সুপারিশকৃত লিন্ক: ডিসেম্বর ২০১০

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

২৩ comments

  1. মাসুদ করিম - ১ ডিসেম্বর ২০১০ (৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ)

    It is evident that China is actively making diplomatic efforts to ease the tensions and pushing for contacts and talks among relevant parties, they said, adding that these facts should not be ignored.

    চীন বলেছ, এটা ঠিক নয় যে তারা কোরিয়ান উত্তেজনা প্রশমনে দায়িত্ব নিচ্ছে না। চীনের সবচেয়ে প্রভাবশালী থিন্কট্যান্ক চাইনিজ একাডেমি অফ সোস্যাল সাইন্সেস-এর বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন দায়িত্বশীল প্রতিবেশী হিসেবে এই উত্তেজনা প্রশমনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আর এটা তো সত্য ‘উত্তর কোরিয়া’ চীনের অংশ নয় এবং এমন কি চীনের ‘স্যাটেলাইট’ রাষ্ট্রও নয়। শুধু চীন দায়িত্বশীল আচরণ করছে না, এটা ভুল। হলুদ সাগরে এখন আর কেউই (উত্তর কোরিয়া, আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, জাপান ও রাশিয়া) দায়িত্বশীল আচরণ করছে না। কাজেই এই ছয় রাষ্ট্রের আলোচনা চেয়ে চীন ঠিক আগাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে।

    Chinese Foreign Minister Yang Jiechi met with Chi Jae Ryong, Ambassador of the Democratic People’s Republic of Korea (DPRK) to China, and held telephone conversations with U.S. Secretary of State Hillary Clinton, ROK Foreign Minister Kim Sung-hwan, Russian Foreign Minister Sergei Lavrov and Japanese Foreign Minister Seiji Maehara to exchange opinions on the Korean Peninsula situation.

    Chinese State Councilor Dai Bingguo met with ROK President Lee Myung-bak Sunday in Seoul.

    After a long, candid and in-depth talk, the two sides said the situation on the peninsula is worrisome, agreeing that parties concerned should make joint efforts to engage in serious contact and dialogue to ease tensions and safeguard peace and stability on the Korean Peninsula and in northeast Asia.

    পড়ুন Analysts refute criticism of Chinese efforts to defuse Korean Peninsula tensions

    • মাসুদ করিম - ৭ ডিসেম্বর ২০১০ (১:১১ অপরাহ্ণ)

      Chinese President Hu Jintao Monday held a telephone chat with his U.S. counterpart President Barack Obama, warning the peninsula situation could “spin out of control”, the official Xinhua News Agency reported.

      China’s foreign ministry said President Hu told President Obama: “Especially with the present situation, if not dealt with properly, tensions could well rise on the Korean peninsula or spin out of control, which would not be in anyone’s interest.”

      “We need an easing, not a ratcheting up; dialogue, not confrontation; peace, not war,” Hu said.

      আমেরিকা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া নিজেদেরে মধ্যে আলোচনায় যত সময় নষ্ট করবে ততই দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা আরো বাড়বে। চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া এই আলোচনায় সম্পৃক্ত না হলে চরম বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। এই উত্তেজনা সবচেয়ে খারাপ চীনের জন্য এবং আমেরিকা চীনের ওপর চাপ তৈরির জন্য সময়ক্ষেপণ করছে। কিন্তু আমেরিকার বোঝা উচিত এই ছয়টি দেশের মধ্যে শুধু ওরাই অন্য অঞ্চলের, বাকি পাচঁ জনই আঞ্চলিকভাবে সম্পৃক্ত। আমেরিকার এখন সত্যিই ভাবা উচিত, এই বিশ্ব পোদ্দারি ওর জন্য আগে যতই সুখের হোক সামনে আর তত সুখের হবে না। কাজেই প্রাথমিক ভাবে উত্তেজনা প্রশমনে চীনের প্রস্তাবকৃত ছয় রাষ্ট্রের আলোচনার পথেই তাদের আগানো উচিত।

      এখানে খবরের বিস্তারিত : Korea situation very tense, China calls for peace

  2. মাসুদ করিম - ১ ডিসেম্বর ২০১০ (৭:১৯ অপরাহ্ণ)

    এ কেমন ভিডিও গেম! মানুষকে হিংসাশ্রয়ী যুদ্ধবাদী করে তোলার এ কেমন নির্লজ্জতা! প্রথম বিশ্ব বা উন্নত বিশ্ব বা পশ্চিমা বিশ্ব — যাই বলি না কেন, ওদের মধ্যে জীবন জগত কি পুরোপুরি একমুখী হয়ে গেছে? বড় দাগের চিন্তাগুলো তাদের একবারে মুসলিম বিদ্বেষী আর কমিউনিস্ট বিদ্বেষী হয়ে পড়ছে? যাদের তেল আসে মুসলিম বিশ্ব থেকে আর পণ্য আসে কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়না শাসিত চীন থেকে, তারা এত উঠে পড়ে লেগেছে কেন মুসলিম বিশ্ব ও কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে? কী চায় তারা? যেকোনো ভাবে বিশ্বে খুব সহজে ঘৃণা ছড়িয়ে দিতে?

    এখানে পড়ুন : কল অব ডিউটি!

  3. মাসুদ করিম - ৪ ডিসেম্বর ২০১০ (১০:১৬ পূর্বাহ্ণ)

    বন্দী বার্মার ডাক শুনুন : অমর্ত্য সেন।

  4. রেজাউল করিম সুমন - ৬ ডিসেম্বর ২০১০ (৩:৩৩ পূর্বাহ্ণ)

    আন্দ্রেই ভজ্‌নেসেন্‌স্কি-র (১২ মে ১৯৩৩ — ১ জুন ২০১০) মৃত্যুর ঠিক ৬ মাসের মাথায় ২৯ নভেম্বর বিদায় নিলেন রুশ সাহিত্যের আরেক প্রধান কবি — বেল্লা আখ্‌মাদুলিনা (জন্ম ১০ এপ্রিল ১৯৩৭)। শ্রীমতী আখ্‌মাদুলিনার প্রয়াণে শোকলেখন : দ্য নিউইয়র্ক টাইম্‌স্‌ এবং রাশিয়া বিয়ন্ড দ্য হেডলাইন্‌স্‌-এ।

    ইংরেজি অনুবাদে তাঁর কয়েকটি কবিতা পড়া যাবে এখানে

  5. মাসুদ করিম - ৬ ডিসেম্বর ২০১০ (১:১২ অপরাহ্ণ)

    As you correctly pointed out, and as we have also noticed in the media, democratic discussion was more encouraged this time. Is the party making more roads towards democratic polity or in the opposite direction as pushed by the hard-line faction? Isn’t the party in flux?

    I would like to clarify that our party believes in democracy. And democracy doesn’t only mean the West Minister bourgeoisie democracy. Real democracy is for the oppressed masses. In that sense, we had passed a resolution a few years back which we termed “Development of Democracy in the 21st Century”. In that document we tried to rectify the mistakes committed by the communists in the 20th century, especially in the Soviet Union and Eastern Europe. We wanted to go beyond that. Our debate is in that tradition of democratic development in the 21st century. And it should be seen in a positive light. After this democratic exercise, our party is moving in the direction laid out in the proposal of democratic development in the 21st century.

    If we look back at history, the party has had very difficult relations with India or vice versa, depending on the point of view you look at it from.

    And there are still a lot of differences in the way the top leadership of

    the party views India. Don’t you think there is contradiction within the party?

    There is debate within the Marxist movement in general regarding whether democracy or nationalism should be the principle (focus), given that neo-colonialism is prevalent today. Some people would say that a country like ours is basically dominated by external forces; therefore the national question is important. The other point of view says that since external forces come through internal reactionary forces, our fight should be directed against them—so we should give primacy to the question of democracy. As for dealing with India, we have had problems with India since the days of the Sugauli Treaty. There is no denying that. We would like to solve these problems through diplomatic and political means. We don’t want direct confrontation with India. We would like to restructure this relationship. But there is some debate on how to deal with India.

    We had run an editorial by The Indian Express, and the position of the Indian establishment seems to be that all the democratic forces should be put together to isolate the Maoists.

    I think this is the old view. By democratic forces, they mean the old parliamentary forces. But in Nepal’s context, Maoists are the most democratic force. I think the Indian establishment has already abandoned the so called two- pillar theory. After the 12-point agreement, their position has been to promote unity among the democratic forces and fight against the feudal forces. But India is not a monolith. There are differing views within India. One section still believes that they should isolate the Maoists and promote old parliamentary parties. But that won’t work. We are the largest political party and have the most progressive agenda to transform the country and only we can maintain peace and stability in Nepal. Peace and stability in Nepal would be in favour of India. For their own enlightened interest they should promote peace, stability and democracy in Nepal.

    নেপালের মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সহ সভাপতি বাবুরাম ভট্টরাই-এর এই সাক্ষাৎকার বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  6. মাসুদ করিম - ৭ ডিসেম্বর ২০১০ (৬:১৭ অপরাহ্ণ)

    অক্টোবরে ইরাকি ওয়ার লগস উন্মোচনের মাধ্যমে সবার নজরে এসেছে উইকিলিকস ও এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান আসাঞ্জ, সেই সাথে পুরো প্রজেক্টটির সাথে একই সাথে কাজ করছিল জার্মান পত্রিকা ‘স্পিগেল’, ব্রিটিশ পত্রিকা ‘গার্ডিয়ান’ ও আমেরিকান পত্রিকা ‘নিউইয়র্ক টাইমস’। আজ ব্রিটিশ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের পর এখানে গার্ডিয়ানে পড়ুন লাইভ আপডেট, নিউইয়র্ক টাইমসে পড়ুন Britain Arrests WikiLeaks Founder on Sex Charges এবং স্পিগেল এ পড়ুন Julian Assange Becomes the US’s Public Enemy No. 1। সেসাথে এখানে দেখুন এবিষয়ে স্পিগেল-এর ফটোগ্যালারি

  7. মাসুদ করিম - ৭ ডিসেম্বর ২০১০ (৭:৪৭ অপরাহ্ণ)

    ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যা সাউথ ব্লক নামে প্রসিদ্ধ, আমেরিকান দূতাবাসের কেবল লিকসগুলোর ইতিবাচক ব্যবহার করতে চাইছে। আমেরিকান দূতাবাসের কর্মীদের কেবল লেখার অনবদ্য যথার্থ প্রাঞ্জল ভাষা ও সংক্ষিপ্ত আকার তাদের মনোহরণ করেছে এবং ভারতীয় কূটনীতিকদের এর থেকে শিক্ষা নিতে বলছে। বিস্তারিত পড়ুন এখানে

    আমাদের দেশের কূটনীতিকদের কেবল-এর কী হাল কে জানে। জানতে পারলে ভাল হত। আর আমাদের কূটনীতিকদেরও কেবল লেখা শেখা উচিত : উইকিলিকসের ফ্রিপেপারগুলো নিয়ে মন্ত্রী দীপুমণি ও তার সচিব এবং সব কূটনৈতিক কর্মীরা সবাই মিলে পড়াশুনা শুরু করুন, কেবল লেখার ভাষা উন্নত করুন।

  8. মাসুদ করিম - ৮ ডিসেম্বর ২০১০ (৭:৩৯ অপরাহ্ণ)

    প্রাগৈতিহাসিক বামন মানব প্রজাতিকে আতঙ্কিত করত দৈত্যপাখি, পড়ুন : Revealed: The giant stork that used to terrorise Indonesia’s tiny ‘hobbits’

  9. রেজাউল করিম সুমন - ১২ ডিসেম্বর ২০১০ (৭:০১ অপরাহ্ণ)

    A new generation’s protest is part of a deeper political sea-change in Europe. But a London student demonstration — and witnessing a democracy that seeks to protect itself from its own young children — convince Bronwyn Hayward that this movement needs older people too.

    লন্ডনের সাম্প্রতিক ছাত্র-আন্দোলন নিয়ে Bronwyn Hayward-এর কলাম ‘Where have all the adults gone?’ (পুরো লেখাটি এখানে)

  10. রেজাউল করিম সুমন - ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ (১২:১৯ পূর্বাহ্ণ)

    চট্টগ্রাম ইপিজেড-এ ব্যাপক শ্রমিক অসন্তোষ। নিহত ৩। বিস্তারিত সংবাদ : এখানে

  11. রেজাউল করিম সুমন - ১৬ ডিসেম্বর ২০১০ (১২:১১ অপরাহ্ণ)

    ঢাকা, ডিসেম্বর ১৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটকের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।

    বিস্তারিত : এখানে

  12. মাসুদ করিম - ২৫ ডিসেম্বর ২০১০ (১:৪৩ অপরাহ্ণ)

    এই লেখাটি কিছুই বুঝতে না পেরে এখানে লিন্ক সুপারিশ করছি — লেখাটি আমাদের দেশের বিশিষ্ট কলাম লেখক ও বাম রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমরের, লেখার শিরোনাম : একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা প্রসঙ্গে

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর গোবিন্দ চন্দ্র দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা ও সন্তোষ ভট্টাচার্যকে তারা হত্যা করেছিল। এদের মধ্যে জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা এক সময় র‌্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট পার্টি করতেন, কিন্তু পরে তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ রাজনীতির কোনো সম্পর্ক ছিল না। ডক্টর দেব ও প্রফেসর ভট্টাচার্যের সঙ্গে কোনো সময়ই রাজনীতির সম্পর্ক ছিল না। তাদের নেতৃত্বস্থানীয় হিন্দু অধ্যাপক হিসেবেই হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু শুধু হিন্দুই নয়, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মনিরুজ্জামানের সঙ্গেও রাজনীতির সম্পর্ক ছিল না, কিন্তু তারা তাকে হত্যা করেছিল। একই বিল্ডিংয়ে তারা অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাককে ধরতে গিয়েছিল, কিন্তু তিনি আশ্চর্যজনকভাবে সেদিন রক্ষা পেয়েছিলেন। বাংলা বিভাগের মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী ছিলেন একেবারে নিরীহ ধরনের মানুষ এবং রাজনীতির সঙ্গে তারও কোনো সম্পর্ক ছিল না। তাকেও হত্যা করা হয়েছিল। এরা প্রত্যেকেই আমার পরিচিত ছিলেন।

    ডাক্তার ফজলে রাব্বী ও ডাক্তার আবদুল আলীমকে তারা হত্যা করেছিল। এরা দু’জনই, বিশেষত রাব্বী রাজনৈতিক লোকদের চিকিৎসা করতেন। আমি নিজেও তাদের দু’জনের কাছেই চিকিৎসার জন্য যেতাম। ডাক্তার রাব্বীর কাছে একাত্তর সালে আমি একাধিকবার গিয়েছি। একবার তার চেম্বারে বসে থাকার সময় তিনি বেশ উচ্চকণ্ঠেই পাকিস্তানি সরকার, সামরিক বাহিনীর নির্যাতন ইত্যাদি নিয়ে কথা বলছিলেন। আমি তাকে বললাম, আপনার কাছে চিকিৎসার জন্য অনেকে আসে, বাইরে এখনও কেউ কেউ বসে আছে। এভাবে আপনি কথা বললে বিপদ হতে পারে। এ কাজ করবেন না। কিন্তু রাব্বী বেপরোয়া ছিলেন। কাজেই ডিসেম্বর মাসে তিনি স্বাভাবিকভাবেই আলবদরের টার্গেট হয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মুর্তজার অবস্থাও এ রকমই ছিল। আমরা আমাদের পার্টি, পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) প্রকাশিত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘গণশক্তির’ সম্পাদকীয় কমিটির সদস্য ছিলাম। আমি ছিলাম সম্পাদক। মুর্তজাও খুব খোলাখুলি তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারিতে বসে পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনীর সমালোচনা করতেন। এমনকি, জামায়াতের ছাত্র জানা সত্ত্বেও অনেক সময় তিনি একইভাবে কথা বলতেন। রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবেই তাকে নিয়ে গিয়েছিল।
    মুনীর চৌধুরী ও শহীদুল্লা কায়সারকে যে পাকিস্তানিরা এভাবে ধরে নিয়ে যাবে, এটা তারা নিজেরা মনেই করেননি। এটাই ছিল তাদের ধরা পড়া ও মৃত্যুর কারণ। তাদের দু’জনের সঙ্গেই আলতাফ গওহরসহ পাকিস্তানের অনেক উচ্চ পর্যায়ের আমলার বন্ধুত্ব ও খাতির ছিল। সে সুবাদে তারা নিজেদের নিরাপদ মনে করেছিলেন। শহীদুল্লা কায়সার সে সময় নিজেদের পার্টির অন্য লোকদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করলেও এবং সেসব তদারকি করলেও নিজের বিপদের কোনো চিন্তা তার ছিল না। কিন্তু তাদের দু’জনের সঙ্গে পাকিস্তানি আমলাদের ভালো সম্পর্ক থাকলেও মুনীর চৌধুরী এক সময় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন এবং শহীদুল্লা কায়সার ১৯৭১ সালে কমিউনিস্ট পার্টির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হওয়ার কারণে তারা তাদের ছাড় দেয়নি। এদের দু’জনের সঙ্গেই আমার ব্যক্তিগত ভালো সম্পর্ক ছিল। মুনীর চৌধুরী ও তার বড় ভাই কবীর চৌধুরী ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সরকারকে সমর্থন করে সংবাদপত্রে বিবৃতি দিয়েছিলেন, যেমন বিবৃতি দিয়েছিলেন ডক্টর সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন। এ সত্ত্বেও কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে পূর্ব সম্পর্কের কারণেই মুনীর চৌধুরীকে হত্যা করা হয়েছিল। কবীর চৌধুরী ১৯৭১ সালে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকের চাকরি করতেন। সে সময় বাংলা একাডেমীতে কর্মরত সর্দার ফজলুল করিমকে ১৯৭১ সালের মাঝামাঝি সময়ে গ্রেফতার করে জেলে নিয়ে গেলেও কবীর চৌধুরী থেকে তারা কোনো বিপদের আশঙ্কা করেনি।

    বুদ্ধিজীবি হত্যার এই সুনির্দিষ্ট কারণগুলো উমরের কাছে কীকরে এলো? আমরা তো জানি বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতেই পরিকল্পিতভাবে এই হত্যকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। কেউ হিন্দু ছিলেন, কেউ বেপরোয়া ছিলেন, কেউ ক্ষমতার সাথে যোগাযোগের কারণে ভাবেনইনি তাদের হত্যা করা হবে — এইসব অভিনব উদ্ভাবনের জন্য উমরকে অভিবাদন।

    • শিবলী - ২৬ ডিসেম্বর ২০১০ (১:২২ পূর্বাহ্ণ)

      পশ্চিমবঙ্গের রইস মুসলমান আবুল হাশিমের ছেলের পক্ষে পূর্ববঙ্গের গোপালগঞ্জের অখ্যাত এক গ্রামবাসীর ছেলের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে মেনে নেয়া কিছুতেই সম্ভব হলো না। ১৯৭১-এ আবুল হাশিম ছিলেন ইসলামী একাডেমীর ডিরেক্টর, আর শেখ মুজিব কী ছিলেন তা বিশ্ববাসী জানে। সুগভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বুক-ফুলিয়ে-বলার-মতো বিদেশী ডিগ্রি, দেশের খেটে-খাওয়া মানুষের জন্য অপরিসীম দরদ, কয়েক-দশক-ব্যাপী রাজনৈতিক সক্রিয়তা, আর এত এত লেখালেখি — এত সব সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত উমরের পরিচয় একজন আওয়ামী-বিরোধী কলামলেখক হিসেবে। এই পরিচিতি তাঁর স্বনির্মিত। … সে যাই হোক, আপনার দেওয়া লিংকে ক্লিক করে তাঁর নতুন এই কলামটি পড়লাম।

      লেখক জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর গোবিন্দ চন্দ্র দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা ও সন্তোষ ভট্টাচার্যকে হত্যা করা হয়েছিল “নেতৃত্বস্থানীয় হিন্দু অধ্যাপক” হিসেবে, রাজনৈতিক কারণে নয়। কিন্তু পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মনিরুজ্জামান হিন্দু না হয়েও এবং রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্করহিত হয়েও কেন নিহত হন, তা ব্যাখ্যা করা হয়নি! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মুর্তজার মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করতে গিয়ে লেখক জানিয়েছেন,

      আমরা আমাদের পার্টি, পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) প্রকাশিত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘গণশক্তির’ সম্পাদকীয় কমিটির সদস্য ছিলাম। আমি ছিলাম সম্পাদক। মুর্তজাও খুব খোলাখুলি তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারিতে বসে পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনীর সমালোচনা করতেন। এমনকি, জামায়াতের ছাত্র জানা সত্ত্বেও অনেক সময় তিনি একইভাবে কথা বলতেন। রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবেই তাকে নিয়ে গিয়েছিল।

      সম্পাদক স্বয়ং কোন্ উপায়ে পাকিস্তানি হানাদার বা রাজাকার-আলবদরের কালো তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্তিকে ঠেকিয়ে রেখেছিলেন তা কিন্তু অজানাই থেকে গেল। নাকি তাঁকে স্বাধীনতাকামী বাঙালি বুদ্ধিজীবী হিসেবে গ্রাহ্য করবার কোনো কারণ খুঁজে পায়নি ওরা?

  13. মাসুদ করিম - ২৭ ডিসেম্বর ২০১০ (৭:১৯ অপরাহ্ণ)

    As long as there were no natural disasters, a peasant farmer working an average plot of land would just have been able to afford an apartment if he or she somehow had worked since the Tang dynasty, which ended in 907AD, until today.

    If a Chinese blue-collar worker had been on the average monthly salary of Rmb1,500 since the opium wars in the mid-19th century and had given up weekends, then he or she might just have been able to afford a place of his or her own.

    Prostitutes, the e-mail says, would have to entertain 10,000 customers – a marathon feat requiring them to service one customer a night from the age of 18 until the age of 46 without an evening off.

    The thief would need to conduct 2,500 robberies to find the funds to buy a home.

    চীনের রাজধানী বেইজিং-এ একটা ১০০ বর্গমিটার বা ১০৭৬ বর্গফুটের বাসা কিনতে একজন কৃষক বা একজন অফিসের সাধারণ কর্মকর্তা বা একজন যৌনকর্মী বা একজন চোরের কত কাজ করতে হবে তার একটি হিসেব পাওয়া যায় এখানে। এরকম জনপ্রিয় নামহীন ইমেইল থেকে চীনের সম্পত্তির দামের ভয়ংকর উর্ধ্বগতির আভাস পাওয়া যায়। শুধু সম্পত্তি নয়, চীনে অতি উচ্চমূল্যের জন্য আর কী কী করতে পারবেন না

    “Can’t afford to be born because a Caesarean costs Rmb50,000; can’t afford to study because schools cost at least Rmb30,000; can’t afford to live anywhere because each square metre is at least Rmb20,000; can’t afford to get sick because pharmaceutical profits are at least 10-fold; can’t afford to die because cremation costs at least Rmb30,000,”

    বিস্তারিত এখানে

  14. মাসুদ করিম - ২৮ ডিসেম্বর ২০১০ (৭:২৫ অপরাহ্ণ)

    সোমবার বেনজীর হত্যার তৃতীয় বাষির্কী পালিত হল। এক আমেরিকান রাজনৈতিক পরামর্শদাতা এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘ভুট্টো’ নামে একটি প্রমাণ্যচিত্র বানিয়েছেন যেটি এমাসে জার্মানি ও আমেরিকায় মুক্তি পেয়েছে। প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণকারীর সাক্ষাৎকার পড়ুন এখানে

  15. মাসুদ করিম - ২৮ ডিসেম্বর ২০১০ (৭:৪৭ অপরাহ্ণ)

    The Turkish prime minister has harshly criticized the main pro-Kurdish party’s demand for autonomy and the broader use of the Kurdish language, accusing it of “sabotaging the democratization of Turkey.”

    Turkey’s common language is Turkish. Any initiative to change this reality cannot be accepted. This is a matter of social peace and unity,” Prime Minister Recep Tayyip Erdoğan told parliamentary deputies late Sunday during budget talks at the Parliament.

    তুরষ্কের প্রধানমন্ত্রী কুরদিশদের বিরুদ্ধে এভাবেই কথা বলছেন। আর কুরদিশ নেতারা বলছেন

    Criticizing Erdoğan for fueling nationalism through his statements, Demirtaş said Monday that the BDP was trying to defend people’s right to use their mother tongue freely. “This is not racism or ethnic division. It’s to protect a banned language. We believe in democracy and peace,” he said, arguing that the projects put forward by pro-Kurdish groups aim to prevent division in the country.

    “But if the ruling party is determined to insult Kurds and drive them away from the state, they should come clean and openly say it,” Demirtaş said. “His [Erdoğan’s] comments will only make the Turkish nationalists happy. The prime minister seems to want to walk hand-in-hand with the nationalists ahead of the general elections; this is his choice. What he is doing will just deepen the crisis.”

    কুরদিশদের ভাষা প্রশ্নে তুরষ্কের প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, আল্লাহ বলেছেন আমি তোমাদের সবাইকে সমান করেছি, আমার জাতি এক, আমার ভাষা এক। কুরদিশ নেতা এর উত্তর দিয়েছেন, কোরানে আছে আমি তোমাদের সবাইকে আলাদা আলাদা করে সৃষ্টি করেছি

    Demirtaş also used a religious reference to criticize the prime minister, accusing Erdoğan of “defying Allah.”

    “Erdoğan says, ‘I will make you all similar, my nation is one, my language is one,’ whereas Allah says, ‘I created every one of you different,’” the BDP co-chair said. “Mr. Prime Minister, which holy book says that? How is this being a Muslim?”

    ভাষা নিয়ে উগ্র জাতীয়তার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছে তুরষ্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস পার্টি, কিন্তু ওই প্রশাসকদের সাবধান হওয়া উচিত। আর প্রশাসন ভাষা নিয়ে বেশি বাধা দিলে কুরদিশদের আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারির চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ভাষা প্রশ্নে তীব্র সংগ্রামে নেমে পড়া উচিত। ভাষা প্রশ্নে প্রশাসনের উগ্র জাতীয়তা সব সময়ের জন্য পরিত্যাগ করে ভাষার বহুত্বকে পরিচর্যা করা উচিত।

    বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  16. মাসুদ করিম - ২৮ ডিসেম্বর ২০১০ (৯:০৩ অপরাহ্ণ)

    সুন্দরবন ছাড়া বাংলাদেশের আর কোথাও বাঘ নেই। কিন্তু গত রোববার রাতে কক্সবাজারের হিমছড়িতে গাড়ি চাপা পড়ে একটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। পরে শনাক্ত করা হয়েছে মৃত বাঘটি মেছো বাঘ। তাহলে ওই বনাঞ্চলে আরো অনুসন্ধান করে কতগুলো মেছো বাঘ বা আর কোনো প্রজাতির বাঘ আছে কিনা এমন একটি শুমারি দ্রুতই করা উচিত। মৃত বাঘটি আমাদের সেকাজে প্রবৃত্ত করুক এবং ভবিষ্যতে এভাবে যেন আর কোনো বাঘের প্রাণ না যায় সেলক্ষ্যে আমাদের কর্মপন্থা ঠিক করা উচিত।

    কক্সবাজার সমুদ্র তীরবর্তী পর্যটন এলাকা হিমছড়িতে গাড়িচাপায় একটি মেছো বাঘের মৃত্যু হয়েছে। গাড়িচাপায় মৃত প্রাণীটিকে কেউ কেউ বাঘের শাবক বলে দাবি করলেও বনবিভাগ বলেছে, সেটি আসলে রয়েল বেঙ্গল, চিতা কিংবা বাঘের শাবক নয়, এটি মেছো বাঘ হতে পারে। কারণ কক্সবাজার বনাঞ্চলে বাঘ থাকার কথা নয়। এখানে সচরাচর মেছো বাঘ দেখা যায়।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত রোববার রাতে রাস্তার ওপর একটি ছোট আকারের বাঘ পড়ে থাকতে দেখে অনেকের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। কারণ এই অঞ্চলে গত ২ দশকে কোনো বাঘ দেখা যায়নি। বর্তমানে সুন্দরবন ছাড়া অন্য কোনো বনে বাঘ নেই।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া মৃত বাঘের ছবি দেখে এটি মেছোবাঘ বলে শনাক্ত করেন।

    খবরের লিন্ক এখানে

  17. মাসুদ করিম - ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ (৭:৩২ অপরাহ্ণ)

    পাকিস্তানের পপ গান অনেক সরকারি ও রাষ্ট্রীয় বাধা অতিক্রম করে পথ চলেছে এবং সে পথে অসাধারণ সব সৃষ্টিকর্মও শ্রোতাদের অকুণ্ঠ প্রশংসা পেয়েছে। গান সব সময়ের মতো এখনো পাকিস্তানের এক অসাধারণ অর্জন। এখন আর পাকিস্তানে কোনো সরকারি ও রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞায় পপ গান বন্ধ হয় না — কিন্তু জঙ্গিবাদের আক্রমণের গানের দোকানগুলো ধ্বংস হচ্ছে — যদিও জঙ্গিরা কোনো গায়ক গায়িকাকে আজ পর্যন্ত আক্রমণ করেনি। নাদিম এফ পারাচা লিখছেন

    Today, pop music and musicians in the country do not face any state/government bans.

    The opposition to them is now mostly coming from religious pressure groups, but the real threat is the one being faced by every Pakistani: the violent extremists.

    This is despite the fact that no musician has ever been directly attacked by the extremists, but scores of music stores have been bombed across the country.

    The grim state of affairs that every Pakistani faces due to the ever-present threat of a suicide attack, the economic downturns and the growing tussle between politicians, has actually ripped open a glaring divide in the current pop scene.

    পাকিস্তানে পপ গানের দীর্ঘ ঐতিহ্যে আমরা পেয়েছি ফোকপপ, আরবানপপ, সুফিরক-এর মতো গানের জনপ্রিয় উন্মাদনার সংষ্কৃতি। নাদিম এফ পরাচার Popping Zia বিস্তারিত পড়তে অনুরোধ করব পাঠককে, বিশেষত লেখাটিতে গানের যে লিন্কগুলো দেয়া আছে তা দেখতে ভুলবেন না। পরাচা এক চমৎকার পপ সংকলন তৈরি করেছেন এখানে।

  18. মাসুদ করিম - ৩০ ডিসেম্বর ২০১০ (১:৫৬ পূর্বাহ্ণ)

    পেশায় ভিক্ষুক গয়ের আলী গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন বাড়ি থেকে চেয়ে নিতেন তালের আঁটি (তালবীজ)। সেই তালবীজ তিনি বপন করেন নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে। গজিয়ে ওঠা চারারও যত্ন নিতেন পরম মমতায়। তাঁরই নিরলস পরিশ্রমের ফসল হিসেবে ওই মহাসড়কের দুপাশে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে তাল গাছের সারি। গাছের পরিচর্যার জন্য বিনিময়ে কারো কাছে কিছুই চাননি কোনো দিন। তাল গাছ লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখার জন্য এলাকার লোকজন তাঁকে শেষ জীবনে ডাকতেন ‘তালবুড়ো’ বলে।

    সেই তালবুড়ো গত সোমবার বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। ২০০৯ সালে পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য শেখ হাসিনা তাকে পুরুস্কৃত করেছিলেন।

    খবরের লিন্ক এখানে

  19. মাসুদ করিম - ৩০ ডিসেম্বর ২০১০ (৯:৩১ পূর্বাহ্ণ)

    বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তি মুক্তিযুদ্ধ — এই যদি হয়, তাহলে মণি সিংহের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করা উচিত এবং তার সূচনা আওয়ামী লীগ সরকারেরই করা উচিত আর তার প্রস্তাব আসুক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের কাছ থেকে। আগামীকাল মণি সিংহের ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আমার ভাবনা।

    আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, পার্টির সাবেক সভাপতি কমরেড মণি সিংহের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী। কিছুটা নীরবে-নিভৃতেই হয়তো দিনটি পালিত হবে। কমিউনিস্ট পার্টির এবং মণি সিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্ট হয়তো তার স্মরণে ঘরোয়া সভার আয়োজন করবে। এছাড়া মূলত তার ছেলে দিবালোক সিংহের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় দুর্গাপুরে ৭ দিনের মণি সিংহের মেলা হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে। সেখানে নানা ধরনের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। বর্তমান প্রজন্মের অনেকের কাছেই মণি সিংহের নাম তেমন পরিচিত নয়। অথচ এক সময় শুধু কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাই নয়, সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন দেখা অসংখ্য যুবক-তরুণ মণি সিংহের নামে আলোড়িত ও রোমাঞ্চিত হতেন। যার জীবন নিবেদিত ছিল মানুষের মুক্তির সংগ্রামে তার মৃত্যুবার্ষিকী নীরবে-নিভৃতে পালিত হওয়াটা মোটেও কোন ভালো লক্ষণ নয়। বাংলাদেশের বাম রাজনীতির এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব মণি সিংহ এই যে ক্রমেই বিস্মৃতির আড়ালে চলে যাচ্ছেন, তার কারণ কী? শুধু কি সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব ব্যবস্থার পতন ও কমিউনিস্ট পার্টির দুর্বল হয়ে পড়ার কারণেই মণি সিংহের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এভাবে বিস্মৃত হচ্ছেন, নাকি এর পেছনে আরও কোন কারণ আছে? যারা স্মরণযোগ্য, যারা সম্মান পাওয়ার মতো তাদের প্রতি উদাসীনতা দেখানো কি জাতির জন্য কোন ভালো ইঙ্গিত বহন করে?

    রাজনীতির খারাপ দিনে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অনটনের দিনে — মণি সিংহের মতো নেতাদের বৃহত্তর পরিসরে উদযাপন করা খুবই প্রয়োজন। বিভুরঞ্জন সরকারের আজকের কলামের শিরোনামটি আমাদের চেতনায় আঘাত করার জন্য যথার্থ : মণি সিংহকে ভুলে থাকলে ক্ষতি আমাদেরই

  20. মাসুদ করিম - ৩০ ডিসেম্বর ২০১০ (১০:০৭ পূর্বাহ্ণ)

    বেঁচে থাকা প্রিয়তম অভিনেতা প্রয়াত হলেন, মঙ্গলবার চলে গেলেন রমাপ্রসাদ বণিক। খবরের লিন্ক এখানে

  21. মাসুদ করিম - ৩১ ডিসেম্বর ২০১০ (৯:১৬ অপরাহ্ণ)

    আমরা যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিশেষ ট্রাইবু্যনালে করার দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরম্ন করি তখন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আমাদের কাছে গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধের তথ্যপ্রমাণ থাকলে প্রচলিত আদালতে কেন যাচ্ছি না। আমাদের সমমনা কেউ কেউ প্রচলিত আদালতে মামলাও করেছিলেন।
    যুদ্ধাপরাধের বিচার যে প্রচলিত আইনে সম্ভব নয়, রাষ্ট্র যদি বিশেষ ট্রাইবু্যনাল গঠন করে বিচারের উদ্যোগ না নেয় অপরাধীরা কখনও যে শাসত্মি পাবে না এ বিষয়ে বিচারপতি সোবহান সব সময় আমাদের সতর্ক করেছেন। তারপরও কেউ কেউ বলেছেন সরকার বাদী হয়ে বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ না করলে তারাই আদালতের শরণাপন্ন হবেন। বিচারপতি সোবহান সব সময় বলেছেন, জামায়াত এবং তাদের সহযোগীরা চাইবে ব্যক্তিরা প্রচলিত আদালতে মামলা করম্নক, যাতে প্রমাণের অভাবে যুদ্ধাপরাধীরা নিষ্কলঙ্ক হয়ে বেরিয়ে আসতে পারে। ২০০৭-এর ৪ নবেম্বরে তিনি নির্মূল কমিটির এক সমাবেশে এ বিষয়ে কঠোর মনত্মব্য করেছেন, আমাদের বারণ করার পরও কেউ যদি দেশে বা দেশের বাইরে ‘৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিরম্নদ্ধে মামলার উদ্যোগ গ্রহণ করে আমরা তাদের জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করতে বাধ্য হব। তাঁর অপ্রিয় সত্য উচ্চারণ কখনও প্রতিপক্ষের বুকে কাঁপন ধরিয়েছে, আবার কখনও আমাদের সহযোগীদের কারও কারও অস্বসত্মি ও উদ্বেগের কারণ হয়েছে।
    ২০০৪ সালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি তাঁকে ‘জাহানারা ইমাম স্মৃতি পদক’ প্রদান করে। সরকার না করলেও বহু সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন তাঁকে পুরস্কৃত করেছে। ২০০৬ সালে ‘জাহানারা ইমাম স্মারক বক্তৃতা’ প্রদানের জন্য তাঁকে নির্বাচন করা হয়। তাঁর বক্তৃতার শিরোনাম ছিল ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বাংলাদেশের সংবিধান।’ এই বক্তৃতার উপসংহারে তিনি লিখেছিলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশে যুদ্ধ হচ্ছে। তার সাথে ঘটছে যুদ্ধাপরাধ। বিশ্ব বিবেক এখন জাগ্রত এই যুদ্ধাপরাধের বিরম্নদ্ধে। যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য হেগে এখন আনত্মর্জাতিক ফৌজদারি আদালত গঠিত হয়েছে এবং তা সক্রিয়। বাংলাদেশও এই আদালত সম্পর্কে সমর্থনসূচক স্বাক্ষর করেছে। এ আদালতে ইউগোসস্নাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মিলোসভিচের বিচার হয়েছে। লাইবেরিয়ার চার্লস ক্লার্ক শীঘ্রই এই আদালতের সামনে হাজির হবে। চিলিতে পিনোশের মানবতার বিরম্নদ্ধে অপরাধের জন্য নিজ দেশে বিচার হতে যাচ্ছে। বিশ্ববিবেক বর্তমানে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরম্নদ্ধে অপরাধ, শানত্মির বিরম্নদ্ধে অপরাধ প্রভৃতির বিরম্নদ্ধে অনেক বেশি সংবেদনশীল এবং সোচ্চার।
    ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি শহীদ জননী জাহানারা ইমাম যুদ্ধাপরাধীদের বিরম্নদ্ধে গণআদালত গঠন এবং গণতদনত্ম কমিশন গঠন করে তাদের যে শাসত্মির ব্যবস্থা করেছিলেন তা অদূর ভবিষ্যতে বাসত্মবায়িত হবে দেশের আদালতে। তাদের ঐ সব অপরাধের বিচার নিশ্চয়ই হবে।’

    ২০০৭এর ৩১ ডিসেম্বর বিকালে রমনা পার্কে হাঁটতে গিয়েছিলেন বিচারপতি কে এম সোবহান, সেদিন রমনা পার্কে হাঁটতে হাঁটতেই তার ৮৩ বছরের জীবনের অবসান হল।

    বাংলাদেশের মৌলবাদ বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের এক বলিষ্ঠ ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তিত্ব ছিলেন কেএম সোবহান। এখানে পড়ুন শাহরিয়ার কবিরের কলাম : যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনে বিচারপতি কেএম সোবহানের অবদান

    ঘড়ির কাঁটা আর জীবন ছিল যুগলবন্দী। সময়ের কোনদিন হেরফের হয়নি তার। কোথাও কোনদিন তাকে নির্ধারিত সময়ের পর পেঁৗছতে দেখেনি। কথিত আছে, যে রাস্তা ধরে তিনি প্রতি বিকেলে হাঁটতে যেতেন সে রাস্তার ধারের দোকান ও বাড়ির লোকজন নিজেদের ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে নিতেন। সময় নিষ্ঠার সঙ্গে যোগ হয়েছিল কেতার সংমিশ্রণ। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের যাবতীয় শুভ মঙ্গলকে তিনি আত্মীকরণ করেছিলেন। পোশাকে-আশাকে ছিলেন সাধারণ। কিন্তু আটপৌরে পোশাককে তিনি নিয়েছিলেন সাদাসিধে কেতাদুরস্ত। জীবন কাটিয়ে ছিলেন সাদাসিধেভাবে।

    এখানে পড়ুন সোবহান কন্যা রুমানা নাহীদ সোবহানের স্মৃতিচারণ : বিচারপতি সোবহানের সেইসব দিনরাত্রি

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.