১৯৮৩ থেকে ২০১৪ -- মাত্র তিনটি দশক। কথিত ভ্যালেন্টাইনের আগ্রাসনে বিভ্রান্ত, বিস্মৃত নিজের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস! ক্ষমা করো শহীদেরা। ১৯৮৩ থেকে ২০১৪ -- মাত্র তিনটি দশক। এরই মধ্যে আমরা বেমালুম ভুলে গেলাম গণতন্ত্র-স্বৈরাচার! সামরিক স্বৈরাচার অনেক আগে থেকেই আবার গণতন্ত্রের ভোটবন্ধু হয়ে বসে আছে। এ থেকে মুক্তি নেই আমাদের? [...]

১৯৮৩ থেকে ২০১৪ -- মাত্র তিনটি দশক। কথিত ভ্যালেন্টাইনের আগ্রাসনে বিভ্রান্ত, বিস্মৃত নিজের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস! ক্ষমা করো শহীদেরা। ১৯৮৩ থেকে ২০১৪ -- মাত্র তিনটি দশক। এরই মধ্যে আমরা বেমালুম ভুলে গেলাম গণতন্ত্র-স্বৈরাচার! সামরিক স্বৈরাচার অনেক আগে থেকেই আবার গণতন্ত্রের ভোটবন্ধু হয়ে বসে আছে। এ থেকে মুক্তি নেই আমাদের? ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বুকের তাজা রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেছিল আমাদের ভাই-সহযোদ্ধা জাফর-জয়নাল-দীপালী-কাঞ্চন। আমার স্মৃতি যদি আমাকে বিভ্রান্ত না করে থাকে তাহলে বলতে পারি এর পরদিন তারই প্রতিবাদে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাছে কে.সি. দে রোডে সেই স্বৈরাচারীর নির্দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে কথিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছোঁড়া বুলেটে মোজাম্মেলের বুকের তাজা রক্তে চট্টগ্রামের রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল। আরো অনেক সহযোদ্ধা আহত হয়েছিলেন সেদিন। (যদি আমার তথ্যে ঘাটতি বা অসংগতি থাকে কেউ শুধরে দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।) তারপর থেকেই এদেশের তরুণ ছাত্র-জনতা এই ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‌স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবেই পালন করেছে, যতটুকু জানি। কিন্তু দ্রোহ-প্রতিরোধ-আন্দোলন-বিপ্লব এসবকে সবসময়েই কায়েমি স্বার্থবাদী চক্র ভয় পেয়েছে, এখনো পায়। আর তাই সেই প্রতিরোধের ১৪ ফেব্রুয়ারিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য অত্যন্ত সুচতুরভাবে অনুপ্রবেশ ঘটালো ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবসের। আর এতে যোগ দিল কর্পোরেট বাণিজ্যের মেধা-কূটকৌশল। সুতরাং কেল্লা ফতে। নো চিন্তা, ডু ফুর্তি। যার যা উদ্দেশ্য ছিল তা সফল হলো, কিন্তু আমরা যেন ভুলে যেতে বসেছি আমাদের গৌরবোজ্জ্বল আত্মত্যাগের ইতিহাস। এ লজ্জা কার? তারুণ্যের দোষ কী? স্বাভাবিকভাবেই ওরা ভালোবাসবে। এটাই তো নিয়ম। জাফর-জয়নাল-দীপালী-কাঞ্চন-মোজাম্মেল নিজেদের রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র আর আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ভালোবেসেছিল। ছাত্রসমাজের প্রাণের দাবি আদায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু আমরা যারা তাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আজ গণতন্ত্রের ঢোল বাজাচ্ছি, কর্পোরেট বাণিজ্যের আগ্রাসনের কথিত ভালোবাসা দিবসের গোলকধাঁধায় আটকা পড়েছি, আমাদের বিবেক এতটাই প্রতিবন্ধী হয়ে গেল? ভাবতেই অবাক লাগে। নারী-পুরুষের ভালোবাসা, বন্ধুর প্রতি বন্ধুর ভালোবাসা -- এ সবকিছুই চিরন্তন। কিন্তু আমাদের গৌরবোজ্জ্বল গণতান্ত্রিক ইতিহাসকে ভুলবো কেমন করে? মিডিয়াগুলো নেমেছে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় -- কে কত বেশি করে এই ভ্যালেন্টাইন দিবসকে প্রচার করবে। ভালোবাসা যে শুধু নারী-পুরুয়ের ভালোবাসার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এর সাথে যে আমাদের সমাজ, সংস্কৃতি, মায়ের নাড়ি-ছেঁড়া ধনের আত্মত্যাগ, রক্তে-ভেজা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের তীব্র ভালোবাসা রয়েছে তা কি…

বিএনপি-জামাতের পাতা ফাঁদে পা দিলো আওয়ামীলীগ!!! বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামকরণে বিএনপি-জামাত অত্যন্ত কূটকৌশলে ইসলাম ধর্ম ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার করে ফায়দা লুটছে রাজনীতির ...

বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকার ২০০১ সালের শেষদিকে ক্ষমতায় আসার পর অত্যন্ত কূটকৌশলের মাধ্যমে সারা দেশেই তারা বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তন করে দেয়। এক্ষেত্রে তারা ইসলাম ধর্ম আর মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বীর সেনানীদের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতেও দ্বিধাবোধ করেনি। চট্টগ্রামেই বিএনপি-জামাতের এই হীন চক্রান্তের অন্তত দুটি জলজ্যান্ত নমুনা চট্টগ্রামসহ দেশবাসীর চোখের সামনেই আছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামের কালুরঘাটস্থ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠকারী আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নানের নামে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নামও তারা পরিবর্তন করে ‘শাহ আমানত বিমান বন্দর’ নামকরণ করে। হযরত শাহ আমানতের নাম পরিবর্তন করতে গেলে একে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে, এবং এর ফলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়বে যে কেউ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের একজন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিনকে ব্যবহার করেছে বিএনপি-জামাত জোট সরকার, যাতে করে এ নিয়েও অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করা যায়। আর বিএনপি-জামাতের পাতা ফাঁদেই পা দিলো বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার -- এমনই মনে করছেন অনেকে। প্রসঙ্গত গত ১ জুলাই ২০০৯ বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামের নাম মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম শ্রম, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী জহুর আহমদ চৌধুরীর নামেই পুনর্বহাল করা হয়। এই নতুন নামফলক উন্মোচন করেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান। এর আগে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানাধীন সাগরিকায় প্রায় ৩০ একর জায়গার উপর নির্মিত এই বিভাগীয় স্টেডিয়ামের নাম জহুর আহমদ চৌধুরীর নামেই করা হয়েছিল। সে সময়, ২০০০ সালের ১৭ নভেম্বর স্টেডিয়ামের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর এবং নির্মাণকাজ শেষে ২০০১ সালের ১৭ জুন নামকরণ করা হয়েছিল ‘চট্টগ্রাম বিভাগীয় জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম’। কিন্তু ২০০১ সালের শেষদিকে বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে এই নাম পরিবর্তন করে 'বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম' নামকরণ করে। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের ৫ বছর এবং গত ২ বছর (মোট ৭ বছর) স্টেডিয়ামটি 'বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম' নামেই পরিচিতি পায়। সম্প্রতি বর্তমান সরকার দেশের ১২টি ক্রীড়া স্থাপনাকে পূর্বের নামে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে গত ২৫ জুন এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ীই আজ চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামের…

ভাষা শহীদদের রক্তস্নাত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিনই পত্রিকার পাতায় অন্য অনেক সংবাদের সাথে একটি দুঃসংবাদ পড়তে হলো পাঠকদের। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পত্রিকা তো বটেই, জাতীয় দৈনিকগুলোতেও সংবাদটি ছাপা হয়েছে বেশ গুরুত্বের সাথে। অনলাইন বার্তা সংস্থা বিডি নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট কম পরিবেশিত সংবাদটি হলো : "জামায়াতের অনুষ্ঠানে যুদ্ধাপরাধীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাংসদ এম এ লতিফ"। এ সংবাদটি চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ-এ ছাপা হয়েছে প্রথম পাতায় বক্স নিউজ হিসেবে। একই দিন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা সংবাদটি ছেপেছে ১২ নম্বর পৃষ্ঠায় সিঙ্গেল কলামে "চট্টগ্রামে জামায়াতের অঙ্গসংগঠনের অনুষ্ঠানে আ’লীগের সাংসদ" শিরোনামে। দৈনিক সংবাদ-এর শেষের পাতায় শিরোনাম ছিল : "চট্টগ্রামে যুদ্ধাপরাধীকে সঙ্গে নিয়ে ছেলেকে বিয়ে দিলেন আ’লীগ এমপি"। এছাড়া দেশের আরো অনেক পত্রিকাতেই এই দুঃসংবাদটি ছাপা হয়েছে। চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসন থেকে নব নির্বাচিত সাংসদ ও চট্টগ্রাম শিল্প ব্যবসা বাণিজ্যের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বার-এর সভাপতি এম এ লতিফ আবারও সংবাদের শিরোনামে পরিণত হলেন। মাত্র ৫ দিনের মাথায় স্বনামধন্য (!) এই সাংসদ দেশবাসীর সামনে সাংসদ হিসেবে নিজের ক্ষমতা প্রকাশের মাধ্যমে পত্রপত্রিকার পাতায় ব্যাপক আলোচনায় আসেন । গত ৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার শেষ পাতায় শিরোনাম ছিল "আমাকে চিনেন, আমি সরকারি দলের এমপি"। আর দৈনিক যুগান্তর-এর প্রথম পাতায় অষ্টম কলামের শিরোনাম : "‘সাংসদের অশোভন আচরণে হতবাক বিমান যাত্রীরা"। দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ অনলাইন বার্তা সংস্থা ফোকাস বাংলা-র বরাত দিয়ে তাদের প্রথম পাতায় বক্স আইটেম করেছে "অশোভন আচরণ" শিরোনামে। সত্যিই কী বিশাল গুণ-সম্মানের অধিকারী হলেন আমাদের মহান জাতীয় সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধি সাংসদ, ব্যবসায়ী এম এ লতিফ। ৩শ’ জন সাংসদের মধ্যে ক’জন সাংসদ তাঁদের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচনায় আসতে পারেন! জনাব এম এ লতিফ তাঁর আচার-ব্যবহার দিয়ে দেশবাসীর নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। ভাগ্যবানই বলতে হবে মাননীয় সাংসদকে। একদিকে মুজিব কোট গায়ে লাগিয়ে নব্য আওয়ামী লীগ সাজা এই স্বনামধন্য সাংসদ জাতীয় সংসদে একাত্তরের ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য জনদাবির মুখে যে-প্রস্তাব উঠেছিল তাতে সমর্থন দিয়ে প্রস্তাব পাশ করিয়ে মুক্তযুদ্ধের সপক্ষের দাবিদার হতে চান। তিনিই আবার গত ৩১ জানুয়ারি শনিবার জামাতে ইসলামীর নেতাদের সাথে একই মঞ্চে উঠে সহাস্য বদনে ছবি তোলেন "যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠানে"! সেই অনুষ্ঠানে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী মাওলানা শামসুদ্দিন এবং আলবদর…

ছোট ছোট কোমলমতি শিশু বালিকারা মাথায় ঝুটি বেঁধে, কেউ-বা বেণী দুলিয়ে কাঁধে বা হাতে ব্যাগ নিয়ে তাদের প্রিয় স্কুলপ্রাঙ্গণে যায়। এটা চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ও ব্যস্ত এলাকা নন্দনকাননে অপর্ণাচরণ বালিকা বিদ্যালয় ও কৃষ্ণকুমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিদিনকার দৃশ্য। স্কুল দুটি বর্তমানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ পরিচালনা করছেন। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, ঐতিহ্যবাহী স্কুল দুটির উপর সম্প্রতি শ্যেনদৃষ্টি পড়েছে চট্টগ্রামের নির্বাচিত হ্যাট্রিক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর। [...]

ছোট ছোট কোমলমতি শিশু বালিকারা মাথায় ঝুটি বেঁধে, কেউ-বা বেণী দুলিয়ে কাঁধে বা হাতে ব্যাগ নিয়ে তাদের প্রিয় স্কুলপ্রাঙ্গণে যায়। এটা চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ও ব্যস্ত এলাকা নন্দনকাননে অপর্ণাচরণ বালিকা বিদ্যালয় ও কৃষ্ণকুমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিদিনকার দৃশ্য। স্কুল দুটি বর্তমানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ পরিচালনা করছেন। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, ঐতিহ্যবাহী স্কুল দুটির উপর সম্প্রতি শ্যেনদৃষ্টি পড়েছে চট্টগ্রামের নির্বাচিত হ্যাট্রিক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটিকে শিক্ষাঙ্গন হিসেবে না দেখে বাণিজ্যিকভাবে দেখতে শুরু করেছেন। এখানেই তিনি সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে বহুতলবিশিষ্ট বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণের কর্মযজ্ঞ শুরু করে দিয়েছেন। যতদূর জানা গেছে, এখানে সিটি কর্পোরেশনের ১৬ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কাছে একটি নকশা জমা দেয়া হয়েছিল ২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর। কিন্তু সেই নকশায় ৬টি ত্রুটি দেখিয়ে অনুমোদন না দিয়ে তা সিটি কর্পোরেশনের কাছে ফেরত পাঠানো হয়। সিডিএ এবং সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কর্তাব্যক্তির সাথে আলাপ করে এবং ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ থেকে যা জানা গেল তার জন্য সাধারণ সচেতন নাগরিক সমাজ, নগর পরিকল্পনাবিদ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন না হয়ে পারেন না। বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স ভবনে কোমলমতি বালিকা শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হবে, তা ভাবা যায় এ সভ্য সমাজে? বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সের ভেতরে কি শিক্ষার্থীরা প্রাণবন্ত ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে খোলামাঠে ছোটাছুটি আর কানামাছি খেলতে পারবে? শিক্ষকরাও কি পারবেন সঠিকভাবে শিক্ষাদান করতে? অথচ চট্টগ্রামের নগরপিতা মহিউদ্দিন চৌধুরী তাই করাতে চাইছেন! কিন্তু কেন? -- এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এ কথা ঠিক যে, মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে তিনি নিজের সুপরিকল্পনায় ও সদিচ্ছায় সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে নগর জুড়ে বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ, এমনকী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তিনি পরিচালনাও করেছেন সুষ্ঠুভাবে। এর পাশাপাশি গরিব ও সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য বেশকিছু স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল ও মাতৃসদন স্থাপন করেও তিনি অনন্য দৃষ্টান্ত রেখেছেন। যার সুফল ভোগ করছে চট্টগ্রামবাসী। যা বাংলাদেশের অন্য কোনো সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ এত সুচারুভাবে করতে পেরেছে বলে আমার অন্তত জানা নেই। অন্য নগরীর মেয়রগণ এসব ক্ষেত্রে মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাছ থেকে অনেক সময় পরামর্শ নিয়েছেন বলেও শুনেছি। এসব সেবামূলক কর্মকাণ্ডের…

prof-m-ahmed-photoঅনেক ত্যাগ, সংগ্রামের পর গত ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ বাংলাদেশের নাগরিকরা নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে তাদের অন্যতম নাগরিক অধিকার অর্থাৎ নিজেদের পছন্দসই প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার অধিকার ফিরে পেয়েছে। সুযোগ নয়, দেশি-বিদেশি অধিকাংশ সংগঠন ও মানুষের কাছে নির্বাচনটি হয়েছে নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট তিন-চতুর্থাংশের চেয়ে বেশি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে এই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এর মধ্যে প্রধান দুই জোট-নেত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী তারেক-কোকো’র মা বেগম খালেদা জিয়ার নামেও মামলা রয়েছে। মামলাগুলো উচ্চতর আদালতে বিচারাধীন। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যাঁরা মামলা দায়ের করেছিলেন এই দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে, সেসব বাদীপক্ষ মামলা প্রত্যাহারের আবেদনও করেছেন ইতোমধ্যে। রাজনীতি করলে মামলা-হামলা থাকবেই, এতেই আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা অভ্যস্ত। কিন্তু প্রসঙ্গ অন্যত্র। [...]

অনেক ত্যাগ, সংগ্রামের পর গত ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ বাংলাদেশের নাগরিকরা নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে তাদের অন্যতম নাগরিক অধিকার অর্থাৎ নিজেদের পছন্দসই প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার অধিকার ফিরে পেয়েছে। সুযোগ নয়, দেশি-বিদেশি অধিকাংশ সংগঠন ও মানুষের কাছে নির্বাচনটি হয়েছে নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট তিন-চতুর্থাংশের চেয়ে বেশি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে এই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এর মধ্যে প্রধান দুই জোট-নেত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী তারেক-কোকো’র মা বেগম খালেদা জিয়ার নামেও মামলা রয়েছে। মামলাগুলো উচ্চতর আদালতে বিচারাধীন। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যাঁরা মামলা দায়ের করেছিলেন এই দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে, সেসব বাদীপক্ষ মামলা প্রত্যাহারের আবেদনও করেছেন ইতোমধ্যে। রাজনীতি করলে মামলা-হামলা থাকবেই, এতেই আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা অভ্যস্ত। কিন্তু প্রসঙ্গ অন্যত্র। গত বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় বিভিন্ন গণ্যমান্য বুদ্ধিদীপ্ত সম্মানিত ব্যক্তির বেশ কয়েকটি ফোরাম কাজ করছে। আমরা অতি ক্ষুদ্র, সাধারণ অল্পশিক্ষিত নাগরিকরা তাঁদেরকে ‘সুশীল সমাজ’ বা ‘সিভিল সোসাইটি’ বলেই জানি। এই সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের মধ্যে শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাবেক আমলা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, নারী নেত্রী, এনজিও কর্মকর্তা, পুলিশ, বিডিআর ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাও রয়েছেন -- অর্থাৎ এককথায় এখানে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। দেশ ও জাতির বিভিন্ন সংকটে এই ‘সুশীল সমাজ’ নানা সেমিনার-সিম্পোজিয়াম আয়োজন করেন, বিবৃতি ও উপদেশ দিয়ে থাকেন। দেশ-জাতি তাতে উপকৃত কতটুকু হয়েছে তা এদেশের সাধারণ মানুষই ভালো বলতে পারবেন। দেশে সুশাসন কে না চায়? সবাই চায় দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও অশিক্ষা-মুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। সেই সাথে অবশ্যই ধর্মনিরপেক্ষ ও রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ -- অল্প কিছু জনগোষ্ঠী ছাড়া। এই সুশাসনকে নিশ্চিত করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে ‘সুজন’ অর্থাৎ ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক’ নামে একটি খ্যাতনামা সামাজিক সংগঠন। সাংগঠনিকভাবে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই এদের কমিটি রয়েছে। সচেতনতামূলক কাজের জন্য সংগঠনটি বেশ কিছু কাজ করছে। সমাজের বিশিষ্ট বিজ্ঞজনেরা রয়েছেন এই ‘সুজন’-এর সাথে। এর প্রধান নেতৃত্বে রয়েছেন খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ, পরিবেশবাদী সংগঠক, দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সংগঠন টিআইবি’র (ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ) প্রধান শ্রদ্ধাভাজন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ। এই বয়সেও তিনি সমাজের বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে সোচ্চার কণ্ঠ হয়ে আমাদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভাবতেই ভালো লাগে বিষয়টি। সংসদ, রাজনীতি,…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.