লাতিন ভাষার কথা : ২৭

|| ব্রিটেনে লাতিন || ১০৬৬ সালের পর ব্রিটেনের ভাষাগত অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটে। সেই বছরটির আগে কথ্য এবং লিখিত ভাষা হিসেবে ইংরেজি ব্যবহৃত হতো, এবং লাতিন-ই ছিল সেটির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু এরপরই সুবিধাবঞ্চিতদের মুখের বা কথ্য ভাষা হিসেবে পিছু হঠে গেল ইংরেজি। শাসকশ্রেণী কথা বলত ফরাসি ভাষায়। [. . .]

Tore Janson-এর সুইডিশ ভাষায় রচিত Latin: Kulturen, historien, språket গ্রন্থের Merethe Damsgård Sørensen ও Nigel Vincet-কৃত ইংরেজি অনুবাদ A Natural History of Latin-এর বাংলা ভাষান্তর

 

ব্রিটেনে লাতিন 

অষ্টম শতকে ইংল্যান্ডই ছিল লাতিন ভাষায় শিক্ষা ও বিদ্যাবত্তার দিক থেকে সবচাইতে এগিয়ে। খানিক আগেই আমরা বিডি, গোটা খৃষ্টধর্মীয় পরম্পরা নিয়ে রচিত তাঁর ইতিহাস, ও বনিফেস (Boniface)-এর ধর্ম প্রচারমূলক কাজের কথা বলেছি। কিন্তু তার চাইতেও বিখ্যাত লাতিনবেত্তা ছিলেন ইয়র্কের এলকুইন, যিনি, আমরা দেখেছি, নিজদেশ ত্যাগী হয়ে ইউরোপের মূল ভূখণ্ডে চলে যান এবং শার্লামেনের নানান কর্মকাণ্ডে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। শিক্ষক হিসেবে অত্যন্ত মশহুর ছিলেন এলকুইন, এবং নতুন সাম্রাজ্যে তাঁর ভূমিকা ছিল অনেকটা শিক্ষামন্ত্রীর মতো।

এলকুইন যখন প্রবল উদ্যমে ইউরোপের মূল ভূখণ্ডে লাতিন বিদ্যাচর্চা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, ওদিকে তখন তাঁর নিজ দেশে গুরুতর সমস্যা শুরু হয়েছে। এলকুইন মারা যান ৮০৪ খৃষ্টাব্দে, এবং তার অল্প কয়েক বছর আগে, ৭৯৩ সালে নর্দাম্বারল্যান্ড-এর লিন্ডিস্ফার্ন মঠের বিরুদ্ধে ভয়ংকর আক্রমণ চালিয়েছিল ভাইকিংরা। নবম ও দশম শতকে এলো স্ক্যান্ডিনেভীয় যোদ্ধাদের তরফ থেকে আরো অসংখ্য আঘাত, সত্যি বলতে, আরো বড় পরিসরের হামলা। মঠ আর গির্জাগুলোই ছিল হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু। তার মানে হলো, অন্য আরো কিছু জিনিসের সঙ্গে সঙ্গে, যেসব স্থানে লাতিন শেখানো হতো, লেখা হতো, তার বেশিরভাগেরই কোনো অস্তিত্ব রইল না। লাতিনচর্চার এক বিরাট ঐতিহ্য প্রায় বেমালুম অদৃশ্য হয়ে গেল। একশ বছর পরে মনে হলো লোকজন বোধহয় লাতিন জানতই না বলতে গেলে। মহান আলফ্রেড (রাজত্বকাল ৮৭১ থেকে ৮৯৯ খৃ.) লিখেছেন, লাতিনে লেখা একটা চিঠি ইংরেজিতে অনুবাদ করতে পারে এমন লোক হাম্বার (Humber)-এর দক্ষিণে প্রায় ছিলই না বলতে গেলে, এমনকি নদীটার উত্তরেও না।

তবে আলফ্রেড নিজে যথেষ্ট করেছেন এই অবস্থা উত্তরণে। প্রথমত, একজন শাসকের অধীনে গোটা ইংল্যান্ডকে নিয়ে আসার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন তিনি, আর তাতে করে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার একটা দীর্ঘ সময়ের অবসান ঘটে। দ্বিতীয়ত, তিনি শিক্ষায় বিশ্বাস করতেন, তাঁর রাজ্যে জ্ঞানের প্রসারের জন্যা সাধ্যমত সব কিছু করেছেন। একথা সত্য যে, লিখিত ভাষা হিসেবে লাতিনের বদলে ইংরেজির বিস্তারই লক্ষ্য ছিল তাঁর, কিন্তু তাঁর প্রধান কীর্তি ছিল লাতিন থেকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ অনুবাদ করানো, বিশেষ করে যাজক সম্প্রদায়ের ব্যবহারের জন্য নানান হ্যান্ডবুক। তিনি এজন্য কাজটি করেননি যে তিনি চাইতেন না যে গির্জার লোকজন লাতিন না পড়ুক; বরং সেটা স্রেফ এই কারণে যে তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে তারা তা পড়তে পারত না। অবশ্য একথাও সত্য যে এরই সঙ্গে ইংরেজি ভাষাও প্রবেশ করেছিল লিখিত রূপের নতুন জগতে।

প্রায় একশ বছর পরে, দশম শতকের শেষের দিকে ইংলিশ খৃষ্টসমাজ এমন এক সংস্কার আন্দোলনের মুখোমুখি হলো যার শেকড় ছিল ফ্রান্সের ক্লুনিতে। ব্রিটেনে সেটার প্রধান কুশীলব ছিলেন ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ ডান্সটান, যাঁকে পরে সন্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। ধর্মীয় সংস্কারের মানে ছিল আরো পড়াশোনা, কাজেই, আরো লাতিন। বিশৃঙ্খলার শতকগুলোয় ভাষাটি যে রাজপাট হারিয়েছিল তার অনেকটাই উদ্ধার করেছিল সেটা এই সময়।

১০৬৬ সালের পর ব্রিটেনের ভাষাগত অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটে। সেই বছরটির আগে কথ্য এবং লিখিত ভাষা হিসেবে ইংরেজি ব্যবহৃত হতো, এবং লাতিন-ই ছিল সেটির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু এরপরই সুবিধাবঞ্চিতদের মুখের বা কথ্য ভাষা হিসেবে পিছু হঠে গেল ইংরেজি। শাসকশ্রেণী কথা বলত ফরাসি ভাষায়। লিখিত ভাষা হিসেবে নিরঙ্কুশ প্রাধান্য অর্জন করল লাতিন, যদিও ফরাসি ভাষাও ব্যবহৃত হতো। শ দুয়েক বছরের জন্য কার্যত আর লিখিত ভাষা রইল না ইংরেজি।

নরমান বিজয়ের পরের দুটো শতকে বেশ দ্রুত গতিতে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটেছিল ব্রিটেনে (এবং পশ্চিম ইউরোপের বহু জায়গায়), আর, সমাজের প্রায় সর্বস্তরে লাতিন হয়ে উঠেছিল লিখিত ভাষা। এই সময়ের বিখ্যাত সব লেখাপত্র (text) লাতিনেই রচিত। সেই ১০৮৫ সালেই মানুষজন আর জমি-জমার একটা শুমারীর আদেশ দেন বীর-বিজয়ী উইলিয়াম। এবং তা নথিবদ্ধ করা হয়েছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ‘Doomsday Book’-এ। মধ্যযুগের গোড়ার দিককার ইংল্যান্ডের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার অমূল্য বিস্তারিত তথ্য রয়েছে সেখানে।

আরেকটি সুপরিচিত দলিল হচ্ছে ‘ম্যাগনা কার্টা’ (Magna Charta) বা ‘The Great Charter’, রাজা জন ১২১৫ খৃষ্টাব্দে যে-ফরমান জারী করতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁর স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধাচারীদের চাপে। এই দলিলটির যথার্থ তাৎপর্য নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। তা সে যা-ই হোক, এটার মাধ্যমে রাজাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছাড় বা সুবিধে দিতে হয়েছিল নাগরিকদের, গোড়ার দিকের এই শব্দবন্ধের মধ্যেই যা দেখতে পাবো আমরা:

Concessimus etiam ómnibus líberis homínibus regni nostri, pro nobis et herédibus nostris in perpétuum, omnes libertates subscriptus.

আমাদের রাজ্যের সকল মুক্ত মানুষকে আমরা, আমাদের এবং আমাদের উত্তরাধিকারীদের তরফ থেকে চিরকালের জন্য, নিম্নবর্ণিত সব স্বাধীনতা প্রদান করেছি।

স্বভাবতই, গির্জার একমাত্র ভাষা হিসেবে লাতিন তার পূর্বাবস্থায় ফিরে এলো। মোটের ওপর, শিক্ষার মান দ্রুত গতিতে বেড়ে গেল, এবং বেশ কিছু চমৎকার লাতিন লেখক দ্বাদশ শতকে আবির্ভূত হলেন।

তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন বহুপ্রজ এবং সুপণ্ডিত জন — স্যালিসবেরির জন। ইংল্যান্ডে পোক্ত একটি মৌলিক প্রশিক্ষণের পর তিনি প্যারিসে যান, তারপর যান Chaetres, সে-সময়ের সবচাইতে বিখ্যাত শিক্ষকদের কাছে শিক্ষাগ্রহণের জন্য, যাঁদের মধ্যে ছিলেন দার্শনিক পিটার এবেলার্ড। তারপর ১১৩৮ সালে যখন তিনি ইংল্যান্ডে ফিরে এলেন, শেষ তিরিশে, তখন তিনি ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ থিওবল্ড ও তাঁর উত্তরাধিকারী (?)  টমাস বেকেটের সচিব নিযুক্ত হন। আর্চবিশপ এবং রাজা দ্বিতীয় হেনরি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক কাজের ভার দিয়ে বিদেশ পাঠান তাঁকে, বিশেষ করে রোমে, তবে অন্যত্র-ও বটে। শেষঅব্দি তিনি নিজেই আর্চবিশপ হন — Chaetres-এর। এতো ব্যস্ততার পরেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ লেখার সময় করে উঠতে পেরেছিলেন তিনি, আর সেসবের মধ্যে রয়েছে ‘Policraticus’,  সুপ্রশাসনের নেপথ্যের নৈতিক যতো রীতি আছে তার কথা বলা হয়েছে সেখানে; আছে ‘Metalogicus’, যেখানে আলোচিত হয়েছে কিছু মৌলিক দার্শনিক প্রশ্ন।

জন ছিলেন প্রথম সারির একজন ইউরোপীয় বুদ্ধিজীবী, ফ্রান্সে পড়াশোনা করা এক  ইংরেজ। তিনি কেবল লাতিন ভাষাতেই লিখতেন, নানান পরিবেশ পরিস্থিতিতে হয়ত কথাও বলেছেন সেই ভাষায়; গির্জার নানান ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে তো বটেই, কিন্তু বিভিন্ন সারগর্ভ আলোচনায় ও তাঁর নানান কূটনৈতিক কাজকর্মেরও। নিজে তিনি অত্যন্ত ধীশক্তি সম্পন্ন ছিলেন সন্দেহ নেই, তবে এমন মানুষ তিনিই একমাত্র ছিলেন না। এই যেমন টমাস বেকেট, যিনি ১১৭০ সালে খুন হন, তিনি পত্রযোগাযোগের সময় ভারি চমৎকার লাতিন লিখতেন। আরো অসংখ্য যাজকীয় লেখক ছিলেন, ছিলেন নানান ইতিহাসবিদ, দার্শনিক, এবং অন্যান্যরা। শিক্ষা-দীক্ষায় ও নানান বিদ্যাচর্চায় ব্রিটেন তখন প্রথম সারির একটি দেশ হিসেবে ফ্রান্সের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারত।

ত্রয়োদশ শতকেও লাতিনের প্রাধান্য ছিল নিরঙ্কুশ। এই সেই সময় যখন উচ্চ শিক্ষার বড় বড় প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে ইউরোপে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছিল প্রথমগুলোর মধ্যে একটি এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণগুলোর অন্যতম। স্বাভাবিকভাবেই, বিশ্ববিদ্যালয়টির পাঠদান লাতিন ভাষাতেই হতো, বক্তৃতা লেখালেখি দুই ক্ষেত্রেই। এবং দীর্ঘদিন সেই অবস্থাই বহাল ছিল। তখন নিশ্চয়ই মনে হতো লাতিন চিরকাল-ই শিক্ষিতদের ভাষা থাকবে (যেটা এখন ইংরেজির বেলাতে অনেকের মনে হয় — অনুবাদক)। কিন্তু পরের শতকেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে শুরু করল। চতুর্দশ শতকের শেষ দিকে আর পঞ্চদশ শতকে লিখিত ভাষা হিসেবে ঘুরে দাঁড়াল ইংরেজি। চসারের মতো ফিকশন লেখকেরা ব্যবহার করলেন ভাষাটি, সেই সঙ্গে সেটার ব্যবহার শুরু হলো দাপ্তরিক প্রশাসনিক কাজে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে। সেই সঙ্গে, কথ্য এবং দাপ্তরিক লিখিত ভাষা হিসেবে ব্রিটেন থেকে পুরোপুরি অন্তর্হিত হয়ে গেল ফরাসি ভাষা, যদিও, আমরা দেখবো, ইংরেজি ভাষার ওপর সেটি এক অমোচনীয় ছাপ রেখে গেছে।

পরবর্তী শতকগুলোতে ক্রমেই লাতিনের ব্যবহার কমে আসে, কিছু স্থানে খুবই ধীরে যদিও। শিক্ষাব্যবস্থায় প্রবেশ করে ইংরেজি, কিন্তু উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে লাতিন অপরিহার্য হিসেবেই রয়ে যায় একশ বছর আগ পর্যন্তও। এমনকি বিংশ শতকের শেষ দিক অব্দিও অক্সফোর্ড ও কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কিছু মানবিকী বিষয়ে অধ্যয়নে ভর্তির যোগ্যতা হিসেবে লাতিন ভাষাজ্ঞান আবশ্যিক বলে বিবেচিত হতো। খৃষ্টধর্মীয় কাজে গির্জায় রিফর্মেশন পর্যন্ত লাতিন একেবারে সর্বজনীনভাবে ব্যবহৃত হতো, আর অন্যান্য কাজে তো আরো অনেক পরেও। কূটনীতিতে সপ্তদশ শতক পর্যন্ত লাতিনের ব্যবহার ছিল বাধ্যতামূলক, এবং বিদ্বৎসমাজে সেই সময়তক বেশিরভাগ লোক লাতিনেই লিখতেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, নিউটন পদার্থবিদ্যা বিষয়ে তাঁর সবচাইতে বিখ্যাত কাজ ‘Principia Mathematica’ লাতিন ভাষাতেই লিখে গেছেন।

আদি অভিবাসীদের সঙ্গে তাঁদের লাতিনজ্ঞানও উত্তর আমেরিকায় পৌঁছয়। স্বভাবতই, ঠিক ব্রিটেনের মতো, উপনিবেশগুলোতেও শিক্ষাদীক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিল লাতিন। এটা মোটেই কাকতালীয় ব্যাপার নয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান প্রবলভাবে রোমক রিপাবলিকের ধ্যান-ধারণায় প্রভাবান্বিত। অষ্টম শতকের রাজনীতিকেরা রোমক রাষ্ট্র আর তার ভাষা, দুটোর সঙ্গেই খুব ভালোভাবে পরিচিত ছিলেন। আর সেই পরিচয়ের একটি স্পষ্ট সাক্ষ্য পাওয়া যাবে বেশ কিছু শহর আর রাজ্যের লাতিনাশ্রিত নামে, যেমন, Cincinnati, Urbana, Virginia, ইত্যাদি।

ব্রিটেনে লাতিনের ইতিহাস বড়ই দীর্ঘ ও বৈচিত্রপূর্ণ। প্রথমত, প্রাচীনকালে সেটা ছিল দখলদার রোমকদের ভাষা, এবং সম্ভত তখন অনেকেই এই ভাষায় কথা বলতেন। এরপর, কয়েক বছরের জন্য তা অন্তর্হিত হয়, এবং প্রায় ৬০০ সালে খৃষ্টধর্মীয়দের ভাষা হিসেবে ফের আবির্ভূত হয়। শতাব্দী দুয়েক বিকশিত হয় ভাষাটি, তারপর প্রায় অপসৃত হয়ে যায় আবার, যদিও আরো একবার দৃঢ়ভাবে আসীন হয়ে দ্বাদশ শতক থেকে পরবর্তী বেশ কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত শিক্ষিত মানুষজনের ভাষা হিসেবে রয়ে যায়। ব্যবহারের সর্বক্ষেত্রে এই গত শতকেই মাত্র ভাষাটিকে টপকে যায় ইংরেজি।

 

পরবর্তী অধ্যায়: ‘বিদ্যালয়ে লাতিন’

জি এইচ হাবীব

জন্ম ১০ই মার্চ ১৯৬৭। পেশা: শিক্ষকতা।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.