বুঝলাম যে আইনি প্রক্রিয়া শুধু যথাযথভাবে এগুচ্ছে এমন নয়, একেবারে ‘আন্তর্জাতিক মান’ বলে যে বিষয়টি নিয়ে একপক্ষ হইচই করছেন, সেরকম গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এগুচ্ছে। আমারদেশ পত্রিকার খবর অনুযায়ী কথোপকথনে অংশ নেয়া ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন হলেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ল’ইয়ার এবং ‘সেন্টার ফর বাংলাদেশ জেনোসাইড স্টাডিজ ইন বেলজিয়াম’-এর ল’ইয়ার এবং ‘সেন্টার ফর বাংলাদেশ জেনোসাইড স্টাডিজ ইন বেলজিয়াম’-এর পরিচালক। তিনি ব্রাসেলস ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করেন। এখানে দেখা যাচ্ছে যে ড.জিয়াউদ্দিন কোনো দলের নেতা কিংবা কর্মী নন, একেবারে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন একজন আইনজীবী যার মূল এক্সপার্টিজ ও আগ্রহের জায়গা হচ্ছে যুদ্ধাপরাধ। তিনি যদি আদৌ এরকম কথোপকথনে অংশ নিয়ে থাকেন, তাহলে সেটি ট্রাইবুনালকে আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা এবং সঠিক মান অর্জনে সহায়তা করার উদ্দেশ্য থেকেই করেছেন- এজন্য তিনি সাধুবাদ প্রাপ্য। [...]

বিদেশের ইকোনমিস্ট আর দেশের আমারদেশ পত্রিকা সম্প্রতি একটি কথোপকথনের খবর জানিয়েছে আমাদের। আমারদেশ পত্রিকার প্রকাশিত খবর থেকে জানতে পারলাম যে পত্রিকা কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী এই কথোপকথনগুলো সংগঠিত হয়েছে ট্রাইবুনালের বিচারপতি নিজামুল হক (নাসিম) এবং আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমদ জিয়াউদ্দিনের মাঝে। তো, এমনিতে আমারদেশ পত্রিকাটি নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই, পত্রিকার সম্পাদকীয় নীতিটি পরিষ্কারভাবেই বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রতি সমর্থনসূচক, একথা সচেতন পাঠক মাত্রই স্বীকার করতে বাধ্য হবেন। সুতরাং এই পত্রিকায় প্রকাশিত খবর দেখলেই অনেকে পূর্ব ধারণার বশবর্তী হয়ে ধরেই নেন যে এটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। কিন্তু এই খবরটির বেলায় এমনটি ধরে নেয়া সমীচীন হবে না। কথোপকথনটি প্রকাশিত হওয়ার পরে আমি ইন্টারনেট জগতে বেশ কয়েকটি ছোটবড় প্রতিক্রিয়া পড়লাম। অধিকাংশ জনই জোর দিয়েছেন এরকম কথোপকথন সংগ্রহ এবং প্রকাশের ব্যাপারে আইনি ও নৈতিক ব্যাপারগুলোর উপর। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার চেষ্টায় তাদের লোকজন যে বিশাল কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছেন গোটা বিশ্বজুড়ে, তাতে করে তারা বিচারপতির অফিস-গাড়ি-বেডরুম-বাথরুমে যে আড়ি পাতা যন্ত্র স্থাপন করে রাখতে পারে, এটা বাস্তবতা। তারা রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের ব্যাপারে একেবারে নিখুঁত গবেষণা করছে এটাও ধরে নেয়া যেতে পারে। তাদের বিভিন্ন প্রভাব, হুমকি ধামকি কিংবা প্রলোভনে সাক্ষীদেরকে প্রভাবিত করার চেষ্টার জন্য তারা যতদূর সম্ভব ভেতরের তথ্য জানতে চেষ্টা করবে এবং যেহেতু তারা একটি অনৈতিক অশুভ শক্তির প্রতিনিধিত্ব করছে সুতরাং সেটি করতে গিয়ে তারা রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী সুখময়কে গুম করবে কিংবা প্রয়োজনমতো আবার তাদের উকিলদের গাড়ি থেকে নামিয়ে গুমের নাটক করবে -এসব বিষয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এসব সাক্ষীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্যই যদি তারা কম্পিউটার হ্যাক করা থেকে শুরু করে ট্রাইবুনালের গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের বিছানার নিচে আড়ি পেতে বসে থাকে, তাহলে চমকে ওঠার কিছু নেই। আইনিভাবে কীভাবে ট্রাইবুনাল সংশ্লিষ্টরা প্রটেকশন পেতে পারেন, সেটি নিশ্চয়ই অন্যরা বিবেচনা করবেন, আমি আজকের আলোচনায় সেদিকে যাব না। আমি বরং আমারদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত কথোপকথন থেকে যেসব বিষয় বুঝলাম, সেগুলো নিয়ে এখানে আলোচনা করি। ১. প্রথমেই বুঝলাম যে আইনি প্রক্রিয়া শুধু যথাযথভাবে এগুচ্ছে এমন নয়, একেবারে ‘আন্তর্জাতিক মান’ বলে যে বিষয়টি নিয়ে একপক্ষ হইচই করছেন, সেরকম গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এগুচ্ছে। আমারদেশ পত্রিকার খবর অনুযায়ী কথোপকথনে অংশ নেয়া ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন হলেন ইন্টারন্যাশনাল…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.