আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে একটি ছোট্ট পোস্ট

ভোট হোক না হোক, আজ ১৮ ডিসেম্বর।

মাসুদ করিম

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।

৯ comments

  1. সৈকত আচার্য - ৩১ অক্টোবর ২০০৮ (৭:১৩ অপরাহ্ণ)

    ঐ দিন, রাঃ ইয়াজউদ্দিন শপথ পাঠ করাচ্ছেন এবং
    ফকরুদ্দিন ও অন্যরা তারস্বরে কোরাস ধরেছেনঃ

    শাসনতন্ত্র মানি আর না মানি
    এটা তো সর্বদাই মাথার উপর।।

    • মাসুদ করিম - ৩১ অক্টোবর ২০০৮ (৮:০৭ অপরাহ্ণ)

      হুজুরদের সবসময় বলতে শুনি ‘কোরান ও সুন্নাহর আলোকে’, আজকাল একটা পার্থক্য এসেছে, তারা বলছেন ‘কোরান ও সংবিধানের আলোকে’। আমরা এদিকে বসে আছি আসন্ন সংসদের সঙ-বিধানের ফর-মূলা’র অপেক্ষায়।সুশীলদের মুলিবাঁশের বেড়া এবার ভাঙ্গছেই, ভাঙ্গবেই।

  2. মাহতাব - ১ নভেম্বর ২০০৮ (৭:৪৮ অপরাহ্ণ)

    বিচার মানি তাল গাছ আমার।

  3. ইমতিয়ার - ১ নভেম্বর ২০০৮ (৯:৫৪ অপরাহ্ণ)

    বাকী চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ভাই…

  4. Partho Sarkar - ২ নভেম্বর ২০০৮ (৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ)

    বর্তমানের এই দমবন্ধকরা পরিবেশ থেকে বের হয়ে আসার জন্য নির্বাচন ছাড়া আর তো কোন পথও নেই।

  5. সৈকত আচার্য - ২ নভেম্বর ২০০৮ (২:৪৩ অপরাহ্ণ)

    @Partho Sarkar যে নির্বাচনের কথা আপনি ভাবছেন, বা এই সরকার বলার চেষ্টা করছে, সেই নির্বাচন হবে পুরো জাতির সাথে আর একটি ভাঁওতা। ঠিক ১/১১ তারিখের মত আরেকটি ধাপ্পাবাজি। এই নির্বাচন যদি হয়, তাতে সংসদীয় গনতন্ত্রের আওতায় যে ন্যূনতম স্বাধীনতাটুকু মানুষ পেত, তাও নির্বাসনে যাবে বলে মনে হচ্ছে।

    কারন, একটি ভবিষ্যৎ তাঁবেদার পার্লামেণ্ট দিয়ে, দমবন্ধ পরিবেশ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নাই আমাদের। এটা হতে পারে, অনেকটা সিংগাপুরের পার্লামেন্টারী সিষ্টেমের মত, যা সংসদীয় স্বৈরাচারের আধুনিক প্যাটার্ন মনে হয় আমার কাছে। ঘোষিত এই নির্বাচনের জন্য কেবল ডঃ হোসেন জিল্লুর ও তার দলবল ছাড়া আর কেউ সেভাবে ভরসা পাচ্ছে না, তাই দেখতে পাচ্ছি। যদিও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র স্ববিরোধী আচরন, অষ্পষ্ট ভাষণ ও রাজপথের আন্দোলনের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে না পারার বিষয়টি বেশ রহস্যজনক। বুঝতে পারছি না যে, এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই তারা কাউকে মুচলেকা দিয়ে এসেছে কিনা, আর, অন্যদিকে বামপন্থী শিবিরের সাংগঠনিক অবস্থান ও বহূদিন ধরে চলে আসা নীতিগত সিদ্ধান্তের বিরোধজনিত কারনে, কোন আন্দোলন কার্যকর ভাবে তাদের পক্ষেও গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এই দমবন্ধ অবস্থা……।

    আর দমবন্ধ পরিবেশ থেকে মুক্ত কি করে হতে হয়, বাংগালীর চেয়ে তা আর ভাল জানে কে? একটা শ্লোগান এখনও ভুলতে পারিনিঃ

    মুক্তি আসে কোন পথে
    আন্দোলন আর রাজপথে।।

    এই সত্যটা মনে করিয়ে দেয়ার সময় এসে গেছে। গোলটেবিলে কেবলই ষড়যন্ত্রের ঘ্রাণ পাওয়া যাচ্ছে। কেবলই সময় নষ্ট। সময়ের অপচয়।

    • পার্থ সরকার - ৩ নভেম্বর ২০০৮ (৪:২৬ পূর্বাহ্ণ)

      আন্দোলন তো মুক্তির পথ অবশ্যই, তবে নির্বাচনও পরিবর্তনের একটি পথ। এখন যদি 1988 ধরনের নিবার্চন হয়, দেশ বিদেশের পর্যবেক্ষক, সাংবাদিকদের চোখের সামনে ফলাফল উল্টে দেয়ার চেষ্টা চলে, তবেই 1988 পরবর্তী যে পরিস্থিতি দেশে হয়েছিল, তা হতে পারে।
      দেশের মানুষ ভাল নেই, স্বস্তিতে নেই। কিন্তু কোন আন্দোলনও নেই, কারণ বাংলাদেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলিই রাজপথ ছেড়ে টেবিলে বসে কাগজ কলম নিয়ে হিসাব নিকাশে ব্যস্ত। সদ্য জেল খেটে এবং খাটার খড়গ মাথায় নিয়ে নিজেদের রক্ষা করাই এখন তাদের প্রধান কাজ। দু:খজনক ভাবে, সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী, অপরাধ করেছে (দুর্নীতি, সন্ত্রাস) কিন্তু সাজা পায়নি এমন লোকজন অথবা সন্দেহভাজন লোকরাই বড়দুটি দলের নেতা। (হাতে গোনা কয়েকজন বাদে)। তারা মামলাকে ভয় পায়, জানে যে তাদের অপরাধ সহজেই প্রমান করা যাবে, কাজেই আন্দোলনকেও ভয় পাচ্ছে এখন তারা।
      তাই (মনে হয়) দলগুলি এবং একই সাথে জনগণ অপেক্ষা করছে নিবার্চনের জন্য।

  6. মাসুদ করিম - ২ নভেম্বর ২০০৮ (৬:০৯ অপরাহ্ণ)

    ফুটবল খেলায় বিশেষ করে, মন্তব্য করতে গিয়ে, একটা শব্দ খুব ব্যবহৃত হয়, ভাই খেলা, তাই চলছে, তাই চলবে। দমবন্ধ পরিবেশ দমবন্ধ হওয়ার আগেই মিটে যাবে।

  7. Pingback: ছোট্ট পোস্টে পাড়ি | মাসুদ করিম

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.