বাঙালী মাত্রই বেঈমানদের সঙ্গে পরিচিত। মীরজাফরের বংশধরেরা একাত্তর থেকে রক্ত মেখে নিয়ে এখনো যে সক্রিয়, সে সকলেরই জানা। প্রশ্ন হচ্ছে এরা কতদিন থেকে সক্রিয়? জামায়াতের হ্যাকাররা কতদিন থেকে হ্যাকিং করছে? এই প্রশ্নের জবাব এখনই দিতে পারছি না। কিন্তু এই সময় যে দীর্ঘ তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের স্বাক্ষীরা কেন হঠাৎ করেই স্বাক্ষী দিতে ভয় পাচ্ছিলেন, স্বাক্ষী/তাঁদের আপনজন কীভাবে হামলার স্বীকার হচ্ছিলেন সেটি এখন স্পষ্ট হচ্ছে আমাদের কাছে। জামায়াত শিবিরের শ্বাপদেরা বিচারকদের কাছে থাকা স্বাক্ষী সম্পর্কিত অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য চুরি করে তাঁদের প্রভাবিত করেছে, করার চেষ্টা করেছে। এইজন্যেই এখন স্বাক্ষী নিরাপত্তা ভয়াবহভাবে হুমকীর মুখে। রাষ্ট্রপক্ষের স্বাক্ষী উধাও হয়ে যাওয়ার পেছনের কারণগুলোও এখন স্পষ্ট। [...]

আমার অভাগা মাতৃভূমি কীভাবে এগোচ্ছে? নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের একজন বিচারককে সাহায্য করার জন্য বিশেষজ্ঞ-কর্মীদের বাহিনী প্রয়োজন হয়। বাহিনী তো দূরে, তার ক্ষুদ্র একটা ভাগও আমরা সেটা দিতে পারিনি। তাছাড়া এই প্রক্রিয়া এইদেশে প্রথম। বিচারও হচ্ছে একটি নতুন আইনে। বিচারকরা তাঁদের কাজের স্বচ্ছতা রক্ষার জন্য এবং পুরো প্রক্রিয়াটি ঠিকভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্যেই বিশেষজ্ঞ-অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে থাকেন। বিচার কার্য বিষয়ে একজন বিচারকের তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়টি নিয়ে যাঁরা জানেন না তাঁদের জানিয়ে রাখি, পরামর্শ নেয়ার এই বিষয়টি বেআইনি নয়, নতুন কিছুও নয়। এটি সহজ এবং স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিন একজন আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ। বিচারকরা প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে অথবা অন্য কোন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলতেই পারেন। এতে বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হয়না। এই প্রক্রিয়া নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললে তার বুদ্ধিমত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়! সমস্যা হচ্ছে, বিচারকের কাছ থেকে তথ্য চুরির সঙ্গে আরো অনেক প্রসঙ্গ জড়িত। বাঙালী মাত্রই বেঈমানদের সঙ্গে পরিচিত। মীরজাফরের বংশধরেরা একাত্তর থেকে রক্ত মেখে নিয়ে এখনো যে সক্রিয়, সে সকলেরই জানা। প্রশ্ন হচ্ছে এরা কতদিন থেকে সক্রিয়? জামায়াতের হ্যাকাররা কতদিন থেকে হ্যাকিং করছে? এই প্রশ্নের জবাব এখনই দিতে পারছি না। কিন্তু এই সময় যে দীর্ঘ তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের স্বাক্ষীরা কেন হঠাৎ করেই স্বাক্ষী দিতে ভয় পাচ্ছিলেন, স্বাক্ষী/তাঁদের আপনজন কীভাবে হামলার স্বীকার হচ্ছিলেন সেটি এখন স্পষ্ট হচ্ছে আমাদের কাছে। জামায়াত শিবিরের শ্বাপদেরা বিচারকদের কাছে থাকা স্বাক্ষী সম্পর্কিত অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য চুরি করে তাঁদের প্রভাবিত করেছে, করার চেষ্টা করেছে। এইজন্যেই এখন স্বাক্ষী নিরাপত্তা ভয়াবহভাবে হুমকীর মুখে। রাষ্ট্রপক্ষের স্বাক্ষী উধাও হয়ে যাওয়ার পেছনের কারণগুলোও এখন স্পষ্ট। দেশ নিয়ে যুদ্ধাপরাধী চক্র কি খেলায় মেতে উঠেছে বুঝতে বিস্তারিত পড়ুন এখানে। ['সচলায়তন'এ প্রকাশিত অনার্য সঙ্গীত এর ব্লগ থেকে]

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.