সুপারিশকৃত লিন্ক: আগস্ট ২০১৫

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে। […]

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

৩২ comments

  1. মাসুদ করিম - ১ আগস্ট ২০১৫ (১২:১৯ পূর্বাহ্ণ)

    FREE, finally
    Enclaves fall, dwellers erupt into celebration

    The clock struck 12:01am.

    It was the moment when around 52,000 inhabitants of 162 enclaves inside Bangladesh and India got the taste of freedom for the first time in 68 years, officially becoming citizens of the two countries.

    It was also the moment when the tiny pockets of land — or enclaves — in each other’s territories got merged with the respective countries, bringing an end to the most complicated and confusing border dispute in the world.

    The moment marked the end of the stateless existence of these people as the neighbouring countries exchanged the adversely possessed land following the historic land boundary agreement signed and ratified earlier this year.

    There was joy all around the 111 enclaves in Bangladesh with people organising an array of programmes to mark the end of their 68-year-long life of identity crisis, deprivation and obscurity.

    They lit 68 candles, released 68 balloons, brought out processions and organised traditional Bangalee sports and cultural programmes throughout yesterday. Ha-do-do, race, boat race, lathi khela (stick fight) and horse race were among the games arranged in these enclaves.

    In some enclaves, people brought out processions with many of them carrying the red and green flag of Bangladesh, chanting slogans like: “Noi ar chhit basi, amra ekhon Bangladeshi” (We’re no more enclave people, we’re Bangladeshis).”

    From elderly people to youths, from housewives to children, everyone seemed equally happy. They all were over the moon as the moment came at the stroke of midnight.

    “We are Bangladesh nationals now. I cannot describe in words how happy I am,” said 65-year-old Hashem Ali, an inhabitant of Bhitarkuti enclave in Lalmonirhat, the district that had 59 enclaves.

    “The confined life for 68 years has finally come to an end. Now we will live like a citizen of an independent country,” he said.

    Mansur Ali, 60, an inhabitant of Banshkata enclave in Patgram upazila, said, “Now we will enjoy all kinds of state facilities. Our children would not need to use fake identities anymore. They will now get jobs.”

    Azizul Islam, general secretary of India-Bangladesh Enclave Exchange Coordination Committee’s Lalmonirhat unit, said the national flag of Bangladesh would be hoisted officially in all these enclaves today.

    In Kurigram, the main programme was held in Dashiarchhara enclave with hundreds of residents of the enclaves and people of adjoining areas gathering there since yesterday afternoon.

    A discussion was held there followed by a cultural programme. Local lawmaker Tajul Islam Chowdhury, among others, attended the discussion.

    Earlier, locals participated in boat race, stick fight and rally.

    People in the area lit 68 candles and exploded 68 fire crackers. Locals set up large gates and decorated various installations with lighting at various points.

    Nur Islam, 28, of Dashiarchhara, said they now wanted the government to take development activities there.

    Younus Ali, 75, of Gangarhat Bazar area in Phulbari of Kurigram, said there were allegations of criminal activities in Dashiarchhara and all these would be over once the government started developing the areas.

    Abdulla-Hill Baki, principal of Kashipur Degree College in Phulbari upazila, said some students of the enclave studied in his college using fake identities since there was no education institution in the enclaves.

    “But now I believe education institutions will be built here and students would not have to use fake identities,” he said.

    In India, similar programmes were held in Mashaldanga enclave in Cooch Bihar of West Bengal where political leaders and officials of local administration attended, reports a correspondent there.

    At a discussion around 8:00pm, some people who had been arrested on charges of intruding into India narrated how they served additional time in jail, as the authorities were confused where to send them because “they had no country”.

    ছিটমহলে উড়ল মুক্তির পতাকা

    মধ্য রাতের আঁধার ঠেলে ছোট ছোট আলোতে আলোময় হয়ে উঠল চারপাশ। সে আলোতে লাল-সবুজকে আলাদা করা না গেলেও আটষট্টি বছরের প্রতীক্ষার পতাকা বাতাস চাপড়ে জানান দিল- ‘এ আকাশ আমার, আমারই বাংলাদেশ’।

    শনিবার প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের সীমানায় যোগ হওয়া ছিটমহলগুলোতে ওড়ানো হয় বাংলাদেশের পতাকা, ৬৮ প্রদীপে প্রোজ্জ্বল প্রতিটি বাড়ি।

    ভারতের সঙ্গে যোগ হওয়া ছিটমহলগুলোতেও ছিল একই চিত্র।

    আর সেই সঙ্গে দীর্ঘ অপেক্ষার মুক্তির স্বাদ অনন্য হয়ে ধরা দিয়েছে পঞ্চাশ হাজার অধিবাসীর কাছে, ঘুচেছে ‘নিজ দেশে পরাধীনতার’ গ্লানি।

    ভারত ও বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী, ১ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ১৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৬৩ একর আয়তনের ভারতের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের ভূখণ্ড।

    আর ভারতের মধ্যে থাকা ৭ হাজার ১১০ দশমিক ০২ একর আয়তনের বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল মিলে গেছে ভারতের মানচিত্রে।

    দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত এই সমস্যার অবসানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মানচিত্র পেল পূর্ণতা। বাংলাদেশে এখন থেকে ছিটমহল শব্দটি থাকবে কেবল ইতিহাসের পাতায়।

    ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসানে দেশ ভাগের সময় সিরিল রেডক্লিফ কমিশনের তাড়াহুড়োয় চিহ্নিত করা সীমান্তে ছিটমহল জটিলতার শুরু। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া এই সমস্যার অবসানে ১৯৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি হয়। এরপর তা কার্যকরে প্রোটোকল স্বাক্ষরিত হয় ২০১১ সালে।

    গত ৭ মে ভারতের সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ওই চুক্তি বাস্তবায়নের পথ তৈরি হলে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরে অনুসমর্থনের দলিল হস্তান্তর হয়।

    নিজ নিজ দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে এসব ছিটমহলের সরাসরি কোনো যোগাযোগ না থাকায় রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ছিল না। আরেক দেশের সীমানার ভেতরে হওয়ায় হাসপাতাল, বিদ্যুৎ, স্কুল-কলেজ বা বিচার- প্রশাসনও ছিল না সেখানে।

    ফলে ছিটের বাসিন্দাদের ইচ্ছা থাকলেও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করানোর সুযোগ ছিল সীমিত। অনেকেই বাংলাদেশি বা ভারতীয় ঠিকানা ব্যবহার করে লেখাপড়া করলেও ছিটমহলের বাসিন্দা হওয়ায় চাকরির সুযোগ তাদের এতোদিন হয়নি।

    ভারতে সবগুলো ছিটমহলের অবস্থান পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলায়। আর বাংলাদেশে ছিটমহলগুলো পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলায়।

    ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ অংশের সভাপতি ময়নুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শোষণ ও বঞ্চনার ইতিহাসের অবসান ঘটার এই দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে দুই দেশের সব ছিটমহলে ৬৮টি করে মোমবাতি বা প্রদীপ জ্বালানো হয়েছে।

    এছাড়া ছিটমহলের প্রতিটি অন্ধকার সড়কে মশাল জ্বালিয়ে আলোকিত করার পাশাপাশি ফানুস ওড়ানো হয়েছে।

    একই সঙ্গে পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি ছিটমহলে জাতীয় পতাকা ওড়ানো হয় বলেও জানান ময়নুল।

    তিনি জানান, এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে শুক্রবার সারাদিন ছিটমহলগুলোর নাগরিক কমিটির উদ্যোগে স্থানীয় বিভিন্ন খেলাধুলা, গান ও নাটকসহ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা চলেছে।

    দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা থাকছে বাংলাদেশেরই

    স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরের পর বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহলগুলো বিনিময় হলেও দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা থাকছে আগের মতোই।

    ১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুসারে এ নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন।

    শুক্রবার রাতে দুই দেশের ১৬২টি ছিটমহল বিনিময়ের পর দহগ্রাম-আঙ্গরপোতাও ভারতের হচ্ছে বলে কারও কারও মনে সন্দেহ দেখা দেয়।

    অধ্যাপক দেলোয়ার বলেন, “দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা নিয়ে অনেকে ভুল ধারণা সৃষ্টি করছে। এখন যে ছিটমহল বিনিময় হচ্ছে, সেটার সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই।

    “সেটার সমাধান ইতোমধ্যে হয়ে আছে। সেটা তিন বিঘা করিডোরের মাধ্যমে যোগাযোগ আছে এবং ২৪ ঘণ্টা যোগাযোগ করা সম্ভব।”

    দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ভারতের বাংলাদেশের সীমান্তের ২০০ মিটারের কম দূরত্বে অবস্থিত একটি ছিটমহল ছিল। এর তিন দিকে ভারতের কুচবিহার জেলা, একদিকে তিস্তা নদী, নদীর ওপারেও ভারতীয় ভূখণ্ড।

    ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি অনুযায়ী আড়াই বর্গমাইল আয়তনের দক্ষিণ বেরুবাড়ীর বিনিময়ে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহলের অধিবাসীদের মূল ভূ-খণ্ডে নির্বিঘ্নে যাতায়াত ও চলাচলের জন্য তিন বিঘা করিডোর চিরস্থায়ী ইজারা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ভারত সরকার।

    লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা সদরের ১০ কিলোমিটার দূরত্বের এই তিন বিঘা করিডোর ব্যবহারের সুযোগ পেতে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দহগ্রাম-আঙ্গরপোতাবাসীকে অপেক্ষা করতে হয় ’৯০ এর দশক পর্যন্ত।

    প্রথমে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে এবং ২০১১ সালে ২৪ ঘণ্টার জন্য এই করিডোর খুলে দেয় ভারত। ফলে এর বাসিন্দারা বিচ্ছিন্ন এলাকায় থাকলেও তাদের বন্দি জীবন নেই, তারা যে কোনো সময় বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করতে পারেন।

    অধ্যাপক দেলোয়ার বলেন, “অনেকে দহগ্রাম আঙ্গরপোতা নিয়ে কিছুটা সংশয় সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তারা যুক্তি দিচ্ছেন, এটাও এক সময় ছিটমহল ছিল। সুতরাং এটা ভারতের পাওনা।

    “বাস্তবে সেটা কিন্তু সত্যি নয়। ১৯৭৪ সালের চুক্তিই এই বিতর্কের সুযোগ রাখেনি। এটা মীমাংসিত বিষয় এবং এলাকাটি বাংলাদেশের অংশ।”

    ছিটের মধ্যে ছিটেরও সমাধান

    কয়েকটি ছিটমহলের মধ্যে আবার যে ছিটমহলগুলো ছিল, সে নিয়েও কোনো বিতর্কের সুযোগ নেই বলে মনে করেন অধ্যাপক দেলোয়ার।

    তিনি বলেন, “এটা খুবই নেগলিজিবল একটা বিষয়। বাংলাদেশের ছিটমহলের ভেতরে ভারতের ছিটমহল, ভারতের ছিটমহলের ভেতরে বাংলাদেশের ছিটমহল, এটাকে কাউন্টার এনক্লেভ (ছিটের মধ্যে ছিট) বলে। সেটি কিন্তু নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নেই।”

    বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ছিটমহলের ভেতরে আবার বাংলাদেশি ছিটমহলের সন্ধান মিলছে। এ ধরনের একটি ছিটমহলের নাম চন্দ্রখানা, বাংলাদেশের মালিকানায় থাকা এই ছিটমহলটির অবস্থান দাশিয়ারছড়া নামে একটি ভারতীয় ছিটমহলের ভেতরে।

    এই ছিটমহলের বাসিন্দা মো. রফিকুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের সমস্যা ছিল, ভারতের ছিটমহল দিয়ে আমরা ঘেরাওতে ছিলাম। এখন চারপাশের ভারত বাংলা হয়ে গেল। আমাদের আর সমস্যা নাই।”

    অধ্যাপক দেলোয়ারও বলেন, “বাংলাদেশের ছিটমহল যদি ভেতরে থাকে, সেটা বাংলাদেশেরই হয়ে যাচ্ছে। এটা আলাদা করে উল্লেখ করার বিষয় নাই।”

    আলোর উৎসবে সীমানা বদল দু’দেশের

    বদলাতে চলেছে ভারত, বাংলাদেশের সীমানা। বদলাচ্ছে রাজ্যের সীমানাও। শুক্রবার মধ‍্যরাতে, ঠিক ১২টা ১ মিনিটে মুছে গেল দু’দেশের ১৬২টি ছিটমহল। মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রাখতে দুই বাংলার ছিটমহলগুলির ঘরে ঘরে ঠিক রাত ১২টায় জ্বলে উঠল ৬৮টি করে প্রদীপ, মোমবাতি। ছিটমহলের ঘরে ঘরে এ যেন বিজয়া, ইদের আনন্দ। দিনভর কোচবিহারে চলল আনন্দ উৎসব। সেখানকার ১৪ হাজার মানুষ উদ্‌যাপন করলেন তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব। ভারতের কোচবিহার, বাংলাদেশের লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারির ছিটমহলের বাসিন্দারা দুঃসহ জীবনযাপনের অবসান উদযাপন করল মধ্যরাতে বাড়িতে বাড়িতে ৬৮টি করে মোমবাতি, প্রদীপ ও মশাল জ্বালিয়ে। দিনভর বাংলাদেশের ছিটমহলগুলিতে চলল আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ, গ্রামীণ খেলাধুলা, নৌকাবাইচ, ঘোড়দৌড়, রাতভর যাত্রা দেখা, জারিসারি বাউল–সহ নাচ–গান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের মধ্যে থাকা ১১১টি ভারতীয় ছিটমহলের বাসিন্দারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নাগরিক হবেন। এখন তাঁরা ছিটমহল এলাকাগুলিতে নিজেদের বাড়িতে থাকবেন ট্রাভেল পাস নিয়ে। একই রকম ভাবে কোচবিহারের ৫১ ছিটমহলগুলিতেও বাংলাদেশের বাসিন্দারা থাকবেন ট্রাভেল পাস নিয়ে। পরে তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন। ভারতে যে ছিটমহলগুলি যুক্ত হল সেগুলির নতুন ৬ সংখ্যার পিন কোড হল। ছিটমহলের বাসিন্দারা খুশি। এখন আর তাঁদের ফিরিয়ে দেবে না কোনও হাসপাতাল। অন্ত্যেষ্টির জন্য ছুটতে হবে না এদিকে ওদিকে। ওঁরা আজ ভারতের নাগরিক। বাস্তবিকই তাঁরা আজ স্বাধীন। ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে পতাকা ওড়াবেন ওঁরাও। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উলগানাথনের কাঁধে বর্তেছে নতুন দায়িত্ব। ঠিকানাহারা ছিটমহলের মানুষগুলোকে প্রথম উপহার হিসেবে তিনি তুলে দিয়েছেন ছয় সংখ্যার পিন কোড। তাঁর মতে, ১৪ হাজার মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার কাজটা কঠিন। আগে তাঁদের বাংলাদেশি স্কুলগুলোতে পড়তে দেওয়া হত না। অনেকেই জীবনে প্রথমবার বিদ্যুতের আলো দেখবেন। বাংলাদেশের ১১১ ছিটমহলে রয়েছেন ৪১ হাজার ৪৪৯ জন ভারতীয়। তাঁদের মধ্যে ৯৭৯ জন ভারতের নাগরিক হতে চেয়েছেন। তাঁরা এ রাজ্যে আসার পর জরুরি ভিত্তিতে তাঁদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৩১ জুলাই মধ্যরাতের পর ছিটমহলে জমি বিনিময় কার্যকর হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় ভূমি জরিপ অধিদপ্তরে ৩০টি গুচ্ছ মানচিত্র (স্ট্রিপ ম্যাপ) সইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থলসীমানা চিহ্নিত করার কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। মুহুরির চরে দুই কিলোমিটার সীমান্ত এখনও চিহ্নিত করা বাকি। ভারত সেখানে ফের জরিপ চালানোর দাবি করায় তা বাদ রেখেই সীমান্ত চিহ্নিত করার কাজ আপাতত শেষ হয়েছে। ২০১৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যেই নতুন করে চিহ্নিত করা সীমান্তে বসবে সীমানা পিলার। বদলে যাবে দু’দেশের মানচিত্র। লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারি জেলায় অবস্থিত ভারতীয় ছিটমহলগুলির জমির পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার একর। কোচবিহারে অবস্থিত বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলে জমির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার একর। বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ভারতের ছিটমহলের বাসিন্দারা যারা নিজের ইচ্ছায় ভারতে চলে যেতে নাম লিপিবদ্ধ করিয়েছেন তাদেরকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে চলে যেতে হবে। তারা এই চার মাস বাংলাদেশে থাকতে পারবেন ট্রাভেল পাস নিয়ে। জমি, সম্পত্তি বিক্রির জন্য তারা আসা যাওয়া করবেন পাস নিয়ে। ৩০ নভেম্বরের পরে তাদের বাংলাদেশে যেতে হলে পাসপোর্ট লাগবে।

    • মাসুদ করিম - ১ আগস্ট ২০১৫ (২:৪৭ অপরাহ্ণ)

      মোগলান-রাজওয়ারার সীমানা ঠাঁই নিল ইতিহাসে

      কয়েকশ বছর আগে কোচবিহারের রাজা আর মুঘলদের দ্বন্দ্বে যে ছিটমহলের বীজ বপিত হয়েছিল, ২০১৫ সালের পহেলা অগাস্ট রাত্রির প্রথম প্রহরে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির বাস্তবায়নের মাধ্যমে মুছে গেল সেই সীমারেখা।

      ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেনের মতে, এটা একটা ঐতিহাসিক সময়। দুই দেশের ছিটমহলের মানুষের মানবিক অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি এটা বাংলাদেশ- ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও ঐতিহাসিক।

      এখন এটা ভারত বাংলাদেশ অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়েও ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন এই অধ্যাপক।

      চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মানচিত্রে ছিটমহল বিষয়টি মুছে গেল পুরোপুরি। বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ১৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৬৩ একর আয়তনের ভারতের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের ভূখণ্ড।অন্যদিকে ভারত পেল সে দেশের ভেতরে থাকা ৫১টি ছিটমহল যার আয়তন ৭ হাজার ১১০ একর।

      কয়েক যুগ ধরে অন্য দেশের ভেতরে বন্দি জীবন কাটাচ্ছিলেন অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ, যারা এখন মুক্তির আস্বাদ পাচ্ছেন।

      ইতিহাসে এই ছিটমহলের শুরুর দিক সম্পর্কে কোচবিহারের অধিবাসী ও ছিটমহল গবেষক দেবব্রত চাকী তার ‘ব্রাত্যজনের বৃত্তান্ত’ বইয়ে লিখেছেন, ১৬৬১ সালে মীর জুমলা কোচবিহার আক্রমণ করার পর দীর্ঘদিন রাজার সঙ্গে মুঘলদের যুদ্ধ চলে। ওই সময়ে মুঘল অধিকৃত এলাকায় কোচরাজ্যের অনুগত কিছু লোক ছিল, যাদেরকে রাজগীর বলা হত।

      রাজওয়ারা মানে রাজার এলাকা। ১৬৬০ সালে পতুর্গিজ পর্য‌টক ভ্যানদেন ব্রুক পূর্ব ভারতের যে মানচিত্র প্রণয়ন করেন, তাতে ‘রাজওয়ারা’ শব্দটির উল্লেখ করেন। কোচ কামতার নৃপতি মহারাজা প্রাণনারায়ণের দখলীকৃত এলাকাকে তিনি রাজওয়ারা বা রাজিওয়ারা হিসাবে নির্দেশ করেন। ওই মানচিত্রে কোচবিহার শব্দটিরও ব্যবহার করেন।’

      অন্যদিকে কোচবিহার রাজ্যের অভ্যন্তরে প্রথমে সুবে বাংলা পরে ব্রিটিশ শাসিত বাংলার যে সব বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড দেখা হয়, সেগুলোই মোগলান নামে পরিচিত।

      তবে বাংলাদেশি ছিটমহল লেখক এ এস এম ইউনুছের মতে, কোচবিহারের ছিটমহলগুলোকে ইতিহাসে রাজগীর এবং বাংলাদেশের ছিটমহলগুলোকে মোগলাম বলা হয়।

      এই ছিটমহল সমস্যার উৎসে কোচবিহার রাজার সঙ্গে মুঘলদের যুদ্ধের ফল হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করেন দেবব্রত চাকী।

      মুঘল-কোচ রাজার বিরোধের উৎসে তিনি ১৭২৭ সালকে দেখান, যে সময় বাংলার সুবেদার মুর্শিদকুলী খাঁ মারা যান। ওই সময় কোচ রাজা ছিলেন মহারাজা উপেন্দ্রনারায়ণ। মুর্শিদকুলীর পর সুজাউদ্দিনের আমলের কোচরাজার সঙ্গে মুঘলদের সম্পর্কের অবনতি হয়। রাজত্বের উত্তরাধিকার নিয়ে রাজপরিবারেও কলহ বাড়ে।

      অভ্যন্তরীণ বিরোধের সুযোগে রংপুর ঘোড়াঘাটের নায়েব ফৌজদার সৌলৎ জঙ্গ ১৭৩৬ সালে কোচবিহার আক্রমণ করেন। ঝাড় সিংহেশ্বরের যুদ্ধে উপেন্দ্রনারায়ণ পরাজিত হলে মোগল ফৌজদার দীননারায়ণকে রাজা করেন। পরের বছর ভুটান রাজার সহযোগিতায় উপেন্দ্রনারায়ণ ধলুয়াবাড়ির যুদ্ধে মোগলদের পরাজিত করলে মোগল ফৌজদার কাশেম খাঁ ও দীননারায়ণ রংপুরে পালিয়ে যান।

      “যদিও কোচবিহার রাজ্যের দক্ষিণে ছোট ছোট কিছু এলাকা দখলে রেখে মুসলমান সৈন্যরা বসবাস করতে থাকেন। এদের আনুগত্য ছিলো বাংলার নবাবের প্রতি, স্থানীয়ভাবে কাকিনা, কার্যিহাট ও ফতেপুর চাকলার চৌধুরীদের প্রতি,” লিখেছেন দেবব্রত।

      তার মতে, মোগলান নামে পরিচিত এই গ্রামগুলোই কালক্রমে কোচবিহারের অভ্যন্তরে অবিভক্ত বাংলার রংপুর জেলার ছিটমহলে পরিণত হয়, যা পরে পূর্ব পাকিস্তান, আরও পরে বাংলাদেশের ছিটমহল হিসাবে স্বীকৃত।

      অন্যদিকে বোদা, পাটগ্রাম ও পূর্বভাগ চাকলা তিনটি নাজির শান্তনারায়ণেল নামে কোচবিহারের মহারাজার ইজারাপ্রাপ্ত হলেও ১৭৬৫ সালে দিল্লির মুঘল বাদশাহ শাহ আলমের ফরমান অনুসারে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা বিহার ওড়িশার দেওয়ানীপ্রাপ্ত হলে এই তিন চাকলার উপর তাদের আধিপত্য স্থাপনের উদ্যোগ নেয়।

      দেবব্রত বলেন, যদিও এই তিন চাকলায় বেশ কিছু প্রভাবশালী প্রজা ছিলেন, যাদের অনেকেই মহারাজার জ্ঞাতি, আত্মীয় স্বজন। এদের আনুগত্য ছিলো মহারাজার প্রতি। স্বভাবতই মহারাজার প্রতি অনুগত গ্রামগুলোকে রাজওয়ারা ও বাসিন্দাদেরকে রাজগীর আমে আখ্যায়িত করা হয়।

      ১৭৮৯ থেখে ১৮০০ সালের মধ্যে সময়ে এই গ্রামগুলোতে কোচবিহার রাজার সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে বাকি এলাকা থেকে ইংরেজরা রাজস্ব আদায়ে উদ্যোগ নেয়।

      এর আগেই ১৭৭৩ সালে ইংরেজদের সঙ্গে এক চুক্তি অনুসারে কোচবিহার ইংরেজদের মিত্র করদরাজ্যে পরিণত হওয়া কোচবিহার ১৯৪৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ভারতে যোগ দিলে এই এলাকাগুলো ভারতীয় ছিটমহলে পরিণত হয়। ছিটমহলের অধিবাসীরা ভারতীয় নাগরিকের মর্যাদা লাভ করে।

      বিশ্বের অন্যান্য এলাকার মতো ভারতেও নানা বৈশিষ্ট্যের ছিটমহল দেখা গেছে বলে অভিমত এই লেখকের। ব্রিটিশ ভারতে পণ্ডিচেরী ও চন্দননগর ছিলো ফরাসি শাসিত ছিটমহল।

      দেবব্রত লিখেছেন, “এই ধরনের প্রকৃত ছিটমহল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রত্যক্ষ করা গেলেও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের একটি বিশেষ অঞ্চলে এত সংখ্যক ছিটমহলের উপস্থিতি এককথায় নজিরবিহীন।”

      ছিটমহলে এক দেশের মধ্যে থাকা অন্য দেশের মানুষরা আসলে নামেই নাগরিক ছিলেন। কোনো দেশের কোনো সুবিধাই তারা পেতেন না। বিদ্যুৎহীন জনপদে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না, ভূমি লেনদেনেও ছিল না কোনো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি।

      ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক দেলোয়ার বলেন, “এখানকার মানুষ গত ৬৮ বছর বন্দি জীবন যাপন করেছে।

      “এখন দুই দেশের দায়িত্ব এখানকার মানুষকে একটা বেটার জীবন দেওয়া। তাদের এত কালের বঞ্চনা ঘুচিয়ে দেওয়া।”

  2. মাসুদ করিম - ১ আগস্ট ২০১৫ (৩:২০ অপরাহ্ণ)

    ন্যানোস্যাটেলাইটে বাংলাদেশের উজ্জল সম্ভাবনা

    মহাকাশ গবেষণায় উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশ অনেকটা পিছিয়ে আছে বললে ভুল বলা হবে না। তবে হয়তো খুব বেশি আর দেরি নেই যখন এই খাতে বাংলাদেশও হবে একটি উজ্জ্বল নাম– এমন আভাস পাওয়া গেল জাপানের কিউসু ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (কেআইটি)-এর ল্যাবরেটরি অফ স্পেসক্র্যাফট এনভায়রনমেন্ট ইন্টের‌্যাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. আরিফুর রহমান খানের কথায়।

    ৩০ জুলাই রাজধানীর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জিডিএলএন সেন্টারে ‘ন্যানোস্যাটেলাইট পসিবিলিটি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ম্যাথমেটিকস অ্যান্ড ন্যাচারাল সায়েন্সেস ক্লাব। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. আরিফুর রহমান খান। সভায় তার আনুষ্ঠানিক বক্তব্যেই মিললো ন্যানো-স্যাটেলাইট প্রযুক্তিখাতে বাংলাদেশের উজ্জল সম্ভাবনার আভাস।

    স্পেসক্র্যাফটের চার্জিং প্রশমিত করতে ইলেকট্রন এমিটিং ফিল্ম (ইএলএফ)-এর উদ্ভাবক ড. আরিফুর বর্তমানে প্যাচ অ্যান্টেনা, ইনসুলেটরের মাধ্যমে চার্জ পরিবহন, অ্যাটমিক অক্সিজেন আর স্পেসক্র্যাফটের উপাদানের উপর অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাব নিয়ে কাজ করছেন।

    সভার শুরু থেকেই উপস্থিত শিক্ষার্থীদের চেহারায় ছিল ন্যানোস্যাটেলাইট আর ড. আরিফুর রহমান খানের অভিজ্ঞতা শোনার জন্য আগ্রহের ছাঁপ। সভা শুরু করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ ম্যাথমেটিকস অ্যান্ড ন্যাচারাল সায়েন্সেসের চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র (স্পারসো)-এর সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু আবদুল্লাহ জিয়াউদ্দিন আহমাদ। যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা ফ্রান্সের মতো উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও প্রযুক্তির অগ্রগতি সম্ভব বলে বিশ্বাস করেন– বলেন তিনি।

    এরপর তিনি ড. আরিফুর রহমান খানকে তার বক্তব্য শুরু করার অনুরোধ করেন। ২০০৪ সালে ল্যাবরেটরি অফ স্পেসক্র্যাফট এনভায়রনমেন্ট ইন্টার‌্যাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ল্যাসাইন)-এ যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতার বর্ণনা করে নিজের বক্তব্য শুরু করেন তিনি। বর্তমানে ল্যাসাইনে ১১ জন কর্মী কর্মরত আছেন। এখন তারা স্পেসক্র্যাফট চার্জিং, হাইপারভ্যালোসিটি ইমপ্যাক্ট আর ম্যাটারিয়াল ডিগ্রেডেশনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন বলে জানান ড. আরিফুর। এরপর প্রেজেন্টেশন স্লাইডে পরীক্ষাগারের বিভিন্ন ছবি প্রদর্শন করে বর্ণনা করেন তিনি।

    “কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করেন যে ন্যানোস্যাটেলাইট কী? তবে তার উত্তর দেওয়া আমার জন্য একটু কষ্টকর।”- ন্যানোস্যাটেলাইট নিয়ে বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রথমে একটু মজা করেই বলেন ড. আরিফুর। প্রকৃত অর্থে ন্যানো-স্যাটেলাইটের সংজ্ঞা কি তা এখনো ঠিক হয় নি, তবে আন্তর্জাতিকভাবে একটি সংজ্ঞা দাঁড় করানোর কাজ চলছে বলে জানান তিনি। এখন তারা ন্যানো-স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে যে নীতিমালার উপর নির্ভর করেন তা হলো, ন্যানোস্যাটেলাইটের আকার ৫০ ঘন সেন্টিমিটারের মধ্যে হতে হবে, এই স্যাটেলাইট ৫০ কেজির বেশি হবে না, এটি বানাতে ৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করা যাবে না। আর বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন উপাদান ব্যবহার করতে হবে। কেউ যদি নিজের উদ্ভাবন করা কোনো উপাদান ব্যবহার করেন তবে সেটি ন্যানো-স্যাটেলাইট হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানান ড. আরিফুর।

    বাংলাদেশের জন্য ন্যানো-স্যাটেলাইট খুবই লাভজনক হবে বলে মনে করেন ড. আরিফুর। এর মাধ্যমে দেশের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, কৃষি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ আরও বিভিন্ন খাতে-এর ব্যবহার ব্যাপক অগ্রগতি আনবে বলে মনে করেন তিনি। এজন্য বাংলাদেশকে বেশ সম্ভাবনাময় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

    আর খরচ অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় আর ছোট পরীক্ষাগারেই বানানো সম্ভব ন্যানোস্যাটেলাইট। তাই বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান ড. আরিফুর। সুবিধাজনক হওয়ায় উন্নত বিশ্বে ন্যানোস্যাটেলাইটের ব্যবহার যে দিন দিন বাড়ছে তা গ্রাফের মাধ্যমে দেখান তিনি।

    নিজের সর্বশেষ কাজের ব্যাপারেও জানান ড. আরিফুর। ল্যাসাইনের তৈরি ‘হরইও ১’ ন্যানো-স্যাটেলাইট বানানো পর তা ভারতের তৈরি একটি রকেটের মাধ্যমে উত্থাপন করার কথা ছিল বলে জানান ড. আরিফুর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নকশার জটিলতার কারণে তা উত্থাপন করা যায়নি। এরপর তারা বানান ‘হরইও ২’। ৩০ ঘন সেন্টিমিটারের এ ন্যানো-স্যাটেলাইটটি মহাকাশ থেকে তথ্য ও ১৬৮X১২৮ পিক্সেলে ছবি পাঠাতে সক্ষম। ২০১২ সালে ‘হরইও ২’ উত্থাপন করা হয়েছে।

    পরবর্তী প্রকল্প ‘হরইও ৪’-এ ড. আরিফুর রহমান খান ফ্যাকাল্টি আর বাংলাদেশের ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ছাত্র আবদুল্লাহ এইচ কাফি ও মায়সুন ইবনে মনোয়ার শিক্ষার্থী হিসেবে ‘অ্যাটিটিউড ডিটারমিনেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (এডিসিএস)’ কাজ করেছেন। স্লাইডে তাদের ছবি দেখানোর পর হাততালিতে ভরে উঠে সভাকক্ষ। তাদের দুজনের সঙ্গে এবার যোগ হয়েছেন রায়হানা শামস ইসলাম অন্তরা। চলতি বছর অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া সেশনে কেআইটিতে এম. এসসি করতে যাচ্ছেন তারা।

    ল্যাসাইনে নিজের কাজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে মায়সুন ইবনে মনোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্যাটেলাইট ইঞ্জিনিয়ারিং মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটি যথাযথ সংমিশ্রণ। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি বেশ চমৎকার সময় পার করেছি। এখাতে আমি যতদূর সম্ভব যাওয়ার চেষ্টা করব। সারাবিশ্বের মেধাবীদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির জন্যও এটি একটি চমৎকার মাধ্যম।”

  3. মাসুদ করিম - ২ আগস্ট ২০১৫ (৩:৪৭ অপরাহ্ণ)

    দক্ষিণ এশিয়ার এই #SouthAsianExportOnlySyndrome এর কোনো চিকিৎসা সম্ভব নয় বলেই মনে হচ্ছে।

    World-Class Body Armour Made in India. But Our Cops Do Without.

    Last Monday, Baljit Singh, a brave Punjab police officer dared three terrorists who had entered the police station in Gurdaspur to come out and face him man to man.

    Within minutes, Mr Singh was dead. He took a bullet to the head.

    He was wearing neither a helmet nor an Indian Army innovation called the bulletproof patka, that gives Sikh men limited protection from gunfire.

    Mr Singh’s courage, or for that matter, the courage of the Punjab policemen around him cannot take away from the fact that guts alone cannot defeat highly trained terrorists armed to the gills.

    Elsewhere, some policemen of the Punjab police wearing neither helmets not bullet proof vests engaged the terrorists with primitive Self-Loading Rifles (SLRs), which was no match for the firepower of the enemy’s AK-47s. A short distance away, burly cops of the police force moved up and down a roof throwing grenades at the terrorists and then ran for their lives before the grenades exploded. When the Punjab Police’s Special Weapons and Tactics (SWAT) teams arrived, they were seen rushing to take up positions wearing their knee pads. They had not worn either their helmets or their bullet proof jackets.

    14 years after the 2001 attack on Parliament, little seems to have changed for the policemen on the ground. Back then, some policemen tried engaging the heavily armed terrorists who attacked Parliament with pistols. During the 26/11 Mumbai terror attacks in 2008, some gutsy cops facing the likes of Kasab had nothing more than their lathis. Some had primitive Lee-Enfield .303 rifles. Very few had bullet proof jackets and almost no one had helmets other than cricket helmets which have somehow become standard issue for police forces across the country.

    It doesn’t take rocket science to understand that a helmet designed to stop a cricket ball can never stop a high velocity round from an AK-47, the infantry weapon of choice not just for terrorists but also Indian armed forces.

    Why in 2015 are our policemen less protected than soldiers fighting the First World War a century ago? Believe it or not, there are solutions easily available right here in India.

    Did you know that India is considered a world leader in body armor technology? Did you know that bullet proof jackets and helmets built to the highest specifications of personal protection are not just built in India but exported to more than 230 forces in over 100 countries?

    Among the users – the British, German, Spanish and French Armies – and police forces stretching from Japan in the East to the US in the West.

    At the Kanpur-based MKU, India’s largest manufacturer of body armour, the biggest problem often lies with the mindset of the police forces that they have to deal with.

    According to MKU Chairman Manoj Gupta, “Most of our police forces and reserve police as well in our states are mostly equipped for anti-riot protection, not for anti-terrorist operations. There has to be deep thinking over this by policy makers.”

    According to some estimates, there is a standing requirement of at least 50,000 bullet proof kits in India’s police forces but there is never a clear indicator since individual states handle their own law and order decisions and rarely spell out a requirement until they finally come out with a tender.

    But the problems begin when the acquisition process starts. Deadlines for acquisition are frequently extended. State forces refuse to reveal the methodology they use in assessing the capability of a particular system. Vendors looking to sell to police forces have serious questions with the evaluation process and often have to wait indefinitely for answers to queries they may have. All of this happens before time consuming price negotiations even begin with a shortlisted vendor.

    Ironically, the manufacture of bullet proof kit in India comes at a time when the Centre is trying to push Make in India as one of its primary manufacturing strategies. In the case of companies like MKU, not only are they manufacturing in India, they are exporting their equipment to highly discerning foreign customers while looking to expand their footprint across the globe.

    For the policeman or policewoman on the ground, the more things change, the more they remain the same. Bamboo shields, the trusty bamboo lathi, the .303 and Self-Loading Rifle are a constant. The only other constant is the courage that our police display on the ground. After all, that’s all they have to take on a determined enemy who are better trained, better equipped and perhaps better motivated.

    কফি রপ্তানির ক্ষেত্রে ধরেছিলাম প্রথম এই সিনড্রোম, পড়ুন এখানে

  4. মাসুদ করিম - ২ আগস্ট ২০১৫ (৭:০০ অপরাহ্ণ)

    How the transfer of wealth from India to Britain began well before the industrial revolution

    In a debate at the Oxford Union Society on May 28, Shashi Tharoor, Congress member of Parliament, made a case for the British paying reparations to India for the many ills caused by colonialism, among which deindustrialisation was a major consequence.

    Deindustrialisation between 1750 and 1900 stifled India’s nascent industry. It made India a supplier of raw materials to Britain and a market for its goods, following the latter’s industrial revolution. As industry suffered, labour fell back onto agriculture.

    Deindustrialisation, however, is complex and contradictory, and saw various phases. The word entered the political lexicon in the early 20th century when nationalist historians and politicians such as Romesh Chunder Dutt and Dadabhai Naoroji mentioned it, as did Jawaharlal Nehru in his Discovery of India.

    The facts are indisputable: for instance, India had 25 percent of world industrial output in 1750, and this dwindled to two percent in 1900. What constituted industrial output at that time was different from now: luxury goods: fine cottons and silks, jewellery and brassware. It also included spices and saltpetre. In fact, raw cotton of the kind produced in India, didn’t find much favour in international markets. Until the 1840s, 80 percent of British raw cotton came from America and only 13 percent from India.

    Among the first to actually quantify deindustrialisation was Amiya Bagchi in 1976. He used data from the region around the mid-Gangetic plain collected by the British administrator Buchanan Hamilton in the early 19th century. Bagchi then compared these to census figures of 1901. Accounting for factors such the rate of growth, soil productivity, etc., it appears that around 18.6 percent of the population was engaged in handloom spinning and weaving in the early years, and this dropped to 8.5 a century later.

    Many phases

    Despite the “chaotic” 18th century, provinces like Mysore saw impressive developments in industries like metallurgy. Tirthankar Roy has described how handicrafts such as handloom weaving, gold weaving, brassware, carpets and leatherwork adapted and found new markets in the 18th century and later.

    The economic historians Clingingsmith and Williamson (2005) denoted three phases to suggest that deindustrialisation began well before Britain’s industrial revolution: Post-Mughal (1700-50); then the merchant capital period from the 1750s, which saw net transfer of wealth and goods as the East India Company tried to balance trade, and then after the 1850s, when British industrial interests weighed in heavily on policy decisions of the colonial government – a time when modern industry also had its beginnings in India.

    While a centralised regime like that of the Mughals was beneficial for the economy, the chaos that followed a weakened empire saw a rise in revenue farming, when more income was drawn from land: rents rose as high as 50 per cent and grain prices did too. Instability affected intra-country trade as well. While provinces and areas like Mysore and Dacca invested in manufacturing through the “karkhanas”, local rulers well into the 19th century were more set on investing their gold in impressive rituals and rites, as for example described even a century later by Vishnu Bhatt Versaikar’s memoirs of 1857.

    It was in the early 18th century that India’s share in world trade declined. Developments in worldwide shipping occurred mainly in the west. In these early years, when trade in the seas bent to sheer might, they sought the help of privateers and buccaneers like William Kidd for instance, who would trade, protect ships they were allied to, and attack and loot enemy ships. Import tariffs came up in these years too, after 1700, when the British parliament raised duties on goods such as fine textiles from outside.

    1750s onward

    The second phase followed the East India Company’s acquiring the diwani of Bengal province. Revenue collection meant not merely the net transfer of wealth but also goods bought from this revenue out of India, without which the Company’s trade could not be balanced.

    The Company’s merchants elbowed out the traditional “gomastas”, or middlemen, forced new terms of bargaining from Bengal’s artisans who, as Tapan Raychaudhuri (1983) has shown, worked under conditions of indenture. But despite the outflow, the Company could only balance its trade only when the opium and tea trade were placed on a firm footing.

    Environmental historians have also shown how incidence of famine took a different turn before and after 1750. Vinita Damodaran, writing of the period after 1750 and later, differentiates between famines of scarcity, or true famines, of the earlier time, and famines caused by a lack of purchasing power. She cites the Report of the Famine Commission in 1880 to show an “immiseration” of the peasantry and general populace, with rising extractions from the state: since the East India Company took over the diwani of Bengal from 1765 to 1858, Bengal experienced 12 famines and four periods of severe scarcities.

    In the 1840s, Britain rapidly industrialised. But while manufacturing lobbies bargained hard for concessions, the Parliament, the Board of Control in London managing India’s operations before 1858, and later, the Raj, had to balance and weigh every option. Even the introduction of railways meant several lobbies —industrial, military, welfare, merchant-capital — had to be played off against each other. But it was around this time that Indian industry too emerged and their products competed with native cottage industry handlooms as well — some historians have in fact called this a “re-industrialisation”.

    Entrepreneurial spirit

    A part of the reason for absent or slow industrialisation in India has been ascribed by historians to the fact that merchant traders or small-time capitalists were not able to transform themselves into industrialists. Bombay’s textile mills, for example, were built with credit, technical assistance and machines from Britain, but remained largely uncompetitive because of a shortage of technology, skilled labour, and capital.

    As Dwijendra Tripathi has shown, the manufacturing system was an exact replica of Manchester’s, and while mechanical devices more conducive to Indian conditions were available, Indians for long favoured the technology used by British manufacturers. For instance, the mule spindle used in Indian cotton factories was developed in Britain in 1779, when the ring spindle developed in the 1830s in the USA would have been more efficient. But it was only in 1883 that JN Tata applied the new American cotton technology in his Empress Mill at Nagpur.

    In the Economic and Political Weekly (August 1970), Amalendu Guha wrote of the transformation of Parsi artisans into merchant-entrepreneurs during the first half of the 19th century. A few did become wealthy as did Sir Jamsetji Jeejeebhoy (1783-1859), but in those early years, it was not the railways but gains from the opium trade that attracted many, in the words used memorably by Bahram Modi in Amitav Ghosh’s River of Smoke. Modi, hoping to convince his father-in-law to diversify from his ship-building business to the lucrative opium trade, pleads thus:

    ‘Listen sassraji… look at the world around us; look at how it is changing. Today the biggest profits don’t come from selling useful things: quite the opposite. The profits come from selling things that are not of any real use… Opium is just like that. It is completely useless unless you’re sick, but still people want it. And it is such a thing that once people start using it they can’t stop; the market just gets larger and larger. That is why the British are trying to take over the trade and keep it to themselves. Fortunately in the Bombay Presidency they have not succeeded in turning it into a monopoly, so what is the harm in making some money from it?’

  5. মাসুদ করিম - ২ আগস্ট ২০১৫ (৭:১৭ অপরাহ্ণ)

    The astounding story of the rainiest day on earth

    The best rain picture that was trending in the past few days was one of a cascade formed by gushing waters on an arterial road that had caved in, in Gurgaon’s Millenium city. It was a picture that showed what rain can do to an Indian suburbia.

    Gurgaon may have been the butt of internet jokes last week but no Indian city is capable of making it easily through a day in which it rains more than 50 mm. Delhi has been through days when it rained 70 mm a day (this monsoon’s total for the capital is 147.8 mm) and was brought to the verge of a breakdown. But many towns will drown without a fight if rains as much as 100 mm on one day. Coastal cities like Mumbai get through such days better. In the 24 hours up to June 24, this year it rained 142 mm in the financial capital.

    What if it rains 1,500 mm on a single day?

    Just 20 years ago, on June 15, 1995, it rained 1,563mm in a 24-hour cloud burst in Meghalaya’s Cherrapunji, a plateau on the voluminous arms of the Khasi Jaintia hills. It is a world record for 24 hours of rain. The next recorded heaviest rainy day in Cherrapunji was in 1876 when it rained 1,041.4 mm, according to the Gazeeteer.

    To understand the apocalyptic nature of such rain see this: the highest rainfall ever recorded in Delhi was on July 20-21, 1958, when it rained 121 mm. A city report about that day, using the usual cliché, said “many parts of the city were inundated.”

    A day unfolds

    An account of that day with the most rainfall in the world is quite astounding.

    BL Mondal, who was the meteorology observer at the met office in the main market square in Cherrapunji, remembers the day as one of “thick fog and very low stratus clouds hovering around the region very threateningly. For 40 days, it had rained non-stop that month.”

    It was a day that rain men dream about or dread. When the first measurement for rain was taken that day at 8.30 am, there was the first sign of danger. It had rained 175 mm since the previous night’s reading. The automatic gauge, which notes rainfall on a graph paper using a moving stylus, was not working that day, which was nothing unusual.

    Any met man would have hallucinated looking at the amount of rain water that had collected in that glass millimeter-barrel: 175 mm. It was nothing compared with what was to pour down on the plateau of Cherra, as Cherrapunji is also called, on that day when the heavens opened like never before.

    What Mondal registered in the evening 5.30 pm reading was even more stunning: 440 mm of rain had poured on the small village during the day. It was more than enough to drown entire towns in the rest of the country.

    From 5.30 pm to 8.30 pm, the time for the last reading of the day, it had rained 110 mm. The overnight reading at 5.30 am the next morning was 680 mm and the 8.30 am reading showed 158 mm. Any met man would have thought he was hallucinating as he totalled the 24-hour rainfall to 1,563 mm on Cherra, or Sohra as it is also called, that darling of the clouds that mountain ringed and snared in that deadly embrace of the clouds.

    Though papers reported heavy rain, none had realised that a world record had been broken in this tiny village. A bridge near Mawsynram was washed away and two people were killed, the reports said. Some reports said that the Brahmaputra was rising dangerously. But nothing betrayed the apocalyptic nature of that day’s deluge. The met department did not, unsurprisingly, expect this miracle of nature but casually issued a heavy rainfall warning for Andamans and Assam.

    Unique geography

    Where does all the Cherrapunji water go? Cherra is never flooded because it’s a plateau perched atop mountains and from high above would have looked like an overflowing saucer. Water gushes down the narrow streets of Cherrapunji and spirals down the limestone cliffs in frothy cascades that would have looked like a realist painter’s foray into fantasy. This Cherrapunji rain water would result in floods in Bangladesh and make the Brahmaputra overflow its banks.

    On that day, the whole o north India was under a heat wave. Hisar in Haryana recorded a temperature of 47.5 degrees.

    Cherra, the green undulating meadow, the cause of all this upheaval, always wears an innocent look. Nothing grows on this land blessed with water because all the topsoil has been washed away, exposing the limestone base. However, the sweetest pineapples, which need a lot of water, grow here.

    Why does it rain so much in this village? The rain in Chera is called orographic rain, caused by the alignment of hills, in this case the Khasi-Jaintia. Monsoon clouds hit the limestone cliffs and barrel upwards with the help of the deep gorges, till it precipitates at a height of around 4,500 feet, where Cherra is located.

    This small town, as well as the nearby village of Mawsynram, which in some seasons gets more rain than Cherra, holds another record: for being the site of the worst and most intense earthquake in the world, in 1897, measured now at 8.8 on the Richter scale.

    This earthquake had a far-reaching effect on the entire north-east. It started the proselytisation spree in the entire north-east. The missionaries convinced the innocent Khasis that the earthquake was the result of paganism and the worship of idols and they had to become Christians if such natural disasters were to be avoided. The ploy worked.

  6. মাসুদ করিম - ৩ আগস্ট ২০১৫ (১২:১৭ অপরাহ্ণ)

    Interview: Led Zeppelin’s Jimmy Page

    The Led Zeppelin founder is one of rock’s guitar greats — but he’s also a serious fan of Victorian art

    The summons arrives. I am to make my way to the splendid house in west London where the 19th-century artist Frederic Leighton lived. Jimmy Page will be there.

    The Led Zeppelin guitarist had so enjoyed being asked about his fascination for Victorian art and design on a previous encounter that he’d suggested we might meet to discuss the subject further. I assumed that nothing would come of it. Oh ye of little faith! Leighton House, the venue for our meeting, is a red-brick palazzo in Kensington. Built for the immensely wealthy Leighton as a home and studio in the 1860s — he called it a “private palace of art” — it is now a museum.

    A stuffed peacock greets visitors in the turquoise-tiled hallway, the avian equivalent of Page in his strutting, preening prime. Through a pair of Doric columns a passage leads to a spectacular gold-domed room with Syrian tiles, an Arabic inscription from the Koran and a Moorish fountain in the centre, inspired by Leighton’s travels in the Near East. “It’s absolutely glorious. Anyone who comes here can’t help being amazed by the whole scale of it, the beauty of it,” marvels Page as we inspect Leighton’s Arab Hall. “We can see his vision: he has been to Turkey, he’s been to Damascus, he has brought back all these tiles.”

    In contrast to the sumptuous decor, Page is dressed in black, with long white hair tied in a ponytail. But an aura of exoticism surrounds him too. At 71, he is among the most celebrated of all guitarists, a player who elevated the instrument to intoxicating heights of artistry in the 1970s. Under his leadership, Led Zeppelin became the definitive rock band, a perfect balance of musicianship and decadence. The band’s exploits — immense three-hour stadium concerts, lurid tales of groupies and black magic, Caligulan goings-on aboard private aircraft — have become the stuff of legend, as mythic as the statues of Pan or painted scenes from antiquity in Leighton House.

    Page knows the museum well, having lived around the corner since 1972. His interest in 19th-century art goes back even further, to when he was a teenager in Epsom, a market town in Surrey, where he grew up in a solidly middle-class household, the son of a personnel manager.

    As we stand in the Arab Hall, the fountain plashing in the background, I produce a photograph of Page with his first electric guitar in 1958. It shows a serious-looking 14-year-old practising in a suburban living room. “That wasn’t my house,” Page says, peering at the photo, “but everyone’s houses looked similar in those days. An electric fire, brass plaques on the wall.” His tone is not nostalgic.

    Listening to Lonnie Donegan and Elvis Presley introduced him to the sounds of skiffle and rock ’n’ roll, escape routes from humdrum Epsom. Meanwhile, illustrations in books and trips to the Tate Gallery fired his enthusiasm for the luxuriant art of 100 years earlier. “I got just caught up in that whole romantic notion of the Pre-Raphaelites, the mission they were on [to revolutionise art]. It was something that really captured my imagination, the Pre-Raphaelite Brotherhood.”

    He points to an 1880s mosaic frieze above our heads depicting a complex iconography of storks, eagles, snakes wrapped around trees and peacocks (an eastern symbol of dignity and beauty). Page identifies it as by Walter Crane, an artist associated with the Arts & Crafts movement of the late 19th century, another of his obsessions.

    “The whole concept of it is really beautiful. Seeing the hand of man working, I really like that, the craftsmanship,” he says, referring to the movement’s ethos of artisanal production. He briefly went to art school himself, after a bout of illness interrupted his fledgling career as a session musician. “I was pretty amateurish really,” he says of his studies. “I wasn’t a very good draughtsman.”

    Arts & Crafts and the Pre-Raphaelites were groupings formed in reaction to Victorian Britain’s transformation into an industrial society. There’s an echo here: Page formed Led Zeppelin in 1968 as a reaction to the world of mechanised musical production in which he worked as a highly successful session guitarist, churning out guitar parts for countless hits from Tom Jones’s “It’s Not Unusual” to Petula Clark’s “Downtown”.

    “Because I had so many different styles of guitar I could play I was pretty useful. I wasn’t a one-trick pony. I could play acoustic, finger-style, I could make things up,” he remembers. “If they’d say, ‘We want something like a Stax riff,’ I’d be able to say, ‘Yes, I can do that straight away.’ Once I came out of it I had the chance to really experiment with the guitar. So I could see that [session work] almost — even though I’m self-taught — as formal training; a degree of formal training. Of course I may be totally wrong in how I see things . . . ”

    He pauses, and reconsiders how much fallibility to ascribe to himself. “Actually I won’t say that. I’ll say I may not be quite right about the way I see things,” he says. His tone is affable but guarded.

    Page recruited the other members of Led Zeppelin — vocalist Robert Plant, fellow session guitarist John Paul Jones and drummer John Bonham — in 1968, after a two-year stint as guitarist with R&B band The Yardbirds. At the time he was living on a converted Victorian boathouse at Pangbourne on the upper reaches of the Thames.

    “I used to scour second-hand shops because Arts & Crafts furniture was always being turfed out. I must have furnished half my house from that source,” he remembers. “When I was working with Robert [Plant] I took him to some of these shops and that was where the painting of the old man with the sticks [used on the cover of the band’s fourth album in 1971] was located and photographed.”

    As we promenade through the ground-floor rooms of Leighton House, we pause before one of Leighton’s paintings, “Orpheus and Eurydice”, painted in 1864. Leighton had links to the Pre-Raphaelites but was not a member of the group. “Some of [his paintings] are beautifully executed in the Victorian style, aren’t they?” Page says. He enthuses about the painter’s masterpiece, “Flaming June”, currently on show at the Frick Collection in New York.

    Attempts to probe Page’s own art collection are gently repelled. In 2012 he loaned large tapestries by William Morris and Edward Burne-Jones to Tate Britain for an exhibition. Does he have many paintings from the period?

    “At the time I was at art school, Pre-Raphaelites were selling for a few hundred pounds, that’s all,” he says. “But I couldn’t afford that. They were always out of my reach.” He laughs. These days Page is estimated to be worth £100m.

     . . . 

    When Frederic Leighton moved into his mansion in 1865, the surrounding area was semi-rural. Following his example, other artists built studio-houses nearby, creating an artistic colony. Many of the buildings survive today. As we look out over the large lawn at the back of Leighton House, Page points out one that belonged to the film director Michael Powell until 1971. Scenes from Powell’s sinister 1960 masterpiece Peeping Tom were shot there.

    Page’s own house is invisible from Leighton’s garden. He gestures in its direction, diagonally across from the lawn. It is called the Tower House, for the magnificent gothic-revival turret that dominates it. It was designed in the 1870s by the Victorian architect and designer William Burges, who sought artistic refuge from industrialisation in a fantasy vision of the Middle Ages.

    “Basically [Burges] was living there and it was his showroom as well,” says Page. “So each room has a different theme with different styles of decoration. One room may have gesso panels, another may have pictorial tiles et cetera. So he’d show people around and say, ‘I can do this and I can do that.’”

    The finest craftsmen and sculptors were hired to create, in Burges’s words, a “model residence of the 13th century”. The guest bedroom was decorated in gold and crystal and had emu eggs hanging from the ceiling, while Burges’s bedroom was painted with murals of mermaids and sea monsters. A contemporary visitor called it “strange and barbarously splendid”.

    Page, who bought the house from the actor Richard Harris, is a zealous custodian. He has been in dispute with his neighbour, the pop star Robbie Williams, over the latter’s plans to develop his own property, including an abandoned scheme to dig out a huge basement.

    “English Heritage are pretty protective towards [the Tower House],” Page says. “I haven’t wanted to change anything in the house and nor would I. But the fact is that the interior is pretty fragile. It can’t take the shaking of developing a four- or five-bedroom house underground. No.”

    Burges’s phantasmagoric designs were thought to have been inspired by a hearty appetite for laudanum. “I don’t know,” Page says. “Burges aficionados were quite upset that was said. But I’ve got an interesting cabinet, a wardrobe, where you could imagine it possibly.”

    A druggy wardrobe? My eager attempts to find out more are thwarted. “Well, let’s not talk about it.” He laughs. “Maybe one day I’ll show it to you, off the record.”

    I later discover that Page has not always been so secretive about his Burges wardrobe. In 2002, he allowed it to be shown at a National Trust country house in Devon, where its narcotic decorations — painted opium poppies, scarlet hares — were on view for all to see.

    Page’s teasing opacity on the subject of drugs is typical. He rarely discusses his own use of them, which culminated in a heroin habit that took hold in the latter years of Led Zeppelin, before the band split up in the wake of John Bonham’s death following a drunken binge in 1980.

    He is also elusive when I raise the subject of occultism, a topic that fascinated the Victorians — and with which Page has long been associated.

    “Really?” he says mildly. Despite being the former owner of an occult bookshop called Equinox and the Scottish manor house that belonged to the notorious magus Aleister Crowley, he looks bemused at the notion that anyone might take him to be a serious student of the paranormal. I venture to ask whether the 19th-century tradition of spiritualism is attractive to him.

    “Yes, I think it would be,” he replies. “But I can’t time-travel so you can only . . . ” His voice trails away. “It’s pretty evocative.”

     . . . 

    Adjoining Leighton’s handsome studio upstairs is a room currently hosting an exhibition of works by the contemporary Lebanese artist Raed Yassin. Among these is a portrait of the celebrated Egyptian singer Umm Kulthum, who died in 1975. Page is a fan.

    “This is the classic Egyptian orchestration, with the oud and the violin et cetera,” he says. “I’ve heard lots of live records; the music will stop and she’ll come in and sing just one line — and the audience erupts and she’ll sing the line again. It’s just the whole drama of it.”

    Led Zeppelin’s music drew on blues and folk but also Middle Eastern, Indian and north African influences. The epic ascending riff in “Kashmir” was inspired by Page’s interest in the sitar and eastern modal tunings. Like the best of the Victorian art that Page admires, their songs were a remarkable blend of exoticism, eroticism and spirituality. (“I do agree with that,” he says.)

    Walking past a sign reading “Ars longa, vita brevis” (“art is long, life is short”), we enter Leighton’s studio, a large light-filled room with paintings lining the walls.

    “I think the ambience in here is really good,” says Page. Historic buildings played an important role in Led Zeppelin’s history, such as the former poorhouse Headley Grange in Hampshire, where they recorded several albums. “If I was going to play an acoustic guitar I’d prefer to do so in a room like this, where you could hear the dynamics of the guitar filling the room, rather than a studio that was really damped down with no reflective surfaces,” he says. “If you’re going to play the acoustic guitar you want the sound to extend, so you can play with the dynamics.”

    Page is perhaps the most complete guitarist in rock’s pantheon, a boldly expressive and technically accomplished player in whom vigour is allied with intense thoughtfulness. “It’s like in here, you can see Leighton’s character coming through in everything he did, you can recognise a Leighton. In the same way you can recognise a guitarist,” Page says.

    He once described solos such as the majestic one in “Stairway to Heaven” as a “meditation” on the song in which they appear. “When a song had built up from a track and Robert had his lyrical content and the overdubs were complete, then yes, I’d like to do the solo as a summing up, if you like, of my input on that song,” he explains. “So that what I hope is for people to go, that solo is perfect” — he clicks his finger — “or that guitar work is perfect within the context of the lyrics and what is being portrayed dynamically by the rest of the band. I would just warm up, get the tape rolling and just do two or three takes at the most, and would usually know which one it was.”

    We pause for a moment in front of the painting that Leighton was working on when he died in 1896 — “Clytie”, a portrait of a classical nymph mourning the departure of her lover, the sun god Apollo. It is unfinished.

    The question of whether Led Zeppelin is finished has dogged Page since the band’s one-off reunion concert at London’s O2 Arena in 2007. He has spent the intervening years remastering their albums for the digital age, re-releasing each with additional material. It has been a marathon task. “I just wanted to make sure I could locate everything in existence,” Page says of the band’s many recordings.

    His project now concludes with the reissuing of Led Zeppelin’s last three albums, Presence (1976), In Through the Out Door (1979) and Coda (1982).

    “That’s the whole catalogue with the companion discs out, completed, and I can breathe a sigh of relief,” he says. “But I don’t know how long I’ll have a holiday for, because then I’ll be putting my whole focus into playing the guitar, to see what we can manifest with that.”

    It is a tantalising prospect — Page back at work in the recording studio, his equivalent of Frederic Leighton’s workplace.

    “Well, it’ll probably be rather smaller than this,” he says with a smile. “Not quite so grand. But as long as there are reflective surfaces for the acoustic guitar to be bouncing from, it’ll be fine.”

    Remastered editions of ‘Presence’, ‘In Through the Out Door’ and ‘Coda’ are out now on Atlantic/Swan Song. Leighton House Museum, 12 Holland Park Road, London W14; open daily except Tuesdays; rbkc.gov.uk/museums

    Photographs: Zed Nelson; Getty; Tony Busson/the-presidents.org.uk

  7. মাসুদ করিম - ৪ আগস্ট ২০১৫ (৭:৫০ অপরাহ্ণ)

    Emerging markets: Redrawing the world map

    The term has become obsolete, say critics, as developing markets overtake developed ones in some areas

    When Matteo Ricci, the Italian 16th century Jesuit missionary, travelled to China to win converts to his faith, he found that his European maps, which showed China relegated to the cartographical margins, failed to endear him to his hosts. So he redrew them. The resulting world map of 1602 placed China at its centre, an accommodation that is said to have helped him win influence among the Middle Kingdom’s elite.

    Ricci’s revisions were made on woodcuts and paper. Now, commentators say, it is the world’s mental map that is in dire need of an overhaul, particularly when it comes to the practice of categorising countries as “emerging” or “developed” markets.

    The current economic hierarchy, which places emerging nations at the periphery and developed markets at the core of world affairs, no longer accurately describes a world in which EM countries contribute a bigger share to global gross domestic product than their developed counterparts, when measured by purchasing power parity. Nor does the capacious category, which lumps together countries of such diverse economic strengths as China and the Czech Republic, serve to illuminate crucially different realities between these nations.

    “The EM term has outgrown its usefulness,” says Michael Power, strategist at Investec, a fund management company. “The term today embraces big and small, developed and under-developed, industrialised and agrarian, manufacturing and commodity-based, rich and poor, deficit runners and surplus runners, and I could go on,” he adds. At issue are not merely the niceties of symmetry and order. Emerging markets is one of the most powerful definitions in the world, with an estimated $10.3tn invested in emerging financial markets via an alphabet soup of equity and bond indices. But these indices embrace such a collection of incongruous assets, that they misdirect investors and potentially reduce returns to pension funds, insurance companies and other financial institutions.

    The term also forms one of the organising principles for global databases and an analytical starting point for those seeking insights into economic, environmental, social and other trends that shape the world. But this, commentators say, generates flawed perceptions and fuzzy arguments that impact on the efficiency of global governance.

    “As an asset class, EM equities are nearly finished,” says John Paul Smith at Ecstrat, an investment consultancy. “The old paradigm is dead.”

    Already, some commentators are proposing alternatives to the definition, seeking to identify ordering principles and shared dynamics among clusters of developing countries. This, they hope, will allow institutions, companies and multilateral organisations to assess more accurately the balance of risk and opportunity in large parts of the world.

    What’s in a name?

    At its inception, “emerging market” was not designed as a definition with specific criteria. Antoine van Agtmael, then an economist at the International Financial Corporation, the private sector arm of the World Bank, coined it as a marketing catchphrase in the 1980s.

    The attraction was clear: it sounded aspirational. Countries previously known by monikers such as “less developed” or “third world” were suddenly imbued with the promise that they might be on a journey towards something better.

    Since the 1980s, the stunning success of the term has spawned several attempts to nail down a set of commonly recognised characteristics — with the unintended consequence that different organisations such as the International Monetary Fund, the UN and financial index providers such as MSCI, JPMorgan and FTSE use a clutter of conflicting criteria to categorise emerging markets.

    Adding to the confusion, the term is sometimes used to describe equity, bond or currency markets in developing countries and sometimes to describe the countries themselves. Different criteria make a world of difference. The MSCI equity index identifies 23 emerging markets countries and puts 28 into a “frontier emerging markets” category. The IMF, by contrast, defines 152 “emerging and developing economies”.

    Even accepting prevailing classifications, it is often unclear why one country has been awarded emerging status while another merits a developed tag. Chile has a bigger economy, a bigger population, less debt and lower unemployment than Portugal but is classed as emerging, whereas the European nation remains part of the developed world. Similarly, on a per-capita income basis, Qatar, Saudi Arabia and South Korea are wealthier than several developed countries, but are still consigned to the emerging camp.

    Such judgments often depend on the classifier. Providers of financial indices look at issues such as the freedom with which international investors can access the stocks and bonds of a particular country. Others such as the IMF consider questions about the diversity of a country’s economy, in terms of how many products they import and export. Increasingly, the sense that emerging nations take their lead in global affairs from the so-called developed world is also under examination. In some senses, emerging economies already wield power. When calculated by purchasing power parity, which takes account of exchange rate changes, developed countries account for only 39 per cent of global GDP, down from 54 per cent in 2004.

    Developed markets are also weaker, in aggregate, when it comes to the size of their foreign exchange reserves, the huge stashes of money that accumulate when a country notches up trade surpluses and attracts foreign direct investment. Developed markets hold $3.97tn, compared with $7.52tn for developing countries, according to IMF data.

    This leads to the curious situation in which emerging nations, which need
    to invest their reserves in large liquid debt markets, have ended up bankrolling years of deficit-financed excess in large developed countries. China, for instance, was the biggest foreign buyer of US Treasury debt for six years until early 2015.

    But aside from the various ways in which the EM tail appears to be wagging the developed dog, the broad inclusion of scores of countries glosses over crucial differences between emerging nations, misleading observers to construe equivalence where none exists.

    Sree Ramaswamy, senior fellow at McKinsey Global Institute, says that key determinants of a country’s economic dynamism and resilience often come down to “economic structure, industry dynamics, corporate landscape and role of government or social and political make-up”.

    “When it comes to these indicators, the differences between emerging markets outweigh their similarities,” Mr Ramaswamy argues.

    “For instance, capital investment makes up 20 per cent of GDP in Mexico, but 45 per cent in China. Household consumption makes up 50 per cent of GDP in South Korea but 70 per cent in Turkey,” he adds. “The populations of China and India are similar in size but their demographic trends are very different. So is the corporate landscape; 60 per cent of Latin America’s corporate revenue is held by family controlled firms but in India it is 50 per cent and in China 30 per cent.”

    China breaks the mould

    To many, the problem of how to classify China highlights the emerging market dilemma. In PPP terms, China is already the world’s largest economy and yet it is still classified as emerging. The country has a literacy rate of 96 per cent, more high-speed rail track than all other countries combined and more college students than any other country.

    Its near $8tn stock market is the world’s second largest after the US and its $5.5tn domestic bond market ranks third in the world after those of the US and Japan. Nevertheless, its domestic equities, not counting those listed in Hong Kong, and its bonds feature only marginally in the MSCI EM Index and JPMorgan EMBI+, the world’s leading equity and bond indices.

    As a result much of the investment opportunity and risk that Chinese assets represent remains largely sequestered from global investors. In June, MSCI decided not to include China’s A-share stock market into the index because of governance concerns.

    Inclusion in an index may sound like a relatively minor detail but, in fact, such indices pack an enormous financial clout. The competence of fund managers is assessed by their ability, or failure, to generate returns that exceed those of the dominant index in their asset class. This results in an industry-wide tendency to buy stocks or bonds that are included in an index, thus reducing the risk that a fund manager will egregiously underperform it.

    Inducting even a mere slice of the huge Chinese stock and bond markets into emerging market indices would create a financial earthquake, effectively forcing fund managers with ambitions to match an index’s performance into loading up on Chinese assets.

    Peter Marber, fund manager at Loomis Sayles, echoes a widely held view that China’s size may break the emerging market mould.

    “China is so enormous that if it goes [fully] into EM indices it will dwarf everything, so it is required to treat China as a separate category,” he says. But if China stands outside such indices, the case for India to be treated as separate may also harden, hastening the disintegration of emerging market indices.

    As it is, Mr Marber says, emerging market indices mix investment assets that range from “garbage” to high quality, rendering investors unable to properly assess risk and dissuading them from investing.

    These contradictions threaten to consign the term emerging markets to the dustbin. But if it follows the likes of “third world” into virtual extinction, its passage will raise the question of what, if anything, should replace it.

  8. মাসুদ করিম - ৫ আগস্ট ২০১৫ (৬:০৮ অপরাহ্ণ)

    পাহাড়ের চেয়েও উঁচু

    সামান্য এক গ্রাম্য দিনমজুর দশরথ মাঝি। কিন্তু তীব্র প্রতিহিংসা, অনমনীয় জেদ এবং দৃঢ় সঙ্কল্প এই মানুষটাকেই করে
    তুলেছিল পাহাড়ের চেয়েও উঁচু। স্ত্রীর অকাল মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে টানা ২২ বছর ছেনি আর হাতুড়ি নিয়ে লড়াই করে
    সত্যি সত্যিই পাহাড় ভেদ করে দশরথ তৈরি করেছিলেন ৩০ ফুট চওড়া একটা রাস্তা। তাঁর জীবন নিয়ে কেতন মেহতার ছবি ‘মাঝি: দ্য মাউন্টেন ম্যান’। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি।

    কথায় বলে, অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথর। কিন্তু বিহারের গয়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের সামান্য এক দিনমজুর দশরথ মাঝির ক্ষেত্রে খাটে না এই লোকোক্তি। অধিক শোক এই মানুষটার চোখে জ্বালিয়েছিল প্রতিহিংসার স্ফুলিঙ্গ। সেই প্রতিহিংসা ছিল এক প্রাকৃতিক অচলায়তনের বিরুদ্ধে। অধিক শোক তঁার মনে জন্ম দিয়েছিল এক সুদৃঢ় জেদের। যা অজেয় প্রকৃতির বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধে জয়ী করেছিল শুধু তাঁকে নয়, সমগ্র মানবজাতিকে। আর এই শোকের কারণ ছিল তাঁর জীবনের একমাত্র সঙ্গী, তাঁর স্ত্রী ফাল্গুনীদেবীর অকালপ্রয়াণ। কিন্তু কী ছিল সেই ঘটনা? তা জানার জন্য আমাদের হেঁটে যেতে হবে একটু পেছনপানে।
    সময়টা ছিল ১৯৫৯। বিহারের গয়া জেলায় অত্রি এবং নাজিরগঞ্জের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিল গেলৌর পাহাড়। এই পাহাড়ের কোলেই অখ্যাত গ্রাম গেলৌরের বাসিন্দা দশরথ। সেই সময়ে সামান্য চিকিৎসার জন্য এই গ্রামের বাসিন্দাদের পাহাড় বেষ্টন করে প্রায় ৭০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পৌঁছতে হত শহরে। অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে সেই পথেই হাসপাতালের দিকে রওনা দিয়েছিলেন দশরথ। কিন্তু দীর্ঘ যাত্রার সেই ধকল সহ্য করতে না পেরে পথেই মারা যান ফাল্গুনীদেবী। আর প্রিয়তমা স্ত্রীর এই মৃত্যুই প্রতিহিংসা ও জেদের জন্ম দেয় দশরথের মনে।
    ‘যখন একটা মাত্র হাতুড়ি আর ছেনি সম্বল করে এই লড়াইয়ে নেমেছিলাম, তখন লোকে আমায় পাগল ভেবেছিল। আমি কিন্তু সরে আসিনি আমার জেদ থেকে। আমাকে নাগাড়ে এই কাজে মেতে থাকতে দেখে একদিকে যেমন অধিকাংশ মানুষ আমাকে টিটকিরি দিত, তেমনি আবার কিছু মানুষ আমাকে খাবার দিয়ে, জল দিয়ে, নতুন যন্ত্রপাতি কিনে দিয়ে সাহায্যও করে গেছেন’, বলছিলেন দশরথ। কেন তঁাকে লোকে পাগল বলত? আসলে স্ত্রীর শোকে প্রতিহিংসার আগুনে সেঁকা দশরথ সেদিন গেলৌর পাহাড়ের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘বহোত বড়া হ্যায় তু। বহোত অকড় হ্যায় তেরে মে। দেখ, ক্যায়সে উখারতা হুঁ অকড় তেরি।’ আর তার পরেই লেগে পড়েছিলেন কাজে। ছেনি আর হাতুড়ি সম্বল করে আরম্ভ করেছিলেন পাহাড় কাটতে। যাতে চিকিৎসার জন্য গ্রামের মানুষকে আর ৭০ কিলোমিটার ঘুরপথ অতিক্রম করতে না হয়।
    ১৯৬০ থেকে ১৯৮২— টানা ২২ বছর ছেনি আর হাতুড়ি নিয়ে লড়াই করে সত্যি সত্যিই পাহাড় ভেদ করে দশরথ তৈরি করেছিলেন ৩০ ফুট চওড়া একটা রাস্তা। যার ফলে ৭০ কিলোমিটারের পরিবর্তে অত্রি আর নাজিরগঞ্জের দূরত্ব দাঁড়িয়েছিল মাত্র ১ কিলোমিটার। এই অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য এলাকার মানুষ আদর করে তঁার নাম দিয়েছিল ‘মাউন্টেন ম্যান’। পরে তঁার নামেই তঁার তৈরি এই রাস্তার নাম হয় ‘দশরথ মাঝি রোড’। স্বয়ং আমির খান ঘুরে যান তঁার গ্রামে। ‘সত্যমেব জয়তে’ ধারাবাহিকে দুটি পর্বে সম্প্রচারিত হয় দশরথের এই অনন্য কীর্তি। ২০০৬–তে তঁাকে সম্মানিত করা হয় ‘পদ্মশ্রী’–তে। আর পিত্তথলির ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস দায়িত্ব নেয় তঁার চিকিৎসার। আর এবার মুক্তি প্রতীক্ষায় এই অসামান্য মানুষটির জীবনকাহিনী নিয়ে ছবি ‘মাঝি: দ্য মাউন্টেন ম্যান’। পরিচালনায় কেতন মেহতা। ছবিতে দশরথ ও তঁার স্ত্রী ফাল্গুনীদেবীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি ও রাধিকা আপ্তে। সত্য ঘটনা অবলম্বনে হলেও এই ছবিতে কেতন দশরথের জীবনকে ধরেছেন একটু অন্যভাবে। সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবির ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে, ঘুরপথে যাত্রার ধকলে নয়, ফাল্গুনীদেবী মারা যাচ্ছেন পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ে। ছবিতে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ২০ বছরের সদ্য শহর–ফেরত যুবক দশরথ ও গ্রাম্য বালিকা ফাল্গুনীর দীর্ঘ প্রেমপর্ব ও বিবাহকে। সে যাক। হয়ত সিনেমার প্রয়োজনেই এই পরিবর্তন। কিন্তু প্রশ্ন অন্য জায়গায়। কেতন মেহতার দাবি, মৃত্যুর আগে দশরথই নাকি তাঁকে অনুমতি দিয়ে দিয়েছিলেন তঁার জীবন নিয়ে ছবি তৈরির। তার ভিত্তিতেই প্রশ্ন, দশরথ যে সরকারি বঞ্চনার শিকার হয়েছিলেন, সে কথাও উঠে আসবে তো ছবিতে? এই অনন্য মানুষটার শেষ জীবন কেটেছিল অনাহারে। ছবিতে উঠে আসবে তা? সরকার থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, দশরথ মাঝি ও তঁার পরিবারকে মাসে ১০,০০০ টাকা করে পেনশন দেওয়া হবে। কিন্তু তা বাস্তব হয়ে ওঠেনি। ছবিতে উঠে আসবে সে কথা? দশরথের ছেলে ভগীরথ ও পুত্রবধূ বাসন্তীর দিন কেটেছে প্রায় অনাহারে। অবশেষে বিনা চিকিৎসা ও বিনা পথ্যে বাসন্তীদেবী মারা যান গত বছর। ছবিতে থাকবে এই তথ্য? রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে কতখানি হঁাটতে পারলেন কেতন মেহতা এই ছবিতে? তার উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ২১ আগস্ট। ওই দিনই মুক্তি পাচ্ছে ‘মাঝি: দ্য মাউন্টেন ম্যান’।

  9. মাসুদ করিম - ৬ আগস্ট ২০১৫ (১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ)

    ‘Last’ Hong Kong tinsmith dies at 99, taking knowledge of his trade with him

    Sai Kung’s Main Street has been quieter over the past month, absent the persistent rhythm of Mak Sing-yin’s hammer.

    Mak, a tinsmith known as the tin man, died on June 24 at the age of 99, taking with him his knowledge of the art of shaping the metal.

    Wiry and with an unflagging energy, Mak spent his days over 81 years turning plain sheets of tin into cake pans, watering cans, letter boxes and buckets.

    Located in a narrow alley of Sai Kung’s Old Town, his shop, named Wo Cheong Hou, opened everyday from 9.30am to 4.30pm. Residents and tourists alike would stop to watch Mak, as he shaped and punched holes in tin sheets.

    The tin man was a neighbourhood institution. And his trade has no descendents.

    “Even my children never learned this. They couldn’t make a living from it,” Mak told the Sunday Morning Post last November. “Why would I teach it to someone? It would be a burden.”

    One of his grandsons, who also lived in Sai Kung, said at the time he regretted not having had the chance to learn his grandfather’s craft. “I asked him many times to teach me,” recalled Mak Mau-hei, 26, an air conditioner technician. “But he always said that with this kind of job [where] we couldn’t make money.”

    Born in the Shunde district of Guangdong province, Mak was about 18 when he followed the path of relatives, who roamed south to escape the Japanese occupation. He learned to craft tin for three years in Kowloon before moving to Sai Kung in the early 1950s with his wife and firstborn son.

    “If you asked me what I made … I’d say I made everything,” Mak said. “The world was different then. I made spittoons, basins and I helped to build barns.”

    He remained at the No 14 Sai Kung Main Street, in the same three-storey building where his five children grew up and his 13 grandchildren ran around. Over the years, he saw Sai Kung change, but his shop always looked about the same, with pliers, scissors and hammers scattered around.

    He was particularly proud of a photo hung on his wall, which portrayed him shaking hands with the late British prime minister Margaret Thatcher in 1994.

    Mak would have turned 100 in September. His shop – as he always said it would – remained opened as long as he could hold his hammer.

  10. মাসুদ করিম - ৬ আগস্ট ২০১৫ (১:১৭ অপরাহ্ণ)

    Hiroshima marks atomic bombing, worries about steps towards war

    Bells tolled and thousands bowed their heads in prayer in Hiroshima on Thursday at ceremonies that marked the 70th anniversary of the world’s first atomic bombing and highlighted rising tensions over Japan’s moves away from its pacifist constitution.

    Bells tolled and thousands bowed their heads in prayer in Hiroshima on Thursday at ceremonies that marked the 70th anniversary of the world’s first atomic bombing and highlighted rising tensions over Japan’s moves away from its pacifist constitution.

    Hiroshima Mayor Kazumi Matsui urged that nuclear weapons be abolished and demanded the creation of security systems that do not rely on military might.

    “Working with patience and perseverance to achieve these systems will be vital, and will require that we promote throughout the world the path to true peace revealed by the pacifism of the Japanese constitution,” he said in a speech.

    Prime Minister Shinzo Abe and his government are pushing security bills through parliament that could send Japanese troops into conflict for the first time since World War Two, sparking protests around the country.

    At 8:15 a.m. (2315 GMT), the exact time the bomb exploded on Aug. 6, 1945, the crowd stood for a moment of silence in the heavy summer heat as cicadas shrilled and the Peace Bell rang.

    Many of those gathered for the ceremony renewed their calls for peace.

    “My grandfather died here at that time and I keep wondering what he felt then,” said Tomiyo Sota. “He was still 21 years old and it pains me to think he died so young.”

    The Hiroshima bombing, which killed 140,000 by the end of the year, was followed by the atomic bombing of Nagasaki on Aug. 9, 1945, which killed about 40,000 instantly. The war ended on Aug. 15.

    Opposition to Abe’s security bills, which have passed the lower house of parliament and are being debated in the upper house, remains strong, and Abe’s support ratings have slid below 40 percent.

    Many with memories of the war and its aftermath

    are scathing about Abe’s steps away from Japan’s pacifist constitution in pursuit of a more robust security stance – a key policy goal – and his desire to adopt a less apologetic tone towards the war in Asia.

    A national group of atom bomb survivors criticised the government for forcing the bills through the lower house last month.

    “The longer discussion went on, the clearer it became that they were just trampling on the constitution and its renunciation of war and military strength,” Nihon Hidankyo said in a statement.

    Abe attended the ceremony, echoing the call for an end to nuclear weapons. He plans to issue a statement marking the anniversary of the war’s end next week, which critics fear will dilute past official apologies.

    Did Hiroshima Save Japan From Soviet Occupation?

    In the wee hours of Aug. 24, 1945, Soviet long-range bombers would take off from their air base not far from the Far Eastern port of Vladivostok and fly east, across the Sea of Japan, dropping lethal payloads on the northern Japanese island of Hokkaido. At 5 a.m. that morning, two Soviet regiments would storm their way onshore, followed, in two hours, by a larger force. Within days, two infantry divisions would sweep across northern Hokkaido, cutting the island in half.

    That was the rough battle plan drawn up by the commander of the Soviet Pacific Fleet, Adm. Ivan Yumashev, at the end of World War II for occupying Hokkaido. Troops were on standby. Submarines were ordered to the Hokkaido coast for reconnaissance in preparation for land invasion, and had even started sinking Japanese ships (tragically, just refugee boats fleeing Soviet operations on nearby Sakhalin Island). The Soviets had by then occupied southern Sakhalin and were mopping up the remnants of the Japanese along the Kuril island chain that stretched from Hokkaido to the Kamchatka Peninsula, in Russia’s far northeast. Although the Red Army was not as experienced as the Americans with landing operations, this Soviet “D-Day” in Hokkaido would’ve been a walkover — the Japanese army was in shambles, and Emperor Hirohito had recently proclaimed defeat.

    Japan’s second-largest island, roughly the size of Maine, Hokkaido was of huge strategic significance. Joseph Stalin’s possession of the island would turn the vast Sea of Okhotsk into a Soviet lake, and ease the projection of Soviet naval power into the Pacific. Stalin had his eyes on a big prize. The detailed Soviet operational plans, published Wednesday by the Wilson Center in the full English translation for the first time, show that all the pieces had been put in place for a swift Soviet occupation.

    All that was missing was a final go-ahead from Stalin. On Aug. 16 the Soviet leader asked U.S. President Harry S. Truman to acquiesce in this “modest wish” or risk offending “Russian public opinion.” Although just months earlier, the U.S. War Department had considered letting the Soviets occupy Hokkaido and even part of Honshu, Japan’s largest island, Hiroshima had clearly changed things for Truman. Possession of a mighty new weapon gave Truman the confidence to set the terms of his relationship with Stalin. On Aug. 18, Truman bluntly turned Uncle Joe down. Stalin procrastinated, weighing the pros and cons. Two days before the planned Aug. 24 landing on Hokkaido, he called off the operation.

    Stalin was not known for his measured appetites. Why did he refrain from taking a large chunk of Japanese territory that would have given him a much greater say in the running of postwar Japan and, quite possibly, led to the creation of a Soviet-controlled satellite in Hokkaido, a kind of a “Democratic People’s Republic of Japan,” on North Korea’s model?

    This is not an idle question: It goes to the heart of what we think we know about Stalin, Truman, and the role of atomic deterrence. The most obvious possibility is that Stalin was intimidated by the display of U.S. might at Hiroshima on Aug. 6, 1945, and Nagasaki three days later, which proved — even before diplomat George Kennan famously put it in those terms in his 1946 Long Telegram — that “impervious to logic of reason,” Moscow was “highly sensitive to logic of force.”

    Truman believed that the bomb had won the war against Japan. Shortly after the bomb entered the U.S. military arsenal, it entered the American diplomatic arsenal as well. In other words, Truman did not have to threaten the Soviet Union: U.S. possession of the bomb implied the threat. But how did Stalin see it?

    First, Hiroshima and Nagasaki were less of a shock to Stalin than one would suppose. In spite of Truman’s famous belief that Stalin did not understand him when he cryptically brought up the A-bomb at the Potsdam Conference in July 1945, Stalin had long known about British and American atomic weapons research. Beginning in 1941, Soviet spy agencies — NKVD and GRU — gathered intelligence on the bomb, and in September 1942 the Soviet State Defense Committee, chaired by Stalin, authorized work on the Soviet atomic project. This was initially a limited effort: Moscow could not afford to spend massively for uncertain gain at the time of its raging war with Nazi Germany. But in December 1944, Stalin charged his ruthless and powerful security chief Lavrentiy Beria with oversight of the project. Extending NKVD’s umbrella and resources to atomic research spoke volumes about Stalin’s determination not to let the United States get too far ahead.

    After Hiroshima, Stalin redoubled his efforts. While he pondered whether to invade Hokkaido, the Soviet leader on Aug. 20 decided to create a “Special Committee,” headed by Beria, for an all-out push to make the atomic bomb. The program was dubbed “Project Number One,” and it really was, in terms of commitment of industrial resources, manpower, and scientific expertise. Teams of scientists (including captured German ones) were incentivized with cash and perks; thousands of Gulag slave laborers worked construction and mining sites; hundreds of geological parties went looking for uranium from the permafrost of Siberia, to the mountains of Central Asia, to newly occupied Eastern Europe and North Korea.

    Meeting the scientific head of the Soviet atomic project, Igor Kurchatov, on Jan. 25, 1946, Stalin dismissed the notion that there could be a “Russian” way to the bomb and urged him to “carry out the work quickly in the crude basic manner” — relying on information collected by Soviet spies. It did not matter how sophisticated the bomb would be. All that mattered was to have something in hand. “All great inventions were initially crude,” Stalin said, “as it was with the steam locomotive.” Stalin got his “locomotive” in August 1949, years earlier than American intelligence estimates predicted.

    However, Stalin’s keen interest in the bomb does not mean that he was terrified by its awesome power. Instead, Stalin wanted it as a status symbol of a great power. He was far less impressed by the bomb’s military usefulness.

    Members of the GRU and Soviet diplomats in Japan made repeated trips to Hiroshima and Nagasaki in the aftermath of the bombing, filming the damage and interviewing survivors. In a September 1945 report, the Soviet ambassador to Japan, Yakov Malik, downplayed the extent of the devastation, arguing that “neither streetcar tracks nor things buried in the earth were damaged,” and that Japanese newspapers had overestimated the effects of the bomb.

    Aware of these reports, Stalin was skeptical of the power of atomic weapons. “Not atomic bombs, but armies decide about the war,” he told Polish Communist leader Wladyslaw Gomulka in November 1945. Even more important was the will to fight. The Americans, Stalin felt, had none: They “have been disarmed by agitation for peace and will not raise their weapons against us.”

    Even assuming that Stalin was bluffing — and that he was quite scared of the U.S. bomb — it is unlikely that he would have let it show by conciliatory gestures. Only weeks after Stalin blinked on the question of Hokkaido, Soviet Foreign Minister Vyacheslav Molotov played hardball at the London Council of Foreign Ministers, stonewalling U.S. demands for a say in Romania and Bulgaria and even demanding bases in the Mediterranean. Then-U.S. Secretary of State James Byrnes unsheathed the weapon of atomic blackmail: “If you don’t cut out all this stalling.… I am going to pull out an atomic bomb out of my hip pocket and let you have it.” Molotov remained steadfast.

    Behind the scenes, Stalin egged him on: “The Allies are pressing on you to break your will and force you into making concessions. It is obvious that you should display complete adamancy.” Later, Stalin elaborated, “We cannot achieve anything serious … if we begin to give into intimidation or betray uncertainty.” Stalin’s response to pressure was to apply counterpressure, meeting threats with bravado. Why, then, did he retreat in Hokkaido?

    The answer is that even a cynical realist like Stalin wanted not so much geopolitical gains as U.S. recognition of his sphere of interests. Attractive for geopolitical reasons, Hokkaido was not part of the deal agreed upon at Yalta in February 1945. Stalin knew that by violating this agreement, he risked undermining Soviet gains in the Far East, including possession of southern Sakhalin and the Kuril Islands. Truman already hinted at that in his letter to Stalin on Aug. 18, when, out of the blue, the U.S. president asked for an air base in the Kurils, threatening to poke a large hole in the Soviet line of defense in the Far East.

    Stalin wanted Soviet-U.S. cooperation to continue, with each country respecting the other’s legitimate claims. This was the reason he proposed Soviet occupation of Hokkaido in the first place. True, the Americans had basically won the war in the Pacific. But, then, in his view, the Soviets had basically won the war in Europe, so if the Soviets could tolerate U.S. presence in Germany, why would the United States refuse to tolerate Soviet presence in Japan?

    Truman’s refusal to accept what to Stalin seemed like a reasonable idea deeply upset the Soviet leader. U.S. Ambassador W. Averell Harriman, who saw Stalin in October 1945, found him still “irked” by the Hokkaido debacle, complaining bitterly that the Soviet Union did not want to have merely a symbolic role in Japan, like “a piece of furniture.” In fact, Stalin was so upset by Truman’s Aug. 18 written refusal to allow the Soviets on Hokkaido that he crossed out the title “President” before Truman’s name on the president’s letter. In Stalin’s view, Truman lacked the stature and the foresight to be president. He was not the sort of person who Stalin could strike a deal with — or who could be counted on to honor his promises. Truman, in other words, was no Franklin Delano Roosevelt.

    Still, instead of ignoring Truman, Stalin acquiesced. History of Japan took a different turn from the history of Korea. The Japanese did not have to endure the pleasures of Soviet occupation.

    There is a long-running feud between historians who argue that the atomic bombing of Japan was a “military necessity” and their opponents, who think it functioned as a means of intimidating the USSR. Seventy years on, evidence suggests that even if Truman did intend to intimidate Stalin, he was unsuccessful. Stalin’s retreat at Hokkaido was a major concession made in spite of Hiroshima — a late effort by the Soviet dictator to patch up the rapidly unraveling relationship with the United States.

    In 1947, when Yumashev, the author of the Hokkaido landing plan, became the Soviet Minister of the Navy, he raised the subject of the cancelled operation with Stalin. He told Stalin that at the time he had wanted to call him on the phone to insist on the landing but, upon reflection, decided not to. “That’s too bad,” Stalin replied. “If you succeeded, we would have awarded you. If you failed, we would have punished you.”

    Evidently, Stalin had come to regret his decisions on Hokkaido. As the Cold War raged, the Soviet leader thought Truman had been untrustworthy and wished he’d played a tougher game. By 1950, Stalin no longer cared about the Yalta framework that had made him so cautious in August 1945. He aligned with Communist China, and gave Kim Il Sung a green light to invade South Korea. “To hell with it!” Stalin said in January 1950, speaking of Yalta. “Once we have taken up the position that the treaties must be changed, we must go all the way.”

    In August 1945, Stalin was clearly not prepared to “go all the way.” He still saw Truman as a partner in the postwar management of the world. That feeling did not last: Realizing that Truman, emboldened by Hiroshima, was pressuring him, Stalin resolved to stand firm. Truman, for his part, likely misread Stalin’s retreat in Hokkaido as evidence that Stalin would back off if pressed. Although the bomb did not make Stalin back off in Hokkaido, its implicit threat made superpower cooperation an increasingly remote prospect. Hiroshima, then, made the Cold War practically inevitable.

    Stalin had planned to seize a major Japanese island. When Truman refused, Stalin blinked. Why?

    • মাসুদ করিম - ৭ আগস্ট ২০১৫ (১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ)

      Japan commemorates 70th anniversary of Hiroshima atomic bombing

      The peace park in the heart of Hiroshima fell silent on Thursday morning as more than 55,000 people marked the moment at 8.15am, 70 years earlier, when the atomic bomb exploded over the city and thrust the world into the nuclear age.

      Bells then tolled and white doves were released into skies that were as clear blue as they had been on the morning of August 6 1945 when the US bomber, Enola Gay, flew over Hiroshima and released its historic payload — a weapon that the US argued spared lives by ending the Pacific war quickly, but whose justification remains bitterly debated.

      Survivors and local officials approached the memorial close to the bomb’s epicentre with bamboo flasks, and presented the souls of the dead with the water that so many had died pleading for.

      Prime Minister Shinzo Abe, who contends with falling approval ratings over what many see as militaristic policymaking, and has faced recent street protests against his controversial new security bills, told the audience that Japan had “an important mission to bring about a world without nuclear weapons”.

      Japan, he added, would send a new draft resolution on nuclear disarmament to the UN later this year.

      The prime minister’s speech was not delivered to complete silence, however. On the fringes of the peace park, and out of Mr Abe’s line of sight, several hundred pro-peace protesters shouted angry opposition to his security bills, and to the continued presence of US military bases in Japan.

      Many see Mr Abe’s policies, which would change Japan’s military posture and allow the country to join an ally such as the US in overseas operations, as a reversal of the pacifism that emanated from Hiroshima and Nagasaki.

      The political torment surrounding the security bills, which are being debated in Japan’s parliament, continues to provoke public outrage. On the day before the Hiroshima memorial, Japan’s defence minister Gen Nakatani faced questions from local media and said he could not rule out Japan’s military transporting the nuclear weapons of foreign forces.

      Mr Nakatani rushed to qualify the comment, by saying that it was in reality impossible to imagine that happening because of Japan’s longstanding policy of not owning nuclear arms, building them or allowing others to bring them into Japan. But the remark has enraged peace activists and others already convinced that Mr Abe’s administration is leading the country into a state no longer consistent with its pacifist constitution.

      A speech by the Mayor of Hiroshima, Kazumi Matsui, commemorated the “140,000 precious lives” lost, first in the blinding white flash of the blast, then in the firestorm that followed, and later in the months and years afterwards where those exposed to radiation continued to die.

      Three days after Hiroshima, Nagasaki was destroyed by a second nuclear bomb. Mr Matsui described nuclear weapons as “the ultimate inhumanity and evil” and renewed calls for the US President Barack Obama to visit Hiroshima and step up efforts on nuclear disarmament.

      “We must establish a broad national security framework that does not rely on use of force but is based on trust,” he said.

      Survivors of the bomb, who are known as hibakusha in Japan and whose average age reached 80 this year, continue to paint vivid verbal pictures of the horrors of the minutes and hours that followed the explosion.

      A group of survivors, some with their eyes tightly closed, shared recollections of half-burnt “ghosts” wandering through the apocalyptic aftermath of the blast, of siblings and parents killed just metres away.

      Mikiso Iwasa, chairman of the Japan confederation of atomic bomb sufferers’ organisations and himself a survivor, said that the greatest risk the world faced was from forgetting Hiroshima.

      “The fact that the world is still bristling with 15,000 nuclear weapons,” he said, “means that anyone in the world could become a hibakusha at any time.”

  11. মাসুদ করিম - ৭ আগস্ট ২০১৫ (৪:০০ অপরাহ্ণ)

    ‘মুস্তাফিজ সেই আগের মুস্তাফিজই আছে’

    আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক মৌসুমে মুস্তাফিজুর রহমান ছাড়িয়ে গেছেন কল্পনার সীমানাও। ক’দিন আগের আনকোরা তরুণ এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটের অমূল্য রত্ন। অনূর্ধ্ব-১৯, ‘এ’ দল হয়ে আজকের পর্যায়ে আসলেন যেখান থেকে, মিরপুরের সেই বিসিবি একাডেমি ভবনে বসেই বৃহস্পতিবার একান্তে তিনি কথা বললেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে।

    এক বছরের একটু আগে, এখানে এই সোফায় বসেই কথা হয়েছিল আপনার সঙ্গে। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছিলেন, তাতেই আপনি আবেগে আপ্লুত ছিলেন। বছরখানেক পর এখন আপনার নাম ক্রিকেটবিশ্ব জুড়ে। কল্পনার সীমানাও কি এতটা ছিল?

    মুস্তাফিজুর রহমান: নাহ…ওইসব তো ভাবা যায় না। সময়টা ভালো যাওয়া লাগে। আল্লাহ সময় ভালো দিয়েছেন, এজন্য ভালো যাচ্ছে সময়।

    ক্রিকেটবিশ্ব এখন আপনাকে চেনে ‘কাটার মুস্তাফিজ’ নামে। ক্যারিয়ারের শুরুতেই এত দ্রুত নিজের একটা আলাদা পরিচয় গড়ে তোলা, বছরের পর বছর খেলেও এটা অনেকের হয় না। ভাবতে কেমন লাগে?

    মুস্তাফিজ: আমি আসলে অত ভাবি না। সবসময় সামনে তাকাই। সামনে অন্তত ১০ বছর দলকে সার্ভিস দেব, এটাই আছে শুধু মাথায়।

    ডেল স্টেইন সেদিন বললেন আপনার বোলিং দেখে শিখেছেন। বিশ্বজুড়ে আরও কত বড় বড় বর্তমান-সাবেক ক্রিকেটারের প্রশংসা…

    মুস্তাফিজ: আমি আসলে ক্রিকেট খেলা অতটা দেখি না, অনেকের নামও জানি না। বড় বড় ক্রিকেটাররা প্রশংসা করলে ভালো লাগে। এই তো…জানি না আর কী বলব!

    পেছনে যাওয়া যাক। আপনার ক্রিকেটার হয়ে ওঠা নিয়ে অনেক লেখালেখি ও বলাবলি হয়েছে গত কিছুদিনে। তবু আপনার মুখ থেকে শোনা যাক…

    মুস্তাফিজ: ছোট থেকেই দেখেছি বাসায় সবাই ক্রিকেট খেলা দেখত। বিশেষ করে আমার বাবা খুব ক্রিকেট দেখতেন। ওয়াসিম আকরামকে খুব পছন্দ করতেন আমার বাবা, সাঈদ আনোয়ার, মোহাম্মদ ইউসুফের ব্যাটিং পছন্দ করতেন। বাসায় সবাই খেলা দেখত। আমি অতটা দেখতাম না খেলা। তবে বাবা ডেকে ডেকে খেলা দেখাতেন। অনেক সময় ভোরে খেলা হতো, বাবা আমাদের সব ভাইকে ডেকে খেলা দেখাতেন।

    নিজের খেলা কখন শুরু?

    মুস্তাফিজ: ওই তো, আস্তে আস্তে খেলা শুরু করলাম। স্কুলের মাঠে তখন ফুটবল, ক্রিকেট সবই খেলতাম। ফাইভ স্টার বলে ক্রিকেটে খেলতাম। তখন ব্যাটিং করতাম, বেশি মারতে পারতাম না, তবে টিকে থাকতে পারতাম অনেকক্ষণ। আমরা চার ভাই-ই খেলতে খুব পছন্দ করতাম। এলাকার খেলা হলে আমরা দল নিতাম। জাতীয় দলে ঢোকার কিছুদিন আগেও আমরা ৩ ভাই এক সঙ্গে খেলেছি। টিভি কাপ খেলা হতো। দেখা যেতো ৩ হাজার টাকার টিভি পাওয়ার জন্য আমরা টুর্নামেন্টে ১০-২০ হাজার টাকা খরচ করে ফেলতাম। সাতক্ষীরার সব ভালো ক্রিকেটারকে আমরা দলে নিতাম।

    আমি তখনও টুর্নামেন্টে খেলতাম না। এলাকার ভালো ভালো ক্রিকেটাররা খেলত। আমি খেলা শুরুর আগে তাদের বল-টল করতাম। ভালো একজন ব্যাটসম্যান ছিল মিলন, তাকে বল করছিলাম। সে গিয়ে ভাইকে বলল, ‘তোমার ভাই তো ভালো বল করে!’ আমাকে বলে গেল, ‘সাতক্ষীরায় বয়সভিত্তিক খেলা-টেলা হলে ফোন দেব, চলে আসবা।’

    সেই ডাক কবে এলো?

    মুস্তাফিজ: কিছুদিন পরই। আমি তখন সাতক্ষীরা শহর চিনিই না। বয়সভিত্তিক খেলার সময় ডাক এলো। আমি গেলাম। দাঁত দেখল (বয়স পরীক্ষার জন্য), ট্রায়াল দিলাম। অনুর্ধ্ব-১৬ ছিল সেটি। সেই প্রথম ক্রিকেট বল চোখে দেখি। ৫১ জনকে নিয়েছিল ট্রায়ালে। পরে সেটা কমিয়ে আনা হলো ১৪ জনে। টিকে গেলাম। পরে জেলা টুর্নামেন্টে খেললাম। সেখান থেকে বিভাগীয় টুর্নামেন্টে।

    সেই সময় কিন্তু আমার বোলিং এমন ছিল না। অনেক এলোমেলো ছিল। ‘রং ফুটেড’ ছিলাম, যে পা সামনে থাকার কথা, অন্য পা থাকত সামনে। বিভাগীয় টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারিনি। ৩ ম্যাচে মনে হয় একটি উইকেটও পাইনি। ফিল্ডিংয়ে পাশ দিয়ে বল চলে যেত, ধরতে পারতাম না। বিভাগীয় দলে থাকার সময়ই পরে বোলিং নিয়ে কাজ করলাম। ঢাকায় পেস ফাউন্ডেশনের ক্যাম্পে ডাক পেলাম। ওই সময় অনুর্ধ্ব-১৯ দলেরও ক্যাম্প ছিল, তাসকিন ভাইরা ছিল। ওখানে নেটে বোলিং করলাম। তারপর তো আপনাদের জানাই। অনূর্ধ্ব-১৯, ‘এ’ দল হয়ে এখানে।

    বড় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন মনে গাঁথল কখন?

    মুস্তাফিজ: বিভাগীয় অনূর্ধ্ব-১৬ যখন খেলি; শেখ সালাউদ্দিন স্যারের (অকাল প্রয়াত সাবেক অফ স্পিনার ও কোচ) কথা এখানে বলতেই হবে। কোচ সবাই সমান, আমার কাছে সালাউদ্দিন স্যার তবু স্পেশাল। ল্যাপটপে স্যার জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনুশীলন, ভিডিও, এসব দেখাতেন। তখন মনে হতো, আমরা এমন জায়গায় কবে খেলব? ওই বছরই পেস ফাউন্ডেশনের ওই ক্যাম্প হলো।

    জাতীয় দলের নেটে যখন বোলিং করতেন, তখন নিশ্চয়ই স্বপ্নের পরিধি আরও বেড়েছে?

    মুস্তাফিজ: তখন আমি আসলে ভালোভাবে বুঝতেও পেরেছি। জাতীয় দলের নেটে যখন বোলিং করতাম, আমি তো সেই লেভেলের ছিলাম না। কিন্তু চেষ্টা করতাম অন্যদের মত বোলিং করতে। ভাবতাম নেটে ভালো কিছু করলে আমার সুযোগ আসতে পারে।

    আপনি কি সহজাত বাঁহাতি?

    মুস্তফিজ: সবসময়ই বাঁহাতি ছিলাম। সব কিছু বাঁ হাতে করতাম। এমনকি খাওয়া-দাওয়াও বাঁ হাতে করতাম। আমার মা পরে সেটা সারিয়েছেন (হাসি)।

    একটি সংবাদ সম্মেলনে আপনি বলেছিলেন, এনামুল হকের কথায় কাটার শিখতে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। এর আগে কি এই ডেলিভারি সম্পর্কে ধারণা ছিল না?

    মুস্তাফিজ: সেভাবে জানতাম না আসলেই। নেটে বিজয় (এনামুল) ভাই যখন বললেন, স্লোয়ার পারি কিনা, এরপরই চেষ্টা করতে গেলাম প্রথম। স্লোয়ারের মতো করে ছাড়লাম বল, দেখি টার্ন করলো। বিজয় ভাই আউটও হয়েছিল, যেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল। কারণ বিজয় ভাই আউট হওয়ার পরই আমার মনে হয়েছিল এটা ভালো করে শিখতে হবে।

    কাটারেও আপনি বৈচিত্র্য দেখিয়েছেন, আস্তে একটি, আরেকটি একটু গতিময়..

    মুস্তাফিজ: হ্যাঁ, আমি দুটি কাটার করি। একটা একটু জোরে, ১৩০ কিমির আশেপাশে থাকে। আরেকটা ১২০ কিমির আশেপাশে। দুইটাই দারুণ কাজে লাগে (হাসি)।

    ক্যারিয়ারের প্রথম মৌসুমে যতগুলো উইকেট পেলেন, কার উইকেট সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছেন?

    মুস্তাফিজ: সবচেয়ে মজা লেগেছে আফ্রিদির উইকেট (অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে)। যদিও বলটা ব্যাটে লাগেনি, তবু এটাই সেরা। আফ্রিদি বুঝতেও পারেনি। ওই উইকেটেই সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছি।

    আউট করার আগে আফ্রিদি ছক্কা মেরেছিল আপনাকে। ভড়কে যাননি? কিংবা পরে, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার এত বড় বড় ব্যাটসম্যান, ভয় লাগেনি?

    মুস্তাফিজ: একটুও না। আমি ছোট থেকেই যেখানে যত জায়গায় খেলেছি, ব্যাটসম্যান কে, এটা নিয়ে ভাবি না। এটা আমার ন্যাচারাল গুণ। সামনে কে দাঁড়িয়ে, এটা ভাবি না। শুধু নিজের বোলিং নিয়েই ভাবি। মাঠে নামলে আর কিছু ভাবি না।

    অভিষেকের সময়ও নার্ভাস লাগেনি?

    মুস্তাফিজ: টি-টোয়েন্টির সময় না। তবে ওয়ানডে অভিষেকের সময় লাগছিল। ওয়ার্ম-আপ করার সময় যখন নামছি, তখন একটু ভয় পেয়েছিলাম। এত দর্শক, উত্তেজনা। রাজু ভাই (আবুল হাসান) ছিল ড্রেসিং রুমে, বললাম, ‘রাজু ভাই, চলেন আমার সাথে মাঠে, আমার ভয় লাগতেছে।’ ওই প্রথম মনে হয় জীবনে নার্ভাস লাগছিল। তবে খেলা শুরুর পর সব ভয় উড়ে গেছে।

    অভিষেকের কথা আপনি কখন জানতে পেরেছিলেন? বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা জানি, আপনার খেলার কথা ছিল না। অধিনায়ক মাশরাফি একরকম জেদ করেছিলেন আপনাকে খেলাবেনই। শেষ মুহূর্তে আপনাকে নেওয়া হয়…

    মুস্তাফিজ: আগের দিন আমাকে বলেছিল যে, খেলার একটা চান্স আছে। পরদিন ওয়ার্ম আপের সময়, আমাকে বলা হলো রান আপ মাপতে। তখন বুঝলাম হয়তো খেলছি। পরে কোচ এসে বলল, ‘তুমি খেলছো।’ আমার সমস্যা হয়নি, কারণ খেলাক বা না খেলাক, আমি সবসময়ই প্রস্তুত থাকি।

    অভিষেকের বোলিং দিয়ে তো একটা ফোন জিতেছিলেন?

    মুস্তাফিজ: (হাসি) একটা ভালো ফোন দরকার ছিল। বিদেশে থাকা মামাকে বলেছিলাম পাঠাতে। মামা বলেছিলেন, ‘যদি খেলার সুযোগ পাও, ৩ উইকেট পেলে ফোন পাবে।’ পেলাম তো ৫টি। সেই ফোন হাতে পেয়েছি দুই দিন হলো, আইফোন সিক্স প্লাস।

    শোনা যায়, টেস্ট দলে ডাক পেয়ে চমকে গিয়েছিলেন!

    মুস্তাফিজ: হ্যাঁ, আমার তো ওয়ানডে শেষে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা। টিকিটও কাটা হয়েছিল। আমাদের সাতক্ষীরারই ছেলে সৌম্যকে মজা করে বলছিলাম যে, ‘এই যে টিকেট, বাড়ি যাচ্ছি।’ সেই টিকেট ব্যাগে ছিলই, সেদিন হোটেল ছাড়ার সময় ফেলে দিলাম।

    টেস্টেও প্রথম স্পেল ভালো হয়নি, পরে এক ওভারে ৩ উইকেট নিলেন…

    মুস্তাফিজ: আমি আসলে সবসময়ই পুরোনো বলে একটু বেশি ভালো বোলিং করি। এমনিতে টেস্টের সময় সব পেসারই বাইরে যেতে চায়। মেশিন তো আর না যে তেল দিলেই চলবে! তবে আমি বাইরে যেতে চাই না। আমার মাঠে থাকতেই ভালো লাগে, যত কষ্ট হোক। সেদিনও ছিলাম। হাশিম আমলার উইকেট পাওয়ার পর একটা জোশ চলে আসে ভেতরে। আর নতুন ব্যাটসম্যানকে আমি সবসময়ই উইকেট টু উইকেট বল করতে চাই। সেটাই চেষ্টা করেছি। কোন একজন বোলার যেন বলেছিলেন ‘দিনের প্রথম আর শেষ বল অবশ্যই স্টাম্পে করা উচিত।’ আমি সেটা সবসময় মনে রাখি। দুমিনি আর ডি ককের উইকেট সেভাবেই এসেছিল।

    মাশরাফি এত বছর ধরে নতুন বলে বোলিং করল, কিন্তু এখন আপনাকে ছেড়ে দিয়েছে। কেমন লাগে এটা ভাবতে? কেমন সম্পর্ক অধিনায়কের সঙ্গে?

    মুস্তাফিজ: শুধু মাশরাফি ভাই না, সবার সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক। দলের সবচেয়ে জুনিয়র তো, অন্যরকম করে দেখে। আমি এমনিতে সবসময় ভাইদের কাছ থেকে শুনি। সাকিব ভাইয়ের সাথে আগে এত সম্পর্ক ছিল না। এখন ভালো সম্পর্ক। সবার কাছ থেকেই শুনি কি করলে কেমন হয়।

    যতগুলি উইকেট পেলেন, মনে আছে সবকটা?

    মুস্তাফিজ: নাহ, মনে নেই। যেটা যায়, সেটা নিয়ে আমি আসলে ভাবি না। সামনে তাকাই। যখন খারাপ সময় আসবে, তখন হয়তো এসব দেখে অনুপ্রেরণা নেব। এখন দৃষ্টি সামনে।

    স্লেজিং করেন?

    মুস্তাফিজ: করি না। স্লেজিং ভালো লাগে না। অনেকে বলে পেস বোলার হলে এসব করতে হয়। কিন্তু আমার ভালো লাগে না। ব্যাটসম্যান তার কাজ করবে, আমি আমার কাজ।

    ব্যাটসম্যানরা অনেক সময় যখন রক্তচক্ষু দেখায়, তখন?

    মুস্তাফিজ: আমি তো উল্টো ঘুরে চলে আসি। নিজের মতই থাকি। বিরাট কোহলি যেমন একটা চার মেরে আমাকে বলল, ‘এত আস্তে বল কর কেন?’ আমি কিছু বলিনি। বোলিং দিয়েই জবাব দেওয়া যায়। কোহলির উইকেট পাইনি। পেলে ভালো হতো।

    এখন তো আপনার বোলিং নিয়ে অনেকেই গবেষণা করবে। খেলার উপায় বের করবে। আপনি এই চ্যালেঞ্জের জন্য কতটা প্রস্তুত?

    মুস্তাফিজ: আমিও তো আরও শিখব। এখন কাটার ভালো। আরও অনেক কিছু শিখতে হবে। ভেতরে বল ঢোকানো শিখতে হবে। গত পুরো মৌসুমে আমি নতুন কাজ বলতে গেলে করতে পারিনি। প্রিমিয়ার লিগ, জাতীয় লিগ, বিসিএল, জাতীয় দল সব মিলিয়ে শুধু ম্যাচের ওপরই ছিলাম। একটা বিরতি থাকলে বাড়তি কাজ করা যায়। এখন আমার বেশি প্রয়োজন বল ভেতরে আনা শেখা। সব ব্যাটসম্যানই ভেতরে ঢোকা বলে দুর্বল। ওটাই বাঁহাতি পেসারের মূল অস্ত্র সাধারণত। এই বিরতিতে আশা করি, ওটা নিয়ে কাজ করব।

    গতি বাড়ানো আর পেশি ও শরীর আরও সুগঠিত করা?

    মুস্তাফিজ: সবই আছে মাথায়। জিম-টিম ঠিকমত করলে আশা করি হবে। আমাকে যে রুটিন দেওয়া হয়, সব ঠিকমত করি।

    বাড়ি যান না কতদিন?

    মুস্তাফিজ: অনেক দিন। মাঝে বাবা-মা এসেছিলেন দেখা হয়েছে। শনিবার যাব বাড়ি। শুনলাম যশোর এয়ারপোর্টে অনেকেই থাকবে আমার এলাকার, আমাকে নিয়ে যাবে। বাড়িতে গিয়ে ১০-১২ দিন থাকব।

    বরণ করে নেওয়া হবে, আপনার জগত বদলে গেছে। সবশেষ বাড়ি থেকে যে মুস্তাফিজ এসেছিল, কয়েক মাস পর বাড়ি ফিরছে অন্য মুস্তাফিজ?

    মুস্তাফিজ: কিছুই বদলায়নি। মুস্তাফিজ আগে যেমন ছিল, এখনও তেমনই আছে। মুস্তাফিজ সেই আগের মুস্তাফিজই আছে। এলাকায় বা এখানে বন্ধু বা অন্যদের সঙ্গে যেভাবে মিশতাম, কথা বলতাম, এখনও তেমনই আছি।

    এত তারকা খ্যাতির মাঝে ভবিষ্যতে থাকতে পারবেন এমন?

    মুস্তাফিজ: আমার কাছে মনে হচ্ছে না এমন থাকা খুব কঠিন। অন্তত ১০ বছর খেলতে চাই। খেলতে থাকলে অনেক কিছুই হবে। কিন্তু আমি যেমন আছি, মানুষ হিসেবে এমনই থাকতে চাই।

  12. মাসুদ করিম - ১২ আগস্ট ২০১৫ (১২:৪০ অপরাহ্ণ)

    Japan and Chinese Decision-Making

    Understanding China’s decision-making process could help Japan create a better strategy.

    “Our best chance of avoiding antagonism with China is to open up the black box of Chinese domestic politics, look inside, and figure out what makes China act as it does on the world stage.” – Susan L. Shirk (China: Fragile Superpower)

    Perhaps the biggest takeaway from the latest “2015 Defense of Japan” White Paper is the manner in which it explicitly identifies China as Japan’s biggest security threat (with about one third of a section dedicated to China alone), particularly over issues of maritime security. While the Chinese Foreign Ministry and media were understandably defensive, the Japanese perspective raises some salient points (even if the focus on Chinese oil platforms in the East China Sea was perhaps misguided). Not only has modern China undergone a rapid and historically unprecedented ascent to near-superpower status, but its lack of governmental transparency and soft power deficit have failed to reassure its Asian neighbors. Combine this with growing Chinese assertiveness in the South China Sea, and its ongoing military buildup (particularly naval), and it is not difficult to build a narrative in which Pacific Asia should be wary of a potential regional rival (one supported by the growth in overall Asian defense expenditure compared to the rest of the world).

    To be fair, this account fails to acknowledge China’s record of peacefully resolving territorial disputes. More worryingly, it also risks triggering the “politics of emotion” and a potential crisis. In the case of China, this becomes especially worrying given the dependence of the Chinese Communist Party (CCP) on domestic Chinese nationalism as a source of political legitimacy. Only by unpacking this can one hope to better understand the thinking behind Chinese foreign policy.

    Nationalism and Cultural Identity

    While it should hardly be a surprise that one of the world’s oldest civilizations maintains a strong link between nationalism and cultural identity, what is shocking is the level to which this exists. In a recent study examining Chinese public opinion on the Senkaku/Diaoyu Island and South China Sea disputes, it was found that respondents overwhelmingly supported all Chinese claims, up to and including the controversial “nine-dashed line,” with an average response of more than 90 percent confidence. Much of this nationalistic sentiment has its roots in the Patriotic Education Campaign put in place under Deng Xiaoping. Known for his widespread economic reforms, Deng provided an alternative to communist dogma for a nation disillusioned with Maoism, instead drawing “legitimacy from growth and … national pride” while “maintaining a monopolistic grip on power.” While this growth and the CCP’s victory over the Guomindang (GMD) had served as the basis for their political legitimacy for many years, disillusionment with socialism and distrust of the party, as well as wider social unrest, eventually culminated in the 1989 Tiananmen mass student protests. It was in response to this crisis of legitimacy that the CCP introduced the “Patriotic Education Campaign” in 1991, expanding it in 1994.

    Under this program, “National Humiliation” and the “Century of Humiliation” (the 110-year period “from … 1839 to the triumph of the [CCP] in the Chinese civil war in 1949” during which China was “compelled by force of arms into a semi-colonial position”) were heavily emphasized. Official texts were even divided into pre-1839 and post-1839 sections to highlight the role they played in China’s history, despite the fact that no “national humiliation” textbooks had been published between 1937 and 1990. Though some scholars question whether Chinese society was truly “humiliated” at the time, alternative interpretations argue that it is not a time frame or historical period at all, but rather a historical narrative used to meet contemporary needs, obeying Mao’s dictum to “make the past serve the present.” Either way, the introduction of this campaign into Chinese schools marked the CCP’s “rediscovery of nationalism,” and its shift towards national, rather than class, consciousness and growth, as a means of attaining national unity.

    While this shift was utterly necessary at the time in providing a new source of political legitimacy, it has since become a problem for the CCP, occasionally forcing it into certain foreign policy decisions. In the construction of its “historical narrative,” the CCP has put itself forward as the guarantor of Chinese national honor and therefore leaders must act this way when presented with well-publicized issues that could become crises, “[abandoning] their usual mild-mannered international demeanor, and [revealing] themselves as nationalist superheroes.” When not presented with well-publicized issues however, the CCP is able to bypass this and act purely in accordance with its national interest. This phenomenon has been described by Zheng Wang, who points out the differences in the CCP’s approach when dealing with “hot” crises (i.e., emotionally charged emergencies that are heavily covered by the domestic media) versus “cold” ones (the opposite). While “hot” incidents are characterized by escalations, accusations of conspiracy, and demands for diplomatic apologies, the “cold” are instead marked by efforts to de-escalate and cooperate. Because so many of these “hot” incidents seamlessly fit into China’s historical narrative of humiliation, the CCP must act in a certain way so as to remain consistent and guarantee its legitimacy at home. By comparison, when the public is unable to pay as close attention, the CCP shifts to calm realpolitik.

    One possible explanation as to why the Chinese government is so quick to respond to nationalist sentiment may come from its authoritarian nature. While of course many Chinese individuals do not harbor nationalist sentiment, but rather a patriotic pride (with others having none at all), the issue is that the CCP worries more about those with extremist views. Unlike a democracy, which attempts to cater to the middle ground and “average voters” who determine the outcome of elections, autocracies worry more about vocal extremists, who with no civil institutions in which to channel public opinion are therefore “the most likely to take to the streets and mobilize.” The political survival of the CCP depends on its ability to maintain internal stability and prevent those on the fringe from taking action, leading to vocal minorities having a disproportionate effect on foreign policy. This has become a bigger issue as policymakers have begun using the internet as a means of discerning public opinion, seeing it as more trustworthy than canned propaganda from the official press. This is despite the fact that though online participation has shot up remarkably in China, large parts of the country remain offline.

    Admittedly one should not go so far as to treat the CCP as fully subservient to the political fringe. Jessica Chen Weiss presents a compelling account of this, acknowledging that though the domestic government wishes to prevent internal instability, it also has the capacity to shut down certain protests when necessary for the achievement of greater foreign policy goals (making it reliant on domestic sentiment, but not hypersensitive). Still, it is important to classify this effect as disproportionate. It is also likely that this factor will only grow in importance over the next few years. First, recent demographic shifts would indicate a continued surge in nationalism, as the inability of the job market to accommodate the millions of young Chinese male college graduates has resulted in a “male bulge” not unlike the times of European and Japanese imperial expansion. Second, the recent adjustment of the CCP’s economic target growth rate to its lowest growth target in more than 15 years also seems to indicate that national pride will become more important to economic development as a source of political legitimacy. In other words, if the government cannot continue to promise strong year-on-year growth, its reliance on other forms of legitimacy will increase. Additionally, the ongoing efforts of China’s newly commercialized media to reinforce nationalist myths, in order to please both their audiences and the Propaganda Department, do not seem like they will end any time soon.

    It is also important to remember that as in most, if not all, countries, the Chinese Foreign Ministry does not have authority over all foreign policy decisions. While routine decisions free from media publicity are handled by “professionals in the Foreign Ministry who, like diplomats everywhere, seek to improve relations with other countries,” other “domestic hot-button issues” are handled by “the politicians in the Standing Committee of the Politburo.” In other words, the central government handles “the politics of emotion” (an authority it has “[refused] to delegate”) while the Foreign Ministry handles everything else. However, while the Foreign Ministry has internalized global norms to a certain extent, the central government has maintained a “political attitude … redolent of the Middle Kingdom mentality.”

    Lessons for Japan

    With this link between domestic Chinese nationalism and foreign policy decision-making in mind, the question then becomes one of what lessons Japan can derive from it, through which we can draw three broad points: First, that the CCP enjoys broad, popular, near-unwavering support of its territorial claims in both the South China and East China Sea. Second, that whenever these claims are brought up in the Chinese popular consciousness by some new development, that it is the central government (as opposed to the Foreign Ministry) which handles policy decisions. And third, that when presented with this decision, the central government is far more likely to act in a manner that abides by its “national humiliation” narrative (i.e., resorting to the “politics of emotion” over realpolitik) so long as it is widely publicized.

    Recognizing all this, Japan needs to fundamentally readdress its approach to counter-balancing China. The latest defense White Paper seems to indicate that Japan wishes to take a leaf out of the Philippines’ book: appealing to international law and the court of public opinion by bringing to light Chinese actions in the South and East China Sea. However, this approach seems ill-suited to Japan for several reasons. Not only is Japan a greater regional power than the Philippines (which is turning to international law precisely because it is incapable of counter-balancing China via conventional means), but this approach also fails to take into account the fact that China continues to bear a strategic mistrust of international law and multilateralism. Despite this mistrust, China maintains a very strong understanding of international law, as evidenced by its efforts to build “facts on the ground” in both contested areas through maintaining a continuous presence and developing infrastructure. Japan should follow suit and do much of the same within its side of the East China Sea, maintaining a presence through joint naval exercises in contested areas or coast guard patrols (which present a less politicized alternative) and the development of oil platforms.

    More importantly, Japan should seek to remove the Senkaku/Diaoyu dispute from the Chinese public eye so as to avoid once again evoking the “politics of emotion.” Unlike the Philippines or Vietnam, Japan is capable of engaging in bilateral negotiations with the Chinese on a near-equal footing, and should do this whilst continuing its efforts at “quiet deterrence.” Moreover, Japan should address lingering issues of historical reconciliation that have continued to plague its relations within the region. While this second part unfortunately remains unlikely under the current Abe administration, it remains an important manner in which this ongoing dispute could be de-escalated.

    Simply put, Chinese foreign policy decision-making remains a process characterized by, and influenced by, both domestic nationalism and the Chinese political structure. The Chinese Communist Party is by design ultimately concerned with its political legitimacy in the eyes of the people, and by extension, its own survival. As such, this continues to affect both its choices and international outlook. If the Japanese approach can begin to address and incorporate this, it should inform a better strategy in dealing with China.

  13. মাসুদ করিম - ১২ আগস্ট ২০১৫ (১২:৪৭ অপরাহ্ণ)

    Drawn to Perfection

    “His paintings are often about death and horror… (He is) a master of the horrific in art,” noted FN Souza of the work of the Bengal master Sunil Das. On Monday morning, the postmodernist expressionist, Das, breathed his last at the age of 76. Survived by his wife, the Padma Shri awardee died of cardiac arrest at his Kolkata home.

    “He was very prolific, fun loving and large-hearted. He often attended exhibitions featuring works of fellow artists and was extremely popular,” recalls Vikram Bachhawat, director of Aakriti Art Gallery. His gallery in Kolkata would be exhibiting possibly the last of Das’ works — two figurative sculptures created last week — in an exhibition later this month, featuring his work alongside other members of the Society of Contemporary Artists, of which Das was a founding member. “He was not apprehensive of taking risks and always encouraged others in the group to experiment. In his recent works, he moved towards minimalism, focussing on white,” says Aditya Basak, artist and member of the Society.

    Born into a middle class family, Das’ father was a businessman. Interested in art as a child, he initially joined a local art school, and later graduated from Government College of Art & Craft in Kolkata. While he canvassed for gender equality — basing several of his works on the exploitation of women and the need for emancipation — he is best known for his deft depiction of bulls and horses. “I must have done 7,000 horses between 1950 to 60,” noted the artist on his website. It was while on a French art scholarship at the Ecole Nationale Superieure des Beaux-Arts in the 1960s that he travelled to Spain for a few months and reportedly developed a passion for horses and bulls. Back in India, he frequented the stable of Kolkata’s Mounted Police, where he often observed and sketched horses. “He was a genuine and warm person. With a career spanning over five decades, no one could beat him with horses and bulls, he was the number one. A thorough draughtsman, he was extremely good with drawings. Unfortunately, he did not get his due,” says Ashish Anand, director of Delhi Art Gallery that organised a retrospective of his works in 2005-2006.

    Kolkata-based artist Samindranath Majumdar recalls him as an inspiration for the younger generation. “He was one of the most important artists of our time, who had the power to embrace several styles, from abstracts to collages, optical illusions to figurative. One thing common between all of this was the vigour and energy with which he painted. He was young at heart till the very end,” notes Majumdar of the master who also worked at the Department of Handloom and Textiles, Government of India. Basak adds that no one left empty-handed from Das’ home. “He supported younger artists, guided them and also
    offered monetary support.”

    Holding the distinction of being the only Indian artist to have won a National Award (the Shiromani Kala Puraskar) while still an undergraduate, his works are a part of important collections world over, including National Gallery of Modern Art, Delhi, Glenbarra Art Museum, Japan, and Ludwig Museum in Germany.

  14. মাসুদ করিম - ১৩ আগস্ট ২০১৫ (৪:৪৫ অপরাহ্ণ)

    এরপরের বার চীন গেলে এই লানবা শহর ও পুলিশকে দেখে আসতে হবে।

    অপরাধহীন শহরে একজন দৃষ্টিহীন পুলিস!

    মাত্র একজন পুলিস৷ গোটা একটা শহরের দায়িত্বে! চোখে দেখেন না৷ তার পরেও গত এক দশকে সেখানে ঘটেনি কোনও অপরাধ। ‘ক্রাইম-ফ্রি’ শহর৷ দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের শহর লানবা৷ শহরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ৪৩ বছরের দৃষ্টিহীন প্যান ইয়ং৷ সি চং পুলিস স্টেশনের একমাত্র পুলিস অফিসার৷ ২০০২ সালে গ্লকোমায় হারান দৃষ্টিশক্তি৷ তা সত্ত্বেও হারাতে হয়নি কাজ৷ কারণ কাজের প্রতি নিষ্ঠা, ভালবাসা আর দায়িত্ববোধ৷ চোখে না দেখেও নিজ দায়িত্বে অবিচল থেকেছেন প্যান ইয়ং৷ প্রতিদিন টহল দেন গোটা শহরটায়৷ চোখে না দেখলেও পুরো শহরের ছবিটাই যেন ‘স্ক্যান’ হয়ে রয়েছে তাঁর মাথায়! কেউ বিপদে পড়লে ছুটে যান৷ সব সময় বাড়িয়ে রেখেছেন সাহায্যের হাত৷ আর তাঁর এই কাজে সব সময় পাশে থাকছেন তাঁর স্ত্রী, বছর ৪৬–এর তাও হংগিং৷ তিনিও একজন নিরাপত্তা আধিকারিক৷ রয়েছেন স্থানীয় রেল স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে৷ প্রতিদিন নিয়ম করে স্বামী যখন সারা শহর টহলে বেরোন, তিনিও সঙ্গে থাকেন৷ সি চং রেল স্টেশনের আশপাশ নিয়ে মোট ৩৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শহর লানবা৷ রয়েছে ৩টি প্রশাসনিক গ্রাম–সহ ১৩টি ছোট গ্রাম৷ খুন বা কোনও দুর্ঘটনা তো দূরের কথা, গত ১০ বছরে ঘটেনি কোনও চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনাও। এমন একটি শহর খুঁজে পাওয়া শুধু নয়, ভাবনায় এমন একটি শহরকে আনাও বেশ মুশকিল। এই চীনা দম্পতির ভরসায় নিশ্চিন্তে রাতে ঘুমোন এখানকার মানুষেরা৷ প্যান ইয়ংয়ের কথায়, ‘আমি আমার কাজটাকে ভালবাসি, আমার স্ত্রী আমায় তো বলে কাজপাগল৷ এখন আর আমি ট্রেন দেখতে পাই না, শুনতে পাই শুধু শব্দ৷ আমি বিশ্বাস করি, মানুষের সেবা করাটাই জীবনের আসল উদ্দেশ‍্য৷’ ২০০৪ সালে তাও হংগিংকে বিয়ে করেন তিনি৷ তাঁর কথায়, ‘আমি ওকে বিশ্বাস করি৷ আমি যখন ওর হাত ধরি, তখন আমি নিশ্চিন্তে হাঁটতে পারি৷ কোনও বাধাই তখন বাধা নয় আমার কাছে৷’

  15. মাসুদ করিম - ১৯ আগস্ট ২০১৫ (১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ)

    No plans to increase Primary 1 intake of madrasahs: Yaacob

    The madrasahs are “more than able” to handle current enrolment numbers, says Minister-in-charge of Muslim Affairs Yaacob Ibrahim.

    There are no plans to increase the annual Primary 1 intake of madrasah students as the country’s madrasahs are “more than able” to handle current enrolment numbers, Minister-in-charge of Muslim Affairs Yaacob Ibrahim said on Tuesday (Aug 18).

    A total of 391 students out of 569 applications have been accepted for enrolment into the six full-time madrasahs for academic year 2016, Dr Yaacob said in response to a written Parliamentary question filed by Workers’ Party MP Faisal Manap.

    Admission tests are conducted to ensure that prospective students will be able to cope well with the demands of the curriculum in madrasahs – which include both compulsory religious and secular subjects, he added.

    The key focus is for MUIS to work closely with the madrasahs to raise the quality of education, Dr Yaacob said, adding that the Government is also studying how to help raise the quality for secular subjects.

    “This will help ensure that future religious scholars and teachers will be steeped not just in religious knowledge, but also well-grounded in secular knowledge and a deep understanding of Singapore’s multi-racial context, within broader global developments,” he said.

  16. মাসুদ করিম - ২০ আগস্ট ২০১৫ (৯:৩২ পূর্বাহ্ণ)

    Is China’s homegrown terrorism problem behind the Bangkok bombing?

    Are there links between China’s minority Uighur population and the Bangkok bomb that killed 22 people on Aug. 17? That is one of the theories officials in Thailand are investigating.

    Thai investigators are “focusing on a revenge motive by Uighur militants,” who may have been retaliating for last month’s forced repatriation of Uighur refugees who fled China, unnamed police sources told the Bangkok Post. Police are now searching for three suspects who were captured on closed circuit television before the blasts, a police spokesman told reporters, including a foreigner.

    Six of the fatalities in the bombing and 22 of the injured were from Greater China, which includes Hong Kong, Taiwan, and the mainland. The Erawan shrine where the bombing took place was particularly popular with Chinese tourists.

    The Royal Thai Police distributed a sketch of the main suspect in the bombing—a man seen in a yellow shirt leaving a backpack at the shrine before the blast:

    Police spokesman Prawut Thawornsiri told reporters late on August 19 that the suspect was a foreign man, who was overheard speaking a foreign language. Police suspect he may be a Muslim from South or Central Asia, according to South China Morning Post coverage (paywall) of the press conference:

    Prawut also gave a description of the suspected ethnicity of the alleged bomber, using the Thai phrase “khaek khao” – a word often used to describe light-skinned Muslims from South Asia, Central Asia and the Middle East.

    “His skin is white and he has a high nose. Whether khaek khao or not I don’t know. But from the footage it looked like that,” he said.

    Some Chinese media reports also reported on suggestions that the attack (link in Chinese) could be revenge for the Uighur repatriation.

    A link between the Bangkok bombing and China’s separatists, if proven, would be a significant, and alarming, development, signaling that China’s homegrown problem of Uighur minority unrest was spilling out from the country’s borders. Targeting China’s far-flung tourists and businesses around the globe would represent a major escalation in the conflict.

    China’s central government has long been criticized for its heavy-handed, draconian treatment of its largely Muslim Uighur population, which has included banning religious holidays like Ramadan, banning parents from speaking about Islam with their children, and offering incentives and government jobs to Han Chinese population that relocate to the region.

    In recent years, China has been home to dozens of incidents of terrorism and ethnic clashes, mostly linked by Chinese media to Uighur separatists, although independent reporting in the area is nearly impossible because of the high level of government surveillance. As Quartz has previously reported, these incidents have spread from the northwest through China in recent years:

    The Uighur group deported from Thailand was originally fleeing to Malaysia or Turkey, but sought asylum in Thailand after being detained, claiming they faced persecution for their religion and harsh treatment in China. They had been in Thailand for more than a year.

    • মাসুদ করিম - ২০ আগস্ট ২০১৫ (৪:৫৮ অপরাহ্ণ)

      Bangkok blast: 6 theories on who is responsible for the attack

      So far, at least six theories have emerged on who is behind the deadly bombing at Bangkok’s Erawan Shrine, which left up to 20 dead and over a hundred others injured.

      The theories range from the Uighur minority from the west of China, Islamic terrorists, the anti-government red shirts to separatists from the South and the military junta itself.

      Here are the theories and why they may or may not hold water:

      1. THE UIGHURS

      The government repatriated more than a hundred of the Uighur people who had fled to Thailand from China and were looking to make their way to Turkey.

      This move caused anger, and can be considered a motive for revenge.

      Closed-circuit television footage shows a man, possibly Uighur looking, entering the shrine, leaving behind a backpack and walking out of the area shortly before the explosion. The Erawan Shrine is popular among Chinese tourists.

      Police have pointed out that this type of bomb has not been previously used in Thailand, and though some entertain the Uighur theory, others say this Chinese minority does not have the ability or a level of hatred high enough to unleash an attack as deadly as this.

      2. THAI-MALAY SEPARATISTS

      BBC’s defence and diplomatic correspondent Jonathan Marcus was quoted as saying that this theory is possible, noting that the separatists have been “fighting Thai rule for more than a decade”.

      The police, however, say this type of bomb has never been used in the deep South, and Mr Marcus himself says that the separatists have never targeted the capital. Also, he said, attacks and causalities in the deep South have been dropping.

      Army chief Udomdej Sitabutr said on television that this blast did not match the incidents in the South.
      3. ISIS OR AL-QAEDA-LINKED MILITANT GROUPS

      Reuters quoted Mr Angel Rabasa, an expert on Islamist militancy at the RAND Corporation, as saying that these groups are expanding their reach in South-east Asia.

      But Mr Rabasa himself has cast doubts on this theory, as such groups usually take responsibility for their attacks.
      4. THE ‘RED SHIRTS’

      Immediately after the attack, government spokesperson Sansern Kaewkamnerd indicated that those who had lost political power might have been behind the attack.

      Subscribers to this theory claim that the “red-shirt” supporters of former prime minister Thaksin Shinawatra, wanting to undermine Prime Minister Prayut Chan-o-cha’s government and sink the economy, are desperate enough to opt for such extreme measures.

      Many social media users have cast doubt on this theory, saying this attack is far too cruel and indiscriminate to be carried out by Thais.

      Others say the government stands to gain more by using this incident as an excuse to stay in power longer – they could claim that the country is not ready for elections and introduce more draconian measures to control the population.

      5. THE MILITARY JUNTA

      Many pro-Thaksin red shirts believe the bombing was engineered by the National Council for Peace and Order (NCPO) to prolong its stay by convincing the people that Thailand is not ready for elections, and placing the blame on the red shirts and Thaksin.

      Those subscribing to this theory find the quick clearing out of the bombing site suspicious and possibly a move to remove evidence.

      However, this idea has been rejected by some, who say the NCPO and the government stands to lose more from the blast, as it would have a very severe impact on Thai tourism.

      They also find it difficult to comprehend that any government can commit such cruelty.
      6. THOSE UNHAPPY WITH THE LATEST MILITARY RESHUFFLE

      There has been some speculation that those who stand to lose from the latest military reshuffle decided to express their displeasure in a very deadly manner.

      This theory has been rejected by some, who say there is no history of such extreme action being taken in response to a military reshuffle.

    • মাসুদ করিম - ৩১ আগস্ট ২০১৫ (১:৪৮ অপরাহ্ণ)

  17. মাসুদ করিম - ২১ আগস্ট ২০১৫ (৮:১০ অপরাহ্ণ)

    হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ৫ মামলা ঝুলছে বহু দিন

    আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার যতগুলো ঘটনা ঘটেছিল, তার চারটি আদালতে গড়ালেও বহু দিনেও শেষ হয়নি বিচার।

    ওই চারটি ঘটনার পাঁচটি (মোট মামলা ২১ অগাস্ট নিয়ে সাতটি) মামলার বিচার শেষ না হওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তাদের অবহেলা, অব্যবস্থাপনাই মূল বিষয় হিসেবে ধরা পড়েছে।

    ২০০৪ সালের ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় গতি থাকলেও অন্য পাঁচটি মামলা থেমে আছে ঢাকা ও সাতক্ষীরার আদালতে। এগুলোর বিচার কবে নাগাদ শেষ হবে, তাও বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।

    মামলাগুলো হচ্ছে- ১৯৮৯ সালের ১০ অগাস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে হামলার ঘটনার দুই মামলা, ২০০০ সালের ২০ জুলাইয়ে কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে রাখার দুই মামলা, ২০০২ সালের ৩০ অগাস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গাড়িবহরে হামলার মামলা।

    ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের সময় বিদেশে থাকায় বেঁচে গেলেও ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর রাজনীতিতে নেমে একাধিকবার ঝুঁকিতে পড়েন শেখ হাসিনা।

    এর মধ্যেই গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছেন, জীবনের পরোয়া তিনি করেন না।

    একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলার মামলা দুটি ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে চলছে। এই মামলা দুটিই কেবল গতিশীল। সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ পর্যায়ে রয়েছে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলা দুটি।

    ফ্রিডম পার্টির হামলার মামলা

    ২৪ বছর আগের এই হামলার মামলায় আসামিদের জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেটকে পাওয়া যায়নি বলে এ মামলার বিচারকাজ ঝুলে আছে।

    এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের তৎকালীন হাকিম আফজালুর রহমানের বাড়ি টাঙ্গাইলের বিলওয়ালী গ্রামের ঠিকানায় অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে।

    আফজালুর এ মামলার তিনজন আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়েছিলেন।

    এ মামলাটির বিচার চলছে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে। বার বার সমন পাঠিয়ে, অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেও আফজালুরের হদিস না পাওয়ায় কয়েক দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়ে যায়।

    এদিকে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১ নম্বর ও ২ নম্বর সাক্ষীকে আসামি ফ্রিডম পার্টির কর্মী মুরাদের আইনজীবী গত বছরের ২১ মে পুনরায় সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য আবেদন জানালে এই সাক্ষীদের তলব করা হয়।

    আগামী ২৯ অক্টোবর বিচারক রুহুল আমিন এ মামলার সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য পুনরায় তারিখ রেখেছেন; যদিও হত্যাচেষ্টা মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষের সব সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়ে গিয়েছিল।

    একই আদালতে একই আসামিদের বিরুদ্ধে একই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলারও বিচার চলছে। এ মামলায় একই বিচারক রুহুল আমিন রাষ্ট্র পক্ষের ১, ৮ এবং ১৩ নম্বর সাক্ষী অর্থাৎ তৎকালীন হাকিম আফজালুরকে গ্রেপ্তারের পরোয়ানা পাঠিয়েছেন বলে নথিপত্রে দেখা গেছে।

    ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি সাইফুল ইসলাম হেলাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হত্যাচেষ্টা মামলাটির উপরেই বেশি জোর দিচ্ছেন তারা।

    মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯৮৯ সালের ১০ অগাস্ট রাতে ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল আক্রমণ করে। তারা একযোগে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়ে ‘কর্নেল ফারুক-কর্নেল রশীদ’ জিন্দাবাদ বলে স্লোগান দেয়।

    বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন।

    পরে তিন আসামি রেজাউল ইসলাম খান, মো. লিয়াকত ও হুমায়ুন কবীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, রশীদ ও বজলুল হুদার নির্দেশে তারা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওই হামলাটি চালিয়েছিলেন।

    এইচ এম এরশাদ সরকারের আমলে দায়ের হওয়া এ মামলাটির তদন্ত কাজ সে সময়ে বন্ধ থাকে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর তদন্ত গতি পায়।

    ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ মামলাটিতে অভিযোগপত্র জমা দেয় আদালতে।

    অভিযোগপত্রে ফ্রিডম পার্টির নেতা ও বঙ্গবন্ধুর খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান, আবদুর রশিদ ও বজলুল হুদাসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়।

    এরপর আওয়ামী লীগের অবশিষ্ট মেয়াদের শাসনকালে মামলাটির বিচার আর এগোয়নি। ২০০৯ সালে আবার আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে ফের গতি আসে মামলায়।

    ওই বছরের ৫ জুলাই অভিযোগ গঠন করে ২৭ অগাস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করে আদালত।

    ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পাঠানো হলেও বিচার থাকে ঝুলে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারের সময়সীমা পেরিয়ে গেলে মামলার নথি আগের বিচারিক আদালত ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। মামলাটির বিচারের ভার তিনজন বিচারকের হাত ঘুরে এ আদালতে আসে।

    মামলার নথিপত্রে দেখা যায়, চার আসামি গোলাম সারোয়ার, সোহেল, জর্জ, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ কারাগারে রয়েছেন। পাঁচ আসামি হুমায়ুন কবির (১), মিজানুর রহমান, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, গাজী ইমাম হোসেন, শাহজাহান জামিনে রয়েছেন। আবদুর রশীদ, হুমায়ুন কবীর (২) ও জাফর আহম্মদ মানিক রয়েছেন পলাতক।

    মুরাদকে পলাতক দেখিয়ে বিচার শুরু হলেও ইন্টারপোলের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে আনার পর গত বছরের ২০ মার্চ তাকে আদালতের সামনে হাজির করা হয়। গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর তার পক্ষে আগের সাক্ষীদের নতুন করে সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন করা হলে পিছিয়ে যায় বিচার।

    কোটালীপাড়ার ৭৬ কেজি বোমা

    শেখ হাসিনার ভাষণের জন্য মঞ্চ নির্মাণের সময় ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশে কবি সুকান্ত সেবা সংঘের সামনে একটি দোকানের সামনে মাটিতে পুঁতে রাখা ৭৬ কেজি ওজনের বোমা উদ্ধার করা হয়।

    এর দুই দিন পরে নিজের নির্বাচনী এলাকার ওই কলেজ মাঠে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল।

    ওই ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক নূর হোসেন বাদী হয়ে এ থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।

    তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল, তাতে আসামি করা হয় ১৬ জনকে। পরে ২০০৯ সালের ২৯ জুন নতুন করে ৯ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

    গোপালগঞ্জের আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্রটি যখন দেওয়া হয়, তখন রাষ্ট্রপক্ষে ৮৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪১ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়ে গিয়েছিল।

    পরে তখনকার বিচারিক আদালতের বিচারক গোলাম মুরশেদ ওই ৪১ সাক্ষীকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আবার ডাকেন।

    জনগুরুত্বসম্পন্ন, স্পর্শকাতর ও আলোচিত হওয়ার কারণে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তিতে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে গোপালগঞ্জের আদালত থেকে ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। পরে মামলাটি যায় ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।

    এ ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারক মো. নূরুজ্জামানের কাছে আসামি মুফতি আব্দুল হান্নানের খালাত ভাই ঘটনাস্থলের চায়ের দোকানি বদিউজ্জামান ২০১২ সালের ১ অগাস্ট সাক্ষ্য দেন।

    এরপর এ মামলায় তারিখের পর তারিখ চলে গেলেও আর কোনো সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। গত বুধবার (১৯ অগাস্ট, ২০১৫) এ মামলার সাক্ষ্য নেওয়ার দিন ছিল।

    একই দিন একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলার সাক্ষ্যগ্রহণও ছিল। কয়েকজন দুই মামলায়ই আসামি। ফলে গোপালগঞ্জের মামলাটিতে ওই আসামিদের হাজির করা যায়নি।

    বৃহস্পতিবার মুফতি হান্নানের ভাই মহিবুল্লাহ অভি, মাওলানা আব্দুর রহমান, মাওলানা সাব্বিরের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ বাদী নূর হোসেনকে জেরা করেন।

    ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক মমতাজ বেগম আগামী ৩ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য নেওয়ার দিন রেখেছেন।

    ঢাকার এ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি সৈয়দ সামসুল হক বাদল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সত্যি কথা বলতে কী, গোপালগঞ্জের আদালত থেকে সাক্ষী রিকলের আদেশ হওয়ার পর আমরা বিপদে পড়ে গেছি। এতগুলো সাক্ষীকে আবার ঢাকার আদালতে নিয়ে আসা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

    “তাছাড়া দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হওয়ায় এসব সাক্ষীদের আগের জবানবন্দির সঙ্গে এখনকার জবানবন্দির ফারাক আসতে পারে। তাতে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে।”

    এ মামলার ২৪ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নানসহ ১১ জন কারাগারে রয়েছেন। একজন জামিনে এবং অন্যরা পলাতক বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান আসামিদের অন্যতম আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ।

  18. মাসুদ করিম - ২২ আগস্ট ২০১৫ (৪:৩৭ অপরাহ্ণ)

    Phone bill, passports nail Dawood lie; India has proof he lives in Pak

    Pakistan High Commissioner in Delhi Abdul Basit may have told HT this week that there was no question of handing over 1993 Mumbai blasts main accused Dawood Sheikh Ibrahim as he was not in his country, but documentary evidence available with the Indian security agencies nails this as a lie.

    If they meet as scheduled on Monday, National Security Advisor Ajit Doval is set to confront his counterpart Sartaj Aziz on Pakistan giving shelter to a man formally recognised as a global terrorist. Interpol has a red corner notice, or an international arrest warrant, out against Dawood and a host of his associates for their involvement in the 1993 serial blasts that killed more than 257 Indians and injured hundreds more.

    According to Indian security agencies, Dawood, wife Mehjabeen Shaikh, son Moeen Nawaz and daughters Mahrukh, Mehreen and Mazia are based in Pakistan with the syndicate chief currently operating out of upscale Clifton neighborhood of Karachi. Son Moeen is married to Sania while daughter Mahrukh is married to Junaid, son of former Pakistan cricket captain Javed Miandad. The agencies are in possession of an April 2015 telephone bill in the name of Dawood’s wife Mehjabeen with D-13, Block-4, Karachi Development Authority, Sch-5, Clifton, as the installation address. Dawood, who has three known Pakistani passports, has two more residential addresses (6A, Khayaban Tanzeem, Phase 5, Defence Housing Area and Moin Palace, II floor, Near Abdullah Shah Ghazi Dargah, Clifton) in Karachi.

    The agencies also have documents that show that Dawood’s family members travelled between Pakistan and Dubai. They also have images of Dawood’s Pakistani passport. With passport numbers, flight and passenger manifest details available with Indian agencies, there is irrefutable evidence that Dawood and his brood stay in Karachi. His latest photographs indicate that the 59-year-old crime lord has a receding hairline, is clean shaven and has not undergone any facial cosmetic surgery.

    Although there is no information about Dawood venturing out of Pakistan, documents show that his wife Mehjabeen and daughter Mazia travelled from Karachi to Dubai on an Emirates flight on January 4 this year. The two along with daughter Mahrukh and Junaid Miandad returned to Karachi on an Emirates flight on January 11, 2015. Dawood’s wife again travelled to Dubai on February 19 and returned to Karachi on February 26. His son Moeen, daughter-in-law Sania and grandchildren travelled back and forth between Karachi and Dubai in March and May 2015. Moeen and his family returned to Karachi via an Emirates flight from Dubai on May 30, 2015.

    Pakistan’s Dawood lie is also nailed from the fact that the mafia don’s close associates like Jabir Saddiq, Jawaid Chotani and Mumbai blasts accused Javed Patel a.k.a Chikna are also based in Pakistan and are frequent visitors to Dubai. There are flight details to show that Saddiq travelled to Dubai from Karachi on July 20, 2015 and returned four days later. Chotani travelled to and forth between Karachi and Dubai during the March-June period. Javed Chikna, the man who along with Tiger Memon planned the 1993 Mumbai blasts, is involved in Hawala activities. A frequent visitor to Dubai, Chikna has close links with Pakistani intelligence agency, the ISI.

    While Pakistan’s rulers have for the past two decades denied the presence of the man who heads South Asia’s biggest crime syndicate, Indian security agencies say that the D-company reaches across the border into India for its extortion activities, pedals fake Indian currency and is neck-deep in the piracy of Indian music and films. It is involved in real estate in India and other countries and handles the overseas distribution rights of Bollywood movies.

  19. মাসুদ করিম - ২৪ আগস্ট ২০১৫ (১২:১৩ অপরাহ্ণ)

    ত্রিপুরার চন্দ্রশেখর ঘোষ কিন্তু পড়াশুনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং প্রথম চাকুরিও করেছেন ঢাকায় ব্র্যাক-এ।

    পথ চলা শুরু বন্ধন ব‍্যাঙ্কের

    যাত্রা শুরু করল বন্ধন ব‍্যাঙ্ক। রবিবার কলকাতার সায়েন্স সিটি সভাগৃহে ব্যাঙ্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিনি বলেন, এই ব্যাঙ্ক শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা হল বাংলার এবং বাঙালি উদ্যোগপতির প্রতিষ্ঠা। জেটলি আরও বলেন, বাংলার অর্থনৈতিক পুনরুত্থানের জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল বাংলার তথা বাঙালি উদ্যোগপতিদের উঠে আসা। আঞ্চলিক উন্নয়ন সফল করতে পারলে দেশের অর্থনীতির বুনিয়াদও শক্তিশালী হবে। জেটলি বলেন, রাজ্যে যে–দল সরকার চালাচ্ছে আর কেন্দ্রে যে–দল ক্ষমতায় আছে তাদের উভয়ের মধ্যে রাজনৈতিক মতবাদে ফারাক থাকলেও রাজ্যের উন্নয়নের প্রশ্নে কেন্দ্রের তরফে সবরকম সহযোগিতা থাকবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার হল পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে দ্রুত শিল্প–বাণিজ্যের প্রসার বাড়ানো। অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত করা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, রাজ্য ভাগের পর যে ভাবে অন্ধ্র ও তেলেঙ্গানার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজ দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার তা খুব শিগগিরই বাংলা এবং বিহারেও চালু করা হবে। নতুন শিল্প স্থাপনে উৎসাহ দিতে বিশেষ ছাড় ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে। পরে সাংবাদিকেরা তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে জেটলি আর কিছু ভাঙেননি। তবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক‍্য যাই থাকুক না কেন রাজে‍্যর উন্নয়নে কেন্দ্র পাশে রয়েছে। পূর্বাঞ্চলে শিল্প করার ক্ষেত্রে কী কী সুবিধা আছে তা মনে করিয়ে দেন সভাগৃহে উপস্থিত শিল্পোদ্যোগী এবং ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের। ক্ষুদ্র ঋণ বণ্টন ও মাইক্রো ক্রেডিট পরিষেবা প্রসারের ক্ষেত্রে বন্ধনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উল্লেখ করে জেটলি বলেন, তৃণমূলস্তরে ছোট ছোট সফল উদ্যোগপতি তৈরি করতে পারলে ১১–১২ কোটি কর্মসংস্থান হওয়ার সুযোগ আছে যা বড় কলকারখানার পক্ষে করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোগপতিদের প্রয়োজনীয় ঋণের ব্যবস্থা করতে কেন্দ্র সরকার ‘মুদ্রা এজেন্সি’ চালু করেছে। পরে এই প্রতিষ্ঠানকে পূর্ণ ব্যাঙ্ক হিসেবে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে। বন্ধনের মাইক্রো ক্রেডিট নেটওয়ার্কের (১.৪৩ আমানতকারী) প্রসঙ্গ তুলে জেটলি বলেন, ব্যাঙ্ক পরিষেবার বাইরে থাকা মানুষজনকে ব্যাঙ্কের পরিষেবায় যুক্ত করতে পারলে বিশ্বাসযোগ্যতাহীন ভুতুড়ে সংস্থায় সঞ্চয়ের টাকা রাখবেন না মানুষ। আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা যাবে তাঁদের। বক্তব্যের শুরুতে জেটলি রাজনৈতিক খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘কাল কলকাতায় এসে দেখলাম, চারদিকে নীল হোর্ডিং। বন্ধন ব্যাঙ্কের হোর্ডিং। বহু আগে কলকাতা যখন লালে ছয়লাপ, তখন শিল্প এই রাজ্য ছেড়ে চলে গিয়েছিল। নীল হতে আবার শিল্পবাণিজ্য ফিরছে।’ মজা করে জেটলি বলেন, সেই সময়ে তো রাজ্যের এখনকার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এমনকি বন্ধন ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ড. লাহিড়ীও বাংলা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। লাল থেকে নীল হতে ওঁরা ফিরেছেন।
    বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা সি ই ও চন্দ্রশেখর ঘোষ জানান, বন্ধনের যাত্রা শুরুর এই দিনটি তাঁর কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয়। তিনি বলেন, ‘এই দিনটি গ্রেটেস্ট ডে অফ মাই লাইফ।’ ২০০১–এ মাইক্রো ক্রেডিট পরিষেবা শুরুর সময় স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করবেন। তিনি বলেন, ‘সূচনার সঙ্গে সঙ্গে ২৪টি রাজ্য জুড়ে ৫০১টি শাখা খুলে গেল। পাশাপাশি চালু থাকছে ২,০২২টি পরিষেবা কেন্দ্র। ২০১৬–র মধ্যে ২৭টি রাজ্যে চালু হবে ৬৩২টি শাখা এবং ২৫০–র বেশি এ টি এম কাউন্টার।’ চন্দ্রশেখর ঘোষ আরও জানান, বন্ধন ব্যাঙ্ক শুরু হল ১.৪৩ কোটি চালু গ্রাহক অ্যাকাউন্ট নিয়ে। ঋণ ব্যবসায় খাটছে ১০,৫০০ কোটি টাকা। এখন ১৯,৫০০ কর্মী নিয়ে ব্যাঙ্ক চালু হল। শাখা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মী–সংখ্যা বাড়ানো হবে প্রয়োজনমতো। তিনি আরও বলেন, ব্যাঙ্ক চালু হওয়ার আগের পর্যায়ে টাকা ধার করে এনে ঋণ দেওয়া হত। ফলে সুদ বেশি পড়ে যেত। এখন ব্যাঙ্ক চালু হওয়ার পর গ্রাহকদের জমা টাকা থেকে ঋণ দেওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে রাতারাতি সুদ কমানো হয়ত যাবে না। এ ব্যাপারে ব্যাঙ্কের চেষ্টা থাকবে যাতে অন্যান্য ব্যাঙ্ক যে–হারে ঋণ দেয় তার সঙ্গে সামঞ্জস্য নিয়ে আসা। বন্ধন ব্যাঙ্কের ব্যবসায়িক মডেল নিয়ে তিনি বলেন, দুটি স্তম্ভের ওপর ব্যাঙ্কের ব্যবসা গড়ে তোলা হবে। এই দুই স্তম্ভ হল ‘মাইক্রো ফিনান্স ও ক্ষুদ্র ঋণ পরিষেবা’ এবং ‘প্রচলিত ব্যাঙ্ক পরিষেবা’। চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, বন্ধন ব্যাঙ্কের অগ্রাধিকার হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণ। অতি–ক্ষুদ্র ও কর্পোরেট লোনের মাঝের এই জায়গাটি ফাঁকা পড়ে আছে অনেকটাই। বন্ধনের টার্গেট হবে এই ব্যবসাটাকে ধরা। পাশাপাশি ইনক্লুসিভ ব্যাঙ্কিংয়েও থাকবে বিশেষ নজর। অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষ যাঁরা প্রচলিত ব্যাঙ্ক পরিষেবার বাইরে থেকে গেছেন, যাঁরা লাল ফিতের ঘেরাটোপে আটকে গিয়ে ব্যাঙ্ক পরিষেবা থেকে দূরে সরে গিয়েছেন, তাঁদের যুক্ত করা হবে ব্যাঙ্ক পরিষেবা নেটওয়ার্কে। চালু হচ্ছে, ‘ডোর স্টেপ ব্যাঙ্কিং’। ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের দেওয়া হবে বায়োমেট্রি তথ্যযুক্ত একটি কার্ড। বন্ধন প্রতিনিধি গ্রাহকের বাড়ি গিয়ে পরিচয় যাচাই করে টাকা জমা বা তোলার কাজ করে দিয়ে আসবেন। এ ছাড়াও ব্যাঙ্কের বিভিন্ন ফর্ম, স্লিপ লিখে ভর্তি করার কাজ সরল করা হচ্ছে, যাতে লেখাপড়া কম জানা মানুষজনও ব্যাঙ্ক পরিষেবা পেতে অসুবিধা বোধ না করেন। ব্যাঙ্কের মোট শাখার ৭১% হবে গ্রামাঞ্চলে, যার মধ্যে অন্তত ৩৫% শাখা থাকবে ব্যাঙ্ক নেই এমন গ্রােম। চন্দ্রশেখর ঘোষ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে ব্যাঙ্ক পরিষেবার বাইরে থাকা মানুষ, যাঁদের লেখাপড়া কম— তাঁদের ক্ষেত্রে ‘কে ওয়াই সি’ নিয়ম খানিকটা সহজ করা যায়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর এইচ আর খান বলেন, এ বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, রাজ্যের অধিকাংশ ব্যাঙ্কের ক্রেডিট ডিপোজিট রেশিও জাতীয় গড়ের অনেক নিচে। বন্ধন ব্যাঙ্কের সামনে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ, তারা আমানত বাবদ জমা ও ঋণদানের অনুপাতকে জাতীয় গড়ের ওপরে তুলে আনতে পারে কি না। অমিত মিত্র বন্ধনের মাইক্রো ক্রেডিট ব্যবসার প্রশংসা করে বলেন, গ্রামের অর্থনীতি শক্তিশালী হলে সমগ্র অর্থনীতির ওপরেই তার প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আগের দিনই তাঁকে বলেছেন, বন্ধন ব্যাঙ্কের যাত্রা শুরু হওয়ায় িতনি খুশি এবং অর্থমন্ত্রীর মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। বন্ধন ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা টাকার ওপর সুদ পাওয়া যাবে এইরকম: ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ৪.৫% এবং ১ লাখ টাকার বেশি জমা থাকলে সুদ হবে ৫%। মেয়াদি জমা বা টার্ম ডিপোজিটের ক্ষেত্রে ১–৩ বছরের ডিপোজিটে সুদ পাওয়া যাবে ৮.৫%। প্রবীণ নাগরিকেরা বাড়তি আরও ০.৫% সুদ পাবেন। বন্ধন ব্যাঙ্কের পুঁজি বর্তমানে ২,৫৭০ কোটি টাকা যা বৃদ্ধি করে আনা হচ্ছে ৩,০৫২ কোটি টাকাতে। পশ্চিমবঙ্গে চালু হল মোট ২২০টি শাখা যার মধ্যে ১০০টি উত্তরবঙ্গে। কলকাতায় চালু হয়েছে ১৮টি শাখা। ত্রিপুরাতে চালু হল ২০টি শাখা। যার মধ্যে আগরতলায় ৫টি। গোটা উত্তর–পূর্বাঞ্চলে ৮২টি শাখা।

    Walk The Talk With Chandra Shekhar Ghosh, Founder And CMD, Bandhan Bank (VIDEO)

  20. মাসুদ করিম - ২৪ আগস্ট ২০১৫ (১২:৪২ অপরাহ্ণ)

    যেভাবে বাছাই হল বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দল

    সুঠাম শারীরিক গড়ন আর মাঠে চটপটে নড়াচড়া- ক্রিকেটপাগল বাংলাদেশ এতদিন এমন ক্রিকেটার দেখে অভ্যস্ত হলেও এবার শারীরিক ঘাটতি নিয়ে চলা তরুণরাও মাঠ মাতাবে ব্যাটে বলে।

    নানা ধাপ পেরিয়ে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা ২০ জন প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারকে নিয়ে বিকেএসপিতে চলছে ‘বিসিবি ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টিম’ এর অনুশীলন শিবির। এ দলটিই ২ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকায় প্রতিবন্ধীদের নিয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠেয় পাঁচ জাতির টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে অংশ নেবে।

    স্বাগতিকরা ছাড়াও এই টুর্নামেন্টে খেলবে আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এ টুর্নামেন্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। টুর্নামেন্টের মিডিয়া পার্টনার দেশের প্রথম ইন্টারনেট সংবাদপত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

    খেলাধুলায় প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) সহযোগিতায় কয়েকটি ধাপে ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশ দলের এই মেধাবী খেলোয়াড়দের বাছাই করা হয়।

    রেডক্রস ২০১৩ সালে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন নিয়ে কাজ করা সাভারের সিআরপিকে (সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলেটেশন অফ দ্য প্যারালাইজড) একটি ক্রিকেটদল গড়তে সহায়তা দেয়। ওই বছর প্রতিবন্ধীদের নিয়ে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনেও সহায়তা দেয় রেডক্রস।

    সিআরপির প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলটি ওই বছরের ১৭ থেকে ২০ মার্চ ভারতের ডিজ্যাবলড স্পোর্র্টিং সোসাইটির (ডিএসএস) দলের বিরুদ্ধে তিন দিনের একটি টুর্নামেন্টে খেলে।

    গত বছর সিআরপির প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের পাশাপাশি, বাংলাদেশ ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জড ডিজ্যাবলড অ্যাসোসিয়েশন এবং ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (পিডিএফ) প্রতিবন্ধীদের মধ্যে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করে।

    এ বিষয়টি আরও এগিয়ে নিতে ২০১৪ সাল জুড়ে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি), প্যারালিম্পিকস, স্পেশাল অলিম্পিকস এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যায় আন্তর্জাতিক রেডক্রস।

    গত নভেম্বরে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট নিয়ে প্রথমবারের মতো সেমিনার আয়োজনের পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার ও কোচদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বিসিবি, ব্রিটিশ হাই কমিশন এবং ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড ওই আয়োজনে সহায়তা দেয়।

    ওই কর্মশালার মাধ্যমে ক্রিকেটার, কোচ, কর্মকর্তা, ফিজিও এবং আগ্রহীরা প্রতিবন্ধী ক্রিকেট সম্পর্কে ধারণা পান।

    এরপর চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে পিডিএফ ও সিআরপির তত্ত্বাবধানে থাকা পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের উপযোগী খেলার সরঞ্জাম দেয় আন্তর্জাতিক রেডক্রস।

    আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন্য এরপর শুরু হয় প্রতিবন্ধী ক্রিকেটদল গড়ার কাজ। রেডক্রসের সহযোগিতায় মার্চে হয় ‘ট্যালেন্ট হান্ট ক্যাম্প’। এই ক্যাম্পে আসা ১৪৯ জন প্রতিবন্ধীর মধ্যে থেকে প্রাথমিক দলের জন্য নির্বাচিত হন ২৬ জন ক্রিকেটার।

    কোন ধরনের প্রতিবন্ধীরা এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে- তা ওই ‘ট্যালেন্ট হান্ট ক্যাম্প’ চলাকালেই ঠিক করা হয়।

    যারা হুইলচেয়ার ব্যাবহার করেন, তারা আঞ্চলিক ক্রিকেটে খেলতে পারলেও পাঁচ জাতির এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন না।

    • মাসুদ করিম - ২৬ আগস্ট ২০১৫ (১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ)

      Kumar Sangakkara underachieved in his international career: Kshema Sangakkara

      Special to The Indian Express: Retiring great’s father, first coach & harshest critic KSHEMA SANGAKKARA writes his son had skills to do better that what he did.

      LET me start by admitting that I was always on tenterhooks while watching my son bat. I don’t know how this sounds but I just knew when he was going to get out. It was like an intuition but I was never wrong, and that’s why it would make me even more nervous. I could pick it almost an over before it eventually transpired.

      That is one of the reasons; I preferred not watching it live from the ground. Even from home I would only watch his innings in phases when I knew he was in good flow, and his body was getting into perfection position, eye over the ball.

      I have always been his harshest critic. And he knows about it all too well. For the world, Kumar was this venerated technician. But in my opinion, he never reached that level. He could have done so much better with the skills he had.

      Everybody speaks about his average being in the same league of Graeme Pollock and Garry Sobers, but Kumar could have done better. He too often let bowlers dismiss him rather than them having to get him out.

      For me, Don Bradman was the ultimate batsman. He scored a century once in every three innings. If you truly consider yourself to be a world-class batsman, you should be able to do that. Kumar did well, don’t get me wrong.

      But did he achieve his true potential? I don’t think so.

      I started working on Kumar’s cricket from a very young age. He always had great touch. You could see that from the way he connects his shots. But touch and technique are two totally different concepts. According to me Mahela Jayawardene had a much better technique, and a much tighter defence. Kumar’s temperament and grit is what ensured he scored more runs and averaged more than Mahela. But I still believe the likes of Mahela, Marvan (Atapattu) and Aravinda de Silva were more in control of their game in the middle.

      There is hardly a shot Kumar plays that I haven’t mentored him or harangued him about. He was always very competent against the short-ball. He had a very good back-foot technique. The pitches in Kandy always have had more bounce and carry than those in the south. Kumar grew up batting on them. Mahela was lucky in the sense he faced a lot of spin in his early years.

      Kumar never used his feet to the spinners though, and he wasn’t comfortable against them early in his career. He did get better at it. But he took too long to get there. It also took a lot of pestering from me, often to his chagrin. Even now at times, I feel he gets too leaden-footed.

      For me, the one batsman I admired a lot was Sunil Gavaskar. He was someone who tired the bowlers out first with his temperament, and then put them to the sword with his array of strokes. But never did he succumb to their relentless pursuit to raid his citadel. A successful batsman is a lot like a boxer. You have to last till the 12th round to win the battle. And I ensured that Kumar grew up watching a lot of Bradman and Gavaskar, and reading about them too.

      I wouldn’t call Kumar a natural talent. He has always had very skilful hands.

      Not many know this, but he was a very good tennis player. Tennis was his first sport. His sister, Saranga, was a more accomplished player than him. She won the senior national title when she was just 15. I think she’s still the only up-country girl to have done so. She went to the US and did really well too, and had a great future ahead of her but she suffered a shoulder injury that killed her career. She had a forehand that most male tennis players in Sri Lanka would have struggled against. But Kumar was more talented on the tennis-court. One day Saranga beat him though in an inter-family battle of the sexes. That’s it. He never played tennis very seriously again. Cricket became his primary passion right after that defeat. I’m sure he won’t agree with me though.

      Kumar and I have always had our debates, on cricket mostly. He has a very modern view of politics and general life in Sri Lanka, unlike mine. He has travelled the globe and got great exposure. And he certainly has an opinion about everything. But in most cases, in my opinion I get the better of him in our healthy discussions. My wife always feels he’s a lot like me, and that we both are equally stubborn over our respective views on everything.

      There are some of Kumar’s innings that I remember fondly though not all of them. His 192 in a losing cause against Australia in Hobart always gets talked about a lot. It was my favourite knock. It was alright. His four centuries in four matches in the World Cup was a good achievement too.

      There are many batsmen who have been tagged as great. But I consider those who really come into their own after they turn 35 and their reflexes start slowing as the true legends. I do agree that Kumar has scored plenty of runs after turning 35. Some say he has hit a purple patch. But I wish he had hit that purple patch earlier, he could have easily scored many more runs and tons then.

      My son might be a cricketer but cricket is not close to my heart. It has brought too much of malice into sport. It is no longer the gentleman’s game even if my son played it with great integrity. The corrupt practices we hear about from the IPL and T20 leagues have marred the image of the sport, quite indelibly. I didn’t have a problem with Kumar playing in the IPL but I think he never got going there. His was a game built to be successful across all formats, but he never reached a great level in T20 cricket-even if he was there in the middle when Sri Lanka won the World T20 last year.

      There wasn’t much sorrow or anguish when he informed me about his decision to retire. We both agreed that his time was up, and that there was no point hanging around for much longer.

      These days I travel to Colombo a lot to meet my daughter, Thushari, and her kids. I am very confident about my grandson Methvan. He is a combination of Kumar and Saranga, and I see him becoming an excellent tennis player. I am not sure what Kumar has planned for his future. I don’t see him taking up law seriously at this stage. I wouldn’t advice it. He’s 37 now. By the time he finishes his law studies, it will be another five years and by the time he establishes himself he will be well over 50. There’s no point then.

      I do have a new challenge for him, and I hope he accepts it. I want him to take up golf very seriously. It’s a sport where his touch and skilful hands will hold him in good stead. He’s been a professional sportsman for two decades now. That competitive spirit will never die. Golf will provide him that opportunity and at the same time it’s a sport that he can pursue for another 30 years. Age doesn’t really matter as we have seen. And I can assure you this: I will not be half as nervous watching him on a golf course.

      সাঙ্গাকারা কখন আউট হবেন, সবসময়ই জানতেন বাবা!

      কুমার সাঙ্গাকারা কখন আউট হবেন, আগে থেকেই বুঝতে পারতেন তার বাবা! এজন্যই মাঠে যেতে চাইতেন না খুব বেশি। আর অর্জনে সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারের পরও ছেলের ক্যারিয়ার নিয়ে বাবার আছে অনেক আক্ষেপ!

      কুমার সাঙ্গাকারার প্রথম কোচ বাবা স্বর্ণকুমারা সাঙ্গাকারা। ক্যারিয়ার জুড়ে সাঙ্গাকারার সবচেয়ে কঠোর সমালোচকও ছিলেন বাবাই। সাঙ্গার টেকনিকে নানা খুঁত ধরতেন প্রায়ই। দ্বিশতক করার পরও বাবার বকুনি হজম করার কথা অনেকবার বলেছেন সাঙ্গাকারা নিজেই।

      কীর্তিমান ছেলের অবসরের পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে ছেলেকে নিয়ে দীর্ঘ লেখা লিখেছেন বাবা। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পাঠকদের জন্য অনুবাদ করা হলো সেটির উল্লেখযোগ্য অংশ:

      “একটি স্বীকারোক্তি দিয়ে শুরু করছি লেখা। ছেলেকে ব্যাট করতে দেখলে আমি সবসময়ই একটু অস্বস্তি-উৎকণ্ঠায় থাকতাম। জানি এটা বললে কেমন শোনাবে, কিন্তু আমি সত্যিই আগে থেকে বুঝতে পারতাম সে কখন আউট হতে যাচ্ছে। অনুমানশক্তি হতে পারে, কিন্তু কখনোই ভুল হয়নি আমার। এজন্য আমি আরও বেশি নার্ভাস থাকতাম। এমনকি অনেক সময় এক ওভার আগেই বুঝতে পারতাম সে আউট হতে যাচ্ছে।

      ওর খেলা আমি মাঠে গিয়ে দেখতে চাইতাম না, সেটির অন্যতম কারণ এটি। এমনকি বাড়ি বসেও আমি ওর খেলা দেখতাম ভেঙে ভেঙে, যখন আমি জানতাম সে ছন্দে আছে, শরীরে পজিশন সঠিক আছে, ঠিকভাবে বলে চোখ রাখছে।

      আমি সবসময়ই ছিলাম ওর সবচেয়ে কঠোর সমালোচক। সে নিজেও এটা খুব ভালোভাবে জানত। টেকনিকের জন্য পুরো বিশ্ব ওকে শ্রদ্ধা করত। কিন্তু আমার মতে, কুমার কখনোই সেই পর্যায়ে যেতে পারেনি। ওর যে স্কিল ছিল, আরও কত ভালো যে করতে পারত!

      সবাই বলে ওর ব্যাটিং গড় গ্রায়েম পোলক, গ্যারি সোবার্সদের মতো। কিন্তু কুমার আরও ভালো করতে পারত। প্রায়ই বোলারদের ওকে আউট করতে হয় নি, সে নিজেই উইকেট উপহার দিয়ে এসেছে।

      আমার কাছে ব্যাটিংয়ের শেষ কথা ডন ব্র্যাডম্যান। প্রতি তিন ইনিংসে একটি করে সেঞ্চুরি করেছে ডন। নিজেকে সত্যিকারের ব্যাটসম্যান ভাবলে, তেমন কিছুই করে দেখানো উচিত। আমাকে ভুল বুঝবেন না, কুমার ভালোই করেছে। কিন্তু সম্ভাবনার পুরোটা কি দেখাতে পেরেছে? আমার মনে হয় না পেরেছে।

      কুমারের ক্রিকেট নিয়ে আমি কাজ করছি ওর একদম ছেলেবেলা থেকেই। ব্যাটিংয়ের হাত ওর সবসময়ই দারুণ ছিল। কিন্তু হাত ভালো থাকা আর টেকনিক পুরো আলাদা ব্যাপার। আমার মতে মাহেলা জয়াবর্ধনের টেকনিক বরং আরও ভালো ছিল, ডিফেন্স আরও আঁটসাঁট ছিল। কুমারের টেম্পারমেন্ট আর দৃঢ়তা ভালো ছিল বলে মাহেলার চেয়ে বেশি রান করেছে, গড় বেশি। কিন্তু আমি এখনও বিশ্বাস করি, মাহেলা, মারভান আতাপাত্তু, অরবিন্দ ডি সিলভাদের নিজের খেলার ওপর নিয়ন্ত্রণ ছিল আরও বেশি।

      কুমার যেসব শট খেলেছে, এমন কোনো শট নেই যেটি নিয়ে আমি কাজ করি না। শর্ট বলের বিপক্ষে সে সবসময়ই দক্ষ ছিল। ব্যাকফুট টেকনিক সবসময়ই ভালো ছিল। ক্যান্ডির উইকেটগুলোতে সবসময়ই গতি ও বাউন্স একটু বেশি ছিল, কুমার ওসব উইকেটে খেলে বেড়ে উঠেছে। মাহেলা এদিক থেকে ভাগ্যবান যে শুরুর দিকে অনেক অনেক স্পিন খেলতে পেরেছে।

      কুমার স্পিনে পায়ের কাজ দেখিয়েছে সামান্যই। শুরুর দিকে স্পিন খুব স্বস্তিতে খেলতেও পারত না। পরে উন্নতি করেছে। তারপরও বলের কাছে যেতে অনেক সময় নিত। ডাউন দ্য উইকেটে ঠিকভাবে খেলতে না পারার কারণে আমার ভর্ৎসনা কম সইতে হয়নি ওকে। এমনকি শেষ দিনও মনে হয়েছে ওর পা খুব ভারী।

      একজন ব্যাটসম্যানের প্রতি আমার বরাবরই দারুণ সমীহ ও শ্রদ্ধা, সুনীল গাভাস্কার। সে প্রথমে তার টেম্পারমেন্ট দিয়ে বোলারদের ক্লান্ত করে তুলত, এরপর স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছুটিয়ে তাদের কচুকাটা করত। বোলারদের প্রাণান্ত প্রচেষ্টার সামনেও কখনো নতি স্বীকার করেনি। একজন সফল ব্যাটসম্যান অনেকটাই বক্সারের মত। লড়াই জিততে হলে দ্বাদশ রাউন্ড পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে। কুমার বেড়ে ওঠার সময় ব্র্যাডম্যান-গাভাস্কারের খেলা ওকে আমি অনেক দেখিয়েছি, অনেক গল্প শুনিয়েছি।

      কুমারকে আমি সহজাত প্রতিভা বলব না। তবে ওর ব্যাটিংয়ের হাত ছিল ভালো, দারুণ দক্ষ। অনেকেই হয়ত জানে না, টেনিসেও খুব ভালো ছিল কুমার। টেনিসই ছিল ওর প্রথম খেলা। অবশ্য ওর চেয়ে ভালো টেনিস খেলোয়াড় ছিল ওর বোন সারাঙ্গা। ১৫ বছর বয়সেই জাতীয় শিরোপা জিতেছিল সারাঙ্গা। পরে সে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিল, খুব ভালোও করছিল। কিন্তু কাঁধের চোট তার ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে। কিন্তু কুমারের টেনিস প্রতিভা বেশি ছিল। একদিন সারাঙ্গা টেনিসে কুমারকে হারিয়ে দিল। ব্যস, তারপর থেকে আর কখনোই টেনিসকে গুরুত্ব দিয়ে নেয়নি কুমার। বোনের কাছে টেনিসে পরাজয়ের পরই ক্রিকেট ওর প্রথম পছন্দ হয়ে উঠলো। কুমার অবশ্য এখন এটা স্বীকার করতে চাইবে না!

      ক্রিকেট নিয়ে আমার ও কুমারের প্রায়ই তর্ক হতো। শ্রীলঙ্কার রাজনীতি, দৈনন্দিন জীবন-যাপন নিয়ে অনেক আধুনিক ধ্যান-ধারণা ওর, আমার ওসবে অতটা আগ্রহ নেই। সব বিষয়েই ওর কোনো না কোনো মত আছে। যদিও আমার মতে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমি ওকে তর্কে হারিয়ে দিয়েছি! আমার স্ত্রীর ধারণা, কুমার অনেকটা আমার মতোই। কিন্তু আমরা দুজনই নিজেদের মত নিয়ে প্রচণ্ড একরোখা।

      কুমারের সব ইনিংস আমার প্রিয় নয়, অল্প কটিই ভালো লাগে। হোবার্টে হেরে যাওয়া ম্যাচে ওর ১৯২ রানের ইনিসংটি নিয়ে অনেক কথা হয়, হবে। এটা আমার প্রিয় ইনিংস। ভালোই ছিল ইনিংসটি। বিশ্বকাপে চার ম্যাচে চার সেঞ্চুরিও বেশ ভালো অর্জন।

      ক্রিকেটে গ্রেট ব্যাটসম্যানদের তালিকায় আছে অনেকেই। কিন্তু আমি তাদেরই আলাদা চোখে দেখি, ৩৫ বছরের পর যারা সত্যিকার অর্থে নিজেদের খুঁজে পেয়েছে, কারণ ওই সময়্ই রিফ্লেক্স কমে যেতে থাকে। মানছি যে কুমারও ৩৫ বছরের পর অনেক অনেক রান করেছে। অনেকের মতে, ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটিয়েছে। আমি ভাবি, এই সেরা সময় যদি আরও আগে আসত! আরও কত রান, কত শতকই না করতে পারত!

      আমার ছেলে ক্রিকেটার হলেও ক্রিকেট এখন আমার হৃদয়ের কাছে নেই। যদিও আমার ছেলে দারুণ সততায় মাথা উঁচু করে খেলেছে, কিন্তু এটা এখন আর ভদ্রলোকের খেলা নেই। আইপিএল এবং টি-টোয়েন্টি লিগগুলোয় যেসব দুর্নীতি হচ্ছে, খেলাটার ভাবমূর্তি প্রচণ্ড রকম ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কুমার আইপিএলে খেলেছে বলে আমার আপত্তি নেই, কিন্তু ওখানে সে নিজের মতো খেলতে পারেনি। ওর ব্যাটিংয়ের ধরন সব সংস্করণেই সফল হওয়ার মতো, কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে কখনোই সে গ্রেটের পর্যায়ে উঠতে পারেনি।

      অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা আমাকে জানানোর সময় আমার দুঃখ, কষ্ট খুব হয়নি। দুজনই একমত হয়েছি যে সময় শেষ। অযথাই আঁকড়ে ধরে রেখে লাভ নেই।

      জানি না, ভবিষ্যতের জন্য কুমার কি ভেবে রেখেছে। আমার মনে হয় না, এই পর্যায়ে আইন পেশাকে আর গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। আমি সেটা চাইও না। বয়স এখন ৩৭, এখন শুরু করলেও আইন পড়া শেষ করতে করতে আরও ৫ বছর লাগবে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে করতে বয়স ৫০ হয়ে যাবে। তখন আর ওসব করে লাভ নেই।

      আমি বরং ওকে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে দেখতে চাই। আশা করি, চ্যালেঞ্জটা সে নেবে। আমি চাই গলফটাকে সে গুরুত্ব দিয়ে নিক। ওর দক্ষ হাত ছোড়া ওই খেলায় খুব কাজে লাগবে। দই যুগ ধরে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছে, লড়াকু মনোভাবটা কখনোই মরবে না। গলফ ওকে সেই সুযোগটা করে দেবে। একই সঙ্গে এই খেলায় চাইলে আরও ৩০ বছর থাকতে পারবে। বয়স এখানে কোনো ব্যাপার নয়।

      আর আমি এই কথা দিতে পারি, ওকে গলফ খেলতে দেখলে আমি ক্রিকেটের অর্ধেক নার্ভাসও হব না!”

  21. মাসুদ করিম - ২৬ আগস্ট ২০১৫ (৭:১০ অপরাহ্ণ)

    never heard before about this ShaplaPata fish #শাপলাপাতামাছ people gather to see a gigantic 'Shapla Pata' fish,…

    Posted by Masud Karim on Tuesday, August 25, 2015

  22. মাসুদ করিম - ২৬ আগস্ট ২০১৫ (৮:৩৫ অপরাহ্ণ)

    Counting Castes
    Census 2011 will be historic, and its findings will correct many dominant myths

    ON THE SECOND SUNDAY THIS MAY, while the sun was burning every living thing unfortunate enough to be outdoors in Delhi’s 40 degree summer, a short, thickset, government schoolteacher, armed with an umbrella and a thick register, knocked at my door. She is one of the 2.5 million enumerators on duty, carrying out one of the biggest administrative exercises in the world, the Indian Census. India is among very few countries that have conducted an unbroken chain of regular decennial censuses. The first modern census in India started in 1871, but the practice goes back as far as the Mauryan Empire (321-185 BCE).

    “Kundi kholo. Census keliye aaye hain (Open the door.
    I’ve come about the census).” The voice had a teacher’s authority.

    The teacher-enumerator gave me a questionnaire that had columns for names, number of children, educational qualification, source of water, material used for wall and roof, and if I had toilets in my dwelling; politely put, whether or not I used the bushes or the banks of railway lines. (The last census in 2001, told us 78.4 percent of the rural population and 13.6 of the urban population still practised open defecation.) The enumerator left with my replies, telling me she would come again before March 2011 to take the biometrics.

    But there is a change of plan. On her second visit, the government will give her yet another question to ask, one they haven’t asked since 1931.

    Caste.

    Just a few days ago, the Manmohan Singh government made an historic decision to count heads according to caste, reversing the dominant thinking in New Delhi since Independence that enumerating caste would threaten the unity of India. Most leaders of the Congress, including Jawaharlal Nehru, were against the idea. Even after several government-appointed commissions on caste (Kalelkar in 1956, Havanur in 1975, and Mandal in 1980) asked the government to include caste in the census, there was resistance from the cream of the power, class and caste. Either they cited administrative difficulties or sounded alarmist.

    In a country where caste discrimination persists in all walks of life, elimination and burning down Dalit houses are routine, and affirmative action and social justice continue to be major policy debates, the government, judiciary, community leaders, academics, corporations, everyone, will benefit from some real numbers on the caste composition of India; and not just sample surveys and guestimations. The current lack of credible numbers will be solved with Census 2011. And most importantly, the math that will come from the Census will dispel two national myths.

    Myth number 1:

    The upper-caste population is huge. The fair, tall, vegetarian, confident men and women of the priestly Brahmin, warrior Kshatriya and trading Vaishya must be more in number than the dark, short, servile Shudras and the Untouchables. The latter kind, Shudras and the Untouchables, who subsisted on farming, cow-herding and manual labour, whom historians such as Romila Thapar call the original inhabitants of India until the Aryan invasion in 1,500 BCE, are still around as Backward Castes (BCs), Scheduled Castes (SCs) and Scheduled Tribes (STs). But they’re only a few and live afar, in the villages and forests. This myth on the number will be broken with the caste census. We will see the BCs, STs, and SCs forming the majority, somewhere in the range of 70 percent of the population. It’s just that this population is still so servile, and invisible to the national mainstream, that many mistake the visible as the majority. Now, the invisible will make the majority.

    Let’s look at this popular misconception of visibility and invisibility another way. If you’re an Indian, or a foreigner who is familiar with India, the chances of you recognising one or many well-known personalities with the following surnames are plenty: Mukherjee, Ganguly, Mishra, Sharma, Iyer, Murthy, Joshi, Rao, Namboothiripad, Kamath, Haksar, Kaul, Goswamy, Tiwari, Vajpayee (Brahmin); Rathore, Raju, Singh, Sisodia, Rana, Bedi, Jadeja, Tanwar, Adhikari (Kshatriya); Mittal, Gupta, Singhal, Goyal, Patel, Khanna, Kapur, Vohra, Shetty (Vaishya). In India’s prevailing hierarchy of social status, men and women with upper caste surnames, like the above, generate an image of confidence, power, social dignity and omnipresence among us—omnipresence, because they’re everywhere from politics to cricket; and even the educated and well-exposed make no attempt not to use their caste names.

    Juxtapose those names with the following surnames, or caste names, that don’t come so easy to our tongues, primarily because we don’t hear them in the national mainstream: Adi Karnataka, Shendurnikar, Valluvan, Tirkey, Khakha, Adi Dravida, Paraiyar, Kaibarta, Namasudra (SC); Santal, Paniya, Kurichiya, Oraon, Kumre, Naitam, Bedar, Bhumija, Mala Araya, Bhil, Yerukala (ST); Kamati, Yadav, Maso, Ezhava, Jatab (BC).

    The figures that will emerge from Census 2011 can’t be very different from those of 1931. When the British last counted caste, Brahmins accounted for only 6.4 percent of the population, Rajputs 3.7 percent and Banias 2.7 percent. The backward castes, excluding the Dalits and tribal people, came to 43.7 percent. In 2011, as a block, the Shudras and Untouchables could reach 70 percent of the Indian population.

    However, the main difference between 1931 and 2011 is that the former was carried out under the colonial government that had no responsibility to fight social injustices, whereas now, the caste figures will have Independent India’s official stamp. Among other things, we’ll know the ratios of everything from Shudra-Brahmin breakdowns of the population practicing open defecation to educational qualification. These figures will give the lower caste communities a more confident and aggressive claim on the share of development and national wealth. And New Delhi will have to listen.

    If he was alive today, Babasaheb Ambedkar would be happy hearing Manmohan Singh’s decision to count caste. In his classic work Who Were the Shudras? (1946) Ambedkar lamented: “If people have no idea of the magnitude of the problem (of the shudras) it is because they have not cared to know what the population of the shudras is. Unfortunately, the census does not show their population separately. But there is no doubt that excluding the untouchables, the shudras form 75 to 80 per cent of the population of Hindus.”

    Ambedkar’s point was about the social, political and administrative invisibility of the shudras, and how the majority Indians are dominated by the minority upper castes. Even with the onset of BC reservation in 1993, the community occupies only five percent of the Central gazetted posts. The absence of Shudras and Untouchables in the private sector is even more appalling. For instance, in the industry I belong to, journalism, there was a survey in 2006 by the Centre for the Study of Developing Societies that examined the social profile of more than 300 senior journalists in 37 English and Hindi newspapers and television channels in Delhi. The study found there was not a single Scheduled Caste (SC) or Scheduled Tribe (ST) person in a senior post. Brahmins alone, the survey found, held 49 per cent of the top jobs in the national press.

    Myth number 2:

    The textbook description of India as a Hindu-majority nation (80 percent), with around 15 percent Muslims, two percent Christians, less than two percent Sikhs, less than one percent Buddhists, Jains, etc. This watertight religion-based classification will be challenged, when cutting across religious lines, if people decide to identify themselves more by their caste. In recent years, more and more people are doing so. This is evident between two National Sample Surveys. In 2000, 40 percent of Hindus and 31 percent of Muslims described themselves as BCs, and by 2005, these figures went up significantly, with 45 percent of Hindus and 41 percent of Muslims describing themselves as BCs.

    What does this tell us? The construct of India as a Hindu majority nation, where Islam and Christianity treat converts equally, could suddenly become ‘imagined claims,’ and something very different could emerge out of the census.

    If the direction of societal movement is towards the diverse Shudra-Untouchable communities forming intellectual, political and social alliances, then the ancient age’s battle of two philosophies could surface once again. Then, the Brahminical camp’s Vedanta, Purva-mimamsa, Nyaya and Vaiseshika (more cosmic, ritualistic, liturgical and hierarchical) philosophies had won over the non-Brahminical camp’s Sankhya, Jaina, Baudha and Charvak Lokayat (more rationalistic, non-hierarchical and materialistic) ones. Looking ahead, if an intellectual and political assertion gets further developed based on the caste numbers and historic and sociological facts, even the very idea of India, its classifications and descriptions, could be challenged.

    Two very assertive Yadav politicians, Lalu Prasad Yadav and Mulayam Singh Yadav, get the credit of having influenced the Manmohan Singh government towards caste enumeration. There are rumours that the Yadavs cut a deal in which, in exchange they would support the minority government to complete its remaining four years. With its Bengali partner, Mamata Banerjee, of the Trinamool Congress, threatening to withdraw support, the government needed an arrangement. Whatever be the political barter, however, the time has come to count caste. And Census 2011 will be historic, and will give everyone talking points in the years to come.

    • মাসুদ করিম - ২৭ আগস্ট ২০১৫ (১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ)

      Muslim Population Growth Rate Slackens

      How most newspapers missed the real story behind the census data on religion

      The Muslim population is going up while the population of Hindus is going down. This seems to be the message being spread by the bulk of news reports on the ‘population by religious community’ data released by the Census of India on August 25.

      However, a deeper analysis of the data makes it clear that the population growth rates of both Muslims and Hindus are on the decline and that the two rates are beginning to converge over time.

      The growth figures for the main religious communities in India over the decade ending 2011 show that the Hindu population increased by 16.8%, Muslim by 24.6%, Christian 15.5%, Sikh 8.4%, Buddhist 6.1% and Jain 5.4%. As of the 2011 census, 79.8% of Indians were Hindu.

      The statistics for the previous decade (i.e. from the 2001 census) show that the Hindu population increased by 19.9% while the Muslim population increased by 29.5%. Simple arithmetic then dictates the decline in the growth rate for Muslims—4.9 percentage points— is greater than that for Hindus—3.1 percentage points—when compared to the last decade.

      But then a story like that most definitely won’t warrant sensationalist or scare-mongering headlines.

      So what did the day’s headlines say?

      Amar Ujala: Aabadi ki raftaar, Hindu ki dheemi, Muslimo ki tez (The population growth of Hindus is slowing while that of Muslims is increasing)

      Pioneer: Muslim numbers up, Hindus down

      Hindustan Times: Hindu proportion of India’s population less than 80%

      Times of India: Muslim share of population up 0.8%, Hindus’ down 0.7%

      The Indian Express headline had a better nuance — ‘Hindus dip to below 80% of the population; Muslim share up, slows down’ — but of all the mainstream newspapers, The Hindu got the story absolutely right: ‘Muslim population growth slows’, its report, by Rukmini S. and Vijaita Singh, was headlined.

      Apart from The Hindu, what most media reports failed to realise is that the story was not that Muslim population growth is higher than Hindu population growth. This has been the case for at least the past six decades. But as our chart shows, the big story is how the gap between these two growth rates is closing.

      It is also important to point out that there has been a significant increase in the proportion of women with respect to men among Muslims.

      According to the latest census data there are now 956 Muslim women for every 1,000 Muslim males, while in the previous decade it was 936 for every thousand. In comparison the increase in the sex ratio for Hindus hasn’t been that high: from 931 Hindu females for every 1,000 Hindu males to 939 this decade. The sex ratio for Sikhs has also risen and is now 902—up from an abysmally low 893 in 2001.

      Fertility being higher among Muslims since independence, demographers say, is a completely natural phenomenon since their rates are closely linked to socio-economic factors. For one, the increase in access to education and health and changing family expectations is bound to reduce fertility, and this is the reason why the rate of population growth across all communities is coming down. The fact that the Muslim growth rate is showing the sharpest decline is a positive sign from the standpoint that it reflects improving access to healthcare and education.

      It was suggested by some that the release of the religion census data was held back by the previous UPA government for “political” reasons and has now been released by the NDA government, allegedly for “political” reasons again. If this is true, it merely shows how India’s leading political parties have no knowledge at all of the basics of demography or statistics.

  23. মাসুদ করিম - ২৭ আগস্ট ২০১৫ (৪:৫৯ অপরাহ্ণ)

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একমাত্র কাজ ‘শোষণ করা’

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা এবং তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দৃকের প্রতিষ্ঠাতা ড. শহীদুল আলম৷ গত সপ্তাহে জার্মানি সফরকালে ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর একমাত্র কাজ ‘শোষণ করা’৷

    ডয়চে ভেলের গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম সম্মেলনে অংশ নিতে গত ১৭ থেকে ১৯ জুন বন শহরে অবস্থান করেন ড. শহীদুল আলম৷ এসময় ডয়চে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি কল্পনা চাকমা অপহরণ বিষয়ে সর্বশেষ অনুসন্ধানের কথা জানান৷ সম্প্রতি শহীদুল এবং সায়দিয়া গুলরুখ এই চাকমা তরুণীর খোঁজ করেছেন৷ এই সংক্রান্ত একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীও অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকার দৃক গ্যালারিতে৷

    কল্পনা চাকমা অপহরণ

    বাংলাদেশে অন্যতম আলোচিত এবং চাঞ্চল্যকর ঘটনা কল্পনা চাকমা অপহরণ৷ ১৯৯৬ সালের ১১ জুন মধ্যরাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হন কল্পনা৷ এরপর থেকে আর তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি৷

    কল্পনার অপহরণের বিষয়ে শহীদুল তাঁর গবেষণার ভিত্তিতে বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি অপহরণ করেছে তাকে চিহ্নিত করা সত্ত্বেও এই ১৭ বছরে পুলিশ কিন্তু তাকে একবারও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি৷ আমরা এতবছর পর যে তিনজন ব্যক্তি (কল্পনা চাকমা অপহরণে) অভিযুক্ত তাদের মধ্যে দু’জনকে খুঁজে পেয়েছি৷ তবে ল্যাফটেনেন্ট ফেরদৌসের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি৷”

    শহীদুল জানান, কল্পনা চাকমা অপহরণের জন্য প্রধান অভিযুক্ত লেফটেনেন্ট ফেরদৌস৷ অথচ তাঁর সম্পর্কে কোন তথ্য সামরিক বাহিনীর কাছে নেই বা তারা তা প্রকাশ করতে চায় না৷ শহীদুল বলেন, ‘‘একটা স্বাধীন দেশে এরকম একটি ঘটনা ঘটে যাবার পরে সাধারণ নাগরিকের জানার যে অধিকার, সেটা থেকে তাঁরা আজও বঞ্চিত হচ্ছে, এটা আমাকে অবাক করে৷”

    কল্পনা কি বেঁচে আছেন?

    কল্পনা চাকমাকে এখনো অপহৃত হিসেবেই বিবেচনা করছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা৷ তাই তাঁকে ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন কিছুটা হলেও দেখছেন কেউ কেউ৷ ১৭ বছর আগের এই অপহরণের প্রত্যক্ষ সাক্ষী কল্পনা চাকমার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমার সঙ্গে কথা বলে সেটাই মনে হয়েছে শহীদুলের৷ তবে বাস্তবতা তেমন নয়৷ শহীদুল বলেন, ‘‘আমরা যদি ঠান্ডা বাস্তবতার কথা ভাবি, তাহলে আমাদের সকলের কাছেই বিষয়টি পরিষ্কার৷ শুধু যে তাঁকে ১৭ বছর ধরে পাওয়া যায়নি, তা নয়৷ তাঁর শেষ যে আর্তনাদ ‘দাদা মোরে বাঁচা’ ঐ জায়গা থেকে শোনা যায়৷ তারপর কিন্তু গুলির শব্দ শোনা যায়৷ এবং তারপরের দিন গ্রামবাসী সেই জলাশয়ে (যেখান থেকে আর্তনাদ এবং গুলির শব্দ শোনা গেছে) লাশ খুঁজে বেড়ায়, কিন্তু পায়নি৷”

    শহীদুল বলেন, ‘‘সামরিক বাহিনীর স্বভাবও আমাদের জানা আছে, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে, যেখানে এত রকমের হত্যাকাণ্ড হয়েছে, অত্যাচার হয়েছে, সেই নিপীড়নের ইতিহাসের মধ্যে যখন এরকম একজন শক্তিশালী, বিপ্লবী নেতাকে অপহরণ করা হয়, তারপরে তাঁকে পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম৷”

    ‘একমাত্র কাজ শোষণ করা’

    কল্পনা চাকমাকে অপহরণের পর পেরিয়ে গেছে ১৭ বছর৷ এই সময়ে একাধিকবার সরকার বদল হয়েছে৷ কিন্তু কোনো সরকারই অপহরণের বিষয়টি সুরাহায় কার্যত কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি৷ তারমানে কি কোনো সরকারই সামরিক বাহিনীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী নয়? এ ধরনের প্রশ্নের জবাবে শহীদুল বলেন, ‘‘আমাদের সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন আছে কিনা সেটাই আমি প্রথমে প্রশ্ন করি৷ ৪৩ বছর ধরে আমরা যে সামরিক বাহিনীকে লালন করছি, তারা কিন্তু দেশরক্ষায় একবারও নিয়োজিত হয়নি৷ আমাদের শান্তি আছে, সেটা ভালো৷ তবে বিশাল অংক এদের পেছনে ব্যয় করা হচ্ছে৷ যেটা শিক্ষায় যেতে পারতো, স্বাস্থ্যে যেতে পারতো, অন্যান্য খাতে যেতে পারতো৷”

    শহীদুল বলেন, ‘‘এমনকি যে জায়গায় তাদের কাছ থেকে আমরা কিছু আশা করতে পারি, আমাদের সীমান্তে বাঙালিদের যে পাখির মতো গুলি করা হচ্ছে, বিএসএফ-রা গুলি করছে, সেখানে প্রতিবাদ করা, সেখানে অন্তত বাঙালিদের, বাংলাদেশিদের বাঁচানো, সেই কাজেও তারা (সেনাবাহিনী) কোনো কিছু করেনি৷ তাদের একমাত্র কাজ শোষণ করা৷”

    উল্লেখ্য, গত ১২ থেকে ২১ জুন ঢাকার দৃক গ্যালারিতে ‘কল্পনা চাকমার খোঁজে’ শীর্ষক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ এর আগে দৃকে দু’টি প্রদর্শনী সরকার বন্ধ করে দিলেও এবার সেরকম কিছু হয়নি বলে জানান শহীদুল৷

  24. মাসুদ করিম - ২৭ আগস্ট ২০১৫ (৫:১৯ অপরাহ্ণ)

    Purple potatoes may prevent colon cancer

    Including purple potatoes in your daily diet can help prevent cancer as researchers, including one of Indian-origin, have discovered that compounds found in purple potatoes help kill colon cancer stem cells and limit the spread of the deadly disease.

    Attacking stem cells is an effective way to counter cancer, explained Jairam Vanamala, associate professor of food sciences at Pennsylvania State University in the U.S.

    “You might want to compare cancer stem cells to roots of the weeds,” Vanamala, an alumnus of Indian Agriculture Research Institute (IARI), New Delhi, said.

    “You may cut the weed, but as long as the roots are still there, the weeds will keep growing back and, likewise, if the cancer stem cells are still present, the cancer can still grow and spread,” he noted.

    The researchers used a baked purple potato for the research as they wanted to make sure the vegetables maintained their anti-cancer properties even after cooking.

    In the initial laboratory study, the researchers found that the baked potato extract suppressed the spread of colon cancer stem cells while increasing their deaths.

    Researchers then tested the effect of whole baked purple potatoes on mice with colon cancer and found similar results.

    The portion size for a human would be about the same as eating a medium size purple-fleshed potato for lunch and dinner, or one large purple-fleshed potato per day.

    According to the researchers, there may be several substances in purple potatoes that work simultaneously on multiple pathways to help kill the colon cancer stem cells, including anthocyanins and chlorogenic acid, and resistant starch.

    In addition to resistant starch, the same colour compounds that give potatoes, as well as other fruits and vegetables, a rainbow of vibrant colours may be effective in suppressing cancer growth, he explained.

    Purple potatoes could be potentially used in both primary and secondary prevention strategies for cancer, he suggested.

    Primary prevention is aimed at stopping the initial attack of cancer, while secondary prevention refers to helping patients in remission remain cancer-free.

    The findings were detailed online in the Journal of Nutritional Biochemistry.

    এই পার্পল পোটেটো মানে কোন আলু? কে জানেন? Purple potatoes may prevent colon cancerThe researchers used a baked purple…

    Posted by Masud Karim on Thursday, August 27, 2015

  25. মাসুদ করিম - ৩০ আগস্ট ২০১৫ (৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ)

    Praises heaped on Rehman Sobhan as book launched

    Intellectuals, economists and members of the civil society at a publication ceremony on Saturday highly praised Professor Rehman Sobhan for his exceptional write-ups projecting the economic disparity between the two parts of Pakistan that inspired the young generation to stand up against the inequality and wage a struggle for an independent Bangladesh.

    The words of appreciation came at the launching ceremony of his book, titled “From Two Economies to Two Nations: My Journey to Bangladesh.”

    The speakers at the function urged the eminent economist to continue his relentless efforts to free the society from hunger, poverty and inequality.

    The country’s leading English newspaper The Daily Star organised the launching ceremony of the book at its conference room. It was attended by a large number of his former students, colleagues, friends and family members. Most of them recalled the seminal contribution of Professor Sobhan as a young university professor who inspired his students through his writings.

    Dr. Kamal Hossain, a close associate of Professor Sobhan, narrated the story of how he became well known for his writings in newspapers on the economic disparity between the eastern and western parts of Pakistan in early 1960s. Prof. Sobhan that time made a presentation on the two economies of Pakistan which made headlines in the then Pakistan Observer.

    “He inspired students to build a nation free from poverty, exploitation and inequality,” said the eminent lawyer urging Prof. Sobhan to complete the second part of his book.

    The first part of the book provides an intellectual history of Sobhan’s participation in the debates on what was then defined as the two economies dividing Pakistan and the consequential economic deprivation of the Bengalis.

    His writings were influential in shaping up the political debates of the time which culminated in making the Six-Point Demand by Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman.

    The second part of this volume will include reportage of the historic political struggles caused by the denial of democratic rights of the Bengalis and its culmination in the War of Liberation.

    The concluding section, the “Idea of Bangladesh,” reviews the economic basis of Bangladeshi nationalism and the catalytic role of Bangabandhu in the birth of an independent Bangladesh.

    The meeting was addressed, among others, by Civil Aviation and Tourism Minister Rashed Khan Menon, Prime Minister’s Foreign Affairs Adviser Dr. Gowher Rizvi, Professor Emeritus Serajul Islam Chowdhury, eminent political scientist Professor Rounaq Jahan, former caretaker government adviser Sultana Kamal, Prof M M Akash and BIDS senior fellow Dr. Naznin Ahmed.

    Information Minister Hasanul Huq Inu, former Finance Minister M Syeduzzaman, former minister Dr. Mohiuddin Khan Alamgir and Professor Emeritus Anisuzzaman also attended the programme. It was moderated by Daily Star Editor Mahfuz Anam.

    “Sir, we the students during 60s were highly inspired by you. We could liberate the country as you were able to inspire us,” said Aviation Minister Rashed Khan Menon, who was also a student of Prof. Sobhan.

    “I would not be a politician unless inspired by you,” he added.

    “We always found him sticking to principle, standing against injustice and taking up the fight whatever the issues were,” said Dr. Rizvi terming Prof. Sobhan as his role model.

  26. মাসুদ করিম - ৩১ আগস্ট ২০১৫ (৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ)

    Reaping the benefits of more and better regional cooperation

    South Asia is well known as a region of conflicts, poverty and poor governance. While the rest of the world has found ways to cooperate, South Asian countries remain suspicious of each other and keep old wounds alive. There are disputes relating to land territories, border crossings, water sharing, air space and ocean space. Owing to lack of cooperation, water shortages, energy shortages, natural disasters and high transport and trading costs lower the development potential of this high-prospect region. Needless spending on military and security apparatus encroaches on the already constrained public resources, which prevents adequate spending on human development and social protection.

    These issues affect all South Asian countries and Bangladesh is no exception. Yet, of late, some signs of political maturity to move towards a more cooperative solution to development have emerged in the North Eastern corridor of South Asia involving Bangladesh, India, Nepal and Bhutan. In this regard, Bangladesh deserves credit for pushing this initiative. The ice was broken in January 2009 when Prime Minister Sheikh Hasina visited Delhi and reached a far-reaching agreement with the then Indian Prime Minister Manmohan Singh on economic cooperation. Further efforts since then have sought to widen this cooperation by bringing in Nepal and Bhutan into the umbrella.

    This effort to reach a cooperative solution on a range of economic challenges including trade, transit, energy and water sharing is a very welcome development. Common citizens often wonder whether there are concrete benefits of regional cooperation for Bangladesh or these initiatives are only rhetoric and concessions to India.

    The potential benefits are best appreciated by looking at geography. Bangladesh has two natural locational advantages: open access to the sea in the South; and providing a bridge between East Asia and the rest of South Asia leading on to Central Asia and Europe. By opening up existing ports and further investment in new ports, Bangladesh can tap a dynamic source of revenue and economic growth. The true potential of this is illustrated by the development performance of internationally renowned sea ports of Rotterdam, Singapore and Hong Kong. Similarly, through better land, air, rail and sea connectivity Bangladesh can become an Asian commercial hub.

    The other aspect of geography that has not been well appreciated in policy discussions in Bangladesh is the locational aspects of poverty. Of the 30 border districts, some 29 districts are a part of the lagging regions in Bangladesh. The lagging districts share a number of common characteristics: these are mostly border districts; the labour force is mainly engaged in low productivity agriculture; connectivity with growth centres is limited; human indicators are weak; and high income jobs are scarce.

    Growth and investment in the lagging regions will benefit tremendously from reducing cross-border restrictions on trade, transport and investment. Removal of these restrictions will also facilitate agglomeration economies and production sharing arrangements as in East Asia under Association of South East Asian Nations (ASEAN) plus 3.

    A third dimension of geography is the prospect of easing the energy constraint in Bangladesh through trade. Nepal, Bhutan and some of the North-eastern Indian states bordering Bangladesh have tremendous untapped hydro-power potential. Through proper grid connectivity and transmission lines, the scope for power trade to relieve the Bangladesh energy constraint is huge.

    A fourth dimension of regional cooperation concerns water security and climate change. On the negative side of geography, the location of Bangladesh makes it especially vulnerable to climate change and natural disasters as it lies at the bottom end of the flow of the three mighty rivers Ganges-Brahmaputra-Meghna. Importantly, all three rivers, especially the Ganges and the Brahmaputra, flow through upstream India. Other countries that are also upstream and have an impact on water flows are China and Bhutan (Brahmaputra) and Nepal (Ganges). Yet, this vulnerability can only be addressed through regional cooperation. It is obvious from geography that the only viable long-term solution to Bangladesh’s water problems and vulnerability to climate change is through a cooperative solution with upstream neighbours (India, Nepal, Bhutan and China).

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.