যে দেশে আমরা থাকি। যে দেশের ভেতর আমাদের বসবাস। যেখানে মাটির গন্ধ পাই। শেকড় যেখানে অনেক গভীরে প্রোথিত হয়ে যায়। আবার তুমি আমাকে ভালোবাসবে। আবার আমি তোমাকে খুঁজে পাব। সব তো হারিয়েছি। কোথাও কোনো সন্ধান আর খুঁজে পাচ্ছি না। আমাকে কারা চেনে? আমাদের কোথায় থাকতে হবে? দিনগুলোরাতগুলো ! কিন্তু আমাদের ভ্রমনপঞ্জী আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। কোনো কাগজপত্র কোথাও আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের নিজেদের ভেতর কেউ কেউ সব জানে। তাদের জানা আমাদের কেউ নয়। আমরা আতঙ্কগ্রস্ত। হতাশায় নিঃশেষিত। বৈষম্যে বিপর্যস্ত শরণার্থী। কার সময় আছে আমাদের দেবার। জীবন আমাদের নয়! কে? পারবে? আমাদের তোমার কাছে রাখতে? কথা তো তুমি বলবে না। আমরাও কিছু বলছি না। মঞ্চগুলো প্রতিটি তোমার চোখে গেঁথে আছে। প্রতিটি বিস্ফোরণ প্রয়োজনীয় ষড়যন্ত্রের উল্লাস ছড়িয়েছে দেশে দেশে। আমাদের বিদ্রোহ আমাদের বিরুদ্ধেই লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। শুনছো ? আমার ভালোবাসা। আমার একুশ। আমার ভাষা। ভূখন্ড তাদের। তোমার কাছে আমাদের কি সব হারিয়ে গেছে? সেই সমগ্র ইতিহাস। সব ভালোবাসা। সব বন্ধু। সব যোদ্ধা। সব গণহত্যা। গণপ্রজাতন্ত্র! হে ভালোবাসা। হে বিশ্বাসঘাতক? যে দেশের হৃদয়ে আমরা থেকেছি। যা রক্তের মতো নিঃশেষিত হয় না কখনো। তার থেকে দূরে দীর্ণ হতে।আমাদের বাসস্থান থেকে আমাদের উচ্ছেদ করতে। তোমার ভেতরে এখন যাদের বসবাস। আর আমরা উপদ্রুত। তবুও দাঁড়িয়ে আছি। তোমাকেই খুঁজে খুঁজে। আমাদের যা কিছু। যা কিছু তোমারও। সেখানে এখনো বয়ে বেড়াই আমাদের দিনগুলো আমাদের রাতগুলো। মাটির গন্ধ আর শেকড়ের নির্যাস আমাদের ভেতরে অতীতের চেয়েও আরো বর্তমান হয়ে আরো বিরল না থেকে শুধু আমাদেরই ভেতর গভীর সংকটের মতো আমাদের দিনগুলোরাতগুলো তোমার মধ্যে আমাদের দেশকে নিঃশ্বাসের মতো গোপন রাখছে। চারিদিকে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়া আগুন। দম বন্ধ হয়ে আছে। যে দেশে আমরা থাকি তার। যে দেশে আমরা আছি আমাদের। তুমি বলছ। আমরা শুধু তাকিয়ে আছি। কাঁদছি। কেউ কাউকে না জড়িয়ে। আমাদের কথা ভাবছি। হাত ধরো। হে বিছিন্ন। দেখা যাক আর না দেখা যাক। (দীর্ঘশ্বাস)

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।
