আসাম : ডি-ভোটার নির্দেশের কোনও আইনি বৈধতা নেই

প্রতি জেলার পুলিশ সুপার যেন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত জেলে রাখেন, সময়মতো ওই ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করতে হবে। কার কার নামের আগে ডি-ভোটার তকমাটি জুড়ে দিতে হবে সে ব্যাপারে নির্ণয় নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকারও জেলা পুলিশ সুপারের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে ওই রায়ে।[...]

আমরা বাংলাদেশের মানুষেরা আসামের শুধু উলফা সমস্যার কথাই জানি। কিন্তু আসামের আরো একটি বড় সমস্যা হল ‘ডি-ভোটার’ দাগাঙ্কিত করে কাউকে Detention Camp-এ আটকে রেখে মানুষের নাগরিকতার মানবাধিকারকে চরম অবমাননা করা। এই সমস্যার সাথে দেশভাগ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এসব জড়িত। তাছাড়া এই সমস্যা হিন্দু-মুসলমান উভয়েরই সমস্যা এবং এই সমস্যা দূরীকরণে দুই সম্প্রদায়কেই সমান সক্রিয় হতে হবে। তাছাড়া বাংলাভাষী হিসেবে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার বাঙালিদেরও এই সমস্যা সমাধানে আন্তরিক সংহতি প্রকাশ করা উচিত। এই বিষয়ে সুপারিশকৃত লিন্কে প্রথম আলোকপাত করেছিলাম ২৭ এপ্রিল ২০১১ তারিখে। ২২ জুন ২০১১ দৈনিক যুগশঙ্খ-এ প্রকাশিত ধ্রুবকুমার সাহার উত্তরসম্পাদকীয়টি আজ এখানে তুলে দিলাম এবিষয়ে আমরা মোটামুটি একটা ধারণা লাভ করতে পারব এই আশায়।

ডি-ভোটার নির্দেশের কোনও আইনি বৈধতা নেই
ধ্রুবকুমার সাহা

অসমে বসবাসকারী অনসমিয়া ভারতীয়দের নাগরিক জীবনের অন্তর্হিত সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হল ‘ডি-ভোটার’ পরিচয় নিয়ে সংকটটি। হাইকোর্টের বিচারপতি বিকে গোস্বামী ২১-০৪-২০১১ তারিখে এক রায়দানে ঘোষণা করেছেন যে সন্দিহান ব্যক্তির নামের আগে ‘ডি-ভোটার’ শব্দটি সংযোজিত হওয়া সেই ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকা থেকে কেটে ফেলতে হবে এবং তাকে ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ তথা জেলে পুরে দিতে হবে। প্রতি জেলার পুলিশ সুপার যেন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত জেলে রাখেন, সময়মতো ওই ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করতে হবে। কার কার নামের আগে ‘ডি-ভোটার’ তকমাটি জুড়ে দিতে হবে সে ব্যাপারে নির্ণয় নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকারও জেলা পুলিশ সুপারের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে ওই রায়ে। রাজ্যের সর্বত্র তাই সুবিজ্ঞ মহলে এক চাপা ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হতে দেখা যায়। অনেক মহলে এই রায়কে সম্পূর্ণ বেআইনি, অমানবিক এবং পক্ষপাতদুষ্ট বলে আখ্যায়িত করছে। এ ব্যাপারে ভারতীয় সংবিধান, দেশের সর্বোচ্চ আদালত কিংবা উচ্চ ন্যায়ালয়গুলির অবস্থান কী তা খতিয়ে দেখতেই এ লেখার অবতারণা।

ভারতবর্ষের The Govt. of India Act’ 1935, The Registration of Foeigners Act এবং এটির নির্দেশনাবলী অনুধাবন করলে দেখা যায়, এর নীতি-নিয়মগুলি অখণ্ড ভারতের জন্য প্রণীত ছিল। ১৯৪৭-এ স্বাধীনতালাভ ও তৎসহ সাময়িক দেশবিভাগের পর ১৯৪৯ সালে গৃহীত ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬ ও ৭ অনুধাবন করলে আমরা দেখতে পাই যে প্রধানত সদ্য তৈরি ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রদ্বয়ের অগণিত উদ্বাস্তুর কথা মাথায় রেখে এই ধারাগুলি সংযোজিত হয়। এতে আছে যে ১৯৪৮ সালের ১৯ জুলাই’র পূর্বে পাকিস্তান থেকে যিনি ভারতে এসেছেন এবং অখণ্ড ভারতে সেই ব্যক্তি তার পিতা-মাতার যে কেউ বা পূর্বপুরুষ জন্মগ্রহণ করেছেন কিংবা ওই তারিখের পরে ভারতে এলেও উপযুক্ত ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নিকট সংবিধান তৈরির পূর্বে দরখাস্ত দিয়ে যথারীতি রেজিস্ট্রেশন নিয়েছিলেন এবং দরখাস্ত দাখিলের পূর্বে অন্তত ৬ মাস ভারতে বসবাস করেছেন এমন ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হএয়ার অধিকারী। সংবিধানের ৫ নং অনুচ্ছেদে নাগরিকের সংজ্ঞা এইরূপ – ১) যিনি ভারতে জন্মেছেন বা ২) যার মাতা বা পিতা ভারতের মাটিতে জন্মেছেন বা ৩) ভারতের সংবিধানের জন্মলগ্নের ৫ বছর পূর্ব থেকে যিনি ভারতে বসবাস করেছেন, তিনিই ভারতীয় নাগরিক। সংবিধান রচয়িতাগণ এর অনুচ্ছেদ ১১ ধারা নাগরিকত্ব সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট আইন প্রণয়নের ভার সংসদকে অর্পণ করেন তাই পরবর্তী সময়ে নতুন আইন প্রনয়ণ দেখতে পাই।

এখানে উল্লেখ্য যে স্বাধীনতার পূর্বে বিদেশিদের এ দেশে আগমন, অবস্থান–প্রস্থান, এদের পাসপোর্ট, ভিসা প্রভৃতি সম্বন্ধীয় নীতি-নিয়ম পরিচালনার উদ্দেশ্যে ২৩-১১-১৯৪৬ তারিখে Foeigners Act 1946 আইন পাস হয় এবং এর ২নং ধারা অনুসারে কেন্দ্র সরকার অসমে ভারতের বাইরে থেকে আসা বহিরাগত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে বিতাড়ন করার আইন হয়। এই আইনে অবশ্য এ কথা স্পষ্ট উল্লেখিত আছে যে দেশবিভাগের ফলস্বরূপ ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও প্রাণের ভয়ে ঘর-বাড়ি ফেলে পাকিস্তান ছেড়ে যারা এদেশে চলে এসেছেন এবং পরবর্তীকালে রাজ্যে বসবাস করেছেন তাদের প্রতি এই আইন কার্যকরী হবে না। ক্রমান্বয়ে ১৯৫৫ সালে Citizenship Act, 1955 (যা ২০০৩ সালে সংশোধিত হয়) এবং ১৯৬৪ সালে Foreigners (Tribunals) Order পাস হয়। Citizenship Act, 1955 (Amended upto 2003)-এর ধারা ৩ অনুধাবন করলে আমরা নাগরিকত্বের সংজ্ঞা নিন্মরূপ দেখেতে পাই — যিনি ভারতে জন্মগ্রহণ করেছেন বা যিনি ১৯৮৭ সালের ১ জুলাই কিংবা এরপর ২০০৩ সালের Citizenship আইন সংশোধনের পূর্বে জন্মেছেন সে ক্ষেত্রে তার পিতা-মাতা উভয়েই ভারতীয় নাগরিক কিংবা সন্তানের জন্মকালে পিতা-মাতার একজন ভারতীয় নাগরিক এবং অপরজন অন্তত অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বা বহিরাগত হন, এমন ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক বটে। এছাড়া, এই আইনের অনুচ্ছেদ/ধারা ৪ অনুসারে বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের সন্তান ভারতের বাইরে জন্ম হলেও ভারতীয় নাগরিক হবে। এবং ৫নং ধারা অনুসারে ভারতের সঙ্গে নানাভাবে সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে সাংবিধানিকভাবে নাগরিকত্ব প্রদানের নীতি-নিয়ম আছে। কিন্তু এই আইনের ৬-এর ধারাটি পরবর্তীকালে অসম চুক্তির পর সংশ্রধিত হয়। এই ৬-এর ধারাটি সংযোজনের প্রেক্ষাপটে সারসংক্ষিপ্ত কথা হচ্ছে, ভারতের ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে ১৯৮০ সালে জমা হয় এক স্মারকপত্র, এতে অসমে পাকিস্তানের অংশ পূর্বপাকিস্তান তথা বর্তমান নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আগত বিদেশি সমস্যা নিবারণের জন্য আর্জি জানানো হয়। এই আন্দোলনের পর ১৯৮৫ সালে ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর আমলে কেন্দ্র সরকার অসম চুক্তি স্বাক্ষর করে। সেই চুক্তি অনুসারে অসমে বহিরাগত বা বিদেশি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ০১-০১-১৯৬৬ ইং তারিখকে ভিত্তি তারিখ বলে মেনে নেওয়া হয়। চুক্তির মূলে মেনে নেওয়া হয়, ওই ০১-০১-১৯৬৬ তারিখের পূর্বে যারা বর্তমান অসমে এসেছেন এবং যাদের নাম ১৯৬৭-এর ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল তারা ভারতীয় নাগরিক। আর ০১-০১-১৯৬৬ তারিখের পর ২৪-০৩-১৯৭১ ইং তারিখের ভেতর যারা অসমে এসেছেন তাদের ১০ বছর ভোটাধিকার বাজেয়াপ্ত থাকবে, যদিও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা তারা ভোগ করতে পারবেন এবং ১০ বছর পর পুনরায় তাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। ২৫-০৩-১৯৭১ বা এর পর যারা এই রাজ্যে এসেছেন তারা বিদেশি এবং কেন্দ্র সরকার এদের বিতাড়নের ব্যবস্থা নেবেন। এই পরিসরেও উল্লেখ্য যে ওই ছাত্র আন্দোলন যখন তুঙ্গে ইতিমধ্যে কেন্দ্র সরকার ১৯৮৩ সালে ( Illegal Migrants Detention by Tribunals) Act 1983 এবং ( Illegal Migrants Detention by Tribunals Rules 1984 আইন পাস করে, যার সহায়তায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ প্রসারিত হয়। এখানে প্রনিধানযোগ্য বিষয় হল এই যে এই IMDT Act ও Rules অবৈধ বলে ঘোষণা করে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে IMDT-র অধীনস্থ Tribunal-এ আনা মামলাগুলি ১৯৬৪-র Foreigners (Tribunals) Order আওতাভুক্ত ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তরিত করার এবং এই আইনের বিধিমত চলার নির্দেশ জারি করে।

বিভিন্ন সময়ে প্রণীত আইনের ব্যাখ্যা নাগরিকত্বের সংজ্ঞা বিভিন্ন হতে দেখা যায়। সর্বোপরি বিদেশি সম্বন্ধীয় দেশের মূল যে আইন অর্থাৎ Foreigners Act, 1946 এবং এর আওতাধীন ১৯৬৪ Order-এর ব্যতিক্রমী কোনও আইন অন্তত একই বিষয়ে থাকতে পারে না, এমন অভিমত প্রকাশ করেই সুপ্রিমকোর্ট IMDT Act ও Rules বাতিল করেন। একই সঙ্গে মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট অসম চুক্তি অনুসারে বিদেশি শনাক্তকরণ ও বিতাড়ন প্রক্রিয়া জনিত IMDT-এর অধীনস্থ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলাগুলি মূল Foreigners Act ও Rules মতে বিদেশি ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত করার ও চলার নির্দেশ দেন। এতে স্পষ্ট হয়ে যায় যে Assam Accord-এ IMDT সংক্রান্ত চুক্তি আইনত নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলেও অপরাপর চুক্তির গায়ে কোনও আঁচ লাগেনি। তা হলে প্রশ্ন উঠে যে ১৯৫০ সালের Immigrants (Expulsion from Assam) Act যা আজও নিষিদ্ধ হয়নি এবং যেখানে দেশবিভাগের ফলে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও প্রাণের ভয়ে যারা সর্বস্ব পাকিস্তানে ফেলে এদেশে চলে এসেছে তাদের প্রতি এই আইন প্রযোজ্য হবে না বলে যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তার প্রাসঙ্গিকতা কতটুকু। এ ব্যাপারে আমরা অসম চুক্তির প্রেক্ষাপট যদি যাচাই করি তা হলে দেখতে পাই যে আসুর (সারা অসম ছাত্র সংস্থা) মূল দাবি ছিল ১৯৬৬-কে ভিত্তি বছর ধরে হিসেবে ধরা। কিন্তু বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতা আন্দোলন হয় ১৯৭১ সালে। তাই ১৯৭১ সালে বা এর কিছু আগে বা পরে অসমে উদ্বাস্তুদের অনুপ্রবেশ সমস্যা এবং Immigrants (Expulsion from Assam) Act 1950 এর আইনকে মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৭১-কে ভিত্তি বছর হিসেবে নিতে রাজি হয় এবং চুক্তিমূলে ০১-০১-১৯৬৬ থেকে ২৪-০৩-১৯৭১ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে অসমে আসা ব্যক্তিদের ১০ বছর ভোটাধিকার কেড়ে নিলেও পুনঃভোটাধিকার প্রদান ও দেশ থেকে তাদের বিতাড়ন না করার ব্যাপারে উভয়েই একমত হয়। দেশবিভাগ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির বিপাকে নাগরিকত্ব সম্পর্কে সংজ্ঞা পরিবর্তন একদিকে যেমন হয় আইনের মাধ্যমে, অপরদিকে হয় আন্দোলন ও চুক্তির মাধ্যমে এবং এর জাঁতাকলে নাগরিকরা সততই পিষ্ট হয়ে আসছেন। গৌহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি বিকে শর্মার ২১-০৪-২০১১ তারিখের রায়ের পূর্বে মুখ্য বিচারপতি জে চেলামেশ্বর এবং বিচারপতি আই এ আনসারিকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চের ০১-০২-২০১০ তারিখের রায় এখানে প্রাসঙ্গিক, কারণ IMDT বাতিল হহওয়ার পর Foreigners Act এবং Rules এর নীতি-নিয়ম বিচারপদ্ধতি প্রভৃতি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে অভিযোগ, অভিযোগকারী, অভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালে এদের অবস্থান এবং ক্ষমতা, দায়িত্ব, অধিকার প্রভৃতি সম্পর্কে এক সুচিন্তিত রায় দিয়েছে ওই ডিভিশন বেঞ্চ। এর সারাংশ নিম্নে তুলে ধরা হল।

১) Foreigners Act বা ১৯৬৪ Order কোনটাই দেওয়ানি আদালতের এক্তিয়ার নিষিদ্ধ করেনি। দেওয়ানি আদালত কোনও ব্যক্তি ভারতীয় কিনা বা তার আইনগত অবস্থান বিচার করতে পারে এবং তা ঘোষণা করতে পারে।
২) Foreigners Tribunal কেবল কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা রুজু করতে পারবে।
৩) অভিযোগপত্রে বহিষ্কারের কারণ অবশ্যই থাকতে হবে যে কেন অভিযুক্তকে বিদেশি বলা হচ্ছে এবং ট্রাইব্যুনালে নোটিশ পাঠানোর সময় সেই অভিযোগের কপি অভিযুক্তকে অবশ্যই দিতে হবে।
৪) অভিযুক্ত ব্যক্তি নোটিশ পেয়ে যদি অভিযোগ খণ্ডনার্থে সাক্ষ্যপ্রমাণ দেওয়ার জন্য এগিয়ে না আসে তবে কেন্দ্রীয় সরকারকে আইনসঙ্গতভাবে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে তা প্রমাণ করতে হবে। আর যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি সাক্ষ্যপ্রমাণ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে সে ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারকে আপত্তিজনক তথ্য বা প্রমাণ খণ্ডনার্থে সুযোগ দিতে হবে। অর্থাৎ অভিযোগ দাখিল করলেও অভিযুক্ত এগিয়ে না এলেও এমনি তাকে বিদেশি বলে আখ্যা দেয়া যাবে না।
৫) ট্রাইব্যুনাল বা দেওয়ানি আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ ও তথ্যভিত্তিক মতামত দেবে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান কেবল অভিযোগকারী মাত্র।

আবার ট্রাইব্যুনাল বা দেওয়ানি আদালত কোনও অভিযুক্তকে বিদেশি ঘোষণা করলে তখন কেন্দ্র সরকার তার বিরুদ্ধে আইনসঙ্গত ব্যবস্থা নেবে। গৌহাটি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই রায় অনুধাবন করলে এটুকু নিশ্চিতভাবে বোঝা যায় যে সুপ্রিমকোর্টের বিখ্যাত সনোয়াল মোকদ্দমার রায়ের মতাদর্শে একমত পোষণকারী গৌহাটি হাইকোর্টের মতামত এই যে অসমে বিদেশি শনাক্তকরণ বা বিতাড়ন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সর্বভারতীয় আইন অমান্য করা অবৈধ, তাই Foreigners Tribunals Order-এর মাধ্যমে অভিযুক্তকে সম্পূর্ণ সুযোগ প্রদানে আইনানুগ বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার মর্মে নির্দেশ প্রদান করে। সুতরাং এমন জটিল ও নানাবিধ অন্তরায়পূর্ণ সমস্যা সংশ্লিষ্ট আইন কিংবা সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সুবিন্যস্ত মতামতের আওতা বর্হিভূত নীতিতে তড়িঘড়ি সমাধান করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে বিচারপতি মহামান্য বিকে শর্মা তার ২১-০৪-২০১১ তারিখের রয়ে রাজ্যের প্রত্যেক পুলিশ সুপারকে যে সমস্ত অধিকার ও ক্ষমতা প্রদান করেন এবং সেগুলি অবিলম্বে পালনের নির্দেশ জারি করেন তা কি দেশের আইন ও সর্বোচ্চ আদালত ও হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের ০১-০২-২০১০ তরিখের রায়ের নির্দেশবিরুদ্ধ নয় অথবা আইনের চক্ষে কতটুকু বৈধ, এমন প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবে জাগ্রত হয়। প্রসঙ্গত, Foreigners Act Rules 1964 বা AssamAccord-এর কোথাও ‘ডি-ভোটার’ শব্দ পরিলক্ষিত হয় না। তা হলে এই শব্দটি প্রয়োগ করার বৈধতা কোথায়? Assam Accord-এর ৫.৪ নং শর্তে আছে ০১-০১-১৯৬৬ থেকে ২৪-০৩-১৯৭১ তারিখের ভেতর অসমে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে; তখন রেজিস্ট্রেশন অব ফরেনার্স অ্যাক্ট এবং রুলস ১৯৩৯ অনুসারে ওইসব ব্যক্তিকে রেজিষ্ট্রেশন নিতে হবে যাতে ঠিক দশ বছর তাদের নাম পুনঃভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এখানে ‘ডি-ভোটার’ লেখার বা কিংবা ডিটেনশন প্রভৃতির কোনও উল্লেখ দেখা যায় না। তাই এ সমস্ত কারণে প্রকৃত নাগরিকদের হয়রানি সমাজ ও দেশের পক্ষে অহিতকর। আমরা প্রকৃত সমস্যার সমাধান চাই, তবে প্রতিষ্ঠিত ন্যায় ও নীতি অনুসারে আবেগতাড়িত হয়ে বা সভ্যতা ও মানবিকতাকে বিসর্জন দিয়ে নয়।

মাসুদ করিম

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।

৯ comments

  1. মাসুদ করিম - ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ (২:৩০ অপরাহ্ণ)

    Foreigners Act বা ১৯৬৪ Ordeএর সংশোধনী এনে ১৮ এপ্রিল ২০১২তে জারি করা হয় ফরেনার্স (ট্রাইবুনাল) অর্ডার ২০১২ — আর এর মাধ্যমে সংকট আরো ঘনীভূত করা হল, এখন ট্রাইবুনাল থেকে নোটিশ পাওয়ার সর্বোচ্চ দশ দিনের মধ্যে নাগরিকত্বের প্রমাণ নিয়ে ট্রাইবুনালে হাজির হতে হবে, অপারগতায় ট্রাইবুনাল ‘একতরফা’ রায় ঘোষণা করবে। পড়ুন আসামের বাংলা দৈনিক ‘যুগশঙ্খ’-এর রিপোর্ট।

    p_1
    নাগিরকত্ব প্রমাণে দশ দিনের সময়, সঙ্কট ঘনীভূত : প্রথম পাতা

    p_11
    নাগিরকত্ব প্রমাণে দশ দিনের সময়, সঙ্কট ঘনীভূত : একাদশ পাতা, বাকি অংশ।

  2. মাসুদ করিম - ১ এপ্রিল ২০১৪ (২:৩৯ অপরাহ্ণ)

    ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি আসাম রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তারা বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জায়গা করে দিতে নির্বিচারে গণ্ডার হত্যা করছে — কত বড় গণ্ডমূর্খ এই মোদি, তার ক্ষমতায় অধিষ্ঠানের পর আসামের গণ্ডার দিয়ে তিনি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পরাক্রমের শিংচালনা করাবেন প্রতিনিয়ত, এই নিয়তই তো করেছেন মনে হচ্ছে।

  3. মাসুদ করিম - ২২ মে ২০১৪ (১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ)

    Pre-1971 migrants to be Indian voters
    Meghalaya HC gives ruling

    In a landmark judgment, the High Court in Indian state of Meghalaya has said Bangladeshis, who settled in the north-eastern state before March 24, 1971, be treated as Indians and enrolled in the voters’ list.
    Though the verdict is surely welcomed by the pre-1971 Bangladeshi settlers, it leaves a large question mark over the fate of those who migrated to India from Bangladesh afterwards, including during the Liberation War.
    The judgement came just a few days after Narendra Modi’s Bharatiya Janata Party won a landslide victory in the national election. Modi, who will be sworn in as the prime minister of India on May 26, had been vocal against Bangladeshi migrants in the run-up to the election. He even had gone as far as to say, “People of Bangladesh will have to leave bag and baggage” once he becomes the premier.
    The Meghalaya HC came with the judgement following a petition by over 40 people of Bangladeshi origin, whom the district administration denied enrolment in the voter list, citing their citizenship was doubtful, Press Trust of India reports.
    These refugees hailing from Amjong village in Meghalaya’s Ri-Bhoi district had moved the court after their citizenship certificates were seized by the deputy commissioner.
    Justice SR Sen, in his May 15 order, directed Deputy Commissioner Pooja Pandey to return the seized certificates to the petitioners and enrol them in voters’ list before the next elections.
    Justice Sen said there was an understanding between the two countries as to who should be allowed to stay and who should be deported back to Bangladesh.
    “It is clearly understood that the forefathers of the petitioners entered India much before March 24, 1971. As such there is no question of deporting them at this stage when they have acquired the right of permanent rehabilitation in Amjong village,” he said.
    The court also directed the state government and the Centre not to disturb them and to ensure proper rehabilitation for them.
    The state government had earlier argued that the petitioners and their forefathers were not permanent citizens and were rehabilitated temporarily by the autonomous district council.

  4. মাসুদ করিম - ২০ মে ২০১৬ (১০:২৫ পূর্বাহ্ণ)

  5. মাসুদ করিম - ২৮ মে ২০১৬ (১০:৪২ অপরাহ্ণ)

    ‘1971 Will Be Cut-Off Year’
    Assam’s first BJP chief minister Sarbananda Sonowal on his roadmap to deal with illegal migrants from Bangladesh.
    Bula Devi INTERVIEWS Sarbananda Sonowal

    Assam’s first BJP chief minister Sarbananda Sonowal—at 53, one of the youngest CMs–has let it be known that his government’s first priority is to seal the border with Bangladesh and deal with illegal migrants. Bula Devi caught up with him to get an idea of his road­map. Excerpts from the interview:

    Himanta Biswa Sarma had dec­lared that if BJP were voted to power, it would make 1951 the cutoff year for citizenship.

    It was his personal observation. The party’s stand is very clear. In any case, this statement was not considered very seriously by the people and the party got a sizeable number of seats even in Muslim-dominated areas. This time, the BJP won 13 seats in Muslim-domina­ted areas; earlier, it didn’t even have one.

    What do you think prompted Muslims in Assam to vote for the BJP?

    We have worked hard to win over Muslim minds, build confidence and create a perceptible sense of security. They have developed the faith that with BJP in power, they would be protected.

    Could it be fear—or desperation?

    No, the BJP’s campaign was so mild and so positive. We have a beautiful, secular society; both communities have been living together without prejudice or conflict for centuries. They value coexistence. The BJP could influence them through positive initiatives and statements. The BJP could instil in them the confidence that the party could not only give them protection, shelter, clothing and food, but dignity as well.

    Why did you fail to instil faith earlier?

    People have tremendous faith in Narendra Modi’s leadership.

    Even Muslims?

    Modi has proved that ‘Sabka saath, sabka vikas’ is not just a slogan. Even the younger generation has seen the style of functioning of the Congress, which was repeatedly warned that it should govern the state, yet it repeatedly failed to give justice to anybody in society. Where was the alternative?

    What happens to those who fail to produce ‘legacy data’ to prove residence since 1971 or earlier ?

    Legacy data has to be connected to the 1971 voters’ list. Something should be there to verify antecedents. If a person’s statement is genuine, he should be able to substantiate it with at least some factual event to develop the legacy. The entire proceeding is being monitored by the Supreme Court.

    And those who cannot prove legacy will be pushed back to Bangladesh?

    Their matter will be verified according to the law, and if they fail to prove legacy, they’ll be declared illegal migrants. If you are in the US or Europe, you’ll have to have some kind of document, wouldn’t you?

    Is the BJP really serious about giving citizenship to Banglade­shi Hindus who came after 1971?

    Of course, the BJP is serious about the issue. If you have seen the notification, there are religious minorities including Hindus, Christians, Jains, Sikhs and Buddhists who have come from Pakistan and Bangladesh due to religious persecution; they will be protected in India.

    Clause 6 of the Assam accord promises constitutional, judicial and administrative safeguards to indigenous Assamese for the protection of their identity and culture. Is there a plan to relook at or revisit Clause 6 because there is no political consensus on this?

    This has been discussed time and again in the assembly. Due to the presence of a large number of illegal migrants, loc­als have been reduced to a microscopic minority and are losing their land and territory. This is why the Assam accord speaks of providing constitutional safeguards to indigenous Assamese. Since this is one of the principal commitments of the accord, the government will definitely take it up positively. We will take up consultations with all stakeholders.

    The Rabhas and Tiwas, BJP supporters, have been demanding territorial councils like the Bodo Territorial Council. Has anything been promised to them?

    It’s necessary to hold discussions with them. Nothing has been promised so far; it’s a question of overall development of those territories. Whatever demands they are making, we will positively discuss them. We also have to discuss with other sections of the society who are living in that particular area.

    What about the Bodos, who have opp­osed giving ST status to six communities, including the Koch Rajbongshis, a major community in the Bodo Tribal Council area? How does the BJP plan to tackle the tricky issue?

    The home ministry set up a committee a month back under the chairmanship of the special secretary (internal security) (Mahesh Kumar Singla). The committee will be submitting the report on May 31.

  6. মাসুদ করিম - ১ জানুয়ারি ২০১৮ (১০:৪৮ অপরাহ্ণ)

    Assam Tags 1.9 Crore Of Over 3 Crore Citizens As Legal In First NRC Draft

    The much-awaited first draft of the National Register of Citizens (NRC) was today published with the names of 1.9 crore people out of the 3.29 crore total applicants in Assam recognising them as legal citizens of India.

    The rest of the names are under various stages of verification, Registrar General of India Sailesh said at a press conference held at midnight where he made the draft public.

    “This is a part draft. It contains 1.9 crore persons, who have been verified till now. The rest of the names are under various stages of verification. As soon as the verification is done, we will come out with another draft,” he said.

    NRC State Coordinator Prateek Hajela said those people whose names have been excluded in the first list need not worry.

    “It is a tedious process to verify the names. So there is a possibility that some names within a single family may not be there in the first draft,” said Hajela.

    “There is no need to panic as rest of the documents are under verification,” he said.

    Asked about the possible timeframe for the next draft, the RGI said it will be decided as per the guidelines of the Supreme Court — under whose monitoring the document is being prepared — in its next hearing in April.

    The entire process will be completed within 2018, Sailesh said.

    The application process started in May, 2015 and a total of 6.5 crore documents were received from 68.27 lakh families across Assam.

    “The process of accepting complaints will start once the final draft is published as rest of the names are likely to appear in that,” Hajela said.

    People can check their names in the first draft at NRC sewa kendras across Assam from 8 am on January 1. They can also check for information online and through SMS services.

    The RGI informed that the ground work for this mammoth exercise began in December 2013 and 40 hearings have taken place in the Supreme Court over the last three years.

    Assam, which faced influx from Bangladesh since the early 20th century, is the only state having an NRC, first prepared in 1951.

    The Supreme Court, which is monitoring the entire process, had ordered that the first draft of the NRC be published by December 31 after completing the scrutiny of over two crore claims along with that of around 38 lakh people whose documents were suspect.

    PTI

  7. মাসুদ করিম - ৫ জানুয়ারি ২০১৮ (১২:৪৯ অপরাহ্ণ)

  8. মাসুদ করিম - ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ (১০:৪২ অপরাহ্ণ)

    https://mknewsmedia.tumblr.com/post/169574344054/আস-ম-ব-ল-দ-শ-নয়-ওর-ব-ল-ভ-ষ

    https://mknewsmedia.tumblr.com/post/169736155989/১-ত-ল-ক-য়-ব-দ-ত-ই-র-ষ-ট-রহ-ন-হওয়-ই-ভব-তব-য-২

  9. মাসুদ করিম - ২ আগস্ট ২০১৮ (১০:৪১ অপরাহ্ণ)

    Assam NRC Final Draft: Opposition trains guns on BJP as 40 lakh people excluded, MHA allays fears

    A political war between the BJP and opposition parties erupted on Monday over the publication of the second and final draft of Assam’s National Register of Citizens (NRC), with the Congress calling it a “gameplan” of the saffron party. The Ministry of Home Affairs, however, urged the opposition parties not to politicise the “sensitive” issue.

    The final draft of NRC, which was released amid tight security earlier in the day, incorporated names of 2.89 crore people out of 3.29 crore applicants. The fate of over 40.07 lakh people, however, remains in limbo as the Centre refused to include them on the list and comment on their citizenship status. The NRC will include the names of all Indian citizens who have been residing in Assam before March 25, 1971.

    In no time did the opposition, mainly the Congress and Trinamool Congress, trained their guns at the Centre, accusing it of dividing the people for electoral gains.

    Here is everything that happened today:

    ‘Historic day for India’

    Immediately after the release of the names, Registrar General of India Sailesh said 2,89,83,677 people were found to be eligible for inclusion in the complete draft of the ambitious NRC out of a total 3,29,91,384 applicants. “This is a historic day for India and Assam. The exercise is unparalleled in the size. It is a legal process done under the direct supervision of the Supreme Court,” Sailesh said at a press conference in Guwahati.

    Allaying fears of the four lakh people whose names failed to make it to the final draft, he said, “The process for making claims and objections will begin on August 30 and continue till September 28. An adequate and ample scope will be given to people for making objections. No genuine Indian citizen should have any fear.”

    Sailesh also reiterated Union Minister Rajnath Singh’s assurance that the missing names will not be referred to the Foreigners’ Tribunal or would they be taken to the detention centre until they exhaust all forms of appeal.

    When asked about the reasons for not including the name of the four lakh people, NRC State Coordinator Prateek Hajela said, “We are not going to make the reasons public. It will be informed individually. They can find the reasons by visiting NRC Sewa Kendras (NSK).”

    Hajela, however, clarified that people belonging to four categories were not included in the draft as their eligibility were put on hold by the Supreme Court. “These four categories are ‘D’ (doubtful) voters, descendants of ‘D’ voters, references pending at Foreigners Tribunals and descendants of the references pending at Foreigners Tribunals,” he said.

    The state coordinator also said that there are names which were included in the first draft but were deleted from the complete one. “They will be intimated through individual letters in the coming days,” he said.

    Politics of polarisation: Congress

    While questioning the non-inclusion of over 40 lakh people in the complete draft of the NRC, the Congress said the revision of voters list in the ’90s had shown only 3.5 lakh ‘Doubtful’ or ‘D voters’ when compared to the latest one, and alleged it was a “motivated” action under the BJP which was trying to play “politics of polarisation”.

    Assam Pradesh Congress President Ripun Bora expressed hope that the government would stick to its words that no genuine citizen would be left out. “Intensive revision of voters list in 1995 and 1997 had shown only 3.5 lakh ‘Doubtful’ or D voters. It is not clear how another 36.5 lakh people were dropped (in the complete draft of NRC),” Bora said after the release of complete draft of the NRC.

    Bora also alleged it was a “motivated” action under the BJP which was trying to play “politics of polarisation”.

    Later in the day, Congress President Rahul Gandhi said the BJP government’s execution of the highly-sensitive NRC has been tardy, leading to massive insecurity in Assam. In a Facebook post, Gandhi said, “The government should move swiftly to resolve the crisis in Assam after reports that the names of many Indian citizens are missing in the draft National Register of Citizens. Te manner in which this exercise has been undertaken by the BJP Governments at the centre and in the State of Assam leaves much to be desired.”

    Centre resorting to vote bank politics: Mamata

    Calling it a deliberate move to evict the Bengali-speaking population and people from Bihar, West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee said “Indian citizens have become refugees” in their own land. “People are being isolated through a gameplan. We are worried because people are being made refugees in their own country. Its a plan to throw out Bengali-speaking people and Biharis. Consequences will be felt in our state also,” she told reporters at a press conference.

    “There were people who have Aadhaar cards and passports but still their names are not in the draft list. Names of people were removed on the basis of surnames also. Is the government trying to do forceful eviction,” the TMC chief asked.

    Questioning the timing of the release of the NRC list, Banerjee accused the BJP of doing politics ahead of the 2019 elections. “This is just an exercise to isolate the people who can vote positively and those who can’t. So many Muslims are there, Bengalis are there, Biharis are there…They are playing with fire…Divide and rule will finish the country,” she said.

    TMC MP Derek O’Brien told reporters that the party has decided to circulate a note on NRC among other political parties. “We think the NRC is inhuman and violates human rights. We would circulate a note on it among all political parties,” he said.

    Rajya Sabha adjourned four times

    Amid uproar over the publication of the list, Rajya Sabha chairman Venkaiah Naidu was forced to adjourn the Upper House four times. Naidu claimed to have spoken to Home Minister Rajnath Singh on the issue. However, the house refused to maintain order. “Home Minister came all the way to the House, neither the members were willing to say anything, nor did they allow the House to function,” Naidu said.

    TMC leader Derek O’Brien demanded a discussion on the notice given by him on the NRC. “It is not a political issue sir. It is a question of human rights, it is a humanitarian issue, it is a national issue, … we need to look after Indian citizens. Please allow me to raise this issue sir,” he said.

    Several other TMC members joined the MP to raise the issue, forcing Naidu to conclude the session for the day.

    MHA slams TMC

    Refuting Mamata Banerjee’s claims, the Ministry of Home Affairs (MHA) said updating the NRC was a “secular exercise” and that no particular community was targeted. A senior Home Ministry official said that all genuine Indian nations will be provided adequate opportunities to prove their citizenship.

    “The NRC is a list of the state’s citizens and exclusion of name does not automatically make anyone a foreigner,” the official said. He added, “The power of declaring a person as foreigner is vested with the foreigners’ tribunal set up for the purpose and all aggrieved persons can approach it if they have exhausted the options available with NRC authorities.”

    The official also dismissed rumours that internet services were disrupted in Assam and maintained that the chief secretary and the director general of police have made it clear that telecom and internet services were running without interruption in the state.

    No coercive action against anyone: Rajnath Singh

    Urging people not to panic over the draft, Home Minister Rajnath Singh said that today’s publication is “impartial” and those whose names are not included will be given a chance to prove their Indian citizenship. “No coercive action will be taken against anyone. Hence, there is no need for anyone to panic. This is a draft and not the final list,” he said.

    “Some people are unnecessarily trying to create an atmosphere of fear. I want to assure all that there is no need for any apprehension or fear. Some misinformation is also being spread. The NRC process has been done impartially,” he added.

    Singh said the NRC was being demanded in Assam for a long time and the previous state government had set up foreign tribunals following the Supreme Court order. “In publishing NRC, the government has done nothing. Everything is being done as per Supreme Court order. The allegation of the opposition against the government is baseless,” the minister said.

    Assam CM reiterates Rajnath on spread of misinformation

    Reiterating Union minister Rajnath Singh, Assam Chief Minister Sarbananda Sonowal said, “No one should spread misinformation. No one should also give any importance to misinformation. A government is there in Assam to look after people’s interest. You have seen all are living here with unity and honour,” he said.

    Warning those trying to disrupt peace in the state, Sonowal said, “While the people have welcomed the draft NRC, certain sections are trying to destabilise and spread lies. People of Assam have always lived with peace and harmony. We will not allow anyone to disturb peace and law and order.”

    December 31 deadline for the final list: Govt

    Later in the evening, the Union Home Ministry announced that the final NRC list will be published by December 31, 2018.

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.