রোহিঙ্গাদের উপর সংঘটিত জনজাতিনিধনযজ্ঞের বিচার এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন দুই পথেই চলতে হবে বাংলাদেশের কূটনীতি

বার্মার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের দ্বিপাক্ষিক সমাধান প্রচেষ্টার সাথে আমরা যখন বার্মায় রোহিঙ্গাদের উপর সংঘটিত জনজাতিনিধনযজ্ঞের বিচার চাওয়াকে হুমকি মনে করি তখন বুঝতে হবে আমরা দুটোর মধ্যে পার্থক্য না ধরতে পেরে ভুল পন্থায় চিন্তার দিকে পা বাড়াচ্ছি [...]

বার্মা রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল কিনা, রোহিঙ্গাদেরকে তাদের আবাসভূমি রাখাইন অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করতে নিপীড়ন ধর্ষণ ও হত্যার পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিয়েছিল কিনা এই বিচারের জায়গাটা আন্তর্জাতিক অপরাধ বিচারের জায়গা এটা আমাদেরকে সবার আগে বুঝতে হবে। এবং এটা যদি আমরা বুঝতে পারি তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মিয়ানমারের বিচার চাওয়ার সাথে একাত্ম হয়ে বাংলাদেশ সরকারের মিয়ানমারের বিচার চাওয়ার মধ্যে আর কোনো দ্বিধাই থাকতে পারে না।

বার্মার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের দ্বিপাক্ষিক সমাধান প্রচেষ্টার সাথে আমরা যখন বার্মায় রোহিঙ্গাদের উপর সংঘটিত জনজাতিনিধনযজ্ঞের বিচার চাওয়াকে হুমকি মনে করি তখন বুঝতে হবে আমরা দুটোর মধ্যে পার্থক্য না ধরতে পেরে ভুল পন্থায় চিন্তার দিকে পা বাড়াচ্ছি।

আর এভাবে পার্থক্য না বুঝলে আমি বিরক্ত হই।

বাংলাদেশের সামনে স্পষ্ট পথ হল বার্মায় রোহিঙ্গাদের উপর সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহের বিচার করার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রাথমিক পদক্ষেপে সেই সম্ভাবনার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বিচারের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার সম্পূর্ণ সহযোগিতার দিকে অগ্রসর হওয়া।

আর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন ও প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক অবস্থানকে সমুন্নত রেখে বার্মার উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়া।

আমি চাই বাংলাদেশ কোনোভাবেই যেন বার্মায় রোহিঙ্গাদের উপর সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন ও প্রত্যাবাসনের বাংলাদেশ মিয়ানমারের যৌথ প্রচেষ্টার সমঝোতা স্মারককে গুলিয়ে না ফেলে।

বাংলাদেশ উভয় পথেই নিজেকে উচ্চকিত রাখবে এটাই ঠিক কূটনীতি কারণ বার্মা যেমন রোহিঙ্গাদের উপর সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধে অপরাধী তেমনি বার্মাকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন ও প্রত্যাবাসনও করতেই হবে।

ব্যক্তিগত ব্লগে : পার্থক্য না বুঝলে আমি বিরক্ত হই

মাসুদ করিম

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।

৬ comments

  1. Pingback: পার্থক্য না বুঝলে আমি বিরক্ত হই | প্রাত্যহিক পাঠ

  2. মাসুদ করিম - ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ)

  3. মাসুদ করিম - ১২ মার্চ ২০১৯ (৮:৪২ অপরাহ্ণ)

    No impediment to opening trial against Myanmar: ICC

    There is no problem in starting trial by the International Criminal Court (ICC) against those who committed atrocities against the Rohingya, even though Myanmar is not a party to the Court, a senior official said.

    Phakiso Mochochoko, director of the ICC and a member of the visiting ICC delegation, made the remarks while speaking to reporters on Monday.

    “If the ICC judge finds that in this case legal criteria are fulfilled and if the judge grants the prosecutor the permission to launch investigation, the fact that Myanmar is not a party to ICC will not create any hindrance,” said Mr Mochochoko.

    The prosecutor is committed to making the persons accountable who were responsible for committing atrocities against the Rohingya, he added.

    The ICC director made it clear the Court’s prosecution is not against any state; rather it is against individuals who were responsible for the atrocities.

    “The prosecution will collect evidence against those who were responsible, who were in command and who gave instructions for the crimes committed against the Rohingya,” he said.

    “There is no doubt that crimes were committed against the Rohingya. The prosecution will collect evidence to ensure a rational end to attribute the accountability to individuals,” he said.

    Responding to a question, he said, in this case allegations have been made and now the prosecutor will have to collect evidence to prove those allegations “beyond any reasonable doubt”.

    About their visit, he said that they are in the country to conduct operational assessment.

    This is a very early stage, which will be followed by legal assessment, he said.

    “Legal assessment is conducted to establish legal criteria and the trial starts when legal criteria are met,” he said narrating how trial is initiated.

    The delegation arrived in Dhaka on Tuesday and is scheduled to leave today (Tuesday).

    Statement of the Office of the Prosecutor of the International Criminal Court at the conclusion of its visit to Bangladesh (6-11 March 2019)

    Today, the Office of the Prosecutor of the International Criminal Court (“ICC” or the “Court”) concluded its first visit to the People’s Republic of Bangladesh in the context of the on-going preliminary examination concerning the alleged deportation of the Rohingya people from Myanmar to Bangladesh. The purpose of this visit was to engage with relevant stakeholders, explain the preliminary examination process, and travel to the refugee camps with a view to informing the Office’s ongoing assessment.

    On behalf of the Prosecutor, Mrs Fatou Bensouda, the delegation would like to express its gratitude to the Government of the People’s Republic of Bangladesh for providing its support to this visit and facilitating meetings with the relevant national authorities. During this past week, the delegation had constructive exchanges with senior officials from the Ministries of Foreign Affairs; Law, Justice and Parliamentary Affairs; and Home Affairs; as well as various law enforcement agencies.

    The delegation also had the opportunity to exchange views with representatives of various agencies of the United Nations and members of the diplomatic community, as well as academics from the University of Dhaka’s Centre for Genocide Studies.

    In Cox’s Bazar, the delegation visited the refugee camps and met with government authorities, humanitarian agencies and NGOs, as well as a number of victims’ representatives. The delegation listened carefully to their views and concerns.

    The insights gained from the visit will continue to inform the Office’s ongoing assessment of the situation.

    The independent and impartial preliminary examination of the situation in Bangladesh/Myanmar is on-going and will follow its course. A preliminary examination is not an investigation, but an assessment of the Rome Statute criteria to decide whether an investigation into the situation at hand is warranted. Therefore, during this mission, as is standard practice of the Office, the delegation did not collect evidence or perform any other investigative activities.

    The field visit enabled the Office, however, to hold productive meetings in Bangladesh, and to fully appreciate the sheer magnitude and severity of this human tragedy.

    The Office is committed to making continued progress on the preliminary examination process and is grateful to the authorities of Bangladesh and many other partners for their strong support.

  4. মাসুদ করিম - ২৭ জুন ২০১৯ (৩:৫২ পূর্বাহ্ণ)

  5. মাসুদ করিম - ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ (৪:০৮ অপরাহ্ণ)

  6. মাসুদ করিম - ২২ ডিসেম্বর ২০২২ (৫:১৯ অপরাহ্ণ)

    মিয়ানমারে সহিংসতা ও রোহিঙ্গা সঙ্কটের অবসানে নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবার প্রস্তাব পাস
    https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/4mznoq3y52

    সু চিসহ রাজবন্দিদের মুক্তি এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানানো হয়েছে এ প্রস্তাবে।

    মিয়ানমারে সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে তাদের নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বানে প্রথমবারের মত একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে।

    বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত এ প্রস্তাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়, নিরাপত্তা ও মানবিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করা হয়।

    মিয়ানমারের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা যে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ বাসভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবসনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করবে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলবে, সে বিষয়টিও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরা হয় প্রস্তাবে।

    জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদে এ প্রস্তাবের পেন হোল্ডার (সড়া প্রস্তাব উত্থাপনকারী এবং মূল স্পন্সর) ছিল পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্য। তিনমাস ধরে আলোচনা শেষে বুধবার ১২-০ ভোটে প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়।

    ভোটাভুটি পর্বে প্রস্তাবের বিপক্ষে কোনো সদস্য ভোট দেয়নি বা নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী কোনো সদস্য ভেটো দেয়নি । ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে চীন, ভারত ও রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।

    রয়টার্স লিখেছে, গত ৭৪ বছরের মধ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে কোনো প্রস্তাব গৃহীত হল, যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে সহিংসতা বন্ধের দাবি জানানোর পাশাপাশি ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি সহ সকল রাজবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সামরিক জান্তার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

    ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। বর্তমানে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজার, টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে বসবাস করছেন।

    মানবিক কারণে এতদিন ধরে এই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এলেও বাংলাদেশ শুরু থেকেই এই নিপীড়িত জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে, টেকসই ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফেরত নেওয়ার জন্য জোরালো দাবি জানিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে।

    আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৭ সালের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় মিয়ানমারের তৎকালীন সরকার। ওই বছর সেপ্টেম্বরে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিও করে।

    এরপর ২০১৯ সালে দুই দফা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও রাখাইন রাজ্যের নিরাপত্তা পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা তুলে ধরে ফিরতে রাজি হননি রোহিঙ্গারা।

    এর মধ্যে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে তার দলের অধিকাংশ নেতাকে গ্রেপ্তার করলে মিয়ানমারের সঙ্কট ঘনীভূত হয়। এর পর থেকে গণতন্ত্রপন্থি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর আন্দোলন এবং সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে হাজারো মানুষের প্রাণ গেছে সেখানে।

    জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, “নিরাপত্তা পরিষদ প্রস্তাবটি অনুমোদন করায় রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের বিষয়টি নিরাপত্তা পরিষদের নিয়মিত কার্যকলাপের অংশ হয়ে গেল। একই সাথে এটি রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশের এতদসংক্রান্ত অব্যাহত প্রচেষ্টাকে আরো শক্তিশালি ও ত্বরান্বিত করবে।”

    প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর জাতিসংঘে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেন, “আজ আমরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় একটি বার্তা দিলাম। আমরা চাই এ প্রস্তাব সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হোক, এ নিয়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কোনো সন্দেহ থাকা উচিত হবে না।

    “আমরা মিয়ানমারের জনগণের জন্যও একটি স্পষ্ট বার্তা আজ দিলাম, আমরা তাদের অধিকার, তাদের ইচ্ছা এবং তাদের স্বার্থকে সমুন্নত রেখেই পরিস্থিতির উন্নতি চাই।”

    মিয়ানমার সঙ্কট কীভাবে মোকাবেলা করা হবে, তা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বিভক্তি দীর্ঘদিনের। মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন ও রাশিয়া বরাবরই কঠোর কোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করে এসেছে। তাদের পাশাপাশি ভারতও বুধবার ভোটদানে বিরত থাকে।

    ভোটাভুটির পর জাতিসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন পরিষদকে বলেন, “চীনের এখনও এ বিষয়ে উদ্বেগ আছে। এ সঙ্কটের সহজ কোনো সমাধান নেই… শেষ পর্যন্ত সঠিকভাবে এর সমাধান করা যাবে কি না, তা পুরোপুরি মিয়ানমারের উপরই নির্ভর করে।”

    রয়টার্স জানিয়েছে, চীন চেয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি গ্রহণ করুক, প্রস্তাব নয়।

    জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, মস্কো মিয়ানমারের পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখে না। সে কারণে মস্কো বিশ্বাস করে, মিয়ানমারের সমস্যার সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জড়ানো উচিত হবে না।

    মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ওই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “সঙ্কট মোকাবেলা এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বার্মার সামরিক জান্তার ক্রমবর্ধমান দমন-পীড়ন ও সহিংসতা বন্ধের লক্ষ্যে এটা নিরাপত্তা পরিষদের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

    ভোটাভুটি শেষে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফ্রান্স, মেক্সিকো, গ্যাবন ও নরওয়ের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে প্রস্তাবে রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার প্রশংসা করেন এবং এ সমস্যার সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদের জোরালো ভূমিকার দাবি জানান।

    আর বাংলাদেশ মিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বলা বাহুল্য, এই রেজুল্যুশনটি রোহিঙ্গা বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানের প্রতি জাতিসংঘের সবচেয়ে ক্ষমতাধর অঙ্গটির শক্তিশালী সমর্থনেরই বহিঃপ্রকাশ। রাশিয়া-ইউক্রেইন সঙ্কটসহ অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে গৃহীত রেজুল্যুশনটি রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আরো সুসংহত করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।”

    মিয়ানমার সঙ্কটের সমাধানে ২০২১ সালে আসিয়ানের গৃহীত পাঁচ দফা ঐকমত্যের দ্রুত ও পূর্ণ বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে নিরপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবে।

    এর বাস্তবায়নে জাতিসংঘের কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হবে কিনা সে বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব এবং মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূতকে ২০২৩ সালের ১৫ মার্চের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছে নিরাপত্তা পরিষদ।

    বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে, এ প্রস্তাবে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে ‘উল্লেখযোগ্য ভূমিকা’ পালন করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। তিনি নিরাপত্তা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী ও অস্থায়ী বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো যাতে রেজুল্যুশনে অন্তর্ভুক্ত হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    “নিরাপত্তা পরিষদের ডিসেম্বর ২০২২ এর সভাপতি ভারত এবং তাদের সভাপতি থাকাকালীন সময়েই রেজুল্যুশনটি নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হল। এর ফলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বহুপক্ষীয় কূটনীতিতে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টায় সফল হল বাংলাদেশ।”

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.