সুপারিশকৃত লিন্ক: ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

২৯ comments

  1. মাসুদ করিম - ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৯:১৯ পূর্বাহ্ণ)

    এবার নেই তারা

    একজন পরপারে, অন্যজন দেশান্তরে। যাদের হাস্যোজ্জ্বল উপস্থিতি প্রাণবন্ত করে তুলত বইমেলা প্রাঙ্গণকে, সেই ফয়সল আরেফিন দীপন ও আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুলকে ছাড়াই আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। নবীন ও মুক্তচিন্তার লেখকদের মানসম্পন্ন বই প্রকাশ করে পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠিত প্রকাশনী দুটি।

    কিন্তু জঙ্গি মৌলবাদীদের হামলায় নিহত হয়েছেন জাগৃতির দীপন; আর আহত হয়ে দেশান্তরে আছেন শুদ্ধস্বরের টুটুল। গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় লেখক অভিজিৎ রায় হত্যার ধারাবাহিকতায় আক্রমণ চালানো হয় তাদের ওপর। এ ঘটনার আট মাসের মাথায় প্রায় একই সময়ে প্রকাশনী সংস্থা দুটির কার্যালয়ে দুটি ভিন্ন দল হামলা চালিয়ে মেলায় তাদের এ অনুপস্থিতির পথ তৈরি করে। যে অনুপস্থিতি বড় বেদনা হয়ে বাজছে এখন বইমেলাপ্রেমী, গ্রন্থপ্রেমী সবার মনে। এমন ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে লক্ষ্যে অবশ্য এবার মেলাকে ঘিরে বেড়েছে নিরাপত্তা।

    দীপন ও টুটুলের অনুপস্থিতি যেন ভিন্ন ধারার গ্রন্থেরই অনুপস্থিতি। কিন্তু মানুষ থেমে থাকে না। তাদের অনুপস্থিতি যেন হয়ে ওঠে অমিত শক্তি। লেখক-প্রকাশক আর গ্রন্থপ্রেমীরা মনে করছেন, আশঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত মেলা অন্য যে কোনোবারের চেয়ে বেশি জমবে। তারা বলছেন, যখনই কোনো আঘাত এসেছে বাঙালির সংস্কৃতির ওপর, মুক্তচিন্তা চর্চার ওপর, তখনই সর্বসাধারণের সরব উপস্থিতি উৎসবে প্রতিবাদের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তাই ষাটের দশকে রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করার সরকারি ষড়যন্ত্র মানুষ রুখে দিয়েছে। পহেলা বৈশাখের রমনার বটমূলে বোমা হামলার পর বর্ষবরণ উৎসব নতুন এক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে সারা বাংলায়।

    দীপন ও টুটুলের ওপর হামলার পর অনেকের আশঙ্কা ছিল, এবারের বইমেলায় অংশ নেবে না জাগৃতি ও শুদ্ধস্বর। কিন্তু শুভশক্তির কাছে অশুভের পরাজয় ঘটিয়ে প্রকাশনী দুটিই উপস্থিত হয়েছে মেলায়। পেয়েছে তিন ইউনিটের স্টল। যদিও আগের মতো এবার খুব বেশি নতুন বই আনছে না তারা। জাগৃতি গোটা বিশেক বই প্রকাশের কথা জানালেও শুদ্ধস্বর থেকে আসছে চারটি নতুন বই। গণমাধ্যমে বারবার জানানো হয়েছে, প্রকাশনা দুটির পক্ষে তাদের মধ্যমণির অনুপস্থিতিতে নানা অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখনও তারা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে। কিন্তু তাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা রাখেনি মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি। সবচেয়ে বিস্ময়কর হলো, দীপন হত্যা, টুটুলসহ তিনজনের ওপর আক্রমণের পর থেকে এখনও নিশ্চুপ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি। স্মরণ বা প্রতিবাদের কোনো আয়োজনও নেই তাদের।

    মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ জানিয়েছেন, জাগৃতি, শুদ্ধস্বর কিংবা অন্য কোনো প্রকাশনা সংস্থা বাড়তি কোনো নিরাপত্তা চায়নি। কেউ বাড়তি নিরাপত্তা চাইলে সেটা দেওয়া হবে। একজন প্রকাশক খুন ও অন্যজন আহত হওয়ার বিষয়ে প্রকাশকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা রয়েছে। তবে এ নিয়ে প্রকাশকদের বিশেষ কোনো কর্মসূচি নেই বলে জানিয়েছেন জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি।

    গত বছরের ৩১ অক্টোবর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি কার্যালয়ে জঙ্গি মৌলবাদী শক্তির পরিকল্পিত হামলায় নিহত হন দীপন। একই দিন, প্রায় একই সময়ে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে প্রতিক্রিয়াশীল ওই গোষ্ঠীর হামলায় গুরুতর আহত হন টুটুল। তার সঙ্গে আহত হন মুক্তচিন্তার আরও দুই লেখক রণদীপম বসু ও তারেক রহিম। ঘটনার পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠান দুটির কার্যালয়।

    মেলায় জাগৃতির স্টল :মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের ১৭৩, ১৭৪ ও ১৭৫ নম্বর ইউনিট নিয়ে জাগৃতির স্টল। গতকাল রোববার সকালেও সেখানে চলছিল স্টল সাজানোর কাজ। স্টলের ভেতরে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের হাসিমাখা মুখের আলোকচিত্র। ছবির নিচে জীবনানন্দ দাশের কবিতার দুই লাইন, ‘অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ,/যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা…’। ওপরেও সাদা-কালোর আবরণে থাকছে দীপনের ছবি।

    জাগৃতির মেলা প্রস্তুতির বিষয়ে ব্যবস্থাপক মো. আলাউদ্দিন বললেন, ‘প্রতিবার মেলার সব বিষয় দেখভাল করতেন দীপন ভাই। এবার তিনি নেই, সবকিছুই কেমন জানি এলোমেলো হয়ে পড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এবার মেলায় আমরা ২০টির মতো বই আনব।’

    মেলায় জাগৃতি থেকে ফয়সাল আরেফিন দীপনকে নিয়ে স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হবে। এটি সম্পাদনা করছেন সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা। এ ছাড়া রয়েছে দীপনের বাবা আবুল কাসেম ফজলুল হকের বই ‘রাজনীতিতে ধর্ম মতাদর্শ ও সংস্কৃৃতি’। তবে অভিজিৎ রায়ের লেখা কোনো বই পুনর্মুদ্রণ বা প্রকাশ করছে না জাগৃতি।

    মেলায় শুদ্ধস্বর :মেলা প্রাঙ্গণে ৩৭০, ৩৭১ ও ৩৭২ নম্বর স্টল বরাদ্দ পেয়েছে শুদ্ধস্বর। বিদ্রোহের লাল রঙের মাঝে শোকের কালো রঙের ছোঁয়ায় সাজানো হয়েছে স্টল। শুদ্ধস্বরের সঙ্গে সম্পৃক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, এবার শুদ্ধস্বর থেকে চারটি নতুন বই প্রকাশ পাবে। এগুলো হলো- রণদীপম বসুর ‘নাস্তিকতা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’ ও ‘চারবাকদর্শন (দ্বিতীয় খণ্ড)’, মাহবুব লীলেনের ‘পুরাণ থেকে’ এবং আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুল সম্পাদিত ‘নাস্তিকতা :জীবন-দর্শন ও বিজ্ঞান ভাবনার আলোকে’।

    বিকেলে উদ্বোধন :আজ বিকেল ৩টায় মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে সম্মানিত বিদেশি অতিথি থাকবেন ব্রিটিশ কবি ও জীবনানন্দ অনুবাদক জো উইন্টার, চেক প্রজাতন্ত্রের লেখক-গবেষক রিবেক মার্টিন, আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সমিতির (আইপিএ) সভাপতি রিচার্ড ডেনিস পল শার্কিন ও সাধারণ সম্পাদক জোসেফ ফেলিক্স বুরঘিনো। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া হবে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৫। এবারের মেলাজুড়ে সেমিনারসহ বিভিন্ন আয়োজনে থাকবে বাংলা একাডেমির হীরকজয়ন্তীর ছোঁয়া।

    এবারের মেলায় একাডেমি প্রাঙ্গণে ৮২টি প্রতিষ্ঠানকে ১১১টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩২০টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৪০টি ইউনিট; মোট ৪০২টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৫১টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ১৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ছয় হাজার বর্গফুট আয়তনের ১৫টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ৯২টি লিটল ম্যাগাজিনকে বর্ধমান হাউসের দক্ষিণ পাশে লিটল ম্যাগাজিন কর্নারে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বই ৩০ শতাংশ কমিশনে এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে।

    মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে বিভিন্ন বিভাগে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’, ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’, ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ এবং ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেওয়া হবে। মেলা ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।

    বইমেলা ঘিরে থাকবে ক্যামেরা, ২৪ ঘণ্টা চোখ রাখবে পুলিশ

    এক বছর আগে লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি মাথায় রেখে একুশের বইমেলায় নিরাপত্তা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই বইমেলাকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকার পুরোটা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় রাখা হবে।

    ওই সব ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওচিত্র পর্যবেক্ষণে দুটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। একটি বাংলা একাডেমিতে এবং অন্যটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

    “দুজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা দুটি কন্ট্রোল রুমে থেকে মনিটরিং করবেন। সেখান থেকে সিটিটিভি পর্যবেক্ষণ করা হবে। সন্দেহজনক কিছু পেলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” বলেছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

    মাসব্যাপী বইমেলার শুরুর আগের দিন রোববার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নিজের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সবার জন্য খুলবে বইমেলা।

    গত বছর বইমেলা চলার সময় টিএসসির কাছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় লেখক অভিজিৎ রায়কে। তার এক যুগ আগে একই এলাকায়ই হামলার শিকার হয়েছিলেন লেখক হুমায়ুন আজাদ।

    দুটি হামলা এবং আরও ব্লগার, প্রকাশক হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিরা জড়িত বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। জঙ্গিদের হুমকির মুখে আছেন আরও লেখক-অধ্যাপক।

    লেখকরা চাইলে নিরাপত্তা দিতে পুলিশ প্রস্তুত জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, “কোনো নাগরিকের যদি বিশেষ নিরাপত্তা দরকার হয়, তিনি পুলিশের কন্ট্রোলরুমে জানালে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।”

    অভিজিতের উপর যখন হামলা হয়েছিল, তখন সময় রাত ৯টা এবং ওই এলাকায় আলোও বেশি ছিল না।

    এবার বইমেলা এবং সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হবে বলে পুলিশ কমিশনার জানান।

    “ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে কথা বলে টিএসটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং শাহবাগ থেকে দোয়েল চত্বর এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করেছি। পাশাপাশি ফায়ার ব্রিগেডের নিজস্ব লাইটিং থাকবে।”

    মেলায় ঢোকা ও বের হওয়া সহজ করতে এবার ফটকের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি তল্লাশিও জোরদার থাকবে বলে জানান আছাদুজ্জামান মিয়া।

    “প্রত্যেক গেইটে আর্চওয়ে থাকবে এবং যে কোনো ব্যক্তিকে তল্লাশির মধ্য দিয়ে মেলায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে।”

    ভিড় এড়াতে ঢোকা ও বের হওয়ার পথ আলাদা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে যৌন হয়রানির মতো ঘটনাও এড়ানো যাবে।

    “টিএসটি চত্বরের সামনে যে মূল প্রবেশ পথ এই পথ দিয়ে আগে মানুষ প্রবেশ করত ও বের হত। এ কারণে আগে এই নিয়ে জটিলতা তৈরি হত এবং অনেক অনাকাঙ্ক্ষিক ঘটনা এমনকি ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটারও সুযোগ ছিল।”

    নিরাপত্তা নিশ্চিতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি বাহিনীর সদস্যরা পুরো বইমেলায় নজরদারি রাখবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

    তিনি জানান, হকাররা যেন টিএসসির সড়কদ্বীপে বসতে না পারে সে ব্যবস্থা নেবেন তারা। জননিরাপত্তার স্বার্থে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার পর কাউকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

    পুরো বইমেলাকে সক্ষমতার সর্ব্বোচ্চ দিয়ে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখার চেষ্টা করার আশ্বাস দিয়ে নগরবাসীর সহযোগিতাও প্রত্যাশা করেছেন আছাদুজ্জামান মিয়া।

    সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মারুফ হাসান, যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলামও ছিলেন।

  2. মাসুদ করিম - ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ)

    ভস্মাধারে নেতাজির দাঁত!

    অন্ত্যেষ্টির আগে নেতাজির সোনায় মোড়া দাঁত খুলে নেওয়া হয়েছিল। পরে তা চিতাভস্মের সঙ্গে রেখে দেওয়া হয়। এখন তা রয়েছে জাপানের রেনোকোজি মন্দিরে। সেই দাঁতের ডি এন এ পরীক্ষা করলেই জানা যাবে তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষ চন্দ্রের মৃত্যু হয়েছিল কিনা। বলল লন্ডনের ওয়েবসাইট ডব্লু ডব্লু ডব্লু.বোসফাইলস.ইনফো। নেতাজির দীর্ঘদিনের সঙ্গী হবিবুর রহমান তাঁর ছেলে নৈমুরকে জানিয়েছিলেন, সুভাষচন্দ্রের অন্ত্যেষ্টির আগে তাঁকে সোনার দাঁতটি দেওয়া হয়েছিল। পরে চিতাভস্ম রাখার পাত্রে তিনি সেটি রেখে দিয়েছিলেন। ১৯৭৮ সালে মৃত্যু হয় হবিবুরের। ১৯৯০ সালে ইসলামাবাদে নৈমুরের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানতে পারেন বোসফাইলস.ইনফোর প্রতিষ্ঠাতা গবেষক আশিস রায়। ১৯৯৫ সালে বিষয়টি তিনি চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাও, লোকসভার বিরোধী দলনেতা অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে। ২৩ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকার যে ফাইলগুলো প্রকাশ করেছে তাতেও আশিসের চিঠি লেখার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ফাইল নম্বর জি–১৬(৩)/৯৫–এ দেখা যাচ্ছে নরসিংহ রাও, বাজপেয়ী, জ্যোতি বসু ছাড়াও জনতা দলের সভাপতি এস আর বোম্মাই এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের সাধারণ সম্পাদক চিত্ত বসুকেও সুভাষচন্দ্রের দাঁতের কথা জানানো হয়েছিল। ভস্মাধারে দাঁতটি আছে কিনা তা জানতে স্ক্যান করার কথা বলেছিলেন আশিস। তবে তা নিয়ে কেউই উচ্চবাচ্য করেননি। মমতা ব্যানার্জি এবং নরেন্দ্র মোদি সরকার যে ফাইলগুলো প্রকাশ করেছেন তাতে নেতাজির বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর নির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি।

  3. মাসুদ করিম - ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (১:১৫ অপরাহ্ণ)

    China’s New Year Holiday Travel Includes Passing Pop Quiz

    In China, getting a ticket home for the Lunar New Year can feel a bit like winning the lottery. First, there’s competition for plane, train and other passenger seats for almost 3 billion voyages. Then there’s the quiz to prove you’re not a Web robot.

    Beijing hairstylist Yang Mingyue learned how high the odds are in November, when she stayed up past midnight to buy train tickets online as soon as they became available. After finding the best fares for the 20-hour trip home to Heilongjiang province, Yang hit a snag: cryptic questions she had to answer correctly before her booking would be accepted.

    The puzzles are part of new cybersecurity measures designed to thwart scalpers from snapping up seats to resell at inflated prices. But in attempting to block scammers, the perplexing process is catching innocent web users such as Yang.

    “Those questions were so ridiculously difficult, and even when I managed to get them right after a few tries, the seats I wanted were no longer available,” the 21-year-old said. “It’s too late now. Even standing tickets on the dates I wanted are all sold out, economy class air tickets, too. Business class is too expensive.”
    Largest Migration

    The Chinese New Year holiday, also known as Spring Festival, shuts down the world’s second-largest economy for a week. While officially starting the weekend of Feb. 6 this year, the rush for travel bookings for the 40-day travel period commencing Jan. 24 began when tickets went on sale in late November.

    More than 2.9 billion passenger trips, including 332 million on the country’s rail networks, are expected by China’s Ministry of Transportation to be made over the New Year period. The average traveler will cover 410 kilometers (255 miles), the ministry predicted.

    That magnitude of travel, which represents for many Chinese the only trip home in a year, makes the Spring Festival an especially lucrative season for scalpers. In the first two weeks of online fare sales, railway police detained 85 ticket re-sellers and confiscated more than 6,000 legitimate and 12,000 fake train tickets in a nationwide campaign, the official Xinhua News Agency reported Dec. 11.

    To beat the cheats, rules were introduced in 2009 requiring ticket-buyers to identify the passengers for whom bookings were being made. After sales went online via China’s official train ticket booking site, 12306.cn, tech-savvy scalpers developed computer programs to buy up masses of tickets. That prompted the introduction of increasingly stringent security measures, culminating in the questions added to the site in late 2015.
    Attitude Test

    Users of 12306.cn are required to match low-resolution images with ambiguous descriptions. One test in early December asked users to identify which among eight pictures of female leotard-clad dancers in similar postures best exemplified “attitude.” Another question asked them to identify the dance pose that translates into English as “purple crown champion” from eight pictures of dancers in various postures.

    Frustrated customers complained to China Railway Corp., the country’s national rail operator, which pledged to remove the test questions that garnered the highest error rate and most complaints, the official China Daily newspaper reported in December.

    Questions have become more intuitive since then, but the most affordable seats on desired routes have mostly been taken — a problem for many Chinese. For China’s 246 million migrant workers, Spring Festival is typically a once-a-year opportunity to spend with the parents and children they leave behind in their hometowns.
    Cold Snap

    Even with confirmed tickets, travelers aren’t guaranteed on-time arrival. The Jan. 24 start of this year’s Spring Festival travel period coincided with the worst cold snap in China in 30 years, with blizzards in parts of eastern and southern China delaying flights and trains.

    Wang Tianzhang and his wife woke at 4 a.m. that day to travel by motorbike from Foshan city in the southern province of Guangdong to the Zhuang Autonomous Region in neighboring Guangxi province. The ride enabled the couple to avoid a 20-hour rail journey that would have required several train changes, Xinhua reported.

    “It was freezing, and we had to stop every hour to find some warmth,” Wang told the news agency.

    Hairstylist Yang won’t be as intrepid. Resigned to being a loser in what’s becoming an annual fastest-fingers-first tradition, she planned instead to usher in the Year of the Monkey with fellow Spring Festival orphans over a hot pot dinner in Beijing. Although she found tickets to get her to Heilongjiang on the fourth day of the lunar New Year, Yang couldn’t manage to find a return seat, making it impossible to book.

    “Tickets are sold out even on the 15th day!” she said.

  4. মাসুদ করিম - ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৫:৫৭ অপরাহ্ণ)

    China establishes new battle zones

    An inauguration ceremony was held in Beijing on Monday for the People’s Liberation Army’s (PLA) five new battle zones that have been established as part of the military reforms being carried out in China.

    During the ceremony, Chairman of the Central Military Commission (CMC) Xi Jinping awarded military flags to the new commanders and political commissars of the new battle zones.

    Before the reforms, there were seven military regions, including the Beijing Military Region, Shenyang Military Region, Jinan Military Region, Lanzhou Military Region, Chengdu Military Region, Guangzhou Military Region, and Nanjing Military Region.

    These have now been reclassified into five battle zones, namely the East, West, South, North, and Middle battle zones.

    China establishes new battle zones

    The establishment of the battle zones and building of the joint operation command are strategic decisions of the Party and the Central Military Commission, with the aim of building a strong military force.

    The newly-founded zones also shoulder the responsibility of maintaining peace, preventing wars, and winning wars. According to Xi, it has decisive role to safeguard China’s national security strategy and the overall situation of China’s military strategy.

    CHINA TAKES CRUCIAL STEPS TO BUILD STRONG ARMY

    China has been taking steps to reform its military system to build a stronger army, as has been called on by Xi.

    On January 11, China announced a major structural shift, decentralizing the four major military headquarters of the People’s Liberation Army (PLA) into 15 new units, including seven departments, three commissions and five other departments directly under the command of the CMC.

    Xi termed the shift as a “breakthrough” and “a crucial step” toward a stronger military. Military authorities say that the new system will contribute to the absolute leadership of the Party over the army, and enhance the restriction on and supervision of the exercise of power.

    The move followed an earlier reform announced on December 31st last year, when the country unveiled three new units under the PLA, i.e., the PLA General Command, the PLA Rocket Force and the PLA Strategic Support Force.

    The new units, according to a CMC statement, are important to ensure better management of the military commission, strengthen the combat capability of troops in military areas and comprehensively build military services.

    In the past, Xi has stressed on many occasions that “a prosperous nation and a strong army” are the foundations upon which national rejuvenation will be built.

    As part of Xi’s blueprint of “building a strong army through reforms”, China has vowed to streamline military personnel by 300,000 by the end of 2017, attract more well-educated recruits and to root out corruption in the army and ensure the rule of law in the armed forces.

  5. মাসুদ করিম - ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (১০:০৮ পূর্বাহ্ণ)

    Intizar Hussain, Pakistan’s ‘greatest fiction writer’, dies at 92

    Pakistani author Intizar Hussain, one of the greatest Urdu writers in history, died on February 2, 2016, aged 92, in Lahore.

    The prolific author was known for his novels, short stories, columns and poetry and belatedly saw worldwide recognition when he was shortlisted for the Man Booker International Prize in 2013 and was awarded France’s Ordre des Arts et des Lettres a year later.

    Born on December 7, 1923, in Dibai, India. Hussain said that as a child he was inspired by reading a copy of Arabian Nights that his girl cousins and sisters kept hidden. He migrated to the newly formed Pakistan in 1947 – an experience he wrote about 50 years later in The First Morning. The story captured the horror and optimism that accompanied the partition of India where an estimated 14 million people were displaced.

    The history of Pakistan and the subcontinent was also the setting for his acclaimed novel Basti, published in 1979 and later translated into English.

    Asked once whether he preferred the short story to other forms, Hussain replied: “The tradition of the Progressives in the 1930s and 1940s made it easier to get short stories published. We could do it in literary magazines. Finding a publisher with a longer novel was usually very difficult, so while I have written many novels, the short story was the form I found very useful and turned to frequently.”

    Naya Gar (The New House) paints a picture of Pakistan during the ten-year dictatorship of General Zia-ul-Haq. Agay Sumandar Hai (Beyond is the Sea) contrasts the spiralling urban violence of contemporary Karachi with a vision of the lost Islamic realm of al-Andalus, in modern Spain.

    He was also a regular literary columnist for Pakistan’s leading English-language daily Dawn, and in later years became known as a voice of moderation and advocate of what he saw as the subcontinent’s ancient traditions of pluralism and tolerance.

    Fellow Urdu writer Munnu Bhai told AFP: “Intizar Hussain was a man of letters. His death has left a huge gap in the literary circle of the subcontinent that would be felt of the centuries to come.”

    Hussain’s wife, Aliya Begum, died in 2004 and the couple had no children.

    Questions on our identity still need answers: Intizar Hussain

    Was Pakistan unavoidable or a tragedy? Intizar Hussain says people cannot make these decisions.

    The course of history makes such decisions and that is what happened to the people of the Subcontinent when the Partition took place. The Urdu fiction writer was speaking on the first day of the fifth Karachi Literature Festival being held at the Beach Luxury Hotel on Friday.

    Hussain was addressing the audience at the launch of the silver jubilee edition of his book ‘Basti aur Uskay Baad’. After he read some parts of the book, he added that the country was created under idealism. “History works like a municipality bulldozer that is on an anti-encroachment drive,” he drew an interesting parallel. “It does not differentiate between the legal kiosks erected with permission and those which are illegal ones. They destroy and carry away all of them.”

    The Muslims of South Asia thought that they are a nation that has a common culture, Hussain pointed out, adding that several basic questions about the history and culture of the Muslims in the Subcontinent started surfacing and were discussed in detail soon after the country was established.

    These answers are, however, unanswered even to this day. Given this uncertainty about the country’s culture, Hussain referred to an analogy people use. “Now we say if we have any culture, that is Kalabagh Dam.”

    Hussain recalled that his novel was written in the backdrop of events that were unfolding in the form of political turmoil in former East Pakistan during the early 1970s. He had felt at the time that the 1947-like situation was taking place again. The moderator, Asif Farrukhi, quipped the novel relates to the present-day Pakistan as well.

    The writer admitted he did not know he was writing a novel when he started. He was just trying to imagine what was happening at Qayyum’s shop, which was a hub in his hometown’s life when the turmoil started. Eventually, Hussain felt that he could write a story and it turned out to be a novel.

    গল্প: ইন্তিজার হুসেইন অনুবাদ: মাহমুদ আলম সৈকত।। যা-ই হোক, সেদিনও মুয়াজ্জিনের আজান শুনেই আর্তাজা বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ল। উ…

    Posted by Masud Karim on Tuesday, February 2, 2016

  6. মাসুদ করিম - ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (১:৩৮ অপরাহ্ণ)

    A new economic paradigm – the New Pragmatism

    The 12 Great Issues of the Future (GIF) address the challenging questions of long-term future of mankind and the global economy. Traditional, mainstream economics seems to be a matter of the past and useless for explaining the true nature of ongoing social, economic, and ecological processes. We do need a new theoretical framework which must be also useful for policy-advice. And such is the New Pragmatism, which employs a holistic approach to answer fundamental questions about the course of future generations.

    Comparative economics and social science analysis are all engaged in a comprehensive coverage of the issues facing the global economy. A complex and dynamic consideration explains how things work and how they will and how they should work in the future.

    Economic methodology alone does not provide the most satisfactory answers for fundamental questions. An interdisciplinary attitude is necessary since the future of the world and civilisation depends not only on what happens in the economic sphere but also cultural, social, political, demographic, technological, and ecological processes.

    The article discusses threats and opportunities of the future as well as proposes strategies for ways to move forward based on an original proposition of a new economic paradigm – the New Pragmatism.

    When arguing over the ways leading to a better future, there’s no need to settle the dilemma of which of the imbalances threatens humanity more: the environmental or the social one. The economic imbalance, though it’s serious, is not the biggest threat. However, we can’t live in peace and develop economically without managing the situation on all three fronts and still, the list of challenges doesn’t end here.

    How do we reconcile a practical approach to economy with an uncompromising attitude? Can you be both an economic pragmatist and a man of principles? Is it worthwhile? It is both possible and worthwhile. If we want the world of the future to be a world of peace and of a reasonably harmonious development, and we do want that very much, we need to introduce new values to economic reproduction processes, but, at the same time, we shouldn’t, even for a moment, forget pragmatism, which is the fundamental, indispensable feature of rational resource allocation. We need a pragmatism that favours multiculturalism and comes from a system of values that promotes participatory globalisation, inclusive institutions, social cohesion and sustainable development.

    There is no inconsistency here because the supreme values guiding the economic activity process in a society and its economic goals are quite identical. In both perspectives, what matters most is a three-fold sustainable social and economic development in the long term. “Three-fold” stands for:

    (1) economically balanced development, that is one relating to the market of goods and capital, investment and finance as well as that of labour;

    (2) socially sustainable development, that is one relating to a fair, socially accepted income distribution and appropriate participation of basic population groups in public services; and

    (3) environmentally sustainable development, that is one relating to keeping proper relations between human economic activity and nature.

    Therefore, there’s no need to sacrifice fundamental principles at the altar of short-term economic or tactical matters. Meanwhile, we need practical strategic activity to be governed by those principles. This imperative determines the path of evolution of the political economy of the future. Good economics is more than a description of the world; it’s also an instrument to change it for the better.

    Of great importance is the possibility to achieve two goals at a time which stems from the fact that one of them, socially sustainable income distribution, is, at the same time, a means to achieving another, namely economic growth. Neo-liberal economic thought and economic policy based thereon have failed to comprehend this interrelation and that’s why, by causing a major crisis, it annihilates itself. This is also beyond the grasp of the economic thought behind various varieties of state capitalism and that is why there is no bright future ahead of it. It’s time for New Pragmatism.

    While not underestimating the rivalry between the neo-liberal capitalism and state capitalism, it is not this dichotomy that will have major importance for the future. The shape of the latter will be determined by the result of the confrontation between these two varieties of contemporary capitalism and a social market economy in the form of New Pragmatism. In this battlefield, neo-liberalism, trying to regain its strength and position, and the state capitalism, which is hostile to the former, will be pitted against the concept of genuine social and economic progress. Its benefits should be available, as widely as possible, to the masses rather than only to narrow circles following their own particular interests and to their well-paid lobbyists in the world of politics, media and ‘science’. No system where a vast area of economic inconvenience is called a ‘margin’ of social exclusion, and, at the same time, a narrow margin called the ‘elite’ swims in excessive wealth, has a great future.

    This is also corroborated by conclusions that are easy to draw when comparing the so-called ‘big government’ economies with those where the government is ‘small’. Well, in several decades (1960-95), in countries with a small, around 30 per cent government involvement in national income redistribution (and, consequently, with higher inequality of distribution) the rate of investment or the percentage share of investment in the GDP was 20.7 per cent on average. At the same time, in countries with a high scale of budget redistribution, with around 50 per cent government involvement in the GDP (and consequently, relatively lower inequalities in the income distribution), the investment rate was 20.5 per cent on average. No difference at all. You can have the same capacity for capital formation, which determines economic growth in the future, with a no less balanced income distribution, which co-determines satisfaction with the present state of economy. And that’s an important guideline for the New Pragmatism economic policy. That’s what things should be like in the future.

    It’s natural that societies and nations aspire to at least catch up with a richer neighbour, if not with Japan right away. Mexicans dream of the United States, Slovaks wish things were as good at home as they are in Austria, Estonians compare themselves with Finland, while the Vietnamese are planning to outdo Thailand. Once I was even asked at the PNG University in Port Moresby, when things in Papua New Guinea will be the way they are in Australia (never, in a foreseeable future), and recently a Cairo-based journalist wanted to know what I think about Egyptian politicians that announce their country will catch up with Turkey in seven years. Well, it’s a sheer megalomania, as it would require doubling of the Egyptian GDP per capita in this seven-fat-years period (unrealistic assumption), on the assumption (also an unrealistic one), that Turkey would experience a complete stagnation due to seven lean-years.

    The wish to match those who are better is one of the major driving forces in eliminating development gaps, but if we plan tasks that are impossible to complete in a given time-frame, people may get discouraged. It’s worth being an ambitious realist or a pragmatist. Poland may one day reach a GDP per capita of Germany just like the Irish managed to do with that of the UK, or South Korea almost of Japan, but this cannot happen over one generation, and considering the not-so-good policy of the recent couple of years, even two or three might not be enough. There’s no telling. While Spain managed to get close to the GDP level enjoyed by the French (US$ 36,000 per capita at PPP in the years 2012-14), the Portuguese ($24,000) didn’t catch up with Spain ($31 000). The resulting implication for economic development policy is: aim for what you’re strong enough to achieve. If you can, increase your strength, but you shouldn’t aim beyond your potential, because then your goals will not be matched by the possibilities to achieve them.

    It’s not about limiting human needs, but about endeavouring, by all possible means, to maintain a harmony (which is necessary to ensure social satisfaction) between needs, both the old ones growing in strength and the new ones emerging, and realistic, economically reasonable possibilities to satisfy them. Also in this case, just like with the future growth rate, it would be good to leave more room for development to societies from emancipating economies, with a relatively lower increase in needs in rich countries. To a certain degree, this is already happening, as, again, it’s similar to gluttony; at some point you’ve had enough even of what you like and you can’t have any more of it.

    MEANS AND ENDS OF DEVELOPMENT: If, in a broad perspective, it all boils down to maximising, in a long term the level of social satisfaction with economic activity, we need to look at New Pragmatism from the angle of the objectives of social and economic development, its essence and method.

    Fulfilling needs in a way that satisfies people is a development goal that is in line with the guiding values of New Pragmatism. A GDP growth is a means to an end rather than an end itself. It’s high time for the highly-developed countries to move away from maximising income mostly from driving the gross domestic product as high as they believe they can. If half a century of ever-increasing incomes did not increase the life satisfaction of rich Americans, why make so much effort and incur extra costs also in the form of extended work time while devastating the natural environment even more?

    Incidentally, something interesting is going on in this respect as even during the US presidential campaign in 2012 there was relatively less talk of quantity, and more of quality, less talk of the output growth, and more of other aspects of rational resource allocation such as financial and trade balance, provision of public services, employment, although still not enough about culture and environment. This was due, to a great extent, to the specific nature of the time of crisis, but, partly, also to the evolution of mentality. It’s good because we are standing on the brink of a fundamental redefinition of social and economic development goals. In the future, the goal will not be to just maximise income, but to distribute the fruits of such growth in a way that increases the people’s true satisfaction; non-material values will be another goal.

    The writer is a former Deputy Premier and Finance Minister of Poland and currently the Director of TIGER (Transformation, Integration and Globalization Economic Research) and Professor at the Kozminski University in Warsaw (ALK). The article is adapted from his public lecture, organised by the Bangladesh Economic Association (BEA), in Dhaka on Tuesday (February 2, 2016).

  7. মাসুদ করিম - ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৮:০৭ পূর্বাহ্ণ)

    সাংবাদিকতায় ‘ভুল’ স্বীকার করলেন মাহফুজ আনাম

    সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সূত্রবিহীন খবর যাচাই না করে প্রকাশের জন্য সাংবাদিকতার ‘ভুল স্বীকার’ করেছেন ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম।

    “এটা আমার সাংবাদিকতার জীবনে, সম্পাদক হিসেবে ভুল, এটা একটা বিরাট ভুল। সেটা আমি স্বীকার করে নিচ্ছি।”

    ইংরেজি দৈনিকটির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন এটিএন নিউজে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রশ্নের মুখে মাহফুজ আনামের এই স্বীকারোক্তি আসে।

    মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে মাহফুজ আনাম গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, দায়িত্বশীলতা নিয়ে কথা বলেছিলেন।

    সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ডেইলি স্টারের বিতর্কিত ভূমিকার প্রসঙ্গ শুরুতেই সঞ্চালক তুললে তা অস্বীকার করেন মাহফুজ আনাম।

    অনুষ্ঠানের আলোচক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ‘হেড অফ কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ও এডিটোরিয়াল পলিসি কো-অর্ডিনেটর’ গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদও তখন ডেইলি স্টার নিয়ে নানা অভিযোগের বিষয়টি তোলেন।

    ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর সেনা হস্তক্ষেপে গঠিত ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ডেইলি স্টারের ‘সমর্থন’ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে।

    তার আগে সিপিডির উদ্যোগে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সহযোগিতায় দেশজুড়ে নাগরিক সংলাপে ‘বিরাজনীতিকরণের’ প্রচার চালিয়ে অসাংবিধানিক সরকারের প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়েছিল বলে সমালোচকদের যুক্তি।

    আলোচনা সভায় বিষয়গুলো তোলা হলে মাহফুজ আনাম অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সুনির্দিষ্ট ঘটনার উল্লেখ করতে বলেন।

    গাজী নাসিরউদ্দিন তখন শেখ হাসিনার ‘ঘুষ নেওয়ার’ প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেন, যা বন্দি আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের স্বীকারোক্তিতে এসেছে বলে কোনো সূত্রের উদ্ধৃতি ছাড়াই প্রকাশ করা হয়েছিল।

    দুই প্রধান রাজনৈতিক নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে ওই সময় ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তাদের চরিত্র হননের চেষ্টা চালানো হয়েছিল বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে।

    প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রথমেই মাহফুজ আনাম বলেন, তখন ‘সবাই’ এই কাজ করছিল।

    এরপর সূত্রবিহীন খবর যাচাই না করে প্রকাশকে ‘বিরাট ভুল’ হিসেবে স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, তখন এই খবর প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই তাদের সরবরাহ করেছিল।

    ডেইলি স্টারের ওই সময়কার ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার দৈনিকটির অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করেন।

    নব্বইয়ের দশকে সাংবাদিক এস এম আলীর উদ্যোগে প্রকাশিত হয় ডেইলি স্টার। মিডিয়া ওয়ার্ল্ড কোম্পানি গঠন করে এই দৈনিকটি প্রকাশে তার সঙ্গে বিনিয়োগ করেন লতিফুর রহমান ও আব্দুর রউফ চৌধুরী।

    ট্রান্সকম গ্রুপের কর্ণধার লতিফুর রহমানের নাম সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকারের সময়ে করা ‘দুর্নীতিবাজের’ তালিকায় ছিল। রউফ চৌধুরী র‌্যাংগস গ্রুপের কর্ণধার।

    এস এম আলীর মৃত্যুর পর কোম্পানির বেশিরভাগ শেয়ারের মালিক লতিফুর সম্পাদক হিসেবে আনেন ইউনেসকোর সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহফুজ আনামকে।

    ‘টোয়েন্টি ফাইভ ইয়ার্স অফ জার্নালিজম উইদাউট ফিয়ার অ্যান্ড ফেভার’ স্লোগান নিয়ে রজত জয়ন্তি উদযাপন করছে ডেইলি স্টার।

    এই স্লোগান ধরে অনুষ্ঠানে গাজী নাসিরউদ্দিন ডেইলি স্টার সম্পাদককে প্রশ্ন করেন, “তাহলে কি আপনারা ফিয়ার (ভয়) থেকে তখন (জরুরি অবস্থার সময়) ওই ধরনের সংবাদ ছেপেছিলেন। আর ফেভার (আনুকূল্য) থেকে বিদেশি দাতা সংস্থা কিংবা এনজিওদের বিরুদ্ধে কোনো খবর ছাপেন না।”

    তবে মাহফুজ আনাম এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান।

    এটিএন নিউজের আলোচনা অনুষ্ঠানে ছাপানো সংবাদপত্রটির সম্পাদক ভবিষ্যতে ইন্টারনেটভিত্তিক সংবাদপত্রের গুরুত্ব স্বীকার করে তার প্রতিষ্ঠানকেও সেভাবে সাজানোর কথা বলেন।

  8. মাসুদ করিম - ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (১২:৫৯ অপরাহ্ণ)

    মহাকর্ষ তরঙ্গ শনাক্ত, আইনস্টাইনই ঠিক

    স্থান-কালকে বাঁকিয়ে দেয় বলে যে তরঙ্গের কথা বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন শত বছর আগে তার অপেক্ষবাদ তত্ত্বে ধারণা দিয়েছিলেন- সেই মহাকর্ষীয় তরঙ্গকে বাস্তবে শনাক্ত করার দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

    বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই শনাক্তের ঘোষণা দেওয়া হয় বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

    গবেষকরা বলছেন, সূর্যের থেকে প্রায় ৩০ গুণ ভারী দুটি কৃষ্ণ গহ্বরের সংঘর্ষ থেকে উৎপন্ন এই মহাকর্ষীয় তরঙ্গ (গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ) শনাক্ত করা হয়েছে।

    পৃথিবী থেকে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে ওই দুটি ব্ল্যাক হোল একে অন্যের চারপাশে চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে এক পর্যায়ে একসঙ্গে মিশে যায়।

    ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েব অভজারভেটরির (এলআইজিও-লাইগো) গবেষকরা এই ঘোষণা দেন।

    আলোর মতো গ্র্যাভিটি বা মহাকর্ষ তরঙ্গের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু পার্থক্য, মহাকর্ষ বিকিরণ আকারে ছড়ায় না, বরং স্থান নিজেই এক্ষেত্রে তরঙ্গায়িত হয়।

    কোনো বালতির পানিতে হাত ডুবিয়ে তুললে পানির উপরিতলে যে মৃদু ঢেউ ধীরে ধীরে বালতির গোলাকার দেয়ালের দিকে ছড়িয়ে যায়, এই মহাকর্ষীয় তরঙ্গ স্থানের মধ্যে সেরকম মৃদু ঢেউ তৈরি করে তথা স্থানকে বাঁকিয়ে দেয়।

    জার্মান বিজ্ঞানী আইনস্টাইন ১৯১৫ সাল তার সাধারণ অপেক্ষবাদ তত্ত্বে এই ধারণা প্রকাশ করেন।

    এই মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্তের জন্য বিজ্ঞানীরা লেজার রশ্মি ভ্রমণ করতে পারে এমন চার কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল তৈরি করেন। লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ অভজারভেটরি (এলআইজিও-লাইগো) নামে পরিচিত এই সিস্টেম একটি পরমাণুর ব্যাসের ১০ হাজার ভাগের এক ভাগ পর্যন্ত সূক্ষ্ম দৈর্ঘ্য পরিমাপ করতে পারে।

    মহাকর্ষীয় তরঙ্গের প্রভাবে এই লেজার রশ্মিই অতি সামান্যতম বিচ্যুতিও পরিমাপের ব্যবস্থা করা হয় ওই টানেলে।

    হিগস-বোসন কণা শনাক্তের পর মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্তের ঘটনা বিজ্ঞানের জগতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব গ্র্যাভিটেশনাল ফিজিক্সের অধ্যাপক কারস্টেন ডানসমান।

    অধ্যাপক ডানসমান বিবিসিকে বলেন, “এটা প্রথমবারের মতো মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত; এটা প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক হোলের সরাসরি শনাক্ত করার ঘটনা এবং এটা সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের নিশ্চয়তা। কারণ এই ব্ল্যাক হোলগুলোর বৈশিষ্ট্য শত বছর আগে আইনস্টাইন যেমনটা ধারণা করেছিলেন তার সঙ্গে হুবহু মিলে যায়।”

    ব্ল্যাক হোল নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে গবেষণা চালিয়ে আসা বিজ্ঞানী স্টিভেন হকিং মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্তের এ ঘটনাকে ইতিহাসের মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন।

    বিবিসি নিউজকে তিনি বলেন, “মহাকর্ষীয় তরঙ্গ মহাবিশ্বকে দেখার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন পথ দেখাবে।”

    মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করার এই ক্ষমতা জ্যোতির্বিদ্যাকে সর্বাত্মতভাবে পরিবর্তন করতে পারে মন্তব্য করে হকিং বলেন, “এই আবিষ্কার বাইনারি সিস্টেম ব্ল্যাক হোলের প্রথম শনাক্ত করার ঘটনা এবং একাধিক ব্ল্যাক হোলের মিশে যাওয়ার প্রথম পর্যবেক্ষণ। ”

    শনাক্তকরণ যন্ত্র ‘লাইগো’কে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্তকরণে এক ধরনের ‘এন্টেনা’ বলে বর্ণনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান আরশাদ মোমেন।

    তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‍“ভূমিকম্প হলে সাইসমোগ্রাফে আমরা যেমন কম্পন নির্ণয় করতে পারি, তেমনি লাইগোর সাহায্যে মহাজাগতিক স্থান-কালে কোনো আলোড়ন বা তরঙ্গ হলে সেটি আমরা সহজে শনাক্ত করতে পারব।”

    মহাকর্ষ–তরঙ্গ ধরার যন্ত্র ভারতেও

    তীব্র বেগে পরস্পরকে পাক খেতে খেতে এগিয়ে আসছে দুটি কৃষ্ণগহ্বর। যত কাছে আসছে তত গতিবেগ বাড়ছে। শেষে সেকেন্ডে ৭৫ বারের মতো একে অপরকে চক্কর মারতে মারতে প্রবল সঙ্ঘাতে দুয়ে মিলে এক হয়ে গেল। একশো কোটিরও বেশি বছর আগে ঘটা সেই সঙ্ঘাত–সংযুক্তিতে মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে মহাকর্ষ–তরঙ্গ। পুকুরে ঢেউ ওঠার মতোই তরঙ্গ জাগে দেশ–কালের বুকে। আর সেই তরঙ্গ পৃথিবীর বুকে ধরা পড়ল গত সেপ্টেম্বরে, ১৪ তারিখ। বিজ্ঞানের ইতিহাসে এ এক বিরাট ঘটনা। ‘চাঁদে পা ফেলার মতোই এক ঘটনা’, উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ঘোষণা করলেন কাল বিজ্ঞানী ডেভিড রিৎজ। ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে। লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল–ওয়েভ অবজার্ভেটরির একজিকিউটিভ ডিরেক্টর রিৎজের উচ্চারণ: উই ডিড ইট। আমরা করেছি। আসলে নেটদুনিয়ায় কানাঘুষো, জল্পনাকল্পনা চলছিলই, কিন্তু যা ধরা পড়েছে তাঁদের গবেষণাগারে, তা যে নির্ভুল, তা যাচিয়ে নিতে মাস কয়েক সময় নিলেন বিজ্ঞানীরা। তারপর গতকালের ঘোষণা। আর সেই উচ্ছ্বাসের তরঙ্গ মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানমহলে। ভারতেও, হয়ত একটু বেশি করেই। কেন? এত উচ্ছ্বাস কেন? আর, ভারতের বিজ্ঞানমহলের তাতে শরিক হওয়ার বিশেষ কারণ কিছু কি আছে? কেনই বা ওয়াশিংটনের ওই ঘোষণার কয়েক মিনিট পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটারে অভিনন্দন জানাবেন ভারতীয় বিজ্ঞানীদের, আর আলোকিত হয়ে উঠবে পুনের এক প্রতিষ্ঠানে সমবেত জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মুখ?
    হ্যাঁ, পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে এটি বড় ঘটনাই বটে। এই গ্রহের জ্ঞানের ইতিহাসে আরও একবার উজ্জ্বল হয়ে উঠল সেই অনন্য মুখ। আলবার্ট আইনস্টাইন। ১৯১৫ সালে তাঁর আপেক্ষিকতার তত্ত্ব প্রকাশিত হয়। ত্রিমাত্রিক স্থানের সঙ্গে যুক্ত হয় কালের মাত্রা। সেই তত্ত্ব থেকেই বেরিয়ে আসে মহাকর্ষ–তরঙ্গের ধারণা। কিন্তু পৃথিবীতে এই তরঙ্গ কখনও ধরা যাবে কি না, অর্থাৎ পরীক্ষাগারে এর প্রত্যক্ষ প্রমাণ সম্ভব কি না সে ব্যাপারে সন্দিহান ছিলেন আইনস্টাইন। একশো বছরের এপারে এসে সেই কাজটিকেই সম্ভব করে পদার্থবিজ্ঞান সেই মণীষাকে প্রণতি জানাল । মহাকর্ষ–তরঙ্গের ধারণা নির্ভুল। সেই তরঙ্গকে শব্দেও রূপান্তরিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। পিয়ানোয় বাজানো কোনও তীক্ষ্ণ সংক্ষিপ্ত শব্দের মতো অনেকটা। একটি তত্ত্বের পরীক্ষামূলক প্রতিষ্ঠাই শুধু নয়, এই সাফল্য মহাকাশে উঁকি মারার নতুন আরেকটি জানালাও খুলে দিচ্ছে। মহাকর্ষ–তরঙ্গ ধরে মহাকাশ পর্যবেক্ষণের নতুন পদ্ধতি। মহাকাশ তরঙ্গ ধরার চেষ্টা চলছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। তৈরি হয়েছে তিনটি লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল–ওয়েভ অবজার্বেটরি, সংক্ষেপে লিগো। দুটি আমেরিকায়— ওয়াশিংটনের হ্যানফোর্ড এবং লুজিয়য়ানার লিভিংস্টোনে। একটি ইতালিতে। লিগো–কে বলা হচ্ছে অসম্ভবকে তাড়া করার এক প্রযুক্তি। মনে পড়ে যেতে পারে সার্নের ‘ঈশ্বরকণা’ খোঁজার আয়োজন। চেহারায় ইংরেজি ‘এল’–এর মতো, দুটি মুখ–বন্ধ ফাঁপা দীর্ঘ ডিটেক্টর, দৈর্ঘ্যে ৪ কিলোমিটার। তরঙ্গাঘাতে এর সামান্য পরিবর্তন— পরমাণুর অতিক্ষুদ্র ভগ্নাংশের হেরফেরও— লেজার রশ্মির সাহায্যে ধরে ফেলা যায়। শত শত কোটি ডলারের কর্মকাণ্ড। প্রথমে তেমন ফল পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ানো হয় এর ক্ষমতা। আর ঠিক তার পরই ধরা পড়ল মহাকর্ষ–তরঙ্গ। বিজ্ঞানীরা জানান, যে দুটি কৃষ্ণগহ্বর এক হয়ে গেল, তাদের একটির ব্যাস ১৫৬ কিমি, অন্যটির ২৩৪ কিমি। ভর কিন্তু সাঙ্ঘাতিক, একটির সূর্যের চেয়ে ২৯ গুণ, অন্যটির ৩৫ গুণ। দুয়ে মিলে হওয়ার কথা ৬৫ গুণ, কিন্তু এক হয়ে যাওয়ার পর হল ৬১ গুণ। বাকি ভর কোথায় গেল? আইনস্টাইনের তত্ত্ব থেকেই বলা যায়, বিপুল শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে বাকি ভর। আর তা বিকিরিত হয়েছে মহাকর্ষ–তরঙ্গ রূপে। সেই তরঙ্গই এসে ধরা পড়েছে গত সেপ্টেম্বরে। এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যালটেক ছাড়াও এম আই টি–র বিজ্ঞানীরা। এবং বিশ্বের আরও নানা বিজ্ঞানী।
    জড়িয়ে আছেন এই উদ্যোগে আসলে ভারতীয় বিজ্ঞানীরাও। ১৯৮০–র দশকেই মহাকর্ষ–তরঙ্গ ধরার জন্য এ ধরনের যন্ত্র উদ্ভাবনের পথ দেখিয়েছিলেন দুই ভারতীয় বিজ্ঞানী। সঞ্জীব ধুরন্ধর এবং বি সত্যপ্রকাশ। সঞ্জীব ধুরন্ধরের নেতৃত্বে একটি দল কাজ করেছিল পুনের ইন্টার–ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (আই ইউ সি এ এ)–এ। বেঙ্গালুরুর রামন রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বালা আয়ারের নেতৃত্বে আরেকটি দল কাজ করেছে এর গাণিতিক দিক নিয়ে। সব মিলিয়ে প্রায় একশো ভারতীয় গবেষক মহাকর্ষ–তরঙ্গ নিয়ে গতকাল পুনের আই ইউ সি এ এ–তে জড়ো হয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর সোমক রায়চৌধুরি পড়ে শোনান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টুইটার। ‘মহাকর্ষ–তরঙ্গ ধরার ঐতিহাসিক ঘটনায় ফলে মহাবিশ্বকে বোঝার নতুন দিক খুলে গেল। বিরাট গর্ব হচ্ছে, ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন’, টুইটারে বলেছেন মোদি। সোমক রায়চৌধুরির মতো বহু বিজ্ঞানীই আশা করছেন, ভারতে একটি লিগো স্থাপনের উদ্যোগ এবার বাস্তবায়িত হবে। নানা দিকে মুখ করেই পৃথিবীর নানা জায়গায় ডিটেক্টর বসানোর প্রয়োজন রয়েছে আরও ভাল করে মহাকর্ষ–তরঙ্গ ধরার এবং বোঝার জন্য। ভারতে তা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার শিগগিরই ১২৬০ কোটি টাকা মঞ্জুর করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    Gravitational waves have been detected for the first time

    TWO black holes circle one another. Both are about 100km across. One contains 36 times as much mass as the sun; the other, 29. They are locked in an orbital dance, a kilometre or so apart, that is accelerating rapidly to within a whisker of the speed of light. Their event horizons—the spheres defining their points-of-no-return—touch. There is a violent wobble as, for an instant, quintillions upon quintillions of kilograms redistribute themselves. Then there is calm. In under a second, a larger black hole has been born.

    It is, however, a hole that is less than the sum of its parts. Three suns’ worth of mass has been turned into energy, in the form of gravitational waves: travelling ripples that stretch and compress space, and thereby all in their path. During the merger’s final fifth of a second, envisaged in an artist’s impression above, the coalescing holes pumped 50 times more energy into space this way than the whole of the rest of the universe emitted in light, radio waves, X-rays and gamma rays combined.

    And then, 1.3 billion years later, in September 2015, on a small planet orbiting an unregarded yellow sun, at facilities known to the planet’s inhabitants as the Advanced Laser Interferometer Gravitational-wave Observatory (LIGO), the faintest slice of those waves was caught. That slice, called GW150914 by LIGO’s masters and announced to the world on February 11th, is the first gravitational wave to be detected directly by human scientists. It is a triumph that has been a century in the making, opening a new window onto the universe and giving researchers a means to peer at hitherto inaccessible happenings, perhaps as far back in time as the Big Bang.

    Finger on the pulsar

    The idea of gravitational waves emerged from the general theory of relativity, Albert Einstein’s fundamental exposition of gravity, unveiled almost exactly 100 years before GW150914’s discovery. Mass, Einstein realised, deforms the space and time around itself. Gravity is the effect of this, the behaviour of objects dutifully moving along the curves of mass-warped spacetime. It is a simple idea, but the equations that give it mathematical heft are damnably hard to solve. Only by making certain approximations can solutions be found. And one such approximation led Einstein to an odd prediction: any accelerating mass should make ripples in spacetime.

    Einstein was not happy with this idea. He would, himself, oscillate like a wave on the topic—rescinding and remaking his case, arguing for such waves and then, after redoing the sums, against them. But, while he and others stretched and squeezed the maths, experimentalists set about trying to catch the putative waves in the act of stretching and squeezing matter.

    Their problem was that the expected effect was a transient change in dimensions equivalent to perhaps a thousandth of the width of a proton in an apparatus several kilometres across. Indirect proof of gravitational waves’ existence has been found over the years, most notably by measuring radio emissions from pairs of dead stars called pulsars that are orbiting one another, and deducing from this how the distance between them is shrinking as they broadcast gravitational waves into the cosmos. But the waves themselves proved elusive until the construction of LIGO.

    As its name states, LIGO is an interferometer. It works by splitting a laser beam in two, sending the halves to and fro along paths identical in length but set at right angles to one another, and then looking for interference patterns when the halves are recombined (see diagram). If the half-beams’ paths are undisturbed, the waves will arrive at the detector in lock-step. But a passing gravitational wave will alternately stretch and compress the half-beams’ paths. Those half-beams, now out of step, will then interfere with each other at the detector in a way that tells of their experience. The shape of the resulting interference pattern contains all manner of information about the wave’s source, including what masses were involved and how far away it was.

    To make absolutely certain that what is seen really is a gravitational wave requires taking great care. First, LIGO is actually two facilities, one in Louisiana and the other in Washington state. Only something which is observed almost, but not quite, simultaneously by both could possibly be a gravitational wave. Secondly, nearly everything in the interferometers’ arms is delicately suspended to isolate it as far as possible from distant seismic rumblings and the vibrations of passing traffic.

    Moreover, in order to achieve the required sensitivity, each arm of each interferometer is 4km long and the half-beam in it is bounced 100 times between the mirrors at either end of the arm, to amplify any discrepancy when the half-beams are recombined. Even so, between 2002 when LIGO opened and 2010, when it was closed for upgrades, nary a wave was seen.

    Holey moly

    Those improvements, including doubling the bulk of the devices’ mirrors, suspending them yet more delicately, and increasing the laser power by a factor of 75, have made Advanced LIGO, as the revamped apparatus is known, four times as sensitive as the previous incarnation. That extra sensitivity paid off almost immediately. Indeed, the system’s operators were still kicking its metaphorical tyres and had yet to begin its official first run when GW150914 turned up, first at the Louisiana site, and about a hundredth of a second later in Washington—a difference which places the outburst somewhere in the sky’s southern hemisphere. Since then, the team have been checking their sums and counting their lucky stars. As they outline in Physical Review Letters, the likelihood that the signal was a fluke is infinitesimal.

    When one result comes so quickly, others seem sure to follow—particularly as the four months of data the experiment went on to gather as part of the first official run have yet to be analysed fully. A rough estimate suggests one or two other signals as striking as GW150914 may lie within them.

    For gravitational astronomy, this is just the beginning. Soon, LIGO will not be alone. By the end of the year VIRGO, a gravitational-wave observatory in Italy, should join it in its search. Another is under construction in Japan and talks are under way to create a fourth, in India. Most ambitiously, a fifth, orbiting, observatory, the Evolved Laser Interferometer Space Antenna, or e-LISA, is on the cards. The first pieces of apparatus designed to test the idea of e-LISA are already in space.

    Together, by jointly forming a telescope that will permit astronomers to pinpoint whence the waves come, these devices will open a new vista on the universe. As technology improves, waves of lower frequency—corresponding to events involving larger masses—will become detectable. Eventually, astronomers should be able to peer at the first 380,000 years after the Big Bang, an epoch of history that remains inaccessible to every other kind of telescope yet designed.

    The real prize, though, lies in proving Einstein wrong. For all its prescience, the theory of relativity is known to be incomplete because it is inconsistent with the other great 20th-century theory of physics, quantum mechanics. Many physicists suspect that it is in places where conditions are most extreme—the very places which launch gravitational waves—that the first chinks in relativity’s armour will be found, and with them a glimpse of a more all-embracing theory.

    Gravitational waves, of which Einstein remained so uncertain, have provided direct evidence for black holes, about which he was long uncomfortable, and may yet yield a peek at the Big Bang, an event he knew his theory was inadequate to describe. They may now lead to his theory’s unseating. If so, its epitaph will be that in predicting gravitational waves, it predicted the means of its own demise.

    • মাসুদ করিম - ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৯:৩১ পূর্বাহ্ণ)

      বরগুনার দীপঙ্কর মহাকর্ষ তরঙ্গ গবেষণা দলে

      বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলা মহাকর্ষ তরঙ্গ শনাক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘লাইগো’ (লেজার ইন্টাফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরি) যন্ত্র যে সাফল্য দেখিয়েছে, তার অংশীদার বাংলাদেশের বরগুনার সন্তান পদার্থবিজ্ঞানী ড. দীপঙ্কর তালুকদারও। গবেষণা দলটিতে যাদের কাজ ছিল ওই যন্ত্রে ধরা পড়া নানা সংকেতের মধ্য থেকে কৃষ্ণবিবরের সংকেত শনাক্ত ও বিশ্লেষণ করা, তিনি তাদের একজন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে অর্জিত তার পিএইচডি গবেষণার বিষয়ও ছিল কৃষ্ণবিবর থেকে উৎসারিত সংকেত বিশ্লেষণ। স্নাতকোত্তর পর্যায়েও তিনি একই বিষয়ে পড়াশোনা করেন।

      শনিবার সমকালের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে তিনি মহাকর্ষ তরঙ্গ শনাক্ত করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাকে আখ্যা দিয়েছেন মানবজাতির বর্তমান ‘প্রজন্মের বিজয়’ হিসেবে। তিনি মনে করেন, তাদের পরিশ্রমের কারণে মানবজাতি মহাবিশ্বকে নতুনভাবে দেখতে পাবে।

      মহাকর্ষ তরঙ্গ শনাক্তকারী এই সাড়া জাগানো গবেষণায় ভারতীয় ও পাকিস্তানি বিজ্ঞানীদের অংশগ্রহণ নিয়ে যখন দেশ দুটির সংবাদমাধ্যমে তোলপাড় চলছিল, তখনও দীপঙ্করের নাম বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে পৌঁছেনি। শুক্রবার তার পারিবারিক বন্ধু এবং বেসরকারি ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির পরিবেশবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক বাতেন মোহাম্মদ প্রথম এ ব্যাপারে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সমকালের পক্ষে ড. দীপঙ্করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

      দীপঙ্কর তালুকদার ২০০৮ সালে ‘লাইগো কোলাবোরেশন’ টিমে যোগ দেন। বর্তমানে তার কর্মস্থল যুক্তরাষ্ট্রের অরিগন রাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব অরিগনে। তিনি সেখানে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করছেন লাইগো কলাবোরেশনের সঙ্গে। লুইজিয়ানা রাজ্যে অবস্থিত এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এ গবেষণা সম্পন্ন করেছে, অরিগন বিশ্ববিদ্যালয় তার একটি। নিজের কাজ সম্পর্কে সমকালের কাছে তিনি বলেন, প্রতিদিন সাতসকালে উঠে তিনি গবেষণাগারে চলে যান এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত গবেষণাগারে প্রাপ্ত সংকতে সংগ্রহ, শনাক্ত ও বিশ্লেষণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ও পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল ছাড়াও কখনও কখনও ইউরোপে ও বিশ্বের অন্যান্য স্থানে অবস্থিত গবেষণাগার থেকেও তথ্য ও সংকেত সংগ্রহ করতে হয় বলে বহুবিচিত্র স্থানীয় সময়ের সঙ্গে তাল রাখতে গিয়ে তাকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা গবেষণাগারে থাকতে হয়। মহাকর্ষ-তরঙ্গ শনাক্তকারী গবেষণা চূড়ান্ত ও প্রামাণিক রূপ পাওয়ার ফলে এখন তারা গবেষণার নতুন স্তরে প্রবেশ করবেন। এই সাফল্যকে তিনি আখ্যা দেন ‘মালার জ্বালা’ হিসেবে। অর্থাৎ এর মধ্য দিয়ে তাদের দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ আরও বেড়ে গেল।

      ড. দীপঙ্কর তালুকদারের জন্ম বরগুনা সদরের পোস্ট অফিস রোডের তালুকদার বাড়িতে। তার বাবা পরেশনাথ তালুকদার ১৯৭৩ সালে বরগুনা পৌরসভার প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। মায়ের নাম পারুল তালুকদার। বরগুনা প্রতিনিধি আবু জাফর সালেহ জানিয়েছেন, বর্তমানে তারা দু’জনই পরলোকে। বাড়িটিতে থাকেন দীপঙ্করের বড় ভাই শঙ্কর তালুকদার। তিনি সমকালকে বলেন, ভাইয়ের মেধা তারা শৈশবেই বুঝতে পেরেছিলেন। এ জন্য সংগ্রাম করে হলেও তিনি তার পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটতে দেননি। এখন ভাই দেশ ও বিশ্বের মুখ উজ্জ্বল করায় পরিবারের সংগ্রাম সার্থক হয়েছে।

      দীপঙ্কর বরগুনা জিলা স্কুল থেকে এসএসসি ও বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর ২০০২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্য বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরের বছর কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যামব্রিজে যান ও গণিত বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। তখন সেখানে গণিত পড়াতেন স্টিফেন হকিং। পরে দীপঙ্কর যুক্তরাষ্ট্র যান এবং সেখানকার ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০৮ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১১ সালে তিনি ক্যামব্রিজ থেকে আরেকটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি বিবাহিত, তার স্ত্রীও বাংলাদেশি, নাম শম্পা বিশ্বাস।

  9. মাসুদ করিম - ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (১১:০৪ পূর্বাহ্ণ)

    কবি কায়সুল হক আর নেই

    কবি ও সাংবাদিক কায়সুল হক মারা গেছেন।

    রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয় বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। কবির বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
    পঞ্চাশের দশকের বিউটি বোর্ডিং সাহিত্য চক্রের সদস্য কায়সুল হকের কাব্যগ্রন্থের মধ্যে ‘কলম দিয়ে কবিতা’ ও ‘শব্দের সাঁকো’ পাঠক নন্দিত। ১৯৫০ সালে ‘আজাদ’ পত্রিকায় তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়।

    ‘আলোর দিকে যাত্রা’ ও ‘অনিন্দ্য চৈতন্য’ শিরোনামে প্রবন্ধ গ্রন্থ রয়েছে তার।

    ‘অধুনা’, ‘সবার পত্রিকা’, ‘কালান্তর’ ও ‘শৈলী’ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তিনি।

    সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ড. আসাদুজ্জামান সাহিত্য পুরস্কার ও সাদত আলী আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কায়সুল হক।

    জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উপপরিচালক পদে কাজ করেছেন কায়সুল হক। ওই পদ থেকেই অবসরে যান তিনি।

    ১৯৩৩ সালের ২৯ মার্চ অবিভক্ত বাংলার মালদহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন কায়সুল হক। সাত ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

  10. মাসুদ করিম - ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (১১:০৭ পূর্বাহ্ণ)

    চলে গেলেন প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক রবিন ঘোষ

    ‘আমি রূপনগরের রাজকন্যা’, ‘তোমারে লেগেছে এত যে ভালো’, ‘আয়নাতে ওই মুখ’, ‘পিচঢালা এই পথটারে’, ‘ফুলের কানে ভ্রমর এসে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক রবিন ঘোষ আর নেই। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর গুলশানে একটি ক্লিনিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন চিত্রনায়িকা
    শবনমের স্বামী। তার মৃত্যুতে সঙ্গীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।

    অনেকদিন ধরে রবিন ঘোষ নিউমোনিয়াসহ নানান জটিল রোগে ভুগছিলেন। দু’তিন দিন আগে শরীর খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সকালে তিনি মারা যান। তার স্ত্রী প্রখ্যাত অভিনেত্রী শবনম বলেন, ‘আগের দিন রাত ১০টায় আমার সঙ্গে তার শেষ দেখা। তখন পর্যন্ত সবই স্বাভাবিক ছিল। ঘুম থেকে উঠে ক্লিনিকে যাওয়ার আগেই তিনি চলে গেলেন। শেষ কথা, শেষ দেখা আর হলো না।’ শবনম জানান, রবিন ঘোষের ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে বিএফডিসিতে নেওয়া হচ্ছে না। গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত রবিন ঘোষের মৃতদেহ তার গুলশানের বাসাতে রাখা হয়। এরপর ওয়ারীতে চার্চের খ্রিস্টান কবর স্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। বরেণ্য এই সঙ্গীতজ্ঞকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা আজিজুর রহমান বলেন, ‘মানুষটি ছিলেন অনেক কাছের, ১৮ নম্বর জয়কালী মন্দির রোডে প্রতিদিনই যার দেখা মিলত, সেই মানুষটিকে আর কোনোদিন দেখব না, তা ভাবতেই পারছি না। তাকে দেখেছি, সুর-লহরী নিয়ে খেলতে ভালোবাসতেন। যখন কোনো গানের সুর করতেন, টুঁ শব্দটি করার উপায় ছিল না। কাজের বিষয়ে এতটাই সিরিয়াস ছিলেন তিনি। অথচ কাজের বাইরে তার মতো মজার মানুষ খুব কমই ছিল। এক কথায় তিনি ছিলেন প্রাণোচ্ছ্বল একজন মানুষ। সেই সঙ্গে অতুলনীয় এক সুরস্রষ্টা।’ রুনা লায়লা বলেন, ‘মাত্র কয়েকদিন আগেও শবনম বউদির সঙ্গে কথা হলো। তখনই শুনেছি দাদা অসুস্থ। ভেবেছিলাম দেখতে যাব। কিন্তু শেষ দেখাটা হলো না।’ ১৯৯৮ সালে দেশে আসার আগ পর্যন্ত রবিন ঘোষ পাকিস্তানের চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। এ দেশে আসার পর নীরবে-নিভৃতে সময় কাটাতেন রবিন ঘোষ ও তার স্ত্রী নায়িকা শবনম। তাদের একমাত্র সন্তান রনি ঘোষ। ১৯৩৯ সালে ইরাকের বাগদাদে রবিন ঘোষের জন্ম। একজন সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে গড়ে ওঠার পেছনে চলচ্চিত্রের প্লে-ব্যাক গায়ক আহমেদ রুশদীর অবদান ছিল। রবিন ঘোষ সবচেয়ে বেশি গানে সুর করেছেন উর্দু চলচ্চিত্রে। তবে সেখানে যাওয়ার আগে ঢাকায় সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশামের হাত ধরেই ১৯৬১ সালে ‘রাজধানীর বুকে’ চলচ্চিত্রে প্রথম সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৩ সালে ‘তালাশ’ চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার জন্য পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘নিগার’ পুরস্কার লাভ করেন। এরপর তিনি ‘চাহাত’, ‘আয়না’, ‘আম্বার’ ও ‘দোরিয়ান’ চলচ্চিত্রের জন্য একই সম্মাননা লাভ করেন।

  11. মাসুদ করিম - ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (১১:১৩ পূর্বাহ্ণ)

    ভালো নেই সুন্দরবন

    ভালো নেই বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ‘সুন্দরবন’। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অসচেতনতা, অবহেলা এবং সর্বোপরি মানুষের ক্রমাগত অত্যাচারে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে এই বন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এবং দুর্যোগে হুমকির মুখে পড়েছে বনের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বনের ভেতর দিয়ে পণ্যবাহী নৌ চলাচল অব্যাহত আছে। সংঘবদ্ধ চোরাকারবারিরা কেটে নিচ্ছে গাছ। শিকার করা হচ্ছে বাঘ ও হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। এসব অনিয়ম বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না বন বিভাগ। এদিকে সাগরের পানির উচ্চতা ও লবণাক্ততা বাড়ায় কমে যাচ্ছে সুন্দরী গাছ, কমছে বন্যপ্রাণীর বিচরণক্ষেত্র।

    ৫ বছর ধরে সুন্দরবনের জয়মনিরগোল থেকে শরণখোলার বগি পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার নদীপথে প্রতিদিন পণ্যবাহী অসংখ্য জাহাজ চলাচল করছে। সম্প্রতি মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-রুট চালু হলেও সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়নি। এ ছাড়া মংলা বন্দরের জেটি থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে চলাচল করছে দেশি-বিদেশি জাহাজ। সুন্দরবনের ভেতরের নদী দিয়ে রায়মঙ্গল ও আংটিহারা এলাকা হয়ে জাহাজ যাওয়া-আসা করে ভারতে। এসব জাহাজ চলাচলে সৃষ্ট ঢেউয়ের কারণে ভাঙছে নদীর তীর। জাহাজের ইঞ্জিনের শব্দ ও হাইড্রোলিক হর্ন আতঙ্কিত করছে বন্যপ্রাণীদের। নৌযান থেকে তেল ও বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ছে বনের মধ্যের অসংখ্য খালে। এতে দূষিত হচ্ছে বনের মাটি ও পানি। ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর সাড়ে ৩ লাখ লিটার ফার্নেস তেল নিয়ে ট্যাঙ্কারডুবির কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে সুন্দরবন। ২০১৫ সালের মে মাসে পটাশ সার নিয়ে সুন্দরবনের ভোলা নদীতে একটি কার্গো ডুবে যায়। সর্বশেষ ২৭ অক্টোবর বনের পশুর নদে ৫১০ টন কয়লা নিয়ে ডুবেছে আরেকটি কার্গো। রামপালে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হলে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে নৌযানে করে সেখানে প্রতি বছর নেওয়া হবে ৪৫ লাখ টন কয়লা। এত বনের প্রতিবেশের ওপর চাপ বাড়বে বলে
    আশঙ্কা করা হচ্ছে।
    বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সমিতির জ্যেষ্ঠ গবেষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দ্রুতগতির জাহাজের ঢেউয়ের কারণে নদীর তীর ভাঙছে। সেই মাটি নদীর মোহনার বিভিন্ন গভীর পয়েন্ট ভরাট করে ফেলছে।
    বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুল মতিন সমকালকে বলেন, পর র জাহাজডুবির কারণে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে, অথচ কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না।
    সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাহিদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নৌ চলাচল বন্ধ করা উচিত। এ জন্য সরকারের কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন জরুরি।
    সুন্দরবনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে দেশি-বিদেশি চাপ বাড়ছে। ২০১৫ সালে নরওয়ের পেনশন ফান্ড কর্তৃপক্ষ রামপাল প্রকল্পের ভারতীয় অংশীদার এনটিপিসি থেকে তাদের বিনিয়োগ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। তাদের দাবি, এনটিপিসি বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের ক্ষতি করে রামপাল বিদ্যুৎ?কেন্দ্র নির্মাণ করছে। একই অভিযোগে ফ্রান্সের তিনটি শীর্ষস্থানীয় ক্রেডিট অ্যাগ্রিকোল, সোসিয়েতে জেনেরাল ও বিএনপি পারিবাস ব্যাংক রামপাল প্রকল্পে অর্থায়ন করবে না বলেও ঘোষণা দেয়। এর আগে ২০১৪ সালে ইউনেস্কো ও রামসার কর্তৃপক্ষ সুন্দরবনের পাশে শিল্প কারখানা স্থাপন ও রামপাল প্রকল্পের ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে। কারণ প্রকল্পটি চালু হলে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নৌযান চলাচল বাড়বে এবং বায়ু ও পানি দূষিত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পাবে।
    রামপাল প্রকল্পটি সুন্দরবন থেকে ১০ মাইলেরও কম দূরত্বে। ইউনেস্কোর একটি প্রতিনিধি দল আগামী মাসে সুন্দরবন পরিদর্শনে আসছে।
    গাছ পাচার :নিষেধাজ্ঞার পরও সুন্দরবন থেকে প্রতিদিন সুন্দরী, গেওয়া ও গরানসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে বিক্রি করছে চোরাকারবারিরা। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এক হাজারেরও বেশি লোক সম্পৃক্ত এই কাজে। অভিযোগ রয়েছে, বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এর সঙ্গে জড়িত চোরাকারবরিদের পাশাপাশি কিছু জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়াল গাছ কেটে নিচ্ছে। সুন্দরবন একাডেমির উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম খোকন সমকালকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আবারও গাছ পাচার হচ্ছে। এই পাচার বন্ধে বন বিভাগের উদ্যোগ পুরোপুরি সফল হচ্ছে না।
    বাঘ-হরিণ শিকার :সুন্দরবনে বাঘ ও হরিণ শিকারিরা এখনও বেপরোয়া। চোরা শিকারিদের পাশাপাশি এখন বনদস্যুরাও বাঘ এবং হরিণ মেরে এসবের হাড়, মাংস, চামড়া, পুরুষাঙ্গ ও দাঁত বিদেশে পাচার করছে। র‌্যাব-৬ (খুলনা) ও র‌্যাব-৮ (বরিশাল) সূত্র জানিয়েছে, গত ২ বছরে তারা বাঘের ৯টি চামড়া উদ্ধার করেছে। এসব ঘটনায় আটক হয়েছে ছয়জন। ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বরগুনার পাথরঘাটা থেকে হরিণের ৩৬টি চামড়াসহ দু’জন এবং বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে হরিণের একটি চামড়াসহ আটক করা হয় একজনকে। ২০ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ইকড়িবাজার থেকে বাঘের একটি চামড়া ও হরিণের ১৪টি চামড়াসহ দু’জনকে আটক করে র‌্যাব। গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা এলাকা থেকে বাঘের একটি এবং হরিণের চারটি চামড়াসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
    সর্বশেষ বাঘ শুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১০৬টিতে। সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, বাঘ ও হরিণ শিকারের সব ঘটনা প্রশাসনের নজরে আসে না। চামড়া বহনকারীরা ধরা পড়লেও শিকারি এবং বন্যপ্রাণীর চামড়া ক্রেতার বেশিরভাগই রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
    হুমকির মুখে ডলফিন :২০১২ সালের জানুয়ারিতে সুন্দরবনের ঢাংমারী, চাঁদপাই ও দুধমুখী এলাকাকে ডলফিনের অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। ওই তিনটি এলাকার প্রায় ৩১ কিলোমিটার নদীতে রয়েছে সংকটাপন্ন ইরাবতি ও শুশুক ডলফিনের বিচরণ। কিন্তু বনের মধ্য দিয়ে চলাচলকারী ভারী নৌযানের পাখার আঘাতে মারা পড়ছে ডলফিন। এ ছাড়া এসব এলাকায় জেলেদের জালে আটকা পড়েও মারা যাচ্ছে শুশুক ও ইরাবতি।
    বিষ দিয়ে মাছ শিকার :সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে দীর্ঘদিন ধরে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে একটি চক্র। ফলে বিভিন্ন মাছের পোনা, কাঁকড়া এবং জলজ প্রাণীও মারা যাচ্ছে। সুন্দরবনের দুবলার ফিশারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই অপতৎরতা রোধে বন বিভাগের কার্যকর পদক্ষেপ নেই।
    বনদস্যুদের দাপট : র‌্যাব, কোস্টগার্ড ও পুলিশের লাগাতার অভিযানের মধ্যেও থেমে নেই সুন্দরবনের বনদস্যুদের তৎপরতা। একটি বনদস্যু বাহিনীপ্রধান নিহত হচ্ছে তো আরেকটি বাহিনী গড়ে উঠছে। প্রলোভন দিয়ে, কখনও জিম্মি করে জেলে-বাওয়ালিদের দলে ভেড়াচ্ছে বনদস্যুরা। অবৈধ অস্ত্রের পাশাপাশি লাইসেন্স করা অস্ত্র ভাড়া নিয়ে বর্তমানে ১০-১২টি বনদস্যু বাহিনী জেলে-বাওয়ালিদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়, গাছ পাচার এমনকি বন্যপ্রাণী শিকার করছে।
    জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব : বিশ্বব্যাংকের ২০১৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সুন্দরবনের মধ্যে নদীগুলোর পানির উচ্চতা বাড়ছে বছরে ৩ থেকে ৮ মিলিমিটার। ফলে জোয়ারের সময় বনভূমি ডুবে সংকুচিত হচ্ছে বন্যপ্রাণীর বিচরণক্ষেত্র। এ ছাড়া বেড়েই চলেছে নদীর পানির লবণাক্ততার পরিমাণ ও এর বিস্তার। সে কারণে বাড়ছে সুন্দরী গাছের আগামরা রোগ। বিভিন্ন স্থানে গাছের প্রজাতিতে ঘটছে আমূল পরিবর্তন।
    সুন্দরবন থেকে এর আগে বিলুপ্ত হয়েছে গন্ডার, বনমহিষ, মিঠা পানির কুমির, এক প্রজাতির হরিণ, চিতাবাঘ ও ৪ প্রজাতির পাখি। হারিয়ে যাচ্ছে ১৯ প্রকারের মাছ। সুন্দরবনের গাছে গাছে আগের মতো দেখা যায় না বানর এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। কমে গেছে মৌচাকও।
    খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনের মাটি ও পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে সাতক্ষীরা রেঞ্জে সুন্দরী গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দরবন রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. সরদার শফিকুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সিডর ও আইলার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে গাছপালা ও বন্যপ্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত লবণাক্ত পানি পান করে রোগাক্রান্ত হচ্ছে বাঘসহ বন্যপ্রাণী।
    সুন্দরবনের কুমির সমীক্ষা প্রকল্পের দায়িত্বে নিয়োজিত বেসরকারি সংস্থা ক্যারিনামের প্রকল্প সমন্বয়কারী আবদুল ওহাব আকন্দ বলেন, লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে কুমিরের প্রজননে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
    সক্ষমতা নেই বন বিভাগের :সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী, বনজ ও জলজ সম্পদ রক্ষার সক্ষমতা নেই বন বিভাগের। জনবল, জলযান আর অস্ত্র সংকটের কারণে বনের বিশাল এলাকা পাহারা দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় বন বিভাগকে। বনে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তাদের নির্ভর করতে হয় কোস্টগার্ড, র‌্যাব ও পুলিশের ওপর। সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগে ১ হাজার ১৭৩টি পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে ২৬৭টি। ১৩৫টি জলযানের মধ্যে স্পিডবোটের সংখ্যা মাত্র ৩০টি। ১০০টি ট্রলার থাকলেও চলে ধীরগতিতে। রয়েছে অস্ত্র সংকটও। প্রশিক্ষিত জনবলের অভাবে সেভাবে বনস্যুদের মোকাবেলা করতে পারছেন না বন বিভাগের কর্মীরা।
    খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ জনবল সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, কিছুদিন আগে বাঘ ও হরিণের বেশ কিছু চামড়া উদ্ধারের পর সুন্দরবনে টহল জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া বনদস্যুদের গ্রেফতারের জন্য বন বিভাগ, র‌্যাব, পুলিশ ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে।

  12. মাসুদ করিম - ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ)

    Nepal’s Ex-PM Sushil Koirala passes away

    Nepali Congress President Sushil Koirala breathed his last in the wee hours of Tuesday morning, succumbing to Pneumonia, according to family sources. He was 77.
    He succumbed to Pneumonia at 12:50 am, Koirala ‘s private secretary Atul Koirala said.
    Koirala was suffering Chronic Obstructive Pulmonary Disease (COPD) and he succumbed to the condition. After the news of Koirala’s death, Kathmandu based Nepali Congress rushed to his residence.

    Koirala was not able to attend formal events on Monday .
    Meanwhile, Nepali Congress postponed its electoral process prior to the General Convention, General Secretary Prakas Man Singh said.

    Koirala was elected Prime Minister of Nepal on February 10, 2014. Sushil Koirala was elected from Banke and Chitwan constituencies in the second Constituent Assembly election of 2013, November 19.

    A devoted member of the Nepali Congress party of which he is currently president, Koirala once spent three years in an Indian prison for his involvement in the hijacking of a plane.

    Koirala entered politics in 1954 inspired by the social-democratic ideals of the NC. He was in political exile in India for 16 years following the royal takeover of 1960.

    While in exile, Koirala was the editor of Tarun, the official party publication. He has been a member of the Central Working Committee of the party since 1979 and was appointed General Secretary of the party in 1996 and Vice President in 1998.

    In 2001, he lost the contest for the NC Parliamentary Party leader to Sher Bahadur Deuba.

    Koirala was appointed acting President of the party in 2008 by President Girija Prasad Koirala. On September 22, 2010, the 12th general convention of the NC elected him as party President.

    The NC emerged as the largest party in the 2013 Constituent Assembly elections under Koirala’s leadership. He was elected leader of the NC Parliamentary party securing 105 out of 194 votes against former Prime Minister Sher Bahadur Deuba’s 89 votes.

  13. মাসুদ করিম - ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ)

    What Happened at the Munich Security Conference?

    “McCain criticizes Syria truce deal, sees Russia ambitions” (Geir Moulson/AP, Los Angeles Times, 14 February): “The truce deal in Munich comes as Syrian government forces, aided by a Russian bombing campaign, are trying to encircle rebels in Aleppo, the country’s largest city, and cut off their supply route to Turkey. ‘I wish I could share the views of some of my friends who see this agreement as a potential breakthrough but unfortunately I do not,’ McCain, who chairs the Senate Armed Services Committee, said at the Munich Security Conference.”

    “All Change in the Russian-Western Strategic Climate” (Dmitri Trenin, Carnegie Europe, 14. Februar 2016): “At the 52nd Munich Security Conference on February 12-14, Russian Prime Minister Dmitry Medvedev delivered the speech Vladimir Putin would have made had he cared to come to Munich this year. In fact, the Russian president has not attended this annual gathering of political leaders and security experts since 2007. Medvedev’s words were tough and his analysis exceedingly bleak, but his main point was an offer to put the glaring Russian-Western differences and bitter conflicts to one side and focus on a common threat coming from extremism.”

    “China’s rise, global integration can contribute to setting norms, rules for world order: Ng Eng Hen” (Straits Times, 14 February): “China’s global integration and its leadership role in international affairs through its economic and military might has enabled Beijing to ‘set norms and rules for the global system’, said Singapore’s Defence Minister Dr Ng Eng Hen. Addressing the 52nd Munich Security Conference (MSC) on Saturday (Feb 13), Dr Ng said: ‘China’s integration, rise and involvement in the global international order should be seen as one of the great advances of the past century.'”

    “Europe’s Convinced U.S. Won’t Solve its Problems” (Josh Rogin, Bloomberg View, 13 February): “Europe is facing a convergence of the worst crises since World War II, and the overwhelming consensus among officials and experts here is that the U.S. no longer has the will or the ability to play an influential role in solving them. At the Munich Security Conference, the prime topics are the refugee crisis, the Syrian conflict, Russian aggression and the potential dissolution of the European Union’s very structure. Top European leaders repeatedly lamented that 2015 saw all of Europe’s problems deepen, and unanimously predicted that in 2016 they would get even worse.”

    “EU referendum: US wants ‘strong UK in strong EU'” (BBC, 13 February): “Mr Kerry, who spoke about the EU while at security conference in Munich, said Europe was facing a number of challenges including the UK’s potential exit. ‘Here again however, I want to express the confidence of President Obama and all of us in America that, just as it has so many times before, Europe is going to emerge stronger than ever, provided it stays united and builds common responses to these challenges,’ he said.”

    “Facing Allies’ Doubt, John Kerry Voices Confidence in Syria Cease-Fire” (David E. Sanger/Alison Smale, New York Times, 13 February): “Secretary of State John Kerry, facing both anger and skepticism from European allies about the willingness of the United States to intervene more deeply in the Syrian civil war, promised on Saturday to help close off the routes migrants are taking to Europe and warned Russia that its military effort to prop up President Bashar al-Assad of Syria would ultimately fail. […] On Saturday, speaking at the Munich Security Conference, an annual meeting of security officials and experts from Europe and beyond, he said ‘the trucks are loaded and ready to go.'”

    “Rusia alerta de que el mundo se aproxima a una nueva guerra fría” (Luis Doncel, El Pais, 13 February): “El duro discurso pronunciado por Medvédev en Múnich – donde este fin de semana se celebra la Conferencia de Seguridad que reúne a un centenar de jefes de Estado, de Gobierno y ministros – ha chocado con los reproches hacia Moscú lanzados por buena parte de los líderes occidentales que participan en el mismo foro. ‘La inmensa mayoría de bombardeos rusos van dirigidos contra grupos de la oposición legítimos. Esta situación debe cambiar’, dijo el secretario de Estado de EE UU, John Kerry.”

    “Kerry takes aim at Russia over Ukraine and Syria” (Matthew Lew/AP, Washington Post, 13 February): “U.S. Secretary of State John Kerry on Saturday sharply criticized Russia for its actions in Ukraine and Syria, accusing Moscow of ‘repeated aggression’ in both places. In a speech at the Munich Security Conference, Kerry said Russia is defying the will of the international community with its support for separatists in eastern Ukraine and its military intervention in Syria on behalf of President Bashar Assad.”

    “Russia’s Medvedev Says World Is Fighting a New Cold War” (Anton Troianovski, Wall Street Journal, 13 February): “‘We have slid, in essence, into times of a new Cold War,’ Mr. Medvedev said in a speech Saturday to senior international officials at a marquee security conference in Germany. Mr. Medvedev cited the Syria conflict as an arena of much needed Russian-Western cooperation, especially on military issues. The key to resolving that conflict, he said, was the cooperation of ‘Russian and American military officials — regularly, constantly, every day.'”

    “Les sombres visions sur l’état du monde de Valls et Medvedev” (Le Figaro, 13 February): “C’est un sombre XXIe qu’ont décrit Manuel Valls et Dimitri Medvedev. Les premiers ministres français et russes, présents ce samedi à la Conférence sur la Sécurité à Munich, ont posé un regard inquiet sur l’état du monde. Ce sont aussi deux visions qui se sont opposées: une Europe en crise contre une Russie qui veut imposer son rang.”

    “Мы скатились во времена новой холодной войны [We have slid into a new cold war]” (Mikhail Pak, Lenta.ru, 13 February): “Премьер-министр России Дмитрий Медведев в ходе мюнхенской конференции по безопасности неожиданно для многих выступил с резкими заявлениями по всему спектру вопросов международной политики, фактически констатировав “времена новой холодной войны”. Речь главы правительства России уже сравнивают со знаменитой мюнхенской речью Владимира Путина — в 2007 году президент говорил об однополярности современной мировой политики, о месте и роли России в системе международных отношений.”

    “Russia Accuses West of ‘New Cold War’ over Syria, Ukraine” (Andy Eckardt/Carlo Angerer, NBC News, 13 February): “Russia on Saturday accused world powers of fighting ‘a new Cold War’ as Moscow came under pressure from the United States and NATO over its actions in Syria and Ukraine. Dmitry Medvedev painted a grim picture of relations with the West, telling the Munich Security Conference that NATO’s stance on Russia remained ‘unfriendly and opaque.’ ‘One could go so far as to say we have slid back to a new Cold War,’ he told a packed auditorium of ministers and policymakers. ‘Sometimes I wonder whether it is 2016 we are living in, or 1962.'”

    “A Munich, Manuel Valls pointe le danger de ‘l’hyperterrorisme'” (Bastien Bonnefous, Le Monde, 13 February): “Intervenant lors de la Munich Security Conference samedi 13 février, Manuel Valls a répété son appel européen et international face à ‘la menace terroriste’. ‘Nous sommes entrés dans une nouvelle époque, nous avons changé de monde’, a déclaré le premier ministre de la France à l’occasion de ce sommet sur la sécurité organisé dans la capitale de la Bavière.”

    “Wandering Refugees” (Judy Dempsey, Carnegie Europe, 13 February): “A year ago, it was Merkel and Ukraine that was the center of attention here at the Munich Security Conference. […] This year, the continuing war in Syria and the huge impact that the refugee crisis is having on the region – but also on Europe and particularly on Germany – is topping the agenda. Again, Germany has taken the lead, this time without its EU allies.”

    “Syrian president Bashar al-Assad vows to retake whole country” (Ian Black/Kareem Shaheen, The Guardian, 12 February): “The Saudi foreign minister, Adel al-Jubeir, said on Friday that Assad’s removal was vital to defeat Islamic State. ‘We will achieve it,’ he told the Munich Security Conference.”

    “US, Russia Agree to Ceasefire in Syria, Opposition Proposes Two-Weeks Truce” (Asharq Al-Awsat, English Edition, 12 February): “On Thursday, decision-makers from around the world started gathering for the MSC, which will be held from February 12 to 14 in Munich and will be attended by around 600 senior global figures. Top politicians are expected to examine the international response to the current refugee crisis engulfing Europe and a number of Middle Eastern and African countries.”

    Speeches and Quotes

  14. মাসুদ করিম - ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ)

    পুলিশের কথায় বইমেলার স্টল বন্ধ

    একটি বইয়ে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ দেওয়ার ‘উপাদান’ রয়েছে বলে পুলিশের কাছে শোনার পর একুশের বইমেলায় এক প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    সোমবার বাংলা একাডেমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ‘কথা বলে’ মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের ‘ব-দ্বীপ প্রকাশনীর’ স্টলটি বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

    এ বিষয়ে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ আমাদের বলেছে, ‘ব-দ্বীপ প্রকাশনীর স্টলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে- এমন বই প্রদর্শিত হচ্ছে। স্টলটি নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।’ এ কারণে প্রকাশনীটির স্টল বন্ধ করা হয়েছে।”

    এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে আমরা জানতে পারি, ব-দ্বীপ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘ইসলাম বিতর্ক’ বইটিতে ইসলাম ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে।

    “পরে অনুসন্ধানে বিতর্কিত লেখার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বইটিতে মহানবী (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দও পাওয়া গেছে।”

    সে অনুযায়ী বাংলা একাডেমির সঙ্গে কথা বলে পুলিশ স্টল বন্ধের ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান তিনি।

    ওসি জানান, অভিযানের সময় ‘ইসলাম বিতর্ক’ নামের ওই বইটির সব কপি পুলিশ জব্দ করে। এছাড়া ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মতো লেখা আছে কি না- তা অনুসন্ধানে একই প্রকাশনী থেকে আরও পাঁচটি বইয়ের সব কপি জব্দ করা হয়েছে।

    এর মধ্যে রয়েছে ‘আর্যজন ও সিন্ধু সভ্যতা’, ‘জিহাদ: জবরদস্তিমূলক ধর্মান্তরকরণ, সাম্রাজ্যবাদ ও দাসত্বের উত্তরাধিকার’, ‘ইসলামের ভূমিকা ও সমাজ উন্নয়নের সমস্যা’, ‘ইসলামে নারীর অবস্থা’ এবং ‘নারী ও ধর্ম’।

  15. মাসুদ করিম - ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৬:৪৫ অপরাহ্ণ)

    আইনজ্ঞ মাহমুদুল ইসলাম আর নেই

    বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আইনজ্ঞ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম আর নেই।

    সোমবার মধ্যরাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে তার সহকর্মী আইনজীবী ও স্বজনরা জানিয়েছেন।

    মাহমুদুল ইসলামের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।

    সংবিধান বিশেষজ্ঞ মাহমুদুল ইসলাম দুই দশক আগে অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

    মাহমুদুল ইসলামই বাংলাদেশের প্রথম আইনজীবী যিনি সাংবিধানিক গবেষণামূলক বই লিখেছেন। বাংলাদেশে আইন পেশায় সবচেয়ে পণ্ডিত ব্যক্তি হিসেবে তাকে বিবেচনা করেন অনেকে।

    সংবিধান সংক্রান্তসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলায় সর্বোচ্চ আদালতের আহ্বানে অ্যামিকাস কিউরিয়া হিসেবে বক্তব্য দিয়েছিলেন মাহমুদুল ইসলাম।

    তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আইনজীবী শেখ মো. মোরশেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি (মাহমুদুল ইসলাম)। আজ রাত ১২টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।”

    মাহমুদুল ইসলামের চেম্বারের এক আইনজীবী জানান, প্রায় দুই মাস ধরে তিনি আইসিইউতে ছিলেন। সাময়িক উন্নতি হলেও মাঝে অবস্থা একবার অবনতির দিকে যায়। তখন তাকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছিল।

    ১৯৩৬ সালে রংপুরে জন্মগ্রহণ করেন মাহমুদুল ইসলাম। কারমাইকেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে আইনে ডিগ্রি নেন।

    তার বাবা আজিজুল ইসলাম ছিলেন রংপুরের প্রথিতযশা আইনজীবী। মাহমুদুল ইসলাম প্রথমে রংপুর জেলা বারে আইন পেশা শুরু করার পর তিনি হাই কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

    হাই কোর্টে মাহমুদুল ইসলাম প্রথমে আইনজীবী বীরেন্দ্র নাথ চৌধুরী ও পরে আইনজীবী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের জুনিয়র হিসেবে কাজ করেন। দেশ স্বাধীনের পর যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম ডিগ্রি নেন তিনি।

    সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের দিন পদত্যাগ করেন তিনি।

    সংবিধান বিষয়ে মাহমুদুল ইসলামের লেখা বইটি হচ্ছে ‘কন্সটিটিউশনাল ল অব বাংলাদেশ’। এর বাইরে তিনি লিখেছেন ‘ল অব সিভিল প্রসিডিউর’ ও ‘ইন্টারপ্রিটেশন অব স্ট্যাটিউটস অ্যান্ড ডকুমেন্ট’।

  16. মাসুদ করিম - ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৮:৫০ পূর্বাহ্ণ)

    নীলফামারীতে বৌদ্ধ মন্দিরের নিদর্শন আবিষ্কার

    প্রায় ৯শ’ বছরের পুরনো একটি বৌদ্ধ মন্দিরের সন্ধান পাওয়া গেছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার খেরকাটি ইউনিয়নের ধর্মপাল গ্রামে।
    প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা, ১২ শতকের দিকে পাল বংশীয় রাজা দ্বিতীয় ধর্মপাল এটি নির্মাণ করেছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একটি দল ঐতিহাসিক এ নিদর্শনটির খনন করছেন। সাত সদস্য বিশিষ্ট খননকারী দলের প্রধান বগুড়ার মহাস্থানগড় জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক মুজিবুর রহমান জানান, তারা চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে খনন কাজ শুরু করেছেন ।

    তিনি আরও জানান, মন্দিরটির উপরের অংশ পুরোটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। এর নিচের কিছু অংশ এখনও মাটির নিচে রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত স্থানটিতে ভাঙা কিছু মাটির পাত্র, সাদা মার্বেলের ফলক এবং পোড়া মাটির বড় বড় খণ্ড দিয়ে নির্মিত একটি দেয়ালের সন্ধান পাওয়া গেছে।
    দেয়ালটি ২৫ মিটার দীর্ঘ এবং ০.৮৫ মিটার (প্রায় ৩৩.৫ ইঞ্চি) পুরু। মন্দিরটির চারপাশ ঘিরে রয়েছে একটি ১.২ মিটার প্রশস্থ রাস্তা। ধর্মীয় প্রার্থনার অংশ হিসেবে রাস্তাটি প্রদক্ষিণ করা হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
    সরকারের বাৎসরিক খনন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ধর্মপাল গড়ে কাজ শুরু করেন বলে তিনি জানান।

    স্থানটির ঐতিহাসিক তাৎপর্যের কথা বিবেচনা করে ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকার এখানকার ময়নামতির কোট, খেরকাঠি পীরের আস্তানা এবং আরো একটি স্থানসহ মোট ৩০ একর জায়গা সংরক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে ঘোষণা করে।

    মহাস্থানগড় জাদুঘরের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক এসএম হাসনাত বিন ইসলাম জানান,ধর্মপালগড়ে প্রাপ্ত পোড়া মাটির খণ্ডগুলোর সঙ্গে মহাস্থানগড়ের পোড়া মাটির খণ্ডগুলোর সম্পূর্ণ মিল রয়েছে।

    ঐতিহাসিক এ স্থানটি সম্পর্কে রংপুর জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক এবং খননকারী দলের সদস্য আবু সায়েদ ইনাম তানভিরুল বলেন, ১৮০৭-১৮০৮ সালে ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ ড.ফ্রান্সিস ধর্মপাল গড় ভ্রমণ করেছিলেন। এর পরের বছর তিনি সরকার এবং ইতিহাসবিদদের কাছে স্থানটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে একটি মানচিত্রও প্রস্তুত করে পাঠিয়েছিলেন। ১৮৭৬ সালে আরও এক ব্রিটিশ গবেষক মেজর রেনেল এখানে এসেছিলেন। তিনি এখানে একটি জরিপ চালান এবং নিদর্শনটির খনন কাজ সম্পর্কে একটি বইও লিখেছেন। ঐতিহাসিক তথ্যমতে, দ্বিতীয় ধর্মপাল এখানে তার রাজ্যের রাজধানী স্থাপন করেছিলেন এবং তার নামানুসারেই স্থানটির নামকরণ করা হয়েছে ধর্মপাল গড়।

    পাল বংশীয় রাজা দ্বিতীয় ধর্মপাল ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের বাংলা অঞ্চলের দ্বিতীয় শাসক। তিনি ছিলেন পাল রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপালের ছেলে। পৈত্রিক রাজত্বের সীমানা তিনি বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছিলেন। পাশাপাশি পাল সাম্রাজ্যকে উত্তর ও পূর্ব ভারতের প্রধান রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত করেছিলেন।

    বর্তমান জেলার জলঢাকা উপজেলার উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে তিনি রাজধানী স্থাপন করেন। বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষার জন্য তিনি প্রাসাদের বাইরে মাটির উঁচু প্রাচীর নির্মাণ করেন। সেই থেকে স্থানটির নাম হয় ধর্মপালগড়। ধর্মপালের রাজত্বকাল ছিল আনুমানিক ৭৮১-৮২১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। তার রাজত্বকালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে ত্রিপক্ষীয় যুদ্ধ। উত্তর ভারতে আধিপত্য বিস্তারের জন্য দাক্ষিণাত্যের রাজকূট এবং মালব ও রাজস্থানের গুর্জর-প্রতীহারদের সঙ্গে বাংলার পালগণ দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন।

    স্থাপনাটি দেখার জন্য প্রতিদিন এখানে কয়েক হাজার লোক ভিড় জমাচ্ছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ স্থানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য।

  17. মাসুদ করিম - ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৪:৪৪ অপরাহ্ণ)

    কানহাইয়া কুমারের মা
    অশোক দাশগুপ্ত

    কী ঘটেছিল সেদিন, ৯ ফেব্রুয়ারি?‌ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে সভার আয়োজন করেছিল তথাকথিত মাওবাদীদের দলছুটদেরও দলছুট একটি ক্ষুদ্র সংগঠন। ছিল বাইরের কিছু ছাত্র, কেউ কেউ জামাত–‌ই–‌ইসলামির সঙ্গে যুক্ত। আওয়াজ ওঠে আফজল গুরুর ফাঁসির বিরুদ্ধে। কাশ্মীরের আজাদির পক্ষে। ভিডিও সাক্ষ্য জানাচ্ছে, ওই স্লোগান যারা দিয়েছে, তারা বহিরাগত, তিনজন আবার বিদ্যার্থী পরিষদের কর্মী!‌ প্ররোচনা। দিল্লি পুলিস তালিকা বানিয়ে ফেলল ২০ বামপন্থী ছাত্র সংগঠকের। গ্রেপ্তার সি পি আইয়ের ছাত্র সংগঠনের নেতা, জে এন ইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমার, যে কোনও প্ররোচনামূলক স্লোগান দেয়নি, গিয়েছিল পরিস্থিতি শান্ত রাখার লক্ষ্যে। তার ভাষণ এখন বহুলপ্রচারিত, এক দেশপ্রেমিক ছাত্রনেতার মর্মস্পর্শী বক্তব্য। সে নাকি দেশদ্রোহী। ‘‌আমার ছেলে দেশকে ভালবাসে, মানুষের ভাল চায়, ওকে দেশদ্রোহী বলবেন না।’‌ বললেন বিহারের বেগুসরাইয়ের বিহট গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মীনা দেবী। কানহাইয়া কুমারের মা।
    কয়েকজন বিচ্ছিন্নতাবাদীর ছেলেমানুষি ও প্ররোচনা ছিল, সেই সুযোগে পাল্টা, প্রবলতর প্ররোচনা সঙ্ঘ পরিবারের উপযুক্ত কর্মীদের। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানালেন, টুইট করে এই পাকপন্থীদের সমর্থন জানিয়েছেন কুখ্যাত হাফিজ সঈদ। পরদিনই জানা গেল, জাল অ্যাকাউন্ট থেকে করা হয়েছিল টুইট, সে অ্যাকাউন্ট উধাও। রাজনাথের মুখ বন্ধ। কিন্তু গেরুয়া সরকার ও দলের বর্বরতা জারি। আদালতে সি পি আইয়ের যুব নেতাকে জুতোপেটা করলেন বি জে পি বিধায়ক ওমপ্রকাশ শর্মা। বললেন, ওরা দেশদ্রোহী, সঙ্গে বন্দুক থাকলে গুলি করে মারতাম‍‌!‌ পুলিস তাঁকে ছোঁয়নি, ঘুরছেন বুক ফুলিয়ে। মার খেলেন সাংবাদিকরাও। আদালত চত্বরে কানহাইয়া কুমারকে বেধড়ক মারলেন এক বি জে পি–‌আইনজীবী, নিগ্রহের পর কানহাইয়াকে সুরক্ষা দেওয়ার কথা একবার মনে পড়ল পুলিসের। এই হিংস্র শক্তির বিরুদ্ধে নরম গলায় শক্তিশালী বার্তা দিচ্ছেন একজন, কোটি কোটি মানুষের প্রতিনিধি, বিহট গ্রামের জরাজীর্ণ ঘরের বাসিন্দা, কানহাইয়া কুমারের মা।
    ২২ এপ্রিল, ১৯৬৯, পথচলা শুরু করেছিল জে এন ইউ, জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পাঁচ বছর পর। উদ্দেশ্য ছিল স্পষ্ট:‌ এই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হবে উচ্চশিক্ষার এক মহাতীর্থ, পঠনপাঠন ও গবেষণার উৎকর্ষ কেন্দ্র। সরকারি সহায়তা থাকবে এবং যোগ্যতা থাকলে পড়ার সুযোগ পাবে অতি দরিদ্র ঘরের সন্তানরাও। জে এন ইউ। ছাত্রছাত্রীরা পড়ে, লড়েও। এখানে উচ্চশিক্ষিত হওয়ার জন্য আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য আবশ্যিক নয়। দুটো উদাহরণ। লেনিন কুমার। তিন বছর আগের ছাত্র সংসদ সভাপতি। বাবা গরিব শ্রমিক, ছেলেই পরিবারের প্রথম উচ্চশিক্ষার্থী। লেনিন কুমার এখন পি এইচ ডি করছে। মানুষের মু্ক্তির স্বপ্ন দেখছে। কানহাইয়া কুমার। সে–ও পি এইচ ডি করছে। বিহারের বিহট গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মীনা দেবীর সন্তান। বাবা জয়শঙ্কর ছিলেন শ্রমজীবী, এখন পক্ষাঘাতে শায়িত। সাংবাদিককে বললেন, ‘‌গরিবের সবচেয়ে বড় অধিকার হল শিক্ষার অধিকার।’‌ তাঁর হাত ধরে একই কথা তো বলছেন তিনি। কানহাইয়া কুমারের মা।
    জে এন ইউ বামপন্থী রাজনীতির আঁতুড়ঘর, যেন গুরুতর অপরাধ। প্রকাশ কারাত, সীতারাম ইয়েচুরি সি পি এম নেতা। সংসদের প্রাক্তন সভাপতি। বাবুরাম ভট্টরাই নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়ে বলেছিলেন, ‘‌আমাকে শিখিয়েছে নেপালের লড়াকু মানুষ। আর জে এন ইউ।’‌ পৃথিবী জুড়ে বহু শিক্ষায়তনে কৃতী অধ্যাপক জে এন ইউ–এর প্রাক্তনী। দেশের দক্ষ আমলাদের মধ্যে অনেকে প্রাক্তনী। একজন, বিদেশ সচিব জয়শঙ্কর। দেশে–‌বিদেশে ছড়িয়ে–থাকা কৃতীদের কথা মনে করিয়ে দিয়ে কিছু বলছেন একজন, নিজের দুশ্চিন্তা সঙ্গে নিয়েও, কান পাতুন, বলছেন তিনি, কানহাইয়া কুমারের মা।
    একইসঙ্গে পঠনপাঠন ও রাজনীতি চর্চার উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসেবে জে এন ইউ বিশ্ববিখ্যাত। সেখানে আছে বিতর্কের ঐতিহ্য, প্রশ্ন করার অধিকার, বহুত্ববাদের অধিকার। এখন ওখানে চারটি শক্তিশালী বাম সংগঠন। যাদের সভায় প্ররোচনামূলক স্লোগান শোনা গেছে, সংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু তাদের কথাও শুনতে রাজি অন্যরা। কিন্তু, সেই কথা আপত্তিকর হলে, নিন্দায় দ্বিধাহীন। বিদ্যার্থী পরিষদ (‌এ বি ভি পি)‌ আছে। ছিল। ওদের প্রচারে সংগঠনে বাধা দেয়নি অন্য ছাত্র সংগঠকরা। আছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। প্রবলভাবে অবশ্যই বামপন্থীরা। কিন্তু বিভক্ত। প্রধান চার সংগঠন— এ আই এস এফ, এস এফ আই, এস এফ আই–‌এর বিদ্রোহী বা বহিষ্কৃত ডি এস এফ এবং লিবারেশন–এর আইসা। সংসদ নির্বাচনের সময় তুমুল বিতর্ক হয়, বেশ রাতেও হয় সভা। মারপিট হয় না। নমিনেশন পেপার তুলতে পারল না কেউ, এমন হয় না। শিক্ষকরাও বিতর্কে থাকেন। একবার, এস এফ আই–এর হয়ে আবেগদীপ্ত ভাষণ দিলেন উৎসা পটনায়েক। সভা শেষ। আইসার এক নেতা এগিয়ে গিয়ে বলল, ‘‌ম্যাডাম, ক্লাসরুমে আপনার কাছ থেকে কত কিছু শিখি। কিন্তু আজ দুটো পয়েন্ট ভুল বললেন।’‌ উৎসার জবাব, ‘‌বেশ তো, কাল বিকেলে এসো, আমরা দুজন কথা বলব। তর্ক করব। দুজনই শিখব।’‌ এই চর্চাকেন্দ্র চিরজীবী হোক, সব চক্রান্তকে চূর্ণ করুক, বলছেন অনেকে, সবার হয়ে বলছেন মাসে তিন হাজার টাকায় সংসার–‌চালানো বিহট গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, কানহাইয়া কুমারের মা।
    নদীর নামে নাম। হস্টেল— গঙ্গা, যমুনা, ঝিলম, শতদ্রু, কাবেরী, তাপ্তী, নর্মদা, গোদাবরী, সাবরবতী, শিপ্রা, ব্রহ্মপুত্র। ধাম— গঙ্গা, গোদাবরী, সাবরবতী.‌.‌.‌। ভরাট নদীর মতোই উচ্ছল এই বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে নানা অর্থনৈতিক বৃত্তের ছেলেমেয়েরা থাকে, কথা বলে, দ্বিমত হয়েও বন্ধু থাকে। দক্ষিণ কলকাতার এক ধনী পরিবারের কন্যা পড়তে গিয়েছিল। হস্টেলে কম খরচে সাধারণ খাবার। ছুটিতে যখন বাড়িতে এল মেয়ে, মা ভাল ভাল খাবারে ভরিয়ে দিলেন। এবং একদিন বললেন, বেশ করে খেয়ে নে, সেই তো হস্টেলে গিয়ে ঘাসপাতা খাবি!‌ শান্ত মেয়ে। কোনও ছাত্র সংগঠন করে না। কিন্তু মায়ের কথায় ছিটকে বেরোল তীর:‌ ‘‌আমরা ওখানে যা–ই খাই, ভালভাবে খাই, একসঙ্গে ভাল থাকি, ভাবছি কবে ফিরব!‌’‌ পরিবারটিকে চিনি। মা যখন গল্পটা শোনাচ্ছিলেন, পাশ থেকে মেয়ের বাবা, যিনি খুব বড় কোম্পানি–‌কর্তা, বললেন, ‘‌যদি জে এন ইউ–‌তে পড়তে পারতাম!‌’‌ এই শিক্ষায়তনের গর্বের কথাই বলতে চাইলেন এক ছাত্রের মা। কানহাইয়া কুমারের মা।
    এবং এই শিক্ষায়তনকে চূর্ণ করতে চাইছে সঙ্ঘ পরিবার। দখল করো, না পারলে ধ্বংস করো!‌ জে এন ইউ বিদ্যার্থী পরিষদেরই তিন নেতা ইস্তফা দিয়েছে, গেরুয়া বর্বরতার বিরুদ্ধে। বিবৃতি দিয়েছে, দেশবিরোধী স্লোগান তারা সমর্থন করে না, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লি পুলিস যা করছে, তা ঘোর অন্যায়। জে এন ইউ–এর মতো বিশ্ববিখ্যাত শিক্ষায়তনকে ধ্বংস করার চেষ্টা প্রতিহত করতে হবে। যারা বলছে, তারা বামপন্থী নয়। এই হল জে এন ইউ। ধ্বংস করার, অনেক বদনাম লাগিয়ে পরে ধ্বংস করার পুরনো পথে যাচ্ছে আর এস এস, বি জে পি, মোদি সরকার। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে উঠেছে তীব্র আওয়াজ, প্রতিজ্ঞা, কান পেতে শুনুন, বলছেন ভারতমাতা, কানহাইয়া কুমারের মা।

  18. মাসুদ করিম - ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৪:৫৬ অপরাহ্ণ)

    Harper Lee, To Kill a Mockingbird author, dies aged 89

    Writer whose 1961 novel became a defining text of 20th-century literature and of racial troubles in the American south has died in Monroeville, Alabama

    Harper Lee, whose 1961 novel To Kill a Mockingbird became a national institution and the defining text on the racial troubles of the American deep south, has died at the age of 89.

    Lee, or Nelle as she was known to those close to her, had lived for several years in a nursing home less than a mile from the house in which she had grown up in Monroeville, Alabama – the setting for the fictional Maycomb of her famous book. The town’s mayor, Mike Kennedy, confirmed the author’s death.

    Until last year, Lee had been something of a one-book literary wonder. To Kill a Mockingbird, her 1961 epic narrative about small-town lawyer Atticus Finch’s battle to save the life of a black resident threatened by a racist mob, sold more than 40m copies around the world and earned her a Pulitzer prize. George W Bush awarded her the presidential medal of freedom in 2007.

    But from the moment Mockingbird was published to almost instant success the author consistently avoided public attention and insisted that she had no intention of releasing further works. That self-imposed purdah ended abruptly when, amid considerable controversy, it was revealed a year ago that a second novel had been discovered, which was published as Go Set a Watchman in July 2015.

    The house where Lee lived for years with her sister Alice sat quiet and empty on Friday. The inside of the house appeared unchanged from when she lived there – antique furniture was stacked with books, audio cassettes and gift baskets.

    Her neighbor for 40 years, Sue Sellers, said Lee would have appreciated the quiet. “She was such a private person,” she said. “All she wanted was privacy, but she didn’t get much. There always somebody following her around.”

    In recent years Lee’s health had declined. Seller said the last time she spent any real time with Lee they went to breakfast together. “The whole way home she drove her big car in the turn lane,” she said. “She couldn’t see. I was scared to death.”

    The last time she saw Lee was a few months ago at the Meadows nursing home. Sellers brought flowers. “She just hollered out: ‘I can’t see and I can’t hear!’” Sellers said. “So I just told her goodbye.”

    Lee was born in Monroeville in 1926 and grew up under the stresses of segregation. As a child she shared summers with another aspiring writer, Truman Capote, who annually came to stay in the house next door to hers and who later invited her to accompany him to Holcomb, Kansas, to help him research his groundbreaking 1966 crime book In Cold Blood.
    Advertisement

    Capote informed the figure of the young boy Dill in Mockingbird, with his friend the first-person narrator Scout clearly modelled on the childhood Lee herself.

    Lee was the youngest child of lawyer Amasa Coleman Lee and Frances Finch Lee. Her father acted as the template for Atticus Finch whose resolute courtroom dignity as he struggles to represent a black man, Tom Robinson, accused of raping a white woman provides the novel’s ethical backbone.

    Last year’s publication of Go Set a Watchman obliged bewildered fans of the novel to reappraise the character of Finch. In that novel, which was in fact the first draft of Mockingbird that had been rejected by her publisher, Finch was portrayed as having been a supporter of the South’s Jim Crow laws, saying at one point: “Do you want Negroes by the carload in our schools and ­churches and theaters?”

    Within minutes of the announcement of the novelist’s death, encomiums began to flow. Her literary agent Andrew Nurnberg said in a statement: “We have lost a great writer, a great friend and a beacon of integrity.”

    He added: “Knowing Nelle these past few years has been not just an utter delight but an extraordinary privilege. When I saw her just six weeks ago, she was full of life, her mind and mischievous wit as sharp as ever. She was quoting Thomas More and setting me straight on Tudor history.”

    Michael Morrison, her publisher at HarperCollins US, said: “The world knows Harper Lee was a brilliant writer but what many don’t know is that she was an extraordinary woman of great joyfulness, humility and kindness. She lived her life the way she wanted to – in private – surrounded by books and the people who loved her.”

    In Lee’s home state of Alabama, a center of the violent upheavals over civil rights that immediately preceded the publication of Mockingbird, literary experts reflected on the power of the novel to shift the ingrained assumptions of white Alabamans. Jacqueline Trimble, president of the Alabama Writers’ Forum that bequeaths the annual Harper Lee award for literary excellence, said that the book had a profound effect on white residents of the state.

    “She was able to take the politics of the civil rights era and make them human. She showed people that this was about their neighbors, their friends, someone they knew, not just about the issues,” Trimble said.

    Tim Cook, the CEO of Apple, tweeted a quote from Mockingbird: “The one thing that doesn’t abide by majority rule is a person’s conscience.”

  19. মাসুদ করিম - ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ)

    ভাষা শহিদ স্মারকের উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর

    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহিদ স্মারকের আবরণ উন্মোচন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের বিপরীতে ২১শে উদ্যানে এই স্মারক বসেছে। তবে যানজট হবে বলে এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে বলে মুখ্যমন্ত্রী কোনও রকম বক্তব্য পেশ করেননি। অনুষ্ঠানে প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি এখানে অনুষ্ঠান হবে। বিকেলে অনুষ্ঠান হবে দেশপ্রিয় পার্কে। এই স্মারকের পরিকল্পনা করেছেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী, সাংসদ যোগেন চৌধুরি। আর তৈরি করেছেন ভাস্কর প্রদীপ পাত্র। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেয়র শোভন চ্যাটার্জি, মন্ত্রী সাধন পান্ডে, মেয়র পরিষদ সদস্য দেবাশিস কুমার, অতীন ঘোষ, স্বপন সমাদ্দার, রতন দে, মালা রায়, নির্বেদ রায়, সঙ্গীতশিল্পী ইন্দ্রনীল সেন, তথ্য ও সংস্কৃতি সচিব অত্রি ভট্টাচার্য, পুরকমিশনার খলিল আহমেদ, নগরপাল রাজীব কুমার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, খুব ভাল হয়েছে, খুব সুন্দর হয়েছে। যত্ন করে রাখতে হবে। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে এই স্মারক বসেছে। মুখ্যমন্ত্রী ওখানে সকলের সঙ্গে গানও গেয়েছেন ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’‌। মেয়র বলেন, এই ২১ ফেব্রুয়ারি আমরা দুই বাংলা শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করি। গতবছর এই স্মারকের রেপ্লিকা উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন এটি ফাইবার গ্লাসের হলেও পরে এটি হবে ব্রোঞ্জের। যোগেন চৌধুরি জানান, এটা ১৪ ফুট উচ্চতা। মূর্তিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মাতৃভাষার জন্য লড়াইয়ে শহিদ ভাইয়ের মৃতদেহ নিয়ে বোন বসে আছে। বোনের মুখে শোকের চিহ্ন নেই। এই মূর্তিটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। সামনে লেখা, ‘‌আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’‌। কয়েক বছর আগে রাষ্ট্রপুঞ্জ ২১ ফ্রেব্রয়ারি দিনটিকে ঘোষণা করেছে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। মূর্তির পেছনদিকে ইংরেজিতে বিস্তারিত লেখা আছে বিদেশি পর্যটকদের জন্য।

  20. মাসুদ করিম - ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ)

    চাকমা উপন্যাস তো মিলল, কিন্তু ‘চাকমা বাল্যশিক্ষা’র খবর কী

    আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ‘চাকমা উপন্যাস চাই’ শিরোনামে একটা প্রবন্ধ লিখেছিলেন ১৯৯৩ সালে। যে বছর তাঁর মৃত্যু হয়, সেই ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর, সই হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ‘শান্তি’ চুক্তি, এখনও যেটির পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। অবশ্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে নূতন আইন হয়েছে, নূতন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো হয়েছে, কিন্তু কাগুজে অনেক ঘোষণাই বাস্তব রূপ পায়নি এখনও। যেমন, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের জন্য ১৯৯৮ সালে প্রণীত আইনগুলিতে বলা হয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানসমূহের বিভিন্ন কাজের একটি হবে প্রাথমিক স্তরে ‘মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা’র ব্যবস্থা করা। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো জেলা পরিষদই এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নেয়নি।

    অন্যদিকে, ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে আদিবাসী শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার ঘোষণা থাকলেও সেটি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। কথা ছিল ২০১২ বা ২০১৩ সালের মধ্যে সরকারিভাবে চাকমাসহ মোট ছয়টি আদিবাসী ভাষায় প্রাক-প্রাথমিক স্তরে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হবে এবং পর্যায়ক্রমে অন্য ভাষাগুলিকেও একই কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে, কিন্তু ২০১৬ সাল পর্যন্ত একটি ভাষাতেও এটি শুরু হয়নি। এমতাবস্থায় কেউ যদি বলে বসেন, ‘চাকমা উপন্যাসের কথা এখন থাক, আগে চাকমা বাল্যশিক্ষার বই হোক’, তাহলে খুব একটা দোষ দেওয়া যাবে না তাদের।

    অবশ্য সরকারি পর্যায়ের স্থবিরতা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেশ আগেই, ২০০৪ সালে, প্রকাশিত হয়ে গেছে চাকমা ভাষা ও হরফে দেবপ্রিয় চাকমার লেখা ‘ফেবো’ নামের একটি উপন্যাস। প্রকাশিত খবর অনুসারে এই উপন্যাসের পটভূমি হল ১৯৮৬ সালে খাগড়াছড়ি জেলার লোগাংএ সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ড, আর শিরোনামে ব্যবহৃত শব্দটির দ্বিবিধ অর্থ হল ‘ভয়ার্ত মুহূর্ত’ ও ‘ভয়ঙ্কর প্রাণি’।

    ‘চাকমা ভাষায় লিখিত প্রথম উপন্যাস’ হিসেবে ‘ফেবো’ নামটি ইতোমধ্যে বিসিএস গাইড ধরনের কিছু পরিসরে জায়গা পেলেও উপন্যাসের বিষয়বস্তু বা অন্য কোনো প্রাসঙ্গিক তথ্য এসব জায়গায় নেই। আর সাধারণভাবে উপন্যাসটি কত জন পড়েছেন, পাঠকেরা এটি কীভাবে গ্রহণ করেছেন, এসব ব্যাপারেও বিশদ কোনো তথ্য কোথাও, অন্তত ইন্টারনেটে, খুঁজে পাওয়া যায় না।

    ‘প্রথম চাকমা উপন্যাস’ হিসেবে একে স্বাগত জানিয়ে যাঁরা মতামত প্রকাশ করেছেন, বা দু’একজন যাঁরা এটি নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেছেন, তাদের কেউ এটি সত্যি পড়ে দেখেছেন, এমন প্রমাণ মেলে না। যেমন মুক্তি চাকমা নামের একজন ব্লগার ২০১১ সালে প্রকাশিত তাঁর একটি লেখায় ‘ফেবো’-কে আখ্যায়িত করেছেন ‘অপন্যাস’ হিসেবে, কিন্তু এ জন্য বিশেষ কোনো কারণ তিনি উল্লেখ করেননি এবং বইটি তিনি পড়ে দেখেছেন কিনা, বা আদৌ তিনি চাকমা হরফে পড়তে অভ্যস্ত কিনা, তা উল্লেখ করেননি। তিনি অবশ্য নিজস্ব ভাষা ও হরফে ‘প্রথম চাকমা উপন্যাস’ লেখার প্রচেষ্টা ‘দুঃসাহস’ হিসেবে উল্লেখ করে এর জন্য লেখকের তারিফও করেছেন একটু।

    তবে তাঁর মূল বক্তব্য যত না ‘ফেবো’ উপন্যাসের সমালোচনা, তার চাইতেও আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘একটি চাকমা উপন্যাস চাই’ কথাটির একটা উত্তর, যার ইঙ্গিত তিনি দিয়েছেন তাঁর ব্লগ পোস্টের শিরোনামে, যা হল, ‘একজন বাঙালি লেনিন চাই’। অনুমান করা যায়, তিনি লেনিন প্রতিষ্ঠিত সোভিয়েত ইউনিয়নকে একটা আদর্শ হিসেবে মানেন, যেখানে ‘জাতিসমূহের স্বীকৃতির প্রশ্ন’ নিষ্পত্তির চেষ্টা একভাবে হয়েছিল।

    সেটা ঐতিহাসিকভাবে কতটুকু সফল হয়েছিল, তা ভিন্ন আলোচনা, তবে বাংলাদেশের বেলায় আরও মৌলিক একটা প্রশ্ন তোলা যায় যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের ভাবা দরকার: এদেশে যেখানে বাংলা ভিন্ন অন্য কোনো দেশি ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি নেই, সেখানে এসব ভাষায় সাহিত্য সৃজনের সুযোগ বা সম্ভাবনা কতটুকুই-বা আছে?

    উল্লেখ্য, ‘ফেবো’ প্রকাশের পর এক দশক না পেরুতেই ২০১৩ সালে কে ভি দেবাশীষ চাকমা নামের আরেক জন লেখকেরও চাকমা ভাষায় একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে, যেটির শিরোনাম ‘মুই মত্যেই’ (‘আমি আমার’)। উপন্যাস দুটির কোনোটি সাহিত্য হিসেবে চাকমা সমাজে খুব একটা সাড়া ফেলেছে, এমন আলামত মেলে না। আসলে এই মুহূর্তে কেউ যদি খুব উঁচু মানের উপন্যাসও চাকমা ভাষায় লিখে ফেলেন, নানা কারণে সেটির পাঠক খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে।

    এগুলির মধ্যে একটা বড় কারণ হল, নিজেদের ভাষা লিখিত আকারে চর্চার রেওয়াজ না থাকা। বহুজনের চর্চা ও প্রতিষ্ঠিত কোনো বানানরীতির অনুপস্থিতিতে স্রেফ ব্যক্তিগত উদ্যোগে লেখা কোনো দীর্ঘ দলিল একজন সহভাষীর জন্য বোধগম্য আকারে তুলে ধরা কতটা দুরুহ কাজ, তা এমন চেষ্টা যাঁরা করেছেন, তাঁরা ছাড়া অন্যরা অনেকে কল্পনাও করতে পারবেন না হয়তো-বা। আর লেখার কাজটা যদি করা হয় স্বল্প-ব্যবহৃত, পুনরুদ্ধারকৃত বা নব-উদ্ভাবিত কোনো লিপিতে, তাহলে তো কথাই নেই।

    উল্লেখ্য, প্রকাশিত খবর অনুসারে দেবাশীষ চাকমার ‘ফেবো’ ছাপানো হয়েছিল চাকমা হরফে হাতে লেখা টেক্সটের ছবির ভিত্তিতে। অন্যদিকে কে ভি দেবাশীষ চাকমার ‘মুই মত্যেই’ ছাপানো হয়েছে বাংলা হরফে। তবে হরফের বিষয়টা আসলে গৌণ; কারণ স্রেফ কারিগরি দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীর যে কোনো ভাষা যে কোনো হরফের মাধ্যমে লিখিত রূপ দেওয়া সম্ভব। কিন্তু ব্যাপক পরিসরে কোনো ভাষার লিখিতরূপে চর্চিত হওয়ার জন্য বেশ কিছু পূর্বশর্ত রয়েছে; যেমন সামাজিক চাহিদা, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা এবং কারিগরি বিভিন্ন বিষয়সহ একাধিক ক্ষেত্রে দক্ষ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিদের সময়োপযোগী নেতৃত্ব। বাংলাদেশে চাকমা বা অন্য কোনো প্রান্তিক জাতির বেলায় এসব শর্ত পূরণ হয়েছে, তা বলা যায় না।

    বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে ‘আদিবাসী’ (সরকারি ভাষায় ‘উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বা নৃ-গোষ্ঠী’) হিসেবে অভিহিত সকল জাতির ভাষাই প্রধানত কথ্য আকারে চর্চিত হয়ে আসছে। এসব ভাষার লিখিত আকারে চর্চার যেমন খুব একটা চাহিদা বা রেওয়াজ নেই, তেমনি নেই এ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা ও দিকনির্দেশনা।

    এমতাবস্থায় লিখিত আকারে নিজেদের ভাষা চর্চার কাজ যাঁরা করছেন, তাঁরা তা করছেন মূলত ব্যক্তিগত উদ্যোগে বা বিভিন্ন স্থানীয় সংগঠনের মাধ্যমে। সীমিত আকারের যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে, যা মূলত বিভিন্ন ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান’এর মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে আসছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য এবং তার পেছনে যথাযথ বিশ্লেষণ ও সুচিন্তিত পরিকল্পনা নেই।

    অবশ্য অনুদান-নির্ভর ও এনজিও-বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমেও কিছু কাজ চলছে বেশ অনেক বছর হল, বিশেষ করে ‘মাতৃভাষায় শিক্ষা’র ক্ষেত্রে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে এ রকম বহু খণ্ডিত উদ্যোগ থাকলেও সেগুলিকে বেগবান করার, পথ দেখানোর, পরিপুষ্ট করার বিশেষ কোনো দিকনির্দেশনা জাতীয় পর্যায়ে নেই, সেটা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবেই হোক, আর রাষ্ট্রীয় নীতিমালাতেই হোক। সংবিধানে তো আদিবাসীদের কোনো স্বীকৃতিই নেই সে অর্থে, বিশেষ করে তাদের ভাষাসমূহের উল্লেখ কোনো আকারে নেই সেখানে। তথাপি এই অবস্থাতেই ২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছিল, আদিবাসী শিশুরা যেন বিদ্যালয়ের প্রাথমিক স্তরে ‘মাতৃভাষা শিখতে’ পারে, তার ব্যবস্থা করা হবে।

    কথাটা আবার পড়ুন, আদিবাসী শিশুদের ‘মাতৃভাষা’ শেখানোর কথা বলা হয়েছে, ‘মাতৃভাষায়’ শেখানো নয়! অনেকেই বিষয়টি ছাপার ভুল বলেই গণ্য করে কাজ করে আসছেন, কিন্তু এটি যে ঠিক ছাপার ভুল ছিল না, তা ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে।

    যাই হোক, জাতীয় শিক্ষানীতিতে অস্পষ্ট বা দায়সারাভাবে অন্তর্ভুক্ত নির্দেশনার আলোকে ২০১১ সালের দিকে সরকারিভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, অচিরেই আদিবাসী শিশুদের জন্য মাতৃভাষা-ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে প্রাক-প্রাথমিক স্তরে এবং এ লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে মোট ছয়টি ভাষায় কাজ শুরুর কথা বলা হয়, যেগুলি ছিল চাকমা, মারমা, ককবরক (ত্রিপুরা), গারো, সাদ্রি ও সাঁওতালি। তবে মাঝপথে লিপি বিতর্কের কারণে তালিকা থেকে সাঁওতালি ভাষা বাদ দেওয়া হয়।

    এ ধরনের কোনো সমস্যা না থাকলেও বাকি পাঁচটি ভাষার কোনোটিতে পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যালয় পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু হয়নি এখন পর্যন্ত। এমন অবস্থার পেছনে অনেক গভীর কারণ রয়েছে, ‘লিপি বিতর্ক’ যেগুলির অংশ নয়। আগেই যেমনটা উল্লেখ করা হয়েছে, প্রয়োজনে যে কোনো ভাষা যে কোনো লিপিতে লিখিত রূপ দেওয়া সম্ভব, কিন্তু সেই ‘প্রয়োজন’ কখন কেন কারা কতটুকু অনুভব করছেন, কীভাবে তা মেটানোর কথা ভাবা হচ্ছে, সেগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসব বিষয়ে সম্যক ধারণাপ্রসূত অভিন্ন চিন্তাভাবনা না থাকার কারণে লিপি বিতর্কের মতো গৌণ সমস্যার ফাঁদে পড়ে অযথা সময় ও সামাজিক শক্তির অপচয় করে চলছেন অনেকে।

    এখানে উল্লেখ্য, শতাধিক বছর হল সাঁওতালদের সামনে লিপি নির্বাচনের প্রশ্ন ঘুরেফিরে এসেছে বারবার, যাদের জন্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সব মিলিয়ে এ যাবত অন্তত ৬টি ভিন্ন লিপি চালু করার চেষ্টা করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। এই সমস্যা আসলে সাঁওতালদের বহুমুখী প্রান্তিকতার একটি লক্ষণ মাত্র।

    বাংলাদেশের প্রান্তিক জাতিসমূহের মধ্যে সাক্ষরতার হার (রাষ্ট্রীয় মানদণ্ডে), জনসংখ্যা, ক্ষমতার অংশীদারিত্ব, রাজনৈতিক সচেতনতা, ভাষিক ও সাংস্কৃতিক সমরূপতা ইত্যাদির বিচারে চাকমারা সবার চেয়ে এগিয়ে থাকলেও লিখিত আকারে নিজেদের ভাষায় সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে তাদের কোনো উল্লেখযোগ্য অবস্থান নেই। আর এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন মানদণ্ডে আরও ‘পিছিয়ে থাকা’ জাতিসমূহের অবস্থা কী হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়।

    সার্বিকভাবে প্রান্তিক জাতিসমূহের মধ্যে লিখিত সাহিত্যের ধারা অবিকশিত বা ম্রিয়মান অবস্থায় থাকার মূল কারণ নিহিত রয়েছে তাদের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক অধস্তনতার মধ্যে, যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাদের ভূমির অধিকার হরণ করে সাংস্কৃতিকভাবে তাদেরকে ‘ক্ষুদ্র’, ‘নিচু’ ও ‘পশ্চাৎপদ’ হিসেবে গণ্য করাসহ তাদের ইতিহাস ও স্বকীয়তা মুছে ফেলার বিবিধ প্রয়াসের মাধ্যমে। আমরা যদি চাই তাদের সবার ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি স্বমহিমায় বিকশিত হোক, তবে গোড়ায় জল দিতে হবে, যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতির, মেনে নিতে হবে তাদের ‘আদিবাসী’ অধিকার। এই অধিকার অগ্রাহ্য করে বাহ্যিক বিভিন্ন প্রলেপ দিয়ে তাদের ভাষা, সংস্কৃতি ইত্যাদির প্রদর্শনীমূলক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা হবে, আর সব বঞ্চনা-অবমাননা-অস্বীকৃতির আদিবাসীরা সাহিত্যিক সৃজনের মাধ্যমে কাটিয়ে উঠবে, তা আশা করা যায় না।

    যেখানে আদিবাসী শিশুরা এখনও প্রাক-প্রাথমিক স্তরেও সরকারিভাবে নিজেদের ভাষায় শিক্ষালাভের সুযোগ পায়নি এবং আদিবাসী জনগণ দেশের সর্বত্র ভূমি-জীবন-সম্ভ্রম রক্ষার সংগ্রামে ব্যতিব্যস্ত, সেখানে তাদের কাছ থেকে নিজেদের ভাষায় লেখা ‘দুর্গেশনন্দিনী’ বা ‘চিলেকোঠার সেপাই’ মানের উপন্যাস খুঁজতে যাওয়ায় যদি কেউ নির্বোধ আশাবাদ বা নিষ্ঠুর রসিকতা হিসেবে দেখেন, তাহলে কি খুব ভুল হবে?

  21. মাসুদ করিম - ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ)

    Umberto Eco, 84, Best-Selling Academic Who Navigated Two Worlds, Dies

    Umberto Eco, an Italian scholar in the arcane field of semiotics who became the author of best-selling novels, notably the blockbuster medieval mystery “The Name of the Rose,” died on Friday at his home in Milan. He was 84.

    His Italian publisher, Bompiani, confirmed his death, according to the Italian news agency ANSA. No cause was given.

    As a semiotician, Mr. Eco sought to interpret cultures through their signs and symbols — words, religious icons, banners, clothing, musical scores, even cartoons — and published more than 20 nonfiction books on these subjects while teaching at the University of Bologna, Europe’s oldest university.

    But rather than segregate his academic life from his popular fiction, Mr. Eco infused his seven novels with many of his scholarly preoccupations.

    In bridging these two worlds, he was never more successful than he was with “The Name of the Rose,” his first novel, which was originally published in Europe in 1980. It sold more than 10 million copies in about 30 languages. (A 1986 Hollywood adaptation directed by Jean-Jacques Annaud and starring Sean Connery received only a lukewarm reception.)

    The book is set in a 14th-century Italian monastery where monks are being murdered by their co-religionists bent on concealing a long-lost philosophical treatise by Aristotle. Despite devoting whole chapters to discussions of Christian theology and heresies, Mr. Eco managed to enthrall a mass audience with the book, a rollicking detective thriller.

    His subsequent novels — with protagonists like a clairvoyant crusader in the Middle Ages, a shipwrecked adventurer in the 1600s and a 19th-century physicist — also demanded that readers absorb heavy doses of semiotic ruminations along with compelling fictional tales.

    In a 1995 interview with Vogue, Mr. Eco acknowledged that he was not an easy read. “People always ask me, ‘How is it that your novels, which are so difficult, have a certain success?’” he said. “I am offended by the question. It’s as if they asked a woman, ‘How can it be that men are interested in you?’” Then, with typical irony, Mr. Eco added, “I myself like easy books that put me to sleep immediately.”

    While Mr. Eco had many defenders in academia and the literary world, critics in both realms sometimes dismissed him for lacking either scholarly gravitas or novelistic talent. “No cultural artifact is too lowly or trivial for Eco’s analysis,” Ian Thomson, a literary biographer, wrote in The Guardian in 1999 in a review of “Serendipities: Language and Lunacy,” Mr. Eco’s collection of essays on how false beliefs had changed history.

    And the British novelist Salman Rushdie, in a scathing review in The London Observer, derided Mr. Eco’s 1988 novel, “Foucault’s Pendulum,” as “humorless, devoid of character, entirely free of anything resembling a credible spoken word, and mind-numbingly full of gobbledygook of all sorts.”

    Appearing alongside Mr. Rushdie at a literary panel in New York in 2008, Mr. Eco wryly chose to read from “Foucault’s Pendulum.”

    As a global superstar in both highbrow and popular cultural circles, Mr. Eco accepted such criticism with equanimity. “I’m not a fundamentalist, saying there’s no difference between Homer and Walt Disney,” he told a Guardian journalist who was exploring his juxtaposition of scholarship and pop iconography in 2002. “But Mickey Mouse can be perfect in the sense that a Japanese haiku is.”

    Able to deliver lectures in five modern languages, as well as in Latin and classical Greek, Mr. Eco crisscrossed the Atlantic for academic conferences, book tours and celebrity cocktail parties. Impish, bearded and a chain-smoker, he enjoyed bantering over cheap wine with his students late into the night at taverns in Bologna.

    He and his German-born wife, Renate Ramge, an architecture and arts teacher, kept apartments in Paris and Milan and a 17th-century manor once owned by the Jesuits in the hills near Rimini, on the Adriatic Sea. They had two children, Stefano, a television producer in Rome, and Carlotta, an architect in Milan.

    Umberto Eco was born on Jan. 5, 1932, in Alessandria, an industrial town in the Piedmont region in northwest Italy. His father, Giulio, was an accountant at a metals firm; his mother, Giovanna, was an office worker there.

    As a child, Umberto spent hours every day in his grandfather’s cellar, reading through the older man’s eclectic collection of Jules Verne, Marco Polo and Charles Darwin and adventure comics. During the dictatorship of Benito Mussolini, he remembered wearing a fascist uniform and winning first prize in a writing competition for young fascists.

    After World War II, Mr. Eco joined a Catholic youth organization and rose to become its national leader. He resigned in 1954 during protests against the conservative policies of Pope Pius XII. But Mr. Eco maintained a strong attachment to the church, writing his 1956 doctoral thesis at the University of Turin on St. Thomas Aquinas.

    He went on to teach philosophy and then semiotics at the University of Bologna. He also gained fame in Italy for his weekly columns on popular culture and politics for L’Espresso, the country’s leading magazine.

    But it was the publication of “The Name of the Rose” that vaulted Mr. Eco to global renown. The monk-detective of the novel, William of Baskerville, was named after one of Sherlock Holmes’s cases, “The Hound of the Baskervilles.” The novel is narrated by a young novice who accompanies William through his investigation at the murder-prone monastery and acts as a medieval Dr. Watson.

    In another literary allusion, this time to the blind Argentine writer Jorge Luis Borges, who set one of his stories in an encyclopedic library, Mr. Eco named the villain of the novel Jorge de Burgos and portrays him as the monastery’s blind librarian. De Burgos and his accomplices carry out their killings to prevent the disclosure of a supposedly lost Aristotle tome exalting the role of humor. The murderers believe the book is an instrument of Satan.

    In “Foucault’s Pendulum,” his second novel, Mr. Eco weaves an elaborate conspiracy inspired partly by a pendulum devised by the 19th-century French physicist Léon Foucault to demonstrate the rotation of the Earth. Despite mixing allusions to the Kabbalah, mathematical formulas and Disney characters, the novel also became a worldwide best seller — even though it did not receive the near unanimous acclaim that critics had accorded to “The Name of the Rose.”

    The pattern repeated itself with Mr. Eco’s other novels, which were often disparaged by critics but devoured by readers in spite of their dense prose and difficult concepts. Reviewing Mr. Eco’s fourth novel, “Baudolino” (2000), in The New York Times, Richard Bernstein wrote that it “will make you wonder how a storyteller as crafty as Mr. Eco ended up producing a novel so formulaic and cluttered as this one.”

    Set amid the religious disputes and wars of the 12th century, “Baudolino” became the best-selling hardcover novel of all time in Germany and a commercial success elsewhere in the world.

    Critics were kinder to Mr. Eco’s third novel, “The Island of the Day Before” (1994), in which an Italian nobleman, who cannot swim, survives on his shipwrecked vessel at a point in the tropical Pacific Ocean where the dateline divides one day from another.

    “Eco has abandoned his familiar Middle Ages to create an extravagant celebration of the obsessions of the seventeenth century,” a reviewer in The New Yorker wrote, alluding to the author’s many anecdotes and explanations on the philosophy, politics and superstitions of Europe in that era.

    Last fall, Houghton Mifflin Harcourt published a new Eco novel, “Numero Zero,” translated by Richard Dixon. The story, set in 1992, revolves around a ghostwriter who is pulled into an underworld of media politics and murder conspiracies, with a suggestion that Mussolini did not actually die in 1945 but lived in the shadows for decades. “This slender novel, which feels like a mere diversion compared with his more epic works, is nonetheless stuffed with ideas and energy,” John Williams wrote in The New York Times Book Review.

    Mr. Eco received Italy’s highest literary award, the Premio Strega; was named a Chevalier de la Légion d’Honneur by the French government, and was an honorary member of the American Academy of Arts and Letters.

    While he continued to make his scholarly peers uncomfortable with his pop culture celebrity, Mr. Eco saw no contradiction in his dual status. “I think of myself as a serious professor who, during the weekend, writes novels,” he said.

    Correction: February 21, 2016

    An earlier version of this obituary referred incorrectly to Mr. Eco’s novel “Foucault’s Pendulum.” Although a pendulum devised by the 19th-century physicist Léon Foucault figures in the plot, Foucault himself is not a character in the novel, which is about an elaborate conspiracy and not about him.

  22. মাসুদ করিম - ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (১০:২৪ অপরাহ্ণ)

    Ancient Irrawaddy Delta City Believed to be 2,300 Years Old

    Most people know little of Burma’s ancient Pyu people but for the ruins of their civilization at Sri Ksetra, Halin and Beikthano in central Burma—the first sites in the country to receive UNESCO World Heritage status.

    Now another ancient city in Lower Burma’s Irrawaddy Delta is believed to be as old as the Pyu sites, the size of which would have been greater than the old royal capital of Mandalay.

    The laterite stone city covers an area of eight square miles and is located near Taung Zin Village in Ingapu Township, Irrawaddy Division. About three miles into the village lies the site, believed to have been built more than 2,300 years ago during the Pyu period.

    “As it is a remote place, only monks went there to meditate in the past. In 2008, at the instruction of my senior monks, I started to live in a hermitage here, and conserve the ancient religious buildings and cultural heritage of the city,” said Pinna Siri, a monk at the on-site Kyet Pyin Monastery.

    With the help of people from nearby villages, Pinna Siri cleared the area of brush and in 2009 he invited historian Phone Tint Kyaw to observe the city’s ruins.

    Phone Tint Kyaw came with a team, and after studying alphabets, laterite structures and Buddha images there, he concluded that they might be the works of the Pyu, one of Burma’s most ancient civilizations.

    It was the presence of Brahmi-based script that tipped him off; Phone Tint Kyaw explained that the writing system found at the site is the same as those documented in three other Pyu cities, as well as in Pegu and Danyawaddy in Arakan State. The alphabet was used from the sixth century until the third century B.C.

    “The Brahmi script disappeared as the empire of King Ashoka collapsed after he died,” said Phone Tint Kyaw, referring to the Indian emperor who passed away in 232 B.C.

    His conclusion is further supported by carvings found at a stupa identical in style to those found at a religious site in Shwe Taung town in Pegu Division.

    In addition, bricks in the steps were laid vertically in the city, in the architectural fashion of Pyu period.

    “I assume that that city came to ruins before the fourth Pagan period, before King Anawrahta succeeded to the throne,” said Phone Tint Kyaw. “We’ve found nothing about that city in the historical records of fourth Pagan period and the Mon period. If that city still existed that time, it would have been mentioned in the historical records of Pagan.”

    Lost City by the Sea

    There were 22 Pyu city-states which existed between the sixth and third centuries B.C. One is described as “Pinle Pyu,” which translates to “Sea Pyu.” Its location was previously unknown, but Phone Tint Kyaw speculates that the ancient city in Ingapu Township might be Sea Pyu.

    “In Pyu historical records, there was a city called Pinle Pyu. It was called that because it is located near the sea. I think the old Ingapu city is Pinle Pyu because it is the only city that is the size of a royal city and is located near the sea,” he explained.

    According to the administrative structure of Pyu period, only the monarchs could build large cities; feudal lords were only allowed to build cities half or one-third of the size of a royal city.

    The city in Ingapu Township was built on a mountain ridge over 100 feet high, to a backdrop of the Arakanese mountain range. The town was designed around pagodas, stupas and water sources. Stone walls were constructed on the left and right sides of city, while vast plains and smaller villages lay to the east.

    “They built the city systematically. There were sentry boxes on the ridges on the left and right sides of the city and the entrance was built in the middle. So, there was only one entrance for merchants, envoys or enemies to get into the town,” said Phone Tint Kyaw.

    As it covers an area of eight square miles, the city in Ingapu is one of the biggest Pyu settlements after Sri Ksetra in Pegu Division.

    ‘Government Intervention is Needed’

    Previously, the oldest ruins found in Irrawaddy Division could be dated back to the Ava period, which began in the 1300s. The discovery of a Pyu city which predates the Ava period would have implications for the history not only of the Irrawaddy Delta but also of Burma.

    Phone Tint Kyaw has called for systematic excavation of the Ingapu site and Pinna Siri, the Kyet Pyin Monastery monk, has called on the government to protect the area. He said that that some people who do not know the historical value of the ancient city have used the laterite blocks to pave roads and have removed ancient buildings to make way for cultivation.

    “It is important that the government immediately takes care of the old city as an ancient cultural heritage zone,” said Pinna Siri. “Even now, a company is reclaiming the land at what was the site of an elephant stockade in the ancient city and it has been destroyed.”

    “I am doing as much as I can, but government intervention is needed right now,” he added.

    At present, there is only one city designated for conservation by the Ministry of Culture as in Irrawaddy Division—Myaungmya.

    The Naypyidaw Department of Archaeology, National Museums and Libraries studied the Ingapu site in 2013, but have not yet taken measures to designate the ancient city as a cultural heritage site.

    “Personnel from the Naypyidaw headquarters inspected the old Ingapu city. So far, we have not yet received any instructions for the ancient city,” said Thida Win, assistant director of Irrawaddy Division’s Department of Archaeology, National Museums and Libraries.

    In the meantime, Pinna Siri is collecting artifacts discovered by locals at the site.

    “Locals find earrings, pipes and broken pots while farming. I have asked them to donate those things to me. So far, I have kept around 20 bricks and old pipes,” he said.

    Though there are over 350 ancient cities documented in Burma, the Department of Archaeology, National Museums and Libraries has only excavated materials from around ten of them. Only through the systematic excavation of these old cities will a standardized history of Burma be able to be compiled, said Phone Tint Kyaw.

    “It is important for a country to have standardized history. Even our neighbor, Thailand, has compiled a standardized history. To write [this kind of] history, we need to systematically excavate and study the old cities. I believe the old Ingapu city would have played a part in the history of our country,” he said.

  23. মাসুদ করিম - ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৯:০০ অপরাহ্ণ)

    Israel, Germany to Collaborate on Learning Secrets of the Dead Sea Scrolls

    New technologies and alliances will be developed to match up thousands of 2,000-year old parchment fragments.

    The biggest problem with the Dead Sea Scrolls, their fragility aside, is that this approximately 2,000-year old set of manuscripts is in pieces. While some parts of it exist in almost-whole legible rolls, much is in thousands of fragments. Now Israeli and German authorities have announced a collaboration to use cutting-edge technology that can match fragments up, identifying connections between the fragments and hopefully creating legible texts.

    The Dead Sea Scrolls were originally discovered in 1946, two years before Israel’s establishment, by three Bedouin. They happened upon the first part of a cache of parchment pieces, stored for over 2,000 years in clay jars in a cave in the hills overlooking the western shore of the Dead Sea, adjacent to the site known as Qumran, north of Ein Gedi. The area is dry as a bone, which helped preserve the ancient parchments.

    However, the scrolls, and their fragments, were soon sold and scattered around the world. Most of the pieces have been re-gathered and are kept in the Israel Museum in Jerusalem.

    Altogether over 980 texts were found in 11 Qumran caves. The texts are believed to have been written over a period of some 400 years, starting in the 3rd century BCE.

    The big question is what they say. Much has been deciphered, but significant amounts remain and now the hope is that 70 years after the initial discovery, using new technologies to be developed together, the collaboration between Göttingen Academy of Sciences and Humanities of Germany with the Israel Antiquities Authority, Haifa University and Tel Aviv University will join the thousands of “puzzle pieces”.

    The project has received 1.6 million euros in funding from the Deutsch-Israelische-Projektförderung.

    The participants intend to develop new tools to study the parchments, and to enrich their finds with the help of linking resources, including the databases of the Qumran-Lexicon-project of the Göttingen Academy of Sciences and Humanities, and the Leon Levy Dead Sea Scrolls Digital Library of the IAA.

    “The main outcomes of the project will be an enhanced hands-on virtual workspace that will allow scholars around the world to work together simultaneously, as well as a new platform for collaborative production and publication of Dead Sea Scrolls editions,” stated the IAA.

  24. মাসুদ করিম - ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৩:৫০ অপরাহ্ণ)

    প্রত্নতত্ত্ব গবেষক আ ক ম যাকারিয়া আর নেই

    বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার অন্যতম পুরোধা, পুঁথিবিশারদ আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া আর নেই।

    বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত বুধবার দুপুরে ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এই সাবেক সচিব। তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।

    তার ছেলে মারুফ শমসের যাকারিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ফুসফুস ও কিডনির জটিলতাসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গত ২৬ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তার বাবা। তিনি ডা. মামুনুর রশিদ ও ডা. কামরুল আলমের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

    “গত কয়েকদিন ধরেই তার অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। মঙ্গলবার তাকে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। আজ দুপুর ১২টার কিছু আগে ডাক্তাররা লাইফ সাপোর্ট খুলে নেন।”

    বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাবেক সভাপতি যাকারিয়া প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে গবেষণার জন্য ২০১৫ সালে একুশে পদক পান। তার আগে ২০০৬ সালে পান বাংলা একাডেমি পুরস্কার।

    অসুস্থতার কারণে জীবনের শেষ তিনটি বছর তার কলাবাগানের লেক সার্কাসের বাসা ও হাসপাতালেই কেটেছে।

    ১৯১৮ সালের অক্টোবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম নেওয়া যাকারিয়া কর্মজীবনের শুরু করেছিলেন বগুড়া আজিজুল হক কলেজে শিক্ষকতার মাধ্যমে।

    ১৯৪৭ সালে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন এবং জেলা পর্যায়ে চাকরিতে থাকা অবস্থায় প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা খনন ও তথ্য সংগ্রহে উদ্যোগী হন। তার উদ্যোগেই দিনাজপুরে সীতাকোট বিহারের খনন হয়। গুপিচন্দ্রের সন্যাস, গাজীকালু চম্পাবতীসহ বেশ কিছু পুঁথির সম্পাদনাও হয়েছে তার হাত দিয়ে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ডিগ্রি নেওয়া যাকারিয়া গবেষণা করেছেন মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য ও নবাবি আমলের ইতিহাস নিয়েও। ‘বাংলাদেশের প্রত্নসম্পদ’সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বই লিখেছেন তিনি।

    মারুফ শমসের যাকারিয়া জানান, বুধবার বিকালে লেক সার্কাস তেঁতুলতলা মাঠে তার বাবার জানাজার পর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামের বাড়িতে।

    বৃহস্পতিবার জোহরের পর ধরিকান্দি উপজেলায় গ্রামের বাড়িতে আবার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

  25. মাসুদ করিম - ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৬:৩১ অপরাহ্ণ)

    How ‘black money’ saved the Indian economy

    There is no question that India has the most positive economic story on the planet.

    Buoyed by increased manufacturing output, India’s economy grew by 7.4% in the third quarter of 2015, the fastest growth of any major country in the world.

    But there is a dark side to India’s success, says one of the country’s most eminent economists.

    Kaushik Basu, the chief economist of the World Bank and former chief economic adviser to the Indian government, says the nation’s tradition of petty corruption helped India avoid the worst of the banking crisis that has crippled most other large economies in the last few years.

    It is an extraordinary claim for such an influential figure to make but, as he says in his new book, An Economist in the Real World, “economics is not a moral subject”.

    His argument is that the pervasive use of “black money” – illegal cash, hidden from the tax authorities – created a bulwark against a crisis in the banking sector.

    Let me explain.

    Back in the last years of the noughties India’s economy was looking just as frothy as the rest of the world.

    It had been growing at an astounding 9% a year for the three years to 2008.

    What’s more, India’s growth had been fuelled, at least in part, by a dramatic housing boom.

    Between 2002 and 2006 average property prices increased by 16% a year, way ahead of average incomes, and faster even than in the US.

    The difference in India is that all this “irrational exuberance” did not end in disaster.
    Dirty money

    There was no subprime loans crisis to precipitate a wider crisis throughout the banking sector.

    So the big question is why not.

    There were some shrewd precautionary moves by India’s central bank, concedes Mr Basu, but he says one important answer is all that dirty money.

    In most of the world the price you pay for a property is pretty much the price listed in the window of the local realtor or estate agent.

    Not in India.

    Here a significant part of almost all house purchases are made in cash.

    And because the highest denomination note in India is 1,000 rupees, ($15; £10) it isn’t unusual for a buyer to turn up with – literally – a suitcase full of used notes.

    This is how it works.

    Let’s say you like the look of a house that is for sale. You judge it is worth – for argument’s sake – 100 rupees.

    The chances are the seller will tell you he will only take, say, 50 rupees as a formal payment and demand the rest in cash.

    That cash payment is what Indians refer to as “black money”.

    It means the seller can avoid a hefty capital gains tax bill. Buyers benefit too because the lower the declared value of the property, the lower the property tax they will be obliged to pay.

    What it also means is that Indians tend to have much smaller mortgages compared to the real value of their properties than elsewhere in the world.

    At the peak of the property boom in the US and the UK it was common for lenders to offer mortgages worth 100% of the value of the property.

    Some would even offer 110% mortgages, allowing buyers to roll in the cost of finance and furnishing their new home.

    That’s why when the crash came, the balance sheets of the big banks collapsed along with property prices.

    In India, by contrast, mortgage loans can only be raised on the formal house price. So, says Mr Basu, a house worth 100 rupees would typically be bought with a mortgage of 50 rupees or less.

    So when prices fell in India – and they did fall in 2008 and 2009 – most bank loans were still comfortably within the value of the property.

    That’s why India managed to avoid the subprime crisis that did so much damage elsewhere.
    Legalising bribery

    India did experience a slowdown, but it was collateral damage from the global recession rather than the result of any national problem. Indeed, within a year India had begun to pull out of the crisis, returning to growth of almost 8% a year between 2009 and 2011.

    That is not to say that Mr Basu approves of petty corruption.

    He compares it to the effect of an unpleasant disease: it may have some positive side effects – encouraging your hair to grow, for example – but you would still prefer not to have the illness.

    Indeed, Mr Basu is famous for having devised a particularly clever and characteristically radical way of rooting out corruption – legalising bribery.

    A few years ago, he proposed that instead of both bribe-givers and bribe-takers being held criminally responsible for their actions, only the bribe-taker should face sanctions.

    It is a simple change, but radically alters the relationship between the two parties.

    It means people who give bribes no longer have a shared interest in keeping their nefarious activity secret.

    Freed from the risk of prosecution, bribe-givers would have a powerful incentive to reveal corruption.

    Unfortunately, says Mr Basu, his innovation has still not found its way into mainstream Indian law.

  26. মাসুদ করিম - ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৬:৪১ অপরাহ্ণ)

    A trans story of Gezi Park protests: #resistayol

    If Turkey’s Gezi Park protests in 2013 was “a political orgy”, the film #resistayol* tells the story of cigarettes smoked after it from a trans perspective.

    How did it all start?

    Our first plan was to make a happy trans portrait of 10-15 min. We wanted to get a human portrait based on everyday life apart from hate crimes, laws, court cases. We did not want to have a familiar trans story with a murder at the closing scene or an activist-fighter trans portrait. But then when the Gezi happened, we were like “what are we doing, ayol? Something else is happening here” and our film turned into something else. As the [LGBT] movement was going through something else, we wanted to document people’s feelings and set our frame as LGBT Blok.

    We dedicated our film to Ali, Boysan and Zelis [activists who lost their lives while the movie was still in its making]. Boysan says the last words of the film. We hear Zelis’ voice. There are scenes where Eylem, Ali, Sevval and I sit around a table. I’m very sure that this is the only film in Turkish cinema where four trannies sit around a table and chit chat. The only scene where they don’t talk about being killed or coming out to their families! (laughs)

    The film documents what happened after the Gezi park protests…

    We had made our plan long ago and bought our tickets accordingly. We intended to shoot while we came for the [Istanbul] Pride Week. When we arrived, the park was emptied and we documented people’s feelings after the Gezi. As Ali says in the film, we also smoked their “cigarettes after sex”.

    #resitayol is also a woman film. This is my first experience as a director for a feature-length. I did not guide our director of photography. And she focused with a female gaze more on women and trans people. Therefore, naturally the film is visually dominant with women and trans people. I say this but actually for me this is not something necessary to point out.

    Do you think we can call #resistayol an LGBT film or trans film?

    There is only one person who comes out in the film. The film has a certain focus, it deals with the LGBT movement but it has another issue. For example, I got a little frustrated when I learned that the film would be displayed !f’s rainbow section. OK, one third of the film shows rainbow but enough with calling it “so colorful” or “colorful version of resistance”. There are so many issues addressed in the film. However, people don’t make another sentence after calling it “colorful”.

    The opposition movement does not have a strong memory in Turkey. But that is especially the case for the LGBT movement. There are many young queer people who do not know about Ulker Street.

    For me, the film can be named as a trans film as it is made from the trans gaze. Neither Tangerine nor the Danish Girl is such a film. They tell trans people from the gaze of cis, straight, white men. Majority of our crew is trans. That our film was made by people within the movement is its characteristic.

    We need to get rid off cliche stories from the cis gaze. Same stories are presented again and again. I don’t bother about attracting the mainstream audience. What matters to us is having a place in the hearts of queer people. It is a self-celebrating film without a sad story line. I don’t claim to show a queer reality but I am happy as long as people spend a happy hour with this film.

    *Ayol is an exclamatory word associated with femininity and taboos and can mean “well”, “hey”, “wow”. The word itself has been in use in colloquial Turkish and underground LGBTI culture, however, its full and current appropriation by LGBTI organizations is a recent phenomenon that started with the Gezi Resistance in May 2013. One of the first uses was in a banner “What’s forbidden, ayol!” during protests on Istiklal Avenue in Taksim, Istanbul. “Ayol” has been appearing as graffiti across Turkey since then. “Resist ayol” was used as a twitter hashtag for 2013 Pride Week. Its importance is rooted in the fact that though “ayol” was used by LGBTI organizations, it has been accepted and appropriated across groups in the Resistance. One explanation for its popularity can be found in the feeling that the word transcends and frees traditional gender roles and power relations; it imparts a sense of freedom… [LGBTI News Turkey]

  27. মাসুদ করিম - ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (১:০৭ পূর্বাহ্ণ)

    First life may have been forged in icy seas on a freezing Earth

    Did life begin in the freezer? Early Earth may not have been as hot and hellish as we thought. In fact, it may have become a snowball around the time life first emerged.

    This is according to a fresh analysis of rocks from South Africa that formed about 3.5 billion years ago, during the Archaean period. Previous research suggested that the ocean in which these rocks formed was warm – perhaps around 85°C.

    But Maarten de Wit at the Nelson Mandela Metropolitan University in Port Elizabeth, South Africa, now says the ocean temperature was similar to today’s – and that there is even evidence that ice was present.

    Because South Africa’s Barberton Greenstone Belt, where these rocks are now found, formed at a latitude of 20° to 40°, this implies that Earth may have become engulfed in ice at least once during the Archaean, he says.

    Rocky balance

    The temperature of oceans in which ancient rocks formed is reconstructed by measuring the balance of oxygen isotopes inside the rocks.

    Some of these reconstructions have found that temperatures were high when the belt formed. But de Wit says that’s because the isotopes they looked at had been subject to extensive hydrothermal activity – as there are remains of ancient hydrothermal vents in the rocks. This means the isotope evidence doesn’t tell us about the temperature of the ocean water, he says.

    So de Wit and Harald Furnes at the University of Bergen, Norway, looked at rocks formed out of ocean sediments that hadn’t been exposed to hydrothermal activity. They found evidence that a mineral called gypsum was able to grow. “Such minerals only grow today in deep-sea environments where there is cold water,” says de Wit.

    The pair also looked at slightly younger rocks in the belt that formed in shallow oceans or even above sea level. In these rocks, de Wit and Furnes found finely banded siltstones with occasional pebbles embedded within them.

    These rocks are similar to “varve” sequences that form in the still waters below an ice-covered ocean, they say – with the larger pebbles resembling dropstones that fell from the bottom of icebergs.

    Glacial doubters

    But not everyone is convinced by the new evidence.

    Paul Knauth at Arizona State University in Tempe, who has argued in favour of warm ancient oceans, says experiments show that gypsum can actually grow well in water that is at 80°C.

    De Wit counters that gypsum will only grow at such warm temperatures in very shallow oceanic environments where water is evaporating. “The difference is that we can show these gypsum crystals grew in deep ocean water, 2 to 4 kilometres deep,” he says.

    Don Lowe at Stanford University in California, meanwhile, says his team’s extensive studies in the area have found no evidence of glaciation but he doesn’t entirely dismiss the idea that ice may have been present.

    “We will definitely revisit and re-examine the outcrops yet again in order to evaluate the hypotheses presented in this paper,” he says.

    De Wit and Furnes’s ideas aren’t completely out of step with geological thinking. Ruth Blake at Yale University says her oxygen isotope research also suggests water temperatures in the area were relatively cool in the Archaean, and similar to those of modern tropical oceans.

    Life’s cold birth?

    If there was glaciation at this time, it may have implications for the origin of life. This is because some research suggests life might actually have emerged in frozen water.

    “Key organic compounds thought to be important in the origin of life are more stable at lower temperatures,” says Jeffrey Bada at the University of California at San Diego. He adds that organic molecules considered key to the origin of life – that might have been present in tiny quantities in the early ocean water – could become more concentrated in ice.

    James Attwater and Philipp Holliger at the MRC Laboratory of Molecular Biology in Cambridge, UK, have also explored the possibility that ice was important early in the history of life.

    One idea for the origins of life suggests that the very first replicators from which life evolved were RNA molecules, in what is called an RNA world.

    “Studies from our laboratory and others have shown how frozen conditions could benefit the emergence of an RNA world,” says Holliger. Ice enhances the synthesis of some important molecules, and it slows the breakdown of fragile molecules once they do form.

    Alternatively, life could have still formed in hot conditions, around hydrothermal vents within those cold waters. There’s no obvious way to work out which of the competing ideas is correct.

    But the new research does, at least, suggest that some of the world’s most ancient rocks still have secrets to reveal. “The Barberton Mountains are a beautiful but tough terrain and it does not easily reveal its treasured memories of the deep past,” says de Wit. “You have to really drag it out of them.”

  28. মাসুদ করিম - ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৭:০৫ অপরাহ্ণ)

    Syrian ceasefire begins but US expecting violations

    Complex ceasefire deal agreed by Russia and US, which excludes large areas of country, began at midnight local time

    A fragile, temporary and partial cessation of hostilities has come into force in Syria after 97 fighting groups, as well as the Syrian government and Russian air force, signed up to a ceasefire.

    A monitoring group said early on Saturday that fighting appeared to have stopped across most of western Syria, although the country’s state news agency said a car bomb had exploded on the edge of a government-held central town of Salamiyeh, killing two and wounding several others. No one claimed responsibility.

    A senior Russian official said it had grounded its warplanes in Syria and established hotlines to exchange information with the US military in order to help monitor the ceasefire.

    A Syrian rebel group called First Coastal Division in the country’s northwest said it came under attack from government ground forces at 4am local time (0200 GMT), leaving three fighters dead in what it called a breach of the truce.

    Three fighters from the rebel First Coastal Division were killed while repelling the attack in the Jabal Turkman area near the Turkish border in Latakia province, Fadi Ahmad, the group’s spokesman, told Reuters.

    The United Nations security council on Friday unanimously demanded that all parties to the civil war in Syria complied with the terms of the US-Russian deal which took effect at midnight as Friday turned to Saturday local time.

    UN Syria mediator Staffan de Mistura, briefing the security council by satellite from Geneva, warned that there would be breaches of the ceasefire and all sides had to be prepared to deal with them in a sober way, and work to identify the cause of the breaches.

    He said that Saturday would be critical, adding he had “no doubt there will be no shortage of attempts to undermine this process”.

    “This will remain a complicated, painstaking process,” he told the council. But he added that “nothing is impossible, especially at this moment.” He said that any military response to the cessation of hostilities would be a “last resort” and “proportionate”.

    He also confirmed he will seek to convene peace talks lasting three weeks on 7 March in Geneva.

    Lt Gen Sergei Rudskoi of the general staff of Russia’s military said that while Russia will continue air strikes against the Islamic State group and the Syrian franchise of al-Qaida, al-Nusra, it was keeping its aircraft on the ground for now “to avoid any possible mistakes”

    The US ambassador to the UN, Samantha Power, earlier attacked the Russians for continuing to ramp up military attacks hours before the ceasefire.

    She warned: “Let us be real. It is going to be extremely challenging to make this work, especially at the outset.”

    But, in a passionate address, she added: “If this collapses we lose the most tangible opportunity to relieve the suffering.” She added that everyone at the top of the UN had become broken records, demanding the violence end. “Even a partial de-escalation would make a real difference in the lives of Syrians,” she added.

    Fighting had continued in western Syria right up to when the agreement went into effect, the British-based Syrian Observatory for Human Rights said.

    Shortly after midnight on Friday, there was calm in many parts of the country, it said. “In Damascus and its countryside … for the first time in years, calm prevails,” Observatory director Rami Abdulrahman said. “In Latakia, calm, and at the Hmeimim air base there is no plane activity,” he said in reference to the Latakia base where Russia’s warplanes operate from.

    Large areas of Syria will be excluded from the ceasefire, according to the maps being issued by both US and Russian sources on Thursday and Friday, due to the Russian insistence that the Syrian government and Russian air force be able to continue attacks not only against Islamic State but also the Syrian franchise of al-Qaida, al-Nusra Front.

    European diplomats acknowledged that al-Nusra was intermingled with more moderate rebel forces, especially in northern Syria, making it hard to delineate the zones that will be excluded from Russian and Syrian assault.

    But the cessation is probably the most concerted diplomatic multinational effort to reduce the bloodshed since the war began five years ago and is designed to open the way for the start of UN-sponsored peace talks, on 7 March in Geneva. The UN is also gearing up for a major humanitarian relief effort.

    Members of the International Syria Support Group met on Friday in Geneva to discuss the monitoring of the complex ceasefire arrangement agreed by the US and Moscow at the beginning of the week.

    The cessation of hostilities came into force at midnight local time (10pm GMT), and has the support of the Syrian government led by President Bashar al-Assad, the Kurdish forces in northern Syria, Turkey and the opposition high negotiations committee – the umbrella body that brings together the rebel factions.

    The Russian president, Vladimir Putin, has invested personal capital in the process, which has not been the case with previous peace drives.

    Syria partial truce agreement

    The UN security council also passed the joint Russian-American resolution urging all sides to honour the ceasefire and allow humanitarian convoys free and unfettered access.

    A White House spokesman, Josh Earnest, said the US did not expect to be able to judge the success or failure of the effort within the first days or even weeks.

    “We do anticipate we’re going to encounter some speed bumps along the way,” Earnest said. “There will be violations.”

    A spokesman for Ban Ki-moon, the UN secretary general, also acknowledged there had been an increase in violence in the hours ahead of the ceasefire, but claimed this was normal ahead of any ceasefire deadline. Asked how the ceasefire would be monitored, the spokesman said: “The only thing that is required is for people to take their finger off the trigger. That is what is being asked.”

    Russia carried out intense raids on rebel bastions across Syria on Friday just hours before the truce was due to take effect, according to the Syrian Observatory for Human Rights. The head of al-Nusra Front, Mohammad al-Jolani, urged opponents of Assad to reject a ceasefire.

    He said: “Beware of this trick from the west and America because everyone is pushing you to go back under the thumb of the oppressive regime.

    “Fighters in Syria, willingly arm yourselves, intensify your attacks and have no fear of their troops and their aircraft,” Jolani added.

    Describing the truce as “shameful”, Jolani said: “Negotiations are the ones conducted on the battlefield.” But it was also reported that al-Nusra Front had withdrawn from six towns in Idlib.

    Military analysts said the only ceasefire zones that would be implemented were in northern Hama, Dara’a, al-Ghaab plains, northern Homs and eastern Qalamoun. Government forces are expected to continue their wide-scale offensives in the Aleppo and Latakia governorates.

    Syria’s army said this week it would exclude Darayya, an important rebel town near Damascus, from the cessation of hostilities because forces there included al-Nusra fighters.

    Turkey has reservations about the viability of the ceasefire plan for Syria due to continued fighting on the ground. President Recep Tayyip Erdoğan’s spokesman, Ibrahim Kalin, also signalled that recent tensions between Turkey and the US may be easing as Washington has become more “careful” in its support for Syrian Kurdish YPG fighters.

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.