সুপারিশকৃত লিন্ক: নভেম্বর ২০১৯

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

১১ comments

  1. মাসুদ করিম - ৬ নভেম্বর ২০১৯ (৪:৪৫ অপরাহ্ণ)

    বিশেষ সাক্ষাৎকারে শ্যাম বেনেগাল
    ‘স্মৃতি উজাড় করে সব শেয়ার করেছেন শেখ হাসিনা’

    বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হতে যাওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবননির্ভর কাহিনিচিত্রের (বায়োপিক) পরিচালক শ্যাম বেনেগাল জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের কাজে তাকে সার্বিকভাবে সাহায্য করছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘স্মৃতি থেকে উদ্ধার করে যা যা তার রসদে ছিল, সেই সবকিছুই আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন তিনি’—জানিয়েছেন বেনেগাল।

    তবে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বলিউডের প্রবীণ এই চিত্রনির্মাতা এ কথাও স্বীকার করেন—ছবিটি শেষ করতে আগে যা ভাবা হয়েছিল, তারচেয়ে সম্ভবত একটু বেশিই সময় লাগবে।

    ঠিক এক মাস আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দিল্লিতে তার হোটেল স্যুইটে দেখা করেছিলেন শ্যাম বেনেগাল। রবিবারের সেই সকালে (৬ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধুর ওপর কাহিনিচিত্রটি নিয়ে দু’জনের মধ্যে সেদিন দীর্ঘ আলোচনাও হয়েছিল।

    শেখ হাসিনা ও শ্যাম বেনেগালের মধ্যে সেই বৈঠকের পর এই প্রথম কোনও গণমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন মুম্বাইয়ের এই বর্ষীয়ান ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় পরিচালক। টেলিফোনে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে তার কথাবার্তার সারসংক্ষেপ নিচে তুলে ধরা হলো—

    বাংলা ট্রিবিউন: বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক নির্মাণের কাজ এখন ঠিক কোন পর্যায়ে?

    শ্যাম বেনেগাল: কাজ চলছে পুরোদমে। তবে এখনই বলার মতো কোনও ডেভেলপমেন্ট নেই। আসলে এই ধরনের এপিক কাজ তাড়াহুড়ো করে কখনও হয় না, আর এখানেও তা হবে না। এখনও আমরা ছবিটির নানা বিষয় ও নানা দিক নিয়ে গবেষণা করছি, আর সেইসব তথ্য সংকলন করে স্ক্রিপ্ট বা চিত্রনাট্য দাঁড় করানোর কাজ চলছে। স্ক্রিপ্ট ফাইনাল হলেই তারপর আমরা পরের ধাপগুলো নিয়ে এগোবো।

    বাংলা ট্রিবিউন: এদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ তো প্রায় এসেই গেলো…

    শ্যাম বেনেগাল: হ্যাঁ, সেটা আমার খেয়াল আছে। আগামী বছরের মার্চ মাস থেকেই শেখ মুজিবের জন্মশতবর্ষ উদযাপন শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশ সম্ভবত তার পরবর্তী এক বছরকে ‘মুজিব ইয়ার’ হিসেবেও পালন করবে। আমাদের টার্গেট হলো, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের জন্মলগ্নের ৫০ বছর পূর্তি–এর মাঝের কোনও একটা সময়ে ছবিটা শেষ করা।

    বাংলা ট্রিবিউন: তার মানে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কোনও একটা সময়ে?

    শ্যাম বেনেগাল: ঠিক তাই। এই দুটো মাইলস্টোন ইভেন্টের মাঝখানে যে সময়টা, তার ভেতরেই ছবিটা মুক্তি পাবে বলে আমি আশা করছি। হয়তো আর একটু আগেই শেষ করার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু এটুকু সময় এখন লাগবেই।

    বাংলা ট্রিবিউন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ছবিটা নিয়ে কী বলেছেন? আপনার সঙ্গে তো সম্প্রতি ওনার মুখোমুখি কথা হলো…

    শ্যাম বেনেগাল: উনি যে এই বায়োপিক নিয়ে ভীষণ উৎসাহী, সেটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাকে ও আমার রিসার্চ টিমকে উনি সবরকমভাবে সব সময় সাহায্য করে যাচ্ছেন। ওনার নিজের বাবাকে পরিবার ও রাজনীতির বলয়ে খুব কাছ থেকে যেভাবে দেখেছেন, যেসব কথা তার স্মরণে আছে—তার সবই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আমাদের জানিয়েছেন। চিত্রনাট্যের জন্য নানা ধরনের রসদপত্র, রিসার্চ মেটেরিয়াল, সেসবও আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন এরই মধ্যে।

    বাংলা ট্রিবিউন: এই প্রোজেক্টে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ঠিক কী ধরনের ভূমিকা পালন করছেন?

    শ্যাম বেনেগাল: (জোরে হাসতে হাসতে) সেটাই তো বললাম। আপনারা কি ওনাকে এই সিনেমায় আর অন্য কোনও ভূমিকাতেও দেখতে চান? তাহলে বলে ফেলুন, পরের মিটিংয়ে না-হয় কথাটা ওনার কাছে পাড়বো!

    বাংলা ট্রিবিউন: (হেসে ফেলে) সেটা না-হয় আপনার ওপরই ছেড়ে দিলাম। তবে আমরা কিন্তু এটাও জানতে চাইবো, বঙ্গবন্ধুর ভূমিকায় কে অভিনয় করবেন, সেটা কি কিছু ঠিক হলো?

    শ্যাম বেনেগাল: না, এখনও সে ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে চিন্তাভাবনা চলছে। কিন্তু বায়োপিকে নাম ভূমিকায় কে অভিনয় করবেন, সেটা এখনও কিছু বলার মতো জায়গাতেই আসেনি–আই মিন দ্যাট উড বি টু প্রি-ম্যাচিওর!

    এরপরই বর্ষীয়ান পরিচালককে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানিয়ে টেলিফোন নামিয়ে রাখি।

  2. রেজাউল করিম সুমন - ৭ নভেম্বর ২০১৯ (৫:৩৫ অপরাহ্ণ)

    ৮১ বছরে প্রয়াত সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন, শোকস্তব্ধ সাহিত্য জগৎ

    https://images.anandabazar.com/polopoly_fs/1.1068083.1573141840!/image/image.jpg_gen/derivatives/landscape_390/image.jpg

    নিজস্ব সংবাদদাতা
    কলকাতা |
    ৭ নভেম্বর, ২০১৯, ২০:৫৫:২৭
    শেষ আপডেট: ৭ নভেম্বর, ২০১৯, ২২:২৪:৩৭

    প্রয়াত সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ তাঁর হিন্দুস্তান রোডের বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। কবি, সাহিত্যিক, লেখক, প্রাবন্ধিক নবনীতার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগৎ।

    দীর্ঘদিন ধরেই ক্যান্সারে ভুগছিলেন নবনীতা। তার মধ্যেও নিয়মিত লেখালেখি করে গিয়েছেন। কিন্তু আর লড়াই চালিয়ে যেতে পারলেন না। আগামিকাল শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। এ দিন অবশ্য তাঁর বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তালাবন্ধ করে রাখা হয় গেট।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ রাতে বাড়িতেই থাকবে তাঁর মরদেহ।

    পদ্মশ্রী, সাহিত্য অ্যাকাডেমি-সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারজয়ী নবনীতার জন্ম কলকাতায়। তিনি রাধারানি দেবী ও নরেন্দ্রনাথ দেবের কন্যা। বাবা ও মা দু’জনেই কবি, নবনীতাও আজীবন কাব্যচর্চা করে গিয়েছেন। কবিতা ও গদ্য, উভয়ক্ষেত্রেই তিনি সিদ্ধহস্ত। এ ছাড়া ভ্রমণকাহিনি রচনাতেও তাঁর দক্ষতা অনস্বীকার্য। তিনি দীর্ঘ দিন ‘রামকথা’ নিয়ে কাজ করছেন। সীতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তিনি রামকথার বিশ্লেষণ করেছেন। ‘চন্দ্রাবতী রামায়ণ’ তাঁর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

    তিনি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল ১৯৫৯ সালে। তাঁদের দুই মেয়ে অন্তরা দেবসেন এবং নন্দনা সেন। ১৯৭৬ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। তার পরে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান তিনি। শিক্ষাবিদ নবনীতা অধ্যাপনা করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে। তিনি আমেরিকার কলোরাডো কলেজের তুলনামূলক সাহিত্যে মেট্যাগ প্রফেসর ছিলেন। এ ছাড়া তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাধাকৃষ্ণাণ স্মারক লেকচারার ছিলেন।

    নবনীতা দেবসেনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটের পাশাপাশি শোকবার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী। লেখেন, ‘বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ নবনীতা দেবসেনের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ ৮১ বছর বয়সে কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অসংখ্য গল্প, কবিতা, রম্যরচনা ও উপন্যাসের স্রষ্টা নবনীতা দেবসেন পদ্মশ্রী, সাহিত্য অ্যাকাডেমি, কমলকুমারী জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করতেন। তাঁর প্রয়াণে সাহিত্য জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি নবনীতা দেবসেনের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’

    নবনীতা দেবসেনের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। শোক জানান অধীর চৌধুরী এবং বিমান বসু।

  3. মাসুদ করিম - ৯ নভেম্বর ২০১৯ (৪:৩৪ পূর্বাহ্ণ)

    মইন উদ্দীন খান বাদল আর নেই

    চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য বাংলাদেশ জাসদের নেতা মইন উদ্দীন খান বাদল ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

    বেঙ্গালুরুতে নারায়ণ ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে তার ছোট ভাই মনির উদ্দীন খান জানান।

    বছর দুই আগে ব্রেইন স্ট্রোক হওয়ার পর থেকেই অসুস্থ ছিলেন বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী পরিষদের সভাপতি বাদল। ৬৭ বছর বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ হৃদযন্ত্রের জটিলতায়ও ভুগছিলেন।

    ছোট ভাই মনির জানান, দুই সপ্তাহ আগে নিয়মিত চেকআপের জন্য ভারতে গিয়েছিলেন বাদল। সেখানে প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

    বাদলের মরদেহ দেশে আনা এবং শেষকৃত্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে পরে তা জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মনির।

    চট্টগ্রাম ৮ (চাঁদগাও-বোয়ালখালী) আসনের তিনবারের সাংসদ বাদল বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।

    এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এক শোকবার্তায় বলেছেন, “মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে দেশ একজন নির্ভিক মুক্তিযোদ্ধা, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রগতিশীল অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ানকে হারালো।”

    আর বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ তার শোকবার্তায় বলেন, “তার মৃত্যুতে জাতি আজ বিনয়ী অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ, শিক্ষিত ও ত্যাগী রাজনীতিবিদকে হারালো। রাজনৈতিক অঙ্গনে তার মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হল তা সহজে পূরণ হবার নয়।”

    ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মইন উদ্দীন খান বাদল। তার বাবা আহমদ উল্লাহ খান ও মা যতুমা খাতুন।

    ষাটের দশকে ছাত্রলীগের ‘নিউক্লিয়াসে’ যুক্ত বাদল একাত্তরে ভারতে প্রশিক্ষণ নেন এবং পরে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। চট্টগ্রাম বন্দরে অস্ত্র বোঝাই জাহাজ সোয়াত থেকে অস্ত্র খালাস প্রতিরোধের অন্যতম নেতৃত্বদাতা ছিলেন তিনি।

    মুক্তিযুদ্ধের পর সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন বাদল। জাসদ হয়ে বাসদ এবং পরে আবারো জাসদে ফেরেন। এরশাদের সামরিক শাসনের সময় তাকে কারাগারে যেতে হয়।

    ২০১৬ সালের ১২ মার্চ জাসদের জাতীয় কাউন্সিলে আবার দুই ভাগ হয় দলটি। হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতার নেতৃত্বাধীন অংশটি ইসির স্বীকৃতি পাওয়ার পর শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান নেতৃত্বাধীন অংশটি বাংলাদেশ জাসদ নামে আলাদা দলের স্বীকৃতি চায়। তবে ইসি তাদের নিবন্ধন দেয়নি। এই অংশের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মইন উদ্দীন খান বাদল।

    চট্টগ্রামের বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসন থেকে ২০০৮ সালে মহাজোটের মনোনয়ন পান শরিক দল জাসদের নেতা বাদল। নৌকা প্রতীকে তার বড় জয়ের মধ্য দিয়ে ওই আসনে বিএনপির দীর্ঘদিনের আধিপত্যের অবসান ঘটে।

    এরপর ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে আরও দুই বার তিনি আসনের এমপি নির্বাচিত হয়ে সংসদে যান। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে দৃপ্ত বক্তব্য দেওয়া বাদল সমাদৃত ছিলেন একজন দক্ষ পার্লামেন্টেরিয়ান হিসেবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল গঠনেও তার ভূমিকা ছিল।

    তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক যৌথ শোকবার্তায় বলেন, “ষাট দশকে ছাত্রলীগের সদস্য হিসাবে বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে জাসদের সদস্য হিসাবে স্বৈরশাসন-সামরিক শাসন-সাম্প্রদায়িকতা-প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মইনউদ্দিন খান বাদলের সাহসী ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

    স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন মইন উদ্দীন খান বাদল।

    দেশের সংসদীয় ইতিহাসে বাদলের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে: রাষ্ট্রপতি

    চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য বাংলাদেশ জাসদের নেতা মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে গভীরে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

    বৃহস্পতিবার এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, “মরহুম মইন উদ্দীন খান বাদল সংসদের বিভিন্ন কমিটিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গঠনমূলক মতামত প্রদান করে সংসদ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাসে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

    রাষ্ট্রপতি মরহুদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

    বেঙ্গালুরুতে নারায়ণ ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে মৃত্যু হয় বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরি পরিষদের সভাপতি বাদলের।

    দুই বছর আগে ব্রেইন স্ট্রোক হওয়ার পর থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। ৬৭ বছর বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ হৃদযন্ত্রের জটিলতায়ও ভুগছিলেন।

    চট্টগ্রাম ৮ (চাঁদগাও-বোয়ালখালী) আসনের তিনবারের সাংসদ বাদল বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।

    পৃথক এক শোক বার্তায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধা মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে দেশ একজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ানকে হারালো। তার মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।”

    ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এবং সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীও আলাদা বিবৃবিতে বাদলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

  4. মাসুদ করিম - ৯ নভেম্বর ২০১৯ (৪:৫০ পূর্বাহ্ণ)

    https://mknewsmedia.tumblr.com/post/188917736904/%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%A4-%E0%A6%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%B8-%E0%A6%A8-%E0%A7%A7%E0%A7%AF%E0%A7%A9%E0%A7%AE-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%9C-%E0%A6%AD-%E0%A6%AC-%E0%A6%97%E0%A6%AD-%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%A5

    অনিতা অগ্নিহোত্রীর পুত্রের বিবাহে। কবি অঞ্জলি দাস আছেন। অনিতা আছেন। নবনীতাদি। ভোরবেলায় এই ভালোবাসার হাসিটি খুঁজে বের করলাম। আমরা এমন হাসতে পারি না।
    প্রণাম দিদি। – অমর মিত্র।

    একবার পুজো উপলক্ষে ফরমায়েশ থাকা সাহিত্যকর্ম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে কলকাতা হতে দূরে কোথাও নিরিবিলি জায়গায় গিয়েছেন সুনীলসহ আরও অনেকে। কাগজগুলোতে সে সংবাদ দেখে নবনীতা দেবসেন একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। তাঁর উপলব্ধি ছিলো, তাঁকে তো সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি ঘরকান্নাও করতে হয়। রোজকার এ ঘরসংসার ফেলে নিরিবিলি কোথাও গিয়ে সাহিত্য সৃষ্টির ইচ্ছে তাঁরও আছে। কিন্তু সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব সুনীলদের নিতে না হলেও নবনীতা দেবসেনকে তাঁরটা নিতে হয়। সে উপলব্ধি টুকে রেখেছিলেন ডায়েরিতে। বন্ধুবর সৈকত পড়তে দিয়েছিলো সে বই। তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। সে বইয়ের সম্ভবত নাম ছিলো – নবনীতা দেবসেনের নোটবুক। এর বাইরে আলাদা করে তাঁর আর কী পড়েছি মনে পড়ছে না। আজ চলেই গেলেন! প্রণাম। -SabuzKP

  5. মাসুদ করিম - ১১ নভেম্বর ২০১৯ (৪:২৭ অপরাহ্ণ)

    Ayodhya Verdict
    Supreme Court rejected division of Ayodhya site – but based its decision on such divisions

    What tilted the scales in favour of the Hindu side in the Ayodhya case was the Supreme Court’s willingness to consider “exclusive possession” by the Hindus of just one part of the disputed site as valid grounds for awarding a title over the entire site. Its decision was not based on the case made by the Muslim side for “adverse possession” as reported by sections of the media.

    In this piece, we explain both these aspects as well as the flaws in the court’s reasoning.

    First, a look at what the court said about exclusive possession.

    Partial possession, full title

    In 1857-’58, after a communal riot broke out between the two communities, the British administration decided to build a railing that divided the inner and outer courtyards of the disputed land. The inner courtyard contained the three-domed mosque that would be demolished by Hindutva mobs in 1992. The outer courtyard contained several Hindu shrines.

    In its judgement delivered on Saturday, the Supreme Court held the Hindus were able to show they held exclusive possession of the outer courtyard before 1857, whereas the Muslims were not able to show similar exclusive possession of the inner courtyard before 1857.

    Using the civil law tenet of “preponderance of probabilities”, the court declared that since the Hindus had possession of the outer courtyard and were in contest with the Muslims over the inner courtyard, the disputed site should be assumed to be in possession of the Hindus. In other words, the probability that the Hindus may have been in possession of the entire land originally is higher.

    However, if the inner courtyard was always under contest, why should the land title not be divided between Hindus and Muslims as the Allahabad High Court had ruled in 2010? Rejecting the High Court’s judgement, the Supreme Court said that the land could not be divided because it is a composite entity. The suits filed by both sides were not for partition of the site. The five-judge bench said:

    “In the absence of historical records with respect to ownership or title, the court has to determine the nature and use of the disputed premises as a whole by either of the parties.”

    “The grill-brick wall did not constitute either a subdivision of the disputed site which was one composite property, nor did it amount to a determination of title by the colonial administration.”

    But here is the problem: while awarding title over the land, the court took the view that it was a composite entity that could not be divided, but in its analysis to determine possession, it looked at the land as two different parts. That is, the possession claims of Hindus and Muslims are determined individually over the inner and outer courtyards of the disputed land. The court said:

    “(iv) Despite the existence of the railing, the exclusion of the Hindus from the inner courtyard was a matter of contestation and at the very least was not absolute;

    (v) As regards the outer courtyard it became the focal point of Hindu worship both on the Ramchabutra as well as other religious structures within the outer courtyard including Sita Rasoi. Though, the Hindus continued to worship at the Ramchabutra which was in the outer courtyard, by the consistent pattern of their worship including the making of offerings to the ‗Garbh Grih‘ while standing at the railing, there can be no manner of doubt that this was in furtherance of their belief that the birth-place of Lord Ram was within the precincts of and under the central dome of the mosque; and

    (vi) The riots of 1934 and the events which led up to 22/23 December 1949 indicate that possession over the inner courtyard was a matter of serious contestation often leading to violence by both parties and the Muslims did not have exclusive possession over the inner courtyard. From the above documentary evidence, it cannot be said that the Muslims have been able to establish their possessory title to the disputed site as a composite whole.”

    The last sentence in the quote above is significant because its purpose is to show that Muslims have not established possession of the site as a “composite whole” even after 1857. But if the land is treated as a composite whole, neither can the Hindus establish their possessory title after 1857.

    This is because post-1857, there is clear evidence that the inner courtyard was used by the Muslims to offer prayers in the mosque, with the Hindus trying to assert their claims through both violent and non-violent means. Since the inner courtyard was clearly contested after 1857 by the court’s own admission, when the land is treated as a composite, even Hindus fail to establish exclusive possession of the disputed site after 1857.

    No role of adverse possession

    Some media reports had suggested that the Muslim side lost out because it was not able to prove “adverse possession”. This is incorrect.

    In its title suit, the Sunni Waqf Board indeed made a case of adverse possession, which is essentially occupation of a land for a particular period without challenge from the actual owner. But it set this up as a secondary claim. The disclaimer was that it would seek adverse possession if it was established that a temple was demolished to build the mosque in 1528.

    Adverse possession can be claimed only after acknowledging that the land title belonged to someone else. There should also be a record of unimpeded and exclusive adverse possession. Did this legal necessity derail the board’s claim?

    The Supreme Court said there was no clear evidence that a Hindu structure beneath the mosque had been demolished to pave the way for the construction of the Babri Masjid on the orders of the Mughal emperor Babur. This rules out the possibility of the Sunni Waqf Board’s adverse possession claim to manifest. The court, in fact, dismissed the claim of adverse possession for multiple reasons, stating:

    “The plaintiffs have failed to adopt a clear stand evidently because they are conscious of the fact that in pleading adverse possession, they must necessarily carry the burden of acknowledging the title of the person or the entity against whom the plea of adverse possession has not been adequately set up in the pleadings and as noted above, has not been put-forth with any certitude in the course of the submissions. Above all, it is impossible for the plaintiffs to set up a case of being in peaceful, open and continuous possession of the entire property.”

    This shows that the decision of the court to award the land to the Hindus was not based on an adverse possession claim by the Muslim side, which was dismissed.

    Flawed logic

    The court’s decision was based on a contested right over the disputed land. It looked for elements of exclusive possession because when there are two claimants to a land, this becomes a civil law necessity.

    The problem with the court’s order is not that it sought evidence for exclusive possession, but that it put this burden on the Muslim side alone. Even though the Hindus were not able to show exclusive possession of the inner courtyard, they were still awarded title over the entire disputed site using the concept of preponderance of probabilities.

    The court may have invoked the concept of a composite site, but its reasoning rested on a divided site.

  6. মাসুদ করিম - ১১ নভেম্বর ২০১৯ (৪:৫৭ অপরাহ্ণ)

    দুর্নীতির অভিযোগ কেন উঠল, সাংবাদিকদের খুঁজতে বললেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী

    হঠাৎ কেন ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগ তোলা হল, তা সাংবাদিকদেরই ‘তদন্ত’ করে দেখতে বললেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

    তিনি বলেছেন, যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে করা হচ্ছে তা ‘একেবারেই ভিত্তিহীন’। তিনি সব সময় নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করেছেন এবং কোনো ‘অবৈধ সম্পদ’ তার নেই।

    “সাংবাদিক হিসেবে আপনারা ইনভেস্টিগেশন করেন যে কেন হয়েছে। কোন খবর নিয়ে হয়েছে। কোনো খবরে যদি আমাদের ভুল থাকত, একটি শব্দ, একটি বাক্য, একটি তথ্য, তাহলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারত। মামলা করেনি কেন? এই পথ কেন নিয়েছে?

    ‘জ্ঞাত আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের চিঠি পাওয়ার পর সোমবার ঢাকার দুদক কার্যালয়ে এসেছিলেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী। সেখানেই তিনি এ বিষয়ে প্রথমবারের মত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

    গত ৫ নভেম্বর দুদকের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে ১১ নভেম্বর দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়। চিঠিতে বলা হয়, খালিদীর নিজের এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হিসাবে ‘বিপুল পরিমাণ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন’ এবং বিভিন্ন ‘অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে তার বক্তব্য জানা প্রয়োজন।

    তা’ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে তিনি সে সময় বলেছিলেন, “আমাদের প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন খুবই শক্তিশালী একটি মহলকে নাখোশ করেছে। আর আমার সহকর্মীদের বস্তুনিষ্ঠ ও উদাহরণযোগ্য সাংবাদিকতার মূল্য এখন আমাদের এভাবে দিতে হচ্ছে।”

    বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করলেও দুদকের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানোয় সোমবার তিনি কমিশনের দপ্তরে যান। পরে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, আগে করা তার আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে সময় দেওয়া হবে। তিনি ফিরে যেতে পারেন।

    দুদক থেকে তিনি বেরিয়ে আসার সময় চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম সবুজ জানতে চান, সময় চেয়ে আবেদন করার পরও কেন তিনি কমিশনে এসেছেন।

    উত্তরে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, “আমি আইন কানুন মেনে চলার চেষ্টা করি। যদি সময়সীমা না বাড়ানো হয়, তাহলে কী হবে? কাজেই আমি এসেছি। আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে যেহেতু জানানো হয়নি। কাজেই আমাকে আসতে হয়েছে।”

    যে অভিযোগে দুদকে ডাকা হয়েছে, সে বিষয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বক্তব্য জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিক সবুজ।

    উত্তরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক বলেন, “অভিযোগটা কী সেটা আমি বুঝতে পারছি না। আমাকে বলা হয়েছে যে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের …

    “যেটা হয়েছে, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে একটি খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। সেই বিনিয়োগের একটি অংশ হচ্ছে, আমরা নতুন শেয়ার ইস্যু করে তাদের কাছে দিয়েছি। (অন্য অংশ হল) আমার অল্প মালিকানায় যেটা আছে, সেটার একটা অংশ বিক্রি করেছি। তাতে আমার একেবারে সম্পদহীন অবস্থা থেকে যে সম্পদ তৈরি হয়েছে, এতে অবৈধ সম্পদ অর্জন কী করে হলো?”

    বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম গত ১৩ অক্টোবর এক প্রতিবেদনে জানায়, তাদের কোম্পানিতে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক একটি কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ। ওই বিনিয়োগের একটি বড় অংশ তারা ব্যয় করবে ডিজিটাল সংবাদ সেবার সম্প্রসারণ ও উদ্ভাবনে।

    তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, “বাংলাদেশে নিবন্ধিত একটি কোম্পানি আমার শেয়ার কিনে নিয়েছে। তারা মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজ করে, ট্রাস্টি। আমাদের দিক থেকে সমস্ত আইন কানুন মেনে আমরা এই বিনিয়োগ গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো গণমাধ্যম কোম্পানিতে, সংবাদমাধ্যম বিষয়ক কোম্পানিতে এই ধরনের একটি বিনিয়োগ এসেছে। আমার ধারণা কেউ কেউ সেটা পছন্দ করেনি।”

    তিনি বলেন, ব্যক্তি হিসেবে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার জন্য তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

    “যারা আমাকে চেনে, আমার সঙ্গে যারা কাজ করে, আমার বন্ধু, আমার সহকর্মী, আমার আত্মীয়-স্বজন, আমার পরিবার- আমার ধারণা, তাদের সবার জন্য বেদনাদায়ক।”

    ওই অভিযোগকে ‘একেবারেই ভিত্তিহীন’ হিসেবে বর্ণনা করে তৌফিক ইমরোজ খালিদী সাংবাদিক সবুজের আরেক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আমার যেহেতু কিছু মালিকানা (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে) ছিল। সেটার একটি অংশ আমি বিক্রি করেছি। সেটা থেকে কিছু টাকা আমার ইয়েতে (অ্যাকাউন্টে) এসেছে। তেশরা অক্টোবরে কাগজপত্র সিগনেচার করা হয়েছে, ছয়ই অক্টোবর আমার অ্যাকাউন্টে টাকা এসেছে।

    “সেই টাকার যে আয়কর দিতে হয়, সেই টাকা আয়কর আমি দেব। সেটা ২০১৯-২০ করবর্ষে সেটা হবে। আমি সে আয়কর দেব। আমাকে কেউ কোনোদিন বলতে পারবে না যে, আমি ঠিকমত আয়কর দিই না।”

    পদ্মা ব্যাংকের কাছে অর্থ দাবি করার একটি ‘গুঞ্জন’ নিয়েও প্রশ্ন করেন সাংবাদিক সবুজ। উত্তরে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, ‘গুঞ্জন’ নিয়ে কোনো কথা তিনি বলবেন না।
    “পদ্মা ব্যাংকের যে ইয়ে হয়েছে, আমি শুনেছি, কোনো একজন ফেইসবুকে একটা পোস্ট দিয়েছে। পদ্মা ব্যাংকের এমডি কে- আমি চিনি না। তার নামও জানি না। এখন পর্যন্ত জানি না। জানার চেষ্টাও করিনি। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, ফেইসবুকে যে পোস্ট দেওয়া হয়েছে, আমি সেই পোস্টের জবাবও দেইনি। আমার কাছে জবাব দিতেও রুচিতে বেঁধেছে। কার সঙ্গে আমি ঝগড়া করব? কার সঙ্গে?”

    প্রথম আলোর সাংবাদিক মোর্শেদ নোমান প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, “তৌফিক ভাই ইয়েটা যেটা বলা হয়েছে যে, এআর গ্লোবাল…।”

    তার কথা শুধরে দিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, এলআর গ্লোবাল।

    মোর্শেদ নোমান তখন বলেন, “এলআর গ্লোবাল আপনার প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছে। একটা কথা হচ্ছে যে, এটা এসইসি কর্তৃক ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ। এরা বিনিয়োগ করতে পারে না।

    তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, এলআর গ্লোবাল নিষিদ্ধ কি-না, সেই প্রশ্নটা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে করতে হবে।

    “নিষিদ্ধ থাকলে তাদের ব্যবস্থাপনায় থাকা যে ছয়টি মিউচুয়াল ফান্ড আছে, সেই মিউচুয়াল ফান্ডের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তিনি ট্রান্সফার করতে পারতেন না। সেই কোম্পানি পারত না। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অ্যাকাউন্টে এবং আমার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে… এটা সম্ভব হত না। কাজেই এই যে প্রচারণা আছে… শোনেন আমিও সাংবাদিক। আপনারাও সাংবাদিকতা করেন। আপনাদেরকে আমার অধিকার আছে কিছু কথা বলার।

    “আরেকটু হোমওয়ার্ক করে আসবেন। এই যে জিজ্ঞেস করলেন, ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছে, আপনি হোমওয়ার্কটা করেননি। হোমওয়ার্ক করে আসবেন, জেনে আসবেন। যে কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেই কোম্পানি কখনো তাদের ম্যানেজ করা ফান্ড থেকে চেক ইস্যু করতে পারে না এবং সেই চেক কোনো ব্যাংক অনার করবে না।

    মোর্শেদ নোমান তখন বলেন, “আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম- ‘শোনা যাচ্ছে’।”

    তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, “শোনা কথা নিয়ে কখনো প্রশ্ন করবেন না। হোমওয়ার্ক করে আসবেন, জেনে আসবেন। শোনা কথা নিয়ে আমরা লিখি না। যেমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে আপনি কখনো দেখবেন না যে, শোনা কথা লেখা হয়েছে।… কখনো দেখবেন না যে প্রচারণা চালানো হয়েছে।”

    হঠাৎ করে কেন অভিযোগ তোলা হল, এ বিষয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদী কী মনে করছেন, তা জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিক মোর্শেদ নোমান।

    উত্তরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক বলেন, “আমিও অত্যন্ত বিস্মিত। আমি একেবারেই বিস্মিত হয়েছি। আমি চমকে গেছি।… এই প্রথম আমি বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলছি।
    “আমার সহকর্মীরা যখন এসেছিলেন, যেদিন চিঠি এসেছে, আমি তাদেরকে বলেছি, এটি নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত আমি প্রয়োজন হলে, প্রয়োজন হলে না, আমি তাদেরকে একদম প্রস্তাবই দিয়েছি যে আমি আমার পদ থেকে পদত্যাগ করতে চাই।… আমার সহকর্মীদেরকে বলেছি যে, তারা আমাকে প্রশ্ন করতে পারে। জিজ্ঞেস করতে পারে। যেহেতু আমি নিজেই এখন খবরের মধ্যে আছি, আমি নিউজ মেকার, সো আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারে, প্রশ্ন করতে পারে।

    “ওরা আমাকে প্রশ্ন করেছে, সেই সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। সেই সব জিনিস ছাপাও হয়েছে, আপনারা দেখেছেন। আমিও বিস্মিত, আমি জানতে চাই, কেন (অভিযোগ তোলা) হয়েছে।”

    কারা কেন ওই অভিযোগ তুলছে, সে বিষয়টি সাংবাদিকদের খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, “আমাকে বলেছে (দুদকে) আসার জন্য, আমি বলেছি- আমি যাব। আমাকে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে যে, এটা ‘ঠিকঠাক’ করে দেওয়া যায়। আমাকে এটা বলা হয়েছে, ওটা বলা হয়েছে…। বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকমের প্রস্তাব দিয়েছে।

    “অভিযোগ যেহেতু এসেছে, আমি ডিফেন্ড করতে এসেছি। যতদূর পর্যন্ত যেতে হয়, আমি ডিফেন্ড করব। কিন্তু এই রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আরেকটু স্বচ্ছতা আনা উচিত। আরেকটু সততা থাকা উচিত। আরেকটু ন্যায়নিষ্ঠতা থাকা উচিত।”

    বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদককে কেন ডাকা হয়েছিল সে বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, “জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল, সেই ব্যাপারে কমিশনে একটা অনুসন্ধান চলমান আছে। অনুসন্ধানের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা তাকে আজকে নোটিস করেছিলেন।

    “কিন্তু তিনি গত ৭ নভেম্বর আসতে পারবেন না বলে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন করেন। সেই আবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে কমিশনের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা পরবর্তী তারিখ নির্ধারণের জন্য কাজ করছেন।”

    তৌফিক ইমরোজ খালিদী অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন, তারপরও কেন দুদক এ অনুসন্ধান করছে- এমন প্রশ্নে দুদক সচিব বলেন, “কোনো অভিযোগ এলে কমিশন যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে তা যাচাই-বাচাই করে অনুসন্ধান করে থাকে। আশা করি অনুসন্ধান করে প্রকৃত বিষয় বেরিয়ে আসবে।”

  7. মাসুদ করিম - ১৬ নভেম্বর ২০১৯ (৩:৩১ পূর্বাহ্ণ)

    Onion battle takes to air routes

    Some large importers of the country have been engaged in the battle against the runaway onion price as the fight has taken to the air route.

    For the first time in the country, the importers are procuring the spice item by airways in a bid to cool the overheated local onion market.

    The prices of the local variety of the item have crossed the Tk 200 mark. The rates are creeping up every day.

    The importers are procuring the widely-consumed cooking ingredient from Egypt, China, Turkey, Pakistan, Afghanistan and the United Arab Emirates.

    The private sector business behemoth S Alam Group has joined the band of importers procuring it through air routes. It is importing 500,000 tonnes of onion to pull down the prices.

    Mohammed Saiful Alam, chairman and managing director of S Alam Group, told the FE that they were procuring onion from Egypt and Turkey initially through air routes to ensure supply of the key essential to the local market in the shortest possible time.

    “Our first consignment of onion by air is expected to reach Dhaka in the next couple of days,” Mr Alam said.

    He said his group would continue importing the most-consumed item through the air routes as long as it takes to stabilise the local market.

    The private sector initiatives came as the government’s efforts taken so far to rein in the prices of onion proved unfruitful.

    The Ministry of Commerce on Friday said that such imports would help cool down the skyrocketing prices of the spice.

    It said the government was also importing onion through its trading arm Trading Corporation of Bangladesh (TCB) which sells the commodity in the open market at a subsidised rate.

    The MoC in its statement issued on Friday afternoon said that many importers were procuring onion through sea routes also. Onion is usually imported from neighbouring India and Myanmar through land-ports.

    Abul Bashar Chowdhury, chairman of Chattogram-based BSM Group, told the FE that they were also procuring onion through the sea route.

    “I don’t usually import onion, last time I did it in 1993 but this time we are doing the same to stabilize the local market,” Mr Chowdhury said.

    He said a total of 3,000 tonnes of onion would arrive within a couple of weeks, provided that there is no transshipment delay.

    The local variety of onion sold at an extortionate rate of Tk 250 a kg in Dhaka’s retail outlets on Friday, signalling a further rise unless any palliative steps are taken to this end.

    According to traders and consumers, imported varieties (China and Myanmar) retailed at Tk 220-230 a kg.

    Customers alleged that even rotten onion from imported varieties was priced at Tk 120 a kg at the Shyambazar wholesale market.

    The prices of the local onion were Tk 200 and Tk 170 a kg on Thursday and Wednesday respectively.

    Imported varieties sold at Tk 175-180 a kg and Tk 135-140 a kg on Thursday and Wednesday respectively.

    An FE correspondent visited Motijheel, Khilgaon, Kaptanbazar, Jatrabari and Shantinagar kitchen markets and found that the local variety was selling at Tk 250. The imported varieties were traded at Tk 220-230 a kg.

    When asked, retailers said they had to purchase onion from wholesalers at higher rates, compelling them to raise the price at the retail level.

    Wholesalers sold a kilogram of the local variety at Tk 235-240 and the imported ones at Tk 190-200 a kg on Friday against Tk 180-185 and Tk 160-170 respectively on Thursday.

    A retailer at the Fakirapool kitchen market told the FE that the Shyambazar wholesalers did not sell any quantity of onion below five kilogrammes to the retailers on the day.

    Some Shyambazar traders showed to the FE their empty godowns as their stocks had emptied.

    They said imported onion from Myanmar was sold at Tk 150 a kg at Teknaf, Cox’s Bazar, on Friday.

    The cost of onion stands at Tk 200 a kg at the wholesale level when transportation and other expenses (to reach Dhaka) are included.

    In another development, the government’s monitoring teams raided various kitchen markets on Friday to contain the vicious spiral of the onion prices.

    The consumers in the city markets expressed their utter disappointment over the excessive prices of onion.

    Letting out frustrations, they said all the government measures to check prices proved futile.

    A section of traders intentionally hoarded onion for making windfall profits overnight, they alleged.

    The frustrated buyers urged the government to act promptly to stabilise the market and also suggested more open market sales of onion.

    The state-run TCB has been selling onion at Tk 45 a kg in Dhaka for months.

    “We can’t understand why and how the onion price is rising despite its plentiful supply in the market,” private job-holder Yunus Ali told the FE on Friday.

    Meanwhile, the Bangladesh Competition Commission (BCC) served notices on some wholesalers and importers asking them to give reasons behind the ongoing onion price hike.

    Md Mofizul Islam, chairperson of the Commission, said the country had an onion stock of 300,000 tonnes, when India imposed a ban to export to Bangladesh and the price was only Tk 30 a kg.

    “The onion inventory in the country was adequate when the Indian ban came. To my view, it was quite adequate to meet demand for onion for at least two months,” he added.

    “I don’t understand how the price of the same shot up to the present level. So we issued the letter to the market players asking them to respond quickly, the BCC chief said.

    The BCC, formed at least four years back to ensure competition in the country, said that it would take punitive action against the wrongdoers.

    A lack of timely action is partly blamed for the astronomical rise in onion prices as the commerce ministry paid no heed to businesses’ apprehension about a possible price spiral.

    Officials said the ministry sat with stakeholders in its conference room in June to review the supply, demand and price situation of key commodities.

    At the meeting, some Shyambazar-based trade leaders said a big bulk of the locally produced onion had rotten because of rainwater during the harvest time this year.

    They apprehended a crisis centring on a gap between demand and supply of the spicy kitchen item.

    A senior official, who attended the meeting, told the FE on Thursday that the then commerce secretary Mofizul Islam did not pay heed to this apprehension.

    Rather, Mr Islam angrily asked the business leaders to place before him the proof that onion rotted.

    He accused the tradespeople of preparing the grounds for raising onion prices by spreading false information.

    By August, the price of the local onion went up to Tk 50 per kilogram and to Tk 60 by the first week of September.

    In mid-September, neighbouring India imposed a minimum export price of onion at $850 per tonne.

    Bangladeshi importers said they had been importing the key cooking ingredient at around $300 per tonne before India slapped the minimum export price.

    The Indian decision adversely impacted the onion market price in Bangladesh, pushing up the price to nearly Tk 100 per kilogram.

    On September 29, India slapped an onion export ban amid the price spiral of the item in its own market.

    Due to the Indian action, onion price in Bangladesh then started shooting up.

    Another senior official said the ministry is now taking various steps, including onion import through special cargo planes, to tame the price.

    “Had the ministry taken steps in line with the businessmen’s advice, onion price might have not reached this level,” he told the FE.

    In the first week of October, he said, 10 joint secretaries were sent to onion production and import zones to monitor the stock, supply and price situation.

    On their return from field trips, the officials submitted reports to commerce secretary Jafar Uddin, suggesting immediate steps to import onion to avert an impending crisis.

    However, the ministry only last week started studying the reports, competent sources said.

    Despite repeated attempts, secretary Mr Jafar could not be reached over phone for comment.

  8. মাসুদ করিম - ২৩ নভেম্বর ২০১৯ (৩:২৪ পূর্বাহ্ণ)

    সোনালী চাল: বিশ্বকে পথ দেখাবে বাংলাদেশ?

    কয়েকদিন আগে আমাদের ল্যাবে আমার এক সহপাঠী সেমিনারে জেনেটিক্যালি মডিফাইড অর্গানিজম (জিএমও) নিয়ে আলোচনা করছিল। জিএমও খাদ্যের আদ্যেপান্ত বলতে গিয়ে হঠাৎ করে একটি স্লাইডে বাংলাদেশের নাম চলে আসলো। যেখানে লেখা ছিল ‘গোল্ডেন রাইস ইন বাংলাদেশ’।
    সোনালী বা স্বর্ণচাল’ নিয়ে এই আলোচনার পর দৈবক্রমে ওইদিন (২০ নভেম্বর) বিজ্ঞান সাময়িকী ‘সায়েন্স’ একটি প্রতিবেদন করেছে। যার শিরোনাম ছিল- ‘Bangladesh could be the first to cultivate golden rice, genetically altered to fight blindness’।
    শিরোনাম দেখে মনের মধ্যে এক ধরনের শিহরণ বয়ে গেল। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ‘স্বর্ণচাল’ চাষে যাচ্ছে বলে গবেষকদের কাছে এমন খবর কিছুটা স্বস্তিরও বটে।
    প্লান্টবায়োলজিস্ট বা বায়োটেকনোলোজিস্টের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফসল কিছুটা হলেও আলোর মুখ দেখাতে যাওয়া বাংলাদেশের প্রশংসা উঠে এলেও সমালোচনাও কম ছিল না। জিনগত পরিবর্তনে ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফসলের উৎপাদন হার যে বেড়ে চলছে, সেটার সুফল মানুষ পেলেও বির্তক পিছু ছাড়ছে না।
    তবে সরকার হয়তো প্রস্তুতি নিয়ে ফেলছে যে খুব শিগগির বাণিজ্যিকভাবে এই সোনালী ধান চাষ করার সুযোগ পাবে কৃষকরা। কৃষি গবেষকদের কাছে বিষয়টি তাই আনন্দের।
    প্রায় কুঁড়ি বছর আগে সুইজারল্যান্ডের ‘সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ইগো পোট্রাইকুস’ এবং জার্মানির ফ্রাবার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের পেটার বেইয়ার নেতৃত্বে একদল গবেষক সর্ব প্রথম এই স্বর্ণধানের সাথে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচয় করে দেন।
    বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্সে ২০০০ সালের ১৪ জানুয়ারি ‘Engineering the Provitamin A (β-Carotene) Biosynthetic Pathway into (Carotenoid-Free) Rice Endosperm’ শিরোনামে যে গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন, সেখানে তারা ধানে ভিটামিন এ সংশ্লেষণের জন্য যে পথপরিক্রমা অনুসরণ করা হয় সেই বিটা-ক্যারোটিন তৈরির পরিক্রমা জিন প্রযুক্তির মাধ্যমে ধানের এন্ডোস্পার্মে প্রবেশ করানো হয়। আর এই বিটা ক্যারোটিন থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন এ।
    প্রথম দিকে এই দুই গবেষক ড্যাফোডিল ফুল থেকে নেয়া ‘ফাইটোন সিনথেজ’ জিন এবং মাটির এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে নেয়া ‘ক্যারোটিন ডিস্যাচুরেজ’ জিন ধানের জিনোমে প্রবেশ করানোর পর দেখতে পান যে এর চালের রং সোনালী হয়ে গিয়েছে। যদিও প্রচলিত আছে বিটা ক্যারোটিনযুক্ত শস্য বা ফলমূলের রং কিছুটা হলুদ হয়।
    ক্যারোটিন মূলত গাজর, মিষ্টিকুমড়া, মিষ্টি আলু, টমেটোসহ বিভিন্ন রঙিন সবজি ও ফলমূলে পাওয়া গেলেও ভাত প্রধান দেশে মানুষে ভিটামিন এ পুষ্টিহীনতার হার কিছুটা হলেও বেশি।
    যদিও বাংলাদেশের শতকরা ২১ ভাগ শিশু ভিটামিন এ অভাবজনিত কারণে অন্ধত্বের শিকার হলেও সারা বিশ্বে এই হার নেহাত কম নয়। প্রায় আড়াইশো মিলিয়ন মানুষ ভিটামিন ‘এ’-র অভাবে ভুগছেন।
    ভিটামিন ‘এ’ মূলত এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ যাকে রেটিনল বলা হয়। এই রেটিনল থেকে পাওয়া যৌগ আমাদের চোখের রেটিনায় থাকা কোন ও রড কোষের কার্যকারিতায় ব্যবহৃত অন্যতম আলোক পদার্থ
    রোডপসিনে সহায়তা করে। আর এই যৌগটি যদি কোন কারণে আমাদের শরীরে অভাব হয় তখন আমরা দৃষ্টিহীনতায় ভুগি।
    এরপরই ২০০১ সালে সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান সুইস এগ্রিকালকালচার বায়োটেক সিনজেন্টার বিজ্ঞানী আড্রিয়ান ডুবক (যিনি বর্তমানে গোল্ডেন রাইস হিউমানটেরিয়ান বোর্ডের সচিবের দায়িত্বপালন করছেন) ওই সময় ২৩ টি চুক্তি এবং ১৬ টি লাইসেন্সের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেন যে এই স্বর্ণচালের বীজ উন্নয়নশীল দেশের কৃষকদের কাছে বিনামূল্যে সরবরাহ করবেন।
    যদিও সিনজেন্টা এই ধানের চালে ভিটামিন এই পুষ্টিগুণ প্রতি গ্রামে ৩৭ মাইক্রোগ্রামে নিয়ে যায় যেটি শুরুতে ছিল প্রায় ৪ মাইক্রোগ্রামের মত।
    সিনজেন্টার গবেষকরা হাল ছাড়েনি। এর মধ্যে যোগ হয়েছে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট যাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন রকফেলার ফাউন্ডেশন ও বিল-মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
    আর এই গবেষণা প্রকল্পের একটি বিশেষ সহায়তা দেয়া হয় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিআরআরআই)।
    কয়েক বছর আগে শুরু হওয়া এই গবেষণায় বাংলাদেশের কৃষি গবেষকরা ধান২৯ এ সফলভাবে এই জৈবপ্রযুক্তিটি প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন বলে সায়েন্স তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
    গত মাসের শুরুতে ঢাকায় স্যার রিচার্ড জন রবার্ট এক আলোচনায় অংশ নিলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মত স্বর্ণচাল প্রযুক্তি বাণিজ্যিকরণের ইঙ্গিত দেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
    আর এরপর বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গবেষকদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়। যে প্রেক্ষিতে সায়েন্সও তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এই সাহসী উদ্যোগ নিয়ে বিস্তর প্রশংসা করে।
    তবে এর আগে দীর্ঘদিন বিচার-বিশ্লেষণ শেষে ২০১৮ সালের ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড আন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এক চিঠিতে গোল্ডেন রাইস খাওয়ার পক্ষে মত দেয়। (সূত্র: নেচার বায়োটেকনোলজি, ৬ জুলাই ২০১৮)
    যেখানে বলা হয়, যেসব শিশুর ভিটামিন এ পুষ্টিহীনতা ভুগছে তাদের জন্য এই চাল হতে পারে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আর এরপরই অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা গোল্ডেন রাইস খাওয়াকে নিরাপদ বলে রায় দেয়।
    আর এর মধ্যে দিয়ে ফিলিপাইন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইআরআরআই) গোল্ডেন রাইস বা স্বর্ণধান নিয়ে আর কোন ধরনের প্রশ্ন নেই ঘোষণা দেয়।
    যদিও এইসব দেশ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গেলেও কেউ তা উৎপাদন করার সাহস দেখায়নি। ফলে গোল্ডেন রাইসের আলোর মুখ দেখা নিয়ে কিছুটা হলেও শঙ্কা তৈরি হয়।
    বছর দুয়েক আগে ২০১৭ সালে বিআরআরআই বা ব্রি কৃষি মন্ত্রণালয়ে গোল্ডেন রাইস চাষের অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে নানা কারণে বিষয়টি থেমে ছিল। সর্বশেষ সরকারের বিভিন্ন মহল মনে করছে, এই জিএমও স্বর্ণচাল হয়তো ২০২১ সালের স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর মধ্যে বিতরণ করা হতে পারে।
    গত শতকের শেষ দশকে বিভিন্ন দেশে জেনিটিক্যালি মডিফাইড শস্য চাষবাদ শুরু হয়েছে। শুরুতে কিছু দেশ সহজে জিএমওকে স্বাগত জানালেও বেশ কিছু দেশ এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেই চলছে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো জাপান।
    দেশটির গবেষকরা পরিবেশের অন্যান্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর উপর ক্ষতিকর প্রভাবের শঙ্কায় এর ব্যবহার থেকে পিছিয়ে।
    বাংলাদেশ সরকার জিএমও-কে সাদরে গ্রহণ করার পর আমাদের খাদ্য চাহিদায় কিছুটা হলেও পূরণ হচ্ছে। তবে এই স্বর্ণচাল নিয়ে বিভিন্ন দেশের ন্যায় আমাদের দেশের কিছু মানুষ ও উন্নয়নকর্মীদের মনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
    অনেকেই প্রশ্ন করছে, মিষ্টি আলু, গাজর দিয়ে সহজেই আমরা যদি ভিটামিন-এ চাহিদা পূরণ করতে পারি, তাহলে এই নব্য ধানের চালে যুক্ত হওয়া ভিটামিন এ প্রয়োজনীয়তা কতটুকু?
    এই ধানের চাষে আমাদের পরিবেশে কোন ধরনের প্রভাব পড়বে কী না তা নিয়ে প্রশ্ন করা অপ্রাসঙ্গিক নয়।
    তবে ট্রান্সজেনিক প্লান্টের মাধ্যমে এক উদ্ভিদের জিন অন্য উদ্ভিদে ছড়িয়ে যাওয়ার ফলে জিএমও বিরোধী প্রচারণা প্রবলতর হচ্ছে। মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে এর মধ্যে রাখা হচ্ছে। আর এই এজন্য ইউরোপের অনেক দেশ জিএমও শস্য বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
    স্বর্ণচাল বা সোনালী চালের ভাতে যে পরিমাণ ভিটামিন-এ পাওয়া যাবে সেটি যদি আমরা নিয়মিত খাই, এর প্রভাব কী হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভিটামিন-এ যে প্রিকারসার আমাদের শরীরে যাচ্ছে, তার মোড অব অ্যাকশন সঠিকভাবে হচ্ছে কী না, তা দেখবার দায়িত্ব আমাদের গবেষকদের। এইগুলো নিয়ে বিস্তর গবেষণা তারা করেছেন কী না জানি না, তবে আমাদের দেশের মত বিজ্ঞান-বিমুখতার মানুষরা এটিকে সহজভাবে কতটুকু নিবে তা এখনো পরিষ্কার নয়।
    আমরা চাই না, বিটি বেগুনের মত এই প্রকল্পটি নিয়ে সমালোচনা হোক। তার আগে পরিষ্কার ধারণা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। বিটি বেগুনে পোকার ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে পরিবেশবাদীদের বক্তব্য ফেলে দেয়ার মত ছিল না। এই বির্তক কাটিয়ে সোনালী চাল/ধান কৃষকদের কাছে আনতে হবে। ধানের পরগায়নে অন্য প্রাণী কিংবা উদ্ভিদের সহায়তা তেমন না থাকায় ‘স্বর্ণচাল’ কিছুটা হলেও ঝুঁকির বাইরে। দেশে জিএমও খাদ্যের তেমন তথ্যভিত্তিক ক্ষতিকর প্রভাবের গবেষণা নেই বললেই চলে। যদিও এই নিয়ে গবেষণা চলছে।
    আমাদের দেশে বছরে বেশ কয়েকবার শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। বায়োটেকনোলজির এই বিকাশে পাওয়া সোনালী চালের ভাত যদি আমরা শিশুদের খাওয়াতে পারি, তাহলে আমাদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর প্রয়োজনীয়তা হয়তো আর থাকবে না।
    রাতকানা কিংবা দৃষ্টিহীনতা যে শিশু থেকে বৃদ্ধদের গ্রাস করছে, তা থেকে আমরা কিছুটা হলেও মুক্তির দিশারা খুঁজতে পারবো। এফডিএ কিংবা ডব্লিওএইচও গোল্ডেন রাইসের প্রতি সবুজ সংকেত বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণাও বটে।
    শুধু বাংলাদেশই নয়, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া,ভারত, ভিয়েতনাম কিংবা ফিলিপাইনে সফলতার হাতছানি দেখছে এই সোনালী চাল। আর এটি যদি সফলভাবে আমাদের স্বাস্থ্যগত উন্নয়নে কাজে লাগানো যায় তাহলে হয়তো গত পঞ্চাশ বছরে বিজ্ঞানে বিশেষ করে বায়োটেকনোলিজি কিংবা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বড় ধরনের অর্জন হবে।
    আর এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে পাবে নতুন পরিচিতি। বাঘা বাঘা দেশের পিছুটানে কিছুটা হলেও সামনের দিকে পথ দেখাবে সোনালী চালে বাংলাদেশ। সব তর্ক-বির্তক এড়িয়ে হয়তো আমরা একদিন ভিটামিন-এ পুষ্টিহীনতা দূর করতে সক্ষম হব। এই প্রত্যাশা নিয়ে এগিয়ে যাক আমাদের কৃষি, আমাদের লাল-সবুজের বাংলাদেশ।

  9. মাসুদ করিম - ২৬ নভেম্বর ২০১৯ (৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ)

    Aung San Suu Kyi has a reality problem

    The office of Aung San Suu Kyi — Nobel Peace Prize laureate and de facto leader of Myanmar — has just announced that she will travel to The Hague in December to answer a suit brought against Myanmar at the International Court of Justice (ICJ) for the Rohingya genocide. And apparently this has been decided in agreement with the country’s powerful generals, who control foreign affairs and security and who have carried out the “clearance operations” for which the state of Myanmar stands accused.

    This is a baffling but welcome state of affairs. Why would Suu Kyi and the government of Myanmar acknowledge the jurisdiction of the ICJ — thereby implicitly granting the court standing to pass judgment on the Rohingya genocide?

    There are two likely explanations. First, the Lady (as she’s known at home) might be genuinely unaware of the full extent of what has been happening with the Rohingya in Rakhine state. According to many sources I’ve spoken with, she has taken to regarding factual reports about the 2016-2017 ethnic cleansing campaign against the Rohingya as malicious conspiracy theories targeted to undermine her country, and perhaps her personally. When confronted with critical accounts, she flies into a fit of anger, saying these are all fabricated allegations.

    Perhaps Suu Kyi genuinely believes in the innocence of her cause and of her government. And perhaps she genuinely believes that if she, as a celebrated human rights icon, finally stands before the international community at the ICJ, they will finally recognize the errors of the “misinformation” aimed at her by her “detractors.”

    Or it could be that Suu Kyi is taking a leaf from the political playbook of insurgent populists around the world, including her new friend, Hungarian Prime Minister Viktor Orban. In the current moment in political history, when it appears that facts do not matter anymore, a brazen lie told loudly and confidently may yet be seen as the supreme act of political strength — especially by one’s political base. And what better platform to grandstand your narrative than an international court that can do little other than passing an impotent judgment?

    In either case, the bad news for Suu Kyi is that this trial at the ICJ is a serious affair. The effort, led by Gambia’s Attorney General Abubacarr Marie Tambadou and the Gambian Ministry of Justice, sets a new precedent in international relations: A state is taking another state before the ICJ for a breach of the Genocide Convention adopted by the United Nations in 1948. Nor can this be dismissed as casual posturing by a random country trying to elevate its international profile. Tambadou, a serious international jurist on questions of genocide, previously served as a special assistant to the prosecutor at the International Criminal Tribunal for Rwanda. The man leading the charge is a serious and established advocate of human rights and international law, and Gambia’s effort is drawing more and more support from the rest of the international community.

    Anyone in their right mind, and with access to all the evidence we have in the public domain about what has been happening in Rakhine state with the Rohingya at the hands of the Myanmar military, would expect the prosecution to win this case. This is not to say that the outcome is certain, of course. But if I were a lawyer working for the defendants, I’d certainly counsel them to drop the cavalier attitude.

    It is especially striking that the country’s military leaders have given their blessing to Suu Kyi’s planned appearance before the court — especially because it marks an uncharacteristic acknowledgment of international law and the jurisdiction of foreign “interests” from the notoriously isolationist military establishment. It is hard to escape the conclusion that she is being set up as the patsy for the genocide — by the very same people who organized it and carried it out.

    The good news is that international law has been activated to respond to a genocide situation. This was not something we could take for granted in a world of deepening authoritarianism, but at least for now this is something we can celebrate. The Rohingya victims and their supporters have a long journey ahead of them. But for now, this story seems to be moving in the right direction.

  10. মাসুদ করিম - ২৭ নভেম্বর ২০১৯ (৩:৪৯ অপরাহ্ণ)

    কবি, স্থপতি রবিউল হুসাইন আর নেই

    একুশে পদকজয়ী কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

    খবর > বাংলাদেশ
    কবি, স্থপতি রবিউল হুসাইন আর নেই

    নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

    Published: 26 Nov 2019 09:42 AM BdST Updated: 26 Nov 2019 12:25 PM BdST

    একুশে পদকজয়ী কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

    মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অনুষ্ঠান সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রবিউল হুসাইনের মৃত্যু হয়।

    ৭৬ বছর রবিউল হুসাইনের রক্তের জটিলতায় ভুগছিলেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী।

    ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে একুশে পদক পাওয়া রবিউল হুসাইন কাজ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের জন্যও।

    তিনি ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্রের ট্রাস্টি, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী পরিষদের সদস্য।

    ঝিনাইদহের শৈলকূপার সন্তান রবিউল হুসাইনের জন্ম ১৯৪৩ সালে। কুষ্টিয়ায় মেট্রিক আর ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে তিনি ভর্তি হন ইস্ট পাকিস্তান ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজির (বর্তমান বুয়েট) আর্কিটেকচার ফ্যাকাল্টিতে।

    ষাটের দশকে ছাত্র থাকাকালেই তার বেশ কিছু লেখা প্রকাশিত হয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস মিলিয়ে দুই ডজনের বেশি বই রয়েছে তার।

    স্থপতি রবিউলের ঝোঁক ছিল ইটের কাজের দিকে। তার নকশায় বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ কাউন্সিল (বিএআরসি) ভবনটি ছিল তার প্রিয় একটি কাজ।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তি ও স্বাধীনতা তোরণ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইট, ভাসানি হল, বঙ্গবন্ধু হল, শেখ হাসিনা হল, খালেদা জিয়া হল, ওয়াজেদ মিয়া সায়েন্স কমপ্লেক্স, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়াম ও একাডেমিক ভবন কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে রবিউল হুসাইনের নকশায়।

    বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য রবিউল শিশু কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় কচি কাচার মেলা, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ক্রিটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটেও বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।

    একুশে পদক ছাড়াও বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, কবিতালাপ সাহিত্য পুরস্কার, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ও সার্চ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এই কবি।

    তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

    মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সকালে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল থেকে রবিউল হুসাইনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার ধানমণ্ডির বাসায়। রাতে আবার কফিন রাখা হবে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের হিমঘরে।

    বুধবার সকাল ১০টায় এ কবির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বাংলা একাডেমিতে। সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে সর্বস্তরের নাগরিকদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। পরে তার কফিন নেওয়া হবে দীর্ঘদিনের কর্মস্থল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে।

    সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রবিউল হুসাইনকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানান সারওয়ার আলী।

  11. মাসুদ করিম - ২৯ নভেম্বর ২০১৯ (২:১৬ পূর্বাহ্ণ)

    Holey Artisan café attack ruling
    Seven handed down death, one acquitted
    Attack an attempt ‘to assassin non-communal character’ of Bangladesh

    A Dhaka court on Wednesday awarded death penalty to seven accused for their involvement in the 2016 Holey Artisan café attack that killed 22 people, including 17 foreigners.

    The seven convicts are Jahangir Hossain, Aslam Hossain Rash, Hadisur Rahman, Rakibul Hasan Regan, Md Abdus Sabur Khan, Shariful Islam Khaled and Mamunur Rashid Ripon, who were also fined Tk 50,000 each.

    Judge of the Anti-Terrorism Special Tribunal of Dhaka, Mohammad Majibur Rahman delivered the verdict in a crowded courtroom in the city. The judge ordered that the convicts to be hanged.

    Another accused Mizanur Rahman, alias Boro Mizan, was acquitted from the case as allegations brought against him could not be proved.

    The judge read out the judgment amid tight security in presence of the convicts, who were taken to the court at around 10:15 am.

    In his observation, the judge said, “I tried to ensure justice. The Holey Artisan café attack was an attempt to assassin the character of a non-communal Bangladesh.”

    “The attack was also an outbreak of insanity, cruelty and brutality of the militancy,” he added.

    The members of the neo-JMB along with a section of JMB conducted the horrific attack on the bakery to destabilise the public safety and to draw the attention of the international militant organisation ISI, the court said.

    After hearing the verdict, all the convicts became upset and started shouting at the judge.

    After the verdict was delivered, metropolitan public prosecutor Abdullah Abu told reporters they are “satisfied” with the judgment, but they expressed concern over the acquittal of an accused.

    “We will take decision in this regard after the release of the full judgment,” the public prosecutor said.

    A counsel of the defence team expressed dissatisfaction, saying they would challenge the death sentence verdict.

    Lawyer Delwar Hossain said, “We think the witnesses were not without doubt. There are so many contradictions, inconsistencies and the lack of collaboration.”

    “We will appeal against the judgment with the High Court,” he said. The counsel said his clients did not get justice. The verdict was given based on faulty evidence, he noted.

    On November 17, the tribunal set November 27 for delivering its verdict in the café attack case after concluding the hearing.

    On July 1, 2016, armed militants stormed the café located in the capital upmarket Gulshan area and killed nine Italians, seven Japanese, two Bangladeshis, one Indian and one Bangladesh-born US citizen.

    Two police officers were also killed during the 12-hour drive.

    On July 4 that year, sub-inspector Ripon Kumar Das filed a case with Gulshan police station under the Anti-Terrorism Act accusing six named and some unknown people of creating “unrest” in Bangladesh and trying to turn it into a “terrorist state.”

    During the trial process, which ended in less than a year, several witnesses, including former North South University teacher Abul Hasnat Reza Karim, his wife, owner of the café, and top police officials narrated the horrors during the attack.

    On July 23 last year, police submitted the charge sheet to the chief metropolitan magistrate of Dhaka, accusing eight people.

    On November 26, the tribunal framed charges against the eight. And on December 03, the trial in the sensational case began formally with the deposition of witnesses.

    North South University teacher Hasnat Karim, who was held hostage, but later detained, got acquittal since there was no evidence of his complicity with the attack, according to the police.

    Police investigation later found the involvement of 21 militants in the attack. Five of them were killed in the operations, eight in anti-militancy drives later.

    According to the charge sheet, the suspects carried out the attack to destabilise the country. They also wanted to put the government under pressure, force investors and foreign consultants to leave the country while destroying the economy.

    Local and foreign observers were present during the announcement of the judgment.

    The law-enforcement took extra security measures in the court area as Dhaka’s Anti-Terrorism Special Tribunal was set to deliver the verdict.

    Hundreds of Rapid Action Battalion and police members were deployed in and around the court premises.

    আরো : ৭/১

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.