কিন্তু সমস্ত সমস্যা দেখতাম ওই সোজা পথ ও আত্মসমর্পণ নিয়ে – দেখতাম মানে আজো দেখছি এবং এই সমস্যা পিছু ছাড়ছে না – এই দিকনির্দেশনার মধ্যেই আছে রাজনৈতিক ইসলাম অথবা ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার। [...]

সোজা পথ। আত্নসমর্পণ। মানুষের জীবনের লক্ষ্য নিয়ে ইসলামের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনার পাশাপাশি আছে সাক্ষ্য, প্রার্থনা, দান, সংযম, বিসর্জন ও তীর্থ সম্মেলন। ছোটোবেলা থেকেই দেখছি – সাক্ষ্য, প্রার্থনা, দান, সংযম, বিসর্জন ও তীর্থ সম্মেলন নিয়ে তেমন সমস্যার কোনো কিছু নেই। এসব পালনীয় ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট করণকৌশল ও আচরণবিধি আছে এবং হুজুরদের সাথে সাধারণ মুসলমানের এসব নিয়ে তেমন কোনো তুলকালাম ব্যাপারস্যাপার নেই বললেই চলে – বরং এগুলোই সমাজে হুজুর ও সাধারণ মুসলমানদের ধর্মীয় সম্পর্কের মূলভিত্তি।

কিন্তু সমস্ত সমস্যা দেখতাম ওই সোজা পথ ও আত্মসমর্পণ নিয়ে – দেখতাম মানে আজো দেখছি এবং এই সমস্যা পিছু ছাড়ছে না – এই দিকনির্দেশনার মধ্যেই আছে রাজনৈতিক ইসলাম অথবা ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার। কোনটা সোজা পথ? কিভাবে চলতে হয় এই সোজা পথ ধরে? কার জন্য কোনটা সোজা পথ? আত্মসমর্পণ কার কাছে? কার আত্মসমর্পণ? কতভাবে আত্মসমর্পণ? কত মাত্রার আত্মসমর্পণ?

রাজনৈতিক ইসলাম চায় নিজের রাজনৈতিক জয় এবং তার জয়লাভের মাধ্যমই হবে এটি প্রচার করা যে একটি ইসলামি রাষ্ট্র পেলেই সোজা পথ হাসিল হবে এবং একটি ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম হলে সেই রাষ্ট্রের কাছে সবার আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে সবার জীবনের লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে। অর্থাৎ একটা সর্বব্যাপী অনুশাসন কায়েম হবে – সেই অনুশাসনের রক্ষণাবেক্ষণে প্রজন্মের পর প্রজন্ম রাজনৈতিক মুক্তি পাবে।

কিন্তু সাধারণ মুসলমানরা কি রাজনৈতিক ইসলামের এই সোজা পথ ও আত্মসমর্পণের সূত্র মানে? রাজনৈতিক ইসলাম বাংলাদেশে এখনো শতকরা ৪ – ৭ ভাগের বেশি ভোট পায় না। কাজেই আমরা তো সহজেই বলতে পারি বাংলাদেশের মুসলামনেরা সাক্ষ্য, প্রার্থনা, দান, সংযম, বিসর্জন ও তীর্থ সম্মেলনে পরিবেষ্টিত (যদিও সেখানে উল্লেখযোগ্য হারে অনাচরণীয় মুসলমান বিদ্যমান) এবং তারা সোজা পথ ও আত্মসমর্পণের রাজনৈতিক ইসলামের সূত্র মানে না।

কিন্তু না, ২৬শে মে ২০১৩ আইসিএসএফ আয়োজিত ‘ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশে রাজনৈতিক ইসলাম’ শীর্ষক সেমিনারের প্রথম পর্বের আলোচক হাসান মাহমুদের একটা বাস্তব আর্তি

আমরা যারা কোটি কোটি লোক ধর্মে বিশ্বাস করি। আমরা মানুষ হিসাবে দুর্বল। ষড়রিপুর তাড়নায় আমরা তাড়িত, আমরা ভুল করতে পারি

শুনে আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম। আমার মনে হল এই কোটি কোটি মানুষ সোজা পথ ও আত্মসমর্পণ নিয়ে তাহলে এভাবেই বিজড়িত। তাহলে এই কোটি কোটি মানুষের শতকরা ৬৫ ভাগ মনে করে শারিয়া আইন আল্লাহর নাজিলকৃত আয়াত, শতকরা ৮২ ভাগ বাংলাদেশে শারিয়া আইন চান, শতকরা ৫৭ ভাগ মনে করেন শারিয়া আইন এক ও অভিন্ন, শতকরা ৫৫ ভাগ পাথরের আঘাতে ব্যাভিচারীর মৃত্যদণ্ড সমর্থন করেন, শতকরা ৪৪ ভাগ নাস্তিক মুরতাদের মৃত্যদণ্ড সমর্থন করেন।

এখানেই বিপদ এখানেই কাজ। যদিও বাংলাদেশে রাজনৈতিক ইসলামের ভোট খুব কম কিন্তু বাংলাদেশের কোটি কোটি ইসলাম ধর্মবিশ্বাসী সোজাপথ ও আত্মসমর্পণের নৈতিক অবস্থানের থেকে নিজেদের অজান্তেই মহাবিপদজনক রাজনৈতিক অবস্থানের দিকে চলে গেছে। এখানেই হাসান মাহমুদদের নির্দেশিত পথে ধর্মতাত্ত্বিক পথে শারিয়ার বিরুদ্ধে ইসলামি ধর্মরাষ্ট্রীয় অনুশাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তা। এখানেই রাজনৈতিক ইসলামকে খণ্ডনের জায়গা – কোটি কোটি মুসলমানকে এটাই বোঝাতে হবে সোজা পথ আল্লাহ রসুলের পথ, হিংসা ছড়িয়ে ইসলামি রাষ্ট্রের নামে আল্লাহ রাসুলকে অবমাননা কখনো সোজা পথ হতে পারে না। আত্মসমর্পণ সবসময়ে রাসুলের সাথে আল্লাহর কাছে – কোনো আয়াতুল্লাহ, মুফতি, ওলামা, মাওলানা, পীর, মাশায়েখ, শায়খুল হাদিস বা তফসিরকারীকে এবিষয়ে কোনো ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি : বরং একজন সাধারণ মুসলমানের মতো এসব অসাধারণ মুসলমানকেও রাসুলের সাথে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

মাসুদ করিম

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।

১২ comments

  1. মাসুদ করিম - ১১ জুন ২০১৩ (৩:১৯ অপরাহ্ণ)

    অন্য ধর্মের ঐতিহাসিক স্থানের প্রতি সৌদি প্রশাসকদের শ্রদ্ধার তো কোনো প্রশ্নই আসে না ইসলামের ইতিহাস ও মুহম্মদের সমাধি এবং তার জীবনের সাথে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহের এবং খলিফাদের সমাধি ও স্মৃতিজড়িত বিভিন্ন জায়গাও এখন আর ওয়াহাবি সৌদিদের হাতে নিরাপদ নয়। মদিনার মসজিদ-ই-নববীর মানুষ ধারনক্ষমতা ৬০০০০ থেকে বাড়িয়ে ১০৬০০০০ করতে গিয়ে ওয়াহাবি বুলডজারের আঘাতে কী কী ধ্বসে পড়বে, পড়ুন।

    লিন্ক : সুপারিশকৃত লিন্ক: অক্টোবর ২০১২

  2. রবিউল ইসলাম সবুজ - ১৯ জুন ২০১৩ (৯:০৫ পূর্বাহ্ণ)

    মাসুদ করিম কে ধন্যবাদ । ধর্ম ইসলাম কে তিনি সময়ের পাতে প্রাসঙ্গিকতার আস্বাদে উপস্থাপন করলেন বলে । আজ তো সবই ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে, ধর্ম কে মানা অথবা না মানা দুটোই য্যানো বাহবা কুড়োনোর প্ল্যাটফর্ম । ইসলাম পন্থী সুবিধাবাদিরা যেমন ইসলাম কে রাজনৈতিক মোড়কীকরণ করেন, তেমনি – না মানার দলে যারা আছেন তারা, ইসলামকে কতটা ন্যাক্কারজনক ভাবে উপস্থাপন করা যায় তার প্রতিযোগীতায় নামেন । দুটো উদ্দেশ্যই রাজনৈতিক নয় কি ?

    ধর্ম ইসলাম কে রাজনৈতিক ইসলামে রূপান্তরিত করে কিছু মানুষ ফায়দা লোটে, আর ঐ সব মানুষের উত্থানের পেছনেও থাকে আরও কিছু মানুষ । যারা খোদ ধর্ম ইসলামকেই অপ্রাসঙ্গিকতার মোড়কে বিতরণ করে বিজ্ঞানমনষ্কতার প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আধুনিকতার ট্রেনটি ধরতে চান ।

    এই দুই দল কে বাদ দিলে, বাদবাকী জনগোষ্টীই মাসুদ করিমের ভষ্যমতে, বাংলাদেশের “সাধারণ মুসলমান” ।যারা, তর্কাতীত ভাবেই সাক্ষ্য, প্রার্থনা, দান, সংযম, বিসর্জন ও তীর্থ সম্মেলনকে ইসলামিক(ধর্মীয়) ব্রত হিসেবে পালনের চেষ্টা করেন অথবা করেন না । আর এদের নিয়েই রাজনৈতিকীকরণের সূত্রপাত ।

    বাংলাদেশের সাধারণ মুসলমানেরা ‘ইসলাম’ কে ধর্ম হিসেবে কীভাবে অর্জন করেন তার ঐতিহাসিক পটভূমিটি বেশ অদ্ভূৎ ।স্রষ্টাকে তাঁরা একেশ্বর মেনে ভজনা করেন, নিজেকে সাচ্চা ঈমানদার মুসলমান বলে দাবী করেন – ইসলামের মূল গ্রন্থ ‘কোরাণ’ আর রাসূলের মুখনিসৃত বাণী ‘হাদীস’ গ্রন্থগুলো না পড়ে-না বুঝে-অনুধাবন না করেই ! তাদের যাবতীয় ধর্মজ্ঞান – পরিবারের গুরুজন; পীর-ফকীর; ওলামা-মাশায়েখদের ওপর নির্ভরশীল এবং এটাই তাদের কাছে ইসলামের শেষকথা ।আর এরাই একসময় অন্যায়ভাবে প্রভাবিত হয়ে রাজনৈতিক ইসলামের পথে হাঁটতে শুরু করেন ।অন্যদিকে, মুসলমানের ঘরে জন্মনেয়া ধর্মীয় অনুশাসন কে উপেক্ষা করে চলা মুসলমান টি নাস্তিকতার লেবেল নিয়ে চলে যান অন্য প্ল্যাটফর্মে ।

    কবিতা কিম্বা ধর্মগ্রন্থ যে কোন বিষয়কেই জানতে, বুঝতে, অনুধাবন করতে, সমালোচনা ও বিশ্লেষন করতে বিষয়ভিত্তিক পাঠ পর্যালোচনা ও জ্ঞানার্জনের বিকল্প কিছু আছে কি? বাংলাদেশের সাধারণ মুসলমানেরা মনে করেন, একমাত্র ধর্মীয়শিক্ষা (মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত ?!) পাওয়া মুসলমানেরাই ইসলাম কে পর্যালোচনা, সমালোচনা ও বিশ্লষনের জ্ঞান রাখেন! ইসলামের মূল গ্রন্থ ‘কোরাণ’ আর রাসূলের মুখনিসৃত বাণী ‘হাদীস’ গ্রন্থগুলোতে পড়ে, বুঝে, অনুধাবন করে তারপর মান্য করা বা পালন করার উপরই জোর দেয়া হয়েছে ।গাইতে গাইতে গায়েন হবার কোন দিকনির্দেশনা সেখানে নেই ।পছন্দ না হলে প্রত্যাক্ষানের স্বাধীনতা এবং অনুসরণ করতে চায় না এমন কাওকে বল প্রয়োগ না করার উপদেশও দেয়া হয়েছে ওসব গ্রন্থে ।

    তাই, মূলগ্রন্থের মর্মবাণী কে কায়দামত ব্যবহার করে মানুষের মনে ক্ষমতার লোভ আর বিদ্বষ উষ্কে দেয়া অথবা ইসলামের মূল দিকনির্দেশনা এবং পালনীয় ধর্মীয় কর্মকান্ড গুলোকে অপ্রাসঙ্গীকতার সুবাসে সুবাসিত করা এ দুটো পথই যেন এক ঔরসে জাত জমজ সহোদর ! মানা এবং না মানা; বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস – অবশ্যই ব্যাক্তিগত কিন্তু সাধারণ মুসলমানকে সুকৌশলে নিজ দল ও মতে ভেড়ানোর কারসাজিটি একেবারেই রাজনৈতিক ।

    ইসলামকে অথবা যে কোন ধর্ম কে যাঁরা জীবনদর্শন হিসেবে অনুসরণ করে ব্যক্তি তথা আত্মার প্রশান্তি কামনা করেন অথবা আধ্যাত্নিকতার পুজা করেন, তাঁরা আর যা ই হোন না কেন, উপরোক্ত সহোদর জমজদ্বয়ের অনুসারীদের চাইতে সাধুই হবেন ।

    • মাসুদ করিম - ২৩ জুন ২০১৩ (২:৩৩ অপরাহ্ণ)

      মূলগ্রন্থের মর্মবাণী কে কায়দামত ব্যবহার করে মানুষের মনে ক্ষমতার লোভ আর বিদ্বষ উষ্কে দেয়া অথবা ইসলামের মূল দিকনির্দেশনা এবং পালনীয় ধর্মীয় কর্মকান্ড গুলোকে অপ্রাসঙ্গীকতার সুবাসে সুবাসিত করা এ দুটো পথই যেন এক ঔরসে জাত জমজ সহোদর !

      না, এদুটো জমজ সহোদর কিনা বলতে পারব না, কারণ আমি ঠিক এভাবে ভাবি না। কিন্তু শুধু একটা কথা বলুন, কেউ যখন হযরত বা ইসলাম নিয়ে আক্রমণাত্মক কিছু বলেন — অথবা ইসলাম ধর্মের বিশ্বাসের কোনো দিক নিয়ে কটূক্তি করেন — অথবা ইসলাম ধর্মের ও মানবাধিকারের সংঘাতের কোনো বিষয়ে আলোকপাত করেন — অথবা ইসলামি জঙ্গিদের কর্মকান্ডের জোর বিরোধিতা করেন, আপনি বলুন আপনার আশেপাশের কত মুসলমান উদ্বিগ্ন উৎক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বলুন? এবার তার সাথে তুলনা করুন, কোনো আয়াতুল্লাহ, মুফতি, ওলামা, মাওলানা, পীর, মাশায়েখ, শায়খুল হাদিস বা তফসিরকারী যখন আমাদের আধুনিক জীবন সাংস্কৃতিক জীবন নিয়ে অশ্লীল ভাষায় কটূক্তি করেন অথবা নারীদের নিয়ে মানবেতর সব ফতোয়া দিতে থাকেন, যৌনতা নিয়ে মান্ধাতার সব কথাবার্তা ভরা মজলিশে বলতে থাকেন — আপনার বা আমার আশেপাশে কত জন মুসলমান এর প্রতিবাদ করেন? অথবা কেউ প্রতিবাদ করলেও মুরুব্বিরা তাকে কিভাবে নিরস্ত করেন?

      মুসলমান পরিবারের পরিমণ্ডল সবসময় কোনো আয়াতুল্লাহ, মুফতি, ওলামা, মাওলানা, পীর, মাশায়েখ, শায়খুল হাদিস বা তফসিরকারীর আজেবাজে কথার সমালোচনা থেকে আমাদেরকে দূরে রেখে দিতে চায় — মুসলিম পারিবারিক পরিমণ্ডলের এই প্রবণতা যতদিন পরিবর্তিত না হবে ততদিন মুসলমানেরা ‘সোজা পথ’ ও ‘আত্মসমর্পণ’-এর ফাঁদে আটকে থাকবে এবং বৃহৎ পৃথিবীর পথে এগুতে পদে পদে বাধাগ্রস্ত হবে।

      • রবিউল ইসলাম সবুজ - ৩০ আগস্ট ২০১৩ (৪:৪২ অপরাহ্ণ)

        ২.
        পথ ও মতের ভিন্নতা যখন আদর্শের জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, তখনই বোধয় তা বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ কে একটি সময়োপযোগী দিকনির্দেশনা দিতে পারে। পথ ও মতের ভিন্নতা নির্বিশেষে ঐ আদর্শের জায়গা গুলোকেই আমলে আনতে হবে। পৃথিবীর বহু জাতীর বহুভাষী মানুষের একটি অংশ যেহেতু ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী সেহেতু ইসলামে আদর্শের জায়গা গুলোকে চিহ্নিত করে তারই মানদণ্ডে মেপে দেখতে হবে ঐ মানুষ গুলোকে, — যারা ভাবেন, ইসলামকে মনে ধারণ করে কর্ম ও আচরণে তারা সঠিক পথেই আছেন। যে কেউ যে কোনো পন্থায় বিশ্বাসী হতেই পারেন, তবে নিজ নিজ আদর্শিক জায়গাগুলো যদি চিহ্নিত ও অনুসৃত না হয় তাহলেই মুশ্কিল।

        আমাদের পরিবার ও সমাজের মুসলমানেরা নিজেদের সুবিধা গোছাতে ইসলামকে কৌশলগত উপায়ে মেনে চলেন। ইসলামকে কৌশলে ব্যাবহারের কায়দাকানুনকে পুঁজি করেই এ সমাজে টিকে থাকেন কিছু ওলামা-মাশায়েখের দল।

        সবকিছুকে বাদ দিয়ে কেবল ‘সত্যবাদিতা’ ও ‘সৎকর্ম’র প্রাসঙ্গিকতাকে যদি ইসলামের পরিপ্রেক্ষিতে সামনে আনেন, বিচার করেন; তাহলেই দেখবেন — এ দুটো শিষ্টতাকে দেখেও না-দেখার কিংবা জীবনাচরণে বাদ দেবার প্রবণতা আমাদের কতটুকু! ওলামা-মাশায়েখেরা এ দুটো বিষয় নিয়ে কখোনোই গুরূত্বের সঙ্গে কোন কথা বলেন না। অথচ, নবুয়ত প্রাপ্তির পূর্বই তার ধর্মের পথ কে বিশ্বস্ত করবার জন্য ‘মুহাম্মদ’ কেবলমাত্র ওই দুটো হাতিয়ারকেই বেছে নিয়েছিলেন।

        এ কথা আজ বলে দিতে হচ্ছে এই কারণে যে, আজ যারা নিজেকে খাঁটি মুসলমান হিসেবে দাবী করেন, তারা (আপনি যে পরিবার ও তার মুরুব্বীদের কথা বলছিলেন তাদের প্রসঙ্গেই বলছি) আসলে ইসলামকে কীভাবে মানবেন — এই বিষয়টিকে সরলীকরণ ও সুবিধাশ্রয়ী করবার জন্য কতিপয় ওলামা-মাশায়েখের দ্বারস্থ হন। এভাবেই লাখো পরিবারকে সুযোগ করে দিয়ে এবং নিজকে টিকিয়ে রাখবার সুযোগ নিয়ে একদল ভণ্ড আমাদের সমাজে পাকাপোক্ত আসন গেড়ে বসেছে। তাই কোন ভণ্ড হুজুর যখন অশ্লীল কোন কথা বলেন, আমাদের মুরুব্বীদের এবং আমাদেরকেও পরিবারে তা চেপে যেতে হয়। ঐ হুজুরদের যদি বিরোধীতাই করি, তবে ধর্মে ভণ্ডামি জিইয়ে রাখবে কে? ঐ ভণ্ডামিতে আমরাও যে শামিল হই, ‘সত্যবাদিতা’ আর ‘সৎকর্ম’কে দূরে ঠেলে!

        ‘সত্যবাদিতা’ আর ‘সৎকর্ম’ — এ দুটোই যেমন মানবতার মূলকথা, তেমনই ইসলামেরও মূলকথা। সুতরাং ধর্মে বিশ্বাসী হন কিম্বা না হন, মানব সমাজে সাধু সহবস্থান করতে চাইলে ঐ একটি যায়গা থেকে দুজনকেই শুরু করতে হবে। ভণ্ডদের পেছন থেকে ‘ইসলাম’ মানিয়েদেরকে সরিয়ে আনতে গেলে এই একটি কথাই বলার আছে। তাহলে হয়তোবা ‘মুসলিম পারিবারিক পরিমণ্ডলের এই প্রবণতা’য় পরিবর্তনের হাওয়া লাগবে কোনকালে।

  3. মাসুদ করিম - ২৯ জুন ২০১৩ (২:৩৭ অপরাহ্ণ)

    হ্যাঁ, মূল সমস্যা ওটাই।

    সোজা পথ। আত্নসমর্পণ।

    এই তো কট্টর শিয়াবিদ্বেষী আফগানি সালাফিস্টরা বলছে আফগানি তালেবানদের ইসলাম ভুল, সালাফিস্টরা শুধু ইসলাম কথিত সোজা পথে আছে আত্মসমর্পণের ঠিক তরিকা মানছে, আর সবার ইসলাম ভুল।

    Afghanistan’s new fundamentalist players
    by Fazelminallah Qazizai and Chris Sands

    Even as the US tries to reach out to the Taliban in Afghanistan, other fundamentalist movements are beginning to emerge as potentially important players in the country’s future.

    For these groups and ideologues the fight is mainly confined to the cultural and political arenas, rather than the battlefield. But their hard line views are gaining ground as disillusionment with the effects of the NATO occupation grows.

    Among the new wave of ultra conservative Sunni Muslims are Salafis, who traditionally have not had a significant role in Afghan society.

    Decades of radicalization and continued foreign interference mean this is slowly changing. Although they share the kind of beliefs often associated with the Taliban, Salafis generally have an even stricter attitude towards members of the Shia community, democracy and Western culture.

    Their rise highlights the challenges that await any attempt to secure some of the social freedoms introduced since 2001 and establish a sustainable peace. It also threatens to open up new divisions in a country not known for sectarianism.

    At a mosque on the fringes of Kabul, hundreds of worshippers come every Friday to listen to the sermons of Abu Obaidullah Mutawakil, the imam. Books and CDs of his teachings are sold from a table near the front gate. “There is no difference between us and [other Muslims],” he said. “The only difference we have now is that some Muslims don’t accept the right way.”

    Originally from Parwan, north of Kabul, Mutawakil turned to Salafism after being educated in madrassas in Pakistan during the 1980s. The Salafi mosque in which he preaches was built around six years ago and he was one of the founders. He claims it is the first of its kind in the city. As well as serving as the imam, Mutawakil has done missionary work in a number of provinces including Kapisa, Nangharhar and Baghlan. His message, and those of his colleagues, could yet have serious implications for Afghanistan’s political and social stability. “This government came through a general election and general elections are not in Islam,” he said. “For example, if 49 percent of people are well educated — doctors, engineers and professionals — 51 percent are musicians, gamblers and bad men; and the second group will win according to the current system.”

    Saudi Arabia’s ruling family practices Salafism and Riyadh is known to actively promote the belief throughout Asia and the Middle East. Last year the Saudi government agreed to build a $100 million Islamic educational centre in Kabul.

    Mutawakil insisted his mosque received no outside funding but accused Shias here of being under the growing influence of Iranian-sponsored institutions. “They are not bringing us light — instead they bring darkness,” he said. “In future this will cause differences and a big clash inside the country. I told you before, each action has a reaction.”

    Shi’ism is considered heretical by radical Sunnis, including Salafis who advocate what they see as a return to the ‘pure’ Islam of the time of the Prophet Mohammad and his immediate followers. Salaf, an Arabic term from which Salafi is derived, means predecessors or ancestors.

    The heartland of Salafism in Afghanistan is the eastern province of Kunar, near Pakistan. During the resistance against the Soviets it was the power base of local Salafis who were joined by insurgents from abroad. Today, Mutawakil views that conflict as a defining moment. “Besides all the destruction, it was training for us too — especially when our Arab brothers came to do jihad,” he said.

    A civil war developed after the Soviet withdrawal and then the Taliban later seized power, banning music and ordering women to be accompanied by a male relative when in public. The Taliban are not a Salafi movement, but Afghanistan is a deeply conservative country. Huge cultural changes in cities during the last decade have helped encourage the current Islamist backlash, with everything from foreign television programs to Western-style clothing subjected to hostility.

    One fundamentalist group to have benefited from the social upheaval is Hizb ut-Tahrir, a political party that was originally founded in Jerusalem in the 1950s. Outlawed in many countries, its initial attempts to create a support base in Afghanistan failed during the war against the Soviets. But since reentering from Pakistan in 2003, it has become a growing underground movement here.

    Hizb ut-Tahrir wants to reestablish the Islamic caliphate and denounces foreign troops as “kaffir crusaders”. Although it does not directly call for armed resistance, the government often detains its followers. Sayfullah Mustanir, a senior party member, claimed that even as several of his colleagues were arrested and tortured, they continued “trying to convince the [Afghan] officials to accept Sharia”.

    Hizb ut-Tahrir is not regarded as a Salafi movement and Mustanir said it was open to all Muslims who share its ideology. “All those who are from the same path of Islam are our brothers, like Al-Qaeda, the Taliban and the Muslim Brotherhood. But remember we are a political organization and some of them are jihadi organizations. Maybe we have some problems with them [regarding] reforms, nothing more,” he said. Since then Hizb ut-Tahrir has accused the Taliban of “betraying the blood of martyrs” by opening an office in Qatar.

    Sectarian violence is still relatively unusual in Afghanistan. However, last November at least one person was killed in Sunni-Shia clashes at Kabul University. With the country facing a myriad of political, military, social and economic challenges in the years to come there is a concern that more trouble could be brewing.

    Mawlawi Abdul Salam Abed is a prominent Kabul-based Sunni scholar and imam. A staunch critic of the NATO occupation, he nevertheless warned of the dangers ahead. “We are all Salafis because true Salafism means obeying the old scholars and friends of the Prophet Mohammad,” he said. “But the Salafism that is now increasing [in the region] is quite strict. Not only for Afghanistan, for all the world it will be a problem,” he warned.

  4. মাসুদ করিম - ৯ জুলাই ২০১৩ (২:৪৫ অপরাহ্ণ)

    মুসলিম ব্রাদারহুডের মোহাম্মদ মুরসির পতনের মাধ্যমে কি ইসলামবাদেরও পতন হবে? এই প্রশ্ন এখন মিশর তথা আরব জুড়ে বারবার উঠছে। একটা জিনিস পরিস্কার মোহাম্মদ মুরসি দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়েছেন, মিশরের সবার রাষ্ট্রপতি হতে ব্যর্থ হয়েছেন, সিএনএন-এর ক্রিশ্চিয়ান আমানপুরেরা তখন গভীর মনোযোগের সাথে মুরসির ‘সবার প্রেসিডেন্ট’ হওয়ার অঙ্গীকারকে অনেক বড় অনেক পবিত্র কাভারেজ দিয়েছিলেন, কিন্তু সবার প্রেসিডেন্ট না হয়ে তিনি কোরানকে আইন বানাতে গিয়ে সব লেজেগোবরে করেছেন। এখন মুরসির এই ইসলামবাদী পথে দেশ পরিচালনার ব্যর্থতা কি ইসলামবাদের বিদায় ঘণ্টা বাজাতে সক্ষম হবে?

  5. মাসুদ করিম - ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ (১২:২১ অপরাহ্ণ)

  6. মাসুদ করিম - ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ (৮:৫২ অপরাহ্ণ)

    Hasan Mahmud: Sharia Law Betrays Modern State and Koran

    Sharia, also known as Islami Qaqun, is the moral code and religious law of a prophetic religion, and represents Islam’s legal system.

    Contrary to what many believe, sharia does not come from the Koran or the Prophet’s examples (Hadises), as there are at least 11 sources of the law.

    “That the sharia derives from the Koran is a myth,” the general secretary of Muslims Facing Tomorrow, Hasan Mahmud, told IBTimesUK.
    “There are about 13 laws in the Koran and few dozen which come directly from the Prophet; there are more than 6,000 laws in each of Hanafi and Shafi’i books of sharia, most of which are man-made,” he explained.

    “Many sharia laws violate the Koran, especially when it comes to women’s rights. In court the judges do not open the Koran, they open the sharia law book and they apply it,” Mahmud said.

    In Sharia – Undoing the Wrongdoing, Mahmud wrote: “It would stun to know that the Koran mentions the word “sharia” only once as noun and only twice as verb.

    “Sharia literarily means the path made by animals going to the spot of flowing water or flowing water itself,” he continued. “Symbolically, it means path to salvation or Nirvana. This is exactly what the Koran used the word for: ethical guidance or a moral code that leads to peace and paradise. Transforming ‘moral guidance’ to ‘state law’ was the very first betrayal the Koran suffered.”

    According to Mahmud, who wants to warn Muslims worldwide against the dangers of Sharia and its inapplicability in modern states, sharia law will eventually fail as it does not have the capacity to run in modern states.

    “Sharia law is not only about laws and contents, it is about the spirit of it, which is to dominate the whole world,” explained Mahmud, who is also a producer of three films on the subject. One, The Divine Stone, is a short drama on sharia dedicated to Aisha Ibrahim Duhulow, a 13-year-old Somali girl stoned to death by al-Shabab militants after she was raped by three armed men.

    “Many Muslims believe that sharia is God’s law and should be applied to correct the decay of moral values,” said Mahmud.

    “It is true that since WW2 the world has been witnessing a decay in moral values, but what sharia does is more devastating – by applying sharia, Muslims are helping a devil in disguise.”

    Mahmud was born in Bangladesh in 1949, lived in the Middle East for several years, and in 1990 moved to Canada, where he became the director of Sharia Law for the Muslim Canadian Congress. He has fought against allowing sharia courts in the country.

    “God’s law has been established in Islam, but there is a very small peaceful group who interprets Islam in a peaceful way. But we have started only lately,” Mahmud explained.

    “Radical Islamists have been trying to establish sharia in the West, the very first sharia law court supported by local law was established in Toronto in 1991; we came to know about in 2003, then we secular Muslims, started a huge movement against it and ultimately we succeeded in 2005 September: that court was abolished by the government,” he continued.

    Mahmud, who is also on the advisory board of the World Muslim Congress and a research associate at Deen Research Center in the Netherlands, has received a death threat for his stancer.

    “I have not been able to go home for 15 years. [Radical Islamists] declared that I am an atheist and I am part of anti-Islamic conspiracy. They are looking for my blood,” he said.

  7. মাসুদ করিম - ১৪ অক্টোবর ২০১৪ (১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ)

    Khamenei blames U.S., Zionism, and ‘wicked’ U.K. for creating Islamic State

    In first speech since undergoing surgery last month, Iran’s supreme leader accuses America, Zionists and Britain of ‘seeking to create division and enmity among Muslims.’

    Iran’s supreme leader, Ayatollah Ali Khamenei, on Monday blamed the United States and the “wicked” British government for creating the Islamic State in his first speech since undergoing prostate surgery last month.

    The sharp remarks were a reminder of Iranian suspicions about the West despite the emergence of the ultra-hardline Sunni militants in Iraq and Syria as the common foe of Tehran and Washington.

    “America, Zionism, and especially the veteran expert of spreading divisions – the wicked government of Britain – have sharply increased their efforts of creating divisions between the Sunnis and Shi’ites,” he said, according to his website, in a speech marking a Shi’ite Muslim religious holiday.

    Islamic State, known to its detractors by its Arabic acronym Da’esh, has overrun swathes of war-torn Syria and Iraq in recent months.

    Despite being adversaries for decades, Shi’ite power Iran and the United States both oppose the militants and have armed local groups fighting them. Senior officials from both countries have denied any plans to work together, however.

    “They created Al-Qaida and Da’esh in order to create divisions and to fight against the Islamic Republic, but today, they have turned on [Islamic State],” Khamenei said.

    The United States along with several Sunni Arab monarchies began a campaign of air strikes against Islamic State militants in Syria on September 23.

    Other Western countries, including Britain, have also taken part in bombing raids against Islamic State positions in Iraq.

    Khamenei’s accusation appeared to be reference to Western support for the rebel forces fighting Tehran’s close ally, Syrian President Bashar Assad. Hardline Islamists have emerged as the rebels’ strongest military element.

    Iran also believes the United States and Britain are using the Islamist threat to justify their renewed presence in the region.

    “A careful and analytic look at the developments reveals that the U.S. and its allies, in efforts that are falsely termed countering Daesh, seek to create division and enmity among the Muslims rather to destroy the root causes of that (terrorist) current,” Khamenei said.

    “Shi’ites and Sunnis must know that any action or remark, including insulting one another, leads to increased sensitivities and ignite flames. This will certainly benefit the common enemy of all Muslims.”

    Khamenei’s criticism was a counterpoint to an apparent thaw in British-Iranian relations when Iran’s President Hassan Rohani met British Prime Minister David Cameron in New York in September – a move that was criticised by hardliners at home.

    That meeting followed decades of strained relations which worsened when Britain closed its embassy in Tehran after hardliners stormed it in November 2011.
    Britain decided in June this year to reopen the facility, but the embassy has yet to open its doors.

  8. মাসুদ করিম - ২০ অক্টোবর ২০১৪ (৫:৪৫ অপরাহ্ণ)

  9. মাসুদ করিম - ১৫ এপ্রিল ২০১৬ (২:০৪ অপরাহ্ণ)

    বর্ষবরণ উৎসবের বিরোধিতাকারীদের সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী

    পহেলা বৈশাখ উদযাপনের বিরোধিতাকারীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তারা আদৌ কোনো ধর্ম পালন করেন কি না- তা নিয়েও তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন।

    “আমাদের দেশে তো বহু পার্বণ আছে। আমরা ঈদ করি, সাথে সাথে আমাদের পহেলা বৈশাখ- এটাও আমরা উদযাপন করি। এখানে ধর্মীয় কোনো বাধা দেওয়ার কিছু নেই।

    “যারা নিষেধ করে, তারা কেন করে তা করে আমি জানি না। তারা কোন ধর্ম পালন করে সেটা নিয়েও সন্দেহ।”

    পাশাপাশি ধর্মের প্রতি ‘আঘাতকারীদের’ সতর্ক করে দিয়ে সহনশীলতার সঙ্গে সংস্কৃতি ও ধর্ম পালনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

    ১৪২৩ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার গণভবনে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

    পহেলা বৈশাখ উদযাপনের বিরোধীতাকারীদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটাকে অনেকেই অনেক রকম মন্তব্য করার চেষ্টা করে। কেউ বলে ফেলে যে এটা হিন্দুয়ানি। আমরা মুসলমান হলেও বাংলাদেশের বাস করি। আমরা তো বাঙালি। কারণ বাঙালি হিসেবে যুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা বাঙালি হলে যে মুসলমান হতে পারবো না এ রকম তো কোনো কথা নেই। ধর্মে কোথায় লেখা আছে?”

    শেখ হাসিনা বলেন, “আজকে পৃথিবীতে যেসব দেশে মুসলমান আছে সেই সব দেশের নামেই তো সেই জাতির নাম। আরব দেশের যারা তাদের অ্যারাবিয়ান বলেই তো সবাই ডাকে। প্যালেস্টাইনের যারা প্যালেস্টাইনি বলেই ডাকা হয়। প্রত্যেকেরই তো পরিচয় একটা একটা দেশ, ভৌগলিক সীমারেখায় সেই পরিচয় দেওয়া হয়।

    ‘তবে কি তাদের মুসলমানিত্ব চলে যাচ্ছে?’-এ প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তাদের মুসলমানিত্বতো চলে যাচ্ছে না।”
    বাংলাদেশে জাতিগত সাংস্কৃতিক উৎসব পালনের বিরোধিতাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমাদের খুব দুর্ভাগ্য যে, আমাদের একেক দল একেক রকম করে কথা বলতে শুর করে।

    “আমাদের এই দেশে যুগ যুগ ধরে আমাদের যে সংস্কৃতি, আমাদের যে রীতি-নীতি, সেগুলো আমরা পালন করি। যার যার ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী ধর্ম পালন করে। একটা সহনশীলতা নিয়ে আমরা বসবাস করব, যেন আমাদের দেশে শান্তি বজায় থাকে। সবচেয়ে বড় কথা শান্তি। কারণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছাড়া কখনো উন্নতি হয় না।”

    তিনি বলেন, দেশে শান্তি আছে বলেই প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে এবং এই পহেলা বৈশাখ একেবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত নববর্ষ উদযাপিত হচ্ছে।

    বাংলাদেশে এবারই প্রথম সরকারি চাকুরেদের জন্য বৈশাখী উৎসব ভাতা চালু হয়েছে। অন্যদিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে উন্মুক্ত স্থানে বিকাল ৫টার মধ্যে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ করতে বলা হয়েছে।

    অনুষ্ঠানে কড়াকড়ির জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানিয়ে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধের দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থক ওলামা লীগ। আর বৈশাখী উৎসব ভাতা বাদ দিয়ে ঈদ-ই মিলাদুন্নবিতে উৎসব ভাতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।

    ইসলাম ধর্মে সহনশীলতার শিক্ষার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের ধর্ম আমরা সবাই পালন করি। আর ইসলাম ধর্মেই নির্দেশনা আছে যে, যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। এখানে কারও ধর্মের ওপর আঘাত দেওয়ার কথাতো বলা হয়নি। নবী করিম (স.) তো বলেই গেছেন যে, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না।

    “আর এই যে বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে নানা ধরনের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা, থ্রেট করা, বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা বা মানুষের জীবনের ওপর হুমকি দেওয়া- এটা ধর্মের কোথায় বলা আছে? যারা এ ধরনের হুমকি দেয় তারাই তো আমাদের ধর্মকে অবমাননা করে, ধর্মের বদনাম করে।”

    বিকাল ৫টার মধ্যে উন্মুক্ত স্থানে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ করার নির্দেশনার সমালেচনা যারা করছেন, তাদেরও জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।

    “আরেকটা গ্রুপ আছে। আমরা মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সব সময় সচেতন। একটা নিরাপত্তা বলয় তৈরি করার জন্য কী কী করণীয় আমরা তার কতকগুলো অনুশাসন দেই। এ নির্দেশনা দেওয়াতে অনেকে দেখলাম ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। যিনি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন, তাকে আমি বলতে চাই, যদি কোনো অঘটন ঘটে, তার দায় কী তিনি নেবেন? তাকেই নিতে হবে। এটা মাথায় রাখতে হবে।”

    ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদীদের হামলার ঘটনা তুলে ধরে তিনি নির্দেশনা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব উদযাপন করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

    ধর্মীয় প্রসঙ্গ নিয়ে লেখালেখির ক্ষেত্রে সতর্ক করে সরকারপ্রধান বলেন, “আরেকটি বিষয় বলব, কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে লেখা কখনো গ্রহণযোগ্য না। এখন একটা ফ্যাশন দাঁড়িয়ে গেছে যে, ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু লিখলেই তা হয়ে গেল মুক্তচিন্তা। আমি এটাকে মুক্তচিন্তা দেখি না। আমি এটাকে দেখি নোংরামি। এত নোংরা নোংরা লেখা কেন লিখবে?
    “আমি আমার ধর্ম মানি, আমি যাকে নবী মানি তার সম্পর্কে নোংরা কথা যদি কেউ লেখে, সেটা কখনো আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না। ঠিক তেমনি অন্য ধর্মেরও যারা, তার সম্পর্কেও কেউ কিছু যদি লেখে, তাহলে এটা কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না।

    ধর্ম বা অন্য ধর্মের অবমাননা করে লেখালেখিকে ‘নোংরা ও বিকৃত মনের পরিচায়ক’ আখ্যায়িত করেন শেখ হাসিনা।

    “একজন মুসলমান হিসেবে আমি প্রতিনিয়ত ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলি। সেটা নিয়ে যদি কেউ লেখে, তাহলে আমার নিজের কষ্ট হয়। আর এই লেখার জন্য কোনো অঘটন ঘটলে সেটা সরকারের ওপর আসবে কেন?”

    সবাইকে ‘সংযম ও শালীনতা’ বজায় রেখে ‘অসভ্যতা’ পরিহার করার আহ্বান জানান তিনি।

    ধর্মের নামে যারা মানুষ খুন করে, তাদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মানুষ খুন করার মধ্যে সমস্যার সমাধান নাই। একজন লিখল, আর একজন খুন করে প্রতিশোধ নেবে এটাও তো ইসলাম ধর্ম বলেনি।

    “বিচার তো আল্লাহ করবে। আল্লাহই তো বলে দিয়েছেন, উনিই শেষ বিচার করবেন। যাদের আল্লাহর ওপর ভরসা নেই তারাই এই খুন-খারাবি করতে চায়। কারণ তারা আসলে আল্লাহ রসুলও মানে না, তারা নিজেরাই আল্লাহর কাজ করতে চেষ্টা করে। এটা তো শিরক।” ‍

    সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন বছরে বাংলাদেশের আরও অগ্রগতি প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সমাগতদের মিষ্টি, ফলসহ বিভিন্ন খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।

  10. মাসুদ করিম - ২১ এপ্রিল ২০১৬ (৮:৫১ পূর্বাহ্ণ)

    World’s Largest Islamic Organization Tells ISIS To Get Lost

    Each time the Islamic State, al Qaeda or another terrorist group commits violence in the name of Islam, a familiar refrain arises: What’s the Muslim world doing about it?

    In fact, anti-extremism efforts abound in the global Muslim community: Muslim leaders and scholars have denounced the Islamic State group, the U.K.’s Muslim Youth League has declared “ideological holy war“ against extremism, and YouTube has even tried to recruit American Muslims to counter extremist content.

    And in Indonesia, home of the world’s largest Muslim population, a massive anti-extremism movement is underway.

    Nahdlatul Ulama, or NU, is the largest independent Islamic organization in the world, with 50 million members. Part Sunni religious body, part political party and part charity, it was founded nearly 90 years ago, in 1926, as a response to another Sunni movement, Wahabbism.

    Wahhabism is the ultra-conservative reform movement based in Saudi Arabia that advocates for puritanical laws from the time of Islam’s origins. It rejects the modern notion of “religion as a purely private activity“ and the separation of church and state. The Islamic State is highly committed to Wahhabi principles, using its religious textbooks and embracing its hardline tradition of killing unbelievers.

    NU’s stated goal is to “to spread messages about a tolerant Islam in their respective countries to curb radicalism, extremism and terrorism,” which, it claims, “often spring from a misinterpretation of Islamic teachings.” It launched its global anti-extremism initiative in 2014.

    Its work was recently magnified by the Paris terror attacks, which Indonesia’s Vice President, Jusuf Kalla, who serves on the NU Advisory Board, condemned at a three-day conference last week in Malang, Indonesia. The conference was held by the International Conference of Islamic Scholars, another Indonesian anti-radicalism project that its Foreign Ministry started in 2002, in wake of the Sept. 11 attacks. Kalla said, “There is nothing religious about such attacks because Islam never justifies them.”

    NU is setting its sights globally. In December 2014, it created an American nonprofit called Bayt ar-Rahmah in Winston-Salem, North Carolina, to serve as headquarters for its international activities. It is planning “an international conference and cultural event in Washington, D. C.” in Spring 2016, NU General Secretary Yahya Cholil Staquf told the Huffington Post.

    It is also building a “prevention center” in Indonesia to train Arabic-speaking students to combat jihadist rhetoric, alongside NU theologians. And it’s has created a joint program with the University of Vienna in Austria called VORTEX, the Vienna Observatory for Applied Research on Radicalism and Extremism. The project, which is funded by the Ministry of Internal Security, works to “produce counter-narratives against radical ideas and propagate them globally,” said Staquf. He said NU is also working on future projects with the Swedish and British governments.

    There are domestic concerns about NU’s global ambitions, since there’s still a need to counter extremism within Indonesia itself. The country has faced a number of deadly terrorist attacks in recent years, including on its beach resorts and luxury hotels. But NU says its campaign applies “equally to local radicals,” according to the New York Times. And NU suggests that the specific differences of Indonesian Islam, which it believes is more moderate and tolerant than that of the Middle East, should be both encouraged at home and propagated abroad. “When we learn that the threat of radicalism is global, we need to consolidate globally to challenge it,” Staquf told HuffPost.

    Indonesia is home to one of the most liberal Muslim populations in the world. On Nov. 14, the Indonesian Ulema Council, the country’s top Muslim clerical body, which includes NU, announced a plan to mobilize 50,000 preachers to spread moderate, or “Wasathiyah,” Islam within Indonesia.

    As suggested in a 2012 article in the Indonesian policy journal Strategic Review, pluralism may be the “big idea” that Indonesian Islam can bring to the world stage. Although Indonesian Muslims are a numerical majority, they live alongside Hindus and Buddhists who predated them on the island, and they share and mix spiritual traditions. Indonesia’s national motto is bhinneka tunggal ika, or “unity in diversity,” and that ethos is central to the country’s Muslim traditions. It’s the backdrop for the school of Islam Nusantara, or “Islam of the Archipelago,” a 500-year-old strain of Sunnism that emphasizes Hindu-Buddhist tenets like nonviolence and religious tolerance.

    In a 90-minute film released by NU called “The Divine Grace of Islam Nusantara,” Indonesian Islamic scholars systematically criticize and denounce the Islamic State’s interpretations of the Quran and Hadith.

    The film underscores the ambition and scope of NU’s anti-extremism platform. “At the upstream level, it is the job of clerics to combat embryos of terrorism, while on the downstream side, it is the job of law enforcement institutions to do so,” said Muzadi, who also serves as secretary-general of ICIS.

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.