সুপারিশকৃত লিন্ক: ডিসেম্বর ২০১৫

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

২৩ comments

  1. মাসুদ করিম - ২ ডিসেম্বর ২০১৫ (৪:২৪ অপরাহ্ণ)

    লিবার্টির মূর্তি আসলে আরব রমনী!

    স্ট‍্যাচু অফ লিবার্টি আসলে মিশরের জন‍্য তৈরি করার কথা ভেবেছিলেন ভাস্কর বারথোল্ডি। কিন্তু ঘটনাচক্রে সেই মুর্তি তৈরির প্রকল্প বাস্তবায়িত হল আমেরিকায়। তাই মুর্তির শরীরের আদল আসলে মিশরের নারী বা ফেল্লাহ্‌–র আদলেই তৈরি করা। রোমান দেবী লিবার্টাসের আদল নেওয়ার চিন্তা এসেছে পরে। আমেরিকার ন‍্যাশানাল পার্ক সার্ভিসের একটি গবেষণায় উঠে এল এমনই এক তথ‍্য। এই দাবির পিছনে রয়েছে যথেষ্ট যুক্তিও। ১৮৫৫–৫৬ সালে আমেরিকার ভাস্কর বারথোল্ডি মিশরে যান। সেখানকার শিল্পকর্ম দেখে বড় মুর্তি তৈরির ইচ্ছা হয় তাঁর। বড় মানে, অনেকটাই বড়, যাকে বলা যায় ‘লার্জ স্কেল পাবলিক মনুমেন্ট’। সেই ভাবনা থেকেই তিনি মিশরের প্রশাসকদের এক অভিনব প্রস্তাব দেন। বলেন, এমন এক মুর্তি তৈরি করতে চান, যা মিশরের গৌরব প্রকাশ করবে। হাতে থাকবে মশাল, স্থাপন করা হবে সুয়েজ খালের মুখে, যেখান দিয়ে বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করে এশিয়া। ঠিক স্ট‍্যাচু অফ লিবার্টির মত। মশালের অর্থ হবে, এশিয়ায় আলো এনেছে মিশর। কিন্তু সেই প্রস্তাব শুধু মাত্র অর্থের অভাবেই খারিজ হয়ে যায়। তারপরেই সেই মুর্তিই নাকি তৈরি করা হয় আমেরিকায়।

  2. মাসুদ করিম - ৩ ডিসেম্বর ২০১৫ (১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ)

    দক্ষিণে মহাপ্রলয়

    গত ১০০ বছরে এমন দুর্যোগ দেখেনি তামিলনাড়ু। এক সপ্তাহের ভেতর মঙ্গলবার রাত থেকে চেন্নাই–সহ সারা তামিলনাড়ু ও সংলগ্ন পুদুচ্চেরিতে প্রবল বৃষ্টিতে ব্যাপক বন্যায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তামিলনাড়ু সংলগ্ন অন্ধ্রপ্রদেশেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা আরও ভারী বৃষ্টির হুঁশিয়ারি দেওয়ায় দিল্লি ও ভুবনেশ্বর থেকে কেন্দ্র বিমানবাহিনীর দুটি কপ্টারে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এন ডি আর এফ) পাঠিয়ে দিয়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে নেমেছে সেনা, নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী ও বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল, চিকিৎসক দল। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকায় চেন্নাইয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের উড়ান–অবতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর থেকে বন্ধই রয়েছে চেন্নাইয়ের বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের একাংশে জল ঢুকে গেছে বলেও খবর। ট্রেন চলাচল একেবারেই বিপর্যস্ত। সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চেন্নাইগামী অসংখ্য ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। চেন্নাই থেকেও কোনও ট্রেন রওনা হচ্ছে না। আজ হাওড়া থেকে ১২৮৩৯ নম্বর হাওড়া–চেন্নাই মেল রওনা হওয়ার কথা থাকলেও, বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারেরও ১২৮৪১ নম্বর হাওড়া–চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস বাতিল হয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইট করে মোদি জানিয়েছেন, এই মহাবিপর্যয়ে তামিলনাড়ুকে সব রকম সাহায্য দেবে কেন্দ্র, জয়ললিতাকে তিনি এই আশ্বাস দিয়েছেন। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চেন্নাইয়ে বর্ষণ চলছিলই, নতুন করে প্রবল বৃষ্টি শুরু হওয়ায় গাছ পড়ে, বাড়ি ধসে, বন্যার তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু–সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৮, সরকাারি ভাবে এই হিসেব দেওয়া হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে ফুঁসে উঠেছে আদিয়ার নদী। সেদাইপেটে এই নদীর জল সেতুর ওপর উঠে গেছে। ভেসে গেছে সে–সব অঞ্চলের গ্রামগুলি। চেন্নাইয়ে নন্দীভরম হ্রদের জলে প্লাবিত হয়েছে মহালক্ষ্মীনগরের আবাসনগুলি। বহুতলের ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন মানুষজন। দিল্লিতে আজ প্রধানমন্ত্রী মোদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, সংসদীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে তামিলনাড়ুর বন্যা–পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তামিলনাড়ুর জন্য কী কী ব্যবস্থা এখনই করা দরকার, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বেঙ্কাইয়া জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগ যে–হুঁশিয়ারি দিয়েছে তাতে তামিলনাড়ু ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশায় জোর বৃষ্টির আশঙ্কা আছে। সে–বিষয়েও আজ আলোচনা হয়েছে। চেন্নাইয়ে মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতাও দফায় দফায় বৈঠক করছেন মন্ত্রী ও প্রশাসনিক অফিসারদের সঙ্গে। খোঁজখবর নিচ্ছেন, ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন। চেন্নাই শহরেও বিভিন্ন অঞ্চলে ত্রাণ শিবির গড়া হয়েছে। চেন্নাইয়ে দূরপাল্লার ও স্থানীয় বাস ডিপোগুলিতে জল ঢুকে গেছে, ট্যাক্সি স্ট্যান্ডগুলিতেও জল। যানবাহন একেবারে বন্ধ। চেন্নাইয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগামী কাল সকাল ৬টা পর্যন্ত বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হলেও, তার পরও যে উড়ান–অবতরণ শুরু হবে, এমন আশা দেখা যাচ্ছে না। চেন্নাইয়ের থাম্ববরামে বিমানবাহিনীর বিমান ঘাঁটিতেও জল। আরাক্কনামে নৌবাহিনীর বিমান ঘাঁটিটিও জলপ্লাবিত। চেন্নাইয়ের বেশ কিছু উড়ান–অবতরণ বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চেন্নাই শহরের বহু এলাকা বিদু‍্যৎহীন। এমনই মহাবিপর্যয় ১৩৭ বছরে এই প্রথম ছাপাখানায় জল ঢুকে যাওয়ায় দক্ষিণের বিশিষ্ট দৈনিকপত্র ‘হিন্দু’র চেন্নাই সংস্করণ আজ প্রকাশ করা যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার ত্রাণ তহবিলে আজ ১০ লক্ষ টাকা দান করেছেন তামিল ছবির নায়ক তথা রাজনীতিক রজনীকান্ত।

  3. মাসুদ করিম - ৩ ডিসেম্বর ২০১৫ (১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ)

    ‘অপারেশন জ্যাকপট’র নৌ কমান্ডোদের সম্মাননা

    মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্ণফুলি চ্যানেলে পাকিস্তানি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসে অংশ নেওয়া ‘অপারেশন জ্যাকপট’র নৌ কমান্ডোদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

    ওই অভিযান সফল করতে ভূমিকা রাখা ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং কমান্ডোদের আশ্রয় দেওয়া চারটি বাড়ির মালিককে বুধবার বন্দরনগরীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মিললেও তাদের জন্য এ ধরনের নাগরিক আয়োজন এটাই প্রথম।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযু্দ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, “মাত্র তিনমাসের ট্রেনিংয়ে একদিনে শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে এতো বড় সাফল্য পাওয়া বিশ্বে একটি বিরল ঘটনা। সাহসী জাতি গঠনে মুক্তিযুদ্ধে এমন দুঃসাহসী অভিযানের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।”

    নৌ কমান্ডোদের সংগঠন ‘নেভাল কমান্ডো অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’ এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

    অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা অপারেশন জ্যাকপটের অধিনায়ক অবসরপ্রাপ্ত কমোডর আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরী বলেন, “অভূতপূর্ব সাহসিকতা ও মনোবল সম্বল করে এ অভিযানকে সফল করেছিল নৌ কমান্ডোরা। এ সফল অভিযান মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতা ও সক্ষমতা সম্পর্কে বিশ্ববাসীর মনোভাব পরিবর্তন করে দিয়েছিল।

    “অভিযানে অংশ নেওয়া পুরো টিম অক্ষত থেকে কর্ণফুলি চ্যানেলে ১১টি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসের পর এ চ্যানেলে আর কোনো জাহাজ প্রবেশ করেনি সে সময়।”

    ‘অপারেশন জ্যাকপট’-এ অংশ নেওয়া নৌ কমান্ডো এ এইচ এম জিলানী আক্ষেপ করে বলেন, “পৃথিবীর কয়েকটি দেশ আমাদের এই বীরত্বপূর্ণ অভিযান তাদের নিজস্ব বাহিনীর প্রশিক্ষণে পাঠ্যসূচি হিসেবে রাখলেও আমাদের দেশে জনসাধারণের কাছে পৌঁছানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

    “ভারতের নৌ বাহিনীর এডমিরাল মীর কে রয়ের ‘ওয়ার ইন ইনডিয়ান ওসান’ বইতে এ অপারেশন নিয়ে আলাদা অধ্যায় আছে। এমনকি আমেরিকাও তার বাহিনীকে সফল নৌ অপারেশন হিসেবে এ ঘটনার উদাহরণ দেয়।”

    ১৯৭১ সালে ফ্রান্সে পাকিস্তান নৌবাহিনীর সাবমেরিনার হিসেবে ‘মাংরো সাবমেরিন’-এ প্রশিক্ষণকালে নয়জন বাঙালি নৌ সেনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার কথা জেনে গোপনে লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে আশ্রয় নেন।

    এরপর মাদ্রিদ, জেনেভা, রোম ও বার্সেলোনায় ভারতীয় দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে দিল্লি পৌঁছায় নয়জনের এ দলটি।

    পরে ভারতের ঐতিহাসিক পলাশীর ভাগীরথির তীরে তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে ওই নয়জনসহ মোট ১৬০ জন নৌ কমান্ডো অপারেশন জ্যাকপটের জন্য প্রস্তুত হন।

    ১৯৭১ সালের ১০ অগাস্ট কমান্ডোরা দেশে প্রবেশ করেন। ১৫ অগাস্ট মধ্যরাতে অপারেশন পরিচালনার জন্য চূড়ান্ত সংকেত পান তারা।

    পরিকল্পনা অনুযায়ী কমান্ডোরা কর্ণফুলি চ্যানেলে পাকিস্তানি জাহাজগুলোর গায়ে তিনটি করে মাইন স্থাপন করে নয়টি জাহাজ সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেন। বাকি দুটি জাহাজ চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

    চট্টগ্রামের সাংসদ মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দিন খান বাদল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

  4. মাসুদ করিম - ৩ ডিসেম্বর ২০১৫ (৯:১৭ অপরাহ্ণ)

    A Chinese artist vacuumed up Beijing’s smog for 100 days and made a brick from what he collected

    While many Beijing residents are staying indoors to escape the cloud of heavy pollution hanging over the city, one man with a vacuum cleaner has been exposing himself to the toxic air four hours a day, for 100 days in a row.

    Nor, he isn’t hoping the Air Quality Index will improve thanks to his industrial-strength vacuum. Instead, he’s making a public point about the capital’s notoriously heavy smog, by turning the dust he collects into a brick.

    “Nut Brother,” a 34-year-old performance artist from Shenzhen, first announced his plan to vacuum the dust from Beijing’s air in late July. Every day since then, the pony-tailed guy in a work jacket—sometimes wearing a respirator mask—has walked Beijing’s streets with his vacuum, with the suction nozzle held high in the air collecting dust.

    On Nov. 30, the 100th day of his project, he mixed the dust he collected with clay and took it to a brick factory to make a semi-finished brick. The final brick will be finished in a few days, after it is dried and fired.

    “Air in Beijing is bad all over,” Nut Brother told Quartz. “There’s no special supply of air.” He came up with his plan in 2013, after living in the city for years, as Beijing’s “airpocalypse” sparked outrage in the China. Through his performance art, he wants people to think more about environmental protection and better understand the “relationship between human and nature,” he said.

    During his walks, he was often taken for a “cleaner,” or an “air monitoring person.” Nut Brother vacuumed air from Beijing’s hutongs (old lanes) to the Tiananmen Square to the Bird’s Nest national stadium to the headquarters of the Ministry of Environmental Protection. Every day on his Sina Weibo account (link in Chinese, registration required) he noted the date, the weather, and his vacuuming area, and added a photo he asked passers-by to take.

    While Nut Brother’s work is getting a lot of attention in China, many wonder if the brick is really made of smog. “What can be collected to make a brick is by no means PM 2.5 [fine particulate matter that hangs in the air], but PM 250,” one Weibo user wrote (link in Chinese, registration required) under a news post about the project. “Performance art shouldn’t be a gimmick.”

    Nut Brother told Quartz what he got at the end of the project was a mixture of “dust and smog” that weighed about 100 grams. Adding that to clay to make a brick that weighs “several kilograms” makes his brick not that different from ordinary ones, he admitted, but he said it is just meant to be a symbol. “I’m not doing any scientific research,” he said.

    The next step, Nut Brother said, is to give the brick to a construction site, and make it part of a new building in Beijing. He would like to let the brick disappear into the concrete jungle, he said, “just like putting a drop of water in the ocean.”

  5. মাসুদ করিম - ৪ ডিসেম্বর ২০১৫ (১২:৫৬ অপরাহ্ণ)

    বুকের ভেতর ঘৃণার আগুন

    ১৯৭১ সালের মে মাসের ৫ তারিখ বিকাল বেলা পিরোজপুরের বলেশ্বরী নদীর ঘাটে পাকিস্তানি মিলিটারিরা আমার বাবাকে গুলি করে হত্যা করেছিল। পুলিশ প্রশাসনের সবচেয়ে বড় কর্মকর্তা হিসেবে শুধু আমার বাবাকেই নয়, প্রশাসন এবং বিচার বিভাগের সবচেয়ে বড় কর্মকর্তা হিসেবে জনাব আবদুর রাজ্জাক এবং জনাব মীজানুর রহমানকেও একই সাথে গুলি করে তাদের সবার মৃতদেহ বলেশ্বরী নদীতে ফেলে দিয়েছিল। পিরোজপুরে নদীতে জোয়ার-ভাটা হয়। তাই এই তিনজন হতভাগ্য মানুষের মৃতদেহ দিনে দুইবার জোয়ারের পানিতে উত্তরে এবং ভাটার পানিতে দক্ষিণে নেমে আসছিল।

    তিন দিন পর আমার বাবার মৃতদেহ কাছাকাছি একটা গ্রামের নদীতীরে এসে আটকে গিয়েছিল। গ্রামের মানুষেরা আমার বাবাকে চিনত। তাদের মনে হল, “আহা, এই মৃতদেহটি মাটি চাইছে।” তাই তারা ধরাধরি করে আমার বাবার মৃতদেহটি তুলে নদীতীরে কবর দিয়েছিল। অন্য দুইজনের সেই সৌভাগ্য (!) হয়নি এবং তাদের মৃতদেহ শেষ পর্যন্ত নদীতে ভেসে হারিয়ে গিয়েছিল।

    ১৯৭১ সালে সেটি এমন কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঘাঁটি গেড়েছে এ রকম যে কোনো জায়গার আশেপাশে যে কোনো নদীর তীরে দাঁড়িয়ে থাকলেই দেখা যেত নদীতে অসংখ্য মানুষের মৃতদেহ ভেসে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান মিলিটারি এই দেশের মানুষকে নির্বিচারে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। মানুষ হয়ে মানুষকে এত অবলীলায় এবং এত নিষ্ঠুরতায় হত্যা করা যায় সেটি আমরা আগে কখনও কল্পনা পর্যন্ত করতে পারিনি। একজন মানুষ যখন ঘর থেকে বের হত, সে আবার ঘরে ফিরে আসবে কি না সেই বিষয় নিয়ে তার আপনজনেরা কখনও নিশ্চিত হতে পারত না।

    মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সবাই মানুষের উপর বিশ্বাস রাখতে বলেছেন। তাঁরা যদি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে থাকতেন তাহলে এত আত্মবিশ্বাস নিয়ে মানুষকে বিশ্বাস করার কথা বলতে পারতেন কি না আমি নিশ্চিত নই। ১৯৭১ সালে এই দেশে পাকিস্তানি মিলিটারিরা যে ভয়ংকর তাণ্ডব এবং হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল সেটি দেখে আমাদের প্রজন্ম পাকিস্তান নামক দেশটির মানুষ নামক প্রজাতির উপর বিশ্বাস চিরদিনের জন্যে হারিয়ে ফেলেছিল। অন্যদের কথা জানি না, এতদিন পরেও আমি এখনও একজন পাকিস্তানের মানুষকে দেখলে তার ভেতরে এক ধরনের দানবকে খুঁজে পাই।

    পবিত্র কোরান শরীফে লেখা আছে, মানুষ যখন বেহেশতে যাবে তখন তার বুকের ভেতর থেকে সকল প্রতিহিংসা সরিয়ে দেওয়া হবে। কথাটি অন্যভাবেও ব্যাখ্যা করা যায়, এই পৃথিবীতেই যদি একজন মানুষ তার বুকের ভেতর থেকে সব প্রতিহিংসা দূর করতে পারে তাহলে পৃথিবীটাই তার কাছে বেহেশত হয়ে যেতে পারে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি আমাদের দেশে যে ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড এবং নির্যাতন চালিয়েছে সেটি আমি নিজের চোখে দেখেছি এবং সে কারণে আমার বুকের ভেতর এই রাষ্ট্রটির জন্যে যে তীব্র ঘৃণা এবং প্রতিহিংসার জন্ম হয়েছে, আমি কোনোদিন তার থেকে মুক্তি পাব না। এই রক্তলোলুপ ভয়ংকর দানবদের কারণে পৃথিবীটা আমার জন্যে কখনও বেহেশত হতে পারবে না। সব সময়েই এই দেশ এবং এই দেশের দানবদের জন্যে আমার বুকে ঘৃণা এবং প্রতিহিংসার আগুন ধিকি ধিকি জ্বলতে থাকবে।

    অথচ পাকিস্তান নামক দেশটি রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত হাই কমিশনকে জানিয়েছে যে, ১৯৭১ সালে তারা আমাদের দেশে কোনো গণহত্যা করেনি, এই দেশের মানুষের উপর কোনো নির্যাতন করেনি। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ নামে দুইজন যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে তারা এই বিচিত্র ঘোষণাটি দিয়েছে। আমরা যতটুকু জানি, তারা এর চাইতেও অনেক বেশি জানে যে, ১৯৭১ সালে তারা এই দেশে একটা ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল।

    আমি বেশ কয়েক বছর আগে ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ নামে ছোট একটি পুস্তিকা লিখেছিলাম। এই পুস্তিকার তথ্য সূত্রগুলোর বেশিরভাগ দিয়েছিলাম পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের লেখা বই থেকে। তারা নিজেরাই সেখানে স্বীকার করেছে যে, এই দেশে তারা ভয়ংকর গণহত্যা করেছে। তারপরও যখন পাকিস্তান সরকার এখনও ‘জানে না’ যে, ১৯৭১ সালে এই দেশে ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যাটি হয়েছিল, তখন বুঝেই নিতে হবে, ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’। এই দেশের অনেক মানুষ পাকিস্তানের এই নির্জলা মিথ্যা কথা শুনে ভয়ংকর ক্রুদ্ধ হয়ে উঠেছে। আমি ক্রুদ্ধ হইনি এবং অবাকও হইনি।

    আমরা যারা আমাদের জীবনের একটা অংশ পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে কাটিয়েছি এবং নিজের চোখে ১৯৭১ দেখেছি, তারা খুব ভালো করে জানি, এটি হচ্ছে আদি ও অকৃত্রিম পাকিস্তানি কর্মকাণ্ড। যেখানে সত্যভাষণ করা হলে লাভ হয় সেখানেও এই রাষ্ট্রটি মিথ্যাচার করে। এই দেশের ইতিহাস হচ্ছে মিলিটারি জেনারেলদের ইতিহাস। এই দেশের সবচেয়ে সম্মানী মানুষ সেই দেশের নিউক্লিয়ার বিজ্ঞানী আবুল কাদির খান পৃথিবীর চোখে একজন আন্তর্জাতিক অপরাধী। এই দেশে মেয়েরা লেখাপড়া করতে চাইলে তাদের মাথায় গুলি করা হয়।

    এই দেশটির জন্যে যার বুকের ভেতরেই যতটুকু ভালোবাসা থাকুক না কেন, আমার বুকের ভেতর বিন্দুমাত্র ভালোবাসা কিংবা সম্মানবোধ নেই। বিদেশে যাওয়ার সময় প্লেন যখন পাকিস্তানের উপর দিয়ে উড়ে যায় আমি তখন অস্বস্তি অনুভব করি।

    ২.

    ১৯৭১ সালে জীবন বাঁচানোর জন্যে আমাকে দেশের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থাকতে হয়েছে। আমার বয়সী কিংবা আমার চাইতে ছোট কিশোর-তরুণেরাও মুক্তিযোদ্ধা হয়ে পাকিস্তানি মিলিটারির সাথে বীরের মতো যুদ্ধ করেছে। আমাদের মতো মানুষেরা, যারা অবরুদ্ধ পাকিস্তানে আটকা পড়েছিলাম, তাদেরকে পাকিস্তানি মিলিটারির সব রকম পৈশাচিক নির্মমতা নিজের চোখে দেখতে হয়েছে।

    মনে আছে, একদিন গ্রামের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ করে এক দল পাকিস্তানি মিলিশিয়ার মুখোমুখি হয়ে গেলাম। আমার চোখের সামনে তারা একটা বাড়িতে ঢুকে পড়ল। বাড়ির ভেতর থেকে পুরুষ মানুষটি কোনোভাবে প্রাণ নিয়ে বের হয়ে এসে আমার সামনে থর থর করে কাঁপতে থাকল এবং আমি বাড়ির ভেতর থেকে নারীকণ্ঠের আর্তনাদ শুনতে পেলাম। যখন নিজের স্ত্রীকে এক দল পাকিস্তানি মিলিশিয়া ধর্ষণ করতে থাকে, তখন সেই স্ত্রীর আর্তনাদ শুনতে থাকা স্বামীর চোখে যে ভয়াবহ শূন্য এক ধরনের দৃষ্টি থাকে, সেটি যারা দেখেছে তারা কখনও ভুলতে পারে না। আমিও পারিনি, কখনও পারব না।

    এই অসহায় স্ত্রীটির মতো বাংলাদেশে আরও তিন থেকে চার লক্ষ মহিলা এই পাশবিক নির্যাতন সহ্য করেছেন। ‘রেপ অব নানকিং’ নামে আইরিশ চ্যাংএর লেখা একটি অসাধারণ বই আছে, যে বইটিতে নানকিংয়ের অধিবাসীদের উপর জাপানিদের অমানুষিক নির্যাতনের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। এই বইটিকে একটা ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই বইয়ের শুরুতে আইরিশ চ্যাং লিখেছেন নানকিংয়ে নারী ধর্ষণের যে ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটেছিল তার সাথে তুলনা হতে পারে শুধুমাত্র ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি মিলিটারিদের দিয়ে বাংলাদেশের নারীদের ধর্ষণের ঘটনার।

    সারা পৃথিবীর ইতিহাসে পাকিস্তানি মিলিটারির এই ভয়ংকর নির্যাতনের একটি জ্বলন্ত ইতিহাস থাকার পরও পাকিস্তান সরকারের সাহস আছে সেই সত্যটি অস্বীকার করার! এই রাষ্ট্রকে যদি আমরা ঘৃণা না করি তাহলে কাকে ঘৃণা করব?

    ৩.

    ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি দানবদের হাতে যারা আমার মতো আপনজনদের হারিয়েছেন তাদের বুকের ক্ষত কখনও শুকিয়ে যাবে না। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী কিংবা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মতো যুদ্ধাপরাধীর বিচার করে তাদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ কার্যকর করার পর শহীদদের আপনজনেরা হয়তো খানিকটা হলেও শান্তি পাবেন। ফাঁসির রায় কার্যকর করার পর এই দেশের কোনো মানুষের মুখ থেকে এতটুকু সমবেদনার কথা শোনা যায়নি। কিন্তু পাকিস্তানের মানুষদের হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছিল!

    যারা একাত্তর দেখেনি কিংবা যাদের ভেতরে যুদ্ধারাধীর বিচার নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ ছিল, পাকিস্তানের হাহাকার শুনে তাদের সব সন্দেহ দূর হয়ে গিয়েছে। আসমা জাহাঙ্গীর খুব সঠিকভাবে বলেছেন, সৌদি আরবে যখন প্রায় রুটিনমাফিক পাকিস্তানি অপরাধীদের মাথা কেটে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়, তখন একটি বারও পাকিস্তান সরকার সেই সব হতভাগ্যদের জন্যে বিন্দুমাত্র দরদ দেখায় না। কিন্তু বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় নিয়ে বিচার করে যখন বাংলাদেশি যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা হয় তখন হঠাৎ করে তাদের দরদ উথলে পড়ে!

    ১৯৭১ সালে পাকিস্তান এই দেশে কোনো গণহত্যা ঘটায়নি বা কোনো যুদ্ধাপরাধ করেনি, এই নির্জলা মিথ্যা কথাটি বলার সাথে সাথে তারা বাংলাদেশের সাথে ‘ভাই’ এবং ‘বন্ধুর’ মতো সুসম্পর্ক তৈরি করা নিয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বলেছে। দুই দেশের জনগণ পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করে দুই ভাইয়ের মতো ভবিষ্যৎ সম্পর্ক গড়ে তুলবে, এ রকম আশা প্রকাশ করেছে।

    বিষয়টি মোটেও সে রকম নয়। বাংলাদেশের মানুষের পাকিস্তান নামক দেশটির জন্যে কোনো ভালোবাসা থাকার কথা নয়। তারা বড়জোর এই দেশটিকে সহ্য করবে যদি তারা নতজানু হয়ে তাদের সব অপরাধের কথা স্বীকার করে ক্ষমা ভিক্ষা চায়। যেহেতু তাদের ভেতরে আমরা সে রকম কিছু দেখতে পাচ্ছি না, তাহলে পাকিস্তান নামক এই রাষ্ট্রটির সাথে কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখার প্রয়োজনীয়তাটুকু কী?

    চল্লিশ বছর পরে হলেও আমরা আমাদের যুদ্ধপরাধীদের বিচার করে দেশকে গ্লানিমুক্ত করার চেষ্টা করছি। এ জন্যে এই সরকারের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আরও পরিস্কার করে বললে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এবং সাহসের জন্যে তাঁর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। চল্লিশ বছর পরে হলেও আমরা যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারি, তাহলে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির কৃতকর্মের জন্যে তাদের বিচার কেন করতে পারি না? এই দেশের স্বার্থেই পাকিস্তানের সাথে আমাদের কোনো একটা সম্পর্ক রাখার প্রয়োজন কোথায়?

    মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ফোরাম যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবিটি নূতন করে উজ্জীবিত করেছিলেন (তাঁরা যখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কথা বলতে এসেছিলেন, তখন একটা চত্বরে প্রত্যেক সেক্টর কমান্ডার হাতে একটা করে গাছ লাগিয়েছিলেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই চত্বরটির নাম সেক্টর কমান্ডার চত্বর ১)। সেক্টর কমান্ডার ফোরামের সদস্যরা এখন নূতন করে একটা দাবি করেছেন। তাঁরা বলেছেন পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে।

    আমার মনে হয় এটি একটি অত্যন্ত যৌক্তিক দাবি। ১৯৭১ সালে আমরা যারা পাকিস্তানি মিলিটারির হাতে আমাদের আপনজনকে হারিয়েছিলাম, আমাদের ক্ষোভ একশ গুণ বেড়ে যায় যখন আমরা দেখি সেই হত্যাকারী দেশ আস্ফালন করে ঘোষণা করে যে, তারা কোনো দোষ করেনি। আমাদের আপনজনেরা তাহলে খুন হলেন কেমন করে? কেন নদীর পানিতে তাদের মৃতদেহ ভেসে বেড়াল?

    পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির সাথে আমি কখনও সরাসরি কথা বলতে পারব না। যদি পারতাম তাহলে আমি তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলতাম, ১৯৭১ সালে এই দেশের মানুষের উপর যে নৃশংস তাণ্ডব চালিয়ে গণহত্যা করেছ সেই অপরাধের জন্যে আমরা তোমাকে কখনও ক্ষমা করিনি। তোমাদের এত বড় দুঃসাহস, এত দিন পর তোমরা সেটি অস্বীকার কর? আমাদের বুকের ভেতর যে ঘৃণার আগুন জ্বলছে তোমরা তার তাপ সহ্য করতে পারবে না। ১৯৭১ সালে আমরা তোমাদের দূর করে দিয়েছি।

    তোমরা দূরেই থেকো, আমাদের কাছে এসো না।

  6. মাসুদ করিম - ৪ ডিসেম্বর ২০১৫ (৪:২৩ অপরাহ্ণ)

    Wa Tycoon’s Jade Ties Exposed in New Report

    A new report published by the London-based NGO Global Witness alleges that a group of individuals long associated with Burma’s largest and richest armed group, the United Wa State Army (UWSA), are heavily involved in the jade trade. The report, titled “Lords of Jade” and released on Thursday, alleges that Wei Hsueh Kang, often described as the UWSA’s chief “bankroller,” continues to operate an extensive network of jade mining firms, despite being subject to US sanctions and extradition attempts.

    The report is a detailed follow up to Global Witness’ lengthy expose on Burma’s jade trade released in October, which revealed that companies controlled by the families of several key figures from the previous military regime—including Sen-Gen Than Shwe, and former Northern Command chief Ohn Myint—were making millions from the jade trade, an industry that remains mired in secrecy and rampant corruption.

    Global Witness’ latest report alleges that Wei Hsueh Kang and his associates “have used a web of opaque company structures to build, and disguise, a jade empire.” The NGO says that its research indicates that Wei Hsueh Kang, who has had a US$2 million dollar bounty on his head stemming from what US authorities allege was his central involvement in the trafficking of drugs to the US, has—in collaboration with his associates from the drug trade—set out to dominate jade mining in Kachin State’s Hpakant Township.

    “Wei Hsueh Kang’s grip on parts of the jade trade shows just what a dirty business it is, and the levels of impunity enjoyed by the elites whose operations bring death and misery to the people living near the jade mines,” Global Witness Asia Director Mike Davis said in a statement.

    According to Global Witness, both the military, which controls most of Hpakant, and the Kachin Independence Organization (KIO), which has clashed with government forces in and around the area since their ceasefire with the central government collapsed in June 2011, give the Wa-connected firms a wide berth so as not to upset the country’s strongest armed ethnic group. Global Witness alleges that Wei and his clique employ the “UWSA name as political leverage over the government army (Tatmadaw) and the KIA/KIO and as a means of intimidating competitors.”

    After US authorities targeted what they alleged was a UWSA front company, Hong Pang, with sanctions in the early 2000s, the firm morphed into a series of interrelated companies whose names often change. Global Witness alleges that a firm called Myanmar Takaung is the most important in the stable of UWSA-affiliated jade firms. The firm works closely with four other firms identified as by Global Witness as part of this group of jade firms, Ayeyar Yadanar, Yar Za Htar Ne, Thaw Tar Win and Apho Tan San Chain Hmi (also known by its English name Value Standard). All five firms are staffed by businessmen known for their prior affiliations with Hong Pang.

    Citing interviews with jade industry sources, business partners and drug control experts, the Global Witness report alleges that “Wei Hsueh Kang is a beneficial owner of the jade mining ventures of the five companies and exercises ultimate control over them.”

    According to jade businessmen interviewed by Global Witness, the Wa-affiliated firms’ business practices frequently involve heavy-handed tactics. Rival firms are offered protection in “exchange for payment or a share of production.” Global Witness research found that a number of firms including Myanmar Naing Group, an entity Global Witnesses says is controlled by the family of retired military strongman Than Shwe and Yadanar Taung Tann, under crony tycoon Steven Law, have entered into such agreements with the Wa firms. Other companies have been compelled to go along with the Wa firms demands after road access to their mines was deliberately blocked, claims jade businessmen interviewed by Global Witness.

    Those in the jade trade have also told Global Witness that Wa-related firms have made less-than-subtle references to the UWSA eliminating people it was unhappy with. “The Wa use money, power and weapons; they even kill people. Local people cannot confront them,” said one businessman interviewed by Global Witness.

    Such claims have been denied by representatives of the Wa related firms. Li Myint, a former Hong Pang group managing director who acknowledged being in charge of jade concessions in Hpakant for the firms Ayeyar Yadanar and Yar Za Htar told Global Witnesses that the allegations are false.

    “We neither force other businesses into making a partnership nor demand payment from these other businesses. We only work with those who are willing to work as our partners depending on the situation of the business. We built the roads in the vicinity of our mine sites after consulting with our neighbouring miners. Some were difficult to consult with,” Li Myint said in a letter sent to Global Witness, responding to questions about his firm’s business practices. Li also denied any association with Myanmar Takaung.

    Another Hong Pang veteran, Zaw Bo Khant, who now serves as Myanmar Takaung’s managing director has been identified by Global Witness a key front man for Wei Hsueh Kang’s jade empire. According to Global Witness “official and industry sources identify Zaw Bo Khant as the person responsible for the jade mining operations in Hpakant” for all five of jade firms identified by Global Witness as being part of the Wa group. Zaw Bo Khant is also the director and shareholder of Myan Shwe Pyi Mining, whose sister firm Myan Shwe Pyi Tractors, bills itself as “Myanmar’s premier Caterpillar dealership.” Combing through Zaw Bo Khant’s Facebook account, Global Witness determined that the alleged Wei Hsueh Kang front man visited Caterpillar facilities in Australia, France, Germany, Spain and the UK.

    Global Witness says that Caterpillar, by hosting Zaw Bo Khant and doing business with his firm, the world’s leading manufacturer of earth moving equipment, has suffered from an “apparent failure to do adequate due diligence on the owners of its dealership in Myanmar.” The US-headquartered firm has defended itself by saying that is has employed a “Robust Screening” process to ensure that it is not doing business with anyone or any entity that is subject to sanctions. Despite his previous association with Hong Pang, Zaw Bo Khant has yet to be added to the US sanctions list, though Global Witness says there are plenty of other red flags Caterpillar should have seen.

    “Zaw Bo Khant’s previous role as manager for Wei Hsueh Kang’s Hong Pang companies is well known and should be grounds enough for a responsible company to make further enquiries,” the report read.

    According to Global Witness’ research, the extent to which the UWSA-connected firms are mining and operating on behalf of the entire UWSA as an organization or just Wei and his network remains unclear. The group’s research suggests that many people in the jade trade see the firm as part of the UWSA.

    “Whether or not their companies are a financing vehicle for the UWSA/UWSP, it is clear that they are exploiting the Wa name to intimidate peers and competitors in the business,” the report concludes.

    Other senior figures connected to the group—including Aik Haw, the son-in-law of UWSA chief Pao Yu Hsiang (also spelled Bao Youxiang)—have also been identified by Global Witness as playing a role in the jade trade.

    “Aik Haw also appears to be the key deal-broker when it comes to arrangements between the Wa-related companies and other jade mining firms,” the report read.

    According to a jade businessman interviewed by Global Witness, Aik Haw negotiated the Wa firms buying of mines from both Burmese tycoon Tay Za’s Htoo Group and Kyaing International, another firm identified by Global Witness as being controlled by the family of Than Shwe.

    It remains unclear how much Wei and the UWSA have profited from the trade. According to Global Witness, companies affiliated with Wei and the UWSA made pre-tax sales totaling US$100 million at government-run jade emporiums in 2013 and 2014. This is likely only a fraction of the jade revenue earned by these firms, as most of the jade is thought to be smuggled directly across the border to China.

    The UWSA was formed in 1989 following the demise of the Communist Party of Burma (CPB). The CPB, which was the largest armed group in Burma at the time, collapsed on itself after a purge of junior officers led by the Wa and other ethnics in the CBP cadre, who were largely left out of the CBP’s senior ranks. The UWSA’s ceasefire deal with the central government, brokered by military intelligence chief Khin Nyunt, gave the group a significant amount of autonomy over territory it controlled along the Chinese border.

    In the late 1990s, under the encouragement of the Burmese military, the UWSA waged a campaign to capture territory along the Thai border that had previously been held by Khun Sa’s Mong Tai Army (MTA). It was there that the group established the 171st Brigade and its southern command, which was led by Wei Hsueh Kang. His brother ,Wei Hsueh Ying, later took over as head of the 171st Brigade, a territory populated by survivors of a group of more than 100,000 ethnic Wa who were forcibly relocated by the group to southern Shan State as part of 1999 to 2002 campaign to colonize the newly conquered territory. A third Wei brother, Wei Hsueh Long, has also served in the UWSA hierarchy.

    Although he is widely believed to still be living in UWSA territory, Wei Hsueh Kang is rarely seen in public. In 2007, he relinquished his role serving on the UWSA’s politburo as the group’s financial affairs chief. According to Merchants of Madness, a 2009 expose of the UWSA penned by Bertil Lintner and Michael Black, despite his resignation he continued to play a key role in the group’s finances. Unlike many of his peers in the UWSA leadership, the ethnic Chinese Wei Hsueh Kang did not serve in the CPB and was previously affiliated with Khun Sa’s Mong Tai Army. After a falling out with the Shan in 1985, he and his brothers joined forces with a smaller group Wa group, the Wa National Council (WNC) on the Thai border before eventually joining with the UWSA and its similarly named political wing the United Wa State Party (UWSP).

    Senior UWSA officials have long disputed reports about the group’s involvement in the drug trade and claim the organization took strong measures to eliminate drug production in its territory more than a decade ago.

    “We, the UWSA, are wholeheartedly engaged in the fight against drug-dealing,” the group’s spokesperson, Aung Myint, told The Irrawaddy in 2013. “For seven years since 2005, there have been no poppy fields and no poppy plants in our region. This has finished. That’s why the world should recognize us.”

  7. মাসুদ করিম - ৪ ডিসেম্বর ২০১৫ (৫:৩৬ অপরাহ্ণ)

    গোডাউনে জায়গা হল বড় দুর্গার

    শেষ পর্যন্ত স্টার সিমেন্টের বেহালার গুদামেই স্হান হল বড় দুর্গার খোলা অংশগুলির৷‌ বহুদিন পর্যন্ত দেশপ্রিয় পার্কের মাঠে খুলে রাখা অবস্হায় ছিল বড় দুর্গার অংশগুলি৷‌ কিন্তু দেশপ্রিয় পার্কের মাঠটি খেলার মাঠ হওয়ায় অসুবিধা হচ্ছিল স্হানীয় বাসিন্দাদের৷‌ দেশপ্রিয় পার্কের সম্পাদক হিরণ্ময় চ্যাটার্জি জানিয়েছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি সরিয়ে ফেলা হবে অংশগুলি৷‌ যদিও অংশগুলি কোথায় থাকবে, তা নিয়ে টালবাহানা চলেছে অনেক দিন ধরেই৷‌ ঠিক করা হয়েছিল, পুজোর সময় বড় দুর্গা দেখতে পাননি অনেকে৷‌ দূরদূরান্ত থেকে এসে ফিরে গিয়েছিলেন মুখ ঢাকা প্রতিমা দেখে৷‌ তাই মানুষের দেখার জন্যই স্হায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হবে এই প্রতিমার৷‌ প্রাথমিকভাবে রবীন্দ্র সরোবর এবং ইকোপার্ক এই দুটি জায়গার যে কোনও একটিতে বড় দুর্গা সংরক্ষণের জন্য পছন্দ করা হয়৷‌ কিন্তু সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, দুটি জায়গার কোনটি বড় দুর্গা সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত, তা জানা দরকার৷‌ সেটি বিশেষ: দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরেই বোঝা যাবে৷‌ দেশপ্রিয় পার্কের তরফে হিরণ্ময়বাবু জানান, সরকার জানিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে একটি বৈঠক হবে৷‌ এই বৈঠকের পরেই ঠিক হবে কবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷‌ আপাতত বেহালার গুদামেই থাকছে এই প্রতিমার খোলা অংশগুলি৷‌ মাঝখানে ঠিক হয়েছিল, কোনও গোডাউনে নয়, শিল্পী মিন্টু পালের স্টুডিওতে রাখা হবে এই দুর্গা প্রতিমার অংশ৷‌ কিন্তু মিন্টু পাল জানান, তাঁর স্টুডিওতে জায়গা কম৷‌ তাই, বড় দুর্গা সংরক্ষণ সেখানে সম্ভব নয়৷‌

    বড় দুর্গা, বড় বিপর্যয়

    ‘বিশ্বের সব থেকে বড় দুর্গা’ কলকাতার শারদোৎসবের ঐতিহ্যকে সব থেকে বড় ধাক্কা দিল। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকার কারণে প্রবল জনসমাগমের জন্য ১২ জন দর্শনার্থী রবিবার রাতে দেশপ্রিয় পার্কের বড় দুর্গা দেখতে গিয়ে আহত হয়েছেন। আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ‘বড় দুর্গা’ দর্শন বন্ধ করে দিয়েছে কলকাতা পুলিস। অনির্দিষ্টকালের জন‍্য এই নির্দেশ জারি হয়েছে রবিবার রাতে। কলকাতার শারদোৎসবের ইতিহাসে এই প্রথম এ ধরনের লজ্জাজনক ঘটনা ঘটল। শুধু দেশপ্রিয় পার্কের পুজোর জন্য সন্ধের পর থেকেই দক্ষিণ কলকাতার যানবাহন চলাচল হয় বন্ধ নয়ত নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে পুলিসকে। গোটা কলকাতায় যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বহু মানুষ ভিড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় আটকে থেকে। বহু অসুস্থ মানুষ চিকিৎসার জন্য বেরোতে না পড়ায় আটকে পড়েন। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মেট্রো রেল। রেলের দরজা আটকানো যাচ্ছিল না। গড়িয়াহাট, রাসবিহারী, হাজরা থেকে শুরু করে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যান চলাচল থমকে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সদলবলে মেট্রোয় করে খোদ নগরপালকে ছুটতে হল দেশপ্রিয় পার্কে। পুলিস যাই বলুক, তুমুল প্রচারিত ‘বড় দুর্গা’র জনসমাগম ঠেকানোর ব্যবস্থা ছিল অপ্রতুল। ব্যবস্থা নেয়নি পুলিসও। সেদিক থেকে দেখতে গেলে উভয়েই এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। বহু বড় বড় পুজো হয়েছে অতীতে এই শহরে। জনসমাগম হয়েছে প্রচুর, কিন্তু সবসময়ই উদ্যোক্তা এবং প্রশাসন মিলিতভাবে শৃঙ্খলা বজায় রেখেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পথে আটকে থাকা বহু মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন, এ ধরনের আয়োজন করার আগে, ভিড় সামলানোর পরিস্থিতি না দেখে প্রশাসন এই পুজোকে কী করে অনুমতি দিল? পুজোর উদ্যোক্তারা সবসময়ই জনসমাগমকে কৃতিত্বের চোখে দেখেন। কিন্তু জনসমাগম এবং প্রচারের লোভে বিশৃঙ্খল অবস্থায় মানুষের আটকে পড়া এবং আহত হওয়ার ঘটনা অবশ্যই কাঙ্ক্ষিত নয়। এই বড় পুজোটির কারণে দক্ষিণ কলকাতার সঙ্গে ছুটির দিনে বিপর্যস্ত হল গোটা কলকাতা। সাধারণ মানুষ চরম অসুবিধায় পড়ল। নগরপাল সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাংবাদিকদের জানান, আমরা এমন কিছু করতে দেব না যাতে মানুষের বিপদ হয়। এত লোক এসেছেন, পুজো কমিটির যে পরিকল্পনা করার কথা ছিল তা হয়নি। দেশের সব চাইতে উঁচু কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের দুর্গাপ্রতিমা দর্শন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। নিভিয়ে দেওয়া হল মণ্ডপের আলো। পঞ্চমীর দুপুরের পর থেকেই ক্রমশ মানুষের ঢল নামায় দেশপ্রিয় পার্কগামী সমস্ত রাস্তাই কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। মানুষের সারি, গাড়ির সারিতে বিপর্যস্ত হয়ে যায় গোটা এলাকা। ভিড় সামলাতে ট্রাফিক নাজেহাল। কসবা, গড়িয়াহাটে গাড়ি ঢোকা বন্ধ করে দিল। পুলিস তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিল জনপ্লাবন সামাল না দেওয়া পর্যন্ত ৮৮ ফুটের দুর্গাপ্রতিমা দর্শন করা যাবে না। পুলিস অনুরোধ জানায়, রবিবার রাতে দেশপ্রিয় পার্কে না ঢুকতে। তবে, আজ সোমবার ষষ্ঠীর দিন গাড়ির ভিড় ও মানুষের ভিড় সামাল দিতে নিশ্চয় বিকল্প কোনও পদক্ষেপ নেবে। পুলিসের আশঙ্কা, রবিবার যে পরিমাণ ভিড় পথে নেমেছে, তাতে পদপিষ্ট হয়ে মৃতু‍্যর মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা। কার্যত দক্ষিণ কলকাতাগামী সমস্ত গাড়ি ও মানুষের ভিড় রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত থমকে রইল। এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যের কাছে তো বটেই, পার্শ্ববর্তী অন্যান্য রাজ্যের কাছেও বিশ্বের বড় ৮৮ ফুটের দুর্গা প্রতিমার খবর। যাঁরা ইতিমধ্যেই দেখতে পেরেছেন, তাঁরা অবশ্যই খুশি। জানা গেছে, ভিড় না হওয়ার আগেই দেশপ্রিয় পার্কের মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখার জন্য পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন রাজ্য থেকে বহু মানুষ এসেছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকেও দলে দলে মানুষ পঞ্চমীর দিন রবিবারকেই বেছে নিয়েছিলেন। তার ফলেই এক অনভিপ্রেত অব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে, ইতিমধে‍্যই লেক থানা এবং কলকাতা পুলিসের অন্যান্য পার্শ্ববর্তী ডিভিশনের থানা থেকে পুলিসকর্মী এনে পুজোর আগামী দিনগুলোতে যাতে ধাপে ধাপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ ও প্রস্থানের ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে নিয়ে বৈঠক করছে প্রশাসন। কিন্তু ভিড়ের চাপ থাকছেই। এবারের পঞ্চমী কার্যত প্লাবন পঞ্চমী। দেশপ্রিয় পার্ক পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা রূপ কুমার জানান, জনপ্লাবন দুর্গাপুজোর সমস্ত ভিড়ের রেকর্ড এখনই ভেঙে দিয়েছে। আমরা যা আশা করেছিলাম, তার বহুগুণ মানুষ এসেছেন পঞ্চমীতেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিস ব্যবস্থা নিচ্ছে। আজ, সোমবার থেকে সপ্তাহভর কী পরিমাণ মানুষের ঢল কলকাতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুজো প্যান্ডেলে নামবে, তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। তবে, দেশপ্রিয় পার্কে আসা দর্শনার্থী এবং স্থানীয় মানুষদের প্রশ্ন, ৮৮ ফুট উঁচু দুর্গা প্রতিমা দেখতে এত মানুষ আসবে তা কেন পুলিস আঁচ করতে পারেনি। তৃতীয়া, চতুর্থী থেকেই ভিড় শুরু হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই রবিবার যে মানুষ কাতারে কাতারে ছুটে আসবেন দেশপ্রিয় পার্কে তা কেন পুলিস বুঝতে পারেনি। নগরপাল সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ নিজে গিয়ে ভিড় সামাল দেওয়া এবং অন্যান্য নিরাপত্তার ব্যাপারে মিটিং করেছেন। এদিন যেটা হয়েছে তা অভাবনীয়। ছুটির দিনে অনেকেই গাড়ি ভাড়া করে, ট্যাক্সি নিয়ে সপরিবারে ঠাকুর দেখতে এসেছেন। যাঁরা পৌঁছতেই পারলেন না, তাঁরা হাহাকার করছেন। কেন না, ভিড় থেকেও বেরোনোর উপায়ও তঁাদের জানা নেই। ভিড়ের ধাক্কায় প্রায় এক ডজনের বেশি মানুষ চোট–আঘাত পেয়েছেন। গাড়ি পার্কিং করার কোনও জায়গা ছিল না। তাই, কোনও দিকেই গাড়ি ঘোরানো সম্ভব হয়নি। দাঁড়িয়ে থেকে ভিড়ের চাপে বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হাতপাখার হাওয়া দিয়ে, জল খাইয়ে তাঁদের সুস্থ করতে দেখা গেছে। তীব্র যানজটের কারণে ভয়ঙ্কর ভিড় হয়েছিল এদিন মেট্রোতেও। মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী মুখার্জি বলেন, অসম্ভব ভিড়ের চাপেই মেট্রো পরিষেবা সাময়িক বিপর্যস্ত হয়েছে। মেট্রোর দরজা বহু জায়গায় ভিড়ের চাপে বন্ধ হয়নি। লোক নামিয়ে বন্ধ করতে হয়েছে। বেশি রেক চালিয়েও লোক সামাল দিতে অসুবিধে হয়েছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ করেছেন, যাতে তাঁরা শৃঙ্খলা বজায় রেখে যাত্রীপরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করেন। মেট্রোয় অতিরিক্ত ভিড়ের মূল কারণ ‘বড় দুর্গা’। দেশপ্রিয় পার্কের সামনের রাস্তাগুলিতে ব্যারিকেড করা ছিল। অন্যান্য যে সমস্ত ছোটখাটো পুজো ভিড়ের চাপে সেগুলিরও বেহাল অবস্থা। কার্যত, ডেডলক। কোনও জায়গা থেকেই কোনও গাড়ি বার করা যাচ্ছিল না। দুপুর ৩টের পর থেকে রবিবার কসবা কানেক্টর থেকে রুবি পর্যন্ত গাড়ির বিশাল লাইন পড়ে যায়। রুবি থেকে যে গাড়ির সারি দেখা যাচ্ছিল তার মাথা ততক্ষণে পৌঁছে গেছে নিউ আলিপুরে। দক্ষিণ কলকাতার যান চলাচল গভীর রাত পর্যন্ত স্তব্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার বিকেলের পর থেকেই, পুজোর উৎসব শুরু হয়ে যায়। সুতরাং, টানা ছুটি পাওয়ার জন্য মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই পঞ্চমীর প্রথম রাউন্ডকেই বেছে নিয়েছিলেন গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপ দেখার জন্য। এবং অবশ্য দেশপ্রিয় পার্ক তার শীর্ষে। দেখা যায় বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যাঁরা বৃদ্ধ–বৃদ্ধা ও শিশুদের ঠাকুর দেখাতে নিয়ে আসে, সেই গাড়িগুলোও জ্যামে আটকে রয়েছে। এমনকী সেরা পুজো বাছার বিচারকদেরও গাড়িও আটকে যায়। লালবাতি লাগানো বহু ভি ভি আই পি–র গাড়িও যানজটে আটকে যায়। বরাবরের মতো থিম পুজোর নানা বিন্যাসে কলকাতার পুজো একেবারে শীর্ষে। বিশেষত, একচালার সাবেকি দুর্গাকে প্রায় সাইড লাইনে ফেলে রেখে হইহই করে এগোচ্ছে থিমের থিঙ্কট্যাঙ্কের দুর্গা। বাদামতলা আষাঢ় সঙ্ঘের দুর্গা যেমন দোলনায় বসে, তেমনই ৪৮ পল্লীর ঘুরন্ত আলপনার বৃত্তে দুর্গার প্রতিমা। হরিদেবপুরের অজেয় সংহতির পাহাড় খোদাই করে রামায়ণের কাহিনী আর রাবণের মুখোশ দেখতে ভিড় নেমেছে। তামিলনাড়ু উঠে এসেছে সুরুচি সঙ্ঘের মাঠে। বড়িশা ক্লাবে দেশের সাতটি ধ্রুপদী নৃত্য ও রবীন্দ্র নৃত্য নিয়ে কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুলে তৈরি হয়েছে নৃত্যমঞ্চ। চমকপ্রদ বিষয় হল, মাঝখানে একটি স্টেডিয়াম করা হয়েছে, যেখানে দুর্গা নিজেই নৃত্যরত। অবশ্য সেই নাচ দেখতে গ্যালারিভর্তি সবই পুতুল। রাজস্থান, গুজরাটের ডান্ডিয়া নাচের দৃশ্য রয়েছে বাদামতলার আষাঢ় সঙ্ঘে। চেতলা অগ্রণীতে টিনের ড্রাম কেটে তৈরি হয়েছে নারীর মুখ। থিমের নাম সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। বেহালা ফ্রেন্ডসের থিম নারী। দুর্গা যেমন নারী শক্তির প্রতীক, তেমনই বাস্তবের চিত্র ঠিক উল্টো। এখানে নারী পদে পদে লাঞ্ছিত। একটি বড় লোহার গারদের আড়ালে সেই নারীকে আটকে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ নারীর মুক্তিই হল থিম। বেহালার নূতন দল তৈরি করেছে অপূর্ব অমৃত কলস। সাপের ফণার মাঝখানে বসে আছে দুর্গা। সমুদ্রে ভেসে আসা নানা ধরনের ভাঙা হাঁড়ির টুকরো ঝুলিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি কলসি। যার প্রতীকী অর্থ, যুগ যুগ ধরে মানুষ সমুদ্রমন্থন করেছে অমৃত পাওয়ার আশায়। সেলিমপুরের মণ্ডপের বিশেষত্ব প্যান্ডেলের বাঁশ ফেলা থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে যেভাবে মণ্ডপ তৈরি হয়, বনেদী বাড়ির দুর্গার দালানে আরাধনার চালচিত্র। সেখানে আলোয় আবছা হয়ে ফুটে রয়েছে পুরনো দিনের রেকর্ডের কভার, পঞ্জিকা, বহু পুরনো শারদ সংখ্যার প্রচ্ছদ। শারদোৎসব শুধুমাত্র আনন্দের নয়, আনন্দ ভাগ করে নেওয়ারও উৎসব। আন্দুল রোড আবাসিক সংস্থা হাওড়া শহরে এক অন্য উৎসবের আবহ তৈরি করেছে। ৪৭তম বছরে শারদোৎসবের সূচনা হল ৪৪টি অনাথ শিশুর হাত ধরে। ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী জিতসঙ্গানন্দ। শিল্পী মোহনবাঁশি রুদ্রপালের শৈল্পিক নিদর্শনের সাক্ষ্য সাদা–কালো প্রতিমা। এদিন অনাথ শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পোশাক, স্কুলের ব্যাগ, লেখাপড়ার সামগ্রী। এদিকে কলকাতার ৬৬ পল্লীর পুজোর বিশেষত্ব সাঁওতালি পটচিত্র। কলকাতা পুলিস এবং দি বেঙ্গলের যৌথ ব্যবস্থাপনায় প্রণাম পুজো পরিক্রমা উদ্বোধন হল সোমবার। ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি, মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা পুলিস কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, প্রণামের কমিটি সদস্য অরিন্দম শীল। বয়স্কদের কলকাতার পুজো ১৩টি এসি বাসে ঘুরিয়ে দেখানো হবে। প্রায় ৪০০ বয়স্ক মানুষ কলকাতা পুলিসের প্রণাম কর্মসূচির আওতায় প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন। যাঁদের বয়স ষাটোর্ধ্ব, তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে। এই মুহূর্তে প্রণামের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার প্রবীণ। কলকাতার মতো থিম পুজোয় এগিয়ে রয়েছে কলকাতার আশেপাশের বিভিন্ন পুজো। পঞ্চমীর দিনই উদ্বোধন হল বাগুইআটির বালকসঙ্ঘের ৫৭তম বর্ষের পুজো। প্রধান অতিথি ছিলেন বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান কঙ্করপ্রসাদ বারুই, অভিনেত্রী তানিয়া গাঙ্গুলি, সমাজকর্মী রজত মুহুরি। এদিন ১১০ জন দুঃস্থ শিশুর হাতে স্কুলের বই, খাতা, পেন, পেন্সিল এবং ব্যাগ তুলে দেওয়া হয়। থিমপুজোয় পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে অসাধারণ মণ্ডপ করেছে বালির শান্তিনগরের রবীন্দ্র সেবা সমিতি। ৬২ বছরের পুজোয় অপূর্ব মণ্ডপ ও প্রতিমার পরিকল্পনা করেছেন কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল। পুজো ছাড়াও সারা বছরই এই সমিতি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে।

  8. মাসুদ করিম - ৭ ডিসেম্বর ২০১৫ (৯:৪২ পূর্বাহ্ণ)

    এপারের গরু ধুলো উড়িয়ে ওপারে

    প্রদীপ দে, জঙ্গিপুর: পশ্চিমবঙ্গের ধুলো উড়িয়ে গরু চলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। একটি দুটি নয়, শয়ে শয়ে, হাজারে হাজারে। পাচার বন্ধে কোনও প্রয়াস নেই পুলিস–প্রশাসনের। বি এস এফের জওয়ানরা মাঝে মাঝে অভিযান চালালেও তা সাময়িক। গরু পাচার বন্ধ নিয়ে বি এস এফ–পুলিসের চাপানউতোর আছে। জঙ্গিপুর মহকুমা আর ডোমকল মহকুমার মোট ৭টি থানা এলাকা দিয়ে হয় পাচার। গরু পাচারেও রাজনীতির রঙ লেগেছে। দেখে মনে হয়, গরু পাচার যেন মুর্শিদাবাদের কুটির শিল্প!
    পালে পালে গরু
    পাচার হওয়া গরু আসে বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে। বড় বড় লরিতে গরু এনে জমা করা হয় বীরভূমের লোহাপুর, করয়াতে। মোড়গ্রাম–পানাগড় রাজ্য সড়কের পাশে লোহাপুর এলাকায় গরুর হাটও বসে। িবশাল এলাকা জুড়ে ছোট ছোট ঘর। সঙ্গে উঁচু মাটির ঢিবি। ঢিবির সামনে লরি দঁাড় করিয়ে গরু নামানো হয়। তার পরে লাল রঙ দিয়ে চলে গরুর গায়ে নম্বর লেখার কাজ। নম্বর দেখেই গরু চিহ্নিত করে পাচারকারীরা। গরুর থাকার জায়গা, খাবার ব্যবস্থা সবই আছে। পুলিস এখানে তল্লাশি চালায় না, কারণ প্রতি মাসের মাসোহারা পৌঁছে যায় স্থানীয় থানায়। বাইরের কেউ গেলেই সন্দেহের চোখে দেখে নানা প্রশ্ন। ছবি তোলার সুযোগ নেই। সব সময় ঘুরছে পাচারকারীদের ‘মাস্‌লম্যান’। বেচাল দেখলেই বোমা মারতে, গুলি করতে এক মিনিটও ভাবে না। এভাবেই চলে সারাদিন। অন্ধকার নামতেই গরু তোলা হয় লরিতে। গরুভর্তি লরি চলবে সীমান্তের পথে।
    রাতের সওয়ারি
    মাঝরাত হলেই গরুভর্তি লরির যাত্রা শুরু। একসঙ্গে ৫–৬টি লরি রওনা হয়। লোহাপুর থেকে মোড়গ্রাম–পানাগড় রোড ধরে মুর্শিদাবাদে ঢোকে। মুর্শিদাবাদে ঢোকার মুখে নাকপুরে যে চেকপোস্ট আছে, লরিচালক কর্তব্যরত পুলিসকে বাঘ বা সিংহ কোনও ছাপমারা কাগজ দেখালেই চেকপোস্টের বঁাশ তুলে নেওয়া হয়। ওখান থেকে ৫–৬ কিমি দূরে ৩৪ নং জাতীয় সড়ক। পানাগড় রোড আর ৩৪ নং জাতীয় সড়কের সংযোগস্থলের বঁাদিকে জঙ্গিপুর মহকুমার সুতি–রঘুনাথগঞ্জ–সামশেরগঞ্জ–ফরাক্কা। আর ডানে সাগরদিঘি, নবগ্রাম হয়ে বহরমপুর, সেখান থেকে ডোমকল–রানীনগর–রানীতলা–জলঙ্গি। গরুভর্তি লরি কোন পথে যাবে তা আগেই ঠিক হয়ে থাকে। সেইভাবেই চলে লরি রাতের সওয়ারি গরুদের নিয়ে। মাঝপথে কোনও থানার টহলদারি পুলিস কিছু বলবে না। কারণ, মাসোহারা হয়ে আছে। লরি–পিছু ৪–৫ হাজার টাকা। রাতেই পাচার করার জন্য গরুগুলোকে জমা করা হয় সুতি থানার আহিরন ও তেঘরির মহালদারপাড়ায়। এছাড়াও যে অ্যাফ্লেক্স বঁাধ আছে সীমান্তে, সেই বঁাধের ধারে থাকা গ্রামগুলোতেও গরু রাখা হয়। রাত গভীর হলেই ক্যারিয়াররা চরের ওপর দিয়ে হঁাটিয়ে গরু নিয়ে যাচ্ছে ঘাটে। ঘাট পার করে দিতে পারলেই কেল্লা ফতে। ক্যারিয়ারের হাতে কড়কড়ে নোট। আর তখন ওপারে অপেক্ষায় বাংলাদেশের পাচারকারীরা।
    পাচারের রুট
    সারা বছর ধরেই মুর্শিদাবাদে গরু পাচার হচ্ছে। তবে তা ব্যাপক বাড়ে বর্ষা ও শীতে। এই দুই ঋতুতে পাচারের সুবিধার কারণ বর্ষায় মুর্শিদাবাদের িবভিন্ন এলাকায় পাটচাষ হয়। সীমান্ত এলাকাতেও পাটচাষ হয় ভালই। বড় বড় পাটগাছ থাকায় অতি সহজেই গরুগুলোকে নিয়ে যাওয়া যায়। পাটখেতে লুকিয়ে থাকা যায়। আর শীতে কুয়াশা পড়ায় সীমান্তে পাহারারত জওয়ানদের সমস্যা হয়। ফলে পাচারকারীদের পোয়াবারো। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তের বিভিন্ন গ্রামে গরু জমায়েত রাখার পরে ফের গভীর রাতে ক্যারিয়াররা গরুগুলোকে হঁাটিয়ে নিয়ে যায় পদ্মার ঘাটে। কোন কোন ঘাট দিয়ে গরু পাচার হচ্ছে? পুলিস ও বি এস এফ সূত্রের খবর, সামশেরগঞ্জ থানার ঘাটগুলো হচ্ছে— নিমতিতা, ধুলিয়ান ফুলতলা, বাসুদেবপুর, সুতি থানার নুরপুর, চঁাদনিচক, ইমামনগর, চরবাহাদুরপুর, রঘুনাথগঞ্জ থানার ঘাটগুলো হল— তেঘরি, সেকেন্দরা, গিরিয়া, পিরোজপুর চর, সাগরদিঘির কারিলপুর, কুতুরপুর প্রভৃতি। প্রতি ঘাটে দুই থেকে আড়াই হাজার গরু পাচার হয়। ঘাট পর্যন্ত গরু পৌঁছে দেওয়ার জন্য ক্যারিয়াররা পায় ২টি গরু পিছু এক থেকে দু’ হাজার টাকা। কেন এত গরু পাচার? ভারতের গরুর দাম বাংলাদেশে দ্বিগুণেরও বেশি। এ রাজ্যে জোড়া ভাল গরুর দাম ২৮ থেকে ৩০ হাজার। বাংলাদেশে দাম ৬০ থেকে ৬৫ হাজার। পাচার গরু বাংলাদেশে কাটার পর টিনে প্যাক করে বিদেশে পাঠানো হয় বিক্রির জন্য। বিশেষ করে আরব দুনিয়ায় ভারতের গরুর মাংসের চাহিদা ব্যাপক।
    বি এস এফ বনাম পুলিস
    গরু পাচার বন্ধ করা নিয়ে বি এস এফের সঙ্গে জেলা পুলিসের চাপানউতোর চলছেই। ধুলিয়ানে কর্মরত ২০ নং ব্যাটেলিয়নের সি ও রাজকুমার বাসাট্টার অভিযোগ সরাসরি পুলিসের বিরুদ্ধে। বললেন, ‘আমরা দিনে রাতে সীমান্তে কড়া পাহারা দিয়ে পাচার বন্ধ করার চেষ্টা করছি। গরুও উদ্ধার করছি। কিন্তু জেলা পুলিস, স্থানীয় থানা কোনওরকম সাহায্য করছে না। পুলিস যদি রাস্তাতেই পাচার হওয়ার জন্য গরুবোঝাই লরি আটক করে, তাহলে অনেক সুবিধা হয়। কিন্তু পুলিস সব কিছুই করে না।’ একই অভিযোগ রানীনগরের কাহারপাড়ায় বি এস এফ ক্যাম্পের ইন–চার্জ রবি কুমারেরও। তঁার আক্ষেপ, ‘পুলিস গরু পাচার হচ্ছে দেখেও ধরছে না। রাস্তায় অনায়াসে পুলিসের সামনে দিয়ে গরু চলে আসছে।’ যদিও বি এস এফের অভিযোগ মানতে চাননি জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার কে কান্নন। কান্ননের দাবি, ‘পুলিস মাঝে মাঝেই তল্লাশি চালায়। গরুও ধরে। বি এস এফ কেন এমন অভিযোগ করছে জানি না।’ শীতের কুয়াশা পড়তে না পড়তেই গরু পাচার বেড়েছে। বি এস এফ তৎপর বন্ধ করতে। বি এস এফের সিদ্ধান্ত, যেসব ঘাট দিয়ে পাচার হচ্ছে সেগুলো চিহ্নিত করে সেখানে বি এস এফ ছাউনি বসানো হবে। অতিরিক্ত বাহিনী আনা হয়েছে। পদ্মার পাড়ের অ্যাফ্লেক্স বঁাধে মাঝরাতে টহলদারি এবং যেসব গ্রামে গরু রাখা হচ্ছে সেই সব গ্রামে হঠাৎ হঠাৎ হানা দেবে বি এস এফ। সীমান্তের গ্রামগুলোর বাসিন্দারা চান অবিলম্বে গরু পাচার বন্ধ করা হোক। গরু হঁাটিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মাঠের ফসল নষ্ট হয়। প্রতিবাদ করলে পাচারকারীরা উল্টে বোমাবাজি করে। প্রায়ই ঝামেলা হয় সুতি, জলঙ্গি, সামশেরগঞ্জ থানার সীমান্ত গ্রামে।
    নেপথ্যে রাজনীতি
    মুর্শিদাবাদের গরু পাচারেও রাজনীতি। কেমন? প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরির অভিযোগ সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অধীর বলেন, ‘জেলায় যে গরু পাচারের রমরমা, তার পেছনে তৃণমূলের নেতাদের প্রত্যক্ষ মদত আছে। জেলা নেতা থেকে ব্লক, গ্রামীণ নেতা সবাই পাচারে মদত দেয়। মোটা টাকা তোলে। তৃণমূল নেতাদের জন্যই পুলিস–প্রশাসন নিশ্চুপ। পুলিস বি এস এফ–কে সাহায্য করে না।’ কয়েক মাস আগে জঙ্গিপুরের কংগ্রেস বিধায়ক আখরুজ্জামান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছিলেন কাদের মদতে চলছে গরু পাচার। অধীরের অভিযোগ শুনে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন বলেন, ‘মিথ্যে অভিযোগ করছেন অধীর চৌধুরি। তৃণমূলের কোনও নেতা, কর্মী গরু পাচারে যুক্ত নয়। কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নিই। গরু পাচার বন্ধ করার দায়িত্ব পুলিস–বি এস এফের।’ কিন্তু সুতি, সামশেরগঞ্জ, রানীনগর প্রভৃতি এলাকা ঘুরে পরিষ্কার যে, গরু পাচারকারীদের সঙ্গে নেতাদের ‘যোগসাজস’ আছে। যে এলাকায় যে দল ক্ষমতাশালী, সেই দলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে পাচারকারীদের ‘সম্পর্ক’ খুবই ভাল। সুতি থানা এলাকার এক গরু পাচারকারীর বক্তব্য, কোটি কোটি টাকার এই গরু পাচার করার ‘ব্যবসা’ চলছে। রাজনৈতিক নেতা থেকে পুলিস, এমনকী জঙ্গিপুরের মিডিয়ার বেশিরভাগকে টাকা দিতে হয়। ফলে পাচারে সুবিধা হচ্ছে। আমাদের সমস্যা শুধু বি এস এফ।
    অতঃপর কী
    প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি গরু পাচার বন্ধ হবে না? হাজার হাজার গরু এভাবে চলে যাবে পদ্মা পেরিয়ে? প্রাক্তন প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আনিসুর রহমানের প্রস্তাব ছিল, ৩–৪টি ঘাটকে চিহ্নিত করে সরকারিভাবে গরু পারাপারের ব্যবস্থা করা হোক। এতে কেন্দ্র ও রাজে‍্যর আয় হবে। আনিসুর বলেন, তৎকালীন কংগ্রেস সরকার অনুমতি দেয়নি। দিলে সীমান্ত গরু পাচার বন্ধ হত। লাল ফিতের ফঁাসে আটকে আছে আনিসুরের প্রস্তাব। ফলে বিভিন্ন মদতে গরু পাচার হচ্ছে এবং পাচার চলবেও।

    বনগাঁ সীমান্তে অবাধ গরু পাচার

    নিরুপম সাহা: সীমান্তের অর্থকরী ফসল গরু পাচার। এমনই মনে করে পাচারকারীরা। তাই অধিক লাভের এই ফসল ঘরে তুলতে রাজনীতির কারবারি থেকে অন্ধকার জগতের মানুষ তাদের গোপন বোঝাপড়ায় নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অবাধে চলছে এই পাচার প্রক্রিয়া। এই কারবার থেকে বাদ নেই বনগাঁ সীমান্তও। এই পাচার কারবারের সুলুকসন্ধান করতে গিয়ে পাওয়া গেল নানা রোমহর্ষক, অমানবিক কাহিনী। জানা গেছে, মূলত পাঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে ১০ চাকার ট্রাকে গরু বিভিন্ন পথ ঘুরে এই রাজ্যের হুগলি জেলার পাণ্ডুয়াতে আনা হয়। সেখানে গরুর হাট বসে। মহাজনেরা সেই হাট থেকে গরু কেনে। এরপর বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলির চোরাগোপ্তা পথ ধরে বাংলাদেশে পাচার হয়ে যায়। বনগাঁ মহকুমার বনগাঁ, গাইঘাটা থানার সীমান্ত এলাকা মূলত নদী দিয়ে ভাগ করা। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতী নদী। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহযোগিতায় মূলত সীমান্তের যে সব এলাকায় এখনও কাঁটাতার বসেনি, সেই সব এলাকাকেই এই গরু পাচারের জন্য বেছে নেওয়া হয়। এর মধ্যে যেমন সুটিয়া, আংরাইল, জোড়া ব্রিজ, সোনার হাট, ঝাউডাঙা, পিপলি, বর্ণবেড়িয়া, তেঁতুলবেড়িয়া ইত্যাদি এলাকা রয়েছে। গরুগুলিকে ট্রাকে করে বিভিন্ন পথ ঘুরিয়ে আনা হয়। এরপর হাঁটিয়ে শূন্য পয়েন্ট পর্যন্ত এনে ইছামতী নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রকৃতির নিয়মে গরু নদী সাঁতরে অপর প্রান্তে চলে যায়। এপারে অপেক্ষারত পাচারকারীদের অন্য দল সেই গরুগুলিকে রিসিভ করে নেয়। জানা গেছে, হুগলি থেকে সীমান্ত পর্যন্ত একটি গরু আনতে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এর মধ্যে রাজনৈতিক দল, পুলিস, বি এস এফ–সহ নানা খাতে খরচ রয়েছে। এর পর বাংলাদেশে চলে যাওয়ার পর সেই গরুর দাম হিসেবে এক একটির জন্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকা করে পাওয়া যায়। ফলে বিভিন্ন খাতে যে পথ খরচ লাগে, সেই টাকা গায়ে লাগে না কারবারিদের। এই পাচার কারবারে দুই ধরনের লোক যুক্ত। এক দলকে বলা হয় লাইনম্যান। অন্য দল ডেলিভারি বয়। যে গাড়িতে করে গরু সীমান্তের দিকে যাবে, সেই গাড়ির থেকে বেশ কিছুটা আগে মোটরবাইকে আগে গিয়ে পুলিস, বি এস এফ–কে ম্যানেজ করার দায়িত্ব লাইনম্যানের। বিপদ বুঝলে হয় মোবাইলে ফোন করে, কিংবা বাজি ফাটিয়ে গরুর ট্রাককে সতর্ক করে দেওয়ার দায়িত্ব লাইনম্যানের। এর জন্য গাড়িপ্রতি লাইনম্যানের প্রাপ্য ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। এ ছাড়া, মোটর বাইকের তেল, মোবাইল, মদের খরচ আলাদা। এর পর থাকে ডেলিভারি বয়দের কাজ। আর এই কাজে মূলত কমবয়সী ছেলেদের কাজে লাগানো হয়। আর কাঁচা টাকার লোভে অনেক সময় স্কুল পড়ুয়ারাও এই কাজে যুক্ত হয়ে পড়ছে। গরু প্রতি ২০০ থেকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট জায়গায় ট্রাক থেকে গরুগুলিকে নামানোর পর তারা হেঁটে সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। ভিন রাজ্য থেকে এই রাজ্যে গরুগুলিকে দীর্ঘপথ আনার কাহিনীও মর্মান্তিক। বাইরে থেকে যাতে কিছু বোঝা না যায়, সেইজন্য যে ১০ চাকার ট্রােক এই গরু আনা হয়, সেই ট্রাকগুলিকে কাঠের পাটাতন দিয়ে ঘিরে রাখা হয়। পথের খরচ বাঁচাতে অপরিসর ট্রাকে ঠাসাঠাসি করে গরুগুলিকে আনা হয়। কষ্ট হলেও গরুগুলি যাতে চিৎকার না করতে পারে, তার জন্য শিরদাঁড়ায় একপ্রকার ইনজেকশন দেওয়া হয়। দীর্ঘ এই পথে খাবার এমনকী পানীয় জল পর্যন্ত দেওয়া হয় না। ট্রাক থেকে নামানোর পর হাঁটাপথে গরুগুলি যাতে দ্রুত যেতে পারে, তার জন্য ক্লান্তি কাটাতে চোখে এবং পায়ুতে কাঁচালঙ্কা ডলে দেওয়া হয়। কোটি কোটি টাকার এই কারবারের মুনাফা ঘরে তুলতে ঘুরপথে কাঁচা টাকার জোগান দেয় একশ্রেণীর মানুষ। বাংলাদেশে এই গরু চলে যাওয়ার পর গরুর বিনিময়ে প্রাপ্য টাকা কখনও হুন্ডির মাধ্যমে আবার কখনও সোনার বিস্কুট হিসেবে বাংলাদেশ থেকে এদেশে চলে আসে। ইদানীং এই কারবারের কিছুটা রদবদল ঘটেছে। বেশি মুনাফার লোভে বাংলােদশের কারবারিরা সরাসরি সীমান্ত পেরিয়ে এপারে এসে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে, যাতে মিডলম্যানের খরচ বেঁচে যায়। এদের ‘ডাইরেক্ট পার্টি’ বলা হয়। এরা সীমান্তে প্রহরারত বি এস এফ িকংবা সীমান্ত অঞ্চলের প্রতিবাদী মানুষদের রেয়াত করে না। এই ডাইরেক্ট পার্টিদের কাজে বাধা হতে গিয়ে সীমান্তে প্রহরারত একাধিক বি এস এফ জওয়ানের আহত বা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে গাইঘাটার আংরাইল সীমান্তে সম্প্রতি নির্মল ঘোষ নামে এক আর পি এফ জওয়ান নিহত হয়েছেন এই গরু পাচারকারীদের হাতে। সীমান্তের লাইন পেতে বি এস এফ জওয়ানদের খুশি করতে নগদ অর্থের পাশাপাশি পাচারকারীরা কখনও কখনও মহিলাদের জোগান দিতেও কসুর করে না। এই কারবারের বাড়বাড়ন্তে কাঁটাতারের ফাঁকে বিপন্ন হচ্ছে শৈশব, বিনষ্ট হচ্ছে সাধারণ জনজীবন। প্রতিফলন দেখা দিচ্ছে সীমান্ত অঞ্চলের অর্থনীতিতে। একসময় গরু পাচারকারীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গাইঘাটা অঞ্চলের খবর দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গাইঘাটা সীমান্তে পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তারপর থেকে কিছুদিন এই কারবারে মন্দা চললেও এখন নতুন করে পুরনো ফর্মে ফিরছে কারবারিরা।

  9. শারমিন সুলতানা - ৮ ডিসেম্বর ২০১৫ (৮:৫৬ অপরাহ্ণ)

    গোল্ডস্মিথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মরিয়ম নামাজীর এই বক্তৃতাটা প্রকাশ করা যেতে পারে।
    লিঙ্ক: https://www.youtube.com/watch?v=-1ZiZdz5nao

  10. মাসুদ করিম - ৯ ডিসেম্বর ২০১৫ (১১:২৮ পূর্বাহ্ণ)

    Shyam Saran: Nepal treads a perilous path

    Projecting a Pahari-Madhesi divide as reflecting an India-Nepal divide grossly distorts the reality on the ground

    The contrived controversy over the so-called blockade of the India-Nepal border has obscured the perilous path on which the current ruling elite in Nepal is taking the country. A deliberate and risky political and social polarisation is being engendered in order to camouflage a brazen attempt to entrench the privileged status of a high-caste elite with an arrogant sense of entitlement. As has happened a number of times in the past, ultra-nationalism in the form of anti-Indianism is being assiduously peddled to deflect attention from a more sinister domestic agenda. This carries the risk of reversing some of the historic gains made by the democracy movement, which all sections of Nepal’s diverse population made sacrifices for – and which won the support of India.

    There are a number of misperceptions in India about Nepal. We appear to have tacitly accepted the Pahari-Plains dichotomy and the associated perception that the latter are “Indian-origin” and thus enjoying the support of India as the Nepali government alleges. The people living in the Terai are the original inhabitants of the region and not immigrants from India. They became part of Nepal as a result of conquest and as a result of later British largesse for services rendered in the suppression of the first war of Indian independence. They are citizens of Nepal by right, not by generosity.

    Yes, it is true that these plains people have kinship ties with people living on the Indian side of the border – but so do most of the hill people of Nepal. There are several million Indian citizens of Nepali origin who live in various parts of our country. They are proud citizens of India but also have kinship ties with their brethren living in Nepal. And over the past decade and a half, as a result of the long years of Maoist insurgency and economic deprivation, there are six to eight million Nepali citizens who have been living and working in India. They are overwhelmingly from the hill areas in Nepal.

    There are also several thousand ex-Indian Army pensioners who are scattered across the villages and towns of Nepal. They are almost entirely “paharis” or hill people. And finally, even the high-caste Nepalis, including those claiming royal lineage, have close kinship and ties through marriage with their counterparts in India. They constitute part and parcel of the long-standing web of intimate ties that bind the people of the two countries together.

    Thus, to project a Pahari-Madhesi divide as reflecting an India-Nepal divide grossly distorts the reality on the ground and one hopes that our own decision-makers do not fall prey to this gross misrepresentation. India should continue to support an inclusive democracy in Nepal and equal rights for its diverse people, including the Madhesis and the several ethnic groups or “janjatis” which have been equally oppressed. There can be no interest on the part of India to cause suffering and distress to any section of Nepal’s population given the broad spectrum nature of India-Nepal links.

    Not many people know that today much of Nepal’s power supply comes from India. It continues uninterrupted and several other entry points into Nepal are operating normally. Where is the question of a blockade? If agitating demonstrators in the south are interrupting movement across the border, it is unreasonable to expect India to pull the chestnuts out of the fire for Nepali leaders who have triggered this unrest by their short-sighted policies.

    One sometimes hears Indian political figures and analysts dismissing the movement in the plains and in other ethnic areas by pointing to the divisions among their political leaders. But, whatever be their squabbles, they are united on obtaining through their struggle the legitimate rights of the people they represent. We are not supporting the individual ambitions of these leaders but the people whose rights are being denied. In fact the people are ahead of their leaders in many ways and this means that their struggle cannot be easily suppressed. And don’t Indian politicians also squabble amongst themselves?

    Ultra-nationalism based on a narrow and contrived hill identity and targeting a section of Nepali citizens as unpatriotic agents of a foreign power risks a counter ultra-nationalism, one feeding on the other. We see danger signs of this already. Nepal is a country bound by strong economic complementarities among its various regions and sub-regions. The plains are the country’s food basket. Much of the country’s industry is located in the plains, near the vast markets in neighbouring India. The Terai and its people are precious assets for the country and will remain the foundation for its economic prosperity. Is it wise to endanger this economic lifeline just when the country is slowly recovering from the devastating earthquake that hit Nepal earlier this year?

    Whatever grievances there maybe against India, the risks to Nepal’s national unity and its economic welfare may become the biggest casualties of the policies being pursued by the Kathmandu political dispensation. This is particularly so as winter descends on the country and large number of people remain without adequate shelter and food in the hill areas. The earthquake also severed the already sparse communication links with the rest of the country.

    It is this looming human tragedy which should have been the over-riding preoccupation of the Nepali government rather than playing cynical political games to preserve the privileges of the traditional elite. India had responded to the earthquake by rushing urgent supplies and reconstruction assistance. This support needs to continue but is being hampered by the negative attitudes of the Nepali establishment.

    And finally there is the China factor. Not surprisingly, the Nepali government has tried to create anxiety in India by suggesting that China would come to its aid through the road links it has built across the Tibet-Nepal border. Some supplies have come through including some oil tankers. Over the past month, there is little evidence that Chinese supplies may assume anywhere near the scale of India-Nepal trade and economic links. India needs to be watchful concerning Chinese activities in Nepal – but letting the Nepali government use the China bogey to pressure India to acquiesce in its current policies would be counter-productive.

    Sushma Swaraj says India Nepal’s “elder”, not “big” brother

    Indian Minister for External Affairs Sushma Swaraj said India should mediate the talks between the government and protesting parties of Nepal.

    Responding to concerns of the lawmakers at the Rajya Sabha today, Swaraj said her government is willing to mend ties with Nepal.

    Claiming that the Narendra Modi government took great initiatives to mend ties with Nepal after it took over, she said India was not the Big Brother of Nepal, but a caring Elder Brother.

    She recalled that India was the first nation to offer humanitarian support to Nepal during the April-May earthquakes.

    She said India was ready to airlift essential supplies including medicines to Nepal.

    Meanwhile, she claimed that the new Constitution of Nepal did not incorporate rights granted to Madhesis in the Interim Constitution.

    Explaining that the Indian government was engaged in Nepal’s Constitution drafting process for a long, the leader accused the Constituent Assembly of endorsing the statute in a hurry, without any serious debate, while removing provisions of proportional inclusion.

    India’s concerns over violent protests in the Tarai region, bordering India, were obvious as they could leave adverse impacts on India, she said.

    Maintaining that India respects independence of Nepal, Swaraj said it was just advising Nepal as a good friend to find a way out on the basis of consensus.

    She said India’s blockade on Nepal was not the first time now as the Indian National Congress’ Rajiv Gandhi-led government in late 1980s had imposed a one-and-half-year blockade on Nepal.

    Govt not keen to address our demands: UDMF

    The leaders of the United Democratic Madhesi Front who are in New Delhi today called on India’s National Security Adviser Ajit Doval and Foreign Secretary S Jaishankar and sought India’s moral support to address their concerns regarding the new constitution of Nepal.

    It is learnt that they also sought Indian leaders’ unequivocal support to their ongoing protest and their demands so that they could be met.

    Chairperson of Federal Socialist Forum-Nepal Upendra Yadav, Chairperson of Tarai Madhes Democratic Party Mahantha Thakur, Chairperson of Sadbhawana Party Rajendra Mahato and Chairperson of Tarai-Madhes Sadbhawana Party-Nepal Mahendra Ray Yadav held a meeting with Indian Foreign Secretary S Jaishankar that lasted for almost an hour.

    In the evening they also called on Doval.

    During these meetings, UDMF leaders told the Indian officials that the Nepali government was not serious about holding talks with the UDMF and the three-point proposal mooted by the major parties did not meet their demands, Mahato told mediapersons following the meeting with S Jaishankar.

    “The three-point proposal does not have any meaning. Our 11-point demands, including a review of demarcation of provinces presented by the UDMF should be addressed in a package or a consensus should be reached on their eight-point demand and the State Reconstruction Commission report of the first Constituent Assembly,” a source quoted Mahato as telling Indian officials.

    Chanda Chaudhari of the Tarai Madhes Democratic Party, who is also accompanying UDMF leaders, confirmed that UDMF leaders met India’s foreign secretary and NSA Doval and apprised them of the Madhesi demands and their ongoing negotiation with the Government of Nepal.

    THT’s attempts to contact the top UDMF leaders after their meeting with India’s NSA didn’t succeed.

    A tale of two parties

    The major parties and the Madhesi parties have held several rounds of talks in recent weeks, and the negotiations have become stuck on an old issue. The former want to pass a constitutional amendment dealing with proportional representation and constituency delineation now while leaving the crucial issue regarding the delineation of provincial boundaries for resolution by a political committee in the future. The Madhesi Morcha rejects the proposal. It states that the parties should either reach an agreement on the delineation of borders immediately, or should provide a guarantee that there will ultimately be two states in the Tarai.

    This concern has a historical context in Nepal. The government has signed agreements with agitating groups at various points, only to discard them in the future. From the Madhesi parties’ perspective, they feel that they have built up a great deal of leverage through their protests in recent months and that that if they agree to a deal that postpones the delineation of boundaries, they could squander their advantage. For, when the time comes to resolve the boundary issue in the future, the ruling parties could once again get away with refusing to make any change. Madhesi leaders might feel that they will need to generate pressure from the streets again at that time, which might be difficult to do.

    This is a sorry state of affairs. Fundamentally, at the heart of the issue lies the mistrust between the government and the Madhesi population. In a way, this is just one manifestation of a much wider distrust between various sections of the population and the government. There are also some differences within the Madhesi leadership, with Mahanta Thakur, Upendra Yadav and Rajendra Mahato offering different bottomlines to resolve the crisis. Still, they all share deep distrust with the major parties.

    In order to find the common ground and to resolve the current crisis, there are two options before us. First, all the parties should invest energy and initiative into finding an immediate solution to the problem of delineating boundaries between provinces. This alternative could end the standoff once and for all. However, this might not be possible for some reasons. Due to the currently polarised circumstances, both the sides (major parties and the Madhesi leadership) may find it difficult to immediately back down on their positions.

    The second alternative is to agree to as many of the details as currently possible while leaving the remaining few for future resolution. In this scenario, the government will have to make certain guarantees that will satisfy the Madhesi parties. Given their history of breaking promises, this might be difficult for the government. Nonetheless, if senior government figures express genuine commitment in addressing Madhesi concerns, tensions between the two sides could be reduced and a common understanding could be reached. The deal does not necessarily have to state that there will be two states in the Tarai. It could be sufficient for the two sides to commit to ensuring that the ‘disputed districts’ will be divided according to a formula that takes Madhesi sensitivities into account.

  11. মাসুদ করিম - ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ (১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ)

    viewpoint: offsetting weak demand & maintaining domestic stability
    The global monetary non-system

    As 2015 ends, the world boasts few areas of robust growth. At a time when both developed and emerging-market countries need rapid growth to maintain domestic stability, this is a dangerous situation. It reflects a variety of factors, including low productivity growth in industrial countries, the debt overhang from the Great Recession, and the need to rework emerging markets’ export-led growth model.

    So how does one offset weak demand? In theory, low interest rates should boost investment and create jobs. In practice, if the debt overhang means continuing weak consumer demand, the real return on new investment may collapse. The neutral real rate identified by Knut Wicksell a century ago – loosely speaking, the interest rate required to bring the economy back to full employment with stable inflation – may even be negative. This explains central banks’ attraction to unconventional monetary policy, such as quantitative easing (QE). The evidence that these policies boost domestic investment and consumption is mixed, at best.

    Another tempting way to stimulate demand is to increase government infrastructure spending. In developed countries, however, most of the obvious investments have already been made. And while everyone can see the need to repair or replace existing infrastructure (bridges in the United States are a good example), badly allocated spending would heighten public anxiety about the prospect of tax hikes, possibly increase household savings, and reduce corporate investment.

    Arguably, industrial countries’ growth potential had fallen even before the Great Recession. Former US Treasury Secretary Larry Summers popularized the phrase “secular stagnation” to describe weak aggregate demand caused by aging populations that want to consume less and the increasing income share of the very rich, who are unlikely to increase their already-large consumption.

    Such structural reasons for slow growth suggest the need for structural reforms: measures that would increase growth potential by spurring greater competition, participation, and innovation. But structural reforms run up against vested interests. As Jean-Claude Juncker, then Luxembourg’s prime minister, said at the height of the euro crisis, “We all know what to do; we just don’t know how to get re-elected after we’ve done it!”

    If growth is so hard to achieve in developed countries, why not settle for lower growth? After all, per capita income already is high.

    One reason to press on is to fulfil past commitments. In the 1960s, industrial economies made enormous promises of social security to the wider public, later augmented by fiscally unsound commitments to public-sector workers. Moreover, growth is necessary for social harmony, because the young – who can always take to the streets in protest – have to work to pay for those commitments to older generations. And if technological change and globalization mean fewer good middle-class jobs for a certain level of growth, more growth is needed to keep inequality from widening.

    Finally, there is the fear of deflation, the canonical example being Japan, where policymakers supposedly allowed a vicious cycle of falling prices, depressed demand, and stagnant growth to take hold.

    In fact, this conventional wisdom may be mistaken. After Japan’s asset bubble burst in the early 1990s, the authorities prolonged the slowdown by not cleaning up the banking system or restructuring over-indebted corporations. But once Japan took decisive action in the late 1990s and early 2000s, per capita growth was comparable to that in other industrial countries. Moreover, the unemployment rate averaged 4.5 per cent from 2000 to 2014, compared with 6.4 per cent in the US and 9.4 per cent in the eurozone.

    True, deflation does increase the real burden of existing debt. But if debt is excessive, a targeted restructuring is better than inflating it away across the board.

    Regardless of these arguments, the spectre of deflation haunts governments and central bankers. Hence the dilemma in industrial economies: how to reconcile the political imperative for growth with the reality that stimulus measures have proved ineffective, debt write-offs are politically unacceptable, and structural reforms frontload too much pain for governments to adopt them easily.

    Developed countries have just one other channel for growth: boosting exports by depreciating the exchange rate through aggressive monetary policy. Ideally, emerging-market countries, funded by the developed economies, would absorb these exports while investing for their future, thereby bolstering global aggregate demand. But these countries’ lesson from the emerging-market crises of the 1990s was that reliance on foreign capital to fund the imports needed for investment is dangerous. In response, several of them cut investment in the late 1990s and began running current-account surpluses, preferring to accumulate foreign-exchange reserves to preserve their exchange-rate competitiveness.

    By 2005, Ben Bernanke, then a governor at the Federal Reserve, coined the term “global savings glut” to describe the external surpluses, especially in emerging markets, that were finding their way into the US. Bernanke pointed to their adverse consequences, notably the misallocation of resources that led to the US housing bubble.

    In other words, before the 2008 global financial crisis, emerging and developed countries were locked in a dangerous symbiosis of capital flows and demand that reversed the equally dangerous pattern set before the emerging-market crises of the late 1990s. In the aftermath of the 2008 crisis, the pattern reversed itself once again, as capital flowed to emerging markets from developed countries, setting up fragilities that will come fully to light as developed-country monetary policy tightens.

    In an ideal world, the political imperative for growth would not outstrip an economy’s potential. In the real world, where social-security commitments, over-indebtedness, and poverty will not disappear, we need ways to achieve sustainable growth. Above all, we need to avoid beggar-thy-neighbour policies, such as unconventional monetary policy or sustained exchange-rate intervention, that primarily induce capital outflows and competitive currency devaluations.

    The bottom line is that multilateral institutions like the International Monetary Fund (IMF) should exercise their responsibility for maintaining the stability of the global system by analyzing and passing careful judgment on each unconventional monetary policy (including sustained exchange-rate intervention). The current non-system is pushing the world toward competitive monetary easing, to no one’s ultimate benefit. Developing a consensus for free trade and responsible global citizenship – and thus resisting parochial pressures – would set the stage for the sustainable growth the world desperately needs.

  12. মাসুদ করিম - ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ (৭:৩১ পূর্বাহ্ণ)

    তিন বিষয়ে এখনও ঐকমত্যে আসেনি ১৯৫টি দেশ

    বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমানোর আয়োজনে এখনও তিনটি বিষয়ে একমত হতে পারেনি ১৯৫টি দেশ। আজ বাংলাদেশ সময় গভীর রাতে প্যারিস চুক্তির বিষয়ে ওই দেশগুলো একমত হতে পারে।

    গতকাল ভোররাত পর্যন্ত তিনটি বিষয়ে প্যারিস চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করতে ১৯৫টি দেশের প্রতিনিধিরা তর্ক-বিতর্ক ও আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন। এই শতাব্দীর শেষে বৈশ্বিক উষ্ণতা কত থাকবে, জলবায়ু তহবিলে শিল্পোন্নত কোন দেশ কত অর্থ দেবে এবং কার্বন নিঃসরণ বিষয়ে জমা দেওয়া বিভিন্ন দেশের অঙ্গীকারনামা কত বছর পর পর্যালোচনা করা হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বাংলাদেশের দাবি অনুযায়ী, স্বল্পোন্নত দেশগুলো জলবায়ু তহবিল থেকে অর্থ পাওয়ার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত আর কোন কোন বিষয় চুক্তিতে থাকছে বা থাকছে না তা নির্ভর করছে শেষ দিনের আলোচনার ওপর। গতকাল ভোর ৫টায় চুক্তির খসড়াটি আবারও চূড়ান্ত করা হয়েছে। গত বুধবার প্রকাশিত খসড়া ছিল ২৯ পৃষ্ঠার। তবে গতকাল ভোরে প্রকাশিত খসড়াটি হয়েছে ২৭ পৃষ্ঠার। গতকাল ভোরেই পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী গতকাল সম্মেলন শেষ হচ্ছে না। চলবে আরও এক দিন।

    বাংলাদেশ দলের প্রধান বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এ বিষয়ে গতকাল সকালের খবরকে জানান, আমাদের দাবি ছিল অভিযোজন খাতে অর্ধেক অর্থায়ন ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে তহবিল পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া। এ বিষয় দুটি চুক্তিতে স্থান পেয়েছে। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে আজ ও আগামীকাল আলোচনা চলবে। আমরা আশা করছি, চূড়ান্ত চুক্তিতেও বাংলাদেশের দাবিগুলো থাকবে।

    কপ-২১-এর সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, সম্মেলনের ফল হিসেবে চুক্তির খসড়াটি প্যারিস আউটকাম হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। মূলত চুক্তিটি এখানে চূড়ান্ত হলেও এটি জাতিসংঘের আরও উচ্চতর স্থানে পাঠানো হবে। কারণ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রাষ্ট্র কোনো চুক্তিতে এই প্রথম একমত হবে। এ কারণে এটিকে জাতিসংঘের স্বীকৃত ছয়টি ভাষায় অনুবাদ করা হবে। এই ভাষাভাষীর রাষ্ট্রগুলো চুক্তিটি অনুমোদন দেবে। তারপর তা জাতিসংঘের সদর দফতর নিউইয়র্কে বান কি মুনের ডাকা একটি বিশেষ সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাক্ষরিত হবে।

    এ ব্যাপারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত সকালের খবরকে জানান, চুক্তিতে এখন পর্যন্ত যে বিষয়গুলো আছে তা বাংলাদেশের স্বার্থ ও দাবির পক্ষেই আছে। অর্থায়ন নিয়ে শিল্পোন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বিতর্ক আছে। কিন্তু সেই বিতর্ক আমাদের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য বড় কোনো সমস্যা নয়। কেননা আমাদের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু তহবিলে টাকা দিতে হবে না, বরং তহবিল থেকে টাকা পাওয়া যাবে, তা চুক্তিতে রয়েছে। তাই বলা যায়, প্যারিস আউটকামে যা আসছে তা ভালোই আসছে।

    তবে গতকাল কোস্ট ট্রাস্ট, বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিএসআরএলসহ ১০টি নাগরিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করে প্যারিস চুক্তিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অনেক স্বার্থই অন্তর্ভুক্ত হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে কোনো দায়দায়িত্ব নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

    Paris climate talks run overtime

    Negotiators at the Paris summit aim to wrap up a global agreement to curb climate change today (Saturday), a day later than expected, reports BSS.

    “We are nearly there. I’m optimistic,” said French Foreign Minister Laurent Fabius, who is chairing the summit.

    Efforts to forge a deal faltered on Friday, forcing the talks to over-run.

    UN Secretary General Ban Ki-moon said the negotiations were the “most complicated, most difficult, but, most important for humanity”.

    Mr Fabius told reporters in Paris that he would present a new version of the draft text on Saturday morning at 0800 GMT, which he was “sure” would be approved and “a big step forward for humanity as a whole”.

    “We are almost at the end of the road and I am optimistic,” he added.

    The summit is entering a final push to try to secure a global agreement that would stake out a long-term strategy for dealing with climate change.

    The French presidency seems to have produced a text with many difficult issues at least partially resolved.

    Vulnerable countries appear to have fared well. The document says money to help them get clean energy and to adapt to climate change should be on the table into the 2020s.

    The statement says that global temperature rise should be held well below 2C, with the ultimate target set at 1.5C. That is what small island states consider safe.

  13. মাসুদ করিম - ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫ (৯:২১ পূর্বাহ্ণ)

    Adoption of Paris Agreement

  14. মাসুদ করিম - ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ (১০:০৫ পূর্বাহ্ণ)

    South Asia should go for common currency

    Chief economist of the World Bank Dr Kaushik Basu recommends that South Asia should go for a common currency like that of the Eurozone as it removes many economic uncertainties.

    “Common currency in the region is possible to go for as the entire region has almost similar culture and languages,” he said.

    The visiting chief economist of the global multilateral development financier was speaking at a public lecture organised by the central bank of Bangladesh.

    “I personally and principally believe in the common currency,” he told his audience.

    Dr Basu, also an Economics professor, noted that there are many uncertainties in human life and business and exchange rate uncertainty is one of them.

    This is not easy thing to do (introducing a common currency) as there again surface many uncertainties after the launch of common currency.

    Referring to the Eurozone, he said in 1999 the introduction of common currency in Europe was just monetary union. They did not realise the importance of the fiscal unions.

    Without elaborating, Dr Basu said: “Wait and see (on the issue).”

    The Bangladesh Bank governor, Dr Atiur Rahman, presided over the lecture session held at a city convention centre.

    Replying to a question whether Bangladesh could grow 8.0 per cent per annum by 2020, the WB economist said this is possible much earlier too.

    He said the savings rate in the country is around 30 per cent while the rate of investment is below 30 per cent — and both are favourable for achieving the 8.0 per cent economic growth a year.

    Bangladesh will not be required to wait until 2020 for attaining 8.0 per cent economic growth, he told the function.

    Dr Basu said the savings rates in Singapore and China are just above Bangladesh’s and so it is possible.

    “I think this (GDP growth) is possible in 2/3 years if the rate of investment is expanded by more 4.0 or 5.0 per cent from the present level.”

    Dr Basu predicted that Bangladesh’s next year economic growth projection would be similar to that of the Chinese growth.

    “If we just compare the growth rate, not size of the economy, Bangladesh and China will be neck-to-neck,” he said.

    Dr Basu said Bangladesh should not worry about the Chinese currency -RMB — with its inclusion in the SDR (special drawing rights) basket of the International Monetary Fund (IMF).

    “I think this will not be a matter of concern for Bangladesh rather it will diversify the SDR basket.”

    In the review conducted in November 2015, the IMF decided that the Renminbi (Chinese Yuan (¥)) will be added to basket effective October 1, 2016.

    The WB chief economist said Bangladesh has many challenges in its openness of the economy. The number-one is to improve the infrastructure — like the ports, electricity and roads. He said business process should be easier for the benefit of the economy.

    “I urge the government of Bangladesh to take measure on the issue,” Dr Basu said.

    The WB chief economist noted that designing right policy is also one of the challenges for the country.

    He hinted that the right policy is to recognise the others about their talents as per the game theory. Dr Basu noted that the inter-country trade in the region is one of the poorest in the world.

    He believes India has big responsibility about it and differences should be annulled.

  15. মাসুদ করিম - ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ (১০:১১ পূর্বাহ্ণ)

    China wants to fix price in RMB instead of USD

    China has proposed that Bangladesh sign a loan contract on procurement of six vessels in Renminbi (RMB) instead of US dollar (USD) as part of its move to establish its official currency as an international one, officials said.

    The Bangladesh Shipping Corporation (BSC) has agreed to sign the preferential loan agreement in RMB since it financially favours Bangladesh, they added.

    The International Monetary Fund (IMF) in late last month agreed to add RMB (Yuan) as a reserve currency to its basket, a recognition to its strides into a global economic system mainly dominated by the US, Europe and Japan for decades.

    The BSC has entered into negotiations with China National Machinery Import and Export Corporation (CMC) for buying six vessels — three bulk carriers and three oil tankers — with funding from Exim Bank of China.

    BSC managing director H R Bhuiyan told the FE on Sunday that China nowadays prefers to extend loan in its own currency instead of USD.

    “Not only the loan for BSC, China is also willing to offer other loans in RMB to Bangladesh in future,” he said.

    Mr Bhuiyan said the rate offered by the CMC for the conversion of USD into RMB, has been found profitable for Bangladesh. “So, we have agreed to get the loan in RMB,” he added.

    The BSC and the CMC signed a commercial contract under which the former will be buying vessels worth US$ 184.50 million from China.

    For the conversion of loan into RMB from USD, the two companies will have to sign an addendum, the CMC informed the BSC.

    Following the commercial contract, a framework agreement and a financial loan agreement are due to be signed between Bangladesh and China. The Chinese Exim Bank wants the deals to be signed by the current month, officials said.

    According to officials, presently the BSC has 13 ships in its fleet. Of them, one is container ship, 10 are product carriers and two are lighterage tankers. The ships were built between 1979 and 1991 and many are in need to be replaced immediately.

    Established in 1972, the BSC has been tasked with carrying bulk cargo, food grain and crude oil, chartering, tramping and feeder services, unloading and providing agency service and ship repairing.

  16. মাসুদ করিম - ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ (৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ)

    ভূমেন্দ্র গুহর অপ্রকাশিত একগুচ্ছ কবিতা

    ভূমেন্দ্র গুহ প্রয়াত

    কলকাতা মেডিকেল কলেজে ডেভিড হেয়ার ব্লকে যে কার্ডিওথোরাসিক বিভাগটি একদা কর্মজীবনে ছিল তাঁর সন্তানতুল্য, সেখানেই ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের একটি সাধারণ বেডে রবিবার ভোরে প্রয়াণ ঘটল ভূমেন্দ্র গুহর। প্রস্টেটে ক্যানসার, বিখ্যাত চিকিৎসক হয়েও ৩ বছর ধরে চিকিৎসা যে করাননি, একে তো স্বেচ্ছামৃত্যুই বলতে হবে! জন্ম ১৯৩২–এর ২ আগস্ট। বাবা নগেন্দ্রনাথের ছিল রেলের চাকরি। সেই সূত্রে তৎকালীন মধ্যপ্রদেশের বিলাসপুরে জন্ম হলেও আদ্যন্ত বরিশালের মানুষটির পিতৃদত্ত নাম ভূমেন্দ্রনাথ গুহরায়, সেখান থেকে বিখ্যাত চিকিৎসাবিজ্ঞানী প্রফেসর বি এন গুহরায়, অবসর নেওয়ার পর কবি ও জীবনানন্দ দাশের জীবন ও রচনাবলির নিবেদিতপ্রাণ গবেষক ভূমেন্দ্র গুহ— পথটি বড়ই দীর্ঘ, জটিল, মেধাপ্রত্যাশী এবং অসম্ভব শ্রমসঙ্কুল। মেধাবী মানুষটির ছিল সৃষ্টিশীল মন। গড়পড়তা চিকিৎসকের জীবন তিনি তাই যাপন করতে পারেননি। পেয়েও গিয়েছিলেন তেমনই এক শিক্ষক প্রফেসর এ কে বসুকে। এস এস কে এম–এ ভারতে হৃদযন্ত্রে প্রথম সফল অস্ত্রোপচারটি ১৯৬৪–তে যখন করেন তাঁর এই শিক্ষক, তিনিই ছিলেন প্রধান সহযোগী। পরে অসংখ্য অস্ত্রোপচার করে অসহায় মানুষকে যেমন হৃদরোগমুক্ত করেছেন, তেমনই এই সংক্রান্ত গবেষণাও রয়েছে। তাঁর বেশ কিছু গবেষণাপত্র প্রকাশিত ও চর্চিত হয়েছে দেশ–বিদেশের বিখ্যাত পত্রপত্রিকায়। সিরোসিস অফ লিভার যে অস্ত্রোপচার করে সারানো যায়, সেই পদ্ধতির তিনিই আবিষ্কারক। যকৃতের ওই অস্ত্রোপচারটি চিকিৎসাশাস্ত্রে ‘গুহরায় অপারেশন’ নামে খ্যাত হয়ে আছে। চাকরি থেকে অবসর নিলেও কর্মজীবন থেকে অবসর তাই নেওয়া হল না। কবিতা লেখার সূত্রে তরুণ বয়সে ‘ময়ূখ’ পত্রিকার দলে ভিড়ে আচমকা আলাপ জীবনানন্দ দাশের সঙ্গে। অবসর নেওয়ার পর শুরু হয় নিজের লেখালিখি নিয়ে ব্যস্ততা, একই সঙ্গে জীবনানন্দ দাশের অপ্রকাশিত রচনার উদ্ধারকাজ। প্রথম কবিতার বই ‘যম’। উপন্যাস, ছোটগল্প যেমন লিখেছেন, র‍্যাঁবোর অনুবাদও করেছেন ভূমেন্দ্র গুহ। পেয়েছেন রবীন্দ্র পুরস্কার ২০০৫–এ, ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’–র জন্যে। দ্বিতীয় কাজটি, অর্থাৎ জীবনানন্দ–বিষয়ক গবেষণার কাজটি, গত কুড়ি বছর ধরে এতই নিষ্ঠার সঙ্গে করেছেন তিনি যে তাঁকে পুলিনবিহারী সেনের সঙ্গে তুলনা করা যায়। রেখে গেছেন এক কন্যা ও স্ত্রী। এবং তাঁর বহু অনুরাগীজন।

  17. মাসুদ করিম - ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ (১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ)

    The lost genius of Mozart’s sister

    Nannerl Mozart was a child prodigy like her brother Wolfgang Amadeus, but her musical career came to an end when she was 18. A one-woman play puts her back on the stage, where she belongs

    “I am writing to you with an erection on my head and I am very much afraid of burning my hair”, wrote Nannerl Mozart to her brother Wolfgang Amadeus. What was being erected was a large hairdo on top of Nannerl’s head, as she prepared to pose for the Mozart family portrait.

    It was that hairdo that drew my attention. Nine years ago I was visiting Vienna for the 250th birthday celebrations of Wolfgang Amadeus, and I was thrilled to explore the city following in Wolfi’s footsteps, many of which turned out to be Nannerl’s as well. At the Mozarthaus Vienna – Wolfgang’s apartment – on the exit wall, as if by an afterthought, there was a little copy of the Mozart family portrait. I saw a woman seated at the harpsichord next to Wolfgang, their hands intertwined, playing together.

    I grew up studying to become a violinist. Neither my music history nor my repertoire included any female composers. With my braided hair I was called “little Mozart” by my violin teacher, but he meant Wolfi. I never heard that Amadeus had a sister. I never heard of Nannerl Mozart until I saw that family portrait.

    I was intrigued and determined to find out more. I read Wolfgang Mozart biographies, studied the situation of women and female artists during Mozarts’ time and in different countries, read writings of Enlightenment philosophers, conduct manuals … But the richest source of information came from the Mozart family letters. There are hundreds, and we have them because Nannerl preserved them. Most are written by Leopold and Wolfgang but some of Nannerl’s letters survived as well. Through these letters, sometimes only from the replies to her lost letters, Nannerl slowly emerged. I was able to understand the Mozarts as people, as a family, and through the lens of the times and the social situation in which they lived. I saw Nannerl’s potential, her dreams, her strength, grace and her fight.

    Maria Anna (called Marianne and nicknamed Nannerl) was – like her younger brother – a child prodigy. The children toured most of Europe (including an 18-month stay in London in 1764-5) performing together as “wunderkinder”. There are contemporaneous reviews praising Nannerl, and she was even billed first. Until she turned 18. A little girl could perform and tour, but a woman doing so risked her reputation. And so she was left behind in Salzburg, and her father only took Wolfgang on their next journeys around the courts of Europe. Nannerl never toured again.

    But the woman I found did not give up. She wrote music and sent at least one composition to Wolfgang and Papa – Wolfgang praised it as “beautiful” and encouraged her to write more. Her father didn’t, as far as we know, say anything about it.

    Did she stop? None of her music has survived. Perhaps she never showed it to anybody again, perhaps she destroyed it, maybe we will find it one day, maybe we already did but it’s wrongly attributed to her brother’s hand. Composing or performing music was not encouraged for women of her time. Wolfgang repeatedly wrote that nobody played his keyboard music as well as she could, and Leopold described her as “one of the most skilful players in Europe”, with “perfect insight into harmony and modulations” and that she improvises “so successfully that you would be astounded”.

    Like Virginia Woolf’s imagined Shakespeare’s sister, Nannerl was not given the opportunity to thrive. And what she did create was not valued or preserved – most female composers from the past have been forgotten, their music lost or gathering dust in libraries. We will never know what could have been, and this is our loss.

    Director Isaac Byrne and I searched for the ghost of Nannerl, and the story she needed to tell in my one-woman play. Period-style movement transports us to the Mozarts’ time using delicate gestures, court bows and curtsies, and the language of fans.

    To create the 18th-century world of opulence and of restriction, the set became an enormous dress which spills over the entire stage (designed by Magdalena Dabrowska), with a corset/panniers cage on top. Finally the hair stands as tall as Nannerl’s, after we found the right hairspray to hold it all up-up-up – and yes, it is all my own hair.

    Creating music for the show was down to two composers, Nathan Davis and Phyllis Chen, who chose, rather than to try to re-create Nannerl’s compositions, to portray her musical imagination, using the sounds she would have had in her ears: the fluttering of fans, tea cups, music boxes, bells, clavichords.

    I’ve been touring The Other Mozart for the last two years: this month marks its 100th performance, how fitting that it will take place just a few steps away from where Nannerl performed in London as a girl.

    It has been a long journey to bring Nannerl back to England after an absence of 250 years. I sometimes feel like Leopold Mozart – on a quest to show the world this brilliant Mozart.

  18. মাসুদ করিম - ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ (১:৫৮ অপরাহ্ণ)

    অশোক সেন: কিছু ব্যক্তিগত স্মৃতি

    দীপঙ্কর দাশগুপ্ত:অধ্যাপক অশোক সেন— অর্থনীতিবিদ, সাহিত্যরসিক, কলকাতার সঙ্গীত, নাটক, সংস্কৃতি জগতের সঙ্গে অনেক বছর ধরে যাঁর অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক, সেই অশোক সেন আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। স্বভাবসুলভ শান্ত মানুষটি নিপাট ভদ্রলোক, নিঃশব্দে, কোনও শোরগোল না করে অনন্তে বিলীন হয়ে গেলেন।
    অশোক সেনকে আমি কলকাতার সমাজবিজ্ঞান কেন্দ্রের বিশিষ্ট অধ্যাপকদের একজন বলে জানতাম। আমি তখন ভারতীয় সাংখ্যিকীয় সংস্থার দিল্লি শাখায় অধ্যাপনা করি। কলকাতায় সমাজবিজ্ঞান কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছিল ১৯৭৩ সালে আর গোড়ার দিকেই আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেখানে চাকরি নিয়ে চলে আসে। পার্থকে চেনার সুবাদেই সমাজবিজ্ঞান সংস্থার সুবিখ্যাত কিছু কিছু অধ্যাপককে দেখতে পেয়েছিলাম। একমাত্র অধ্যাপক অমিয় বাগচীকে আমি আগে থেকেই জানতাম, কারণ উনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির এম এ ক্লাসে আমাদের পড়াতেন। বাকি সকলেই আমার অপরিচিত— যেমন অধ্যাপক বরুণ দে, অধ্যাপক অশোক সেন এবং আরও অনেকে। তার চেয়েও বড় কথা, তাঁদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা থেকেও আমি নিজেকে বিরত রেখেছিলাম।
    ওই সংস্থায় খুবই উচ্চমানের অর্থনীতির গবেষণা হত। তা সত্ত্বেও দূরত্ব বজায় রেখেছিলাম, কারণ সে যুগে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে একটা তাত্ত্বিক বিভাজন ছিল, যার শুরু ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও আমেরিকার এম আই টি–র মধ্যে এক তাত্ত্বিক ঝগড়া থেকে। আমি তখন সবে আমেরিকা থেকে গবেষণা সেরে দেশে ফিরেছি। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি সম্পর্কে প্রায় পুরোপুরি অজ্ঞান ছিলাম। অন্যদিকে কলকাতা শহরে তখন কেমব্রিজ–ফেরতদের বিরাট দাপট। তাই কেন্দ্রের সকলকেই এড়িয়ে চলতাম। এমনকী অধ্যাপক অশোক সেনের মতো একজন অতি স্নেহশীল মানুষকেও।
    আমাকে দিল্লি থেকে কলকাতা চলে আসতে হয় বদলি হয়ে। আর তার কিছুদিনের মধ্যেই পার্থ এবং আমার দুজনেরই নাটক সম্পর্কিত আগ্রহের ভিত্তিতে স্থাপিত হয় ভাস নাট্যসংস্থা। সেই সংস্থা একটিমাত্র নাটক, সধবার একাদশী, মঞ্চস্থ করার পরেই পাততাড়ি গোটায়। কিন্তু যতদিন নাটকের দল জীবিত ছিল, অশোকদা এগিয়ে এসে প্রচুর উৎসাহ দিয়েছিলেন। তখনই অশোকদার লেখাপড়ার জগতের বাইরেও বহুবিধ উৎসাহের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম। মাঝে মাঝেই চলে আসতেন আমাদের মহড়া দেখতে এবং মনে হত নিতান্ত বালখিল্যদের সঙ্গে মিশে গিয়ে উনি উদ্ভুত আনন্দ উপভোগ করছেন। এটা খুবই বিস্ময়ের ব্যাপার ছিল, কারণ আমরা জানতাম যে উনি শম্ভু মিত্রের মতে নাট্যপ্রতিভার কাছের মানুষ। ওনার বারোমাস পত্রিকার আহ্বানে কলামন্দির মঞ্চে শম্ভুবাবু রাজা অয়দিপাউস নাটকের পর পর দুটি প্রযোজনা করেছিলেন। কিন্তু অশোকদার মধ্যে সে–সব নিয়ে কোনও দম্ভের চিহ্নমাত্রও ছিল না। উনি নাটক ব্যাপারটাকে এতই ভালবাসতেন যে যতটা আগ্রহের সঙ্গে অয়দিপাউস দেখতেন, ঠিক যেন ততটাই আগ্রহের সঙ্গে আমাদের নাটক কতদূর এগোল তার খোঁজ রাখতেন।
    নাটকটি সাফল্যের মুখ দেখেনি। ফলে নাট্যসংস্থা লাটে উঠল। এমন সময় একদিন আমায় দেখতে পেয়ে হাসিমুখে এগিয়ে এসে বললেন— আরে তোমরা নাকি আর নাটক করবে না? আমি বললাম— কী করে আর করি বলুন। সকলে এতটাই নিন্দামুখর, যে আমার আর এ ব্যাপারে কোনও আত্মবিশ্বাস নেই। শুনে উনি তো অবাক। বললেন— আরে এরকম তো হবেই। সকলেরই এসবের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এত সহজে ছেড়ে দেবে কেন? এর যে কী উত্তর হবে আমার জানা ছিল না। তাই আলোচনা বা নাটক কিছুই আর এগোল না।
    কিন্তু নাটক নিয়ে অশোকদার সঙ্গে সম্পর্ক আমার সেখানেই শেষ নয়। কারণ ওই সময়কালেই উনি আমাকে বারোমাস পত্রিকায় অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নান্দীমুখ গোষ্ঠী অভিনীত পাপপুণ্য নাটকের একটা সমালোচনা লেখার ভার দিয়েছিলেন। আমার ক্ষমতায় যতটা কুলোয় আমি লিখেছিলাম আর পার্থর মুখে শুনেছিলাম উনি খুশিই হয়েছিলেন। সমালোচনাটি উনি ছেপেওছিলেন কোনও একটি সংখ্যায়। তবে নাট্যমঞ্চের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক চুকে যায় ওই সময় থেকেই। অভিনয় করা তো দূরে থাক, অভিনয় দেখার উৎসাহ পর্যন্ত আমার উবে যায়।।
    আর তারপর অশোকদার সঙ্গেও আমার যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যোগাযোগ আবার হল, অন্তত কুড়ি বছর পর। তখন আমি অধ্যাপনার চাকরি থেকে অবসর নিতে চলেছি। সমসাময়িক অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে মাঝেমধ্যে টেলিগ্রাফ কাগজে লিখি। একদিন সকালে হঠাৎ এক টেলিফোন। অপর প্রান্ত থেকে শোনা গেল— আমি অশোক সেন বলছি। খুবই অবাক আমি শুনে। অশোকদা আমাকে কেন ফোন করছেন কিছুতেই ভেবে পাচ্ছিলাম না। তবে দুশ্চিন্তা উনি নিজেই দূর করলেন। বললেন— আমি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় তোমার লেখা পড়ি। অনেকে তো অনেক কিছুই লেখে, কিন্তু তোমার লেখা পড়ে মনে হল আমার চিন্তাধারার সঙ্গে তোমার চিন্তার মিল আছে। তারপর উনি বললেন— তুমি আমার কাগজে একটা লেখা দাও না কেন? কাগজ তো এখন বছরে একবারই বেরোয়, পুজোর সময়। সেই শারদীয়া বারোমাসের কথাই বলছিলেন উনি। আমি যেন ঠিক বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে প্রখ্যাত বারোমাস পত্রিকার সম্পাদক আমাকে নিজে ডেকে কিছু লিখতে বলছেন। আমার স্থির বিশ্বাস ছিল যে এমন কাজ আমার অসাধ্য। তাই বললাম— কিন্তু অশোকদা, আমি তো টেলিগ্রাফ পত্রিকায় ইংরেজিতে লিখি। আমি কি বাংলায় অর্থনীতি লিখতে পারব? উনি আমার অপারগতার কথাটা প্রায় উড়িয়ে দিলেন। বললেন— বাংলায় লিখতে পারবে না, এটা একটা কথা হল! তাই রাজি হতেই হল।
    অশোকদা যে এক অসাধারণ সম্পাদক ছিলেন তা বুঝলাম মাসখানেকের মধ্যেই। আরেকটি ফোন। তোমাকে মনে করিয়ে দিচ্ছি লেখাটার কথা। তাড়া নেই কোনও, কিন্তু পুজোসংখ্যা তো, তাই একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাপাখানায় পাঠাতে হবে। তুমি অমুক মাসের মধ্যে দিলেই হবে। তাই হলও। আমি সময়সীমার মধ্যেই লেখা তৈরি করে পৌঁছে দিয়ে এলাম। ঠিক দু’দিনের মধ্যেই আবার ফোন। তোমার লেখাটা আমি পড়েছি। আমার তো বেশ ভালই লাগল। তুমি মিছিমিছি অত ভয় পাচ্ছিলে কেন? শুনে স্বস্তির দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। আমার লেখা যে বাংলা কোনও পত্রিকায় ছাপা হতে পারে এটা আমি চিন্তাই করতে পারিনি। আর সত্যি কথা বলতে এরপর থেকেই আমি বাংলায় লেখাও শুরু করলাম এবং প্রায় নিয়মিতভাবেই আজকাল পত্রিকায় এখনও লিখে থাকি।
    এই ঘটনার পর থেকে প্রত্যেক বছরই অশোকদা জানুয়ারি মাস নাগাদ ফোন করে পুজোর লেখার কথা স্মরণ করিয়ে দিতেন। এমনই চলত, কিন্তু অর্থনীতিতে বাদ সাধল আবার সেই নাটক। আমি অশোকদার বাড়িতে খুব বেশি যাইনি। একদিন বিশেষ কিছু প্রয়োজনে যেতে হয়েছিল। উনি দোতলায় ওঁর সুবিখ্যাত বসার ঘরে নিয়ে বসালেন আর নানা গল্প শুরু করে দিলেন। এ কথা ও কথার মধ্যে নাটক ফিরে এল। আমিও অনেকদিন পর নাটকের স্মৃতিকথা। তার মধ্যে উৎপল দত্তর বিষয়ে কিছু আলোচনা হল, কিন্তু আরও বেশি আলোচনা হল কমলকুমার মজুমদারকে নিয়ে। কমলবাবু যে শুধু সুসাহিত্যিক ছিলেন তা তো নয়। ওঁর প্রতিভা ছিল বহুমুখী। আর তার মধ্যে নাটক ব্যাপারটা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল। সেই প্রসঙ্গে উঠে এল ওঁর পরিচালনায় আমার আলমগীর নাটক করার অভিজ্ঞতার কাহিনী। কমলবাবুর কাছে নাটক করার স্মৃতি আমি কোনওদিনই ভুলব না আর ওঁর নাট্যচিন্তার নানা খুঁটিনাটির কথা আমার মনের মধ্যে প্রায়শই আলোড়ন করে। অশোকদা গভীর আনন্দের সঙ্গে আমার সেই সব নাটকের গল্প শুনলেন এবং তারই মধ্যে অকস্মাৎ বলে বসলেন এরপরের বারোমাসে তুমি কমলবাবুর নাটকের গল্পটা লেখ।
    আরও একবার চমকালাম। এতদিন তো অর্থনীতি ছিল, এবার আবার নাটক? যে নাটকের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্কই আর নেই, সেই নাটক? ভয়ে ভয়ে বললাম— এটা নিয়ে লেখা যাবে তো অশোকদা? উনি যথারীতি উড়িয়ে দিলেন। বললেন— অবশ্যই যাবে, তুমি ভাবতে শুরু কর। এবং শেষ অবধি সত্যিই সেই লেখা বারোমাস পত্রিকায় বেরোল। আমার লেখা পড়ে কেউ প্রশংসা বা নিন্দা কিছুই কখনও করেননি ইতিপূর্বে। কিন্তু এবার আমাকে অবাক করে দিয়ে বহু মানুষ ফোন করে সাধুবাদ জানালেন। এটা একটা বড় প্রাপ্তি। হয়ত আমার জীবনে এত বড় প্রাপ্তিযোগ আর কোনওদিনই আসেনি। এবং এই ব্যাপরটার জন্য আমি পুরোপুরিই অশোকদার কাছে ঋণী। সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি এল তালপাতা প্রকাশনী থেেক। তাদের কর্ণধার শ্রী গৌতম সেনগুপ্ত ফোন করে জানালেন কমলবাবু এবং সেই সময়কার অন্যান্য যাঁদের সংস্পর্শে এসেছি তাঁদের সকলকে নিয়ে একটা বই লিখতে। যথারীতি আমি জানালাম এ কাজ আমার ক্ষমতার পুরোপুরি বাইরে। কিন্তু গৌতম মানলেন না। বললেন, আপনাকে পনেরো দিন পরে পরে ফোন করে যাব। আপনি ভাবতে থাকুন। আর আশ্চর্যের কথা হল, সত্যিই সেই প্রতি পনেরো দিনের ফোনাঘাত থেকে শেষ পর্যন্ত জন্ম নিল আমার ১৬ নং ম্যান্ডেভিল গার্ডেন্স বইটি।
    এবং সেই যে অশোকদা পথ দেখিয়ে দিলেন, তারপর কমলবাবুকে নিয়ে আরও লেখা, জন্মশতবর্ষ বক্তৃতা, ও নানা সমালোচনা প্রবন্ধর সৃষ্টি হয়েছে। অশোকদাকে অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাসের গবেষক বা ছাত্ররা চেনে একভাবে। আমি চিনতাম একেবারেই অন্য এক ভাবে। বারোমাস পত্রিকায় অর্থনীতি বিষয়ক লেখা লিখেছি ঠিকই, কিন্তু অর্থনীতি নিয়ে ওঁর সঙ্গে আমার যা কথাবার্তা হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে সাহিত্য বা নাটক নিয়ে। একটি ঘটনা মনে পড়ছে। একদিন ফোন করে আমাকে বললেন— Hamlet নাটকে, nunnery শব্দটা কী অর্থে ব্যবহার হয়েছিল খুঁজে বের করতে পার? আমি যথাসাধ্য খুঁজলাম এবং একটা নোট তৈরি করেও পাঠালাম। উনি পড়ে বেজায় খুশি। বললেন— দারুণ উপকার করলে তুমি। কেন যে উপকার তা আমি তখন বুঝিনি। পরে বুঝেছিলাম সম্প্রতি কালে বাংলায় Hamlet নাটকটি দেখে। সে নাটকে Hamlet–এর বিখ্যাত দৃশ্যে “Get thee to a nunnery”–র অনুবাদ করা হয়েছে ‘তুমি বেশ্যালয়ে যাও’। যদিও Shakespeare–এর যুগে ‘nunnery’ শব্দটির এই জাতীয় একটা অর্থও করা হত, কিন্তু আমি নিশ্চিত যে সেই অর্থ Hamlet নাটকের ক্ষেত্রে একেবারেই প্রযোজ্য নয়। আমি পরে অশোকদাকে সেই কথা বলেছিলাম। উনিও আমার সঙ্গে একমত পোষণ করেছিলেন। এমনকি একথাও জানিয়েছিলেন যে Hamlet চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছিলেন তিনি নিজেও এই অদ্ভুত প্রয়োগ মেনে নিতে পারেননি।
    অশোকদা এতটাই স্নেহশীল ছিলেন যে আমার অন্যান্য পাগলামোও হাসিমুখে সহ্য করতেন। যেমন আমার হঠাৎ শখ জাগল উত্তর– রবীন্দ্রনাথ যুগের কিছু বাংলা কবিতার ইংরেজি অনুবাদ করব। শুরুও করলাম, কিন্তু কাকে পড়াব? তখন অশোকদার কথা মনে এল। ওঁকেই পাঠাতে শুরু করলাম আর উনিও মহা উৎসাহে সে–সব লেখা পড়তে শুরু করলেন। সুধীন দত্তর উটপাখী কবিতা অনুবাদ করতে গিয়ে এক জায়গায় খটকা লাগায় অশোকদাকেই জিজ্ঞেস করলাম। দিনকয়েকের মধ্যেই রহস্যের সমাধান করে উনি আমাকে ফোন করলেন।
    আমারও বয়স হচ্ছে, একটা দুঃখ গত কয়েকদিন ধরে শেষ বিকেলের ছায়ার মতো বড় হচ্ছে। এরপর যদি আবারও কোনও কিছুতে আটকে যাই, তবে কাকে ফোন করব জানি না।

  19. মাসুদ করিম - ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ (৩:২১ অপরাহ্ণ)

    Dueling Fatwas, More Dissention As Afghan Taliban Leadership Struggle Intensifies

    The Taliban war machine is in full-swing. Insurgents are grabbing more land in the Afghan countryside while pulling off sophisticated attacks in the cities.

    The insurgent violence has intensified despite snow covering the Hindu Kush Mountains, which has traditionally heralded a lull in fighting during the harsh winter.

    The Taliban, however, are unlikely to convert their battlefield advantage into solid political gains, as the insurgents grapple with a complex and deepening leadership struggle.

    This month various Taliban factions issued lengthy fatwas, or Islamic religious edicts, either challenging or defending Mullah Akhtar Muhammad Mansur’s right to succeed the Taliban’s founding leader Mullah Mohammad Omar. Omar’s death was confirmed by insurgents in late July, more than two years after his actual death in April 2013. Following the announcement, Mansur assumed the Taliban leadership in a hasty transition.

    The former aviation minister was said to have already been the de-facto Taliban leader in the years preceding Omar’s death, and he managed to tighten his grip on power by appointing loyalists to key posts in the Taliban leadership council. But his formal appointment in July divided the council, with some leaders and commanders forming separate factions and others resigning from their posts.

    In the latest blow to Mansur’s legitimacy, former top Taliban military commander Mullah Abdul Qayyum Zakir has questioned his leadership. In a letter attributed to Zakir posted by a website run by a former Taliban leader, Zakir accused Mansur of making a power grab after the news of Mullah Omar’s death was made public this summer.

    In the Pashto-language letter published December 9, Zakir claims that he boycotted the deliberations to choose Omar’s successor after his suggestion to consult key Taliban field commanders and all leadership council members were rejected.

    “As a result, today we see that the Taliban movement is divided into many factions. Many Taliban members have been killed and scores injured in infighting among these groups,” he wrote.

    Zakir claims that he knew of Omar’s death back in 2013 and didn’t object to the changes in the leadership council that began months after his death. “For the sake of Taliban unity, I conveyed my advice to Mansur secretly, but it was never accepted,” he wrote.

    Such festering disagreements between fugitive Taliban leaders boiled to the surface this summer.

    Hundreds of fighters have died in clashes between Mansur’s supporters, who sill identify themselves by the movement’s formal name, the Islamic Emirate of Afghanistan, and former Taliban commanders and leadership council members.

    Mullah Masoor Dadullah, the younger brother of the late Taliban commander Mullah Dadullah, has been the most prominent casualty of Taliban infighting so far. Dadullah, his elder bother Haji Lala, and many members of their families and loyalists were killed during fierce clashes in the southern Afghan province of Zabul last month.

    Mansur’s faction also claims to have crushed the Central Asian fighters affiliated with the Islamic State militants and allied with Dadullah. The predominantly Uzbek fighters were previously associated with the Islamic Movement of Uzbekistan.

    A least a hundred more fighters were killed this month in clashes between Mansur’s supporters and militants loyal to a rival faction led by Mullah Mohammad Rasul in the western Afghan province of Herat.

    Zakir is now calling on all factions to stop fighting. “If you are fighting for your name, ego, weapons, home region, tribe, or personal benefits, then how can you claim to be different than the [anti-Soviet] mujahedin [whose infighting and atrocities] prompted Mullah Mohammad Omar and the Taliban movement to rise up against them [in the 1990s],” he said.

    Zakir was a key military commander during the Taliban stint in power in the 1990s. He spent seven years in the U.S. detention center at Guantanamo Bay after the demise of the Taliban regime in 2001. He rose through the Taliban ranks after his release in 2009. As a deputy to Mullah Omar and the top military commander, he led a Taliban counter-offensive after the U.S. and NATO troops surged to nearly 150,000 in 2010.

    Zakir emerged as Mansur’s key rival in 2013, but went into isolation after he was sacked by Mansur in 2014. While claiming to remain neutral in the Taliban leadership struggle so far, Zakir now appears to getting even with Mansur.

    In the closing sentence of his letter, Zakir backed a recent fatwa by former leading pro-Taliban clerics who questioned Mansur’s status as Amir al-Muminin, or Leader of The Faithful, the formal title of the Taliban leader.

    The 15-page fatwa makes complicated theological arguments and cites Sunni Islamic texts extensively to challenge Mansur’s selection in July.

    “We do not have a legitimate Amir al-Muminin compliant with Sharia law in Afghanistan today,” the fatwa declared. “We don’t have anyone whose orders are obligatory, so the mujahedin [Taliban] should not declare each other rebels.”

    In a direct challenge to Mansur’s leadership, the fatwa calls on the Taliban to stop obeying a leader whose pronouncements do not comply with the teaching of Sharia.

    In addition to eliminating dissidents, Mansur’s supporters are using the formidable insurgent propaganda machine to forcefully counter theological arguments questioning his leadership.

    Muhammad Ismail Rahmani, a senior Taliban cleric issued a lengthy rebuttal to the fatwa. In the 40 minute audio recording posted on the Taliban Voice of Jihad website on December 9, Rahmani says that 25 clerics choose Mansur as Mullah Omar’s successor in July.

    “His [Mansur’s] appointment is absolutely inline with [the teachings] of Islamic Sharia law,” Rahmani claimed. “He meets all the requirements of a Muslim leader. He is a [true] Muslim [believer]. He is independent, wise and capable and he is learned in Islamic [theological] studies and has successfully braved many crises.”

    Rahmani argues that obeying Mansur is obligatory for all Taliban members. “Those who oppose him are wrong,” he claimed. “If anyone has doubts, I am ready to sit with them and try to convince them in the light of [religious] texts.”

    A lengthy essay on a pro-Taliban website mocked some of the 30 clerics who signed the anti-Mansur fatwa. It call some of the clerics “habitual conspirators.”

    “They are posing as if they are trying to prevent infighting and bloodshed among Muslims but instead they are provoking a grand rebellion,” the essay said.

  20. মাসুদ করিম - ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ (১০:৩৫ অপরাহ্ণ)

    Remembering Sadhana: The actress who gave India two classic fashion trends

    “What does one say about an actor who’d say much with one gesture or look?” asked the saddened Bharat Ratna nightingale Lata Mangeshkar. “I only learnt late in the day about Sadhana’s passing away. She was one of my favourite actresses. I’m happy to have given playback for songs filmed on her. That many of my songs filmed on her are still favourites with youngsters shows how her acting reached out to people across ages. I pray for her soul to rest in peace.”

    The songstress was reacting to the passing away of the septuagenarian Sadhana Shivdasani around 8 am on Friday. Ailing with repeated bouts of fever for over fortnight she’d been in and out of hospital twice.

    Her close family friend (and counsel in the three cases related to the Sangita bungalow where she lived) Ameet Mehta told dna, “Her fever shot up on Wednesday and we rushed her back to S L Raheja hospital where she was responding well to treatment. We were thinking of getting her home for Christmas.”

    However that was not to be. “She woke up cheerfully and even had tea around 7 am. Later she complained of uneasiness and breathlessness. The medical team did their best for over an hour but she breathed her last.”

    Songs filmed on her like O Sajana Barkha Bahar Aayee (Parakh, 1960) or the ones like the title track of Mera Saaya(1966) composed by the Afghan Ustad Mohammed Hussain Sarhang and others like Lag Ja Gale and Nainon Mein Badra Chhaye by Madan Mohan are still seen as the most iconic songs ever.

    Another song sung by Mangeshkar’s younger sister Asha Bhosle – Jhumka gira re – too remains one of the most requested on radio because of the way Sadhana danced her way into audiences’ hearts. Repeated attempts to reach Bhosle for comment drew a blank.

    Sadhana, it will be recalled, had been bitter and often complained about being made to run around legally fighting to save her home on the ground floor of the Sangita bungalow, which was originally owned by Ganpat V Bhosle, Asha Bhosle’s late husband.

    Her friends and acting legends Waheeda Rehman and Asha Parekh visited the family to express their condolences on Friday. Most of the film fraternity will pay respects at the Santa Cruz crematorium where the late rites are to be performed at noon on Saturday.

    Veteran actress and vamp Shashikala who has acted in three films with Sadhana including Waqt broke down when dna spoke to her. “She had one of the most beautiful faces of the Indian screen with the most astonishingly good figure. How she did that despite being such a foodie always remained a mystery to me.”

    She recounted how the large-hearted actress would get her personal cook to come over to the sets with all his paraphernalia and cook for the entire unit. “Pakodas, dal pakwan and bee ki chaat. Just the memory of her generosity saddens me to think that she is no more.”

    Born a year before the WWII ended, Sadhana was named after her father’s favourite actress, Sadhana Bose. He was so protective of her that she home-schooled till she was 8. By then Partition cast an ominous shadow over the region and rioting got ugly. The family fled from Karachi to Mumbai on a steamer with their barest minimum.

    Hardship saw them looking for work. Her paternal uncle Hari Shivdasani (father of Babita, whose daughters Karishma and Kareena have ruled the silver screen) knew some film folk and found the 15-year-old Sadhana a place among background dancers behind yesteryear’s late glam vamp Nadira in Mud Mud Ke Na Dekh (Shree 420).

    That led to being cast in India’s first Sindhi film Abana in 1960, where she played the lead Sheila Ramani’s younger sister. Sadhana often recounted asking for Ramani’s autograph. “Sheilaji told me, ‘There’ll be a day when I’ll come looking for your autograph.’ Her words were prophetic!”

    Seeing her photograph in the promotional material for the Sindhi film, producer Subodh Mukherjee offered her the lead in Love in Simla (1959) opposite his debutante son Joy Mukherjee. This film was directed by another debutante RK Nayyar.

    Well-known Marathi film director and brother of the late actor Nanda (a close friend of Sadhana) Jayprakash Karnataki remembered how the triple-debutantes’ film took the country by storm. “RK Nayyar felt she her forehead was too broad. He asked her to get a fringe with bangs like Audrey Hepburn who was his favourite,” he remembers, “This not only became her signature look, but every girl wanted it though beauty and hair salons were hard to come by then.” He recounts watching the movie thrice. “I was head over heels with her expressive eyes, smile and that hairstyle.”

    Love blossomed on the sets of her first film but Sadhana’s parents were opposed to her closeness to director Nayyar even threatening to take legal action against him. They eventually came around seven years later.

    Her 1963 Muslim social (yes, Bollywood had that genre) Mere Mehboob opposite Rajendra Kumar was such a big blockbuster that she went on to become the highest paid actress alongside reigning silver screen queen Vyjanthimala.

    Dancing sensation, Jayshree T (Karnataki’s wife) remembers how post 1970, for over two years, her sister-in-law Nanda and Sadhana were the go-to actresses for every filmmaker. “Except for formal greetings the duo hardly interacted. Much later in the mid 80s that Sadhanaji became part of the group which had Helenji, Waheedaji, Ashaji (Parekh) and my sis-in-law. They became very close and she often came over. Last year when my sis-in-law passed away, she came and spent a long time consoling us.”

    Sadhana became the poster girl for the mystery-thriller genre with Raj Khosla’s Woh Kaun Thi? (1964), which left the box office in a tizzy with record collections. Such was effect that, Khosla directed her in two more suspense thrillers, Mera Saaya (1965) and Anita (1968).

    But all these would pale in front of the blockbuster Waqt (1965) opposite Sunil Dutt. The tight fitting chudidaar set (another trend set by Sadhana in a Bhanu Athaiyya design) is still going strong 50 years later.

    Though she took a year-long (1967-68) break for thyroid treatment at Boston, she came back with hits like Inteqaam(1969) and Ek Phool Do Mali (1969). Stung by an ace filmmaker’s (a name she wouldn’t divulge) offer for a character role, she went on to direct herself in a double role in the hit Geeta Mera Naam (1974), opposite Sunil Dutt.

    She did do the odd film like Vandana (1975) later but decided to step into the shadows since. Apart from one outing as a director for a Dimple Kapadia-starrer 14 years later, she chose to lead a life out of the glare of arc lights and cameras which loved her. “I want audiences to remember me as a young, beautiful leading lady,” she’d say.

    Yet the legal battle forced her to face the media and cameras against her wish. Actor Raza Murad who visited the Sadhana’s residence to meet the family told dna, “In real life or reel, anyone who saw her was smitten by her grace, simplicity and charm. As a fan, I can only use a song from her own film with Dev saab Hum Dono to still plead: Abhi Na Jao Chhod Ke, Ki Dil Abhi Bhara Nahin…”

  21. মাসুদ করিম - ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ (৬:৫৩ অপরাহ্ণ)

    Big deal with Russia sealed for building first BD N-power plant

    Dhaka and Moscow signed a major construction deal for building Bangladesh’s maiden nuclear power plant with a capacity of 2,400 megawatts (MW). The cost is US$12.65 billion.

    Bangladesh Atomic Energy Commission (BAEC) inked the deal with Russian firm Atomstroyexport in Dhaka on Friday.

    Bangladesh and Russia earlier on December 15 had endorsed draft of the contract for building the nuclear power plant at Rooppur in Pabna.

    The cabinet committee on economic affairs on December 23 agreed to receive all sorts of services and activities from the Russian Federation as the single source under a general contract to carry out construction of the N-power plant.

    “The nuclear power plant to be built by the Russian firm will be safe to the highest level,” Science and Technology Minister Yafes Osman told the FE Saturday.

    The Russian firm would utilise tested technology to ensure its safety, he said.

    Brushing aside any criticism concerning safety of the power plant, he said there is no confusion about it as Prime Minister Sheikh Hasina instructed all concerned not to compromise on the safety issue.

    “The safety and liability issues would be dealt under the Bangladesh Atomic Energy Regulatory Authority Act 2012,” project director of the nuclear power plant Shawkat Akbar told the FE.

    The plant would have the highest earthquake-tolerance capacity in the world, said Mr Akbar.

    Under the deal, the Russian firm would complete building two nuclear units of 1,200-MW capacity each over the next eight years.

    The first 1,200-MW unit would be commissioned by 2022, while the remaining 1,200-MW one by 2023, he said.

    The project works include transportation of the nuclear reactor and other components, nuclear fuel for an initial four to five years, operation and maintenance and construction of a jetty on the river Padma, adjacent to the project site.

    Russia would finance 90 per cent of the total project cost. Bangladesh would bear the remaining 10 per cent.

    The payback period for the Russian credits is 28 years with initial eight years’ payment-free grace period.

    Russia will supply fuel for the entire life of the plants and spent fuel would be taken back to Russia to avoid any possible hazard.

    Moscow would also help with the decommissioning of the plant.

    The two countries had earlier signed a contract in June to complete the preparatory work for Rooppur nuclear power plant.

    The plant will use Russian AES-2006-model VVERs, said the project director. This technology would be “the latest in the world”.

    “Russia just installed this type of nuclear power plant last week in their country,” he said.

    Mr Akbar said the spadework for the nuclear power plant would be completed by 2016.

    The Russian company, Atomstroyexport, is undertaking structural work valued $190 million at the plant site.

    JSC Niaep, the management company of Atomstroyexport, in October 2013 signed a $265 million agreement with the BAEC to develop the detailed engineering design for the Rooppur plant.

    Bangladesh’s government in January 2013 put construction of the plant on fast track for quick implementation to ease the country’s shortfall in electricity supply.

    Niaep will be completing the engineering design for construction of the nuclear power plant within 18 months and Russia’s state nuclear company Rosatom will construct the plant and supply fuel for the reactors, as well as taking back spent fuel.

    Russia will also manage nuclear waste and help with the future decommissioning of the power plant.

    In January 2013, Russia agreed to lend Bangladesh an initial amount of $500 million to help finance construction of the Rooppur plant.

    The project is a part of government’s Power Sector Master Plan to build 24,000-MW-capacity new electricity-generation facilities by 2021.

    The project’s first phase was approved by the executive committee of the National Economic Council in April 2013.

    A 25-member national committee, headed by the Prime Minister, is working to smooth the implementation of the South Asian country’s first nuclear power plant, Akbar has said.

    Ministers of different departments, secretaries and the prime minister’s adviser on energy affairs are the members of the national committee.

    The government has also formed eight subcommittees to assist in the work, he added.

  22. মাসুদ করিম - ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ (৩:২৭ অপরাহ্ণ)

    Ellsworth Kelly, Who Shaped Geometries on a Bold Scale, Dies at 92

    Ellsworth Kelly, one of America’s great 20th-century abstract artists, who in the years after World War II shaped a distinctive style of American painting by combining the solid shapes and brilliant colors of European abstraction with forms distilled from everyday life, died on Sunday at his home in Spencertown, N.Y. He was 92.

    His death was announced by Matthew Marks of the Matthew Marks Gallery in Manhattan.

    Mr. Kelly was a true original, forging his art equally from the observational exactitude he gained as a youthful bird-watching enthusiast; from skills he developed as a designer of camouflage patterns while in the Army; and from exercises in automatic drawing he picked up from European surrealism. Although his knowledge of, and love for, art history was profound, he was little affected by the contemporary art of his time and country. He was living in France during the heyday of Abstract Expressionism in New York and only distantly aware of art in the United States. When he returned to America in 1954, he settled on what was then an out-of-the-way section of Manhattan for art, the Financial District, and had little interaction with many of his contemporaries. The result was a deeply personal and exploratory art, one that subscribed to no ready orthodoxies, and that opened up wide the possibilities of abstraction for his own generation and those to come.

    Born in Newburgh, N.Y., on May 31, 1923, Mr. Kelly studied painting at the School of the Museum of Fine Arts in Boston after his discharge from the Army in 1945. But his formative years as an artist were in Paris, which he had visited briefly during World War II, and where he returned to live in 1948 with support from the G.I. Bill.

    The seven years he subsequently spent there had continuing emotional resonance for him throughout his life. In a 1996 interview with The New York Times, he recalled his early days in the city:

    “Paris was gray after the war. I liked being alone. I liked being a stranger. I didn’t speak French very well, and I liked the silence.”

    The Influence of Paris

    When he arrived, he was painting figures influenced by Picasso and Byzantine mosaics. But he quickly immersed himself in museums, adding both Asian art and Matisse to his eclectic store of influences.

    He also spent time outside Paris visiting Romanesque churches, and the relationship between art and architecture remained important to him, evident in the many public commissions he completed late in his career.

    As isolated as he may have felt in Paris, he met extraordinary people. Some of them, like John Cage and Merce Cunningham, were Americans passing through. Others were resident legends.

    He visited the studio of the abstract sculptor Constantin Brancusi, whose simplification of natural shapes remained one of Mr. Kelly’s formal ideals. He was introduced to the Surrealist Jean Arp, whose use of chance as a compositional device Mr. Kelly adopted. The sculptor Alexander Calder became a friend, as did the young American painter Jack Youngerman.

    Within a year of his arrival, Mr. Kelly was painting his first abstract pictures using a mix of chance elements and references to nature, which he defined as everything seen in the real world.

    “I started to look at the city around me, and that became my source,” he said.

    The early paintings and drawings were derived from patterns found in sidewalk grates, or configurations of pipes on the side of a building. A gridlike field of black and white squares was inspired by the play of light on the Seine. A painted wood cutout, “Window, Museum of Modern Art, Paris” (1949), corresponded in dimensions and form to the title object.

    “I realized I didn’t want to compose pictures,” he told The Times in 1996. ”I wanted to find them. I felt that my vision was choosing things out there in the world and presenting them. To me the investigation of perception was of the greatest interest. There was so much to see, and it all looked fantastic to me.”

    Mr. Kelly’s use of found elements went beyond just letting his eyes wander. It led him to create purely abstract paintings composed of randomly arranged and joined colored panels, a radical move even for him.

    “I wondered, ‘Can I make a painting with just five panels of color in a row?’ I loved it, but I didn’t think the world would. They’d think, ‘It’s not enough.’ ”

    It did take time for the art world to catch up with him. Although he had a one-person show in Paris in 1951, there was scant response and he was turned down for several group exhibitions. A piece he submitted for one exhibition, a relief painting, was rejected on the ground that it wasn’t art. Meanwhile, his G.I. Bill support was coming to an end, forcing him to seek jobs as an art teacher, a textile designer and a custodian.

    Although he had been away from America when the great tidal pull of Abstract Expressionism was in full force, he was aware of it enough to know that it wasn’t temperamentally for him. “I didn’t want an art that was so subjective,” he said. “I wanted to get away from the cult of the personality.”

    Finding Favor Back Home

    The anonymous role of the Romanesque church artist remained a model. But in 1954, after reading a favorable review in ARTnews of an Ad Reinhardt show in New York City, he began to think that his own fairly spare abstract work might find favor there, and he returned to the United States.

    Short on cash when he arrived, he ended up living in a half-deserted section of Lower Manhattan near South Street Seaport, in a 19th-century sailmaker’s loft on Coenties Slip.

    His neighbors there eventually included the artists Robert Indiana, Agnes Martin, James Rosenquist, Lenore Tawney and Mr. Youngerman, as well Mr. Youngerman’s wife, the actress Delphine Seyrig. Jasper Johns and Robert Rauschenberg had arrived in the area earlier; Barnett Newman had a studio on nearby Wall Street.

    Their lofts were spartan. Few had kitchens or hot water, and there were constant threats of eviction. The rewards were abundant space and light, as well as removal from the Abstract Expressionist scene farther uptown.

    For Mr. Kelly, the open skies of the harbor and the streets paved with stone blocks that had been whaling ships’ ballast softened the culture shock of shifting from Old World to New. And just as he used the shapes of Parisian architecture in his earlier paintings, the grand arches of the nearby Brooklyn Bridge appeared in his New York City work.

    Despite his remote location, the art world found him. The dealer Betty Parsons, who also represented Reinhardt, visited Mr. Kelly’s studio and offered him a solo exhibition in 1956.

    That same year he received his first sculptural commission, the mural-size “Sculpture for a Large Wall,” for the lobby of the Transportation Building in Philadelphia. In 1957 the Whitney Museum of American Art bought a painting, “Atlantic,” which depicted two white wave-like arcs against solid black. It was Mr. Kelly’s first museum purchase.

    In 1959 Dorothy C. Miller, the influential Museum of Modern Art curator, included Mr. Kelly’s work in “Sixteen Americans,” an important survey of emerging artists that included Johns, Rauschenberg and Youngerman, as well as Frank Stella, Louise Nevelson and Jay De Feo.

    By the early 1960s, Mr. Kelly’s career was firmly if quietly established, although it would be decades before he gained the high profile enjoyed by some of his contemporaries. This was partly because his work was basically contemplative in spirit, and partly because — during a period defined by movements like Pop, Op and Minimalism — he fit no ready category.

    In addition, he worked in several media, experimentally combining at least two. Along with paintings, drawings and collages, he produced free-standing and relief sculptures. In addition to making cut-out wood and steel panels that functioned as monochromatic paintings, he composed works from two or more overlapping canvases, effectively creating a hybrid of painting and sculpture.

    In doing so, he made some of the first shaped canvases of the postwar period. And stressing the object quality of his works led him almost seamlessly to free-standing sculpture. The simplicity, flat color, bold scale, and especially his cultivation of a geometry full of flexible organic undertones formed a crucial example for the Minimalists.

    In 1965, after nearly a decade with Parsons, he began to show with the Sidney Janis Gallery. A year later he had work selected for the American pavilion at the Venice Biennale; in 1968 he was in Documenta IV in Kassel, Germany. He would subsequently be included in three more Venice Bienniales and in the 1977 and 1992 editions of Documenta, the international exhibition held every five years in Germany.

    In 1970, after living for several years on the Upper West Side of Manhattan, he moved permanently to the upstate town of Spencertown, where he eventually built a large studio and designed a parklike garden to display his outdoor sculptures.

    In 1973 he had his first American retrospective at the Museum of Modern Art in New York; his second, in 1996 at the Solomon R. Guggenheim Museum, traveled to Los Angeles, London and Munich. His first major European retrospective was at the Stedelijk Museum in Amsterdam in 1979.

    Other surveys focused on specific bodies of work. These included a sculpture retrospective at the Whitney Museum of American Art in 1982; a retrospective of works on paper at the Fort Worth Art Museum and the Museum of Fine Arts, Boston, in 1987; and a print retrospective at the Detroit Institute of Arts, also in 1987.

    In 1992 “Ellsworth Kelly: The Years in France” was organized by the Galerie Nationale du Jeu de Paume in Paris and the National Gallery in Washington.

    In recognition of his close early relationship to France, Mr. Kelly was given three awards by the French government: Chevalier de l’Ordre des Arts et des Lettres in 1988, Chevalier de la Legion d’Honneur in 1993 and Commandeur des Arts et des Lettres in 2002.

    ‘Forever in the Present’

    Mr. Kelly’s importance in American postwar art was increasingly acknowledged from the late 1970s onward, in part thanks to strong gallery representation. In the 1970s and 1980s, his work was handled jointly by Leo Castelli and Blum Helman. In 1992, he joined the Matthew Marks Gallery in Manhattan and the Anthony d’Offay Gallery in London. Along with gallery and museum shows, those decades also brought numerous public and institutional commissions.

    A characteristic permanent installation might consist of a series of large single-color painted canvases or steel panels in varying shapes — wedges, arcs, triangles, trapezoids — cartwheeling across an expanse of wall.

    One of his most moving installations, though, was one of his quietest. Made for the United States Holocaust Memorial Museum in Washington, it consisted of a plain white fan-shaped form floating opposite a triptych of three rectangular white panels. Suggesting the image of a great bird lifting upward over closed windows, the piece distilled the rigorously refined visual vocabulary Mr. Kelly had developed over a long career.

    In 2013, Mr. Kelly received the National Medal of Arts, considered the nation’s highest honor for artistic excellence, from President Obama.

    He is survived by his husband, Jack Shear, and a brother, David.

    Mr. Kelly was as adamant about what his art was not as about what it was. Unlike the work of the early European modernists he admired, it was not about social theory. It was not about geometry or abstraction as ends in themselves. And although he derived many of his shapes from the natural world, his art was not about nature.

    “My paintings don’t represent objects,” he said in 1996. “They are objects themselves and fragmented perceptions of things.”

    Although he was interested in history and concerned about his place in it, he spoke of his own work as existing “forever in the present.”

    “I think what we all want from art is a sense of fixity, a sense of opposing the chaos of daily living,” he said. “This is an illusion, of course. What I’ve tried to capture is the reality of flux, to keep art an open, incomplete situation, to get at the rapture of seeing.”

  23. মাসুদ করিম - ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ (৯:২৬ পূর্বাহ্ণ)

    রবীন্দ্রনাথের চিত্রকলা সম্পর্কে অক্তাবিও পাস

    এর আগে ২০১৩ সালে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে(অক্তাবিও পাসের রবীন্দ্রনাথ) বলেছিলাম অক্তাবিও পাস কেবল রবীন্দ্রনাথের চিত্রকলা নিয়ে প্রবন্ধই লেখেননি, বিভিন্ন উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য দিক সম্পর্কে তাঁর অভিমতও জানিয়েছেন; কখনো কখনো ভিন্ন কোনো প্রসঙ্গে রচিত প্রবন্ধে, কখনো বা আলাপচারিতায়। ইন লাইট অব ইন্ডিয়া গ্রন্থে রবীন্দ্র-প্রসঙ্গ এসেছিল গান্ধীর ব্যক্তিত্বের সাথে তুলনা করতে গিয়ে। সেখানে তিনি সংক্ষেপে কিন্তু বিচক্ষণ তুলনায় রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিত্বের উচ্চতর মহিমাকে আমাদের যুক্তিবোধ ও হৃদয়বত্তার দুই প্রান্তে সমান মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছেন। এই তুলনা থেকে মনে হতে পারে যে গান্ধীর চেয়ে রবীন্দ্রনাথের প্রতি বুঝিবা তার বিশেষ প্রীতি রয়েছে। সেই তুল্যমূল্যের বিচার ও বিশ্লেষণ ভিন্ন এক প্রবন্ধের বিষয় হতে পারে। তবে এই মুহূর্তে আমরা কেবল রবীন্দ্রনাথের চিত্রকলার প্রতি পাসের পক্ষপাতের দিকে মনোযোগ দিতে চাই।

    রবীন্দ্রনাথের প্রতি তাঁর প্রধান আকর্ষণ সাহিত্যের চেয়ে বরং চিত্রকলার জন্যেই বেশি। তবে তার অর্থ এই নয় যে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যিক গুরুত্ব তার কাছে মোটেই ছিল না। রবীন্দ্র-কাব্যে কখনো কখনো অতিকথন ও বিগত-রুচির উদ্বোধনে পাস বিমুখ বোধ করলেও, রবীন্দ্রনাথের সৃজনশীলতা ও ভাবুকতার সবর্জনীনতাকে কেবল কাব্যমূল্যেই নয়, দূরদর্শিতার কারণেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন তিনি।

    দূরবর্তী দুই ভিন্ন কারণেই রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতি পাসের সাহিত্যিক জীবনে ছিল স্বাভাবিক। ১৯১৮ সালে মেহিকোতে পেদ্রো রেকেনা লেগাররেতার অনুবাদে গীতাজ্ঞলি, কিংবা হোসে বাস্কনসেলোস-এর উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথের লা লুনা নুয়েবা( নতুন চাঁদ), নাসিওনালিজমো( জাতীয়তাবাদ), পেরসোনালিদাদ(ব্যক্তিত্ব) ও সাধনা নামক চারটি গ্রন্থ একত্রে প্রকাশিত হয়েছিল ১৯২৪ সালে। পাসের বয়স তখন ১০। এরপর আরও বহুজনের অনুবাদে রবীন্দ্রনাথের বহু গ্রন্থ অনূদিত ও প্রকাশিত হয়েছে–স্পানঞা ও লাতিন আমেরিকার বহু দেশ থেকে–প্রধানত মেহিকো ও আর্হেন্তিনা থেকেই। মহাদেশের দুই প্রান্তে অবস্থানের কারণে এদুটি দেশের ভৌগোলিক দূরত্ব থাকলেও রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে তাদের মধ্যে একটা জায়গায় মিল এই যে দুই দেশেই রবীন্দ্রনাথ লাতিন আমেরিকার অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি মনোযোগ কেড়েছেন। রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে সর্বাধিক চর্চা ও অনুবাদ এ দুটো দেশেই হয়েছে। কেবল অনূদিতই হয়নি, রবীন্দ্রনাথ মেহিকোতে স্কুল পাঠ্যপুস্তকেও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন বিশের দশক থেকে শুরু করে পরবর্তী কয়েক দশক পর্যন্ত। ফলে, রবীন্দ্রনাথের লেখার সঙ্গে অক্তাবিও পাসের পরিচয় শৈশবেই ঘটেছিলা বলে অনুমান করা যায়, যদিও তিনি সেই পরিচয়ের কথা কোথায়ও উল্লেখ করেননি। অনেক পরে, পরিণত বয়সে রবীন্দ্র-পাঠের অভিজ্ঞতার কথা তিনি জানিয়েছেন প্রথমত রবীন্দ্রনাথের চিত্রকলা বিষয়ক এক প্রবন্ধে( যেটি ২০০৮ সালে স্পানঞল থেকে বাংলায় তর্জমা করেছিলাম)। আরও পরে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারেও তিনি রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি সে রকমই এক সাক্ষাৎকার নজরে এলো, যেখানে পাস রবীন্দ্রনাথের চিত্রকলা বিষয়ে তাঁর সপ্রশংস অভিমত জানিয়েছেন। ‘আর্তে দে মেহিকো’ নামের শিল্পকলা বিষয়ক এক পত্রিকায় বেরিয়েছিল এই সাক্ষাৎকারটি। আমি কেবল এই দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের রবীন্দ্র-বিষয়ক অংশটুকু এখানে পাঠকদের কৌতূহল নিবৃত্তির জন্য তুলে দিচ্ছি:
    “মনে হয় কোনো কোনো শিল্পীর মূল কাজের পাশে তাদের অন্য কিছু কাজ সাধারণত খুবই, বা তারচেয়েও বেশি কৌতূহলোদ্দীপক। আমরা এর আগে অন্যত্র ভিক্টর উগোর ড্রয়িংগুলো নিয়ে কথা বলেছিলাম, যিনি মহৎ কবি হওয়া সত্ত্বেও ছিলেন এক মহান শিল্পী। তবে আরেকটি লক্ষণীয় ঘটনা আছে যা ভারতীয় কবি রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আমার স্ত্রী ও আমি যখন কোলকাতায় ছিলাম, তখন রবীন্দ্রনাথের এক শিষ্যা আমাদেরকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন যিনি কবির সমস্ত কাগজপত্র সংরক্ষণ করে রাখতেন। তার ঘরটা ছিল এক রকম স্মৃতিশালার মতো, সেখানেই দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম চিত্রশিল্পী রবীন্দ্রনাথের কাজ যা ভিক্টর উগোর মতোই কৌতূহলোদ্দীপক। তার ক্ষেত্রে একটা বিশেষত্ব হলো এই যে, রবীন্দ্রনাথ যে-ভাষায় লিখতেন তাকে বলা হয় দেবনাগরী, এর লেখ্যরূপ খুবই সুন্দর। তবে হ্যাঁ, দাগ কাটতেন, সংশোধন করতেন, মুছে ফেলতেন এবং দাগগুলোকে রূপান্তরিতও করতেন। কঙ্কৃট কবিতা যে-কাজটা করে অনেকটা সেরকম, তবে তিনি এটা করতেন অনেক বেশি প্রকাশবাদী(Expresionnista) ভঙ্গিতে যা আমাদের চেনা বহু কঙ্কৃট কবিদের চেয়ে অনেক বেশি জীবন্ত। এবং হঠাৎ করেই অক্ষরগুলো দিয়ে তিনি সৃষ্টি করতেন অসামান্য ভূদৃশ্য, আর কাল্পনিক ও ভয়ংকর সব জীবজন্তু। বিক্তোরিয়া ওকাম্পোও এই পাণ্ডুলিপিগুলো দেখেছিলেন, যখন রবীন্দ্রনাথ তার সান ইসিদ্রোর বাসায় ছিলেন। অন্যান্যদের মধ্যে অন্যতম, আঁদ্রে জিদের পৃষ্ঠপোষকতায় রবীন্দ্রনাথ প্যারিসে একটা প্রদর্শনী করেছিলেন। শিল্পকর্ম, চিত্রকলা এবং লেখা যেখানে একে অপরের সাথে জড়িয়ে গেছে সেধরনের কাজগুলোর প্রতি আমার আগ্রহ চিরকালের।”

    খেয়ালি ছন্দে রচিত রবীন্দ্রনাথের এই মাতাল চিত্রকর্মগুলো সম্পর্কে পাসের এই উক্তির সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের মনে পড়বে চিত্রকলা সম্পর্কে তাঁর প্রগাঢ় পাণ্ডিত্যের কথা যা তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছিল মার্সেল দুশাম্প সম্পর্কে Marcel Duchamp: Appearance shipped Bare , একেবারে ব্যতিক্রমধর্মী একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ রচনায়। তারও অনেক পরে, ১৯৮৭ সালে বেরিয়েছিল Essays on Mexican Art নামের এক গ্রন্থ। রবীন্দ্রনাথের চিত্রকলা সম্পর্কে পাসের প্রবন্ধ এবং পরবর্তীকালে তার বিভিন্ন মন্তব্য যে কোনো ঝোঁকেরবশে বা হুজুগে নয়, বরং চিত্রকলা সম্পর্কে তার সুগভীর পাণ্ডিত্য ও উপলব্ধি থেকে উৎসারিত– তা সেই পূর্বোক্ত প্রবন্ধ( Los manuscritos de Rabindranath Tagor) থেকেই বুঝা যায়। তিনি শিল্পকলা ও সংস্কৃতির বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেই রবীন্দ্রনাথের চিত্রকর্মের স্বতন্ত্র স্পন্দন ও আত্মার আশ্চর্য্যকে সনাক্ত করেছিলেন। সেই বিশ্লেষী প্রবন্ধে তিনি যে বলেছিলেন, “ রবীন্দ্রনাথের হৃদয়গ্রাহী পাণ্ডুলিপি আমাদের কাছে এমন এক শিল্পীকে তুলে ধরে, যিনি একই সঙ্গে আমাদের পূর্বসূরী ও সমকালীন।”(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাণ্ডুলিপি, এল সিগনো ই এল গারাবাতো, ১৯৭৩), তখন তিনি মোটেই বাড়িয়ে বলেন না, বরং রবীন্দ্রনাথের প্রতিভার অপেক্ষাকৃত আচ্ছাদিত ও অনালোকিত দিকটিকে আমাদের সামনে স্পষ্ট করে দিয়ে বুঝিয়ে দেন রবীন্দ্রনাথের বহুমুখী প্রতিভার বহুবর্ণিল রূপটিকে। রবীন্দ্রনাথের অন্যসব রচনার প্রাচুর্যের পাশে তার চিত্রকলাকে আমরা সমান গুরুত্বে দেখিনি আজও। যদিও রবীন্দ্রনাথ নিজেই তাঁর চিত্রকর্মের গুরুত্ব সম্পর্কে গভীর আস্থার সাথে ঘোষণা করেছিলেন যে, ‘ আমার বাকি সমস্ত শিল্পকর্ম সম্পর্কে এখন আমার আগ্রহ নেই। একমাত্র যার জন্যে আমি গর্বিত: তা আমার ছবি।’(রম্যাঁ রলাঁ, ভারতবর্ষ: দিনপঞ্জী ১৯১৫-১৯৪৩, ফরাসী থেকে অনুবাদ: অবন্তীকুমার সান্যাল, দ্বিতীয় মুদ্রণ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯,পৃ-২৫৫)।

    ভাবতে আশ্চর্য লাগে এই ভেবে যে কয়েক দশকের ব্যবধানে, রবীন্দ্র-ব্যক্তিত্ব মূল্যায়নের ক্ষেত্রে, প্রথার কল্লোল উজিয়ে রবীন্দ্রনাথের এই গভীর আস্থারই প্রতিধ্বনি করেছেন অক্তাবিও পাস।

    রবীন্দ্রনাথের বহুবিধ পরিচয়ের কথা সারা বিশ্ব জানলেও, চিত্রকর রবীন্দ্রনাথের পরিচয়টি এখনও পর্যন্ত অন্য পরিচয়গুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে-পড়া বলে মনে হয়, তা সে ইউরোপেই হোক, কি এশিয়াতেই হোক। লাতিন আমেরিকাতেও কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, শিক্ষাগুরু হিসেবে তার বিপুল পরিচিতি থাকলেও চিত্রকর রবীন্দ্রনাথের স্বাতন্ত্র্য সম্পর্কে অক্তাবিও পাস ছাড়া আর কেউ লেখেননি। লাতিন আমেরিকায় রবীন্দ্র-পরিচয়ের এই অপূর্ণ দিকটিকে অক্তাবিও পাস তার অসামান্য শিল্পবোধ দিয়ে পূরণ করেছিলেন। কেবল লাতিন আমেরিকাতেই নয়, সম্ভবত সারা বিশ্বেই, রবীন্দ্রনাথের চিত্রকর পরিচয়ের গুরুত্বকে তিনি–পৃথিবীর প্রথমসারির সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব হিসেবে–যে গভীরতায় স্পর্শ করেছেন তা আর কেউই করতে পারেননি।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.