recording every conceivable detail: the dimensions of lintels, the tallow stirred into tea, the offerings at temples. He slips into Potala, joining pilgrims who have finagled an audience with the Dalai Lama, ‘‘a child of eight with a bright and fair complexion and rosy cheeks.’’ Lhasa is both squalid and grand, the filthy lanes of the inner city close by the magnificent 1,200-year-old Jokhang Temple and the majestic nine-storied Potala. One fat chapter in ‘‘Journey’’ explains Tibet’s political and religious hierarchies, the judiciary and the structure of taxation. This is Das pleasing his sponsors, singing for the supper he has already consumed.

    In the end, Das lingers in Lhasa for only two weeks and returns, via Tashilhunpo, to Darjeeling. In a sense, though, he never leaves Tibet. He names his house Lhasa Villa, and he spends the remainder of his life translating Tibetan texts, compiling a Tibetan-English dictionary, thinking incessantly about the land he left behind.

    The epilogue mars the tale. After the nature of Das’s trip was discovered, the Chinese persecuted anyone who assisted him. Tashilhunpo’s prime minister was murdered, his body thrown into a river. In 1903-4, a British expedition finally broke into Lhasa, and soldiers freed a former official, imprisoned for 20 years for helping Das. The old man, The North China Herald reported, blinked ‘‘at the unaccountable light like a blind man whose sight had been miraculously restored.’’ The analogy is impossible to miss: Tibet, too, had been released from China’s iron fist into the light. But much of this was ephemeral. Half a century later, China snatched Tibet back into its orbit; the Dalai Lama fled into exile. Only Das’s beloved Lhasa endures, the gleaming white walls of Potala still draped over their outcrop of rock like fresh snow upon a mountaintop.

  7. মাসুদ করিম - ৭ ডিসেম্বর ২০১৬ (৮:২৪ অপরাহ্ণ)

    বিয়ের বয়সে ছাড়: সমালোচকদের একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী

    ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ মেয়েদের বিয়ের বয়সে ছাড়ের সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনাকারীরা বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে ‘অজ্ঞান’ বলে মন্তব‌্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষে সংসদে নানা যুক্তি তুলে ধরে শিক্ষা ও নারী অধিকারের পক্ষে সোচ্চার ও্ই সব প্রতিষ্ঠানের সমালোচনার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন করেছেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বুধবার আইনসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “সমাজের প্রতি দায়দায়িত্ব তাদের খুবই কম। কারণ তারা দুটো এনজিও করে পয়সা কামায়, কিন্তু দায়িত্বটা নেয় না।”

    বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বাল্যবিবাহ নিয়ে ঘাবড়ানো বা চিন্তা করার কিছুই নেই। আমাদের আর্থ-সামাজিক বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।”

    সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে’ মেয়েদের বিয়ের ন‌্যূনতম বয়স আগের মতো ১৮ বছর রাখা হলেও ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ আদালতের নির্দেশনা নিয়ে এবং বাবা-মায়ের সমর্থনে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ের সুযোগ রাখা হয়।

    এতে বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে উৎসাহিত হবে মন্তব্য করে তা বাতিলের দাবি তুলেছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।

    শেখ হাসিনা বলেন, “যারা আজ এটা নিয়ে কথা বলছেন তারা কোনো দিন গ্রামে বাস করেনি। গ্রামের সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে তাদের বিন্দুমাত্র ধারণা নেই। শুধু একবার গেলাম দেখলাম আর মুখের কথা শুনলাম, তাতে সব কিছু জানা হয় না।

    “গ্রামের পারিবারিক মূল সমস্যা সম্পর্কে উনাদের কোনো ধারণা নেই। এছাড়া আমাদের দেশে কিছু বিষয় রয়েছে সে সম্পর্কে তাদের কোনো চিন্তা নেই। সেই কারণে তাদের অনেক বড় বড় কথা।”

    ‘বাস্তবতা’ বিবেচনায় নিয়েই আইনটি সংশোধন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা ‘তবে’ কেন লাগালাম, এটা নিয়ে হাজারো প্রশ্ন উঠছে। যেহেতু তারা বাস্তবতার অনেক উর্ধ্বে রাজধানীতে বসবাস করছে। রাজধানীর পরিবেশটাই তারা দেখে। বাস্তব অর্থে গ্রামীণ পরিবেশ সম্পর্কে তারা কিছু জানেন না।”
    কোনো আইন ‘রিজিড’ হতে পারে না বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রত্যেক আইনেই তো বিশেষ বা অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থার সৃষ্টি হয় তাহলে তার ক্ষেত্রে একটা সুযোগ অবশ্যই দিতে হবে। না হলে সমাজের জন্য অনেক বড় একটা বিপর্যয় নেমে আসবে।”

    ‘বিশেষ অবস্থা’ বোঝাতে দৃষ্টান্ত দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা ১৮ বছর পর্যন্ত বিয়ের বয়স নির্ধারণ করে দিয়েছি। কিন্তু একটি মেয়ে যদি… যে কোনো কারণে ১২-১৩ বা ১৪-১৫ বছরের সময়ে গর্ভবতী হয়ে যায়- তাকে গর্ভপাত করানো গেল না। তাহলে যে শিশুটি জন্ম নেবে তার অবস্থান কী হবে? তাকে কী সমাজ গ্রহণ করবে?

    “তাহলে এই বাচ্চাটির ভবিষ্যৎ কী হবে? তার ভাগ্য কী হবে? এ রকম যদি কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে কী হবে?”

    “যদি অ্যাবরশনের বিষয়টি আইনে থাকে, তাহলে সমস্যা নেই। অ্যাবরশন করিয়ে নেবে। আর যদি না হয় তাহলে যে মেয়েটি সন্তান জন্ম দিল তার ভবিষ্যৎ কী আর সন্তানটিরও ভবিষ্যত কী হবে?”

    এই ধরনের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে সেখানে বাবা-মার মত নিয়ে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হলে বাচ্চাটি ‘বৈধতা’ পাবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

    নিজেদের সিদ্ধান্তের পক্ষে বলতে গিয়ে পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে বাল্যবিয়ের কথাও বলেন শেখ হাসিনা।

    ইউরোপের অনেক দেশে বিয়ের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছর রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এসব দেশে অল্প বয়স্ক মায়ের সংখ্যা অসংখ্য। ১২-১৩ বছরের বাচ্চা মেয়েরা মা হয়ে যায়। তারা গর্ভপাত করাতে চায় না। কিন্তু বাচ্চাটা হওয়ার পর ২-৩ বছর লালন পালন করে ওই মেয়ে বাচ্চাটিকে তার মায়ের কাছে ফেলে রেখে চলে যায়।”

    পশ্চিমে বাবার পরিচয় না থাকলেও শিশুর শিক্ষাগ্রহণে কোনো সমস্যা না হওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওই দেশে বাবা-মা কে তা কেউ জানতে চাইবে না। কিন্তু আমাদের দেশে কী হবে?”

    বাংলাদেশে স্কুলে ভর্তির জন্য শিশুর বাবা-মা’র নাম উল্লেখ জরুরি বলে জানান তিনি।

    “বাবার নাম কী, মায়ের নাম কী সমস্ত তথ্য দিতে হবে। কেউ ওকে গ্রহণ করবে না। ছেলে হোক মেয়ে হোক তাকে বিয়ে দেওয়া যাবে না। তাকে কেউ চাকরিও দেবে না। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বে এটা কোনো বিষয় নয়, তারা এটাকে গ্রহণ করে নেয়।”

    পশ্চিমের সঙ্গে বাংলাদেশের সামাজিক পরিস্থিতির তুলনামূলক এই চিত্র আইনের সমালোচকরা ভেবে দেখেছেন কি না তা জানতে শেখ হাসিনা।

    “যারা খুব উচ্চ স্বরে কথা বলছেন তারা কী এই বাস্তবতাটা চিন্তা করছেন? চিন্তা করছেন না বলেই এভাবে কথা বলতে পারেন।”

    “আমি যতদিন সরকারে আছি, মনে করি এটা আমার দায়িত্ব। সমাজের এই সন্তানটাকে একটি স্থান করে দেওয়া। তার জন্য এই বিশেষ বিধান করে দিয়েছি। কারণ এটা অত্যন্ত বাস্তবসম্মত চিন্তা।”

    অন‌্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিত্তবানদের সন্তানদের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা সরকারকে ভাবাচ্ছে।”

  8. মাসুদ করিম - ১১ ডিসেম্বর ২০১৬ (১২:৫৪ অপরাহ্ণ)

    আইসিএসএফ সংলাপ
    যুদ্ধাপরাধীদের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান

    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (বাংলাদেশ) এর ভবিষ্যৎ বিচারিক প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি সুশীল সমাজ, আইনি সংস্থা, বেসরকারি সংগঠন সহ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে বলে মত দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও এক্টিভিস্টরা। এ ক্ষেত্রে জাতীয়ভাবে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে সে অনুযায়ী কার্যকর ও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও তারা মত দিয়েছেন।

    শনিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) আয়োজিত ‘রাষ্ট্রীয় আইনে আন্তর্জাতিক অপরাধ বিচারের মডেল: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (বাংলাদেশ) এর সংগ্রাম, অর্জন ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সংলাপে এ মতামত উঠে আসে। এ ছাড়াও, যুদ্ধাপরাধ ও বিচার বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণা কাজে আরো মনোযোগ দিতে হবে, সাক্ষীদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন করতে হবে ও তদন্তাধিন অভিযোগগুলোর মামলা চালানোর জন্য ট্রাইব্যুনাল এর সংখ্যা বৃদ্ধির পক্ষেও মত দেন তারা।

    আজ থেকে চার দশক আগে একটা দেশ তার জন্মের সময় ভয়ঙ্কর গণহত্যার শিকার হওয়ার পরও যে স্বাধীনতা অর্জন করে সে গণহত্যার বিচার চেয়েছে। ২০০৯ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে বহুল কাঙ্ক্ষিত বিচার শুরুও হয়েছে এবং শিগগিরই এ প্রক্রিয়া সপ্তম বর্ষে পদার্পণও করতে যাচ্ছে। তাই ১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবিক অপরাধের এ ঐতিহাসিক বিচার প্রক্রিয়া বহু দশকের সম্মিলিত আন্দোলন ও ত্যাগের ফসল। এ পর্যন্ত শত প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতার পরও এখন মোট ২৭টি মামলার রায় দেয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটিকে আরো এগিয়ে নিতে ও প্রাপ্য মহিমার অবস্থানে নিয়ে যেতে, এবং এ প্রক্রিয়ার ফলাফলকে ন্যায়বিচারের ইতিহাসে যথাযথ মর্যাদার অবস্থানে অধিষ্ঠিত করতে এখনও অনেক পথ বাকি।

    জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার শাহ আলি ফরহাদ। মূল বক্তব্যের উপর আলোচনায় অংশ নেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, রানা দাশ গুপ্ত, সুলতান মাহমুদ সিমন ও তাপশ কান্তি বাউল।এছাড়াও অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য, সাংবাদিক ও অনলাইনে যুদ্ধাপরাধ বিরোধী প্রচারণার সক্রিয় কর্মী সহ অন্যরা।

    বিশেষজ্ঞরা বলেন যে একাত্তরে ভয়াবহ নৃশংসতার শিকার ভিকটিমরা প্রায় ৪০ বছর পর বিচার পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু এখানেই বিষয়টি শেষ নয়। তারা সকলেই এ ভিকটিমদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করার বিষয়ে জোর দেন। এ ক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেও এই কাজটি করা যেতে পারে কিনা তা ভেবে দেখা দরকার বলেও তারা জানিয়েছেন।

    বাংলাদেশে এ বিষয়ে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী, তদন্ত সংস্থার প্রতিনিধি, অনলাইনের সক্রিয় কর্মী, সাংবাদিক সহ বিচারিক প্রক্রিয়া ও আন্দোলন সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতি ছাড়াও বিশ্বের আরো ২২ টি শহরের শতাধিক মানুষ সরাসরি ও প্রত্যক্ষ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিল।

    আইসিএসএফ (ICSF) হল বিশেষজ্ঞ, সক্রিয় কর্মী, এবং বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক, যা আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারহীনতা নিরসন, ভিকটিমদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতকরণ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে গত অর্ধ-যুগেরও বেশী সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছে।

    ICSF stresses concerted efforts to take war crimes trial forward in Bangladesh

    Speakers at a dialogue in Dhaka have stressed “concerted efforts” of all including civil society groups and legal institutes to devise strategy to take forward the war crimes trial in Bangladesh.

    They also suggested making an “action plan” to carry forward the trial, and also paying attention in educating people about the trial.

    They once again put stress on making witness protection act, the ICSF said in a statement.

    Former National Human Rights Commission chairman Dr Mizanur Rahman, Barrister Shah Ali Farhad, prosecutors Ziad Al Malum, and Rana Das Gupta were present, among others, at the dialogue.

    The International Crimes Strategy Forum (ICSF) organised the dialogue on the future of the International Crimes Trial, Bangladesh or ICT-BD in Dhaka on Saturday.

    ICSF is an independent global network of experts, justice, advocates and organisations committed to end impunity for international war crimes, ensure justice for the victims of these crimes, and uphold rule of law and human rights.

    The activities of ICSF are focussed on justice for international crimes, such as, genocide, crimes against humanity, war crimes, and terrorism – through documentation, campaign, advocacy, research and education.

    Bangladesh stared the trial of the collaborators of 1971 war of independence since the setting up of the war crimes tribunal in 2010.

    Six of the convicts have so far been hanged for crimes against humanity they committed during the war.

  9. মাসুদ করিম - ১১ ডিসেম্বর ২০১৬ (৪:১০ অপরাহ্ণ)

    The oldest known seabird lays an egg at 66

    The world’s oldest known seabird is expecting, officials at the Midway Atoll National Wildlife Refuge said Saturday.

    The Laysan albatross known as Wisdom — a bird thought to be at least 66 years old — is incubating an egg once again, putting her on track to become the oldest breeding wild bird in the world.

    Charlie Pelizza, the US Fish and Wildlife Service project leader at the refuge in the middle of the North Pacific Ocean, said in a statement that Wisdom has been returning there for six decades.

    “The staff was abuzz with the news that Wisdom was back and incubating,” he said.

    The bird was first banded in 1956. Since 2006 she has fledged at least nine chicks, and traveled some three million miles over the course of her life.

    Her mate, Akeakamai, was seen near their nest site on November 23.

    The Midway Atoll National Wildlife Reserve is home to the world’s largest albatross colony.

    Park staff had thought Wisdom might take a year off from breeding, as many albatrosses must take time to molt and replenish their plumage.

    The birds spend almost 90 percent of their lives flying, traveling thousands of miles every year looking for food.

    There’s an estimated 3 million breeding birds year-round at the Midway Atoll refuge.

  10. মাসুদ করিম - ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬ (১২:৪৫ অপরাহ্ণ)

    Bangladesh lags far behind in property rights ranking
    126th among 128 countries in IPRI list

    Bangladesh continues to perform poorly as far as property rights are concerned. It secured 126th position among 128 countries in this year’s International Property Rights Index (IPRI).

    Property rights are billed crucial for establishing a climate conducive to economic prosperity and freedom within a country. As innovation and creativity abound, the current globalized economy requires strong property rights, according to an international watchdog.

    Despite slight improvement in various sub indexes, Bangladesh has moved up only two notches in this year’s IPRI rankings compared to that of 2015 when the country stood 128th among 129 countries indexed then.

    Only Venezuela, a Latin American country, and Myanmar, which secured the last position in the 2015 index, are behind Bangladesh this year.

    Bangladesh’s overall score of 2.8 in the rankings is just one-third of chart-topper Finland’s 8.4. In comparison, Bangladesh’s giant neighbour, India, has an overall score of 5.2 in the index, while Sri Lanka scored 5.0 and Pakistan 3.7.

    Although the country’s overall IPRI score has increased by 0.2 from last year’s, this score is still far lower than the high point of 3.6 it reached in 2011 and 2012.

    The IPRI index, crafted each year by Property Rights Alliance based in Washington, DC, ranks countries by three main components of a sound property rights system. These are: Legal and Political Environment or LP, Physical Property Rights or PPR and Intellectual Property Rights or IPR.

    Each of these three components is further broken down into subcomponents. For instance, LP has four subcomponents- Judicial Independence, Rule of Law, Political Stability, and Control of Corruption.

    Meanwhile, PPR has three subcomponents: Protection of Physical Property Rights, Registration of Property, and the Ease of Access to Loans.

    IPR, on the other hand, also has three subcomponents, namely, Protection of Intellectual Property Rights, Patent Protection, and Copyright Protection.

    Among the sub indexes, Bangladesh’s score for Legal and Political Environment increased by 0.5 to reach 3.1 with scores of 2.3 in Judicial Independence, 3.6 in the Rule of Law, 3.2 in Political Stability, and 3.2 in Control of Corruption.

    The index also shows Bangladesh’s score in Physical Property Rights category having increased by 0.1 this year to reach 2.9 with scores of 4.1 in Property Rights, 2.1 in Registering Property, and 2.4 in Ease of Access to Loans.

    On the other hand, Bangladesh’s score in Intellectual Property Rights Subindex increased by 0.1 to 2.4 this year with scores of 2.7 in Intellectual Property Protection, 1.3 in Copyright Piracy Level, and 3.2 in Patent Protection.

    Overall, it is notable that Bangladesh’s performance is relatively better in the legal and political environment criterion. The country’s score is among the lowest when it comes to intellectual property-right issue.

    Finland retains the first place in the 2016 IPRI rankings, followed by New Zealand (8.27), Luxemburg (8.26), Norway (8.25) and Switzerland (8.16).

    “Results suggest that countries with high IPRI scores and their components also show high income and high development levels, pointing to a positive relationship between a property rights regime and wellbeing,” the alliance report says.

  11. মাসুদ করিম - ২১ ডিসেম্বর ২০১৬ (৮:৫২ অপরাহ্ণ)

    ‌কিড়িং

    অতি সম্প্রতি জানা গেল সাইকেলের প্রথম বাঙালি মালিক ছিলেন হেমেন্দ্রমোহন বসু। বাঙালিদের সম্পর্কে যে–বাঙালিরা অন্তরঙ্গ স্মৃতিচারণায় কিছু খোঁজখবর রাখেন এবং বাঙালিদের চিত্তচাঞ্চল্যের রঙ্গও খানিকটা বোঝেন, তাঁরা মানতে বাধ্য হবেন কাণ্ডটা অনিবার্য ছিল। মানে সাইকেলের সঙ্গে সহজপ্রেমের সম্পর্কের কথা হচ্ছে। প্রসঙ্গ টেনে এই এক্ষুনি কেউ যদি মানুষের সাইকেল–প্রেমের কথা বলেন, তা হলে সেই ঐতিহাসিক কাহিনীও কম বৈচিত্র‌্যময় নয়। বলতে ইচ্ছে হয়, সহজ প্রেমের ভারসাম্যে সাইকেল–‌সৃষ্টির চেয়ে ভাল কাজ খুব কমই হয়েছে। চলচ্চিত্রের ‘‌বাইসাইকেল থিফ’ থেকে শুরু করে চীনের প্রধানমন্ত্রীর সাইকেলে চড়ে অফিস যাওয়া পর্যন্ত সবই যেন স্বাভাবিক ও পুলকপ্রধান কর্ম। নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন শান্তিনিকেতনে ফিরলেই সাইকেলে ঘুরে বেড়ান— এই সংবাদও বাঙালি মাত্রই জানেন। ইদানীং অবশ্য মোটরবাইকের প্রায় অশালীন দাপট শহর থেকে দূরের গ্রামেও পৌঁছে গেছে। দামে, আওয়াজে এবং গতি–বিক্রমে মোটরবাইক যেন অকারণ দেখানোপনার জীবন্ত প্রচার–বন্দোবস্ত। অন্যদিকে সাইকেল ও তার ‘‌কিড়িং’‌ আজও প্রেমের চিঠির মতো মৃদু ও প্রতীক্ষার সচল উদাহরণ। একদা গ্রামবাংলায় বিবাহে জামাতা বাবাজীবনকে যৌতুক হিসেবে নতুন সাইকেল উপহার দেওয়া প্রায় বাধ্যতামূলক ছিল। মাঠে মাঠে ফসলের উচ্ছ্বাসের সঙ্গে সেই উপহারের সুর বাঁধা থাকত। গাছে ওঠা ও সাঁতার কাটার সঙ্গে জড়িয়ে থাকত সাইকেল চালাতে শেখা। মাটিতে দাঁড়িয়ে থেকেই সাবলীল আরোহণপর্ব চুকিয়ে পায়ের চাপে চলার শুরু। হয়ত এই সহজ আসা–যাওয়া অন্তরঙ্গতারও সম্পর্ক। গ্রামে দূরের পথ সাইকেলকে যেভাবে গ্রহণ করে তারও কি কোনও তুলনা আছে!‌ প্রকৃতির সঙ্গে সখ্য নিয়েও কোনও বিতর্ক নেই। মানুষের মনমেজাজেরও সঙ্গী। চালানোর জন্য শুধু প্রয়োজন ইচ্ছের। আর অভ্যস্ত কান যেন আজও শুনতে চায়– ‘‌কিড়িং’‌।

  12. মাসুদ করিম - ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ (১০:০০ অপরাহ্ণ)

    নৃবিজ্ঞানী সামসুল আরেফিন আর নেই

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন খান সামসুল আরেফিন মারা গেছেন।

    শনিবার বিকালে রাজধানীর লালমাটিয়ায় নিজের বাসায় তার মৃত্যু হয় বলে এই অধ‌্যাপকের সাবেক সহকর্মী হাসান এ শাফি জানিয়েছেন।

    ঢাকা বিশ্ববিদ‌্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান শাফি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই সময় বাসায় তিনি একাই ছিলেন। কয়েকদিন আগেও তার সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তখন তিনি সুস্থই ছিলেন।”

    অধ‌্যাপক আরেফিনের বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

    প্রথিতযশা এই নৃবিজ্ঞানীর মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক শোক প্রকাশ করেছেন।

    এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন খান একজন মেধাবী ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা ও দেশপ্রেমিক হিসেবে সামাজিক বিজ্ঞানের গবেষণা ও তত্ত্ব-চিন্তায় তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন।”

    ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর অধিকার ও শিক্ষা আন্দোলনসহ নানা সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সামসুল আরেফিন।

    ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রোভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    চাঁদপুরের আশেক আলী খানের সাত ছেলে-মেয়ের একজন সামসুল আরেফিন। ভাই-বোনদের মধ‌্যে এখন বেঁচে আছেন তিনজন।

    দুই ভাইয়ের মধ‌্যে বোরহান উদ্দীন খান জাহাঙ্গীর ঢাকা বিশ্ববিদ‌্যায়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ‌্যাপক এবং মহীউদ্দীন খান আলমগীর আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    তার বড় বোন নীলুফার বেগম বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব ছিলেন।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন অধ‌্যাপক আরেফিনের সব বড় ভাই মেসবাহ উদ্দীন খানের ছেলে। তিনি চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    অধ‌্যাপক শাফি জানান, সামসুল আরেফিনকে শ্রদ্ধা জানানোর জন‌্য রোববার বেলা ১২টার দিকে তার মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ‌্যালয়ে আনা হবে। পরে বিশ্ববিদ‌্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে বিকাল ৩টায় বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

  13. মাসুদ করিম - ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ (৯:১০ পূর্বাহ্ণ)

    George Michael, pop superstar, dies at 53

    Andrew Ridgeley and Elton John join tributes to star who first made his name as half of pop group Wham! before going on to solo success

    The pop superstar George Michael has died peacefully at home, his publicist said.

    The 53-year-old, who was set to release a documentary in 2017, rose to fame as half of Wham!, known for their hits Club Tropicana and Last Christmas. He had a highly successful solo career which included the songs Careless Whisper, Faith, Outside and Freedom! 90.

    Michael – who was born Georgios Kyriacos Panayiotou – had 11 UK number ones and sold more than 100m albums throughout a career spanning almost four decades. His last album, Symphonica, was released in 2014.

    Thames Valley police told the BBC an ambulance had attended a house in Goring, Oxfordshire, at 1.42pm. They said the death was being treated as “unexplained but not suspicious” and they would not comment further until after a postmortem.

    In a statement, the star’s publicist said: “It is with great sadness that we can confirm our beloved son, brother and friend George passed away peacefully at home over the Christmas period.

    “The family would ask that their privacy be respected at this difficult and emotional time. There will be no further comment at this stage.”

    Michael’s manager, Michael Lippman, said he had died from heart failure and was found “in bed, lying peacefully”. His publicist, Cindi Berger, said he had not been ill.

    On Twitter, Andrew Ridgeley, Michael’s partner in Wham!, said he was “heartbroken at the loss of my beloved friend”.

    Sir Elton John, another friend and collaborator, wrote on Instagram of his “deep shock” at the lost of a “the kindest, most generous soul and a brilliant artist”.

    Michael was born in London to Greek Cypriot parents and first achieved pop success with school friend Ridgeley in the pop duo Wham! They split up in 1986 and he went on to have a glittering solo career that also saw him collaborate with John, Aretha Franklin, and Queen, after the death of Freddie Mercury.

    He also had frequent brushes with the law, including his highly publicised arrest in a Los Angeles public toilet in 1998, an episode that led him to acknowledge his homosexuality and his relationship with Kenny Goss. His track Outside, released the same year, poked fun at the arrest and reached No 2 in the charts.

    But Michael would struggle to recapture the same success and his last studio album, Patience, was released in 2004.

    In later years he had a series of arrests for drugs and driving offences and was banned from driving twice. In 2011 he officially announced the ending of a turbulent 15-year relationship with Goss – though he said that the pair had actually split about two years earlier. After a career hiatus that he described as “a very long period of grief and self-abuse”, he announced his return to performing and said he felt remorse for the impact his high-profile arrests might have had on young gay people striving for acceptance.

    Michael nearly died of pneumonia in late 2011. After receiving treatment in a Vienna hospital, he made a tearful appearance outside his London home and said it had been “touch and go” whether he lived. Doctors had performed a tracheotomy to keep his airways open and he was unconscious for some of his spell in hospital.

    In May 2013 Michael had to be airlifted to hospital with a head injury after falling from his vehicle on the M1.

    Michael’s 1990 album Listen Without Prejudice Vol 1 had been set to be reissued, accompanied by a new film featuring Stevie Wonder, John and the supermodels who starred in the video to his hit single Freedom! 90.

    The movie, with the working title Freedom: George Michael, was to be narrated by Michael and set to feature Mark Ronson, Mary J Blige, Tony Bennett, Liam Gallagher, James Corden and Ricky Gervais.

    The record was his second solo album, after the hugely successful Faith, and was arranged, produced and almost entirely written by Michael, but did not feature him on the album cover.

    It featured hits including Cowboys and Angels, Mother’s Pride and Praying for Time and outsold Faith in the UK, where it went platinum four times but led to a court case with US record label Sony spurred by Michael’s frustration at how the album was marketed. Michael lost the case.

    Paying tribute, contemporaries Duran Duran referred to theloss of “another talented soul” in a year which has seen the death of several major-league rock and pop stars, among them David Bowie, Prince and Leonard Cohen. Rick Parfitt, guitarist in Status Quo, died on Christmas Eve at the age of 68.

    Brian May, the Queen guitarist, said the news of Michael’s death was “beyond sad” and LaToya Jackson said he had “an amazing gift”. Martin Fry, the lead singer and songwriter with ABC, said on Twitter: “Absolutely devastated to hear of the loss of George Michael.”

    Jeremy Corbyn, the Labour leader, said Michael was “an exceptional artist and a strong supporter of LGBT and workers’ rights”. Nicola Sturgeon, the Scottish first minister, was among the first to pay tribute, describing him as “an amazing talent gone too soon”.

  14. মাসুদ করিম - ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ (৬:১৮ অপরাহ্ণ)

    চলে গেলেন চাটগাঁইয়া সঙ্গীতের বরপুত্র

    চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও মরমি গানের কিংবদন্তি গীতিকার আবদুল গফুর হালী আর নেই। গতকাল বুধবার(২১ ডিসেম্বর ২০১৬) ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নগরীর সার্সন রোডে মাউন্ট হাসপাতালে সঙ্গীতের এই দিকপালের জীবনাবসান ঘটে। আবদুল গফুর হালী ১৯২৮ সালের ৬ আগস্ট চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। ৬০ বছর ধরে একটানা গান লিখে চলা হালী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গত দুই মাস ধরে হাসপাতালে শয্যাশায়ী ছিলেন। তিনি দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও অসংখ্য ভক্ত-গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গফুর হালীকে নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা সাংবাদিক নাসির উদ্দিন হায়দার জানান, বৃহস্পতিবার বাদ জোহর ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা, জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে বাদ মাগরিব দ্বিতীয় জানাজা এবং শুক্রবার নিজ গ্রাম পটিয়া উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামে বাদ জুমা তৃতীয় ও শেষ নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
    শিল্পী শেফালী ঘোষের গাওয়া ‘ও শ্যাম রেঙ্গুম নঅ যাইওরে’, সন্দীপনের কণ্ঠে ‘সোনাবন্ধু তুই আমারে করলিরে দিওয়ানা’, শিরিনের কণ্ঠে ‘পাঞ্জাবিওয়ালা’ ও ‘মনের বাগানে ফুটিল ফুলরে’ এবং কল্যাণী ঘোষের গাওয়া ‘দেখে যারে মাইজভাণ্ডারে হইতেছে নুরের খেলা’- এমন অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা আবদুল গফুর হালী। তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের সম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত শিল্পী শেফালী ঘোষের সঙ্গীতগুরু। তিনি ছয়টি আঞ্চলিক নাটক রচনা করেছেন। এর মধ্যে গুলবাহার গীতিনাট্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে মঞ্চায়িত ও বেতার-টেলিভিশনে প্রচারিত হয়।
    গফুর হালীর মৃত্যুতে চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ টিপু, পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, পিএইচপি পরিবারের চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন চৌধুরী, পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী, আনোয়ারুল হক চৌধুরী, পরিচালক আলী হোসেন চৌধুরী সোহাগ, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী রিংকু, আমির হোসেন সোহেল,
    চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার ও সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, নানুপুর লায়লা কবির কলেজের অধ্যক্ষ আ ন ম সরোয়ার আলম, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন ও মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিন, রাহে ভাণ্ডার কধুরখীল দবরারের সাজ্জাদানশীন আল্লামা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ, চাটগাঁ ভাষা পরিষদের পরিবার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

    গায়ক পাখি গফুর হালী: যেই যন্ত্র বাজাইলে গানের যন্ত্রণা হয়; ওই যন্ত্র বাদ দেন বাংলা গান থেকে

    সোনাবন্ধু তুই আমারে করলিরে দিওয়ানা, পাঞ্জাবিঅলা, মনের বাগানে ফুটিল ফুল গো, তুঁই যাইবা সোনাদিয়া বন্ধু মাছ মারিবার লাই,‘অ শ্যাম রেঙ্গুম ন যাইও, বানুরে অ বানু— কিংবা মাইজভাণ্ডারী গান- দেখে যারে মাইজভাণ্ডারে হইতাছে নূরের খেলা, কতো খেলা জানরে মাওলা, মাইজভাণ্ডারে কি ধন আছে এবং মোহছেন আউলিয়ার গান— চল যাই জিয়ারতে মোহছেন আউলিয়ার দরবারে, আল্লাহর ফকির মরে যদি, ইত্যাদি শত শত কালজয়ী গানের রচিয়তা আবদুল গফুর হালী।

    আবদুল গফুর হালীর জন্ম ১৯২৯ সালে পটিয়ার রশিদাবাদে। বাবা, আবদুস সোবহান, মা গুলতাজ খাতুন। লেখাপড়া করেছেন রশিদাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জোয়ারা বিশ্বম্ভর চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়ে। রশিদাবাদ আরেক সাধকশিল্পী আস্কর আলী পণ্ডিতের গ্রাম। আস্কর আলীর গান শুনে বড় হয়েছেন গফুর। ছোটবেলায় তাঁর আধ্যাত্মিক ও মরমি গান গফুরের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। কারো কাছে সেই অর্থে গান না শিখলেও শিক্ষক বলে মানতেন চট্টগ্রামের প্রকৃতিকে, যা তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছে সৃষ্টিকর্মে, প্রেরণা পেয়েছেন আস্কর আলী পণ্ডিত ও রমেশ শীলের গান থেকে। আবদুল গফুর হালীর আঞ্চলিক গানের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। মাইজভান্ডারি গানও হাজারের বেশি হবে। ‘দুই কুলের সোলতান’, ‘দেখে যারে মাইজভান্ডারে’সহ অসংখ্য গান শ্রোতাদের মুখে মুখে ফেরে। তাঁর গান আরও গেয়েছেন উমা খান, সঞ্জিত আচার্য, কান্তা নন্দী, শিল্পীরানী, আবদুল মান্নান রানা, সেলিম নিজামী,শিমুল শীল, কল্যাণী ঘোষ, কল্পনা লালা ও সন্ধ্যারানী দাশ।

  15. মাসুদ করিম - ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ (৯:৪৩ অপরাহ্ণ)

    The Dirty Indian Male
    Without rape, Indian machismo is incomplete. It seeks security and upholds honour through ­violence on the other, argues Shiv Visvanathan.

    The Indian male is a creature full of paradoxes. Spoilt by women, he responds by being an absolute patriarch. His patriarchy is a two-tier system: he is nationalist in public and patriarch at home. He is the rhetorical vigilante patrolling the streets for deviance. He plays gau rakshak to the state. At home, he is rakshak of the female body. His two great turfs—the nation-state and the female body—are marked by boundedness. As a maintainer of boundaries, he becomes controller of excesses, examiner of morals, protecting both the body and the body politic.

    There is something schizophrenic about him. He wants excess for himself and restraint around his women. Oddly, his ideal woman is the mother, whose sacrifice, restraint and duty he celebrates. The mother is the equivalent of the self-disciplined nurturing state. But from his other women, he demands excess or prescribes it for himself. The sexual revolution as a new set of technologies or values has not touched him. For him, the condom insults masculinity. His masculinity becomes an overall metaphor for his behaviour. He seeks machismo in all walks, from decision-making to technology. He wants the nuclear bomb and the national security state. Yet, he is never sure of his potency. As a masculine hawk, he suffers from missile enemy. In fact, I have always wondered at the male fascination for the word security. Security encloses, bounds, protects and captures his umbilical sense of potency. In defence, at home he seeks security and argues for surveillance.

    In an odd way, the Indian male is a repressed creature. Conditioned by fixed categories, he is predictable in his sexual and career choices, thinks the world ends between accountancy, engineering and medicine. Living in a limited world, he is bored by 40. He dulls out, begins a second adolescence at 50, mellowed only by a touch of religion. In fact, despite all restraints, India is one country where the men get duller after 40, and women somehow appear more interesting. If we look at all the interesting activists from Medha Patkar, Aruna Roy to Indira Jai Singh and Ela Bhatt, Irom Sharmila to the new tribal activists, one senses women forever at ease about sexuality and hegemony.

    Oddly, it is the man who is repressed and, in his repression, seeks to suppress others or pursue a certain hypocrisy, as a basic morality. He legislates separately about men and women. In fact, I would maintain the khap panchayat and the national security state have a lot in common. In both, security stems from controlling anxieties and, as anxiety-maintaining mechanisms, both tend to be violent and vicious. It is as if both, in repressing themselves, have to allow for an excess of violence on the other. An orgy of violence and an orgasm become emotional equivalents. When one watches any violent event from AFSPA cases to the riots in Gujarat, violence needs rape as a consummator event. It is rape that becomes the trademark of masculinity and the impunity that accompanies it. Without rape, Indian machismo is incomplete.

    Next to security, the most suspect term is honour. Honour is not a sense of grace or dignity; it is a proprietorial sense of respect created almost as ownership. If a woman transgresses, she must pay. Honour killing becomes a ritual for maintaining male honour. It is almost as if honour is a potency that is renewed through acts of honour killing. It is the status of the male that is important. Women become a dispensable form of honour-maintenance.

    This sense of honour killing hides the greatest secret of the Indian family—incest. Incest is almost blatant in India and seen as sociological excess, a catharsis for the Indian male subject to alienation and migration. Yet it is incest that makes a lie of everything he states. One is always surprised that rape generates so much scandal, but incest is treated as a secret, a tacit world no one talks about. I wonder if India has the courage to confront incest statistics. The hypocrisy of the Indian male operates between the tacit world of incest and the ‘alleged’ scandal of rape.

    Oddly, the Indian man working like a frenetic pump, full of leakages, has little sense of the erotic. An erotic world seems part of the nostalgia of history. His idea of courtship is more a bumbling Punch and Judy show than a ritual to be enjoyed. The missingness of the erotic in contemporary life might explain why boundaries and boundedness become so obsessive in male life. Eroticism needs a more fluid sense of the other, the powers of language, bodily rituals that are now confined to a mechanical use of deodorants.

    One has to add to this the sheer boringness of marriage. Husband and wife have little to say to each other. Conversation for pleasure is at a discount. If one watches an Indian family at a restaurant, the men eat in lonely splendor, while the women spend time catering to children. There is little sense of delic­acy, the ease of gossip. It is almost as if the family is caught between duty and transgression, sacrifice and excess. There is little sense of courtship or poetry after 40.

    It is as if power replaces sexuality as the new aphrodisiac. Work or gossip about work becomes a substitute for sexuality. The Indian male appears like an engine that has sputtered out at 40. I think there is a silent tragedy here that needs an archaeology, a retelling where men bum out but do not realise it. It is the sputtering male unable to confront his overall impotency that becomes the custodian of morals, the inquisitor of khap panchayats, the judge who condemns all rape victims as agents of their own destruction.

    It is not the individualistic Freud we need in India, but a collective psychology of male Rorschachs enacting out the tragedy of each male as a patient, part victim-part perpetrator in a world he rarely comprehends. His patriarchy simplifies the complexity of the world he faces where the body, sensuality, technology and morals have changed, while he plays the last Victorian, a creature out of Samuel Butler’s The Way of All Flesh, a classic study of oppression and repression.

    Fundamental to the difference in attitudes between the genders is the way we construct the body. For men, the ­women’s body is a turf, a piece of territoriality. They also read it as a symbol of civilisational values and dictate conform­ity to it. There is a doubling here we must understand. Women as sisters or wives are the domain of honour, but other women have no symbolic value. The women, as other, is an object of contempt, for use. Sadly, a raped woman becomes a piece of soiled goods, someone whose pollution threatens the honour of the family. In fact, the narratives constructed around the event tend to blame the women for her humiliation. A gangraped woman is abandoned territory. A search for justice seems remote between a moral code where women are property and a code that allows licence and impunity to men. The institutional reflection is the khap panchayat, which deals more with honour and pollution than the requirements of justice. Even attempts to negate such an attitude do not pass muster.

    I was recently looking at advertisements by Farhan Aktar and John Abraham speaking of a man as he who defends woman. As messages, they are weak—the kind of utterances that one would hear in a Rotary Club meeting. Farhan and John Abraham seem more like boy scouts uttering the expected oath, enacting a piece of civic duty than actors providing power and meaning to the role. Their resolutions sound like individualistic testimonies, well-­intentioned, but they hardly breach the code of community values. In fact, that is part of the problem of reform. The ‘good male’ of reform and advertisements appears superficial and skin-deep. He does probe into the primordiality of violence at the core of rape or harassment. As a cynic observed, even a condom advertisement summons more melodrama and emotion than the anti-rape advertisements. The message has to go beyond civic duty and boy scout resolutions and touch at the core of values and emotions that we rarely discuss. About the only time I have seen a directive that made sense was in Punjab after Partition. Here the religious authority insisted that women who were raped should be taken back by their families. There was no room for negotiation. One has to reach this sense of community value and depth. Mere secular laws may not be the right alchemy for such attitudes.

    In fact, one wonders whether law by itself can bring about this change. Sanitised law, even at its legislative best, does not touch the primordiality of rape. When gangrape becomes an act to be conducted with impunity, a mere sentence for a few years lacks a moral equivalence. One needs a sense of justice, which is more epic, something with a touch of Greek theatre, where fate, nature and civics combine to create a cathartic resolution.

    The social sciences, as they stand today, are too antiseptic to provide such narratives. We need literature and language plumbing the body, creating an archaeology of emotions that touches something in the unconscious of a man, the very core of his self to bring about the change. One needs a virtual metanoia; a literal alchemy of the spirit to create that change because what we are seeking is not a repair in plumbing but a civilisational change. Greek tragedy had that sense of language and poignancy. Modern Anglo-Saxon law often sounds cosmetic in its impact on rape. The silence of literature about incest is also Kafkaesque.

    One senses little empathy for the women in that existential situation where the social in any ethical emotional sense ­abandons her. The poignancy of that isolation has to be grasped by law almost in a phenomenological sense. Only then can rape be responded to.

    I think law and reform need to forge a new creative link between the body and the body politic, where a violation of a woman’s body literally stirs a tremor in the body politic. Think of an acid attack today and the pain and humiliation a woman has to undergo. Merely publishing a picture of it as an act of media piety makes little sense. At best, one sees the male as a deviant or a pervert. In ordinary news, the acid-thrower like the bride-­burner with a love for kerosene needs to face ostracism, a sense that his act has alienated him from the body politic. To treat him as a smaller kind of arsonist or petty thief bowdlerises the problem. Society has to provide rituals of response, the eloquence of language that goes beyond the antiseptic measure of law and language letting down the demands of justice here.

    In a broader sense, I think rather than an immediate panacea, which has about the same effectiveness as books on personality development, or placebo cures, what we need are acts of storytelling, sites for conversation where the silences of Indian sexual life are subject to discussion and exorcism. However, between repression and censorship, there appears to be little chance for it. The male, the Indian male, will go down as one of the most repressed and coercive archetypes of this century.

  16. মাসুদ করিম - ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ (১০:১৯ পূর্বাহ্ণ)

    Carrie Fisher, Child of Hollywood and ‘Star Wars’ Royalty, Dies at 60

    Carrie Fisher, the actress, author and screenwriter who brought a rare combination of nerve, grit and hopefulness to her most indelible role, as Princess Leia in the “Star Wars” movie franchise, died on Tuesday morning. She was 60.

    A family spokesman, Simon Halls, said Ms. Fisher died at 8:55 a.m. She had a heart attack on a flight from London to Los Angeles on Friday and had been hospitalized in Los Angeles.

    After her “Star Wars” success, Ms. Fisher, the daughter of the pop singer Eddie Fisher and the actress Debbie Reynolds, went on to use her perch among Hollywood royalty to offer wry commentary in her books on the paradoxes and absurdities of the entertainment industry.

    “Star Wars,” released in 1977, turned her overnight into an international movie star. The film, written and directed by George Lucas, traveled around the world, breaking box-office records. It proved to be the first installment of a blockbuster series whose vivid, even preposterous characters — living “a long time ago in a galaxy far, far away,” as the opening sequence announced — became pop culture legends and the progenitors of a merchandising bonanza.
    Continue reading the main story

    Ms. Fisher established Princess Leia as a damsel who could very much deal with her own distress, whether facing down the villainy of the dreaded Darth Vader or the romantic interests of the roguish smuggler Han Solo.

    Wielding blaster pistols, piloting futuristic vehicles and, to her occasional chagrin, wearing strange hairdos and a revealing metal bikini, she reprised the role in three more films — “The Empire Strikes Back” in 1980, “Return of the Jedi” in 1983 and, 32 years later, “Star Wars: The Force Awakens,” by which time Leia had become a hard-bitten general.

    Lucasfilm said on Tuesday that Ms. Fisher had completed her work in an as-yet-untitled eighth episode of the main “Star Wars” saga, which is scheduled to be released in December 2017.

    Winning the admiration of countless fans, Ms. Fisher never played Leia as helpless. She had the toughness to escape the clutches of the monstrous gangster Jabba the Hutt and the tenderness to tell Han Solo, as he is about to be frozen in carbonite, “I love you.” (Solo, played by Harrison Ford, caddishly replies, “I know.”)

    Offscreen, Ms. Fisher was open about her diagnosis of bipolar disorder. She gave her dueling dispositions the nicknames Roy (“the wild ride of a mood,” she said) and Pam (“who stands on the shore and sobs”). She channeled her struggles with depression and substance abuse into fiercely comic works, including the semiautobiographical novel “Postcards From the Edge” and the one-woman show “Wishful Drinking,” which she turned into a memoir.

    For all the attention she received for playing Princess Leia, Ms. Fisher enjoyed poking wicked fun at the character, as well as at the fantastical “Star Wars” universe. “Who wears that much lip gloss into battle?” she asked in a recent memoir, “The Princess Diarist.”

    Having seen fame’s light and dark sides, Ms. Fisher did not take it too seriously, or consider it an enduring commodity.

    As she wrote in “The Princess Diarist”:

    “Perpetual celebrity — the kind where any mention of you will interest a significant percentage of the public until the day you die, even if that day comes decades after your last real contribution to the culture — is exceedingly rare, reserved for the likes of Muhammad Ali.”

    Carrie Frances Fisher was born on Oct. 21, 1956, in Beverly Hills, Calif. She was the first child of her highly visible parents (they later had a son, Todd), and said in “Wishful Drinking” that, while her mother was under anesthetic delivering her, her father fainted.

    “So when I arrived,” Ms. Fisher wrote, “I was virtually unattended! And I have been trying to make up for that fact ever since.”

    In 1959, Ms. Reynolds divorced Eddie Fisher in the wake of his affair with Elizabeth Taylor, whom he married that same year. (Ms. Taylor later left him to marry Richard Burton.)

    Any semblance of a normal childhood was impossible for Ms. Fisher. At 15, she played a debutante in the Broadway musical “Irene,” which starred her mother, and appeared in Ms. Reynolds’s Las Vegas nightclub act. At 17, Ms. Fisher made her first movie, “Shampoo” (1975), Hal Ashby’s satire of Nixon-era politics and the libidinous Los Angeles culture of the time, in which she played the precocious daughter of a wealthy woman (Lee Grant) having an affair with a promiscuous hairdresser (Warren Beatty).

    She was one of roughly two dozen young actresses considered for the role of Princess Leia in Mr. Lucas’s marathon casting sessions for “Star Wars.” (Cindy Williams, Amy Irving, Sissy Spacek and Jodie Foster were among those who also read for the part.)

    Many of Ms. Fisher’s line readings from that film have since become part of the cinematic canon: her repeated, almost hypnotic exhortation, “Help me, Obi-Wan Kenobi, you’re my only hope”; her wryly unimpressed reaction when Luke Skywalker (Mark Hamill) arrives in disguise to rescue her from a detention cell: “Aren’t you a little short for a stormtrooper?”

    “Star Wars” became a financial and cultural phenomenon, launching more movies and a merchandising machine that splashed Ms. Fisher’s likeness on all manner of action figures and products while casting her into an uneasy limelight.

    She partied with the Rolling Stones during the making of “The Empire Strikes Back,” hosted “Saturday Night Live” and had romantic relationships with Dan Aykroyd (with whom she appeared in “The Blues Brothers”) and Paul Simon. She and Mr. Simon had a marriage that lasted less than a year, and he was inspired to write his song “Hearts and Bones” about their time together.

    As its lyrics go:

    Two people were married
    The act was outrageous
    The bride was contagious
    She burned like a bride.
    These events may have had some effect
    On the man with the girl by his side.

    In “The Princess Diarist,” she admitted what many fans had long suspected: During the filming of the first “Star Wars” movie, she and Harrison Ford (who was married at the time) had an affair.

    Ms. Fisher acknowledged taking drugs like LSD and Percodan throughout the 1970s and ’80s and later said that she was using cocaine while making “The Empire Strikes Back.”

    In 1985, after filming a role in Woody Allen’s “Hannah and Her Sisters,” she had a nearly fatal drug overdose. She had her stomach pumped and checked herself into a 30-day rehab program in Los Angeles. Those experiences later became grist for her caustic, comic novel “Postcards From the Edge,” whose chapters are variously presented as letters, diary entries, monologues and third-person narratives.

    As the main character, Suzanne, writes of her rehab stay: “Mom brought me some peanut butter cookies and a biography of Judy Garland. She told me she thought my problem was that I was too impatient, my fuse was too short, that I was only interested in instant gratification. I said, ‘Instant gratification takes too long.’”

    The book was later made into a movie, directed by Mike Nichols from a script by Ms. Fisher. Released in 1990, it starred Meryl Streep as Suzanne and Shirley MacLaine as her movie-star mother.

    On film, Ms. Fisher also played the scene-stealing best friend of Meg Ryan’s title character in the 1989 romantic comedy “When Harry Met Sally…” On television, she played satirical versions of herself on shows like “Sex and the City” and “The Big Bang Theory.” She had a recurring role on the British comedy “Catastrophe” (seen here on Amazon) as the mother of the character played by Rob Delaney, one of the show’s creators.

    Her survivors include her mother; her brother, Todd; her daughter, Billie Lourd, from a relationship with the talent agent Bryan Lourd; and her half sisters, Joely Fisher and Tricia Leigh Fisher, the daughters of Eddie Fisher and Connie Stevens.

    Ms. Fisher had a Dorothy Parker-like presence on Twitter, where she ruminated on the inexplicable mania surrounding “Star Wars” and on her French bulldog, Gary, in playful messages filled with emoji.

    Last year, after the release of “The Force Awakens,” she wrote, in part: “Please stop debating about whether OR not [eye emoji] aged well. unfortunately it hurts all 3 of my feelings. My BODY hasn’t aged as well as I have.”

    • মাসুদ করিম - ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ (৮:৪০ অপরাহ্ণ)

      Debbie Reynolds DEAD AT 84

      Debbie Reynolds — who rose to stardom in “Singin’ in the Rain” and quickly became a staple among Hollywood royalty — died Wednesday as a result of a stroke, TMZ has learned … just one day after her daughter Carrie Fisher passed away … this according to her son Todd.

      Debbie was rushed to a hospital shortly after 1 PM when someone at the Beverly Hills home of her son, Todd, called 911 to report a possible stroke. We’re told Debbie and Todd were making funeral plans for Carrie, who died Tuesday of cardiac arrest.

      Debbie famously divorced Eddie Fisher in 1959 after his affair with Elizabeth Taylor. Debbie married 2 more times in 1960 and 1984.

      She played iconic roles in “Tammy and the Bachelor” and “The Unsinkable Molly Brown” … for which she earned an Oscar nomination.

      Carrie’s relationship with Debbie was the focus of Carrie’s semi-autobiographical book, “Postcards from the Edge,” which was later adapted for the big screen, starring Meryl Streep and Shirley MacLaine.

      Debbie’s survived by her son Todd, who tells us, “She’s with Carrie.”

      She was 84.

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.