বাজেট ২০০৯-২০১০

সংসদে আজ ঘোষিত হল নতুন অর্থ বছরের বাজেট। পুরো বাজেটটিই পাওয়া যাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে, ইংরেজী এবং বাংলা দুই ভাষাতেই। আগ্রহীদের জন্য: .. [...]

সংসদে আজ ঘোষিত হল নতুন অর্থ বছরের বাজেট। পুরো বাজেটটিই পাওয়া যাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে, ইংরেজী এবং বাংলা দুই ভাষাতেই।

আগ্রহীদের জন্য:

১) অর্থমন্ত্রীর পুরো বাজেট বক্তৃতার কপি রয়েছে এখানে

২) বিগত বছরগুলোর বাজেট বিস্তারিত রয়েছে এখানে

৩) এবারের বাজেটের উল্লেখযোগ্য একটি দিক হল অবকাঠামোগত উন্নয়নে বেসরকারী-সরকারী-অংশীদারিত্ব ব্যবস্থা (Public Private Partnership – PPP)। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভাবনাগুলো পাওয়া যাবে প্রকাশিত এই অবস্থান-পত্রটিতে

৪) নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির কতটা বাজেটে যুক্তিযুক্তভাবে প্রতিফলিত হয়েছে তা যাচাই করার জন্য সরকারী দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের কপি পাওয়া যাবে এখানে

আলোচনার সূত্রপাত এবং তাতে অংশগ্রহণের জন্য সবার প্রতি একান্ত আহ্বান রইলো।

১ comment

  1. মাসুদ করিম - ২৬ জুন ২০০৯ (১০:৪১ পূর্বাহ্ণ)

    ভেবেছিলাম এবারের বাজেট নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। কারণ এটি এবারের অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট, এবং আমাদের মতো সাধারণ মানুষের, যারা অর্থবিজ্ঞানের তেমন কিছুই বুঝি না, তাদের ক্ষেত্রে ৫/৬ মাস অপেক্ষা করে বাজেট ও বাস্তব পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে একটি উপলব্ধি অর্জনের ফলে মন্তব্য করাটা, অনেক বেশি যথার্থ হতে পারে। আরেকটি কারণ ছিল বাজেটে কালো টাকা সাদা করার যে ম্যান্ডেট দেয়া হয়েছে, একজন সাধারণ করদাতা হিসেবে তা আমার কাছে ন্যাক্কারজনক মনে হয়েছে।

    কিন্তু আমি মুক্তাঙ্গনে তুলে দেয়া বাজেট বক্তৃতাটি পড়তে লাগলাম। পড়তে খুবই ভালো লাগছিল, অনেক বছর পর এমন সুলিখিত বাজেট পড়ছি, আমাদের এবারের অর্থমন্ত্রী ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন এবং তিনি একজন লেখকও, ফলে তার বাজেট প্রকাশের প্রাঞ্জলতায় আনন্দ পেয়েছি।

    এ তো গেল একটা দিক। কিন্তু যে জন্য এবারের বাজেটিকে ভালো লাগল সেটা কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়নের দিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ায়, যে কৃষি খাত থেকে আসে আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনের ২২ শতাংশ এবং যে খাতে আমাদের শ্রমশক্তির ৪৮ শতাংশ নিয়োজিত, সেদিকে সবচেয়ে বেশি অভিনিবেশ দেয়া এ বাজেটটির দিকে আমাদের অনেক বেশি লক্ষ্য রাখা উচিত।

    তাই ২৫ জুন বাংলা গণশক্তিতে এ অঞ্চলে কমবৃষ্টির পূর্বাভাসের খবরটি দেখে মনে হল, আমরা কি প্রস্তুতি নিচ্ছি, আমরা কি বিষয়টি নিয়ে ভাবছি, খরা যদি আক্রমণ করে তাহলে আমাদের করণীয় কী হবে?

    গণশক্তি, কলকাতা, ২৫ জুন ২০০৯। bangla.ganashakti.co.in

    দেশজুড়ে কম বৃষ্টির পূর্বাভাসে উদ্বেগ অর্থনীতিতেও

    নয়াদিল্লি, ২৪ জুন – বেশিরভাগ রাজ্যেই বৃষ্টির দেখা নেই। সরকারীভাবে বর্ষার মরসুম শুরু হলেও বৃষ্টি নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তা শুরু হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় সরকার কোনো আশার বাণী শোনাতে পারেনি। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চ্যবন মঙ্গলবার এখানে সাংবাদিকদের বলেছেন, বৃষ্টি এবার স্বাভাবিকের চেয়ে কম হতে পারে, অর্থাৎ স্বাভাবিকের তুলনায় ৯৩ শতাংশ। আগে উল্লেখ করা হয়েছিল এই হার দাঁড়াবে ৯৩ শতাংশ।

    ভারতের চারটি ভৌগলিক অঞ্চলে কি ধরনের বৃষ্টিপাত হবে তার হদিস দিতে গিয়ে চ্যবন বলেন, উত্তর-পশ্চিম ভারতে বৃষ্টি হবে গড়পড়তা বৃষ্টিপাতের ৮১ শতাংশ, উত্তর-পূর্বে হবে ৯২ শতাংশ, মধ্যভারতে হবে ৯৯ শতাংশ এবং দক্ষিণ উপদ্বীপে ৯৩ শতাংশ। আবহাওয়া দপ্তর অবশ্য বলেছে ২ রা জুলাইয়ের মধ্যে পূর্ব ও মধ্যভারতের বেশিরভাগ জায়গায় বৃষ্টি হবে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা এই পূর্বাভাস সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, খরা পরিস্থিতির কথা প্রায় স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বাজারের উপরে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। ফলে সরকার বিকাশের হারের যে ঘোষণা করেছিল তার যথেষ্ট রদবদল হতে পারে।

    বর্ষার বৃষ্টি যেভাবে দেরিতে আসছে তাতে খরিফ চাষের ক্ষতি হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টির পিছনে কোনো ‘এল-নিনো’ প্রভাব নেই। পুনেতে অবস্থিত ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পক্ষে অবশ্য আশা প্রকাশ করা হচ্ছে, জুনের শেষ নাগাদ বৃষ্টি হতে পারে। মৌসুমি বায়ু কর্ণাটকের উপর আটকে থাকার পর তা গুজরাট, কুচ এবং কোঙ্কনের দিকে এগোচ্ছে। আবহাওয়া পূর্বাভাস বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল এবি মজুমদার বুধবার বলেছেন, ‘এল-নিনো’ প্রভাব দেখা দেয় তিন থেকে চার বছর অন্তর। তবে ভারতের মৌসুমি বায়ু বা বৃষ্টির সঙ্গে ‘এল-নিনো’র কোনো সম্পর্ক থাকে না।

    উল্লেখ্য, দক্ষিণ আমেরিকার পেরু উপকূলবর্তী সমুদ্রে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ‘এল-নিনো’র উৎপত্তি হয়। বৃষ্টির উপরে এর প্রভাব পড়ে ঠিকই। তবে যে দেশগুলির বৃষ্টিপাতের উপর এর প্রভাব পড়ে সেই দেশগুলির মধ্যে ভারত পড়ে না। সাধারণভাবে ‘এল-নিনো’ প্রভাব পড়ে অষ্ট্রেলিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার উপরে। ১৯৯৭ সালে ‘এল-নিনো’ বেশ শক্তিশালী ছিল, তা সত্ত্বেও সেবারে ভারতে বৃষ্টি ভালোই হয়েছিল।

    গত চার বছরে এই প্রথম ভারতে স্বাভাবিকের চাইতে কম বৃষ্টি হচ্ছে। আখ, চাল, সয়াবীন ইত্যাদি চাষে দেরি হবে। ফলে চিনি আমদানি বাড়তে পারে। খাদ্যদ্রব্যের দাম এখনই বেশি, তা আরো বাড়তে পারে। স্বাভাবিকের চাইতে কম বৃষ্টি হলে গ্রামীণ মানুষের রোজগারে টান পড়তে পারে, তাতে আভ্যন্তরীন চাহিদা ও শিল্পপণ্যের চাহিদা কমতে পারে। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন স্বাভাবিকের চাইতে কম বৃষ্টি হলে কৃষি ক্ষেত্রে এবং জলবিদ্যুতের ক্ষেত্রে আশঙ্কার কারন হবে। কৃষি বিকাশের হার যদি ১ শতাংশ হয় তাহলে শিল্পোৎপাদন মার খাবে এবং পরিণতিতে অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন ধাক্কা খাবে।

    বৃষ্টি কম হওয়ায় বিভিন্ন দিকে বিপদ দেখা দিচ্ছে। যেমন বিদ্যুৎ পরিস্থিতি বেহাল হয়ে পড়েছে, জলাধারে জল কমে যাওয়ায় পানীয় জলের ক্ষেত্রে অসুবিধা দেখা দিচ্ছে। যেমন, ভাকার-নাঙ্গাল জলাধারের জল দ্রুত কমে যাওয়ায় উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ঐ জলাধার থেকে জল ছাড়াও বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, হিমাচল, রাজস্থানের ১ কোটি একর জমি ঐ জলে চাষ হয়।

    এদিকে আগামী বৃহষ্পতিবার পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৭টি রাজ্যের কৃষি সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কেন্দ্রীয় কৃষি সচিব টি নন্দকুমার।

    এদিকে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান সুরেশ তেন্ডুলকর বুধবার বলেছেন, সেরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার মোকাবিলা করার মতো খাদ্যশষ্যের উপযুক্ত মজুত ভাণ্ডার দেশে রয়েছে।

    হরিয়ানা হিসেবে বুধবার তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৮ ডিগ্রি সেলাসিয়াস, রাজস্থানের জয়পুরে ৪২ ডিগ্রি, চণ্ডীগড়ে ৪২ ডিগ্রি।–পিটিআই/রয়টার।

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.