তফসীরে সাঈদীকে নিষিদ্ধ করা হোক

তফসীর ও সাঈদী, মাইকিং শুরু হয়ে গেছে চট্টগ্রামে। সরকার যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে, তাহলে একজন যুদ্ধাপরাধীর প্রকাশ্য সমাবেশে তফসীরে কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে না ? আরো পরিধি বাড়িয়ে কেন পারে না চিহ্নিত সব যুদ্ধাপরাধীর প্রকাশ্য যে কোনো সমাবেশে অংশগ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে ? সরকারের তা পারা উচিত এবং এই নিগ্রহের মধ্য দিয়ে এদের কোণঠাসা করা উচিত। আর এভাবেই ধীরে ধীরে তাদের বিচারও ত্বরান্বিত করা হোক।

আর চট্টগ্রামের মানুষ আর কত নিজেদের অপমান সহ্য করবে! এবারের দুজন জামাত সাংসদ চট্টগ্রামের, আবার সাঈদীর তফসীরের ঘাঁটিই বা কেন হবে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের নাগরিক ও ধর্মপ্রাণ মানুষ কেন পারে না যুদ্ধাপরাধীর তফসীর বর্জন করতে? কোরানের তফসীরে সাঈদীর চেয়ে যোগ্য কেউ কি জন্মায়নি চট্টগ্রামে বা বাংলাদেশে?

সরকারের দিক থেকে হোক নিষেধাজ্ঞার প্রতিরোধ, সাধারণ মানুষ করুক যুদ্ধাপরাধীর প্রকাশ্য তফসীর ও সমাবেশ বর্জন, এভাবেই শুধু সম্ভব যুদ্ধাপরাধীদের একঘরে করা। আর এ আমাদের সমাজের প্রাচীন ধারা, অপরাধীকে একঘরে করো।

আর নতুন ধারাও জারি হয়ে যাক পাশাপশি বিশেষ ট্রাইবুনালে যুদ্ধাপরাধীর বিচার কার্যক্রম শুরু হয়ে যাক।

মাসুদ করিম

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।

২১ comments

  1. রেজওয়ান - ৩০ মার্চ ২০০৯ (১:২৯ পূর্বাহ্ণ)

    আমাদের এইসব এলিমেন্টের দিকেও নজর রাখতে হবে:

    http://www.sohel.net/2009/03/example-of-radicalism.html

  2. শাহীন ইসলাম - ৩০ মার্চ ২০০৯ (১:৫৬ পূর্বাহ্ণ)

    সাঈদীর দক্ষতা হচ্ছে তার বাকচাতুরী (যা এক ধরণের রিটোরিক), আর তার পুঁজি হচ্ছে আমাদের অজ্ঞতা আর যুক্তি চর্চার অভাব। আমরা তাকে তিন ভাবে ঠেকাতে পারি :

    (১) ক্ষমতার বলে
    (২) পাল্টা-বাকচাতুরীর মাধ্যমে
    (৩) তার পুঁজিকে নষ্ট করে

    আইনের হেরফের করে তাকে কাবু করা ক্ষমতারই নামান্তর মনে হচ্ছে, অর্থাৎ তা (১) এর মধ্যে পড়বে। তাতে খুব সম্ভব আমরা ন্যায়ের নামে অন্যায়ের আশ্রয় নেব — আমাদের বিচার ব্যবস্থা আরো খণ্ডিত (disintigrated) হয়ে যাবে (আমি মনে করি — যদিও আইন বুঝি না বলে জোরালো ভাবে বলতে পারছি না — বিচার ব্যাবস্থা যত অখণ্ডিত বা intigrated রাখা যায় তত ভালো)। অধিকন্তু কৌশল হিসাবে তা আমাদের জন্য শেষমেষ বুমেরাং হয়ে যেতে পারে।

    (২) অবলম্বন করলে আমাদের নিজেদেরকে সাঈদী হতে হয়, এবং তাতে সাঈদীর জয় হবে। এ পথ অবলম্বন করার প্রবণতা আমাদের মধ্যে বেশ প্রবল মনে হচ্ছে — যেহেতু যুক্তি চর্চা আমাদের মধ্যে নেই।

    একমাত্র অবলম্বনযোগ্য উপায় মনে হচ্ছে (৩)-কে, বেশ কঠিন কাজ যদিও।

    • Dablu - ১ এপ্রিল ২০০৯ (২:২৩ অপরাহ্ণ)

      Eishob loker puji noshto shdhu ek bhabei kora jai. Juddhaporadher bichar. Shuru holei ora thanda hoe jabe. Bicharer shomoi oder oporadh gulo bishesh bahbe procahr korte hobe. Shasti kom holeo jeno gono dhikkarer sathe oder bash korte hoi.
      Jahok, ejatra shorkar 144 dhara jari kore mukrokkha koreche.
      shubhechante,
      Dablu.

      • শাহীন ইসলাম - ২ এপ্রিল ২০০৯ (৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ)

        একটি সমস্যা হচ্ছে “সাঈদী” কোন একক বা অদ্বিতীয় ব্যক্তি নয়। যুদ্ধোত্তর এবং যুদ্ধাপরাধ না করে অনেক “সাঈদী” আছে, এবং ভবিষ্যতে আরো “সাঈদী” আসবে — যতক্ষন পর্যন্ত আমরা ওদের পুঁজি ধংস না করতে পারি।

        আর, একটু গোড়ার দিকে যাওয়া যাক। আমার মনে হয় মানুষের স্বজাতি বোধ বা স্বদল বোধ সবসময় সংহতিপূর্ণ নয়। “আমি বাংগালী” (বাংগালী-বোধ) আর “আমি মুসলমান”(উম্মা-বোধ) সবসময় সংহতিপূর্ণ নাও হতে পারে। এটি আমার পর্যবক্ষণ, কোন ধর্মতত্ত্বের ব্যাপার নয়। প্রবাসে বেশীরভাগ বাংলাদেশী মুসলমানরা প্রথমে চেষ্টা করে মুসলমান হতে, বাংগালী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা ওদের কাছে একটু গৌণ।ওরা আগে খোঁজে হালালা মাংস, আর বাচ্চাদের আরবী শিক্ষার জন্য একটি ‘হুজুর’, এবং — অনেক সময় — হিজাব; “রবীন্দ্রসংগীত” খুব অল্প সংখ্যক লোকের “ভিমরতি” হতে পারে।

        • Dablu - ২ এপ্রিল ২০০৯ (৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ)

          Shaheen, apni khub jotil bishoi er obotarona korechen. amar mote musolman ebong bangali eki shorire shohobosthan korte kono oshubidha hobar kotha noi. bangali kulbodhura ghomta prachin kal thekei bebohar kore ashche. porda bangali narir shongskritir i ongo. nognota bishsher kono shongskritir ongsho noi.
          halal mangsho hygienically onek beshi bhalo (Proven scientifically). shutorang halal mangsho paoa gele khaoa uchit. shob shikkhito bangali-musolman jodi arbi jaanto, tahole amra ‘dhormandhoder’ kach theke islam ke uddhar korte partam.ebong islam ke ekti adhunik jibon babostha hishebe prothistito korte partam.
          robindrosongeet er sathe islam er kono birodh nei. In fact, bangalir kono kichur sathei islamer birodh nei, ek murti-puja chara. emon ki murti puja hindu dhormeo nishidhdho (Ref. Veda and Upanishad).
          shubhechante, dablu.

        • শাহীন ইসলাম - ২ এপ্রিল ২০০৯ (৫:৫২ অপরাহ্ণ)

          @ডাব্লু ভাই,
          মনে হয় একটু ভুল বুঝাবুঝি হচ্ছে এখানে। আপনি “উচিৎ/অনুচিৎ”, “এমনটি হলে এমন হোত”, “hygienically onek beshi bhalo (Proven scientifically)” ইত্যাদির কথা বলছেন। সে বিষয়গুলি’কে আমি আপনার একটি ধর্মতত্ত্ব (theology) বলছি (হয়ত “interpretation”বল্লে ভালো হোত)।আমি ধর্মতত্ত্বের বিপরীতে পযর্বেক্ষণের কথা বলেছিলাম। পর্যবেক্ষনে দেখা যায় আপনার ধর্মতত্ত্বের পাশাপাশি অন্যরকম ধর্মতত্ত্বও বিরাজ করে — যেমন সাঈদীবাদ, ওয়াহাবীবাদ … , এবং আরো অন্য রকম ধর্মতত্ত্ব থাকতে পারে। আপনি হ্য়ত ইসলামের সাথে জাতীয়বাদের (Nationality) কোন সমস্যা দেখছেননা, কিন্তু কিছুদিন আগে ইরানের খোমেনী পষ্ট করে বলেই দিয়েছেন ইসলামের সাথে জাতীয়বাদ খাপ খায় না।পাকিস্তানের শুরুতে বাংগালী জাতীয়বাদের কথা মোটেও ছিল না। এবং এখনো অনেকে ইসলামী উম্মার স্বপ্ন দেখে — যেখানে মুসলিম জাতীগুলির মধ্যে জাতি ভিত্তিক ভেদাভেদ একেবারে গৌণ বিষয় হয়ে যাবে। কোন সাঈদী যদি আপনার বাংগালী জাতীয়তাবাদ খাটো করে দেখে তাহলে, আমি মনে করি, তাকে “যুদ্ধাপরাধ” বা এমন কি “দেশদ্রোহী” বলে আটকাতে পারেন’না (তবে সে যদি খুন,আগুন লাগানো, ইত্যাদির সাথে জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যিই তার বিচার হওয়া উচিৎ)। আপনি হয়ত বলবেন ওরা ধর্মান্ধ, আমিও আপনার সাথে একমত হতে দ্বিধাবোধ করছিনা, কিন্তু সেটি দূরীকরন সম্ভব যদি ওদের পুঁজিটি আমরা নষ্ট করে দিই।সে জন্য দরকার জ্ঞানের প্রসার, মুক্ত বুদ্ধির চর্চা, যুক্তি ও চিন্তনের ভুল স্বিকার ও ভুল ধরিয়ে দিতে শিখা। মুক্তাঙ্গন’কে আমি সে ভাবে দেখতে চাই (এবং তাদের ঘোষনায় তাই দেখা যায়)। আর মুক্তাঙ্গনের সে লক্ষটি যদি অর্জিত হ্য় তাহলে হ্য়ত দিনান্তে আমরা বলব “আরে এতদিন কি এই ভুল/অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে ছিলাম”? শুধু সাঈদী যে অন্ধ বিশ্বাসী তা নয়। আমার নিজেরও অনেক অন্ধকার থাকতে পারে, সেটা দূর করা যাক আগে।আর অন্য ভাবে আমরা যদি সাঈদীদেরকে আটকাতে চাই তাহলে তা স্রোতে বাঁধ দেওয়ার মত হয়ে যাবে।

  3. রেজাউল করিম সুমন - ৩০ মার্চ ২০০৯ (৪:২৪ পূর্বাহ্ণ)

    প্রথম আলো-র আজকের প্রথম পাতা-র কলাম ১-এ প্রকাশিত সংবাদ:

    ১৪৪ ধারা

    চট্টগ্রাম প্যারেড মাঠে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ প্রশাসন। আজ সোমবার থেকে সেখানে পাঁচদিনব্যাপী তফসিরুল কোরান মাহফিলের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। এতে ওয়াজ করার কথা ছিল জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সাংসদ দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর। কিন্তু পুলিশের আশঙ্কা, মাহফিলে ধর্মীয় বিষয়ের বাইরে রাজনীতি নিয়ে বক্তব্য দেওয়া হতে পারে। তাই আয়োজকদের অনুমতি না দিয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম।

  4. হাসান মাহমুদ - ২ এপ্রিল ২০০৯ (১০:২৬ পূর্বাহ্ণ)

    They will continue creating problems until people know exactly why they are anti-Islamic. Few decades ago important Muslim countries started under secular leaders such as Nasser of Egypt, Jinnah of Pakistan, Dr. Mosaddeue of Iran, Sukarno of Indonesia – all of them guarded secularim by constitution. Kamal uprooted Khelafat and safeguarded secularism by army.

    None of them thought about public awareness about the danger of Political Islam.

    So we see today – all of them fell under the clutch of the devil in disguise of Islam.

    This is what I do, through my book, drama movie and speeches on Sharia law and Political Islam – from theological references.

    It has no alternative.

    Keep well.

    হাসান মাহমুদ

  5. রায়হান রশিদ - ২ এপ্রিল ২০০৯ (৭:০৭ অপরাহ্ণ)

    ১.
    কয়েক দিন আগে এক বন্ধুর সাথে কফির দোকানে বসে কথা হচ্ছিল। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ ইত্যাদি বিষয়গুলো উঠে এসেছিল। আড্ডার শেষ প্রান্তে এসে কার্যকর একটা ধারণাগত উদাহরণ খুঁজে পেয়েছিলাম আমরা, একেবারে বাগান করার মত নিত্য নৈমিত্তিক একটি সাধারণ বিষয়ের মধ্যে। মৌলবাদ এবং এর চরমতম রূপ জঙ্গীবাদকে একটা গাছের সাথে তুলনা করলে কেমন হয়? গাছের থাকে মূল, কান্ড, ডালপালা। বুশ-শ্যারনরা মনে করেন ডাল পালা কাটলেই বুঝি (পড়ুন: তালেবান ঘাঁটি আফগানিস্তান আক্রমন) জঙ্গীবাদ দমন হয়ে যায়। তাতে যে কাজ হয়না, সে তো এখন আমরা সবাই জানি। এঁদের মধ্যে আরেকটু সুক্ষ প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী যাঁরা, তাঁরা সুপারিশ করেন মূলোৎপাটনের (পড়ুন: জঙ্গীবাদ সহায়ক অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়া)। এতেও কি আসলে কাজ হয়? জঙ্গীবাদ সম্ভবত এমনই এক গাছ যে গাছের মূল মাটির (পড়ুন: সমাজের) অনেক গভীরে প্রোথিত এবং অনেক ব্যাপক তার বিস্তার। সুতরাং, কোন একটি জায়গায় তার মূলোৎপাটনের চেষ্টা বোধ করি ডালপালা কর্তনের মতোই অকার্যকর একটি কৌশল। বিকল্প হিসেবে এমন পরিস্থিতি তৈরী করলে কেমন হয় যেখানে মূলটি আর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টিই খুঁজে পাবেনা মাটি থেকে (আমার বন্ধুটির ভাষায় starving the root)? এভাবে ভাবলে হয়তো শাহীন ভাইয়ের চিন্তার সাথে কৌশলগত কিছু দিক মিলে যায়। এভাবে ভাবলে, প্রথমেই আমাদের এক এক করে তালিকাভুক্ত করতে হবে সমাজে বিদ্যমান সেই সব পৌষ্টিক উপাদানকে যা আহরণ করে মৌলবাদ/জঙ্গীবাদের শেকড়। প্রথম পর্যায়ে সেটাই হয়তো করণীয়।

    ২.
    কিন্তু তাতেও কি অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জিত হবে? মনে হয় না। এক্ষেত্রে শাহীন ভাইয়ের কথার সাথে পুরোপুরি একমত যে কেবল সাঈদীরাই অন্ধ বিশ্বাসের ধারক বাহক নয়। আমাদের নিজেদের ভেতর যে সব অন্ধ বিশ্বাস, পক্ষপাত, প্রেজুডিস সেগুলোকেও চিহ্নিত করতে হবে একে একে। সেটা হতে পারে মতাদর্শিক, শিক্ষাগত, অবস্থানগত, চরিত্রগত। এক্ষেত্রে সবচেয়ে যেটা বিপদজনক সেটা বোধ হয় এমন সব চিন্তার স্রোত যেগুলোর মোদ্দা কথা হল:

    –“আমরাই সব চেয়ে ভাল বুঝি, আমরাই সঠিক”,
    –“বাকীরা কিছু জানেনা বা যা জানে ভুল জানে”,
    –“এ বিষয়ে আর নতুন কিছু তো জানবার নেই, কারণ অত’শ বছর আগে তমূকে এই বিষয়ে শেষ কথাগুলো তো বলেই গেছেন যা এখন ফলছে একে একে”,
    –“অমুক আর তমুকে কি বলে গেছেন সে সবের আলোকেই এখনকার সমস্যাকে বিচার করতে হবে” ইত্যাদি।

    ৩.
    এখানে সব ধরণের বুদ্ধিবৃত্তিক গুরুবাদকে ত্যাগ করতে হবে প্রথমেই। উপরে উল্লেখ করা চিন্তার এই দোষগুলো কম বেশী আমরা সকলেই মনে হয় ধারণ করি। এবং সে সবের অনেকগুলোর লক্ষণই কিন্তু প্রকাশ পেয়ে যায় আমাদের আলোচনার ঢংয়ে, ভাষার ব্যবহারে। কখনো আমরা ভিন্ন মতের মানুষকে স্ব-মতে আনার জন্য তর্কের এমনই কোন ধরণ বেছে নিই যাতে হিতে আরও বিপরীত হয়; কখনো আমরা ছায়ার সাথে যুদ্ধ করি নিজের কোনো সুনির্দিষ্ট অবস্থান ছাড়াই; আবার কখনো বা শ্বাশ্বত “বিপরীত অবস্থান” বেছে নিই; কখনো ঠিক বেঠিক ভুলে গিয়ে নিজের পছন্দের বা পরিচিত মানুষকে সমর্থনের পন্থা বেছে নিই কোনো আলোচনায়। সাধারণত এর বেশীর ভাগই আমরা করি নিজের অজান্তে। তাই, এই প্রবণতাগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলোর বিরুদ্ধে এখন থেকেই সচেতন না হলে “মুক্তাঙ্গন” এর মুক্ত চিন্তার সংস্কৃতি এবং তাকে যথা সম্ভব ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যটিই হয়তো বিঘ্নিত হবে সবার আগে। এখানে বলে রাখা ভাল: এসব প্রবণতা থেকে পুরোপুরি মুক্তি কি আসলে সম্ভব? হয়তো না, কিন্তু সচেতনটা মনে হয় জরুরী। আর সচেতনতার প্রক্রিয়াটি কার্যকর হবে যদি এখানে আমরা একে অপরকে সাহায্য করি, ভুলগুলো প্রবনতাগুলো ধরিয়ে দিয়ে। আমার বিশ্বাস – এখানকার অংশগ্রহণকারীদের অতটুকু উদারতা এবং মুক্ত মন রয়েছে।

    • শাহীন ইসলাম - ৭ এপ্রিল ২০০৯ (১২:০২ পূর্বাহ্ণ)

      একদিন এক তাবলীগ ভদ্র লোক আমার দরজায় হাজির। খুব বিনীত শুরে জানালেন — আগামী (সম্ভবত) সোমবারে একটি বিশেষ মসজিদে আমার দাওয়াত। আমি জানতে চাইলাম কি জন্যে। ভদ্রলোক বল্লেন, ধর্ম নিয়ে আলোচনা হবে। আমি আমন্ত্রনের সুরে জানালাম — তিনি যে কোন দিন আমার বাসায় আসতে পারেন, চা পান হবে এবং সে সংগে ধর্ম নিয়ে কথা হবে। তিনি কখনই আমার আমন্ত্রনের সাড়া দেন’নি । আর যে কারনে তিনি আসেননি আমিও খানিকটা সে কারনে তাঁর আমন্ত্রনে সাড়া দিই নাই। আমার কাছে মসজিদ থেকে আমার বাসা বেশী পছন্দনীয় ছিল কারন মুক্ত আলোচনার পরিবেশ হিসাবে আমার বাসাটিকে উত্তম মনে হয়ে ছিল। কিন্তু আমার বাসাও কি সে হিসাবে নিখুঁত ছিল? মনে হ্য় না। একটি চায়ের দোকান, যেখানে আমরা প্রত্যেকে নিজের চা খাওয়ার পয়সা দিতে রাজী থাকবো, সে রকম একটি জায়গা হলে আমরা মনে হ্য় সে মুক্ত আলোচনার আরো কাছাকাছি যেতে পারতাম। এবং সে সংগে থাকতে হবে কিছু ট্রাফিক নিয়ম: যেমন — ছলে হোক কিংবা বলে হোক — জোর না খাটান।

      অনেক দিন পর এক evangelist জানতে চাইলেন আমি কি গির্জায় গিয়ে কতকগুলি পাদ্রির সাথে দেখা করতে রাজী আছি কিনা। আমি তাঁকে তখন তাবলীগ ভদ্রলোকের গল্পটি বল্লাম। তাতে দেখি কাজ হলো। evangelist ভদ্রলোক জানতে চাইলেন কোথায় আমি দেখা করতে পারি। আমি বল্লাম: “coffee shop”।

      “Ideal speech situation”। ধারনাটি চালু করেছেন হাবের্মাস। সেটিকে আমি মুক্ত আলোচনার আদর্শ পরিবেশ বলছি। সে আদর্শকে অবহেলা করলে কম-বেশী আমরা সবাই সাঈদী হয়ে যাব।

  6. শাহীন ইসলাম - ৩ এপ্রিল ২০০৯ (৭:৪৯ অপরাহ্ণ)

    হাসান মাহমুদের পোস্টিংটা বেশ ভাবিয়ে তুলেছে আমাকে, এবং মনে হচ্ছে খুব একটা সুরাহা পাচ্ছি না।political Islam! তার বিপরীতে a-political Islam অথবা ideological Islam। সে সংগে মাথায় আসছে high Islam বনাম low Islam। আরো পরে আসছে true Islam বনাম false Islam, অথবা কোন আদর্শের বা ধর্মের true interpretation ও false interpretation। সর্বশেষে practice বনাম practice বিবর্জিত একটি অতি পাতলা abstract ideology/religion। বেশ কঠিন সমস্যা মনে হচ্ছে।

    political Islam দিয়ে শুরু করা যাক। প্রথম খটকা “political” শব্দটিতে। শব্দটা আমার কাছে বেশ ব্যাপক; এই যে আমি লিখছি তা কিন্তু একটি political তাড়না থেকে। আমি’তো লালন শাহী আর জালালউদ্দীন রুমি দুজনকে political রূপে দেখি। তাহলে ইসলাম পলিটিক্যাল হবে না কেন? কিংবা হতে আপত্তি কোথায়? বিশেষ করে ওদিকে যখন Evangelist, Catholist আর Zionist’রা শশব্যস্ত।

    হয়ত’বা এটি নেহাত শব্দ বিভ্রাট। “political”এর পরিবর্তে “জঙ্গি” বা “militant” ইসলাম বল্লে মনে হয় ভালো হোত।

    আজ এতটুকু থাক।

  7. শাহীন ইসলাম - ৪ এপ্রিল ২০০৯ (৬:১৮ অপরাহ্ণ)

    পলিটিক্যাল ইসলাম নিয়ে কিছু আদান-প্রদান ইন্টারনেটে পেলাম। দেখতে পারেন

    তারিখ-আমিন খান বনাম সমির আমিন

  8. শাহীন ইসলাম - ১২ এপ্রিল ২০০৯ (৭:১৬ অপরাহ্ণ)

    পলিটিক্যাল ইসলাম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন Patrick Cockburn তাঁর Counter Punch’ এর একটি লেখায়

    The success of political Islam over secular nationalism in the Arab world has largely been because of the former’s ability to resist the enemies of the community or the state. In Egypt the nationalism of Nasser was discredited by humiliating defeat in the 1967 war with Israel. In Iraq, for all his military bravado, Saddam Hussein was a notably disastrous military leader. All the military regimes espousing nationalism and secularism in the Arab world began or ended up turning into corrupt and brutal autocracies. In contrast, political Islam has been able to go some way towards delivering its promises of defending the community.

    In Lebanon, Hizbollah guerrillas were able to successfully harass Israeli forces in the 1990s where Yasser Arafat’s commanders had abandoned their men and fled.

    In Gaza this year, Hamas was able to portray itself as the one Palestinian movement committed to resisting Israel.

    In Iraq, al-Qa’ida got nowhere until it could present itself as the opposition to the US occupation and as an ally, though a supremely bigoted and murderous one, of Iraqi nationalism.

    In Afghanistan, the Taliban has the advantage of fighting against foreign occupation.

    Secularism in the Arab world and in Afghanistan, on the other hand, has the problem that it is seen as being at the service of foreign intervention. It is why secularism and nationalism are ultimately stronger in Turkey than in almost all other Islamic countries.

    Kemal Ataturk and the Turkish nationalists successfully defended the Turkish heartlands from foreign attack between 1915 and 1922. This gave secularism and nationalism a credibility and a popularity in Turkey which they never had in Iraq, Egypt or Syria.

    সম্পূর্ণ লেখাটির জন্য
    এখানে

  9. শাহীন ইসলাম - ১২ এপ্রিল ২০০৯ (১০:০৮ অপরাহ্ণ)

    পলিটটিক্যাল ইসলাম বলতে আমরা যা বুঝাতে চাই বা চাচ্ছি ( আমি এর বিশ্লেষন সরাসরি করছিনা) তা পর্যবেক্ষণ করলে প্রথমে যে জিনিষটি আমার মনে হয় তা হচ্ছে এই: আমাদের জামায়েত ইসলামী বা সাঈদীরা হামাস বা তালিবান নয়। মার্কিন পরাশক্তি জামায়েত কিংবা সাঈদীদের অন্তত পক্ষে প্রকাশ্য শত্রু নয়। অর্থনীতি বা বন্টন ব্যাবস্থা নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গী বর্তমান পূঁজিবাদী ব্যাবস্থার সাথে খুবই সৌহাদ্রপূর্ণ মনে হয়, আর মনে হয়না পরিবেশ নিয়ে তারা কখনও মাথা ঘামিয়েছে।এবং সে জন্য হয়ত খেটে খাওয়া মানুষের সাথে তাদের সম্পর্ক নিবিড় নয়, “তৌহিদী জনতা” শ্লোগান দিয়ে বেশী দূরে যাওয়া যবে না। (একি ভাবে “বীর বাঙ্গালী ভাই ও বোনেরা” অথবা “ধানের শীষের জিয়া” বেশী দূরে যেতে পারেনা)।

    ইব্নে খালদুন নাকি লক্ষ্য করে ছিলেন মুসলিম সমাজগুলি দোলকের মত দুটি অবস্থানে দুলতে থাকেন, এবং শেষমেষ মুসলিম সমাজগুলি আর এগোয় না; একটি অবস্থানকে বলা যায় উচ্চ ইসলাম আর একটি নীচু ইসলাম। নীচু ইসলাম ইসলাম যে অঞ্চলগুলিতে ছড়ায় সে অঞ্চলের কৃষ্টি, বিশ্বাস, ইত্যাদি উদার কিংবা সরল মনন নিয়ে শোষন করতে থাকে এবং মিশে যায়, আর উচ্চ ইসলাম সে শোষিত উপাদানগুলিকে খাদ মনে করে ইসলামকে নিখাদ করার প্রচেষ্টা চালায়।

    মুসলামনদের স্বর্ণযুগ — যা অমুসলমানরাও বলে থাকেন — আব্বাসি খেলাফতের শেষের দিকে, দ্বাদশ শতাব্দীর দিকে, কর্ডোবাতে। অনেক ইওরোপীয় তখন মুসলামান হয় (তার একটি কারণ হতে পারে খৃষ্টানদের গোলমেলে ত্রি-তত্ত্ব), মুসলমানরা ইওরোপের চিন্তা চেতনা শোষণ করতে কোন কার্পণ্য বোধ করেনি, সুলতান আল মাহমুদের পৃষ্টপোষকতায় অনেক কিছু — বিশেষ করে গ্রীক আর সংস্কৃতি থেকে — আরবীতে অনূদীত এবং — এমন কি — সংরক্ষিত হ্য়। আমার দৃষ্টিতে সে পর্যায়টি ছিল নীচু ইসলাম।হিন্দুদের থেকে মুসলমানরা তখন শূণ্যের ধারণা নিয়ে কাঠামগতভাবে সংখ্যা-লিখন পদ্ধতির প্রবর্তন করে।

    বর্তমান যেটিকে আমরা পলিটিক্যাল ইসলাম বলছি তা উচ্চ ইসলামের ধারাবাহিকতা মনে হয়। আমি ভাবছিলাম খৃষ্টানরা যে ভাবে লাতিন আমেরিকাতে Liberation Theology উম্মেষ ঘটিয়েছিল, সে মাপের কিছু কি মুসলমান উলামারা আমাদেরকে কিছু দিতে পেরেছে? মায়ানমার বুদ্ধ ভিক্ষুকরা যে ভাবে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে জনগনের হয়ে রাস্তায় নেমেছিল সে রকমটি উলামারা কি কখনো করেছিল?

  10. মাসুদ করিম - ২৩ জুন ২০১০ (৯:৩৬ অপরাহ্ণ)

    সাঈদীর তফসিরুল কোরান মাহফিল বন্ধ করায় জামাতের ভোটব্যাংকের ( তাদের দাবি অনুযায়ী ১ লক্ষ ৪০ হাজার) ভোটেই মহিউদ্দিন হেরেছে। জামাতের ভোটব্যাংকের হিসাব

    জামায়াতে ইসলামীর সমর্থিত কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট হিসাব করে দেখা যায়, ১৯৯৪ সালে তাদের ভোট ব্যাংক ছিল প্রায় ৩০ হাজার। আর ২০১০ সালে তা বেড়ে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজারে উন্নীত হয়েছে। জামায়াত মনোনীত ২৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৮ শুলকবহর ও ১৩ পাহাড়তলী ওয়ার্ডে মহিউদ্দিন সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী ও মাহফুজুল হক। মহিউদ্দিন চৌধুরীর নিজ কেন্দ্রে মনজুর আলমের পাশাপাশি শামসুজ্জামান হেলালীর সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া সচেতন মহলে আলোচিত বিষয়। ১০ উত্তর কাট্টলী, ১৬ চকবাজার, ২৪ উত্তর আগ্রাবাদ ও ৩৩ ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডে মহিউদ্দিন চৌধুরী সমর্থিত প্রার্থীর সাথে তীব্র প্রতিদ্বনিদ্বতা করে হেরে গেলেও উক্ত চারজন জামায়াত মনোনীত প্রার্থী প্রায় সাড়ে ২২ হাজার ভোট পান। ২৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মোট প্রাপ্ত ভোট সাড়ে ৭১ হাজার। জামায়াত মনোনীত ৪ জন মহিলা কাউন্সিলর সর্বমোট ভোট পান প্রায় ৬৭ হাজার। ২৯ কাউন্সিলর ও ৪ মহিলা কাউন্সিলর মিলে ৩৩টি ওয়ার্ডে জামায়াতের মোট প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ সাড়ে ৩৮ হাজার থেকে ৭টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রাপ্ত ডুপলিকেশন বাদ দিয়ে জামায়াতের নেট ভোট ব্যাংক দাড়ায় ১ লাখ ৩০ হাজার। ৮টি ওয়ার্ডে জামায়াত মনোনীত কোন প্রার্থী ছিল না। যেখানে আনুমানিক ভোট ব্যাংক পায় ১০ হাজার অর্থাৎ জামায়াতের মোট ভোট ব্যাংক দাঁড়ায় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার এবং উক্ত ভোট ব্যাংকই মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরাজয়ের মূল ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করেছে।
    চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত ইসলামী সূত্র জানায়, নগরীর ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে জামায়াতের কোন কাউন্সিলর প্রার্থী না থাকায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষেই তারা ভূমিকা রাখে। এদের মধ্যে ৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচিত হন, আর তারা হলেন-১ দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড, ১৭ পশ্চিম বাকলিয়া, ৩৪ পাথরঘাটা, ২৯ পশ্চিম মাদারবাড়ী ও ৪১ দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

    আমি অংকে খুবই খারাপ। তাই জটিল হিসাবের অনেক কিছুই বুঝতে পারিনি। কিন্তু যোগ্য কেউ বুঝতে পারবেন এই ভরসায় তুলে দিলাম। তবে সহজ যেহিসাব তা খুবই ভয়ংকর ১৯৯৪-২০১০ এই ১৬ বছরে জামাতের ভোটব্যাংক চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল এলাকায় বেড়েছে প্রায় ৪৭০%। যা বর্তমানে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল এলাকার মোট ভোটারের (প্রায় ১৭ লক্ষ) প্রায় ৮%।

    সূত্র : দৈনিক সংগ্রামের খবর জামায়াতের ভোট ব্যাংকই ফ্যাক্টর

  11. মাসুদ করিম - ৩ অক্টোবর ২০১১ (১২:২৪ অপরাহ্ণ)

    যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত সাঈদী।

    একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের জড়িত ‘থাকা’য় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছে, এখন শুরু হবে বিচার।

    সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। আদালত পরবর্তী শুনানির তারিখ ঠিক করেছে আগামী ৩০ অক্টোবর।

    ৩১টি অভিযোগ শুনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন জামায়াতের নায়েবে আমির সাঈদী।

    সাঈদীকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সকালে কারাগার থেকে পুরনো হাইকোর্ট ভবনে স্থাপিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।

    ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর সাঈদীই হচ্ছেন প্রথম ব্যক্তি- যার ‘যুদ্ধাপরাধ’র বিচার শুরু হতে যাচ্ছে।

    এই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের ৩১টি অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল।

    অবশ্য সাঈদীর আইনজীবী তাজুল ইসলামের দাবি, অভিযোগ গঠনের এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বায়বীয় অভিযোগের ভিত্তিতে।

    সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন প্রশ্নে গত ২১ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক চলে। এরপর ৩ অক্টোবর আদেশের দিন রাখে ট্রাইব্যুনাল।

    মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুরে হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক সংসদ সদস্য সাঈদীকে। চলতি বছর ১৪ই জুলাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।

    খবরের লিন্ক এখানে

  12. মাসুদ করিম - ২৯ জানুয়ারি ২০১৩ (২:৩৪ অপরাহ্ণ)

    সাঈদীর রায় যে কোনো দিন

    মঙ্গলবার এ মামলায় দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর রায় অপেক্ষমান রাখেন।
    ট্রাইব্যুনালের নিয়ম অনুযায়ী, আদালত এখন সুবিধামতো সময়ে যে কোনো দিন এ মামলার রায় ঘোষণা করতে পারে। তবে সবার সুবিধার জন্য রায়ের দুয়েকদিন আগে তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে।

    সাঈদীর মামলায় এর আগেও একবার যুক্তি তর্ক উপস্থাপন হলেও ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের কারণে আদালত যুক্তিতর্কের অংশটি আবার শোনে।

    একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়ে গত ২১ জানুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ হয়।

    আযাদের মামলার রায় ঘোষণার আগের দিন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার সংবাদ সম্মেলন করে রায়ের তারিখ সাংবাদিকদের জানান।

    এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার মামলাও শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে।

    একাত্তরে ৩ হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা বা হত্যায় সহযোগিতা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাংচুর ও ধর্মান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ২০টি ঘটনায় গত বছর ৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে সাঈদীর বিচার শুরু হয়।

    মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াত নেতাদের মধ্যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধেই সবার আগে অভিযোগ গঠন হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় গত বছরের ৭ ডিসেম্বর। তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনসহ মোট ২৮ জন রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া ১৫ সাক্ষীর জবানবন্দি ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করে। আসামিপক্ষে ১৭ জনের সাফাই সাক্ষ্য শেষ হয় গত ২৩ অক্টোবর।

    মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুরে হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক সংসদ সদস্য সাঈদীকে। পরের বছর ১৪ই জুলাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।

    সাঈদী ছাড়াও জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান আমিরসহ সাত শীর্ষ নেতা এবং বিএনপির দুই নেতার বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

  13. মাসুদ করিম - ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ (১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ)

  14. মাসুদ করিম - ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ (১:৫২ অপরাহ্ণ)

    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের রায়ে সাঈদীর আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রমাণিত এবং ফাঁসির রায় ঘোষিত।

    ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর বৃহস্পতিবার সাঈদীর উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ আদালতে যুদ্ধাপরাধের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই বিচারক বিচারপতি আনোয়ার-উল হক ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনও রায়ের অংশবিশেষ পড়েন।

    মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে একাত্তরে এই জামায়াত নেতাকে পিরোজপুরের মানুষ চিনত ‘দেইল্লা রাজাকার’ নামে। যে ২০টি ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে তার বিচার শুরু হয়েছিল, তার মধ্যে আটটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে জানানো হয়।

    ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে বহু প্রতীক্ষিত এই বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পর যুদ্ধাপরাধের মামলার তৃতীয় রায় এলো।

    প্রথম রায়ে গত ২১ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-২ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ দেয়।

    আর একই ট্রাইব্যুনালে ৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়, যা প্রত্যাখ্যান করে তার ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন চলছে সারা দেশে।

    অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধিতায় বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল করছে জামায়াতে ইসলামী। ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দিয়ে শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে গত নভেম্বর মাস থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশে সহিংসতা চালিয়ে আসছে একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দলটি।

    গত ৫ ফেব্রুয়ারি কাদের মোল্লার রায়ের দিনেও সারা দেশে হরতাল করে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। তাদের এই সহিংস কর্মসূচির বিরোধিতার পাশাপাশি একাত্তরে মানবতাবিরোধী ভূমিকার কারণে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবিও জোরালো হয়ে উঠেছে।

    দুই ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান আমিরসহ আরো পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর শুনানি চলছে।

    রায় উপলক্ষ্যে আগের দিন থেকেই ট্রাইব্যুনাল ঘিরে নেয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়।

    ট্রাইব্যুনালে আসা সাংবাদিক ও দর্শনার্থীদেরও কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তল্লাশি চালিয়ে ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ করতে দেয়া হয়।

    আগের রায়ের দিনগুলোর মতো এদিনও সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনালের বাইরে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ দিতে দেখা যায় বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীদের। জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতেও স্লোগান দেন তারা।

    মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুরে হত্যা, লুণ্ঠনসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক সংসদ সদস্য সাঈদীকে। পরের বছর ১৪ই জুলাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।

    মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াত নেতাদের মধ্যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধেই সবার আগে অভিযোগ গঠন হয়। একাত্তরে ৩ হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা বা হত্যায় সহযোগিতা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাংচুর ও ধর্মান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ২০টি ঘটনায় ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তার বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

    একই বছরের ৭ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনসহ মোট ২৮ জন রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন।

    এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া ১৫ সাক্ষীর জবানবন্দি ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করে। আসামিপক্ষে ১৭ জনের সাফাই সাক্ষ্য শেষ হয় গত ২৩ অক্টোবর।

    চলতি বছর ২৯ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন বিচারক।

    খবরের লিন্ক এখানে

  15. মাসুদ করিম - ১৪ মে ২০১৪ (১:৩৭ অপরাহ্ণ)

    সাঈদীর পক্ষে বলায় মওলানাকে গণধোলাই

    মাহফিলে যুদ্ধাপরাধী ও ফাঁসির আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে ‘বয়ান’ দেয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় এক ধর্মীয় বক্তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।

    মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে ভানোর কাশিডাঙ্গা মসজিদ প্রাঙ্গণে এক ওয়াজ মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে।

    বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান জিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মওলানা মো. আ. খালেককে ধর্ম অপব্যাখ্যা ও আদালত অবমাননার দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    রাতের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা থেকে আসেন মওলানা খালেক। এ সময় স্থানীয় আলেম ওলামা, বিভিন্ন ধর্মচিন্তাবিদরাও ছিলেন।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মওলানা খালেক তার বক্তব্য দিতে এসেই বলেন, আল্লামা সুফি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একজন ভালো লোক, সে কোন দোষ করে নাই, তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে।

    তার ওই বক্তব্য শেষ হতে না হতেই উপস্থিত লোকজন মঞ্চে উঠে তার মাইক কেড়ে নেন এবং তাকে বেধরক গণপিটুনি দেন। এ সময় ওয়াজ মাহফিল পণ্ড হয়ে যায়। ক্ষুব্ধ লোকজনের হাত থেকে খালেককে উদ্ধার করে মসজিদের লোকজন মসজিদ কক্ষে আটকে রাখেন এবং পুলিশে খবর দেন।

    ধর্মীয় অনুষ্ঠানটিতে হাজারেরও বেশি নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

  16. মাসুদ করিম - ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ (৯:১৭ পূর্বাহ্ণ)

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.