লেফটেনেন্ট জেনারেল গোলাম জিলানি খান, এক বিখ্যাত পাকিস্তানি সেনা ব্যক্তিত্ব, যিনি ১৯৭১-১৯৭৮ পর্যন্ত পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, ১৯৭৭-এ তাঁর বাংলাদেশ সফরের কিছু দিন পরই সেবছরের নভেম্বরে জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করলেন ডিএফআই [..]

লেফটেনেন্ট জেনারেল গোলাম জিলানি খান, এক বিখ্যাত পাকিস্তানি সেনা ব্যক্তিত্ব, যিনি ১৯৭১-১৯৭৮ পর্যন্ত পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, ১৯৭৭-এ তার বাংলাদেশ সফরের কিছু দিন পরই সেবছরের নভেম্বরে জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করলেন ডিএফআই ( ডিরেক্টরেট অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), যার নাম পরে কিছুটা পরিবর্তন করে রাখা হয় ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স)। প্রাথমিকভাবে এই সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সব অফিসারের প্রশিক্ষণ হতো আইএসআই-এর নিবিড় তত্ত্বাবধানে, এবং এখনো পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের ট্রেনিং হয় পাকিস্তান, আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে। এর পুরো মডেলটাই পাকিস্তানি আইএসআই দ্বারা প্রবর্তিত এবং আইএসআই-এর মতোই ডিজিএফআই-ও জন্মের পর থেকেই দেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক সংগঠন। জন্মের পরপরই তাদের প্রধান কাজ ছিল জিয়ার জন্য একটি রাজনৈতিক দল গড়ে তোলা এবং উনিশশ আটাত্তরেই তারা সফলভাবে কাজটি সম্পন্ন করে, এবং শুরু হয় বিএনপির পদযাত্রা। এরপর জিয়ার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এরশাদের আগমনে তার জন্যও যখন দরকার হয় একটি রাজনৈতিক দল তখনই তাদের হাতে তৈরি হয় দ্বিতীয় রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি। কিন্তু ডিজিএফআই সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে ২০০৭-২০০৮ আর্মি শাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। এসময়ে ওদের মাইনাস টু থিওরি, আসলে ছিল কৌশলে হাসিনাকে ধ্বংস করা, যেপথে ২১ আগস্টে বোমা হামলা, সেপথেই সামরিক গোয়েন্দা চাপে হাসিনাকে অর্ধমৃত করা, বোমায় যে কান গেছে, সেকানের চিকিৎসা তাকে পেতে হয়েছে অর্ধেক প্রাণ বন্ধক রেখে। তাই হাসিনা এখন অর্ধেক লোকচক্ষুর অন্তরালে, আর রাজনৈতিক দাবিহীন এই গণতন্ত্র, বলতে পারি আমাদের রাজনীতি মৃত, তবুও বাস্তবকে কিছুটা ভুলে বলছি অর্ধমৃত। আমাদের রাজনীতির পথ চলা কঠিন করতেই যাদের জন্ম, তারা এই বত্রিশ বছরে অনেক শক্তিশালী হয়েছে, তাদের হাতে গড়া দুটি দল বিএনপি ও জাতীয় পার্টি আছে তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, সিন্ডিকেটের সুতোও তারেক জিয়ার হাত থেকে তারা কেড়ে নিতে পেরেছে, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে আবদ্ধ করতে পেরেছে, আর পাকিস্তান আছে এদের অন্তরে বাইরে।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত ও মায়ানমার এখন চাইছে ডিজিএফআই-য়ের ওপর নিজের নিজের কিছু কর্তৃত্ব। অন্তরের পাকিস্তানকে কিছু করতে পারুক না পারুক বাইরের পাকিস্তানকে যদি কিছুটা মুছে ফেলা যায়—এই হলো ভারতের লক্ষ্য। পূর্ব দিগন্তের সূর্য চাইলে সব ভারতের হলে তো হবে না, চীনেরও তো অনেক কিছু হতে হবে, তাই প্রতিদিন মনে করিয়ে দিতে মায়ানমার গড়ে তুলেছে ডিজিএফআই-য়ের সাথে এক ধরনের পরজীবি আঁতাত। বাংলাদেশের পশ্চিমে কর্পোরেট ভারত বাংলাদেশের পূর্বে সামরিক অস্ত্র ও মাদকব্যবসায়ী মায়ানমারের সাথে একনায়ক রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়িক এন্টারপ্রাইজ চীন, অন্তরে পাকিস্তান, স্বপ্নে বদলগঞ্জ আমেরিকা। এই ভূগোলের সব ফায়দা লুটতে চায় আমাদের জাতীয় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই, আমাদের সব জাতীয় সংস্থাই ধসে পড়েছে, শুধু এটিই তীব্র শক্তিতে টিকে আছে। আমাদের পরাজিত রাজনীতি পন্থা নির্বিশেষে এই সংস্থার কাছে বন্দী। রাজনৈতিক দাবিই গণতন্ত্র, রাজনৈতিক দাবির একাত্তরকে মনে পড়ে, চোখের সামনে তেমন রাজনৈতিক দাবির জোর দেখতে পাচ্ছি না। তাই দেখছি চারিদিকে অগণতান্ত্রিক শাসন, তাই বারবার বলছি জন্মের পর থেকেই ডিজিএফআই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন।

মাসুদ করিম

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।

১৯ comments

  1. কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর - ৬ নভেম্বর ২০০৯ (৮:২৩ পূর্বাহ্ণ)

    ডিজিএফআই-এর ইতিহাস-ঐতিহ্য অনেক কথাই জানালেন মাসুদ করিম। এসবের অনেককিছুই আমার জানা ছিল না। তবে একটা বিষয় কিন্তু আমার মাথায় হয়ত অহেতুকই ঘুরঘুর করে, আসলে এই অঞ্চলের মুসলিম মানস কতটুকু ধর্মনিরপেক্ষ হতে পেরেছে? ধর্মের বিষয়, বিশেষ করে ইসলামের মতো প্রাবল্যবাদী একরৈখিক প্রতিষ্ঠানমুখর ধর্ম তো চুপচাপ থাকার কথা নয়। জনগল্পের মাধ্যমে আমি যেটুকু সংগ্রহে রাখতে বাধ্য হচ্ছি, তা হচ্ছে, এই দেশের বেশীর ভাগ মুসলমান অন্য যে কোনো দেশের মুসলমানকে মেরা ভাই বলে জড়িয়ে রাখতেই পছন্দ করে। শেখ মুজিব তো একসময় মুসলিম লীগই করতেন- খাজা নাজিমুদ্দীনদের সাথে কুলোতে না পেরে তাঁরা আলাদা সংগঠন করেন। মুসলিম লীগের সোহরাওয়ার্দী-আবুল হাশেম গ্রুপ যদি ৪৭-এর পর ক্ষমতা নিতে পারতেন, তাহলে আমাদের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাস স্বভাবতই ভিন্ন হতো।
    আর শেখ মুজিবের জীবদ্দশাতেই ভুট্টো এদেশে আসেন, ইসলামি ফাউন্ডেশন তাঁর কালেই হয়, ওআইসি’র সদস্যপদও তিনি আদায় করেছিলন। আর এখন তো সরকারের সহায়ক শক্তি ওলামা লীগ দাবিই করছে, ইসলামের তরে তাঁর মতো দরদী আর কেউ নেই বা ছিল না।
    ভোটের রাজনীতির মারপ্যাঁচে অনেকে অনেক কথাই বলেন, ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদীদের অনেকের সহজ প্রবণতা হচ্ছে, হিন্দু সম্প্রদায় এদেশে থাকলে ভোটখান দিবে নৌকায়, আর দেশান্তর হলে সম্পত্তি তো থাকলোই!
    ডিজিএফআই-এর অন্তর্লীন যে চিত্র মাসুদ দিলেন, তা থেকে মুক্তি পেতে হলে, ধর্মনিরপেক্ষতার কথা কৌশলগত কারণে না বলে, সমগ্র ধর্মের সমস্ত উগ্রতাকে নস্যাৎ করে একে সহনশীল পর্যায় রাখতে হবে, লৌকিক ধর্মের প্রসার করতে হবে। ডিজিএফআই নামের সংগঠনটিকে প্রকৃত অর্থেই একটা মানবিক প্রতিষ্ঠান করে গড়ে তুলতে হবে। প্রতিপক্ষকে দমনের এই দেশে তা কি সম্ভব?

    • নুর নবী দুলাল - ৭ নভেম্বর ২০০৯ (১:৪৬ পূর্বাহ্ণ)

      জনাব মাসুদ করিম এর চমৎকার লেখাটি পড়ে জানতে পারলাম ডিজিএইএফ এর জন্মাতিহাস। চমৎকৃত হলাম। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় যে সংগঠনটির জন্ম, সেটি থেকে আমরা সাধারণ জনগন অতি কিছু আশা করতে পারি কি? একটি দেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কাজ হচ্ছে সার্বিকভাবে বর্হিবিশ্ব বা বৈদেশিক শত্রুর হাত হতে আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক-সামরিক আক্রমন, অপ-পরিকল্পনা ইত্যাদি থেকে দেশকে সুরক্ষা করার প্রত্যয়ে সরকারকে বিভিন্ন প্রকার তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করা এবং বৈরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহনে সহায়ক ভূমিকা পালন করা। যা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশসমূহসহ সমগ্র বিশ্বের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলো করে থাকে। কিন্তু, দূভাগ্য জাতি হিসাবে বরাবরই আমরা দেখেছি সম্পূর্ন বৈপরিত্য। এই সংগঠনটি বরাবরই আমাদের দেশের রাজনৈতিক ক্রান্তিলগ্নে বিদেশী প্রভূর বা বিদেশী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের তৈরী করা কৌশলপত্র বাস্তবায়নের জন্য এবং সামন্তবাদী বা উগ্র ধর্মীয় মতবাদে বিশ্বাসী আস্থাভাজনদের ক্ষমতায়নে নিজেদের অর্জিত সকল মেধা ও শক্তি বিনিয়োগ করে। ১/১১ -এর ঘটনাটিও এর ব্যতিক্রম কিছু নয় বলে আমার বিশ্বাস। মাইনাস টু ফর্মুলার অন্তরালে কি ছিল তা আমারা সবাই এখন অনুধাবন করতে পারছি। দেশের জনগনের টাকায় প্রশিক্ষণ গ্রহন করে যে সংস্থাটি দেশের জনগনের ও দেশের স্বার্থ পরিপন্থি কাজে লিপ্ত, সে সংস্থাটির আদেৌ প্রয়োজন আছে কিনা, সেটা এখন চিন্তা করার সময় এসেছে। ১/১১-এ যে দূর্নীতির ধোঁয়া তুলে দেশকে মেধাশুন্য করার মহাপরিকল্পনা করা হয়েছিল, দৈবাত কোন এক অজানা কারনে বাস্তবায়িত হয়নি। বরং, দূর্নীতি নামে দেশে রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক সমাজসহ বিভিন্ন সূশীলসমাজকে যেভাবে অপমানিত হতে হয়েছে……তা ইতিহাসের পাতায় হয়তো উদগাঠিত নতুন কোন সত্য হিসাবে আমরা ভবিষতে দেখতে পাবো। এখন যদি সেই আগের পক্রিয়ায় ১/১১-এর নায়কদের দূর্নীতি অভিযোগের মুখোমুখি করা হয়……….তখন কেঁচো খুড়তে সাপই বের হবে….। আমরা সেই দিনের প্রত্যাশায় রইলাম।……এখানে বলে রাখা প্রয়োজন ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। বর্তমান সরকার হচ্ছে বাংলাদেশর জনগনের ২ বছরের দূঃসহ প্রতীক্ষার ফসল। তাই, জনগনের সকল চাওয়া-পাওয়ার মূল্যর প্রতি সম্মান করে, জনগনের জন্য দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে সার্বিকভাবে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে জোর ভূমিকা রাখা উচিত।

  2. নাজিব - ৭ নভেম্বর ২০০৯ (৩:১৮ অপরাহ্ণ)

    http://www.facebook.com/album.php?aid=61467&id=792293954&l=1aa0c30d47

  3. অবিশ্রুত - ৮ নভেম্বর ২০০৯ (৬:১৯ পূর্বাহ্ণ)

    ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। এখানে লেখা হয়েছে :

    ১৯৭৭-এ তাঁর বাংলাদেশ সফরের কিছু দিন পরই সেবছরের নভেম্বরে জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করলেন ডিএফআই ( ডিরেক্টরেট অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), যার নাম পরে কিছুটা পরিবর্তন করে রাখা হয় ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স)।

    কিন্তু প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন থেকে জানতে পারছি, ১৯৭৫ সালের সাত নভেম্বর জিয়াউর রহমান ডিএফআই-এর মাধ্যমে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছিলেন। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যাচ্ছে,

    ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের দুপুর। … জিয়া এদিন সকালে ধারণ করা বেতার ভাষণে নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও সেনাপ্রধান হিসেবে ঘোষণা দেন। ওই দিন বিকেলেই অবশ্য তিনি উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের পদমর্যাদা আপাতত মেনে নেন। এ রকম একটি সময়ে বাংলাদেশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার তিন সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল একটি বিদেশি মিশনে পৌঁছায়। এই প্রতিনিধিদলের প্রধান ছিলেন তত্কালীন এয়ার কমোডর (পরে এয়ার ভাইস মার্শাল) আমিনুল ইসলাম। তিনি তখন ডিএফআইয়ের পরিচালক।
    ১৯৭৫ সালে বর্তমান সামরিক প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের নাম ছিল ডিএফআই বা ডিরেক্টরেট অব ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এই সংস্থার পরিচালক পদে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার রউফ।

    এই সংস্থাটির জন্মবৃত্তান্ত আসলে কি? মাসুদ করিম আরও বিস্তারিতভাবে একটু জানাবেন কি, প্লিজ?

    • অবিশ্রুত - ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ (৪:২৭ অপরাহ্ণ)

      উইকিপিডিয়ার যে লিংক দিয়েছেন, তা থেকে দেখা যাচ্ছে :

      It was reformed by then President of Bangladesh Lieutenant General Ziaur Rahman in 1977 as the Directorate of Forces Intelligence (DFI). It was renamed to “Directorate General of Forces Intelligence” (DGFI) afterwards. Its first Director was Air Vice Marshall K.M. Aminul Islam Khan from Bangladesh Air Force, batchmate of then BAF Chief of Staff Air Vice Marshall A. K. Khandker, current Minister of Planning of GoB. After Mujib’s assassination, he was removed promtly, along with Khandker and then Army chief of staff K M Shafiullah, and the entire organisation was renamed and restructured. It was alleged that AVM Aminul Islam was serving personal interests and vandetta’s of his and his air force coursemate AVM Khandker instead of emphasising on intelligence activities, reorganising and restructuring of the department.

      অর্থাৎ, ডিএফআই-এর অস্তিত্ব আগেই ছিল। কিন্তু সেটি হয়তো জিয়াউর রহমানদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে পারছিল না। তাই জিয়া এটিকে ১৯৭৭ সালে ‘রিফর্ম’ (উদ্ধৃতিতে গুরুত্বারোপ আমার) করে ডিজিএফআই-এ উত্তীর্ণ করেন। তবে উইকি’র এ সংক্রান্ত বিবরণী বেশ ইন্টারেস্টিং! এখানে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে যে অভিযোগের কথা বলা হয়েছে, তার তথ্যসূত্র কী? উইকিতে এই এন্ট্রি আসলে কার?

      • আরেফিন - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ (১:২৭ পূর্বাহ্ণ)

        মাসুদ করিম উইকিপিডিয়ার ভুক্তির লিংক দিয়েছিলেন ২০০৯ সালের ৮ নভেম্বর তারিখে। এই ভুক্তি সর্বশেষ সম্পাদনা করা হয়েছে ২০১১-এর ২৭ অক্টোবর :

        This page was last modified on 27 October 2011 at 08:12.

        আর মানস পালের এই লেখাটা নিশ্চয়ই আগেই চোখে পড়েছে আপনাদের?

      • মাসুদ করিম - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ (২:১৩ পূর্বাহ্ণ)

        @ অবিশ্রুত

        It was reformed by then President of Bangladesh Lieutenant General Ziaur Rahman in 1977 as the Directorate of Forces Intelligence (DFI). It was renamed to “Directorate General of Forces Intelligence” (DGFI) afterwards.

        উইকিপিডিয়ার ডিজিএফআই পোস্টটি শুরুই হয় IT দিয়ে, তাহলে What was this IT that once was reformed and then was renamed?

        বিডিমিলিটারি.কম ওয়েবসাইটে আছে Directorate General of Forces Intelligence (DGFI) – Overview.

        The Directorate General of Forces Intelligence (DGFI) is Bangladesh’s premier intelligence agency. It was established by the late president Ziaur Rahman as the Directorate of Forces Intelligence (DFI) in 1977 to protect Bangladesh’s national interest.

        এখানে কিন্তু পরিস্কার DFI জিয়ার দ্বারা ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এখন এই তথ্য ঠিক কি ভুল সেটা আমরা আরো খোঁজাখুঁজি করতে পারি। তার জন্য আমাদের প্রয়োজন হবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শুরু থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ইতিহাসের আরো অনুসন্ধান।

  4. মাসুদ করিম - ৮ নভেম্বর ২০০৯ (৮:২৮ পূর্বাহ্ণ)

    দেখুন এখানেএখানে
    অবশ্য প্রথম আলোর তথ্যসূত্র কী, তা আমি জানি না।

    • মাসুদ করিম - ৮ নভেম্বর ২০০৯ (৩:২৪ অপরাহ্ণ)

      সকালে আমার হাতে মিজানুর রহমান খানের লেখাটা পড়ার সময় ছিল না, কিন্তু এখন পড়ে আমার মনে হচ্ছে মিজানুর রহমান খান ভুল করছেন, আমার মনে হয় এটা হবে ‘মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স’ — এটা বাংলাদেশ আর্মির নিজস্ব গোয়েন্দা উইং, প্রতিটি আর্মিরই তার নিজস্ব ইন্টেলিজেন্স থাকে। আমি ‘মনে হয়’ বলতে বাধ্য হচ্ছি কারণ আমার হাতে প্রমাণ নেই, তবে এবিষয়ে আমার বিভিন্ন সময়ের বিচ্ছিন্ন পঠন-পাঠন বলছে ১৯৭৫ সালে ডিএফআই ছিল না, ডিএফআই-এর যাত্রা শুরুই হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। আর বিডিমিলিটারি.কম এর এই বাক্যটি It was established by late president Ziaur Rahman as Directorate of Forces Intelligence(DFI) in 1977-এতে তো স্পষ্ট যে ডিএফআই ১৯৭৭ সালেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

  5. মাসুদ করিম - ১৪ মে ২০১৪ (৪:০৬ অপরাহ্ণ)

    ডিজিএফআইকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা সমুন্নত রাখতে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরকে (ডিজিএফআই) সব হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    ঢাকা সেনানিবাসে বুধবার সকালে ডিজিএফআইয়ের দরবারে তিনি এ আহ্বান জানান।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় ডিজিএফআইকে ‘যথেচ্ছ ভাবে’ ব্যবহার করা হয়েছে। এই সংস্থাকে যথেচ্ছ ব্যবহার করে জাতির কাছে এর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। আমরা চাই, এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে উঠুক। প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম সমুন্নত থাকুক, জনগণের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস থাকুক।”

    সংস্থাটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানকে রক্ষা তথা গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতাকে সমুন্নত রাখার জন্য সব রকমের হুমকি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।”

    ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট পরবর্তী সময়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংবিধান লংঘন করে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল শুরু হয়। আর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলে এই সংস্থা ব্যবহৃত হয়।”

    ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের আগে পর্যন্ত ডিজিএফআই’কে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হতো এবং ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময় এর ব্যাপকতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছিল বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

    ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর ওই বছরের ২০ জানুয়ারি ডাইরেক্টর অফ ফোর্সেস ইন্টিলিজেন্স (ডিএফআই) গঠন করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সূচনার পর থেকে সময়ের পরিক্রমায় এই সংস্থার কাঠামোগত এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে।”

    তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে সমুন্নত এবং গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার মধ্য দিয়ে ডিজিএফআই পুনরুদ্ধার হওয়া গৌরব আরো বৃদ্ধি করতে পারবে।
    দরবারে প্রধানমন্ত্রী ডিজিএফআই সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

    এসময় প্রধানমন্ত্রী ভেজাল বিরোধী অভিযোনের পাশাপাশি এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।

    দরবারে প্রধানমন্ত্রী ডিজিএফআইয়ের নতুন মনোগ্রাম উন্মোচন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর হাতে নতুন মনোগ্রামের একটি ক্রেস্ট তুলে দেন ডিজিএফআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আকবর হোসেন।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ডিজিএফআইয়ের উন্নয়নে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি ডিজিএফআইয়ের সদস্যদের ৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধিরও ঘোষণা দেন তিনি।

    তিনি বলেন, “আমাদের সরকার প্রথমবারের মতো ডিজিএফআইয়ের সকল স্তরের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের জন্য স্ব স্ব মূল বেতনের ৩০ শতাংশ হারে বিশেষ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

    বেতন বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত চলতি মাস থেকেই কার্যকর হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
    দরবারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরো ছিলেন তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিক।

  6. মাসুদ করিম - ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৮:১১ পূর্বাহ্ণ)

    প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রথমেই মাহফুজ আনাম বলেন, তখন ‘সবাই’ এই কাজ করছিল।

    এরপর সূত্রবিহীন খবর যাচাই না করে প্রকাশকে ‘বিরাট ভুল’ হিসেবে স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, তখন এই খবর প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই তাদের সরবরাহ করেছিল।

    ডেইলি স্টারের ওই সময়কার ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার দৈনিকটির অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করেন।

    Daily Star Editor Mahfuz Anam admits to publishing DGFI-fed baseless stories

    The Daily Star Editor Mahfuz Anam has admitted to his ‘biggest mistake’ in journalism, saying it was wrong of him to run corruption stories against Sheikh Hasina during the 2007-8 military-controlled caretaker regime.

    Speaking at a panel discussion on ATN News on Wednesday, Anam told talk-show host Munni Saha that his paper had been fed those graft stories by the military intelligence outfit DGFI.

    Running those graft stories against Hasina based on unsubstantiated DGFI information was “my biggest mistake”, said Anam, after being pressed hard by anchor Saha and fellow panellist bdnews24.com’s Gazi Nasiruddin Ahmed.

    “It was a big mistake as an editor, in my journalism career,” said Anam who, in the discussion, was speaking about freedom and responsibility of the media. “I admit it.”

    The private TV station organised the discussion on Wednesday to mark the English-language newspaper’s 25th anniversary.

    Saha started the discussion with reference to the allegations that The Daily Star had played a controversial role during the caretaker government regime. Anam attempted to brush the allegations aside.

    Nasiruddin Ahmed, bdnews24.com’s Head of Current Affairs and Editorial Policy Coordinator, then tried to refresh Anam’s memory about some reports the newspaper had run at the time.

    The Daily Star is widely criticised for ‘backing’ the army-installed government, led by former bureaucrat Fakhruddin Ahmad and armed with sweeping emergency powers to curb media and civil rights.

    At the initiative of the Centre for Policy Dialogue, The Daily Star and its sister concern Bangla-language daily Prothom Alo made the ground welcoming an unconstitutional government with a campaign for ‘depoliticisation’ through citizens’ dialogue across the country, critics say.

    Anam wanted specific examples when Saha raised the issue in the discussion.

    Nasiruddin Ahmed then mentioned a report, published in the newspaper, that accused Sheikh Hasina, now the prime minister, of taking bribes.

    The report referred to a confession given by detained Awami League leader Sheikh Fazlul Karim Selim without attributing the allegation to a source.

    Political analysts say there was an attempt of character assassination of Hasina and former prime minister Khaleda Zia to banish them from Bangladesh’s politics. The attempt is called ‘Minus Two Formula’.

    The Daily Star ran similar reports against Khaleda Zia.

    When Saha spoke about the ‘Formula’, Anam defended himself saying, “Everyone did the same.”

    But he had to go back on his words and eventually admit that it was a “big mistake” to publish news fed by the DGFI.

    On several occasions, Hasina has criticised the stance the newspaper took at that time.

    Transcom Group, controlled by businessman Latifur Rahman, who in 2007 was named on a list of “corrupt individuals” by the military-run government; Abdur Rouf Chowdhury of Rangs Group and founder Editor SM Ali invested in the owning company Mediaworld.

    After SM Ali’s death, majority owner Latifur Rahman appointed former Unesco communications officer Mahfuz Anam, who had some stakes in the company, as editor.

    The Daily Star is celebrating its 25th anniversary with the theme – ‘Celebrating 25 Years of Journalism without Fear or Favour’.

    Referring to the theme, bdnews24.com’s Nasiruddin Ahmed asked Anam, “…did you publish such news during the emergency rule driven by fear? And do you refrain from publishing news against foreign donors or NGOs as a favour?”

    Anam did not answer the questions.

    In the discussion, the editor of the print newspaper also acknowledged the importance of Internet-based newspapers and spoke of plans to revamp his publication.

    • মাসুদ করিম - ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৬:৪৯ অপরাহ্ণ)

      Stop harassing Mahfuz Anam

      There were at least 200 headlines that failed to meet reporting or journalistic standards in that paper in those two years. People are only talking about two – a particular one about Sheikh Hasina, and possibly one on Khaleda Zia and the latter’s former personal aide Mosaddek Ali Falu.

      There are hundreds of other headlines that could be questioned in the 25 years of The Daily Star. Questions can be raised about stories published as well as those not published or covered at all. The paper is just one of many Bangladeshi media outlets that do not practise what they preach.

      What Sajeeb Ahmed Wazed Joy, the aggrieved son of Sheikh Hasina, possibly referred to when he took to Facebook on 4 February, was the “civil society” campaign – run by the foreign-funded CPD, The Daily Star, Prothom Alo and Channel i – in the run up to the 1/11 takeover in 2007. Meritocracy was all that mattered, they propagated, and “depoliticisation” was the solution.

      The campaign and the comment pieces on the front pages in the two papers would have been forgotten footnotes of media and political history if the military-installed caretakers had not taken over and done what they did at the behest of a section of the army and its rogue officers then dominating the intelligence outfit DGFI.

      Joy argued, in his own way, that the campaign and the subsequent DGFI-orchestrated media onslaught against the likes of his mother led to their detention, harassment, trial on false charges and solitary confinement.

      One would obviously agree with editor Mahfuz Anam that The Daily Star was not alone in publishing the badly-written motivated reports of the DGFI in 2007-8. Its sister concern, Prothom Alo, did the same and even went much further to prepare the ground for any planned offensive from the so-called joint forces that operated mostly under the command of the DGFI. One would remember reading stories – often carried simultaneously by several newspapers – about politicians and business people who would be prosecuted, eventually unsuccessfully, because of lack of professional skills on the part of the prosecutors or because there was simply no merit in the cases framed.

      The language and the flaws and the frail structure of those news stories would give all the clues to any experienced media professional about the source of those “stories”. The newspapers did not even try to make those reports look credible. Not even The Daily Star, then and now the most-circulated English broadsheet in Bangladesh.

      On one occasion, one particular former minister of the immediate past BNP government was the target. Prothom Alo devoted its entire front page to stories relating to alleged corruption of that politician. Unlike many of his peers, the politician, who died in July 2010, was never detained or prosecuted but fell out with his party leader because he had to turn “reformist” or else he would be prosecuted.

      Those were difficult days for a new news outfit, suddenly shot into prominence with 24/7 updates in two languages reaching millions in Bangladesh and beyond. The vow that no story would be published without each piece of information being attributed to a named source saved bdnews24.com. DGFI operatives wouldn’t be willing to be quoted for any such story, and the unsigned reports on plain paper made no sense for the brave professionals then part of the reporting team as well as the newsroom of Bangladesh’s first Internet-only news outlet.

      The first list of 50 “corrupt” people reached the newsroom of bdnews24.com faster than any other on 18 February 2007, several of the senior reporter-colleagues assured. (I remember being surrounded by my colleagues in front of our offices at Dhanmondi Road 27. They didn’t have a convincing argument, they were told.)

      No letterhead and no signature and no cover letter, so the pace of delivery failed to make the desired impact. The list was not published by bdnews24.com immediately, while all other news outlets seized the “opportunity”.

      These news outlets did not name a source of the crucial information in the banner-headlined story that tainted those 50 as corrupt. They did not even bother to describe the 50 as suspects.

      bdnews24.com eventually published the story – the following day, roughly 18 hours after it had obtained the list. The Cabinet member in charge of the home ministry and head of the practically army-run National Committee on Corruption and Serious Crimes confirmed that the list published in the newspaper on the day had indeed been released by the authorities. The bdnews24.com story called them “suspects”, which then led other media outlets to use the word while publishing the subsequent two lists.

      Tough journalistic calls had to be made in those days. On one occasion, one of the bdnews24.com news editors at the time received 26 calls from a DGFI colonel to remove a story – a Sheikh Hasina interview aired on the BBC. No other news outlet carried the item. “This is the 26th call I have received from that colonel, what do I do now?” He kept doing what he did best – writing news copies.

      Prothom Alo fell into its own trap when it had to publish the third list that included, ironically, its owner Latifur Rahman, who also majority-owned The Daily Star. “Had they only followed the basics of reporting …,” the otherwise untainted businessman Latifur Rahman was reminded by a journalist of bdnews24.com at the formal launch of the Motijheel offices of ABC Radio which he had just acquired.

      But what really did motivate Mahfuz Anam (or for that matter Prothom Alo) to do what he did? Was he really acting under duress? It was clear many of the others were. But were Anam or Prothom Alo?

      The answers are known to anyone who followed the developments at the time. But history needs recounting for those who were, say, 13 or 14 at the time and are now in their early 20s.

      An important question is: Did Mahfuz Anam or Star do it because others were doing it too?

      Were they following or leading? What were the compulsions for Star or Mahfuz Anam or others who did it?

      Then again, the others have not sought to brand their years of work as “… years of journalism without fear or favour”.

      If Mahfuz Anam was fearless, then he was doing the army-run caretaker administration a favour. Possible, because he had advocated such a government run by those from outside the regular, legitimate political process.

      “This is our government … we brought this government … so you have to listen to what we say” became the most famous quote attributed to Mahfuz Anam. The statement purportedly made at a meeting with the interim Cabinet member responsible for the information ministry which was attended by dozens of editors has been referred to time and again. One senior journalist, Reazuddin Ahmed, when asked by a live TV talk-show host on 10 Feb, refused to confirm the incident saying he was not present at that meeting. Another senior journalist, Amanullah Kabir, the founding editor of Amar Desh, immediately phoned in to tell the live TV viewers that he was, along with the live TV show participant Reazuddin Ahmed, present and that such a statement had indeed been made by Mahfuz Anam. The senior journalist on the live show did not protest his long-time comrade in the trade union movement.

      Coming back to the fear-or-favour question, if Mahfuz Anam was not doing them a favour, then he was doing it out of fear. What was he afraid of? He had money; Star was the most cash-rich paper at the time, with a much bigger kitty than its sister Prothom Alo because of its very low circulation but almost equal advertisement revenue to that of its vernacular sister. It is a fact that all other outlets were suffering a cash crisis and failing to pay their staff. There were papers and TV stations where journalists did not get paid for months.

      One would recognise the fact that Mahfuz Anam was not acting under any duress during the 2007-8 army-caretaker regime. He backed it, and so did many others. He has widely been credited with being one of those who had worked towards creating a professional-politician-free political establishment in Bangladesh. Was it a crime? This country, strangely though, has never been unanimous on the issue. Some members of civil society believe the urban elite with some academic or commercial or bureaucratic credentials are better poised to run the affairs of the state. He was one of those and hence supported the likes of Muhammad Yunus. There are of course those that still keep faith in the “half-educated” politicians made accountable through perennially-flawed balloting in a country where fairness means equal opportunity to rig the elections.

      Mahfuz Anam can be forgiven for various reasons for what he did.

      The Daily Star editor was only being overly ambitious, and clearly saw an opportunity to be a major player in politics. The only problem was that he, along with his civil society comrades, was trying to cut corners to gain political power and in the process maligning senior politicians who could stand in their way. His role in the botched attempt by Muhammad Yunus to float a political party was well-known. Many journalists even knew who hosted the private meetings and what was discussed. And public meetings of that planned political party had the blessings of the army-run administration while all other political actors – including the two major parties and their top leaders – were either officially banned from having any or detained.

      Arguments have been aplenty in favour of Mahfuz Anam’s pursuit of political objectives; there are instances galore in the nation’s history, his supporters say. Not all precedents are good enough to be followed, detractors have argued.

      There are many, going by the number of newspaper comment pieces, that insist on not blaming Mahfuz Anam for what he did. Because he did it all in good faith. He believed it was the right thing to do under those circumstances. The only problem was he did not know or realise it was not the job of a journalist. He realised that only when he was faced with questions.

      Mahfuz Anam must be forgiven, for he had had very little experience in journalism – absolutely no experience in news-gathering and no time spent in the newsroom let alone managing it. Let’s remind everyone of that famous statement by CP Scott, the much-revered editor of The Guardian: Comment, which the Star editor clearly enjoys writing, is free, but facts are sacred.

      The editor is being profusely praised for admitting his “mistakes”. Few are pointing out he did so only when he was presented with evidence beyond any reasonable doubt. Until the last second during the ATN News talk-show drama, he had sought to deny any wrongdoing.

      The argument that did the rounds immediately after he had come under fire for the “admission” was ‘at least he has admitted it; others haven’t’.

      Then three more questions have been raised: 1) why after so many years; 2) why others not being subjected to the same kind of questioning or 3) why others not being named.

      The counter-argument has been very simple: the others have not made the mistake he has — bragging about “journalism without fear or favour” and then appearing on a talk show to discuss that ahead of his anniversary celebrations. The third question was answered on the show by Mahfuz Anam himself – everyone did it. Seconds later, he admitted “not everyone”.

      Adding to all the hoopla about Mahfuz Anam is the well-known jealousy among some media professionals who believe he got more than he deserved. Anam is not the only one without the required skills or qualifications to have reached the pinnacle of positions in a particular trade. This country is full of such examples. So why blame Mahfuz Anam alone?

      He has done very well – after the sad and untimely demise of founding editor S M Ali – steering the paper to top position as competitors perished one by one. Of course the competitors helped; they were busy shooting themselves in the foot.

      One is right arguing that he hasn’t been able to do much to promote good journalism but has quite ably kept afloat Bangladesh’s only English newspaper of some standing. More importantly, for its investors at least, he has made more money than any other newspaper since it broke even around the late 1990s.

      With the advent of the New Media, the print edition of The Daily Star is under pressure. And it must muster all the support it can. The discussion must not be about individuals here; the concern should be about the institution. Let’s try to save this paper.

      We do not support the way he is being harassed or intimidated. The number of cases is mind-boggling and the amount of money being sought in damages staggering. Let this not turn into a personal or political vendetta.

      Some tend to suggest that slaughtering one goat will not solve the problem. The counterpoint is, if one goat is found infected with the deadly virus, the goat needs to be taken care of; the cull takes place when all others are identified.

      We cannot ask the individuals who have gone to courts around the country to stop suing Anam or asking for damages, but if there’s a government hand in it – as alleged or perceived by some people – we ask the government to put a stop to all this.

      We ask the politicians in power to be more magnanimous and not be vengeful. An eye for an eye is not the right approach here. They should be able to forgive and forget, and move on.

      Let his readers punish him, or his employers assess him. We ask the management of The Daily Star to introduce a proper editorial process that the paper clearly lacks; that would be one major long-term institutional step towards avoiding any such “mistakes” in future. We must save this newspaper.

      Some people have tried to instill a sense of guilt in us because we brought the issue to the public domain. A colleague of mine asked him those difficult questions on 3 February when the show host raised the topic and the Star editor made a faux pas by admitting that those stories were fed by DGFI. And then we did a story because of the magnitude of what he said in public, on live TV, for the first time, although many of us had known before that he and many others did all that. And to those that seek to portray us as the ones out to destroy an individual, who happens to be Mahfuz Anam in this particular case, we only say this: There was nothing written against him as a result of investigative journalism, which some say is a big favour done to him and his spouse – the latter runs something called Manusher Jonno Foundation.

      If we all followed that SPJ code of ethics that emphasised media organisations playing a watchdog role when it came to media malpractice, things would have been a lot better for all of us in the media.

      But for now, all said and done, we stand by Mahfuz Anam.

    • মাসুদ করিম - ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৬:৫৪ অপরাহ্ণ)

      তাদেরও বিচার হবে: প্রধানমন্ত্রী

      প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার সরবরাহ করা মিথ্যা তথ্য প্রচারের ষড়যন্ত্রে জড়িত সম্পাদকদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

      সোমবার মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

      ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ডিজিএফআই এর সঙ্গে উনার কী সখ্যতা ছিল? উনাকে যা ধরিয়ে দিতেন তাই হুবহু ছাপিয়ে দিতেন। যুদ্ধাপরাধীদের যেমন বিচার হচ্ছে, ঠিক সেভাবে একদিন তাদেরও বিচার হবে।”

      তাকে দুর্নীতিবাজ বানানোর চেষ্টায় ওই সম্পাদকরা উঠে পড়ে লেগেছিলেন বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

      “দুটি পত্রিকা ডিজিএফআইয়ের লিখে দেওয়া মিথ্যা সংবাদ ছাপিয়ে সে সময় রাজনীতি থেকে আমাকে এবং খালেদাকে চিরদিনের জন্য সরিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়েছে। ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম আমাকে দুর্নীতিবাজ বানানোর জন্য বহু চেষ্টা করেছিলেন। তিনি স্বীকারও করেছেন।”

      প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সত্য কখনও চাপা থাকে না। মাহফুজ আনামকে একটা কথাই বলব- অনেক চেষ্টা করেছেন। আপনার পিতৃতুল্য ওয়ার্ল্ড ব্যাংকও দুর্নীতিবাজ বানাতে পারেনি। আর আপনি…।

      ২০০৭ সালে এক-এগারোর প্রেক্ষাপট তৈরিতে ষড়যন্ত্রে জড়িতদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “ডিজিএফআই দেশ চালাবে না, দেশ চালাবে সরকার প্রধান।”

      বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অসংখ্য মামলা হয়; বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ বহু রাজনীতিবিদকে সে সময় গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

      প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই সে সময় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতির খবর’ সরবরাহ করেছিল জানিয়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি এক টেলিভিশন আলোচনায় ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, যাচাই না করে তা প্রকাশ করা ছিল ‘বিরাট ভুল’।

      তার ওই স্বীকারোক্তির পর আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপি নেতারাও ডেইলি স্টার ও পত্রিকাটির সম্পাদকের ওই ভূমিকার সমালোচনায় মুখর হন।

      এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির অভিযোগে হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে কয়েক অর্ধশতাধিক মামলা হয় মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে।

  7. মাসুদ করিম - ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ (৭:৫৭ অপরাহ্ণ)

    নির্যাতিত সাংবাদিক তাসনিম খলিলের সাক্ষাৎকার

    ডিজিএফআইয়ের সঙ্গে ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ ছিল মাহফুজ আনামের!

    এক-এগারোর সময় ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের সঙ্গে ডিজিএফআইয়ের (সেনা গোয়েন্দা সংস্থা) বিশেষ ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ ছিল। সে কারণেই সংস্থাটির পছন্দ হয়নি বলে ডেইলি স্টারের ‘ফোরাম’ নামের ম্যাগাজিনের একটি সংখ্যা তখন বাজার থেকে প্রত্যাহারও করা হয়েছিল। ওই সংখ্যায় তারেক রহমান, ডিজিএফআই এবং জঙ্গি মদদের ওপর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছিল। বাংলা ট্রিবিউনকে এমন তথ্যই জানিয়েছেন পত্রিকাটির সাবেক সাংবাদিক তাসনিম খলিল।
    তাসনিম খলিল এক-এগারোর সময় ডেইলি স্টারের সম্পাদনা সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি এক পর্যায়ে ডিজিএফআইয়ের হাতে আটক হয়ে নির্যাতনের শিকার হন। ডেইলি স্টারের ফোরাম ম্যাগাজিনে ‘তারেক রহমান, ডিজিএফআই এবং জঙ্গি মদদের’ বিষয় নিয়ে প্রতিবেদনটি তিনিই করেছিলেন। তাসনিম ছাড়া পাওয়ার পর বাংলাদেশ ছেড়ে দেশের বাইরে চলে যান। এখন তিনি সুইডেন থেকে প্রকাশিত ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক।
    তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া লিখিত সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘মাহফুজ আনামের উচিৎ হবে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার স্বার্থে ওই সময়ে তার পত্রিকায় যা হয়েছে তা পুরোপুরি প্রকাশ করা। ডেইলি স্টারে সেই সময় ডিজিএফআইয়ের কনডুইট বা প্ল্যান্ট কে বা কারা ছিলেন তা জানানো। এজন্য একটি কমিশনও করা যেতে পারে।’
    তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘জানার পরও নির্যাতনের মাধ্যমে আদায় করা তথ্য প্রকাশ সাংবাদিকতার কোন নীতিমালায় পড়ে?’ বলেছেন, ‘২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসে আমাকে গ্রেপ্তারের পূর্বে বিভিন্ন রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীদের চরিত্র হননকারী যে খবরগুলি ডেইলি স্টারে ছাপা হয়েছিল, সেগুলো কাদের অনুমতি বা প্ররোচনায় প্রকাশিত হয়েছিল? এ প্রশ্নের জবাব সম্ভবত মাহফুজ আনামই ভালো দিতে পারবেন।’
    তিনি দাবি করেন, ‘রাজনীতিবিদদের নির্যাতন করে আদায় করা বক্তব্য তখন ডেইলি স্টারসহ আরও অনেক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বলা হচ্ছে তারা অডিও টেপ শুনে লিখেছেন। কিন্তু এগুলো ছিল ভিডিও টেপ। আর তাতে নির্যাতনের চিত্র স্পষ্ট ছিল। আর এ কারণেই চালাকি করে অডিও টেপের কথা বলা হচ্ছে।’
    তাসনিম খলিলের লিখিত সাক্ষাৎকারটি এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো।
    বাংলা ট্রিবিউন: আপনিতো এক-এগারোর সময় ডেইলি স্টারে কর্মরত ছিলেন। তখন আপনাকে আটক এবং নির্যাতনের ঘটনাটি বলবেন? কেন এমন করা হয়েছিল?

    তাসনিম খলিল: ২০০৭ সালের মে মাসের ১১ তারিখ রাতে আমি ডিজিএফআইয়ের হাতে আটক হই। আমার সেন্ট্রাল রোডের বাসা থেকে আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে সেনানিবাসের ভেতরে একটি নির্যাতনকেন্দ্রে আটকে রাখা হয়। আমার চোখ বেঁধে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীগুলির বিভিন্ন অনাচার নিয়ে আমার রিপোর্টিং ও বাংলাদেশে সামরিকতন্ত্রের সমালোচনাই সম্ভবত ছিল আমার অপরাধ। আমার আটক ও নির্যাতনের ব্যাপারে আমার জবানবন্দির ভিত্তিতে ২০০৮ সালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, আগ্রহীরা ‘The torture of Tasneem Khalil: How the Bangladesh military abuses its power under the state of emergency’ শিরোনামের উক্ত প্রতিবেদনটি পড়ে দেখতে পারেন।

    বাংলা ট্রিবিউন: মাহফুজ আনাম তো বিবৃতি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ব্যক্তিগত কারণে আপনি আটক হয়েছেন।

    তাসনিম খলিল: মাহফুজ আনামের যে বিবৃতিটির কথা আপনি বলছেন, সেটি তিনি দিয়েছিলেন আমার সঙ্গে কথা বলেই, আমাকে রক্ষার জন্য। এর জন্য তার প্রতি বিন্দুমাত্র কোনও ক্ষোভ আমার নেই। ডিজিএফআইয়ের জন্য বিবৃতিটি ছিলো তাদের ‘ফেস সেভিংয়ের’ অংশ। এ ব্যাপারে আমি এইচআরডাব্লিউ কর্তৃক প্রকাশিত জবানবন্দিতে বিস্তারিত বলেছি, আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন।

    বাংলা ট্রিবিউন: আপনি মাহফুজ আনাম, ডেইলি স্টার এবং এক-এগারো নিয়ে চলমান বিতর্ক নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন?

    তাসনিম খলিল: এই বিতর্কটি কিন্তু বেশ কৌতুহল উদ্দীপক। এখানে একটি দল মাহফুজ আনাম কতো ভালো লোক ও মহান সাংবাদিক সেটি প্রমাণে ব্যস্ত, অন্যদিকে আরেকটি দল মাহফুজ আনামকে কেন শুলে চড়ানো জরুরি সেটি প্রমাণে ব্যস্ত। মাহফুজ আনাম কাণ্ডের পর বাংলাদেশে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে যে সমস্যাটি নিয়ে সকলের কথা বলা উচিত ছিল, তা নিয়ে কিন্তু কেউ কিছু বলছেন না।

    এক-এগারো পরবর্তী সেনা শাসনকালে শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীদের তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনকেন্দ্রে আটক রাখা হয়েছে, অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে। আবদুল জলিলের মতো বর্ষীয়ান রাজনীতিককে নির্যাতন করে বানোয়াট জবানবন্দি দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এইসব নির্যাতনলব্ধ তথ্য, যাকে ইংরেজিতে আমরা বলি ‘টর্চার-টেইন্টেড ইনফরমেশন’, ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমে চালান দিয়েছেন, আর সম্পাদক সাহেবরা ছেপেছেন।

    আপনি একটি ব্যাপার লক্ষ্য করবেন। কিছু কিছু অতি চালাক সাংবাদিক ইদানিং বলেন, ওই জবানবন্দিগুলো নাকি ‘অডিও টেপে’ এসেছিল। তারা ভিডিও টেপকে ‘অডিও টেপ’ বানিয়ে দেন কেন? কারণ ভিডিওগুলোতে কিন্তু সেই টর্চার চেম্বারটি স্পষ্ট দেখা যায়। দেখা যায় কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে আবদুল জলিলকে বসিয়ে রাখা হয়েছে, পিছনের সিলিং থেকে যেটিকে আমরা বলি ‘টর্চার রোপ’ সেটি ঝুলছে।

    বাংলাদেশের সংবিধানে যে কয়টি অপরাধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, টর্চার বা নির্যাতন তার একটি। এক-এগারো পরবর্তী সময়ে ডিজিএফআই ব্যাপকভাবে এই অপরাধটি করেছে। আমি একজন শিক্ষকের কথা জানি, যাকে রাতের আঁধারে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফেরত নিয়ে গিয়ে সামরিক বাহিনী বিরোধী দেয়াল লিখনগুলি চেটে পরিষ্কার করতে বলা হয়েছিল। এক সাংবাদিককে পিটিয়ে তিনদিনের জন্য অচেতন করে ফেলা হয়েছিল। সে যাই হোক, মূল সমস্যাটি কিন্তু এখানে, রাজনীতিকদের টর্চারের মাধ্যমে বানোয়াট জবানবন্দি আদায় করে ডিজিএফআই সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, আর সেই সব জবানবন্দি ছেপে সম্পাদকরা সংবিধান লঙ্ঘনে ইন্ধন দিয়েছেন।

    সেই সময় গণতন্ত্রের পক্ষে কে কতগুলি সম্পাদকীয় নিবন্ধ রচনা করেছেন তার একটি হিসাব আমরা সম্প্রতি পেয়েছি। কিন্তু নির্যাতন আর সংবিধান লঙ্ঘনে কীভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় বা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয় তা অবশ্য আমি ঠিক জানি না।

    বাংলা ট্রিবিউন: আসলে তখন পরিস্থিতি কেমন ছিল? ডেইলি স্টারের পক্ষে কি চাপ উপেক্ষা করা সম্ভব ছিল?

    তাসনিম খলিল: এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত শ্রদ্ধাভাজন জায়েদুল আহসান পিন্টুর একটি কলামের কথা আমাকে বলতেই হয়। ফেসবুকে আমার বন্ধু তালিকায় আছেন এমন অনেক প্রাজ্ঞজনই কলামটির প্রশংসা করছেন দেখে সেটি আমি পড়তে গিয়ে দেখলাম, পিন্টু আমার কথাও লিখেছেন। তিনি কুলীন সাংবাদিক, আমার মতো নগণ্য একজন সংবাদকর্মীর নামটিও তার মনে থাকবে না, আমাকে তিনি ‘ছেলেটা’ হিসেবে বর্ণনা করবেন সেটাই স্বাভাবিক। তবে আমি যে ডেইলি স্টারের ‘কন্ট্রিবিউটর’ (প্রদায়ক) ছিলাম না, বরং একজন বেতনভুক্ত সম্পাদনা সহকারী ছিলাম, তা তিনি জানেন না দেখে আমি একটু বিব্রতই হয়েছি। সে যাই হোক, পিন্টুর কলামটি কিন্তু কিছু নতুন কৌতুহলী প্রশ্নের জন্ম দেয়।

    পিন্টুর দাবি বা ভাষ্যমতে আমার (কন্ট্রিবিউটার ছেলেটার) আটক ও নির্যাতনের ঘটনার পরই মাহফুজ আনাম বিচলিত হয়ে ডিজিএফআইয়ের সরবরাহকৃত বানোয়াট খবরগুলো ছাপার অনুমতি দেন। এখানে প্রশ্ন থাকে ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মে মাসে আমাকে আটকের আগে থেকেই বিভিন্ন রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীদের চরিত্র হননকারী যে খবরগুলো ডেইলি স্টারে ছাপা হয়েছিল, সেগুলো কাদের অনুমতি বা প্ররোচনায় প্রকাশিত হয়েছিল? এ প্রশ্নের জবাব সম্ভবত মাহফুজ আনামই ভালো দিতে পারবেন।

    এক-এগারো পরবর্তী সময়ে ডিজিএফআই কর্তৃক সরবরাহকৃত বানোয়াট খবর ছাপানোর ব্যাপারটি কিন্তু নতুন কিছু ছিল না। বিশ্বের অনেক জাতীয় নিরাপত্তাবাদী রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন সংবাদপত্রে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বশংবদ বা পালিত কিছু সাংবাদিক থাকেন। এরাই গোয়েন্দা সংস্থাগুলির ফরমায়েশি খবরের কনডুইট হিসেবে কাজ করেন। তারা বিভিন্ন সুযোগসুবিধার বিনিময়ে (আর্থিক সুবিধা, ‘স্কুপ’ এর লোভ) গোয়েন্দা সংস্থাগুলির ফরমায়েশ মতো খবর তৈরি করেন এবং প্রকাশ করেন। এটি তারা এক-এগারোর আগেও করেছেন, এক-এগারো পরবর্তী সেনা শাসনকালেও করেছেন, এখনও করছেন। ডেইলি স্টারে সেই সময়টিতে ডিজিএফআইয়ের কনডুইট বা প্ল্যান্ট কে বা কারা ছিলেন এটি অবশ্য জায়েদুল ইসলাম পিন্টু নাম-পদবীসহ বলতে পারবেন।

    বাংলা ট্রিবিউন: মাহফুজ আনাম তো বলেছেন ডিজিএফআইয়ের চাপে করেছেন। এটা কী যথেষ্ঠ নয়?

    তাসনিম খলিল: এ ব্যাপারে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের জন্য আমার খুবই সরল একটি প্রস্তাব আছে। মাহফুজ ভাইয়ের সদিচ্ছা থাকলে প্রস্তাবিত পদক্ষেপটি তিনি আগামীকালও নিতে পারেন অথবা আগামী সপ্তাহেও নিতে পারেন। আমি মনে করি, ডেইলি স্টারের এখন উচিত একটি ট্রুথকমিশন প্রতিষ্ঠা করা। সর্বজন শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে এই কমিশনটির প্রধান করা যেতে পারে। শ্রদ্ধেয় হামিদা হোসেনের মতো মানবাধিকার কর্মীদের কমিশনার করা যেতে পারে।

    প্রস্তাবিত ট্রুথ কমিশনটির কাজ হবে সেই সময়টিতে ঠিক কী হয়েছিলো সেই সত্যটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করা। ঠিক কোন রিপোর্টগুলি নির্যাতনলব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়েছিল; ডিজিএফআইয়ের যেসব কর্মকর্তা এসব তথ্য সরবরাহ করেছিলেন, তাদের নাম-পদবীসহ পরিচয়; ডেইলি স্টারের কোন সাংবাদিক তখন ডিজিএফআইয়ের কনডুইট বা প্ল্যান্ট ছিলেন, তাদের পরিচয়। এই বিষয়গুলি নিয়ে ট্রুথ কমিশন মাহফুজ আনাম, জায়েদুল আহসান পিন্টু এদের জবানবন্দি শুনবেন। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের বা তাদের পরিবারের সদস্যদের (যেমন সজীব ওয়াজেদ জয়) কথাও শুনবেন। তারপর একটি পরিপূর্ণ তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হবে ডেইলি স্টারে। ২০০৭ সালে তারা যদি ডিজিএফআইয়ের দেওয়া টর্চার-টেইন্টেড ইনফরমেশন ছাপতে পারেন, তবে ২০১৬ সালে নিশ্চয়ই তারা এই ট্রুথ কমিশনের রিপোর্টটিও ছাপবেন।

    এর মাধ্যমে অতীতের ভুলটি যেমন সংশোধনের সুযোগ সৃষ্টি হবে, তেমনি বর্তমান এবং ভবিষ্যতের ভুলগুলিও নিয়ন্ত্রিত হবে। গণমাধ্যমে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সরবরাহকৃত তথ্যের যে বাজারটি রয়েছে, সেটি ধ্বংস হবে; গোয়েন্দা সংস্থাগুলির যেসব কর্মকর্তা বন্দি নির্যাতনের মাধ্যমে তথ্য আদায় করে সেই তথ্য সংবাদমাধ্যমে চালান দেন, তারা এহেন অনাচার বন্ধ করবেন; অন্যদিকে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বশংবদ সাংবাদিকরাও নিরস্ত হবেন।

    এ ধরনের ট্রুথ কমিশন প্রতিষ্ঠায় ডেইলি স্টারের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার হবে। মাহফুজ ভাই বলতে পারবেন, এই আমাদের ভুল ছিলো, এই কারণে ভুলটি হয়েছিলো এবং এই পন্থায় আমরা বর্তমান এবং ভবিষ্যতে ভুল করার রাস্তাটি বন্ধ করে দিলাম!

    বাংলা ট্রিবিউন: বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের কী করা উচিৎ?

    তাসনিম খলিল: এ ব্যাপারেও আমার খুবই সরল একটি প্রস্তাব আছে। বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলি ঘোষণা দিয়ে একটি করে বিশেষ প্যানেল প্রতিষ্ঠা করতে পারে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির চাপে যে সমস্ত ভুয়া খবর এখন প্রকাশিত হচ্ছে বা ভবিষ্যতে হবে, সেগুলির বিস্তারিত বিবরণ এই প্যানেলের কাছে গচ্ছিত থাকবে। আবার বিভিন্ন ধরনের হুমকির কারণে যে খবরগুলি এখন প্রকাশ করা যাচ্ছে না, সেগুলির বিস্তারিত বিবরণও থাকবে। ক্ষমতার পালাবদলের সাথে সাথে এই বিবরণগুলিও প্রকাশ করা হবে।

    আমার অনুজপ্রতীম অনেক সাংবাদিকই এখনও বিভিন্ন মহলের চোখরাঙানির বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে জানতে চান। আমি তাদের একটি পরামর্শই দেই, নাম আর তারিখগুলি টুকে রাখো। নেতা-মিনিস্টার আর কর্নেল সাহেবরা যেদিন ইতিহাসের অতল গহ্বরে তলিয়ে যাবেন, সেদিনকার ইতিহাসটি কিন্তু আমরাই লিখবো।

    বাংলা ট্রিবিউন: আপনি এখন কী করছেন?

    তাসনিম খলিল: আমি বর্তমানে সুইডেন থেকে প্রকাশিত ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট’ পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক। এছাড়া সম্প্রতি দক্ষিণ এশীয় ঘাতকবাহিনীগুলি ও এ অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বিষয়ক আমার একটি বই বের হয়েছে লন্ডনের প্লুটো প্রেস থেকে। ২০০৭ সালে আমি সম্পাদনা সহকারী হিসেবে ডেইলি স্টারে কর্মরত ছিলাম। আটক এবং নির্যাতনের পর ছাড়া পেয়ে সে বছর জুন মাসে আমি সপরিবারে নির্বাসনে আসতে বাধ্য হই।

    বাংলা ট্রিবিউন: আপনার মুক্তির ব্যাপারে মাহফুজ আনাম বা ডেইলি স্টারের কোনও ভূমিকা ছিল?

    তাসনিম খলিল: আমাকে গ্রেপ্তারের অনেক অনেক আগে থেকেই আমি নামে-বেনামে বিভিন্ন ধরনের হুমকি পাচ্ছিলাম। এ ব্যাপারে আমি মাহফুজ ভাইকে বারবার অবহিত করেছি। তিনি খুব একটা আমলে নেননি, বরং আমাকে এই বলে আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন, ডিজিএফআইয়ের সঙ্গে তার এক ধরনের ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ আছে, তাকে না জানিয়ে ডেইলি স্টারের কোনও সাংবাদিকের ব্যাপারে সংস্থাটি কোনও পদক্ষেপ নেবে না। এর মধ্যে অবশ্য ডিজিএফআইয়ের পছন্দ হয়নি বিধায় তিনি ‘ফোরাম ম্যাগাজিনের’ একটি সংখ্যা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। তারেক রহমান, ডিজিএফআই ও জঙ্গি প্রতিপালন বিষয়ে আমার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছিলো সেই সংখ্যাটিতে। আমার আটকের পরে অবশ্য আমার মুক্তির ব্যাপারে তার বিশেষ ভূমিকা ছিলো। বিশেষ ভূমিকা ছিলো তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূতেরও। অন্যদের মধ্যে জাফর সোবহানের কথা বলতেই হয়। আবার বিশ্বব্যাপী শত শত সহকর্মী, সহযোদ্ধারা আমার মুক্তির জন্য লড়েছেন।

  8. মাসুদ করিম - ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ (৮:১৭ পূর্বাহ্ণ)

    ডিজিএফআই ড্রোন আনছে

    প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে ড্রোন ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রতিকূল পরিবেশে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও সব ভিভিআইপি অবস্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম সংযোজন ও সার্ভিল্যান্স কার্যক্রমের জন্য সার্ভিল্যান্স ড্রোন ব্যবহার করবে।
    বাহিনীর আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে এসব পরিকল্পনার কথা লিখিতভাবে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে ডিজিএফআই। গতকাল বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও অংশ নেন মো. ইলিয়াস আলী মোল্লাহ, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ও হোসনে আরা বেগম।
    বৈঠকের কার্যপত্রে দেখা যায়, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের কর্নেল জিএস মো. সাজেদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রের শীর্ষ এই গোয়েন্দা বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য নেওয়া পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৭২ সালের ২ নভেম্বর ডিফেন্স ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিএফআই) নামে যাত্রা শুরু হয়েছিল এই সংস্থার। বর্তমানে সারাদেশে সংস্থাটির ২৩টি শাখা কাজ করছে। আরও চারটি শাখা দ্রুতই কাজ শুরু করবে। বৈঠক
    শেষে সুবিদ আলী ভূঁইয়া সমকালকে বলেন, ডিজিএফআইর প্রধান সমস্যা জনবল সংকট। এ ছাড়া তারা বেশকিছু স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে অফিস চালাচ্ছেন। ড্রোন ব্যবহারের পরিকল্পনাসহ এই বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে তাদের অন্য পরিকল্পনার সঙ্গে সংসদীয় কমিটি একমত হয়েছে।
    বৈঠকে উপস্থাপিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গোয়েন্দা কার্যক্রম চালাতে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি গোয়েন্দা অপারেশন চালাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ ক্রয় করা হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সংস্থার পক্ষে ৩৭টি জিপ, ?ছয়টি পিকআপ, ২৭টি কার ও একটি মাইক্রোবাস কেনা হয়। এ ছাড়া দুটি রিকভারি ভেহিক্যাল ও দুটি মোবাইল ট্র্যাকার ভেহিক্যাল কেনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। জাতীয় স্বার্থে বহির্বিশ্বে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে ও সামরিক কূটনীতির সক্ষমতা তৈরির জন্য নতুন ২০টি প্রতিরক্ষা শাখা ও আটটি কাভার পোস্ট সৃজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জঙ্গি অর্থায়ন রোধে সব ধরনের অনলাইন আর্থিক লেনদেন মনিটরিংয়ের সক্ষমতা অর্জনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ভিভিআইপিদের অবস্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও বিস্ফোরক দ্রব্য/অবৈধ মালপত্র চিহ্নিত করতে ভেহিক্যাল মাউন্টেড ভেহিক্যাল অ্যান্ড কনটেইনার স্ক্যানার সংযোজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সার্বিক গোয়েন্দা কার্যক্রমের জন্য বিগডাটা অ্যানালাইটিংয়ের জন্য মেইনফ্রেম কম্পিউটার স্থাপন করে জাতীয় পরিচয়পত্র, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট, এনবিআরের ডাটাবেজ, ক্রিমিন্যাল ডাটাবেজ ও ফরেনার ডাটাবেজের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স এবং সাইবার সিকিউরিটির সক্ষমতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে ইলেক্ট্রনিক ওয়্যারফেয়ার, ট্রান্সফ্রন্টিয়ার ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা, স্যাটেলাইট মনিটরিং ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা বাড়ানোরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
    আরও বলা হয়, গত বছরের ১৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নতুন আটটি শাখার অনুমোদন দিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে সাতক্ষীরা, দিনাজপুর, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, পটুয়াখালী, পাবনা, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর। এর মধ্যে চারটি শাখা চলতি বছরের ১ আগস্ট অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ শুরু করেছে। এসব শাখার জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ডিজিএফআইর সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আবাসন সমস্যা সমাধানে ২৩ আগস্ট একনেকে ১৫০ কোটি ৭১ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই প্রকল্প ২০১৯ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
    এদিকে বৈঠক শেষে সংবাদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটির পক্ষ থেকে সংস্থাটির কার্যক্রম যুগোপযোগী করতে প্রশিক্ষণ বাড়ানো এবং সন্দেহজনক অনলাইন আর্থিক লেনদেন মনিটরিংয়ের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে ও ক্রসবর্ডার সিকিউরিটি জোরদার করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে আরও বেশি তৎপর ও সম্প্রতি দেশে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিতের সুপারিশ করা হয়েছে।

  9. মাসুদ করিম - ১৮ মে ২০১৭ (৯:০৯ পূর্বাহ্ণ)

    জরুরি অবস্থায় বেআইনিভাবে অর্থ নিয়েছিল ডিজিএফআই: সুপ্রিম কোর্ট

    জরুরি অবস্থার সময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই তার এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছিল এবং তখন তা দেখেও নীরব ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

    তখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে নেওয়া ৬১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ফেরত দিতে হাই কোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে একথা বলা হয়েছে।

    প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়টি মঙ্গলবার প্রকাশের পর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে তোলা হয়েছে।

    হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা আপিল খারিজ করে গত ১৬ মার্চ সর্বোচ্চ আদালত রায়টি দিয়েছিল।

    বিচারপতি সিনহার লেখা ৮৯ পৃষ্ঠার এই রায়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সামরিক বাহিনীর উপর বেসামরিক প্রশাসনের কর্তৃত্ব বজায় রাখার বিষয়েও কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়।

    বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিলেও পেছন থেকে তা চালাচ্ছিল সেনাবাহিনী।

    তখন ব্যাপক ধরপাকড়ের মধ্যে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক টাকা নিয়ে সরকারি কোষাগারে রাখা হয়েছিল।

    ২০১০ সালে জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ২৩২ কোটি টাকা।

    দেশে গণতন্ত্র ফেরার পর ১১টি প্রতিষ্ঠান তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত অর্থ ফেরতে আদালতের দ্বারস্ত হলে হাই কোর্ট তিন মাসের মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে নেওয়া ৬১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা তিন মাসের মধ্যে ফেরতের রায় দেয়। হাই কোর্টের ওই রায়ই বহাল রাখে আপিল বিভাগ।

    সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ডিজিএফআই গঠনের ইতিহাস, তাদের কর্মপরিধি তুলে ধরে বলা হয়, দেশের আইন অনুযায়ী সরকারের পক্ষে এই সংস্থাটির এভাবে অর্থ নেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই।

    রায়ে বলা হয়, কোন ক্ষমতাবলে এবং কীভাবে তারা এই টাকা উদ্ধার করে বা জোর করে নেয়, তার ব্যাখ্যা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল সরকারের। সরকার নীরব থেকেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বেআইনি কাজকে সমর্থন জুগিয়েছে।

    রায়ে বলা হয়, বিশেষ পরিস্থিতি কিংবা সংবিধানের ক্ষমতাবলে জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে কিংবা অন্য কোনো পরিস্থিতিতে সরকারি সংস্থা বিশেষ করে ডিজিএফআইকে আইন বহির্ভূতভাবে জনগণের জীবন, সম্পদ ও ব্যবসায় হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।

    রায়ে আদালত বলেছে, রিট আবেদনকারীদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ ফেরত দিতে আইনগত কোনো বাধা নেই। ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জোর করে আদায় করা এসব অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা যেমন ঝুকিপূর্ণ, তেমনি বিপজ্জনকও।

    জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ওই টাকা সংশ্লিষ্টদের ফেরত দিতে পারত। কিন্তু কী কারণে তা আটকে রেখেছে তা বোধগম্য হচ্ছে না আদালতের কাছে।

    এ্ই মামলার শুনানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেছিলেন, দুটি কারণে ওই টাকা ফেরত দিতে হাই কোর্ট নির্দেশ দিতে পারে না।

    এর প্রথমটি হলো, ওই টাকা সরকারের বিভিন্ন একাউন্টে চলে গেছে। সেটা বিতরণ হয়ে গেছে। তাই সেই টাকা আর ফেরত দেওয়ার সুযোগ নেই। দ্বিতীয়ত, এ টাকা ফেরত দিতে হলে সংসদে আইন পাস করতে হবে।

    এ যুক্তি খণ্ডন করে আদালত রায়ে বলেছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ জোর করে আদায় করা ওই অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে।

    “কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া জনগণের কাছ থেকে অবৈধভাবে নেওয়া টাকা ফেরত দিতে আদালতের নির্দেশনা দেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে। হাই কোর্ট যথাযথভাবেই টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে। এ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য জাতীয় সংসদে আইন করার প্রয়োজন নেই।”

    কে কী পরিমাণ অর্থ ফেরত পাচ্ছে

    # ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড- ১৮৯ কোটি টাকা

    # বসুন্ধরা পেপার মিল লিমিটেড- ১৫ কোটি টাকা

    # মেঘনা সিমেন্ট ইন্ড্রাস্ট্রিজ- ৫২ কোটি টাকা

    # এস আলম স্টিল লিমিটেড- ৬০ কোটি টাকা

    # ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড- ৩৫ কোটি টাকা

    # ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড- ১৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা

    # বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেড-৭ কোটি ১০ লাখ টাকা

    # ইউনিক ইস্টার্ন প্রাইভেট লিমিটেড- ৯০ লাখ টাকা

    # ইউনিক সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড- ৭০ লাখ টাকা

    # ইউনিক গ্রুপের মালিক নূর আলী- ৬৫ লাখ টাকা

    # দি কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোম্পানি লিমিটেড ও বারাউরা টি কোম্পানি লিমিটেড- ২৩৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা

    সামরিক বাহিনী বেসামরিক কর্তৃত্বে

    আপিল বিভাগের রায়ে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে গঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন কাজের প্রশংসা করার পাশাপাশি জাতির জনক হত্যাকাণ্ডসহ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলে এই বাহিনীর কিছু কর্মকর্তার তৎপরতার সমালোচনাও করা হয়।

    ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারিতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে বাধ্য করার বিষয়টিও একই দৃষ্টিতে দেখেছে আদালত।

    তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ সংবিধান লঙ্ঘন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের পদ নিলেও ওই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর নয় বলে মন্তব্য করেছে আদালত।

    রায়ে বলা হয়েছে, উচ্চাভিলাষী কিছু সেনা কর্মকর্তা তখন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। আইন বহির্ভূতভাবে কিছু সেনা কর্মকর্তা নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা প্রয়োগ করে। এর ফলে জনসাধারণের কাছে সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।

    গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্রে সেনাবাহিনীর ভূমিকা ব্যাখ্যা করে দুটি বিপদের কথা রায়ে বলা হয়; একটি হচ্ছে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সামরিক উচ্চাভিলাষ এবং অন্যটি হচ্ছে সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ।

    গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে, তার একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা থাকার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

    প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সংসদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কথা উঠে এসেছে রায়ে; এতে এ বিষয়ে জাতীয় কৌশল প্রণয়ন, তাতে স্বচ্ছতা আনা, বাজেট বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে সংসদের ভূমিকার কথা বলা হয়েছে।

    সরকারের কাছে সামরিক বাহিনীর জবাবদিহির জন্য বেসামরিক প্রশাসনের অঙ্গ হিসেবে বিভাগের কথা বলা হয়েছে রায়ে, যারা সামরিক বাহিনীকে নির্দেশনা দেবে এবং তাদের কাজ তদারক করবে।

    সামরিক বাহিনীতে প্রশিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করার কথা বলা হয়েছে রায়ে, যাদের বেসামরিক প্রশাসনের কর্তৃত্বের নীতির বিষয়ে ধারণা থাকবে, যারা বাহিনীকে রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ এবং দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখবেন।

    রাষ্ট্রে সুসংহত একটি নাগরিক সমাজের উপস্থিতির উপরও জোর দিয়েছে আদালত, যাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও মূল্যবোধের বোঝাপড়াটা ভালো হবে। সামরিক বাহিনীর ভূমিকা ও কাজের পরিধি নিয়ে জনগণের মধ্যে মতৈক্য থাকার কথাও বলা হয়েছে রায়ে।

    প্রতিরক্ষা নীতিসহ সামরিক বিষয়াদিতে বৈচিত্র্যপূর্ণ মতের সন্নিবেশ ঘটাতে সামরিক ঘরানার মধ্যে বেসরকারি একটি গ্রুপের সক্রিয় উপস্থিতির সুযোগ রাখার কথাও বলেছে সর্বোচ্চ আদালত।

    রায়ে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত রায়ের কথা তুলে ধরে বলা হয়, ওই রায়ে আদালত সামরিক আইন জারিকে অনুমোদন দেয়নি। আদালত এদের বেআইনি কাজের জন্য শাস্তি নিশ্চিত করতে বলেছে, যাতে অন্যায়কারীরা জনগণের অধিকার খর্ব করার সাহস না দেখায়।

    ওই রায়ের ধারাবাহিকতায় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে ৭ (ক) অনুচ্ছেদ যোগ হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যদি কেউ সংবিধান বহির্ভূতভাবে এ জাতীয় ক্ষমতা গ্রহণ করে বা সংবিধান স্থগিত করে, তবে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

    রায়ে আশা প্রকাশ করা হয়, সশস্ত্র বাহিনী এমনভাবে কাজ করবে, যাতে তাদের নিয়ে দেশের নাগরিকরা গর্ব করবে, তাদের প্রতি আস্থা অটল থাকবে।

    • মাসুদ করিম - ১৮ মে ২০১৭ (১০:০৭ পূর্বাহ্ণ)

      এই রায়ে ডিজিএফআই-এর জন্মের টাইমলাইন পাওয়া গেল
      ১৯৭২ সালে ডিএফআই, তবে ২০ জানুয়ারি না ০২ নভেম্বর কোনটা ঠিক এপ্রশ্ন থেকে গেল।
      ১৯৭৬ সালের ২৪ আগস্ট ডিজিএফআই।

      After the independence of the country, National
      Security Intelligence (NSI) was created as the sole
      intelligence agency in Bangladesh. However, external
      threat from foreign military left to the creation of
      Directorate of Forces Intelligence (DFI) in 1972.
      The role of the DFI was only limited to sharing intelligence with the Armed Forces. Under President
      Ziaur Rahman’s presidency on 24th August, 1976, DFI
      was improved and renamed as Directorate General of
      Forces Intelligence (DGFI)
      which led to a massive
      modification in the organizational structure of the
      agency and the agency was transformed from or into
      defensive to an offensive intelligence unit. The
      DGFI’s primary role is to specialize in the
      collection, analysis and assessment of military
      intelligence. Its purpose is to collect, collate and
      evaluate and disseminate all services strategic and
      topographical intelligence about law and order
      situation, armed forces and to ensure
      counterintelligence and security measures for
      Bangladesh and Bangladesh Armed Forces. In fact,
      DGFI is manned by Military Personnel that is from
      Army, Navy and Air Force.

  10. মাসুদ করিম - ২৯ জুন ২০১৭ (৯:৩২ পূর্বাহ্ণ)

    টেলিফোনে আড়িপাতা সংস্থা শক্তিশালী হচ্ছে

    টেলিফোনে আড়িপাতার মত নজরদারির দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের কারিগরি সক্ষমতা বাড়াতে একটি বিশেষ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

    বুধবার সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

    মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট যোগাযোগের উন্নতির ফলে এখন অপরাধীদের যোগযোগও অনেকাংশে ইন্টারনেটকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ জনবল প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

    এ কারণেই ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, “এই সংস্থার আধুনিকায়নের মাধ্যমে জঙ্গিদের সম্পর্কে অধিক তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা যাবে। সেসব তথ্য সঠিক সময়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসগুলোকে দেওয়া গেলে তারা জঙ্গি দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।”

    বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। তথ্য অধিকার আইনেও এর উল্লেখ রয়েছে। তবে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইনে সরকারকে প্রয়োজনে আড়িপাতার বৈধতা দেওয়া হয়েছে।

    ওই আইনের ৯৭ক ধারায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোনো টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যবহারকারীর পাঠানো বার্তা ও কথোপকথন প্রতিহত, রেকর্ড ধারণ বা তৎসম্পর্কিত তথ্যাদি সংগ্রহের জন্য সরকার সময় সময় নির্ধারিত সময়ের জন্য গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা বা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থার কোনো কর্মকর্তাকে ক্ষমতা দিতে পারবে এবং এ কার্যক্রমে সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারীকে নির্দেশ দিতে পারবে এবং পরিচালনাকারী ওই নির্দেশ পালন করতে বাধ্য থাকবে।

    ফোনে আড়িপাতা এবং ইন্টারনেটে নজরদারির বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কাজটি করা হত প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরে (ডিজিএফআই) একটি তদারক কেন্দ্র থেকে। এরপর ২০১৩ সালে ডিজিএফআই ভবনেই ৪৪ জন জনবল নিয়ে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) যাত্রা শুরু করে।

    গত মার্চে এনটিএমসির প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় ডিজিএফআইয়ের উপ-মহাপরিচালক পদে থাকা ব্রিগেডিয়ার জিয়াউল আহসানকে, যিনি এক সময় র‌্যাবেও কাজ করেছেন।

    সাংসদ গোলাম রাব্বানীর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বলেন, “জঙ্গি সংগঠনগুলোর অনলাইন প্রচারণার বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হবে। এ জাতীয় প্রচারণার মাধ্যমে যাতে জনগণের মধ্যে জঙ্গিবাদী মতাদর্শের প্রসার না ঘটে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

  11. মাসুদ করিম - ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ (১:৫৪ অপরাহ্ণ)

    সেনাবাহিনীর নামে ভুয়া (Fake) ওয়েবসাইট/ফেসবুক পেইজ/ইউটিউব চ্যানেলে মিথ্যা তথ্য ও প্রপাগান্ডার ব্যাপারে সতর্কবার্তা

    আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার নামে ভুয়া (Fake) ওয়েবসাইট, ফেসবুক একাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা তথ্য ও প্রপাগান্ডা প্রচারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চলছে।

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের নাম ঃ Bangladesh Army, লিংকঃ https://www.army.mil.bd এবং Join Bangladesh Army লিংকঃ https://joinbangladesharmy.army.mil.bd । সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেইজের নাম ঃ Bangladesh Army, লিংকঃ https://www.facebook.com/bdarmy.army.mil.bd ও ইউটিউব চ্যানেলের নাম ঃ Bangladesh Army, লিংকঃ https://www.youtube.com/channel/UCpkg5RjtYqjRbxwL9Gf5Tfw । এগুলো ব্যতিত অন্যান্য সকল ভুয়া (Fake) ওয়েবসাইট/ ফেসবুক পেইজ/ ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ও প্রপাগান্ডার ব্যাপারে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।

    একই সাথে সর্বসাধারণকে সেনাবাহিনী সম্পর্কে ভুয়া তথ্য সম্ভলিত পোষ্ট শেয়ার করা থেকে বিরত থাকার জন্যও অনুরোধ করা হলো ।

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.