সুপারিশকৃত লিন্ক: অক্টোবর ২০১৬

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

২৬ comments

  1. মাসুদ করিম - ২ অক্টোবর ২০১৬ (৯:০২ পূর্বাহ্ণ)

    Ministers approve EU ratification of Paris Agreement

    In a historic move, EU ministers today approved the ratification of the Paris Agreement by the European Union. The decision was reached at an extraordinary meeting of the Environment Council in Brussels. This decision brings the Paris Agreement very close to entering into force.

    Once approved by the European Parliament next week, the EU will be able to deposit its ratification instrument before national ratification processes are completed in each Member State.

    European Commission President Jean-Claude Juncker said: “Today’s decision shows that the European Union delivers on promises made. It demonstrates that the Member States can find common ground when it is clear that acting together, as part of the European Union, their impact is bigger than the mere sum of its parts. I am happy to see that today the Member States decided to make history together and bring closer the entry into force of the first ever universally binding climate change agreement. We must and we can hand over to future generations a world that is more stable, a healthier planet, fairer societies and more prosperous economies. This is not a dream. This is a reality and it is within our reach. Today we are closer to it.”

    EU Commissioner for Climate Action and Energy Miguel Arias Cañete said: “They said Europe is too complicated to agree quickly. They said we had too many hoops to jump through. They said we were all talk. Today’s decision shows what Europe is all about: unity and solidarity as Member States take a European approach, just as we did in Paris. We are reaching a critical period for decisive climate action. And when the going gets tough, Europe gets going.”

    So far, 61 countries, accounting for almost 48% of global emissions have ratified the deal. The Agreement will enter into force 30 days after at least 55 countries, representing at least 55% of global emissions have ratified.

    The EU, which played a decisive role in the adoption of the Paris Agreement last December, is a global leader on climate action. The European Commission has already brought forward the main legislative proposals to deliver on the EU’s commitment to reduce emissions in the European Union by at least 40% by 2030.

    Next steps

    Today’s approval will be forwarded to the European Parliament for its formal consent next week. Once Parliament has consented, the Council can formally adopt the Decision.

  2. মাসুদ করিম - ৩ অক্টোবর ২০১৬ (১০:১২ অপরাহ্ণ)

    সবচেয়ে যত্নে যাকে পড়তাম সেই প্রদ্যুম্ন ভট্টাচার্য আর নেই।

    প্রদ্যুম্ন ভট্টাচার্য: কয়েকটি টীকা ও টিপ্পনী

    কোনো ন্যাশনাল ডেইলিতে এমন খবর ছাপা হয়নি: PRADYUMNA BHATTACHARYA IS NO MORE। কোনো বাংলা কাগজের পক্ষেও জ্ঞান-সীমান্তের এতটা দূরবর্তী অঞ্চলে পৌঁছনো প্রায় অসম্ভব।
    ওই যে শুয়ে আছেন সকালবেলা, সিমেন্টের মেঝের উপর অতিসাধারণ শয্যায়, শিয়রে মাটির প্রদীপ, মুখের চারদিকে মশা উড়লেও বন্ধ চোখে গভীর প্রশান্তি, গুটিকয়েক মানুষের শোকচ্ছায়ায় এক মহিলা মৃদুকণ্ঠে একমনে গেয়ে চলেছেন রবীন্দ্রনাথের গান, ওই মানুষটি জীবিত অবস্থায় ছিলেন একান্তভাবেই নির্জনতাবাসী। বলা ভালো, নিজের জন্যে একটা গুহাই বানিয়েছিলেন আদিম কালের গ্রানাইট পাথর দিয়ে। ‘আদিম’ শব্দটি ব্যবহারের বিশেষ উদ্দেশ্য এই যে, তাঁর চর্চার বিষয়ে তিনি সব সময় পৌঁছতে চাইতেন উৎসে, আকরে। নতুন চিন্তায় পৌঁছতে এটাই ছিল তাঁর পথ।
    প্রদ্যুম্ন ভট্টাচার্য (জন্ম ২০ নভেম্বর ১৯৩২, মৃত্যু ২ অক্টোবর ২০১৬)। বাবা স্বনামধন্য নদী-বিশেষজ্ঞ কপিল ভট্টাচার্য ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্য বাস্তুকার। মা আলোকময়ীকে জীবনের দীর্ঘ সময় কাটাতে হয়েছে রাঁচির পাগলা গারদে।
    বিপর্যস্ত জীবন। মাত্র চারটি গ্রন্থের এই জনককে নিয়ে তবু অনুরাগীমহলে আগ্রহের আর শ্রদ্ধার সীমা ছিল না। বেশ কয়েকটি গল্প ঘুরেছে তাঁর অতলস্পর্শী অনুসন্ধিৎসা নিয়ে, কোনো রচনার আগে নিজের প্রস্তুতি নিয়ে। সেগুলোর সত্যতা কতটা, জানি না। দরকারও নেই জানার। তবে সে-সব গল্পের গিঁট খুললে যে-সুগন্ধটুকু বেরিয়ে আসে তাতে এটুকু বোঝা যায়, তিনি ছিলেন বাংলাভাষায় জ্ঞানচর্চার এক বিরল মানুষ।

    বিচ্যুতি কি হয় না মানুষের? অতিমানুষেরও? হতে পারে। তবে ছোটোখাট বিষয়েও তিনি থাকতে চাইতেন সতর্ক। নির্ভুল।
    একটা ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ টানলে বাহুল্য হবে না হয়তো। সেটা ১৯৯৫/৯৬ সালের কথা। শঙ্খ ঘোষের বাড়িতে এক রোববার এসেছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু প্রদ্যুম্নবাবু। আলাপের পর পাঞ্জাবির পকেট থেকে ছোট্ট নোটবুক বের করে ঠিকানা জানতে চাইলেন আমার। এতজন থাকতে আমার? ঘরে ততক্ষণে ফিসফিস শুরু হয়েছে যে, একরাম তাহলে জাতে উঠলেন! কৌতূহলবশত আমি ঝুঁকে দেখছিলাম তাঁর হাতের লেখা। মূর্খেরা যা করে, একসময় মুখফসকে বলে ফেলি, সংখ্যা আপনি ইংরেজিতে লেখেন?
    তাঁর সবিস্ময় উত্তর, ‘না তো! অ্যারাবিক নিউমেরাল।’ বলেই সামনের উপবিষ্টজনের উদ্দেশে বলেন, ‘শঙ্খ, অক্সফোর্ড ডিকশনারিটা কোথায়?’
    শঙ্খবাবু তৎক্ষণাৎ উঠে নির্দিষ্ট সংস্করণটি নিয়ে এলে তিনি বের করেন সেই পাতা, যেখানে এন্ট্রি রয়েছে ‘ওয়ান’-এর। দেখান, পরিষ্কার তাঁর কথাই লেখা রয়েছে।
    এই হচ্ছেন প্রদ্যুম্ন ভট্টাচার্য, যিনি সর্বদা পারফেকশনিশট। একবার মোল্লা নাসিরুদ্দিনকে নিয়ে কয়েকটি গল্প লিখেছিলেন প্রদ্যুম্নদা। তাঁর নাসিরুদ্দিন ছিলেন সমকালীন বিশ্বের এক প্রতিবাদী মানুষ। ভাঁড় চরিত্রটির আড়াল থেকে তীক্ষ্ণ মন্তব্যে যিনি বিদ্ধ করেন ক্ষমতার কেন্দ্রগুলোকে। ‘তেরছা নজরে: মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্প’ নামে একটি বইও আছে। ভুমিকাটিতে লিখছেন, ‘মোল্লার সমস্ত গল্পে জেগে আছে একটি চোখ। যে-চোখ প্রতিস্পর্ধী। কীসের? এককথায় বলতে পারি: ক্ষমতাতন্ত্রের। এ তো আমাদের রোজকার অভিজ্ঞতা যে, কী বাইরে কী ঘরে, একটি চোখ আমাদের ওপর নজর রাখছে, প্রতিমুহূর্তে। কখনো সে-চোখ পুরুষের; কখনো পরিবারের; কখনো সমাজের; কখনো রাষ্ট্রের; কখনো পুঁজির। চোখ হচ্ছে হরেক কিসিমের ক্ষমতার একাধারে প্রতীক আর যন্ত্র।’
    বইটি পড়ে এক উৎসাহী পৌঁছে যায় তাঁর বাড়িতে। সে মোল্লার ওপর কাজ করতে চায়। শুনে প্রদ্যুম্নদার উত্তর ছিল, ফারসি আর আরবি জানা আছে কিনা।
    নেই।
    তাহলে তো হবে না।
    উৎসাহীটি হতাশ হয়ে ফিরে আসে।
    প্রসঙ্গত, প্রাচ্যের কোনো বিষয় নিয়ে ইওরোপ-আমেরিকার কারো লেখা সামনে এলে তাঁর প্রথম কাজ ছিল সন্দেহ করা। এমনকী, নিজের জ্ঞানকেও তিনি সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখেননি কোনোদিন।


    মেধার আর বৈদগ্ধের গুণে ছাত্রাবস্থাতেই পেয়েছিলেন উজ্জ্বল সব বন্ধু। নিতান্ত তরুণ বয়সেই সাহচর্য পেয়েছেন বিখ্যাতজনদের। ‘ভারতকোষ’ যখন সংকলিত হচ্ছিল বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর তত্ত্বাবধানে, তরুণ দলের নেতা ছিলেন প্রদ্যুম্ন ভট্টাচার্য। সহ-সম্পাদকও। সে-দলে ছিলেন শঙ্খ ঘোষ, সুবীর রায়চৌধুরী এবং আরো অনেকে। মাথার ওপরে বিখ্যাতজনেরা– সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, সুকুমার সেন, নির্মলকুমার বসু প্রমুখ। এই সব বাঘা বাঘা পণ্ডিতদের সামাল দেওয়া কম কথা নয়। সেটা উনিশশো বাষট্টি সাল। প্রদ্যুম্নদার বয়স মাত্র বত্তিরিশ। সেই অধ্যায় নিয়েও গল্প কম নেই। আজো প্রামাণ্য হিসেবে সেই ভারতকোষ-এর গুরুত্ব একই থেকে গেছে। আর নেপথ্যের অনেক গল্প যাঁদের জানা, তাঁরা জানেন, ওই সংকলনে প্রদ্যুম্ন ভট্টাচার্যের ভুমিকা কতটা।
    এই পর্বটি সম্বন্ধে আরও একটু জানার জন্যে শঙ্খ ঘোষের শরণাপন্ন হব আমরা। তিনি লিখছেনঃ
    “১৯৬৪-৬৫ সাল জুড়ে চিন্তাশীলদের আরেকটা স্মরণীয় মিলন ক্ষেত্র ছিল `বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’ – এর তিনতলায়। গান্ধীবাদী নির্মলকুমার বসুর স্নেহচ্ছায়ায় স্বল্পভাষী নিরলস এক কম্যুনিস্ট তরুণ তখন ‘ এনসাইক্লোপিডিস্ট আন্দোলন’ – এর স্বপ্ন দেখছেন, পরিষদ-প্রযোজিত ‘ভারতকোষ’-এর সহ-সম্পাদনার সুবাদে। সন্ধ্যার পর সন্ধ্যা, ধীরস্থির চিন্তাহরণ চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলছেন তরুণ সুবীর রায়চৌধুরী, নির্মলকুমার বসুর সঙ্গে তর্ক করছেন শচীন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, সুনীতিকুমার, সুকুমার সেন বা রমেশচন্দ্র মজুমদারের কাছে পরামর্শ চাওয়া হচ্ছে মুহূর্মূহূ, কাছেই সত্যেন্দ্রনাথ বসুর বাড়িতে ছুটতে হচ্ছে কখনো- বা, সব বয়সের বিজ্ঞানী সাহিত্যিক দর্শনবিদ ইতিহাসবিদেরা ভিড় করে আছেন মস্ত এক গোল টেবিলের চারধারে, আর এই সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করছে বত্রিশ বছর বয়সের একজন তরুণের নিষ্ঠা। এই তরুণ, প্রদ্যুম্ন ভট্টাচার্য, ‘ ভারতকোষ ‘ – এর সঙ্গে সঙ্গে ‘সাহিত্যপত্র’ পত্রিকাটির ও দায়িত্ব নেন অল্পদিনের জন্য, প্রায় রিলে-দৌড়ের মতো সম্পাদনার হাতবদলের মধ্য দিয়ে বিষ্ণু দে-র যে-পত্রিকা একটা সুস্থতা বাঁচাতে চেয়েছিল প্রায় দুই দশক জুড়ে ।”…
    (আর এক আরম্ভের জন্য: এখন সব অলীক, পৃষ্ঠা ১৮১)


    কথিত আছে, গ্রিগোরি কোজিন্তসেভের ‘কিং লিয়র’ দেখে অশোক সেনমশাইকে তাঁর অভিভূত হওয়ার কথা বলেছিলেন। সেনমশাই তাঁকে ‘বারোমাস’ পত্রিকায় লিখতে বলায় রাজিও হয়ে যান প্রদ্যুম্নদা। আর তার পরই পড়েন বিপাকে। মাত্র একবার দেখে একটা ফিল্ম সম্বন্ধে কী করে লিখবেন তিনি! এদিকে কথা দিয়ে ফেলেছেন যে!
    শুরু হয় তাঁর অসম্ভব এক চেষ্টা। কলকাতা আর তার আশপাশের যত ফিল্ম সোসাইটি ছিল তখন, সবগুলোর ঠিকানা জোগাড় করে একটা করে চিঠি লেখেন। যদি তাঁরা কোজিন্তসেভের ‘কিং লিয়র’ দেখান, অনুগ্রহ করে জানাবেন?
    শোনা যায়, এইভাবে মোট বাইশ বার ‘কিং লিয়র’ দেখার পর লিখেছিলেন– “কিং লিয়র’: সিনেমার কবিতা” নামের প্রবন্ধটি। আশ্চর্য সেই রচনাটি রয়েছে ‘টীকাটিপ্পনী’ বইয়ে।
    তাঁর সম্পর্কে কত এরকম গল্প হলেও সত্যি যে মুখে-মুখে ঘুরেছে একসময়!
    প্রবন্ধ-আকারে তাঁর একটি আশ্চর্য নিক্তিমাপা চিন্তাসূত্র সংকলিত হয়েছে ওই বইয়ে– ‘রাজনৈতিক উপন্যাসঃ স্বারূপ্যের সন্ধানে’। তিনি লিখছেন, উদ্ধৃতি একটু দীর্ঘ হবেই, উপায় নেইঃ ”ইউরোপের উপন্যাসই সেই প্রথম শিল্পরূপ, যেখানে মানুষ আত্মপ্রকাশ করল ঐতিহাসিক সময়ের দ্বারা নিরূপিত হয়ে। সময় তো ছিল পুরাণেও; কিন্তু সেখানে কালমান এতই অলৌকিক, এতই বিশাল যে নজরেই পড়ে না। মহাকাব্যেও রয়েছে সময়ের আয়তন; কিন্তু আয়তন থাকলেও, সেখানে নেই কালের কোনো নির্দিষ্ট গতিমুখ। সুতরাং সেই কাল দেশের মতন দশ দিকে ছড়ানো, বিছানো। মহাভারতে, তাই, সময়ের যে-ছবি ঘুরে-ঘুরে আসে, তা হল শাদা-কালো এই দুই সুতোয় বোনা এক অন্তহীন বস্ত্রের চিত্ররূপ। অভিমুখহীন এই অনন্ত বসন যার উপমান, তার পূর্ব পশ্চিম ঊর্ধ্ব অধঃ– যে-কোনো দিকে– মহাভারতকার সঞ্চরণ করতে পারেন, যেমন ইচ্ছে। যেহেতু অভিমুখহীন, সেহেতু এই সময়ের যাপন-প্রক্রিয়ায় কৃষ্ণ বা দ্রৌপদী বা যুধিষ্টির ক্রমাগত হয়ে-ওঠে না; ওরা হয়ে-আছে। অন্যপক্ষে, ক্রনোমিটার-ক্যালেন্ডারের দ্বারা পরিমাপ্য যে বাস্তব ধাবমান কালকে এক জার্মান ভাবুক বলেছেন ‘সমসত্ত্ব, শূন্য সময়’, সেই কাল, উপন্যাসের প্রত্যেক স্নায়ুকোষে অন্তঃশীল।”


    যে-ক’বার সুযোগ হয়েছে তাঁর সান্নিধ্যলাভের, প্রতিটি ক্ষণই জ্বলজ্বল করছে আজ। মনে পড়ছে সেই অগোছালো ঘরটি। এলোমেলো চেয়ার। শেলফে মলিন বইয়ের সারি– এমনকি খাটেও। দেওয়ালে ছ্যাতলা-পড়া যামিনী রায়, যেটি বিয়েতে উপহার দিয়েছিলেন বন্ধু শঙ্খ ঘোষ। সব কিছুই আজও উজ্জ্বল এবং একই সঙ্গে অর্থহীন।
    চা ছিল প্রিয় পানীয়। শীতে ঢাকনা-দেওয়া বড়ো পাহাড়ি কাপ। বিস্কুট না-খেলে বলতেন, নাহুম থেকে আনানো, খাও। বড্ড খুঁতখুঁতে, তাই নিজে করতেন চা। হাতে থাকত ঘড়ি, যেন স্টপওয়াচ! তেমনই আবার আচমকা ফোনে জানতে চাইতেন, হাল বইবার সময় জোয়ালের সঙ্গে যে-দড়িতে দুটো বলদ বাঁধা হয়, সেই দড়ির নাম কী? যুতি? আচ্ছা, যুতিই তো?

    বহু দিন তাঁর ফোন আসেনি। বহু দিন তিনি শয্যাশায়ী। আমাদের অনেকেরই কত-কত প্রশ্ন উত্তরহীন রয়ে গেল তাঁর দীর্ঘ নীরবতার জন্যে। আর, এখন তিনি, প্রদ্যুম্ন ভট্টাচার্য, আমাদের প্রদ্যুম্নদা, চলে গেলেন চিরনীরবতার রাজ্যে। নিতান্ত সাদামাটা ভাবে। যেমন্টা তিনি চেয়েছিলেন।

    গ্রন্থপঞ্জি:
    ১। টীকা টিপ্পনী
    ২। আখ্যান ও সমাজ: তারাশঙ্কর
    ৩। তেরছা নজরে: মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্প
    ৪। রোদ্যাঁ: নটরাজ (অনুবাদ)

  3. মাসুদ করিম - ৪ অক্টোবর ২০১৬ (৯:১৬ পূর্বাহ্ণ)

    The Nobel Prize in Physiology or Medicine 2016
    Yoshinori Ohsumi

    Press Release

    2016-10-03

    The Nobel Assembly at Karolinska Institutet has today decided to award

    the 2016 Nobel Prize in Physiology or Medicine

    to

    Yoshinori Ohsumi

    for his discoveries of mechanisms for autophagy
    Summary

    This year’s Nobel Laureate discovered and elucidated mechanisms underlying autophagy, a fundamental process for degrading and recycling cellular components.

    The word autophagy originates from the Greek words auto-, meaning “self”, and phagein, meaning “to eat”. Thus,autophagy denotes “self eating”. This concept emerged during the 1960’s, when researchers first observed that the cell could destroy its own contents by enclosing it in membranes, forming sack-like vesicles that were transported to a recycling compartment, called the lysosome, for degradation. Difficulties in studying the phenomenon meant that little was known until, in a series of brilliant experiments in the early 1990’s, Yoshinori Ohsumi used baker’s yeast to identify genes essential for autophagy. He then went on to elucidate the underlying mechanisms for autophagy in yeast and showed that similar sophisticated machinery is used in our cells.

    Ohsumi’s discoveries led to a new paradigm in our understanding of how the cell recycles its content. His discoveries opened the path to understanding the fundamental importance of autophagy in many physiological processes, such as in the adaptation to starvation or response to infection. Mutations in autophagy genes can cause disease, and the autophagic process is involved in several conditions including cancer and neurological disease.
    Degradation – a central function in all living cells

    In the mid 1950’s scientists observed a new specialized cellular compartment, called an organelle, containing enzymes that digest proteins, carbohydrates and lipids. This specialized compartment is referred to as a “lysosome” and functions as a workstation for degradation of cellular constituents. The Belgian scientist Christian de Duve was awarded the Nobel Prize in Physiology or Medicine in 1974 for the discovery of the lysosome. New observations during the 1960’s showed that large amounts of cellular content, and even whole organelles, could sometimes be found inside lysosomes. The cell therefore appeared to have a strategy for delivering large cargo to the lysosome. Further biochemical and microscopic analysis revealed a new type of vesicle transporting cellular cargo to the lysosome for degradation (Figure 1). Christian de Duve, the scientist behind the discovery of the lysosome, coined the term autophagy, “self-eating”, to describe this process. The new vesicles were named autophagosomes.

    During the 1970’s and 1980’s researchers focused on elucidating another system used to degrade proteins, namely the “proteasome”. Within this research field Aaron Ciechanover, Avram Hershko and Irwin Rose were awarded the 2004 Nobel Prize in Chemistry for “the discovery of ubiquitin-mediated protein degradation”. The proteasome efficiently degrades proteins one-by-one, but this mechanism did not explain how the cell got rid of larger protein complexes and worn-out organelles. Could the process of autophagy be the answer and, if so, what were the mechanisms?

    A groundbreaking experiment

    Yoshinori Ohsumi had been active in various research areas, but upon starting his own lab in 1988, he focused his efforts on protein degradation in the vacuole, an organelle that corresponds to the lysosome in human cells. Yeast cells are relatively easy to study and consequently they are often used as a model for human cells. They are particularly useful for the identification of genes that are important in complex cellular pathways. But Ohsumi faced a major challenge; yeast cells are small and their inner structures are not easily distinguished under the microscope and thus he was uncertain whether autophagy even existed in this organism. Ohsumi reasoned that if he could disrupt the degradation process in the vacuole while the process of autophagy was active, then autophagosomes should accumulate within the vacuole and become visible under the microscope. He therefore cultured mutated yeast lacking vacuolar degradation enzymes and simultaneously stimulated autophagy by starving the cells. The results were striking! Within hours, the vacuoles were filled with small vesicles that had not been degraded (Figure 2). The vesicles were autophagosomes and Ohsumi’s experiment proved that authophagy exists in yeast cells. But even more importantly, he now had a method to identify and characterize key genes involved this process. This was a major break-through and Ohsumi published the results in 1992.

    Autophagy genes are discovered

    Ohsumi now took advantage of his engineered yeast strains in which autophagosomes accumulated during starvation. This accumulation should not occur if genes important for autophagy were inactivated. Ohsumi exposed the yeast cells to a chemical that randomly introduced mutations in many genes, and then he induced autophagy. His strategy worked! Within a year of his discovery of autophagy in yeast, Ohsumi had identified the first genes essential for autophagy. In his subsequent series of elegant studies, the proteins encoded by these genes were functionally characterized. The results showed that autophagy is controlled by a cascade of proteins and protein complexes, each regulating a distinct stage of autophagosome initiation and formation (Figure 3).

    Key publications

    Takeshige, K., Baba, M., Tsuboi, S., Noda, T. and Ohsumi, Y. (1992). Autophagy in yeast demonstrated with proteinase-deficient mutants and conditions for its induction. Journal of Cell Biology 119, 301-311

    Tsukada, M. and Ohsumi, Y. (1993). Isolation and characterization of autophagy-defective mutants of Saccharomyces cervisiae. FEBS Letters 333, 169-174

    Mizushima, N., Noda, T., Yoshimori, T., Tanaka, Y., Ishii, T., George, M.D., Klionsky, D.J., Ohsumi, M. and Ohsumi, Y. (1998). A protein conjugation system essential for autophagy. Nature 395, 395-398

    Ichimura, Y., Kirisako T., Takao, T., Satomi, Y., Shimonishi, Y., Ishihara, N., Mizushima, N., Tanida, I., Kominami, E., Ohsumi, M., Noda, T. and Ohsumi, Y. (2000). A ubiquitin-like system mediates protein lipidation. Nature, 408, 488-492

    Yoshinori Ohsumi was born 1945 in Fukuoka, Japan. He received a Ph.D. from University of Tokyo in 1974. After spending three years at Rockefeller University, New York, USA, he returned to the University of Tokyo where he established his research group in 1988. He is since 2009 a professor at the Tokyo Institute of Technology.

  4. মাসুদ করিম - ৪ অক্টোবর ২০১৬ (৭:৫৫ অপরাহ্ণ)

    Your boobs start to eat themselves after breastfeeding is over

    When a woman stops breastfeeding, her breasts go from being full-time, milk-producing factories to regular appendages, in a matter of days. Now a molecular switch has been identified that controls their transformation from milk secretors to cellular eaters that gobble up their dying neighbours. The discovery could provide new insights into what goes wrong in breast cancer.

    Women’s breasts comprise a network of ducts, covered by a layer of fatty tissue. During pregnancy, hormonal signals cause epithelial cells lining the ducts to proliferate and form ball-like structures called alveoli, which is where milk is made when the baby is born. However, once women stop breastfeeding, these structures self-destruct – a process that involves massive cellular suicide, and the removal of the debris.

    Here is the mystery: the body’s immune cells usually remove dead and dying cells through a process called phagocytosis, yet the amount of material that is consumed is so great that you’d expect significant inflammation, pain and tissue damage – something that doesn’t typically happen when breastfeeding ceases.

    “One of the least understood aspects of this process is how the excess milk and large numbers of dead cells are removed from the mammary gland without substantial activation of the immune system,” says Matthew Naylor, a cancer biologist at the University of Sydney in Australia.

    After lactation, it seems that epithelial cells eat their dead neighbours. Since a protein called Rac1 is essential for normal milk production, as well as phagocytosis in immune cells, Nasreen Akhtar at the University of Sheffield and her colleagues wondered whether it might also be involved in this breast remodelling.
    Breast regeneration

    To investigate, Akhtar deleted the gene for Rac1 in female mice; their first litter of pups survived, but they were smaller than normal – probably because the milk they received contained less fat and protein than normal. However, subsequent litters of pubs died. Further experiments revealed that in the absence of Rac1, dead cells and milk flooded the breasts, triggering swelling and a state of chronic inflammation, which impaired the mice’s ability to regenerate their tissue and produce milk in later pregnancies.

    “The mammary gland has a huge amount of stuff that it has to get rid of quickly after lactation, but if you just have immune cells taking the dead cells out, you still get chronic inflammation and tissue damage,” says Charles Streuli, who supervised the study. “Akhtar’s work shows for the first time that Rac1 is crucial for phagocytic activity, and that clearance of cell corpses and milk after lactation ceases is essential for long term tissue function.”

    Besides triggering phagocytosis, Rac1 also seems to keep dying cells tethered to the alveoli for longer, possibly encouraging their neighbours to engulf them rather than leaving it to immune cells in the breast ducts. “It keeps the inflammatory phagocytes at bay, by getting the epithelial cells to do the job of clearing themselves up,” Streuli adds.

    That’s not to say immune cells play no role, says Christine Watson, who also studies breast cell biology at the University of Cambridge. “In the initial phase, epithelial cells act as non-professional phagocytes to clear up milk protein and milk fat globules. However, after about three days in the mouse, macrophages (and other professional phagocytes) enter the gland and clear away the remaining cells and debris.” She adds that more work is needed to prove that inflammation occurs in the absence of this process.

    The findings could have consequences for understanding the development and progression of breast cancer. Although prolonged breastfeeding reduces overall cancer risk, women have an increased risk of developing breast cancer for the first 5 to 10 years following pregnancy, and these cancers tend to be more aggressive. One theory is that inflammation during this period of remodelling after breastfeeding may fuel cancer growth.

    “Given this new role for Rac1 in the removal of excess or dead cells, thereby suppressing inflammation the current study also identifies a potential role for Rac1 in breast cancer that is yet to be explored,” says Naylor.

  5. মাসুদ করিম - ৫ অক্টোবর ২০১৬ (১২:৩০ অপরাহ্ণ)

    Press Release: The Nobel Prize in Physics 2016

    4 October 2016

    The Royal Swedish Academy of Sciences has decided to award the Nobel Prize in Physics 2016 with one half to

    David J. Thouless
    University of Washington, Seattle, WA, USA

    and the other half to

    F. Duncan M. Haldane
    Princeton University, NJ, USA

    and

    J. Michael Kosterlitz
    Brown University, Providence, RI, USA

    ”for theoretical discoveries of topological phase transitions and topological phases of matter”

    They revealed the secrets of exotic matter

    This year’s Laureates opened the door on an unknown world where matter can assume strange states. They have used advanced mathematical methods to study unusual phases, or states, of matter, such as superconductors, superfluids or thin magnetic films. Thanks to their pioneering work, the hunt is now on for new and exotic phases of matter. Many people are hopeful of future applications in both materials science and electronics.

    The three Laureates’ use of topological concepts in physics was decisive for their discoveries. Topology is a branch of mathematics that describes properties that only change step-wise. Using topology as a tool, they were able to astound the experts. In the early 1970s, Michael Kosterlitz and David Thouless overturned the then current theory that superconductivity or suprafluidity could not occur in thin layers. They demonstrated that superconductivity could occur at low temperatures and also explained the mechanism, phase transition, that makes superconductivity disappear at higher temperatures.

    In the 1980s, Thouless was able to explain a previous experiment with very thin electrically conducting layers in which conductance was precisely measured as integer steps. He showed that these integers were topological in their nature. At around the same time, Duncan Haldane discovered how topological concepts can be used to understand the properties of chains of small magnets found in some materials.

    We now know of many topological phases, not only in thin layers and threads, but also in ordinary three-dimensional materials. Over the last decade, this area has boosted frontline research in condensed matter physics, not least because of the hope that topological materials could be used in new generations of electronics and superconductors, or in future quantum computers. Current research is revealing the secrets of matter in the exotic worlds discovered by this year’s Nobel Laureates.

    David J. Thouless, born 1934 in Bearsden, UK. Ph.D. 1958 from Cornell University, Ithaca, NY, USA. Emeritus Professor at the University of Washington, Seattle, WA, USA.
    https://sharepoint.washington.edu/phys/people/Pages/view-person.aspx?pid=85

    F. Duncan M. Haldane, born 1951 in London, UK. Ph.D. 1978 from Cambridge University, UK. Eugene Higgins Professor of Physics at Princeton University, NJ, USA.
    https://www.princeton.edu/physics/people/display_person.xml?netid=haldane&display=faculty

    J. Michael Kosterlitz, born 1942 in Aberdeen, UK. Ph.D. 1969 from Oxford University, UK. Harrison E. Farnsworth Professor of Physics at Brown University, Providence, RI, USA.
    https://vivo.brown.edu/display/jkosterl

    Prize amount: 8 million Swedish krona, with one half to David Thouless and the other half to be shared between Duncan Haldane and Michael Kosterlitz.

  6. মাসুদ করিম - ৬ অক্টোবর ২০১৬ (৭:০৬ অপরাহ্ণ)

    Against Donald Trump

    For the third time since The Atlantic’s founding, the editors endorse a candidate for president. The case for Hillary Clinton.

    In October of 1860, James Russell Lowell, the founding editor of The Atlantic, warned in these pages about the perishability of the great American democratic experiment if citizens (at the time, white, male citizens) were to cease taking seriously their franchise:

    In a society like ours, where every man may transmute his private thought into history and destiny by dropping it into the ballot-box, a peculiar responsibility rests upon the individual … For, though during its term of office the government be practically as independent of the popular will as that of Russia, yet every fourth year the people are called upon to pronounce upon the conduct of their affairs. Theoretically, at least, to give democracy any standing-ground for an argument with despotism or oligarchy, a majority of the men composing it should be statesmen and thinkers.

    One of the animating causes of this magazine at its founding, in 1857, was the abolition of slavery, and Lowell argued that the Republican Party, and the man who was its standard-bearer in 1860, represented the only reasonable pathway out of the existential crisis then facing the country. In his endorsement of Abraham Lincoln for president, Lowell wrote, on behalf of the magazine, “It is in a moral aversion to slavery as a great wrong that the chief strength of the Republican party lies.” He went on to declare that Abraham Lincoln “had experience enough in public affairs to make him a statesman, and not enough to make him a politician.”

    Perhaps because no subsequent candidate for the presidency was seen as Lincoln’s match, or perhaps because the stakes in ensuing elections were judged to be not quite so high as they were in 1860, it would be 104 years before The Atlantic would again make a presidential endorsement. In October of 1964, Edward Weeks, writing on behalf of the magazine, cited Lowell’s words before making an argument for the election of Lyndon B. Johnson. “We admire the President for the continuity with which he has maintained our foreign policy, a policy which became a worldwide responsibility at the time of the Marshall Plan,” the endorsement read. Johnson, The Atlantic believed, would bring “to the vexed problem of civil rights a power of conciliation which will prevent us from stumbling down the road taken by South Africa.”

    But The Atlantic’s endorsement of Johnson was focused less on his positive attributes than on the flaws of his opponent, Barry Goldwater, the junior senator from Arizona. Of Goldwater, Weeks wrote, “His proposal to let field commanders have their choice of the smaller nuclear weapons would rupture a fundamental belief that has existed from Abraham Lincoln to today: the belief that in times of crisis the civilian authority must have control over the military.” And the magazine noted that Goldwater’s “preference to let states like Mississippi, Alabama, and Georgia enforce civil rights within their own borders has attracted the allegiance of Governor George Wallace, the Ku Klux Klan, and the John Birchers.” Goldwater’s limited capacity for prudence and reasonableness was what particularly worried The Atlantic.

    We think it unfortunate that Barry Goldwater takes criticism as a personal affront; we think it poisonous when his anger betrays him into denouncing what he calls the “radical” press by bracketing the New York Times, the Washington Post, and Izvestia. There speaks not the reason of the Southwest but the voice of Joseph McCarthy. We do not impugn Senator Goldwater’s honesty. We sincerely distrust his factionalism and his capacity for judgment.

    Today, our position is similar to the one in which The Atlantic’s editors found themselves in 1964. We are impressed by many of the qualities of the Democratic Party’s nominee for president, even as we are exasperated by others, but we are mainly concerned with the Republican Party’s nominee, Donald J. Trump, who might be the most ostentatiously unqualified major-party candidate in the 227-year history of the American presidency.

    These concerns compel us, for the third time since the magazine’s founding, to endorse a candidate for president. Hillary Rodham Clinton has more than earned, through her service to the country as first lady, as a senator from New York, and as secretary of state, the right to be taken seriously as a White House contender. She has flaws (some legitimately troubling, some exaggerated by her opponents), but she is among the most prepared candidates ever to seek the presidency. We are confident that she understands the role of the United States in the world; we have no doubt that she will apply herself assiduously to the problems confronting this country; and she has demonstrated an aptitude for analysis and hard work.

    Donald Trump, on the other hand, has no record of public service and no qualifications for public office. His affect is that of an infomercial huckster; he traffics in conspiracy theories and racist invective; he is appallingly sexist; he is erratic, secretive, and xenophobic; he expresses admiration for authoritarian rulers, and evinces authoritarian tendencies himself. He is easily goaded, a poor quality for someone seeking control of America’s nuclear arsenal. He is an enemy of fact-based discourse; he is ignorant of, and indifferent to, the Constitution; he appears not to read.

    This judgment is not limited to the editors of The Atlantic. A large number—in fact, a number unparalleled since Goldwater’s 1964 campaign—of prominent policy makers and officeholders from the candidate’s own party have publicly renounced him. Trump disqualified himself from public service long before he declared his presidential candidacy. In one of the more sordid episodes in modern American politics, Trump made himself the face of the so-called birther movement, which had as its immediate goal the demonization of the country’s first African American president. Trump’s larger goal, it seemed, was to stoke fear among white Americans of dark-skinned foreigners. He succeeded wildly in this; the fear he has aroused has brought him one step away from the presidency.

    Our endorsement of Clinton, and rejection of Trump, is not a blanket dismissal of the many Trump supporters who are motivated by legitimate anxieties about their future and their place in the American economy. But Trump has seized on these anxieties and inflamed and racialized them, without proposing realistic policies to address them.

    In its founding statement, The Atlantic promised that it would be “the organ of no party or clique,” and our interest here is not to advance the prospects of the Democratic Party, nor to damage those of the Republican Party. If Hillary Clinton were facing Mitt Romney, or John McCain, or George W. Bush, or, for that matter, any of the leading candidates Trump vanquished in the Republican primaries, we would not have contemplated making this endorsement. We believe in American democracy, in which individuals from various parties of different ideological stripes can advance their ideas and compete for the affection of voters. But Trump is not a man of ideas. He is a demagogue, a xenophobe, a sexist, a know-nothing, and a liar. He is spectacularly unfit for office, and voters—the statesmen and thinkers of the ballot box—should act in defense of American democracy and elect his opponent.

  7. মাসুদ করিম - ৬ অক্টোবর ২০১৬ (৭:৫১ অপরাহ্ণ)

    Press Release: The Nobel Prize in Chemistry 2016

    5 October 2016

    The Royal Swedish Academy of Sciences has decided to award the Nobel Prize in Chemistry 2016 to

    Jean-Pierre Sauvage
    University of Strasbourg, France

    Sir J. Fraser Stoddart
    Northwestern University, Evanston, IL, USA

    and

    Bernard L. Feringa
    University of Groningen, the Netherlands

    “for the design and synthesis of molecular machines”

    They developed the world’s smallest machines

    A tiny lift, artificial muscles and miniscule motors. The Nobel Prize in Chemistry 2016 is awarded to Jean-Pierre Sauvage, Sir J. Fraser Stoddart and Bernard L. Feringa for their design and production of molecular machines. They have developed molecules with controllable movements, which can perform a task when energy is added.

    The development of computing demonstrates how the miniaturisation of technology can lead to a revolution. The 2016 Nobel Laureates in Chemistry have miniaturised machines and taken chemistry to a new dimension.

    The first step towards a molecular machine was taken by Jean-Pierre Sauvage in 1983, when he succeeded in linking two ring-shaped molecules together to form a chain, called a catenane. Normally, molecules are joined by strong covalent bonds in which the atoms share electrons, but in the chain they were instead linked by a freer mechanical bond. For a machine to be able to perform a task it must consist of parts that can move relative to each other. The two interlocked rings fulfilled exactly this requirement.

    The second step was taken by Fraser Stoddart in 1991, when he developed a rotaxane. He threaded a molecular ring onto a thin molecular axle and demonstrated that the ring was able to move along the axle. Among his developments based on rotaxanes are a molecular lift, a molecular muscle and a molecule-based computer chip.

    Bernard Feringa was the first person to develop a molecular motor; in 1999 he got a molecular rotor blade to spin continually in the same direction. Using molecular motors, he has rotated a glass cylinder that is 10,000 times bigger than the motor and also designed a nanocar.

    2016’s Nobel Laureates in Chemistry have taken molecular systems out of equilibrium’s stalemate and into energy-filled states in which their movements can be controlled. In terms of development, the molecular motor is at the same stage as the electric motor was in the 1830s, when scientists displayed various spinning cranks and wheels, unaware that they would lead to electric trains, washing machines, fans and food processors. Molecular machines will most likely be used in the development of things such as new materials, sensors and energy storage systems.

    Jean-Pierre Sauvage, born 1944 in Paris, France. Ph.D. 1971 from the University of Strasbourg, France. Professor Emeritus at the University of Strasbourg and Director of Research Emeritus at the National Center for Scientific Research (CNRS), France.
    https://isis.unistra.fr/laboratory-of-inorganic-chemistry-jean-pierre-sauvage

    Sir J. Fraser Stoddart, born 1942 in Edinburgh, UK. Ph.D. 1966 from Edinburgh University, UK. Board of Trustees Professor of Chemistry at Northwestern University, Evanston, IL, USA.
    http://stoddart.northwestern.edu

    Bernard L. Feringa, born 1951 in Barger-Compascuum, the Netherlands. Ph.D.1978 from the University of Groningen, the Netherlands. Professor in Organic Chemistry at the University of Groningen, the Netherlands.
    http://www.benferinga.com

    Prize amount: 8 million Swedish krona, to be shared equally between the Laureates.

  8. মাসুদ করিম - ৯ অক্টোবর ২০১৬ (৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ)

    The Nobel Peace Prize for 2016

    The Norwegian Nobel Committee has decided to award the Nobel Peace Prize for 2016 to Colombian President Juan Manuel Santos for his resolute efforts to bring the country’s more than 50-year-long civil war to an end, a war that has cost the lives of at least 220 000 Colombians and displaced close to six million people. The award should also be seen as a tribute to the Colombian people who, despite great hardships and abuses, have not given up hope of a just peace, and to all the parties who have contributed to the peace process. This tribute is paid, not least, to the representatives of the countless victims of the civil war.

    President Santos initiated the negotiations that culminated in the peace accord between the Colombian government and the FARC guerrillas, and he has consistently sought to move the peace process forward. Well knowing that the accord was controversial, he was instrumental in ensuring that Colombian voters were able to voice their opinion concerning the peace accord in a referendum. The outcome of the vote was not what President Santos wanted: a narrow majority of the over 13 million Colombians who cast their ballots said no to the accord. This result has created great uncertainty as to the future of Colombia. There is a real danger that the peace process will come to a halt and that civil war will flare up again. This makes it even more important that the parties, headed by President Santos and FARC guerrilla leader Rodrigo Londoño, continue to respect the ceasefire.

    The fact that a majority of the voters said no to the peace accord does not necessarily mean that the peace process is dead. The referendum was not a vote for or against peace. What the “No” side rejected was not the desire for peace, but a specific peace agreement. The Norwegian Nobel Committee emphasizes the importance of the fact that President Santos is now inviting all parties to participate in a broad-based national dialogue aimed at advancing the peace process. Even those who opposed the peace accord have welcomed such a dialogue. The Nobel Committee hopes that all parties will take their share of responsibility and participate constructively in the upcoming peace talks.

    Striking a balance between the need for national reconciliation and ensuring justice for the victims will be a particularly difficult challenge. There are no simple answers to how this should be accomplished. An important feature of the Colombian peace process so far has been the participation of representatives of civil war victims. Witnessing the courage and will of the victims’ representatives to testify about atrocities, and to confront the perpetrators from every side of the conflict, has made a profound impression.

    By awarding this year’s Peace Prize to President Juan Manuel Santos, the Norwegian Nobel Committee wishes to encourage all those who are striving to achieve peace, reconciliation and justice in Colombia. The president himself has made it clear that he will continue to work for peace right up until his very last day in office. The Committee hopes that the Peace Prize will give him strength to succeed in this demanding task. Furthermore, it is the Committee’s hope that in the years to come the Colombian people will reap the fruits of the ongoing peace and reconciliation process. Only then will the country be able to address effectively major challenges such as poverty, social injustice and drug-related crime.

    The civil war in Colombia is one of the longest civil wars in modern times and the sole remaining armed conflict in the Americas. It is the Norwegian Nobel Committee’s firm belief that President Santos, despite the “No” majority vote in the referendum, has brought the bloody conflict significantly closer to a peaceful solution, and that much of the groundwork has been laid for both the verifiable disarmament of the FARC guerrillas and a historic process of national fraternity and reconciliation. His endeavors to promote peace thus fulfil the criteria and spirit of Alfred Nobel’s will.

    Oslo, 7 October 2016

    Juan Manuel Santos – Interview
    “This is a very important event for my country, for the victims of this war and this is a commitment to keep trying to bring peace to my country. I am so grateful.”

    Juan Manuel Santos: “We are very, very close to achieving peace”

    Telephone interview with Juan Manuel Santos following the announcement of the 2016 Nobel Peace Prize. The interviewer is Adam Smith, Chief Scientific Officer of Nobel Media.

    Juan Manuel Santos: Hello.

    Adam Smith: Good morning President Santos. My name is Adam Smith representing Nobelprize.org, the official website of the Nobel Prize in Stockholm. On behalf of all here we would like to congratulate you on the award of the Nobel Peace Prize.

    JMS: Thank you so much, thank you so much. I receive this with great emotion, and this is something that will forever be important for my country and for the people who have suffered with the war. This is a great, great recognition for my country and with all humbleness I receive it. I am terribly grateful.

    AS: Thank you. The Nobel Committee have been explicit in their official statement in stating that the award is meant also to pay tribute to the Colombian people. I imagine that is something you would echo.

    JMS: Of course, of course. The Colombian people and especially the victims, is something for us very important and I receive this award in their name; the Colombian people who have suffered so much with this war, 52 years of war. And especially the victims, the millions of victims that have suffered with the war that we are on the verge of ending.

    AS: And what message do you hope the award will send?

    JMS: The message is we have to persevere until we reach the end, we reach the end of this war. We are very, very close. We just need to push a bit further, to persevere, and this is going to be a great stimulus to reach that end, and to start the construction of peace in Colombia. This is something that all the Colombian people will receive with emotion and specially the victims will be very happy because I think it’s in their name that this award is given.

    AS: Given all the obstacles on the road to peace, may I just ask what keeps you going in your personal determination to achieve a peaceful end.

    JMS: Well, it’s simply a matter of believing in a cause and there is no better cause for any society, for any country, than living in Peace. Something that unfortunately Colombians have not been able to have for three generations. I think this is the moment, the conditions are right and we just simply have to persevere. And this has been my strength, what has given me the stimulus to persevere, the good causes. This is the best cause that any person can try to achieve, peace for his country.

    AS: Thank you. And lastly, news of your Nobel Prize will be broadcast around the world today. Is there anything that you’d like to ask people to do to help you in your quest for a peaceful end to Colombia’s civil war?

    JMS: Thank you. Simply to say that we are very, very close to achieving peace. I think the other group that we are fighting today, we’re very close also to having peace with this other group. The two groups that we are negotiating with will receive this as a stimulus from the whole world that we have to reach an agreement very soon. We reached an agreement with the first group, the second group we’re very close. Simply that we have to continue until we reach the end.

    AS: And people around the world who are also hoping for this peaceful end, can they do anything to help you?

    JMS: Well, the international community has been so supportive. To continue the support and to continue to say that the whole world expects the Colombian people to reach, and especially the parties involved, to reach an agreement very soon. We are now … Also there are some people who have not been supporting the government in this peace process. We are talking to them, as a matter of fact we started talks with them just a couple of days ago and I hope that they understand how important to also contribute to support this process because the peace would be much stronger and much more durable if it is supported by every single Colombian.

    AS: Thank you very much indeed. Thank you for sharing your thoughts with us and taking the time to speak with us, and once again may we offer our congratulations to you all and to the Colombian people.

    JMS: Thank you. Thank you from the bottom of my heart and in the name of all the Colombians, especially the victims. Thank you very, very much.

  9. মাসুদ করিম - ৯ অক্টোবর ২০১৬ (৮:৫১ পূর্বাহ্ণ)

    নলিনীর জাদুঘর

    এক.

    ১ জুলাই, ১৯১৪। ঢাকা শহরে সদ্য ভূমিষ্ঠ হয়েছে ইতিহাস ও ঐতিহ্যচর্চার একটি শিশু প্রতিষ্ঠান— ঢাকা জাদুঘর। এক তরুণ গবেষক সম্পদ-দরিদ্র এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ। বেতন মাত্র ২০০ টাকা, তাও সব মাসে সময় মতো হাতে আসে না; সংসার চলে কষ্টেসৃষ্টে। কিন্তু বিক্রমপুরের এই উদ্যমী গবেষকের তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই। জাদুঘরের গবেষণার ফাঁকে ফাঁকে প্রত্নবস্তু সংগ্রহের খোঁজে তিনি ঘুরে বেড়ান দেশের আনাচে-কানাচে। কখনো পায়ে হেঁটে, কখনো নৌকায় চড়ে আবার কখনো গরুর গাড়িতে। সঙ্গে ক্যাম্বিসের ব্যাগে ব্রাশ, কালি ও শিলালিপির ছাপ তোলার সামান্য উপকরণ আর নিজের জন্য মুড়ির মোয়া, চিঁড়া, আখের গুড়; যেন পথেঘাটে অন্যের মুখাপেক্ষী না হতে হয়। অর্ধাহার, অনাহার আর কলেরা মহামারীর ভয়, তার অবিশ্রান্ত পথচলার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি, ইতিহাসচর্চা ও ঐতিহ্যের প্রতি দুর্বার আকর্ষণই তার পথচলার ক্লান্তি দূর করেছিল। তার পরিশ্রম যে বৃথা যায়নি এর প্রমাণ তিনি অল্পদিনের মধ্যেই মফস্বলের এই খ্যাতিবিবর্জিত প্রতিষ্ঠানকে সারা ব্রিটিশ ভারতে পুরাতত্ত্ব ও ইতিহাসচর্চার একটি অন্যতম মর্যাদাশালী গবেষণাকেন্দ্রে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। যার পরিশ্রমী ও মেধাবী গবেষণার আলোকে প্রাচীন বঙ্গ ও মধ্যযুগের ইতিহাসের (মধ্যযুগের) অনালোকিত কুঠুরিগুলো ধীর ধীরে দীপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি ঢাকা জাদুঘরের প্রথম ৩৩ বছরের অধ্যক্ষ, ইতিহাসবিদ, পুরাতাত্ত্বিক, সুলেখক, প্রাচীন লিপিবিশারদ ড. নলিনীকান্ত ভট্টশালী।

    তিনিই সর্বপ্রথম বাংলার স্বাধীন সুলতানদের শাসনামলের সুনির্দিষ্ট কালক্রম নির্মাণ করে বাংলার স্বাধীন মুসলিম শাসনের গুরুত্বপূর্ণ নতুন তথ্য তুলে ধরেন। বাংলার পূর্বাঞ্চলে খড়গ, বর্মণ, চন্দ্র ও দেব নামের কতিপয় স্বাধীন রাজবংশের বংশানুক্রম ও তাদের শাসিত ভূভাগ সম্পর্কে পণ্ডিতমহলকে অবহিত করার কৃতিত্ব তারই। সুলতানি আমলে রাজা কংস ও দনুজমর্দন দেব যে একই ব্যক্তি তিনিই সর্বপ্রথম প্রমাণ করেছিলেন দনুজমর্দনের মুদ্রা বিশ্লেষণ করে। তার এই অভিমত আজ অবধি একটি নির্ভুল তথ্য হিসেবে গৃহীত হয়ে আছে।

    ৩৩ বছর একটানা অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করার পর ১৯৪৭-এর ফেব্রুয়ারিতে নিমতলীর ঢাকা জাদুঘর চত্বরের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ড. নলিনীকান্ত ভট্টশালী। এই সুদীর্ঘ চাকরি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তার বেতন হয়েছিল ২৬০ টাকা, প্রথম মাসিক বেতন ২০০ টাকা থেকে বেড়ে। ঢাকা জাদুঘরে যোগদানের আগে থেকেই গবেষণা ও প্রত্নবস্তু সংগ্রহে লিপ্ত ছিলেন নলিনীকান্ত। কখনো বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের উত্সাহে, কখনো বা নিজের একক প্রচেষ্টায়। তরুণ ভট্টশালীর গবেষণার মান এবং বিষয়বস্তুর গুরুত্ব কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তারই প্রশংসা ও সুপারিশের ফলেই নলিনীকান্ত ঢাকা জাদুঘরে অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। আশুতোষ মুখোপাধ্যায় যে প্রতিভার আলো চিনতে ভুল করেননি, নলিনীকান্তের পরবর্তী জীবনের গবেষণার সুবর্ণ ফসল তা প্রমাণ করে দিয়েছে।

    নলিনীকান্তের গবেষণার মালমসলা সংগ্রহের কেন্দ্র ছিল পূর্ববঙ্গ। পূর্ববঙ্গের অনেক শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে তিনি নিয়মিত ঘুরে বেড়িয়েছেন প্রত্নবস্তু, পুঁথি, তাম্রলিপি, প্রস্তরমূর্তি আর শিলালিপির সন্ধানে। পথে চলতে চলতে পুরনো বাড়ির ভগ্নাবশেষ, প্রাচীন দীঘি বা উঁচু মাটির ঢিবি দেখলেই তার দৃষ্টি সজাগ হয়ে উঠত। তার অনুসন্ধিত্সু মন বলে উঠত এসব হেজেমজে যাওয়া দীঘি আর মাটির স্তূপের নিচে না জানি অতীতের কত স্মৃতি, কত প্রত্ন নিদর্শন লুকিয়ে আছে। জাদুঘরের সীমাবদ্ধ আর্থিক সামর্থ্য নিয়ে মাটি খুঁড়ে এসব প্রত্নবস্তু উদ্ধার করা ছিল তার ক্ষমতার বাইরে। খোঁড়াখুঁড়ির মাধ্যমে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে পুরাকীর্তি উদ্ধারের প্রাতিষ্ঠানিক কোনো জ্ঞানও ছিল না তার, কিন্তু কোনো বাধাই তিনি মেনে নেননি। পুরাকীর্তি উদ্ধারের প্রতি তার দায়বদ্ধতাকে নেশাগ্রস্ততার সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। নিজের একটি লেখায় এই নেশার কথা বলে গেছেন এমনি ভাষায়—

    “মনে অহরহ ইচ্ছা জাগিতেছে যে, স্বহস্তে কোদাল ধরিয়া সমস্ত উচ্চভূমি খুঁড়িয়া সমভূমি করিয়া দিই। প্রাচীন পুকুরগুলিকে প্রাচীন কটাহের মত ধরিয়া তুলি এবং উল্টাইয়া ফেলিয়া দিই দেখি তাহাদের অভ্যন্তরে কি আছে। কিন্তু দুর্বৃত্ত উদর দুই বেলা যথা সময়ে চোঁ চোঁ করিয়া জানাইয়া দেয় যে, রাজা অশোকের কটা ছিল হাতি তাহা না জানিলেও পৃথিবীর বিশেষ ক্ষতি বৃদ্ধি হইবে না। তথাপি নেশা ‘যারে ধরে তারে পাগল করে’। প্রত্নতত্ত্বের নেশাগ্রস্ত হতভাগ্যগণ আমার কথার সত্যতা সম্বন্ধে সাক্ষ্য দিবেন।”

    জনশ্রুতি, পুরাকীর্তি সংগ্রহের নেশায় একবার নাকি তিনি পুকুরের ধারে একনাগাড়ে চারদিন বসে রয়েছিলেন। যদিও জেলেদের দিয়ে জাল ফেলে বহু পরিশ্রমেও সেই পুরাকীর্তি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নলিনীকান্তর কাছে খবর পৌঁছেছিল যে, ওই পুকুরে তামার প্লেটের একটি ভাঙা টুকরো রাখা আছে। বলাবাহুল্য, সেবার নলিনীকান্তকে হতাশ হয়ে খালি হাতেই ঘরে ফিরতে হয়েছিল।

    নলিনীকান্তের কর্মজীবনে এই ধরনের ঘটনা আরো কয়েকবার ঘটেছে, তবে সব সময়েই খালি হাতে তাকে ফিরতে হয়নি। যেমন ঘুঘুরাহাট এলাকায় একদল মূর্তিচোর স্থানীয় মানুষের তাড়া খেয়ে মূর্তি পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়। নলিনীকান্ত খবর পেয়েই পুকুর পাড়ে হাজির হয়ে সারা রাত জেগে থাকেন টর্চ হাতে। পরের দিন ভোর হলে মূর্তি পুকুর হতে উদ্ধার করে ঢাকা জাদুঘরে নিয়ে আসেন।

    ভট্টশালী প্রত্নবস্তু সংগ্রহের সময়ে দেশাচারের সব প্রথা মেনে চলতেন। কখনো জোর-জবরদস্তি করে সংগ্রহে নেমেছেন এমন নজির নেই। স্থানীয় মানুষজনকে বুঝিয়ে তাদের সম্মতিতেই প্রত্নবস্তু সংগ্রহ করেছেন। এই ব্যাপারে তার ধৈর্য এবং লোকচরিত্র বোঝার ক্ষমতার অবশ্যই প্রশংসা করতে হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তার সংগ্রহ পদ্ধতি নিয়ে অনেক কৌতূহলোদ্দীপক কাহিনীর জন্ম হয়েছে। আর আশ্চর্য যে তখনো টেলিফোন যুগ এসে পৌঁছেনি, তাই প্রত্নবস্তু পাওয়ার খবর পেতেন তিনি লোক মারফত। প্রথমেই জানতে চাইতেন নিদর্শনটি কীভাবে কার কাছে রক্ষিত আছে। যদি সংবাদ পেতেন যে প্রত্নবস্তুটি কোনো ব্রাহ্মণ পরিবারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে, তবে তিনি আদ্দি কাপড়ের পাঞ্জাবি, গলায় পুঁতির মালা এবং ধবধবে সাদা ধুতি পরে ব্রাহ্মণ বেশে হাজির হতেন। দীর্ঘদেহী গৌরবর্ণ ভট্টশালীকে ব্রাহ্মণের বেশে দেখে ওই পরিবার বা প্রতিষ্ঠান সন্তুষ্ট হয়েই ভাস্কর্যটি জাদুঘরে দান করতে অরাজি হতো না, দ্বিধা করত না। আবার থানার দারোগা অথবা জেলা প্রশাসকের কাছে যেতে হলে তিনি অফিসের উপযুক্ত পোশাকেই অর্থাত্ শার্ট, প্যান্ট পরেই যেতেন। প্রয়োজন হলে নেকটাই ব্যবহার করতে দ্বিধা করতেন না— যদিও ভট্টশালী সব সময়ই ধুতি-পাঞ্জাবি পরে থাকতেন।

    মাঝে মাঝে এই সংগ্রহের বাতিকে তাকে প্রতিকূল অবস্থারও মুখোমুখি হতে হয়েছে। কারণ সেই সময়ে বাংলাদেশের ধর্মভীরু মানুষ মাটি খুঁড়তে গিয়ে বা ঘরের ভিত তৈরি করার সময় কোনো দেবমূর্তি বা ভাস্কর্য পেলে সেটি সিঁদুরের টিপ দিয়ে ভক্তিভরে পুজো করে সযত্নে রেখে দিতেন। তাদের বিশ্বাস স্বয়ং বিধাতা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে বিগ্রহটি তাদের দিয়েছেন, সুতরাং সহজেই এটি হাতছাড়া করতে চাইতেন না। একবার এক মূর্তি পাওয়ার খবর পেয়ে ভট্টশালী দ্রুত অকুস্থলে গিয়ে দেখেন সবাই মিলে বিগ্রহটির পুজো দেয়ায় ব্যস্ত। এহেন ভক্তি বিহ্বল পরিস্থিতিতে মূর্তি সংগ্রহ করার প্রস্তাব দেয়া শুধু দৃষ্টিকটুই নয় ক্ষেত্রবিশেষে বিপজ্জনক হতে পারে। সুতরাং পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজের ব্রাহ্মণ পরিচয় দিয়ে ভট্টশালী নিজেই সেই পুজোয় যোগ দিলেন। স্থানীয় মানুষ তার ভক্তি, মন্ত্রোচ্চারণের মাধুর্যমণ্ডিত পুজো পদ্ধতি দেখে সিদ্ধান্তে আসেন যে, ঢাকা থেকে আগত এই ভদ্রলোক তাদের চেয়ে বিদ্বান এবং অবশ্যই খাঁটি ব্রাহ্মণ সন্তান। এমন ভক্তিমান মানুষের হাতে দিয়ে মূর্তিটি ঢাকা জাদুঘরের জন্য উপহার দিতে আর দ্বিধা করেননি তারা।

    মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম তার ‘নলিনীকান্ত ভট্টশালী’ বইয়ে একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন যা এখানে বিধৃত করা প্রাসঙ্গিক হতে পারে: কোনো এক গ্রামের এক হিন্দু ভদ্রলোক তার জমির মাটি খুঁড়তে গিয়ে একটি দেবীমূর্তি পেয়েছেন। ভক্তিভরে মূর্তিটি মন্দিরে স্থাপন করে পুজো আরম্ভ করার দিনক্ষণ স্থির করলেন। পুজোর দিনই ভট্টশালী দেবীমূর্তিটি সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে সেই গ্রামে গিয়ে হাজির। অবস্থা দেখে তিনি অপ্রস্তুত, তবে দ্রুত পরিস্থিতি সামলে নিলেন। তখন সমবেত ভক্তমণ্ডলীকে জাদুঘরে মূর্তিটি উপহার দেয়ার পক্ষে বোঝাতে শুরু করলেন তার অনুকরণীয় বিনম্র ভঙ্গির যুক্তি দিয়ে। প্রথমে আপত্তি করলেও শেষে নলিনীকান্তর ব্যবহার এবং যুক্তিতে বশীভূত হয়ে ঢাকা জাদুঘরে ভাস্কর্যটি উপহার দিতে সম্মত হলেন। তারা হিন্দু পরিবারে কন্যার বিবাহ দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে উঠিয়ে দেয়ার সময় যে সব আচার, নিয়ম পালন করতে হয়, ঠিক তেমনি আচার-আচরণ ও যথোপযুক্ত মন্ত্র উচ্চারণ করে শত শত নর-নারীর উপস্থিতিতে মূর্তিটি ভট্টশালীর হাতে সমর্পণ করলেন।

    গ্রন্থকার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম লিখেছেন, “সার্বিক অবস্থা দেখে মনে হলো ভট্টশালী যেন পুত্রবধূকে ঘরে তুলে নিয়ে আসছেন।”

    কোথাও মূর্তি হাতে পেলে তিনি মহানন্দে বাড়ি ফিরে এসে কুয়াতলায় বসে নিজ হাতে ভাস্কর্যের গায়ে লেগে থাকা কাদামাটি পরিষ্কার করতে লেগে যেতেন। তার চোখে-মুখে তখন ফুটে উঠত অসীম তৃপ্তি আর অনির্বচনীয় আনন্দ। বাড়ির ছেলেপুলেরা তার মুখ দেখেই তার মনের প্রসন্নতা টের পেত। এমন সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে দেরি করত না তারা। তাদের সব আবদার, দাবি-দাওয়া সেই সময় নলিনীকান্তর কাছ থেকে সহজেই আদায় কড়া যেত।

    দুই.

    ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা সাহিত্য পরিষদের জন্য কুমিল্লা শহরের কাছে ভারেল্লা গ্রাম থেকে ‘লড়হচন্দ্র’ নামাঙ্কিত একটি নটেশ শিবমূর্তির পাদপীঠে উত্কীর্ণ লিপি সংগ্রহে তিনি কুমিল্লা গিয়েছিলেন। তার বন্ধু কুমিল্লার বড় কামতা গ্রামের বৈকুণ্ঠ দত্তর কাছ থেকে খবর পেয়েই লিপিসহ মূর্তিটি উদ্ধারের জন্য তার কুমিল্লা অভিযান। ভট্টশালী মূর্তিটির পাদপীঠে লিপির ছাপও বৈকুণ্ঠ বাবুর মারফত আগেই পেয়ে গিয়েছিলেন। তার মতে নটেশ মূর্তির লিপিতে বলা হয়েছে, ‘কর্মান্তের রাজা কুসুম দেবের পুত ভারুদেব এই মূর্ত্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’ নলিনীকান্তর বিবেচনায় ভারেল্লা নামটি সম্ভবত ভারুদেবের নাম হতে এসেছে।

    নলিনীকান্তের এই প্রত্ননিদর্শনটি সংগ্রহের একটি রসঘন বর্ণনা তার নিজের লেখা ‘প্রত্নানুসন্ধানের সুখ দুঃখ’ প্রবন্ধে বিধৃত হয়েছে। বৈকুণ্ঠ দত্ত জানিয়েছিলেন নটেশ মূর্তিটি কুমিল্লার বড় কামতা গ্রামের বাজারে পাওয়া গিয়েছে। বৈকুণ্ঠ দত্তের দেয়া এই তথ্য হাতে নিয়ে বড় কামতা বাজারে নলিনীকান্ত উপস্থিত হলেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছে দেখলেন যে ভাস্কর্যটি ভেঙে খণ্ড খণ্ড করা হয়ে গেছে। তবে লিপিযুক্ত অংশটি তখনো অক্ষত আছে। দীর্ঘদিন ধরে ভাস্কর্যটি বাজারের বটগাছের গায়ে হেলান দেয়া অবস্থায় পড়েছিল। স্থানীয় মানুষ এর নানা অংশ ভেঙে নিয়ে ওজন করার বাটখারা বানাতে বেশি দিন অপেক্ষা করেনি। কাছেই একটি বড় দেবালয় বা রাজবাটির ভগ্নাবশেষ রয়েছে, বাজারের মানুষের মুখ থেকেই জানলেন যে কয়েক বছর আগে রাজবাটির ভগ্নাবশেষের পাশের পুকুরের মাটি তুলতে গিয়ে এসব মূর্তি উঠেছিল। বেশির ভাগই নানা জনে নিয়ে গেছে। শুধু এই নটেশ মূর্তিটিই বটগাছে হেলান দিয়ে অনেক দিন অক্ষত অবস্থায় টিকেছিল।

    এর পর নলিনীকান্ত তার লেখার প্রসাদগুণে এই ভাস্কর্য সংগ্রহের পাণ্ডিত্যপূর্ণ শুকনো বর্ণনার পরিবর্তে এক পরিহাস স্নিগ্ধ রসসিক্ত বর্ণনা পাঠকদের উপহার দিয়েছেন। সেদিনের ঘটনা:

    বাজারের মধ্যে নলিনীকান্ত সাড়ম্বরে নটেশ্বর লিপির ছাপ নিতে মগ্ন হয়ে পড়লেন।

    চারদিকে লোকারণ্য হয়ে গেল। সকলেরই এক প্রশ্ন— এই মূর্তির মধ্যে এমন কি থাকতে পারে যার জন্য এই ভদ্রলোক ঢাকা হতে এতদূর এসেছেন। ‘‘কেহ কেহ সন্দেহ করতে লাগিল যে লিপিটিতে কোন গুপ্তধনের বিবরণ লিখিত আছে, তাহারই খোঁজে আমি (ভট্টশালী) আসিয়াছি।” এদের মনোভাব আঁচ করে তিনি একটি মুরব্বি গোছের মুসলিম ভদ্রলোককে কাছে ডেকে লিপিটির প্রত্যেক অক্ষর ধরে ধরে পড়ালেন এবং অতীত ইতিহাস উদ্ধারে এই লিপিটি কীভাবে সহায়ক হবে তা বুঝিয়ে দিলেন। এই লিপির সাহায্যে ইতিহাস লিখিত হবে শুনে স্থানীয় মধ্য বাঙ্গালা স্কুলের একটি ছেলে সভয়ে ভট্টশালীকে জিজ্ঞাসা করল যে, সেই ইতিহাস তাদের স্কুলে পড়তে হবে কিনা। তিনি উত্তরে জানালেন যে, ইতিহাস লিখিত হলে আর রক্ষা নাই, তাদের স্কুলে পড়তেই হবে। ভট্টশালী এরপর লিখেছেন, ‘‘ইহার পর আবার যখন ভারেল্লার উপর দিয়া যাই তখন ছেলেটির সঙ্গে দেখা হইয়াছিল। সালাম করিয়া ম্লান মুখে ছেলেটি জিজ্ঞাসা করিল, ইতিহাস কতদূর লেখা হইয়াছে? আমি আশ্বাস দিলাম এখনও তাহা আরম্ভ করিতে পারি নাই।”

    নলিনীকান্ত যে কাঠখোট্টা পণ্ডিত মাত্র ছিলেন না, তার মধ্যে যে একটি রসিক পরিহাসপ্রবণ সুলেখক লুকিয়ে ছিল এই ঘটনাটি তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    তিন.

    এবার মূর্তির ছাপ তোলার প্রক্রিয়ায় ফিরে যাই।

    প্রথম ছাপখানা ভালো ওঠেনি কারণ পানি বেশি দেয়ায় সেটি নষ্ট হয়ে যায়। এসব দেখে একজন দর্শক ভট্টশালীকে বললেন, ছাপ তোলায় সময় নষ্ট না করে, ভট্টশালী তো নিজেই খোদ মূর্তিটি তুলে নিয়ে যেতে পারেন। কথা প্রসঙ্গে সেই ব্যক্তি আরো জানাল যে, গত বত্সর ‘দত্তের পুত বৈখণ্ড’ এসে লিপিটির ছাপ নিয়ে গেছে। ‘দত্তের পুত বৈখণ্ড’ শুনে নলিনীকান্ত হাতে আকাশ পেলেন। এই বৈখণ্ড যে তারই বন্ধু বৈকুণ্ঠ দত্ত— যিনি এই মূর্তিটির খবর পত্রযোগে পাঠিয়েছিলেন এবং যার ভরসায় তার কুমিল্লায় আগমন— এতে নলিনীকান্তর আর কোনো সন্দেহ রইল না। জিজ্ঞাসা করে জানলেন যে বৈখণ্ডের বাড়ি প্রায় তিন মাইল দূরে বড় রাস্তার ধারে। মূর্তিখানা সেই জায়গায় পর্যন্ত বয়ে দিয়ে আসতে পারে কিনা, জিজ্ঞাসা করলে অনেক ওজর-আপত্তির পর অনেক মজুরি কবুল করায় দুজন চাষী এই কাজে রাজি হলেন। নলিনীকান্ত তাদের দু’আনা বায়না দিয়ে ‘দত্তের পুত বৈখণ্ডের’ বাড়ি অভিমুখে পা বাড়ালেন।

    ‘বেলা প্রায় একটা বাজিয়াছিল, তখন পর্যন্ত জলবিন্দুও মুখে পড়ে নাই। সম্মুখে কর্ষিত এবং কর্তিত ধানের মাঠ, প্রখর সূর্য্য কিরণে তাতিয়া ভীষণ মরুভূমির মত ক্ষেত্র দেখাইতেছে। তাহার মধ্য দিয়া আমি একাকী অপরিচিত দেশে বৈকুণ্ঠ দত্তের বাড়ি খুঁজিয়া বাহির করিতে চলিয়াছি।’

    অনেক ঘুরে, অনেক জিজ্ঞাসা করে বৈকুণ্ঠ দত্তের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে নলিনীকান্ত জানতে পারলেন যে বাড়িতে তিনি পৌঁছেছেন, সে বাড়ি গৃহস্বামীর নাম বৈকুণ্ঠ দত্ত হলেও তিনি তার বন্ধু বৈকুণ্ঠ বাবু নন। আবার এক নতুন বিপত্তি এসে দাঁড়াল। তবে গৃহস্বামী তাকে দ্রুত আশ্বস্ত করে বললেন, তিনি যাকে খুঁজছেন, তিনিও এই গৃহস্বামীর বিশেষ বন্ধু। গত বছর লিপির ছাপ তোলার জন্য তিনি ও বৈকুণ্ঠ বাবু একত্রে ভারেল্লা বাজারে গিয়েছিলেন। এবং তখনই নলিনীকান্ত ভট্টশালীর কথা শুনেছিলেন তিনি। নলিনীকান্তর বন্ধু বৈকুণ্ঠ দত্তের বাড়ি বড় কামতার রাস্তার ধারে ফেলে এসেছেন ভট্টশালী। এর পর নলিনীকান্ত এই নবপরিচিত বৈকুণ্ঠ দত্তের বাড়ির আতিথেয়তায় খুশি হয়ে পথশ্রম দূর করেছিলেন।

    সেই মূর্তিবাহক চাষী দুজনের ১ ঘণ্টার মধ্যে এসে পড়ার কথা ছিল। কিন্তু সন্ধে হয় হয়, অথচ তাদের দেখা নেই। সুতরাং ভট্টশালী উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলেন, হতাশ হয়ে ভাবলেন এরা বোধহয় ফাঁকি দিয়ে কেটে পড়েছে। ঠিক হলো মাইলখানেক দূরে ময়নামতির পশ্চিমে যে বেহারাদের আড্ডা ছিল, সেখানে গিয়ে মুটে ঠিক করা যাবে। সঙ্গে সঙ্গে ময়নামতিও দেখা হয়ে যাবে। কিন্তু ময়নামতিতে হাজির হয়ে বেহারাদের কাছে মূর্তি আনার প্রস্তাব করামাত্র তারা বলে উঠল, এ শিবের মূর্তি, এক টাকা দিলেও স্পর্শ করবে না তারা। কোনো এক সাহা নাকি মূর্তিগুলো তুলে গোমতী নদীতে ফেলে দেয়ার জন্য তাদের ৫০ টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি ছিল, তাতেও তারা রাজি হয়নি।

    নলিনীকান্ত তাদের এই শেষ অসম্মতি অর্থাত্ গোমতী নদীতে মূর্তিগুলো ফেলে দিতে রাজি না হওয়ায় অনেক ধন্যবাদ দিয়ে হতাশ চিত্তে ফিরে এলেন। রাত্রি প্রায় সাড়ে ৮টা— এমন সময় সেই চাষী দুজন মূর্তি নিয়ে উপস্থিত হলো। পরদিন সকাল ৯টায় তিনি গরুর গাড়িতে মূর্তিটি নিয়ে কুমিল্লা রেলস্টেশনে পৌঁছালে ধূলিমাখা দেহে লোকচক্ষুর সমুখে গো-শকটে চেপে কুমিল্লার রাস্তায় তিনি দর্শনীয় বস্তু হতে চাননি। তাই গাড়োয়ানকে কুমিল্লা শহরের বাসার ঠিকানা দিয়ে মূর্তিসহ বাসায় চলে আসতে বলে তিনি হেঁটে বাসায় হাজির হলেন। বাসায় ফিরে স্নান-বিশ্রাম নিলেন, কিন্তু গাড়োয়ানের দেখা নেই। গাড়ির জন্য লোক পাঠালেন, পরে নিজেও বের হলেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা গেল গাড়োয়ান বাসার ঠিকানা ও নলিনীকান্তর পরিচয় সব ভুলে হতবুদ্ধি হয়ে স্থানীয় কলেজ হোস্টেলের কাছে গাড়ি থামিয়ে ছিলেন। হোস্টেলের ছেলেরা গাড়িতে চড়াও হয়ে মূর্তি নামিয়ে ফেলে এবং দাবি করে যে মূর্তি তারাই রেখে দেবে। ‘ইস্কুইল্যা বাবু’দের এহেন কাণ্ড দেখে গাড়োয়ানের অবশিষ্ট বুদ্ধিটুকুও লোপ পায় এবং সে নিশ্চেষ্ট হয়ে তাদের কার্যকলাপ দেখতে থাকে। এ অবস্থায় নলিনীকান্তর পাঠানো লোক গিয়ে ইস্কুইল্যা বাবুদের হাত থেকে মূর্তিসহ বেচারাকে উদ্ধার করে আনে।

    এত ঝড়ঝাপ্টার পর মূর্তি বাসায় পৌঁছালে দলে দলে স্কুল-কলেজের ছেলে ও শহরের ভদ্রলোকেরা মূর্তি দেখতে আসতে লাগলেন। রাত্রি প্রায় ১০টা পর্যন্ত অনবরত তাকে মূর্তির পাদপীঠে কি লেখা আছে, তা ব্যাখ্যা করে শোনাতে হয়েছিল। অবশ্য এই উপলক্ষে অনেকের কাছ থেকে আরো বিগ্রহের অনুসন্ধান পেয়েছিলেন তিনি।

    পরদিন ভোরে শহর থেকে আবার ঘোড়ার গাড়িতে রওনা হয়ে বন্ধুবর বৈকুণ্ঠ বাবুর বাড়িতে পৌঁছেছিলেন নলিনীকান্ত। এবার আর কোনো ভুল হয়নি। প্রবন্ধের উপসংহারে নলিনীকান্ত লিখেছেন—

    “অবশেষে মূর্তিখানা পাইলাম, এবং বৈকুণ্ঠ বাবুরও খোঁজ পাইলাম, এই আনন্দে পথশ্রম, ক্ষুধা-তৃষ্ণা মোটেই বোধ হইতে ছিল না, প্রত্নানুসন্ধানের সুখ এইটুকুই।”

    চার.

    রক্ষণশীল বনেদি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম হলেও জীবনযাত্রায় নলিনীকান্ত ছিলেন সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক মনোভাবের মুক্তমনা মানুষ। তিনি ঢাকার প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ হাকিম হাবিবুর রহমান ও সৈয়দ তৈফুরের কাছে আরবি ও ফারসি ভাষা আয়ত্ত করে অনুবাদ করা শিখেছিলেন। এতে তিনি সুলতানি আমলের মুদ্রার লিপি পাঠের দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।

    ১৩৪১ সালে ঢাকা থেকে হযরত শাহজালাল (র.) সম্পর্কিত তার প্রবন্ধটি বঙ্গে মুসলিম বিজয় নিয়ে একটি মূল্যবান গবেষণা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিল। এই প্রবন্ধে বাংলায় ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারে হজরত শাহজালালের (র.) অবদানের ওপর বস্তুনিষ্ঠ আলোচনায় তার পাণ্ডিত্য ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি দায়বদ্ধতার সুস্পষ্ট প্রকাশ ঘটেছে। এই প্রবন্ধে রাজা গৌর গোবিন্দের পরাজয়ের যথার্থ কারণ এবং রাজার পরাজয়ের ফলাফল গ্রহণযোগ্য যুক্তিতে তুলে ধরা হয়েছে। তার এই ইতিহাস বোধ এবং অসাম্প্রদায়িক মনোভাবের জন্য ঢাকা শহরের মুসলিম সমাজের বিশেষ বিশেষ ধর্মীয় উত্সবে তিনি সাদরে আমন্ত্রিত হতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক অথবা সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ফাতেহা-ইয়াজদহম অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে বিশেষ অতিথির ভাষণ দিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত চল্লিশের দশকে ঢাকা শহর সাম্প্রদায়িকতার বিষে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল। সেই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো মুসলিম ছাত্রাবাসে অমুসলিম ব্যক্তিত্বের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হওয়াটা এক অসাধারণ ঘটনা।

    উদার হূদয় নলিনীকান্তর অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি ঢাকার সমাজ জীবনে এতই সুদৃঢ়ভাবে প্রোথিত হয়েছিল যে, তিনি কোন ধর্মের অনুসারী, সেদিন তা নিয়ে কেউ বাছ-বিচারে হাত দেয়নি।

    ১৯২৯ সালে ঢাকা জাদুঘরের উদ্যোগে প্রকাশিত তার সুবিখ্যাত গ্রন্থ ‘আইকনোগ্রাফি অব বুড্ডিস্ট অ্যান্ড ব্রাহমনিকাল স্কাল্পচার ইন দি ঢাকা মিউজিয়াম’ আজো একটি অমূল্য আকর গ্রন্থ হিসেবে সারা বিশ্বে সমাদৃত। তত্কালীন ঢাকা জাদুঘরে সংগৃহীত হয়নি, এমন অনেক ভাস্কর্যের বিবরণ এই বইয়ে রয়েছে।

    এই বইয়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের নানা ভাস্কর্যের ইতিহাস, মূর্তিপূজার প্রচলনের ইতিবৃত্ত, নারী ও পুরুষ ভাস্কর্যের অবয়বের বিবরণী, ভাস্কর্যের পার্থক্যকরণের তুলনামূলক আলোচনা রয়েছে। এছাড়া কোন কাল পর্যায়ে কোন ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে এবং কোন প্রেক্ষাপটে এর আবির্ভাব ইত্যাদি বিবরণ সহজবোধ্য কিন্তু পাণ্ডিত্যপূর্ণ এবং প্রাঞ্জল ভাষায় লিখে গেছেন। অনাবিষ্কৃত একটি তাম্র শাসনের লিপির পাঠোদ্ধার করে তিনি এ পর্যন্ত অজানা খাদগ চন্দ্র বর্মন এবং দেব রাজাদের শাসনকাল সম্পর্কে নতুন তথ্য উপস্থাপন করেন, যা পূর্ব বাংলার মধ্যযুগের শাসনতান্ত্রিক ধারার একটি বৈজ্ঞানিক ক্রমবিবরণী নির্মাণে ব্যাপক সহায়তা করেছিল। তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ অবদান হিসেবে বলা হয় তিনি একাদশ শতাব্দীতে রচিত ‘অষ্টসহসি কা প্রাজ্ঞ পারমিতা’ নামে চিত্রিত পাণ্ডুলিপি থেকে কুমিল্লা-লালমাই অঞ্চলে ‘পট্টিকেরা’ নামে একটি বৌদ্ধ শাসিত রাজ্যের অস্তিত্ব তুলে ধরেন।

    ভট্টশালী তাম্রলিপি ও শিলালিপির পাঠোদ্ধারে অভূতপূর্ব সুনাম অর্জন করেছিলেন। তিনি যেসব তাম্রশাসন ও শিলালিপির পাঠোদ্ধার করেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো বেলাব, ঘুঘরাহাটি, নিদানীপুর, শ্রীচন্দ্রদেবের তাম্রশাসন, ভাওয়াল তাম্রশাসন এবং নালন্দা ও রাজা গোবিন্দচন্দ্রের শিলালিপি— ১৯২০ সালে ঢাকা রিভিউ ও এপিগ্রাফিকা ইন্ডিকা পত্রিকায় নলিনীকান্তর সমাচার দেবের ঘুঘরাহাটি (ঘুঘরাহাট্যি) তাম্রশাসনটি উত্থাপিত হলে পণ্ডিত মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এ প্রসঙ্গে রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায় তার ‘বাঙ্গালার ইতিহাস’-এ কী লিখেছেন, পড়া যাক—

    “তাম্রশাসনখানি ফরিদপুর জেলার খাগরাহাটি গ্রামে আবিষ্কৃত হইয়াছিল এবং উহা এখন ঢাকার চিত্রশালায় রক্ষিত আছে। ইহা হইতে জানিতে পারা যায় যে, মহারাজাধিরাজ শ্রীসমাচারদেবের রাজ্যকালে নব্যবকাশিকায় অন্তরঙ্গ উপরিক শ্রীজীবদত্ত শাসনকর্তা ছিলেন এবং তত্কর্তৃক নিযুক্ত বিষয়পতি পবিক্রক বারকমণ্ডলের শাসনকর্তা ছিলেন। এই সময়ে সুপ্রতীকস্বামী নামক একব্যক্তি জ্যেষ্ঠাধিকরণিক দামুক প্রমুখ বিষয়মহত্তরগণের নিকট একখণ্ড ভূমি ক্রয় করিবার জন্য আবেদন করিয়াছিল এবং তদনুসারে তিন কুল্যবাপ পরিমাণ ভূমি তাহাকে বিক্রীত হইয়াছিল। এই তাম্রলিপির উদ্ধৃত পাঠ বহুবার প্রকাশিত হইয়াছে তন্মধ্যে শ্রীযুক্ত পার্জিটার (চধত্মরঃবত্) ও শ্রীযুক্ত নলিনীকান্ত ভট্টশালীর পাঠ অধিকতর বিশ্বাসযোগ্য।”

    প্রাচীন পুঁথি সম্পর্কে তার অবদান বিস্ময়কর। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়, ঢাকা জাদুঘরের জন্য তালপাতার এক তুলট কাগজে লেখা বেশকিছু দুর্লভ পুঁথি সংগ্রহ করেছিলেন। কেবল পুঁথি সংগ্রহ করাই তার একমাত্র কৃতিত্ব নয়, তিনি বেশকিছু পুঁথির পাঠোদ্ধার করে সম্পাদনার কাজও করেছিলেন। তার সম্পাদিত পুঁথির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘ময়নামতির গান, মীনচেতন ও গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস’। তার নিজের একটি লেখা দেখে জানা যায়, তিনি কবি রবীন্দ্রনাথকে তার সম্পাদনায় প্রকাশিত মীনচেতন গ্রন্থের একটি কপি উপহার হিসেবে পাঠান। রবীন্দ্রনাথ বইটি পড়ে ১৩২৪ বঙ্গাব্দের ২রা জ্যৈষ্ঠ তারিখে নলিনীকান্তকে যে চিঠি পাঠান, তা এখানে উদ্ধৃত করা হলো:

    ‘বিনয় সম্ভাষণপূর্বক নিবেদন— মীনচেতন বইখানি পাইয়া উপকৃত হইলাম। বাঙ্গলা ভাষার শব্দতত্ত্ব আলোচনায় আমার স্বাভাবিক উত্সুক্য আছে। সেই কারণে এ বইখানি আমার কাছে বিশেষ মূল্যবান। এরূপ আবিষ্কার ও প্রচার করিয়া ঢাকা সাহিত্য পরিষত্ গৌরব লাভ করিতেছেন এবং এই উদ্যোগে আপনি যে কৃতিত্ব দেখাইয়াছেন, সে জন্য স্বদেশের হইয়া আমি আপনার নিকট কৃতজ্ঞতা নিবেদন করিলাম।

    ইতি ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৩২৪ ভবদীয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।’ (সৌজন্যে সাইফুদ্দিন চৌধুরী)

    সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ নলিনীকান্তের কৈশরকাল থেকে। সৃজনশীল সাহিত্য বিষয়ে প্রথম গ্রন্থ ‘হাসি ও অশ্রু’ প্রকাশিত হয় ১৯১৫ সালে ঢাকা থেকে। এতে ১১টি গল্পে হাসি ও আনন্দ ও বেদনার কাহিনী ছিল। গ্রন্থখানি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল বলেই ভারতের বেশকটি প্রাদেশিক ভাষায় এটি অনূদিত হয়। গল্পগুলো পড়ে বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রাইনথার্জ ভাগনার বইটি জার্মান ভাষায় অনুবাদ করে প্রকাশ করেন। তবে সাহিত্য জগতে তার দক্ষতা বেশি দেখা যায় প্রবন্ধ রচনার ক্ষেত্রে। কেবল সাহিত্যমূলক প্রবন্ধই নয় তার ভাষার প্রাঞ্জলতার দরুন তার লেখা ইতিহাস, শিল্পকলা ইত্যাদির মতো জটিল ও গভীর বিষয় সাহিত্য পদবাচ্য হয়ে উঠেছে।

    নলিনীকান্ত প্রবল আত্মসম্মানজ্ঞানবিশিষ্ট মানুষ ছিলেন। আত্মসম্মানে একটু আঘাত লাগলে তিনি ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গ ত্যাগ করতে দ্বিধা করতেন না। নিজের সম্ভ্রম রক্ষার জন্য অনেক খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত পদ ছেড়ে চলে এসেছেন। বাংলার ইতিহাস রচনার পরিকল্পনায় দ্বিতীয় খণ্ডের সম্পাদক নিযুক্ত না করায় তিনি ১৯৩৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই পরিকল্পনার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন।

    নলিনীকান্তের কিছু কিছু রচনা সমসময়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ সাহেব ঢাকার ‘প্রতিভা’ পত্রিকা মারফত নলিনীকান্ত সম্পাদিত ‘ময়নামতির গান’ এবং ‘মীনচেতন’ পুঁথির কয়েকটি ভ্রম ও ত্রুটি দেখিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। তার মত ‘ভট্টশালী প্রদত্ত পাঠ অনেক স্থলেই ঠিক নহে।’ তার সম্পাদিত গ্রন্থগুলি সম্পর্কে আরো অনেকে বিতর্কের অবতারণা করেছেন। এছাড়া তার সম্পাদিত তাম্রশাসনের পাঠ নিয়েও বিতর্কের জন্ম হয়। তবে নলিনীকান্ত তার মতামত সম্পর্কিত সৃষ্ট বিতর্কের অনেকবারই যুক্তিসহ জবাব দিয়েছেন।

    সারা জীবন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিষ্ঠাসহ অধ্যবসায়ের জন্য তিনি যে অবদান আমাদের ঐতিহ্যচর্চার ইতিহাসে রেখে গেছেন, তা আমাদের এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গৌরবের বিষয় হয়ে থাকবে।

    বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর নলিনীকান্ত ভট্টশালীর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করে। সেই অনুষ্ঠানে জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ড. এনামুল হক ভট্টাশালীর সারা জীবনের সাধনার যে মূল্যায়ন করেছেন, তার সংক্ষিপ্ত উল্লেখ বাংলার ইতিহাসচর্চায় ভট্টশালীর বিশাল অবদানকে বুঝতে সহায়ক হবে। ড. হক তার স্বাগত ভাষণে যা বলেছিলেন, তা আজো প্রাসঙ্গিক এবং প্রণিধানযোগ্য।

    ‘বাংলাদেশের বিশিষ্ট কৃতীসন্তান ঢাকা জাদুঘরের প্রথম ৩৩ বছরের অধ্যক্ষ নলিনীকান্ত ভট্টশালী জাদুঘরের সংগঠক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, সাহিত্যিক, সাহিত্য সমালোচক, পাণ্ডুলিপিবিশারদ ও সর্বভারতের বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ছিলেন। তিনি প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত এবং তার সামাজিক সাংস্কৃতিক ও লিপিকলা, কৃষ্টি, মুদ্রা ও শিলালেখ ইতিহাস রচনায় অসাধারণ কৃতিত্ব গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণীয়। একজন ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক উদার প্রগতিশীল মনমানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত ছিলেন। বাংলাদেশের জাদুঘর আন্দোলন ও পুরাতাত্ত্বিক সম্পদের সুষ্ঠু সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তিনি অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করে গেছেন, যা জাতি আজ কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করে।’

    নলিনীকান্তের সেই নিমতলী জাদুঘর তার যোগ্য উত্তরসূরি সাবেক মহাপরিচালক ড. এনামুল হকের পরিশ্রম ও সংগঠন দক্ষতায় এখন তৃতীয় বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘর।

    তথ্যসূত্র:

    ১। পুরাবৃত্ত ১, প্রত্নতত্ত্ব ও সংগ্রহশালা অধিকার পশ্চিমবঙ্গ সরকার, কলকাতা

    ২। নলিনীকান্ত ভট্টশালী কোমেমোরেটিভ ভল্যুম, সম্পাদক এবিএম হাবিবুল্লা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৬

    ৩। নলিনীকান্ত ভট্টশালী ১৮৮৯-১৯৪৭, সাইফুদ্দিন চৌধুরী, বাংলা একাডেমি

    ৪। ইতিহাসের মানুষ নলিনীকান্ত ভট্টশালী— মো. সিরাজুল ইসলাম

  10. মাসুদ করিম - ৯ অক্টোবর ২০১৬ (১০:২৩ পূর্বাহ্ণ)

    ফ্যাসিবাদ নিয়ে কারাত কিছুটা ঠিক ইয়েচুরি কিন্তু পুরোটাই ভুল

    সি পি আই এমের পলিটব্যুরোয় সম্প্রতি একটা বিতর্ক দেখা দিয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি মনে করেন, নরেন্দ্র মোদি সরকার ফ্যাসিস্ট। ‌‌‌এ জন্য এ‌ই ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে সকলকে একজোট করতে হবে। আসলে, ইয়েচুরি কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে চান বলে এই লাইন দিয়েছেন। ইয়েচুরির কাছে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোটা মু্খ্য দিক, যুক্তিটা গৌণ। প্রকাশ কারাত মনে করেন, নরেন্দ্র মোদি একনায়কতন্ত্রীর মতো সরকার চালালেও, ফ্যাসিস্ট বলাটা ঠিক হবে না। বামপন্থীদের মধ্যে এমন বিতর্ক ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন রাতে জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পরও দেখা গিয়েছিল। এক দল বলতেন, ইন্দিরা গান্ধী ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছেন। অন্যেরা বলতেন ভারতে সনাতনী (‌ক্লাসিক্যাল)‌ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তাঁরা মনে করতেন, জরুরি অবস্থা জারি করে ইন্দিরা গান্ধী স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছেন। তখন ডিমিট্রভের থিসিস নিয়ে তর্ক হত। ১৯৩৫ সালে তৃতীয় কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের সপ্তম কংগ্রেসে বুলগেরিয়ার কমিউনিস্ট নেতা জর্জি ডিমিট্রভ একটা থিসিস দিয়েছিলেন। সেই থিসিসের নাম ছিল ‘‌ইউনাইটেড ফ্রন্ট অফ দ্য ওয়ার্কিং ক্লাস এগেইনস্ট ফ্যাসিজম’‌। ৪১ বছর আগে যাঁরা জরুরি অবস্থা জারি করাটাকে ফ্যাসিবাদ বলতেন, তাঁরা আওড়াতেন ডিমিট্রভের তত্ত্ব। সেই তত্ত্বের শুরুতেই ছিল, কেন বুর্জোয়ারা ফ্যাসিবাদ চায়?‌ ডিমিট্রভ বলেছিলেন, পার্শ্ববর্তী দুর্বল দেশ দখল করে বাজার সম্প্রসারণের জন্য চায়। শিল্পপতিদের সঙ্কট শ্রমিকদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার জন্য চায়। ফ্যাসিবাদের প্রবক্তারা বলেছিলেন, বাংলাদেশ ও সিকিমের বাজার ভারতীয় শিল্পপতিরা দখল করেছে। শিল্পপতিদের সঙ্কট শ্রমিকদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে গেলে শ্রমিকশ্রেণীকে ঐক্যবদ্ধ ও সশস্ত্র সংগ্রাম করতে হবে। ১৯৭৭ সালের ২০ মার্চ মাঝরাতে লোকসভা ভোটের ফল বেরলে দেখা গেল, পরদিন ভোরে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করলেন। কয়েক ঘণ্টা পর রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে তদানীন্তন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বি ডি জাত্তির কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করলেন। তার তিন দিন পরেই মোরারজি দেশাইয়ের নেতৃত্বে জনতা পার্টির সরকার শপথ নিল। তখন আমরা ফ্যাসিবাদের প্রবক্তাদের বললাম, ডিমিট্রভের থিওরি মিলল না। সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া ভোটের মাধ্যমেই জরুরি অবস্থা উঠে গেল। সেদিন থেকেই আমরা বুঝেছিলাম, ভারতের বামপন্থীরা মার্কসবাদকে ‘‌গাইড টু অ্যাকশন’‌ না করে ডগমা হিসেবেই দেখেন। ১৯২৭ সালে চীন বিপ্লবের প্রথম পর্যায়ে সাংহাই অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়। তার পর কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক থেকে এম এন রায়–‌সহ তিনজনকে চীনে পাঠানো হয়েছিল সে দেশের নেতাদের জ্ঞান দেওয়ার জন্য। মাও সে তুং তাঁদের বলেছিলেন, চীনের জাতীয় বৈশিষ্ট্য আপনারা জানেন না। আমরা জানি। চীনে কী করে বিপ্লব করতে হয় তা নিয়ে বেশি কথা বলতে হবে না। লেনিন বলেছিলেন, বাস্তব পরিস্থিতির বাস্তব বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই কমিউনিস্টদের কাজ। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা দেশের জাতীয় বৈশিষ্ট্য এবং বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে চিরকালই ভুল করেছেন। উদাহরণ দেওয়া যাক। ২০০৮ সালের জুলাই মাসে বামফ্রন্ট ইউ পি এ–‌১ সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে। এর পেছনে ছিলেন সি পি আই এমের তদানীন্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত। তিনি বলেছিলেন, ভারত–‌মার্কিন অসামরিক পারমাণবিক চুক্তির ফলে ভারতের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেওয়া হল। তখন অনেক সি পি আই এম নেতা এ জন্য প্রকাশ কারাতকে অসাধারণ তাত্ত্বিক নেতা হিসেবে মেনেছিলেন। আচ্ছা বলুন তো, গত ৮ বছরে ভারতের সার্বভৌমত্ব কত শতাংশ আমেরিকার কাছে বিকিয়ে গেছে?‌ ১৯৬৬ সালের ৬ জুন ইন্দিরা গান্ধীর সরকার টাকার দাম কমিয়েছিল। তখন বামপন্থীরা বলতেন, আমেরিকার চাপে টাকার দাম কমানো হল। সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেওয়া হল। এটা ঠিক, সেদিন টাকার দাম কমানোর পেছনে আমেরিকার চাপ ছিল কিন্তু ভারতের সার্বভৌমত্ব এ জন্য ১ শতাংশও বিকিয়ে যায়নি। বিকিয়ে গেলে, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে আমেরিকার হুমকি অগ্রাহ্য করে ভারত সেদিন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ষোলোআনা মদত দিতে পারত না। একটা চুক্তি বা একটা সিদ্ধান্ত দেখে সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে গেল বলে চিৎকার করার কোনও মানে হয় না। মার্কসবাদের মূল সত্য হল, মানব জাতির ইতিহাস, শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস। শোষক ও শোষিতের মধ্যে চলমান সংগ্রামকে ঠিক সময়ে ঠিক ভাবে চালিত করাই হল বামপন্থীদের কাজ।
    চলে আসি, প্রকাশ কারাত ও ইয়েচুরির মতবিরোধ নিয়ে। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন ২০১৪ সালের ২৬ মে। এটা ঠিক, মন্ত্রিসভার অন্যদের চেয়ে নরেন্দ্র মোদির গুরুত্ব অনেক বেশি। সেটা মনমোহন সিং বা বাজপেয়ীর অতটা ছিল না। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধীর তো ছিল। নরেন্দ্র মোদি লোকসভা ভোটের সময় সর্বত্র প্রচারে বলতেন, ‘‌অব কি বার/‌মোদি সরকার’‌। এটাও অস্বীকার করা যাবে না মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখার জন্য বেশ কয়েক লক্ষ ভোট বি জে পি–‌র ঝুলিতে পড়েছে। লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বি জে পি এক নম্বরে ছিল। ১৮৫ ভোটে এগিয়ে এক নম্বরে ছিল। এর কারণ ছিল মোদি। ভবানীপুরে বিশাল সংখ্যায় গুজরাটিরা বাস করেন। তাঁরা মোরারজি দেশাইয়ের পর আরেকজন গুজরাটিকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে দেখার জন্য ঝাঁক বেঁধে পদ্ম চিহ্নে ভোট দিয়েছিলেন। আবার উত্তরপ্রদেশে বি জে পি জোট ৮০টির মধ্যে ৭৩টি আসন জিতেছিল হিন্দুত্বের পক্ষে শক্ত মানুষ নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলে। নরেন্দ্র মোদিকে মুখ না করলে বি জে পি কিন্তু একা ২৮৫টি আসন পেত না। মোদি ক্ষমতায় বসার পরেই বামপন্থীদের একাংশ বলতে থাকেন, ফ্যাসিস্ট সরকার বসল। ১৯৫০ দশকের মাঝে অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক অজয় ঘোষ একটা থিওরি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এ দেশে সংখ্যাগুরুদের সাম্প্রদায়িকতার জন্যই ফ্যাসিবাদ আসবে।
    বিশাল ভারতে এখন জনসংখ্যা ১৩০ কোটি। এর মধ্যে গো–‌মাংসকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা, খুন, দলিতদের প্রতি অত্যাচার এমন ঘটনা গোটা ২৬টির মতো ঘটেছে। এ জন্য মোদি সরকারকে বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে ফ্যাসিস্ট বলে বর্ণনাও করা হয়েছে। অথচ, মোদির ২৮ মাসের শাসনে কিছু রাজ্যে বিধানসভা ও পুরসভা এবং পঞ্চায়েত ভোট নির্দিষ্ট সময়েই হয়েছে। ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। মোদি নিজেই যে সব রাজ্যে যে দল জিতেছে, তাদের নেতাদের ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তার মধ্যে অনেক অ–‌বি জে পি সরকার আছে। এমনকী তীব্র বি জে পি–‌বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেস, সি পি আই এম, জনতা দল (‌সংযুক্ত)‌ আছে। সম্প্রতি দেখা গেছে, গুজরাটের ঘটনার জেরে নরেন্দ্র মোদি বলছেন, গো–‌রক্ষা সমিতির কর্মীরা দলিতদের না মেরে আমাকে গুলি করো। কোঝিকোড়ে বি জে পি–‌র সভায় মোদি বলেছেন, মুসলিমদেরকে বুকে টেনে নিতে হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের ব্যাপারেও তিনি যথেষ্ট সংযত বাক্য ব্যবহার করেছেন। কোঝিকোড়ে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বলেছেন, দারিদ্র্য ও বেকারির বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তানকে পরাস্ত করবে ভারত। কেন এ সব কথা তিনি বলছেন?‌ কারণ মোদি জানেন, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবের ভোট আছে। যেখানে মুসলিম ও দলিত ভোটার সংখ্যায় অনেক বেশি। এই দুটি রাজ্যের ভোট তাঁর কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে গুজরাটে বিধানসভার ভোট হবে। সেই ভোটে দলিতদের সমর্থন দরকার। এই সব রাজ্যে হেরে গেলে, ২০১৯ সালে তাঁর পক্ষে ফিরে আসা সম্ভব হবে না। নরেন্দ্র মোদি জানেন, ভারতে সংসদীয় গণতন্ত্র যথেষ্ট গভীরে গেঁথে গেছে। এ জন্য এ দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। ভারতের বামপন্থীরা এ দেশে গণতন্ত্রের শক্তি সম্পর্কে ভালরকম জানেন না। চীনে কোনও সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছিল না। মাও সে তুং বার বার বলেছেন, চীনে সশস্ত্র প্রতি–‌বিপ্লবের মুখোমুখি হতে সশস্ত্র সংগ্রাম করতে হচ্ছে। জারের রাশিয়ায় বুলিগিন ডুমা বলে একটা পার্লামেন্ট ছিল। কিন্তু রাশিয়ার জনসাধারণ ভারতের মতো সর্বজনীন ভোটাধিকার পেতেন না। ভারতে সেই প্রথম ভোট থেকেই জোতদার, চাষী, মিল মালিক, শ্রমিক, হিন্দু–‌মুসলিম, নারী–‌পুরুষ সকলের ভোটাধিকার সমান। জারের রাশিয়ায় সেটা ছিল না। ইউরোপের বহু দেশেই নারীদের ভোটাধিকার ছিল না। লেনিন যে অবস্থা দেখে ‘‌রাষ্ট্র ও বিপ্লব’‌ লিখেছিলেন, তা স্বাধীন ভারতে কতটা প্রযোজ্য, তা নিয়ে আলোচনা করা দরকার। ১৯৬০ দশকে এ কথা বললে বামপন্থীরা সঙ্গে সঙ্গে সংশোধনবাদী বলে ছাপ মেরে দিতেন। বামপন্থীরা দেশের রাজনৈতিক মাটি চিনতে না পারার ফলে ২০১৬ সালে যে অবস্থায় এসে পড়েছেন, তাতে কেউ কাউকে আর সংশোধনবাদী বলতে পারছেন না।
    ১৯৮০ সালে পাকিস্তানের মানবাধিকার সংগঠন তদানীন্তন প্রেসিডেন্টের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। তাতে তাঁরা বলেছিলেন, পাশের দেশ ভারতের মতো গণতন্ত্র চাই। যেখানে বিচারব্যবস্থা, গণমাধ্যম ষোলোআনা স্বাধীন। যেখানে মানুষ তাঁর পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করে বিধানসভা বা লোকসভায় পাঠায়। যে দেশে মিলিটারিকে চালায় মানুষের ভোটে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সরকার। পাকিস্তানের মতো মিলিটারি দ্বারা সরকার চালিত হয় না। স্বাধীনতার পর ভারতে উন্নয়ন যখন কম ছিল, তখন বামপন্থীরা গরিব মানুষদের সহজে জড়ো করতে পারতেন। এ জন্য ১৯৬২ সালের লোকসভা ভোটে অবিভক্ত সি পি আই ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। শুধু বাংলা, ত্রিপুরা, কেরল নয়, আরও ৬–‌৭টি রাজ্যে ভাল শতাংশ ভোট পেয়েছিল। ১৯৯১ সালের নয়া অর্থনীতির পর সমাজে যে সংখ্যায় উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারের সৃষ্টি হয়েছে, তারা এখন ভোগবাদে গা ভাসাতে ব্যস্ত। সি পি আই এম মনে করছে, আজকের দিনে খবরের কাগজের ওপর পোস্টার লিখে সেঁটে দিলে মানুষ গ্রাহ্য করবে না, তাই সোশ্যাল সাইট, এস এম এস, ইন্টারনেটকেই প্রচারের হাতিয়ার করতে হবে। সে তো বোঝা গেল। কিন্তু ওই হাতিয়ারে ক্লিশে হয়ে যাওয়া পুরনো কথাগুলো লিখে গেলে, মানুষের সমর্থন পাওয়া যাবে না। সে জন্য চাই যুগপোযোগী নতুন ভাবনাচিন্তা। তবে প্রকাশ কারাত ও ইয়েচুরির মতবিরোধে এটুকু বলা যায়, কারাত মোদিকে ফ্যাসিস্ট বলতে রাজি না হয়ে কিছুটা ঠিক, ইয়েচুরি সেদিক থেকে পুরো ভুল। তবে কারাতও ভারতের মাটি চিনতে পারেননি। চিনলে, ২০০৮ সালে ইউ পি এ–‌১ সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করতেন না।‌‌‌

  11. মাসুদ করিম - ১০ অক্টোবর ২০১৬ (১২:০০ অপরাহ্ণ)

    China ready to join pact with India, Bangladesh to share Brahmaputra water: State-run media

    The Global Times said the Indian press was ‘trying to create a false impression’ by linking Beijing’s move to block a tributary to the Indus Waters Treaty.

    China’s state-run media outlet on Monday said Beijing was ready to enter into a multilateral deal with India and Bangladesh to share water from the Brahmaputra river. In an editorial titled “No need for concern in India over China’s blockage of Brahmaputra River tributary”, The Global Times highlighted that the dam for which China had “temporarily” blocked a tributary of the river in Tibet had a capacity of “less than 0.02% of the average annual runoff of the Brahmaputra”.

    “Frankly, there is no need for India to overreact to such projects, which aim to help with reasonable development and utilisation of water resources,” the editorial said. It added that Indian media houses were “trying to create a false impression” by suggesting China’s move to block the tributary is a “silent show of support” for Pakistan in its dispute with India over the Indus Waters Treaty. “The construction of the dam project on the tributary of the Brahmaputra started in June 2014,” the article said.

    The editorial said China is willing to follow a system similar to the one it has put in place with Myanmar, Laos, Thailand, Cambodia and Vietnam to share water from the Lancang-Mekong river. “This will be the most effective solution to the water dispute between China and India,” the article said, while accusing India of “making increasing efforts to exploit the Brahmaputra river in recent years”.

    China had blocked a tributary of the Brahmaputra – Xiabuqu – in Tibet on October 1 to construct its Lalho hydro project, believed to be China’s most expensive hydropower undertaking . It is expected to be completed in 2019. A sum of 4.95 billion yuan (Rs 4,923 crore) has been earmarked for it in Tibet’s Xigaze region. Xigaze is about 200 km from Sikkim, and it is from here that the Brahmaputra enters Arunachal Pradesh.

    No need for concern in India over China’s blockage of Brahmaputra River tributary

    By Hu Weijia Source:Global Times Published: 2016/10/10 1:28:39

    China-India relations should not be affected by an imaginary “water war.”

    It is easy to understand the anger of Indian people as they read recent news reports saying China had blocked a tributary of the Brahmaputra River, which is a trans-boundary river flowing from Southwest China’s Tibet Autonomous Region into the northeastern Indian state of Assam and later into Bangladesh, serving as an important water source for the regions.

    The move by China to temporarily blockade the tributary to construct a dam sparked widespread concerns in India, but people in the downstream country may be ignoring one thing: The reservoir capacity of the dam is less than 0.02 percent of the average annual runoff of the Brahmaputra. Frankly, there is no need for India to overreact to such projects, which aim to help with reasonable development and utilization of water resources.

    However, what is worrying is that some local Indian media outlets linked the blockage with India’s recent water dispute with Pakistan, trying to create the false impression that China may be interested in taking part in the so-called water war between the two South Asian countries to give Pakistan silent support. However, construction of the dam project on the tributary of the Brahmaputra started in June 2014.

    It is clear the blockade to construct the dam does not target India, and relevant countries should not read too much into the move.

    It is understandable that India is sensitive to China’s water exploitation on the Brahmaputra as a downstream country, but China is unlikely to use the waters of the river as a potential weapon. China is the source of several trans-boundary rivers including the Lancang-Mekong River, which runs through China, Myanmar, Laos, Thailand, Cambodia and Vietnam. If China blocked the Brahmaputra for political reasons, such a move would cause panic among the five Southeast Asian nations and therefore damage China’s relationship with them.

    There are cooperation mechanisms for China and the five Southeast Asian countries that can help coordinate sustainable use of water resources in the Lancang-Mekong River and share information.

    We believe that China is willing to borrow from the experience of this mechanism when it comes to promoting cooperation among the Brahmaputra’s three major riparian countries. This will be the most effective solution to the water dispute between China and India.

    Realistically, people may need to make efforts to persuade India, rather than China, to accept a multilateral cooperation mechanism involving all of the Brahmaputra’s riparian countries.

    In recent years, India has been making increasing efforts to exploit the Brahmaputra River through various forms, in a bid to develop the river’s water resources. Some efforts may have harmed the interests of downstream Bangladesh, but the lack of bargaining power for Bangladesh, whose economy is highly dependent on India, has resulted in limited public attention. India may feel reluctant to establish a cooperation mechanism among the Brahmaputra’s riparian countries because such a mechanism is likely restrain India from moves that might hurt Bangladesh’s interests.

    The author is a reporter with the Global Times. bizopinion@globaltimes.com.cn

  12. মাসুদ করিম - ১০ অক্টোবর ২০১৬ (৬:৫০ অপরাহ্ণ)

    Press Release: The Prize in Economic Sciences 2016

    10 October 2016

    The Royal Swedish Academy of Sciences has decided to award the Sveriges Riksbank Prize in Economic Sciences in Memory of Alfred Nobel 2016 to

    Oliver Hart
    Harvard University, Cambridge, MA, USA

    and

    Bengt Holmström
    Massachusetts Institute of Technology, Cambridge, MA, USA

    “for their contributions to contract theory”

    The long and the short of contracts

    Modern economies are held together by innumerable contracts. The new theoretical tools created by Hart and Holmström are valuable to the understanding of real-life contracts and institutions, as well as potential pitfalls in contract design.

    Society’s many contractual relationships include those between shareholders and top executive management, an insurance company and car owners, or a public authority and its suppliers. As such relationships typically entail conflicts of interest, contracts must be properly designed to ensure that the parties take mutually beneficial decisions. This year’s laureates have developed contract theory, a comprehensive framework for analysing many diverse issues in contractual design, like performance-based pay for top executives, deductibles and co-pays in insurance, and the privatisation of public-sector activities.

    In the late 1970s, Bengt Holmström demonstrated how a principal (e.g., a company’s shareholders) should design an optimal contract for an agent (the company’s CEO), whose action is partly unobserved by the principal. Holmström’s informativeness principle stated precisely how this contract should link the agent’s pay to performance-relevant information. Using the basic principal-agent model, he showed how the optimal contract carefully weighs risks against incentives. In later work, Holmström generalised these results to more realistic settings, namely: when employees are not only rewarded with pay, but also with potential promotion; when agents expend effort on many tasks, while principals observe only some dimensions of performance; and when individual members of a team can free-ride on the efforts of others.

    In the mid-1980s, Oliver Hart made fundamental contri-butions to a new branch of contract theory that deals with the important case of incomplete contracts. Because it is impossible for a contract to specify every eventuality, this branch of the theory spells out optimal allocations of control rights: which party to the contract should be entitled to make decisions in which circumstances? Hart’s findings on incomplete contracts have shed new light on the ownership and control of businesses and have had a vast impact on several fields of economics, as well as political science and law. His research provides us with new theoretical tools for studying questions such as which kinds of companies should merge, the proper mix of debt and equity financing, and when institutions such as schools or prisons ought to be privately or publicly owned.

    Through their initial contributions, Hart and Holmström launched contract theory as a fertile field of basic research. Over the last few decades, they have also explored many of its applications. Their analysis of optimal contractual arrangements lays an intellectual foundation for designing policies and institutions in many areas, from bankruptcy legislation to political constitutions.

  13. মাসুদ করিম - ১০ অক্টোবর ২০১৬ (৬:৫৯ অপরাহ্ণ)

    পোলিশ চিত্রনির্মাতা আন্দ্রেই ভাইদার মৃত্যু

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে টালমাটাল পোল‌্যাণ্ড আর কমিউনিস্ট পটভূমিতে নির্মিত ক‌্যানেল ও কাতিনের মত চলচ্চিত্রের নির্মাতা আন্দ্রেই ভাইদা আর নেই।

    বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অস্কারজয়ী এই পোলিশ চলচ্চিত্র পরিচালকের মৃত‌্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

    চলচ্চিত্র অঙ্গণে ছয় দশকের ক‌্যারিয়ারে ৪০টির বেশি কাহিনী-চিত্র নির্মাণ করেছেন ভাইদা। বিশ্ব চলচ্চিত্রে অবদানের জন‌্য ২০০০ সালে তাকে সম্মানসূচক অস্কার দেওয়া হয়।

    ১৯২৬ সালের উত্তর-পশ্চিম পোল্যান্ডের সুভালকিতে ভাইদার জন্ম। ১৯৪০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে পোলিশ সামরিক অফিসারদের বিদ্রোহের পর কাতিন গণহত্যায় তার বাবাও নিহত হন।

    বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভাইদা একসময় সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৩৯ সালে মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে তার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়।

    ভাইদা পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যোগ দেন পোলিশ রেজিসট্যান্সে। যুদ্ধের পর চিত্রশিল্প নিয়ে পড়াশোনা করেন, এরপর পোল‌্যান্ডের বিখ‌্যাত লজ ফিল্ম স্কুলে সেলুলয়েডের দীক্ষা নেন।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওয়ারশ শহরে জার্মান আগ্রাসন নিয়ে ১৯৫৫ সালে ওয়াজদা নির্মাণ করেন তার প্রথম কাহিনী-চিত্র ‘এ জেনারেশন’। যুদ্ধকালীন পোল্যান্ডের জীবন নিয়ে এরপর তিনি নির্মাণ করেন তার বিখ্যাত ট্রিলজি ক‌্যানেল, অ্যাশেজ ও ডায়মন্ড।

    জার্মান নাৎসি বাহিনীর হাত থেকে ওয়ারশ শহরকে দখলমুক্ত করতে ১৯৪৪ সালে পোলিশ বাহিনীর লড়াইয়ের পটভূমিতে নির্মিত ক‌্যানেল ১৯৫৭ সালে কান উৎসবে জুরি পুরস্কার পেলে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে ভাইদার নাম।

    ম্যান অব মার্বেল, ম্যান অব আয়রনের মত ভাইদার অধিকাংশ চলচ্চিত্রের মূল উপজীব‌্য যুদ্ধ আর যুদ্ধোত্তর পোল্যান্ডের টালমাটাল রাজনীতি। এসব সিনেমার যুদ্ধের গল্প পছন্দ না হওয়ায় পোল্যান্ডের কমিউনিস্ট শাসকদের রোষের মুখেও পড়তে হয় তাকে।

    কাতিনে গণহত্যা নিয়ে ‘কাতিন’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে ভাইদাকে ১৯৮৯ সালে পোল্যান্ডে কমিউনিস্ট শাসনের অবসান পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ২০০৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, নিজের জীবদ্দশায় ‘মুক্ত পোল‌্যান্ড’ দেখে যেতে পারবেন, তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি।

    ভাইদা তার শেষ চলচ্চিত্র পোভিদকি নির্মাণ করেছেন পোলিশ চিত্রকর ভাতিস্লাভ স্ট্রেমিনস্কির জীবনী নিয়ে, যাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্ট্যালিনের আমলে ভুগতে হয়েছিল।

    ভাইদা বলেছিলেন, শিল্পে ‘রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের’ ব্যাপারে সতর্ক করতে এ চলচ্চিত্রটি তিনি নির্মাণ করেন।

    পোভিদকি ২০১৭ সালের অস্কারে বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র ক‌্যাটাগরিতে লড়বে। আর ভাইদার ম্যান অব আয়রন ১৯৮১ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে জিতেছিল সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার।

    সিনেমা বানানো প্রসঙ্গে ভাইদা এক সময় বলেছিলেন, “সৃষ্টিকর্তা পরিচালকদের দুটো চোখ দিয়েছেন এক চোখ ক্যামেরায় রাখতে এবং অন‌্য চোখে নিজের চারপাশে নজর দেওয়ার জন‌্য।”

    পোল্যান্ডে কমিউনিস্ট শাসনের অবসানের পর ১৯৯০ সালে প্রথম স্বাধীন নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনের পর ভাইদা দুই বছর পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে সিনেটরের দায়িত্ব পালন করেন।

  14. মাসুদ করিম - ১৪ অক্টোবর ২০১৬ (৭:৩৩ অপরাহ্ণ)

    Press Release
    13 October 2016

    The Nobel Prize in Literature 2016
    Bob Dylan

    The Nobel Prize in Literature for 2016 is awarded to Bob Dylan

    “for having created new poetic expressions within the great American song tradition”.

    Biobibliographical Notes

    Bob Dylan was born on May 24, 1941 in Duluth, Minnesota. He grew up in a Jewish middle-class family in the city of Hibbing. As a teenager he played in various bands and with time his interest in music deepened, with a particular passion for American folk music and blues. One of his idols was the folk singer Woody Guthrie. He was also influenced by the early authors of the Beat Generation, as well as by modernist poets.

    Dylan moved to New York City in 1961 and began to perform in clubs and cafés in Greenwich Village. He met the record producer John Hammond with whom he signed a contract for his debut album, Bob Dylan (1962). In the following years he recorded a number of albums which have had a tremendous impact on popular music: Bringing It All Back Home and Highway 61 Revisited in 1965, Blonde On Blonde in 1966 and Blood On The Tracks in 1975. His productivity continued in the following decades, resulting in masterpieces like Oh Mercy (1989), Time Out Of Mind (1997) and Modern Times (2006).

    Dylan’s tours in 1965 and 1966 attracted a lot of attention. For a period he was accompanied by film maker D. A. Pennebaker, who documented life around the stage in what would come to be the movie Dont Look Back (1967). Dylan has recorded a large number of albums revolving around topics such as: the social conditions of man, religion, politics and love. The lyrics have continuously been published in new editions, under the title Lyrics. As an artist, he is strikingly versatile; he has been active as painter, actor and scriptwriter.

    Besides his large production of albums, Dylan has published experimental work like Tarantula (1971) and the collection Writings and Drawings (1973). He has written an autobiography, Chronicles (2004), which depicts memories from the early years in New York and which provides glimpses of his life at the center of popular culture. Since the late 1980s, Bob Dylan has toured persistently, an undertaking called the “Never-Ending Tour”. Dylan has the status of an icon. His influence on contemporary music is profound, and he is the object of a steady stream of secondary literature.
    Bibliography – a selection

    Works in English

    Bob Dylan Song Book. – New York : M. Witmark, 1965

    Bob Dylan Himself : His Words, His Music. – London : Duchess, 1965

    Bob Dylan : A Collection. – New York : M. Witmark, 1966

    Bob Dylan : The Original. – Warner Bros.- Seven Arts Music, 1968

    Tarantula. – New York : Macmillan, 1971

    Poem to Joanie / with an introduction by A. J. Weberman. – London : Aloes Seola, 1971

    Writings and Drawings. – New York : Knopf, 1973

    The Songs of Bob Dylan : From 1966 through 1975. – New York : Knopf, 1976

    Lyrics, 1962-1985. – New York : Knopf, 1985

    Bob Dylan Anthology. – New York : Amsco, 1990

    Drawn Blank. – New York : Random House, 1994

    Lyrics, 1962-1996. – New York : Villard, 1997

    Lyrics, 1962-1999. – New York : Knopf, 1999

    Man Gave Names to All the Animals / illustrated by Scott Menchin. – San Diego, Calif. : Harcourt Brace, 1999

    The Definitive Bob Dylan Songbook. – New York : Amsco, 2001

    Lyrics : 1962-2001. – New York : Simon & Schuster, 2004

    Chronicles : Volume One. – New York : Simon & Schuster, 2004

    Bob Dylan : The Drawn Blank Series / edited by Ingrid Mössinger and Kerstin Drechsel. – New York : Prestel, 2007

    Hollywood Foto-Rhetoric : The Lost Manuscript / photographs by Barry Feinstein. – New York : Simon & Schuster, 2008

    Lyrics / edited by Heinrich Detering. – Stuttgart : Reclam, 2008

    Forever Young / illustrated by Paul Rogers. – New York : Atheneum, 2008

    Bob Dylan : The Brazil Series. – New York : Prestel, 2010

    Man Gave Names to All the Animals / illustrated by Jim Arnosky. – New York : Sterling, 2010

    Blowin’ in The Wind / illustrated by Jon J. Muth. – New York : Sterling, 2011

    Bob Dylan : The Asia Series. – New York : Gagosian Gallery, 2011

    Revisionist Art. – New York : Gagosian Gallery, 2012

    Bob Dylan : Face Value / text by John Elderfield. – London : National Portrait Gallery, 2013

    If Dogs Run Free / illustrated by Scott Campbell. – New York : Atheneum, 2013

    The Lyrics : Since 1962 / edited by Christopher Ricks, Lisa Nemrow and Julie Nemrow. – New York : Simon & Schuster, 2014

    If Not for You / illustrated by David Walker . – New York : Atheneum, 2016

    Albums

    Bob Dylan (1962)
    The Freewheelin’ Bob Dylan (1963)
    The Times They Are A-Changin’ (1964)
    Another Side Of Bob Dylan (1964)
    Bringing It All Back Home (1965)
    Highway 61 Revisited (1965)
    Blonde On Blonde (1966)
    Bob Dylan’s Greatest Hits (1967)
    John Wesley Harding (1968)
    Nashville Skyline (1969)
    Self Portrait (1970)
    New Morning (1970)
    Bob Dylan’s Greatest Hits Vol. 2 (1971)
    Pat Garrett & Billy The Kid (1973)
    Dylan (1973)
    Planet Waves (1974)
    Before The Flood (1974)
    Blood On The Tracks (1975)
    The Basement Tapes (1975)
    Desire (1976)
    Hard Rain (1976)
    Street Legal (1978)
    Bob Dylan At Budokan (1978)
    Slow Train Coming (1979)
    Saved (1980)
    Shot Of Love (1981)
    Infidels (1983)
    Real Live (1984)
    Empire Burlesque (1985)
    Biograph (1985)
    Knocked Out Loaded (1986)
    Down In The Groove (1988)
    Dylan & The Dead (1989)
    Oh Mercy (1989)
    Under The Red Sky (1990)
    The Bootleg Series Vols. 1-3: Rare And Unreleased 1961-1991 (1991)
    Good As I Been to You (1992)
    World Gone Wrong (1993)
    Bob Dylan’s Greatest Hits Vol. 3 (1994)
    MTV Unplugged (1995)
    The Best Of Bob Dylan (1997)
    The Songs Of Jimmie Rodgers: A Tribute (1997)
    Time Out Of Mind (1997)
    The Bootleg Series, Vol. 4: Bob Dylan Live 1966: The ’Royal Albert Hall’ Concert (1998)
    The Essential Bob Dylan (2000)
    ”Love And Theft” (2001)
    The Bootleg Series, Vol. 5: Live 1975: The Rolling Thunder Revue (2002)
    Masked And Anonymous: The Soundtrack (2003)
    Gotta Serve Somebody: The Gospel Songs Of Bob Dylan (2003)
    The Bootleg Series, Vol. 6: Live 1964: Concert At Philharmonic Hall (2004)
    The Bootleg Series, Vol. 7: No Direction Home: The Soundtrack (2005)
    Live At The Gaslight 1962 (2005)
    Live At Carnegie Hall 1963 (2005)
    Modern Times (2006)
    The Traveling Wilburys Collection (2007)
    The Bootleg Series, Vol. 8: Tell Tale Signs: Rare And Unreleased, 1989-2006 (2008)
    Together Through Life (2009)
    Christmas In The Heart (2009)
    The Original Mono Recordings (2010)
    The Bootleg Series, Vol. 9: The Witmark Demos: 1962-1964 (2010)
    Good Rockin’ Tonight: The Legacy Of Sun (2011)
    Timeless (2011)
    Tempest (2012)
    The Lost Notebooks Of Hank Williams (2011)
    The Bootleg Series, Vol. 10: Another Self Portrait (2013)
    The Bootleg Series, Vol. 11: The Basement Tapes Complete (2014)
    The Bootleg Series, Vol. 12: The Cutting Edge 1965-1966 (2015)
    Shadows In The Night (2015)
    Fallen Angels (2016)

    Films

    Dont Look Back / D. A. Pennebaker, 1967
    Eat the Document / D. A. Pennebaker, Howard Alk, Bob Dylan, 1971
    Pat Garrett & Billy The Kid / Sam Peckinpah, 1973
    Renaldo & Clara / Bob Dylan, 1978
    The Last Waltz / Martin Scorsese, 1978
    Hard to Handle / Gillian Armstrong, 1986
    Hearts of Fire / Richard Marquand, 1987
    Masked and Anonymous / Larry Charles ; written by Bob Dylan and Larry Charles, 2003
    No Direction Home / Martin Scorsese, 2005
    I’m Not There / Todd Haynes, 2007
    The Other Side of the Mirror : Bob Dylan Live at the Newport Folk Festival, 1963-1965. / Murray Lerner, 2007

    Works in French

    Tarantula / traduit de l’anglais par Dashiell Hedayat. – Paris : C. Bourgois, 1972. – Traduction de: Tarantula

    Écrits et dessins : “mars 1962-décembre 1970” / traduit de l’anglais par Robert Louit et Didier Pemerle. – Paris : Seghers, 1975. – Traduction de: Writings and Drawings

    Tarantula / traduit de l’anglais par Daniel Bismuth. – Paris : Hachette, 2001. – Traduction de: Tarantula

    Chroniques : volume I / traduit de l’anglais par Jean-Luc Piningre. – Paris : Fayard, 2005. – Traduction de: Chronicles : Volume One

    Lyrics : chansons, 1962-2001 / traduit de l’anglais par Robert Louit et Didier Pemerle. – Paris : Fayard, 2008. – Traduction de: Lyrics, 1962-2001

    Works in Spanish

    Canciones / selección, traducción y prólogo de Eduardo Chamorro. – Madrid : Alberto Corazón, 1971

    George Jackson y otras canciones / selección y traducción Antonio Resines. – Madrid : Alberto Corazón, 1972

    Escritos, canciones y dibujos / traducción de Carlos Álvarez. – Madrid : R. Aguilera, 1975. – Título original: Writings and Drawings

    Tarántula / traducción de Horacio Quinto. – Barcelona : Producciones Editoriales, 1976. – Título original: Tarantula

    Canciones I / traducción de Carlos Álvarez. – Madrid : Fundamentos, 1984

    Canciones II / traducción de Carlos Álvarez. – Madrid : Fundamentos, 1985

    Bob Dylan : Greatest hits volume 3 : Unplugged / traducción de Alberto Manzano. – Madrid : Celeste, 1993

    Tarántula / traducción de Ignacio Renom. – Madrid : Júcar, 1996. – Título original: Tarantula

    Del huracán a las tierras altas : escritos y canciones, 1975-1997 / traducción de Antonio J. Iriarte y Francisco J. García Cubero. – Valencia : Mirada, 1999

    Crónicas / traducción de Miquel Izquierdo. – Barcelona : Global Rhythm, 2005. – Título original: Chronicles : Volume One

    Tarántula / traducción de Alberto Manzano. – Barcelona : Global Rhythm, 2007. – Título original: Tarantula

    Bob Dylan : letras, 1962-2001 / traducción de Miquel Izquierdo y José Moreno. – Madrid : Global Rhythm : Alfaguara, 2007. – Título original: Lyrics : 1962-2001

    Fotorretórica de Hollywood : el manuscrito perdido / fotografías de Barry Feinstein ; traducción de Miquel Izquierdo. – Barcelona : Global Rhythm, 2009. – Título original: Hollywood Foto-Rhetoric

    Works in Swedish

    Bob Dylan / översättning av Bruno K. Öijer och Eric Fylkeson ; illustrationer av Leif Elggren. – Stockholm : Poesiförlaget i samarbete med Cavefors, 1975

    Tarantula / översättning av Görgen Antonsson. – Borås : Galder, 1981. – Originalets titel: Tarantula

    Tarantula / översättning av Görgen Antonsson ; efterord av Peter Glas ; afterword by Peter Glas. – Lund : Bakhåll, 1999. – Originalets titel: Tarantula

    Memoarer. D. 1 / översättning av Mats Gellerfelt. – Stockholm : Prisma, 2004. – Originalets titel: Chronicles : Volume One

    Works in German

    Texte und Zeichnungen / übersetzt von Carl Weissner. – Frankfurt am Main : Zweitausendeins, 1975. – Originaltitel: Writings and Drawings

    Tarantel = Tarantula / übersetzt von Carl Weissner. – Frankfurt am Main : Zweitausendeins, 1976. – Originaltitel: Tarantula

    Songtexte : 1962-1985 / übersetzt von Carl Weissner und Walter Hartmann. – Frankfurt am Main : Zweitausendeins, 1987. – Originaltitel: Lyrics 1962-1985

    Tarantel / übersetzt von Carl Weissner ; herausgegeben von Wolfgang Smejkal. – St. Andrä-Wördern : Hannibal, 1995. – Originaltitel: Tarantula

    Lyrics : 1962-2001 / übersetzt von Gisbert Haefs. – Hamburg : Hoffmann und Campe, 2004. – Originaltitel: Lyrics : 1962 – 2001

    Chronicles. Vol. 1 / übersetzt von Kathrin Passig und Gerhard Henschel. – Hamburg : Hoffmann und Campe, 2004. – Originaltitel: Chronicles : Volume One

    Lyrics / herausgegeben von Heinrich Detering. – Stuttgart : Reclam, 2008

    Further reading

    All Across the Telegraph : A Bob Dylan Handbook / edited by Michael Gray and John Bauldie. – London : Sidgwick & Jackson, 1987

    Baez, Joan, And a Voice to Sing With : A Memoir. – New York : Summit, 1987

    Bauldie, John, Wanted Man : In Search of Bob Dylan. – London : Black Spring Press, 1990

    Bob Dylan : Dont Look Back : A Film and Book by D. A. Pennebaker. – New York : Ballantine, 1968

    Bob Dylan : ein Kongreß ; Ergebnisse des Internationalen Bob Dylan-Kongresses 2006 in Frankfurt am Main / herausgegeben von Axel Honneth … – Frankfurt am Main : Suhrkamp, 2007

    Bob Dylan : A Retrospective / edited by Craig MacGregor. – New York : William Morrow, 1972

    The Bob Dylan Companion: Four Decades of Commentary / edited by Carl Benson. – New York : Schirmer, 1998

    Bob Dylan In His Own Words / compiled by Barry Miles ; edited by Pearce Marchbanks. – New York : Quick Fox, 1978

    Braad Thomsen, Christian & Schnack, Asger, Bob Dylan : en guide til hans plader. – København : Høst & Søn, 1998

    Bream, Jon, Dylan Disc by Disc. / introductions to the albums and liner notes by Richie Unterberger. – Minneapolis : Voyageur Press, 2015

    The Cambridge Companion to Bob Dylan / edited by Kevin J. H. Dettmar. – Cambridge : Cambridge University Press, 2009

    Dalton, David, Det är inte mig ni söker : jakten på Bob Dylan / översättning av Christian Ekvall. – Västerås : Ica, 2013. Orig. titel: Who Is That Man?

    Detering, Heinrich, Bob Dylan / översättning av Jim Jakobsson. – Göteborg : Daidalos, 2008

    Detering, Heinrich, Die Stimmen aus der Unterwelt : Bob Dylans Mysterienspiele. – München : Beck, 2016

    Do You Mr Jones? : Bob Dylan with the Poets and Professors / edited by Neil Corcoran. – London : Chatto & Windus, 2002

    Dylan, Bob, Younger Than That Now : The Collected Interviews with Bob Dylan. – New York : Thunder’s Mouth Press, 2004

    Dylan on Dylan : The Essential Interviews / edited by Jonathan Cott. – London : Hodder & Stoughton, 2006

    Dylan par Dylan : interviews 1962-2004 / édition établie par Jonathan Cott ; traduit de l’anglais par Denis Griesmar. – Paris : Bartillat, 2007. – Traduction de: Bob Dylan : The Essential Interviews

    Dylan sobre Dylan : 31 entrevistas memorables / edición a cargo de Jonathan Cott ; traducción de Miquel Izquierdo. – Barcelona : Global Rhythm, 2008. – Traducción de: Dylan on Dylan : The Essential Interviews

    Gray, Michael, The Bob Dylan Encyclopedia. – New York : Continuum, 2006 ; updated and revised version, 2008

    Gray, Michael, Song and Dance Man III : The Art of Bob Dylan. – London : Cassell, 2000 [Revised version of: Song & Dance Man : The Art of Bob Dylan. – London : Hart-Davis, MacGibbon, 1972]

    Harvey, Todd, The Formative Dylan : Transmission and Stylistic Influences 1961-1963. – Lanham, Md. : Scarecrow Press, 2001

    Havers, Franz W., Bob Dylans surrealistische Songpoesie ; Thesis. – Frankfurt am Main : P. Lang, 1986

    Heylin, Clinton, Behind the Shades Revisited. – New York : William Morrow, 2001

    Heylin, Clinton, Bob Dylan : Behind the Shades : A Biography. – New York : Summit, 1991

    Heylin, Clinton, Bob Dylan : A Life in Stolen Moments : Day by Day 1941-1995. – New York : Schirmer, 1996

    Heylin, Clinton, Bob Dylan : The Recording Sessions 1960-1994. – New York : St. Martin’s Press, 1995

    Heylin, Clinton, Dylan : Mannen, myten, musiken : En biografi / översättning av Håkan Olsson. – Lund : Wiken, 1993. – Originaltitel : Dylan : Behind the Shades

    Heylin, Clinton, Revolution in the Air : The Songs of Bob Dylan 1957-1973. – Chicago IL. : Chicago Review Press, 2009

    Heylin, Clinton, Still on the Road : The Songs of Bob Dylan 1974-2006. – Chicago, IL. : Chicago Review Press, 2010

    Holmgren, Ola, Stickspår : Åtta skäl varför Bob Dylan borde tilldelas Nobelpriset i litteratur. – Stockholm : Carlsson, 2016

    Holmquist, Göran, Bob Dylan på svenska : Bob Dylans betydelse för svensk musik & litteratur : en studie. – Gammelstad : Hjärnstorm, 1982

    Holmquist, Göran, Visa oss vinden! : Bob Dylan i Sverige. – Stockholm : Premium, 2002

    Jacobsson, Mats, Dylan i 60-talet : tematiken i Bob Dylans sångtexter och dikter 1961-67. – Lund : Ellerström, 2004

    Jørgensen, Karsten, Bob Dylan lexikon / översättning av Thomas Nydahl. – Kristianstad : Accent, 2003. – Originaltitel: Bob Dylan leksikon

    Marcus, Greil, Invisible Republic : Bob Dylan’s Basement Tapes. – New York : H. Holt & Co, 1997

    Marcus, Greil, Like a Rolling Stone : Bob Dylan at the Crossroads. – London : Faber & Faber, 2006

    Margotin, Philippe & Jean-Michel Guesdon, Bob Dylan : la totale : les 492 chansons expliquées. – Vanves : Chêne, 2015

    Marshall, Lee, Bob Dylan : The Never Ending Star. – Cambridge : Polity, 2007

    Medcalf, Lawrence Donald, The Rhetoric of Bob Dylan, 1963-1966 ; Thesis. – Indiana University, 1978

    Myhr, Petter Fiskum, Bob Dylan : jeg er en annan. – Oslo : Historie & Kultur, 2011

    Refractions of Bob Dylan : Cultural Appropriations of an American Icon / edited by Eugen Banauch. – Manchester : Manchester University Press, 2015

    Rem, Håvard, Bob Dylan. – Oslo : Gyldendal, 1999

    Ricks, Christopher B., Dylan’s Visions of Sin. – London : Viking, 2003

    Santelli, Robert, The Bob Dylan Scrapbook : 1956-1966. – New York : Simon & Schuster, 2005

    Scaduto, Anthony, Bob Dylan. – New York : Grosset & Dunlap, 1971

    Schmidt, Mathias R., Bob Dylans message songs der Sechziger Jahre und die anglo-amerikanische Tradition des sozialkritischen Liedes ; Thesis. – Frankfurt am Main : P. Lang, 1982

    Scobie, Stephen, Alias Bob Dylan. – Red Deer, Alta. : Red Deer College Press, 1991

    Scobie, Stephen, Alias Bob Dylan revisited. – Calgary : Red Deer Press, 2003

    Shelton, Robert, No Direction Home : The Life and Music of Bob Dylan. – New York : Beech Tree, 1986 ; revised edition: Milwaukee : Backbeat, 2011

    Snow, Craig R., Folksinger and Beat Poet : The Prophetic Vision of Bob Dylan ; Thesis. – Purdue University, 1987

    Sounes, Howard, Down the Highway : The Life of Bob Dylan.– New York : Grove Press, 2001 ; updated edition 2011
    Sounes, Howard, Dylan, Dylan, Dylan : biografin / översättning av Hans Björkegren. – Stockholm : Norstedt, 2001. – Orig. titel: Down the Highway : The Life of Bob Dylan

    Spitz, Bob, Dylan : A Biography. – New York : McGraw-Hill, 1989

    Tang, Jesper, Bob Dylan smiler!.– København : Borgen, 1972

    Taylor, Jeff & Israelson, Chad, The Political World of Bob Dylan : Freedom and Justice, Power and Sin. – New York : Palgrave Macmillan, 2015

    Trager, Oliver, Keys to the Rain : The Definitive Bob Dylan Encyclopedia. – New York : Billboard, 2004

    Wilentz, Sean, Bob Dylan in America. – New York : Doubleday, 2010

    Williams, Paul, Performing Artist : The Music of Bob Dylan. – Novato, Calif. : Underwood-Miller, 1990

    Williams, Paul, Performing Artist 1960-1973 : The Early Years. – Novato, Calif. : Underwood-Miller, 1991

    Williams, Paul, Performing Artist 1974-1986 : The Middle Years. – Novato, Calif. : Underwood-Miller, 1992

    Williams, Paul, Performing Artist 1986-1990 & Beyond : Mind Out Of Time. – London : Omnibus, 2004

    Wissolik, Richard David, McGrath, Scott & Colaianne, A. J., Bob Dylan’s Words : A Critical Dictionary and Commentary. – Greensburg, PA : Eadmer Press, 1994

    Yaffe, David, Bob Dylan : Like a Complete Unknown. – London : Yale University Press, 2011

    Young, Izzy, The Conscience of the Folk Revival : The Writings of Israel ”Izzy” Young / edited by Scott Barretta. – Lanham, Md. : Scarecrow Press, 2013

  15. মাসুদ করিম - ১৫ অক্টোবর ২০১৬ (৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ)

    ‘Bangladesh is no longer an exporter of terrorism’

    Prime Minister Sheikh Hasina on why Bangladesh pulled out of the SAARC summit, bilateral ties with India, and tensions with Pakistan.

    In a rare interview, Bangladesh’s Prime Minister Sheikh Hasina, who has been accused of wielding a heavy hand on her opposition, the media, and terror suspects, speaks for the first time about Bangladesh’s troubled ties with Pakistan, and pulling out from the SAARC summit. Ahead of her visit to India this weekend for the BIMSTEC summit, Ms. Hasina counselled India and Pakistan to maintain the sanctity of the Line of Control.

    Excerpts:

    Bangladesh was a founder of SAARC in the 1980s, but it has also been one of the first countries to pull out of the summit in Pakistan this year. Is this the end of SAARC?

    No, as we said in our official statement on pulling out, we consider that the environment prevailing in the SAARC region at this particular time is not conducive to hold the SAARC summit. Bangladesh has certain sensitivities over the International Crimes Tribunal [ICT of Bangladesh], where Pakistan showed its dissatisfaction with our processes and even raised the issue in their parliament. They started interfering in our internal affairs by making unacceptable remarks. We felt hurt by this, as this is an internal matter for us, we are trying war criminals in our country, and it isn’t their concern. There is a lot of pressure on me to cut off all diplomatic ties with Pakistan for their behaviour. But I have said the relations will remain, and we will have to resolve our problems. The fact is, we won our liberation war from Pakistan, and they were a defeated force. We won the war and freed the country from them, and it is expected that they won’t take it so well.

    Wasn’t terror emanating from Pakistan the main issue for you? The fact that Bangladesh, Bhutan, Afghanistan and India pulled out of SAARC at the same time after the Uri attack seemed coordinated, to isolate Pakistan.

    It was over the situation in Pakistan that we decided to pull out. The common people are the biggest sufferers of terrorism there. And that terror has gone everywhere, which is why many of us felt frustrated by Pakistan. India and Pakistan also have their bilateral problems, and I don’t want to comment about that. India pulled out because of the [Uri attack], but for Bangladesh the reason is totally different.

    Did you support India’s decision to launch a cross-LoC strike into Pakistan-occupied Kashmir in order to kill terrorists on the other side?

    Well, I do feel that both the countries should maintain the sanctity of the LoC and that can bring peace.

    But do you support the principle? Last year the government had also announced that they had crossed over the border to Myanmar in pursuit of terrorists. Would you support a similar action with Bangladesh?

    I think you should ask these questions to your government and your Prime Minister. I do believe these boundaries, this LoC must be maintained.

    I ask because since you took over as Prime Minister in 2009, the single most important driver in Bangladesh-India ties has been your government’s crackdown on terrorism: shutting down terror camps, handing over more than 20 most wanted. What does that terror cooperation mean today?

    Look, I believe that terror should not be allowed to take root in Bangladesh. Whether it is with India, or Myanmar, who we share a border with… Since 2008, the steps we have taken, you can see the results. Along our borders there used to be daily incidents of violence, bomb blasts, terror, and we have controlled that. we will not allow any group to use our soil to launch a terror attack against any other country. Bangladesh is no longer an exporter of terrorism, nor is it a silk route for arms smuggling as it once was.

    How has the Holey Artisan Bakery terror strike this year changed your war on terror?

    Terror is now a global problem, and I’m trying to take some different steps to fight it. I am reaching out to teachers in schools and colleges to spread awareness about it. Next I’m telling parents to watch where their children go, whom they meet. We are asking clerics in mosques and madrassas to teach that Islam is a religion of peace, and ensure that none speak of violence. With awareness and a social movement against extremism, we can prevent our children from becoming terrorists.

    You spoke to the Hindu community here at the Dhakeshwari temple a few days ago about zero tolerance. Why did it take so long to act, given that many of the fundamentalist groups you are targeting now had earlier killed so many Hindus and so many bloggers?

    That’s not true. Bangladesh has been the first mover against terror activities. Investigations take time, not just here, but in all countries. But it is not fair to say we have been slow to react to these killings.

    Human rights groups say law enforcement agencies are going overboard in this war on terror with custodial killings and disappearances, “kneecapping” terror suspects…

    It is very unfortunate that human rights agencies are more vocal for the rights of the criminals than they are for the rights of the victims. What is happening in America? When they have an attack on their schools or anywhere, what do law enforcement agencies there do? Don’t they kill the attackers and rescue people? Should our law enforcement agencies not kill terrorists who attack them?

    After the Holey Artisan attack, your government said the groups involved were local and not with the Islamic State (IS). But given that the IS claimed it, the main suspect was trained by it, how do you respond to the charge that you are in denial?

    Maybe some of them are attracted to IS, but IS doesn’t have a base here as an organisation. If anyone has any evidence of IS camps here, they should give us that evidence. We have identified the attackers, we know where they are from, and they are local.

    There have been calls from around the world to stop the hangings of people charged with collaboration during the war of liberation from Pakistan at the ICT. Have these hangings 45 years later brought any sense of closure for Bangladesh?

    Of course they have. After what happened in 1971 — they massacred civilians, raped more than 2,00,000 women, burnt village after village — it was a national demand from those who suffered at that time that these people must be tried.

    You’re saying this is the people’s demand. Yet elected Jamaat leaders have been hanged or are in jail, many opposition Bangladesh Nationalist Party (BNP) office-bearers are under arrest or have gone abroad to escape prosecution. Aren’t you confusing the war crimes trials with your own political rivalries?

    No, it isn’t about my political rivalries. If you believe in freedom, in an independent country, how can you support these anti-liberation leaders? The BNP has patronised the war criminals. The cases against BNP leaders are different, and relate to corruption or crimes committed by them. So if these leaders are not guilty, they should face the trial and not try and flee the country. When I was in opposition, they filed a dozen false cases against me too.

    The BNP not only boycotted the 2014 elections, they tried to sabotage them. Their workers torched schools that were polling booths, attacked electoral officers, destroyed buses and trains. In 2015, too they held the country to ransom for three months with their terror activities, killed more than 250 people. So they must face the law. These aren’t political cases, these are criminal cases. When I was in opposition they filed a dozen false cases against me too.

    You brought back democracy to Bangladesh in 1996, yet today you preside over a parliament with no opposition in it. Do you think in the next election, you will bring the BNP opposition back into the process?

    As far as the BNP is concerned, they decided to boycott the elections. I telephoned [BNP leader] Begum Khaleda Zia, but she didn’t take my calls. My father promoted her husband Gen Zia and we knew each other from those times. But she speaks in the worst possible way, and even refused my condolence visit for her son’s death by closing the door on me. She has ordered her party workers to protest, to carry out acts of violence. As a human being, what else can I do? It’s her fault, her decision to stay out of elections and I hope she doesn’t make the same mistake next time. But I won’t allow democracy to be jeopardised by her misdeeds.

    Another part of democracy is freedom of the press. Yet the recent arrest of a prominent editor, the new digital laws on defaming the liberation movement, with harsh punishments, send the signal that you are clamping down on the media…

    When I came to power we had only one television channel, now we have 23. Who did this? Who allowed hundreds of newspapers to flourish here? And let me ask, if there is no freedom of the press, how come they have the freedom to write that there is no freedom? We arrested the editor (magazine editor Shafik Rahman, who was arrested for sedition) for other crimes. If he has acted against the country, he must face trial. Otherwise Bangladesh has so many editors, how many have been arrested?

    Chinese President Xi Jinping is in Bangladesh ahead of his visit to India for the BRICS-BIMSTEC summit which you will also attend, and your ties with China are being watched very closely in India. Despite the opening of ties, why does trade with India lag so far behind trade with China?

    Actually our bilateral trade has improved a lot, especially after India gave us duty free quota free access (2007-08). In the past we bought our food grains from India, but now we are self-sufficient, so that is one reason perhaps for trade being lower. But we have a lot of capital goods, machinery, cotton now coming from India. Our relationship is good and will continue to grow.

    But bilateral trade at 6-7 billion is behind trade with China..

    It depends on the private sector, where they want to buy goods from. Bangladesh has also been quite vocal about the huge trade imbalance between our two countries and removal of trade barriers, which is going on in phases. We also plan for the establishment of Indian SEZs at Mongla and Bheramara that would increase the FDI flow into Bangladesh and narrow the trade gap.

    China is Bangladesh’s biggest trading partner, it is its biggest defence partner, Bangladesh plays a large role in China’s ‘One Belt, One Road’ initiative. Isn’t it a valid concern for India that Bangladesh could become what is known as China’s ‘string of pearls’ in the region?

    You spoke of the good relationship between India and Bangladesh. If that is the sentiment, then how can you make the allegation that Bangladesh is inclining more towards China? No. Our policy is very clear. We have good relations with everyone and we want to maintain that. And I believe connectivity is a very large part of good relations. We have established the BBIN network, and good relations with Bhutan, India and Nepal as a result. We also have the BCIM economic corridor with China, India and Myanmar. So we can all join and improve our trade volumes and that means the economic condition of our people will improve. The purchasing power of our people will increase, and who will be the bigger beneficiary of that in our region? India. India is best poised to benefit from the Bangladeshi market. You should realise that.

    You will visit India for the BRICS- BIMSTEC summit this week, and then hopefully later this year for a bilateral visit. Tell us what you hope to achieve.

    The problem in our region for all of us is almost the same: we have one common enemy and that is poverty, which we must fight to eradicate. With neighbouring countries we may have many problems, but I believe it can always be solved. India and Bangladesh have done it, like we agreed to a Ganges water treaty. As far as BRICS is concerned, we have expectations that BRICS leaders will extend a supporting hand to BIMSTEC with its New Development Bank at affordable terms.

    Will you discuss ways of better border management during your visit, since despite the implementation of the Land Boundary Agreement (LBA), while the enclaves have been settled, other issues remain, like illegal migration and border firing?

    Yes, the LBA was a long-standing problem which we solved after 45 years. So if the big problem has been solved, we can resolve these smaller problems too. As far as border killings are concerned, our border forces on both sides, the BSF [India’s Border Security Force] and the BGB [Border Guard Bangladesh] have agreed to jointly investigate the incidents where BSF personnel have shot and killed innocent Bangladeshi villagers, and the Home Ministers are discussing this. A few dots [problems] may remain, but see what a big, extraordinary example we have set for the world by exchanging our people and land so smoothly.

    The date for your bilateral visit hasn’t been confirmed yet… Is that tied to solving the Teesta water sharing agreement first then?

    No, no, (laughs) it is not conditional on that, even without a state visit, I have come to your country. I had come for the funeral of President Mukherjee’s wife. I rushed as soon as I heard that she passed away, because when I was in exile, in 1975 she did so much for us. During the liberation war India did so much for our people, they took care of our refugees, they helped train our freedom fighters. So when you have such close bonds you don’t think about such protocol. To a neighbour’s house, I can go anytime.

    Do you think BIMSTEC as a grouping will see progress now that SAARC is in abeyance?

    No. SAARC is a south Asian group and is still there. As PM in 1997, I was a founder of BIMSTEC for countries around the Bay of Bengal for economic development. Modiji has been taking this forward and I am grateful to him. But I don’t see one group as a substitute or alternative for another.

  16. মাসুদ করিম - ১৫ অক্টোবর ২০১৬ (৮:৫১ অপরাহ্ণ)

    The Anarchist: Dario Fo, 1926–2016

    Fo’s theatre dealt with none of the ‘weighty’ questions of the human condition, just the laying bare of the insides of the system of exploitation and oppression, with laugh-till-you-cry satire.

    “The worker knows a hundred words and the owner a thousand. That is one reason the owner dominates. Culture is a mode of domination. Without a counterhegemonic culture there can be no revolution.” – Dario Fo

    Dario Fo, the creator of biting farces that exposed the depredations of capitalism, died on the same day that Bob Dylan won the Nobel Prize for literature. This seemed oddly fitting. If Dylan is a singer more than a writer, Fo, in his own estimation, was an actor above all. Along with his comrade, co-actor, collaborator, muse and wife, Franca Rame (who passed away in 2013), Fo created masterpieces for the modern political stage, including Mistero Buffo, The Accidental Death of an Anarchist and Can’t Pay? Won’t Pay!

    Fo and Rame’s theatre was over the top and explosively funny, but with an undercurrent of tragedy. In Mistero Buffo (a one-man show), for example, there is one section where Fo shows us a hungry man who eats his own entrails (among other things). I’ve seen it on YouTube and even though I do not understand Italian, I can’t decide whether to laugh at Fo’s incredible portrayal, his manic energy, his unrivalled use of mimicry, mime, onomatopoeic words, sound effects and gibberish or to cry at the unfolding tragedy or indeed to feel horrified.

    Fo’s theatre shocked the artistic establishment. It tore apart the prudery of society in its use of obscenity and sexuality, especially when performed by a woman. It showed how capitalism, the church and the mafia were interconnected. His theatre was wildly popular. It was dangerous.

    When Mistero Buffo was telecast, the Vatican denounced it as “the most blasphemous show in the history of television.” In 1973, Rame was raped and tortured by a fascist group that was later found to have connections with the Italian police. For about 15 years, the US didn’t allow Fo and Rame to enter the country. At various points, they received death threats, had their theatre attacked, faced censorship and were condemned by the powers that be. But Fo and Rame carried on regardless, performing thousands of times in factory yards, at university protests, in parks and open spaces, prisons and even deconsecrated churches.

    Fo’s theatrical practice emerged from traditions of popular farce. He considered the popular to be subversive in itself. Popular performance traditions from all over the world speak of the same essential themes: hunger, the struggle for survival and human dignity. They poke fun at the powers that be – the priest, the policeman and the landlord. Though he was very much the inheritor of the tradition of communist, proletarian playmaking in the line of Meyerhold, Mayakovsky, Piscator and Brecht, Fo identified most of all with the playwrights of medieval Europe – Shakespeare, of course, but even more with Molière and Ruzzante (who Fo thought had never been given his real due). With these two, Fo’s theatre shared a deep contempt for the refinements of taste and the etiquette of bourgeois theatre. As the Italian communist Antonio Gramsci, who Fo drew a lot from, said, the bourgeois has three hours to kill between dinner and bedtime, so theatre for him is something between a digestive and an aphrodisiac.

    For Fo, theatre was neither of these nor was it an analgesic or a tranquilizer. His theatre dealt with none of the ‘weighty’ questions of the human condition. They did not bemoan the fate of Man left desolate in the arid landscape after the death of God. They did not mine the depths of the human psyche nor did they ponder the impossibility of communication in a world where every person was an isolated atom. His plays have no exalted metaphysical meaning nor do they represent the psychedelic imaginations of a fevered, uber creative, genius artist. There is no subtext to be uncovered nor is there any great meaning to be fathomed in the silences and pauses between words. There is just the laying bare of the insides of the system of exploitation and oppression, the capital-criminal-church complex, with side-splitting, rip-roaring, laugh-till-you-cry satire.

    Fo won the Nobel Prize for literature in 1997. He insisted that the prize belonged in equal measure to Rame. She insisted that wasn’t true and that she was content to be the pedestal under the statue. Coming from a feminist and communist militant, this was an uncharacteristically modest, almost coy statement. But then coyness is by definition performative, served on a delicate porcelain plate for someone else’s consumption. When performed by a woman of Rame’s mettle, coyness became a statement against patriarchy.

    The Nobel Committee needed Fo to give his speech at least three weeks before the ceremony, to allow time for translation. What they received by fax, three days in advance, were a few pages of drawings and doodles, with a word or two written prominently on top. Fo was not being facetious. He had never given a written speech in his life. He was an actor and all his lectures were extemporized and performed. He had an unparalleled command over the techniques of commedia dell’ arte. He had encyclopedic knowledge of the popular traditions of the Italian Renaissance. He was, in other words, a man of immense erudition. What he had sent by fax were his real notes. The lecture was in his head. These were his cue sheets.

    There were fears that Fo might “do a Sartre” on the Nobel committee and reject the prize. He did nothing of the kind. On the contrary, when Rame declared her inability to attend the ceremony because of a pre-existing schedule of performances, he hired a jet to make sure she got to Rome in time for their flight to Stockholm. In his speech, he performed, to great effect, an extract from Ruzzante and followed it up by reciting a poem by Mayakovsky – only to reveal, the following day, that he had improvised the poem on the spot and that even though he had made it up, he believed Mayakovsky would’ve been rather pleased.

    The Nobel citation had called him a “jester.” He was determined to prove them right.

  17. মাসুদ করিম - ১৭ অক্টোবর ২০১৬ (১:১০ অপরাহ্ণ)

    কমরেড অজয় রায় আর নেই

    প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা কমরেড অজয় রায় মারা গেছেন।

    বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম জানান, সোমবার ভোর ৫টার দিকে ধানমন্ডিতে নিজের বাসায় অজয় রায়ের মৃত‌‌্যু হয়।

    সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি অজয় রায় সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চেরও সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন। ৮৮ বছর বয়সী এই বাম নেতা দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক‌্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন।

    মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সিপিবির সঙ্গে ছিলেন অজয় রায়।

    “তার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক জানাচ্ছি।কমিউনিস্ট পার্টি ও মেহনতি মানুষের জন্য নানাভাবে অবদান রেখেছেন তিনি।”

    ওয়ার্কার্স পার্টির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দুই ছেলে-মেয়ে বিদেশে থাকায় কমরেড অজয় রায়ের মরদেহ আপাতত বারডেম হাসপাতালের হিম ঘরে রাখা হচ্ছে।

    বুধবার সকালে সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কফিন রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

    গত শতকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও স্বাধিকার আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখা অজয় রায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সংগঠকের ভূমিকায় ছিলেন। পাশাপাশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ভূমিকা রেখে গেছেন আজীবন।

    ১৯২৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জন্ম নেন অজয় রায়। ভারতের বারানসিতে থাকাকালে স্কুলজীবনেই বাম নেতাদের সংস্পর্শে এসে যুক্ত হন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে।

    আইনজীবী বাবার মৃত‌্যুর পর ১৯৪৪ সালে বাংলাদেশে ফিরে অর্থনীতিতে মাস্টার্স ডিগ্রি নেন অজয়। এরপর কিশোরগঞ্জের বনগ্রামে দাদার বাড়িতে ফিরে কমিউনিস্ট পার্টির কাজে সক্রিয় হন।

    পঞ্চাশের দশকে কমিউনিস্ট নেতা নগেন সরকার, ওয়ালী নেওয়াজ খান, মণি সিংহের সান্নিধ্যে আসেন অজয় রায়। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেসে কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন।

    সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস‌্য রুহিন হোসেন প্রিন্স জানান, ১৯৯৩ সালে কমিউনিস্ট পার্টিতে ভাঙনের পর রূপান্তরিত কমিউনিস্ট পার্টি হয়ে অজয় রায় ও ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান গঠন করেন কমিউনিস্ট কেন্দ্র।

    তবে সে সংগঠনও টেকেনি। ২০১০ সালের পর ‘সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন গড়ে তার নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন দেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম এই পুরোধা ব‌্যক্তি।

    অজয় রায় সংবাদপত্রের কলাম লেখার পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, বিভিন্ন আন্দোলন এবং ভূমি ব‌্যবস্থাপনা নিয়ে বেশ কয়েকটি বই লিখে গেছেন।

  18. মাসুদ করিম - ২২ অক্টোবর ২০১৬ (৩:২৬ অপরাহ্ণ)

    The 10 worst countries in the world to be a young person are all in sub-Saharan Africa

    Sub-Saharan Africa is home to one of the largest, fastest growing youth populations in the world. But this “youth bulge” could hurt African countries more than it helps them if job opportunities aren’t increased or health and education services aren’t improved, according to an index (pdf) released by the Commonwealth Secretariat today (Oct 21). Ten of the worst countries in the world for young people, those between the ages of 15 and 29, are in sub-Saharan Africa, according to the index.

    The organization, which promotes human rights and development in the 52 commonwealth countries that were mostly territories of the former British Empire, ranked 183 countries based on 18 factors like employment, health, education, and political and civic participation. Each country was given a youth development index, or YDI, score.
    10 lowest ranked countries for youth development Score (0-1)
    Central African Republic 0.308
    Chad 0.312
    Cote d’Ivoire 0.357
    Niger 0.378
    Equatorial Guinea 0.384
    Guinea-Bissau 0.389
    Mozambique 0.392
    Zambia 0.406
    Democratic Republic of the Congo 0.408
    Mali 0.421

    Some of the rankings are not surprising. Central African Republic, the worst performing, has been mired in civil and inter-religious conflict since 2013. But Cote d’Ivoire, the third worst, has been one of the most promising and best-performing economies in West Africa. Its rank was pulled down by low scores on education, health and well-being, and civic participation, according to the full report (pdf) accompanying the index.

    European countries ranked the highest, while the United States ranked 23rd.
    10 highest ranked countries for youth development Score (0-1)
    Germany 0.894
    Denmark 0.865
    Australia 0.838
    Switzerland 0.837
    United Kingdom 0.837
    Netherlands 0.836
    Austria 0.826
    Luxembourg 0.825
    Portugal 0.816
    Japan 0.815

    Despite their low scores, African countries showed the most improvement of any region between 2010 and 2015, according to the Commonwealth Secretariat. Of African countries, the best-ranked were Mauritius, Ghana, Liberia, Seychelles, and Kenya. Kenya showed the most improvement in its YDI score of any country in the world with an increase of 22%, the result of growing civic participation, and improved well being and health services.

    African countries outperformed their global peers in one area: political participation. Sub-Saharan Africa scored slightly above North America, Russia and Eurasia, and the Asia Pacific.

    “While increases in civic and political participation—through voting or protests for example—in the region are encouraging, they will only get young people so far without corresponding improvements in access to health and education,” said Abhik Sen, one of the report’s authors, told the Thomson Reuters Foundation.

  19. মাসুদ করিম - ২৩ অক্টোবর ২০১৬ (৯:৫৮ পূর্বাহ্ণ)

    ‘দুর্দান্ত ১০ বছর’

    যাদের ঘিরে, যাদের জন‌্য সঙ্কটে-সম্ভাবনায় আবর্তিত হয়েছে সংবাদের চাকা, তাদের সঙ্গে এক মঞ্চে মিলে প্রতিষ্ঠার ১০ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছে দেশের প্রথম ইন্টারনেট সংবাদপত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

    সরকার আর রাজনৈতিক দলের নীতি-নির্ধারক; বিচারপতি-আইনজীবী, ব্যবসায়ী-শিল্পোদ্যোক্তা, কবি-সাহিত্যিক-সাংবাদিক, সাংস্কৃতিককর্মী-ক্রীড়াবিদ-সংগঠক, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা আর নানা ক্ষেত্রে বাঁক বদলের সাক্ষীরা সঙ্গী হচ্ছেন আনন্দঘন এই উদযাপনে।

    বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একজন মুখপাত্র জানান, রোববার রাত ৮টায় রাজধানীর র‌্যাডিসন ওয়াটার গার্ডেন হোটেলের বলরুমে বসবে এই মিলনমেলা।

    দশকপূর্তি উপলক্ষে সাড়ে ৮টায় প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বক্তব্য শেষে নৈশভোজের মধ‌্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে। অনুষ্ঠানটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

    ‘ডটকম’ জগতে বাংলাদেশের সংবাদকে নিয়ে যাওয়ার দিশারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, “নতুন একটি প্রজন্মের জন‌্য, নতুন একদল পাঠকের পরিবর্তনশীল রুচি ও পছন্দের কথা মাথায় রেখে কাজ করা ছিল কঠিন। ঝঞ্ঝামুখর দশটি বছর আমরা সেই চ‌্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি আনন্দের সঙ্গে।”

    শুরুটা হয়েছিল ২০০৫ সালের প্রথমার্ধে। অন্যান্য বার্তা সংস্থার মতো ‘বিডিনিউজ’ তখন সংবাদ মাধ্যমগুলোর জন্য খবর সরবরাহ করত। দেশের অন্য সংবাদ সংস্থাগুলো টেলিপ্রিন্টারে খবর সরবরাহ করলেও বিডিনিউজ এ কাজটি শুরু করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে।

    ২০০৬ সালে বার্তা সংস্থাটির মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা বদলের পর এর খোল-নলচে বদলে যায়। সাংবাদিক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নেতৃত্বে নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের প্রথম ডটকম কোম্পানির রূপ দেয়। নতুন আঙ্গিকে এর পরিচয় হয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম নামে।

    বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একজন মুখপাত্র বলেন, “ওই বছর অক্টোবরে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর রাজপথে রক্তক্ষয়ী সহিংসতার মধ‌্যে বাংলাদেশ যখন ছদ্মবেশী সামরিক শাসনের এক নতুন অধ‌্যায়ের দ্বারপ্রান্তে, অনিশ্চিত সেই সময়ে ২৩ অক্টোবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম উৎসুক পাঠকের জন্য সমস্ত কন্টেন্ট উন্মুক্ত করে দেয়। যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশের প্রথম ইন্টারনেট সংবাদপত্রের।”

    পাঠকদের জন্য ২৪ ঘণ্টা দেশ-বিদেশের সর্বশেষ ঘটনার খবর বাংলা ও ইংরেজি- দুই ভাষায় বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ নিয়ে আসা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এরপর এক দশকে নিয়মিত উপহার দিয়েছে নতুন নতুন সংবাদ সেবা।

    দিনে দিনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাজের ব্যাপ্তি যেমন বেড়েছে, তেমনি মিলেছে পাঠক, শুভানুধ্যায়ীদের সাড়া। সব ধরনের পাঠকের পছন্দ মাথায় রেখে যুক্ত হয়েছে বিষয়ভিত্তিক আলাদা পোর্টাল।

    প্রতি মাসে দশ কোটি পেইজ ভিউ এবং এক কোটি ইউনিক ভিজিটর নিয়ে পরিণত হয়েছে একক পাঠক সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংবাদ মাধ্যমে; পাঠকের কাছে বিবেচিত হচ্ছে সবচেয়ে নির্ভরযোগ‌্য সংবাদ প্রকাশক হিসেবে।

    বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম মুখপাত্র বলেন, ইন্টারনেটে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে একটি ব্রাউজার থেকে একটি ওয়েবসাইটে ‘একসেস’ করাকে একটি ‘ইউনিক ভিজিট’ ধরা হয়, যা প্রকাশনা শিল্পে মুদ্রিত সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যার সঙ্গে সমতুল্য।

    “অর্থাৎ, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম যদি মুদ্রিত সংবাদপত্র হত, তাহলে এর প্রচার সংখ্যা এক কোটিতে দাঁড়াত। এই সংখ‌্যা দেশের সব মুদ্রিত সংবাদপত্রের সম্মিলিত প্রচার সংখ‌্যার বহুগুণ বেশি।”

    ২০১৩ সালের মে মাসে মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও তাণ্ডবের দিনে ১০ লাখেরও বেশি পাঠক তাৎক্ষণিক সংবাদের জন্য চোখ রেখেছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে।

    ওই বছর ১২ ডিসেম্বর যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ‘হিট’ ছিল প্রায় ১৭ লাখ। ফাঁসির খবর পেতে সেই রাতে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেই এ সাইটে আসেন ২ লাখ পাঠক।

    আর চলতি বছর ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নজিরবিহীন জঙ্গি হামলার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ‘হিট’ ১৭ লাখ ২৯ হাজার ছাড়িয়ে যায়, যা এ যাবত কালের সর্বাধিক।

    সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে থেকেও পাঠক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সঙ্গে পাচ্ছে সর্বক্ষণ। ২০১১ সালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম যখন পঞ্চম বর্ষপূতি উদযাপন করে, ফেইসবুকে তাদের ফ্যান সংখ্যা ছিল ৭৬ হাজার ২৫৭। পরের পাঁচ বছরে তা ৭২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

    সময়ের উদ্ভাবনী মেজাজকে ধারণ করে গত দশ বছরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ওয়েবসাইটে যুক্ত হয়েছে ‘মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট’। সেই সঙ্গে আছে মোবাইল ফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিউজ অ্যালার্ট সার্ভিস, ইংরেজি ও বাংলায় ব্রেকিং নিউজ, যে সেবায় তারাই বাংলাদেশে পথিকৃৎ।

  20. মাসুদ করিম - ২৩ অক্টোবর ২০১৬ (১০:১২ পূর্বাহ্ণ)

    Eliminating extreme poverty by FY2031

    Inspired by the exemplary development performance under the Sixth Five Year Plan (FY2010-FY2015), whereby Bangladesh sharply reduced modest and extreme poverty, improved human development and increased gross domestic product (GDP) growth rate to an average of 6.0% plus per year that helped to achieve lower middle income status in 2015, based on the World Bank (WB) classification, Bangladesh now aspires to reach upper middle income status and eliminate extreme poverty by fiscal year (FY) 2030-31 (per capita income of more than US$4136). The solid foundation laid during the Sixth Plan is a comforting factor; yet many fundamental policy and institutional challenges remain.

    At the same time, Bangladesh faces substantial downside risks from the interface of its deltaic geographical configuration, very high population density, and regular episodes of a range of natural disasters including flooding, river bank erosion, sea level rise, salinity intrusion, cyclones and water-logging.

    Data from Household Income and Expenditure Survey (HIES) show that a particularly positive feature of the development experience since 2000 is the rapid decline in moderate poverty (defined by the upper poverty line or UPL) and extreme poverty (defined by the lower poverty line or LPL).

    Although the data from the latest round of HIES for 2015 is not yet available, projections from a variety of research sources including the General Economics Division (GED) of the Planning Commission suggests that the decline in moderate and extreme poverty is likely to have continued after 2010, possibly at a more rapid pace owing to higher GDP growth.

    Research shows that a major driver of poverty reduction in Bangladesh was the rate of GDP growth. Importantly, the effectiveness of GDP growth to reduce poverty improved sharply during 2000’s as compared with 1991-2000. The result is illustrated in Figure 1.

    The poverty elasticity of GDP increased dramatically in 2000-2010 over 1991-2000 (data from HIES 2010 is the latest available). What is remarkable is that the poverty elasticity value exceeds 1.0 for extreme poverty and is significantly higher than for moderate poverty.

    This suggests that the government’s target to achieve 8.0% GDP growth rate by the end of the Seventh Five Year Plan (FY2020) and to maintain this growth rate until FY2031 will play a major role in helping secure the target of eliminating extreme poverty.

    There is no doubt that higher GDP growth will be a determining factor. But the rate of GDP growth alone will not be able to deliver the result. How inclusive is the growth strategy will be an important determinant as well. The importance of this determinant is self-evident from the experience of Bangladesh, also illustrated in Figure 1.

    The GDP growth rate was much less effective in reducing both moderate and extreme poverty in 1991-2000. Paying attention to the inclusiveness of growth is very important for poverty reduction, especially for the reduction of extreme poverty.

    The challenge for inclusive growth as a core element of the strategy for eradicating extreme poverty can be best illustrated by looking at the location of the extreme poor. Figure 2 shows the poorest 15 districts based on HIES 2010 (the last available) and using the UPL. The incidence of poverty ranges from 42% to 64%, which is much higher than the national average of 31.5% in 2010.

    Research done for the Bangladesh Delta Plan shows that 90% of these districts are highly prone to a range of natural disasters including flooding, sea level rise, salinity, river erosion, drought and water logging.

    Further insights on the relationship between poverty and vulnerability to natural hazards can be gauged by looking at the poverty level at the sub-district level.

    Detailed analysis of poverty profile done for the Bangladesh Delta Plan shows that the incidence of extreme poverty is much higher in the rural areas (mostly hard to reach and ecologically vulnerable areas), which are heavily dominated by traditional agriculture as the main means of livelihood. Figure 3 shows the poverty incidence for the extreme poor (LPL) for the 15-poorest of the poor sub-districts (upazilla).

    When these upazillas are mapped against natural hazard risk rating, the results are very striking. Some 90% of these upazillas belong to risk-category 1 (highest risk). More specifically, these are: Bhurangumari, Char Rajibpur, Chilmari, Nageshwari, Phulbari, Rajarhat, and Ulipur (Kurigram District with risk rating of 1); Bakerganj, Hizla, Mehndiganj and Muladi (Barisal District with a risk rating of 1); Haim Char (Chandpur District with a risk rating of 1); Dewanganj (Jamalpur District with a risk rating of 1).

    One poorest of the poor upazilla (Gowainghat) belongs to the district of Sylhet (risk rating of 3). Only one upazilla (Nandial) is in the low-risk district of Mymensingh.

    The situation in Kurigram is most telling. Located on the mouth of the mighty river Brahmaputra’s entrance in Bangladesh, all upazillas of this district are very poor, to a large part due to heavy exposure to natural disasters caused by a combination of substantial flooding and river erosion. The population is heavily dependent on traditional agriculture for livelihood.

    A large part of the population there lives on the char areas that frequently get inundated due to river flooding causing immense hardship to the population. Even the urban area, Kurigram sadar upzilla, suffers from high incidence of poverty (extreme poverty rate of 40.5% in 2010). There is very little manufacturing base and private sector activities are primarily informal in nature concentrated in trading and transport. Significant economic diversification is yet to happen. The access to international migration is also very limited in these areas.

    This analysis shows that securing rapid growth of GDP in the commercial urban centers of Dhaka, Chittagong, Khulna, Rajshahi, Gazipur and Narayanganj alone will not solve the extreme poverty problems of the 15 poorest Upzillas or the 15 poorest districts illustrated above. This may have some pull effects by continuing to attract migration, but the flip side is that this will further worsen the urbanization problem.

    Unplanned rapid urbanization can itself constrain the growth momentum through further land price increases, traffic congestion, housing problems, urban infrastructure constraints, slum growth, sanitation and health hazards.

    The growth strategy must be better aligned to sustainably address the extreme poverty issues by tackling the root causes of poverty. One major challenge in this regard is to systematically address the interface between climate change, natural disasters, water management, environmental management, land management and agriculture, and integrate these issues into the national development framework.

    This is the context of the Bangladesh Delta Plan being developed by the Government of Bangladesh (GoB) that seeks to provide this integrated approach. The Delta Plan seeks to identify the full range of regulations, policies, investments, governance and institutional reforms that will help to systematically address the long-term risks faced by districts like Kurigram and other high poverty and vulnerable districts with a view to improving the environment for better livelihood and economic growth.

    The Delta Plan will be one major instrument. Other policies and programmes defined in the Seventh Five Year Plan will also be necessary. But without the combined policy package that includes the Delta Plan, the ability to eradicate extreme poverty by FY2030-31 will not likely materialize.

  21. মাসুদ করিম - ২৪ অক্টোবর ২০১৬ (৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ)

    কোনটা লিরিক, কোনটা সাহিত্য?‌

    নিজে অল্পবিস্তর গান লিখি, সুরে বাঁধি বলে গানের সঙ্কলন ‘‌গীতাঞ্জলি’‌র জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ভেবে আজ আমার জীবনসায়াহ্নেও ভাল লাগে। বাংলাদেশের সাহিত্যবেত্তা, লেখক, সমালোচক হুমায়ুন আজাদ তাঁর ‘‌প্রবচনগুচ্ছে’‌ লিখেছিলেন:‌ (‌হুবহু উদ্ধৃতি নয়)‌ নোবেল পুরস্কারটা রবীন্দ্রনাথের প্রয়োজন ছিল না। প্রয়োজন ছিল বাংলা সাহিত্যের। কারণ রবীন্দ্রনাথ ওটি না পেলে, বাংলার হারান বলত সে রবীন্দ্রনাথের চেয়ে ভাল লেখে, আর বাংলার রহিমও বলত সে রবীন্দ্রনাথের চেয়ে ভাল লেখে।
    আমার এক ব্রিটিশ বন্ধু ব্রায়ান চ্যাম্পনেস আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর ওপর গবেষণা করছেন। ব্রায়ান সেদিন কথায় কথায় বললেন, আইরিশ কবি ডব্লিউ বি ইয়েটস, যিনি নোবেল কমিটির কাছে রবীন্দ্রনাথের নাম সুপারিশ করেছিলেন এবং প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে, তিনি রবীন্দ্রনাথের লিরিকে খুঁজে পেয়েছিলেন আধ্যাত্মিকতা— যার অভাবে নাকি সে যুগের মানবজীবন বিশেষ করে পাশ্চাত্যে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। ব্রায়ান বলছিলেন, ইয়েটস নাকি একখণ্ড ‘‌গীতাঞ্জলি’‌ সারাক্ষণ সঙ্গে রাখতেন। ইচ্ছে হলেই রবীন্দ্রনাথের ‘‌আধ্যাত্মিকতা–পূর্ণ’‌ কোনও না কোনও লিরিকে চোখ বুলিয়ে নেবেন বলে।
    ‘‌তোমাকে চাই’‌ নামে একটি আধুনিক গানের অ্যালবাম বেরনোর পর থেকে বঙ্গসমাজে অনেক গালাগালি খেয়েছি, এখনও খাচ্ছি। এবারে বোধহয় লোকে আমায় বাড়ি থেকে টেনে বের করে নিয়ে গিয়ে জুতো পেটা করবে। কিন্তু আমি না বলে পারছি না যে, ‘‌তুমি কেমন করে গান করো হে গুণী’‌ এই কথাগুলি যদি ইংরেজি অনুবাদে ‘‌I know not how thou singest my master‌’‌ ‌এই রূপ নেয় এবং ইয়েটস যদি তাতে পাশ্চাত্যে বিরল আধ্যাত্মিকতা খুঁজে পেয়ে মেতে থাকেন তো আমি বলতে বাধ্য, ‘‌সাহিত্যগুণ’‌–‌এর দিকে একেবারেই নজর দিলেন না আইরিশ কবি। ইনিই সেই আইরিশ কবি, যাঁর একটি কবিতায় ‘‌But one man loved the pilgrim soul in you‌’‌–‌এর ‘‌pilgrim soul‌’‌–‌এর প্রভাবে বাংলার আধুনিক কবি বিষ্ণু দে তাঁর একটি কবিতায় ‘‌তীর্থযাত্রী হৃদয়’‌ কথা দুটি লিখতে পেরেছিলেন।
    ‌সাহিত্যগুণ কখন গজায়‌?‌ কাব্যগুণই–‌বা কখন?‌ কোনটা সার্থক লিরিক?‌ কোনটা গীতিকবিতা? নাকি সরাসরি গান বলাই সঙ্গত? কোনটাকে কবিতা বলা যায়, কোনটাকেই–‌বা গান। রবীন্দ্রনাথ একবার লিখেছিলেন, কবিতার কথা আর গানের কথা এক তুলাদণ্ডে ওজন করা উচিত নয়। কবিতার কথা পড়ার জন্য, গানের কথা শোনার জন্য। অহো, কী মূল্যবান কথা!‌ আমাদের দেশের ‘‌বাচিক শিল্পীরা’‌ যদি রবীন্দ্রনাথের কথাটা একটু ভেবে দেখতেন!
    রবীন্দ্রনাথ যখন লিখছেন ‘‌এ প্রাণ রাতের রেলগাড়ি, দিল পাড়ি.‌.‌.‌’‌ বা ‘‌আর একবার মরতে পারলে বাঁচি.‌.‌.‌’‌ তখন, তাঁর মতে আমরা পাঠক। আর তিনি যখন লিখছেন ‘‌বাঁচতে যদি হয় বেঁচে নে/‌ মরতে হয় তো মর্‌ গো’‌ তখন আমরা শ্রোতা। প্রধান কারণ, দ্বিতীয়টায় সুর তাল ছন্দ লয় নামে জিনিসগুলি এসে পড়েছে। নয়ত, ‘‌মরতে পারলে বাঁচি’‌ আর ‘‌মরতে হয় তো মর্‌ গো’‌ বা ‘‌দু–‌বেলা মরার আগে মরব না’‌ এই তিনটি উক্তিতেই ‘‌মরা’‌ কথাটা সরাসরিই আসে। প্রশ্ন হল, দুটি গান থেকে নেওয়া দুটি উক্তি (‌‘‌মরতে হয় তো মর্‌ গো’ এবং ‘‌দু–‌বেলা মরার আগে মরব না’‌)‌ কি সাহিত্যমূল্য রিক্ত?‌
    আমাদের কোনও বন্ধু যদি কোনও এক ছুটির দিনে আমাদের বাড়িতে ঢুকেই গুনগুন করে শচীন দেববর্মণের ‘‌তুমি আর নেই সে তুমি’‌ গাইতে শুরু করে দেন, তা হলে আমরা বুঝে নেব তিনি আজ খোশমেজাজে আছেন। আমিও হয়ত ‘‌জানি না জানি না কেন এমন হয়’‌ গেয়ে উঠব গলা মিলিয়ে। আমার মেয়ে হয়ত সোৎসাহে হাততালি দিয়ে বা টেবিলে কিছু একটা ঠুকে তাল দিতে শুরু করবেন। কিন্তু ধরা যাক সেই বন্ধুটিই যদি আমাদের বাড়িতে ঢুকেই বিড়বিড় করে বা স্পষ্ট উচ্চারণে বলতে শুরু করেন ‘‌বধূ শুয়েছিল পাশে/‌ শিশুটিও ছিল/‌ প্রেম ছিল আশা ছিল জ্যোৎস্নায় তবু সে দেখিল কোন ভূত/‌ ঘুম কেন ভেঙে গেল তার.‌.‌.‌’‌— আমি কি তখন ‘‌প্রেম ছিল আশা ছিল.‌.‌.‌’‌ থেকে গলা মেলাব?‌ আমার মেয়ে কি হাতে তালি দিয়ে বা টেবিলে ঠকঠক আওয়াজ করে তাল দিতে শুরু করবে?‌ মনে হয় না। কারণ?‌ ‘‌তুমি আর নেই সে তুমি’‌ একটি জনপ্রিয় আধুনিক গান। আর ‘‌বধূ শুয়েছিল পাশে’‌ ইত্যাদি ইত্যাদি জীবনানন্দ দাশের একটি কবিতা। সাহিত্য। সাহিত্যকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিই, মাহাত্ম্যও। সাহিত্যকৃতির জন্য বাৎসরিক নোবেল পুরস্কার আছে।
    অথচ, ‘‌জানি না জানি না কেন এমন হয়/‌ তুমি আর নেই সে তুমি’‌ কথাগুলির মধ্যে বা ‘‌তোমার চোখের পাতা নাচে না/‌ নাচে না হাওয়ার বাঁশি শুনে’‌ কথাগুলির মধ্যে না আছে অসংলগ্নতা বা ছ্যাবলামো, না আছে আগডমবাগডম কিছু, যাকে অর্থহীন প্রলাপ বলা যেতে পারে। কথাগুলি অর্থপূর্ণ ও সুসম্বন্ধ। যথেষ্ট সাহিত্যগুণে ঋদ্ধ। তাহলে গানের এই কথাগুলিকে বা ‘‌লিরিক’‌কে গুরুত্ব দিতে বা সাহিত্যের সমান মর্যাদা দিতে আপত্তি কোথায়।
    ‘‌বৃষ্টি–নেশা–ভরা সন্ধ্যাবেলা’‌ একটি ঠাসবুনোট আধুনিক উচ্চারণ। ১৮৬১ সালে জন্মানো এক ব্যক্তি স্বচ্ছন্দে ‘‌বৃষ্টি–নেশা–ভরা’‌র মতো একটি শব্দ গড়ে নিতে পারেন, নেন, এবং তার পরেই তিনি লিখে বসেন ‘‌কোন্‌ বলরামের আমি চেলা’‌। কী যে এর মানে, তার আগের ঐন্দ্রজালিক লাইনটির সঙ্গে তার কী যে সম্পর্ক— কে বলে দেবে!‌ কিন্তু ‘‌কোন্‌ বলরামের আমি চেলা’‌ যে রীতিমতো বেমানান, সেটা মেনে নিতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয় কারও।
    লেখালিখির ব্যাপারে আমার একটি ধর্মগ্রন্থ আছে। এজরা পাউন্ডের লেখা ‘‌A B C of Reading‌’‌।‌ তাতে এজরা পাউন্ড আনাড়ি, শিক্ষানবিশদের বলছেন, যে কোনও লেখা হাতে নিয়ে পড়ে দেখো, কোন্‌ শব্দটার কোন্‌ কাজ নেই, কোন্‌টা অকেজো। অকেজো শব্দগুলোকে উপড়ে ফেলে দাও। এই ধরনের শব্দ বা বাক্যবন্ধের সংখ্যা বেশি হলে বুঝে নিও লেখাটা বাজে। ‘‌পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে’‌— রবীন্দ্রনাথের এই অসামান্য গান ও লিরিকে গোটা একটা লাইন অকেজো, পরিহারযোগ্য। সেই হিসেবে এই গানের লিরিক সাহিত্যের পর্যায়ে যায় না। আমরা, শিক্ষিত বাঙালিরা কিন্তু রবীন্দ্রনাথ, দ্বিজেন্দ্রলাল, অতুলপ্রসাদ, রাজনীকান্ত— এঁদের লিরিকগুলোকে আলাদা কুলুঙ্গিতে রাখি, যেখানে পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যামল গুপ্ত, মুকুল দত্তর লিরিকের স্থান নেই। প্রথম গোষ্ঠীর লিরিক সাহিত্যগুণে, আভিজাত্যগুণে গুণী। দ্বিতীয় গোষ্ঠীর লিরিক গোটাগুটি, নিশ্ছিদ্র ভাবে ‘‌লিরিক’‌ গান। আধুনিক বাংলা গানের লিরিকে যে রচনাগুলি সাহিত্যের পর্যায়ে ফেলাই যায়, সেগুলিকে আমরা আজও বেছে রাখিনি। অথচ,‌ ‘‌পরাধীন দেশে প্রেম চির–‌অভিশপ্ত’‌র মতো একটি উচ্চারণ ‘‌বাজারী’‌ আধুনিক বাংলা গানের দেহেই পাওয়া গিয়েছিল আজ থেকে ষাট বছর আগে। গানটির শিরোনাম ‘‌জেগে আছি কারাগারে’‌। লেখক মোহিনী চৌধুরি। অমন লিরিক রবীন্দ্রনাথ, কাজী ইজরুল ইসলাম, দ্বিজেন্দ্রলাল, অতুলপ্রসাদ— কারও কলম থেকেই বেরোয়নি। আর এঁদের লিরিকগুলিকে আমরা, মধ্যবিত্ত বাঙালিরা, মর্যাদা দিয়ে থাকি।
    গানের কথা বা লিরিক রচনার বেলা বাঙালি, কেন কে জানে, ‘‌হায়’‌, ‘‌গো’‌, ‘‌ওগো’‌, ‘‌হ্যাঁগো’‌ ইত্যাদি দাম্পত্য জীবনের আদুরে আদুরে শব্দ প্রয়োগে ব্রতী হয়ে উঠেছিল অনেক কাল আগে। ‘‌শুনছো’‌টা এখনও শুনিনি। এছাড়াও ইচ্ছে মতো গুরুচণ্ডালি ব্যবহার করে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, কতটা স্বাধীনতা আমরা নিতে পারি। একসময়ে সাহিত্যেও তা অনুমোদিত ছিল। কিন্তু ছয়ের দশক থেকে আর নয়। অথচ ছয়ের দশকে এবং তার পরেও সলিল চৌধুরির মতো ডানপিটে সঙ্গীতকারও ‘‌যদি কিছু আমারে শুধাও/‌কী যে তোমারে কব/নীরবে চাহিয়া রব.‌.‌.‌’‌ ইত্যাদি লিখে গেছেন, তাতে সুর হয়েছে, অসামান্য সুর–‌সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু আধুনিক গান হয়ে ওঠেনি।
    ‘‌গেনো’‌ কথার ভিড় জমিয়ে বাংলায়, হিন্দিতেও, ‘‌লিরিক’‌ লেখা হয়েছে দীর্ঘকাল। তারই মধ্যে কিছু লিরিক নিঃসন্দেহে সাহিত্য হিসেবে মান্যতা পাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠেছে সাহিত্যের বিচারে। কিন্তু অন্যদিক দিয়ে ভেবে দেখলে বলতেই হয়, সাহিত্যের শর্ত মেনে চললেই যে উৎকৃষ্ট লিরিক লেখা সম্ভব হবে এবং তাতে যথাযথ সুর করে গেয়ে ওঠার মতো, মনে রাখার মতো গান সৃষ্টি করা সম্ভব হবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। সারা পৃথিবীর লিরিকের ও গান বাঁধার ইতিহাস অন্তত তা বলে না।‌‌‌

  22. মাসুদ করিম - ২৫ অক্টোবর ২০১৬ (১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ)

    Mega projects of Bangladesh Railway: Is it ready for the job?

    Since the early 1800s, the railway sector enjoyed a monopoly as a freight carrier and, for the longest period, it was considered the most efficient mode of transportation in Bangladesh. Even today, in terms of unit cost, both railways and waterways are considered to be the most efficient and viable forms of transportation.

    However, with the emergence of road transport, lack of government attention and inefficient management, the railway system started losing its importance and market share. Although passenger traffic has increased over time, the yearly growth has decelerated.

    Due to insufficient infrastructure, poor condition of the physical assets and asset management, and low service quality vis-à-vis competing transportation modes, the relative importance of railways has been going down over the years.

    Against this background, the government’s recent focus on the railway sector is most welcome. Underscoring the importance of railway communication, the government has attached topmost priority to railway amongst all the surface mode of transports in Vision-2021. Twenty eight new projects have been approved in the past two years and many are under active consideration for the improvement of the railway system amounting more than $20 billion in total new investment in the sector.

    Taking a longer-term perspective, in 2013, the Railway Sector Master Plan up to 2030 was approved with a view to implementing 235 projects in four phases at an estimated cost of Tk. 2339.44 billion. Some of the important projects included in the Master Plan are: construction and reconstruction of rail lines for Dohazari-Cox’s Bazar-Gundum; Kalukhali-Bhatiapara-Gopalganj-Tungipara; Pachuria-Faridpur-Bhannga; Ishwardi-Pabna-Dhalarchar; and Khulna-Mongla new rail lines.

    Recently the “Padma Bridge rail link” project with a cost of Tk. 349.88 billion ($4.47 billion) was approved at a meeting of the Executive Committee of the National Economic Council (ECNEC). Work is also going on for making Dhaka-Chittagong and Jaidevpur-Jamuna Bridge double track and dual gauge with a view to increasing frequency of trains and volume of passenger and freight traffic.

    With the approval of the multi-billion dollar mega projects and numerous other medium-sized projects, the administrative, technical and service delivery capacities of the railway authority is coming under greater scrutiny. Given the high level of interest expressed by bilateral and multilateral development partners like China, India, and Asian Development Bank (ADB) it is becoming increasingly clear that financing the mega projects may not be a major problem for the government.

    However, question remains whether the Bangladesh Railway (BR) as an organisation has the capacity to manage such a massive investment in an efficient and transparent manner and whether proper appraisals have been made to ensure financial viability of these projects.

    While the huge investment in the railway sector is welcome, we must think of whether these investments will pay off in terms of return on investment and whether the inefficient BR has the implementation and management capacity for implementing the massive projects and generating operating surpluses to pay for the cost of investment. Serious considerations should be given to determine the costs and benefits that would result from these projects.

    BR is having serious trouble covering the operating expenses, not to mention the capital expenses. Is it really a practical idea to invest in railway projects when BR has been running operating losses over many decades (Table 1)? If BR is having trouble to even cover the cost of fuel and manpower, when will it ever cover the financing cost of the more than $20 billion new investment on the railways? We must seek satisfactory answers to these questions before investing such huge amounts in BR.

    Another striking feature of BR’s performance is that it is rapidly losing its market share in freight traffic. Most modern railway systems make profit out of freight traffic because it is generally considered cheaper and safer options for transferring bulk transport of agricultural, mineral and import/export containers.

    Despite the very rapid growth in the volume of freight traffic in Bangladesh due to a rapid expansion of both domestic and foreign trade, BR has systematically failed to maintain its share in this fast growing and potentially profitable segment. BR appears to have forgotten that the British Administration laid down a very extensive railway network all over South Asia, and more importantly in the undivided Bengal, primarily to carry goods and raw materials. Due to BR’s lack of focus on freight traffic, the volume of traffic in ton-kilometer in fiscal year (FY) 2014-15 was significantly below the levels recorded in preceding years (Table 2).

    Despite the dismal picture presented above in terms of financial performance and ability to compete with the private sector, BR still is a very popular mode of transport in the country. Inter city trains operated by BR are very popular, especially in the east zone. The occupancy of inter city trains in the Dhaka-Chittagong corridor is usually much more than 100% of capacity and train services are almost always sold out.

    However, the high demand for inter city service in the Dhaka-Chittagong corridor cannot be met fully because of insufficient line capacity. Purchase of railway tickets has recently been made electronic relieving customers from waiting in long lines especially during Eid holidays. But, the efficiency of the system still remains questionable as unavailability of tickets and customer harassment at the counters have become common occurrences.

    Lack of quality service delivery, corruption in railway operations, in particular theft of fuel from engines, overpriced parts and maintenance costs, extensive corruption in ticket sales, and inefficient and corrupt management (as reflected through the recent hiring scandal) are the main factors behind the large and widening operating deficit of BR.

    It is important that the planned investment in mega projects would enable the railway sector to compete effectively with other forms of transportation. People now prefer road transport over railways because of lack of service quality and the inefficiency observed in the railway sector. The mindset of the railway administration needs to change, if BR is to effectively compete with the private sector in a multi-modal transport system. BR needs to become a quality service provider in competitive terms and only then can the investment bring in the required return.

    One major concern that often gets sidelined is the ownership structure of BR. It is still a 100% government owned entity with budgetary support for both train operations and infrastructure investment coming from the government. As such, BR has virtually no incentive to be financially self-supporting like private companies.

    Private sector’s role in road transport, inland water transport, and ocean shipping has grown rapidly over the last several decades; private sector is now the dominant player in these sectors. A similar stance is essential in the railway sector as well through restructuring of BR operations, administration and ownership structure.

    Global experience has shown that unbundling of a major natural monopoly generally leads to increased competition, efficiency gains, and benefits for the consumers and business community. This unbundling can potentially take many forms, while maintaining a significant public sector role in the unbundled railway system. For example, BR can maintain, build and operate the railway tracks, while private sector can participate and compete with BR in providing passenger and freight train services (operating rolling stocks). Such restructuring will significantly improve efficiency and service quality, and help establish better connectivity for the railway system to survive as a viable mode of transportation.

    Another major concern for BR is the absence of marketing and promotional activities. Most of the customers (business and households) are unaware of their promotional activities, and the business houses need to run after the BR officials for shipping containers and goods through railways while private road transport companies provide door-to-door service and frequently visit business houses for shipping orders. A high level of marketing activity reaching out to the business community and households is essential for any successful organizsation; thus, considerable emphasis should be given to this aspect.

    We agree that most of the important projects would need to be implemented, as a part of Bangladesh’s holistic multi-modal transport strategy to meet the rapidly growing transportation needs of the economy. However, without a fundamental restructuring of the BR and the associated changes in its business culture, business practices and the mindset of the railway administration, the investments will not yield the desired outcomes.

    Running operating losses year after year is not acceptable and not compatible with the investment plan. The on-going loss might not have been an issue in the past but now that the government is trying to invest tens of billions of dollars of resources in this sector, it is important that a respectable rate of return is guaranteed. At least a significant part of the capital budget has to be recovered, in addition to the full recovery of operational costs.

    Higher rate of return is not only an issue for viability of the railway system, but also an indicator of administrative efficiency and better customer service delivery.

  23. মাসুদ করিম - ২৫ অক্টোবর ২০১৬ (৮:৩৮ অপরাহ্ণ)

    China Holds Anti-Terror Exercises on Afghanistan-Tajikistan Border

    China has conducted its first-ever joint bilateral military exercises in Tajikistan, a sign of Beijing’s increasing concern about instability in Afghanistan and the capacity of other regional countries to contain it.

    The exercise took place in Gorno Badakhshan, the remote eastern end of Tajikistan that borders both Afghanistan and China. Tajikistan’s Ministry of Defense reported that the exercise involved 10,000 troops, but that the Chinese contingent was only a “mobile company.” A company usually contains 100-200 soldiers, so the Chinese presence was not overwhelming. The exercise reportedly involved armored vehicles, aircraft, and artillery, though it wasn’t specified if any of those were Chinese.

    Still, the exercise represented yet another step in China’s growing military presence in Central Asia. This is the first time that China and Tajikistan have held drills bilaterally in Tajikistan. (Chinese troops did conduct exercises in Tajikistan in 2012, but those were under the auspices of the Shanghai Cooperation Organization and also included other troops from Kazakhstan, Kyrgyzstan, and Russia.)

    “The exercise has shown that servicemen of the two countries are ready to provide support to each other in the fight against international terrorism in case of necessity,” Tajikistan Defense Minister Sherali Mirzo said at the October 24 closing ceremony of the exercise.

    Last month, Tajikistan announced that China would build 11 border guard posts along the border with Afghanistan, as well as a border guard training center.

    And earlier this year, China and Tajikistan, along with Afghanistan and Pakistan, created a “Quadrilateral Cooperation and Coordination Mechanism” to jointly combat terror. This organization, details of which are still hazy, is noteworthy particularly in that it represented a Chinese security cooperation initiative in Central Asia that excludes Russia.

  24. মাসুদ করিম - ২৭ অক্টোবর ২০১৬ (৯:৪৩ অপরাহ্ণ)

    চলে গেলেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আলবের্তো

    চলে গেলেন ব্রাজিলের ১৯৭০ সালের তারকায় ঠাসা বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক কার্লোস আলবের্তো।

    আলবের্তোর সাবেক ক্লাব সান্তোস জানায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রিও দে জেনেইরোতে মারা যান কিংবদন্তি এই ফুটবলার। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

    ১৯৭০ বিশ্বকাপের ইতালির বিপক্ষে ব্রাজিলের ৪-১ ব্যবধানে জেতা ফাইনালে একটি গোল করেন আলবের্তো, যেটিকে বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম সেরা গোল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

    আলবের্তোর নেতৃত্বে ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলে খেলেন অনেকের কাছেই সর্বকালের সেরা ফুটবলার পেলে। সেই দলে ছিলেন জায়ারজিনিয়ো, তোস্তাও আর রিভেলিনোর মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড়। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একবার তিনি বলেছিলেন, তারকায় ঠাসা সেই দলকে নেতৃত্ব দেওয়াটা ছিল তার ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত।

    ব্রাজিলের হয়ে ৫৩টি ম্যাচ খেলা কিংবদন্তি এই ফুটবলারকে তার সময়ের অন্যতম সেরা রাইট-ব্যাক হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

    ১৯৯৮ সালে গড়া বিংশ শতাব্দীর বিশ্বের সেরা দলে ছিলেন আলবের্তো। এ ছাড়া তাকে রাখা হয় ২০০৪ সালে করা ফিফার সর্বকালের সেরা জীবন্ত খেলোয়াড়ের একশ’ জনের তালিকায়।

    ফ্লুমিনেন্সের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা আলবের্তো ক্লাব ক্যারিয়ারে নাম করেন সান্তোসে খেলার সময়ে। ব্রাজিলের ক্লাবটির হয়ে ১০ বছর খেলেন তিনি। ফ্ল্যামেঙ্গোতে নাম লেখানোর আগে আরেকবার ফ্লুমিনেন্সে গিয়েছিলেন তিনি।

    উত্তর আমেরিকার দল নিউ ইয়র্ক কসমসের হয়ে খেলোয়াড়ি জীবন শেষ করার পর আলবের্তো নিজেকে কোচিং পেশায় নিয়ে এসেছিলেন। ১৫টি ক্লাব ছাড়াও তিনি ওমান ও আজারবাইজান জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন।

    ২০০৫ সালে আজারবাইজানের কোচ হিসেবে তার কোচিং ক্যারিয়ার শেষ হয়।

    আলবের্তোর মৃত্যুতে নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতির মাধ্যমে শোক প্রকাশ করে সান্তোস।

  25. মাসুদ করিম - ৩১ অক্টোবর ২০১৬ (৪:০৯ অপরাহ্ণ)

    The real reason Van Gogh cut off his ear

    Author Martin Bailey has uncovered new evidence that may finally provide motivation behind one of the art world’s most infamous moments

    We all know the old tale – how it’s come to mark the chasm of creative madness.

    On 23 December, 1888 Vincent Van Gogh – following an argument with fellow lodger and artist Gaugin – retreated to his room, where he took a razor to his left ear; severing it, wrapping it in paper, and delivering it to a woman at a brothel both he and Gaugin used to frequent. He was found unconscious the next morning by a policeman and was taken to the hospital.

    Van Gogh awoke with no recollection of what had happened; he was diagnosed with “acute mania with generalised delirium” and placed under hospital care in Arles, spending the following months in and out of hospital before voluntarily entering an asylum in Saint-Rémy-de-Provence. It is here he painted one of his most iconic works, 1889’s The Starry Night.

    The motivation for such an act of self-mutilation has evaded art historians for more than a century, though writer Martin Bailey claims to have finally found evidence as to his reasons (via The Guardian); stating that it was in fact inspired – not by his argument with Gaugin – but by the news that his brother Theo, who supported him closely both financially and emotionally, had become engaged.

    Though it was previously thought he had only learnt of the impending marriage after his mutilation, Bailey’s new book Studio of the South claims that Van Gogh actually learnt of it in a letter from Theo delivered on the very same day he cut his ear off; a note which enclosed 100 francs, and the news that a fortnight earlier Jo Bonger had agreed to marry him, having previously turned him down.

    Bailey notes that Theo had already written to his mother asking for permission to marry and that Jo had written to her older brother, with his congratulatory telegram in response arriving on 23 December; Bailey, therefore, seems certain Theo would have written to Vincent at the same time, meaning the letter would also have arrived at the artist’s house on the 23.

    Bailey also provides evidence that Van Gogh’s famous bed featured in the 1888 work The Bedroom, as well as marking the place he was found the next morning amongst blood-soaked sheets in the Yellow House in Arles, may have survived the passing decades; he now believes it could be housed somewhere in the small Dutch town of Boxmeer.

    Studio of the South: Van Gogh in Provence is published by Frances Lincoln, out on 3 November.

  26. মাসুদ করিম - ৩১ অক্টোবর ২০১৬ (১০:১৮ অপরাহ্ণ)

    ‘I told them that this opportunity will never come again’

    Bangladesh coach Chandika Hathurusingha said that at tea time during on third day of the Mirpur Test there was apprehension that another winning position was slipping from their grasp after England had moved to 100 without loss chasing 273.

    Hathurusingha, who has been influential in Bangladesh’s rise in the last two years, praised the role of the players who stood up to his challenge to turn the situation around, particularly the likes of Tamim Iqbal, Shakib Al Hasan and Mehedi Hasan. Tamim, Mushfiqur Rahim’s deputy, took an active role in setting fields while Shakib and Mehedi shared the ten wickets that fell in the third session, handing Bangladesh their maiden Test win over England.

    “The best thing I can tell you is that the big players stood up,” Hathurusingha told ESPNcricinfo. “I was disappointed and upset that we are nearly wasting another opportunity which we had in our hands. I had a chat with the boys. I challenged them to stand up. I told them that this opportunity will never come again. I am glad that a few people stood up and decided to do something different.”

    Bangladesh had previous frozen when near to a winning position on a number of occasions during England’s tour this year – particularly the first one-day international and at key moments of the opening Test – but Hathurusingha said that the team will become more successful if they keep getting out of difficult situations in matches.

    “This group is still learning. They have a long way to go. Otherwise we would have had more success. I hope that after this win, they will have better memories if they get into such winning positions in the future, to do on their own. They can find the ways on their own in the middle. There’s a lot of idea sharing and making sure we create the environment that they get challenged.”

    Hathurusingha, who has now overseen four Test wins for Bangladesh, said that he is more interested in getting the job done rather than pleasing those around him. He said that the players and the BCB were supportive of him.

    “I got lot of support from the players, who are open for ideas, and the board members which is all you want. You don’t need everyone to like you. In that way, you’re pleasing people. The more people criticise you, it means you are challenging what is happening. Results on top of that, give you a positive sign.”

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.