সুপারিশকৃত লিন্ক: নভেম্বর ২০১৬

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

২১ comments

  1. মাসুদ করিম - ১ নভেম্বর ২০১৬ (১০:০৫ পূর্বাহ্ণ)

    Meet the man who first called for educating women in Saudi Arabia

    Doctor Laila al-Juhayman, daughter of late Saudi author Abd al-Karim al-Juhayman spoke to Al-Arabiya about her father’s legacy and stance on educating girls.

    The late author, born in 1910, supported educating girls in the Saudi kingdom and he once got arrested for publishing a piece that called for educating women in the daily Sawt al-Zahran, Laila said.

    According to Laila, her father, who passed away in December 2011, got in trouble for publishing the article because the authorities thought it was too soon.

    She said that her father was ambitious as he sought education as a young man in Riyadh and then in Makkah, adding that it’s from him that she learnt patience and love for knowledge.

    “I became fond of teaching and I became a teacher because it’s one of the best fields to help build the country and educate the future generations,” she said.

    On how he educated and raised his children, Laila said that he never imposed his opinions on her or her siblings but always respected their choices in life, adding that he’s always resorted to dialogue and discussions.

    Laila, who began to read for her father after he turned 90 years old, said that her late father was fond of books and reading, adding that he used to say: “People who find the joy of life without books surprise me.”

  2. মাসুদ করিম - ১ নভেম্বর ২০১৬ (৯:১৮ অপরাহ্ণ)

    Evidence Of Mythical Chandrabhaga River Found Near Konark Temple

    Scientists have found evidence of the mythical Chandrabhaga river near the UNESCO world heritage site of Konark Sun Temple in Odisha.

    A team of geologists and social scientists from IIT Kharagpur recently undertook a scientific study to investigate whether the ancient river existed close to the 13th century temple built by King Narasimhadeva.

    The scientists used various satellite images and then validated it with other field data to identify and trace the channel of the river which is believed to have gone extinct.

    “An aerial examination of the area through satellite imagery depicts the trail of a lost river which is otherwise difficult to identify in the field,” said geophysics professor William Kumar Mohanty.

    The existence of a palaeochannel at some locations is further corroborated through shallow surface geophysics using ground penetrating radar.

    A palaeochannel is a remnant of an inactive river or stream channel that has been either filled or buried by younger sediment.

    The identified palaeochannel passes north of the Konark Sun Temple, extending approximately parallel to the coast.

    It is believed that the temple was built at the mouth of Chandrabhaga, though it has not been proved if the river still existed at that time.

    This river figures prominently in ancient literature, although at present no river exists in the proximity of the Konark Sun Temple.

    Preserved palm-leaf drawings, sketches and rare old photographs also suggest the existence of water bodies proximal to the temple in the past.

  3. মাসুদ করিম - ৩ নভেম্বর ২০১৬ (৯:৫১ পূর্বাহ্ণ)

    বাংলা সাহিত্য আসর এলিয়েই রবে?‌ সময়টা কিন্তু ঝকঝকে আধুনিকতার

    কিছুদিন আগে পার্ক স্ট্রিটের অক্সফোর্ড বুক স্টোরে দু’‌দিনব্যাপী বাংলা সাহিত্যের উৎসব বসেছিল। এটা উৎসবের দ্বিতীয় বছর। আয়োজক এ পি জে সংস্থার সঙ্গে মুখ্য সহযোগী প্রকাশন সংস্থা পত্রভারতী। শঙ্খ ঘোষ উদ্বোধন করলেন। অনেক নামী–দামি সাহিত্যিক অংশ নিলেন। বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন সেলিনা হোসেন। ছিলেন শিল্প–‌সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টরা। যাঁরা নিজেরা সাহিত্য করেন, সাহিত্য নিয়ে কাজ করতে ভালবাসেন। বাংলার সেই শিল্পীদেরও পাওয়া গেল যাঁরা গল্প, উপন্যাস, কবিতার সঙ্গে ছবি এঁকে, বইয়ের প্রচ্ছদ তৈরি করে পাঠকের মন জয় করে রেখেছেন। আর ছিলেন অপেক্ষাকৃত তরুণ ও কৃতী, কম নামী ও অনামী, সু–নামী এবং বদনামী (‌একমাত্র আমি)‌ লেখকরাও। বাংলা সাহিত্য নিয়ে জটিল, কুটিল, আকর্ষণীয়, জ্ঞানগর্ভ, হালকা আলোচনার সঙ্গে ছিল সাহিত্য বিষয়ক কুইজ, বিখ্যাত চরিত্র নিয়ে সাজুগুজু, শব্দ নিয়ে খেলা, অণু–পরমাণু গল্পের প্রতিযোগিতা। হইচই ব্যাপার। এসব আসল কথা নয়, আসল কথা হল, দু’‌দিনের এই সাহিত্য আসরে এক ধরনের ‘‌কর্পোরেট মেজাজ’‌ দেখলাম। প্রথম বছরের থেকে এবার আরও বেশি। এটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। শুধু যে ঝাঁ–চকচকে চেহারা ছিল তা নয়, গোটা অনুষ্ঠানের মধ্যেই ছিল এক ধরনের পরিকল্পনা, শৃঙ্খলা, হাসিমুখ অথচ শক্ত হাতে লাগাম ধরার ব্যাপার। সব মিলিয়ে বহু ঘণ্টার ব্যাপার। সাহিত্য আসর মানেই আমরা জানি আলসেমি। এলিয়ে থাকা ভাব। হেলতে–দুলতে দেরি করে আসাটাই নিয়ম। মঞ্চে অনুষ্ঠান চলার সময় নিজেদের মধ্যে দল পাকিয়ে গুলতানি। ইচ্ছেমতো চা, সিগারেট। শ্রোতার থেকে লেখকের বেশি গুরুত্ব। তাঁকে নিয়ে ‘‌আসুন বসুন’‌ করতে হবে। তাঁর গলায় মালা, হাতে ফুল দিতে হবে। এই সাহিত্য আসরে দেখলাম অন্যরকম। লেখকদের যত গুরুত্ব, পাঠকদের গুরুত্ব তার থেকে কম কিছু নয়। অতিথি লেখক কেউ এলে তাঁকে গেট থেকে ‘‌রিসিভ’‌ করবার জন্য নির্দিষ্ট লোক রয়েছে। ব্যস এইটুকু। নাম ডাকা হলে তাঁকে নিজেই চলে যেতে হচ্ছে মঞ্চে। সেখানে তাঁর হাতে আসছে কফিভর্তি মগ। শ্রোতারাও পাচ্ছেন। চিরাচরিত ‘‌এলিয়ে পড়া’‌ টাইপ সাহিত্য উৎসব যে খারাপ এমন কথা আমি বলছি না। সাহিত্য তো আর কোট প্যান্ট, টাই বা খটখট আওয়াজ করা জুতো নয়। অনেক সময় তাকে আলস্যের মধ্যেই জারিত হতে হয়। থাকতে হয় অন্যমনস্ক। অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ডের মতো বারবার পকেট থেকে ঘড়ি বের করে দেখা তার কাজ নয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, চারপাশ বদলাচ্ছে। বদলাচ্ছে লেখকও। অতীতের মতো আজও অনেক লেখক প্যান্টের ওপর পাঞ্জাবি পরতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন। কিন্তু এসেছে ব্র্যান্ড। প্যান্ট হয়েছে লিভাইসের জিনস, পাঞ্জাবি হয়েছে ফ্যাভ ইন্ডিয়া। পকেটে স্মার্ট ফোন। অবিরত চলছে ফেসবুক, টুইট, ওয়াটসঅ্যাপ। তাতে নিজের লেখার প্রচার, অন্যের লেখার খবরাখবর। লেখকরা এখন পত্রপত্রিকায় লেখা পাঠাচ্ছেন মেল করে। শুধু লিখেই ক্ষান্ত নন, বইয়ের প্রোডাকশনে নজর দিচ্ছেন। পত্রিকায় একটা গল্প ছাপতে গিয়ে সম্পাদক অলঙ্করণ, ডিজাইন নিয়ে মাথার চুল ছিঁড়ে ফেলছেন। সব কিছু এত বদলাচ্ছে, বাংলা সাহিত্য আসরের চেহারাই বা বদলাবে না কেন?‌ অক্সফোর্ড বুক স্টোরের আসরে একদল ঝকঝকে ছেলেমেয়ে ক্যামেরা, ল্যাপটপ নিয়ে বসেছিল সর্বক্ষণ। তারা প্রতিটি মুহূর্ত আপলোড করছে। ফেসবুকে পাঠাচ্ছে। নির্দিষ্ট সাইটে লাইভ দেখাচ্ছে। এই কাণ্ড দেখে তো আমি থ‌। এসব নাচ–গানের অনুষ্ঠানে হয়। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তৃতাতেও আজকাল হচ্ছে। বাংলা ভাষার শিল্পী–লেখকদের জন্যও এই আয়োজন করা যায়!‌ দারুণ ব্যাপার!‌ সাহিত্যের আসর তাহলে স্মার্ট হচ্ছে। সব থেকে আনন্দের কথা, দু’‌দিনই আমি ঠাসা ভিড় দেখেছি। এত পাঠক!‌ এখানে শ্রোতারা শুধু লেখকদের ভাষণ শুনছিলেন এমন নয়, প্রশ্নবাণে জর্জরিতও করছিলেন। বাঙালি লেখকদের ইংরেজি গল্প–উপন্যাস ঘিরে উন্মাদনা দেখে যে সব বাংলা ভাষার লেখক ‘‌বাংলায় কেন লিখি’‌ ভেবে লজ্জা পান, আপশোস করেন, তাঁরা এই দু’‌দিন অক্সফোর্ড বুক স্টোরে এলে হয়ত খানিকটা সান্ত্বনা পেতেন। কোনও সন্দেহ নেই, এই ধরনের আয়োজন বাংলা বইয়ের পাঠক, বাংলা বইয়ের প্রকাশক, বাংলা বইয়ের লেখকদের জন্য জরুরি। টাকা–পয়সার আড়ম্বর নেই, কিন্তু মনোভাব স্মার্ট। কেউ যদি মনে করে, আমি আসলে লম্বা–চওড়া কথা বলে এই অনুষ্ঠানের পাবলিসিটি করছি, আমি বলব, বেশ করছি। বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্যের প্রচার করার জন্য আমি গর্বিত। সুযোগ পেলেই করব। তবে এই উৎসবে কিছু ত্রুটি এবং খামতি হয়েছে। কোনও কোনও গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক বাদ গেছেন, কোনও কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ গেছে। প্রকাশকদের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো নয়। লিটল ম্যাগাজিন কই?‌ যে পাঠক নিবিষ্টভাবে আলোচনা শুনে প্রশ্ন করলেন, তিনি কি হাতে একটা সার্টিফিকেট পেতে পারতেন না?‌ সেটা হয়ত তাঁকে আরও উৎসাহ দিত। আমি জানি, কী কী হয়নি সেটা আলোচনার বিষয় হতে পারে না। কী কী হয়েছে সেটাই আসল। তারপরও বললাম। বাংলা সাহিত্যের অতীতকে যথাযথ সম্মান দেখিয়ে, বর্তমানকে সামনে এনে, ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা–চিন্তায় এই সাহিত্য আসর দৃষ্টান্ত তৈরি করল। আমি আবার বলছি, সব থেকে বড় পাওনা এর কর্পোরেট–সুলভ ভঙ্গি। যে ভঙ্গি বলে, বাংলা বই যেমন মননের, তেমন অর্থকরীরও। এটা একটা শিল্প। বহু মানুষের অন্নসংস্থানের পথ। একজন লেখক থেকে একজন ভ্যানরিকশা চালকও এর ওপর নির্ভরশীল। এটা এড়িয়ে গেলে চলবে না। অবশ্যই আর–পঁাচটা শিল্পের থেকে সে আলাদা, কিন্তু বিচ্ছিন্ন নয়। ইংরেজি ভাষার বই গোটা বিশ্বে একটা বড় শিল্প। লেখার পর বইকে একটা ‘‌প্রোডাক্ট’‌ হিসেবে দেখা হয়। বইয়ের প্যাকেজিং, পাবলিসিটি, মার্কেটিং আর–পঁাচটা মূল্যবান সামগ্রীর মতো। বাংলা বইয়ের বাজার কিন্তু একেবারে খুব ছোট নয়। কিন্তু সেই বাজারে পৌঁছনো যাচ্ছে না। তাকে নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। বাংলা বই থেকে একটা বড় প্রজন্ম মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ব্যবসা ভাল নয়। ক্ষতির আশঙ্কায় প্রকাশকরা বই করতে চান না। বইয়ের বিক্রিবাটা নেই। বহু নতুন লেখক সুযোগ পাচ্ছেন না। তার অনেক কারণের একটা হল, বাংলা বই নিয়ে ‘‌এলিয়ে পড়া’‌ ধরনের ভাবনা। গোটা ভঙ্গির মধ্যে ‘‌দেরি করে আসব’‌, ‘‌গুলতানি মারব’‌, আমি লেখক, আমি পাঠক, আমি শিল্পী, আমি প্রকাশক— ব্যস এতেই তৃপ্তি, এতেই ফাঁপানো অহঙ্কার। বাংলা বইয়ের কী হল তাতে কী এসে যায়!‌‌ এই করতে করতে অনেকটা তলিয়ে যেতে বসেছে। টাকা ফেরত আসার সম্ভাবনা কম বলে বাংলা বইয়ের পেছনে বিনিয়োগ নেই। তাই ভাল বইয়েরও প্রচার নেই। যেন ধরেই নেওয়া হয়েছে, বাংলা বই মানে খুঁড়িয়ে চলতে হবে, বাংলা বই মানে হাতে গোনা কয়েকজন পড়বে, বাংলা বই মানে ধূসর, মলিন, দারিদ্র্য। ঝাঁকুনি দরকার। কোনও কোনও প্রকাশক নানাভাবে চেষ্টা করছেন। যাঁদের আর্থিকভাবে অতটা ক্ষমতা নেই তাঁরা সামর্থ্য অনুযায়ী ভাবছেন। সবাই নিশ্চয় এই ভাবনার শরিক হবেন। বাংলা বইকে খুঁজে নিতে হবে, এলিয়ে পড়া ভঙ্গি নাকি কর্পোরেট মেজাজ— কীভাবে সে চলবে?‌‌‌‌‌

  4. মাসুদ করিম - ৩ নভেম্বর ২০১৬ (১০:১৬ পূর্বাহ্ণ)

    ফাদার পল দ্যতিয়েন প্রয়াত

    প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র–অনুরাগী, বাংলা ভাষাপ্রেমী ফাদার পল দ্যতিয়েন। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। সোমবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলস শহরে তাঁর জীবনাবসান হয়। ১৯২৪ সালে বেলজিয়ামের ছোট শহর রশফর–এ তাঁর জন্ম। ১৯৪৯ সালে কলকাতায় আসা। শ্রীরামপুরে শুরু হয় তাঁর বাংলা ভাষাচর্চা। ভারতে থাকাকালীন শ্রীরামপুর, কলকাতা, বিশ্বভারতীতে শিখেছেন বাংলা। উচ্চমানের সাহিত্যও সৃষ্টি করেছেন বাংলা ভাষাতেই। ফরাসিভাষী মানুষটি একদিন হৃদয়ের টানে লিখতে শুরু করেন বাংলা ভাষায়। তাঁর সাড়া জাগানো ‘‌ডায়েরির ছেঁড়া পাতা’ প্রকাশিত হয় দেশ পত্রিকায়। ‘‌রোজনামচা’‌ অমৃত পত্রিকায়। ১৯৭২ সালে ‘‌ডায়েরির ছেঁড়া পাতা’‌ গ্রন্থের জন্য পান দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নরসিংহ দাস পুরস্কার। ২০১০ সালে পেয়েছেন রবীন্দ্র পুরস্কার। তার অনেক আগে ১৯৭৮ সালে তিনি ফিরে গিয়েছিলেন দেশে। তারপরও ছাড়তে পারেননি বাংলার টান। সুযোগ পেলেই চলে আসতেন কলকাতায়। ঘুরে বেড়াতেন বিভিন্ন জেলায়। শেষ এসেছিলেন গত বছর। সুযোগ পেলেই চলে যেতেন বাংলাদেশেও।‌‌‌

    >A few good men and the language they loved

    They came to spread the word of God. They stayed behind to do just that… and much, much more. Fr Detienne, who went back to his hometown Belgium in late January, was one of the few good men who made Kolkata an intrinsic part of their lives.

    Fr Paul Detienne came to Kolkata in 1949. He initially lived with Fr Fallone, his mentor, and later moved to Shanti Sadan near Teliapara Lane in north Kolkata. He began his literary journey from Santiniketan, where he studied the language and literature of Bengal for two years. Tagore’s works, in particular, greatly influenced him.

    Bengali readers best remember him for ‘Diaryr Chhenra Pata’ — each instalment a gem in its own right — in the literary magazine ‘Desh’, under the editorship of Sagarmoy Ghosh. He also used to pen ‘Rojnamcha’ in ‘Amader Jibon’, a magazine he edited for students and scholars and translated pieces on the life of William Carey. Among his more popular works was the translation of Antoine de Saint-Exupery’s ‘The Little Prince’ (‘Chhoto Rajkumar’) and ‘La Nuit Bengalie’ of Mircea Eliade.

    And he did all this while performing his religious duties. He travelled deep into the heart of rural Bengal, listened to tales of life and of love and started writing in an alien language, doing it better than most native Bengali speakers would ever do.

    He was selected for the 1970-’71 Narasingha Das Puraskar, which honours the best literary creation in Bengali, a lifetime achievement award. He went back to Belgium in 1977 but was invited back to receive the prestigious Robindro Puroskar by the Bangla Akademi in 2010. He found that when he wanted to begin writing again in the language he loved so much, he could not conjure up the letters. At his home in Belgium, he listened to the bard’s music for an entire day and began reading ‘Gitabitan’. That worked as his muse and the magical words flowed once again. This 89-year-old priest went back to Belgium after spending two months in the city.

    Father Detienne, Fr Fallone, Fr Antoine, Fr Bakers, Fr Engelbert, Fr Dontaine, Fr Shilling and many more were a group of Jesuits who came to this country from Belgium, France, Holland and the UK to serve the poor and the downtrodden. But somehow something changed as they lived and worked in Bengal. Their lives got entangled intrinsically with the common people of Bengal and they grew to love their culture, their language — they lived among the Bengalis and, in their own scholarly ways, contributed to the rich and varied language and literature of Bengal.

    Father Andre Dontaine was one of the first such Jesuits to come to Kolkata in the 1920s. He was one of the first to gain recognition in the field of Bengali publication. In 1939, Calcutta University gained in Fr Dontaine a lecturer in French in its post graduate department and he also helped CU formulate the syllabus.

    He was originally assigned the role of the parish priest of the Serampore church from 1947 to 1957. Like his illustrious precursor William Carey, who is also said to have begun his literary pursuits in Bengali from Serampore, Fr Dontaine published articles under the name of ‘Okejoburor Chithi (Letters of a Useless Old Man)’.

    The 1930s saw the arrival of Fr Robert Antoine and Fr Pierre Fallone — from Belgium and France respectively, who broke away from the normal Jesuit life and began to live the life of ordinary Bengali gentlemen. They rejected the cassock, the priestly attire, and made the kurta-pyjama their dress code.

    Instead of living with the Order, they stayed at a rented house in south Calcutta and later the Society of Jesus bought for them their future home, Shanti Bhavan, which was to become the hub for all their literary and philosophical pursuits and a platform for their discourses on literature, philosophy, philology and religion.

    Apart from these unique gentlemen there was Father Bakers, whom his colleagues and pupils called ‘Babu’ for his Bengali attire. He has left an indelible mark on students who had come to interact with him. There is also Fr Jean Englebert, who spends much of his time translating the liturgical texts. A man of many qualities, his love for music, for Bengali and literature knows no bounds.

    Fr Matthew Shilling took over from where Fr Robert Antoine had left. He still lives in Shanti Bhavan and is busy translating and publishing. Like James Long, the Anglo-Irish priest, who resided in Calcutta from 1840 to 1872 and published the English translation of Dinabandhu Mitra’s play Nil Darpan, and subsequently even was jailed by the British for a while, these missionary men were educators, evangelists, theologians, scholars and linguists who loved Bengal, its language, culture and its literature and will remain an integral part of the culture of Bengal.

  5. মাসুদ করিম - ৭ নভেম্বর ২০১৬ (৭:২৬ অপরাহ্ণ)

    ৭ নভেম্বর অভ্যুত্থানের পূর্বাপর

    একটি জনযুদ্ধের মাধ্যমে সৃষ্ট সেনাবাহিনীকে কেন শুরু থেকেই জনবিচ্ছিন্ন এবং অনুৎপাদনশীল করে রাখা হয়েছিল?

    স্বাধীন দেশের সেনাবাহিনীতে কেন কয়েক লাখ মুক্তিযোদ্ধার স্থান দেওয়া হল না?

    কেন ১৯৭২ সালে সেনাবাহিনী এবং আওয়ামী লীগের মধ্য থেকে বঙ্গবন্ধুর সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টায় লিপ্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তাহেরের পীড়াপীড়ি সত্ত্বেও?

    পাকিস্তান থেকে রিপ্যাট্রিয়েটেড হয়ে আসা সেনাসদস্যদের বাছবিচার করার জন্য একটি স্ক্রিনিং বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। এমন একটি বোর্ড গঠনের পরও কেমন করে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মতো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী অফিসার সেনাবাহিনীতে বহাল থাকেন?

    বঙ্গবন্ধু কেন জিয়া-খালেদ-শফিউল্লাহর মতো অফিসারদের ওপর আস্থা রাখতে পারলেও তাহেরকে আস্থায় নিয়ে পারেননি?

    সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বাধীন ছাত্র-জনতার মধ্যে তাঁর সবচয়ে আস্থাশীল এবং স্বাধীনতার প্রশ্নে আপোষহীন অংশকে কেন বঙ্গবন্ধু দূরে ঠেলে দিয়েছিলেন?

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ্বাসী এবং কনফেডারেশনের অংশ হিসেবে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টারত খন্দকার মোশতাককে বঙ্গবন্ধু কেন আস্থায় নিয়েছিলেন?

    সব দোষ জাসদের– জনগণকে এমন ধারণা দিয়ে কিছু আওয়ামী লীগ নেতা নিজেদের দুর্বলতা এবং চরম ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছেন। আমি তাদের অনুরোধ করব, একটু নিজেদের দিকে তাকান। বাংলাদেশেকে জন্ম দেওয়ার জন্য আমাদের যেমন অবদান আছে, আজকের বাংলাদেশের জন্যেও আমাদের সবারই কমবেশি দায় আছে।

    আজকের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর সিপাহি অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল কি করবে? কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে জাসদকে। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা নিয়ে একটি মধ্যবাম দল হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সব শক্তির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের পথে থেকেই কেবল জাসদ বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক দলে নিজেদের উন্নীত করতে পারে।

    বাংলাদেশ থেকে ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারকবাহক জামায়াত-বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে উচ্ছেদ করে সেই সক্ষমতায় পৌঁছানো সম্ভব। তেমন একটি অবস্থায় ৭ নভেম্বর অভ্যুত্থানের প্রকৃত ইতিহাস ও সত্য পরিপূর্ণভাবে প্রকাশিত হবে। দীর্ঘকাল অপেক্ষার ইতি ঘটবে তাহেরের অনুসারীদের, যাঁরা অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধকে সম্পূর্ণ করার যুদ্ধে এখনও লিপ্ত আছেন।

  6. মাসুদ করিম - ৯ নভেম্বর ২০১৬ (১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ)

    Marginal prosperity

    Bangladesh’s ranking deteriorated in this year’s Global Prosperity Index, prepared by the London-based Legatum Institute.

    In 2015, the country ranked 103rd among 142 countries. This year, the ranking is 114th among 149 nations.

    But a slip by 11 steps in the ranking does not depict entirely all the positives and negatives that the Legatum Institute has said in its latest Prosperity Index about Bangladesh.

    Many tend to gauze the prosperity of a country in terms of the growth rate of gross domestic product (GDP).

    But the Legatum Prosperity Index (LPI) does take into account not only GDP but also a broad set of metrics to measure prosperity. The metrics in question are business environment, governance, health, safety and security, personal freedom, social capital and natural environment.

    Had GDP been the only yardstick, Bangladesh would have climbed up the LPI ladder by quite a number of steps.

    The Index has recognised Bangladesh’s achievement in ‘Economic Quality’ sub-index, saying that the country’s most significant attainment lies in its economic growth rate. Bangladesh, according to the Index, has gone up by 20 notches since 2007 to 87th place in economic quality sub-index.

    The people of Bangladesh, according to the LPI, have the highest satisfaction with living standards in the region. Other positive sides it noted included improvements in life expectancy at birth, decline in poverty rate.

    The Index has also placed Bangladesh at the top in South Asian region in terms of safety and security. The placement might find quite a number of sceptics. But the Legatum Institute has a few points to substantiate its observation. It said, “Unlike other countries with a more turbulent past, Bangladesh has not experienced any ethnic or civil war casualties or battle field deaths over the last decades. On an individual level, 80 per cent of Bangladeshis feel safe walking home alone at night and less than 15 per cent have had property stolen in the last twelve months.”

    However, Bangladesh has seen its ranking go down by 14 places to 76th in 2016 since 2009 in the ‘Safety and Security’ sub-index because of the rise in religious extremism combined with a range of natural disasters. The Index maintains that availability of adequate food and shelter has declined significantly and political terror scale has increased in Bangladesh.

    The country’s scorecard in areas of health is also not that bad. It has been ranked 99th among 149 countries. In areas of governance and business environment the rankings were 109th and 116th. Its worst scorecard is in the area of natural environment. Vulnerability to natural disasters, poor land-man ratio and exposure of the population to pollution are among the major environmental problems that Bangladesh is facing now.

    Bangladesh, in fact, is marginally prosperous. According to LPI, the country with a prosperity score of 50.69 points has marginal 0.73 point prosperity surplus, meaning that its wealth is broadly delivering the prosperity, no matter how small it is.

    While pointing out ‘significant’ achievement in some sub-indexes, the LPI has not forgotten the fragility of Bangladesh’s laudable successes in the ‘economic quality’ sub index. The lack of diversity in its export basket, proneness to natural calamities and external financial shocks are among the few weaknesses that the LPI has referred to.

    Despite doing well in some indicators, Bangladesh’s prosperity being very marginal might prove to be short-lived unless obstacles to acquiring durable prosperity are removed and actions are put in place to do well in all the metrics used in measuring prosperity. Quality governance and positive business environment are two important factors that might help a long way to gain prosperity by a great measure.

    However, metaphorically speaking, prosperity is something more than amassing wealth. Happiness and joy are two important ingredients of prosperity. They are important both at individual and national levels. Rich states thus are not always prosperous states. With economic prosperity, it is important to ensure joy and happiness for its population in a broader sense.

  7. মাসুদ করিম - ৯ নভেম্বর ২০১৬ (১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ)

    ডাক্তার এম আর খান :একজন মানবতাবাদী কর্মবীর

    ৫ নভেম্বর ডাক্তার এম আর খানের জীবনাবসান হয়েছে। তার সঙ্গে ছিল আমার দীর্ঘদিনের পরিচয়। তিনি বিদেশ থেকে ডাক্তারি পাস করে আসার পর তার বাবা তাকে আমার আব্বার কাছে নিয়ে এসেছিলেন দেখা করাতে আমাদের রামকৃষ্ণ রোডের বাসায়। তখনই তাকে আমি প্রথম দেখি ও তার সঙ্গে পরিচয় হয়। সেটা মনে হয় ছিল ১৯৬২ সাল। পরে তার সঙ্গে আমার একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে রাজশাহীতে থাকার সময়।

    তিনি বরাবরই একজন কৃতী ছাত্র ছিলেন। ১৯৫৩ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর তিনি এডিনবরা ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাধিক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডে চাকরি করার পর তিনি দেশে ফিরে এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মেডিসিন বিভাগে যোগদান করেন। পরে ১৯৬৪ সালে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক (শিশু স্বাস্থ্য) পদে যোগ দেন। মনে হয় ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি রাজশাহীতে ছিলেন। আমি রাজশাহী ছেড়ে আসি ১৯৬৮ সালের ডিসেম্বরে, তখনও তিনি রাজশাহীতে ছিলেন।

    রাজশাহী মেডিকেল কলেজে কয়েকজন ডাক্তারের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা হয়, যার মধ্যে ডাক্তার এম আর খান ছাড়াও ছিলেন ডাক্তার এমদাদ খান এবং ডাক্তার কাদরী। বিভিন্ন সময়ে তাদের কাছে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসা নিই। আমি লক্ষ্য করেছিলাম যে, প্রত্যেক রোগীকে তিনি অতি যত্ন সহকারে দেখতেন সময় নিয়ে। তার একটি নোটবই ছিল, তাতে তিনি প্রত্যেকের ওপর নোট নিতেন। আমার বড় মেয়ে মসিহার পেটে এক-দেড় বছর বয়সেই কীভাবে টেপ ওয়ার্ম নামে এক ধরনের ওয়ার্ম দেখা যায়। সাদা রঙের টেপের মতো ছোট ছোট জিনিস নিয়মিত বের হলেও সেটা বন্ধ করা কিছুতেই যাচ্ছিল না। রাজশাহীর কোনো ডাক্তারের চিকিৎসাতেই কাজ হচ্ছিল না। ডাক্তার এম আর খানও কিছু করতে পারছিলেন না। কিন্তু তিনি এটা খুব সিরিয়াসলি নিয়েছিলেন এবং এ বিষয়ে বেশ কিছুদিন নানা জার্নালও ঘাঁটাঘাঁটি করেছিলেন। তার নোটবুকের কথা বলেছি। তিনি এ বিষয়ে তার নোটবুকে প্রয়োজনীয় বিষয় লিখে রাখতেন। এ নিয়ে তার ধৈর্য দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম। তারপর একদিন তিনি বললেন, নতুন এক চিকিৎসা করবেন নতুন ওষুধ দিয়ে। দেখা গেল, সেই ওষুধ দিতেই ম্যাজিকের মতো কাজ হলো। পরদিনই দেখা গেল, ওয়ার্ম থেকে টেপের মতো যে জিনিস বের হচ্ছিল সেগুলোসহ ওয়ার্মটির মাথাসুদ্ধ পড়ে গেল! আমার মেয়ে রোগমুক্ত হলো। এতে ডাক্তার খান খুব খুশি হয়েছিলেন। এই সামান্য বিষয়টি এখানে উল্লেখ করলাম এ কারণে যে, নিজের কাজ তিনি কত যত্নের সঙ্গে ও সিরিয়াসলি করতেন একজন চিকিৎসক হিসেবে, তার প্রমাণই আমি আমার মেয়ের চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেখেছিলাম। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, তিনি শুধু আমার মেয়ের চিকিৎসা ক্ষেত্রেই এটা করেছিলেন। মোটেই তা নয়। প্রত্যেক রোগীই তার কাছে ছিল সমান গুরুত্বপূর্ণ। কাউকে তিনি অবহেলা করতেন না। নিজের পেশাকে তিনি একটা মানবিক কাজ হিসেবেই বিবেচনা করতেন।

    রাজশাহীতে থাকার সময় শুধু চিকিৎসার প্রয়োজনে নয়, এমনিতেও মাঝে মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ হতো। তাদের সঙ্গে আমাদের একটা পারিবারিক সম্পর্কও গড়ে উঠেছিল। আমি যখন রাজশাহী থেকে চলে আসি, তখন তিনি তার বাসায় এক রাতে দাওয়াত করেছিলেন। সেই সাক্ষাতের পর তার সঙ্গে ঢাকাতে যোগাযোগ হলেও আগের মতো বেশি দেখা-সাক্ষাৎ হতো না। কিন্তু তবু দেখা-সাক্ষাৎ হলে উভয়েই আমরা খুশি হতাম।

    অন্য কথায় যাওয়ার আগে আমার পারিবারিক চিকিৎসার আর এক ঘটনা বলা দরকার। ২০০০ সালে ঢাকায় আমার ছেলে সোহেলের মেয়ে ইনশা ও ছেলে জেহান দু’জনই কী একটা ওষুধ পানিতে গুলে খেয়ে ভীষণ অসুস্থ হলো। তাদের অবস্থা দেখে আমরা খুব ভয় পেলাম। ডাক্তার খানকে ফোন করায় তিনি তাদেরকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললেন। সেখানে তার চিকিৎসাধীনে থেকে তারা কয়েকদিনের মধ্যে সেরে উঠল। তার মৃত্যুর পর এসব কথা খুব মনে পড়ছে। তিনি যে কীভাবে অসুস্থ শিশুদের ভরসাস্থল ছিলেন এটা শুধু এই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই নয়, তার সমগ্র জীবনের কাজ থেকেও ভালোভাবে বোঝা যায়।

    ডাক্তার এম আর খান শুধু ধরাবাঁধা চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন না। শিশুদের জন্য চিকিৎসা কেন্দ্রের যে কত অভাব এটা উপলব্ধি করে তিনি একাধিক শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নিজের টাকা দিয়ে গড়ে তোলেন ডাক্তার এম আর খান-আনোয়ারা ট্রাস্ট। দুস্থ মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, তাদের আর্থিক-সামাজিক উন্নয়নে এই ট্রাস্টের মাধ্যমে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন। পরে তার উদ্যোগেই গড়ে ওঠে জাতীয় শিশু স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন। এ ছাড়াও তিনি প্রতিষ্ঠা করেন শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। তার বাড়ি সাতক্ষীরায়। সেখানেও তার উদ্যোগে গঠিত হয়েছে সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতাল। তাছাড়া যশোর শিশু হাসপাতাল, সাতক্ষীরা ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্ট্রার। তার গ্রাম রসুলপুরে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এ ছাড়া তার উদ্যোগে ও প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতাল, চাইল্ড হার্ট ট্রাস্ট, নিবেদিতা নার্সিং হোম। একজনের পক্ষে এতগুলো চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকা কীভাবে সম্ভব হলো, এটা ভাবলে অবাক হতে হয়। তাছাড়া একজনের চিত্তে মানবতাবোধ কী পরিমাণে থাকলে তার পক্ষে এটা সম্ভব, এটাও এর থেকে বোঝা যায়।

    বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা যেখানে নির্মমভাবে অবহেলিত, যেখানে চিকিৎসকদের অনেকের মধ্যে অর্থ লোভের পরিচয় বিশ্রীভাবে পাওয়া যায়, ডাক্তার এম আর খান তার ধারে-কাছেও ছিলেন না। চিকিৎসাকে মানবসেবার কাজ বলা হয়। এই মানবসেবার যে নিদর্শন ডাক্তার এম আর খান এই হতভাগ্য দেশে রেখে গেছেন, তার কোনো তুলনা আর দেখি না।

  8. মাসুদ করিম - ১১ নভেম্বর ২০১৬ (১:৫০ অপরাহ্ণ)

    Leonard Cohen, legendary Montreal singer-songwriter, poet, novelist and artist, has died at age 82

    The loss of Leonard Cohen, who has died at age 82, is huge, and is going to take some getting used to. As poet, novelist and most influentially as a late-starting singer-songwriter, Montreal’s most celebrated son left an indelible mark on the past five-plus decades. An artist who was considered old by the standards of pop culture in 1967, when his debut album Songs of Leonard Cohen was released, ended up outlasting almost all of his contemporaries as a vital creative force and cultural presence.

    Born on September 21, 1934, four months before Elvis Presley, Cohen grew up in a house on Belmont Avenue in affluent Westmount, one of two children in an upper-middle-class Montreal Jewish family. His father Nathan was a clothier, his mother Masha the daughter of a rabbi. As a child Leonard sat in the third row at the local synagogue that had been built by his grandfather; for all his subsequent spiritual seeking and counterculture sympathies, this was a grounding that stayed with him. He kept the Sabbath all his life.

    For a brief period in his teens, Cohen took informal lessons in flamenco guitar from a Spanish man he met by a tennis court behind the family home in Murray Hill Park. A little later he formed a country and western hobby band, the Buckskin Boys. Both these episodes turned out to have a significance that no one could have foreseen.

    As an undergraduate studying at McGill Cohen met and struck up a deep friendship with one of his professors, the poet Irving Layton, whose importance to Cohen’s artistic development can’t be overstated; their connection continued a Montreal poets’ lineage that started with A.M. Klein’s mentorship of Layton. In 1956, a year after Cohen graduated with a B.A., his first poetry collection, Let Us Compare Mythologies, was published. Though rough as might be expected given that many of the poems were the work of a teenager, it bore the seeds of the formal rigour, intellectual and spiritual hunger, melancholic disposition and dark humour that would mark everything he went on to do.

    The natural path would have been graduate studies and a career as an academic/writer. But these were restless times. After a few months Cohen dropped out of Columbia University in New York and, armed with a Canada Council for the Arts grant, went abroad, first to England and eventually, in 1960, to the Greek island of Hydra, where he fell in with an assortment of footloose expats. A bit late to be beatniks, a bit early to be hippies, this crowd were instead true bohemians in the classic mould. It was on Hydra that Cohen met one of the loves of his life. Newly abandoned by her writer husband, Norwegian beauty Marianne Ihlen was to inspire some of Cohen’s greatest songs. They lived together in a house Cohen bought with a small inheritance, and he helped raise her young son.

    By 1966 Cohen was at a crossroads. Three further books of poetry, The Spice Box of Earth, Flowers for Hitler, Parasites of Heaven, and two novels, The Favourite Game and Beautiful Losers, had made him as big a star as you could be in the firmament of Canadian high culture, even brought him a small international following, but he still found he could barely pay the rent. A rethink was in order.

    Resolving to try music as a career, Cohen went to New York, taking a room in the Chelsea Hotel and slowly infiltrating the local folk scene. A key moment came when Judy Collins heard his song Suzanne and introduced him to legendary talent scout John Hammond, who decided, almost immediately on hearing a handful of Cohen’s songs, to sign him. In one fell swoop, having skipped the conventional dues-paying route, Cohen found himself on a venerable label with worldwide distribution. The timing was right: Bob Dylan had opened up a space for singer-songwriters who didn’t possess a conventionally “good” singing voice, and for the idea of the singer as poet, and poet as singer. Though not produced to the artist’s full satisfaction, the first album was packed with songs that were to remain staples of his repertoire for his entire career.

    At the height of the hippie era Cohen arrived in the public eye in an old-school suit, with short, well-groomed hair, and found his first sizable followings in old-world Europe and the UK. A testament to his power as a performer was caught for posterity in the DVD Live at the Isle of Wight 1970. The “British Woodstock” had been plagued with technical headaches and general unrest, with ticketless fans demanding free entry and small-scale riots breaking out around the festival grounds. The vibes, as they used to say, were very bad. Cohen took the stage late on the final night and through sheer force of personality did what Jimi Hendrix, Jethro Tull, Joan Baez and his other predecessors on the bill couldn’t: he talked 600,000 people down, and brought a looming catastrophe under control.

    1969’s Songs From a Room (with the instant standard Bird On a Wire) and 1971’s Songs of Love and Hate completed an unimpeachable opening triptych, though they shouldn’t overshadow some of the less-visited corners of the Cohen discography. There are people who will claim adamantly that 1974’s New Skin for the Old Ceremony and 1979’s Recent Songs (or its concomitant live album Field Commander Cohen) are his best works, and they aren’t necessarily wrong. Every deep catalogue also needs its crazy outlier, and Cohen has his in 1977’s Phil Spector-produced Death of a Ladies’ Man. Loose-cannon genius Spector hadn’t had anything resembling a hit in years, and showed no affinity with his client’s low-key style; Cohen would later tell stories of guns and bullets strewn around the studio. Even so, the album continues to exert a morbid pull, no less so for the knowledge that its producer is now serving a life sentence for murder.

    A nadir of sorts came for Cohen in 1984 with the indignity of being rejected by the American arm of Columbia, whose president Walter Yetnikoff deemed the album Various Positions unworthy of release, a non-contender in a market dominated by Michael Jackson, Prince, Madonna, and Bruce Springsteen. Through this low period, his former backup singer Jennifer Warnes crucially kept the flame burning with Famous Blue Raincoat, a big-selling album of Cohen reinterpretations.

    Warnes’ advocacy might partly explain the fact that I’m Your Man, with no particular commercial hook, quickly became the biggest album of Cohen’s career on its release in 1988. This was more than just a case of old fans returning to the fold, though; suddenly it seemed huge numbers of young people — the Kurt Cobain generation, essentially — were primed for a different voice and perspective, something wiser and wry. An artist who had often been lampooned for his perceived dourness — “Laughing Lenny”, “Songs for Swinging Suicidals”, etc. — was now an avatar of cool, a transformation aided by the album’s cover portrait: Cohen standing in what looked like an empty warehouse, wearing mystique-enhancing shades and a designer suit, and eating a banana.

    Cohen was still riding his unexpected revival in 1991 when he was inducted into the Canadian Music Hall of Fame at the Juno Awards, in a ceremony presented by friend Moses Znaimer. It was the type of accolade that is generally code for “It’s been a great run, now enjoy your pipe and slippers.” In his acceptance speech, though, Cohen made it clear that far from shuffling off into the sunset, he was “just warming up.” The line got a big laugh that night, but it turned out he was more correct than even he himself could have known.

    The first of the lion-in-winter albums, The Future, set the tone: songs like the profoundly pessimistic title track and Democracy — a song that takes on even more significance with the advent of Donald Trump — saw Cohen assuming a prophet-of-doom role well suited to his ever-deepening baritone. Restless as ever, starting in 1993 he spent several months a year at a Zen Buddhist monastery on Mount Baldy outside Los Angeles. Plenty of famous westerners have ‘found’ Eastern religions and systems of thought to varying degrees; among their number, Cohen was unique in devoting himself fully to a rigorous practice, rising at 2:30 in the morning, washing dishes and shovelling snow with fellow novitiates. In time he was ordained as a monk and spent countless hours with his Japanese friend and avatar Roshi.

    A twist was coming, though. While Cohen was up on the mountain seeing to his spiritual well-being, his manager Kelley Lynch had been busy emptying out her client’s accounts. A man who had always honoured women was now fleeced and betrayed by a woman in whom he had placed his trust; his shock must have been compounded by Lynch’s subsequent threatening and vindictive behaviour. In practical terms, a man who thought he had already provided for the futures of his children and grandchildren found that he was down to his last $150,000. Cohen sued Lynch and won a large settlement, but he was never able to collect the money, so there was really only one thing to do. The artist who had long declared himself an awkward performer became the unlikeliest of road warriors.

    No one would have complained if he had simply presented a greatest hits show, the standard m.o. of heritage artists doing their victory laps. Remarkably, though, the Grand Tour years coincided with a creative rebirth, with Cohen’s final trio of albums — 2012’s Old Ideas, 2014’s Popular Problems and last month’s stunning summary statement You Want it Darker — following quickly upon each other in the manner of someone who wanted to be sure to have his say. As few artists ever have, Cohen was staring down mortality and taking his listeners along in real time, with cross-generation outreach that had never been seen before. In 2014 he performed to the massed hipsters at Coachella, where he was a good sixty years older than most of his audience, and by many accounts stole the weekend. A large, well-drilled band performed the longest sets this side of Bruce Springsteen, and the star of the show was front and centre the whole time, his only concession to age being the dramatically effective device of occasionally singing while down on one knee or both.

    By happy chance, the Grand Tour years also dovetailed with the peak period in the remarkable rise of Cohen’s 1984 secular hymn Hallelujah. Ten years in the writing, the song attracted no special notice on release but grew into an organic phenomenon as first John Cale, then Jeff Buckley, then literally hundreds more covered it. It’s no disservice to Cohen’s body of work to say that millions of people know him only for this song: rather, it’s testament to one song’s rare power to mean many things to many people. In the UK over the 2008-9 Christmas season, Hallelujah was as close to omnipresent as a song can be, with Cohen’s original, Buckley’s cover, and a version by X Factor-winning singer Alexandra Burke all vying for the top spot of the charts — a kind of parallel-dimension Beatlemania, and balm for a country reeling from economic crisis. A year later k.d. lang’s version was similarly popular in Canada. An irony surely delightful to Cohen was that Hallelujah had originally appeared on Various Positions, the very album rejected by his American paymasters 25 years before.

    As his touring activities wound down Cohen spent more time at home, his main base the upper floor of a modest house in an unfashionable part of Los Angeles, his daughter Lorca and granddaughter downstairs, his son Adam — latterly also his producer, and a highly regarded musician in his own right — not far down the same street. Periods were also spent back in Montreal, in the house most entrenched in the latter-day Cohen mythos, on Parc du Portugal off Boulevard St-Laurent. While living there he was a regular sight in the neighbourhood and would frequently breakfast across the street at Bagels Etc; fellow diners, many agog at being in his presence, nonetheless allowed him his space.

    One of Cohen’s last public acts was a Facebook posting on the death of Marianne Ihlen, a raw cry of grief that brought a huge worldwide response. From that point, every lyric in his last songs was combed for signs of imminent passing. “Slow” was heard by some as a sly ode to preferred lovemaking pace, but could just as easily be a general credo from a person who struggled with depression for much of his life.

    In an interview with David Remnick for the New Yorker in October 2016, Cohen set off shock waves among his fan base by pronouncing himself “ready to die.” Days later, perhaps chastened by the response, he dialed it back, saying “I intend to live forever.” Among such mixed signals, the most telling might have been his request that Gideon Zelermyer, the cantor at the synagogue he attended as a youth, sang backing vocals on You Want it Darker, the final album’s title song. Full-circle statements don’t get much more definitive than that. Even so, there were many, accustomed to Cohen’s brooding and perhaps in denial, who were just as convinced that he would get to 107, like his friend Roshi did. He didn’t. But it’s hard to imagine a life better spent.

  9. মাসুদ করিম - ১৫ নভেম্বর ২০১৬ (১:৫০ অপরাহ্ণ)

    India’s demonetisation drive hits BD traders hard

    It is not only people of India who are reeling under the chaos following the decision to demonetise Rs 500 and Rs 1,000 currency notes. The unexpected decision has put several businessmen in Bangladesh in a precarious situation.

    Bangladeshi’s who travelled to India including traders and hundi businessmen possess a huge reserve of Rs 500 and Rs 1,000 notes, according to a report by indiatoday.com Monday.

    Most of these notes have been obtained through illegal channel. The decision has adversely affected even the registered money exchangers who are now facing a financial risk.

    Several traders of spice from Bangladesh are considering to travel to India to exchange their cash. Bangladesh’s largest commodity market in Chittagong’s Khatunganj is known to have over 100 brokers and spice traders from India’s Memon community.

    They import spices from India and supply them in local markets across the country. Their transaction with local banking channel is limited, hence they use ‘Hundi’ or specialised foreign banks for their import. Huge amount of Indian rupees are reserved for these businessmen.

    Hundi businessmen buy and sell rupees behind closed doors. Besides, the local money exchanges also keep a huge reserve of Indian rupee.

    Concerned said this type of institution will be on a major financial risk following the ban of Indian currency.

    “Some people exchange rupees by violating the regulations. These money exchanges, the institutions and businessmen who exchange money through hundi traders will face a major loss,” said Asit Kumar De Manager of Agrabad Money exchange.

    Businessmen of the kerb market are already in trouble with their previously stocked currency. While, some are exchanging the Rs 500 and Rs 1,000 rupee notes at 50 per cent of its original value.

    Meanwhile, there are huge number of businessmen from capital’s Tati Bazaar, Shakhari Bazar, Islampur Road, Kotwali Road, Moulovi Bazar, Begum Bazaar, Chowkbazar, Imamganj and Chawk Mogoltuli who have a huge amount of the Rs 500 and Rs 1,000 rupee notes.

  10. মাসুদ করিম - ১৭ নভেম্বর ২০১৬ (৩:৫১ অপরাহ্ণ)

    Smart skin patch listens to your body sounds, from heart to gut

    Let me hear your body talk. A new electronic tattoo picks up on subtle noises inside the human body, including the sound of your heart, muscles and gastrointestinal tract.

    The skin patch could be used in medical monitoring, to detect irregular heartbeats, for example. It could also act as a human-machine interface to use your voice to control a video games.

    “Our body generates a lot of different sounds,” says Howard Liu at the University of Illinois at Urbana-Champaign. “By designing sensors with a lightweight and thin construction, we are able to capture sounds or vibration signals from our skin.”

    The device consists of sensors encased in a flexible silicone shell and flanked on either side by electrodes. It sticks to the skin like a plaster or temporary tattoo and measures just 20 millimetres across. You can stick it on almost any part of the body and it will pick up sounds and vibrations from 0.5 to 550 Hertz – everything from a heartbeat to speech.

    The team thinks the patch could be useful for monitoring a broad range of medically significant sounds. In one demonstration, they asked eight people at Camp Lowell Cardiology clinic in Tucson, Arizona, to wear it on their chest. The device detected the patients’ heart murmurs and could tell what type they were, an echocardiogram confirmed.

    The researchers think the patch could keep tabs on biological implants, alerting doctors to potential medical issues or mechanical failures. As an experiment they introduced blood clots into a heart pump called a left ventricular assistive device, or LVAD. The blood clots changed the sound made by the LVAD, an anomaly the technology should be able to pick up.

    Liu says the patch could also enable people to communicate with drones or prosthetics by voice command.

    In one experiment, the team placed the device on people’s throats and set them up with a voice-controlled game of Pac-Man. The sensors listened to the vibrations of the players’ vocal cords, as they said “up”, “down”, “left” or “right” to move the Pac-Man avatar in real time (see video).

    As the patch uses vibrations, it can pick out what people are saying even if the sound of their voice is drowned out by background noise, which offers an advantage over other voice control systems.

    An algorithm learned to recognise these four basic commands, which the patch was able to capture in quiet and noisy conditions.

    “What you’re capturing is the vibration directly from your throat,” says Liu. “If you capture signals of this kind directly, you’re basically immune from all these surrounding noises.”

    “This type of signal – these low-frequency signals that one can get from muscle activities, from the heart, all of that – basically opens a new dimension of information, extra to the one that is typically recorded,” says Reza Bahmanyar at Imperial College London in the UK.

    He says the miniaturisation of electronics and the development of biocompatible materials have made such devices possible.

    “The way this collection of known technologies is used to produce something that is actually comfortable and usable by a patient – that is what I would call the added value here,” he says.

  11. মাসুদ করিম - ১৮ নভেম্বর ২০১৬ (৩:৩১ অপরাহ্ণ)

    Jamdani country’s first GI product

    Jamdani has got the registration as the Geographical Indication (GI) product, reports BSS.

    The classic Muslin craft and one of the finest textiles of the country got the GI registration as the first GI product of Bangladesh.

    Industries Minister Amir Hossain Amu, on behalf of Department of Patents, Designs and Trademarks (DPDT) under his ministry, handed over the GI registration certificate on Thursday to Bangladesh Small and Cottage Industries Corporation (BSCIC) chairman Mustaq Hassan Md Iftekhar.

    “With giving GI registration to Jamdani, the country has stepped forward to protect the rights to traditional and national products,” the industries minister told the certificate giving ceremony, held at his office in the capital city.

  12. মাসুদ করিম - ১৮ নভেম্বর ২০১৬ (৩:৪০ অপরাহ্ণ)

    শতবর্ষের সাক্ষী চট্টগ্রামের জে এম সেন হল

    লাল ইটের তৈরি টিনের ছাউনি দেওয়া এ ভবনেই সংবর্ধিত হয়েছিলেন চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঘটনায় আটক ও পরে মুক্তি পাওয়া বিপ্লবীরা। এ ভবন থেকেই শুরু হয় চট্টগ্রামের অসহযোগ আন্দোলন।

    আন্দোলনে যোগ দেয়া চা-শ্রমিকদের উপর ব্রিটিশ পুলিশ গুলি চালালে সংহতি জানানো রেল শ্রমিকরা এ ভবন ও আশপাশের এলাকাতেই তাঁবু টানিয়ে ধর্মঘট চালিয়ে গিয়েছিলেন।

    হলখ্যাত যাত্রা মোহন সেন (জে এম সেন) হল দাঁড়িয়ে আছে শতবর্ষের সীমানায়।

    যার নামে এই ভবন সেই যাত্রা মোহন সেনগুপ্তের হাত ধরেই চট্টগ্রামে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন বেগবান হয় বলে ইতিহাসবিদরা জানাচ্ছেন।

    আবদুল হক চৌধুরীর লেখা ‘বন্দর শহর চট্টগ্রাম’ এ বলা হয়েছে, আন্দোলন জোরদার করতে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের অনুকরণে ‘দি চিটাগাং অ‌্যাসোসিয়েশন’ নামের একটি সংগঠন ও ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেন কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী যাত্রা মোহন সেনগুপ্ত।

    ১৯১৪ সালে রহমতগঞ্জে নিজের টাকায় জমি কিনে তাতে ‘চট্টগ্রাম টাউন হল’ বানাতে তিনি চিটাগাং অ‌্যাসোসিয়েশনকে দান করেন তিন হাজার টাকা।

    দুই বছর পর সেখানেই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয় জানিয়ে সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন বলেন, “১৯১৬ সালের ১৯ নভেম্বর জে এম সেন হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন আমার প্রমাতামহ রায় বাহাদুর শরৎচন্দ্র দাশ।”

    নির্মাণকাজ চলার সময়ই ১৯১৯ সালের ২ ডিসেম্বর যাত্রা মোহন সেনগুপ্ত মারা যান। পরের বছর ৮ ফেব্রুয়ারি হলের উদ্বোধন করেন রায় বাহাদুর নবীনচন্দ্র দত্ত। [চট্টগ্রামের প্রথম বাঙালি সিভিল সার্জন]

    এরপর পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কংগ্রেস নেতা দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত হলটির নতুন নাম রাখেন ‘যাত্রা মোহন সেন হল’, পরে যা জে এম সেন হল নামে পরিচিতি পায়।

    প্রতিষ্ঠার পর থেকেই চট্টগ্রামে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে জে এম সেন হলের নাম।

    দৈনিক আজাদীর ৩৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ প্রকাশনা ‘হাজার বছরের চট্টগ্রাম’ এর তথ‌্য অনুযায়ী, ১৯২০ সালে কলকাতায় কংগ্রেসের যে বিশেষ অধিবেশনে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়, সেখানে চট্টগ্রামের নেতারাও ছিলেন।

    অধিবেশন থেকে ফিরেই জেএম সেন হলে সভা করে ধর্মঘটি ছাত্র-জনতা। মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর সভাপতিত্বে ওই সভা থেকেই চট্টগ্রামজুড়ে অসহযোগ আন্দোলনের রূপরেখা প্রস্তুত হয়।

    আন্দোলন বেগবান করতে হলের কাছেই স্থাপন করা হয় জাতীয়তাবাদীদের প্রতিষ্ঠান ‘স্বরাজ সংঘ’।

    অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেওয়া চা-বাগান শ্রমিকরা বাগান ছেড়ে নিজ এলাকায় ফিরতে চাইলে তাদের কাছে টিকেট বিক্রি বন্ধ করে দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

    পরে চাঁদপুর স্টিমারঘাটে ব্রিটিশ পুলিশ চা শ্রমিকদের ওপর গুলি চালালে রেল শ্রমিকরাও আন্দোলনে সংহতি জানায়। তারা আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের সদরদপ্তর চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত রেল ধর্মঘটের ডাক দেয়।

    “রেল কর্তৃপক্ষ ধর্মঘটে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের কোয়ার্টার ছাড়ার আদেশ দিলে শ্রমিকরা জে এম সেন হল এবং এর আশেপাশে তাঁবু খাটিয়ে থাকতে শুরু করেন,” বলেন অনুপম সেন।

    চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে থাকা বিপ্লবীদেরও জে এম সেন হলে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে জানান ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সাময়িকী ‘ইতিহাসের খসড়া’র সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল হক।

    তিনি বলেন, “১৯৪৬ সালে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঘটনায় আটক বিপ্লবীরা মুক্ত হলে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় এ হলে।”

    পাকিস্তান আমলের শুরুতে ভাষার প্রশ্নে এ ভবনকে ঘিরেই চলে চট্টগ্রামের আন্দোলন।

    শামসুল হক বলেন, ১৯৪৮ সালে তমদ্দুন মজলিস ভাষা আন্দোলন বেগবান করতে ‘সৈনিক’ পত্রিকা প্রকাশে তহবিল সংগ্রহের জন‌্য ভারতের বিখ্যাত যাদুকর পিসি সরকারকে এনে এ হলে তিন দিনব্যাপী জাদু প্রদর্শনী করে। পূর্ব পাকিস্তানের সেই সময়ের কবিয়াল সমিতির সম্মেলনও এ হলেই হয়।

    ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে গত দশকের শেষ দিক পর্যন্ত রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভা-সম্মেলন হয়েছে এ হলপ্রাঙ্গণে।

    অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে ১৯৭১ সালের ৯ মার্চ এ হলে সভা করে মহিলা আওয়ামী লীগ। মেহেরুন্নেছা, বেগম শরাফত উল্লাহ, নাজনীন বেগম, কামরুন্নাহার, কুন্দপ্রভা সেন ও বেগম মুছা খান অংশ নেন সেই সভায়।

    ১৯৮৪ সাল থেকে জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসব শুরু করে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ। এরপর সেখানে দুর্গা পূজা, সরস্বতী পূজা, রাস উৎসব, কঠিন চীবর দানসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান হয়ে আসছে বলে শামসুল হক জানান।

    কালের সাক্ষী এ হল প্রাঙ্গণের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এখনও পাওয়া যায় ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি। সেখানে আবক্ষমূর্তিতে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্রনায়ক মাস্টারদা সূর্য সেন, আইনজীবী-কংগ্রেস নেতা যাত্রা মোহন সেনগুপ্ত, কংগ্রেস নেতা যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নেলী সেনগুপ্তা ও রাজনীতিবিদ-সাংবাদিক মহিমচন্দ্র দাশ।

    পূর্ব-পশ্চিমে লম্বালম্বি হল ঘরের মূল প্রবেশ পথ পশ্চিমমুখী। উত্তর-দক্ষিণে তিনটি করে ছয়টি এবং পূর্ব-পশ্চিমে একটি করে দুটিসহ মোট আটটি প্রবেশপথ রয়েছে।

    পশ্চিমমুখী মূল দরজার ওপরে লেখা মিলনায়তনের নাম- ‘যাত্রা মোহন সেন হল’, পাশেই দ্বিতীয় তলায় ওঠার কাঠের সিঁড়ি।

    কাঠের খুঁটির ওপর দাঁড়ানো দ্বিতীয় তলাতেও আছে বসার ব‌্যবস্থা। হলের মোট দর্শক ধারণক্ষমতা পাঁচশ।

    নিয়মিত সংস্কার না হওয়ায় ইতিহাসের সাক্ষী এ হলের আগের জৌলুস আর নেই।

    আশপাশে গড়ে ওঠা উঁচু উঁচু ভবনের কারণে পুরনো জে এম সেন হলের ভেতরে এখন পর্যাপ্ত আলো মেলে না। দিনের বেলাতেও বাতি না জ্বালালে হলের ভেতর থাকে গাঢ় অন্ধকার।

    খুঁটি আর প্রবেশদরজাগুলোও বয়সের ভারে ন্যুজ, উঠে গেছে রং, পলেস্তরা। কাঠের সিঁড়িগুলোর অবস্থাও ভালো নয়। টিনের চালের সংস্কার হয়নি বহুদিন।

    শতবর্ষী এ হলকে আবারও ব্যবহারউপযোগী করে তোলার দাবি দীর্ঘ দিনের। কিন্তু চিটাগাং অ্যাসোসিয়েশন কিংবা অন্যান্য সরকারি সংস্থার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেই।

    চিটাগাং অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানান, জ‌্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকের মৃত্যু হওয়ায় হলটির সংস্কার ও স্মৃতি সংরক্ষণ কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে।

    অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক রণজিৎ দে বলেন, বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী ছিলেন কমিটির সভাপতি। তিনিসহ কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য মারা গেছেন। কমিটি পুনর্গঠনের জন্য শুক্রবার সভা ডাকা হয়েছে।

    সেখানে হল সংস্কারসহ অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

  13. মাসুদ করিম - ১৯ নভেম্বর ২০১৬ (৮:৩৩ অপরাহ্ণ)

    Sharon Jones, Powerful Voice of Soul With the Dap-Kings, Dies at 60

    Sharon Jones, the soul singer and powerful voice of the band the Dap-Kings, died on Friday of pancreatic cancer that had been in remission but returned last year. She was 60.

    Ms. Jones’s death was confirmed by Judy Miller Silverman, her publicist. She said Ms. Jones was surrounded by members of the Dap-Kings and other loved ones when she died.

    She continued performing throughout the summer, even while undergoing chemotherapy that she said caused neuropathy in her feet and legs and restricted her movements onstage. But Ms. Jones remained undeterred.

    “Getting out on that stage, that’s my therapy,” Ms. Jones said in a New York Times interview published in July. “You have to look at life the way it is. No one knows how long I have. But I have the strength now, and I want to continue.”

    The summer tour promoted “I’m Still Here,” a single with the Dap-Kings that detailed Ms. Jones’s birth in a brutally segregated South, a childhood in the burned-out Bronx, and a career hampered by record executives who considered her “too short, too fat, too black and too old.”

    Ms. Jones was that rare music star who found fame in middle age, when she was in her 40s.

    In addition to working as a correction officer at Rikers Island and an armed guard for Wells Fargo, Ms. Jones, who had grown up singing gospel in church choirs, initially dabbled in professional music as a session singer and the vocalist in a wedding band, Good N Plenty.

    After meeting Gabriel Roth, the producer and songwriter also known as Bosco Mann, Ms. Jones made the leap from backup singer to main attraction. Desco Records released her debut 7-inch vinyl single, “Damn It’s Hot,” in 1996. She was 40.

    With the encouragement and songwriting of Mr. Roth, who co-founded the Brooklyn soul and funk revival label Daptone Records and serves as the bandleader of the Dap-Kings, Ms. Jones’s full-length debut, “Dap Dippin’ with Sharon Jones and the Dap-Kings,” came out in 2002. She would go on to release four more studio albums and two compilations on the small label, a point of pride for the fiercely independent Ms. Jones.

    “A major label’s going to do what?” she said to Billboard last year. “I sing one or two songs, they give me a few million dollars, which they’re going to want back, and then the next thing you know, the next record don’t sell, and then they’re kicking me to the curb. With us, this is our label, this is our project.”

    Sharon Lafaye Jones was born on May 4, 1956, in Augusta, Ga., though her family lived just across the border in North Augusta, S.C. In “Miss Sharon Jones!” the singer recalled that her mother had needed a cesarean section, but because of segregation in the Jim Crow south, she was not allowed in the hospital’s main unit and was instead relegated to a storage room.

    After her parents separated, Ms. Jones, the youngest of six children, moved with her mother to New York and was raised in the Bedford-Stuyvesant neighborhood of Brooklyn. “But New York in 1960, no peace to be found,” she sang on “I’m Still Here.” “Segregation, drugs and violence was all around.”

    She went on to attend Brooklyn College and acted in “Sister Salvation,” an Off-Broadway play, before turning her focus to music.

    With her late start, Ms. Jones recorded and performed at an unrelenting pace, and in the last year and a half of her life she made two albums, opened two national tours for Hall & Oates, was featured in a television commercial for Lincoln (performing the Allman Brothers’ “Midnight Rider”) and starred in “Miss Sharon Jones!,” a documentary about her life.

    The film traced her life from the diagnosis of Stage 2 pancreatic cancer in 2013 through her triumphant return to the stage in 2015. Ms. Jones is survived by four siblings, seven nieces and three nephews.

    “Sharon is always up,” the film’s director, Barbara Kopple, said at the time of its release. “Even when she’s in the room where people are getting chemo, she’s the sunshine.”

    During her illness, Ms. Jones and the Dap-Kings earned a Grammy nomination in 2015 for best R&B album with “Give the People What They Want.” (“Why is there not a category for soul?” Ms. Jones told Billboard at the time. “That’s my goal. Put me in the right category.”)

    The singer, who also collaborated live and on tour with Lou Reed, Phish, Michael Bublé and David Byrne, publicly announced the return of her cancer in September 2015 at the film’s first showing at the Toronto International Film Festival. Doctors, she said, had found a spot on her liver. “I didn’t want people to come up and congratulate me on beating cancer when it’s back,” she said.

    That recurrence was treated with radiation. But in May, while she was on tour, cancer cells were found in her stomach, lymph nodes and lungs. Chemotherapy was required, although Ms. Jones changed the regimen to give her greater freedom of movement.

    “I need to dance onstage,” she said. “I don’t want something that makes me bedridden. I want to live my life to the fullest.”

  14. মাসুদ করিম - ২২ নভেম্বর ২০১৬ (১২:১৯ অপরাহ্ণ)

    পাট থেকে স্বাস্থ্যকর ‘জুট গ্রিন টি’

    পাট থেকে তৈরি এক ধরনের অর্গানিক পানীয় আবিষ্কার করেছেন পাট গবেষণা কেন্দ্রের (বিজেআরআই) বিজ্ঞানীরা। বহু আগে আমাদের দেশে পাট থেকে পানীয় তৈরির প্রচলন থাকলেও কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে গিয়েছিল। এর সাথে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, নতুনভাবে আবিষ্কার করা এই পানীয় বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পাবে।

    পাট থেকে বানানো এই পানীয়ের নাম দেয়া হয়েছে ‘জুট গ্রিন টি’। বিজেআরআই এর বিজ্ঞানীরা জানান, পানীয়টিতে রয়েছে আয়রন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। পালং শাকের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি ক্যালরি রয়েছে এতে।

    বিজেআরআই এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নাসিমুল গনি বলেন, “জুট গ্রিন টি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যসম্মত পানীয়।” কোষ্ঠ কাঠিন্য, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও বার্ধক্য রোধ করে এটি। তাঁর আশা, এসব ভেষজ গুণের কারণে জনপ্রিয় হবে জুট গ্রিন টি।

    চায়ের মতোই খুব সহজেই তৈরি করা যায় জুট গ্রিন টি। এক গ্লাস ফুটন্ত পানিতে পরিমাণমত গুড়ো উপকরণ মিশিয়ে মিশ্রণটি সবুজ রঙ না হওয়া পর্যন্ত নাড়াতে হবে। স্বাদ বাড়াতে মেশানো যেতে পারে চিনি।

    বিজেআরআই এর মহাপরিচালক ড. মো. কামাল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “একটা সময় ছিল যখন শুধুমাত্র পাটের আঁশের গুরুত্ব ছিল। কিন্তু সেই দিন আর নেই। এখন আমরা পাটের ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছি। উচ্চ মানসম্মত হওয়ায় পাট থেকে তৈরি ভেষজ পানীয় বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করবে।”

    তিনি আরও জানান, সরকার পাটের বহুমুখী ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়ার পর পানীয় তৈরির বিষয়টি বিজেআরআই এর কর্মকর্তাদের মাথায় আসে।

    এখানকার কর্মকর্তারা জানান, সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি জুট গ্রিন টি পান করেছেন। তিনি নিজেও এর প্রশংসা করেছেন।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সাগরময় বড়ুয়া জানান, অন্যান্য শাকসবজির মতোই পাটের পাতাতেও আয়রন, ক্যালসিয়াম, ক্যারোটিন, ফাইবার, শর্করা, আমিষ ও ভিটামিন রয়েছে।

    নতুন রেসিপিটি জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের কর্মকর্তাদের দিয়েছেন বিজেআরআই এর কর্মকর্তারা। প্রমোশন সেন্টারের পরিচালক মইনুল হক বলেন, “বিভিন্ন অর্গানিক পণ্য জনপ্রিয়তা পাওয়ায় পাট থেকে তৈরি পানীয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের আশা দ্রুত এগিয়ে যাবে এই ক্ষেত্রটি।”

    বাণিজ্যিকভাবে পাট থেকে পানীয় তৈরির ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ারসি অ্যাকুয়াটেক লিমিটেড। বিজেআরআই এর তৈরি করা রেসিপির ভিত্তিতে অর্গানিক গ্রিন টি তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ইসমাইল খান জানান, নতুন পণ্যটির বিএসটিআই ল্যাব পরীক্ষার ফলাফল ইতোমধ্যে তাঁরা পেয়েছেন। ‘মিরাকেল অর্গানিক গ্রিন টি’ নামে এর পেটেন্টের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তাঁরা।

    ইসমাইল খান আরও জানান, পরীক্ষামূলকভাবে ২০০ কেজি গ্রিন টি জার্মানি পাঠিয়েছেন তাঁরা। প্রতি কেজি গ্রিন টি সেখানে ১২ ডলার দরে বিক্রি করা হবে। তাঁর আশা খুব শিগগিরই দেশীয় বাজারে পাওয়া যাবে ‘মিরাকেল অর্গানিক গ্রিন টি’।

  15. মাসুদ করিম - ২৬ নভেম্বর ২০১৬ (১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ)

    Dhaka-Chittagong four-lane work

    A much-needed lesson RHD learning

    Finally, the Dhaka-Chittagong highway has been readied for traffic movement after its widening into a four-lane broadway. The Roads and Highways Department (RHD) has already set a target to close the Dhaka-Chittagong Four-lane Project office by December. If the department is able to do so (some bridge infrastructure construction works are still not done), it will be long 12 years to complete, the 193-kilometre highway-expansion work. After lots of ups and downs since the project was initiated in 2004, the RHD will be able to complete one of the government’s priority projects, setting an example of constructing, on average, 16 kilometres a year.

    The Dhaka-Chittagong corridor, considered economic lifeline of the country, connects the capital, Dhaka, with the country’s main port in Chittagong. The country’s major portion of billions of dollars worth of trade and business are transported through this route. Ninety per cent of the country’s manufacturing companies are situated on the Dhaka-Chittagong economic corridor, making it the busiest internal roadway.

    The necessity of expansion of the Dhaka-Chittagong corridor had been felt within 15 years after it was turned into two-lane in the 1980s. Its increasing rate of traffic volume crossed all previous assumptions. Initially it was assumed that traffic volume on the economic corridor increases at a rate of 10 per cent a year. But RHD counted nearly 30,000 daily traffic trips during its rehabilitation work on the Meghna and Meghna-Gumti bridges. In another study done by the Japan International Cooperation Agency (JICA), it is claimed that traffic volume would increase to150,000 for having its link with the proposed regional corridors. Since Bangladesh has been part of different regional and sub-regional corridors, traffic volume is assumed to be multiplying after establishment of Asian Highway, BCIM Corridor, BBIN, BIMSTEC, Bay of Bengal industrial belt.

    RHD initiated the 4-lane work in 2004, when the country first clocked six per cent economic growth with boom in garment exports and remittance inflow. Considering the importance of the Dhaka-Chittagong four-lane project, the government also declared it as one of the important projects. But this is the project where tenders were twice cancelled in 2006 and 2008, project directors were changed 12 times, year-by-year budget allocation was meagre to carry the construction work, faced non-cooperation from government’s political leaders and so on.

    Bringing allegations of experiencing unfair competition among local companies, the government amended the procurement rules in 2009 to allow foreign companies to participate in the bidding.

    Besides it faced legal battle with its supervision consultant and conflict with award-winning foreign contractor apart from facing time-to-time crisis for want of earth, soil, sand, stone, bitumen etc. to carry on the highway-construction work unhindered.

    RHD also missed the project-completion target thrice for being unable to maintain yearly progress for reasons like frequent changes of PDs, awarding 70 per cent of the works to the Chinese contractor below the engineering cost and deal with influential political, religious leaders at different points of the highway.

    Though the Dhaka-Chittagong four-lane project had most of its land acquired way back in the 1960s, the project office could not free the roadside illegal occupations from influential people. For that reason the project office had to alter the highway design several times, changing drainage plan, adding bypass road, flyovers, underpass and overpasses while carrying out the construction work. It goes without saying that the political disturbance like hartal and strike also hampered the project’s progress in-between.

    As a consequence of all this, people have experienced scaling up the project cost four times, revising the development project proposal. Finally the project office closed the book to Tk 38 billion last year from Tk 21 billion.

    In a sum-up it can be said the project work was hampered due to bureaucratic tangle, mismanagement, lack of professionalism, alleged of corruption and lack of vision even after the government declared it as one of the priority projects.

    Maybe, taking some of these issues into account, RHD has completed initial groundwork of more than 2,200 kilometres of national and regional highways and is now looking for investors to start different four-lane projects. The Asian Development Bank and Chinese companies have also come forward to finance some of the important arteries, including Joydevpur-Elenga and Dhaka-Sylhet four-lane construction works.

    Now the RHD expects completion of these four-lane works would not take a long time. It has already completed feasibility studies, detailed design and so on. Unlike the Dhaka-Chittagong four-lane work, the RHD refined the road design of 2,200-km highway as per regional standards with the technical support of the Asian Development Bank. It separates main highways from service lanes and restricts the movement of people and vehicles of one locality to go to other sides through highway. By inserting tunnels or overpasses in the design, the upcoming highways are tried to be made free from interruption by local vehicles and pedestrians. Apart from this, the RHD has also taken steps to implement a challenging project for building access-control expressway on the entire Dhaka-Chittagong corridor. As scope of turning the corridor into eight-lane one has been slim to adjust with the increasing traffic of the future, the authority has decided to construct highly expensive expressway under public-private partnership, estimating the cost at nearly US$8.0 billion.

    Still it can be said the RHD is trying to overcome some problems from its planning stage. The department is yet to complete the work of land acquisition, do resettlement plan and environmental impact assessment. There is no such effort to deal with challenges to be faced from local influential, political leaders as experienced from the Dhaka-Chittagong four-lane project. In absence of setting priority in selecting the projects from 2,200-km studied roads by RHD, chances of missing link are also likely to be experienced as it is found in the cases of many projects, including the Dhaka-Chittagong four-lane project.

    Though RHD claimed entire corridor of the Dhaka-Chittagong highway is now of four lanes, road standard from Katchpur bridge to Daudkandi toll plaza is not matched with the standards of the rest of the corridor. The RHD constructed this part of the corridor early 2000s with its old concept of road design. Road design of this part is not the same as the rest of the part. Smooth traffic movement on the economic corridor could not be ensured as construction of flyovers and overpasses taken in the middle of the Dhaka-Chittagong four-lane project work was not completed in time. Besides, improving traffic capacity of Meghna and Meghna-Gumti bridges will take two to three years more to match with the existing highway.

    What the RHD has learned from the Dhaka-Chittagong four-lane project is now a case for them to gain a better insight for implementing upcoming four-lane projects. It has to keep in mind, on the one hand, possible generation of traffic volumes from different locality in connection with the growth of agricultural or industrial sectors and on other hand, it will have to take into consideration the importance of maintaining universal standards of roads and facilities for road users to be needed after full establishment of regional, sub-regional corridors. Finally, it has to take holistic approach to planning and constructing roads and highways as well as selecting contractors. Without earning professionalism within the department, real political commitment in real sense cannot be claimed to speed up the process of implementation.

  16. মাসুদ করিম - ২৬ নভেম্বর ২০১৬ (৪:০৮ অপরাহ্ণ)

    Fidel Castro, Cuba’s revolutionary leader, dies aged 90

    The comandante overthrew Batista, established a communist state and survived countless American assassination attempts

    Fidel Castro has died at the age of 90, Cuban state television has announced, ending an era for the country and Latin America.

    The revolutionary icon, one of the world’s best-known and most controversial leaders, survived countless US assassination attempts and premature obituaries, but in the end proved mortal and died late on Friday night after suffering a long battle with illness.

    The announcement of Castro’s death on Friday was long expected, given the former president’s age and health problems, but when it came it was still a shock: the comandante – a figurehead for armed struggle across the developing world – was no more. It was news that friends and foes had long dreaded and yearned for respectively.

    Castro’s younger brother Raul, who assumed the presidency of Cuba in 2006 after Fidel suffered a near-fatal intestinal ailment, announced the revolutionary leader’s death on television.

    “The commander-in-chief of the Cuban revolution died at 10.29pm tonight.”

    He survived long enough to see Raul negotiate an opening with the outgoing US president, Barack Obama, in December 2014, when Washington and Havana announced they would move to restore diplomatic ties for the first time since they were severed in 1961.

    After outlasting nine occupants of the White House, he cautiously blessed the historic deal with his lifelong enemy in a letter published after a month-long silence.

    The thaw in relations was crowned when Obama visted the island earlier this year. Castro did not meet Obama and days later wrote a scathing column condemning the US president’s “honey-coated” words and reminding Cubans of the many Americanefforts to overthrow and weaken the Communist government.

    As in life, Castro was deeply divisive in death. The announcement of his death was greeted by thousands online with celebration and condemnation of the “cruel dictator” and his repressive regime.

    Others mourned the passing of “a fighter of US imperialism” and a “charismatic icon”.

    In Miami, home to the largest diaspora of expatriate Cubans, people took to the streets celebrating his death, singing, dancing, and waving Cuban flags.

    The Communist party and state apparatus has prepared for this moment since July 2006 when Castro underwent emergency intestinal surgery and ceded power to his brother, Raúl, who remains in charge.

    Fidel wrote occasional columns for the party paper, Granma, and made very occasional public appearances – most recently at the 2016 Communist party congress – but otherwise kept a very low profile.

    Despite the mixed reactions to his death, one thing all could agree on was that this extraordinary figure left his mark on history.

    More than half a century ago, his guerrilla army of “bearded ones” replaced Fulgencio Batista’s corrupt dictatorship with communist rule that challenged the US and turned the island into a cold-war crucible.

    He fended off a CIA-backed invasion at the Bay of Pigs in 1961 as well as many assassination attempts. His alliance with Moscow helped trigger the Cuban Missile Crisis in 1962, a 13-day showdown with the United States that brought the world the closest it has been to nuclear war.

    The US had long counted on Castro’s mortality as a “biological solution” to communism in the Caribbean but, since officially succeeding his brother in 2008, Raúl has cemented his own authority while overseeing cautious economic reforms, and agreeing the momentous deal to restore diplomatic relations between Cuba and the US in late 2014, ending more than five decades of hostility.

    By Raúl’s own admission, however, Fidel is irreplaceable. By force of charisma, intellect and political cunning the lawyer-turned-guerrilla embodied the revolution. Long before his passing, however, Cubans had started to move on, with increased migration to the US and an explosion of small private businesses.

    His greatest legacy is free healthcare and education, which have given Cuba some of the region’s best human development statistics. But he is also responsible for the central planning blunders and stifling government controls that – along with the US embargo – have strangled the economy, leaving most Cubans scrabbling for decent food and desperate for better living standards.

    The man who famously declared “history will absolve me” leaves a divided legacy. Older Cubans who remember brutal times under Batista tend to emphasise the revolution’s accomplishments. Younger Cubans are more likely to rail against gerontocracy, repression and lost opportunity. But even they refer to Castro by the more intimate name of Fidel.

    Since largely vanishing from public view he has been a spectral presence, occasionally surfacing in what became a trademark tracksuit, to urge faith in the revolution. It was a long goodbye which accustomed Cubans to his mortality.

    Exiles in Florida, the heart of the diaspora which fled communist rule, are expected to celebrate. Previous false reports of Castro’s death triggered cavalcades of cheering, flag-waving revellers.

    Latin America’s leftist leaders, in contrast, will mourn the passing of a figure who was perceived less as a communist and more as a nationalist symbol of regional pride and defiance against the gringo superpower.

    Details of Fidel Castro’s funeral and cremation will be announced on Saturday. It is expected to attract numerous foreign heads of state, intellectuals and artists.

    ফিদেল কাস্ত্রো: ঝঞ্ঝাময় বর্ণিল এক জীবন

    ‘ইতিহাস আমাকে মুক্তি দেবে’- সংগ্রামী জীবনের শুরুতে ব‌্যর্থ অভ‌্যূত্থানের পর বিচারের সম্মুখীন হয়ে বলেছিলেন ফিদেল কাস্ত্রো। তারপর ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের দোরগোড়ায় একটি কমিউনিস্ট রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে নানা ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তা টিকিয়েও রাখেন তিনি।

    স্বচ্ছল পরিবার থেকে আইনজীবী হয়ে সহজ জীবন কাটানোর পথ সরিয়ে রেখে ঝঞ্ঝামুখর এক বর্ণিল জীবন পেরিয়ে ৯০ বছর বয়সে শনিবার জীবনাবসান ঘটল ফিদেল কাস্ত্রোর।

    কিউবার স্পেনিশ বংশোদ্ভূত একটি পরিবার থেকে কীভাবে ফিদেল হয়ে উঠলেন বিশ্বের মুক্তিকামীদের নেতা?

    অগাস্ট ১৩, ১৯২৬: কিউবার পূর্বাঞ্চলীয় বিরানে স্পেনিশ বংশোদ্ভূত একটি স্বচ্ছল পরিবারে জন্ম ফিদেলের।

    জুলাই ২৬, ১৯৫৩: কিউবার সামরিক একনায়ক বাতিস্তার বিরুদ্ধে একটি ব‌্যর্থ সামরিক অভ‌্যূত্থানে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ধরা পড়েন।

    মে, ১৯৫৫: ‘ইতিহাস আমাকে মুক্তি দেবে’- বিচারে নিজের সম্পর্কে এ বক্তব‌্য দেওয়ার পর কাস্ত্রোকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। তিনি মেক্সিকো চলে যান।

    ডিসেম্বর ২, ১৯৫৬: ৮১ জন সঙ্গী নিয়ে ছোট ছোট নৌকায় কিউবায় পদার্পণ করে নাস্তানাবুদ হন। ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে বেঁচে যান ভাই রাউল কাস্ত্রো, বন্ধু আর্জেন্টাইন বিপ্লবী চে গেভারাসহ ১২ জন। তারা পরে সিয়েরা মায়াস্ত্রো পার্বত‌্যাঞ্চলে সংগঠিত হয়ে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করেন।

    জানুয়ারি ১, ১৯৫৯: বাতিস্তা ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে পালিয়ে যান।

    জানুয়ারি ৮, ১৯৫৯: কিউবাজুড়ে বিজয়যাত্রা শেষে কাস্ত্রো হাভানায় প্রবেশ করেন। সামরিক বাহিনীর সুপ্রিম কমান্ডেন্ট হিসাবে তিনি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের সূচনা করেন। কৃষি সংস্কার এবং অধিকাংশ দেশি-বিদেশি ব‌্যবসা জাতীয়করণের সূচনা করেন।

    ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৯: কিউবার প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন কাস্ত্রো।

    ৩ জানুয়ারি ১৯৬১: হাভানার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে যুক্তরাষ্ট্র।

    ১৬ এপ্রিল, ১৯৬১: কাস্ত্রো তার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ঘোষণা করেন।

    এপ্রিল ১৯, ১৯৬১: যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট নির্বাসিত কিউবানদের আক্রমণ প্রতিহতে সেনাদের নির্দেশনা দেন কাস্ত্রো।

    ফেব্রুয়ারি ৭, ১৯৬২: কিউবার উপর জাতিসংঘ পূর্ণ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

    অক্টোবর, ১৯৬২: মিসাইল সংকট। কিউবায় সোভিয়েত টর্পেডোর উপস্থিতি মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ‌্যকার অচলাবস্থা উস্কে দেয়। অনেকেই পরমাণু ‍যুদ্ধের আশংকা করে। তবে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি নৌ-অবরোধ আরোপ করলে সোভিয়েত ইউনিয়ন মিসাইল প্রত‌্যাহারের ঘোষণা দেয়।

    অক্টোবর, ১৯৬৫: কিউবান কমিউনিস্ট পার্টি গঠনের পর তিনি প্রথম সাধারণ সম্পাদক হন। বামপন্থি সরকারের প্রতি সমর্থন জানাতে কাস্ত্রো চিলি, পানামা, নিকারাগুয়া সফর করেন।

    ১৯৭৫: দক্ষিণ আফ্রিকা মদদপুষ্ট বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধে বামপন্থি সরকারকে সহযোগিতা করতে কাস্ত্রো অ‌্যাঙ্গোলায় সেনা পাঠান।

    ১৯৭৬: নবগঠিত ন‌্যাশনাল এসেম্বলির অনুমোদনে কাস্ত্রো প্রেসিডেন্ট হন। ‍

    ১৯৮০: প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার কিউবানকে দেশত‌্যাগে অনুমতি দেওয়া হয়, যাদের অধিকাংশ মেরিয়েল বন্দরের মাধ‌্যমে দেশত‌্যাগ করে।

    ১৯৯১: সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন কিউবাকে অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে।

    অগাস্ট ১৪, ১৯৯৩: মার্কিন ডলার ব‌্যবহারে নিষেধাজ্ঞা প্রত‌্যাহার করে কাস্ত্রো সরকার। এটা সীমিত পরিসরে অর্থনীতির দ্বার খুলে দেওয়ার ধারাবাহিক কর্মসূচির একটি, তবে তা বিপ্লব সুরক্ষার জন‌্য করা হচ্ছে বলে সরকার জানায়।

    অগাস্ট ৫, ১৯৯৪: বিপ্লবের পর কাস্ত্রোবিরোধী সবচেয়ে বড় বিক্ষোভে শত শত হাভানাবাসী।

    অগাস্ট-সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪: ফি বছর ২০ হাজার কিউবানকে বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ভিসা প্রদান সংক্রান্ত দ্বি-পক্ষীয় চুক্তির সুবিধা নিয়ে গ্রীষ্মকালীন সঙ্কট চলাকালে নৌপথে ৩৫ হাজারেরও বেশি কিউবান দেশত‌্যাগ করে।

    ফেব্রুয়ারি ২৪, ১৯৯৬: কিউবান মিগ ফাইটাররা যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ছোট বিমান ভূপাতিত করে, যাতে চার ক্রু নিহত হয়।

    জানুয়ারি ২১-২৫, ১৯৯৮: পোপ জন পলকে তার প্রথম সফরে স্বাগত জানান কাস্ত্রো।

    নভেম্বর ২৫, ১৯৯৯: জুন ২৮, ২০০০: যুক্তরাষ্ট্রের সীমানায় জাহাজডুবিতে মায়ের মৃত‌্যুর পর ৬ বছর বয়সী কিউবান শিশু এলিয়ানকে দেশে ফেরাতে কাস্ত্রো ব‌্যাপক প্রচার শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত ওই শিশু কিউবায় ফেরে।

    জুন ১২, ২০০২: ভিন্ন মতাবলম্বী ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ মোকাবেলায় এক মিলিয়ন কিউবানকে নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন কাস্ত্রো।

    জুন ২৬, ২০০২: ন‌্যাশনার এসেম্বলিতে সংবিধান সংশোধন করে সমাজতন্ত্রকে স্থায়ী বলে ঘোষণা করে কিউবা।

    মার্চ ১৮, ২০০৩: ভিন্ন মতাবলম্বীদের দমন শুরু করেন কাস্ত্রো। গণতন্ত্রকামী ৭৫ কর্মী এবং সাংবাদিকের কারাদণ্ড হয়, আন্তর্জাতিকভাবে যার সমালোচনা হয়।

    ২৪ অক্টোবর, ২০০৪: সান্তা ক্লারায় ভাষণ দেওয়ার সময় পড়ে বাম হাঁটু ভেঙে ফেলেন ফিদেল কাস্ত্রো।

    ৩১ জুলাই, ২০০৬: অজ্ঞাত রোগে অভ‌্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ থামাতে আকস্মিক সার্জারি চলাকালে কাস্ত্রো ভাই রাউলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

    ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮: রাষ্ট্রপ্রধানের পদে আর না ফেরার ঘোষণা দেন তিনি।

  17. মাসুদ করিম - ২৬ নভেম্বর ২০১৬ (৪:২৯ অপরাহ্ণ)

    Bangladesh to honour 1,668 martyrs of the Indian Army

    ‘Demonetisation will not affect purse for the soldiers who died during the 1971 Liberation War’

    Bangladesh will honour 1,668 members of the Indian Army, who were martyred during the Bangladesh Liberation War. Their families will receive a Rs. 5 lakh purse as a mark of respect, said Liberation War Affairs Minister A.K.M. Mozammel Huq. The Prime Minister of Bangladesh, Sheikh Hasina, will be in Delhi between 18-20 December to hand over the money, in Indian currency, to the martyrs’ family members, the Minister told The Hindu.

    ‘Not a problem’

    Demonetisation will “not be a problem” he added. “I have spoken to the Indian High Commissioner [in Dhaka]. I feel the problem of cash transactions in India will be addressed by the time our Prime Minister reaches Delhi.”

    “We will convert Bangladeshi taka into dollars (about INR 100 crore for 1,668 martyrs) and give it to our High Commission in Delhi. They will convert it to Indian currency and the PM [Sheikh Hasina] will give it to the family members of the Indian martyrs. The issue will be addressed soon and depositing the amount [in a bank] will not be a problem,” Mr. Huq said. A letter of gratitude from Ms. Hasina in Bengali, English and Hindi, and a plaque, will also be given. A book on the contribution of the martyrs will be published, too.

    “Besides, we will be raising a war memorial in the Brahmanbaria district [in Bangladesh] to pay homage to the Indian soldiers who laid down their lives for our war of liberation and independence,” said Mr. Huq, who himself took part in the armed resistance during the 1971 war and was a senior official of Bangladesh Chhatra League (formerly the East Pakistan Student League), the student’s political wing of the Awami League, at the time of the country’s independence.

    A retired Lieutenant-Colonel, Kaji Sajjad Ali Zahir, has worked closely with the Indian Army to identify the soldiers who were killed during the war. The gesture was mentioned in the joint declaration during PM Modi’s visit to Dhaka in 2015.

  18. মাসুদ করিম - ২৭ নভেম্বর ২০১৬ (৮:৪৫ অপরাহ্ণ)

    রৌদ্রময় অনুপস্থিতি : বাংলা কবিতার আলোক

    সামগ্রিক কোলাহলের ভিতরই হয়তো সৃজন সম্ভব এক নিভৃতলোক। সময় হয়তো সেই মৌলিক ধ্যানের মগ্নতায় মিশে থাকে পরম সাধনায়। নিভৃতির মৌলিক সাধনা। বাংলা কবিতার শরীরে মিশে আছে যে বিশেষ কতকগুলি সময়, পঞ্চাশের দশক সেরকমই একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবর্ণ সময়। ভাঙা দেশে, ভাঙা মানুষের যন্ত্রণা পেরিয়ে এসে, অনেক না-পাওয়ার বেদনাকে অতিক্রম করে এক বিষন্ন স্বাধীনতার জন্ম। প্রাণের ভাষাকে অনন্তজীবন দেবার জন্য অকাতরে প্রাণত্যাগ… এইসব ভাঙাগড়ার মধ্যেই স্পষ্ট চিহ্নিত হয়ে উঠেছে বাংলা কবিতার পঞ্চাশকাল।

    একটি তাৎপর্যপূর্ণ সময়ের মধ্যেই একদল কৃত্তিবাসী যখন ফুটপাথ বদল করতে করতে মধ্যরাতে শাসন করছে কলকাতা শহর, তখন, তার সমান্তরালে আরেক দল, বিশিষ্ট হয়ে উঠছেন ‘শতভিষা’ (১৯৫১) পত্রিকাকে অবলম্বন করে ভিন্নধারার কাব্য প্রয়াসে যার নেতৃত্বে ছিলেন কবি আলোক সরকার। ঐতিহাসিকভাবেই সত্য এই যে, এই দশকের প্রথম প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থটিও কবি আলোক সরকার রচিত উতল নির্জন। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সকলেই বুঝতে পারলেন বিশুদ্ধ কবিতার এক অন্য আলোক উদ্ভাসিত। যদিও, খুবই দুর্ভাগ্যজনকভাবে উল্লেখ করতে হয়, সম্মান, পুরস্কার ইত্যাদি সাহিত্যের সাধারণ মূল্যায়নগুলি তাকে নিয়ে হয়েছে অনেক ধীরে, অনেক পরে। ফলতঃ বাংলা কবিতায় অন্য আলোর উজ্জ্বল প্রভা সবার কাছে তেমন করে পৌঁছায়নি। ভাবি, এই-ই তো অনিত্য, যে, কোলাহল মুখরতায় মিশে থাকতে পারে হাজার হাজার মুখ কিন্তু ধ্যান তো একক। মগ্নতা তো সব সময়েই নিভৃতির। ‘হাজার ঝরাপাতার বুকে পায়ের চিহ্ন মর্মরিত আছে’ (আলোকিত সমন্বয়। নাম কবিতা) যিনি লিপিবদ্ধ করেন কিংবা বলেন:

    অনেক দিন ফিরে আসার পরও
    যারা পুরোনো ছবিকে নতুন নামে বলছে
    তাদের ভিতরের আঁধার
    কত গোপন হুহু করছে।

    কেউ শুনতেই পাচ্ছে না এমন গোপন।
    (আধার। সমাকৃতি ১৯৯৫)

    আবহমান বাংলা কবিতার চেনা সুর তাঁর হাতে বড্ড অচেনা হয়ে বাজে। বাজিয়েছেন সুদীর্ঘ পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে। রৌদ্রময় অনুপস্থিতি, আশ্রয়ের বহির্গৃহ, অমূলসম্ভব রাত্রি, চিত্রার্পিত, স্তব্ধতার চলাফেলা, পবিত্র মানুষদের জন্য -এরকম উল্লেখযোগ্য ৩০টি কাব্যগ্রন্থ। প্রবহমান সাহিত্য, জীবনানন্দসহ বেশ কিছু অনন্য প্রবন্ধ গ্রন্থ। কয়েক খন্ডে প্রকাশিত কবিতাসমগ্র, গদ্যসমগ্র, কাব্যনাট্য সমগ্র, ছোটোগল্প, উপন্যাস জুড়ে বাঙালির পাঠপ্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় বুনেছেন স্বাতন্ত্র্যের বীজ। নিমগ্ন অমোঘ সব উচ্চারণ ধ্বনিত হয়েছে। তাঁর কবিতার সঙ্গে ‘বিশুদ্ধ’ শব্দটি মূল্যবান মানে সংযোজিত হয়। কালিদাসের কুমারসম্ভব কাব্যের অনুবাদেও আমরা সেই উচ্চারণই খুঁজে পাই। তাঁর অসাধারণ আত্মজীবনী জ্বালানী কাঠ, জ্বলো যেন প্রকৃতিরই অংশবিশেষ! সমগ্র রচনাক্ষেত্রেই লক্ষ্য করি এক বিশুদ্ধ আলোক। তাঁর উপস্থিতিতে বাংলাভাষাই হয়ে উঠেছে পবিত্র, আলোকউজ্জ্বল।

    শোনো জবাফুল
    তোমার মাটি সরস আছে তো
    তোমার গায়ে
    রোদ্দুরের কাপড় আছে তো
    তোমার জন্য আমাদের খুব
    ভাবনা হয়।

    কত অনায়াস মায়া সঞ্চারিত হয় তাঁর পংক্তিমালায়। শোনো জবাফুল কবিতাগ্রন্থটির জন্য ২০১৫তে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন কবি। তার আগে শ্রেষ্ঠ কবিতার জন্য ২০০৬-এ রবীন্দ্রপুরস্কার।
    তাঁর নৈঃশব্দের অন্তস্রোত কবিতার বই থেকে একটি কবিতা সম্পূর্ণরূপে উদ্ধৃত করতে ইচ্ছে হয়:

    হাওয়াকে বলি

    তুমি তো একমুহূর্ত থাকো না
    তোমার আবার ভালোবাসা

    যারা থাকতে জানে না
    তারা ভালোবাসতেও জানে না।
    থাকতে কি আর চাই না?
    সবাইকে বলি
    আমাকে নাও, কেউ নেয় না।

    তাদের খোঁজেই সারাদিন ছোটাছুটি
    ফুলের পাড়ায়
    জলের ওপরে।

    যারা হারিয়ে যায়
    তাদের কথা কেউ ভাবে না।

    গাছ ফুলের কথা ভাবে না
    নদী জলের কথা ভাবে না।

    আমি সবার কথা ভাবি।
    যে ধুলোগুলো উড়ে গেছে
    তাদের কথা ভাবি
    যে ছায়াগুলো মুছে গেছে
    তাদের কথাও ভাবি।

    যারা ভালোবাসা জানে
    তারাই মনে রাখা জানে।

    কবির জন্ম ১৯৩৩-এ পশ্চিমবঙ্গেই। যদিও তার পূর্বপুরুষেরা বাংলাদেশের ফরিদপুরের। ১১ বছর বয়সে দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ১৯৪২-এ মাত্র একবারই তিনি এসেছিলেন এ দেশে। যদিও এদেশের প্রতি ভালোবাসা ছিল আমৃত্যুকাল। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত ১৮ নভেম্বর রাত্রি ৯ টায় কবি যাত্রা করলেন আরেক নিভৃতলোকে। কলকাতার হালতুর নন্দীবাগানের বাসায় রেখে গেলেন স্ত্রী ও পুত্রকে। রেখে গেলেন তাঁর অসংখ্য উজ্জ্বল সৃষ্টি। বাংলা কবিতার নিজস্ব অহংকার।

  19. মাসুদ করিম - ২৮ নভেম্বর ২০১৬ (৩:২৬ অপরাহ্ণ)

    The ancient fort city in the North
    Archaeologists unearthed 9 new structures in recent years

    No book offers any chronological history of the ancient fortified city of Bhitargarh. But ruins of this 1500-year-old city are so loud and clear that the city’s outlines are visible from space. Try Google Earth, hover over Panchagarh where this city was located and see it for yourself.

    As archaeologists have unearthed nine new structures in recent years, Bhitargarh is emerging as the biggest fortified city in South Asia.

    Located about 16km north of Panchagarh, Bhitargarh is protected by four quadrangle walls made of earth and bricks — each maintaining a considerable distance from another. Its outer walls accompanied by moats surround a 25-square kilometre area. These walls protected the city from flood as well as notorious thugs’ invasion.

    The civilisation was technologically so advanced that they had made stone dams and diverted the Shalmara river-course inside the fortified city to retain water for households and agricultural use during the dry season. Sadly, except for a few remaining stones, the large dam does not exist now.

    “The nine monuments date back to the early medieval period, eight of them are temples and the rest is a residential complex,” says Shahnaj Husne Jahan, professor and director of Centre for Archaeological Studies of University of Liberal Arts Bangladesh (ULAB). Shahnaj has been working there with her students since 2008.

    She also suggests that Bhitargarh was an independent city state governed by a sovereign administration between the 6th and 13th centuries.

    Understanding the history of Bhitargarh is difficult because it has no inscription or written records. Archaeologists must depend on the ruins and myths that are still alive among the locals.

    The city builders used bricks with mud to build the first, second and some strategic points of the third quadrangle walls, as those were built before the introduction of lime and surki (brick dust) for constructions. The fourth one was built with mud only.

    The city’s monuments were built before people learnt to use lime and surki to build structures. Its long walls and temple bricks were stuck with mud. There is no use of medieval arches and domes. Instead, its architects used columns, lintels and beams to support the tiled roof. Archaeologists have found broken pieces of tiled roof there.

    The site has 10 water reservoirs, including the notorious Maharajar Dighi. According to local myth, a king of this city named Prithu Raja along with his guards committed suicide in this water body when they were cornered by “unholy” Kichok tribe that had attacked the city.

    According to Prof Shahnaj, a reference to the Kichok tribe can be found in Mahabharata, which illustrates how Pandava brothers fought against the Kichok tribes. “May be they were the descendants of the Kirata who lived in the mountain country between Nepal and Bhutan. Now the Indian state known as Cooch Behar is actually the place where the Kichoks established their kingdom in the middle age.”

    In the fortified city, archaeologists also found many items of daily use such as pottery, earthen lamps, terracotta beads, and copper and iron objects.

    The city had a significant role in trade, as its strategic location in the ancient overland and river routes connected it to Tibet, Sikkim, Nepal, Bhutan, Assam, Cooch Behar and lower valleys of the Ganges.

    LEGENDS OF PRITHU RAJA

    If you visit this place, you will get to hear local folklores about the ruined city as the capital of a kingdom headed by Prithu. Most of the heaps of earth that survive the ravages of time are named after him — Maharajar Bhita, Maharajar Kacharighar and Maharajar Dighi.

    According to Prof Shahnaj, the genealogy of kings of Cooch Behar included one “Maharaja Prithu”. She connects that history with local stories and believes that Prithu was the last king of this grand fortified city around 13th century.

    According to local myths, Prithu Raja would rather let his kingdom go to ruins than see it surrendered to a savage tribe called Kichoks. Prithu was respected and deified by his subjects, and he could not stand seeing his “purity sullied” by such savages. So the king decided to end his life by throwing himself into a water reservoir named Maharajar Dighi, followed by his guards, thus leaving his kingdom to despair and plunder.

    NO PRESERVATION

    Professor Shahnaj expressed despair at the state of Bhitargarh, saying that lack of preservation efforts could result in the settlement being lost forever.

    Despite a High Court stay order prohibiting all sorts of construction around the site, inhabitants of Bhitargarh continue to extend cultivation and habitation by demolishing the walls and monuments in the area.

    “Bhitargarh is on the verge of collapse, as locals are building structures within the site, violating the High Court’s order imposing a suspension on all kinds of constructional work in the area,” explained Shahnaj.

    Commenting on the ongoing devastation of archaeological sites, Altaf Hossain, director general of Department of Archaeology, admitted that they have limitations, and also said they have very little to do to stop this destruction.

    “But we have formed a committee which includes members of the district administration, cultural ministry and land administration. We are trying to acquire land with the help of the Ministry of Land. Now we are working to make people conscious about the heritage site,” he said.

    However, there are over 700 acres of government-owned land, but the department has apparently done nothing to acquire them to preserve the site. The recent excavation and subsequent preservation efforts of a ghat at Maharajar Dighi bear the signs of sheer negligence.

    Part of it has been cut off allegedly by former lawmaker Mazharul Haque Prodhan to build a staircase. Now, after the said preservation began, roots of a huge tree still remain in the ghat wall. That might collapse along with the ancient wall. “We asked the district administration to cut it, and I am hopeful that they will do so soon,” Altaf said.

    Instead of sitting idle like the rest of us, Dr Shahnaj and her team are actually working towards protecting a significant part of our history. All we need to do is support them in their endeavour, so that their efforts will not go in vain.

  20. মাসুদ করিম - ২৯ নভেম্বর ২০১৬ (২:৩৬ অপরাহ্ণ)

    In India, Black Money Makes for Bad Policy

    On Nov. 8, the Indian government announced an immediate ban on two major bills that account for the vast majority of all currency in circulation. Indians would have until the end of the year to change those notes for other bills, including newly minted ones.

    On Wednesday, the government released via a smartphone app called “Narendra Modi,” named after the prime minister, the results of a survey purporting to show 90 percent support for its so-called demonetization policy.

    The poll was rightly criticized. In the two weeks after the measure was announced, millions of Indians stricken with small panic rushed out to banks; A.T.M.s and tellers soon ran dry. Some 98 percent of all transactions in India, measured by volume, are conducted in cash.

    Demonetization was ostensibly implemented to combat corruption, terrorism financing and inflation. But it was poorly designed, with scant attention paid to the laws of the market, and it is likely to fail. So far its effects have been disastrous for the middle- and lower-middle classes, as well as the poor. And the worst may be yet to come.

    India has a large amount of what is known as “black money,” meaning cash or any other form of wealth that has evaded taxation. According to a 2010 World Bank estimate, the most reliable available, the shadow economy in India makes up one-fifth of the country’s G.D.P. (A 2013 study by McKinsey, the consulting firm, puts the figure at more than one-quarter.)

    Black money tends to exacerbate inequality because the biggest evasions occur at the top of the income spectrum. It also deprives the government of money to spend on infrastructure and public services like health care and education. According to the World Bank’s most recent estimate, from 2012, India’s tax-to-G.D.P. ratio is about 11 percent, compared with about 14 percent for Brazil, about 26 percent for South Africa and about 35 percent for Denmark.

    The government’s wish to tackle these problems is laudable, but demonetization is a ham-fisted move that will put only a temporary dent in corruption, if even that, and is likely to rock the entire economy.

    Many Indians have been scrambling to change their old notes, causing snaking queues in front of banks and desperation among the poor, many of whom have no bank account and live from cash earnings.

    Anyone seeking to convert more than 250,000 rupees (about $3,650) must explain why they hold so much cash, or failing that, must pay a penalty. The requirement has already spawned a new black market to service people wishing to offload: Large amounts of illicit cash are broken into smaller blocks and deposited by teams of illegal couriers.

    Demonetization is mostly hurting people who aren’t its intended targets. Because sellers of certain durables, such as jewelry and property, often insist on cash payments, many individuals who have no illegal money build up cash reserves over time. Relatively poor women stash away cash beyond their husbands’ reach, as savings for the children or the household.

    Small hoarders often fear being questioned about the source of their money — they are accustomed to being harassed by tax collectors, among others — and may choose instead to forgo some of their savings.

    People have also been skimping in response to the new policy, causing demand for certain basic goods to fall, which has hurt farmers and small producers and could eventually lead them to scale back on their activities.

    And even more pain is around the corner. With so much money in circulation suddenly ceasing to be legal tender, India’s economic growth is bound to nose-dive. Another risk is that the Indian rupee could depreciate as a result of people and investors moving to more robust currencies.

    The government’s demonetization dragnet will no doubt catch some illicit cash. Some people will turn in their black money and pay a penalty; others will destroy part of their illegal stashes in order not to draw attention to their businesses. But the overall benefits will be small and fleeting.

    One reason is that the bulk of black money in India isn’t money at all: It’s held in gold and silver, real estate and overseas bank accounts. Another is that even if demonetization can flush out the black money that is held in cash, with no improvement in catching and punishing tax evaders, people with ill-gotten gains will simply start saving in the new bills currently being issued.

    When the government announced demonetization, it also justified the measure as a way to curb terrorism financing that relies on counterfeit rupee notes, as well as to dampen inflation.

    Both these justifications are flawed. Catching fake notes already in circulation neither helps trap the terrorists who minted them nor prevents more such money from being injected into the economy. It simply inconveniences the people who use it as legal tender, the vast majority of whom had no hand in its creation.

    There also is no evidence that black money actually is more inflationary than white money; nor in theory should it be. Black money is just money held by people instead of the government. It’s an excessive money supply that tends to create inflation; whether that money is white or black makes little difference.

    Demonetization may have been well-intentioned, but it was a major mistake. The government should reverse it. It could at least declare that 500 rupee notes, which many poorer people frequently use, are legal again.

    And if the government really does want to limit the amount of black money in circulation, it would do better to move India toward becoming a more cashless society. About 53 percent of adult Indians have a bank account, but many signed up at the government’s initiative and so quite a few of the accounts are dormant. On the other hand, more than one billion people in India have a cellphone, and this could be tapped to encourage more active banking, in the form of mobile banking.

    India’s push to issue a unique I.D. number to all Indians based on their biometric information is a major step in the right direction. More than one billion people have already been registered, according to the government, potentially enabling them to use an app to collect pensions, for example.

    Tackling corruption also goes beyond currency, cash or even banking. It requires changing institutions and mind-sets, and carefully crafting policies that acknowledge the complexity of economic and social life. The government could start by increasing penalties for tax evasion and amending India’s outdated anti-graft laws.

    In a country like India, where the illegal economy is so intimately intertwined with the mainstream economy, one inept government intervention against shadow activities can do a lot of harm to the vast majority, who are just trying to make a legitimate living.

  21. মাসুদ করিম - ৩০ নভেম্বর ২০১৬ (৬:৪৮ অপরাহ্ণ)

    Mangal Shobhajatra on Pahela Baishakh

    Inscribed in 2016 (11.COM) on the Representative List of the Intangible Cultural Heritage of Humanity

    Mangal Shobhajatra is a festival organized by students and teachers of Dhaka University’s Faculty of Fine Art in Bangladesh open to the public to celebrate Pahela Baishakh (New Year’s Day). Taking place on April 14, the tradition of Mangal Shobhajatra began in 1989 when students, frustrated with having to live under military rule, wanted to bring people in the community hope for a better future. Members of the university faculty work together a month before the festival to create masks (said to drive away evil forces and allow for progress) and floats. Among works made for the festival at least one will represent evil, another courage and strength and a third, peace. Items to sell on the day are also produced as a source of funding, such as paintings on Bangladesh folk heritage. The Mangal Shobhajatra festival symbolizes the pride the people of Bangladesh have in their folk heritage, as well as their strength and courage to fight against sinister forces, and their vindication of truth and justice. It also represents solidarity and a shared value for democracy, uniting people irrespective of caste, creed, religion, gender or age. Knowledge and skills are transmitted by students and teachers within the community.

    ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ‌্যের তালিকায় মঙ্গল শোভাযাত্রা

    বাংলাদেশে বাংলা বর্ষবরণের অন‌্যতম অনুসঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ‌্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।

    বুধবার ইউনেস্কোর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ‌্য জানানো হয়।

    এতে বলা হয়, ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ‌্য রক্ষায় আন্তঃদেশীয় কমিটির একাদশ বৈঠকে ‘রিপ্রেজেন্টেটিভ লিস্ট অফ ইনট‌্যানজিয়েবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউমিনিটি’র তালিকায় বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

    গত শতকের ৮০ এর দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ‌্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ‌্যোগে পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন শুরু হয়।

    তারপর থেকে প্রতিবছরই বর্ষবরণে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এতে উৎসাহিত হয়ে ঢাকার বাইরেও একই ধরনের শোভাযাত্রা বের হচ্ছে পহেলা বৈশাখে।

    চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু উৎসবের অনুসঙ্গই নয়, এর মধ‌্য দিয়ে বাঙালি সংস্কৃতিকে মেলে ধরার পাশাপাশি সমাজে অবক্ষয় থেকে মুক্তি, পেছনের দিকে হাঁটা প্রতিরোধের আহ্বানও জানানো হয়।

    বাংলাদেশের চার দশকের এই অনুষ্ঠান ইউনেস্কোর তালিকায় উঠে এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.