ভূমিধ্বস বিজয়ের পর অনেক কিছুই করা যায়, কিন্তু আমাদের চাওয়া সামান্যই

এর আগে মাত্র একবারই ঘটেছিল ইতিহাসের এমন ভূমিধ্বস বিজয়। সেই সত্তরে। ২শ ৯৯টা আসন পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। এবার পেয়েছে একক ভাবে ২শ৩০, আর জোটগত ভাবে ২শ৬২। এরকম বিজয়ের পর কোন রকম প্রশ্ন ছাড়াই সংবিধান সংশোধনের মত গুরুতর কাজও করা যায়। কোন রকম বাদ-প্রতিবাদ ছাড়াই নতুন নতুন আইন পাশ করা যায়। আমাদের দেশের ট্রাডিশন অনুয়ায়ী যা কিছু নিজেদের জন্য দরকার তার সবই আইন তৈরি করে নেওয়া যায়। আমরা এখন পর্যন্ত যতটুকু জানতে পারছি,তা হলো আওয়ামী লীগ বা মহাজোট এবার সম্ভবত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে চাইছে।এবং এ লক্ষ্যে তারা জাতিসঙ্ঘের সহায়তাও চেয়েছে। মহাজোটের এমন বিজয়ের পর দেশবাসী সমস্বরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীটাও সামনে এনেছে। যাই হোক আমরা সাংসদদের শপথগ্রহণ এবং মহাজোটের সরকার গঠন এর পর কি ঘটবে তার দিকে তাকিয়ে আছি। আওয়ামী লীগ বা মহাজোট তাদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টতে যা যা লিখেছিল তার সব না হোক কিছু কিছু যে তারা বাস্তবায়ন করবেন সে ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া যায়। আমরাও নিশ্চিত হতে চাইছি। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে, মহাবিক্রমে বিজয় অর্জন করা এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দলটি বা জোটটি তাদের কোন কোন কাজকে অগ্রাধিকার দেবে?

আমরা যদ্দুর জানতে পেরেছি,তারা প্রথমেই নজর দেবে দ্রব্যমূল্য কমানোর দিকে। এটাকেই তারা এক নম্বর এজেন্ডা ভাবছে। এটা আসলেই দেশের এই মুহূর্তে এক নম্বর এজন্ডা। তাহলে বাকি এজেন্ডাগুলো কি কি ?

আমি এই সরকারের কাছে ঝাঁকে ঝাঁকে দাবীনামা দিতে চাইছি না। জানি মাত্র গোটাকতক কাজ সম্পন্ন করতে পারলে বাকি সমস্যাগুলো আপনাতেই মিটে যাবে। আমি খুব বিনীত ভাবে নতুন সরকারের কাছে মাত্র কয়েকটি মাত্র দাবী পেশ করব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারটা কোন দাবীর ব্যাপার নয়। এটা এইমুহূর্তে জাতির জন্য, জাতির ভবিষ্যতের জন্য আশু করণীয়। এটা এবার শুধু করতে হবে তাই নয়, যুদ্ধাপরাধীদের যাদের বিচার আগেই সম্পন্ন হয়েছিল তাদের বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে। এখান থেকে সরকারের আসলে একচুলও সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা অতি দ্রুত কাজটা শুরু হয়েছে সেটা দেখতে চাইছি। পাশাপাশি এই কাজগুলোও করতে হবে।

এক। র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন নামক এই সংস্থাটি প্রত্যাহার করুন। যে কারণে এই সংস্থাটি গড়ে তোলা হয়েছিল সেই কাজগুলো প্রচলিত পুলিশ বা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই করতে পারে। দেশে দেশে পুলিশেরই যেখানে শত শত মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত রেকর্ড আছে, সেখানে এই ‘র‌্যাব’ কে দিয়ে মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত করার অনেক নজির সৃষ্টি করেছে চীন,ভারত,রাশিয়া, এবং আরো অনেক দেশ। সর্বশেষ এই তালিকায় বাংলাদেশের নাম উঠে এসছে বেশ জোরেশোরেই। বিশ্ব এখন এমন এক সন্ন্ধিক্ষণে এসে পৌঁছেছে যে, বিশ্বের কোথাও মানবাধীকার লঙ্ঘনের ঘটনা আর চাপা থাকছে না। মিডিয়া হাইপের এই যুগে কোন খবরই আর গোপন রাখা যাচ্ছে না। ‘র‌্যাব’ কে দিয়ে বিগত চার দলীয় জোট সরকার যে অন্যায্য কাজগুলো করেছিল সেই একই ধরণের কাজ একটি অসম্ভব জনপ্রিয় সরকারও করবে সেটা কোন যুক্তিতেই পড়ে না।

বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করার এই বদনাম কেন একটি প্রচন্ড জনসমর্থনে বিজয়ী সরকার করবে? ‘র‌্যাব’ যে সত্যিকার অর্থে বিনা বিচারে মানুষ মেরে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সাঙ্ঘাতিক উন্নতি ঘটাতে পেরেছিল এমন কোন নজির কিন্তু নাই।বরং একটা বিশেষ ধরণের দলের বা বিশেষ কিছু মানুষকে ’সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে যে নির্বিচারে হত্যা,গুম করা হয়েছিল সেটা কোন ভাবেই কোন আন্তর্জাতিক ফোরামে নন্দিত তো হয়ইনি, বরং চরম ভাবে নিন্দিত হয়েছে। ‘র‌্যাব’ এর এই আইনবর্হিভূত হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা,বিভিন্ন দেশ সোচ্চার হয়েছে বিভিন্ন সময়ে।

সন্ত্রাস দমন যে কোন নাগরিকেরই কাম্য, যে কোন নাগরিকই চাইবে একটা সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে দিনাতিপাত করতে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, মানুষ এই আইনবহির্ভূত হত্যাকান্ডকে সমর্থন করে বা করবে। করেও নি। পুলিশ যদি সঠিক অর্থে তাদের উপরকার দায়িত্ব পালন করতে পারে তাহলে কেন এই ভূমিধ্বস বিজয়ের সরকার সেই কলঙ্ক বহন করে চলবে? ‘র‌্যাব’ এর হাতে এযাবতকালে নিহতদের কোন বিচার হয়নি। আর হবেও না। কারণ সেই বিচারের পথও আইন করে রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এখন নতুন করে সে সবের বিচার না হোক, নতুন করে এই সরকারের অধীনে কেন আবারো সন্ত্রাসী আখ্যা পাওয়া মানুষরা বিনা বিচারে মৃত্যুবরণ করবে? মনে রাখতে হবে আপনাদেরকে যারা এবার বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছে তাদের মধ্যে সেই সব হতভাগা নিহতদের বাবা.মা,ভাই-বোনও ছিল। আশা করব সরকার এই মধ্যযুগীয় দমন পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসবে।

দুই। দুইনম্বর এজেন্ডা হিসেবে আমি সরকারের কাছে দাবী রাখব দেশের এক বিশাল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের। দেশে এখন কম-বেশী চার থেকে সাড়েচার কোটি বেকার। এর মধ্যে শহুরে শিতি বা আধাশিতি বেকারের বাইরে যে বিশাল অশিক্ষিত বেকার তারা কখনোই আমাদের কোন রাষ্ট্রীয় পরিসংখ্যানে আসে না। যাদের সাদামাটা নাম-ক্ষেতমজুর। এদের সংখ্যা প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি। এরা বছরের প্রায় ছয় মাসই বোকার। যে ছয় মাস কাজ পায় তাও নিয়মিত নয়। কামলা হিসেবে মানুষের জমিতে বা বাড়িতে এদের কাজ জোটে। এই যে বাকি ছয় মাস এরা বোকার বসে থাকে সেটাই আমাদের দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর জন্য ভয়াবহ রকমের হুমকি।

যতই মিসকিন মিসকিন শোনাক শব্দগুলো, তবুও এদের কর্মসংস্থানের জন্য ’কাবিখা’ জাতীয় প্রজেক্ট প্ল্যানের আওতায় এনে এদের কর্মসংস্থান করতে হবে। এরা যদি সারা বছর জমি-জিরেতে কাজ পায় তাহলে দেশের যে পরিমান উৎপাদন বাড়বে সেটাই এদের খোরপোষের জন্য যথেষ্ট। এদের দাবীও খুব বেশী কিছু না। শুধু একটা গতরখাটা কাজ আর দুবেলা দুমুঠো খাবারের সংস্থান।

শহুরে অর্ধশিক্ষিতরা তাও রিক্সা চালানো বা এই ধরণের কিছু একটা করে বস্তিতে গু-মুতের সাথে বসবাস করেও মানুষ হিসেবে কি অদ্ভুতভাবে যেন বেঁচে থাকে। জগতের যতসব ভয়াবহ অস্বস্তিকর দৃশ্য আছে তার মধ্যে সেরা হলো এদের এই শেয়াল-কুকুরের মত কুকুর-বেড়ালের সাথে অদ্ভুতভাবে বেঁচে থাকা।আমরা যারা নাকে সুগন্ধি গোলাপ মেখে, চোখে রোদচশমা এঁটে বিলাসী দয়ামায়ার কেচ্ছা শোনাতে বস্তিতে যাই, তারা ধারণাও করতে পারব না, সত্যিকারের কষ্টগুলো কতটা কষ্টকর! এই ঢাকাতেই প্রায় চল্লিশ লাখ মানুষ গিনিপিগ এর মত এক একটা দিন পার করে দিচ্ছে, আর একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে নিশ্চিতভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য,চিকিৎসা,মানবিকতা,স্যানিটেশন শব্দগুলো এদের কাছে ভয়াবহ রকমের হাস্যকর। এরা বাঁচে জীবনের নিয়মে। জীবন এখানে অনাহূত দুপুরের ঠাঁ ঠাঁ রোদের মত অনলবর্ষি। জীবন এখানে মহাকাশের ভরশূণ্যতার মত অস্তিত্বহীন। জীবন এখানে প্রতিনিয়ত জীবনকে পরাজিত করে আরো একটা দিনের জন্য বেঁচে থাকার কসরৎ! তবু, হ্যাঁ তবুও বলব এরা ভাগ্যবান! কারণ এরা রোজ না হলেও কিছু না কিছু কাজ পায়। তিন বেলা না হোক, দু বেলা অন্তত পেটে কিছু খাবার জাতীয় বস্তু দিতে পারে। কিন্তু যারা গ্রামের হতভাগা ক্ষেতমজুর, তাদের অবস্থা বর্ণনা করার মত নয়। মঙ্গা বা অচাষকালিন সময়ে এরা শুধুমাত্র একপেট খাওয়ার বিনিময়ে সারা দিনমান অবস্থাসম্পন্নদের ঘরে কামলা দেয়। মাহেন্দার খাটে।এদের পেটফোলা ছেলেমেয়েগুলো আর বড় হয় না। তিলে তিলে একটু একটু করে বেড়ে শহরে কাজের মেয়ে বা কাজের ছেলে হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে মাত্র। আর সেখানে আবার নতুন করে শুরু হয় সেই দাসযুগের শোষণ। তাই যে কোন উপায়েই হোক এই মানুষগুলোর কাজের একটা ব্যবস্থা এই সরকারের করতে হবে। এদের কাজের ভেতর আনতে পারলে শহুরে বেকারত্ব জাতির ঘাড়ে খুব বেশী কঠিন পাথর হয়ে থাকবে না।

তিন।দুই নম্বর এজেন্ডায় যে মানুষদের কথা বল্লাম তারা তো বটেই, শহুরে নিম্ন আয়ের মানুষেরা গত সাত সাতটা বছর কিভাবে পিঠ-পেট একাকার করে বেঁচে আছে সেটা আপনারা ক্ষমতার বাইরে থাকাকালিন দেখেছেন। বলা ভাল দেখতে চেয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিকে সামলাতে না পেরে নিম্ন আয়ের মানুষ কিভাবে খাবি খেয়েছে তা আর নতুন করে বলার আবশ্যকতা নাই। আমরা কম-বেশী সকলেই এ নিয়ে গত সাত সাতটা বছর ধরে বলে আসছি। এ নিয়ে বিস্তর লেখা লেখিও হয়েছে।কুলি-মজুর, রিক্সাচালক,দিনমজুর,ঠেলাচালক,পথের ধারে শেয়াল-কুকুর হয়ে জীবন টিকিয়ে রাখা হতদরিদ্ররা এই উচ্চ দ্রব্যমূল্যের ফেরে পড়ে কিভাবে খাবি খাচ্ছে তা আপনারাও জানেন। আপনারাও এ নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে নালিশ জানিয়েছেন, প্রতিকার চেয়েছেন। এই ঢাকা শহরে আজ যে আপনারা সবগুলো আসনে বিপুল ভোটে জিতেছেন, সেই ’বিপুল’ ভোটের প্রায় ষাঁট ভাগই এই মানুষগুলোর দেওয়া। জ্বালানী তেলের দাম কমালে পরিবহন ব্যয় কমে। পরিবহন ব্যয় কমলে স্বাভাবিক ভাবেই দ্রব্যমূল্যও কমে আসে। এই সহজ হিসেবটা আরো সহজ হয়ে যায় যদি বিষয়টা দেখার ক্ষেত্রে মানবিকতা যোগ হয়। আমি আশা করছি আপনাদের এই জোটে যে উদারপন্থী বা বামপন্থীরা আছেন যারা তাদের রাজনীতির গোঁড়াতেই হতদরিদ্র মানুষের কথা বলেছিলেন, যারা এই মানুষদের সত্যিকারের মানুষের মত বাঁচার কথা বলে তাদের সংগঠিত করে রাজনীতি করেছেন, আশা করব তারা এবার সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই মানুষদের জন্য কিছু করবেন।

আপনাদের দল বা জোট কোন ওয়েলফেয়ার ষ্টেট বা সাম্যবাদী রাষ্ট্র কায়েম করতে পারবেন এমনটি আমরা আশা করতে পারি না। তা হবেও না। তবে বর্তমান বিশ্বপ্রেক্ষাপটে সবচেয়ে জরুরী যে কথাটা চরম ঘৃণ্য সাম্রাজ্যবাদীরা পর্যন্ত স্বীকার করে, তারা পর্যন্ত যে শ্রমজীবীদের বাঁচিয়ে রেখে তাদের শ্রম দেবার মতা অটুটু রাখে তাদের কাছাকাছি অবস্থানে আপনারা অন্তত এদের বেঁচে থাকার মত সহনীয় বাজার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবেন সেই আশাবাদ রাখতেই তো পারি।

নাহ, আর কিছু চাইবার নেই আমাদের। আমরা চাই আমাদের মানুষ কাজ করুক। সেই কাজের বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থে তার আর তার পরিবারের প্রয়োজনীয় খাবার কিনতে পারুক। আর তার বয়স অনুপাতে যেটুকু বরাদ্দ আয়ূ যেন সে পর্যন্ত বেঁচে থাকুক। যে মানুষ এত বিশাল পাথরের চাঁই সরিয়ে যে চেহারারই হোক একটা গণতন্ত্রের শিশু ভূমিষ্ট করেছে,সেই মানুষ যেন তার মানব জীবনের খুবই সামান্য চাহিদা মিটিয়ে বেঁচে থাকে। তারা বাঁচলে এই আমরা হিপোক্র্যাটরাও তাদের মত বাঁতে পারি।

সমান্তরাল প্রতিচ্ছবি
মনজুরুল হক
০৪।০১।২০০৯

মনজুরাউল

আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

৪ comments

  1. সৈকত আচার্য - ৯ জানুয়ারি ২০০৯ (২:০২ পূর্বাহ্ণ)

    র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন নামক এই সংস্থাটি প্রত্যাহার করুন।

    গণতন্ত্রের স্বার্থে ক্রস ফায়ারের ঘটনাগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হোক। এই রাষ্ট্র ও সমাজকে কলঙ্কমুক্ত করা হোক।

    • আরমান রশিদ - ১০ জানুয়ারি ২০০৯ (৭:০৭ পূর্বাহ্ণ)

      @ সৈকত দা (#১)

      কোন বিচার হয়নি। আর হবেও না। কারণ সেই বিচারের পথও আইন করে রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

      এমতাবস্থায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কি সম্ভব? আইন করে সুবিচার প্রাপ্তির পথ রুদ্ধ করা কি বেআইনী নয়? সংবিধান পরিপন্থী বিচারে এই আইন কি বাতিলযোগ্য? একটু বুঝিয়ে বলবেন?

  2. মনজুরাউল - ১২ জানুয়ারি ২০০৯ (৫:২০ অপরাহ্ণ)

    সবচ েআশ্চর্যরে ব্যাপার হচ্ছ,ে বর্তমান গণতান্ত্রীক সরকারও এই জঘণ্য আইন বহাল রাখব।ে
    আবা‍রাে রেব এর হাত েমানুষ খুন হব।ে আবারাে তারা বিনা বিচার েহত্যাকান্ডরে লাইসন্সে নবায়ন কর েনবে।ে এবং যথারী‍ত িএভাবইে এই সরকারও তাদরে বরিুদ্ধবাদীদরে দমন েএই কালাকানুন জার িরাখব।ে

    এর থকে েপরত্রিাণ ক িভাব েআসব?ে কারা আছনে এর বরিুদ্ধ েবলবার? সবই ক িএভাবইে চলত েথাক‍‍ব?ে

    • মনজুরাউল - ১২ জানুয়ারি ২০০৯ (৫:৩১ অপরাহ্ণ)

      অনভ্যাসে লেখা উল্টা-পাল্টা হয়ে গেল! দুঃখিত।

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.