কলকাতার 'আজকাল' পত্রিকার ২৮ জুন ২০০৯ সংখ্যার 'রবিবাসর' বিভাগে উস্তাদ আলি আকবর খান স্মরণে বিশিষ্ট তবলাবাদক শঙ্কর ঘোষের শ্রদ্ধাঞ্জলি, যিনি ১৯৬১-১৯৭২ পর্যন্ত খাঁ সাহেবের সঙ্গে নিয়মিত সঙ্গত করেছেন [...]

কলকাতার 'আজকাল' পত্রিকার ২৮ জুন ২০০৯ সংখ্যার 'রবিবাসর' বিভাগে উস্তাদ আলি আকবর খান স্মরণে বিশিষ্ট তবলাবাদক শঙ্কর ঘোষের শ্রদ্ধাঞ্জলি, যিনি ১৯৬১-১৯৭২ পর্যন্ত খাঁ সাহেবের সঙ্গে নিয়মিত সঙ্গত করেছেন। রাগ চন্দ্রনন্দন। চন্দ্রকোশ, যোগকোশ, কৌশিকী কানাড়া মিলিয়ে খাঁ সাহেবের তৈরি করা রাগ। চন্দ্রনন্দন ২য় অংশ। [আজকাল কলকাতা ১৩ আষাঢ় ১৪১৬ রবিবার ২৮ জুন ২০০৯ www.aajkaal.net] সাধক ওগো, প্রেমিক ওগো শঙ্কর ঘোষ উস্তাদ আলি আকবর খানের প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পাঁচ দশকের সম্পর্কের অবসান হল। আমাদের প্রথম যোগাযোগ অযাচিতভাবেই। বরানগরে স্বামী সত্যানন্দের আশ্রমে বছরে একবার সারারাতের গানবাজনার বিরাট আসর বসত। নামীদামি শিল্পীরা আসতেন। সেটা ১৯৬১ সাল। উস্তাদ আলি আকবর খানের বাজানোর কথা। উনি তখনই খ্যাতির চূড়ায়। খাঁ সাহেবের সঙ্গে বাজানোর কথা ছিল উস্তাদ কেরামতউল্লা খাঁ সাহেবের। অসুস্থতার কারণে উনি আসতে পারেননি। কেরামত সাহেব আসবে না জেনে আলি আকবর সাহেব কানাই দত্তকে নিয়ে আসতে বললেন। কানাইদা থাকতেন ভবানীপুরে। সেখানে গিয়ে তাঁকে বরানগরে নিয়ে আসা সম্ভব ছিল না। ওই আসরেই প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাইবার কথা ছিল। প্রসূনদা আমাকে চিনতেন, খাঁ সাহেবকে আমার কথা বললেন। উনি আমাকে চিনতেন না, তাই কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না অপরিচিত, অখ্যাত তবলাবাদকে নিয়ে বাজাতে। যদিও ওঁর পুত্র আশিষের সঙ্গে তখন আমি নিয়মিত বাজাই। ঘটনাচক্রে আমাদের দেখা হয়নি। শেষমেশ বেশ অসন্তুষ্ট হয়েই রাজি হলেন। ওঁর মতো শিল্পীর সঙ্গে বাজাতে হবে, আমি যে মনে মনে একটুও ঘাবড়াইনি, একথা বললে মিথ্যে বলা হবে। মঞ্চের পিছনে স্বামী সত্যানন্দ বসে। আমি ওঁকে আর খাঁ সাহেবকে প্রণাম করে বাজাতে বসলাম। মনে মনে গুরুকে বললাম, মান রেখো। আমার বয়স তখন বছর ছাব্বিশ। তারুণ্যে টগবগ করছি। নিজেকে প্রমাণ করতেই হবে, মনে এই জেদও ছিল। সেদিন আসরে প্রচুর শ্রোতা। খাঁ সাহেব কী রাগ বাজিয়েছিলেন মনে নেই। অসাধারণ বাজালেন। আমিও প্রচুর প্রশংসা পেলাম। খাঁ সাহেবকে দেখে মনে হল, উনি খুশি। আমি উৎসাহ পেয়ে ওঁকে বললাম অন্যান্য তালেও বাজাতে। উনি ধামার তালে বাজাতে শুরু করলেন। ধামার ধ্রুপদ অঙ্গের তাল। আমি একটু অন্যভাবে বাজাতে লাগলাম। ওখানে অনেক ধ্রুপদীয়া ছিলেন। তাঁরা দারুণ প্রশংসা করলেন। অনুষ্ঠানের চার-পাঁচ দিন পরের ঘটনা। আমি চিৎপুরে রয়্যাল-এর চাঁপের খুব ভক্ত। খেতে গিয়ে প্রসূনদার সঙ্গে দেখা। প্রসূনদা বললেন, আরে তোমাকেই খুঁজছি,…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.